• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
লড়াই চলবে, জনগণ বিজয়ী হবেই : মান্না
‘ইসলাম চর্চা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জনতা বসে থাকবে না’
ইসলাম চর্চা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ঈমানদার জনতা নীরবে বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম। রোববার (১৭ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের আলোচনায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। চরমোনাই পীর বলেন, কোরআন শিক্ষার আসর করলে যাদের গায়ে জ্বালা ধরে এরা মুসলমান নামের পশু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিভাগ আছে, সেখানে আরবি চর্চা হলে সমস্যা কোথায়? তিনি বলেন, ঢাবিতে কোরআনের ক্লাস নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে, তাদের থামান। ইসলাম চর্চা নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করলে ঈমানদার জনতা নীরবে বসে থাকবে না। সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এই মাসে মানব জীবনের সফলতা ফিরে পেতে হলে তাকওয়াপূর্ণ ও তাকওয়াভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এ পবিত্র মাস পাওয়ার পরও নিজের গুনাহরাশি মাফ করিয়ে আল্লাহর নিকটবর্তী বান্দা হতে পারেনি, রমজান তার জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, রমজান এলেই একশ্রেণির মানুষ রমজানের প্রতি অসম্মান করতে উঠেপড়ে লেগে যায়। এরা মানুষকে মজুদদারি করে, ইফতারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মানুষকে কষ্ট দেয়।  রেজাউল করীম বলেন, যারা রোজাদার মানুষকে কষ্ট দেয় তারা আল্লাহর আজাব-গজবের অপেক্ষায় আছে। মনে রাখবেন এরা অচিরেই আল্লাহর গজবে পতিত হবে।  
‘আমদানি করা পণ্য কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি’
মামুনুল হকের মুক্তি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা জানালেন
‘সোমালিয়ান জলদস্যুদের মতো বাংলাদেশকে দখল করেছে আ.লীগ’
কারামুক্ত জামায়াতের আমির
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জামায়াতের বিবৃতি
রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই চাল, ডাল এবং তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রোববার (১০ মার্চ) সংগঠনটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এ বিবৃতি দিয়েছেন। এতে বলা হয়, রমজান মাস শুরুর আগেই চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। একইসঙ্গে সরকারের ভুল নীতি ও দলীয় লোকদের সিন্ডিকেটের কারণে তারা বাজার নিয়ন্ত্রণেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকার ইসলামে নিষিদ্ধ মদের ওপর শুল্ক ফ্রি করে খেজুরের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে ইফতারের সবচেয়ে প্রচলিত খাদ্য খেজুরের মূল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে সাহরি ও ইফতার করে রোজা পালন করতে পারে এর জন্য আমরা সিন্ডিকেট ও মজুতদারি বন্ধের দাবি জানাই। বিবৃতিতে পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় দিনের বেলায় হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা বন্ধ করে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে অশ্লীল পোস্টার ও বিলবোর্ড অপসারণ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত, যানজট দূরীকরণ, ঈদের এক সপ্তাহ আগেই শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ রাখতে আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিরত থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল বন্দি ও আলেম-ওলামাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে সরকার : মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, বিদ্যুৎসহ সব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে সরকার ও তার মন্ত্রীরা।  রোববার (১০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়, প্রবাসীদের ভাবনা, সংকট ও সুরক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ক্ষমতায় যারা আছে, তারা সাধারণ মানুষকে ভালোবাসে না। এখানে যারা অন্ধ তারাই সবচেয়ে বেশি চোখে দেখে। বলে খেজুর খাওয়ার দরকার নেই বরই খাও, তার তো রাখাল হওয়ারও যোগ্যতা নেই, সে মন্ত্রী হয়ে বসে আছে। সরকারের সমালোচনা করে মান্না আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মজুত করে তাদের গণপিটুনি দাও। কিন্তু যারা দামের প্রতিবাদ করেছে তাদেরই গণপিটুনি দিয়েছে। জেলখানায় মানুষ মারা যাচ্ছে, সরকার বলছে-জন্মালে তো মরবেই। বাজারের আগুন লেগেছে, সরকার কিছুই করতে পারবে না। ৭-৮টা কোম্পানি ইমপোর্ট না করলে বাজার খালি। আলোচনা সভায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, চিটাগাং পোর্টে শনিবার (৮ মার্চ) সর্বনিম্ন জাহাজ এসেছে। তার মানে আমদানি কমছে। আমদানি কমেছে মানে বৈদেশিক মুদ্রা নেই। যদিও কেউ কেউ বলছে- রিজার্ভ আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। যদিও আমরা সঠিক কোনও তথ্য পাচ্ছি না। সরকারের গরম গরম কথা বলা ছাড়া আর কিছু বলার সক্ষমতা নেই মন্তব্য করে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকদের মতো এত সস্তা শ্রমিক পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যায় না। বিদেশে গিয়েও তারা হয়রানি, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আমরা যদি বলতে পারতাম- আমাদের একজন শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা আর শ্রমিক পাঠাবো না। তাহলে আমাদের শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত হতো।
‘পুলিশ চুপ থাকলে আ.লীগ ঘর থেকেও বের হতে পারবে না’
পুলিশ চুপ থাকলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘর থেকেও বের হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহমুদুর রহমান বলেন, শুধু ঢাকা মহানগর পুলিশ চুপচাপ এবং নিরপেক্ষ থাকলে আওয়ামী লীগ ঘর থেকেও বের হতে পারবে না। কোনো সভাও করতে পারবে না। বিরোধীদলীয় নেতাদের চোখ রাঙিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে পারবে না।  তিনি বলেন, সাত জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নিজের দলকে ভেঙে তিন ভাগে ভাগ করেছে। এক দলের মধ্যে তিনটি মার্কা। এটি নিয়ে তারা নিজদের মধ্যে খুনাখুনি পর্যন্ত করেছে।  শেখ হাসিনার উদ্দেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কোনো ভোট হয়নি। কিন্তু আপনি বক্তৃতা করে বেড়ান ’৭৫-এর পর এরকম ভোট আর হয়নি। প্রধানমন্ত্রী এ রকম মিথ্যা কথা বললে তো পুরো আওয়ামী লীগের লোকরাও মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়। মান্না বলেন, এ সরকারের প্রতি রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে কারও কোনো বিশ্বাস এবং ভরসা নেই। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহাতের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ আগুনে পুড়ে মারা যায়নি। কারণ, লাশগুলোর শরীর পোড়া ছিল না। আগুনের ধোয়ায় বেশি মানুষ মারা গেছে। রেস্টুরেন্টের নিচতলায় সব অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে। প্রতিবাদ সভায় বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি অর্থে মডেল মসজিদ তৈরি সংবিধান পরিপন্থি : শাহরিয়ার কবির
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে সারাদেশে মডেল মসজিদ তৈরি সংবিধানের পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি হল রুমে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। শাহরিয়ার কবির বলেন, কাদের টাকা দিয়ে দেশে ৫৬০টা মডেল মসজিদ বানিয়েছে সরকার? আমাদের জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এগুলো বানানো হয়েছে। এটা সংবিধান পরিপন্থি। তিনি বলেন, সংবিধানের ৭-এর ‘ক’ ধারায় পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র কোনো বিশেষ ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করবে না। আপনি যদি ৫৬০টা মডেল মসজিদ বানান, কেন আপনি ৫৬টা মন্দির প্যাগোডা গির্জা বানাবেন না? আর তাই যদি করতে হয় তাহলে সমস্ত অর্থ সেখানে আপনি ব্যয় করুন। তিনি আরও বলেন, আপনারা দুর্নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগকে তুলোধুনো করতে পারেন। কিন্তু আপনাদের মনে রাখতে হবে এর চেয়েও বড় বিপদ আমাদের সামনে আছে। দুর্নীতির বাইরে কোনো দেশ আছে এই উপমহাদেশে? একটি দেশের নাম বলুন। ভারত দুর্নীতির বাইরে? পাকিস্তান দুর্নীতির বাইরে? কিন্তু যেভাবে আমাদের সমাজ রাজনীতির মৌলবাদীকরণ-সাম্প্রদায়িকীকরণ হচ্ছে, এটাকে প্রতিহত করতে না পারলে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। বাংলাদেশ পাকিস্তান হয়ে যাবে। পাকিস্তান মানে পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হয়ে যাবে। আমাদের উদ্বেগটা হচ্ছে সেই জায়গায়। শাহরিয়ার কবির বলেন, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি সংবিধানের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নাগরিক আন্দোলন করছে। কিন্তু এখন আমরা যে আগামীর নাগরিক আন্দোলনের কথা বলছি, তা নির্মূল কমিটির একার দায়িত্ব নয়। এর সঙ্গে যত সমমনা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তি আছেন, তাদের সবার দায়িত্ব । যেখানে বিরোধী দল অনুপস্থিত থাকে সেখানে নাগরিকদেরকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয়, সমস্ত গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
বরই দিয়ে ইফতারের পরামর্শ / শিল্পমন্ত্রীকে বিদায় করার আহ্বান ইনুর
আঙুর, খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দেওয়ায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে এখনই মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। সোমবার (৪ মার্চ) রাজশাহীর গণকপাড়ায় জয় বাংলা চত্বরে জাতীয় যুবজোটের রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।  হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমি একটু আগে মোবাইলে দেখলাম, এক মন্ত্রী বলেছেন, রোজার সময় খেজুর আর আঙুর দিয়ে ইফতার কইরেন না, বরই দিয়ে করেন। আল্লাহ, কী বলব বলেন! নিত্যপণ্যের মূল্যে মানুষ জর্জরিত। আর আপনি (মন্ত্রী) মানুষের সঙ্গে ঠাট্টা-মশকরা করেন। প্রধানমন্ত্রী, এই ধরনের মন্ত্রীকে এখনই বের করে দেন।’ এরপর দেশের যুব সমাজকে দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের যুব সমাজকে দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের চিরশত্রু মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী-তালেবানি শক্তি এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতা দখলের রাজনীতিও মোকাবিলা করতে হবে। জাসদ সভাপতি বলেন, ‘মাত্র দুমাস হলো নির্বাচন শেষ হয়েছে। কিন্তু একটা গুমোট ভাব, কোনো উত্তেজনা নেই। বিরোধিতার মতো রাজনৈতিক যুদ্ধের ভেতরে নির্বাচন কখনো ভালো হয় না, তাই হয়েছে। কমতি আছে, ঘাটতি আছে। কিন্তু দিনের শেষে বাংলাদেশের এত বিরোধিতার মুখেও নির্বাচনের রাজনীতির অনিশ্চয়তা দূর করে নির্বাচনটা হয়েছে। একটা স্বস্তি এসেছে। কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষ, দিন আনে দিন খায়, নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনে কোনও স্বস্তি আসেনি। তারা পেটের জ্বালায় জর্জরিত। তেল, নুন, পেঁয়াজ, চিনি, আদা, রসুন, মরিচ, যেটাতেই হাত দেয়, হাতে পুড়ে যাচ্ছে। সকালে একদাম, বিকেলে ডাবল দাম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হুঙ্কার ছাড়ছেন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। মন্ত্রীরা চিৎকার করছেন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে, কিন্তু দাম কমছে না। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। তাহলে ব্যর্থ কে? শাসন ব্যর্থ! কেন তারা কথা শুনছে না? এটা কি সিস্টেমের দোষ, মুক্তবাজার অর্থনীতির দোষ, নাকি যারা দাম বাড়াচ্ছেন তারা সরকারের ছত্রছায়ায় বসবাস করেন? প্রধানমন্ত্রী বলার পরেও দাম কমে না, অস্বাভাবিক ব্যাপার! এত শক্তি, এত সাহস, এটা কীভাবে সম্ভব!’ জাতীয় যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর সভাপতি শরিফুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাসদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুল হক বকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, ও জাসদ রাজশাহী মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সিদ্দিকী শিবলী। এ সময় প্রধান বক্তা ছিলেন, জাতীয় যুবজোট এর সভাপতি মো. শরিফুল কবির স্বপন।   
যে কারণে বিএনপির সঙ্গে বেহেশতেও যেতে চান না কাদের সিদ্দিকী
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে বসে নেতৃত্ব দিলে দলটির সঙ্গে বেহেশতে যাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবীর বলেন, আমাদের ভাতিজা তারেক রহমান ইংল্যান্ডে বসে যদি বিএনপির নেতা হন, নেতৃত্ব দেন তাহলে আমি সেই বিএনপির সঙ্গে বেহেশতে যেতে চাই না। এ ছাড়া আল্লাহ যদি জামায়াতের সঙ্গেও আমাকে বেহেশতে নিতে চান তাহলেও আমি যাব না। তিনি বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে থেকে বাংলাদেশের মানুষকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। এতে যদি আমার ফাঁসিও হয়, সেটাকেও মঞ্জুর করব। তারপরেও লন্ডনে বসা তারেকের নেতৃত্ব কোনোমতেই গ্রহণ করব না।  এ সময় বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা নেতাদের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, জনগণকে দেশের মালিক করার জন্য যদি সংগ্রাম করতে পারেন, সেই সংগ্রামে আমি মৃত্যু পর্যন্ত আপনাদের সঙ্গে আছি। তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নয়। এটা লুটপাটকারীদের আওয়ামী লীগ। সে জন্য এ দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সবাইকে একত্র হয়ে সংগ্রাম করতে হবে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) এই আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।  
সোনার বাংলা পিতলের বাংলায় পরিণত হয়েছে : মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকের সোনার বাংলা যে ডামি সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। ডামি সোনার বাংলা কথাটি আমাদের নয়, যারা সরকার চালাচ্ছেন, তারাই এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন। ডামি সোনার বাংলা হলো, আসল সোনার বদলে নকল সোনা। খুব সাধারণ বাংলায় বললে, সোনার বাংলা আজ পিতলের বাংলায় পরিণত হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত ২ মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, যদি তারা মনে করে, প্রশাসনের জোরে, বিচার বিভাগের জোরে, বুলেটের জোরে, পুলিশ বাহিনীর জোরে বা অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জোরে জনগণের টুটি চেপে ধরে দেশের ক্ষমতায় চিরকালের জন্য আসীন হয়ে থাকবে, তাহলে তারা ভুল স্বপ্ন দেখছে। সেই স্বপ্ন তাদের ভেঙে যাবে। মঈন খান বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর আমরা পেরোতে চলেছি। এখনো মাঝে মাঝে সোনার বাংলার কথা শুনি। পতাকা থেকে সোনার বাংলা কথাটি এসেছে সেটা আমরা জানি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য প্রশ্ন করে বলেন, দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এদেশের মানুষ আজ বুভুক্ষ। যে বাংলাদেশের জন্য লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, আমরা তাদের কাছে কী জবাব দেবো? যে সোনার বাংলার কথা আওয়ামী লীগ সরকার বলে, তারা কী করে? এই বাংলাদেশের জন্য কী লাখ লাখ মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল? ড. আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, সরকার বলে তারা নাকি স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী। স্বাধীনতার চেতনা কি গণতন্ত্র ছিল না? আওয়ামী লীগকে সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। মুখে গণতন্ত্র, সোনার বাংলার কথা বলে, কার্যক্ষেত্রে এর উল্টোটা করে। আওয়ামী লীগ যদি মনে করে ক্ষমতার জোরে সবকিছু অস্বীকার করে যাবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ সেটা হতে দেবে না। তিনি আরও বলেন, সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে পারে। কিন্তু তারা বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারিয়েছে, মানুষ কর্তৃক প্রত্যাখিত হয়েছে। সরকারকে এই সত্য স্বীকার করতেই হবে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল পাটোয়ারির সঞ্চালণায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।