• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বেগুন
১৭ কবরের মাটি সরানো, এলাকায় চাঞ্চল্য
পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন খাশ আমিনপুর কবরস্থান থেকে ১৭টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন প্রায় কয়েক হাজার উৎসুক জনতা।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে স্থানীয় ব্যক্তিরা হঠাৎ কবরস্থান জিয়ারত করতে এসে দেখতে পান ১৭টি কবরে মরদেহ নেই। চুরি হওয়া এক লাশের স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। মহাসড়কের পাশে এ কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। আমাদের দাবি পুলিশ দ্রুত এ ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে। এ দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ। ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, সকালে স্থানীয়রা কবরস্থানে গেলে এ ঘটনা সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওসি আরও বলেন, কবরগুলোর ওপরের মাটি সরানো। সেখানে কোনো মরদেহ নেই। কিন্তু চুরি হয়েছে কি না এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে কঙ্কালগুলো হারিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গোমস্তাপুরে ট্রাক্টর উল্টে চালক নিহত
২৯ পণ্যের বেঁধে দেওয়া দামকে ব্যবসায়ীদের বুড়ো আঙুল!
নাটোরে অবিশ্বাস্য দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি
১০০ টাকার বেগুন বগুড়ায় বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, মিলছে না ক্রেতা
নওগাঁ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নওগাঁয় জেলা কারাগারে সামিরুল সরদার (২২) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) ভোরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সামিরুল সরদার নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার তেমুখ সাপুরাপাড়া গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে।  নওগাঁ কারাগারের জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় করা মাদক মামলায় কারাগারে আসেন সামিরুল সরদার। এরপর আজ ভোরে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জেল সুপার আরও বলেন, হাজতির মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালেই রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।  
পাবনায় সর্বহারা পার্টির সাবেক সদস্যকে গুলি করে হত্যা
পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুরে চরমপন্থী দল সর্বহারা পার্টির সাবেক এক আঞ্চলিক নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  রোববার (১৭ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের মানিকনগর বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত আব্দুর রাজ্জাক শেখ (৩৮) গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়ণপুর গ্রামের মৃত আজিজুল শেখের ছেলে। রাজ্জাক নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (লাল পতাকার) আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অন্যান্য চরমপন্থীর সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি।  পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যায় ইফতার করে তারাবিহ এর নামাজের পর চা খাওয়ার জন্য মানিকনগর বাজারে যান আব্দুর রাজ্জাক। এরপর সেখানকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। এমন সময় দুটি মোটরসাইকেলযোগে ৫-৬ জন মুখোশধারী যুবক এসে তাকে পরপর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।    পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে এমনভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন পুলিশের কর্মকতা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। তিনি বলেন, নিহত আব্দুর রাজ্জাক নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। ঘটনার পরপরই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সেটি এখনো জানা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
ইফতার করতে গিয়ে পরিচ্ছন্ন শহর নোংরা করল রাজশাহী জেলা আ.লীগ
পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম দেশ-বিদেশে। সেই শহরের অলোকার মোড়ে ইফতারের আয়োজন করে স্থানটিকে রীতিমতো ভাগাড়ে পরিণত করেছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ।  রোববার (১৭ মার্চ) এ ইফতার অনুষ্ঠানের পর ওই এলাকার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। উঠেছে প্রতিবাদ আর নিন্দার ঝড়। ক্ষুব্ধ নগরবাসী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সমালোচনাও করছেন। এ দিকে রোজা শুরুর আগেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইফতার পার্টি না করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশনা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এবার ইফতার পার্টি করছে না। তবে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ করেছে এর ব্যতিক্রম। রোববার বিকেলে নগরীর অলোকার মোড়ে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা। ইফতার শেষে খাবারের প্যাকেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুরো অলোকার মোড় ও আশপাশের এলাকা নোংরা করা হয়েছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ওই এলাকাজুড়ে। জেলা আওয়ামী লীগের এই কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ নগরবাসী।   নগরবাসী বলছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি রাজশাহী নগরী। পরিচ্ছন্নতায় রাজশাহী নগরীর সুনাম দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে রাজশাহী মহানগরবাসীও এখন অনেক সচেতন। নগরবাসী কেউ যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ও কোন খাবারের প্যাকেট ফেলেন না। কিন্তু আজ নগরীর বাইরে থেকে এসে ইফতার মাহফিল আয়োজন করে শহর নোংরা করে যাওয়া হলো। ইফতারের প্যাকেট ও উচ্ছিষ্ট এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে যাওয়া কোন সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না। এটি বহিরাগতদের পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারণ এই শহরের প্রতি তাদের কোনো ভালোবাসা ও দায়িত্ব নেই। বিশিষ্টজনরা আরও বলছেন, ইফতার আয়োজন যারা করেছেন, তাদের উচিত ছিল এলাকাটি পরিষ্কার করা। কিন্তু তারা তা না করে পুরো এলাকাটি নোংরা করে গেছেন। যিনি প্রধান অতিথি ছিলেন, তিনিও কিছু বলেননি। এখন ওই এলাকা দিয়ে চলাফেরা করা কষ্ট হচ্ছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করেন শহরকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে। সেখানে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা শহরে এভাবে অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা করে যাবে, এটি কাম্য হতে পারে না। শহর নোংরা করে তারা নিজেদের রুচি ও মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইফতারের আয়োজন এবং শহরকে এভাবে নোংরা করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই ইফতার পার্টি না করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে তার দলের নেতাকর্মীরা ইফতারের আয়োজন করলেন। এটা গরিব মানুষের সঙ্গে তামাশা। জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাল। তারা যেভাবে শহর নোংরা করে গেলেন তা দুঃখজনক। অন্য কেউ করলে অপরাধ, এমপি-মন্ত্রীরা করলে অপরাধ নয় এটা তো হতে পারে না।’ জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি না করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের এটা ইফতার পার্টি ছিল না। আমাদের আলোচনা সভা ছিল। এর সঙ্গে নিজেরা ইফতার করেছি, কিছু বিতরণ করা হয়েছে।’ শহর নোংরা করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরা লোক লাগিয়ে দিয়েছি। রাতের মধ্যেই আমরা পরিষ্কার করে ফেলব।’
৪ সাংবাদিকের ওপর হামলা, ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ১৪৪ ধারা ভেঙে বিবদমান জমি দখলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) রাত ১০টার দিকে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার পাঁচবিবি উপজেলা প্রতিনিধি জুয়েল শেখ। আহত সাংবাদিকরা হলেন-মামলার বাদী দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের পাঁচবিবি উপজেলা প্রতিনিধি জুয়েল শেখ, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জয়পুরহাট সংবাদদাতা ও দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশ এর জেলা প্রতিনিধি আল মামুন, পাঁচবিবি উপজেলা প্রতিনিধি দৈনিক সংবাদ সারা বেলা’র বাবুল হোসেন, ও দৈনিক মুক্ত সকালের জয়পুরহাট প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক। মামলার বিবরণ দিয়ে জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুজ্জামান জানান, পাঁচবিবি উপজেলার পিরপাল গ্রামের দরিদ্র আদিবাসী ও স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিবাদ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। শনিবার দুপুরে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি তার লোকজনদের নিয়ে ওই বিবদমান সম্পত্তি দখল করতে যান, এমন খবর পেয়ে ওই সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের একপর্যায়ে ওই প্রভাবশালীর পক্ষ নিয়ে স্থানীয় মহিপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হকের নেতৃত্বে ৯ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই সাংবাদিকদের বেধড়ক মারপিট করে আহত করেন। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে বিকেলে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং রাতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়।  এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি রাশেদুজ্জামান ও পাঁচবিবি উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুহুল আমিন জানান, অবিলম্বে মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্তদের বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান জানান, মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।  
কেজিতে নয়, পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রির নির্দেশ
নাটোরে তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি না করে পিস হিসেবে বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।  রোববার (১৭ মার্চ) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বাজার তদারকি অভিযান থেকে এ নির্দেশনা দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর। এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বলেন, রোববার থেকে কোনো ব্যবসায়ী কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন না। কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত বছর জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে সকল মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীকে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি না করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এবার আবারও ব্যবসায়ীরা জমি থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে এনে বাজারে তা কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন এবং ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম নির্ধারণ করছেন।  তিনি আরও বলেন, বাজার তদারকি অভিযানে শহরের নিচাবাজারের দুটি ফলের দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিপণী বিতানে ঘুরে ঘুরে পণ্যের সঠিক মূল্য প্রদর্শন এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২ 
পাবনার ঈশ্বরদীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা গেছেন সিয়াম হোসেন ও মিজানুর রহমান নামের দুই বন্ধু। এ সময় আহত হয়েছেন অপর এক মোটরসাইকেলে থাকা ২ আরোহী। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ঈশ্বরদী-বাঘা আঞ্চলিক মহাসড়কের গোকুলনগর চক্ষু হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সিয়াম ঈশ্বরদী পৌর শহরের ভাদুর বটতলা এলাকার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে ও মিজান পিয়ারাখালি এলাকার নাজমুল ইসলামের ছেলে। আহত একজনের নাম জানা গেছে। তিনি হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বেংগাড়ী গ্রামের সোবহান কাজীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫)। আহত আরেকজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মোটরসাইকেলযোগে বাঘা থেকে ঈশ্বরদী যাচ্ছিলেন শফিকুল ইসলাম। আর ঈশ্বরদী থেকে বাঘার দিকে মোটরসাইকেলযোগে নানার বাড়ি শেখেরচর গ্রামে যাচ্ছিলেন দুই বন্ধু সিয়াম ও মিজান। পথিমধ্যে গোকুলনগর চক্ষু হাসপাতালের সামনে দুই মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতির কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা আহত চারজনকে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে সিয়াম ও মিজানের অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে মারা যান দুই বন্ধু সিয়াম ও মিজান। আহত দুজনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।