• ঢাকা শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
টোনার ব্যবহারের আগে দূর করুন ভুল ধারণাগুলো
ত্বকের সমস্যা দূর করবে এই ম্যাজিকাল ফেস মাস্ক 
শীত অথবা গরম—ত্বকের যত্নের প্রয়োজন পড়ে সবসময়ই। তবে শীত শুরু হলেই ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও প্রাণহীন দেখাতে শুরু করে। আসলে, শুষ্ক বাতাসের কারণে, ত্বকের আর্দ্রতা কমতে শুরু করে, যার ফলে ত্বকে চুলকানি এবং আঁচড়ের সাথে সাদা খুশকি দেখা দেয়। আপনিও যদি ঠান্ডা শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার বিউটি রুটিনে দই ফেস মাস্ক অন্তর্ভুক্ত করুন। সুস্থ-সুন্দর দ্বাগহীন ত্বক পেতে দারুণ কাজ করে এই ম্যজিকাল ফেস মাস্ক।  দই শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, আপনার ত্বকের জন্যও অমৃতের মতো। তৈলাক্ত থেকে শুষ্ক ত্বক সব ধরনের ত্বকের জন্যই দই উপকারী, যা তৈরি করে মুখে লাগানো যায় নানাভাবে। আসুন জেনে নিই শীতের মৌসুমে মুখের আদ্রতার সাথে গোলাপি আভা বজায় রাখতে কীভাবে দই ফেস মাস্ক তৈরি করবেন এবং লাগাবেন। দই ফেস মাস্ক তৈরির উপকরণ: দুই টেবিল চামচ তাজা দই এক চামচ মধু এক চামচ নারকেল তেল এক টেবিল চামচ ম্যাশ করা কলা কীভাবে দই ফেস মাস্ক তৈরি করবেন: দই ফেস মাস্ক তৈরি করতে, প্রথমে একটি পাত্রে দই এবং মধু একসাথে মিশিয়ে একটি সুন্দর নরম পেস্ট তৈরি করুন। মুখে দই লাগালে আপনার ত্বক নরম ও হাইড্রেটেড থাকবে। এবার এই পেস্টে নারকেল তেল এবং ম্যাশ করা কলা ভালো করে মেশান যতক্ষণ না মিশ্রণটি মসৃণ ও ক্রিমি হয়ে যায়। এখন, তৈরি ফেস মাস্কটি চোখ এড়িয়ে মুখে পুরু স্তরে লাগান। ২০ মিনিটের জন্য মুখে মাস্ক রাখুন। মাস্ক পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর পর মুখে ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। মুখে দই দিয়ে তৈরি মাস্ক লাগালে উপকার পাওয়া যায়: দই ফেস মাস্ক শুধু মুখের ময়লাই দূর করে না, ত্বকের মৃত কোষ কমাতেও সাহায্য করে এবং ব্রণ কমাতে এবং দাগ হালকা করতেও সাহায্য করে। এছাড়া এতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে। আরটিভি/এফআই
শীতের শুরুতেই গোড়ালির ফাটলরোধে ঘরোয়া উপায়
শীতকালেও ঠোঁট থাকবে গোলাপের মতো সুন্দর
ডার্ক সার্কেল দূর করতে চোখের ওপর রাখুন টি ব্যাগ
মেনিকিউর ও পেডিকিউর করুন সহজ এই ধাপে
 মুখের লোম তুলুন এবার ঘরোয়া প্যাক দিয়ে 
অবাঞ্চিত লোম কারও পছন্দ নয়। কিন্তু পার্লারে গিয়ে থ্রেডিং করা বেশ কষ্টকর। এদিকে অফিস-বাড়ি সব একা হাতে সামলে অনেকেরই সপ্তাহ অন্তর অন্তর পার্লারে গিয়ে মুখের লোম তোলার সুযোগ হয়ে ওঠে না। আবার পার্লারে মুখের লোম তোলার পদ্ধতিও যথেষ্ট বেদনাদায়ক। সেখানে ওয়াক্সিং, থ্রেডিং ছাড়া তো উপায় নেই। এসব করতে গিয়ে চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসে।  তাই এত ঝামেলার মধ্যে যেতে না চাইলে বরং বাড়িতেই সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের লোম ভ্যানিশ হোক এবার। থ্রেডিং, ওয়াক্সিং ও রেজারের ব্যবহার ছেড়ে একদম প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের অবাঞ্চিত লোম তুলুন। ঠোঁটের ওপর, দু'গাল ও আইব্রোর অবাঞ্চিত লোম তুলতে ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এতে লোমও পরিষ্কার হবে এবং ত্বকও ভালো থাকবে। জেনে নিন ঘরোয়া ফেসপ্যাক তৈরির পদ্ধতি— >> মুখের লোম তুলতে দুর্দান্ত কার্যকরী চিনির পেস্ট। এর জন্য লাগবে চিনি, গ্লিসারিন এবং লেবুর রস। এসব সামান্য কিছু উপকরণ দিয়েই মুখের লোম তুলতে পারবেন ঘরে বসেই। প্রথমে একটি পাত্রে চিনি ও লেবুর রস নিয়ে তা গরম করুন। চিনি সম্পূর্ণ গলে গেলে তা নামিয়ে নিন। ইষদুষ্ণ অবস্থাতেই সেই পেস্টে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মেশান। এই মিশ্রণ ঠোঁটের উপর ও থুতনিতে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক দিন এই উপায়ে মুখের লোম তুলে নিতে পারেন। >> দুধ বা পানির সঙ্গে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই পেস্ট অবাঞ্চিত লোমের ওপর লাগান। পেস্ট শুকনো হয়ে গেলে হাত দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। লোমের অভিমুখে ঘষবেন। নিয়মিত এই টোটকা ব্যবহার করলে লোমের আধিক্য কমে যাবে। >> বেসনের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বেসন ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে এবং গোলাপ জল ত্বকে সতেজতা আনে।  >> ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে পিল-অফ মাস্কের মতো করে এই ফেসপ্যাক তুলে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকে এই ফেসপ্যাক দুর্দান্ত কাজ করে। এতে ফেসিয়াল হেয়ার দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক টানটান হয়ে ওঠে। >> পাকা পেঁপে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এতে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে মুখে মালিশ করুন। এবার ১৫-২০ মিনিট বসে অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেললেই অবাঞ্চিত লোম দূর হয়ে যাবে। তার সঙ্গে ত্বকের সমস্যা কমবে। >> যুগ যুগ ধরে রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার হয়ে আসছে। আগেকার দিনে ব্রণ, ফুসকুড়ি বেরলেই মা-দাদিরা চন্দন বেটে লাগিয়ে দিতেন। তাদের এই টোটকাতেই দু' দিনে গায়েব হত ব্রণ। তাহলে মুখের লোম তুলতে সেই চন্দনেই ভরসা রাখুন। তাতে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। এই ফেসপ্যাক বানানোর জন্য লাগবে চন্দনের গুঁড়ো, বেসন, কমলা লেবুর খোসার গুঁড়ো, লেবুর রস এবং গোলাপ জল। এসব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগান। ফেসপ্যাক শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর অল্প পানি নিয়ে মুখে স্ক্রাব করুন। এইভাবে সার্কুলার মোশনে মাসাজ করতে থাকুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন মুখ। সপ্তাহে ২ দিন এই ফেসপ্যাক লাগালে দূর হবে মুখের লোম। >> এক চামচ চিনির সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ফেস স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এই ফেস স্ক্রাব সার্কুলার মোশনে মুখের ওপর ঘষুন। লেবুর রস ত্বকে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এবং চিনি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে।  আরটিভি/এফআই
ফেসিয়াল করার পর ভুলেও এই ৫ কাজ করবেন না
সুন্দর টানটান ত্বক কে না চায়, কিন্তু ওমন সুন্দর ত্বক তো আর এমনি পাওয়া যায় না। তার জন্য় প্রয়োজন যত্নের। নিয়মিত রূপটানের দ্বারাই পাওয়া যেতে পারে সুন্দর, দাগছোপহীন ত্বক। ত্বকের যত্ন নিতে ফেসিয়ালের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই ফেসিয়ালের পর এমন কিছু কাজ করে থাকেন যার জন্য ত্বকের মোটেই ভালো নয়, বরং এই কাজগুলো করলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে আপনার। সেই সঙ্গে লাবণ্য হারিয়ে ফেকাসে হয়ে যায় মুখের ত্বক। আর সেই কারণেই তো ফেসিয়ালে পর কিছু কাজ একেবারেই করা উচিত নয় বলে জানান ত্বক বিশেষজ্ঞরা। আসলে ফেসিয়ালের পরে ত্বক খুব নরম ও সেনসিটিভ হয়ে যায়। সেই কারণেই তো এই সময় আরও বেশি করে ত্বকের যত্নের প্রয়োজন হয়। আর এই কাজটি যদি ঠিক মতো না করেন, তাহলে উলটো ঘটনাটাই ঘটে। সদ্য ফেসিয়ালের পর কী কী করা উচিত নয় দেখে নিন। কী কী কাজ করতে নেই জেনে নিন— ​স্ক্রাবিং করবেন না: ফেসিয়ালের সময় এমনিতেই ত্বকের উপরের অংশে জমে থাকা ময়লা, মৃত কোষ ধুয়ে য়ায়। তাই এই ধরনের ত্বকের পরিচর্যার পর আরও একবার স্ক্রাবিং করার প্রয়োজন হয় না। আর যদি আপনি এমনটা করেন, তাহলে স্কিন সেলে মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়ে যায়। তাই ফেসিয়ালের করার কিছুদিন পরই বরং স্ক্রাবিং করুন। এতে আপনি ভালো ফল পাবেন। ​রোদ লাগাবেন না ত্বকে: ফেসিয়ালের পর ত্বক যেহেতু সস্পর্শকাতর হয়ে যায়, তাই এই সময় চড়া রোদে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। আপনি যদি এমনটা করলেন তাহলে ত্বকের অনেকটাই অবনতি ঘটবে। সেই সঙ্গে অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে স্কিনের উপও মারাত্বকভাবে পুড়ে যায়। এর ফলে ত্বকে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। ​থ্রেডিং করবেন না: স্ক্রাবিং-এর মতই ফেসিয়ালের পর ভুরু প্লাক বা থ্রেডিং করবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে এই সময় ত্বকের উপরিভাগ নরম থাকে যার ফলে এই সময় থ্রেডিং করলে ত্বকের প্রদাহ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক কথায় বলতে গেলে ত্বক যখন খুব স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে থাকে তখনই প্রদাহ বা জ্বালা সৃষ্টি হয়। তাই এমন কাজ করা একেবারেই উচিত নয়। এত ভালোর থেকে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ​নতুন কোনও বিউটি প্রডাক্ট নয়: আসলে ফেসিয়াল পর ত্বক খুব সেনসিটিভ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় নতুন কোনও ক্রিম বা বিউটি প্রডাক্ট ব্যবহার ট্রাই না করারই শ্রেয়। একান্ত যদি চান তাহলে ফেসিয়াল করার অন্তত ৩-৪ দিন পর বিউটি প্রডাক্ট ব্য়বহার করবেন ফেস মাস্ক: এই সময় কোনও ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, অনেকে মনে করেন ফেসিয়ালের পর প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসিয়াল পেস্ট ব্যবহার করা যেতেই পারে, তাতে কোনও ক্ষতি হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরণা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ ফেসিয়ালের পর ত্বক যেহেতু খুব স্পর্শকাতর হয়ে যায়। তাই এই সময় যে কোনও কিছু থেকে ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসিয়ালের কম করে ৩৬ ঘন্টা পর থেকে ফেস মাস্ক বা কেমিকেল পিলং ব্যবহার করবেন, তার আগে নয়। আরটিভি/এফআই
রোদে পোড়া দাগ দূর হবে বেসনের এই বিশেষ প্যাকেই
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। যাদের শরীরে মেলানিন কম থাকে, তাদের ত্বক সহজেই রোদে পুড়ে যায়। এদিকে উৎসবেও বাহিরে ঘোরাঘুরি সময় সানস্ক্রিন, ছাতা ব্যবহারের পরেও সূর্যের তেজে চামড়ায় ট্যান (রোদে পোড়া কালো ছোপ) পড়েছে। এবার সেই হাত পায়ের ট্যান তোলার পালা। ঘরোয়া প্যাক দিয়েই ডিট্যান করে ফেলুন। এতে খরচও বাঁচবে অনেকটাই। এই দিকে ফলাফলও মিলবে দুর্দান্ত। তাহলে দেরি না করে ঝটপট সেই প্যাকের সম্বন্ধে জেনে নিন বিস্তারিত। উপকরণ লাগবে সামান্যই— বেসন, দই মোটামুটি সকলের বাড়িতেই থাকে। তা দিয়েই কিন্তু ট্যান (রোদে পোরা ভাব) উঠে যাবে নিমেষে। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে দূর হবে ব্রণের দাপটও।  এই ফেসপ্যাক বানাতে লাগবে: ১. ১ টেবিল চামচ বেসন ২. ১ টেবিল চামচ দই ৩. আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ৪. ১ চা চামচ লেবুর রস ৫. ১ টেবিল চামচ মধু যেভাবে বানাবেন: প্রথমে একটি ছোট বাটিতে ১ টেবিল চামচ বেসন নিয়ে নিন। তাতে আধ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো দিয়ে মেশান। এরপর দই দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। তাতে দিয়ে দিন লেবুর রস এবং মধু। স্মুদ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত ভালো করে মেশাতে থাকুন। তাহলেই কয়েক মিনিটে তৈরি হয়ে গেল আপনার ডিট্যান প্যাক। এবার হাত-পায়ে তা লাগানোর পালা। ট্যান পড়া হাত-পা, গলায় ভালো করে বেসনের প্যাক লাগিয়ে নিন। তারপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তাতেই হাত-পা শুকিয়ে আসবে। এর পর ভেজা হাতে হালকা করে স্ক্রাবিংটা সেরে ফেলুন। শেষে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন।  প্যাকের গুণআগুণ: ঘরোয়া রূপটানে যুগ যুগ ধরে বেসনের ব্যবহার হয়ে আসছে। আগেকার দিনে মা-দাদিরা কাজের ফাঁকে এই উপকরণ দিয়েই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতেন। এখনও ঘরোয়া রূপচর্চায় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক বেসন। এই উপকরণ ত্বককে এক্সফলিয়েট করে মৃত কোষ দূর করে। পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। হাইপারপিগমেন্টেশন এবং ব্রণও দূর হয় এর ছোঁয়ায়। এই দিকে দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিডও ত্বককে এক্সফলিয়েট করে ভিতর থেকে। ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এর ছোঁয়াতেই দূর হয় ট্যানিং। আর লেবুর রস এবং মধু প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে। ট্যান এবং দাগছোপ দূর হয় এর গুণে। এক চিমটে হলুদের ছোঁয়ায় ব্রণ দূর হয়। কমে ত্বকের সংক্রমণ, জ্বালাপোড়া ভাবও। মাথায় রাখুন এই টিপস এতসব গুণে ভরপুর এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে ২-৩ দিন মাখুন। দেখবেন দু' সপ্তাহেই সমস্ত ট্যান উধাও হয়েছে। এছাড়া এই প্যাক ব্যবহারের দিনেই কিন্তু সাবান ব্যবহার করবেন না। এই নিয়ম মেনে প্যাকটি ব্যবহার করলে কয়েক দিনে পার্থক্য নিজে চোখে দেখতে পাবেন। ট্যান তো দূর হবেই। সঙ্গে উপচে পড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতাও।  আরটিভি/এফআই
ঝটপট ত্বকে উজ্জ্বলতা দেবে ডিমের ফেসপ্যাক
রূপচর্চায় ডিম ব্যবহার নতুন নয়। তবে মূলত, চুলের যত্নেই ডিম ব্যবহার করতে দেখা যায় বেশি। ডিমের সাদা অংশটা যদি ত্বকের চর্চায় ব্যবহার করা যায়, তাহলে ত্বক হবে টানটান, উজ্জ্বল। ডিমে রয়েছে লুটিন নামে এক ধরনের উপাদান, যা ত্বককে আর্দ্র রাখে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রাকৃতিক প্রোটিন ও অ্যালবুমিন, যা ত্বক টানটান করে। এখনকার ব্যস্ত সময়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময়েই নেই আমাদের হাতে। তাই ঝটপট ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে কার্যকর ডিমের ফেসপ্যাক। রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের কুসুম কিন্তু ত্বক ঝকঝকে করতে দারুণ কাজে লাগে।  জেনে নিন ফেসপ্যাক তৈরির নিয়ম— শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রথমে একটি ডিম নিয়ে তার থেকে কুসুম আলাদা করে নিন। এবার এই কুসুমটির সঙ্গে এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। মুখে ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলে এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট বাদে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। মুখের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে একটি সমস্যা হল ব্ল্যাকহেডেস। এ জন্য একটি ডিমের কুসুমকে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর তা ব্রাশে করে নাকের চারপাশে লাগিয়ে নিন। এরপর একটি টিস্যু পেপার লাগিয়ে নিন নাকের ওপর। ডিমের প্রথম লেয়ারটি শুকিয়ে গেলে আরেকটি লেয়ার লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে কাগজ গুলোকে টেনে তুলে ফেলুন। দেখবেন কাগজের সঙ্গে ব্ল্যাকহেডসও উঠে আসবে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবল সম্ভবনা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ মধু এবং এক চামচ বাদাম তেল নিয়ে তা ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর প্যাকটি ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল রাখতে একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ ঘন ক্রিম এবং এক চামচ গাজরের রস মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে। আরটিভি/এফআই-টি
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল-ত্বক পাবেন সবজির এই পানীয়তেই
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ঘরে থাকা কিছু সামান্য উপকরণ দিয়েই কিন্তু স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল ও ত্বক পাওয়া সহজ। আজ জেনে নিন ত্বক ও চুলের হাল ফেরাতে রান্নাঘরের এমনই এক সিক্রেট উপকরণের হদিশ।  ঢেঁড়সের গুণ:  প্রায় প্রত্যেক বাঙালি বাড়ির রান্নাঘরেই এই সবজি রয়েছে। স্বাদের পাশাপাশি গুণেও অতুলনীয় রান্নাঘরের এই সবজি। এতে ভরপুর ভিটামিন এ, সি এবং কে রয়েছে। এছাড়াও ঢেঁড়সে হদিশ মেলে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফোলেটের। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি একাধিক উপকারিতা রয়েছে এই সবজির। শরীরের খেয়াল রাখার পাশাপাশি ঢেঁড়স কিন্তু উজ্জ্বল ত্বক ও চুল পেতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ত্বকের স্বাস্থ্যে জুড়ি মেলা ভার: ঢেঁড়সে থাকা ভিটামিন সি এবং এ ত্বকে ফ্রি ব়্যাডিকেলের ক্ষতি আটকে দেয়। ফলে ত্বক ঝুলে পড়ে না। মুখে দেখা যায় না বলিরেখা ও রিঙ্কেলস। এর কারণে বয়সের ছাপও পড়ে না মুখে। পাশাপাশি ত্বকে পিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করে ঢেঁড়স। এছাড়া এই সবজি খেলে ব্লাড সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে। তাতে কোলাজেনের উৎপাদনে ঘাটতি হয় না। ফলে স্থিতিস্থাপকতা হারায় না ত্বক। এই দিকে ত্বককে ভিতর থেকে হাইড্রেট করে ময়শ্চার ধরে রাখতেও সাহায্য করে ঢেঁড়স। প্রতিদিন সকালে চুমুক দিন ঢেঁড়স পানিতে। প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ারের কাজ করে এই পানি। শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন দূর করে ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ফেরায়। চুলও ঝলমলে করে: স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ঢেঁড়সে উপস্থিত ভিটামিন ও খনিজের গুণেই। এছাড়াও স্ক্যাল্পে পুষ্টি জুগিয়ে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে এ সব উপাদান। এই দিকে নিয়মিত ঢেঁড়স পানিতে চুমুক দিলে বন্ধ হয় হেয়ার ফলও। রুক্ষ-শুষ্ক চুলে ফেরে শাইনও। এই দিকে ঢেঁড়সের রস কিন্তু প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও দুর্দান্ত। এই রস লাগিয়ে নিলে চুল ঝলমল করে উঠবে। খাবেন যেভাবে: ঢেঁড়স ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন প্রথমে। সেগুলো একটি জারের মধ্যে পানিতে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তাতেই ঢেঁড়সের ভিতর থেকে রস বের হয়ে পানিতে মিশবে। সকালে খালি পেটে এই পানি ছেঁকে পান করুন। নিয়মিত রুটিনে এই পানীয় থাকলে পার্থক্য দেখবেন নিজে চোখেই। প্রতিদিন খাওয়া কি ভালো: প্রতিদিন ঢেঁড়স পানি খেতেই পারেন। তবে পরিমাণে বেশি হয়ে গেলেই নানা সমস্যা বাঁধতে পারে। এর কারণে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সবজিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় ব্লোটিংও পিছু নিতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে ঢেঁড়স পানি খাওয়ায় তখন লাগাম টানতে হবে। আরটিভি/এফআই
পূজায় কাচের মতো স্বচ্ছ ত্বক পেতে মাখুন এই ফেসমাস্ক
কয়েকদিন পরই ধুমধাম করে দুর্গাপূজার উৎসব শুরু হয়ে যাবে। পূজার ওই চারদিন ঝলমলে দেখাতে চান সকলেই। তাই শেষ মুহূর্তে পার্লারে ছুটছেন বেশিরভাগ মানুষ। সেখানেই সময় এবং টাকা ব্যয় করছেন। কিন্তু অনেকের সময় সল্পতার কারণে যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠে না। সেক্ষেত্রে বাড়িতেই উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারেন তারা। চটজলদি কাচের মতো স্বচ্ছ ত্বক পেতে একটি কোরিয়ান মাস্কের হদিশ রইল। ঝটপট জেনে নিন এর ব্যবহার। এই ফেসমাস্ক বানানোর জন্য বেশি খরচ হবে না। ঘরে থাকা সামান্য কিছু উপকরণেই কাজ হবে। এর জন্য প্রয়োজন পড়বে তিনটি উপকরণ। সেগুলি হলো- ১. পানি ২. তিসি বীজ ৩. চালের গুঁড়ো ​ যেভাবে বানাবেন:  প্রথমে একটি পাত্রে এক কাপ পানি ফোটাতে থাকুন। তাতে ১ টেবিল চামচ তিসি বীজ দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন ১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো। এরপর সেই মিশ্রণ ভালোভাবে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না ঘন পেস্ট তৈরি হয়। পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে ঠান্ডা করতে দিন। এরপর মুখে ভালোভাবে এই মিশ্রণ মেখে নিন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কের উপকারিতা: তিসি বীজে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লিগন্যানের। এসব পুষ্টির কারণেই ত্বক হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তিসি বীজের গুণেই ত্বক থাকে হাইড্রেটেড। প্রদাহ কমে ত্বকের। পাশাপাশি তিসি বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে ফ্রি ব়্যাডিকেলের ক্ষতি আটকে দেয়। বাড়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাও। দেখা যায় না বলিরেখা ও রিঙ্কেলস। ফলে অকালে বুড়িয়ে যায় না ত্বক। এ সব মিলিয়ে তিসি বীজের ছোঁয়ায় ত্বকের উজ্বলতা বাড়ে দ্বিগুণ হারে। এই দিকে চালের গুঁড়ো ত্বককে এক্সফলিয়েট করতে সাহায্য করে। এর জন্য ত্বকের ওপর থেকে মৃত কোষের স্তর দূর হয়। ত্বকের তৈলাক্তভাব কমে চালের গুঁড়োর জন্য। এছাড়া দাগছোপ মুছে ত্বকের জেল্লা বাড়াতে এই ঘরোয়া উপকরণের কোনও তুলনা হয় না। তাই পূজার আগে এই মাস্ক দুদিন ব্যবহার করলেই কাচের মতো ত্বক পাবেন আপনি। আরটিভি/এফআই/এআর
চুলের একগুচ্ছ সমস্যা সমাধান করবে প্রাচীন এই তেল
বছরজুড়েই চুলের কোনো না কোনো সমস্যায় ভুগতে হয়। বর্ষায় বাড়ে চুল ঝরা তো শীতে খুশকি। এছাড়া কারও অভিযোগ বাড়ছে না চুল, তো কেউ আবার চুল না গজানো নিয়ে চিন্তায় দু চোখের পাতা এক করতে পারছেন না। চুলের যাবতীয় সমস্যার জন্য আদি অকৃত্রিম নারকেল তেলের উপরেই ভরসা করেন অনেকে। দেখতে গেলে কোনও যুক্তিই ফেলে দেওয়ার নয়। প্রতিটি তেলেরই নিজস্ব গুণ রয়েছে। কোনোটি খুশকির যম। কোনওটি আবার চুলের উজ্জ্বলতা ফেরাতে সাহায্য করে। তবে বাজারের সকল তেলই হার মানবে মা-ঠাকুমার তেল বানানোর টোটকায়। চুলের ক্ষয়কে পুনরুদ্ধার করে চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে মা-ঠাকুমাদের টোটকায় বানানো তেল। নারকেলসহ একাধিক ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি এই তেল শুধু চুল গজাতেই সাহায্য করে না, দূরে রাখে খুশকি, ডগা ভাঙার মতো সমস্যাও।  যেসব অঞ্চলের সিংহভাগ কিশোরী থেকে তরুণী, প্রৌঢ়া থেকে বৃদ্ধা সবাই ঘন একঢাল সুপুষ্ট চুলের মালিক, জানা গিয়েছে, সেখানকার মানুষদের চুলের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে প্রকৃতিতেই । কোনো ভেজাল ছাড়া, রাসায়নিক বিহীন প্রাকৃতিক এক তেল তারা মাথায় মাখেন। সেই তেলের পুষ্টি গুণেই বংশ পরম্পরায় তাদের মানুষদের মাথা ভরা চুল। প্রাচীনকাল থেকেই এই তেল বাড়িতে বানিয়ে মেখে আসছেন এখানকার মানুষ। তারই ফল ঘন কালো এক ঢাল চুল। সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, সব সমস্যার মুশকিল আসান হতে পারে প্রাচীন মানুষদের তেল বানানোর এই টোটকা। এই তেল বানাতে যা যা দরকার কারি পাতা, ১ চামচ মেথির বীজ, ২ চামচ জবা ফুলের গুঁড়ো, ১০-১৫ ছোট পেঁয়াজ, অ্যালোভেরা জেল, ৫০০ মিলি নারকেল তেল আর ১০-১২টা গোলমরিচ। তেল বানানোর আগে মেথি বীজকে চার ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। কারি পাতাগুলোকে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। তেল তৈরির জন্য দরকার লোহার কড়াই ভেজানো মেথি বীজ, ১০-১২টা কারিপাতা, জবা ফুলের গুঁড়ো, ছোট পেঁয়াজ ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর অল্প পানি মিলিয়ে মিশ্রণটিকে স্মুথ বানিয়ে নিতে হবে। ওই পেস্ট একটি লোহার কড়াইতে নিয়ে তাতে মেশাতে হবে ৫০০ মিলি নারকেল তেল। ১০-১২ মিনিট মিশ্রণটিকে ফুটিয়ে নিতে হবে। শেষে গোলমরিচ দানা মিশিয়ে আরও ২ মিনিট বেশি আঁচে ফোটান। ঠান্ডা হলে মিশিয়ে দিন অ্যালোভেরা জেল। ব্যবহারের নিয়ম ঠান্ডা হলে একটি কাচের পাত্রে তেলটি ছেঁকে ঢেলে নিন। এই তেল ২ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। প্রতিবার ওই শিশি থেকে অল্প তেল নিয়ে হালকা গরম করে নিয়ে মাথায় লাগান। ৩ থেকে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে নিন। তাতে চুলের গ্রোথ বাড়বে। আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিলেই দেখতে পাবেন ম্যাজিক। আরটিভি/এফআই/এআর