• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
২৪ ঘণ্টা পর ২ বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ
সুনামগঞ্জে অবৈধ বালু-পাথরবোঝাই ২৬ বাল্কহেড আটক
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা অর্ধ কোটি টাকার ২৬টি বালু-পাথরবোঝাই বাল্কহেড আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী। রোববার (১৪ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন করচার হাওর থেকে এসব বাল্কহেড আটক করে। পরে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দিলে দুপুরে সদর থানার পুলিশ এসব বাল্কহেড জব্দ করে। তবে এ ঘটনায় কতজনকে আটক করা হয়েছে তা জানা যায়নি।  স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী থেকে রাতের আধারে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কোটি কোটি টাকার বালু-পাথর উত্তোলন করা হয়। এসব বালু-পাথর, নদী ও হাওর পথে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়। রোববার সকালে করচার হাওরপাড়ের নোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন তাদের গ্রামের পাশের হাওরে ২৬টি বালু-পাথরবোঝাই বাল্কহেড আটক করে সদর উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে দুজন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) ও পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে বাল্কহেডগুলো জব্দ করে। ২৬টি বাল্কহেডের মধ্যে ২৩টিতে বালু ও ২টি পাথরবোঝাই রয়েছে। জব্দ করা বালু-পাথরের মূল্য অর্ধ কোটি টাকার বেশি। সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই পার্ডন সিংহ বলেন, ‘খবর পেয়ে করচার হাওর থেকে ২৬টি বালু ও পাথরবোঝাই বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। কোনো বাল্কহেডের মাঝি বা লোকজন বালু-পাথরের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।’ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মান্নান বলেন, ‘গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়া বালু-পাথরবোঝাই ২৬টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। হাওর থেকে এগুলো উপজেলা সদরে নিয়ে আসা হচ্ছে। জব্দ করা বাল্কহেড ও সঙ্গে থাকা লোকজনের বিষয়ে নৌপুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
রাতে শাবিপ্রবিতে মিছিল, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ
সিলেট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা, সিসিক কাউন্সিলর নিপু কারাগারে
রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করলেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
শাবিপ্রবিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের মশাল মিছিল
কুমিলা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গাতে কোটাবিরোধী আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে এ মশাল মিছিল বের হয়। এতে দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রী অংশ নেন। মিছিলটি প্রধান ফটকে গিয়ে গোলচত্বরে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে গোলচত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে বক্তব্য দেন কোটাবিরোধী আন্দোলনের শাবিপ্রবির সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ ও নুর মোহাম্মদ বায়েজিদ। গালিব বলেন, ‘আমরা বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বৃহস্পতিবার পুলিশ কুবি, চবি, জাবি ও শাবিপ্রবিসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আমরা এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিদের কাছে দাবি জানাচ্ছি, আমাদের ওপর হামলাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনুন। আমরা বলতে চাই, আগামীতে যদি আমাদের ওপর অন্যায়ভাবে হামলা করা হয় তবে শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকটা হামলার পাল্টা জবাব দেবে।’
শাশুড়িকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূরও
সুনামগঞ্জে হাওরে গোসল করতে নেমে ডুবে শাশুড়ি ও অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলার মুগরাইন হাওরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এদিন দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জানিয়ারচর গ্রামের ফিরোজ আলীর স্ত্রী রেজিয়া আক্তার ও ছেলে হক মিয়ার স্ত্রী পিপাসা আক্তার বাড়ির পিছনে মুগরাইন হাওরে গোসল করতে যান। হাওর পাড়ে যেতেই পা পিছলে পানিতে পড়ে স্রোতে ভেসে যান রেজিয়া আক্তার। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ পিপাসা আক্তার। তখন পিপাসাও ভেসে যান। পরে স্থানীয়রা জাল ফেলে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেন।   ধর্মপাশা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জমি নিয়ে বিরোধ, শ্রীমঙ্গলে যুবক নিহত 
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার অপর ২ ভাই। এ ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের তেলিআব্দা গ্রামে। নিহত ইমাদ উদ্দিন রকিব (২৫) পেশায় আইনজীবী ছিলেন। তিনি তেলিআব্দা গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছোট ছেলে।   প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার সিন্দুরখার ইউনিয়নের কোনাগাও গ্রামের খলিল মিয়া ও আজিম উদ্দিনের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশে সমাধান না হওয়ায় আদালতে মামলাও হয়। সকালে নিহত ইমাদ উদ্দিন রকিব ও তার ভাই হেলাল উদ্দিন তাদের জমিতে হাল চাষ করতে যান। এ সময় প্রতিবেশী খলিল মিয়া, আব্দুল বাতিন, আব্দুস সোবান, আব্দুল করিমসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করলে রকিব ও হেলাল আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। আর তার ভাই হেলাল উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠান। জানা জায়, জমি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসাপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
কুলাউড়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কারে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার মেরামত এবং সংস্কারের জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ২ কোটি ৮০ লাখ (দুই কোটি আশি লাখ) টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর প্রোটোকল অফিসারের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়।  পাশাপাশি কয়েকটি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে একাডেমীক স্বীকৃতি, স্কুল ও কলেজ এমপিওভুক্তি,  সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা শাখা খোলার অনুমতি,  আসন সংখ্যা বৃদ্ধি এবং কয়েকটি মাদরাসা স্থাপন ও পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- কুলাউড়া সরকারি কলেজ, নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, এম এ গনি আদর্শ কলেজ, কর্মধা উচ্চবিদ্যালয়, লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ, অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়, পৌরবালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সপ্তগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়, সিংগুর উচ্চবিদ্যালয়, উত্তর কুলাউড়া  উচ্চবিদ্যালয়, দিলদারপুর উচ্চবিদ্যালয়, ভাটেরা উচ্চবিদ্যালয়, মনসুর মোহাম্মাদিয়া সিনিয়র মাদরাসা, ভুকশিমইল দাখিল মাদরাসা, হাসিমপুর দাখিল মাদরাসা, কুলাউড়া সরকারি কলেজ, ইয়াকুব তাজুর মহিলা কলেজ, সাধনপুর উচ্চবিদ্যালয়, হিংগাজিয়া উচ্চবিদ্যালয়  মহেতোছিন আলী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, মনু মডেল কলেজ, রাজনগর উচ্চবিদ্যালয়, শাহ সুন্দর উচ্চবিদ্যালয়, রাউৎগাঁও উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, বঙ্গবন্ধু উচ্চবিদ্যালয়, আলী আমজাদ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, গজভাগ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, দিলদারপুর উচ্চবিদ্যালয়, ছকাপন উচ্চবিদ্যালয়, হায়দরগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়, কানিহাটি বহুমুখী  উচ্চবিদ্যালয়, উত্তর কুলাউড়া উচ্চবিদ্যালয়, মহতোছিন আলী উচ্চবিদ্যালয়, টিলাগাঁও আজিজুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয়, কর্মধা উচ্চবিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, দিলদারপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রভৃতি।  
বৃষ্টির মধ্যেই সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের একদফা দাবিতে এবার সকাল-সন্ধ্যা বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এরই অংশ হিসেবে বৃষ্টিতে ভিজে চতুর্থদিনের মতো সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে দুপুর ১২টার দিকে মিছিলটি নিয়ে প্রধান ফটকে অবস্থান করে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন তারা। সন্ধ্যা অবধি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এ দিকে অবরোধের ফলে সড়কের দুপাশে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। অনেকে হেঁটে পার হচ্ছেন সমাবেশস্থল। তবে জরুরি কাজের যানবাহনসহ অ্যাম্বুলেন্স ছেড়ে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন সময়ে কোটা বাতিলের দাবিতে ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মেধা হত্যার অপর নাম, কোটা প্রথার জয়গান’, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, কোটা প্রথা মানে না’, ‘চলছে দাবি চলবে, কোটার শিকড় জ্বলবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালের পরিপত্রের পুনর্বহাল ও সরকারি চাকরিতে সকল ধরনের কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে এ আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, কোটা স্পষ্ট বৈষম্য। অবিলম্বে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করতে হবে। তা না হলে এ আন্দোলন থেকে পিছু হটবেন না শিক্ষার্থীরা।
বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি, ঘুষিতে শ্রমিক নিহত
সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাটের জাফলং কোয়ারিতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ঘুষিতে আব্দুর নূর নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৮ জুলাই) জাফলংয়ের নয়াবস্তি গ্রামের পাশের নদীতে বালু উত্তোলনকালে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। নিহত আব্দুর নূর উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নয়াবস্তি গ্রামের করিম হোসেনের ছেলে।  স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনায় জড়িত হোসেন মিয়া নামে আরেক শ্রমিককে আটক করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। আটক হোসেন মিয়া উপজেলার মধ্য জাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ হাওর গ্রামের রুস্তম খার ছেলে। প্রতিদিনের মতো জাফলং নদীতে নৌকা নিয়ে বালু উত্তোলনের কাজে যান শ্রমিকরা। সে সময় নৌকা রাখাকে কেন্দ্র করে আব্দুর নূর ও হোসেনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও মারামারি হয়। একপর্যায়ে হোসেনের ঘুষিতে আব্দুর নূর পাশে থাকা নৌকায় লেগে মাথায় আঘাত পেয়ে নদীতে পড়ে তলিয়ে যান। এ ঘটনার প্রায় ৪০ মিনিট খোঁজাখুঁজি করে নদী থেকে আব্দুর নূরকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে নিহত আব্দুর নূরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।’