• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরিডুবি, নিহত অন্তত ৫৮
সবার আগে যে দুই দেশে পালিত হলো ঈদ
সৌদি আরবসহ মধ্যপাচ্যের বিভিন্ন দেশ সোমবার মুসলিমদের চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সেসব দেশে চাঁদ দেখা না গেলেও দুটি মুসলিম দেশে চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ওই দুই দেশে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখা না গেলেও সোমবার (৮ এপ্রিল) আফ্রিকার দুই দেশে চাঁদ দেখা গেছে। দেশ দুটি হলো মালি ও নাইজার। ফলে দেশ দুটিতে মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে। দেশে দুটিতে ২৯টি রোজা পালিত হয়েছে। চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নাইজারের চাঁদ দেখা কমিটি রুয়েত-ই-হিলাল। দেশটির পাঁচটি রাজ্যে চাঁদ দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এছাড়া সোমবার চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মালির ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, আফ্রিকার অন্যান্য দেশে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় মঙ্গলবার রোজা থাকবেন সেখান নাগরিকরা। এসব দেশে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে  বুধবার। প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আরবি মাসের  গণণা শুরু এবং শেষ করা হয়। সারাবিশ্বে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজা শুরু এবং ঈদ উদযাপন করেন মুসলিমরা। তাই চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঈদ পালনের পার্থক্য দেখা দেয়।  
কলেরার প্রাদুর্ভাবে দ্বীপ ছেড়ে যাত্রা, ফেরিডুবিতে নিহত বেড়ে শতাধিক
সৌদি ছাড়াও বুধবার যেসব দেশে ঈদ
এবার মরক্কোতে ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু 
জাহাজ ছিনতাইয়ে শিশুদের কাজে লাগাচ্ছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চ মাত্রার দারিদ্র্যতাসহ নানান কারণে জলদস্যুতার দিকে ঝুঁকছে দেশটির বাসিন্দারা। এমনকি কম বয়সী শিশু-কিশোররাও জলদস্যুতায় জড়িত হচ্ছে। ১৪ বছর আগে ‘এমভি জাহান মণি’ নামে একটি বাংলাদেশি জাহাজ সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেটিতে জিম্মি নাবিকদের যারা পাহারা দিতেন তাদের মধ্যে ১৬-১৮ বছর বয়সী সশস্ত্র কিশোররা ছিলেন। সবশেষ গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু সমেত সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এই জাহাজটি ছিনতাইয়ের সময় সোমালি জলদস্যুদের ব্যবহার করা আরেকটি ‘জাহাজ এমভি রুয়েন’ এর জলদস্যুদের মধ্যেও ছিল শিশু-কিশোররা। ভারতীয় নৌবাহিনীর ৪০ ঘণ্টার অভিযানে জাহাজটি থেকে ৩৫ জলদস্যুকে আটকের পর আদালতে তোলা হলে তাদের মধ্যে আটজন নিজেদের বয়স ১৮ বছরের কম বলে জানায়। এরপর আদালত তাদের পৃথক জুভিনাইল জাস্টিস বোর্ডে হাজির করানোর নির্দেশ দেয়। এতে করে সোমালিয়া উপকূলে ‘সমুদ্রপথের আতঙ্ক’ হিসেবে পরিচিত সশস্ত্র জলদস্যুদের দলগুলোতে শিশু-কিশোরদের থাকার বিষয়টি আবারও সামনে আসে।  দ্যা মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ ২০১৭ সালের মে মাসে ‘চিলড্রেন ইফেক্টেড বাই মেরিটাইম পাইরেসি: এ হ্যান্ডবুক ফর মেরিটাইম সিকিউরিটি সেক্টর এক্টরস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে ২০১৪ সালে সোমালিয়া উপকূলে গ্রেপ্তার হওয়া জলদস্যুদের মধ্যে ২০ শতাংশের বয়স ছিল ১৮ বছরের কম ছিল বলে তথ্য দেওয়া হয়। অন্যদিকে ২০১১ সালের ১৭ মার্চ টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদন বলা হয়, ওই সপ্তাহে আরব সাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের পর আটক ৬১ সোমালি জলদস্যুর মধ্যে ২৫ জনই ছিল শিশু, যাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে। এমনকি তাদের মধ্যে ৪ জনের বয়স মাত্র ১১ বছরের কিছু কমবেশি ছিল। সোমালিয়ার জলদস্যু দলে শিশু-কিশোরদের যুক্ত হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ উঠে এসেছে দ্যা জিওপলিটিক্স এবং দ্যা মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ এর প্রতিবেদনে।  এতে বলা হয়, জলদস্যুতার প্রবণতা বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণগুলো হল- সোমালিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা, উচ্চ মাত্রার দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও বারবার ঘটতে থাকা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যেখানে সোমালিয়ায় বছরে মাথাপিছু গড় আয় ৬০০ ডলারের মত। সেখানে জলদস্যুরা শুধু একটি জাহাজ ছিনতাই করে হাজার হাজার ডলার পেতে পারে।  ছোট নৌযান চালানো, ছোট জায়গা দিয়ে চলাচল করতে পারা এবং চটপটে স্বভাবের হওয়ায় জলদস্যু দলের প্রধানরা ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের এই কাজে প্রলুব্ধ করে। স্বাক্ষরতার হার কম হওয়ায় সহজে বেশি অর্থ উপার্জনের পথ হিসেবে শিশুরা এই কাজে আগ্রহী হয়।
ভূমধ্যসাগরে ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু
লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে রাবারের তৈরি নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে অন্তত ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এপি। প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার হওয়া নৌকাটি থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে তারা লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এসওএস মেডিটেরিয়ানি বলেছে, বুধবার ইতালির কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বিতভাবে ২৫ জনকে খুব দুর্বল অবস্থায় উদ্ধার করেছে গোষ্ঠীটি। দুই অচেতন ব্যক্তিকে হেলিকপ্টারে করে সিসিলিতে নেওয়া হয়। কিন্তু পরে তারা মৃত্যুবরণ করেন।  এসওএস মেডিটেরিয়ানি এক্স বার্তায় জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সাতদিন আগে লিবিয়া ছেড়েছিলেন। এর তিনদিন পর তাদের নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পানি ও খাবার ছাড়াই কয়েকদিন ভাসতে থাকেন তারা।  জীবিতরা জানিয়েছেন, এ যাত্রায় অন্তত ৬০ জন মারা গেছেন যার মধ্যে মহিলা এবং একটি শিশু রয়েছে। তারা সবাই ক্ষুধা এবং তৃষ্ণায় মারা গেছেন। কেউ ডুবে মারা যাননি।   অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন বলেও জানান তারা। উদ্ধারকৃতরা সবাই পুরুষ। এদের মধ্যে ১২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। তারা সবাই সেনেগাল, মালি এবং গাম্বিয়ার অধিবাসী। এদিকে ইতালীয় কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) বলেছে যে তারা এই ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সামুদ্রিক টহল শক্তিশালী করতে এবং বিপর্যয় রোধ করতে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন বলেও এক্স বার্তায় জানায় সংস্থাটি।  অভিবাসনের জন্য বিশ্বের ভয়াবহতম প্রাণঘাতী রুটে পরিণত হয়েছে মধ্য ভূমধ্যসাগর। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর তথ্য অনুসারে, গত বছর এই রুটটি পাড়ি দিতে গিয়ে আড়াই হাজার অভিবাসীর মৃত্যু বা নিখোঁজ হয়েছেন। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা ২২৬ জন।
যে দেশে রোজা না রাখলে গ্রেপ্তার করে পুলিশ
ক্ষমার মহান বার্তা নিয়ে সমহিমায় হাজির হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। পবিত্র এই মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ রোজা পালন করেন। এমন অবস্থায় নাইজেরিয়ায় পবিত্র রমজান মাসে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেপ্তার করছে দেশটির ইসলামিক পুলিশ। ইতোমধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত আফ্রিকার এই দেশটির একটি প্রদেশে রোজার মাসে দিনের বেলা খাবার খেতে দেখার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়া ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও এখানকার ১২ প্রদেশে শরিয়া আইন চালু করা হয়। এই ১২ প্রদেশে মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকই সংখ্যাগরিষ্ঠ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এসব প্রদেশের মধ্যে একটি হলো কানো। আর এখানকার ইসলামিক পুলিশ ‘হিসবাহ’ নামে পরিচিত এবং প্রতি বছর রমজান মাসে তারা খাবারের দোকান এবং বাজারে তল্লাশি চালিয়ে থাকে। গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃত ১১ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং একজন নারী। গ্রেপ্তারের পর তারা আর ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা মিস করবে না বলে শপথ করার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। হিসবাহের মুখপাত্র লওয়াল ফাগে বিবিসিকে বলেছেন, আমরা মঙ্গলবার ১১ জনকে পেয়েছিলাম যার মধ্যে একজন নারীও ছিলেন, যিনি চিনাবাদাম বিক্রি করছিলেন এবং তাকে তার জিনিসপত্র থেকে খেতে দেখা গেছে এবং পরে কিছু লোক আমাদের এই বিষয়টি জানায়। তিনি বলেন, অনুসন্ধান ও তল্লাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে অমুসলিমরা এই অভিযানের আওতার বাইরে। লওয়াল ফাগে বলছেন, আমরা অমুসলিমদের গ্রেপ্তার করি না। কারণ এটি (রোজা) তাদের পালন করার বিষয় নয়। শুধু একটি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেই আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করি। আর তা হচ্ছে, যাদের রোজা রাখার কথা, সেসব মুসলমানের কাছে বিক্রি করার জন্য যারা খাবার রান্না করে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের সম্পর্কে ইসলামিক পুলিশের এই মুখপাত্র বলেন, তারা এখন থেকে রোজা রাখা শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুক্তি পেয়েছে এবং ‘তাদের মধ্যে কারও কারও পরিবার যেন তাদের পর্যবেক্ষণ করে, সে জন্য আমাদের তাদের আত্মীয় বা অভিভাবকদেরও ডাকতে হয়েছিল।
নাইজেরিয়ায় স্কুল চলাকালীন ২৮৭ শিক্ষার্থী অপহৃত
নাইজেরিয়ায় দুটি স্কুল থেকে ৩১২ জনকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। এর মধ্যে অপহরণকারীদের হাত থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে ২৫ জন। পালিয়ে আসাদের মধ্যে একজন শিক্ষকও আছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুরিগায় এ ঘটনা ঘটে। স্কুল দুটিতে অ্যাসেম্বলি চলছিল ওই সময়। খবর বিবিসির।    প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুল প্রাঙ্গণে অ্যাসেম্বলি চলার সময় মোটরসাইকেলে করে সেখানে ঢুকে পড়ে কয়েকজন বন্দুকধারী। অপহৃত শিক্ষার্থীদের বয়স ৮ থেকে ১৫ বছর। কুরিগা শহরটি নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। এ রাজ্যের গভর্নর উবা সানি অপহরণের খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, একটি সরকারি মাধ্যমিক স্কুল থেকে ১৮৭ জন ও প্রাথমিক স্কুল থেকে ১২৫ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষকও ছিলেন। পরে ওই শিক্ষকসহ ২৫ জন পালিয়ে আসেন। বাকি ২৮৭ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের জন্য অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে আসা ওই শিক্ষক বলেন, স্থানীয় লোকজন অপহৃত শিশুদের উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন। তবে বন্দুকধারীদের সঙ্গে তারা পেরে ওঠেননি। এ সময় এক ব্যক্তি নিহতও হন। নাইজেরিয়ায় অপহরণকারী চক্রগুলো দস্যু বাহিনী হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কয়েকশো মানুষকে অপহরণ করেছে তারা। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অপহরণের ঘটনা বেশি ঘটেছে। এর আগে গত জানুয়ারিতে কুরিগাতে দস্যু বাহিনীর হামলায় একটি স্কুলের অধ্যক্ষ নিহত হন। সেইসঙ্গে তার স্ত্রীকে অপহরণ করা হয়।
৫০ নারীকে একসঙ্গে অপহরণ করেছে আইএস!
নাইজেরিয়ার এক অঞ্চলে অন্তত ৪৭ জন মহিলাকে অপহরণ করা হয়েছে। অভিযোগের তীর জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের দিকে। প্রাথমিকভাবে ইসলামিক স্টেট ৫০ জন নারীকে অপহরণ করেছিল। ৩ নারী পালাতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের কাছ থেকেই বাকিদের এবং অপহরণকারীদের বিবরণ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সংবাদ মাধ্যম ডয়েচ ভেলে একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। এই অঞ্চলে বোকো হারাম এবং ইসলামিক স্টেটের শক্ত ঘাঁটি আছে। কিন্তু নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বের এই অঞ্চল প্রযুক্তির দিক থেকে এতটাই পিছিয়ে যে, সেখান থেকে খবর আসতেও অনেকদিন সময় লেগেছে। ঘটনার কথা গতকল বুধবার জানাজানি হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকাটি মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন এবং চাদের সীমান্ত। সেখানে নারীরা জঙ্গলের কাঠ নিতে এসেছিল। সে সময়েই তাদের ঘিরে ধরে সন্ত্রাসীরা। তারা এমনভাবে গুলি চালাতে শুরু করে যে নারীরা বাধ্য হয় চাদের দিকে হাঁটতে। সে সময়েই ৩ জন কোনরকমে পালিয়ে বাঁচেন। তবে স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, ৫০ জনেরও বেশি নারীকে অপহরণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
মালিতে সেতু থেকে বাস নদীতে পড়ে নিহত ৩১
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সেতুতে বাস উল্টে নদীতে পড়ে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১০ জন। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে মালিতে একটি বাস উল্টে সেতু থেকে নদীতে পড়ে তলিয়ে যায়। এতে বাসটিতে থাকা ৩১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। বাসটি মালির কেনিয়েবা শহর থেকে প্রতিবেশী দেশ বুরকিনা ফাসো যাচ্ছিল। পথে বাগোই নদী পার হওয়ার সময় সেতুতে বাসটি উল্টে নিচে পড়ে যায়। আহত ১০ জনের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। মালির পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সম্ভাব্য কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের মধ্যে মালির এবং পশ্চিম আফ্রিকার অন্যান্য দেশের নাগরিকও রয়েছেন। মালিতে সড়ক দুর্ঘটনা খুব সাধারণ বিষয়। দেশটির অনেক রাস্তা এবং যানবাহনের অবস্থা বেশ খারাপ। পাশাপাশি ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী পরিবহন করা দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। চলতি মাসের শুরুতে মালির রাজধানী বামাকো অভিমুখে যাওয়ার সময় একটি বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হন। একইসঙ্গে ওই দুর্ঘটনায় ৪৬ জন আহত হয়েছিলেন।
সেনেগালে নৌকাডুবিতে অন্তত ২০ অভিবাসীর মৃত্যু
সেনেগাল উপকূলে অভিবাসী বোঝাই ইউরোপগামী একটি নৌকা ডুবে ২০ জনেরও বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ২০ জনের বেশি অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সেনেগালের উপকূলগুলো আফ্রিকান অভিবাসীদের স্প্যানিশ ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে ইউরোপে প্রবেশ পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর এএফপির। সেন্ট-লুইসের আঞ্চলিক গভর্নর আলিউন বাদারা সাম্ব বলেছেন, আরও ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। স্থানীয় উদ্ধারকারী ও নৌবাহিনী এ উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। তবে নৌকাটিতে কতজন যাত্রী ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সংখ্যা কয়েকশ’ হতে পারে। দেশটির সুদূর দক্ষিণের কাসামান্স থেকে বেঁচে যাওয়া মামাডি ডিয়ানফো বলেছেন, এক সপ্তাহ আগে যখন নৌকাটি সেনেগাল ছেড়েছিল তখন প্রায় ৩০৯ জন যাত্রী ছিল। আরেকজন জীবিত আলফা বাল্ডে ২০০ জন যাত্রীর কথা বলেছেন। ডিয়ানফো বলেন, আমরা নৌকার অধিনায়ককে আমাদেরকে সেনেগাল উপকূল দিয়ে নিয়ে যেতে বলেছিলাম। নৌকাটি মরক্কো পৌঁছালে অধিনায়ক বলেছিলেন, তিনি হারিয়ে গেছেন এবং আর যাত্রা চালিয়ে যেতে পারবেন না। নৌকাটি সেন্ট-লুইসের কুখ্যাত বিপজ্জনক স্থানে পৌঁছালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ইইউ সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স অনুসারে, আটলান্টিক দ্বীপপুঞ্জ থেকে ইউরোপে আগত অভিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেনেগাল এবং মরক্কোর নাগরিক।  ২০২৩ সালে ক্যানারিতে পৌঁছানো অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০ হাজার, যা তিনগুণ বেড়েছে।