• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
নদীর বুকে প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধন
আমি আর আগের মতো নেই: সূর্যকুমার
বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েটি থেকে বিদায় নিয়েছে রোহিত শর্মা। তাই শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলের দায়িত্ব উঠেছে সূর্যকুমার যাদবের কাঁধে। এর আগে নেতৃত্ব নিয়ে বেশ কয়েকবার বিপাকে পড়েছেন এই ডান হাতি ব্যাটার। তবে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের নতুন অধিনায়ক বললেন, ‘আমি আর আগের মানুষ নেই!’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামীকাল মাঠে নামবে ভারত। এর আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন সূর্যকুমার। তবে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামার আগে সূর্যকুমারকে বাজে একটি অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ তুলেছেন ভারতের সাংবাদিকেরা। ২০১৫ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বাইকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় দলের খেলোয়াড়দের অভিযোগের কারণে দায়িত্ব হারাতে হয়েছিল এই ব্যাটসম্যানকে। তবে সূর্য অতীতের ঘটনা অতীতেই রাখছেন। ২০১৪-১৫ মৌসুমে রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বাইকে ৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন সূর্যকুমার। কিন্তু জয় পায় মাত্র একটি।  তামিল নাড়ুর বিপক্ষে ইনিংসে হারার পর দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। অধিনায়ক থাকাকালীন মাঠে ও ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের সঙ্গে বাজে ভাষায় কথা বলায় মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাকে তিরস্কার করেছিল। তবে সূর্যকুমারের দাবি সে আর আগের মতো নেই। তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি এখন ভিন্ন এক মানুষ। বিয়ে করেছি, অন্য অনেক অধিনায়কদের কাছ থেকেও শিখেছি। আমি আমার পদ্ধতিতেই দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমার ব্র্যান্ড অব ক্রিকেট একই থাকবে। অধিনায়কত্ব আমাকে নতুন চ্যালেঞ্জ দিয়েছে, এর জন্য অপেক্ষা করছি। আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অধিনায়কত্ব পালন করেছেন এই মারকুটে ব্যাটার।সম্প্রতি দায়িত্ব পেয়েছেন পাকাপাকিভাবেই।  বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার সহকারী ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে পান্ডিয়ার ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট ও ফিটনেসের কথা ভেবে তাঁকে বিবেচনা করা হয়নি নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে।  
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা 
পাকিস্তান সিরিজের আগে মুমিনুলের ব্যাটে সেঞ্চুরি
তামিমের দলে ফেরা নিয়ে যা বললেন জালাল ইউনুস
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন শোয়েব মালিক
ভারতীয় দলকে পাকিস্তানে না পাঠানোর আহ্বান হরভজনের
আগামী বছরের শুরুতে পাকিস্তানে পর্দা উঠবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। তবে এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই আশঙ্কা বাড়ছে। কারণ, পাকিস্তানে গিয়ে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে চায় না ভারত। অন্যদিকে এশিয়া কাপে ছাড় দিলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে কেন্দ্র করে কঠোর অবস্থানে পাকিস্তান।      মূলত, নিরাপত্তা শঙ্কা রয়েছে এমন অভিযোগে পাকিস্তান গিয়ে খেলতে রাজি নয় ভারত। দেশটির ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই) জানিয়ে দিয়েছে, তারা সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো কিছুই করতে পারবেন না। অন্যদিকে রোহিত-কোহলিদের কোনোভাবেই পাকিস্তানে খেলতে যেতে দিতে রাজি হচ্ছে না ভারত সরকার। কারণ, দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক দিন থেকেই খারাপ অবস্থানে রয়েছে। তাই ক্রিকেটারদের পাকিস্তানে যেতে দিতে চাচ্ছে না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকার এবং বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছে ২০১১ সালের ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটার হরভজন সিং। এক সাক্ষাৎকারে হরভজন বলেন, কেন ভারতীয় দল পাকিস্তানে যাবে? পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। পাকিস্তানের পরিস্থিতি এমন যে, প্রায় প্রতিদিনই ঘটনা ঘটে। আমি মনে করি না যে, সেখানে যাওয়া নিরাপদ। বিসিসিআই একেবারে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। আমাদের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। আমি বিসিসিআইয়ের অবস্থানকে সমর্থন করি। এদিকে ভারতকে যেন পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়, সেজন্য আইসিসির দরজায় কড়া নাড়ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে আইসিসির সভায়ও বিষয়টি তুলে ধরেছে পাকিস্তান। তাতেও কোনো ফল আসেনি। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করবে বলে জানিয়েছে পিসিবি। নিরাপত্তার জন্য ভারতের সবগুলো লাহোরের গাদ্দাফি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। অঞ্চলটি সীমান্ত থেকে কাছাকাছি হওয়ার কারণে দুই দেশের সমর্থকরাই মাঠে গিয়ে খেলা উপভোগ করতে পারবে।
রিয়ালে এমবাপ্পের ভূমিকা নিয়ে যা জানালেন কোচ আনচেলত্তি
গত মৌসুমে আক্রমণ বিভাগের তিন ত্রয়ী বেলিংহ্যাম, ভিনিসিয়ুস এবং রদ্রিগোকে নিয়ে লা লিগা, কোপা দেল রে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাতেও শিরোপা জয়ের ক্ষুধা এতটুকুও কমেনি স্প্যানিশ জায়ান্টদের। নতুন লক্ষ্য নিয়ে এবার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে ভিড়িয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এই ফরাসি তারকাকে শুরুর একাদশে জায়গা দিতে কঠিন সমস্যার মুখে পড়তে হবে কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে। কারণ, এমবাপ্পে মূলত লেফট উইঙ্গার হিসেবে খেলে থাকেন। আর রিয়ালে এই জায়গাটা ধরে আছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাই প্রশ্ন উঠছে এমবাপ্পের জন্য কি জায়গা ছাড়তে হবে এই ব্রাজিলিয়ান তারকাকে? মৌসুম শুরুর আগেই এমন কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে আনচেলত্তিকে। ‘অবি ওয়ান’ নামের একটি পডকাস্টে এমবাপ্পেকে নিয়ে নিজের পরিকল্পনা জানিয়েছেন তিনি। আনচেলত্তি বলেন, সত্যি বলতে আমি এটা নিয়ে ভাবিনি। দলে এমবাপেকে ফিট করা কোনো সমস্যা হবে না। সে যা বলেছে তা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবে। মূল বিষয় হলো, প্রতিটি খেলোয়াড়কে দলের সেবায় প্রতিভা এবং গুণমান দিয়ে অবদান রাখতে হবে।  তিনি আরও বলেন, এমবাপ্পেকে সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। তাকে কখনও বাঁয়ে কখনও মাঝখানে খেলতে হতে পারে। আমি তাকে সামনে খেলতে দেখছি। এবং আক্রমণভাগ বেশ প্রশস্ত। পিচটি ৬৮ মিটার চওড়া এবং আমাদের সেই ৬৮ মিটার সামনের খেলোয়াড়দের দিয়েই কভার করতে হবে। এদিকে ভিনিসিয়ুসের পজিশন প্রসঙ্গে রিয়াল কোচ বলেন, আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করি, গত মৌসুমে ভিনিসিয়াস কোথায় খেলেছিল। এটা বলা কঠিন। সে (বাম) উইঙ্গারের মতো খেলেনি। আক্রমণভাগে খেলার গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি হল খেলোয়াড়দের গতিশীলতা। ফলে কোচের কথা থেকে কিছুটা অনুমান করা যায়, নতুন কৌশলে ২০২৪-২৫ মৌসুমের শুরুটা করবে রিয়াল মাদ্রিদ। সেক্ষেত্রে তাদের মাঠের বিন্যাস হতে পারে ৪-৩-৩। অর্থাৎ ডিফেন্সে ৪ জন, মিডফিল্ডে ৩ জন ও আক্রমণভাগে ৩ জন। ফরোয়ার্ডে খেলবেন এমবাপ্পে, রদ্রিগো ও ভিনিসিয়ুস। আর বেলিংহ্যামের কাঁধে উঠতে পারে মাঝমাঠের দায়িত্ব। যেটা এতো দিন পালন করে আসছিলেন টনি ক্রুস।  
এশিয়া কাপে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের, ফাইনালে ভারত
চলমান নারী এশিয়া কাপের শুরুটা ভালো না হলেও গ্রুপ পর্বের পরের দুই ম্যাচে বড় জয় পায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে টাইগ্রেসরা। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি জ্যোতি-নাহিদারা। ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাঙ্গিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ভারতকে মাত্র ৮১ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৫৪ বলে এবং ১০ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় ভারত। এতে টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠল আকাশি-নীলরা। আর বাংলাদেশের প্রাপ্তি দুই জয়। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন দুই ভারতীয় ওপেনার শেফালি ভার্মা এবং স্মৃতি মান্ধানা। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে পাওয়ার প্লেতে উইকেট না হারিয়ে ৪৬ রান তোলে ভারত। অন্যদিকে বল হাতে নিজেদের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হয়েছে মারুফা-নাহিদারা। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে বড় কিছু করতে পারেননি জাহানারা আলমও। তাই ফাইনালে উঠতে বড় বাঁধার মুখে পড়তে হয়নি ভারতীয় মেয়েদের।  শেষ পর্যন্ত শেফালি ভার্মার ২৮ বলে ২৬ রান এবং স্মৃতি মান্ধানার ৩৯ বলের অপরাজিত ৫৫ রানে ভর করে ৫৪ বলে এবং ১০ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৩৩ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগ্রেসরা। দুই অঙ্কের কোটা পেরোনোর আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দিলারা আক্তার (৬), মুর্শিদা খাতুন (৪), রুমানা আহমেদ (১), ইসমা তানজিম (৮), রাবেয়া খান (১)। এরপর উইকেট মিছিলে যোগ দিয়ে দীপ্তি শর্মার বলে রিচার হাতে ক্যাচ দিয়ে দলীয় ৫০ পেরোনোর আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন রিতু মণি। সতীর্থরা যখন আশা যাওয়া মিছিলে ব্যস্ত তখন স্বর্ণাকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।  ইনিংসের শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ৫১ বলে ৩২ রানে ধীরগতির ইনিংস সাজান টাইগ্রেস অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত রিতুর ১৯ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮০ রানের মামুলি পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
এবার ঢাকায় অনুশীলন ক্যাম্প টাইগারদের
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী মাসে পাকিস্তান সফরে যাবে টাইগাররা। এই সিরিজকে সমানে রেখে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে টেস্ট দলে থাকা ক্রিকেটাররা। এবার ৩ আগস্ট থেকে মিরপুরে অনুশীলন শুরু করবে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডের সম্ভাব্য ক্রিকেটাররা। টেস্ট দলে জায়গা পেতে পারেন এমন সব ক্রিকেটারদের নিয়ে গত এক মাস যাবত চট্টগ্রামে অনুশীলন ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে ছিলেন এইচপি দলের ক্রিকেটারাও। এবার অনুশীলন হবে ঢাকায়। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) শেষ করে ইতোমধ্যে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম এবং তাওহীদ হৃদয়। ঢাকা পর্বের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলবেন সাকিব আল হাসান, রিশাদ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সাকিব বাংলাদেশ টেস্ট দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেও, এই মুহূর্তে বড় ফরম্যাটে দলের অংশ হবার সম্ভাবনা কম রিশাদ এবং সাইফউদ্দিনের। সাকিব কবে নাগাদ দলে যোগ দেবেন তা এখনও জানা যায়নি।  দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ। ২১ আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ৩০ আগস্ট থেকে করাচিতে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে দুদল।  পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর দুই টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। এ ছাড়াও এ বছর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আরও চারটি টেস্ট খেলার সূচি রয়েছে টাইগারদের। টেস্টের লম্বা সূচি ঘোষিত হওয়ার পর খেলোয়াড়দের দীর্ঘ সংস্করণের ফরম্যাটে প্রস্তুত করতে বড় আকারের পরিকল্পনা সাজায় বিসিবি। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে টেস্ট সিরিজের আগে নিয়মিতভাবে দুদিন ও চার দিনের ম্যাচ আয়োজন করা হচ্ছে।
ফাইনালে ওঠার মিশনে বাংলাদেশের মামুলি পুঁজি
চলমান নারী এশিয়া কাপের শুরুটা এলোমেলো হলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ চার নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এতে দ্বিতীয়বারের মতো মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার পথ উন্মুখ হয়েছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের। কিন্তু ফাইনালে ওঠার মিশনে আসরের প্রথম সেমিফাইনালে বড় পুঁজি দাঁড় করাতে পারেননি টাইগ্রেসরা। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাঙ্গিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ৮০ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৩৩ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে লাল-সবুজেরা। দুই অঙ্কের কোটা পেরোনোর আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দিলারা আক্তার (৬), মুর্শিদা খাতুন (৪), রুমানা আহমেদ (১), ইসমা তানজিম (৮), রাবেয়া খান (১)। এরপর উইকেট মিছিলে যোগ দিয়ে দীপ্তি শর্মার বলে রিচার হাতে ক্যাচ দিয়ে দলীয় ৫০ পেরোনোর আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন রিতু মণি। শেষ দিকে স্বর্ণাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অধিনায়ক জ্যোতি। ইনিংসের শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ৫১ বলে ৩২ রানে ধীরগতির ইনিংস সাজান টাইগ্রেস অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত রিতুর ১৯ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
নারী এশিয়া কাপ / ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
নারী এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারলেও থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াকে হারিয়ে সেরা চারে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার লক্ষ্য ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট কাটা। ফাইনালে ওঠার মিশনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা। রাঙ্গিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে ম্যাচটি। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে না খেলা মারুফা আক্তার একাদশে ফিরেছেন। ছিটকে গিয়েছেন সাবিকুন জেসমিন। অন্যদিকে একাদশে বেশকটি পরিবর্তন এনেছে ভারত। বাংলাদেশের একাদশ : দিলারা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), রুমানা আহমেদ, ইসমা তানজিম, রিতু মণি, রাবেয়া খান, স্বর্ণা আক্তার, নাহিদা আক্তার, জাহানারা আলম, মারুফা আক্তার। ভারতের একাদশ : শেফালি ভার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, উমা ছেত্রি, হরমনপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), জেমিমা রদ্রিগেজ, রিচা ঘোষ (উইকেটরক্ষক), দীপ্তি শর্মা, পূজা ভাস্ত্রকার, রাধা যাদব, তনুজা কানওয়ার, রেণুকা সিং।  
প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যা থাকছে
১৮৯৬ থেকে ২০২৪; ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিকের ৩৩তম আসর শুরুর অপেক্ষায়। বরণ করতে প্রস্তুত ফ্রান্সের প্যারিস।  বিশ্ব মহাযজ্ঞ বলে কথা, তাই আয়োজক দেশের থাকে বাড়তি যোগ-বিয়োগের হিসেব। এর মূল আকর্ষণে আছে আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।  এবার সেই অনুষ্ঠানেই ব্যতিক্রমী কিছু করার পরিকল্পনা আয়োজকদের। যেখানে অলিম্পিকের উদ্বোধনীতে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটদের প্যারেডের জন্য ব্যাবহার করা হয়, অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম। সেখানে প্যারিসে এবার ১০ হাজার ৭১৪ জন অ্যাথলেটদের দেখা যাবে, নৌকায় করে সিন নদীর ৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে। এর মধ্য দিয়েই অংশগ্রহণ করতে যাওয়া ২০৬ দেশের পরিচিতি পর্ব শেষ হবে। যেখানে সবার আগে আসবে অলিম্পিকের জন্মভূমি গ্রিস। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকি দেশগুলো আসবে। সবশেষ পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে আয়োজক ফ্রান্সকে।  এরপর নাচে, গানে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে সিন নদীর পাড়ে। থাকবে চোখ-ধাঁধানো আতশবাজির ব্যবস্থাও। এমনকি থাকতে পারে সিনের নদী থেকে সাবমেরিন ভেসে ওঠার দৃশও। এএফপির তথ্য অনুযায়ী, এই অনুষ্ঠানটি মোট ১২টি ভাগে ভাগ করা হবে। যেখানে মোট ৩ হাজার নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী ও বিনোদনকর্মী অংশ নেবেন।    আর সেখানেই রয়েছে প্যারিস অলিম্পিকের সব থেকে বিতর্কিত ও আলোচিত বিষয়। এর মূলে রয়েছে ফরাসি সংগীত তারকা আয়া নাকামুরা। মূলত এই সংগীত শিল্পী অংশগ্রহণ নিয়ে দেশটির ডানপন্থী দলগুলোর আপত্তি ছিল। কিন্তু সেটা উপেক্ষা করেই আয়াকে পারফর্ম করানোর সিদ্ধান্ত নেয় আয়োজকরা। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে থাকছেন টাইটানিকের ‘মাই হার্ট উইল গো অন’ জনপ্রিয় গানের শিল্পী সেলিন ডিওনের পরিবেশনা।  পুরো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন প্রখ্যাত থিয়েটার পরিচালক টমাস জলি।  তিনি জানান, এই অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক, ভাষিক, ধর্মীয় ও লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যকে তুলে ধরতে দৃঢ়প্রত্যয়ী। দৃষ্টিনন্দন এই অনুষ্ঠানটি প্রায় ৫ লাখের বেশি দর্শক, বিশেষভাবে তৈরি স্ট্যান্ডে বসে উপভোগ করতে পারবে। তবে বড় আয়োজন সফল করতে, দেশটির বাড়তি নজর থাকবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ওপর। যেখানে প্রায় ৪৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত থাকবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায়।