• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাঁপাইনবাবগঞ্জে লালন ভক্তকুলের সাধুসঙ্গ
প্রচারে বাধা: কাজীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ
নির্বাচনী প্রচারে বাধা প্রদান এবং প্রতিপক্ষের কর্মী সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজীকে শোকজ করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে খলিল সিরাজীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজী তার কর্মী সমর্থকদের দিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আবুল কালাম আজাদ (দোয়াত কলম) ও কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলমের (ঘোড়া) নির্বাচনী প্রচারে বাধা প্রদান এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। যার ভিডিও ফুটেজসহ নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়াও এ সংক্রান্ত বিষয়ে কাজীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন তারা। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচনি আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩, ১৮ ও ৩১ এর পরিপন্থী। এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে খলিলুর রহমান সিরাজীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে পত্র প্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে তাকে লিখিতভাবে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ এবং কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজী ও তার লোকজন প্রতিটি ইউনিয়নে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। কর্মী-সমর্থকরা প্রচারে নামলেই তাদের মারধর করছে, পোস্টার ও লিফলেট কেড়ে নিচ্ছে ও ছিঁড়ে ফেলছে এবং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুমকি দিচ্ছে।’’ এ নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী থানায় চারটি জিডি করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে। প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকির কারণে ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী।  তাদের অভিযোগ, “প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কোনো নির্দেশনাই খলিলুর রহমান সিরাজী মানছেন না। তিনি প্রভাব বিস্তার করে মানুষের ভোটের অধিকার হরণের চেষ্টা করছেন।”  এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট ও ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন তারা। প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে কাজীপুর উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় মোট তিনজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
এটাই আমার লাস্ট বিসিএস!  
তীব্র তাপদাহে বেঁকে গেল রেললাইন
পরিত্যক্ত নলকূপে আটকা / সাড়ে ৫ ঘণ্টা চেষ্টা করেও বাঁচানো গেল না যুবককে
উত্তপ্ত রাজশাহী, তাপমাত্রা ছাড়াল ৪২ ডিগ্রি
পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে আটকা প্রতিবন্ধী যুবক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে রনি বর্মণ (২৩) নামে এক প্রতিবন্ধী যুবক পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের ভেতরে আটকা পড়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নেমাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানায়। রনি বর্মণ একই এলাকার চৈতন্য বর্মণের ছেলে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটকে পড়া যুবককে উদ্ধারে কাজ করছেন।  স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়। ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। প্রতিদিনের মতো খেলতে এসে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপের পাইপে আটকা পড়েন রনি। খবর পেয়ে নাচোল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ইউনিট। দুপুর তিনটার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রনি নামে ওই যুবককে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে পাইপের ভেতরে বাইরে থেকে বাতাস দেওয়ার চেষ্টা করছেন। নাচোল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনতাজুল হক বলেন, গভীর নলকূপের পাইপে এক যুবক আটকা পড়েছেন। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাকে উদ্ধার কাজ করছেন। এ বিষয়ে নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারেকুর রহমান জানান, রনি বর্মণ নামের প্রতিবন্ধী ওই যুবক ওই এলাকায় ঘুরাঘুরি করতেন। আজ পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের কাছে গেলে তিনি পড়ে যান। এ সময় মাঠের কয়েকজন কৃষক ওই নলকূপের কাছে পানি খাওয়ার জন্য এসেছিল, তারা ছেলেটির কান্নার আওয়াজ শুনে সবাইকে জানান। খবর পেয়ে সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে এখনও ওই যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নওগাঁয় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.২ ডিগ্রি 
নওগাঁ জেলায় তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস। যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল তিনটায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানিয়েছেন, আজ জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাতাসের আদ্রতা ২৭ শতাংশে পৌঁছেছে। আকাশ পরিষ্কার থাকায় রোদের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী কয়েক দিন জেলায় বৃষ্টির কোনো আগাম বার্তা নেই। দেশে যেহেতু হিট অ্যালার্ট চলছে, তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়াই ভালো।  এদিকে তীব্র তাপদাহে বিপাকে পড়েছেন জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। তাপমাত্রা বেশি থাকায় দৈনন্দিন কাজ করতে ব্যাঘাত ঘটছে। অনেক স্থানে কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছেন তারা। তীব্র গরমে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে অনেকে। জেলায় বর্তমানে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তীব্র তাপমাত্রায় অতি হয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। বৃষ্টির জন্য দুই হাত তুলে প্রার্থনা করেছেন তারা।  তীব্র গরমে বেশি পরিমাণে পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়াও হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন তারা।
৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের তালবারিয়া গ্রামের মো. সোহেল রানার ছেলে মো. আবু সাঈদ। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট, পুলিশের বড় কর্মকর্তা, এনএসআই কর্মকর্তা, অভিজাত হোটেলের ম্যানেজারসহ বিভিন্ন পরিচয় রয়েছে অষ্টম শ্রেণি পাস এই যুবকের। এসব পরিচয়ে ৩০ বছর বয়সেই ১৪টি বিয়ে করেছেন তিনি। জানা গেছে, বাবার স্টুডিওর দোকান থেকে ফটোশপে দক্ষ সাঈদের প্রতারণার প্রধান অস্ত্র টিকটক, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। যে নারী প্রতিষ্ঠিত, অর্থ-সম্পদ আছে সেই নারীদের টার্গেট করে সাঈদ টিকটক ও ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। সম্পর্কের পর বিয়ে করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে পালিয়ে যান তিনি। শুধু বিয়েই নয়, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এসব কারণে একাধিক মামলার আসামি হয়ে পলাতক রয়েছেন তিনি। ছোট থেকেই ধূর্ত আবু সাঈদ ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গুরুদাসপুরের একটি ক্লিনিকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় আটক হয়ে গত ৪ বছর এলাকা ছাড়া। তবে ফেসবুক ও টিকটকে কখনও পাইলটের পোশাকে, কখনও পুলিশের পোশাকে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। পরিবারের সঙ্গে গত চার বছরে দেখা করতে আসেননি তিনি। তবে বিভিন্ন সময়ে দূর-দূরান্ত থেকে আবু সাঈদের স্ত্রী পরিচয়ে অনেক নারী তার সন্ধানে আসেন। ২০১০ সালে জামালপুরের মাউশি এলাকার বৃষ্টি বেগম নামে একজনকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। ২০১২ সালে রাজশাহীতে বিয়ে করেন। ওই বছরেই পাবনার চাটমোহর এলাকায় একজনকে বিয়ে করেন। ২০২১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে ঢাকার একজনকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট টাঙ্গাইল সদর উপজেলা খাদিজা আক্তার সাদিয়াকে বিয়ে করেন।  ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর নাটোরের লালপুর উপজেলার এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালে আবারও টাঙ্গাইল মধুপুরের এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরায় এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২৩ সালেই আবার ঢাকার সাভারের এক নারীকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিয়ে করেন তিনি। ২০২৪ সালে ১৩তম স্ত্রী বরিশালে বিয়ে করেন। ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ে করে ১৪তম স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরে সংসার করছেন আবু সাঈদ। এ বিষয়ে পঞ্চম স্ত্রী দাবি করা খাদিজা আক্তার সাবিনা জানান, বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কমার্শিয়াল পাইলট পরিচয়ে প্রায় আড়াই বছর আগে টিকটকে আবু সাঈদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তখন তিনি জানিয়েছিলেন তার বাবা-মা কেউ নেই, এতিমখানায় বড় হয়েছেন। এরপর প্রেমের পর ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে আমাদের বিয়ে হয়। টাঙ্গাইল সদরে আমার একটি বিউটি পার্লার ও একটি এনজিও পরিচালনা করি। বিয়ের পর আবু সাঈদ আমার দুই বোন ও এক ভাতিজিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩০ লাখ টাকা চান, আমরা তাকে সেই টাকা দিই। কয়েক দিন পর আমার কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা নেন তিনি। কিছুদিন পরে তিনজনকেই নিয়োগপত্র দেন এবং বলেন তিন মাস পর চাকরিতে যোগদান করতে হবে। তিনি বলেন, একপর্যায়ে সাঈদের আসল ঠিকানা এবং তার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। তবে সাঈদ বুঝতে পেরেছিল আমি সব জেনে গেছি। এমনকি চাকরির জন্য যে নিয়োগপত্র দিয়েছিল সেগুলোও ভুয়া ছিল। এ কারণে আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সাঈদ। তারপর থেকে তাকে খোঁজার চেষ্টা করেও পাইনি। এসব ঘটনায় টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে সাঈদের নামে মামলা করেছি। সাঈদের সন্ধান করতে গিয়ে তার আরও চার স্ত্রীর খোঁজ পাই। তাদের সবার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। সবার কাছ থেকেই বিয়ের পর বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।  সাঈদের চতুর্থ স্ত্রী দাবি করা এক নারী বলেন, আমি কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে চাকরি করি। তিন বছর আগে আমাদের টিকটকে পরিচয়  হয়। এনএসআই কর্মকর্তার পরিচয়ে সে আমার সঙ্গে কথা বলতো। এরপর প্রেম ও বিয়ে হয় আমাদের। বিয়ের পর চাকরি করে জমানো প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সে। তখন থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ। আজ পর্যন্তও তার সন্ধান পাইনি। একই কথা জানিয়েছেন সাঈদের আরও পাঁচ স্ত্রী। সাঈদের প্রতিবেশী মাসুদ রানা বলেন, সাঈদ ফটোশপে নিজের ছবি এডিট করে পাইলট, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তার পরিচয় দেয়। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পোশাক পরে ছবি তুলে তা ফেসবুক ও টিকটকে পোস্ট করত। এতে সুন্দরী মেয়েরা অল্প সময়ে তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে যায়। সাঈদের বাবা সোহেল রানা বলেন, সাঈদের জন্য কোথাও মুখ দেখাতে পারি না। লজ্জা হয়, মাঝে মাঝে মরে যেতেও মন চাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েরা তার সন্ধানে আসে এবং ছেলের বউ হিসাবে পরিচয় দেয়। কিন্তু সাঈদের সঙ্গে গত চার বছরে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। পাশের গ্রামে সাঈদকে বিয়ে দিয়েছিলাম। সেই ঘরে ২টি সন্তান রয়েছে। ওই মেয়েটা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় করেছে। কিন্তু সাঈদ না আসায় বউমা এখন বাবার বাড়িতে চলে গেছে। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃষ্টির জন্য পাবনায় ইসতিসকার নামাজ
অতি তীব্র তাপদাহের সঙ্গে কড়া রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পাবনাসহ এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবন। অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে আম, লিচু ও ফসল। তীব্র এই গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে পাবনা জেলা শহরেরর টার্মিনাল এলাকার দারুল আমান ট্রাস্টের ক্যাম্পাসে খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন পাবনাবাসী। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টায় এ নামাজ ও দোয়া করেছেন তারা। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাবনা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ও মসজিদে আত তাকওয়ার পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুস শাকুর। নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র, যুবকসহ শহরের আশপাশের শতশত ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দেন, তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনাও করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা ঐতিহাসিক সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সোনামসজিদের আশেপাশের কয়েক গ্রামের শতাধিক মুসল্লি এ নামাজ আদায় ও বৃষ্টির জন্য মোনাজাতে শামিল হন। নামাজে ইমামতি করেন পিরোজপুর গ্রামের মাওলানা হুমায়ুন আলী। ঐতিহাসিক সোনামসজিদের ইমাম মাওলানা হিজবুল্লাহ বলেন, চলমান গরমে সাধারণ মানুষ প্রাণীকুল কষ্টে আছে, আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃতিতে স্বস্তি আসবে না।  তিনি আরও বলেন, আমরা ইসতিসকার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য ফরিয়াদ করেছি। 
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন সেই দেলোয়ার
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। ফলে সিংড়ার রাজনীতিতে একেবারে অপরিচিত মুখ দেলোয়ার হোসেন পাশা হঠাৎ করে ঢাকা থেকে এলাকায় এসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েই নির্বাচিত হয়ে গেলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।