• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যেদিন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে
দেশের সব মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রোববার (৫ মে) থেকে ক্লাস চালুর ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।  শনিবার (৪ মে) মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপণের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার (৫ মে) হতে দেশের সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো রোববার (৫ মে) থেকে খুলবে। তবে বিদ্যালয়গুলো চলবে কয়েক দিন আগে ঘোষিত সময় অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। আর প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধই থাকবে। এ ছাড়া তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলিও (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে। এর আগে প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরের দিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ধাপে ধাপে দেশের কয়েকটি জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।    এদিকে গত ২৫ এপ্রিল উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা এক আদেশে জানানো হয়, ৪ মে থেকে শনিবারও স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাপপ্রবাহ এবং নানা কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।   প্রসঙ্গত, তাপদাহের কারণে ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটির পর ২১ এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে ২৮ এপ্রিল খোলা হয়। কিন্তু তাপদাহের তীব্রতার কারণে ২৯ এপ্রিল ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। পরে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত সারা দেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরটিভি নির্ভীক সম্মাননা পেলেন ৬ অগ্নিসেনা
টানা আট দফা কমার পর বাড়লো স্বর্ণের দাম
রোববার থেকে আপিল বিভাগে বিচারকাজ চলবে দুই বেঞ্চে 
৭ বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলগুলোর স্কোয়াড দেখে নিন 
রান না পেলেও লিটনের পরিশ্রমে সন্তুষ্ঠ ব্যাটিং কোচ
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুই ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ
জিম্মি চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যেকোনো সময়
উপজেলা নির্বাচন  / প্রথম ধাপে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে ইসির নির্দেশনা 
তামিম-হৃদয়কে প্রশংসায় ভাসালেন কোচ ডেভিড হেম্প
রাতের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়, হুঁশিয়ারি সংকেত
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
সাড়ে ৩১ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বনানী কবরস্থানে মোহাম্মাদ আলীর দাফন সম্পন্ন
সাবেক এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর দাফন বনানী কবরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতি প্রাঙ্গণে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে এ জে মোহাম্মদ আলীর জানাজা সম্পন্ন হয়। এর পরে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে বনানী কবরস্থানে মোহাম্মদ আলীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় তার পরিবারের সদস্যসহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। গত বৃহস্পতিবার (২ মে) মারা যান এ জে মোহাম্মদ আলী। সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে দেশটির মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বাবা এম. এইচ. খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৮০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। পরে ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। এ ছাড়া তিনি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটিরও দায়িত্ব পালন করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন  / প্রথম ধাপে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে ইসির নির্দেশনা 
প্রথম ধাপে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে ইসির নির্দেশনা 
কবে কাটবে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, জানালেন স্টেশন ম্যানেজার
কবে কাটবে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, জানালেন স্টেশন ম্যানেজার
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে বাধা লোপাটকারীদেরই উৎসাহিত করবে: নোয়াব সভাপতি
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে বাধা লোপাটকারীদেরই উৎসাহিত করবে: নোয়াব সভাপতি
লোক ও কারু শিল্পীদের চলছে টিকে থাকার লড়াই
লোক ও কারু শিল্পীদের চলছে টিকে থাকার লড়াই
গাম্বিয়ার সঙ্গে কৃষি ও বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
গাম্বিয়ার সঙ্গে কৃষি ও বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
মাত্র ৩২ হাজার টাকা খরচ করলেই থাকা যাবে শ্রীদেবীর বাড়িতে!
‘এক-দুটি সিনেমায় কাজ করেই তারা ঠিকই সুযোগটি লুফে নিচ্ছে’
সম্প্রতি চলচ্চিত্রের বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)। এতে হাজির হয়েছিলেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট গুণিজনরা। সশরীরে এই বৈঠকে অংশ না নিতে পারলেও এক অডিও-বার্তায় বাচসাস-কে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন ঢালিউডের রুপালী পর্দার এক সময়ের সাড়া জাগানো নায়ক সোহেল রানা। সাধুবাদের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠন ও বাচসাসকে একসঙ্গে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে কাজ করার আহ্বান জানান এই দাপুটে অভিনেতা। ঢাকাই চলচ্চিত্র সূচনার আগেই বাচসাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন চলচ্চিত্রে কাজ করতাম তখন বাচসাস এবং আমরা একত্রে মিলে চলচ্চিত্রের মঙ্গলের জন্য কাজ করতাম। আমরা একে অন্যের পরিপূরক ছিলাম। আগে আমরা ভুল করলে সাংবাদিক বন্ধুরা সেটা ধরিয়ে দিতেন। আমাদের তারা শেখাতেন। কিন্তু এখনকার সাংবাদিকতা সে পর্যায়ে নেই। তবে চলচ্চিত্রের স্বার্থে একে অন্যের পরিপূরক হতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে শিল্পী, কুশলী ও সাংবাদিক তিনটি একসাথে মিলে ঘাসের মতো বেড়ে উঠেছে। এখানে শিখে আসতে হয়। সম্মান রেখেই বলছি—অনেকেই এখন হাতে ক্যামেরা পেলে যে কারও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করছে খেয়াল খুশি মতো। যার ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে তিনি সেটার উপযোগী কি না, সেটা কেউ বিচার করছে না। এখানে আমাদের বিরাট একটা গ্যাপ হয়ে যাচ্ছে। নতুন যারা সাংবাদিক হিসেবে আসছেন, তাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে বাচসাস থেকে। একজন শিল্পী ও কুশলীকে কিন্তু শিখে আসতে হচ্ছে। চাইলেই কিন্তু সে আসতে পারছে না। কিছু শিল্পীরা হয়ত লাভ দিয়ে চলে আসতে পারে। তবে অন্যদের প্র্যাকটিস করেই আসতে হচ্ছে। সাংবাদিকতায় আসতে হলে পড়াশোনা করে এবং জেনেশুনে আসতে হবে। কেউ ভুল করলে তার ভুল যাচাইয়ের পজিশন থাকতে হবে। আমার মনে হয় এদের ব্যাপারে বাচসাস’র শক্তিশালী সিদ্ধান্তে আসা উচিত। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য কাজ করছে তাদের জন্য বাচসাস থেকে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা উচিত বলে মনে করি। ঠিকমতো বাংলা উচ্চারণ করতে জানে না, সেও ইন্টারভিউ নিতে চায় উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেন, আমি তাদের ইন্টারভিউ দিই না। অনেকেই দেখছি ইন্টারভিউ দেয়। হয়ত কখনো ইন্টারভিউর সুযোগ পায়নি। এক-দুটি সিনেমায় কাজ করেছে তারা ঠিকই সুযোগটি লুফে নিচ্ছে। যে একটা দৃশ্য করেছে তাকে তো শিল্পী বলা যাবে না। শিল্পী সমিতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে সোহেল রানা বলেন, নির্বাচন করার জন্য যাকে খুশি তাকে সদস্য বানিয়ে দিও না। প্রকৃত শিল্পীদের নিতে হবে। এ নিয়ে গত দুই বছর অনেক গণ্ডগোল হয়েছে। আমরা সিনিয়র পাঁচ জন মিলে অনেককে বাদ দিয়েছিলাম যাচাই-বাছাই করে। যেসব তরুণরা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য কাজ করছে তাদের একটা নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। যারা নিয়ম মানবে না তাদের ব্যান করে দিতে হবে। বাচসাসকে দায়িত্ব এড়িয়ে গেলে চলবে না। মূল সাংবাদিক ও শিল্পীদের চিহিৃত করতে হবে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সকল সমিতি মিলে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সর্বশেষে তিনি বলেন, বাচসাস ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে সুন্দর একটি সমাধান আনতে পারবে সেই প্রত্যাশা করি। উভয়ের মধ্যে পুরনো দিনের ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকুক সেটাই কামনা করি। চলচ্চিত্রের মঙ্গলের জন্য বাচসাসকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
‘এক-দুটি সিনেমায় কাজ করেই তারা ঠিকই সুযোগটি লুফে নিচ্ছে’
সিনেমায় সুদিন ফিরছে : সজল
দর্শকপ্রিয় অভিনেতা আব্দুন নূর সজল। নাটকে এখন আর তাকে আগের মতো দেখা না গেলেও সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যম কাজসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছে তার সঙ্গে।    ওই সাক্ষাৎকারে সজল বলেন, নতুন নাটক-সিনেমায় কাজের ক্ষেত্রে আমার কাছে সব সময়ই প্রাধান্য পায় গল্প। এখন আমাদের যে সিনেমা বা ওয়েব কন্টেন্টগুলো হচ্ছে, সবগুলোই এক্সপেরিমেন্টাল কাজ। আর এ ধরনের কাজই আমার বেশি পছন্দ।  সিনেমায় সুদিন ফিরছে মন্তব্য করে এই অভিনেতা আরও বলেন, অবশ্যই বলতে হবে সিনেমায় সুদিন ফিরছে। কারণ, এখন অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। নতুন নতুন গল্প ও গল্প ভাবনা নিয়ে কাজ হচ্ছে। যেটি সত্যিই অনেক ভালো। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আব্দুন নূর সজল বেশ কিছু কাজ করছেন। তবে তার সংখ্যা বা নাম এখনই বলতে নারাজ তিনি। তার ভাষ্য, বিষয়টি নিয়ে এখনই বলা সম্ভব না। বলা যাবে ঠিক ঈদের আগ মুহূর্তে। কারণ, কাজ তো চলমান।
সিনেমায় সুদিন ফিরছে : সজল
চারবার স্ট্রোক করে ভালো নেই সংগীতশিল্পী রিংকু
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন সংগীতশিল্পী রিংকু। পরপর চারবার স্ট্রোক করেছেন তিনি। সর্বশেষ ২০২০ সালে দুইবার স্ট্রোক হওয়ায় শরীরের বাঁ পাশ অবশ হয়ে গেছে তাঁর। এরপর থেকেই গান থেকে দূরে রয়েছেন। থাকছেন গ্রামেই।  নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বড় সাওতা গ্রামের মহসীন আলী মৃধার ছেলে মশিউর রহমান রিংকু। ২০০৫ সালে ক্লোজআপ ওয়ান সংগীত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিনি নজর কাড়েন। জায়গা করে নিয়েছিলেন সেরা পাঁচে। তাঁর কণ্ঠে লোকগান ও বাউলগান শ্রোতামহলে ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে অসুস্থ হওয়ার কারণে গানের জগৎ থেকে এখন দূরেই রয়েছেন এই শিল্পী। ২০১৬ সালে ইতালিতে শো করার সময় প্রথমবার স্ট্রোক করেন। এরপর দেশে এসে চিকিৎসা নিয়ে গানে ফিরেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে আবারও স্ট্রোক করেন। এরপর ২০২০ সালে পরপর দুইবার স্ট্রোক করেছেন। জানা যায়, বর্তমানে আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন রিংকু। আবারও ফিরতে চান গানের ভু্বনে। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, একটা সময় স্টেজ মাতিয়েছি। নতুন নতুন গান করেছি। কিন্তু এখন সব বন্ধ। আমাকে অনেকেই ডাকেন গানের জন্য। কিন্তু এ অবস্থায় গাইতে পারি না দেখে যাই না। ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় বাজিমাত করেই সংগীত জগতে নিজের জায়গা পাকা করে নেন এই গায়ক। ব্যস্ত হয়ে পড়েন স্টেজ শো ও অ্যালবাম প্রকাশে। ‘পাগলা ঘণ্টা’, ‘বাউল মন’ ও ‘জগৎ বন্ধু’ নামের তিনটি অডিও অ্যালবাম বের করেছিলেন তিনি।  রিংকুর কণ্ঠে বাউল মন অ্যালবামের ‘নারী হয় লজ্জাতে লাল’ গানটি জনপ্রিয়তা পায়। সেসময়ে এটি ছড়িয়ে পড়েছিল দেশজুড়ে।  আবারও গানে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করে রিংকু বলেন, আমি যে গানগুলো গেয়েছি, আমার কণ্ঠের গান যারা পছন্দ করেন—তারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আগের মতো গাইতে পারি। কিন্তু আগের মতো গাওয়া সম্ভব নয়, তারপরও চেষ্টা করব। স্থানীয় এলাকাবাসীদের অনেকেই জানিয়েছেন, যদি এই শিল্পীকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানো যেত, তাহলে সুস্থ হয়ে উঠতেন তিনি।  
চারবার স্ট্রোক করে ভালো নেই সংগীতশিল্পী রিংকু
৬ মে লিডসে কাব্যশীলনের কবিতা ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সন্ধ্যা
ব্রিটেনের লিডস শহরে সাহিত্যপত্র কাব্যশীলনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কবিতা ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এক ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন ‘ক্রন্দন ও কুয়াশার গান।’  সোমবার (৬ মে)  বিকেল ৪টায় লিডসের মূরটাউন মেথডিস্ট চার্চে এই বিশেষ অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হবে বলে জানিয়েছেন কাব্যশীলনের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার রেজা।  এতে হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় ও উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীত, গজল, ঠুমরির পাশাপাশি বিচিত্র বর্গের বাংলাগানও পরিবেশন করবেন ভারত থেকে আগত, সদ্য প্রয়াত উস্তাদ রাশিদ খানের জ্যেষ্ঠ  সঙ্গীতশিষ্যা, বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম শীর্ষ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী কোয়েল ভট্টাচার্য। তবলা সঙ্গত করবেন পন্ডিত শুভঙ্কর ব্যানার্জির দুই মেধাবী সঙ্গীতশিষ্য কুন্তল দাস ও অনিরুদ্ধ মুখার্জি।  কবি সৈয়দ আনোয়ার রেজা ও ডা. শারমীন নিজামের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিতব্য এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়া শিল্প, সাহিত্য ও সঙ্গীতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান সৌধের পরিচালক কবি টি.এম আহমেদ কায়সার। কথা ও কবিতা পাঠ করবেন কবি ও গল্পকার সোমা দাশ, কবি শ্রী গাঙ্গুলি, বাচিকশিল্পী নাজমা ইয়াসমীন, ইফফাত মিতুল ও যুক্তরাজ্য সাহিত্য সংসদের সভাপতি  আহমদ সৈয়দ শাহনুর।
৬ মে লিডসে কাব্যশীলনের কবিতা ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সন্ধ্যা
পাথরঘাটায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাইবার মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন
বিড়ালের খাবারের প্যাকেটে আইস রাখতেন সংগীতশিল্পী এনামুল কবির
হিলিতে তীব্র তাপ প্রবাহে ঝরে যাচ্ছে লিচুর গুটি
মেহেরপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ 
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুই ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার (৩ মে) রাতে পানির পাইপলাইনে ময়লা ও কচুরিপানা ঢোকার পর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যা দেখা দেয়।   শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় এপিএসসিএল সূত্রে জানা যায়, এপিএসসিএল-এর ছয়টি কেন্দ্র থেকে মোট এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টের স্টিম টারবাইন চালু রাখতে মেঘনা নদী থেকে পাম্পের মাধ্যমে পাইপ দিয়ে পানি আনতে হয়। শুক্রবার রাতে ঝড়ের সময় ওই পাইপ দিয়ে ময়লা ও কচুরিপানা ঢুকে পড়ে। এতে পাওয়ার প্লান্টের নর্থ ও সাউথ স্টিম টারবাইন অংশ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রায় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা সেগুলো সরিয়ে উৎপাদন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। এপিএসসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লা জানান, পানির পাইপে স্প্রিং নেট ভেঙে ময়লা ঢুকে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এতে দুটি ইউনিটে প্রায় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তবে আশা করা হচ্ছে দ্রুতই বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক হবে।
জিম্মি চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যেকোনো সময়
যে কারণে মক্কায় প্রবেশে সৌদির বাসিন্দাদের অনুমতি লাগবে
ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
যে কারণে ইসরায়েলকে আইসিসির সতর্কবার্তা
যে কারণে ইসরায়েলকে আইসিসির সতর্কবার্তা
ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০
ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০
কানাডায় নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার
কানাডায় নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার
রান না পেলেও লিটনের পরিশ্রমে সন্তুষ্ঠ ব্যাটিং কোচ
তামিম-হৃদয়কে প্রশংসায় ভাসালেন কোচ ডেভিড হেম্প
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলগুলোর স্কোয়াড দেখে নিন 
আর মাত্র ২৬ দিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথভাবে আয়োজনে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। প্রথমবার ২০ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্ট। প্রতিটি দল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াডে রাখতে পারবে ১৫ জন করে ক্রিকেটারকে। গত ১ মে ছিল আইসিসিকে খেলোয়াড়দের নাম জমা দেওয়ার জন্য বোর্ডগুলোকে বেঁধে দেওয়া সময়ের শেষদিন।  তবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত কোনো কারণ দেখানো ছাড়াই পরিবর্তন আনা যাবে দলে। এই সুযোগের কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানসহ অনেক দলই এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে স্কোয়াড ঘোষণা করেনি। চারটি গ্রুপ:  গ্রুপ এ: ভারত, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র গ্রুপ বি: ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড, ওমান গ্রুপ সি: ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, উগান্ডা গ্রুপ ডি: দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, নেপাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলগুলোর স্কোয়াড: ইংল্যান্ডের স্কোয়াড: জস বাটলার (অধিনায়ক), মঈন আলি, জোফ্রা আর্চার, জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, স্যাম কারান, বেন ডাকেট, টম হার্টলি, উইল জ্যাকস, ক্রিস জর্ডান, লিয়াম লিভিংস্টোন, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট, রিস টপলি ও মার্ক উড। অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড: মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), অ্যাস্টন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, টিম ডেভিড, ন্যাথান এলিস, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজেলউড, ট্রেভিস হেড, জশ ইংলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যাডাম জাম্পা। ভারতের স্কোয়াড: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া (সহ-অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশভ পান্ত, সঞ্জু স্যামসন, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ। রিজার্ভ খেলোয়াড়: শুবমান গিল, রিঙ্কু সিং, খলিল আহমেদ ও আবেশ খান। নিউজিল্যান্ডের স্কোয়াড: কেইন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসেন, ম্যাট হেনরি, ড্যারেল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, টিম সাউদি। রিজার্ভ খেলোয়াড়: বেন সিয়ার্স। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াড: এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক, রিজা হেন্ড্রিকস, হেইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, ট্রিস্টান স্টাবস, রায়ান রিকেলটন, আনরিখ নরকিয়া, কাগিসো রাবাদা, জেরাল্ড কোয়েটজি, ওটনিয়েল বার্টম্যান, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, তাবরাইজ শামসি ও বিয়র্ন ফরচুইন। রিজার্ভ খেলোয়াড়: লুঙ্গি এনগিডি ও নান্দ্রে বার্গার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোয়াড: রভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আলজারি জোসেফ, জনসন চার্লস, রোস্টন চেইস, শিমরন হেটমায়ার, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, নিকোলাস পুরান, শেই হোপ, আন্দ্রে রাসেল, রোমারিও শেফার্ড, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেন, গুডাকেশ মোটি, শেরফেন রাদারফোর্ড। আফগানিস্তানের স্কোয়াড: রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, করিম জানাত, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ ইশাক, মোহাম্মদ নবি, গুলবদিন নাইব, নাঙ্গিয়াল খারোতি, নুর আহমেদ, নাভিন উল হক, ফজলহক ফারুকি, ফরিদ মালিক ও মুজিব উর রহমান। রিজার্ভ খেলোয়াড়: হজরতউল্লাহ জাজাই, সেদিক অটল ও সালিম সাফি। কানাডার স্কোয়াড: সাদ বিন জাফর (অধিনায়ক), অ্যারন জনসন, ডিলন হেইলিগার, দিলপ্রিত বাজওয়া, হার্শ ঠাকার, জেরেমি গর্ডন, জুনায়েদ সিদ্দিকি, কলিম সানা, কানওয়ারপাল তাথগুর, নবনিত ঢালিওয়াল, নিকোলাস কারটন, পরগত সিং, রবিন্দরপাল সিং, রাইয়ানখান পাঠান ও শ্রেয়াস মোভা। রিজার্ভ খেলোয়াড়: আম্মার খালিদ, তাজিন্দর সিং, আদিত্য বরধরাজন, পারভিন কুমার এবং যতিন্দর মাথারু। যুক্তরাষ্ট্রের স্কোয়াড: মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোন্স (সহ-অধিনায়ক), অ্যান্ড্রিস গাউস, কোরি অ্যান্ডারসন, আলি খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, মিলিন্দ কুমার, নিসর্গ প্যাটেল, নিতিশ কুমার, নশতুশ কেনজিগে, সৌরভ নেথ্রালভাকার, শ্যাডলি ফন শ্যালকউইক, স্টিভেন টেইলর ও শায়ান জাহাঙ্গীর। রিজার্ভ খেলোয়াড়: গজানন্দ সিং, হুয়ানয় ড্রাইসডেল ও ইয়াসির মোহাম্মদ। ওমানের স্কোয়াড: আকিব ইলিয়াস (অধিনায়ক), জিশান মাকসুদ, কাশ্যপ প্রজাপতি, প্রতিক আথাভেল, আয়ান খান, শোয়েব খান, মোহাম্মাদ নাদিম, খালিদ কাইল, নাসিম খুশি, মেহরান খান, বিলাল খান, রফিকউল্লাহ, কলিমউল্লাহ, ফায়াজ বাট, শাকিল আহমেদ। রিজার্ভ খেলোয়াড়: জতিন্দর সিং, সামায় শ্রিবাস্তব, সুফিয়ান মেহমুদ, জয় ওডেড্রা। নেপালের স্কোয়াড: রোহিত পাউডেল (অধিনায়ক), আসিফ শেখ, অনিল কুমার সাহ, কুশল ভুর্টেল, কুশল মাল্লা, দীপেন্দ্র সিং আইরি, ললিত রাজবংশী, করণ কেসি, গুলশান ঝা, সোমপাল কামি, প্রতিস জিসি, সন্দীপ জোরা, অবিনাশ বোহারা, সাগর ধাকাল ও কমল সিং আইরি।
‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম নিয়ে যা বললেন স্টার্ক
‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম নিয়ে যা বললেন স্টার্ক
এবার ডি মারিয়াকে দলে নিতে চায় মায়ামি 
এবার ডি মারিয়াকে দলে নিতে চায় মায়ামি 
বাজারে ‘অ্যালকোহল’ মুক্ত পানীয় আনছেন মেসি
বাজারে ‘অ্যালকোহল’ মুক্ত পানীয় আনছেন মেসি
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের দাম বেড়ে দ্বিগুণ
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের দাম বেড়ে দ্বিগুণ
জয় দিয়ে সিরিজ শুরুর পর যা বললেন টাইগার অধিনায়ক
জয় দিয়ে সিরিজ শুরুর পর যা বললেন টাইগার অধিনায়ক
গরমে সূর্যের তাপে হতে পারে চোখের বড় ক্ষতি
গরমের কারণে শুধু ত্বক বা চুলের ক্ষতি হয় না, একই সঙ্গে ক্ষতি হতে পারে চোখেরও। সূর্যের কড়া রশ্মির মধ্যে রয়েছে আলট্রাভায়োলেট অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি এ ও বি। ইউভিএ ও ইউভিবি-র প্রভাবে চোখের নানা বিপদ হতে পারে। এমনকি চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই চোখ বাঁচাতে কিছু কাজ না করলেই নয়। গ্রীষ্মের মৌসুমে চোখ বাঁচাতে যা করণীয়- ইউভি ব্লকিং সানগ্লাস- সাধারণ সানগ্লাস পরলে লাভ হবে না। বরং ইউভি রশ্মি ঠেকাতে পারে এমন সানগ্লাস এই সময় পরতে হবে। ৯৯ থেকে ১০০ শতাংশ ইউভি রশ্মি প্রতিরোধী সানগ্লাস কিনতে হবে। বড় হ্যাট- টুপি নয়, একটি বড় ছায়া দেয় এমন হ্যাট কিনে নিন। এই হ্যাট মাথায় পরলে চোখও রেহাই পায়। এতে চোখের মধ্যে সরাসরি সূর্যের রশ্মি বা তাপ এসে লাগে না। ফলে চোখের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বারোটা থেকে তিনটার রোদে কম বেরনো- দুপুর বারোটা থেকে বিকাল তিনটার রোদে কম বের হলে ভালো হয়। একান্ত কাজ থাকলে বেরতো হতেই হয়। সেক্ষেত্রে যতটা কম বের হওয়া যায়, ততটাই ভালো। পানি, বালি ও বরফ থেকে দূরে থাকা- এই তিনটি উপাদান বেশি পরিমাণে ইউভি রশ্মি প্রতিফলিত করে। তাই এর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। এই তিনটির মধ্যে থাকলে চোখে সানগ্লাস পরে থাকা ভালো। যতটা সম্ভব ছায়ায় থাকা- রোদের মধ্যে অযথা বেশি সময় না ঘোরাই ভালো। বরং যতটা সম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকলে তা চোখের জন্য ভালো। পাশাপাশি শরীরের জন্যও উপকারী এই অভ্যাস। ওষুধের জের- কিছু ওষুধের জেরে চোখ অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়তে পারে। ফলে ইউভি রশ্মির আক্রমণে সহজেই চোখের নানা রোগের আশঙ্কা থাকে। তা চোখ বাঁচাতে চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধগুলোর ব্যাপারে পরামর্শ নেওয়া ভালো। নিয়মিত চোখ পরীক্ষা- গরমকালে একটু ঘন ঘন চোখের পরীক্ষা করানো ভালো। এতে চোখের কোনও সমস্যা হলে তা হাতে সময় থাকতেই সারিয়ে ফেলা যায়।
এসি কেনার আগে যে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবেন
এসি কেনার আগে যে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবেন
খালি পেটে মিছরি ভেজানো পানির উপকারিতা
খালি পেটে মিছরি ভেজানো পানির উপকারিতা
সজনে পাতার ভর্তা বানাবেন যেভাবে
সজনে পাতার ভর্তা বানাবেন যেভাবে
অনলাইন জরিপ
রোববার থেকে আপিল বিভাগে বিচারকাজ চলবে দুই বেঞ্চে 
ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস: ৮৭ শিক্ষার্থীসহ সব আসামি খালাস
ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস: ৮৭ শিক্ষার্থীসহ সব আসামি খালাস
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।  বৃহস্পতিবার (২ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বলা হয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। যদি একান্তই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হয় তাহলে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত তাপদাহের সময়ে ক্লাসের সময় সকাল শিফট ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা এবং ডে শিফট সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চালু রাখা দরকার। পাশাপাশি প্রচলিত পেপার পেন্সিল পরীক্ষার পরিবর্তে শুধু অ্যাসাইনমেন্ট, প্রকল্পভিত্তিক কাজ, অনুসন্ধানমূলক কাজ এর মাধ্যমে মূল্যায়নের বিষয়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিখিত নির্দেশনা জারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে। ফলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে ২৪ এপ্রিল প্রকাশ করা ‘তাপপ্রবাহ: বাংলাদেশ, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুসারে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ শতাংশ এলাকা তীব্র তাপপ্রবাহের বিপদে রয়েছে। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমাদের গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ বলছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে। তিনি আরও বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট অঞ্চল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু স্বস্তির বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে সারা দেশে চলমান দাবদাহ হ্রাসের সম্ভাবনা কম।  প্রথমবারের মতো আবহাওয়াবিদরা জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করছে এবং এর ফলে ধীরে ধীরে তাপদাহের অঞ্চল প্রসারিত হচ্ছে। তারা বলছেন, দাবদাহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশ এবং আংশিকভাবে পূর্ব এশিয়ার দেশ ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকে প্রভাবিত করেছে।  নিউইয়র্ক টাইমস এর তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রবল তাপদাহে ভুগছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং হিট স্ট্রোক ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়েছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও বিশেষভাবে স্বীকার করা হয়েছে যে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতা তাপমাত্রাকে আরও অসহ্য করে তুলেছে।  আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ১-৭ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়েছে। তাপমাত্রার পাশাপাশি জলীয় বাষ্পের আধিক্য রয়েছে। একদিকে তীব্র গরম, অপরদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। এ কারণে মানুষের শরীরে প্রচুর ঘাম হচ্ছে। আর্দ্রতা বেশি থাকায় শরীরের ঘাম সহজেই শুকচ্ছে না। পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল–কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে হিট অ্যালার্ট ও তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। তীব্র তাপপ্রবাহ আর হিট অ্যালার্টের মধ্যেই গত ২৮ এপ্রিল স্কুল-কলেজ চালু হয়। তবে প্রচণ্ড গরমে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। গরমে অসুস্থ হয়ে শিক্ষকসহ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।  অথচ শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে আরও বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাংবিধানিক এখতিয়ার আছে, সেখানে এ বিষয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত (আদালতে) হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আমরা তার উপরের আদালতে, আপিল বিভাগে যাব। একটু আগে শুনেছি, আদালত একটা নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী হাইকোর্ট জনদুর্ভোগ বিবেচনায় কোনো আদেশ দিলেই কথায় কথায় আপিল বিভাগে চলে যান এবং সেখানে উন্নত দেশের বিভিন্ন উদাহরণ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। অথচ একেক দেশের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেই দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং পরিবেশ পরিস্থিতি অনুসারে। এটি কি শিক্ষামন্ত্রী আসলে বুঝতে চান না, নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করেন? আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশগুলোতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পার্টটাইম কাজ করে নিজের গাড়ি, বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সম্পন্ন করার আগেই করে ফেলে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, সব শিক্ষার্থী ভাতা পান, অনলাইন ও অফলাইন দুই ব্যবস্থাতেই শিক্ষা নেয়ার সুযোগ আছে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পড়া শেষ করার পাশাপাশি পরীক্ষাও নেয়া হয় ওপেন বুক পদ্ধতিতে। উন্নত দেশগুলোতে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়া হয় ফলে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ করে বেকার থাকে না। উন্নত দেশগুলোর আবহাওয়াও আমাদের দেশের মতো নয় এবং উন্নত দেশগুলোর কোনো শিক্ষা কারিকুলাম ও সুবিধা বাংলাদেশে বিদ্যমান নেই। তাই কথায় কথায় আপিল করার অভ্যাস আর উন্নত দেশের উদাহরণ দেওয়া বন্ধ করে স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট এডুকেশন কীভাবে চালু করা যায়, কীভাবে স্কুল-কলেজে থাকতেই উন্নত দেশের বাচ্চাদের মতো বাংলাদেশের বাচ্চারাও আয় করতে পারে সেই রকম শিক্ষা কার্যক্রম চালু করুন।  এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, ইংলিশ মিডিয়ামের ক্লাস চলবে আর বাংলা মিডিয়াম সব বন্ধ থাকবে। এটা বৈষম্যমূলক। ইংলিশ মিডিয়ামের সব কার্যক্রম ব্রিটিশ কারিকুলামে পরিচালিত হয় এবং পরীক্ষাও হয় ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে। ইংলিশ মিডিয়ামে অতি ধনী পরিবারের সন্তানেরা পড়াশোনা করে, যারা এসি গাড়িতে চলে এবং ক্লাসও করে এসি রুমে। সুতরাং সেই শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমের তুলনা করার কোনো মানেই হয় না।  আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও সবার আগে মাথায় রাখতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে, একটা শিশু যদি কোনো কারণে মারা যায়, এর পুরো দায়ভার সরকার ও সমগ্র জাতির উপর এসে বর্তাবে। দাবদাহ ও হিট অ্যালার্ট একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখাটাই উচিত। করোনার সময়েও দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল। একইভাবে ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও সবাই সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেয়, স্কুল বন্ধ থাকে। এমন দুর্যোগ যদি দেশব্যাপী হয়, তাহলে এর আগামীর ভাবনাটা আমাদের ভাবতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন অনেক করেছি আমরা। কিন্তু এটা ভাবিনি যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। গ্রামের বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কারণ, লোডশেডিং হচ্ছে। খাবার পানি, লোডশেডিংয়ের মতো বিষয়গুলো মাথায় রেখেই স্কুল-কলেজ খোলা রাখার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।  স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নিয়ে পরবর্তীতে তা অন্যভাবে পুষিয়ে নিতে হবে। আগে শিশুদের বাঁচাতে হবে। তারপর লেখাপড়া, চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া সবকিছু। শিক্ষক মারা গেলেন, শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে গেল স্কুল থেকে আসার পথে এই অবস্থায় স্কুল-কলেজ কি করে খোলা থাকে? এটা কোনো অবস্থাতেই যুক্তিসঙ্গত না। এই গরমে স্কুলে আসলে লেখাপড়া হয় না। শিক্ষকও পড়াতে পারেন না, শিক্ষার্থীরাও মনোযোগ দিতে পারে না। বরং তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। শিশুদের বিষয় এটা। বড়দের ব্যাপার না যে কোনোরকমে সইয়ে নেবে।  শিক্ষামন্ত্রী এর আগেও চলতি বছরের রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের ধর্মীয় কার্যক্রম পালনে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিলেন। আবারও প্রচণ্ড দাবদাহ ও হিট অ্যালার্টের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের অবর্ণনীয় কষ্ট ও ভোগান্তি প্রদান করছেন। শিক্ষামন্ত্রী নিজে এসি অফিসে কাজ করেন, এসি বাসায় থাকেন, এসি গাড়িতে চলাচল করেন তাই আপনার কাছে হয়তো দাবদাহ কোনো সমস্যা বলে মনে হয় না।  একবার এসি বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষের মতো বাস, রিকশায় চলাচল করে দেখুন তাহলে বুঝতে পারবেন দাবদাহ কাকে বলে। আপনার জায়গায় আমি শিক্ষামন্ত্রী হলে ৬ মাসের মধ্যে পুরো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিণত করার পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর মতো শিক্ষার্থীদের আয়ের ব্যবস্থাও চালু করতাম। যা আপনার মতো সনাতন চিন্তাধারার শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে বাস্তবায়ন কোনো দিনই সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রম হিটলারের স্টাইলে চালানোর চেষ্টা করে শিক্ষার্থীদের মনে পড়ালেখা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভীতি তৈরি করছেন।  আপনার কার্যক্রমে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার বিরুদ্ধে প্রচুর লেখা হচ্ছে। অনেকে লিখেছেন স্বাধীন বাংলাদেশে আপনার মতো অযোগ্য শিক্ষামন্ত্রী আর কেউ ছিল না। আপনার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিতর্কিত হচ্ছে। তাই আপনি ১ নাম্বার নোটিশ গ্রহীতা উন্নত দেশগুলোর মন্ত্রীদের মতো জনমনে আপনার বিষয়ে যে ক্ষোভ আছে তা নিরসনে তথা জনদুর্ভোগ অনুধাবন করতে আপনি ব্যর্থ সেই দায়ভার কাঁধে নিয়ে অনতিবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
মিল্টন সমাদ্দারের ৭ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি
জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সেই মামলায় তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ মে) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তাকে রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের এসআই কামাল হোসেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকাছাড়া করে। এরপর ঢাকায় চলে আসেন তিনি। ডিবিপ্রধান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তার স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা জঘন্য অপরাধ। প্রমাণ মিললে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। একাধিক মামলা হবে। মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশুদের ওপর হামলা, আত্মীয়-স্বজন গেলে তাদের মারপিট এবং তার টর্চার সেল, সব কিছুই মামলার মধ্যে আসবে। তিনি বলেন, মিল্টন ঢাকায় এসে শাহবাগে ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। ওষুধ চুরি করে বিক্রির কারণে মিল্টনকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর একজন নার্সকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ স্থাপনের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন।  
মিল্টন সমাদ্দারের ৭ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি
জামিন পেলেন ড. ইউনূস
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাকি ১৩ আসামি। বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন অর্থ আত্মসাতের আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায় হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে  ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামান, মাইনুল ইসলাম ও ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা করে মোট ৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।  একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না। দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  এদিকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।  
জামিন পেলেন ড. ইউনূস
কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা মানা হবে না: হাইকোর্ট
কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে চাষাবাদের অনুপযোগী করা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারার অপরাধের মধ্যে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই মাটি ক্ষয় চক্রের হাত থেকে অসহায় কৃষকদের বাঁচাতে হবে। কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে চাষাবাদের অনুপযোগী করার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের লিখিত আদেশে এসব মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ লিখিত আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়েছে, মাটির উপরের স্তরেই বেশিরভাগ জৈব পদার্থ, পুষ্টি এবং জীবন্ত অণুজীব ঘনীভূত হয়। এটি মাটির সবচেয়ে উর্বর স্তর, যেখানে গাছপালা বেড়ে ওঠে এবং যেখানে পৃথিবীর বেশিরভাগ জৈবিক মাটির কার্যকলাপ ঘটে। উপরের মাটি কাটা হলে মাটির জীবন দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে যে সাতকানিয়ার কিছু দুর্বৃত্ত অবৈধভাবে বা জোরপূর্বক প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট গর্ত করে মাটি কাটছে এবং খনন করছে যার জন্য কৃষকরা সেখানে চাষাবাদ করতে পারছেন না। কৃষিজমি খননের এই কার্যকলাপ সেই এলাকার পরিবেশের পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্যের ভারসাম্যেরও ক্ষতি করেছে। এ অবস্থায় এতটুকু বলাই যথেষ্ট যে, বিবাদীদের উচিত এই মাটি ক্ষয় চক্রের হাত থেকে অসহায় কৃষকদের বাঁচানো। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবকিছু জেনেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় না। এখানে উল্লেখ্য যে জমিগুলো গর্ত করা হয়েছে সেই জমিগুলো ঢাকা-কক্সবাজার রেললাইনের খুব কাছে, যা উপরের মাটি কাটার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। এই ধরনের আচরণ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারার অধীনে অপরাধের মধ্যে পড়ে। এসব কারণে আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছি। তদন্ত কমিটিকে যে বিষয়গুলো তদন্ত করতে হবে সেগুলো হলো- ১. কীভাবে ওই অঞ্চলের কৃষিজমি সুরক্ষিত হবে তার সুপারিশ করতে হবে এবং ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করতে হবে। ২. চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় কৃষি জমির উপরের মাটি কাটার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে হবে। ৩. প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অবহেলা, স্থানীয় প্রশাসনের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্ত করতে হবে। ৪. ওই এলাকার কৃষিজমির উপরের মাটি কাটার কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটা তুলে ধরতে হবে। ৫. ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ক্ষতির পরিমাণ কীভাবে নির্ধারণ করা যায়, তার সুপারিশ করতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে মনোনীত করতে হবে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার মনোনয়নের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদেশে। এছাড়া আদেশে বিবাদীদের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরের মাটি ভরাট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যা ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে, ৩০ দিনের মধ্যে বাইরে থেকে পলিমাটি এনে তা ভরাট করতে বলা হয়েছে।সেইসঙ্গে সাতকানিয়া থানার মধ্যে কতটি ইটভাটা রয়েছে এবং তাদের অবস্থা কী, তাদের পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে কি না, তা আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগীয় এ আদেশে। আদেশের সময় অনলাইনে আদালতে হাজির ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি। এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় ব্যাখ্যা জানতে তাদেরকে অনলাইনে তলব করেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় তাদের।  
কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা মানা হবে না: হাইকোর্ট

নামাজের ওয়াক্ত শুরু

তারিখ : ০৪ মে, ২০২৪
অনলাইন সংস্করণ
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
ফিলিস্তিনের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের সংহতি
ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি ও নিরীহ মানুষের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ ছাড়া দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্র সংগঠনটি।  শনিবার (৪ মে) দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ঘোষণাকে ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি। বিবৃতিতে বলা হয়, নিরীহ ও নিরপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সঙ্গে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছেন, প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছেন তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিল। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিল।  ছাত্রলীগ জানায়, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবি উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুন্ঠ সমর্থন। আগামী ৬ মে বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করতে সব সাংগঠনিক ইউনিটের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ইসরায়েলি বাহিনীর টানা অভিযানে বিধ্বস্ত, তছনছ হয়ে যাওয়া গাজা উপত্যকা ও সেখানে বসরবাসরত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চশিক্ষার্থীরা।  
টানা আট দফা কমার পর বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে টানা আট দফা কমার পর এবার বাড়লো স্বর্ণের দাম। ভরিপ্রতি এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাজুস। রোববার (৫ মে) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে এক লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ পাঁচ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা ও সনাতন প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ৯৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম এক লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম  এক লাখ চার হাজার ১৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা ও সনাতন প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ নিয়ে গত ১৭ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যার মধ্যে ৯ বারই কমানো হয়েছে দাম। আজকের আগে সবশেষ টানা ৮ দফায় স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছিল মোট ১০ হাজার ২৬৫ টাকা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে দেশের বাজারে ১৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১০ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
সেভ দ্য চিলড্রেনে ইন্টার্নশিপের সুযোগ
ভূমি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ, নেবে ২৩৮ জন
স্নাতক পাসে চাকরি দেবে এসিআই, কাজ সপ্তাহে ৫ দিন
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে চাকরি, বেতন ১ লাখ ১০ হাজার
৭ বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা
রাতের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়, হুঁশিয়ারি সংকেত
যেদিন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে
কমছে রাজধানীর তাপমাত্রা
এপ্রিলে ১৯৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার
ভিক্ষাবৃত্তির জন্য শিশু নোমানের আঙুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়
মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে সব অপকর্ম বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা / পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে সিটিটিসির চার্জশিট
আইফোনের বিক্রি কমেছে বিশ্বজুড়ে
গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর
দেখে নিন ফেসবুকে দিনে কত সময় কাটাচ্ছেন
এসির ‘টন’ কী? কেনার আগে জেনে নিন
X
Fresh