• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
৭৯ জেলে-নাবিককে ধরে নিয়ে যাওয়ায় জামায়াতের উদ্বেগ
আ.লীগের কাছে কারও জীবনের নিরাপত্তা ছিল না: জামায়াত আমির
আওয়ামী লীগের কাছে কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মজলিস শূরার অধিবেশনে এ মন্তব্য করেন তিনি। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে জাতির সব মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। অনেক প্রতিভাবান কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওএসডি করা হয়েছে, গুম, খুনের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের কাছে বিরোধীমতসহ কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি জুলুম ও ফ্যাসিজমের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বয়স্ক মানুষরাও আওয়ামী লীগের জুলুম থেকে রেহাই পাননি। জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে একটা রোডম্যাপ দিতে হবে। বিগত সরকারে আসন পুনর্বিন্যাসের নামে জুলুম করেছে। সেগুলো আবার নতুন করে করতে হবে। ভোটার তালিকায় প্রবাসীদেরও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা করে প্রবাসীদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গত ১৫ বছরে দেশের অনেক নাগরিকই ভোট দিতে পারেননি। অনেকেই আবার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। তাদের ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করতে হবে। এ সময় বিভিন্ন দেশে কারারুদ্ধ বাংলাদেশিদের মুক্ত করার ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ারও আহ্বান জানান ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে এরপর তিনি বলেন, দেশ যখন ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে, তখন ফ্যাসিস্টরা দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। ফ্যাসিস্ট ও ষড়যন্ত্রকারীদের চোখ রাঙানিকে দেশের মানুষ আর পরোয়া করে না। ছাত্র-জনতার ত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। তাদের ত্যাগের মর্যাদা দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আরটিভি/এসএইচএম/এআর  
শেষ হলো রক্তাক্ত জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি সম্বলিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ
বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় জামায়াতের বিবৃতি
সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিবৃতিতে যা জানাল ঢাবি ছাত্রশিবির
বিগত ১৫ বছর ডিসেম্বর ছিল জুলুম ও নির্যাতনের মাস: ড. মাসুদ
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিগত ১৫ বছর ডিসেম্বর জুলুম ও নির্যাতনের মাস ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহজাহানপুর থানা জামায়াতে ইসলামি আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বিগত ১৫ বছর ডিসেম্বর মাস ছিল জুলুম ও নির্যাতনের মাস। এক ব্যক্তির (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) রেকর্ড করা বক্তব্য শুনতে শুনতে মানুষ বিরক্ত হয়ে গেছে। ঐ ব্যক্তির কথা ধরেই বলবো, তুমি রিয়েলিটি মেনে নাও। যে দেশে বসে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে সেই দেশকেও বলবো রিয়েলিটি মেনে নিতে।  ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দিয়ে ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। এই আগুনে বাংলাদেশের পতাকা পুড়ে নিজেদের কপাল নিজেরাই পুড়েছে। বাংলাদেশের হাই কমিশন কার্যালয় ভেঙে তারা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙেছে।  জামায়াতের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশকে অস্থির করে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না। ৫ আগস্টের আগের বাংলাদেশ আর ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশ এক নয়। এরপর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন সময় হচ্ছে জাতি হিসেবে নিজেদের জাতিসত্তার পরিচয় তুলে ধরার, নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেওয়ার। যারা বাংলাদেশের দিকে চোখ রাঙাবে, বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণ একত্রে তাদের দিকে চোখ রাঙাবে। তারা চেয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করতে। কিন্তু তাদের চক্রান্তের কারণে আমাদের ঐক্য আরও বেশি মজবুত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামির কর্মসূচিতেই ২০২৪ সালে দেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে ড. মাসুদ আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামি যেই কর্মসূচিতে গঠিত হয়েছে এবং যেই কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে, ২০২৪ সালে সেই একই কর্মসূচিতে এ দেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে জামায়াতে ইসলামির নেতৃত্বে সকলকে এক কাতারে শামিল হতে আহ্বান জানাচ্ছি।     ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমির মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।  এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য ও মতিঝিল-শাহজাহানপুর জোন পরিচালক সৈয়দ সিরাজুল হক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী দফতর সম্পাদক এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সমন্বয়ক আবদুস সাত্তার সুমন, শাহজাহানপুর পশ্চিম থানা আমির মো. সরোয়ার হোসেন, শহীদ আল্লামা দেলোয়ার হোসাইস সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী প্রমুখ। আরটিভি/এসএইচএম
দেশের এক ইঞ্চি জমি কাউকে দেব না: জামায়াত আমির
ভারতকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমি আমরা কাউকে দেব না। কোনো আগ্রাসন সহ্য করব না। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে কু‌মিল্লা টাউন হল মাঠে অনুষ্ঠিত মহানগর জামায়াতের কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  জামায়াত আমির বলেন, মাইনরিটি শব্দ ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী দেশের বাইরে থেকে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়। বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায়। কিন্তু সেটা কখনোই সম্ভব হবে না। আমরা সবাই এক হয়ে লড়াই করব।       তিনি বলেন, পেশি শক্তিমুক্ত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন। আর এ কাজে গতি বাড়াতে হবে। অতি দ্রুত যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দিতে হবে। শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন এক দেশ গড়ে তোলা হবে। যেখানে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারবে। ধর্ম নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি হবে না। এ সময় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিও জানান জামায়াত আমির।                             কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবু তাহের মুহাম্মদ মাসুম, মাওলানা আবুল হাসানাত মুহাম্মদ আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ আবদুর রব, মো. মোবারক হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে, সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মাছুম মিয়ার বাবা মুহাম্মদ শাহীন মিয়া। আরটিভি/আইএম/এস
অলি আহমদ বৈঠকে অংশ নিতে না পারায় যা বললেন জামায়াত আমির
জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিতে গিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় নাম না থাকায় ফিরে গেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। এদিকে বৈঠকে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় অলি আহমদের নাম না থাকা নিয়ে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি মন্তব্য করেন। জামায়াত আমির লিখেছেন, এলডিপি চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম গতকাল (৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলসমূহের জাতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে সম্মানজনকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি না হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। ভবিষ্যতে এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আরও আন্তরিক হবেন আমরা আশা করি। সর্বদলীয় এই বৈঠকে অংশ নেয় বিএনপি ও জামায়াতসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই বৈঠক শেষ হয়। তবে বৈঠকে আওয়ামী বা সমমনা কোনো দলই আমন্ত্রণ পায়নি। আরটিভি/একে-টি  
সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ সবাই: জামায়াত
জামায়াতের ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশবাসী আগামী দুই একদিনের মধ্যে সুখবর পাবেন আশা করি। আমরা কারও পাতা ফাঁদে পা দিব না। কারও কাছে মাথা নত করবো না, আবার সীমালঙ্ঘনও করবো না। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। সরকারকে সহযোগিতা করছেন দাবি করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ। সরকার যাতে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়, সেটার জন্য আমরা সহযোগিতা করবো। অপপ্রচার মোকাবিলায় আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।    জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে বিজয় এসেছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, চলমান ষড়যন্ত্রও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবো। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে লড়তে হবে আমাদের। প্রধান উপদেষ্টার এ বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পরোয়ার, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম। একই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, এনপিপি, এলডিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বৈঠকে অংশ নিয়েছে। এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যমুনায় বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৃহস্পতিবার তিনি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস। উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। তখন থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নির্যাতনসহ বেশ কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমগুলো মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশ করে আসছে। বাংলাদেশ বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এরমধ্যে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ আরও বেড়ে যায়। তার জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় ‘চিন্ময়ের অনুসারীরা’ সাইফুল ইসলাম নামে এক আইনজীবী পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই ২ ডিসেম্বর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের হামলা হয়, যাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ হিসেবে বর্ণনা করে ‘ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া’ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এসব পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিতে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা। আরটিভি/এএইচ
আমরা দায়িত্ব পেলে কেউ জুলুম করতে পারবে না: জামায়াত আমির
জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে কেউ জুলুম করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠি জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের দায়িত্বশীল সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। জামায়াত আমির বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে অফিস-আদালত কোথাও গিয়ে আপনি লাঞ্ছিত হবেন না। কোনো মানুষ হয়রানির শিকার হবেন না। কৃষক তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন। শ্রমিক তার ঘামের ন্যায্য মূল্য পাবেন। বিচারক তার আসনে বসে মানুষের ওপর জুলুম করবেন না।  তিনি বলেন, জামায়াত যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়, তাহলে তারা এসব কাজ বাস্তবায়ন করবে। জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।  এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী বক্তব্য দেন। সম্মেলন শেষে জামায়াতের আমির ঝালকাঠির নেছারাবাদ এনএস কামিল মাদরাসার মাঠে এক সুধী সমাবেশে অংশ নেন। আরটিভি/আইএম/এস
আ.লীগ মানুষকে মানুষ মনে করেনি: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিগত সরকার ১৫ বছর ধরে দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছিল। হত্যা, গুম ও নির্যাতন চালিয়ে তারা দেশের মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আসলে আওয়ামী লীগ মানুষকে মানুষ মনে করেনি। রোববার (১ ডিসেম্বর) খুলনায় ইস্টার্ন জুট মিলস শ্রমিক ময়দানে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াত আমির বলেন, ক্ষমতা স্থায়ী করতে প্রথমে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটায় আওয়ামী লীগ। এরপরে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেয় দলটি।  ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তবে তাদের পালাতে কারা সহায়তা করেছে তা দেশের মানুষ জানতে চায়। আরটিভি/আইএম
পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনায় জামায়াতের গভীর উদ্বেগ
ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভ এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম।  শনিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।  বিবৃতিতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে ভারতীয়দের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভারতের ‘বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ’ নামক উগ্রবাদী সংগঠনের এ ঘটনা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ’ নামক একটি উগ্রবাদী সংগঠনের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। এ ঘটনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিনষ্ট করার এক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ বলেই কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন। এমতাবস্থায় কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন যথাযথ নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। ভারত সরকারের উচিত ভবিষ্যতে এ ধরনের অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা বিধান করা।  তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল কথা হল ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নয়।’ বাংলাদেশ সহাবস্থানের নীতিতে বিশ্বাসী একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। বাংলাদেশও বিশ্বের সকল দেশের কাছে একই নীতি আশা করে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের এবং ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সকল কূটনৈতিক মিশন, কূটনীতিক ও অ-কূটনীতিক কর্মীদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আরটিভি/এসএপি/এস