• ঢাকা সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১
logo
৪৮৯ আলোকবর্ষ দূরে নতুন সৌরজগতের সন্ধান, আছে তিনটি সূর্য
শনিবার বিরল ঘটনায় একই সরলরেখায় থাকবে পৃথিবী, সূর্য ও বৃহস্পতি
আগামী শনিবার (৭ ডিসেম্বর) পৃথিবী, সূর্য ও বৃহস্পতি একই সরলরেখায় অবস্থান করবে। এদিন বৃহস্পতি পুরো রাতজুড়ে আকাশে দৃশ্যমান থাকবে। এই অবস্থানকে ‘জুপিটারের বিপরীতমুখী (জুপিটারস অপজিশন)’ বলা হয়। বিজ্ঞানীরা এটিকে এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা আখ্যা দিয়ে জানান, আকাশপ্রেমীদের জন্য এক দুর্লভ সুযোগ এনে দিয়েছে জুপিটারস অপজিশন।  ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিকে দেখার জন্য এই সময়ের আগে-পরে এক মাস ধরে এই বিস্ময়কর ঘটনা পর্যবেক্ষণের সুযোগ থাকবে। এমনকি একটি ছোট টেলিস্কোপ বা সাধারণ দূরবীন দিয়েও এই গ্রহের সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব। এমন বিরল মহাজাগতিক ঘটনা কেবল সৌরজগতের রহস্য ও সৌন্দর্যের প্রতি কৌতূহল বাড়ায়। বিজ্ঞানীদের মতে, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৫টায় বৃহস্পতি পৃথিবী থেকে প্রায় ৬১১ মিলিয়ন কিলোমিটার বা ৩৮০ মিলিয়ন মাইল দূরে থাকবে। এই দূরত্বে বৃহস্পতি অত্যন্ত উজ্জ্বল দেখাবে। এটা টেলিস্কোপ ব্যবহারকারীদের জন্য এর মেঘবাহু এবং গ্যালিলিয়ান চাঁদগুলো (আইও, ইউরোপা, গ্যানিমিড, এবং ক্যালিস্টো) পর্যবেক্ষণের সেরা সুযোগ। তবে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পূর্ব-উত্তর-পূর্ব আকাশে বৃষ রাশির (টরাস) নিকটে বৃহস্পতি উঠতে দেখা যাবে। এটি সূর্যাস্তের পর ওঠা শুরু করবে এবং সূর্যোদয়ের আগে অস্ত যাবে। টেলিস্কোপ বা উচ্চ ক্ষমতার দূরবীন দিয়ে বৃহস্পতির মেঘবাহুগুলো এবং এর চারটি প্রধান চাঁদ সহজেই দেখতে পারবেন আকাশপ্রেমীরা। এই বিরল ঘটনায় বৃহস্পতির প্রতিফলিত সূর্যালোক পৃথিবীতে পৌঁছাতে প্রায় ৩৪ মিনিট সময় নেবে। পৃথিবীর দ্রুতগতির কক্ষপথের কারণে বৃহস্পতি এবং সূর্যের মধ্যে পৃথিবীর অবস্থান তৈরি হবে, যা বৃহস্পতিকে সম্পূর্ণ গোলাকার অবস্থায় দেখা যাবে।  বিরল মহাজাগতিক এই ঘটনা কেবল সৌরজগতের রহস্য ও সৌন্দর্যের প্রতি কৌতূহল বাড়ায় না, জীবদ্দশায় এমন সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকাটাও ভাগ্যের ব্যাপারও বটে।   আরটিভি/কেএইচ
সাফল্যের সঙ্গে মহাকাশে গেল ইউরোপের ভেগা-সি রকেট
এ যুগের গবেষকদেরও মুগ্ধ করা মায়া কোডেক্স
চাঁদের নিজস্ব সম্পদ কাজে লাগিয়ে বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে দূষণমুক্ত করতে নতুন প্রযুক্তি
ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ক্যানসারে হয় না: গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোল্ড স্প্রিং হার্বার ল্যাবরেটরির (সিএসএইচএল) প্রফেসর ও গবেষক বো লির নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় ক্যানসার নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে—ক্যানসার নয়, বেশির ভাগ ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয় ‘ক্যাচেক্সিয়া’ রোগে। প্রফেসর বো লি আরও বলেছেন, ‌‌এটি খুবই মারাত্মক একটি সিনড্রোম। গবেষকরা দেখেছেন যখন ক্যানসারের টিউমার— ইন্টারলিউকিন-৬ (আইএল-৬) নামের একটি রোগ প্রতিরোধ অণুর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তখন এটির কারণে মারাত্মকভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এ কারণে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্যানসার রোগীর ‘ক্যাচেক্সিয়া’ রোগ হয়। সূত্র: ইন্দো এশিয়া নিউজ সার্ভিস ন্যাচার কমিউনিকেশন নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এই গবেষক আরও বলেছেন, ‌বেশিরভাগ ক্যানসার রোগীর মৃত্যু ক্যানসারের বদলে ক্যাচেক্সিয়ায় হয়। এখান থেকে ফেরার কোনো উপায় নেই। মূলত এই রোগের কোনো চিকিৎসাও নেই। একটি ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই প্রফেসর ও তার দল দেখেছেন, মস্তিষ্কের ‘এরিয়া পোসট্রেমা’ নামের একটি নিউরনে আইএল-৬ নামের রোগ প্রতিরোধী অণু প্রবেশে বাধা প্রধান করলে ইঁদুরের মধ্যে ক্যাচেক্সিয়া হয় না। প্রফেসর বো লি জানান, ভবিষ্যতে এসব নিউরন লক্ষ্য করে ওষুধ প্রয়োগ করে ক্যানসার ক্যাচেক্সিয়াকে একটি চিকিৎসাযোগ্য রোগে পরিণত করা যাবে। গবেষকরা বলছেন, প্রচুর পরিমাণে আইএল-৬ উৎপাদিত হওয়ায় ক্যানসার এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। যেটি শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যার মধ্যে অন্যতম হলো মানুষ ও প্রাণী খাবার খাওয়া ছেড়ে দেবে। অপরটি হলো ক্যাচেক্সিয়া হওয়া।  তার আরও জানান, সুস্থ রোগীদের মধ্যে আইএল-৬ একটি প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। এই অণু পুরো শরীরে প্রবাহিত হয়। যখন কোনো হুমকির সঙ্গে এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ করে— তখন এটির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে মস্তিষ্ককে সতর্ক করে দেয়।
কানাডার আকাশে ‘এলিয়েন’র মতো ওটা কী দেখলেন দম্পতি
পৃথিবীর বাইরেও কি প্রাণ আছে? মানুষের মতো বা মানুষের চেয়েও উন্নত কোনো প্রাণীদের গ্রহ রয়েছে? এই জল্পনা বহুদিনের। এলিয়েন বা ভিন গ্রহীদের পৃথিবীতে আগমন নিয়ে বিজ্ঞানমহলে বহু জল্পনা-কল্পনা থাকলেও এতদিন কোনো চাক্ষুস প্রমাণ মেলেনি। যদিও বহু বিজ্ঞানী এমন দাবি করেছেন, এলিয়েনরা আছে! কিন্তু এলিয়েনরা থাকলেও পৃথিবীর কোথায় থাকে তারা? অনেক বিজ্ঞানীদের দাবি, এলিয়েনরা বারবার পৃথিবীতে আসে মানুষ দেখতে। যদিও এটি একটি রহস্য হয়েই রয়ে গেছে। তবে এলিয়েনের অস্তিত্ব নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই কানাডার আকাশে দেখা গেল অদ্ভুত এক দৃশ্য। গত (১৪ মে) কানাডার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে ফোর্ট আলেক্সান্ডার ধরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন স্টেভেনসন ও তার স্ত্রী ড্যানিয়েলা ড্যানিয়েলস। হঠাৎই পাশের উইনিপেগ নদীর ওপর হলুদ রঙের উজ্জ্বল দুটি আলোর গোলক দেখতে পান তারা। সেগুলো থেকে আলো বের হচ্ছিল। ৪৯ বছর বয়সী স্টেভেনসন সঙ্গে সঙ্গে ওই দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করতে থাকেন। তার মনে হতে থাকে, তিনি হয়তো বহির্জাগতিক কোনো কিছুর সাক্ষী হচ্ছেন। পরে স্টেভেনসনের স্ত্রী ড্যানিয়েলা ভিডিও ফুটেজটি অনলাইনে পোস্ট করেন। ভিডিওতে স্টেভেনসনকে বলতে শোনা যায়, ‘এটা কী? আমার মনে হচ্ছে আমরা কয়েকটি এলিয়েন দেখছি।’ চোখ কপালে তোলা ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সূর্যের মতো দেখতে দুটি উজ্জ্বল গোলক উত্তর পাড় থেকে নদীর ওপর দিয়ে উড়ে দক্ষিণ পাড়ের দিকে যাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ড পর মেঘের আড়াল থেকে আরও দুটি গোলক বের হয়ে আসে। স্টেভেনসনের মনে হতে থাকে, উড়ন্ত যেসব বস্তু তিনি দেখেছেন, সেগুলো পৃথিবীর নয়। কেনেডি নিউজ অ্যান্ড মিডিয়াকে স্টেভেনসন বলেন, ‘মনে হচ্ছিল, আমরা সাই-ফাই সিনেমা দেখছি। সেগুলো ছিল খুবই উজ্জ্বল, মনে হচ্ছিল আকাশে আগুন জ্বলছে।’ এই কানাডীয় বলেন, ‘আমার আগে এসবে বিশ্বাস ছিল না। কিন্তু এটা আমাকে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দিয়েছে। আমি এখন বিশ্বাস করি, মানুষের বাইরেও অন্য কিছু রয়েছে।’ ৩২ বছর বয়সী ড্যানিয়েলস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করেন। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৬ লাখ ৫০ হাজার বারের বেশি দেখা হয়ে গেছে। সূত্র : নিউইয়র্ক পোস্ট
চমক লাগানো ১২৫ সিসির নতুন বাইক আনছে বাজাজ 
বাজারে ১২৫ সিসির নতুন মোটরসাইকেল আনছে বাজাজ। এই বাইকটি টেক্কা দেবে হিরো এক্সট্রিম ১২৫ এবং টিভিএস রেইডারকে।  বাইকের বেশ কিছু স্পাই শটও ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতে পাওয়া যাবে এলইডি লাইটিং এবং ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল, যা পালসার এন১৬০ ও এন১৫০ বাইকেও রয়েছে। এটি পালসার ১২৫-এর মতোই স্পেসিফিকেশন নিয়ে আসতে চলেছে। তবে ইঞ্জিনের শক্তি ও টিউনিং আলাদা হতে চলেছে। বাইকটির সামনে থাকবে ডিস্ক ব্রেক ও পেছনে থাকবে ড্রাম ব্রেক। এই বাইকে সিঙ্গেল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস) পাওয়া যাবে এবং থাকবে উন্নত সাসপেনশন সিস্টেম। বাইকে মিলবে ডায়মন্ড ফ্রেম চেসিস। যেহেতু হিরো এক্সট্রিমেও সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস রয়েছে তাই সেই ফিচার রাখতে এই বাইকেও পাবেন একই বৈশিষ্ট্য। বর্তমান বাজাজ পালসার ১২৫ এবং এনএস ১২৫-এর দাম ভারতে ৯০ হাজার ৭৭১ রুপি এবং ১ লাখ রুপি (এক্স-শোরুম)। আশা করা হচ্ছে, দুই দামের মাঝামাঝি থাকতে পারে নতুন বাজাজ পালসার এন১২৫। কারণ হিরো এক্সট্রিম এবং টিভিএস রেইডার দুই বাইকেরই এক্স-শোরুম দাম রয়েছে ১ লাখ রুপির কম।
আকাশে এক সারিতে দাঁড়াবে ৬ গ্রহ, খালি চোখেই দেখা যাবে আজ
পরপর ৬টি গ্রহকে একই সারিতে দেখার বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবী। বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে এ দৃশ্য। একই সারিতে আসবে বুধ, বৃহস্পতি, শনি, মঙ্গল, ইউরেনাস এবং নেপচুন। গ্রহের সারিবদ্ধতা এমন একটি ঘটনাকে বোঝায় যেখানে সৌরজগতের গ্রহগুলিকে পৃথিবী থেকে এক সরলরেখায় অবস্থান করতে দেখা যায়।  গত ৩১ মে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই সারিতে বুধ, বৃহস্পতি, শনি, মঙ্গল, ইউরেনাস এবং নেপচুন গ্রহকে সবচেয়ে ভালো করে দেখা যাবে ৩ জুন। তবে এরপরেও দেখা যাবে।  বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের ছয়টি গ্রহ কাছাকাছি আসতে চলেছে। পৃথিবী থেকে এই ছয়টি গ্রহকে এক সারিতে দেখা যাবে। এই দৃশ্য দেখা যাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও। প্রায় এক সারিতে অবস্থান করবে গ্রহগুলি। এরকমভাবে এক সারিতে একাধিক গ্রহঅবস্থান করলে তাকে মহাজাগতিক পরিভাষায় বলা হয় ‘প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট’। এতে গ্রহগুলি এত কাছাকাছি চলে আসে যে পৃথিবী থেকে তাদের একসারিতে মনে হয়। ৩ জুন থেকে পরিষ্কার আকাশে এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে। বিজ্ঞানীদের দাবি, ৩ জুনের আগেই সূর্যের অনেকটা কাছে চলে আসবে সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতি। তার পাশে আর কিছুদিনের মধ্যেই চলে আসবে বুধ। তারপর একে একে অন্য গ্রহগুলিকেও দেখা যাবে ওই সারিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট’ দেখার সবচেয়ে ভালো সময় হল ভোররাত। অর্থাৎ সূর্য ওঠার ঠিক আগে। ওই সময় আকাশের পূর্ব দিকে তাকালে শনি গ্রহ দেখা যাবে। হালকা হলুদ আভা থাকবে তাতে। শনির ঠিক নীচে দেখা যাবে লাল রঙের মঙ্গল গ্রহকে। পূর্ব দিগন্ত থেকে ১০ ডিগ্রিরও কম উচ্চতায় দেখা যাবে বুধকে। মঙ্গলের সামনে থাকবে বৃহস্পতি। আর সারির শেষদিকে থাকবে ইউরেনাস এবং নেপচুন। এই দুটি গ্রহের খালি চোখে দেখা পাওয়া যাবে না। এছাড়া শুক্র গ্রহ সূর্যের অনেক কাছাকাছি থাকায় সেটাও দেখা যাবে না। এই ছয় গ্রহর সঙ্গে থাকবে চাঁদও।’ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মেঘমু্ক্ত আকাশ থাকলে সূর্য ওঠার ২০ মিনিট আগে একে একে গ্রহগুলি পূর্ব দিকে দৃশ্যমান হবে। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে বা আকাশে মেঘ থাকলে তা দেখা যাবে না। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এমন সারিবদ্ধ পরিস্থিতিতে গ্রহগুলিকে স্বাভাবিকের তুলনায় আকারে অনেকটা বড় দেখানোর তথ্য সঠিক নয়। নিজেদের স্বাভাবিক অবস্থাতেই থাকে গ্রহগুলি। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশ থেকেই এই দৃশ্য দেখা যাবে আগামী কয়েকদিন।
প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করার নতুন উপায়
প্লাস্টিক পণ্য শুধু তখনই রিসাইকেল করা যায় যখন সেটি একই ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়৷ কিন্তু বেশিরভাগ প্যাকেজিংয়ে কয়েক ধরনের প্লাস্টিক থাকে৷ সে কারণে রিসাইকেল করতে চাইলে আগে বিভিন্ন প্লাস্টিক আলাদা করতে হয়৷ কীভাবে সেটা করা হয়? প্রথমে বর্জ্য টুকরো করেন সামান্থা ও তার দল৷ এরপর তাদের তৈরি গোপন এক রাসায়নিক মিশ্রণে সেগুলো মেশান৷ অন্য দুই সহকর্মী বার্দিয়া ভালিজাদেহ ও ক্রিস্টোফার আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে মিলে গোপন রিএজেন্টটি উদ্ভাবন করেছেন সামান্থা অ্যান্ডারসন৷ তারা তাদের উদ্ভাবনকে এখন ব্যবসায় পরিণত করছেন৷ সামান্থাদের প্রোটোটাইপ একটা প্ল্যান্টে আছে৷ সেখানে তাদের একটা ঘর আছে, যেখানে তারা তাদের কেমিক্যাল রিসাইক্লিং সিস্টেম তৈরি, পরীক্ষা ও তার মান উন্নয়ন করতে পারে৷ টেরেফথ্যালিক এসিড, যেটা পিইটি তৈরির মূল উপাদান, সেটা এই ফিল্টারে ধরা হয়৷ সামান্থা অ্যান্ডারসন বলেন, মিশ্রণে যদি পিইটি, আর পিভিসি থাকে, তাহলে বিক্রিয়াটা পিইটি প্লাস্টিককে লক্ষ্য করে হয়৷ বিক্রিয়ায় সময় পিভিসি প্রতিক্রিয়া দেখায় না, পিইটি দেখায়৷ সে কারণে আমরা আসলে পিইটি থেকে বিভিন্ন কঠিন পদার্থ পৃথক করতে পারি এবং তারপর আমরা পিইটি থেকে মনোমার পৃথক করতে পারি৷ এরপর মিশ্রণটা ছেঁকে নেওয়া হয়, যেটা নতুন প্লাস্টিক তৈরির মূল উপাদান৷ শেষে যা তৈরি হয়, তা হচ্ছে সাদা পাউডার৷ এটাকে (সাদা পাউডার) বলে বিশুদ্ধ টেরেফথ্যালিক এসিড৷ বর্তমানে এটা তেল ইন্ডাস্ট্রি থেকে পাওয়া যায়৷ অপরিশোধিত তেল একটা শোধন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং সেখান থেকে এই সাদা পাউডার পাওয়া যায়৷ এই পাউডার দিয়ে যে-কোনো ধরনের পিইটি পণ্য, পলিয়েস্টার, যে-কোনো ধরনের প্লাস্টিক, যার মধ্যে টেরেফথ্যালিক এসিড, তৈরি করা যায়৷ আর এখন আমরা তেল থেকে না করে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে এটা বানাতে পারছি৷ কিন্তু কেমিক্যাল রিসাইক্লিং কি টেকসই? সামান্থা বলেন, এটা নিরাপদ হতে পারে৷ আসলে আমরা যে রাসায়নিক ব্যবহার করছি তার বেশিরভাগের সংস্পর্শেই হয়ত আপনি নিয়মিত আসছেন৷ এটা হয়ত রুটি তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ হয়ত টুথপেস্টে আছে৷ ফলে এটা নিরাপদ হতে পারে, টেকসই হতে পারে৷ এটা শুধু সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়ার বিষয়, যেটা আমরা বের করেছি৷ এটাই আমাদের প্রযুক্তির বিশেষত্ব, কারণ রসায়নটা খুব সাধারণ৷ তারা তাদের কেমিক্যাল রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চান৷
দুর্দান্ত ফিচারে এলো নতুন ই-স্কুটার, এক চার্জেই চলবে ১৩৬ কিলোমিটার
দারুণ সব ফিচার নিয়ে দুর্দান্ত রেঞ্জের এক ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে আনলো অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। একবার ফুল চার্জেই ১৩৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম স্কুটারটি, ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে ভারতের বাজারে। পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার রুপি দামে।  লম্বা পথ পাড়ি দিতে স্কুটারটিতে যুক্ত করা হয়েছে ৩ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি। মে মাসের দ্বিতীয় ধাপ থেকেই শুরু হবে এর ডেলিভারি।  ইলেকট্রিক এ স্কুটারটি দুইটি ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করেছে অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। একটি বেস মডেল যার নাম ইএক্স। অন্যটি টপ মডেল এসটি। বেস মডেলটি ১ লাখ ১০ হাজার রুপিতে মিললেও টপ মডেলটির জন্য খরচ করতে হবে অতিরিক্ত আরও ১০ হাজার রুপি। স্কুটারটি পাওয়া যাবে চারটি রঙে- জান্সকার অ্যাকুয়া, লুনার হোয়াইট, ইন্ডিয়ান রেড এবং স্টিল গ্রে। স্কুটারটিতে যে ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হয়েছে, ৩.৩ কিলোওয়াট থেকে সর্বোচ্চ ৪ কিলোওয়াট শক্তি তৈরি করতে পারে তা। একবার ফুল চার্জে ১৩৬ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে সক্ষম ব্যাটারিটি। স্কুটারটির সর্বোচ্চ গতি ৯৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এতে চারটি রাইডিং মোড রয়েছে- ইকো, সিটি, পাওয়ার এবং লিম্প হোম। ১৬ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলেও স্কুটারটিকে চালানো যাবে বলে দাবি এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। ৩ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাকটি চার্জ হতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। অবশ্য ফাস্ট চার্জিংয়ের বিকল্প ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এতে। অ্যাম্পিয়ার নেক্সাসের এই স্কুটারটির সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ব্রেক দেওয়া হয়েছে। ১ লাখ ২০ হাজার রুপির এসটি মডেলটিতে গ্রাহকরা পাবেন ৭ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন, সঙ্গে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি এবং টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন। আর বেস মডেলে মিলবে ৬.২ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে, সঙ্গে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি। স্কুটারে মিউজিক কন্ট্রোল এবং চার্জিং স্টেটাসও দেখা যাবে। নতুন এই স্কুটারটিতে সিটের উচ্চতা রাখা হয়েছে ৭৬৫ মিলিমিটার। সম্পূর্ণ এলইডি লাইটিং ও ১৭০ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেনসের পাশাপাশি ২৩৫ মিলিমিটার ফ্লোরবোর্ড স্পেস রাখা হয়েছে এতে। মূলত পরিবার-কেন্দ্রিক একটি বাইক নির্মাণের প্রচেষ্টা থেকেই এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি বাজারে এনেছে অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। নিত্যদিনের যাতায়াতের জন্য বাড়ির সবাই যেন চালাতে পারেন সেই উদ্দেশ্যেই লঞ্চ করা হয়েছে নতুন এই ইলেকট্রিক স্কুটার।  
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ / বিরল মহাজাগতিক ঘটনা দেখল কোটি মানুষ
কোটি কোটি মানুষ সোমবার উত্তর আমেরিকার পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হলেন। মহাজাগতিক এ বিরল ঘটনায় এদিন বিশালকার সূর্যকে ঢেকে ফেলে তুলনামূলক ক্ষুদ্রাকার চন্দ্র। এক পর্যায়ে দিনের আলো নিভে গিয়ে চারদিক ঘন অন্ধকারে ঢেকে যায় আর হাজার হাজার মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়ে। বিরল এ দৃশ্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছে। খবর বিবিসি ও এপির। সোমবার উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে দেখা গেছে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। দেশ তিনটির ১৫৫ মাইল প্রশস্ত কিন্তু ৪০০০ মাইলেরও বেশি লম্বা ফিতার মতো একটি ভূখণ্ডজুড়ে কয়েক কোটি মানুষ বিরল এই দৃশ্য উপভোগ করেছেন। মেক্সিকোর মাজাতলান শহরের উষ্ণ বালুর সৈকত থেকে শুরু হয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বিপুল জলরাশির ওপরের আকাশ অন্ধকার করে দিয়ে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সমুদ্র তীরে গিয়ে শেষ হয় এই বিশেষ প্রাকৃতিক ঘটনা। পেছেনে রেখে যায় বিস্ময়াবিভূত কয়েক কোটি প্রত্যক্ষদর্শীকে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগেই জানিয়েছিল, এই তিন দেশে ৩ কোটি ১৬ লাখ মানুষ এই সূর্যগ্রহণ উপভোগ করতে পারবে। বিবিসি জানিয়েছে, মেক্সিকোর স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূলের মাজাতলান শহরের কাছ থেকে প্রথম এই সূর্যগ্রহণ দেখা যেতে শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে মনে হচ্ছিল চাঁদের কিনারাটি সূর্যকে একটু স্পর্শ করেছে মাত্র, কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূর্যকে ‘গ্রাস’ করতে শুরু করে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটি আর শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি ঢেকে দিলে হঠাৎ করেই অন্ধকার নেমে আসে। এ সময় উল্লাসে ফেটে পড়েন সূযগ্রহণ দেখতে জড়ো হওয়া হাজার হাজার মানুষ। চাঁদের কিনারা দিয়ে সূর্যের আলোকচ্ছটা (করোনা) বের হওয়ায় এক অপার্থিব দৃশ্য তৈরি হয়। এরপর আসে ‘ডায়মন্ড রিং’ এর বিরল মুহূর্ত। এ সময় হঠাৎ তাপমাত্রা কিছুটা নেমে যায়, প্রাণীরা চুপ হয়ে যায়, পাখিরা ওড়াউড়ি করে বাসায় ফেরার তোড়জোড় শুরু করে। দিনের আকাশেই তারা দেখা যেতে শুরু করে।     মেক্সিকোর উপকূলীয় শহর থেকে সূর্যগ্রহণের পথ এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। টেক্সাস অঙ্গরাজ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। সূর্যগ্রহণের সময় কয়েকশ মার্কিন জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৩টা ১৩ মিনিটে দেশটির মধ্যপশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ওহাইও অন্ধকারে ঢেকে যায়। এখানে আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করে সূর্যগ্রহণ দেখতে আসা লোকজন। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় শহর নিউ ইয়র্কে কয়েকশ মানুষ ম্যানহ্যাটনের আকাশচুম্বি ভবন অ্যাজ এর একটি উঁচু বড় বারান্দায় বসে সূর্যগ্রহণ উপভোগ করে। অবশ্য শহরটি থেকে পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায়নি। ঈদের চাঁদের মতো সূর্যের একটি অংশ দৃশ্যমান হয়ে ছিল, এ সময় অপার্থিব এক মৃদু আলোতে ছেয়ে যায় পুরো শহর।  যুক্তরাষ্ট্র থেকে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের দিক দিয়ে সূযগ্রহণ কানাডায় প্রবেশ করে। এখানে সীমান্তের উভয়পাশে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে গ্রহণ উপভোগ করে। তবে এখানে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ কিছুটা বিঘ্ন ঘটালেও পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় মেঘ সরে যায়।  এরপর কানাডার মন্ট্রিয়েল শহর হয়ে সূর্যগ্রহণ এগিয়ে যায় আরও উত্তর দিকে। মন্ট্রিয়েলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাঠে একসঙ্গে ২০ হাজার মানুষ পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ উপভোগ করে। এই পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ শেষ দেখা যায় কানাডার পূর্ব উপকূলের নিউফাউন্ডল্যান্ডের ফোগো দ্বীপ থেকে। ফেলে আসা পথের বিভিন্ন এলাকার তুলনায় এখানে অপেক্ষাকৃত কম মানুষ বিরল এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে জড়ো হয়েছিলেন।