• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
ইথিওপিয়ায় ভূমিধসে ২২৯ জনের মৃত্যু
আজ নেলসন ম্যান্ডেলার জন্মবার্ষিকী
আজ ১৮ জুলাই, বর্ণবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা নেলসন ম্যান্ডেলার ৯১তম জন্মদিন৷ জোহানেসবার্গে তার ভক্তরা দিনটি উদযাপন করছেন মহাসমারোহে৷ চেষ্টা করছেন তার মতো হওয়ার জন্য৷ শনিবার সকালটা ম্যান্ডেলা জোহানেসবার্গে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কাটান৷ এসময় তার বর্তমান স্ত্রী গ্রাসা মাচেল এবং সাবেক স্ত্রী উইনি ম্যাডিকিজেলা ম্যান্ডেলা উভয়েই তাকে সঙ্গ দেন৷ এছাড়া, ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে তার বাসবভনে এসে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাসহ আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ৷ ম্যান্ডেলা তার জন্মদিনে মানুষকে ভালো কিছু করে সময় অতিবাহিত করার আহ্বান জানান৷ প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা ম্যান্ডেলার ৯১তম জন্ম বার্ষিকীতে ম্যান্ডেলার পদাংক অনুসরণের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন৷ এই উপলক্ষ্যে এক বার্তায় জুমা বলেন, আপনি এখন অবসরে বেশ নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন যে, আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের মাধ্যমে দেশ এখন ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ আমরা সর্বদা আপনার উদাহরণ অনুসরণ করবো৷ শনিবার ম্যান্ডেলা দিবসের বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন নেলসন ম্যান্ডেলাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান৷ বান কি মুন নেলসন ম্যান্ডেলার ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঐ বার্তায় ম্যান্ডেলাকে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ মূল্যবোধের এক জীবন্ত প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন৷ এই দিনের স্মরণে জাতিসংঘের উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক দিবস পালনেরও আশা ব্যক্ত করেন বান কি মুন৷ নেলসন ম্যান্ডেলা ২৪ বছর বয়সে রাজনীতিতে আসার পর থেকে দীর্ঘ ৬৭ বছর মানব সেবায় রত আছেন৷ সমাজসেবায় তার এই ৬৭ বছরের কথা মাথায় রেখে ম্যান্ডেলার অনুরোধে শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বস্তরের মানুষ কমপক্ষে ৬৭ মিনিট সময় পরহিতকর কাজে ব্যয় করছেন৷ বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের জীবন্ত কিংবদন্তি ম্যান্ডেলা দীর্ঘ ২৭ বছর কারাগারে অতিবাহিত করেন৷ ১৯৯৩ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন৷ ১৯৯৪ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম বহুদলীয় গণতান্ত্রিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন৷ মাত্র এক মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের পর ১৯৯৯ সালে তিনি ক্ষমতা থেকে সরে আসেন৷ এরপর থেকে ম্যান্ডেলা বিভিন্ন পর্যায়ে সেবামূলক কাজে রত আছেন৷ ম্যান্ডেলার প্রতিষ্ঠিত দাতা সংস্থাগুলো আজ তাদের বাৎসরিক কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে৷ যার মধ্যে রয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় অন্ধদের সহায়তা করা, গৃহহীনদের কম্বল বিতরণ ছাড়াও এইডস আক্রান্ত এতিমদের সাহায্য করা৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় নেওয়া অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দরিদ্র শিশুদের জন্যে কাপড় সংগ্রহ এবং জোহানেসবার্গের কেন্দ্রস্থলে আগ্নিকাণ্ডের ফলে গৃহহীন মানুষদের জন্যে একটি ভবন নির্মাণ কর্মসূচি৷ এছাড়া, ম্যান্ডেলার এইডস ফাউন্ডেশনের জন্য অর্থ সংগ্রহে নিউ ইয়র্কে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশেষ কনসার্ট৷ সেখানে স্টেভি অন্ডার, এ্যালিসিয়া কিজ, এ্যারেথা ফ্রাংকলিন এবং ফ্রান্সের ফাস্ট লেডি কার্লা ব্রুনি সারকোজি অংশ নিচ্ছেন৷
স্কুলের ভবন ধসে নাইজেরিয়ায় বহু হতাহতের আশঙ্কা 
দ. আফ্রিকায় স্কুলবাস উল্টে প্রাণ গেল ১২ শিশুর 
মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৪০
ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পিছু হটলেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট
কেনিয়ার পার্লামেন্টে আগুন,পুলিশের গুলিতে নিহত অন্তত ১০
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ।  কর বাড়ানোর বিতর্কিত আর্থিক বিল পাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পার্লামেন্ট ভবনে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের চালানো গুলিতে এ পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, নাইরোবিতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার মধ্যে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে ধাওয়া দিয়ে পার্লামেন্ট ভবন থেকে দূরে সরিয়ে নেয়। এরপর আগুন দেয় ভবনটিতে। পরে পুলিশ ফিরে এসে বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ছোড়ে। তাতে কাজ না হওয়ায় গুলি ছোড়ে পুলিশ। পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে অন্তত ৫ বিক্ষোভকারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন রয়টার্সের সংবাদকর্মী। ভিভিয়ান আচিস্তা নামের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। রিচার্ড এনগুমো নামের আরেক চিকিৎসক জানান গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করা বিক্ষোভকারী ডেভিস তাফারি রয়টার্সকে বলেন, আমরা পার্লামেন্ট বন্ধ করে দিতে চাই। প্রত্যেক এমপির পদত্যাগ চাই। তখন আমাদের নতুন সরকার হবে। পুলিশ শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্ট ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভূগর্ভস্থ টানেল দিয়ে আইনপ্রণেতাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আইনটি অনুমোদিত হয়েছে পার্লামেন্টে। আইনপ্রণেতাদের তৃতীয় ধাপের পর্যালোচনা শেষে স্বাক্ষরের জন্য বিলটি পাঠানো হবে প্রেসিডেন্টের কাছে। কোনো অভিযোগ থাকলে বিলটি পার্লামেন্টে ফেরত পাঠাতে পারবেন প্রেসিডেন্ট। কয়েক দিন আগে দেশটির পার্লামেন্টে নতুন একটি আর্থিক বিল পাস করা হয়। জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটে জর্জরিত দেশটির মানুষ নতুন এই কর বৃদ্ধির আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। আইনটির প্রতিবাদে নাইরোবি ছাড়াও কেনিয়ার আরও কয়েকটি শহরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। কেনিয়ার ঋণের বোঝা হালকা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২৭০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যে নতুন আর্থিক বিল করতে চায় সরকার। দেশটির বার্ষিক রাজস্বের ৩৭ শতাংশই চলে যায় ঋণ শোধ করতে। এদিকে গাড়ির মালিকানা, রুটি, রান্নার তেল এবং আর্থিক লেনদেনের ওপর প্রস্তাবিত নতুন কর বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার।  কিন্তু প্রতিবাদকারীদের সন্তুষ্ট করার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। পুরো বিলটিই বাতিলের দাবি তাদের। অপরদিকে সহিংসতা ও 'নির্বিচারে আটক' নিয়ে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তার মুখপাত্র বলেছেন, বিক্ষোভে নিহত ও আহত হওয়ার খবরে জাতিসংঘ মহাসচিবও 'অত্যন্ত দুঃখিত'। মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, নির্বিচারে আটকের ঘটনা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার জন্য মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুজারিক আরও বলেন, কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মৃত্যুর সব ঘটনা যেন পূর্ণ তদন্ত করা হয়। গুতেরেস কেনিয়ার পুলিশ ও কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সংযম প্রদর্শনের এবং বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
হজে গিয়ে ৪৯ তিউনিসিয়ানের মৃত্যু, মন্ত্রী বরখাস্ত
সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে হজে রেকর্ড পরিমাণ তিউনিসিয়ান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্মমন্ত্রী ব্রাহিম চাইবিকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ।  এ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের। পবিত্র নগরী মক্কায় হজ পালন করতে গিয়ে ৪৯ তিউনিসিয়ার মৃত্যু হয়।  সৌদি আরবে গত সপ্তাহে প্রচণ্ড গরমের কারণে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।  হজ করতে গিয়ে দেশটির যেসব হাজি নিখোঁজ হয়েছেন তাদের খুঁজে বেরাচ্ছে পরিবার।  এবারের হজে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মিশরীদের।  ৫৩০ মিশরীয় হজে মারা গেছেন। প্রচণ্ড গরমের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ৩১ জন।  এবারের হজে মক্কায় তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি অতিক্রম করে।  গত শুক্রবার থেকে হজের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এবার প্রায় ২০ লাখ মানুষ মক্কায় হজ পালন করেছে।    
আদালতে বিচারককে পুলিশ কর্মকর্তার গুলি 
কেনিয়ার একটি আদালতে বিচারককে গুলি করেছেন দেশটির এক পুলিশ কর্মকর্তা। এ সময় অপর পুলিশ সদস্যের গুলিতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দেশটির রাজধানী নাইরোবিতে এ ঘটনা ঘটে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। গুলিবিদ্ধ বিচারকের নাম মনিকা কিভুতি। বিচারককে গুলি করা ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী জড়িত, এমন একটি মামলার রায়ের পর তাকে গুলি করা হয়। বিচারকের রায়ে ক্ষুব্ধ হন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। রায়ে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার জামিন বাতিল করা হয়েছিল। বিচারককে গুলি করা পুলিশ কর্মকর্তাকে স্যামসন কিপচিরচির কিপ্রুতু হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় লন্ডিয়ানির একটি পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিনি। রায় ঘোষণার সময় জামিন বাতিলের পর বিচারককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন তিনি। এতে বিচারক আহত হন। আদালতে থাকা অপর পুলিশ সদস্যরা দ্রুত পদক্ষেপ নেন। এক পুলিশ সদস্য কিপ্রুতুকে গুলি করেন। এতে তিনি নিহত হন।  পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময় আরও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিচারক ও আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  
নাইজেরিয়ার স্থপতির সৃষ্টি বিশ্বের নজর কাড়ছে
বুর্জ খালিফা বা ধনীদের বিলাসবহুল ভবনের মতো স্থাপত্যের নিদর্শনের সন্ধানে সাধারণত আফ্রিকার প্রসঙ্গ উঠে আসে না৷ নাইজেরিয়ার এক স্থপতি আফ্রিকা মহাদেশকেও স্থাপত্যের মঞ্চে স্থান দেওয়ার চেষ্টা করছেন৷ এই স্থপতির ডিজাইন শুধু কাজ চালানোর বদলে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য পূরণ করে৷ কিন্তু স্থাপত্যের ক্ষেত্রে ভবনগুলি কেন মানুষের চাহিদা পূরণের বদলে প্রযুক্তিগত মানদণ্ডের শর্ত পূরণ করার লক্ষ্যে ডিজাইন করা হয়? আকোসে এনেবেলি কীভাবে ঠিক সে ক্ষেত্রেই পরিবর্তন আনছেন? নিজের ভাবনা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের ডিজাইনের ক্ষেত্রে মানুষকেই কেন প্রাধান্য দেই। কারণ মানুষই বেশিরভাগ ভবনের চূড়ান্ত ব্যবহারকারী৷ এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বাসা থেকে দূরে গেলে সত্যি আবার ফিরে আসার তাগিদ অনুভব করেন৷ কারণ সেটাই তাদের আশ্রয়ের জায়গা৷ ফলে মানুষ বা চূড়ান্ত ব্যবহারকারীরাই আমাদের বেশিরভাগ ডিজাইনের মূল লক্ষ্য৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, লাগোসের মতো জনবহুল শহরে আকোসে কীভাবে এমন স্পেস সৃষ্টি করতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তরের আগে জানা যাক, তিনি আদৌ কেন স্থপতি হয়ে উঠলেন৷ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আকোসে বলেন, সত্য ঘটনা হলো, স্থাপত্যই আমাকে বেছে নিয়েছে৷ আমি সেটা বারবার বলি, কারণ সেই দুই বছর বয়স থেকেই আমি আঁকছি৷ আসলে বাড়িঘর এঁকে চলেছি৷ এ প্রসঙ্গে আমার বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, কারণ তিনি এখনো বেশিরভাগ ড্রয়িং রেখে দিয়েছেন৷ সেকেন্ডারি স্কুল শেষ করার সময় সবাই ভাবনাচিন্তা শুরু করে, আমি ডাক্তার হতে চাই, ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই৷ আমি ঠিক করেছিলাম, হয় স্থপতি হবো, না হলে কিছুই করবো না৷ স্কুলে নির্দিষ্ট একটি ঘটনা আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল, যে আমি স্থাপত্যের জন্য প্রস্তুত৷ আমরা যখন স্কুলে ছিলাম, তখন স্কেচ ও ড্রয়িং করতাম৷ তখনো কম্পিউটার-ভিত্তিক ডিজাইন তেমন ছড়িয়ে পড়েনি৷ আমার আঁকা এতই নিখুঁত ছিল, যে আমার লেকচারার একবার প্রায় ফেল করিয়ে দিয়েছিলেন৷ কারণ তিনি নিশ্চিত ছিলেন, যে আমি কম্পিউটার ব্যবহার করে সেটা এঁকেছি৷ সেই মুহূর্তটি কখনো ভুলবো না৷ কারণ মনে হয়েছিল আমি সত্যি কোনো ভালো কাজ করছি৷  আকোসে এনেবেলি এল আর্ক ডিজাইন্স কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার৷ বেশ কয়েক বছর ধরে সেই সংস্থা ভিন্নধর্মী ও ডিসরাপটিভ ডিজাইন সৃষ্টি করে চলেছে৷ নাইজেরিয়ার অনেক ধনী ব্যক্তির বাসার নক্সাও করে দিয়েছে তারা৷ কিন্তু নিজের ডিজাইনের মাধ্যমে তিনি কীভাবে এই শিল্পখাতে ডিসরাপশন বা বিঘ্ন ঘটান? সেই মনোভাবের ব্যাখ্যা করে আকোসে এনেবেলি বলেন, আমাদের ডিজাইনের মধ্যে টেকসই প্রণালী সম্পৃক্ত করতে আমরা সব সময়ে উপকরণের দিকে নজর দেই৷ এ ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছেন, আমরা কীভাবে দেওয়ালে পাথর ব্যবহার করেছি৷ পাথর এক প্রাকৃতিক উপাদান, যে কারণে প্রায় কোনো রক্ষণাবেক্ষণেরই প্রয়োজন হয় না বলা চলে৷ তাই আমরা টেকসই উপাদান ও জ্বালানি সাশ্রয়ের দিকে নজর দেওয়ার চেষ্টা করি৷ এই ভবনে সব কাচই ডাবল গ্লেজড যা বাড়ির মধ্যে উত্তাপ কমিয়ে দেয়৷ ফলে বিদ্যুতের ব্যবহারও কমে যায়৷ ভবন শীতল থাকে৷ তাই ভবনের ডিজাইনের সময়ে আমরা টেকসই উপাদান সম্পৃক্ত করি৷ শতবর্ষের বেশি প্রাচীন আন্তর্জাতিক ডিজাইন কর্তৃপক্ষের তালিকায় নাইজেরিয়ার প্রথম স্থপতি হিসেবে তিনি স্থান পেয়েছেন৷ অনেকেই সেই স্বীকৃতির স্বপ্ন দেখেন৷ স্থাপত্যের ক্ষেত্রে আকোসের কীর্তি মানুষের চাহিদা পূরণ করে৷ কিন্তু এই শিল্পখাতে কিছু চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তিনি কীভাবে নিজের আইডিয়া কার্যকর করেন এবং নিজস্ব উদ্যোগ চালিয়ে যান? এর উত্তরে আকোসে বলেন, বাণিজ্যিক স্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা যে কোনো ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করি৷ বেশিরভাগ ব্র্যান্ডের নিজস্ব পরিচয় রয়েছে৷ তারা নিজস্ব ব্র্যান্ডের প্রতিনিধি হিসেবে কিছু উপাদান একত্র করেন৷ আমরা সেই ভবনের মধ্যেই সেই সব উপাদান সম্পৃক্ত করে সেই স্পেসের সঙ্গে ব্র্যান্ডের মেলবন্ধন ঘটানোর চেষ্টা করি৷ যে কেউ সেই স্থাপনায় প্রবেশ করলে আপনার ব্র্যান্ডের বৈশিষ্ট্য বুঝতে পারবে৷ যেমন ব্র্যান্ডে হলুদ রং থাকলে আমরা সেই রং ব্যবহারের চেষ্টা করি৷ হলুদ রং অবশ্যই মনমেজাজ চাঙ্গা করে তোলে৷ তাই আমরা সেই স্পেসের মধ্যে সেটা কোনোভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি৷ আবেগপ্রবণ স্থপতি হিসেবে তিনি অ্যাফ্রোবিটস সংগীতশিল্পী বার্না বয়ের মতো নাইজেরিয়ার শীর্ষ স্তরের খ্যাতিমান ব্যক্তিদের জন্য ভবন ডিজাইন করেছেন৷ তিনি উদ্ভাবনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি উচ্চ মানদণ্ডও বজায় রাখার চেষ্টা করছেন৷ উদাহরণ হিসেবে একটি প্রকল্পের বিষয়ে আকোসে বলেন, আমাদের ডিজাইনের মধ্যে আমরা এমন একটা ধারণা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলাম, যে সুইমিং পুল ভবনটিকে যেন ছুঁয়ে রয়েছে৷ পরিকল্পনা থেকে শুরু করে নির্মাণের সময় পর্যন্ত আমাদের মনে সেই ধারণা কাজ করেছে৷ আমরা সেই ডিজাইনকে ইন্টারেস্টিং করে তুলতে বসার ঘরটিকে সুইমিং পুলের উপর ভাসমান অবস্থায় রাখতে চেয়েছিলাম৷ প্রাথমিক ভাবনাচিন্তার সময় আমাদের মনে সেই আইডিয়া এসেছিল, যদিও সেটা পাগলামি মনে হয়েছিল৷ তারপর আমরা আরো এক ধাপ এগিয়ে বসার ঘরকে শুধু পুলের উপর ভাসমান করে তুলেই ক্ষান্ত হইনি৷ ভবনের একটি অংশ এমনভাবে গড়ে তুলেছি যে, সেখানে যেতে হলে পুলের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হয়৷ সেই ইন্টারেস্টিং চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে শেষ পর্যন্ত আমরা সেই পরিকল্পনা কার্যকর করতে সমর্থ হয়েছি৷ কাঠামোর ঊর্ধ্বে ভাবনাচিন্তা করা কেন আকোসের জন্য জরুরি? সেই মনোভাব কীভাবে সমাজে স্থাপত্যের ভূমিকায় পরিবর্তন আনতে পারে? আকোসে এনেবেলি বলেন, সম্ভাবনার সীমা ঠেলে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের দরবারে নাইজেরিয়ার স্থাপত্য নিয়ে আমাদের গর্ব তুলে ধরারও চেষ্টা করি৷ আমি নিশ্চিত, যে আমাদের সৃষ্টি করা ভবনগুলি দেখলে অনেকে বিশ্বাসই করেন না, যে সেগুলি নাইজেরিয়ায় থাকতে পারে৷ আমার মনে আছে, যখন ইগালো ও বার্না বয়ের ভবন দেখিয়েছিলাম, তখন অনেকে সে রকমটা আশা করেনি৷ এমন প্রকল্প আসলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা নাইজেরিয়ার সেলিব্রিটি লিভিং তুলে ধরেছিলাম৷ সবাই এখন জানতে চাইছে, আফ্রিকা থেকে নতুন কী উঠে আসছে৷ আমরাও সেটা করার চেষ্টা করছি৷ নাইজেরিয়া তথা আফ্রিকার দিকে আর মুখ ফিরিয়ে রাখলে চলবে না৷ নান্দনিকতার প্রতি নজর দেওয়ার পাশাপাশি স্থপতিদের বড় আকারে সমস্যার সমাধানকারীর ভূমিকাও পালন করতে হয় বলে আকোসে মনে করেন৷ বাস্তব জগতে মানুষের চ্যালেঞ্জগুলির ভিত্তিতে নগরের পরিবেশ ও সামাজিক এলাকাগুলিতেও রদবদল আনতে হয়৷ তার মতে, উদ্দেশ্য সামনে রেখে ডিজাইন করা উচিত৷ প্রচলিত ধ্যানধারণাও চ্যালেঞ্জ করা উচিত৷
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মালাউইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্টসহ নিহত ১০
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমা নিহত হয়েছেন। এছাড়াও প্রাণ হারিয়েছেন বিমানটিতে থাকা আরও ৯ জন।  মঙ্গলবার (১১ জুন) দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ। এর আগে চিলিমাকে বহনকারী বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। দেশটির সেনাবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, তারা ধারণা করছেন বিমানটি চিকানগাওয়ার জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু এটি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং বিমানটির সব আরোহী নিহত হয়েছেন। মালাউইয়ের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার পল ভেলেন্তিনো ফিরি আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) জানিয়েছিলেন, ঘন জঙ্গল এবং কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার (১০ জুন) সকালে রাজধানী লিলংওয়ে ছেড়ে যাওয়ার পর মালাউই প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওই বিমানটি ‘রাডারের বাইরে চলে যায়’। বিমানটির স্থানীয় সময় সকাল ১০টার পরে দেশের উত্তরে অবস্থিত মজুজু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। সোমবার গভীর রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভেরা বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর আগে প্রেসিডেন্ট চাকভেরা তার বাহামাস সফরে যাওয়ার ফ্লাইট বাতিল করেন। সোমবার সন্ধ্যায় ওই সফরে তার রওনা হওয়ার কথা ছিল। সোমবার বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার কথা বলা হলেও আজ মঙ্গলবার এটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তিনি সোমবার বিমানটিতে করে সদ্য প্রয়াত ক্যাবিনেট মন্ত্রী রালফ কাসাম্বারার শেষকৃত্যে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে তিনি নিজেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এবং তিনি নিজে নিহত হয়েছেন। সূত্র: দ্য সান, বিবিসি
মালাবির ভাইস প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ নিখোঁজ
আফ্রিকার দেশ মালাবির ভাইস প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমাকে বহনকারী দেশটির প্রতিরক্ষাবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ নিখোঁজ হয়েছে। উড়োজাহাজটিতে প্রেসিডেন্ট  চিলিমা ছাড়া আরও ৯ আরোহী ছিলেন। সোমবার (১০ জুন) দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তর ও মন্ত্রিসভা এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, চিলিমা ও অন্যদের নিয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীর উড়োজাহাজটি সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে রাজধানী লিলংওয়ে থেকে উড্ডয়ন করে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে উড়োজাহাজটি গন্তব্যে অবতরণ করেনি। উড়োজাহাজটির কী হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সূত্র: সিএনএন
লিবিয়া উপকূলে ১১ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার
লিবিয়া উপকূল থেকে ১১ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে একটি উদ্ধারকারী দল। শুক্রবার (৭ জুন) উপকূলের কাছাকাছি এলাকা থেকে আরও দেড় শতাধিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছে দাতব্য গোষ্ঠী ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। এমএসএফ বলেছে, তাদের জিও বেরেন্টস অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকারী জাহাজ দুটি অভিযানে ১৪৬ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। পরে আরেকটি পৃথক নৌকায় আরও ২০ জনকে পায় তারা। এ ছাড়া, উদ্ধারকাজে নিয়োজিত একটি বিমানের সাহায্যে সমুদ্রে আরও ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা একটি পোস্টে এমএসএফ বলেছে, ‘এই ট্র্যাজেডির সুনির্দিষ্ট কারণ আমরা জানি না। তবে আমরা এটি জানি, মানুষ নিরাপত্তার জন্য মরিয়া হয়ে মারা যাচ্ছে। এর অবসান হওয়া উচিত।’ সী ওয়াচ গ্রুপের একটি বিমান ওই মরদেহগুলো দেখেছিল। মৃতদের উদ্ধার করার জন্য লিবিয়ার উপকূলরক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ  হয় তারা।  একটি বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, ‘ভূমধ্যসাগরে এটি ঘটে। এমনকি কেউ যদি তা না-ও দেখে’ অভিবাসীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সমুদ্র পথ ভূমধ্যসাগর। ২০১৪ সাল থেকে মধ্য ভূমধ্যসাগরে ২০ হাজারটিরও বেশি মৃত্যু এবং নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ।