• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লাউয়ের খোসায় ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর টিপস
যে যত্নে দূর হবে চোখের নিচের ফাইন লাইনস ও রিংকেল
ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত আমাদের ত্বক নানান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে আমাদের ত্বক হারায় তার দৃঢ়তা ও জেল্লা। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় সবার মাঝে একটি সাধারণ সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যাটি হলো–চোখের নিচে ভাঁজ পড়ে যাওয়া কিংবা কুঁচকে যাওয়া, একেই ফাইন লাইনস ও রিংকেল বলে। আমাদের প্রতিদিনকার জীবনাচরণ, কম ঘুমানো, স্ট্রেস, ব্যাস্ততা,পরিবেশদূষণ, সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্নি, বংশগত কারণ ইত্যাদি কারণগুলো চোখের নিচের কালো দাগ হওয়ার জন্য দায়ী। এটা আমাদেরকে জানান দেয় যে খাদ্যাভাস, বয়স বা জীবনযাত্রায় হচ্ছে অনিয়ম। এজিং সাইনগুলো সাধারনত সবচেয়ে প্রথমে চোখের নিচেই দৃশ্যমান হয়। কারন আমাদের চোখের নিচে প্রিঅরবিটাল হলো নামক অংশের চামড়াতে থাকা রক্তের শিরাগুলো তুলনামূলক পাতলা হয়। আগে থেকেই এ ব্যাপারে সচতন থাকতে হবে, সময় করে যত্ন নিতে হবে চোখের।  যে কারণে হয় ফাইন লাইনস ও রিংকেল:  রিংকেল এবং ফাইন লাইন হবার পেছনে এমন কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে, যা আমরা চাইলেই কন্ট্রোল করতে পারি না। যেমন- বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বকের ইলাস্টিসিটি এবং নমনীয়তা কমতে থাকে। ধীরে ধীরে আমাদের শরীরে ফ্যাট কিংবা তেল উৎপাদন কমে যায়,যা ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। যে কারণে ত্বকের চামড়া ঝুলে যেয়ে ত্বকে ফাইন লাইন অর্থাৎ বলিরেখা এবং রিংকেলের সৃষ্টি করে। সূর্যের আলো কিংবা আলট্রা ভায়োলেটের প্রভাব: ত্বকে সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্নির প্রভাবে এজিং শুরু হয়, যা রিংকেল হওয়ার একটি প্রাথমিক কারণ। ইউভি রশ্নির সংস্পর্শে আমাদের ত্বকের গভীরের কানেক্টিভ টিস্যু- কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবারকে নিস্তেজ করে দেয়। যার কারণে ত্বকে ভাজ অর্থাৎ রিংকেল দেখা যায়। এ ছাড়াও ধূমপান, খাদ্যাভ্যাস এবং আমাদের প্রতিদিনকার বিভিন্ন ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন (যেমন- চোখ কুঁচকে রাখা, কিংবা হাসার সময় চোখ ছোট করে ফেলা) ইত্যাদিও এই রিংকেল বা ফাইন লাইনের জন্য দায়ী। চোখের নিচে রিংকেল কিংবা ফাইন লাইনসের প্রতিকারের জন্য কিছু টিপস- সানস্ক্রিন: সূর্যের আলো থেকে যতটা পারা যায় স্কিনকে সুরক্ষা দিতে হবে। সরাসরি সূর্যের আলো পড়ার সম্ভাবনা থাকলে সানগ্লাস, ছাতা এবং লং-স্লিভ অর্থাৎ লম্বা হাতাওয়ালা জামা পরতে হবে। আর এক্ষেত্রে স্কিনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে- সানস্ক্রিন। বাসা থেকে বের হওয়ার ২০ মিনিট আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন দিতে হবে। সানপ্রটেকশন যুক্ত স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে, যাতে ন্যূনতম এসপিএফ ৩০ থাকে। বয়স ভেদে সানস্ক্রিনের এসপিএফের মাত্রা ১৫ থেকে ৫০ পর্যন্ত হতে পারে। সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে তা ক্লিন করার জন্য অবশ্যই ডাবল ক্লেনজিং করতে হবে। ময়েশ্চারাইজার: স্কিন ড্রাই কিংবা শুস্ক থাকলে সহজেই ফাইন লাইনস এবং রিংকেল দেখা দেয়। তাই শুষ্কতা থেকে বাঁচতে ময়েশ্চারাইজার  ব্যবহার করতে হবে। কয়েক সপ্তাহ ব্যবহারেই আপনি ত্বকে পরিবর্তন লক্ষণ করতে পারবেন। আই-ক্রিম: আমাদের চোখের নিচের ত্বক ফেইসের অন্যান্য অংশের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশি সংবেদনশীল। তাই এর পরিচর্যাতেও দরকার এক্সট্রা কেয়ার। ত্বকের ধরণ ও বয়স ভেদে মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের আই-ক্রিম পাওয়া যায়। রিংকেল ও ফাইনলাইনসের মতো সমস্যা এড়াতে আই-ক্রিম খুবই কার্যকরী। হেলদি ডায়েট: আমমাদের ত্বকের জন্য কিছু কিছু ভিটামিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৫ সহ ইত্যাদি। এই  প্রয়োজনীয় ভিটামিনগুলো আমাদের ত্বকের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল থেকে আমরা এ ভিটামিনগুলো পেয়ে থাকি। জেনে নিন রিংকেল দূর করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক প্যাক- একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে ত্বকের এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে থাকে। তাই আমাদের উচিত স্কিনকেয়ারের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং ত্বক অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট স্কিন-কেয়ার রুটিন ফলো করা। তাহলে এই সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। রিংকেল বা ফাইন লাইনস রোধে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি হোম রেমেডির কথা বলা যাক। আপনি সহজেই বাসায় বসে বানিয়ে নিতে পারবেন কার্যকরী এই প্যাকগুলো। শসা এবং দইয়ের প্যাক: চোখের সৌন্দর্য চর্চায় শসা  প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। শসায় এমন উপাদান আছে, যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি কে ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে টানটান রাখে।  যার ফলে রিংকেল এবং ফাইনলাইনসের মতো সমস্যাগুলো এড়ানো যায়। এই প্যাকটি বানানোর জন্য শসা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পরিমাণ মতো টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর চোখের নিচে ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২ বার প্যাকটি ব্যবহার করলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে।আপনি চাইলে দিনের সকল কাজ শেষে ২ টুকরো শসা চোখের উপরে দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারেন। এতে আপনি বেশ রিফ্রেশ ফিল করবেন এবং একই সাথে ত্বকের যত্নও হবে। কফি বিন প্যাক: অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কফি এবং কোকোয়া পাউডার রিংকেল এবং ফাইনলাইনস কমাতে সাহায্য করে। কোকোয়া পাউডার এবং মধু একসাথে মিশিয়ে আপনি সহজেই আপনি প্যাকটি তৈরি করে ফেলতে পারবেন। চোখের নিচে এবং পুরো ত্বকে প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা  করলে ধুয়ে নিতে পারেন। নারকেল তেল এবং হলুদের প্যাক: নারকেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ই, যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এক টেবিল চামচ নারকেল তেলে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে সহজেই প্যাকটি তৈরি করে ফেলতে পারবেন আপনি। নারকেল তেলের সঙ্গে আমন্ড ওয়েল এবং ক্যামোমাইল ওয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।  অলিভ অয়েল ম্যাসাজ: চোখের নিচে ফাইন লাইন কিংবা রিংকেলের জন্য অলিভ অয়েল ম্যাসাজ বরাবরই কার্যকরী একটি পদ্ধতি। ভিটামিন ই, কে এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ অলিভ অয়েল ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতেও সাহায্য করে। অ্যালোভেরা ফেইস প্যাক: ত্বকের পরিচর্যায় অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং ভিটা ক্যারোটিন। যা আমাদের ত্বককে সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা দেয় এবং ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে। পেঁপে এবং মধুর ফেইস প্যাক: চোখের নিচের রিংকেল, ফাইনলাইনস এবং আইব্যাগের জন্য এই প্যাকটি খুবই কার্যকরী। ত্বকের সুরক্ষা এবং ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে মধুও ব্যবহার হয়ে থাকে। পরিমাণ মত পেঁপে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে কয়েক ফোঁটা মধু মেশাতে হবে। সাথে কিছুটা টকদই মিশিয়ে লাগিয়ে নিন, ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে কয়েকদিন ব্যবহারেই চোখের নিচের রিংকেলস কমতে দেখা যাবে।
রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে হলুদের ঘরোয়া প্যাক
লিপস্টিক কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যে বিষয়গুলো
মুখে সিরাম ব্যবহারে এ ভুলগুলো করছেন না তো!
পার্টির আগে ত্বকের মলিনতা দূর হবে এই ফেশিয়ালেই
ঘরে বসেই দূর করুণ নাকের ওপর জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস 
মুখের যে কোনও কালো দাগ বা ব্ল্যাক হেডস মুখ পরিষ্কার করার সময় তুলে ফেলাই ভালো। ত্বকে ময়লা জমে তৈরি হয় ব্ল্যাক হেডস। পার্লারে গিয়ে ব্ল্যাক হেডস তোলার অভিজ্ঞতা হয়ত রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু সব সময় তো পার্লারে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই জেনে নিন বাড়িতেই ব্ল্যাক হেডস তুলে ফেলার উপায়।  কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে ব্ল্যাক হেডস তুলে ফেলবেন, জেনে নিন- >> ব্ল্যাকহেডস তুলতে বেকিং সোডা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। সাধারণ পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুলে নিন। মুখের যে সব অংশে ব্ল্যাক হেডস রয়েছে, সেখানে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এবার তা শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানিতে দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বেকিং সোডার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক দিনে যদি না ওঠে তাহলে পর পর দু'তিন দিন ব্যবহার করুন। >> ব্ল্যাক হেডস তুলতে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে টমেটো। প্রথমে টমেটো পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণ এবার লাগিয়ে নিন ব্ল্যাক হেডসের ওপর। পুরো মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ব্যবহার করুন। >> আপনি চাইলে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য ডিম ভেঙে কুসুম প্রথমেই আলাদা করে নিন। এরপর সাদা অংশের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু যোগ করুন। এই মিশ্রণ লাগিয়ে রাখুন ব্ল্যাকহেডসের ওপর। মিশ্রণ পুরো শুকিয়ে যাওয়ার পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ডিমের সাদা অংশ খুব সহজেই রোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল।
অল্প খরচে ঘরেই বানিয়ে নিন ফেস সিরাম
সাম্প্রতিক সময়ে অনেকই তাদের প্রতিদিনের বিউটি রুটিনে যোগ করেছেন ফেস সিরাম। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই প্রসাধনী। আপনিও যদি ত্বকের উজ্জলতা নিয়ে চিন্তিত হন, তাহলে আজ থেকেই ব্যবহার করতে পারেন ফেস সিরাম। সেক্ষেত্রে আপনি বাজারে কেনা ফেস সিরাম কাজে লাগাতেই পারেন। কিন্তু সেসব প্রোডাক্টে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিকও ব্যবহার করা হয়। আর আপনি যদি ত্বকে একান্তই কোনও রাসায়নিক না লাগাতে চান, তাহলে ভরসা রাখতে পারেন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি ফেস সিরামের ওপরে। ঘরোয়া এই সিরাম বানাতে খরচ কম আর কার্যকারিতাও পাবেন প্রচুর। জেনে নিন তৈরির প্রক্রিয়া- ভিটামিন সি ফেস সিরাম- এই ফেস সিরাম বানাতে আপনার প্রয়োজন পড়বে ১/২ চামচ ভিটামিন সি পাউডার, ১ টেবিল চামচ ডিসটিলড ওয়াটার, ২ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, ১/৪ ভিটামিন ই অয়েল এবং ৫-৬ ফোঁটা পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল। এবার একটি পাত্রে ডিসটিলড ওয়াটার, গ্লিসারিন ও ভিটামিন ই অয়েল মিশিয়ে নিন। তারপরে তাতে যোগ করুন ভিটামিন সি পাউডার। এরপরে পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ঢেলে রাখুন কাচের বোতলে। রোজ ওয়াটার ফেস সিরাম- এই ফেস সিরাম বানাতে আপনার প্রয়োজন ১ টেবিল চামচ ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল, ২ টেবিল চামচ গ্লিসারিন ও রোজ ওয়াটার। একটি পাত্রে প্রতিটি উপকরণ নিয়ে ভালো করে মেশান। তারপরে কাচের বোতলে ঢেলে রাখুন। ভিটামিন ই ফেস সিরাম- এই ফেস সিরাম বানানোর জন্যে আপনার প্রয়োজন ৩ থেকে ৪টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল, জোজোবা অয়েল, রোজহিপ অয়েল এবং আর্গন অয়েল। একটি পাত্রে এক চামচ করে প্রতিটি তেল নিন। এরপরে সেই মিশ্রণে ৩-৪টি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস মিশিয়ে দিন। প্রতিটি উপকরণ মেশানো হলেই তৈরি আপনার ভিটামিন ই ফেস সিরাম। ব্যবহারের নিয়ম শিখে নিন- এই ৩ ফেস সিরামের মধ্যে যে কোনও একটি আপনি নিয়মিত রাতে ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে মুখ ক্লিনজিং করে টোনার লাগান। তারপরে এই ফেস সিরাম কয়েক ফোঁটা আপনার সারা মুখে লাগিয়ে নিন। এবার হাতের তালুর চাপে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন ৫-১০ মিনিট। এতেই উপকার পাবেন পুরোপুরি। 
এক টুকরো শসাতেই মিলবে ঘন-কালো চুল
প্রতিদিন মাথার ত্বকে ধুলো ময়লা জমে নষ্ট হয় চুলের সৌন্দর্য। চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ। তাই চুল ও মাথার ত্বক সব সময় ঝলমলে রাখতে নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। আর আমাদের মাথার ত্বকের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শসার রস। শসার রস আমাদের ত্বকের জন্যে বেশ উপকারী। নিয়মিত শসার রস মাথার ত্বকে মালিশ করলে অনেক উপকারই পাবেন। চুলকে স্বাস্থ্যেজ্জ্বল করে তুলতে শসার রস ব্যবহার করুন এই নিয়মে- শসার ছোট টুকরো সরাসরি স্ক্যাল্পে ঘষতে পারেন কিংবা চুলের গোড়ায় মালিশ করতে পারেন। শসার টুকরো লাগানোর পরিবর্তে আপনি শসার রসও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে শসার কুচি থেকে সাদা কাপড়ে রস ছেঁকে নিন। তারপর সেই রস স্ক্যাল্পে মালিশ করুন। পরের ধাপ- শসার রস স্ক্যাল্পে লাগানোর পরে অন্তত ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন এবং তারপরে শ্যাম্পু করে নিন। এতেই উপকার পাবেন।  দেখে নিন তালিকা:  স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বজায় রাখবে- শসার রস স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে স্ক্যাল্প সহজেই রুক্ষ হয়ে যাবে না আর চুলের উজ্বলতাও অটুট থাকবে। লম্বা চুল পাবেন আপনি- শসার রস মালিশ করার ফলে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। ফলে হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছাবে। আর হেয়ার গ্রোথ হবে দেখার মতো। সংক্রমণ দূরে থাকবে- স্ক্যাল্পের পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকবে, ফলে স্ক্যাল্পে কোনও সংক্রমণ হানা দেবে না। আর চুলের উজ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। পাতলা চুলও অতীত- চুল পাতলা হয়ে যাবে না। চুলের শাইন অটুট থাকবে। হেয়ার ফলিকলগুলো মজবুত হবে। তাই এই সপ্তাহ থেকে এই শসার রস ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
উৎসবের আমেজে ভালোবাসায় মুড়ে নিন ত্বককেও
একদিন পরেই চলে আসবে সরস্বতী পুজো, ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস। সব মিলিয়ে বাতাসে বইছে উৎসবের আনন্দ। চারদিকে সুসজ্জিত হয়ে উঠছে। কিন্তু এমন সময়ে যদি চোখের তোলায় ফোলাভাব, মুখে-চোখে ক্লান্তিভাব থাকে, তাহলে কি শাড়ি পরে মেকআপ দিয়ে উজ্জ্বলতা পাওয়া যাবে? এর জন্য আপনাকে স্কিন কেয়ারের ওপরই জোর দিতে হবে।  কী-কী করবেন আর কোন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন, রইল টিপস- ফেসিয়াল: বয়স যদি কুড়ি পার হয় তাহলে ফেসিয়াল করিয়ে নিন। এমন ফেসিয়াল বেছে নিন, যা ত্বক থেকে মৃত কোষ, ট্যান তুলে দেবে। পাশাপাশি ত্বকে এনে দেবে প্রাকৃতিক জেল্লা। বাজারচলতি ফেসিয়াল ব্যবহার করতে পারেন। তবে, শেষ মুহূর্তে কোনও নতুন পণ্য ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ওপর কোনও র‍্যাশ বেরোলে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে। ম্যাসাজ: বিশেষ দিনের আগে মুখে ম্যাসাজ করলে ত্বকে প্রাকৃতিক জেল্লা ফুটে ওঠে। যে কোনও বিউটি অয়েল কিংবা ক্রিম দিয়ে আপনি মুখে ম্যাসাজ করতে পারেন। প্রয়োজন ম্যাসাজ রোলার ব্যবহার করতে পারেন। ম্যাসাজ করলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই কাজটা সেরে ঘুম দিলে পরদিন সকালে গ্লোয়িং ত্বক পাবেন। পানি পান করুন: দেহে পানির ঘাটতি থাকলে কোনওভাবেই ত্বকের জেল্লা ফুটে উঠবে না। ডিহাইড্রেশন ত্বককে শুষ্ক দেখায়। তার সঙ্গে ব্রেকআউটের সমস্যা বাড়ায়। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে যেমন ত্বক হাইড্রেট থাকবে, তেমনই উজ্জ্বল দেখাবে। ঘুম দরকার: আপনি সারাদিন যতটা কর্মব্যস্ততা ও মানসিক চাপের মধ্যে কাটাবেন, আপনার ত্বকের ওপরও তার প্রভাব পড়বে। তাই রাতে ভালো ঘুম দরকার। ঘুম ভালো না হলে চোখ ফুলে থাকবে, ত্বক ক্লান্ত দেখাবে। আর গাঢ় ঘুম হলে পরদিন সকালে নিজেই চোখ সরাতে পারবেন না ত্বক থেকে। ত্বকের যত্ন নিন: শেষ মুহূর্তে ত্বক নিয়ে নতুন এক্সপেরিমেন্ট করবেন না। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং এই ৩ স্টেপ অবশ্যই মেনে চলুন। এতে ত্বকের সমস্যা কমবে। ত্বক হাইড্রেট থাকবে। এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফুটে উঠবে।
অল্প বয়সে মুখে বলিরেখা? সমাধান এই ঘরোয়া ফেসপ্যাকেই
কফি এবং কলা, এই দুই উপাদান কিন্তু ত্বকের জন্য খুব উপকারি। ঝকঝকে ত্বক পেতে কফি এবং কলার তৈরি ফেসপ্যাকের জুড়ি মেলা ভাড়। কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। এই মিশ্রণের ফেসপ্যাক মুখমন্ডলের মধ্যে জমে থাকা মৃতকোষগুলোকে দূরে সরিয়ে ত্বককে আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। আর এই দুই উপাদান যখন মিলে যায়, তখন ম্যাজিক তৈরি হয়।  সব ধরনের স্কিনের জন্যই কলা-কফির ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যায়। ঘরোয়া উপায়েই বানিয়ে নিতে পারেন কলা-কফির ফেসপ্যাক। ত্বকের যেকোনও সমস্যার সমাধান ঘটবে এই ফেসপ্যাকের গুণে, এমনটাই আশ্বাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন ফেসপ্যাক তৈরির নিয়ম জেনে নেওয়া যাক- ১) হালকা গরম পানিতে এক চামচ কফি মিশিয়ে নিন। রাতে শোয়ার আগে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের বলিরেখা কমবে। ২) শুষ্ক ত্বকে দারুণ কাজ করে কলা। একটা কলাকে চটকে নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে কফি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে। ৩) হাঁটু, কনুই, বগলে যদি কালো ছাপ পড়ে তাহলে কলার খোসায় মধু, লেবুর রস মিশিয়ে ঘষে নিন। দেখবেন দ্রুত কালো ছোপ দূরে হবে। ৪) দিন দিন ঠোঁটের রং কালো হয়ে যাচ্ছে? কোনও চিন্তা নেই। কলার ছোট টুকরো করে নিন। তার মধ্যে অল্প কফি মিশিয়ে নিয়মিত ঠোঁটে লাগালেই কালো ছোপ দূর হবে। ৫) চোখের তলায় কালো ছোপ দেখা দিলে কফির সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে নিন। ৬) কলার খোসার মধ্যে কিছু পরিমাণ কফি এবং মধু ঢেলে দিন। সেই খোসাটা নিয়ে স্ক্রাবারের মতো করে মুখে ঘষতে থাকুন কয়েক মিনিট। এতে ত্বক ঝকঝকে হবে এবং বলিরেখা পড়বে না। ৭) শুধু ত্বকের যত্ন নয়, চুলের যত্নেও কফি আর কলা দারুণ কাজ করে। উষ্ণ পানিতে কফি মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে।
প্রতিদিনের এই পানীয়তেই মিলবে ব্রণের সমস্যা
প্রতিদিন নিয়ম করে মুখে ফেস-ওয়াশ, স্ক্রাব শেষে ক্রিম মেখে যত্ন নেন অনেকেই। এ ছাড়াও নিয়ম করে মাসে একটা ফেসিয়ালও করেন। এত কিছুর পরও ত্বকের ট্যান (রোদে পোরা দাগ) যায় না। আসলে অনেকেই ত্বকের উজ্বলতা বাড়াতে অনেক কিছু লাগান, কিন্তু সঠিক উজ্বলতা পেতে খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রেও আনতে হবে পরিবর্তন। তবে শুধু ক্রিম মাখালেই ত্বক সুন্দর হবে এমন ধারনাটাও একেবারেই সঠিক নয়। মন থেকে নিজের যত্ন নিতে হবে, তবেই ত্বক সুন্দর হবে। জেনে নিন পানীয় বানানোর নিয়ম-  ত্বক ভালো রাখতে ভালো খাবারও খেতে হবে। তেল বেশি খাওয়া যাবে না। ফল, শাকসবজি এসব বেশি খেতে হবে। তেল চপচপে তরকারি খাবেন এমনটাও নয়। চিকেনের স্ট্যু খান, অল্প তেলে তরকারি বানিয়ে খান তবেই বেশি ভালো লাগবে। ত্বক সুন্দর করতে রান্নাঘর থেকে ডাল, বেসন, টকদই এসব বের করে নিয়ে মুখে মাখলেই চলবে না, সঙ্গে পেটকেও খাবার দিতে হবে। ভেতর থেকে ত্বক যাতে সুন্দর হয় সেইদিকে নজর রাখতে হবে। এতে ডিটক্সিফিকেশন ভালো হবে, মুখে কোনও রকম ব্রণের সমস্যা হবে না। ত্বকের সমস্যার জন্য দায়ী হরমোনও। এই হরমোন ঠিক রাখতে গেলেও আমাদের কিছু খাবার নিয়ম করে খেতে হবে। দেড় কাপ পানিতে বানিয়ে নিন এই ম্যাজিক পানীয়। একজন ডায়েটিশিয়ান তার ইস্টাগ্রাম পোস্টে এই পানির উপকারিতা ও বানানোর পদ্ধতি জানিয়েছেন। তার কথায় “ত্বকের দাগ-ছোপ-ব্রণ দূর করে ঝলমলে করে তুলবে এই একটি মিরাকল পানীয়।” পানি দারচিনির গুঁড়ো, এক চামচ মৌরি আর হাফ চামচ মেথি দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার তা ভালো করে ছেঁকে নিয়ে সকালে খালি পেটে খান এক গ্লাস। এতে শরীরের সব হরমোন ঠিক মত কাজ করবে। পেট পরিষ্কার থাকবে যে কারণে ত্বক ঝকঝকে হবে নিজ থেকেই। আসলে বয়স বাড়লে ত্বকে বলিরেখা দেখা যায়, কালো ছোপ পরে যায়। কারণ তখন অক্সিডেশন বেশি হয়। যে কারণে এই পানীয় খুবই ভালো সাহায্য করে। ত্বকের গঠনে সাহায্য করে কোলাজেন। দারচিনি, মৌরির মধ্যে থাকে সেই বিশেষ গুন যা কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায় না সেই সঙ্গে চামড়াও থাকবে টানটান। সব বয়সের সব মানুষ এই পানীয় খেতে পারেন।
সাবান ব্যবহারে যেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়
সুস্থ থাকার জন্য শুধু স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নয়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য নিয়মিত গোসল করা উচিত। অনেকেই গোসলের সময় প্রতিবারই সাবান ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন সাবান নানাভাবে আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে? তাই গোসল করার সময় প্রতিবার সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, ত্বক রুক্ষ হতে পারে। জেনে নিন কি ধরণের ক্ষতি হতে পারে- শুষ্কতা- অতিরিক্ত সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল কমে যেতে পারে। যা শুষ্কতা এবং রুক্ষতার কারণ হতে পারে। যাদের ত্বক শুষ্ক বা সংবেদনশীল তারা এই সমস্যাটি বেশি অনুভব করে থাকেন। জ্বালাপোড়া- কিছু সাবানে কঠোর রাসায়নিক, যেমন- রঙ এবং সুগন্ধ থাকে। যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করতে পারে। ত্বকে লালভাব, চুলকানি বা ফুসকুড়ি হতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এই সমস্যাগু্লো আরও গুরুতর হয়ে ওঠতে পারে। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে- গোসলের সময় নিয়মিত সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পরিবর্তন হতে পারে। যার ফলে ত্বকে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভালো ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করে- বেশি সাবান ব্যবহার করলে ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। এ সময় ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি ভালো ব্যাকটেরিয়াও অপসারণ হয়ে যায়। অতিরিক্ত সাবান ত্বকের মাইক্রোবায়োম মেরে ফেলতে পারে। যা ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে। ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়- সাবান দিয়ে প্রতিদিন গোসল করলে ত্বকের আদ্রতা কমে যায়। বিশেষ করে গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কেড়ে নিতে পারে। ফলে ত্বকের ক্ষতি ছাড়াও শুষ্কতা, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দেখা দেয়। সাবানের এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়াতে কিছু টিপস মেনে চলুন-  > গোসলের জন্য, মৃদু সাবান বেছে নিন। যা আপনার ত্বকের জন্য উপকারি। > অতিরিক্ত অ্যাডিটিভ বা সুগন্ধযুক্ত শক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। > শুধুমাত্র হাত, আন্ডারআর্মস, কোমরসহ শরীরের প্রয়োজনীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শরীরের অন্য এলাকায় পানি ব্যবহার করুন। > গোসলের পরে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার হবে। ত্বক শুষ্কতা থেকে মুক্তি পাবে। > গোসলের সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক খুব বেশি শুষ্ক হবে না।