• ঢাকা সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১
logo
বাংলার জমিনে স্বৈরাচার হাসিনার ঠাঁই নেই: রফিকুল ইসলাম মাদানি
ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আ.লীগের সঙ্গে খেলা হবে: হাসনাত
আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খেলা হবে বলে ঘোষণা করেছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।  রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েত কর্মসূচি চলাকালে এ ঘোষণা দেন তিনি। এদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ‘ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ মঞ্চ’ থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। মঞ্চে হাসনাত আবদুল্লাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। এসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। মঞ্চ থেকে ঐক্যের ডাক দিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ছাত্রলীগ, যুবলীগের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে আমরা প্রস্তুত আছি। কিন্তু, নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আমরা ম্যাচ খেলব শুধু ছাত্রলীগের সঙ্গে, যুবলীগের সঙ্গে এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ছাত্রলীগকে উৎখাত করার জন্য সবার মাঠে নামার প্রয়োজন নাই। শুধু ঢাকা কলেজের ছাত্ররাই যথেষ্ট।  মঞ্চে কবিতা আবৃত্তি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। এছাড়া ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক আরমানুল হক বলেন, বাংলাদেশের মূল সমস্যা রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে৷ এ কাঠামোয় যে ক্ষমতায় যায় সেই হয়ে ওঠে ফ্যাসিস্ট৷ এ রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তন করব। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
আ.লীগের প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি দেখানো যাবে না: রাশেদ খান 
‘হাসিনা জুতা পরার সময় পায়নি, আপনারাও পালানোর সময় পাবেন না’
আসিফ নজরুলকে হেনস্তাকারীদের পাসপোর্ট বাতিলের দাবি গণঅধিকার পরিষদের
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় লাফালাফি করার কিছু নেই: সাকি
জিরো পয়েন্টে আ.লীগকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না: রাশেদ খান
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে আওয়ামী লীগকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা ঘরের মধ্যে, গর্তের মধ্যে লুকিয়েছে। শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রোববার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ জিরো পয়েন্টে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছবি নিয়ে গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়েছিল। আমরাও সেই গণজমায়েত প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সে কারণে নেতাকর্মীদের নিয়ে জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়েছি। কিন্তু এখানে এসে দেখি কোনো আওয়ামী লীগ নাই। আওয়ামী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ফাঁদে পা দেবেন না। রাজপথে নামার চেষ্টা করবেন না। আমরা আওয়ামী লীগকে রাজপথে নামতে দেব না। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা যদি বাপের বেটি হতো তাহলে এ দেশ থেকে এভাবে পালিয়ে যেত না। তবে, হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করছে।  রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা রাজপথে নামার চেষ্টা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে গণঅধিকার পরিষদ। আওয়ামী লীগের ঠিকানা বাংলাদেশে আর হবে না। গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, একটি দল প্রায় ১ হাজার ৫০০ মানুষকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু  সেই হত্যাকারীদের এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। অনতিবিলম্বে এ গণহত্যায় জড়িত ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশ লীগ, র‌্যাব লীগ যারাই ছিল তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, জাতীয় পার্টি একটি ফ্যাসিবাদী দল। কিন্তু জাতীয় পার্টিকে এখনও নিষিদ্ধ করা হয়নি। এ এরশাদের নেতৃত্বে নূর হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জাতীয় পার্টির রাজনীতিকে জিইয়ে রাখা হয়েছে। আরটিভি/আরএ
সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না: নুর
রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।  শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। নুর বলেন, আমরা দেখেছি, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের হয়ে কাজ করে। সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার, ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার হরণ করা হয়। কাজেই আমরা চাই, জনবান্ধব প্রশাসন এবং যারা ক্ষমতায় থাকবে তারা যেন ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু মনে না করে। এজন্য আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার, তারপর নির্বাচন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হলেও সারাদেশে তাদের দোসরদের অপতৎপরতা চলছে দাবি করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, এই রংপুরের মাটিতে গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে। আজকের সমাবেশ থেকে আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমরা বলতে চাই, আবু সাঈদের রংপুরের মাটিতে এবং সারা বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ এখনো শুকায় নাই। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের জায়গা হবে না। তিনি বলেন, যারা আজকে আস্ফালন দেখাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। পরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও জেলা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য নিজ দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন নুর। গণঅধিকার পরিষদের রংপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শেরে খোদা আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খাঁন, মুখ্য আলোচক ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজীব। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সহ-দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খোকন, সহ প্রচার ও প্রকাশন সম্পাদক সোহাগ হোসেন বাবু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হাজী মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম। আরটিভি/এসএইচএম  
রক্ত চোষাদের আর ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হবে না: শায়েখে চরমোনাই
ক্ষমতায় বসে যারা সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খেয়েছে, তাদের আর ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র আমির ও শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।  শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। রেজাউল করীম বলেন, ৫ আগস্ট আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও যারা বাংলাদেশের সিংহাসনে বসে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খেয়েছে তাদেরকে আবার ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। কারণ, মানুষ যখন তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছে তখন ক্ষমতাসীনদের নির্দেশে গুলি করা হয়েছে। তারা সন্ত্রাসী। মানুষ এসব সন্ত্রাসীদের দেশের মাটিতে আর দেখতে চায় না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সামনে ক্ষমতায় যাওয়ার অনেক সুযোগ ছিল দাবি করে শায়েখে চরমোনাই বলেন, আমাদের ক্ষমতায় যাওয়ার অনেক সুযোগ ছিল। বিএনপি কিন্তু আমাদেরকে অফার কম করেনি। আওয়ামী লীগও আমাদেরকে অনেক লোভনীয় অফার দিয়েছে। কিন্তু আমরা কারো দ্বারা ব্যবহার হইনি। সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ইসলাম শ্রমিকের মর্যাদা দিয়েছে। শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা বলেছে। আমরাও শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, এখনো শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আওয়ামী লীগের আমলে শ্রমিকের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নূরুল বশর আজিজি, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, সহ সভাপতি আলহাজ্ব মো. আব্দুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এস এম সাইফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক কে. এম. বিল্লাল হোসেন, কেন্দ্রীয় হকার্স বিষয়ক সম্পাদক শ্রমিক নেতা ইমাম হোসেন ভূঁইয়া, বস্ত্র ও গার্মেন্টস বিষয়ক সম্পাদক শ্রমিক নেতা হারুনুর রশিদ, শ্রমিক নেতা মো. শহীদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. হায়দার আলীসহ অনেকে। আরটিভি/এসএইচএম/এআর  
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর নগরের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বরে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। হেফাজতে ইসলাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আয়োজনে নগরের হাজারী লেনে সংঘটিত ঘটনার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।  সমাবেশে হাজারী লেনে ওসমান আলী নামের এক ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা এবং যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা ও অ্যাসিড নিক্ষেপের নিন্দা জানান বক্তারা। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। ইসকন নিষিদ্ধ করা না হলে হেফাজতের পক্ষ থেকে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান বক্তারা। হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল আন্দরকিল্লা থেকে এসে নগরের জামাল খান চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়। ওই সময় পুলিশ সদস্যরা কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়। চট্টগ্রাম মহানগর হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক মাওলানা তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হেফাজত নেতা মাওলানা নুরনবী, আনোয়ার হোসাইনি, সালাউদ্দিন, আশরাফ বিন ইয়াকুব, মো. শহীদ, মো. রব্বানী প্রমুখ। এদিকে ইসকনের নেতারা শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, হাজারী লেনের ঘটনায় তাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এর আগে বুধবার গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে একই দাবি করেন তারা। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার নগরীর হাজারী লেনের ওসমান আলী নামের এক ব্যবসায়ীর দেওয়া ইসকনবিরোধী ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সংঘর্ষ হয়। প্রায় ৫০০-৬০০ ব্যক্তি হাজারী লেনে অবস্থিত ওসমান ও তার ভাইয়ের দোকানে আগুন দিতে আসে। এসময় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ছয়টি টহল দল সেখানে পৌঁছে তাদের দুই ভাইকে উদ্ধার করে। এরপর কিছু ব্যক্তি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর জুয়েলারি কাজে ব্যবহৃত অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। এতে সেনাবাহিনীর ৫ সদস্যসহ পুলিশের ১২ সদস্য আহত হন। ওই আক্রমণাত্মক ব্যক্তিদের কিছু অংশ ইট ছুড়ে সেনাবাহিনীর একটি পিকআপ ভ্যানও ভেঙে ফেলে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে যৌথ বাহিনীর ১০টি টহল দল হাজারী লেন গেলে একদল ব্যক্তি তাদের ওপর অ্যাসিড ছুড়তে শুরু করেন। বিক্ষুব্ধ লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে ও নিজেদের রক্ষার্থে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা লাঠিপেটা করে ৮২ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।  একই দিন ফেসবুকে পোস্ট শেয়ারকারী ওসমান আলীকেও ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আরটিভি/এসএপি
সরকার পুনর্গঠনে সেনাবাহিনীর সহায়তা দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের
নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করে অন্তর্বর্তী সরকার পুনর্গঠনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা দাবি করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি। আগামী পাঁচ বছরকে জাতীয় সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করে ড. ইউনূস ও  সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামানের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ গঠনেরও প্রস্তাব তুলে ধরা হয় আলোচনা সভায়। প্রস্তাবনায় প্রধান বিচারপতি, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, নাগরিক ও রাজনীতিকদেরও সম্পৃক্ত করার কথা বলা হয়। বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আমিনুর রহমান মজুমদার। এতে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. আবদুল্লাহ আল ইউসুফ (অব.)  ও  লে. কর্নেল এস এম আইয়ুব (অব.)। অনুষ্ঠানে সিপাহী-জনতার ঐক্যে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে ছয় দফা প্রস্তাবনায় রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা কাঠামোতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। প্রথম দফায় সেনাবাহিনীকে বর্তমান সংবিধান বাতিল করে ডক্টর ইউনূসের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতি শাসিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে সর্বাত্মক সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রদান করতে বলা হয়। দ্বিতীয় দফায় একটি শক্তিশালী জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ গঠন করতে বলা হয় যার চেয়ারম্যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতি ড. মুহম্মদ ইউনূস ও ভাইস চেয়ারম্যান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান হবেন। প্রস্তাবনা অনুসারে, এই পরিষদে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান, পুলিশ প্রধান, গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক ও নাগরিকরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে পুরাতন সংবিধান বাতিল এবং ফ্যাসিবাদী দল ও সংগঠনকে নিষিদ্ধ করবে।  তৃতীয় দফায় নতুন সংবিধান প্রণয়নে দ্রুত গণপরিষদ গঠন ও নির্বাচন পরিচালনা এবং পরবর্তীতে দ্রুত সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা প্রদান তত্ববধান করার প্রস্তাব রাখা হয়। চতুর্থ দফায় দেশের আর্থিক খাতের নিরাপত্তা তথা ব্যাংক, স্টকএক্সচেঞ্জ, আমদানি ও রফতানির লেনদেন সামরিক বাহিনীর মনিটরিং ও তত্ত্বাবধানে হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। পঞ্চম দফায় দেশের সকল উপজেলা পর্যন্ত স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন করে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গি হামলাসহ জননিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে তাৎক্ষণিক সাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানানো হয়। এক্ষেত্রে পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির সহায়তা নিতে সেনাবাহিনীকে পরামর্শ দেওয়া হয়। ষষ্ঠ দফায় সেনাবাহিনী, জনপ্রশাসনসহ রাষ্ট্রের সর্বত্র ফ্যাসিবাদের দোসর, দুর্নীতিবাজ ও দেশবিরোধীদের চিহ্নিত করে তাদের শূন্যপদে সাবেক দেশপ্রেমিক সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রদান করতে প্রস্তাব রাখা হয়। প্রধান অতিথি ড: আমিনুর রহমান মজুমদার বলেন, মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী সময়ে যখন মানুষ খেতে পায়নি তখন শেখ পরিবারের লোকেরা সোনার মুকুট মাথায় দিয়েছেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবিপ্লব এবং এর ধারাবাহিকতায় আসে ৭ নভেম্বর।   আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, একজন উপদেষ্টা বলেছেন আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী দল। রক্তের দাগ শুকায়নি অথচ উনি এসব কথা বলছেন। আরো কয়েকজন এসব কথা বলেছেন। এতে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবেনা। অসুস্থ, পঙ্গুদের খবর কেউ নেয়না, তারা বসে বসে এ সমস্ত কথা বলে।  ঐক্য বজায় রেখে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে সক্রিয় থাকতে ছাত্রদের পরামর্শও দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ সাবেক আহ্বায়ক। না হলে অশুভ শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে বলে তিনি সতর্ক করেন।  ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডক্টর আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ (অব:) বলেন, বাংলাদেশের পরনির্ভরশীল মানসিকতা দূর করতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ দূরীকরণে সেনাসহ যাবতীয় বাহিনীর সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, বড় একটি দলে স্বৈরাচারকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা ছাড়তে হবে। নির্বাচনের আগে দেশকে সংস্কার করে নিতে ওই দলকে অপেক্ষা করতে হবে। তারা নিজেদের সংস্কারে কেন মনোযোগী হচ্ছে না? তারা কি আগের স্বৈরাচার স্টাইলে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়? লে. কর্নেল এস এম আইয়ুব (অব.) বলেন, সামরিক বাহিনীকে আজিজ কিংবা শফিউর প্রতিনিধিত্ব করেনা। সেনাদের মাঝে স্বাধীনতা ও দেশপ্রেম রয়েছে। কঠোর নজরদারির মাঝে আমাদের হাত-পা বাঁধা ছিল। তবে সুযোগ পেয়ে আমরা সেই দেশপ্রেম প্রকাশ করেছি জুলাই বিপ্লবে। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার মুসতাসীম তানজীর, নাগরিক পরিষদ আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, রাশেদুর রহমান, জাতীয় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ডা. জহিরুল ইসলাম, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ডা. নাবিল আহমদ, সহকারী সদস্য সচিব জিহাদী ইহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক সানোয়ারা খাতুন প্রমুখ। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
ইসি গঠনে ৬ জনের নাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সার্চ কমিটির কাছে ছয়জনের নাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ছয়জনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে তিনজন এবং নির্বাচন কমিশনার পদে তিনজনের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিয়েছি। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, চিকিৎসক, আইনজীবী ও সাবেক সচিব রয়েছে। রাশেদ খান বলেন, এমন মানুষদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা দরকার যারা প্রকৃতপক্ষে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবে।  তিনি বলেন, কোনো দলের লেজুরবৃত্তি করেন বা কোনো দলের রাজনীতি করেছেন এমন কোনো ব্যক্তিকে কমিশনে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। অতীতে ছাত্র রাজনীতি করেছেন এমন ব্যক্তিকেও রাখা যাবে না।  গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অতীতে আমরা শুধু আমলাকেন্দ্রিক নির্বাচন কমিশন দেখেছি। এবার আমরা সেটি চাই না। আমরা চাই এ কমিশনে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিযুক্ত হবেন।  এর আগে, গত রোববার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নাম চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সার্চ কমিটি।  এতে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করার লক্ষ্যে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি আগ্রহী ব্যক্তিদের নাম আহ্বান করছে।  রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে সুপারিশ করার জন্য অনধিক পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করতে পারবে। আরটিভি/আরএ/এআর
তওবা না করলে মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না: হেফাজতে আমির
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যতদিন মাওলানা সাদ তার গোমরাহী বক্তব্য থেকে তওবা না করবেন, ততদিন তাকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্য’ শীর্ষক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। আমিরের বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।  হেফাজতের আমির বলেন, সরকারের প্রতি আমার দাবি, তওবা না করা পর্যন্ত মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া যাবে না। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা আলেমদের তত্ত্বাবধানে শুরায়ে নেজাম দ্বারা পরিচালিত হবে। কাকরাইল মারকাজের কার্যক্রম ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে চালু রাখতে হবে। আমির বলেন, ওলামায়ে কেরামের দাওয়াতের মাধ্যমেই আজ পুরো বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে কোরআন ও সুন্নাহর সহীহ বাণী পৌঁছেছে। আলোকিত হয়েছে সারা বিশ্ব। দাওয়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে খালেকের সঙ্গে মাখলুকের তায়াল্লুক সৃষ্টি করে দেওয়া। আত্মভোলা মানবজাতিকে সঠিক পথের দিশা দেওয়া। এই দায়িত্ব আমার আপনার এবং উম্মতে মোহাম্মদী সবার। এই দায়িত্ব পালনের জন্যই মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) তাবলীগের কাজ শুরু করেছেন। দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরুব্বি মাওলানা সাদ বিভিন্ন সময় কোরআন, হাদিস, ইসলাম, নবী-রাসুল, নবুয়ত, সাহাবায়ে কেরাম এবং শরয়ী মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তার বক্তব্যগুলো কোরআন-সুন্নাহবিরোধী, যা মেনে নেওয়া যায় না’- উল্লেখ করেন হেফাজতের আমির । শাহ মুহিবুল্লাহ বলেন, দ্বীনের বিভিন্ন বিষয়ে তার চিন্তাগত বিচ্যুতি ও বিচ্ছিন্নতা এবং অনেক বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও জুমহুরের মুত্তাফাকা তথা ঐকমত্য সমর্থিত মাসআলা ও মাজহাবের খেলাফ করার কারণে শরিয়ত মতে তার এতা’য়াত (মাওলানা সাদের আনুগত্য করার) জায়েজ নেই। তিনি উল্লেখ করেন, মাওলানা সাদ এসব আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দসহ বিশ্ব আলেমদের কাছে চরম বিতর্কিত হয়েছেন। আলেমরা দায়িত্ব নিয়ে তাকে সংশোধনের চেষ্টা করেছেন। তিনি আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করে নিজের বক্তব্য সংশোধন করতে রাজি হননি। হেফাজতের আমির বলেন, অতএব ব্যক্তি মাওলানা সাআদের কারণে ছাত্র-জনতা ও আলেম-ওলামাদের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীন নতুন এই বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হোক এবং অন্তর্বর্তী সরকার বেকায়দায় পড়ুক আমরা চাই না। আশা করি সার্বিক বিবেচনায় সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। আরটিভি/একে/এসএ