• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
পুলিশ সদস্যের হাতে কামড় দিয়ে গ্রেপ্তার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
সিরাজগঞ্জে নাশকতার ৬ মামলা, হাজারের বেশি আসামি
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার অভিযোগে গত ৭ দিনে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১৩০ জনের নাম উল্লেখসহ আসামি করা হয়েছে প্রায় এক হাজার মানুষকে। বুধবার (২৪ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জে সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম। জানা যায়, এ ছয় মামলা ছাড়াও বিভিন্ন নাশতকতার মামলায় জেলাব্যাপী অভিযান চালিয়ে সাতদিনে বিএনপি-জামায়াতের ১৪১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।   এ বিষয়ে ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহে পুলিশের কাজে বাধাদান, ফাঁড়িতে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে সদর থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। গত ১৭ জুলাই উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহাগ বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ১৯ জুলাই এসআই মুস্তাকিন বাদী হয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণের অভিযোগে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৯০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ২০ জুলাই পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এসআই দানিউল বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৯০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এছাড়া ২৩ জুলাই বহুলী ইউনিয়নের মাহবুবুর রহমান মুক্তা নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তার ওপর হামলা এবং বেইলি ব্রিজ ভাঙচুর ও গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।   এ দিকে কামারখন্দ থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ১৮ জুলাই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক অবরোধ করে সহিংসতার অভিযোগে এসআই রমেন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এসব মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।   অপরদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, কড্ডার মোড় অবরোধ করে পুলিশের কাজে বাধাদান ও নাশকতার অভিযোগে এসআই আলমগীর বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।   সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘এসব মামলায় এ পর্যন্ত ১৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
রাসিক মেয়রের সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের মতবিনিময়
কোটা সংস্কারে আন্দোলন : নাটোরে ৮ মামলায় গ্রেপ্তার ৭১
কোটা আন্দোলনকারী ১১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ায় প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর
বোনকে বাঁচাতে গিয়ে ভাইয়ের মৃত্যু
পাবনায় বিদ্যুতায়িত হয়ে ফারজানা ইয়াসমিন (১৯) ও রাসেল হোসেন (১৪) নামে আপন ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে আটঘরিয়া উপজেলার নরজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নরজান গ্রামের তাঁতি জাহিদুল ইসলাম হিরো মিয়ার মেয়ে ও ডেঙ্গারগ্রাম মহাবিদ্যালয়ের চলমান এইসএসসি পরীক্ষার্থী ফারজানা ও তার ছোট ভাই একদন্ত হাইস্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রাসেল। আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আশুরার ছুটি থাকায় সকাল ৯টার দিকে ফারজানা তার বাবার পাওয়ার লুমে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে গেলে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে তার ছোট ভাই রাসেল এগিয়ে গেলে সেও তারে জড়িয়ে পরে। এসময় তারা দুই ভাই-বোনই বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 
ডেপুটি স্পিকারের সুপারিশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পাবনা জেলা আদালতে সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত আইন কর্মকর্তা (জিপি, পিপি) সহ সকল আইন কর্মকর্তার নিয়োগে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সুপারিশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত পাবনা জেলা বারের সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ।  মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৪ টায় পাবনা জেলা আইনজীবি সমিতির মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর পাবনা জেলা বারের আইনজীবিরা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেলা আইনজীবি সমিতির ১৩ পদের ১৩টিতেই নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছেন। কিন্তু সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর নগ্ন হস্তক্ষেপে তাদের সেই শৃঙ্খলা ও ঐক্যবদ্ধতা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে যাচ্ছে।  আব্দুল আহাদ বাবু বলেন, শামসুল হক টুকু পাবনার আইনজীবিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং সৃষ্টি করতেই পাবনার কোন আইনজীবি নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ছাড়াই জিপি পদে অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান মুক্তা এবং পিপি পদে সাবেক তথ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের আত্মীয় অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম পটলকে সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি দেওয়ান মজনুল হক, অ্যাডভোকেট হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন, অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান, অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
কোটা আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক অবরোধ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বারঘরিয়ায় সকাল ১০টায় থেকে দুপুর সাড়ে ১টা পর্যন্ত দুই দফায় সড়ক অবরোধ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্ররা।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কলেজের পোশাক গায়ে আইডি কার্ড নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। তারা বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সেতুর দু’পাশে শত শত গাড়ি আটকে যায়। তবে জরুরি গাড়িগুলো পার করে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজের অধ্যক্ষ ও পুলিশ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে তাদের ক্লাসে পাঠান। শিক্ষার্থীরা জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তারা সড়ক অবরোধ করেছেন।  এ সময় হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। এ বিষয়ে ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘ছাত্ররা সড়ক অবরোধ করেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ সমন্বয় করে ক্লাসে পাঠিয়েছে।’
বগুড়া আজিজুল হক কলেজে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৪
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে কোটা আন্দোলনের পক্ষে সড়ক অবরোধের সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে কলেজের মেইন গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, সরকারি আজিজুল হক কলেজের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের তাফসির এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সুমন, অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মামুন এবং মিলন। তারা চারজন বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত তাফসির বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা কলেজের সামনে তিনমাথা থেকে সাতমাথা যে সড়ক আছে সেটি অবরোধ করি। প্রায় ২০ মিনিট আমাদের অবরোধ কর্মসূচি চলে। কর্মসূচি শেষ করে কলেজ থেকে ফিরছিলাম। সুমনও মেইন গেটের পাশে বসেছিল। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ করা হলে আমরা দুজনই আহত হই। এ ছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন।’ বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘আহত হয়েছে কি না, এ ব্যাপারে জানা নেই। এখন কলেজ ক্যাম্পাস শান্ত আছে।’
বিপৎসীমার নিচে সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি
বগুড়া সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে ১২ সেন্টিমিটার। ফলে এ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত কয়েক দিন ধরেই যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমির পাটগাছসহ ১ হাজার ৪৫৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।  এ দিকে কয়েক দিন ধরেই পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকার কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষ এখন তাদের নিজবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।  তবে উপজেলার বিশালাকার গো চারণভূমি পানিতে নষ্ট হওয়াতে এ উপজেলার ৭০ হাজার গবাদিপশু খাবার সংকটে রয়েছে।