• ঢাকা সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১
logo
পূজায় কাচের মতো স্বচ্ছ ত্বক পেতে মাখুন এই ফেসমাস্ক
চুলের একগুচ্ছ সমস্যা সমাধান করবে প্রাচীন এই তেল
বছরজুড়েই চুলের কোনো না কোনো সমস্যায় ভুগতে হয়। বর্ষায় বাড়ে চুল ঝরা তো শীতে খুশকি। এছাড়া কারও অভিযোগ বাড়ছে না চুল, তো কেউ আবার চুল না গজানো নিয়ে চিন্তায় দু চোখের পাতা এক করতে পারছেন না। চুলের যাবতীয় সমস্যার জন্য আদি অকৃত্রিম নারকেল তেলের উপরেই ভরসা করেন অনেকে। দেখতে গেলে কোনও যুক্তিই ফেলে দেওয়ার নয়। প্রতিটি তেলেরই নিজস্ব গুণ রয়েছে। কোনোটি খুশকির যম। কোনওটি আবার চুলের উজ্জ্বলতা ফেরাতে সাহায্য করে। তবে বাজারের সকল তেলই হার মানবে মা-ঠাকুমার তেল বানানোর টোটকায়। চুলের ক্ষয়কে পুনরুদ্ধার করে চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে মা-ঠাকুমাদের টোটকায় বানানো তেল। নারকেলসহ একাধিক ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি এই তেল শুধু চুল গজাতেই সাহায্য করে না, দূরে রাখে খুশকি, ডগা ভাঙার মতো সমস্যাও।  যেসব অঞ্চলের সিংহভাগ কিশোরী থেকে তরুণী, প্রৌঢ়া থেকে বৃদ্ধা সবাই ঘন একঢাল সুপুষ্ট চুলের মালিক, জানা গিয়েছে, সেখানকার মানুষদের চুলের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে প্রকৃতিতেই । কোনো ভেজাল ছাড়া, রাসায়নিক বিহীন প্রাকৃতিক এক তেল তারা মাথায় মাখেন। সেই তেলের পুষ্টি গুণেই বংশ পরম্পরায় তাদের মানুষদের মাথা ভরা চুল। প্রাচীনকাল থেকেই এই তেল বাড়িতে বানিয়ে মেখে আসছেন এখানকার মানুষ। তারই ফল ঘন কালো এক ঢাল চুল। সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, সব সমস্যার মুশকিল আসান হতে পারে প্রাচীন মানুষদের তেল বানানোর এই টোটকা। এই তেল বানাতে যা যা দরকার কারি পাতা, ১ চামচ মেথির বীজ, ২ চামচ জবা ফুলের গুঁড়ো, ১০-১৫ ছোট পেঁয়াজ, অ্যালোভেরা জেল, ৫০০ মিলি নারকেল তেল আর ১০-১২টা গোলমরিচ। তেল বানানোর আগে মেথি বীজকে চার ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। কারি পাতাগুলোকে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। তেল তৈরির জন্য দরকার লোহার কড়াই ভেজানো মেথি বীজ, ১০-১২টা কারিপাতা, জবা ফুলের গুঁড়ো, ছোট পেঁয়াজ ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর অল্প পানি মিলিয়ে মিশ্রণটিকে স্মুথ বানিয়ে নিতে হবে। ওই পেস্ট একটি লোহার কড়াইতে নিয়ে তাতে মেশাতে হবে ৫০০ মিলি নারকেল তেল। ১০-১২ মিনিট মিশ্রণটিকে ফুটিয়ে নিতে হবে। শেষে গোলমরিচ দানা মিশিয়ে আরও ২ মিনিট বেশি আঁচে ফোটান। ঠান্ডা হলে মিশিয়ে দিন অ্যালোভেরা জেল। ব্যবহারের নিয়ম ঠান্ডা হলে একটি কাচের পাত্রে তেলটি ছেঁকে ঢেলে নিন। এই তেল ২ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। প্রতিবার ওই শিশি থেকে অল্প তেল নিয়ে হালকা গরম করে নিয়ে মাথায় লাগান। ৩ থেকে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে নিন। তাতে চুলের গ্রোথ বাড়বে। আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিলেই দেখতে পাবেন ম্যাজিক। আরটিভি/এফআই/এআর
পূজার আগে ঘরে বসেই ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর টিপস
কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে সহজেই করুন ত্বকের পরিচর্যা
ডিমের কুসুমে তৈরি ৪ ফেসপ্যাকেই ফিরবে উজ্জ্বলতা
ঈদের আগে ক্লান্তি দূর করতে বাড়িতেই করুন স্পা
চোখের নিচের কালি ও ব্রণের দাগ দূর হবে যে সবজিতে
রূপচর্চার প্রসঙ্গ এলেই আজও প্রাকৃতিক উপাদানের গুরুত্ব বেশি। আর সেখানেও হলুদ, বেসন, টক দই, অ্যালোভেরার মতো উপাদানই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। কিন্তু এই কমন উপাদানগুলো ছাড়াও এমন কিছু জিনিস রয়েছে, যা ত্বকের পরিচর্যায় দুর্দান্ত কাজ করে। এমনই একটি উপাদান হলো আলু। এই সবজি চোখের নিচের কালো দাগ থেকে শুরু করে দাগছোপ দূর করতে সাহায্য করে। জেনে নিন রুপচর্চায় আলুর উপকারিতা— ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে: আলুর মধ্যে এনজাইম, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে। কয়েক টুকরো আলু দিয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এবার আলুর রস ছেঁকে নিন। এই আলুর রস ত্বকের ওপর লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এরপর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই আলুর রস হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ডার্ক সার্কেল দূর করে: আলুর মধ্যে ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে, যা ডার্ক সার্কেলকে হালকা করতে সাহায্য করে। চোখের নিচে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন আলুকে। পাতলা স্লাইস করে আলু কেটে নিন। এবার এই আলুর টুকরো ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা আলুর স্লাইস চোখের নিচে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এটি রক্তনালিকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়। নিয়মিত এই টোটকা মানলে চোখের নিচের কালি দূর হয়ে যাবে। ব্রণর সঙ্গে লড়াই করে: আলুর মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। আলুর পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ১৫-২০ মিনিট ত্বকে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে, প্রদাহ কমায় এবং ক্ষয় নিরাময় করে। এই ফেসপ্যাক আপনাকে নিখুঁত ত্বক এনে দিতে পারে। সানবার্ন থেকে মুক্তি দেয়: আলুর মধ্যে এনজাই ও ভিটামিন রয়েছে যা সানবার্ন থেকে মুক্তি দেয় এবং ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। যে অংশ রোদে পুড়ে গেছে তার ওপর ঠান্ডা আলুর রস লাগান। আলুর স্লাইসও কিছু রেখে দিতে পারেন। এটি ত্বকের কোষ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহ কমায়।
ফেস সিরাম ব্যবহারের আগে যা জানা জরুরি
ত্বক ভালো রাখতে, উজ্জ্বলতা বাড়াতে কে না চায়। আর এই সৌন্দর্যের মূল বিষয় লুকিয়ে আছে সুস্থতা এবং নিয়মমাফিক জীবনযাপনে। ত্বক ভালো রাখতে নিয়মমাফিক চর্চার বিকল্প কিছু নেই। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে নিয়ম করে ত্বকের একটু যত্ন নিলেই ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, মসৃণ। আর এই ত্বকের যত্নে নারীদের প্রসাধনীর তালিকার প্রথম পছন্দে রয়েছে ফেস সিরাম। আর তাই তো বিউটি ওয়ার্লডেও এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। কিন্তু অনেকে এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে না জেনেই মুখে মাখান, যা হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাই তো এখন প্রশ্ন হলো, ঠিকঠাক উপকার পেতে সপ্তাহে কতদিন কিভাবে ফেস সিরাম মাখানো প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ফেস সিরামের সঠিক ব্যবহার এবং উপকারিতার কথাও জেনে নেওয়া উচিত।  ফেস সিরাম: এটি একটি টপিকাল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট। অর্থাৎ এটি ত্বকের ওপরে ব্যবহার করতে হয়। আর তাতেই সঠিক উপকার পাওয়া যায়। লাইট ওয়েট অয়েল বেসড এই প্রোডাক্টে নানারকম সক্রিয় উপকরণ থাকে, যেগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ কার্যকর। যেমন ধরুন ভিটামিন সি, হায়ালুরনিক অ্যাসিড এবং গ্লাইসোলিক অ্যাসিড তো ফেস সিরামে পাওয়া যায়। ফেস সিরামের উপকারিতা কী কী: এক একটি ফেস সিরামে এক এক ধরনের উপকরণ থাকে, যা ত্বকের নানা সমস্যাকে সমাধান করতে পারে। যেমন কোনও ফেস সিরাম ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে তো অন্যটি আবার ত্বকের বলিরেখা উধাও করে। এছাড়া ত্বকের কালচে ছোপ কমানো, অ্যাকনের সমস্যার সমাধান এবং কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দিতেও কোনও কোনও সিরামের জুড়ি মেলা ভার। ফেস সিরামের খুঁটিনাটি- অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, গ্রীষ্মকালে ফেস সিরাম দিনের বেলায় না ব্যবহার করাই উচিত। তাতে নাকি ত্বকের হিতে বিপরীত হতে পারে। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ এই মতের বিপক্ষে। তাই তারা দিনে দুবার ফেস সিরাম ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তবে এই কথাও ঠিক যে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কোনও প্রোডাক্ট মেখে রোদে না বেরনোই ভালো। তাতে কিন্তু ত্বকের ক্ষতি হলেও হতে পারে। সঠিকভাবে ব্যবহারের নিয়ম- প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এরপরে কটন প্যাডে পরিমাণ মতো টোনার নিয়ে ত্বকে লাগান। কয়েক ফোঁটা সিরাম ড্রপারের সাহায্যে মুখে লাগান। তারপরে হাতের সাহায্যে ড্যাব করুন। শেষে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ফেস সিরাম ব্যবহার করে সঠিক উপকার পাওয়ার জন্যে নিয়মিত তা মুখে লাগানো জরুরি। প্রতিদিন দিনে একবার বা দুবার করে ফেস সিরাম লাগাতেই হবে আপনাকে। তাই সঠিক উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন (যদি প্রতিদিন না ব্যবহার করতে পারেন) এই ফেস সিরাম মুখে লাগাতেই হবে।
১০ মিনিটে উজ্জ্বলতা বাড়াবে যে মিশ্রণ
ত্বকের উজ্জ্বলতা অটুট রাখতে যারা ঘরোয়া রূপটানে ভরসা রাখেন, তারা বেসন এবং কাঁচা দুধের কদর জানেন। কারণ এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানই ত্বকের জন্যে বেশ কার্যকর। তবে চটজলদি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর জন্যে বেসন ভালো নাকি কাঁচা দুধ, অনেকের মনেই এই প্রশ্ন থাকে।  জেনে নিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কোনটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে- বেসন : বেসন প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে আর এর ক্লিনজিং এজেন্ট ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করুন : বেসন আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণও নিয়ন্ত্রণে রাখে, তাই গরমে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। কাঁচা দুধ : কাঁচা দুধ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আর এতে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড ধরে রাখে ত্বকের সুস্বাস্থ্য। ল্যাকটিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও কাজ করে। তাই ত্বকের মৃত কোষের স্তর সরিয়ে উজ্জ্বলতা ফেরাতে সময় লাগে না। তবে তৈলাক্ত ত্বকে ল্যাকটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ দুধ না ব্যবহার করাই শ্রেয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে কারও ত্বকে যদি ব্রনের সমস্যা থাকে, তাহলে তো ব্যবহার করাই উচিত নয়। বেসন বনাম কাঁচা দুধ : তাই এই গরমে তৈলাক্ত ত্বকে লাগান বেসন এবং রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ব্যবহার করুন কাঁচা দুধ। তাতেই মিলবে উপকার।
লাউয়ের খোসায় ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর টিপস
বৈশাখের এই গরমে বেশিরভাগ বাড়িতেই অল্প তেল, মসলা যুক্ত খাবার রান্না করা হয়। আর এ তালিকায় লাউ অথবা লাউয়ের খোসা বাটাও রান্না হয়। গরমের দিনে দুপুরের ভাতপাতে সেই লাউ রান্না হাপুশ-হুপুশ করে খেয়ে ফেলেন অনেকেই। তবে, জানেন কি এই লাউয়ের খোসা দিয়ে ত্বকেও উজ্জ্বলতা আনা যায়। গরমের দিনে রোদে পুড়ে ত্বকে খুব সহজেই ট্যান পড়ে যায়। আবার গরমের মধ্যে খুব সহজেই আসে ক্লান্তি। এই পরিস্থিতিতে ত্বকে ক্লান্তির ছাপ কাটিয়ে উজ্জ্বলতা আনতে আর ট্যানের সমস্যা কাটাতে লাউয়ের খোসা কীভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন। দেখে নিন লাউয়ের খোসা দিয়ে রূপ চর্চার কিছু টিপস- উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে- গরমের দিনে মুখে চোখে সহজেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে। সেক্ষেত্রে ত্বককে সজীব রাখতে সাহায্য করে লাউয়ের খোসা। এছাড়াও উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে লাউয়ের খোসা দিয়ে বানাতে পারেন একটি মিক্স। যা আপনাকে সহায়তা করবে। লাল চন্দনের সঙ্গে লাউয়ের খোসা বেটে নিয়ে তার মিশ্রণ বানান। মুখে লাগিয়ে তা ১০ মিনিট পর ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এইটি করলে মিলবে সুফল। ট্যানিং থেকে বাঁচতে- গরমের রোদে ট্যানিং থেকে বাঁচতে লাউয়ের খোসা দিতে পারে অনেক উপকার। লাউয়ের খোসা শুধু মুখে ঘষে নিতে পারেন। এছাড়াও তা ব্লেন্ডারে দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। তা মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর তা ধুয়ে ফেলুন। দাগ ছোপ দূর করতে- ত্বকের দাগ ছোপ দূর করতে লাউয়ের খোসা দারুন উপকারী। খোসা বেটে নিয়ে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। সেই পেস্ট গোসলের আগে মেখে নিন। তবে মুখ এক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতেই মুখ থেকে সরে যাবে দাগ ছোপ।
যে যত্নে দূর হবে চোখের নিচের ফাইন লাইনস ও রিংকেল
ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত আমাদের ত্বক নানান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে আমাদের ত্বক হারায় তার দৃঢ়তা ও জেল্লা। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় সবার মাঝে একটি সাধারণ সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যাটি হলো–চোখের নিচে ভাঁজ পড়ে যাওয়া কিংবা কুঁচকে যাওয়া, একেই ফাইন লাইনস ও রিংকেল বলে। আমাদের প্রতিদিনকার জীবনাচরণ, কম ঘুমানো, স্ট্রেস, ব্যাস্ততা,পরিবেশদূষণ, সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্নি, বংশগত কারণ ইত্যাদি কারণগুলো চোখের নিচের কালো দাগ হওয়ার জন্য দায়ী। এটা আমাদেরকে জানান দেয় যে খাদ্যাভাস, বয়স বা জীবনযাত্রায় হচ্ছে অনিয়ম। এজিং সাইনগুলো সাধারনত সবচেয়ে প্রথমে চোখের নিচেই দৃশ্যমান হয়। কারন আমাদের চোখের নিচে প্রিঅরবিটাল হলো নামক অংশের চামড়াতে থাকা রক্তের শিরাগুলো তুলনামূলক পাতলা হয়। আগে থেকেই এ ব্যাপারে সচতন থাকতে হবে, সময় করে যত্ন নিতে হবে চোখের।  যে কারণে হয় ফাইন লাইনস ও রিংকেল:  রিংকেল এবং ফাইন লাইন হবার পেছনে এমন কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে, যা আমরা চাইলেই কন্ট্রোল করতে পারি না। যেমন- বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বকের ইলাস্টিসিটি এবং নমনীয়তা কমতে থাকে। ধীরে ধীরে আমাদের শরীরে ফ্যাট কিংবা তেল উৎপাদন কমে যায়,যা ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। যে কারণে ত্বকের চামড়া ঝুলে যেয়ে ত্বকে ফাইন লাইন অর্থাৎ বলিরেখা এবং রিংকেলের সৃষ্টি করে। সূর্যের আলো কিংবা আলট্রা ভায়োলেটের প্রভাব: ত্বকে সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্নির প্রভাবে এজিং শুরু হয়, যা রিংকেল হওয়ার একটি প্রাথমিক কারণ। ইউভি রশ্নির সংস্পর্শে আমাদের ত্বকের গভীরের কানেক্টিভ টিস্যু- কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবারকে নিস্তেজ করে দেয়। যার কারণে ত্বকে ভাজ অর্থাৎ রিংকেল দেখা যায়। এ ছাড়াও ধূমপান, খাদ্যাভ্যাস এবং আমাদের প্রতিদিনকার বিভিন্ন ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন (যেমন- চোখ কুঁচকে রাখা, কিংবা হাসার সময় চোখ ছোট করে ফেলা) ইত্যাদিও এই রিংকেল বা ফাইন লাইনের জন্য দায়ী। চোখের নিচে রিংকেল কিংবা ফাইন লাইনসের প্রতিকারের জন্য কিছু টিপস- সানস্ক্রিন: সূর্যের আলো থেকে যতটা পারা যায় স্কিনকে সুরক্ষা দিতে হবে। সরাসরি সূর্যের আলো পড়ার সম্ভাবনা থাকলে সানগ্লাস, ছাতা এবং লং-স্লিভ অর্থাৎ লম্বা হাতাওয়ালা জামা পরতে হবে। আর এক্ষেত্রে স্কিনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে- সানস্ক্রিন। বাসা থেকে বের হওয়ার ২০ মিনিট আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন দিতে হবে। সানপ্রটেকশন যুক্ত স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে, যাতে ন্যূনতম এসপিএফ ৩০ থাকে। বয়স ভেদে সানস্ক্রিনের এসপিএফের মাত্রা ১৫ থেকে ৫০ পর্যন্ত হতে পারে। সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে তা ক্লিন করার জন্য অবশ্যই ডাবল ক্লেনজিং করতে হবে। ময়েশ্চারাইজার: স্কিন ড্রাই কিংবা শুস্ক থাকলে সহজেই ফাইন লাইনস এবং রিংকেল দেখা দেয়। তাই শুষ্কতা থেকে বাঁচতে ময়েশ্চারাইজার  ব্যবহার করতে হবে। কয়েক সপ্তাহ ব্যবহারেই আপনি ত্বকে পরিবর্তন লক্ষণ করতে পারবেন। আই-ক্রিম: আমাদের চোখের নিচের ত্বক ফেইসের অন্যান্য অংশের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশি সংবেদনশীল। তাই এর পরিচর্যাতেও দরকার এক্সট্রা কেয়ার। ত্বকের ধরণ ও বয়স ভেদে মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের আই-ক্রিম পাওয়া যায়। রিংকেল ও ফাইনলাইনসের মতো সমস্যা এড়াতে আই-ক্রিম খুবই কার্যকরী। হেলদি ডায়েট: আমমাদের ত্বকের জন্য কিছু কিছু ভিটামিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৫ সহ ইত্যাদি। এই  প্রয়োজনীয় ভিটামিনগুলো আমাদের ত্বকের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল থেকে আমরা এ ভিটামিনগুলো পেয়ে থাকি। জেনে নিন রিংকেল দূর করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক প্যাক- একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে ত্বকের এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে থাকে। তাই আমাদের উচিত স্কিনকেয়ারের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং ত্বক অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট স্কিন-কেয়ার রুটিন ফলো করা। তাহলে এই সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। রিংকেল বা ফাইন লাইনস রোধে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি হোম রেমেডির কথা বলা যাক। আপনি সহজেই বাসায় বসে বানিয়ে নিতে পারবেন কার্যকরী এই প্যাকগুলো। শসা এবং দইয়ের প্যাক: চোখের সৌন্দর্য চর্চায় শসা  প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। শসায় এমন উপাদান আছে, যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি কে ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে টানটান রাখে।  যার ফলে রিংকেল এবং ফাইনলাইনসের মতো সমস্যাগুলো এড়ানো যায়। এই প্যাকটি বানানোর জন্য শসা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পরিমাণ মতো টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর চোখের নিচে ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২ বার প্যাকটি ব্যবহার করলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে।আপনি চাইলে দিনের সকল কাজ শেষে ২ টুকরো শসা চোখের উপরে দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারেন। এতে আপনি বেশ রিফ্রেশ ফিল করবেন এবং একই সাথে ত্বকের যত্নও হবে। কফি বিন প্যাক: অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কফি এবং কোকোয়া পাউডার রিংকেল এবং ফাইনলাইনস কমাতে সাহায্য করে। কোকোয়া পাউডার এবং মধু একসাথে মিশিয়ে আপনি সহজেই আপনি প্যাকটি তৈরি করে ফেলতে পারবেন। চোখের নিচে এবং পুরো ত্বকে প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা  করলে ধুয়ে নিতে পারেন। নারকেল তেল এবং হলুদের প্যাক: নারকেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ই, যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এক টেবিল চামচ নারকেল তেলে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে সহজেই প্যাকটি তৈরি করে ফেলতে পারবেন আপনি। নারকেল তেলের সঙ্গে আমন্ড ওয়েল এবং ক্যামোমাইল ওয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।  অলিভ অয়েল ম্যাসাজ: চোখের নিচে ফাইন লাইন কিংবা রিংকেলের জন্য অলিভ অয়েল ম্যাসাজ বরাবরই কার্যকরী একটি পদ্ধতি। ভিটামিন ই, কে এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ অলিভ অয়েল ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতেও সাহায্য করে। অ্যালোভেরা ফেইস প্যাক: ত্বকের পরিচর্যায় অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং ভিটা ক্যারোটিন। যা আমাদের ত্বককে সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা দেয় এবং ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে। পেঁপে এবং মধুর ফেইস প্যাক: চোখের নিচের রিংকেল, ফাইনলাইনস এবং আইব্যাগের জন্য এই প্যাকটি খুবই কার্যকরী। ত্বকের সুরক্ষা এবং ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে মধুও ব্যবহার হয়ে থাকে। পরিমাণ মত পেঁপে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে কয়েক ফোঁটা মধু মেশাতে হবে। সাথে কিছুটা টকদই মিশিয়ে লাগিয়ে নিন, ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে কয়েকদিন ব্যবহারেই চোখের নিচের রিংকেলস কমতে দেখা যাবে।
রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে হলুদের ঘরোয়া প্যাক
বাইরে বের হলেই মাথার ওপর কড়া রোদ। আর এ কড়া রোদে সারাদিন ঈদের কেনাকাটা করে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক রোদে পুড়ে যায়। গরমে ত্বকের অন্যতম সমস্যা এই সানবার্ন। তাই ত্বকের লাবণ্য ফেরানোর পাশাপাশি রোদে পোড়া ভাব দূর করতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। হলুদ দিয়ে তৈরি হয় সাবান, যা প্রসাধনী হিসেবে বেশ কার্যকর। সুপ্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্ন ও নানা রোগের ওষুধ হিসেবে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। নানা আয়ুর্বেদিক গুণ থাকা কাঁচা হলুদ, শুকনো হলুদ গুঁড়ো বিভিন্ন উপায়ে আমরা ব্যবহার করি দৈনন্দিন জীবনে। রোদে পোড়া ত্বকের জন্য হলুদ খুবই উপকারী। ত্বকের ধরন অনু্যায়ী হলুদের ব্যবহার একটু ভিন্নভাবে করতে হয়।  জেনে নিন ঘরোয়া উপায়গুলো- তৈলাক্ত ত্বক: এ ক্ষেত্রেও একইভাবে হলুদের রস ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর মুলতানি মাটি নিয়ে হলুদের রসে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার সঙ্গে এক চামচ পুদিনা পাতা ও এক চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে হাত ও মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। শুষ্ক ত্বক: শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রথমে হলুদের রসটাকে বের করে নিতে হবে। তারপর সেটা দুই থেকে তিন মিনিট চুলায় ফুটিয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে বেসন ও ডিমের কুসুম মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে যায়। মিশ্র ত্বক: মিশ্র ত্বকের যত্নটা একটু ভিন্নভাবে নিতে হয়। কারণ এ ধরনের ত্বক একটু বেশি স্পর্শকাতর হয়। সে জন্য আগের মতোই হলুদের রস নিয়ে তার মধ্যে দেশি সবুজ মুগডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর একে পেস্ট করে তুলসী পাতার রস ও কেওলিন পাওডার মিশিয়ে মুখ ও হাত-পায়ে লাগাতে পারেন। এতে যেমন ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে, তেমনি হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত। আর সব ধরনের ত্বকেই হলুদের রসের সঙ্গে ব্রাউন সুগার নিয়ে স্ক্রাবিং করতে পারেন। এতে ব্ল্যাকহেডস দূর হয়। কখন ব্যবহারে বেশি উপকার: হলুদ সবসময় রাতে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হলুদের যেকোনো প্যাক লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে একটা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে ত্বকের সজীবতা বাড়ে। আর হলুদের রস বা গুঁড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।  প্রতিদিন নয়: ত্বকের যত্নে প্রতিদিন না করে সপ্তাহে এক দিন বা দুই দিন হলুদ ব্যবহার করুন। প্রতিদিন হলুদের স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকের ভেতর আঁচড় কেটে যায়। স্বাভাবিকের তুলনায় তাড়াতাড়ি বলিরেখা সৃষ্টি হয়। হলুদ মুখে লাগানোর পর বাইরে যাবেন না। কারণ হলুদ ব্যবহারের পরপরই রোদে গেলে ত্বক জ্বলে যাওয়া, জ্বালাপোড়াসহ বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সম্ভব হলে রাতে হলুদ ব্যবহার করুন।
লিপস্টিক কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যে বিষয়গুলো
মেয়েদের সাজ সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় প্রসাধনী হচ্ছে লিপস্টিক। ঠোঁট রাঙাতে এই প্রসাধনীর জুড়ি মেলা ভার। আর ঈদের কেনাকাটায় মেয়েদের প্রসাধনীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো লিপস্টিক। তবে ঈদে লিপিস্টিক কেনার সময় অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, কারণ সারাদিন গরমের মধ্যে কোন লিপস্টিকটি আপনার জন্য উপযুক্ত সে বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লিপস্টিক কেনার সময় রংকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়, তবে লিপস্টিকের টেক্সচার কেমন সেটা দেখাও খুব জরুরি। জেনে নিন লিপস্টিক কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যে বিষয়গুলো- ক্রিমি লিপস্টিক: যাদের ঠোঁট ছোট ও পাতলা তারা এই ধরনের লিপস্টিক লাগাতে পারেন। ক্রিম থাকায় এই লিপস্টিকে ঠোঁট অনেক ভরাট দেখায়। এই লিপস্টিক ঠোঁটের শুষ্কভাবও কাটিয়ে দেয়। যেকোনো সাজে যেকোনো সময়ই মানাবে এই ক্রিমি লিপস্টিক। ম্যাট লিপস্টিক: এই লিপস্টিক যার ঠোঁট যেমন তেমন টেক্সচারই দেখায়, তবে যাদের ঠোঁট খুব শুষ্ক তাদের এই লিপস্টিক এড়িয়ে চলায় ভাল। ম্যাট লিপস্টিক লাগালে ওপরে লিপবামও লাগাতে পারেন, তবে এই লিপস্টিকের স্থায়িত্ব অনেক বেশি তাই সারাদিনের অনুষ্ঠানে এই লিপস্টিক খুবই ভালো। ট্রান্সফাররেজিস্ট্যান্ট লিপস্টিক: অনেকে অফিস বা ক্লাসের উদ্দেশে সকালে বের হয়ে রাতে বাসায় ফেরেন। আর এই লিপস্টিক তাদের জন্য একেবারে আদর্শ। এই লিপস্টিক সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একইরকম থাকে, এমনকি জলেও উঠে না। এই লিপস্টিক তোলার জন্য সলিউশন পাওয়া যায়। তেল কিংবা ময়েশ্চারাইজার দিয়েও তুলতে পারেন এই লিপস্টিক। এই লিপস্টিকে ময়েশ্চারাইজার কনটেন্টও স্বাভাবিক থাকে, ফলে ঠোঁটও শুষ্ক হয় না। স্যাটিন ফিনিশ বা শিয়ার লিপস্টিক: এই লিপস্টিকে আবার অয়েল কনটেন্ট অনেক বেশি। তাই ঝলমলে গ্লসি লুক পাওয়ার জন্য এই লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতেই পারে, তবে এই লিপস্টিক যা রং দেখায় ঠোঁটে কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি গাঢ় হয়ে যায়। এই লিপস্টিকও ঠোঁটের শুষ্কভাব কাটিয়ে দেয়, তবে এই লিপস্টিক দিনের বেলায় এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো। ফ্রস্টেড লিপস্টিক: এই লিপস্টিক খুব হালকা হয়। এই লিপস্টিক স্পার্কেল করে, তবে এই লিপস্টিক ঠোঁটও শুষ্ক করে না। দিনের যেকোনো সময়ই ব্যবহার করতে পারেন এই লিপস্টিক।