• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
ডিমের কুসুমে তৈরি ৪ ফেসপ্যাকেই ফিরবে উজ্জ্বলতা
ঈদের আগে ক্লান্তি দূর করতে বাড়িতেই করুন স্পা
আর কয়েকটা দিন পরেই ঈদ। এ সময় নিজের একটু যত্ন করাতো প্রয়োজন। কিন্তু এ সময়ে পার্লারে যাওয়ার মত সুযোগ নেই, আবার লম্বা সিরিয়ালও থাকতে পারে। এসব ঝামেলা এড়াতে কিছু কাজ বাড়িতে বসেই করে নেওয়া যায়। যেমনটা ইদের আগে বাড়িতেই একটা স্পা নিয়ে নিতে পারেন। এতে শরীর চনমনে হয়ে উঠবে আবার ইদের আগে বাড়তি সৌন্দর্যও ধরা দিবে।  জেনে নিন বাড়িতে কিভাবে স্পা করবেন-  হাতের কাছে থাকা সহজলভ্য জিনিস দিয়েই বাড়িতে সেরে ফেলুন স্পা। তবে তার জন্য সবার আগে ‘মি-টাইম’ খুঁজে বের করুন। কারণ, স্পায়ের সময়টা অন্তত সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে নিজের জন্য বরাদ্দ করুন। জেখবেন এই গরমে মন-মেজাজ কেমন ফুরফুরে হয়ে গিয়েছে। প্রথমেই বলব যে কোনওরকম বডি প্যাক তৈরি করে ফেলুন। সবরকমের ফল ব্লেন্ডারে পেস্ট করেও বানাতে পারেন। কিংবা মুলতানি মাটির সঙ্গে চন্দন, হলুদ, সামান্য শাঁখের গুঁড়ো মিশিয়েও প্যাক বানিয়ে ফেলতে পারেন। এক্ষেত্রে কাঁচা দুধের সঙ্গে বেসন, পরিমাণমতো মধু আর টক দই মিশিয়ে একটা প্যাক বানান এটা দারুণ কার্যকরী। প্যাক বানিয়ে ফ্রিজে রেখে একটু ঠান্ডা করে নিন। এবার স্পায়ের সব সরঞ্জামগুলো হাতের সামনে রাখুন। ঘরে হালকা মিউজিক চালান। সঙ্গে নরম আলো জ্বললে আরও ভালো। কয়েকটা সুগন্ধী মোমও জ্বালিয়ে নিতে পারেন। মন শান্ত করুন সবার আগে। ঘরে হালকা পারফিউম স্প্রে করে এবার হালকা পোশাক পরুন। একটা বড় গামলায় পানি নিয়ে তাতে পরিমাণমতো ঠান্ডা পানি, সামান্য শ্যাম্পু, কয়েক ফোঁটা সুগন্ধি তেল, লবণ ও বেকিং সোডা ফেলে দিন। এবার আলাদা একটা পাত্রে কাঁচা দুধ ও গোলাপ জলের মিশ্রণ তৈরি করে তাতে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে মুখের ওপর রাখুন। এবার গামলায় পা ডুবিয়ে মিউজিকের গভীরতায় হারিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর মুখ থেকে কাপড় সরিয়ে পায়ের তলা পিউমিং স্টোন দিয়ে ঘষে নিন। পুরনো ব্রাশ দিয়ে নখের কোণগুলো পরিষ্কার করুন। অন্য একটি পাত্রে খানিকটা অলিভ অয়েলে রোজ, ভ্যানিলা বা লেমন এসেন্স পছন্দের কোনও সুগন্ধি তেল মিশিয়ে রাখুন। পা পরিষ্কার হয়ে গেলে সারা শরীরে বডি প্যাক লাগিয়ে মিনিট ২০-২৫ রাখুন। এবার শুকিয়ে এলে বালতিতে উষ্ণ গরম পানিতে একটু লবণ ফেলে দিন। সেই পানিতে গা ভিজিয়ে বডি প্যাক ঘষে তুলে নিন। এবার অলিভ অয়েলের মিশ্রণটা পুরো বডিতে মাসাজ করে নিন। পায়ের তলা, কাফ মাসল, হাতের তালুতে আস্তে আস্তে চাপ দিয়ে মাসাজ করুন। ঠিক এই জিনিসটিই কিন্তু ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তেল মাসাজ করার পর মিনিট দশেক পছন্দের মিউজিক শুনে শাওয়ারের নিচে দাঁড়ান। শাওয়ার নিয়ে উঠে হালকা ক্রিম মাসাজ করে নিন পুরো শরীরে। দেখবেন শরীরের সব ক্লান্তি ধুয়ে মুছে গেছে। তবে হ্যাঁ এই সম্পূর্ণ পদ্ধতির সঙ্গে মুখে স্টিম নিয়ে প্যাকও লাগাতে পারেন। তাহলে আরও ভালো হয়। এই পদ্ধতিতে নিজেই স্পা করতে পারবেন বাড়িতে। তবে মাসাজের ক্ষেত্রে অন্য কেউ সাহায্য করলে আরও ভালো হয়। কারণ, সেই সময়টায় আপনি রিল্যাক্স করতে পারবেন।
চোখের নিচের কালি ও ব্রণের দাগ দূর হবে যে সবজিতে
ফেস সিরাম ব্যবহারের আগে যা জানা জরুরি
১০ মিনিটে উজ্জ্বলতা বাড়াবে যে মিশ্রণ
লাউয়ের খোসায় ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর টিপস
যে যত্নে দূর হবে চোখের নিচের ফাইন লাইনস ও রিংকেল
ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত আমাদের ত্বক নানান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে আমাদের ত্বক হারায় তার দৃঢ়তা ও জেল্লা। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় সবার মাঝে একটি সাধারণ সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যাটি হলো–চোখের নিচে ভাঁজ পড়ে যাওয়া কিংবা কুঁচকে যাওয়া, একেই ফাইন লাইনস ও রিংকেল বলে। আমাদের প্রতিদিনকার জীবনাচরণ, কম ঘুমানো, স্ট্রেস, ব্যাস্ততা,পরিবেশদূষণ, সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্নি, বংশগত কারণ ইত্যাদি কারণগুলো চোখের নিচের কালো দাগ হওয়ার জন্য দায়ী। এটা আমাদেরকে জানান দেয় যে খাদ্যাভাস, বয়স বা জীবনযাত্রায় হচ্ছে অনিয়ম। এজিং সাইনগুলো সাধারনত সবচেয়ে প্রথমে চোখের নিচেই দৃশ্যমান হয়। কারন আমাদের চোখের নিচে প্রিঅরবিটাল হলো নামক অংশের চামড়াতে থাকা রক্তের শিরাগুলো তুলনামূলক পাতলা হয়। আগে থেকেই এ ব্যাপারে সচতন থাকতে হবে, সময় করে যত্ন নিতে হবে চোখের।  যে কারণে হয় ফাইন লাইনস ও রিংকেল:  রিংকেল এবং ফাইন লাইন হবার পেছনে এমন কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে, যা আমরা চাইলেই কন্ট্রোল করতে পারি না। যেমন- বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বকের ইলাস্টিসিটি এবং নমনীয়তা কমতে থাকে। ধীরে ধীরে আমাদের শরীরে ফ্যাট কিংবা তেল উৎপাদন কমে যায়,যা ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। যে কারণে ত্বকের চামড়া ঝুলে যেয়ে ত্বকে ফাইন লাইন অর্থাৎ বলিরেখা এবং রিংকেলের সৃষ্টি করে। সূর্যের আলো কিংবা আলট্রা ভায়োলেটের প্রভাব: ত্বকে সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্নির প্রভাবে এজিং শুরু হয়, যা রিংকেল হওয়ার একটি প্রাথমিক কারণ। ইউভি রশ্নির সংস্পর্শে আমাদের ত্বকের গভীরের কানেক্টিভ টিস্যু- কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবারকে নিস্তেজ করে দেয়। যার কারণে ত্বকে ভাজ অর্থাৎ রিংকেল দেখা যায়। এ ছাড়াও ধূমপান, খাদ্যাভ্যাস এবং আমাদের প্রতিদিনকার বিভিন্ন ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন (যেমন- চোখ কুঁচকে রাখা, কিংবা হাসার সময় চোখ ছোট করে ফেলা) ইত্যাদিও এই রিংকেল বা ফাইন লাইনের জন্য দায়ী। চোখের নিচে রিংকেল কিংবা ফাইন লাইনসের প্রতিকারের জন্য কিছু টিপস- সানস্ক্রিন: সূর্যের আলো থেকে যতটা পারা যায় স্কিনকে সুরক্ষা দিতে হবে। সরাসরি সূর্যের আলো পড়ার সম্ভাবনা থাকলে সানগ্লাস, ছাতা এবং লং-স্লিভ অর্থাৎ লম্বা হাতাওয়ালা জামা পরতে হবে। আর এক্ষেত্রে স্কিনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে- সানস্ক্রিন। বাসা থেকে বের হওয়ার ২০ মিনিট আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন দিতে হবে। সানপ্রটেকশন যুক্ত স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে, যাতে ন্যূনতম এসপিএফ ৩০ থাকে। বয়স ভেদে সানস্ক্রিনের এসপিএফের মাত্রা ১৫ থেকে ৫০ পর্যন্ত হতে পারে। সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে তা ক্লিন করার জন্য অবশ্যই ডাবল ক্লেনজিং করতে হবে। ময়েশ্চারাইজার: স্কিন ড্রাই কিংবা শুস্ক থাকলে সহজেই ফাইন লাইনস এবং রিংকেল দেখা দেয়। তাই শুষ্কতা থেকে বাঁচতে ময়েশ্চারাইজার  ব্যবহার করতে হবে। কয়েক সপ্তাহ ব্যবহারেই আপনি ত্বকে পরিবর্তন লক্ষণ করতে পারবেন। আই-ক্রিম: আমাদের চোখের নিচের ত্বক ফেইসের অন্যান্য অংশের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশি সংবেদনশীল। তাই এর পরিচর্যাতেও দরকার এক্সট্রা কেয়ার। ত্বকের ধরণ ও বয়স ভেদে মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের আই-ক্রিম পাওয়া যায়। রিংকেল ও ফাইনলাইনসের মতো সমস্যা এড়াতে আই-ক্রিম খুবই কার্যকরী। হেলদি ডায়েট: আমমাদের ত্বকের জন্য কিছু কিছু ভিটামিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৫ সহ ইত্যাদি। এই  প্রয়োজনীয় ভিটামিনগুলো আমাদের ত্বকের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল থেকে আমরা এ ভিটামিনগুলো পেয়ে থাকি। জেনে নিন রিংকেল দূর করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক প্যাক- একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে ত্বকের এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে থাকে। তাই আমাদের উচিত স্কিনকেয়ারের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং ত্বক অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট স্কিন-কেয়ার রুটিন ফলো করা। তাহলে এই সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। রিংকেল বা ফাইন লাইনস রোধে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি হোম রেমেডির কথা বলা যাক। আপনি সহজেই বাসায় বসে বানিয়ে নিতে পারবেন কার্যকরী এই প্যাকগুলো। শসা এবং দইয়ের প্যাক: চোখের সৌন্দর্য চর্চায় শসা  প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। শসায় এমন উপাদান আছে, যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি কে ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে টানটান রাখে।  যার ফলে রিংকেল এবং ফাইনলাইনসের মতো সমস্যাগুলো এড়ানো যায়। এই প্যাকটি বানানোর জন্য শসা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পরিমাণ মতো টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর চোখের নিচে ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২ বার প্যাকটি ব্যবহার করলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে।আপনি চাইলে দিনের সকল কাজ শেষে ২ টুকরো শসা চোখের উপরে দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারেন। এতে আপনি বেশ রিফ্রেশ ফিল করবেন এবং একই সাথে ত্বকের যত্নও হবে। কফি বিন প্যাক: অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কফি এবং কোকোয়া পাউডার রিংকেল এবং ফাইনলাইনস কমাতে সাহায্য করে। কোকোয়া পাউডার এবং মধু একসাথে মিশিয়ে আপনি সহজেই আপনি প্যাকটি তৈরি করে ফেলতে পারবেন। চোখের নিচে এবং পুরো ত্বকে প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা  করলে ধুয়ে নিতে পারেন। নারকেল তেল এবং হলুদের প্যাক: নারকেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ই, যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এক টেবিল চামচ নারকেল তেলে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে সহজেই প্যাকটি তৈরি করে ফেলতে পারবেন আপনি। নারকেল তেলের সঙ্গে আমন্ড ওয়েল এবং ক্যামোমাইল ওয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।  অলিভ অয়েল ম্যাসাজ: চোখের নিচে ফাইন লাইন কিংবা রিংকেলের জন্য অলিভ অয়েল ম্যাসাজ বরাবরই কার্যকরী একটি পদ্ধতি। ভিটামিন ই, কে এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ অলিভ অয়েল ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতেও সাহায্য করে। অ্যালোভেরা ফেইস প্যাক: ত্বকের পরিচর্যায় অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং ভিটা ক্যারোটিন। যা আমাদের ত্বককে সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা দেয় এবং ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে। পেঁপে এবং মধুর ফেইস প্যাক: চোখের নিচের রিংকেল, ফাইনলাইনস এবং আইব্যাগের জন্য এই প্যাকটি খুবই কার্যকরী। ত্বকের সুরক্ষা এবং ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে মধুও ব্যবহার হয়ে থাকে। পরিমাণ মত পেঁপে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে কয়েক ফোঁটা মধু মেশাতে হবে। সাথে কিছুটা টকদই মিশিয়ে লাগিয়ে নিন, ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে কয়েকদিন ব্যবহারেই চোখের নিচের রিংকেলস কমতে দেখা যাবে।
রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে হলুদের ঘরোয়া প্যাক
বাইরে বের হলেই মাথার ওপর কড়া রোদ। আর এ কড়া রোদে সারাদিন ঈদের কেনাকাটা করে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক রোদে পুড়ে যায়। গরমে ত্বকের অন্যতম সমস্যা এই সানবার্ন। তাই ত্বকের লাবণ্য ফেরানোর পাশাপাশি রোদে পোড়া ভাব দূর করতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। হলুদ দিয়ে তৈরি হয় সাবান, যা প্রসাধনী হিসেবে বেশ কার্যকর। সুপ্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্ন ও নানা রোগের ওষুধ হিসেবে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। নানা আয়ুর্বেদিক গুণ থাকা কাঁচা হলুদ, শুকনো হলুদ গুঁড়ো বিভিন্ন উপায়ে আমরা ব্যবহার করি দৈনন্দিন জীবনে। রোদে পোড়া ত্বকের জন্য হলুদ খুবই উপকারী। ত্বকের ধরন অনু্যায়ী হলুদের ব্যবহার একটু ভিন্নভাবে করতে হয়।  জেনে নিন ঘরোয়া উপায়গুলো- তৈলাক্ত ত্বক: এ ক্ষেত্রেও একইভাবে হলুদের রস ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর মুলতানি মাটি নিয়ে হলুদের রসে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার সঙ্গে এক চামচ পুদিনা পাতা ও এক চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে হাত ও মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। শুষ্ক ত্বক: শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রথমে হলুদের রসটাকে বের করে নিতে হবে। তারপর সেটা দুই থেকে তিন মিনিট চুলায় ফুটিয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে বেসন ও ডিমের কুসুম মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে যায়। মিশ্র ত্বক: মিশ্র ত্বকের যত্নটা একটু ভিন্নভাবে নিতে হয়। কারণ এ ধরনের ত্বক একটু বেশি স্পর্শকাতর হয়। সে জন্য আগের মতোই হলুদের রস নিয়ে তার মধ্যে দেশি সবুজ মুগডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর একে পেস্ট করে তুলসী পাতার রস ও কেওলিন পাওডার মিশিয়ে মুখ ও হাত-পায়ে লাগাতে পারেন। এতে যেমন ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে, তেমনি হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত। আর সব ধরনের ত্বকেই হলুদের রসের সঙ্গে ব্রাউন সুগার নিয়ে স্ক্রাবিং করতে পারেন। এতে ব্ল্যাকহেডস দূর হয়। কখন ব্যবহারে বেশি উপকার: হলুদ সবসময় রাতে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হলুদের যেকোনো প্যাক লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে একটা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে ত্বকের সজীবতা বাড়ে। আর হলুদের রস বা গুঁড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।  প্রতিদিন নয়: ত্বকের যত্নে প্রতিদিন না করে সপ্তাহে এক দিন বা দুই দিন হলুদ ব্যবহার করুন। প্রতিদিন হলুদের স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকের ভেতর আঁচড় কেটে যায়। স্বাভাবিকের তুলনায় তাড়াতাড়ি বলিরেখা সৃষ্টি হয়। হলুদ মুখে লাগানোর পর বাইরে যাবেন না। কারণ হলুদ ব্যবহারের পরপরই রোদে গেলে ত্বক জ্বলে যাওয়া, জ্বালাপোড়াসহ বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সম্ভব হলে রাতে হলুদ ব্যবহার করুন।
লিপস্টিক কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যে বিষয়গুলো
মেয়েদের সাজ সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় প্রসাধনী হচ্ছে লিপস্টিক। ঠোঁট রাঙাতে এই প্রসাধনীর জুড়ি মেলা ভার। আর ঈদের কেনাকাটায় মেয়েদের প্রসাধনীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো লিপস্টিক। তবে ঈদে লিপিস্টিক কেনার সময় অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, কারণ সারাদিন গরমের মধ্যে কোন লিপস্টিকটি আপনার জন্য উপযুক্ত সে বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লিপস্টিক কেনার সময় রংকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়, তবে লিপস্টিকের টেক্সচার কেমন সেটা দেখাও খুব জরুরি। জেনে নিন লিপস্টিক কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যে বিষয়গুলো- ক্রিমি লিপস্টিক: যাদের ঠোঁট ছোট ও পাতলা তারা এই ধরনের লিপস্টিক লাগাতে পারেন। ক্রিম থাকায় এই লিপস্টিকে ঠোঁট অনেক ভরাট দেখায়। এই লিপস্টিক ঠোঁটের শুষ্কভাবও কাটিয়ে দেয়। যেকোনো সাজে যেকোনো সময়ই মানাবে এই ক্রিমি লিপস্টিক। ম্যাট লিপস্টিক: এই লিপস্টিক যার ঠোঁট যেমন তেমন টেক্সচারই দেখায়, তবে যাদের ঠোঁট খুব শুষ্ক তাদের এই লিপস্টিক এড়িয়ে চলায় ভাল। ম্যাট লিপস্টিক লাগালে ওপরে লিপবামও লাগাতে পারেন, তবে এই লিপস্টিকের স্থায়িত্ব অনেক বেশি তাই সারাদিনের অনুষ্ঠানে এই লিপস্টিক খুবই ভালো। ট্রান্সফাররেজিস্ট্যান্ট লিপস্টিক: অনেকে অফিস বা ক্লাসের উদ্দেশে সকালে বের হয়ে রাতে বাসায় ফেরেন। আর এই লিপস্টিক তাদের জন্য একেবারে আদর্শ। এই লিপস্টিক সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একইরকম থাকে, এমনকি জলেও উঠে না। এই লিপস্টিক তোলার জন্য সলিউশন পাওয়া যায়। তেল কিংবা ময়েশ্চারাইজার দিয়েও তুলতে পারেন এই লিপস্টিক। এই লিপস্টিকে ময়েশ্চারাইজার কনটেন্টও স্বাভাবিক থাকে, ফলে ঠোঁটও শুষ্ক হয় না। স্যাটিন ফিনিশ বা শিয়ার লিপস্টিক: এই লিপস্টিকে আবার অয়েল কনটেন্ট অনেক বেশি। তাই ঝলমলে গ্লসি লুক পাওয়ার জন্য এই লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতেই পারে, তবে এই লিপস্টিক যা রং দেখায় ঠোঁটে কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি গাঢ় হয়ে যায়। এই লিপস্টিকও ঠোঁটের শুষ্কভাব কাটিয়ে দেয়, তবে এই লিপস্টিক দিনের বেলায় এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো। ফ্রস্টেড লিপস্টিক: এই লিপস্টিক খুব হালকা হয়। এই লিপস্টিক স্পার্কেল করে, তবে এই লিপস্টিক ঠোঁটও শুষ্ক করে না। দিনের যেকোনো সময়ই ব্যবহার করতে পারেন এই লিপস্টিক।
মুখে সিরাম ব্যবহারে এ ভুলগুলো করছেন না তো!
বেশ কয়েক বছর ধরে রূপচর্চায় সিরামের ব্যবহার বেড়েছে। মুখের দাগ দূর করে উজ্জ্বল ত্বকের জন্য টোনার ও ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে সিরামও এখন জরুরি হয়ে উঠেছে। সিরাম ত্বকের গভীরে গিয়ে কাজ করে এবং সবচেয়ে ভালো ফলাফল দেয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের লাবণ্য, উজ্জ্বলতা এবং তারুণ্য ধরে রাখার জন্য জাদুকরীভাবে কাজ করে এই সিরাম। ত্বকে প্রয়োজনীয় সব শক্তিশালী ও সক্রিয় উপাদান সরবরাহ করে ত্বককে করে প্রাণবন্ত। তবে নতুন এই প্রসাধনীর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। কারণ, এর ব্যবহার ভুল হলে ত্বকে হিতেবিপরীত হতে পারে। ভুল উপায়ে এর ব্যবহার কেবল অর্থের অপচয় মাত্র।  জেনে নিন সিরাম ব্যবহারে সতর্কতাগুলো- দিনে দুইবারই সিরাম যথেষ্ট। অনেকে যখনই মুখ ধুয়ে নিচ্ছেন তখনই সিরাম লাগিয়ে নেন। এটা ঠিক নয়। সকালে ও রাতে দুই বেলা সিরাম ব্যবহার করুন। সকাল ও রাতের ত্বকে যত্ন একেবারেই ভিন্ন। কখনও ময়েশ্চারাইজারের আগে সিরাম মাখতে হয়। আবার কখনও স্কিন কেয়ারের শেষ ধাপে সিরাম মাখতে হয়। কোন সিরাম কখন লাগাবেন তা ভালো করে জেনে এরপর ব্যবহার করুন। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ক্লিনজিং দিয়ে মুখ পরিস্কার করে নিন। ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও পিএইচ স্তরের ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয় তা খেয়াল রাখুন।। এরপর টোনার লাগান। টোনারের পর সিরাম লাগাবেন। সিরাম ত্বক সম্পূর্ণরূপে শোষণ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এর আগে অন্যকিছুই ব্যবহার করবেন না। ত্বককে হাইড্রেট রাখবে এমন সিরাম বেছে নিন। সকালে ময়েশ্চারাইজারের পর সিরাম মাখুন। এরপর সানস্ক্রিন মেখে নিবেন। সকালে সানস্ক্রিন বাদ দেওয়া যাবে না। রাতে ফোমিং ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। স্ক্রাব করে নিতে পারেন। এতে মৃত কোষ পরিষ্কার হবে। এরপর টোনার লাগান। এরপর মুখে সিরাম মেখে হালকা হাতে মালিশ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে নাইট ক্রিম লাগিয়ে নিন। মনে রাখবেন, মুখ ধুয়েই সঙ্গে সঙ্গে সিরাম ব্যবহার করবেন না। সিরাম কিন্তু ত্বকের জন্য বেশ গাঢ় একটি প্রডাক্ট, যার ঘনত্বও বেশি। সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। আজকাল বাজারে যেসব সিরাম পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশিরভাগেরই ড্রপার দেওয়া থাকে। সে ক্ষেত্রে পুরো মুখমণ্ডলের নানা অংশে ড্রপার থেকে দুই-তিন ফোঁটা নিয়ে পরে হাত দিয়ে সেই সিরাম ড্যাব করে নিতে পারেন। রেটিনল ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির প্রতি অধিক সংবেদনশীল করে তোলে এবং সূর্যের আলো রেটিনল সিরামের কার্যকারিতা কমায়। নিউইয়র্ক সিটির চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হুইটনি বোয়ে রাতের বেলায় রেটিনল সিরাম ব্যবহার এবং দিনের বেলায় এসপিএফ ৩০ বা তারও বেশি এসপিএফের সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। ত্বকে ব্রণ, অ্যাকজিমা বা যেকোনো ধরনের সমস্যা থাকলে সিরাম বাছাই করার আগে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। কারণ সিরামের ঘনত্ব আপনার ত্বকের সমস্যার সঙ্গে বিক্রিয়া করে ত্বকের সমস্যাগুলো আরও গুরুতর করতে পারে। ত্বকের ধরণ বুঝে কিংবা আপনার ত্বকের জন্য কোন সিরাম ব্যবহার করবেন তা দেখে কিনুন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। সিরাম সম্পর্কে ধারণা না থাকলে অযথা নিজে থেকে কিনতে যাবেন না।
পার্টির আগে ত্বকের মলিনতা দূর হবে এই ফেশিয়ালেই
শীতের বিদায়ের এই সময়য়টাতে উৎসবের যেন কোনো কমতি নেই। পার্টি, পিকনিক একের পর এক চলতেই থাকে। কিন্তু এ দিকে শীতে ত্বকের অবস্থা একেবারে বেহাল হয়ে গিয়েছে। তার উপর সারা দিনের ক্লান্তি তো রয়েছেই। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে পার্লারে যাওয়ার সুযোগও হচ্ছে না। কিন্তু আনন্দ-অনুষ্ঠানে একটু সাজগোজ করে না গেলে কি হয়! তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু সময় বের করে যদি বাড়িতেই চকলেট ফেশিয়াল করে ফেলতে পারেন, তা হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ত্বক হয়ে উঠবে ঝলমলে। দেখে নিন কীভাবে করবেন চকলেট ফেশিয়াল- মাসে অন্তত একবার ফেসিয়াল করা দরকার। এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। পাশাপাশি ত্বকের উজ্বলতা বাড়ে। আর ফেসিয়ালে যদি চকলেট থাকে, তাহলে পাবেন দ্বিগুণ উপকারিতা। চকোলেট ফেসিয়াল ত্বকের জন্য উপকারী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টতে ভরপুর কোকো রয়েছে, যা ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে এবং ত্বকে উজ্বলতা এনে দেয়।  প্রতিদিনের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। দেখে নিন, মুখ থেকে সমস্ত মেকআপ, ময়লা ও তেল পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এরপর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।  ডার্ক চকলেট গলিয়ে নিন। মাইক্রোওয়েভে ডার্ক চকলেট গরম করে নিতে পারেন। এরপর ডার্ক চকলেট ঘরের তাপমাত্রা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর এতে মধু ও টক দই মিশিয়ে দিন। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান এবং ময়েশ্চাইরাইজিং এফেক্ট রয়েছে। টক দইয়ের মধ্যে এক্সফোলিয়েটিং উপাদান রয়েছে, যা ত্বক থেকে মৃত কোষ তুলে দেয়। এবার এই চকলেট ফেসপ্যাক মুখ ও গলায় মেখে নিন। এবার ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ফেসপ্যাক শুকিয়ে গেলে ভিজে হাতে মুখে স্ক্রাব ক্রুন। এটি ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং এক্সফোলিয়েট করবে।  ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ মুছে নিন। শেষে পছন্দের ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। পাশাপাশি ত্বক হয়ে উঠতে নরম ও কোমল। 
ঘরে বসেই দূর করুণ নাকের ওপর জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস 
মুখের যে কোনও কালো দাগ বা ব্ল্যাক হেডস মুখ পরিষ্কার করার সময় তুলে ফেলাই ভালো। ত্বকে ময়লা জমে তৈরি হয় ব্ল্যাক হেডস। পার্লারে গিয়ে ব্ল্যাক হেডস তোলার অভিজ্ঞতা হয়ত রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু সব সময় তো পার্লারে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই জেনে নিন বাড়িতেই ব্ল্যাক হেডস তুলে ফেলার উপায়।  কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে ব্ল্যাক হেডস তুলে ফেলবেন, জেনে নিন- >> ব্ল্যাকহেডস তুলতে বেকিং সোডা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। সাধারণ পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুলে নিন। মুখের যে সব অংশে ব্ল্যাক হেডস রয়েছে, সেখানে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এবার তা শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানিতে দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বেকিং সোডার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক দিনে যদি না ওঠে তাহলে পর পর দু'তিন দিন ব্যবহার করুন। >> ব্ল্যাক হেডস তুলতে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে টমেটো। প্রথমে টমেটো পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণ এবার লাগিয়ে নিন ব্ল্যাক হেডসের ওপর। পুরো মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ব্যবহার করুন। >> আপনি চাইলে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য ডিম ভেঙে কুসুম প্রথমেই আলাদা করে নিন। এরপর সাদা অংশের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু যোগ করুন। এই মিশ্রণ লাগিয়ে রাখুন ব্ল্যাকহেডসের ওপর। মিশ্রণ পুরো শুকিয়ে যাওয়ার পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ডিমের সাদা অংশ খুব সহজেই রোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল।
অল্প খরচে ঘরেই বানিয়ে নিন ফেস সিরাম
সাম্প্রতিক সময়ে অনেকই তাদের প্রতিদিনের বিউটি রুটিনে যোগ করেছেন ফেস সিরাম। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই প্রসাধনী। আপনিও যদি ত্বকের উজ্জলতা নিয়ে চিন্তিত হন, তাহলে আজ থেকেই ব্যবহার করতে পারেন ফেস সিরাম। সেক্ষেত্রে আপনি বাজারে কেনা ফেস সিরাম কাজে লাগাতেই পারেন। কিন্তু সেসব প্রোডাক্টে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিকও ব্যবহার করা হয়। আর আপনি যদি ত্বকে একান্তই কোনও রাসায়নিক না লাগাতে চান, তাহলে ভরসা রাখতে পারেন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি ফেস সিরামের ওপরে। ঘরোয়া এই সিরাম বানাতে খরচ কম আর কার্যকারিতাও পাবেন প্রচুর। জেনে নিন তৈরির প্রক্রিয়া- ভিটামিন সি ফেস সিরাম- এই ফেস সিরাম বানাতে আপনার প্রয়োজন পড়বে ১/২ চামচ ভিটামিন সি পাউডার, ১ টেবিল চামচ ডিসটিলড ওয়াটার, ২ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, ১/৪ ভিটামিন ই অয়েল এবং ৫-৬ ফোঁটা পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল। এবার একটি পাত্রে ডিসটিলড ওয়াটার, গ্লিসারিন ও ভিটামিন ই অয়েল মিশিয়ে নিন। তারপরে তাতে যোগ করুন ভিটামিন সি পাউডার। এরপরে পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ঢেলে রাখুন কাচের বোতলে। রোজ ওয়াটার ফেস সিরাম- এই ফেস সিরাম বানাতে আপনার প্রয়োজন ১ টেবিল চামচ ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল, ২ টেবিল চামচ গ্লিসারিন ও রোজ ওয়াটার। একটি পাত্রে প্রতিটি উপকরণ নিয়ে ভালো করে মেশান। তারপরে কাচের বোতলে ঢেলে রাখুন। ভিটামিন ই ফেস সিরাম- এই ফেস সিরাম বানানোর জন্যে আপনার প্রয়োজন ৩ থেকে ৪টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল, জোজোবা অয়েল, রোজহিপ অয়েল এবং আর্গন অয়েল। একটি পাত্রে এক চামচ করে প্রতিটি তেল নিন। এরপরে সেই মিশ্রণে ৩-৪টি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস মিশিয়ে দিন। প্রতিটি উপকরণ মেশানো হলেই তৈরি আপনার ভিটামিন ই ফেস সিরাম। ব্যবহারের নিয়ম শিখে নিন- এই ৩ ফেস সিরামের মধ্যে যে কোনও একটি আপনি নিয়মিত রাতে ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে মুখ ক্লিনজিং করে টোনার লাগান। তারপরে এই ফেস সিরাম কয়েক ফোঁটা আপনার সারা মুখে লাগিয়ে নিন। এবার হাতের তালুর চাপে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন ৫-১০ মিনিট। এতেই উপকার পাবেন পুরোপুরি।