• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ‘জ্বীন টু’
কলকাতার সিনেমায় তারিন
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এবার কলকাতার সিনেমায় অভিষেক হলো টিভি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন জাহানের। সিনেমার নাম ‘এটা আমাদের গল্প।’ ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে এটি মুক্তি পেয়েছে। নির্মাণ করেছেন মানসী সিনহা। নিজের সিনেমা মুক্তি নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তারিন। সেখানে কথা বলেছেন এই সিনেমায় যুক্ত হওয়াসহ নানান বিষয়ে।  তারিন বলেন, এই সিনেমায় দর্শক আমাকে দেখবেন বাংলাদেশের মেয়ে হিসেবে, যার বিয়ে হয় কলকাতায়। যে সংসারে বিয়ে হয়, মূলত সেই সংসারের গল্প নিয়েই এগিয়েছে সিনেমার কাহিনি। এটি পরিবারসহ সবাইকে নিয়ে দেখার মতো একটি সিনেমা। আশা করি, সবার ভালো লাগবে।  প্রায় তিন দশক ধরে দেশের টেলিভিশন নাটকে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করা এই অভিনেত্রী জানালেন কীভাবে তিনি যুক্ত হয়েছিলেন ‘এটা আমাদের গল্প’ সিনেমায়। তিনি বলেন, মানসী দিদি বেশ আগে একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। তখনই প্রথম তার সঙ্গে দেখা হয়। তারপর তিনি আমার মোবাইল নম্বর নিয়ে যান। পরবর্তীতে সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করেন। গল্পটা বলেন। প্রথম শোনাতেই গল্প আমার ভালো লেগে যায়। এরপর যুক্ত হই। এইতো এভাবেই কাজটা করা।   ‘এটা আমাদের গল্প’ সিনেমায় প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও অপরাজিতা আঢ্য। তারিন এখানে অভিনয় করেছেন অপরাজিতা আঢ্যের ছেলের বউয়ের চরিত্রে। চরিত্রের নাম মিসেস বসু। তারিনের পাশাপাশি এই সিনেমায় খরাজ মুখোপাধ্যায়, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোহাগ সেন, আর্য দাশগুপ্ত, তাপসী মুন্সী প্রমুখ অভিনয় করেছেন।
শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পাচ্ছেন জায়েদ খান!
স্ত্রী শ্রীময়ীকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক
অটোগ্রাফ দিয়ে প্রতারণার শিকার অভিনেত্রী!
এক রুমে ৫ জনের সঙ্গে ছিলেন নেহা!
বলিউডের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নেহা কক্কর। ১৯৮৮ সালের ৬ জুন উত্তরাখণ্ডে জন্ম তার। ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক দুর্দশা, কষ্টে বেড়ে উঠতে হয়েছে তাকে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সেই দিনগুলোর গল্প বলেছেন নেহা।  নিম্নবিত্ত পরিবারের সাধারণ মেয়ে ছিলেন এই সংগীতশিল্পী। অভাবের মধ্য দিয়েই কেটেছে শৈশব। বাবার সঙ্গে জাগরণে যাওয়ার স্মৃতি আজও মনে পড়ে নেহার। প্লেব্যাক সিঙ্গার সোনু কক্করের ছোট বোন তিনি। তাদের একজন ভাইও রয়েছে, যার নাম টনি কক্কর। তিনি নিজেও গায়ক। শৈশবেই রোজগারের জন্য পরিবারসহ দিল্লিতে চলে যান নেহা। একরুমে দুই ভাইবোন এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে মোট পাঁচজনে মিলে থাকতেন। অর্থকষ্টে এর চেয়ে দামি ঘর ব্যবস্থা করা সম্ভব ছিল না তাদের জন্য।  দিল্লির উত্তম নগরের নিউ হলি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন নেহা। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়ে রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর সিজন ২-এ প্রতিযোগী হিসাবে উপস্থিত হন। এরপরই বদলে যেতে শুরু করে নেহার জীবন। ডাক পেয়ে যান বলিউডে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক গানে জনপ্রিয়তা পেয়ে যান ভারতজুড়ে।  এসবের মাঝেও পুরোনো স্মৃতি আজও ভোলেননি নেহা। গত বছর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দুটি ছবি শেয়ার করেন তিনি। একটিতে দেখা যায়, গ্র্যান্ড বাংলোর বাইরে পোজ দিচ্ছেন। অপরটিতে, পুরোনো বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে।   জীবন কতটা বদলে গেছে সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন নেহা। অতীতকে আজও স্মরণ করেন তিনি। তাই হয়তো কোনো প্রতিযোগীর জীবন সংগ্রামের কথা শুনলে তার চোখ ভিজে যায়। বছরখানেক আগেই পাঞ্জাবি গায়ক রোহনপ্রীত সিংকে বিয়ে করেন নেহা। এর আগে আদিত্য নারায়ণ ও হিমাংশ কোহলির সঙ্গে নেহার নাম জড়িয়েছিল। রোহনপ্রীত সিং পাঞ্জাবের বাসিন্দা। সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পসের মাধ্যমে লাইমলাইটে প্রবেশ করেন।
বিয়ের আগেই সন্তান জন্ম, স্বামীকে নিয়ে মুখ খুললেন সেই অভিনেত্রী
বলিউডের এ প্রজন্মের অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডিক্রুজ। ‘বরফি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। গেল বছর পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন তিনি। তার সন্তান জন্মের খবরে নড়েচড়ে বসেছিলেন নেটিজেনরা। বিয়ের আগে সন্তানের আগমনের বিষয়টি অনেকেই সেসময় ভালো চোখে দেখেননি। কটাক্ষে মেতেছিলেন কেউ কেউ। অভিনেত্রীর সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। তারপর জানা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মাইকেল ডোলানকে বিয়ে করেছেন ইলিয়ানা। এবার অভিনেত্রী মুখ খুললেন তার স্বামী মাইকেলকে নিয়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইলিয়ানা বলেন, বিবাহিত জীবন সুন্দরভাবে চলছে। আমি তার কোনো জিনিসটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি, তা বলা সত্যিই কঠিন। আমাকে সত্যিই ভাবতে হবে কারণ আমার মনে হয় যখনই আমি এরকম কোনো উত্তর দেই, সেখানে কিছু না কিছু বাকি থেকে যাবে। পরেরদিন হঠাৎ করে তোমার মাথায় আসবে। আরও বলেন, তিনি আমাকে আমার সবচেয়ে খারাপ সময় পার করতে দেখেছেন। তিনি আমাকে আমার সেরা কিছু সময়ের মধ্য দিয়েও দেখেছেন। তিনি প্রথম দিন থেকেই আমার পাশে ছিলেন। তার ভালোবাসার অবিচ্ছিন্ন সমর্থন আমার প্রতি ছিল সবসময়তেই। অনেকটা আমার সিনেমা দো অর দো প্যায়ারের মতো। অস্ট্রেলিয়ার ফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রিউ নিবোনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ইলিয়ানা। একাধিকবার তার সঙ্গে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছেন। ২০১৯ সালে দুজনের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসে। অ্যান্ড্রিউ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করতে চাইলেও ইলিয়ানা বিচ্ছেদের খবর স্বীকার করে নেন।  তারপর খবরে এসেছিল ক্যাটরিনা কাইফের ভাই সেবাস্টিয়ান লরেন্ট মিশেলের সঙ্গে প্রেম করছিলেন ইলিয়ানা। সেই প্রেম নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাকে। এরপর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দিয়ে হইচই ফেলে দেন তিনি। পরে প্রকাশ করেন সন্তানের বাবার পরিচয়।
টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি, সেই হলে যাচ্ছেন আদর-পূজা
গত এক দশক ধরে বন্ধ ছিল বগুড়ার ধুনট উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ঝংকার সিনেমা হল। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে চালু করেই দর্শক টানতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করে হল কর্তৃপক্ষ। দেয় বিশেষ অফার। ১০০ টাকার টিকিট কাটলেই এক প্যাকেট বিরিয়ানি একদম ফ্রি। মুহূর্তেই বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে দেশব্যাপী। যা চোখ এড়ায়নি ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘লিপস্টিক’-এর অভিনয়শিল্পী আদর-পূজারও। তার সূত্র ধরেই শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) হলটিতে যাচ্ছেন তারা। জানা যায়, ১৯৮৪ সালে ঝংকার সিনেমা হলটি নির্মাণ করা হয়। ঈসা খানের মালিকানাধীন এ হলটি শুরুতে ভালো চললেও এক পর্যায়ে তা দর্শকশূন্যতার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। যা পুনরায় গত ২০ এপ্রিল চালু করা হয় বিশেষ অফারের মাধ্যমে। বর্তমানে হলটিতে চলছে আদর আজাদ ও পূজা চেরি অভিনীত এবং কামরুজ্জামান রোমান পরিচালিত ঈদের সিনেমা ‘লিপস্টিক’। নিজেদের সিনেমায় টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি দেওয়ার খবরটি ‘ভাইরাল’ হলে দৃষ্টিগোচর হয় আদর-পূজার। এতে উচ্ছ্বসিত হন তারা। তারই প্রেক্ষিতে নেন এই ভালোলাগার বিষয়টি দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করার পরিকল্পনা। সব ঠিক থাকলে আদর, পূজা, নির্মাতা রোমানসহ সংশ্লিষ্টরা শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) হাজির হচ্ছেন ঝংকার সিনেমা হলে। বিষয়টি নিয়ে আদর আজাদ বলেন, আজ আমরা বগুড়ার ধুনটের ঝংকার সিনেমা হলে যাচ্ছি। সেখানে তিনটার শো’তে উপস্থিত থাকবো। দর্শকদের সঙ্গে আড্ডা দেবো। তারপর আজ রাতেই আবার ঢাকায় ফিরবো। তিনি আরও বলেন, টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি দেওয়ার ব্যাপারটা ব্যতিক্রম। সে কারণে আসলে আলাদা করে সাড়া পড়েছে। মূলত এজন্যই আমরা হল মালিক ও দর্শকদের কৃতজ্ঞতা জানাতেই সেখানে যাচ্ছি। ঈদের মুক্তির পর শুরুতে কম পেলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে ‘লিপস্টিক’ সিনেমার হল সংখ্যা। বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন আদর আজাদ। তিনি বলেন, প্রথমে যখন আমরা হল কম পেয়েছিলাম, তখনই বলেছিলাম এই সিনেমার দম আছে। আস্তে ধীরে হল বাড়বে। এখন সেটাই হচ্ছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
‘আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে’
জনপ্রিয় পরিচালক রায়হান রাফির নতুন ওয়েব সিনেমা ‘অমীমাংসিত’। সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার সিনেমাটি প্রদর্শনযোগ্য নয়। পেছনে দেখিয়েছে ছাড়পত্র না দেওয়ার চারটি উল্লেখযোগ্য কারণও।  সেগুলো হলো— (১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সঙ্গে মিল রয়েছে  (৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন (৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি-বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সঙ্গে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।  এমন সিদ্ধান্তের পর ফুঁসে উঠেছেন নির্মাতাদের অনেকেই। বিশেষ করে সিনেমাটির পরিচালক রায়হান রাফি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন এক প্রতিক্রিয়া। রায়হান রাফি লিখেছেন, ‘বাস্তবের সঙ্গে মিলে গেছে, তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না। সিনেমা হতে হবে অবাস্তব। ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সেন্সর বোর্ডে আটকে দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনা টাইপ।’ বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘তাহলে কি সিনেমায় কোনো মেয়ে গুম হয়ে খুন হলে, তা কুমিল্লার তনুর সঙ্গে মিলানো হবে? সিনেমায় কোনো কিশোরের লাশ নদীতে পাওয়া গেলে, তার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যাকাণ্ড মিলানো হবে?’ সিনেমা আটকে দেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক, মন্তব্য করে রাফি আরও লিখেছেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনকিছুই প্রমাণ করা হয়নি। জাস্ট বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল। তারপরও এই সিনেমা আটকে দেয়াটা সত্যি দুঃখজনক। এই নির্মাতা আরও লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোন খুন দেখানো যাবে না, কোন ধর্ষণ দেখানো যাবে না। কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোন গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোন খুন হয় না, কোন গুম হয় না, কোন ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত-পা বেঁধে সাতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’ ‘অমীমাংসিত’ সিনেমার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও তানজিকা আমিন। এ ছাড়া রয়েছেন আরও কয়েকজন অভিনয়শিল্পী। তবে পোস্টার ও টিজারে তাদের মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে রেখে নির্মাতা চেয়েছেন গল্পের রহস্য আরও ঘনীভূত করতে।
এফডিসিতে মারামারি, যা বললেন অঞ্জনা
এফডিসিতে ইউটিউবার ও তথাকথিত নামধারী সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান। এফডিসিতে প্রবেশাধিকার আরও কঠোর করার আহ্বান জানিয়েছেন একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা। ফেসবুক পোস্টে অঞ্জনা বলেন, এফডিসিতে ইউটিউবার ও তথাকথিত নামধারী সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। এফডিসিতে প্রবেশাধিকার আরও কঠিনতর করা হোক এই দাবি চলচ্চিত্রের শিল্পীদের। কারণ, যে কেউ সাংবাদিক পরিচয়ে প্রবেশ করে শিল্পীদের বিভিন্ন রকমের উদ্ভট প্রশ্ন করে ক্ষিপ্ত করে তোলেন, তখন শিল্পীরা আবেগে দুই একটা কথা বলে ফেলে সেটার সামনের বা পিছনের কথাগুলো বাদ দিয়ে কেটে ভাইরাল টপিক হিসেবে ফেসবুকে অথবা ইউটিউবে আপলোড করে দিয়ে শিল্পীকে জোকারে পরিণত করে। তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র বিনোদন সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ‘বাচসাস’ রয়েছে। সেখানে আমাদের অনেক প্রাণের সাংবাদিক ভাইয়েরা রয়েছে; যারা শিক্ষিত এবং মার্জিত তারা কখনোই একজন শিল্পীকে অবান্তর প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করেন না। অঞ্জনা বলেন, সাংবাদিকদের আরও অনেক সংগঠন রয়েছে যেখানে শিক্ষিত ও ভদ্র সাংবাদিক গন আছেন তারা সব সময় শিল্পী ও শিল্পের কল্যান প্রসারে কাজ করেন। টেলিভিশন মিডিয়ার সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা যাদেরকে আমি চিনি ও জানি, তারা সবাই যথেষ্ট ব্যক্তিত্বসম্পন্ন চলচিত্র শিল্পীদের পাশে তারা সবসময় ছিলেন আছেন ও থাকবেন আশা করি। এই নায়িকা বলেন, ছোট্ট একটি ভুল-বোঝাবুঝির মাধ্যমে শিল্পী ও সাংবাদিকদের মধ্যকার এতো বছরের সুমিষ্ট একটি সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হোক সেটা আমরা কখনোই কাম্য নয়। শিল্পী ও সাংবাদিক একে অন্যের পরিপূরকঅ আসুন সকল মান-অভিমান ভুলে গিয়ে একে অন্যর ভালোর জন্য উত্তম কাজ করি।
সালমানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার
বলিউডের ‘ভাইজান’ খ্যাত সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে গত ১৪ এপ্রিল চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। এদিন ভোর ৫টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে গুজরাটের ভুজ থেকে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তখনই উদ্ধার হয়েছিল হামলায় ব্যবহার করা একটি পিস্তল। এবার তাপি নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও একটি পিস্তল; সঙ্গে তিনটি ম্যাগজিন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হযেছে, পুলিশের মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা অস্ত্রের পাশাপাশি ৩টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছেন। গত ২২ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছিল তল্লাশি অভিযান। এখন পর্যন্ত মোট ২টি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন এবং ১৩টি বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সালমানের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারেরও বেশি দূর থেকে একটি বাইকও উদ্ধার করেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, হামলাকারী দুজনে ওই বাইকে চেপেই এসেছিল। ১২ জন কর্মকর্তা এবং এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট সিনিয়ার পুলিশ ইনস্পেক্টার দয়া নায়ক এ অভিযান পরিচালনা করছেন। স্কুবা ড্রাইভার দিয়ে চলছে তল্লাশি। এ ঘটনায় এরই মধ্যে ভিকি গুপ্ত ও সাগর পালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বান্দ্রা এলাকায় বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে কয়েক রাউন্ড গুলি চলানোর পর থেকেই ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পুরো ঘটনার ভিডিও সিসিটিভিতে উঠে এসেছে। ফুটেজে দেখা যায়, দুই বন্দুকধারীর মধ্যে একজন অভিনেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিই বাইকে থাকাকালে ব্যাকপ্যাক নিয়ে ছিলেন এবং পরিচয় গোপনের জন্য টুপি পরা ছিল। গত ১৩ এপ্রিল সাগর নামের এক হামলাকারীর হাতে রাতেই অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কে তাকে পিস্তুল দিয়েছিল সেটা এখনও অজানা। তবে অভিনেতার বাড়িতে হামলার জন্য তাদের ১ লাখ রুপি অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্ত থেকে পুলিশ জানায়, সালমানকে খুন করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না হামলাকারীদের। শুধুমাত্র তাকে ভয় দেখানোই উদ্দেশ্য ছিল দুর্বৃত্তদের। বলিউড ভাইজানের এ প্রাণনাশের হুমকির নেপথ্যে কে? এ প্রশ্নের উত্তরে বারবার গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইর নাম উঠে এসেছে। এর আগেও একাধিকবার এমন হুমকি এসেছে।
ফের বাংলাদেশের সিনেমায় পাওলি
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাওলি দাম। শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন ‘সত্তা’ সিনেমায়। লম্বা সময় পর ফের বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। ‘ভুবন মাঝি’ খ্যাত নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খানের নতুন সিনেমা ‘নীল জোছনা’য় অভিনয়ের জন্য ইতোমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছনে এই অভিনেত্রী। এটি নির্মিত হচ্ছে মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে। আর এর প্রধান নারী চরিত্র লায়লার ভূমিকায় পাওয়া যাবে পাওলি দামকে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) কলকাতার ডিকালগ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান। তবে সিনেমায় তার বিপরীতে কে থাকছেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নির্মাতা জানিয়েছেন, পাওলির বিপরীতে দেশের একজন অভিনয়শিল্পীকে দেখা যাবে। যা খুব শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে। এদিকে বাংলাদেশের সিনেমায় আবার অভিনয় করার প্রসঙ্গে পাওলি বলেন, গত বছর নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন খান আমার সঙ্গে এই সিনেমা নিয়ে যোগাযোগ করেন। প্রথমে তার কাছ থেকে গল্পটি শুনেছি, যেহেতু তখনও মোশতাক আহমেদের সেই বইটি আমার পড়া ছিল না, এরপর যখন বইটি পড়লাম, তখন দারুণ লাগল। বলা যায়, এই সিনেমার সঙ্গে সেদিন থেকেই জড়িয়ে আছি। যার আনুষ্ঠানিকতা গতকাল হয়েছে। এই অভিনেত্রী আরও বলেন, সত্যি বলতে কী প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে বাংলায় কাজ হয়নি বললেই চলে। হলিউডে কিছু কাজ হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ইন্টারেস্টলার’, ‘ইনসেপশন’র উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান বলেন, এই সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম প্রায় ৬ বছর আগে। সেই ২০১৮ সালের শেষের দিকে। প্যারাসাইকোলজি নিয়ে আমার ধারণা এর আগে বাংলাদেশে কোনো কাজ হয়নি। আর সে কারণেই আমি মোশতাক আহমেদের উপন্যাসটি পড়ি, তখনই চিন্তা করি সিনেমা বানানোর। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার ‘জেকে ১৯৭১’ সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল। এরপর আবারও গত বছরের শুরু থেকে কাজটি শুরু করি। পাওলি দাম প্রসঙ্গে এই নির্মাতা বলেন, আমাদের গল্পের অন্যতম নারী চরিত্র লায়লা, যা পাওলি দামের সঙ্গে অনেক বেশি যায়, যার কারণে আমরা তাকে এই চরিত্রের জন্য প্রথমে নির্বাচিত করি। এরপর পাওলির সঙ্গে যোগাযোগ হয়, তাকে চিত্রনাট্য পাঠানো হলে তিনিও আমাদের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য রাজি হন। আশা করছি, আমরা পাওলিকে নিয়ে কাজটি খুব ভালোভাবে শেষ করতে পারব। নির্মাতা জানান, সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘নীল জোছনা’র দৃশ্যধারণ শুরু হবে আগামী মাসের শেষ দিকে।