• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
মাছ চুরি করতে গিয়ে ছাত্রদলের ৭ জন গ্রেপ্তার
পৌরসভার ল্যাম্পপোস্ট নিজের বাড়িতে নিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সৌর ল্যাম্পপোস্ট তুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে জুয়েল রানা নামে স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। জুয়েল রানা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সম্পাদক। স্থানীয়দের অভিযোগ, জোরপূর্বক জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ল্যাম্পপোস্টটি মাটি খুঁড়ে তুলে বাড়িতে নিয়ে যান জুয়েল রানা। তালতলা এলাকার বটতলা মোড়ে সৌর ল্যাম্পপোস্টটি স্থাপন করেছিল পৌরসভা।  এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জুয়েল রানা বলেন, ‘ল্যাম্পপোস্টটি আমার জমিতে স্থাপন করা হয়েছিল। সিঁড়িঘর নির্মাণের জন্য ল্যাম্পপোস্টটি তুলেছি। এটি আবার পুঁতে দেবো।’ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সচিব এসএম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের অনুমতি ছাড়া কেউ ল্যাম্পপোস্ট সরিয়ে নিতে পারেন না। এটি সরকারি সম্পদ। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আরটিভি/এমকে
ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার 
কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে চার মাস পর চালু স্পিডবোট সার্ভিস
সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে ভারতকে হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে: সারজিস 
পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরা আসামি ছিনতাই
সাঁথিয়ায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে লাভবান কৃষক
কৃষি প্রধান দেশে পাবনার সাঁথিয়া কৃষি উৎপাদনে জেলার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সাঁথিয়ায় মসলাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য উৎপাদনে যেমন সুনাম রয়েছে তেমনি অসময়ে কৃষি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে কৃষক। একই জমিতে তিন থেকে চার ফসল উৎপাদন করছে কৃষকেরা। এখন সারা দেশে চলছে পেঁয়াজ চাষের প্রস্তুতি। আর সাঁথিয়ার কৃষক পেঁয়াজ জমি থেকে উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করছে। অফ সিজন বা অসময়ের ফসল হিসেবে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে এ বছর বেশি লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।   কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় বেশ ভালো উৎপাদন হচ্ছে। আধুনিক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে ফলন বেশি পাওয়া যাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তিতে আবাদ করা এ পেঁয়াজ বিঘা প্রতি ফলন হচ্ছে ৬৬-৮০ মণ। এতে বিঘা প্রতি প্রায় ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা লাভ হচ্ছে কৃষকদের। এই সময়ে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষি সাঁথিয়া পৌরসভার মুরাদুজ্জামান, নন্দনপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, কাশিনাথপুর ইউনিয়নের করিয়াল গ্রামের রজব আলী, শরিফ হোসেন জানান, এবছর জুলাই মাসে বীজ তলা তৈরি করে চারা উৎপাদন করে ৪০ দিন বয়সের চারা সেপ্টেম্বর মাসের ২য় সপ্তাহে জমিতে লাগানো হয়। পরিচর্যা, সেচ, সুষম সার প্রয়োগ শেষে ডিসেম্বরে প্রথম থেকেই পেয়াজ উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করছেন কৃষকের। তারা আরও বলেন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উত্তোলন করে এখন শীত মৌসুমের সিজনাল পেঁয়াজ চাষ হবে একই জমিতে। যার ফলে অধিক লাভবান হচ্ছেন তারা। আগামীতে আরও বেশি জমিতে গ্রীষ্ম কালীন পেঁয়াজ চাষ করবে বলে আশা করছেন তারা। উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জীব গোস্বামী জানান, গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ উৎপাদন প্রণোদনা মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প, লাভজনক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের পেয়াজ চাষ করা হয়। ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। গড় ফলন ৬৬-৮০ মন বিঘা প্রতি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিঘায় ৯০ মণের অধিক ফলন পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। আরটিভি/এএএ  
রূপপুরের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি: অর্থ উপদেষ্টা
রূপপুরের নিরাপত্তার বিষয়টি যতটা সম্ভব আমরা খতিয়ে দেখছি বলে জানিয়েছেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পাবনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।  এর আগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ দলকে সঙ্গে নিয়ে উপদেষ্টা রূপপুর প্রকল্প ঘুরে দেখেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার পক্ষে। রূপপুর আমাদের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট, এটা বিদ্যুতের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক হবে। এটা নিয়ে আগের সরকার কী করেছে না করেছে সেটা অন্য জিনিস, কিন্তু আমরা এটা শেষ করার পক্ষে, সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। আর নিরাপত্তার বিষয়টি যতটা সম্ভব আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বড় প্রকল্প হিসেবে যেটুকু মেয়াদ বেড়েছে তা খুব বেশি নয়, আর সুদের বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ রয়েছে। এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোকাব্বির হোসেন, পাবনা জেলা প্রশাসক মফিজুল হক, পুলিশ সুপার মোর্তজা আলীসহ সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এমকে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজ ৩ মাদরাসা শিক্ষার্থী ৩ দিন পর উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়ি থেকে মাদরাসার উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজের তিন দিন পর তিন শিক্ষার্থী উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের দৃষ্টিনন্দন পার্কে চলমান ইসলামী মাহফিলের গেট থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) নূরুল কাদির সৈকত।  জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর থানায় ওই শিশুদের তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সময়মতো মাদরাসা না যাওয়ায় শিক্ষকদের ভয়ে তারা তিন দিন ঘোরাঘুরি করে পার করেছে বলে জানা যায়।  শিক্ষার্থী তিনজন হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর নারায়ণপুর ইউনিয়নের সাতরশিয়া গ্রামের মো. শাহলালের ছেলে মো. আবদুল্লাহ (১২), মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. শাহীন আলী (১৩) ও মো. কুড়হান আলীর ছেলে মো. আরাফাত (১২)। তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিদিরপুর দারুল উলুম কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) নূরুল কাদির সৈকত বলেন, ঘটনা জানার পরই পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। জিডি হবার পর তৎপরতা বাড়িয়ে শিক্ষার্থী তিনজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়। আরটিভি/এমকে/এআর
ব্যাংকের দুই এজেন্টকে অপহরণ, ২৮ লাখ টাকা ছিনতাই
২৮ লাখ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে লাহিড়ী মোহনপুর যাওয়ার সময় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দুই এজেন্টকে অপহরণসহ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া পৌর এলাকায় সরকারি আকবর আলী কলেজ এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে ওই দুজনকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। খবর পেয়ে অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অপহৃতরা হলেন, উল্লাপাড়া উপজেলার ঝিকিড়া গ্রামের মামুন হোসেন (২৩) ও মাটিকোড়া গ্রামের মেরাজ হোসেন (৩৫)। দু’জনই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কর্মচারী ছিলেন তারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মিরাজ ও মামুন একটি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। তারা সরকারি আকবর আলী কলেজ রোড এলাকায় পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাসে এসে অপহরণকারীরা মোটরসাইকেলটি আটকে দেয়। এ সময় তাদের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মীর বাবু জানান, মামুন ও মিরাজ দুইজন মোটরসাইকেল যোগে ২৮ লাখ টাকাসহ উল্লাপাড়া আউটলেট থেকে লাহিড়ী মোহনপুর আউটলেটে যাচ্ছিলেন। সরকারি আকবর আলী কলেজ রোড এলাকায় পৌঁছালে ৫ থেকে ৬ জন অপহরণকারী মাইক্রোবাস থেকে নেমে দুই কর্মচারীর মুখ চেপে ধরে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গেছেন। সিরাজগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া সার্কেল) অমৃত সূত্রধর আরটিভি নিউজকে জানান, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দুই এজেন্টকে অপহরণের বিষয়টি জেনে আমরা দুই কর্মচারী ও টাকা উদ্ধারে অভিযান চালাই। অভিযানে হাটিকুমরুল বনপাড়া মহাসড়কে নিয়ামতপুর সড়কের পাশ থেকে ওই দুই কর্মচারীকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলছেন, অপহরণকারীরা ২৮ লাখ টাকা নিয়ে তাদের মহাসড়কের পাশে ফেলে গেছেন। তিনি আরও জানান, পুলিশ তদন্ত ও অভিযান শুরু করেছে। দ্রুত অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। আরটিভি/এএএ 
নওগাঁয় ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি
বাজারে গরুর মাংসের দামের ঊর্ধ্বগতিতে দিশে হারা সাধারণ ভোক্তারা। ৭৫০টাকা কেজি গরুর মাংস অনেকেই কিনে খেতে পারে না। তার ওপর আবার পরিমাণের বিড়ম্বনার জন্য অনেকে হয়তো বছর খানেক মুখে নিতে পারেনি এই মাংসের স্বাদ। এবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেই মাংস ক্রেতা নিতে পারবেন ৫৫০ টাকা কেজিতে। নওগাঁর মান্দা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার উপজেলা সংলগ্ন বাজারে এই মাংস নিতে পারবে সবাই।  জেলা প্রশাসক আবদুল আউয়াল এর পরিকল্পনায় ১২ ডিসেম্বর থেকে এই ৫৫০টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি শুরু করে মান্দা উপজেলা প্রশাসন। প্রথম দিনে ১৩৫ কেজি মাংস মাত্র ৩০ মিনিটেই বিক্রি হয়ে যায়। সর্বোচ্চ ১ জন ১ কেজি এবং সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম মাংস কিনে নিতে পারবেন ক্রেতা। এই বাজারের উদ্বোধন করেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়া। ক্রেতারা কম দামে মাংস কিনে নিতে পেরে খুশি। এমন ব্যবস্থা যদি সরকার করে থাকে তবে সেটা তাদের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করেন তারা । তারা জানিয়েছেন, ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি গরুর মাংস অনেকেই খেতে পারে না। তার মধ্যে আবার অল্প পরিমাণ কেনারও ব্যবস্থা থাকে না বাজারে। এই দোকানে কম দামের পাশাপাশি স্বল্প পরিমাণে মাংস কিনতে পেরে তারা খুশি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গরুর মাংস খেতে কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে বলে তারা জানান।  ক্রেতারা দাবি জানান- এমন ব্যবস্থা যেন সবসময় থাকে। এতে করে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে। এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়া জানিয়েছেন, বাজারে তুলনামূলক ভাবে গরু মাংসের দাম ৭০০ টাকা কেজি। ফলে সমাজের গরীব অসহায় মানুষ ইচ্ছে হলেও মাংস কেনার সামর্থ্য ছিল না। এখানে ২৫০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ১ কেজি পর্যন্ত মাংস একজন ক্রয় করতে পারবে।  এর ফলে সাধারণ মানুষ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মাংস কিনে খেতে পারবে। এছাড়া বাজারে গরুর মাংসের বিক্রেতাদের প্রশাসনের এমন ন্যায্য দামে বিক্রির নিয়ে কোন আপত্তি না থাকার কথা তিনি জানিয়েছেন। এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, জবাইকৃত গরুটিকে প্রথমে ভালোভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তারপর মাংসের উপযোগী করা হয়েছে। এর ফলে ভোক্তাদের এই মাংস কিনে খেতে কোন সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি। আরটিভি/এএএ
ট্রানজিট পয়েন্ট পরিদর্শন নেপাল দূতাবাস কর্মকর্তার
বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ট্রানজিট পয়েন্টের রহনপুর রেলওয়ের শেষপ্রাপ্ত শিবরামপুর পরিদর্শন করেছেন নেপাল দূতাবাসের ঢাকা মিশনের উপপ্রধান মিসেস ললিতা শীলওয়াল।  বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে রেলওয়ের মোটর ট্রলিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশন থেকে শিবরামপুর পয়েন্টে পৌঁছান তিনি। সেখানে বাংলাদেশের জিরো পয়েন্ট ঘুরে দেখেন। ১৬ বিজিবি বাঙ্গাবাড়ি বিওপির সদস্যরা অতিথিদের বরণ করেন। এ সময় নেপাল দূতাবাসের ঢাকা মিশনের দ্বিতীয় সচিব মিস ইয়োজানা বামজান, বাংলাদেশ রেলওয়ের ইন্টারচেঞ্জ শাখার উপপরিচালক মিহরাবুর রশিদ খান ও রহনপুর রেলস্টেশনের সহকারী মাস্টার মামুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ট্রানজিট ব্যবহার করে রাসায়নিক সার আমদানি করে থাকে নেপাল। ললিতা শীলওয়াল সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের এ ট্রানজিট পয়েন্টটি তাদের নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ। এটি নেপালের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী ট্রানজিট রুট। এ রুট ব্যবহার করে তারা লাভবান হচ্ছেন। এ জন্য তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের ইন্টারচেঞ্জ শাখার উপপরিচালক মিহরাবুর রশিদ খান জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতায় আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের জন্য পাঁচটি ট্রানজিট ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ও দিনাজপুরের বিরল। তাই গুরুত্ব বিবেচনায় কীভাবে এ পয়েন্ট দিয়ে বাণিজ্য বাড়ানো যায় এজন্যই আজকের এ পরিদর্শন।  ১৯৭৮ সালে ৪২ কিলোমিটার ভারতীয় অংশের ট্রানজিট নিয়ে পণ্য পরিবরহন করে থাকে নেপাল। আরটিভি/এএএ/এস