• ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
সেনেগালের কৃষি-ইনফ্লুয়েন্সার
জেলে বসেই কোরআনের হাফেজ হলেন ১৩ হাজার কারাবন্দি
আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে কারাগারে বসেই পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৬৪ জন কারাবন্দি। দেশটির কারা কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোরআন নিউজ এজেন্সি ও মরক্কোর নিউজ এজেন্সি এবিএনএ। মরক্কোর কারাগার প্রশাসনের জেনারেল বোর্ডের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রশাসন দেশের আওকাফ এবং ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মরক্কোর কারাগারে খুতবা এবং ইসলামবিষয়ক নানা নির্দেশিকা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেই সঙ্গে পবিত্র কোরআন শেখানো, প্রয়োজনীয় দোয়া-দরুদ ও হাদিস মুখস্থ করার মাধ্যমে বন্দিদের ইসলামি মূল্যবোধ শেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ১৩ হাজার ৪৬৪ জন বন্দি পবিত্র কোরআন হেফজ করেছেন। মোট ৬৭ হাজার ৭৭২ জন বন্দি তাবলিগ, ওয়াজ ও নির্দেশনামূলক কর্মসূচি থেকে উপকৃত হয়েছেন। আইকিউএনএ জানিয়েছে, আগামীতে দেশটির এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে কারাগারে কোরআন মাজিদ হেফজ কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো হবে। আরটিভি/এসএপি
হাইতিতে জাতিসংঘের হেলিকপ্টারে গুলি
নীলনদ উপত্যকায় মিললো সাড়ে তিন হাজার বছর আগের কুকুর
মিশরের দ্য গ্রেট পিরামিডের চূড়ায় কুকুর
মিশরে বাস দুর্ঘটনায় ১২ মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত, আহত ৩৩
নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ, নিহত বেড়ে ১৪৭
নাইজেরিয়ায় একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নাইজেরিয়ার পুলিশের মুখপাত্র লাওয়ান শিসু অ্যাডাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর আল-জাজিরার। শিসু অ্যাডাম বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জিগাওয়া প্রদেশের মাজিয়া শহরের এক্সপ্রেসওয়েতে একটি জ্বালানিবাহী ট্যাংকার উল্টে যায়। দলে দলে মানুষ ওই ট্যাংকারটি থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করতে আসেন। অনেকে আবার গাড়ি নিয়েও আসেন। এরপর হঠাৎ করে ট্যাংকারটি বিস্ফোরিত হলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।  একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে জ্বালানিবাহী ট্যাংকারটি এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টে গিয়েছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ। এদিকে অনলাইনে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরিত ট্যাংকারটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। দুর্ঘটনাস্থলের চারিদিকে ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে মরদেহ। নাইজেরিয়ার জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এনইএমএ) জানিয়েছে, ট্যাংকার বিস্ফোরণে অন্তত ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন। আরটিভি/এসএপি-টি
নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ, নিহত ৯০
নাইজেরিয়ায় একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।  স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার পুলিশের মুখপাত্র লাওয়ান আদামু তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু নিউজ এজেন্সিকে বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশটির জিগাওয়া রাজ্যের তাউরা এলাকার একটি এক্সপ্রেসওয়েতে ওই বিস্ফোরণটি ঘটেছে। পুলিশের মুখপাত্র লাওয়ান আদামু জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় মধ্যরাত ৩টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত আগুন জ্বলেছে। আরটিভি/এসএইচএম/এসএ  
জিবুতির উপকূলে নৌকাডুবি, নিহত ৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী
আফ্রিকার দেশ জিবুতির সমুদ্র উপকূলে অভিবাসীবাহী দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ৪৫ জন মারা গেছেন৷ জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম এ তথ্য জানিয়েছে৷ নৌকাডুবির ওই ঘটনায় নিখোঁজও রয়েছেন অনেকে৷ ৩০ সেপ্টেম্বর জিবুতির উত্তর-পশ্চিম দিকে খোর আঙ্গার অঞ্চলের সৈকত থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে জিবুতির কোস্টগার্ড৷ ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেন থেকে দুইটি নৌকায় ৩১০ জন অভিবাসী রওনা হয়েছিলেন৷ মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ দেয়া এক পোস্টে আইওএম বলেছে, এখন পর্যন্ত ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে৷ অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টায় সংস্থাটি কাজ করছে বলেও জানানো হয়েছে৷ এদিকে জিবুতির কোস্টগার্ড জানায়, নৌকাডুবির পরপরই ফরাসি নৌবাহিনীর সহায়তায় যৌথ উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়৷ এতে এ পর্যন্ত ১১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে৷ সংঘাত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলোতে পৌঁছাতে চান হর্ন অব আফ্রিকার হাজার হাজার মানুষ৷ এজন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোহিত সাগর পাড়ি দিতে চান তারা৷ এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা প্রায়ই বিপদের মুখে পড়েন৷ এ বছরের এপ্রিলে জিবুতিতে ওবক শহরের কাছে শিশুসহ অন্তত ৭৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে বহন করা একটি নৌকা ডুবে ২৪ জন নিহত হন৷ গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্বিতীয় নৌকাডুবির ঘটনা৷ এর আগে আগস্টে ইয়েমেনের তায়েজ জেলার উপকূলে একটি নৌকা ডুবে অন্তত ১৩ জন মারা গেছেন৷ আরটিভি/এএইচ
হাইতিতে ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণ, নিহত ২৫
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতিতে ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।  দক্ষিণ হাইতিতে পেট্রোলবাহী একটি ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরিত হলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার হাইতির দক্ষিণ উপদ্বীপের একটি রাস্তায় জ্বালানিবাহী ট্রাক বিস্ফোরিত হয়ে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন আরও অনেকে। হাইতির প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিল নিপেসের উপকূলীয় শহর মিরাগোয়ানের কাছে এই ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, কিছু গুরুতর আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য হেলিকপ্টারে করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিল বলেছেন, এটি ভয়ংকর দৃশ্য, যা আমি এইমাত্র প্রত্যক্ষ করেছি। এর আগে তিনি বলেছিলেন, জরুরি দলগুলো ‘গুরুতরভাবে আহতদের জীবন বাঁচাতে’ কাজ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ও তাদের পরিবারের জন্য সরকারি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর আগে, নিপেসের কর্তৃপক্ষ বলেছিল, দুর্ঘটনায় ১৬টি মৃতদেহ সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে এবং আরও ৪০ জনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কেনিয়ায় স্কুলে আগুন লেগে নিহত অন্তত ১৭ শিশু
কেনিয়ার একটি স্কুলের ছাত্রাবাসে আগুন লেগে অন্তত ১৭ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। মাঝরাতে আগুন লাগার সময় শিশুরা ঘুমিয়ে ছিল৷ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানী নাইরোবি থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে নেয়েরি কাউন্টির হিলসাইড এনদারাসা অ্যাকাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে৷ পুলিশের মুখপাত্র রেসিলা ওনায়াঙ্গো এএফপিকে জানান, , ঐ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী আছে৷ তাদের বয়স পাঁচ থেকে ১২-র মধ্যে৷ উদ্ধার করা মরদেহগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে যে সেগুলোর পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি৷ আহতদের মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা মারাত্মক বলেও জানান তিনি৷ ঘটনাস্থলে পুরোপুরি তদন্ত শেষে আরও মরদেহ পাওয়া যেতে পারে, বলে আশঙ্কা তার৷ আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি বলে জানান পুলিশের ঐ মুখপাত্র৷ তবে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন৷ কেনিয়ায় অতীতেও স্কুলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে৷ ২০১৬ সালে মেয়েদের এক হাইস্কুলে আগুন লেগে নয় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিল৷ নাইরোবির উপকণ্ঠে কিবেরিয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল৷ ২০০১ সালে একটি স্কুলের ছাত্রাবাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হলে ৬৭ শিক্ষার্থী মারা গিয়েছিল৷ দক্ষিণাঞ্চলের মাচাকস জেলায় এই হামলা হয়েছিল৷ এই ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল৷
নাইজেরিয়ায় বোকোহারামের হামলায় নিহত ৮১
নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্ব ইউবে অঞ্চলে এক সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৮১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ আছেন অনেকে। দেশটির জঙ্গি সংগঠন বোকোহারামের সদস্যরা এ হামলায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। খবর এএফপির। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। ইউবে অঞ্চলের পুলিশের মুখপাত্র আবদুল করিম দাঙ্গুস বলেন, রাইফেল, আরপিজিসহ (রকেটচালিত গ্রেনেড) বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্দেহভাজন প্রায় দেড়শ’ বোকোহারাম সদস্য ৫০টির বেশ মোটরসাইকেলে করে হামলা চালান। মাফা নামের একটি গ্রামে গত রোববার এ হামলা হয়। স্থানীয় কর্মকর্তা বালুমা জালালুদ্দিন বলেন, হামলায় অন্তত ৮১ জন নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধারে সেনাসদস্যরা মাফায় পৌঁছানোর আগেই ১৫ জনকে দাফন করা হয়। হামলায় নিখোঁজ আছেন অনেকে। বোকো হারামসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী গত ১৫ বছর উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায় বিদ্রোহ করছে। এতে নিহত হয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। মধ্য ও উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ার মানুষ সশস্ত্র বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাতে বছরের পর বছর নিষ্পেষিত হচ্ছেন। গোষ্ঠীগুলোর সদস্যরা দস্যু নামে পরিচিত। তারা গ্রামে গ্রামে হামলা চালিয়ে লুটপাট করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের হত্যা ও অপহরণ করেন এবং বাড়িঘরে আগুন দেন।
কঙ্গোতে কারাগার ভেঙে পালানোর সময় নিহত ১২৯ কয়েদি
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোর একটি কারাগার ভেঙে পালানোর সময় অন্তত ১২৯ জন কয়েদি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।  সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ২ টার দিকে রাজধানী কিনসাসার মাকালা কেন্দ্রীয় কারাগারে এই ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাকুমিন শাবানি লুকু বিহাঙ্গো। খবর সিএনএনের।  মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যাকুমিন বলেন, নিহত ১২৯ জনের মধ্যে ২৪ জন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন; বাকিরা প্রাণ হারিয়েছেন পদদলন ও সাফোকেশনের শিকার হয়ে। এছাড়া পালানোর সময় আহত হয়েছেন ৫৯ জন কয়েদি। তাদেরকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং কিনসাসার বাসিন্দা দাদ্দি সোসো এএফপিকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেশ কয়েক ঘণ্টা কারাগারে গুলির আওয়াজ পেয়েছেন তারা। রাত সাড়ে ৩ টার পর কারাগার থেকে লাশবাহী গাড়িও ছেড়ে যেতে দেখেছেন। ঘটনার পর মাকালা কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেসব ভিডিওতে মাটিতে কয়েদিদের রক্তাক্ত মরদেহের সারি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কঙ্গোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।  জানা গেছে, ১৫০০ কয়েদি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মাকালা কারাগারে থাকতেন ১২ হাজারেরও বেশি সংখ্যক কয়েদি। এই কয়েদিদের অধিকাংশই বিচারাধীন মামলার আসামি। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের ধরতে ইতোমধ্যে সশস্ত্র এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কঙ্গোর বিচার বিষয়ক মন্ত্রী কনস্ট্যান্ট মুতাম্বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ ঘটনাকে ‘নাশকতা’ উল্লেখ করে বলেছেন, বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত মাকালা কারাগারের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। কঙ্গোতে কারাগার ভেঙে কয়েদিদের পালানো অবশ্য বিরল কোনো ঘটনা নয়। ২০১৭ সালে এই মাকালা কারাগার ভেঙেই ৫০ জন কয়েদি পালিয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বেনির একটি কারাগার ভেঙে পালিয়েছিলেন প্রায় এক হাজার কয়েদি।