• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন সেই দেলোয়ার
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। ফলে সিংড়ার রাজনীতিতে একেবারে অপরিচিত মুখ দেলোয়ার হোসেন পাশা হঠাৎ করে ঢাকা থেকে এলাকায় এসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েই নির্বাচিত হয়ে গেলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। 
নাটোরে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
প্রেমিককে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম করলেন প্রেমিকা
নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে ২ বোনের মৃত্যু
ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ‘গোশত সমিতি’
ছাত্রীনিবাস থেকে কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
নাটোরে ছাত্রীনিবাস থেকে নুসরাত জাহান মারিয়া (১৮) নামের এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে শহরের উত্তর বড়গাছা (জলারপার) এলাকার হাফসা ছাত্রীনিবাস থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে, পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে নুশরাত জাহান মারিয়া ওরফে বৈশাখী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি নাটোর এনএস সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। তিনি সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম মৃধার মেয়ে। ওই ছাত্রীনিবাসের মালিক হাবিবুর রহমান চুন্নু জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে ছাত্রীনিবাসের তৃতীয় তলার ছাত্রীরা আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, বৈশাখীর রুমের দরজা বন্ধ রয়েছে, ডাকলেও কোন সাড়া দিচ্ছে না। এরপর আমি তার পরিবার ও পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে বৈশাখীর রুমের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রুমের দরজা ভেঙে বৈশাখীর মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।   
আর সত্যি কথা বলবেন না আবুল কালাম আজাদ
নাটোর-১ (লালপুর) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ নির্বাচনে খরচ করা এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তোলার ঘোষণা দিয়ে এখন তোপের মুখে৷ সংবিধান ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তার শাস্তি দাবি করছেন অনেকে৷ এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি যে কথা বলেছি তা সত্য এবং সরল বিশ্বাসে বলেছি৷ তবে এখন মনে হচ্ছে সব সত্য কথা এভাবে বলতে নাই৷ ভবিষ্যতে এভাবে সত্য কথা বলবো না৷ আবুল কালাম আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হয়েছেন৷ ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷ নাটোরের লালপুর উপজেলায় ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আবুল কালম আজাদ বলেন, নির্বাচনে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে৷ এটা আমি তুলবো, যেভাবেই হোক৷ এটুক অন্যায় আমি করবোই৷ তাপর আর করবো না৷ তিনি আরো বলেন, ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি৷ ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি কিনেছি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে৷ ইচ্ছা করলে আমি এক কোটি টাকা দিয়ে গাড়ি কিনতে পারতাম৷ কিন্তু আমার যেহেতু টাকা নাই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম৷ এবার আমি কিনবো, ওই টাকা দিয়ে কিনবো৷ ওই টাকা আমি তুলে নেবো৷ পরে আর কিছু করবো না৷ খালি এই এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলবো৷ সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ শুক্রবার বলেন, আমি একজন আইনজীবী৷ এছাড়া আমার আয়ের আর কোনো উৎস নাই৷ অনেক লোককে সহায়তা করতে হয়৷ করোনার সময় অনেককে সহায়তা করেছি৷ এখন আবার পাঁচ বছর করতে হবে৷ আমি কোথায় টাকা পাবো? এক প্রকল্পের টাকা আরেক প্রকল্পে নেবো৷ এক প্রকল্প থেকে টাকা বাঁচিয়ে সেই টাকা দিয়ে মানুষকে সহায়তা করবো৷ এগুলোও দুর্নীতি, অনিয়ম৷ কিন্তু এছাড়া তো আর উপায় নাই৷ তার কথা, সংসদ সদস্য হিসেবে আমার পাঁচ বছরের বেতন-ভাতা এক কোটি ২৬ লাখ টাকা৷ সেই টাকা তো নির্বাচনে খরচ করে ফেলেছি৷ তাই আমি সেই টাকা তোলার কথা বলেছি৷ আর এটা সত্য যে, নির্বাচনে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ের সীমা থাকলেও আমার এক কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে৷ সেটা তো আমি বলতে পারবো না৷ তবে আমি ওই কথা বলেছি মানুষকে বাস্তব পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য৷ এটা ছিল কথার কথা৷ আমি শেষে বলেছি যে, আমি দুর্নীতি করবো না৷ তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে আমি বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছি৷ আমি ছাড়া আর কোনো প্রার্থী ছিল না৷ তখন আমার নির্বাচনে কোনো টাকা খরচ হয়নি৷ এবার তো হয়েছে৷ ওই ধরনের কথা আইন ও সংবিধানের লঙ্ঘন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে সব সত্য কথা এভাবে প্রকাশ্যে বলতে নেই৷ এটা আমি বুঝতে পেরেছি৷ বুঝতে পেরেছি যে, কিছু কথা গোপন রাখতে হয়৷ ভবিষ্যতে এভাবে সত্য কথা আর বলবো না৷ ওই আসনের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মো. শহীদুল ইসলাম বকুল এবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে হেরে যান৷ তিনিও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি৷ তার মতে, এমপি সাহেব যা বলেছেন তাতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত৷ আমি নিজেও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি৷ দেখি তার বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কিনা৷ তার কথা, আবুল কালাম সাহেব এরকম কথা আগেও বলেছেন৷ ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এমপি হয়ে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর লালপুরের প্রধানমন্ত্রী আমি৷ এরপর তিনি দল থেকে আর মনোনয়ন পাননি৷ তিনি বলেন, একজন আইন প্রণেতা হয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি যা বলেছেন, তা আমাদের স্বাধীনতার চেতনা এবং সংবিধানের লঙ্ঘন৷ আশা করি, দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে৷ বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আসলে দেশে যে আইনের শাসন নেই সেটা ওই এমপি সাহেবের বক্তব্যের পর আবারও প্রমাণিত হলো৷ কারণ, তিনি সংবিধানের অধীনে শপথ নেয়ার পর দুর্নীতি করার কথা বলেছেন, এটা সংবিধান লঙ্ঘন ছাড়াও ফৌজদারি অপরাধ৷ তিনি একজন আত্মস্বীকৃত অপরাধী৷ কিন্তু এখনো তার বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷ যেখানে তিনি ওই কথা বলেছেন, সেই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছেন ইউএনও৷ তিনিও কোনো আইনগত উদ্যোগ নেননি৷ দেশে এখন আইনের শাসন নাই৷ আওয়ামী লীগ যা করবে, তাই আইন৷ ওই এমপি সাহেব স্বতন্ত্র হলেও তিনি আওয়ামী লীগেরই লোক৷ তার কথা, এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়৷ তাই এদের কোনো জবাবদিহিতা নাই৷ এরা দুর্নীতি করে৷ এবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে দুর্নীতি শুরু করেছে৷ আর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হেসেন বলেন, এমপি সাহেব ওই কথা যদি বলে থাকেন, তাহলে তা দুঃখজনক৷ তারপরও তিনি কী ব্যাখ্যা দেন তা দেখার আছে৷ তার কথা, এখন নির্বাচন কমিশন দেখতে পারে যে, তার ওই কথার ওপর ভিত্তি করে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা৷ আর দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি৷ হয়ত পরবর্তী সভায় বিষয়টি নিয়ে আলাপ হবে৷ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ৷ তারপরেও সব পর্যায়ে দুর্নীতি আছে৷ সেটা রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সবখানেই৷ সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ওই এমপি যেহেতু নিজেই স্বীকার করছেন যে, তিনি ২৫ লাখ টাকার বেশি নির্বাচনে খরচ করেছেন৷ আর হিসাব দিচ্ছেন ২৫ লাখ টাকার৷ এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারেন৷ আর দুর্নীতি করার ঘোষণা দিয়ে তিনি দেশের প্রচলিত আইনেই অপরাধ করেছেন৷ এটা স্পিকার বা অন্য কোনো সংস্থা দেখতে পারে৷ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক বলেন, তিনি সংবিধান ও আইনের লঙ্ঘন তো করেছেনই, একই সঙ্গে আমাদের রাজনীতির দেউলিয়াত্ব তার কথায় প্রকাশ হয়েছে৷ তার মতে, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ মতে, ওই এমপির বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে পারেন স্পিকার৷ তিনি বিষয়টি সংসদেও তুলতে পারেন অভিশংসনের জন্য৷ আর নির্বাচন কমিশন ২৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করার কথা তিনি যেহেতু স্বীকার করছেন, তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে৷ দলেরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন৷ আর সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, যেভাবেই হোক ওই এমপি সাহেব মুখ ফসকে সত্য কথা বলে ফেলেছেন৷ বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও খারাপ৷ তার কথা, উনি যেহেতু নির্বাচনে নির্ধারিত সীমার বেশি খরচ করেছেন এবং সেই টাকা আবার দুর্নীতির মাধ্যমে তোলার কথা বলেছেন এটা নৈতিক স্খলন৷ এটার জন্য তিনি দণ্ডিত হতে পারেন৷ যেহেতু তিনি শপথ নিয়েছেন তাই সংসদকে উদ্যোগ নিতে হবে৷ স্পিকার যদি নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাঠান, তাহলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য৷
‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এইটা আমি তুলব, যেভাবেই হোক। এটুকু অন্যায় আমি করব, আর করব না।’ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) জেলার লালপুর উপজেলা পরিষদে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এমন বক্তব্য দেন। তার এ বক্তব্যের ভিডিও এখন ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়েছে। ভিডিওতে সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আপনার টাকা আমার প্রকল্প থেকে দিয়েছি। আমি তো বাড়ির জমি বিক্রি করে দিইনি। আমার বেতন-ভাতার টাকাটাও দিইনি। গত পাঁচ বছরের বেতন-ভাতার এক কোটি ২৬ লাখ টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না। আগামীতেও থাকবে না। তবে নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা আমি তুলবো, যেভাবেই হোক আমি তুলবো। এইটুক অন্যায় করবো, আর করবো না।’ তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি কিনেছিলাম ২৭ লাখ টাকা দিয়ে। আমি চাইলে এক কোটি টাকা দিয়ে কিনতে পারতাম। যেহেতু আমার টাকা নেই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এবার আমি কিনব, ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই টাকা, আমি তুলে নেবো এবার। নিয়ে আর কিছু করবো না। খালি এই এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রকল্প থেকে আগে সাইকেল দিছি, দরকার হলে মোটরসাইকেল দেব অসুবিধা নেই। আমি অন্যায় করবো না। যার টাকা তাকে দেব।’ সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদের এ বক্তব্য নিয়ে বিব্রতবোধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও। নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, আবুল কালাম আজাদ দলীয় অনুষ্ঠানে এমন বক্তব্য দেননি। এটি তার নিজস্ব বক্তব্য, এর দায়ভার আওয়ামী লীগ নেবে না। এই দায়ভার তার একদম নিজস্ব। তার এ বক্তব্যকে কাণ্ডজ্ঞানহীন। লালপুরের ইউএনও শারমিন আখতার সংসদ সদস্যের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, এমপি যা বলেছেন, তা সম্পূর্ণভাবে তার নিজস্ব ব্যাপার। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।  বক্তব্যের বিষয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে। আমি সিরিয়াস কোনো কথা বলিনি, কথার কথা বলেছি। এটা মজা করেও বলা যেতে পারে।  
নাটোরে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, আড়াই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
নাটোরে লালমনি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল আড়াই ঘণ্টা বন্ধ ছিল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুলপুর থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে বিকল ইঞ্জিনটি উদ্ধার করার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেসর ইঞ্জিন বিকল হয়ে জংলি ও ইয়াসিনপুরের মাঝখানে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে ছিল। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিকল ইঞ্জিনটিকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
নাটোরে অবিশ্বাস্য দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি
ঢাকার বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। রমজান শুরুর আগেই ঢাকায় সবজির দাম বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। রমজান শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বহু গুণ। যেখানে ঢাকায় নিত্যপণ্য কিনতে দিশাহারা ক্রেতা-ভোক্তা। সেখানে অবিশ্বাস্য দরে সবজি বিক্রি হচ্ছে নাটোরে। কয়েক দিন আগেও নাটোরে সবজির বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে, মুলা ২ থেকে ৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, করলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, লালশাক এক টাকা আটি, ধনেপাতা ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি, ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। এ দিকে নাটোরে কম দামে সবজি কিনতে পেরে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। কিন্তু সবজির বাজারে এমন ধস নামায় দিশেহারা কৃষক। মৌসুমের শুরুতে উৎপাদিত সবজির ভালো দাম পেয়েছিলেন কৃষকরা। আশা ছিল ভরা রমজানে আরও বেশি দামে বিক্রি করবেন। উল্টো রমজানের সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই সবজির দাম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সবজি বিক্রি করে পরিবহন খরচই উঠছে না তাদের। সবজির দাম কমে যাওয়ায় নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে নাটোরের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দামের কারণে আমরা তো সবজি খাওয়া প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। এখন বাজারে যা দাম, এমনটা হলে আমাদের সবজির ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারব।  একজন রিকশাচালক খুশি হয়ে বলেন, সারা দিনে যা উপার্জন করি, তা চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় সবজির দাম কম হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি। এ বিষয়ে রাজশাহীর বাগমারা থেকে নাটোর স্টেশন বাজারে আসা এক কৃষক হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের উৎপাদিত শাকসবজি আমরা নাটোর স্টেশন বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে সবজির দাম কমে গেছে তাতে আমাদের পরিবহন খরচ নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে। সরকার একটা ব্যবস্থা না নিলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। সবজির দাম নিয়ে বাগমারা থেকে আসা অপর এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, তেল সার কীটনাশক বীজের আকাশ ছোয়া দামের কারণে সবজি উৎপাদনে খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি হয়েছে। এমতাবস্থায় বাজার পরিস্থিতি এমন থাকলে পথে বসতে হবে কৃষকদের। শুধু কৃষকরাই ধাক্কা খায়নি। সেই সঙ্গে খুচরা বিক্রেতারাও ধাক্কা খেয়েছে অনেক বড়। এ প্রসঙ্গে নাটোর স্টেশন বাজারের একজন খুচরা বিক্রেতা জানান, আগে এক কেজি পণ্য বিক্রি করলে ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ হতো। সেখানে সবজির প্রতি কেজি যদি দুই থেকে পাঁচ টাকা হয় তাহলে লাভ কীভাবে হবে। এমন অবস্থায় ক্রেতারাও যাতে সহনীয় দামে পণ্য কিনতে পারেন এবং কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারাও স্বাভাবিক দাম রেখে তাদের পণ্য কেনাবেচা করতে পারেন এমনটাই প্রত্যাশা নাটোরবাসীর। জানতে চাইলে নাটোরের ভারপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জুয়েল সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারব হঠাৎ কেন বাজারের এই অবস্থা হলো।’
কেজিতে নয়, পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রির নির্দেশ
নাটোরে তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি না করে পিস হিসেবে বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।  রোববার (১৭ মার্চ) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বাজার তদারকি অভিযান থেকে এ নির্দেশনা দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর। এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বলেন, রোববার থেকে কোনো ব্যবসায়ী কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন না। কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত বছর জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে সকল মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীকে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি না করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এবার আবারও ব্যবসায়ীরা জমি থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে এনে বাজারে তা কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন এবং ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম নির্ধারণ করছেন।  তিনি আরও বলেন, বাজার তদারকি অভিযানে শহরের নিচাবাজারের দুটি ফলের দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিপণী বিতানে ঘুরে ঘুরে পণ্যের সঠিক মূল্য প্রদর্শন এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।