• ঢাকা শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১
logo
নীলনদ উপত্যকায় মিললো সাড়ে তিন হাজার বছর আগের কুকুর
মিশরের দ্য গ্রেট পিরামিডের চূড়ায় কুকুর
বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি মিশরে গিজা জেলার দ্য গ্রেট পিরামিড। ছোট বড় ছয়টি পিড়ামিডের মধ্যে কুফু নামের পিড়ামিড সবচেয়ে বড় ও উঁচু। এসব পিরামিডে ওঠা নিষিদ্ধ বা ওঠার ব্যবস্থা নেই বলে ওপরের দৃশ্য দেখার একমাত্র উপায় হলো প্যারাগ্লাইডিং। গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) অ্যালেক্স ল্যাং নামের এক পর্যটক যখন প্যারাগ্লাইডারে চড়ে ৪৫০০ বছরের পুরনো দ্য গ্রেট পিরামিডের ওপরের দৃশ্য উপভোগ করছিলেন, ঠিক তখনই হঠাৎ তার চোখে পড়ল, পিরামিডের এক কোনায় কিছু একটা নড়াচড়া করছে। ভালো করে লক্ষ করে দেখেন, পিরামিডের একেবারে ওপরে একটি কুকুর পাখি দেখে ঘেউ ঘেউ করছে, আর তখনেই তার সাথে থাকা ক্যামেরা দিয়ে বন্দি করেন সেই দৃশ্য। পিরামিডের ওপরের অপ্রত্যাশিত এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অবাক করে দিয়েছে। কারণ, গ্রেট পিরামিডের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে পর্যটকদের পিরামিডের ওপর ওঠা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। মনে হচ্ছে, কারও সহযোগিতা ছাড়াই কুকুরটি পিরামিডের চূড়ায় উঠেছে।  এই কুকুর পিরামিডের এত উঁচুতে কীভাবে উঠল সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি। তবে, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কুকুরটি নিরাপদে গ্রেট পিরামিডের নিচে নেমে এসেছে।   মিশরের গিজার প্রাচীন গ্রেট পিরামিড নিয়ে পৃথিবীর মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। ফারাও রাজা খুফুর রাজত্বকালে খ্রিস্টপূর্ব ২৫৮০ থেকে ২৫৬৫ সালের মধ্যে এই পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। গিজার তিনটি অসাধারণ পিরামিডের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। গ্রেট পিরামিড ইউনেসকোর ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। আরটিভি/ডিসিএনই
মিশরে বাস দুর্ঘটনায় ১২ মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত, আহত ৩৩
নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ, নিহত বেড়ে ১৪৭
নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ, নিহত ৯০
জিবুতির উপকূলে নৌকাডুবি, নিহত ৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী
হাইতিতে ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণ, নিহত ২৫
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতিতে ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।  দক্ষিণ হাইতিতে পেট্রোলবাহী একটি ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরিত হলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার হাইতির দক্ষিণ উপদ্বীপের একটি রাস্তায় জ্বালানিবাহী ট্রাক বিস্ফোরিত হয়ে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন আরও অনেকে। হাইতির প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিল নিপেসের উপকূলীয় শহর মিরাগোয়ানের কাছে এই ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, কিছু গুরুতর আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য হেলিকপ্টারে করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিল বলেছেন, এটি ভয়ংকর দৃশ্য, যা আমি এইমাত্র প্রত্যক্ষ করেছি। এর আগে তিনি বলেছিলেন, জরুরি দলগুলো ‘গুরুতরভাবে আহতদের জীবন বাঁচাতে’ কাজ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ও তাদের পরিবারের জন্য সরকারি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর আগে, নিপেসের কর্তৃপক্ষ বলেছিল, দুর্ঘটনায় ১৬টি মৃতদেহ সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে এবং আরও ৪০ জনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কেনিয়ায় স্কুলে আগুন লেগে নিহত অন্তত ১৭ শিশু
কেনিয়ার একটি স্কুলের ছাত্রাবাসে আগুন লেগে অন্তত ১৭ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। মাঝরাতে আগুন লাগার সময় শিশুরা ঘুমিয়ে ছিল৷ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানী নাইরোবি থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে নেয়েরি কাউন্টির হিলসাইড এনদারাসা অ্যাকাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে৷ পুলিশের মুখপাত্র রেসিলা ওনায়াঙ্গো এএফপিকে জানান, , ঐ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী আছে৷ তাদের বয়স পাঁচ থেকে ১২-র মধ্যে৷ উদ্ধার করা মরদেহগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে যে সেগুলোর পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি৷ আহতদের মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা মারাত্মক বলেও জানান তিনি৷ ঘটনাস্থলে পুরোপুরি তদন্ত শেষে আরও মরদেহ পাওয়া যেতে পারে, বলে আশঙ্কা তার৷ আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি বলে জানান পুলিশের ঐ মুখপাত্র৷ তবে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন৷ কেনিয়ায় অতীতেও স্কুলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে৷ ২০১৬ সালে মেয়েদের এক হাইস্কুলে আগুন লেগে নয় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিল৷ নাইরোবির উপকণ্ঠে কিবেরিয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল৷ ২০০১ সালে একটি স্কুলের ছাত্রাবাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হলে ৬৭ শিক্ষার্থী মারা গিয়েছিল৷ দক্ষিণাঞ্চলের মাচাকস জেলায় এই হামলা হয়েছিল৷ এই ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল৷
নাইজেরিয়ায় বোকোহারামের হামলায় নিহত ৮১
নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্ব ইউবে অঞ্চলে এক সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৮১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ আছেন অনেকে। দেশটির জঙ্গি সংগঠন বোকোহারামের সদস্যরা এ হামলায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। খবর এএফপির। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। ইউবে অঞ্চলের পুলিশের মুখপাত্র আবদুল করিম দাঙ্গুস বলেন, রাইফেল, আরপিজিসহ (রকেটচালিত গ্রেনেড) বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্দেহভাজন প্রায় দেড়শ’ বোকোহারাম সদস্য ৫০টির বেশ মোটরসাইকেলে করে হামলা চালান। মাফা নামের একটি গ্রামে গত রোববার এ হামলা হয়। স্থানীয় কর্মকর্তা বালুমা জালালুদ্দিন বলেন, হামলায় অন্তত ৮১ জন নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধারে সেনাসদস্যরা মাফায় পৌঁছানোর আগেই ১৫ জনকে দাফন করা হয়। হামলায় নিখোঁজ আছেন অনেকে। বোকো হারামসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী গত ১৫ বছর উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায় বিদ্রোহ করছে। এতে নিহত হয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। মধ্য ও উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ার মানুষ সশস্ত্র বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাতে বছরের পর বছর নিষ্পেষিত হচ্ছেন। গোষ্ঠীগুলোর সদস্যরা দস্যু নামে পরিচিত। তারা গ্রামে গ্রামে হামলা চালিয়ে লুটপাট করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের হত্যা ও অপহরণ করেন এবং বাড়িঘরে আগুন দেন।
কঙ্গোতে কারাগার ভেঙে পালানোর সময় নিহত ১২৯ কয়েদি
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোর একটি কারাগার ভেঙে পালানোর সময় অন্তত ১২৯ জন কয়েদি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।  সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ২ টার দিকে রাজধানী কিনসাসার মাকালা কেন্দ্রীয় কারাগারে এই ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাকুমিন শাবানি লুকু বিহাঙ্গো। খবর সিএনএনের।  মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যাকুমিন বলেন, নিহত ১২৯ জনের মধ্যে ২৪ জন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন; বাকিরা প্রাণ হারিয়েছেন পদদলন ও সাফোকেশনের শিকার হয়ে। এছাড়া পালানোর সময় আহত হয়েছেন ৫৯ জন কয়েদি। তাদেরকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং কিনসাসার বাসিন্দা দাদ্দি সোসো এএফপিকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেশ কয়েক ঘণ্টা কারাগারে গুলির আওয়াজ পেয়েছেন তারা। রাত সাড়ে ৩ টার পর কারাগার থেকে লাশবাহী গাড়িও ছেড়ে যেতে দেখেছেন। ঘটনার পর মাকালা কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেসব ভিডিওতে মাটিতে কয়েদিদের রক্তাক্ত মরদেহের সারি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কঙ্গোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।  জানা গেছে, ১৫০০ কয়েদি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মাকালা কারাগারে থাকতেন ১২ হাজারেরও বেশি সংখ্যক কয়েদি। এই কয়েদিদের অধিকাংশই বিচারাধীন মামলার আসামি। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের ধরতে ইতোমধ্যে সশস্ত্র এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কঙ্গোর বিচার বিষয়ক মন্ত্রী কনস্ট্যান্ট মুতাম্বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ ঘটনাকে ‘নাশকতা’ উল্লেখ করে বলেছেন, বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত মাকালা কারাগারের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। কঙ্গোতে কারাগার ভেঙে কয়েদিদের পালানো অবশ্য বিরল কোনো ঘটনা নয়। ২০১৭ সালে এই মাকালা কারাগার ভেঙেই ৫০ জন কয়েদি পালিয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বেনির একটি কারাগার ভেঙে পালিয়েছিলেন প্রায় এক হাজার কয়েদি।  
মালিতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ১৪ আরোহী নিহত
মালিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন আরোহী নিহত হয়েছেন। বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তারা মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশটির রাজধানী বামাকোর পূর্বে ফানা শহরের কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হয় বাস ও ট্রাকটি। খবর এএফপির।   মালির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, বাসটি ফানা থেকে বামাকোরে যাওয়ার সময় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।  দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে মালিতে প্রায়ই এ ধরনের সড়ক দুর্ঘটনার ঘটে। তবে দেশটিতে আইন না মেনে গাড়ি চালানোর প্রবণতাও রয়েছে। গত জুলাইয়ে মালির মধ্যাঞ্চলে দুটি বাসের সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়।
সোমালিয়ায় সৈকতে হামলায় নিহত ৩২
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর সমুদ্র সৈকতের একটি এলাকায় আত্মঘাতী বোমা ও বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন বলে শনিবার (৩ আগস্ট) দেশটির পুলিশ জানিয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠী আল কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত আল-শাবাব শুক্রবার (২ আগস্ট) সোমালিয়ার লিডো বিচে চালানো হামলার দায় স্বীকার করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবিসিকে পুলিশের মুখপাত্র আব্দিফাতাহ আদান হাসান বলেন, হামলায় প্রায় ৬৩ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমালিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, নিরাপত্তাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। অন্তত পাঁচজন হামলাকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন এবং আরেকজন নিজেকে উড়িয়ে দেয়। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তাসংস্থা এপিকে বলেছেন, বিস্ফোরক ভেস্ট পড়ে এক হামলাকারী নিজেকে একটি হোটেলে উড়িয়ে দেয়। মোহামুদ মোয়ালিম নামে ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, হামলায় ওই হোটেলে থাকা আমার কয়েকজন বন্ধু নিহত হয়েছেন। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসান আলী খায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, লিডো সৈকতে লোকজনের সাঁতার কাটার সময় বিস্ফোরণ ঘটেছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী এই হামলা রাতে ঘটেছে; যখন সৈকতটি সবচেয়ে বেশি জনাকীর্ণ ছিল।
ইথিওপিয়ায় ভূমিধসে ২২৯ জনের মৃত্যু
দক্ষিণ ইথিওপিয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি চলছে দক্ষিণ ইথিওপিয়ায়। তারই জেরে মঙ্গলবার আচমকাই জমির একটি বড় অংশ ধসে পড়ে। কয়েকশ মানুষ সেই ধসে আক্রান্ত হয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২২৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে। আরো মানুষ ধসে আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, মাটি কেটে তার ভিতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে হচ্ছে। ধসের ফলে দেহগুলি মাটির গভীরে চলে গেছে। আরো কত মানুষ মাটির তলায় আছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বহু মানুষ নিখোঁজ। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদ বলেছেন, গোটা ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত। কেন্দ্রীয় অফিসারদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ১৪৮ জন পুরুষ এবং ৮১ জন নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার করতে এসেও অনেকে ধসের ভিতর আটকে পড়েছেন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ। দেহগুলি উপরে নিয়ে আসার পর দেখা যাচ্ছে, ছোট ছোট শিশুরা মৃতদেহ জড়িয়ে বসে আছে। কারণ, তারা তাদের গোটা পরিবারকে হারিয়েছে।