• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ক্যানসারে হয় না: গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করার নতুন উপায়
প্লাস্টিক পণ্য শুধু তখনই রিসাইকেল করা যায় যখন সেটি একই ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়৷ কিন্তু বেশিরভাগ প্যাকেজিংয়ে কয়েক ধরনের প্লাস্টিক থাকে৷ সে কারণে রিসাইকেল করতে চাইলে আগে বিভিন্ন প্লাস্টিক আলাদা করতে হয়৷ কীভাবে সেটা করা হয়? প্রথমে বর্জ্য টুকরো করেন সামান্থা ও তার দল৷ এরপর তাদের তৈরি গোপন এক রাসায়নিক মিশ্রণে সেগুলো মেশান৷ অন্য দুই সহকর্মী বার্দিয়া ভালিজাদেহ ও ক্রিস্টোফার আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে মিলে গোপন রিএজেন্টটি উদ্ভাবন করেছেন সামান্থা অ্যান্ডারসন৷ তারা তাদের উদ্ভাবনকে এখন ব্যবসায় পরিণত করছেন৷ সামান্থাদের প্রোটোটাইপ একটা প্ল্যান্টে আছে৷ সেখানে তাদের একটা ঘর আছে, যেখানে তারা তাদের কেমিক্যাল রিসাইক্লিং সিস্টেম তৈরি, পরীক্ষা ও তার মান উন্নয়ন করতে পারে৷ টেরেফথ্যালিক এসিড, যেটা পিইটি তৈরির মূল উপাদান, সেটা এই ফিল্টারে ধরা হয়৷ সামান্থা অ্যান্ডারসন বলেন, মিশ্রণে যদি পিইটি, আর পিভিসি থাকে, তাহলে বিক্রিয়াটা পিইটি প্লাস্টিককে লক্ষ্য করে হয়৷ বিক্রিয়ায় সময় পিভিসি প্রতিক্রিয়া দেখায় না, পিইটি দেখায়৷ সে কারণে আমরা আসলে পিইটি থেকে বিভিন্ন কঠিন পদার্থ পৃথক করতে পারি এবং তারপর আমরা পিইটি থেকে মনোমার পৃথক করতে পারি৷ এরপর মিশ্রণটা ছেঁকে নেওয়া হয়, যেটা নতুন প্লাস্টিক তৈরির মূল উপাদান৷ শেষে যা তৈরি হয়, তা হচ্ছে সাদা পাউডার৷ এটাকে (সাদা পাউডার) বলে বিশুদ্ধ টেরেফথ্যালিক এসিড৷ বর্তমানে এটা তেল ইন্ডাস্ট্রি থেকে পাওয়া যায়৷ অপরিশোধিত তেল একটা শোধন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং সেখান থেকে এই সাদা পাউডার পাওয়া যায়৷ এই পাউডার দিয়ে যে-কোনো ধরনের পিইটি পণ্য, পলিয়েস্টার, যে-কোনো ধরনের প্লাস্টিক, যার মধ্যে টেরেফথ্যালিক এসিড, তৈরি করা যায়৷ আর এখন আমরা তেল থেকে না করে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে এটা বানাতে পারছি৷ কিন্তু কেমিক্যাল রিসাইক্লিং কি টেকসই? সামান্থা বলেন, এটা নিরাপদ হতে পারে৷ আসলে আমরা যে রাসায়নিক ব্যবহার করছি তার বেশিরভাগের সংস্পর্শেই হয়ত আপনি নিয়মিত আসছেন৷ এটা হয়ত রুটি তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ হয়ত টুথপেস্টে আছে৷ ফলে এটা নিরাপদ হতে পারে, টেকসই হতে পারে৷ এটা শুধু সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়ার বিষয়, যেটা আমরা বের করেছি৷ এটাই আমাদের প্রযুক্তির বিশেষত্ব, কারণ রসায়নটা খুব সাধারণ৷ তারা তাদের কেমিক্যাল রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চান৷
দুর্দান্ত ফিচারে এলো নতুন ই-স্কুটার, এক চার্জেই চলবে ১৩৬ কিলোমিটার
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ / বিরল মহাজাগতিক ঘটনা দেখল কোটি মানুষ
‘ঈশ্বর কণা’ আবিষ্কারক নোবেলজয়ী পিটার হিগস মারা গেছেন
বাংলাদেশ থেকে যেভাবে দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ
২০ মিনিটের চার্জেই ৭২০ কি.মি. পাড়ি দেবে নতুন ই-বাইক
পরিবেশবান্ধব মোটরযান হিসেবে বিশ্বজুড়েই চাহিদা বাড়ছে ইলেকট্রিক বাইকের। একদিকে তেল ভরার ঝক্কি নেই, অন্যদিকে একবারের চার্জে পাড়ি দেওয়া যায় অনেকখানি পথ। মানুষের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাই একের পর এক নতুন উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হচ্ছে ই-বাইক কোম্পানিগুলো। দ্রুত গতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে ই-বাইকের কার্যক্ষমতা আর ডিজাইনে।  তবে, এবার ই-বাইকের সব রেকর্ড ভাঙতে চলেছে থাইল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান স্মার্টটেক। সম্প্রতি ৪৫তম ব্যাংকক মোটর শো-তে ‘ফেলো টুজ’ নামে নিজেদের নতুন উদ্ভাবিত একটি ই-বাইক বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করেছে প্রতিষ্ঠানটি।  স্মার্টটেকের দাবি, বাজারের বড় বড় ইলেকট্রিক গাড়িকেও হার মানাতে সক্ষম তাদের নতুন ক্রুজার বাইকটি। একবার চার্জ দিয়েই ৭২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে বাইকটি নিয়ে। আর ফুল চার্জ হতে ‘ফেলো টুজ’ সময় নেবে মাত্র ২০ মিনিট।  নতুন এই বাইকটির ডিজাইন অনেকটা হোন্ডা গোল্ড উইংয়ের মতো রেখেছে স্মার্টটেক। বাইকটির পেছনে রয়েছে বড় পেনিয়ার বক্স। পাশাপাশি পিলিওন রাইডারদের জন্য আছে হেলান দেওয়ার ব্যবস্থাও। বাইকটিতে রয়েছে বিশাল ফ্লোরবোর্ড। যে পেনিয়ার বক্স দেওয়া হয়েছে তাতে অ্যাডভেঞ্চারের সমস্ত সামগ্রী বহন করা যাবে। বাইকের সর্বোচ্চ গতি ২০১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বাইকটির ব্যাটারি স্পেসিফিকেশন এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে ফেলো টুজে আরও একটি দারুণ ফিচার সংযোজন করা হয়েছে, যার নাম ভেহিকেল টু লোড। অর্থাৎ এক গাড়ির ব্যাটারি থেকে অন্য এক গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করা যাবে। এক্ষেত্রে অবশ্য দুই গাড়িতেই ভেহিকেল টু লোড বা ভি২এল ফিচার থাকতে হবে। ফেলো টুজে আরও কিছু চমকপ্রদ ফিচার রেখেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ১২ ইঞ্চি টিএফটি ডিসপ্লে রয়েছে এতে। এত বড় ডিসপ্লের দেখা মেলে না চার চাকার গাড়িতেও। ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি এবং নেভিগেশন ফিচার দুই-ই পাওয়া যাবে এই ডিসপ্লেতে। মিলবে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরাও। রাইডার ও পিলিওনের সুরক্ষার জন্য অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম আছে দুই চাকার বাহনটিতে। বাইকটি যেহেতু ওজনে ভারী এবং আয়তনে বড় তাই নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এতে এবিএস এবং ট্র্যাকশন কন্ট্রোল ফিচার দেওয়া হয়েছে। তবে এটি কিনতে কত খরচ হবে, তা এখনও ঘোষণা করেনি স্মার্টটেক।      
বড় পরিবর্তনের হাওয়া, সড়কে টোল কাটবে স্যাটেলাইট
বিভিন্ন সড়ক ও সেতু নির্মাণের পর টোল প্লাজাও স্থাপন করা হয় সেগুলোতে। ওইসব সড়ক ও সেতুতে যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় এইসব টোল প্লাজার মাধ্যমেই। উন্নয়নশীল থেকে উন্নত বিশ্বের প্রায় সবখানেই এমন পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত মোটামুটি সবাই। কিন্তু এবার বড় ধরনের পরিবর্তনের হাওয়া লাগছে দীর্ঘদিনের প্রচলিত এ পদ্ধতিতে।    সড়কে টোল আদায় পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে চলেছে ভারত সরকার। স্যাটেলাইট ভিত্তিক টোল কালেকশন সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে দেশটির কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ, এবার টোল আদায়ের জন্য সড়ক-মহাসড়কে টোল বুথের সামনে লম্বা লাইনের ঝামেলা পোহাতে হবে না যানবাহন চালক ও যাত্রীদের। জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্যাটেলাইটই কেটে রাখবে নির্ধারিত টোল।  পরিকল্পনাটিকে বাস্তব রূপ দিতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতের সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়। কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে টোল সংগ্রহ করা হবে দেশটিতে। কীভাবে কাজ করবে এই সিস্টেম সেই তথ্যও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি। তিনি জানিয়েছেন, নতুন টোল সিস্টেমে জিপিএস এবং ক্যামেরার ব্যবহার করা হবে। এর ফলে টোল বুথ ও ব্যারিয়ারগুলোর প্রয়োজন পড়বে না। জিপিএস ও ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে গাড়ি। সরাসরি গাড়ি চালকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে যাবে টোল ট্যাক্স। কত কিলোমিটার ভ্রমণ করেছে সেই গাড়ি, তার উপর নির্ভর করবে টোল ট্যাক্সের পরিমাণ। টোল আদায়ে বর্তমানে সর্বাধুনিক যে ব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যায় তা কাজ করে আরএফআইডি (RFID) প্রযুক্তির ভিত্তিতে। এটি হল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ। যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে গাড়িগুলো শনাক্ত করতে এবং ট্র্যাক করতে সাহায্য করে। বাংলাদেশেও এই সিস্টেম চালু আছে।  এ পদ্ধতিতে একটি ক্যামেরা বসানো থাকে টোল প্লাজায়। যা গাড়ির ফাস্ট্যাগ আইডি ট্র্যাক করে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা কেটে নেয়। তবে নতুন জিপিএস ভিত্তিক সিস্টেম বসলে এই আইডির প্রয়োজন কমে যাবে। ভারত সরকারের মতে, নতুন টোল সিস্টেম টোল সংগ্রহ প্রক্রিয়া দ্রুত এবং স্বচ্ছ করে তুলবে। এই মুহূর্তে প্রত্যেক টোল প্লাজাতে ট্যাক্সের পরিমাণ নির্ধারিত রয়েছে। যত কিলোমিটারই ভ্রমণ করেন না কেন যে টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেটাই জমা দিতে হয়। তবে নতুন ব্যবস্থা যোগ হলে এই টাকার অঙ্কে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।  
এক চার্জে ৯০০ কিলোমিটার চলবে শাওমির গাড়ি
প্রথমবারের মতো নিজেদের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনছে চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি।  চীনের বেইজিংয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘স্ট্যান্ডার্ড এসইউ৭’, ‘এসইউ৭ প্রো’ ও ‘এসইউ৭ ম্যাক্স’ সংস্করণের বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রদর্শনের পাশাপাশি প্রিঅর্ডার নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রিঅর্ডার নেওয়া শুরুর মাত্র ২৭ মিনিটের মধ্যেই ৫০ হাজার বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করেছে শাওমি। শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে এগুলোতে ই-মোটর হাইপারইঞ্জিন ভিএস ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে সংস্করণভেদে গাড়িগুলো এক চার্জে ৭০০ থেকে ৯০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। এ ছাড়া মাত্র ২ দশমিক ৭৮ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিও তুলতে পারে। শাওমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেই জুন জানান, ‌‘স্ট্যান্ডার্ড এসইউ৭’ সংস্করণের বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ ইউয়ান। ফলে গাড়িটি টেসলার ‘মডেল ৩’ বৈদ্যুতিক গাড়ির তুলনায় ৩০ হাজার ইউয়ান কমে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ‘এসইউ৭ প্রো’ ও ‘এসইউ৭ ম্যাক্স’ সংস্করণের গাড়িগুলোর দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯০০ ইউয়ান ও ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ ইউয়ান। আগামী এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ শাওমির ‘স্ট্যান্ডার্ড এসইউ৭’ ও ‘এসইউ৭ ম্যাক্স’ সংস্করণের বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে পাওয়া যাবে। আর মে মাসের শেষ দিকে মিলবে ‘এসইউ৭ প্রো’ সংস্করণের গাড়ি। সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন
মহাকাশে ডিনার করতে গুণতে হবে যত টাকা
মহাকাশে রেস্তোরাঁ খুলতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্পেসভিআইপি’ নামে একটি মহাকাশ পর্যটন সংস্থা। পৃথিবী থেকে রেস্তোরাঁটিতে গিয়ে ডিনার করতে চাইলে গুণতে হবে প্রায় ৫ কোটি ডলার। স্পেসভিআইপি জানায়, রেস্তোরাঁটি যেই মহাকাশযানে থাকবে, সেটি পৃথিবী থেকে ৯৮ হাজার ফুট উপর দিয়ে ভ্রমণ করবে। আপাতত রেস্তোরাঁটিতে ছয়জন অতিথির বসার টেবিল থাকছে। তারা ৬ ঘণ্টা মহাকাশ ভ্রমণ করবেন। আকাশে ভাসতে ভাসতে তারা রাতের খাবার খেতে পারবেন। এর জন্য মাথাপিছু খরচ হবে প্রায় ৫ কোটি ডলার। মহাকাশযানটি ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ২০২৫ সালে যাত্রা শুরু করবে। ইতোমধ্যে রেস্তোরাঁর জন্য বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা এক ড্যানিশ শেফকে নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি। সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার হলো মহাকাশযানে চড়ে ডিনার করতে যেতে যাত্রীদের বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ নিতে হবে না। এরইমধ্যে মহাকাশে ডিনার করার জন্য ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্পেসভিআইপি। এর আগে, ২০২৩ সালে ফরাসি সংস্থা জেফাল্টোও স্বল্প মূল্যে এ ধরনের একটি ভ্রমণের ঘোষণা দিয়েছিল। যার খরচ নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লক্ষ ৩২ হাজার ডলার।
নির্মল জ্বালানির উৎস হতে পারে প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন
পরিবেশবান্ধব জ্বালানির সন্ধানে হাইড্রোজেন অন্যতম সম্ভাবনাময় উৎস৷ কিন্তু সেই জ্বালানি উৎপাদনের ঝক্কি কম নয়৷ এবার মাটির নীচে প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের ভাণ্ডার কাজে লাগানোর উদ্যোগ শুরু হচ্ছে৷ পৃথিবীর গভীরে প্রচুর হাইড্রোজেন জমা রয়েছে৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মাটির নীচে এমন ভাণ্ডার লুকিয়ে আছে বলে অনুমান করা হয়৷ প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের এই ভাণ্ডার কি আমাদের চাহিদা মেটাতে টেকসই এক স্বর্ণখনির মতো হয়ে উঠতে পারে? যান চালাতে পেট্রোল ও ডিজেলের বিকল্প হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহার করা যায়৷ ইস্পাত ও রসায়ন শিল্পখাতকে পরিবেশবান্ধব করে তুলতেও সেই সম্পদ কাজে লাগানো যায়৷ কারণ কম্বাসচন প্রক্রিয়ার পর সে ক্ষেত্রে শুধু পানি অবশিষ্ট থাকে৷ প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন আমাদের গ্রহের কার্বন নির্গমন নাটকীয় মাত্রায় কমিয়ে আনতে পারে৷ তা সত্ত্বেও এই উৎস কেন কাজে লাগানো হচ্ছে না? ভূতত্ত্ববিদ ও স্টার্টআপ উদ্যোগপতি এরিক গোশের মনে করেন, পৃথিবীতে এখনো ভালোভাবে অনুসন্ধান চালানো হয়নি৷ মাটির গভীরে এখনো অনেক কিছু অজানা থেকে গেছে৷ মানুষ নিজেকে সবজান্তা মনে করলেও বাস্তবে সেটা ঠিক নয়৷ গ্রহের একটা বড় অংশে কোনো অন্বেষণ হয়নি৷ এরিক গোশের বহু বছর ধরে হাইড্রোজেনের প্রাকৃতিক উৎসের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন৷ ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমে পিরেনিস পর্বতমালায় এমন এক উৎস রয়েছে বলে তাঁর বিশ্বাস৷ তিনি বলেন, হাইড্রোজেনের অস্তিত্বের কিছু প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে, কারণ ভূপৃষ্ঠে তার কিছুটা বেরিয়ে আসছে৷ এমন সিপেজ বড় ফাটল বা টেকটনিক ফল্টের মধ্যে দেখা যায়৷ অর্থাৎ, একটি এলাকার গভীরে সীমাবদ্ধ৷ আমরা সেই এলাকাকে কিচেন বলি৷ মাটির গভীরে সেই কিচেন-এ হাইড্রোজেন সৃষ্টি হচ্ছে৷ ভূপৃষ্ঠের মধ্যে বৃষ্টির পানি চুঁইয়ে কিচেনের লৌহঘটিত শিলার সংস্পর্শে আসে৷ তখন হাইড্রোজেন বেরিয়ে এসে সেখানে জমা হয়৷ এখনো পর্যন্ত মাত্র একটি এমন হাইড্রোজেনের উৎস কাজে লাগানো হয়েছে৷ পশ্চিম আফ্রিকার এক গ্রামের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে একটি জেনারটর হাইড্রোজেন শক্তিতে চলছে৷ লাইবনিৎস ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. রুডলফো ক্রিস্টিয়ানসেন বলেন, মালিতে মাটির অগভীরে বিশাল পরিমাণে হাই কনসেন্ট্রেশন হাইড্রোজেন পাওয়া গেছে৷ প্রায় ১০০ থেকে ২০০ মিটার নীচেই সেই ভাণ্ডার রয়েছে৷ অন্যান্য দেশেও সেই প্রক্রিয়া নকল করে হাইড্রোজেন ব্যবহার করে ইলেকট্রিক গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করাই আমাদের উদ্দেশ্য৷ ফেয়ারি সার্কেল বলে পরিচিত এমন রিং হাইড্রোজেন ভাণ্ডারের ইঙ্গিত দেয় ড. ক্রিস্টিয়ানসেন বলেন, হাইড্রোজেন বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এলে এমন কাঠামো সৃষ্টি করে৷ স্যাটেলাইট ইমেজের সাহায্যে আমরা এমন কাঠামো চিহ্নিত করতে পারি৷ জানতে পারি, মাটির নীচে ঠিক কোথায় হাইড্রোজেন সৃষ্টি হচ্ছে বা অতীতে ঘটেছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু স্টার্টআপ কোম্পানি হাইড্রোজেনের সন্ধানে ড্রিলিংয়ের মতো ঝুঁকিপূর্ণ ও কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে৷ মোটা মুনাফার আশায় বিনিয়োগকারীরা সেই কাজে কোটি কোটি ডলার ঢালছেন৷ স্টার্টআপ উদ্যোগপতি ভিয়াচেস্লাভ জগোনিক বলেন, মাটির নীচ থেকে হাইড্রোজেন যে উত্তোলন করা যায়, সেটা হাতেনাতে দেখানোই ছিল ড্রিলিং-এর মূল কারণ৷ কারণ অনেক বিনিয়োগকারী ও অন্যান্যরা আমাকে বলেছেন, যে এত সহজে এমন সাফল্য তাদের অভাবনীয় মনে হচ্ছে৷ সেটা যে আদৌ সম্ভব, তা সবার আগে দেখিয়ে দিতে বলেছেন তাঁরা৷ কেউ বিশাল ভাণ্ডার আবিষ্কার করে মোটা অংকের অর্থ লাভ করতে পারেন৷ বিষয়টা অনেকটা পেট্রোলিয়াম যুগের সূচনার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে৷ কিন্তু এর আগে কেউ কখনো সেই চেষ্টা না করায় হাইড্রোজেনের জন্য ড্রিলিং বেশ ঝুঁকিপূর্ণ৷
কোয়ান্টাম ফিজিক্সে অভূতপূর্ব সাফল্য পেলেন বাংলাদেশি গবেষক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দীর্ঘ ১৫ বছর গবেষণার পর কোয়ান্টাম ফিজিক্সের কঠিন এক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন। আর এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন একজন বাংলাদেশি গবেষক। তার নাম এম জাহিদ হাসান। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নেচার ফিজিক্স জার্নালে প্রকাশিত সংখ্যায় এই তথ্য জানানো হয়।  এম জাহিদ হাসান ইতিমধ্যেই কোয়ান্টাম ফিজিক্স গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন। তিনি প্রিন্সটনের ল্যাবরেটরি ফর টপোলজিক্যাল কোয়ান্টাম ম্যাটার অ্যান্ড অ্যাডভান্সড স্পেক্ট্রোস্কোপির নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া জাহিদ হাসান ক্যালিফোর্নিয়ার লরেন্স বার্ক্লে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির একজন ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি সায়েন্টিস্ট এবং কোয়ান্টাম ফেনোমেনা ইন টপোলজিক্যাল ম্যাটেরিয়ালস ক্ষেত্রে তার গবেষণার জন্য বেটি অ্যান্ড গর্ডন মুর ফাউন্ডেশন থেকে ইপিআইকিউএস-মুর ইনভেস্টিগেটর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বিসমাথ ব্রোমাইড নামের মাত্র কয়েক ন্যানোমিটার প্রশস্ত একটি বস্তু ব্যবহার করেন এবং কোয়ান্টাম কোহেরেন্স নামের একটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হন আগের তুলনায় বেশি তাপমাত্রায়।  কোয়ান্টাম কোহেরেন্স হলো- কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অন্যান্য ধারণাগুলো হলো- সুপারপজিশন ও এনট্যাংগলমেন্ট। এগুলো বুঝতে হলে কোয়ান্টাম কোহেরেন্স জরুরি। কিন্তু কোয়ান্টার কোহেরেন্স পর্যবেক্ষণ করতে খুবই কম তাপমাত্রা (প্রায় পরম শূন্য) প্রয়োজন হতো। কিন্তু প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির এই গবেষণায় সাফল্য প্রমাণ করে যে, এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রাতেও কোয়ান্টার কোহেরেন্স পর্যবেক্ষণ সম্ভব।  বিসমাথ ব্রোমাইড ছিল এই গবেষণার তুরুপের তাস। বেশি দূরত্বে ও বেশি তাপমাত্রায় কোয়ান্টাম কোহেরেন্স ধরে রাখতে তা সক্ষম। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা অতীতের এক পরীক্ষায় বিসমাথ ব্রোমাইড তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এই প্রথম করা হলো কোয়ান্টাম কোহেরেন্স পর্যবেক্ষণে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা।  গবেষণাটির সাফল্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তা ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এমন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরিতে কাজে আসতে পারে। এ ছাড়া কোয়ান্টাম ফিজিক্স গবেষণা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও এর গুরুত্ব অপরিসীম। এক সময়ে সাধারণ ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর বদলে ইলেকট্রনের কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে এমন ডিভাইস সর্বজনীনভাবে ব্যবহার হবে, ফলে বিশাল পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ কমে আসবে বলে আশা গবেষকদের।
বিরল সূর্যগ্রহণ দেখবে বিশ্ব, দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার
আগামী ৮ এপ্রিল বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একই সঙ্গে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে দেখা যাবে না এটি। যুক্তরাষ্ট্রসহ তিন দেশে দিনকে রাতের মতো অন্ধকার দেখাবে। বিরল এক সূর্যগ্রহণের ফলে মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানুষ দেখবে এমন দৃশ্য। ওই দিন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার। প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দিন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে এ দৃশ্য দেখা যাবে। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একইসঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে এর দর্শন মিলবে না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের সূর্যগ্রহণ খুবই বিরল। পূর্ণ সূর্যগ্রহণের তারিখে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের মতো আকাশ অন্ধকার হয়ে যাবে। মূলত, সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ এলে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। নির্দিষ্ট সময় সূর্যকে সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করে ফেলে এটি। এতে সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। ফলে আকাশ হালকা অন্ধকার হয়ে যায়। সে সময়কে ভোর বা সন্ধ্যার মতো মনে হয়।