• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি স্থগিত
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানের ভয়েস সরকারের হাতে এসেছে। তিনি বলছেন ‘কারফিউ ভঙ্গ করো, না হলে পদ ছাড়ো।’ বিএনপির আরেক নেতা বলেছেন, ‘তোমরা আন্দোলনে ঢুকে যাও, নৈরাজ্য সৃষ্টি করো।’ এভাবে কোনো রাজনৈতিক দল দেশের ক্ষতি করতে পারে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন স্থাপিত হয়েছে ১৯৬৪ সালে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে বিটিভিতে কখনও হামলা, ভাঙচুর হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিটিভির কিছু কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল। কিন্তু কখনও বিটিভিতে হামলা হয়নি। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ভাঙচুর প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, দুর্যোগের সময়ে মানুষ যে মন্ত্রণালয়ে ছুটে যায়, সেই ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। ঢাকাবাসীর গর্ব, দেশবাসীর গর্ব মেট্রোরেল জ্বালিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি, সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে সমাধান হবে। আমরা শেষ পর্যন্ত দেখেছি সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা চেয়েছিল, তার থেকে বেশিই পেয়েছে। কোটা থাকলেও সবাইকে মেধার মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। সাধারণ ছাত্রছাত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে। যদি শিক্ষার্থীরা একটু ধৈর্য ধরতো, তাহলে বিএনপি-জামায়াত এই সুযোগটা পেত না।’ তিনি আরও বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা আন্দোলনকারীদের রক্ষা করেছে। লক্ষ্য করে দেখুন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ মারা যায়নি, সব বাইরে হয়েছে। অর্থাৎ, এর সঙ্গে কোটা সংস্কারের দাবির কোনো শিক্ষার্থী জড়িত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছেন কেউ হয়রানির শিকার হবে না।’
কোটা আন্দোলন ঘিরে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে: কাদের
নিহত ও আহতদের জন্য দোয়া করবে আ.লীগ
হঠাৎ ঢাকার ২৭ ইউনিটের কমিটি ভেঙে দিলো আ.লীগ
পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কাদেরের
অহিংসতার নামে বিএনপি-জামায়াত সহিংস আন্দোলন চালিয়েছে: জয়
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চক্র তাদের নিজেদের একটি সহিংস আন্দোলন চালাতে মূলত একটি অরাজনৈতিক ও অহিংস আন্দোলনকে ব্যবহার করেছে।’   সজীব ওয়াজেদ জয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে সাম্প্রতিক এক পোস্টে লিখেছেন, ‘এরকম শান্তিপূর্ণ একটি আন্দোলন কীভাবে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সহিংসতা এবং লুটপাটের আন্দোলনে পরিণত হল? কারণ, যথারীতি বিএনপি ও জামায়াত জোট তাদের নিজস্ব একটি সহিংস আন্দোলন চালানোর জন্য মূলত একটি অরাজনৈতিক ও অহিংস আন্দোলনকে ব্যবহার করেছে।’ জয় লিখেছেন, ‘স্বার্থান্বেষী মহলের সম্পৃক্ততা উপলব্ধি করে, প্রতিবাদকারীরা নিজেরাই সহিংসতায় লিপ্ত থাকার কথা অস্বীকার করে বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছে এবং নিশ্চিত করেছে যে, এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে একটি তৃতীয় পক্ষ জড়িত রয়েছে, যার সঙ্গে প্রতিবাদকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই।’  তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিনে, এই কাপুরুষরা বিক্ষোভকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে জনগণকে আতংকের মধ্যে ঠেলে দিয়ে ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছে। তারা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সরকারি ও বেসরকারি পরিবহন এবং সম্পত্তি, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাসমূহকে টার্গেট করেছে।’ জয় বলেন, ‘তারা যেখানেই সুযোগ পেয়েছে, সেখানেই সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তিতেও ব্যাপক লুটপাট করেছে। তারা একটি কারাগারে হামলা করে সকল বন্দীকে মুক্ত ও অস্ত্র লুট করে।’ তিনি বলেন, ‘এই ধরণের নজিরবিহীন মাত্রার সহিংসতার কারণেই সরকার সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন এবং অস্থায়ীভাবে কারফিউ জারির মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর কারণ হল, আরও কোনো সহিংসতা প্রতিরোধ, সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি রক্ষা এবং দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখা সরকারের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।’  দেশের শিক্ষার্থীরা মোটেও সন্ত্রাসী নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চক্র তাদের বাংলাদেশ ভাঙার দলীয় এজেন্ডার আড়ালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেছে।’  মঙ্গলবারের এই পোস্টে জয় লিখেছেন, ‘বিএনপি-জামাত কিভাবে সাধারণ ছাত্রদেরকে বাংলাদেশ ভাঙার দলীয় এজেন্ডার জন্য ব্যবহার করেছে, বাংলাদেশের জনগণ রাষ্ট্রের এই শত্রুদের ক্ষমা করবে না।’  অন্য এক পোস্টে জয় একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে উল্লেখ করেছেন, যখন আওয়ামী লীগ সরকার এবং ছাত্র আন্দোলনকারীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার বা বিলুপ্তি নিয়ে একই আন্দোলনে ছিল, তখন কীভাবে শান্তিপূর্ণ ও অরাজনৈতিক কোটা আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠল? ১৮ জুলাইয়ের এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় আরেকটি ভিডিও শেয়ার করে বলেছেন, এই ভিডিও থেকে তিনটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়। তিনি বলেন, কোনো ছাত্র সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির প্রতি এতটা অবজ্ঞা প্রদর্শন করতে পারে না, এসব ঘটনার জন্যই কারফিউ আরোপ করতে হয়েছে এবং সরকারের এসব পদক্ষেপ তাদের একটি ইতিবাচক দায়িত্ব।-বাসস।
১৮৫ দেশে বার্তা পাঠিয়েছেন ড. ইউনূস: নানক
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৮৫টি দেশে বার্তা পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। বুধবার (২৪ জুলাই) মোহাম্মদপুর টাউন হলে আয়োজিত দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নানক বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। যারা দেশের উন্নয়ন মেনে নিতে পারেনি, তারাই মূলত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় হামলা চালিয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোটা সংস্কার ইস্যুতে চলমান ঘটনা নিরসনে বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করে ড. ইউনূস রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছেন। তিনি বলেন, আমি পত্রিকায় ড. ইউনূসের একটি বিবৃতি দেখেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে মানুষ মারা গেছেন বলে তিনি তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন। বিশ্ব নেতাদের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। অর্থাৎ আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিদেশিদেরকে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন হস্তক্ষেপ করার জন্য। এটি রাষ্ট্রবিরোধী।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: কাদের
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীর রিং রোডে নিম্নবিত্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের বলেন, যে অর্জনগুলো বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত করেছে, সম্মান দিয়েছে, সে অর্জনগুলো আজকে ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ আজ আক্রান্ত। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের জন্য কাজ করছে। শেখ হাসিনা কোথাও পালাবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতা ও উন্নয়ন চায়নি বলেই তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। মেট্রোরেল, সেতু ভবন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সমস্ত জায়গায় তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সন্ত্রাসীদের পক্ষে কথা বলে। মিথ্যাচার করে সহিংসতাকারীদের সহায়তা করে। আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বিকল্প নেই। সারাদেশের পাড়া মহল্লা, থানা ওয়ার্ডে সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সারাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী।   
‘আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিদেশে থাকা নাশকতাকারীদের সহযোগীরা বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে গুলশানে আইনমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।  তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নাশকতাকারীদের সহযোগীদের বিভ্রান্তকর তথ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ভুল তথ্য প্রচার করছে। তাদের খবরে সরকারি প্রতিষ্ঠানে যে আক্রমণগুলো হচ্ছে সে ব্যাপারে কোন তথ্য নেই। সরকারের সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনকারীদের যে আলোচনা হচ্ছে তার কোন প্রতিফলন নেই। এ ব্যাপারে যে এর মধ্যেই সমাধান হয়ে গেছে তার কোন প্রতিফলন নেই।’ আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য দেশের গণমাধ্যমগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে তাদের ভুল তথ্য প্রচারের বিষয়টি তুলে ধরে অবগত করার চেষ্টা করুন। সরকার প্রথম থেকেই এই আশঙ্কার কথা বলে আসছে। শেষ পর্যন্ত সরকারের কথাই তো সত্যি হলো। অথচ শিক্ষার্থীরা একটু ধৈর্য ধারণ করলেই আর দুর্বৃত্তরা এই সুযোগ পেত না। তারা যে ধৈর্য ধরলো না, তার সুযোগ নিয়ে যে সন্ত্রাসীরা এই কাজ করলো এই পরিস্থিতি সরকারের কাছে প্রত্যাশিত ছিল না। আমরা কেউ তা প্রত্যাশা করিনি।’ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ জনপ্রশাসন বিভাগ এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিবরা।
আন্দোলন ছিনতাই হয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে চলে গেছে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, কোটা আন্দোলন ইতোমধ্যে ছিনতাই হয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে চলে গেছে। যার কারণে গত তিন দিন ধরে সংঘাত, নৈরাজ্য চলছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষ আছেন।  তারা কখনই অশুভ শক্তির কাছে মাথানত করতে পারে না, আপোস করতে পারে না। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো কথা নাই। আমরা এর বিরুদ্ধাচরণ করি না। আমারা শুধু চাই আন্দোলনের নামে যাতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করা হয়।   মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সুন্দরভাবে চলছিল, কেই বাধাও দিচ্ছিল না। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ রাতের অন্ধকারে জামায়াত-শিবির ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা ঢুকে তাণ্ডব চালানোর পর ছাত্রদের হাত থেকে আন্দোলনটা অন্যদিকে চলে যায়। মোজাম্মেল হক বলেন, যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, অতীতে যাদের সকল আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে তারাই (বিএনপি) এখন কোমলমতি সন্তানদের সামনে নিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার অশুভ চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অস্ত্র জমা দিয়েছি কিন্তু ট্রেনিং জমা দেয় নাই, চেতনা জমা দেয় নাই। ৭১ সালে এই অপশক্তিকে পরাজিত করা হয়েছে। ৫৩ বছর আগে যেভাবে পরাজিত করেছি দরকার হলে আরেকবার লড়বো।  
শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে মাঠে নেমেছে বিএনপি-জামায়াত: ওবায়দুল কাদের
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে বিএনপি-জামায়াত তাদের পুরনো আগুনসন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।  ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর আজ থেকে শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিপরীতে বিএনপি-জামায়াত তাদের পুরনো আগুনসন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে ব্যবহার করে ইতোমধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।’ তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অসংখ্য স্থানে ছাত্রলীগের ওপর নির্যাতন করেছে। তিন শতাধিক আহত হয়েছে, যেখানে অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায়। ছাত্রলীগের নারী শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। মেয়েদের বেধড়ক পিটিয়েছে। পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। বিএনপি মধ্যযুগীয় কায়দায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে। প্রথম থেকেই পুলিশ সহনীয় ভূমিকা পালন করেছে। যার কারণে রাষ্ট্রপতি বরাবর শিক্ষার্থীরা তাদের স্মারকলিপি সরাসরি প্রদান করতে পেরেছেন।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুবউল আলম হানিফ; সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দি; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
১৪ দলের সঙ্গে আ.লীগের মতবিনিময় সভা স্থগিত
অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ১৪ দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভা স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।  বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ১৪ দলের নেতাদের।   সভা স্থগিত করে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে ওবায়দুল কাদেরের। বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন তিনি। এর আগে ১৫ জুলাই দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক বিবৃতিতে ১৪ দলের মতবিনিময় সভা ডাকা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করার কথা ছিল আওয়ামী লীগ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন।