• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৭৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা
রাজনীতিতে যোগ দিলেন তাসনিম জারা, চাইলেন পরামর্শ-সমর্থন 
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক হয়েছেন জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ডা. তাসনিম জারা। রাজনীতিতে পা রেখে সবার দোয়ার পাশাপাশি পরামর্শ ও সমর্থন চেয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে তিনি তার নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। পোস্টে ডা. তাসনিম জারা বলেন, আমি জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এই প্রথম আমি কোনো রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হলাম। সিদ্ধান্তটি সহজ ছিল না। তবে এই কমিটিতে অনেক বুদ্ধিদীপ্ত, চিন্তাশীল ও সৎ মানুষকে পেয়েছি, যারা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অসামান্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং ভবিষ্যতেও সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। তাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সব নাগরিকের মর্যাদা নিশ্চিত করা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা। তবে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। তাসনিম জারা আরও বলেন, আমি জানি না আমরা কতটা সফল হতে পারব। তবে এই পরিবর্তন আনার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।  নিজের ভূমিকাকে কার্যকর করতে তিনি সবার পরামর্শ ও সমর্থনের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমার জন্য কোনো পরামর্শ থাকলে জানাবেন। ভুল করলে তা ধরিয়ে দেবেন এবং ভালো কিছু করলে উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকবেন। আরটিভি/একে  
নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হলেন সারজিস আলম
ঠিকমতো কাজ করলে এক বছরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব: মান্না
শেখ হাসিনা না পালালে তার হাড্ডিও পাওয়া যেত না: মান্না
ছাত্র অধিকার পরিষদের আংশিক কমিটি ঘোষণা
বিচার বিভাগকে সরকারের কর্তৃত্বমুক্ত করতে হবে: জোনায়েদ সাকি
দেশের বিচার বিভাগকে সরকারের কর্তৃত্ব থেকে মুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।  শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার চান্দনা চৌরাস্তায় আয়োজিত গণসংলাপে দেওয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশের বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করতে হবে। সরকারের কর্তৃত্ব থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে হবে। বিচার বিভাগ উচ্চ আদালতের অধীন একটি সচিবালয় দ্বারা চলবে। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ সরকারের হাতে থাকলে চলবে না। নিম্ন আদালতের নিয়োগ উচ্চ আদালত দেবে। আমাদের সরকারের মধ্যে জবাবদিহি আনতে হবে।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কোনো জবাবদিহি নাই। দুই টার্ম (মেয়াদ) থাকলেও তো তিনি ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করা উচিত। জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে এরপর জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা মনে করি, সরকার, রাজনৈতিক দল, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষসহ দেশের সব জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। জনগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করবে। গণসংহতি আন্দোলনের এ নেতা আরও বলেন, স্থানীয় সরকার মানে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা কিংবা সিটি করপোরেশনে তো কোনো নিয়োগ হচ্ছে না। শেখ হাসিনা তো একটা নিয়োগ বানিয়ে ফেলেছিলেন। মার্কার নির্বাচন এনেছেন। তারপর মার্কার নির্বাচন দিয়ে একটা নিয়োগ বানিয়েছেন। পয়সা নিয়েছে, নিয়োগ দিয়ে নৌকা মার্কা দিয়েছে, আর নৌকা পেলেই জিতে যাবে। এই ছিল তার স্থানীয় সরকার। গণসংলাপে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গতিমুখ, বাজার নিয়ন্ত্রণ, দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় করার দাবিও জানানো হয়। এ ছাড়া পোশাক শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতের শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তা ও সর্বোপরি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে সর্বাত্মকভাবে দাঁড়ানো ও নিজেদের সংগঠনের শক্তি বাড়ানো বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
জাতীয় সরকার ছাড়া জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে না: নুর
জাতীয় সরকার ছাড়া জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সুস্থতা ও শহীদদের স্মরণে মিরপুরে দোয়া ও আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসন করা যাবে না জানিয়ে নুরুল হক নুর বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের দাসী এবং আওয়ামী লীগ ছিল তাদের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এজন্য তারা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিপ্লবকে ভিন্ন খাতে রূপ দিতে বিভিন্ন মহল ও ভারতীয় মিডিয়া নানা অপতৎপরতা চলাচ্ছে। দেশটির গণমাধ্যম প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। ভারতের ষড়যন্ত্র ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে এক্যবদ্ধ হতে হবে। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, জাতীয় সরকার ছাড়া জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে না। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত না হলে এ সরকার বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। জাতীয় সরকার গঠন করে ৬ মাসের জন্য সভা-সমাবেশ বন্ধ করুন। নুরুল হক নুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সব রাজনৈতিক দল দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় একমত প্রকাশ করেছে। প্রবাসে যে যেখানে আছেন সবাইকে ভারতের এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে কোনো আপোস নেই। কেউ কেউ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের ব্যাপারে মিনমিন করছে। তারা চায় না, নতুন কোনো দল রাজনৈতিক দল আসুক। চাঁদাবাজির বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের মতো এখন অন্যান্য রাজনৈতিক দলও চাঁদাবাজি করছে। এই নতুন বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজি, দখলদারি চলবে না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।   আরটিভি/আরএ/এআর
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষণা
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।  কমিটিতে ইউসুফ আহমদ মানসুরকে সভাপতি, মুহাম্মাদ মুনতাসির আহমদকে সহ-সভাপতি  এবং শেখ মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে সেক্রেটারি জেনারেল করা হয়েছে। নতুন কমিটি ঘোষণার আগে ইউসুফ আহমদ মানসুর কেন্দ্রীয় সম্মেলনে ১৩ দফা উপস্থাপন করেন।  দফাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ ও তার সকল সহযোগী সংগঠনকে বিচারের আওতায় এনে বিগত ১৬ বছরের দুঃশাসনের বিচার। জুলাই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী, হামলার নির্দেশদাতা ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের আওতায় আনা। ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে ভারতের কাছে থেকে নিজেদের সব হিস্যা বুঝে নেওয়া। এ ছাড়া সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে নিয়মিত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে বহন করা। আহতদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং মাদরা শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকুরির সুবিধা নিশ্চিত করা। কেন্দ্রীয় সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন রুহানিয়াত ও জেহাদের প্রয়াস। এ সংগঠন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে চায়।  তিনি বলেন, দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কাজ করছে। সাহসিকতার সঙ্গে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ফয়জুল করীম অভিযোগ করেন, ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে যুদ্ধ করতে চায়। আমরাও প্রস্তুত আছি। বাংলাদেশের মানুষ উপবাস বা ক্ষুধার্ত থাকলেও কারও কাছে মাথা নত করবে না। আরটিভি/আরএ/এআর
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চলতে পারবে না: চরমোনাই পীর
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চলতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর)। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্তমঞ্চে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।  চরমোনাই পীর বলেন, যারা শেখ পরিবারের নেতৃত্বে এখনও আওয়ামী লীগ করার স্বপ্ন দেখছেন তার দেশ ও মানবতার শত্রু। দল করতে পারেন, তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নয়। এ সময় মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে এখনও উপদেষ্টা পরিষদের রাখার সমালোচনা করেন এই ইসলামিক নেতা। তিনি বলেন, ফারুকীসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মণ্ডলীতে থাকা বিতর্কিত সদস্যদের অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া ভারতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা। আরটিভি/একে
গণঅধিকার পরিষদ নামে অন্য দলকে নিবন্ধন না দিতে নুরের আর্জি 
গণঅধিকার পরিষদ নামে অন্য কোনো দলকে নিবন্ধন না দিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আর্জি জানিয়েছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ আর্জি জানান। নুর বলেন, সিইসি বলেছি আমাদের দলেরই একটি অংশ বেরিয়ে গিয়ে এখন নিবন্ধন চায়। তারা ইসিতে এসে বিশৃঙ্খলাও করেছে। আমরা বলেছি আমাদের দলের নামের মতো কোনো দলকে যেন নিবন্ধন না দেওয়া হয়।  এ ছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারসহ নানা বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলেও জানান গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি। এর আগে, সম্প্রতি নুরের দল গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়। একই নামে রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন একটি অংশও ইসির নিবন্ধন চেয়েছে। এমনকি গত ২ সেপ্টেম্বর তার নেতৃত্বাধীন অংশের নেতাকর্মীরা ইসি সচিবের কক্ষের বাইরে হট্টগোলও করেছে। আরটিভি/আরএ
ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে যুদ্ধ করতে চায়: ফয়জুল করীম
ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।  বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত গার্মেন্টস শ্রমিক সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।  ফয়জুল করীম বলেন, ভারত আমাদের হাইকমিশনের ওপরে আক্রমণ করেছে। ভারত আমাদের পতাকাকে অপমান করেছে। হাইকমিশনের মানুষদের আহত করেছে। ভারত আমাদের কেমন বন্ধু, সেটা আমরা ইতোমধ্যে দেখে ফেলেছি। ভারত আমাদের বন্ধু নয়, তারা বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে পারেনি। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটা বন্ধুত্বের কোনো বক্তব্য হতে পারে না। উনি শত্রুতার বক্তব্য দিয়েছেন। আজকে লোকসভায় বাংলাদেশ নিয়ে যে আলোচনা উঠেছে— এটা বন্ধুত্বের পরিচয় হতে পারে না। এটা শত্রুতার পরিচয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের বক্তব্য স্পষ্ট আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। ভারত আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। স্পষ্ট হুমকি দিয়েছে।  ভারত সরকারকে উদ্দেশ্য করে এ সময় তিনি বলেন, আপনারা ভেবেছেন কি, আমরা আপনাদেরকে ভয় পাই? বাংলাদেশের মানুষ ব্রিটিশকে ভয় পায়নি, পাকিস্তানিদেরকে ভয় পায়নি, ভারতকেও ভয় পায় না এবং পাবেও না। আপনারা বহু কিছু করেছেন, আপনাদের পা-চাটা গোলামকে বাংলাদেশের নেতৃত্বে বসিয়েছিলেন।  শায়েখে চরমোনাই বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক করেনি। ভারত নির্দিষ্ট একটি দল এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক করেছে। বাংলাদেশকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার সব ষড়যন্ত্রই বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলনের কারণে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। এই জাতি ঐক্যবদ্ধ। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে, দেশকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করে— আমরা সম্মিলিতভাবে সেই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করবো।  ভারত সরকারকে হুঁশিয়ার করে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশের দিকে চোখ তুলবেন না। আঙুল উঠাবেন না, জোরে কথা বলবেন না। যদি আঙ্গুল ওঠাতে চান, তাহলে আঙুল হাতে রাখবো না। যদি চোখ ওঠাতে চান, তাহলে চোখ শরীরের মধ্যে থাকবে না। যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উঁচু কণ্ঠে কথা বলেন, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের কণ্ঠকেও চেপে ধরবে। বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে, কিন্তু গোলামি করে না। ইসকনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বারবার হাজারও ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। আপনাদের ষড়যন্ত্রকেও বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধ্বংস করে ফেলবে।  গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ মুফতি মোস্তফা কামাল প্রমুখ। আরটিভি/এসএইচএম
আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ।  শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা গত ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন। বাংলাদেশের মানুষের পালস বুঝতে না পারলে ভারতকে খেসারত দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।  এ সময় বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি নিয়ে ভারতের উগ্রবাদীরা যেসব বক্তব্য দিচ্ছে তার তীব্র বিরোধিতা করে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের তাগিদ দেন তারা।  এ ছাড়া ভারত তাদের মনোভাব না বদলালে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন বিক্ষোভকারীরা। আরটিভি/আরএ/এআর