• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
২৭ জুলাই: ইতিহাসে আজকের এই দিনে
১৮ জুলাই: ইতিহাসে আজকের এই দিনে
ঘটে যাওয়া আজকের এই দিনের ঘটনা, অনেক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু আমরা জানতে চাই। পাঠকের এ চাওয়া মাথায় রেখে নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা। ঘটনাবলি: ৮৭১ - বৃটেন ও ডেনমার্কের মধ্যে ২৫ বছরব্যাপী যুদ্ধের সূচনা হয়। ১৭৮৩ - বৃটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম হার্শেল ছায়াপথের প্রকৃতি আবিস্কার করতে সক্ষম হন। ১৮৪১ - ঢাকা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৫৪ - স্যার চার্লস উডের বিখ্যাত ডেসপ্যাচ প্রকাশিত হয়। ১৮৭১ - কলকাতা ও অন্যান্য পৌরসভার রাস্তাঘাট তৈরি রক্ষার খরচ নির্বাহের জন্য নীতিনির্ধারক আইন চালু হয়। ১৯৪৭ - ভারতের স্বাধীনতা আইন ইংল্যান্ডের রাজার অনুমতি লাভ করে। ১৯৬৬ - মানুষসহ ‘জেমিন’ নভোযান মহাশূন্যে উৎক্ষেপণ করা হয়। ১৯৬৮ - আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টাক্লারাতে ইন্টেল কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৬ - মন্ট্রিলে ২১তম অলিম্পিকের উদ্বোধন হয়। ১৯৭৬ - গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে রুমানিয়ার জিমন্যাস্ট নাদিয়া কোমিনিচি প্রথমবারের মতো পারফেক্ট ১০ স্কোর করেন। ১৯৭৭ - ভিয়েতনাম জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। জন্ম: ১৬৩৫ - ইংরেজ বিজ্ঞানী রবার্ট হুক। ১৯০৯ - কবি ও প্রাবন্ধিক বিষ্ণু দে। ১৯১৬ - আমেরিকার বেসবল প্লেয়ার জনি হপ। ১৯১৮ - অফ্রিকার মুক্তি আন্দোলনের নেতা ড. নেলসন ম্যান্ডেলা। ১৯৩৩ - রুশ কবি ইয়েভগেনি ইয়েভতুশেঙ্কো। ১৯৮২ - হিন্দি চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। মৃত্যু: ৭১৫ - সিন্ধু বিজয়ী মুসলিম সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসেম মৃত্যুবরণ করেন। ১৮১৭ - জেন অস্টেন, একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক। ১৯০২ - ইংরেজ ঔপন্যাসিক স্যামুয়েল বাটলারের মৃত্যু।
১৩ জুলাই: ইতিহাসে আজকের এই দিনে
সম্প্রীতির মেলবন্ধনে রথযাত্রা উৎসব
চকলেট প্রেমীদের দিন আজ
৬ জুলাই: ইতিহাসে আজকের এই দিনে
‘দুঃখ-কষ্ট-বঞ্চনার জীবনে এত পরমায়ু সৃষ্টিকর্তা আমাকে কেন দিল?’
‘দুঃখের পরে সুখ আসে আর সুখের পরে দুঃখ’ এই বাক্যটি আমরা সবাই জানি ও বিশ্বাস করি। কিন্তু কখনও কখনও এর ব্যতিক্রমও ঘটে। এমনই একজন ব্যতিক্রম ব্যক্তির নাম অশীতিপর দুঃখী দাসী। ১২৪ বছর বয়সে পৌঁছেও সুখের দেখা পাননি তিনি; জীবনটা ভরা যার শুধু দুঃখ, কষ্ট, শোক আর বঞ্চনায়। খুব ছোটবেলায় দুঃখী দাসীর বাবা-মা মারা যান। মামাবাড়িতে আশ্রয় মেলে দুঃখী দাসী ও তার ভাইয়ের। সেখানেই বেড়ে ওঠা। মামারাই বিয়ে দেন তার। তাফালিয়ায় স্বামীর বাড়িতে সংসারজীবন শুরু করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনী চোখের সামনে গুলি করে মেরে ফেলে স্বামী ও জোয়ান ছেলেদের। তারপর অভাবে পরে ছোট এক খণ্ড জমি বিক্রি করতে গিয়ে তার এক টিপসইয়ে হারান স্বামীর ভিটাসহ সব জমিজমা। তারপর ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে শুরু হয় দুঃখের ও সংগ্রামের নতুন উপাখ্যান। নানাবাড়িতে আশ্রিত থেকে, পরের বাড়িতে ধান ভেনে, মুড়ি ভেজে, শাক তুলে বিক্রি করে বেঁচে থাকার জন্য কঠিন সংগ্রাম করে যান। নিজের ঘর না থাকায় ছেলের বিয়ে দিয়ে নিজের কাছে রাখতে পারেননি। সে দূরে থাকে। নিয়মিত মায়ের কাছে আসতে পারে না। সেজন্য দুঃখী দাসীর মনে ভীষণ কষ্ট। পরে মেয়ে আরতির বিয়ে দেন এবং এরপর মেয়ে তার মাকে তাফালিয়া থেকে ভাদালিয়ায় নিজের সংসারে নিয়ে আসে।   এখন পর্যন্ত শতবর্ষী এই দুঃখী দাসী মেয়ে আরতি ও জামাই লক্ষ্মণের সংসারেই আছেন। মেয়ে জামাই, নাতি-নাতনি, পৌত্র-পৌত্রী সবাইকে অনেক ভালোবাসেন এবং স্নেহ করেন। কিন্তু নিজের একমাত্র ভাই আশুতোষ যে দেশ ছেড়ে চলে গেছে অনেক আগে, দীর্ঘ সময় তার সাথে দেখা হয়নি, এই কষ্ট কাঁদায় তাকে। চোখের সামনে স্বামী সন্তান নিহত হওয়ার স্মৃতি মনে পড়লে তীব্ৰ মানসিক যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে পড়েন। বর্তমানে বিধবা ভাতা ছাড়া অন্য কোনো সুযোগ সুবিধা পান না দুঃখী দাসী, জানিয়েছেন তার মেয়ে আরতি।  ১৯৪৩ সালের মন্বন্তর দেখেছেন, দেখেছেন ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধ।  কালের সাক্ষী এই মানুষটি বর্তমানে বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। দুর্বল হয়ে গেছে শরীর। দু’বছর আগেও লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটাচলা করতেন । যেতেন এ বাড়ি-ও বাড়ি।  কিন্তু এখন আর চলাফেরা করতে পারেন না।  শুয়ে-বসে দিন কাটে তার। দৈনন্দিন কাজ যেমন গোসল, পোশাক পরিধান, বাথরুমে যাওয়া নিজে করতে পারেন না। এগুলো সব করে দেন তার মেয়ে আরতি। স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে। তাই ফেলে আসা দিনগুলোর কথা খুব একটা মনে করতে পারেন না। বয়সজনিত শারীরিক সীমাবদ্ধতা ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য আর কোনো অসুখ নেই তার। স্বাভাবিক সব খাবার খেতে পারেন। তবে চা-রুটি বেশি পছন্দ।  কিন্তু চা খেলে ঘুম হয় না বলে বার বার চা খেতে দেয় না মেয়ে।   বাড়িতে অতিথি গেলে খুব খুশি হন দুঃখী দাসী। হাসিমুখে গল্প করেন। অতিথি আপ্যায়নের জন্য মেয়েকে তাড়া দিতে থাকেন। অতিথি বিদায়ের সময় মাথায় হাত দিয়ে মন ভরে আশীর্বাদ করে দেন । মুক্তিযুদ্ধের সময় দুঃখী দাসীর মেয়ে আরতির বয়স ছিল ৫-৬ বছর। তিনিও সেই সময়ের কথা মনে করতে পারেন। বলেন, যে মুহূর্তে পাক বাহিনী ধান খেতে লুকিয়ে থাকা আমার বাবা-ভাইদের বের করে মেরে ফেলে তখন  আমার মা অজ্ঞান হয়ে যায়। আরতি বলেন, আমার মায়ের বুক ভরা কেবল দুঃখ। আমার মায়ের নাম যেমন দুঃখী তার জীবনটাও তেমনই দুঃখে ভরা। দুঃখী দাসীরা মোট দশ ভাই-বোন ছিলেন। ৯ ভাই এক বোনের মধ্যে এখন বেঁচে আছেন মাত্র এক ভাই ও তিনি। মায়ের জীবনের এই দুঃখ কষ্ট কাঁদায় মেয়েকেও। তাই ক্ষোভ নিয়ে তিরি বলেন, আমার মা মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বামী সন্তান হারিয়েছে। আমি বাবাকে ও ভাইদের হারিয়েছি। কিন্তু তার বিনিময়ে আমার মা কী পেয়েছে? মা-মেয়ে আলাপকালে মা প্রায় বলে, সৃষ্টিকর্তা আমার এত পরমায়ু কেন দিলেন! আমার সব কেড়ে নিয়ে আমাকে এতদিন কেন বাঁচিয়ে রাখলেন?  দুঃখী দাসীর স্বজনরাও বলেন এত কষ্ট করেছেন তিনি, স্বামী সন্তান হারিয়েছেন, বসতভিটা হারিয়েছেন কিন্তু বিনিময়ে আজীবন দুঃখ ছাড়া কী পেলেন! বরং দুঃখী দাসীর পরবর্তী প্রজন্মকেও  ভুগতে হচ্ছে নানান সমস্যায়। সরকারের খাস জমিতে অস্থায়ী আবাস তাদের। পাচ্ছেন না সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন করার সুযোগও।  তাফালিয়া ও ভাদালিয়া এলাকার স্থানীয়রা অবশ্য দুঃখী দাসীকে কালির মা নামেই চেনেন। কালির মা নামের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে দুঃখী দাসীর আসল নাম। যারা কাছে থেকে তাকে দেখেছেন তারা বললেন দুঃখী দাসীর সংগ্রামী জীবনের কথা। স্বামী সন্তান হারানোর কথা। তার ত্যাগের কথা বিবেচনা করে এই প্রবীণ মানুষটির যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া উচিত ছিল, সেগুলো না পাওয়ার কথা। এক জীবনে তিনি যা হারিয়েছেন, সে তুলনায় কিছুই পাননি তিনি। তাই তো জীবনের প্রিয় সম্পদগুলো হারিয়ে, এত এত বঞ্চনার শিকার হয়ে জীবন সায়াহ্নে এসে ১২৪ বছর বয়সী দুঃখী দাসী বিধাতার কাছে জানতে চান, সৃষ্টিকর্তা তাকে এত পরমায়ু কেন দিলেন? এত দুঃখ কষ্ট নিয়ে এত বড় জীবনযাপন করার সার্থকতা কোথায়!
সিএনজি বাইক আনলো বাজাজ, মাইলেজ জানলে অবাক হবেন
বাই-ফুয়েল প্রযুক্তির ব্যবহারে চালকের খরচ কমানো ও পরিবেশের খেয়াল রাখা বিশ্বের প্রথম সিএনজিচালিত মোটরসাইকেল বাজারে আনলো বাজাজ। ভারতের দিল্লির একটি অটো শোতে এই বাইকটি লঞ্চ করা হয়েছে৷ তবে সিএনজির পাশাপাশি এই বাইক পেট্রোলেও চালানো যাবে। আপাতত ভারতের বাজারেই পাওয়া যাবে ১২৫ সিসির এই মোটরসাইকেলটি। নতুন বাইকটির নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রিডম ১২৫। ভালো সাড়া পাওয়া গেলে ভারতের বাজারে সিএনজি চালিত আরও বাইকের মডেল নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। পাশাপাশি এই মোটরবাইক অন্য দেশেও রফতানি করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। জানা গেছে, বাইকটির হ্যান্ডেলেই একটি সুইচ থাকবে যা চাপলেই বাইক পেট্রোল থেকে সিএনজি মোডে চলে যাবে। আবার ওই সুইচটি চাপলেই ফের সিএনজি মোডে চলবে বাইক। বাজাজের এই বাইকে দু লিটারের একটি সিএনজি ট্যাঙ্ক রয়েছে। ফুল ট্যাঙ্ক সিএনজি ভরলে বাইকটি ৩০০ কিলোমিটার যাবে।  সিএনজি চালিত বাইক চালানোর খরচ কিলোমিটার প্রতি মাত্র ১ টাকায় দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি। বাজাজর এমডি রাজীব বাজাজ জানিয়েছেন, বাইকটির আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল এটির সিট অন্যান্য যেকোনও বাইকের থেকে লম্বা। ফলে পরিবার নিয়ে সফরের জন্য আদর্শ এই ফ্রিডম ১২৫৷ রাজীব বাজাজের কথায়, এই বাইকে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বসতে হবে না। তবে বাজাজের নতুন এই বাইকের দাম এখনও জানা যায়নি। যদিও একটি সূত্রের খবর, ফ্রিডম ১২৫-এর দাম শুরু হতে পারে ৯৫ হাজার রুপি থেকে। সিএনজি চালিত বাইকের সুবিধা-অসুবিধা বাজারে অনেকদিনই ব্যাটারি চালিত স্কুটার এবং বেশ কিছু বাইক এসেছে। তবে ব্যাটারি চালিত বাইক অথবা স্কুটির অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হল চার্জ করতে অনেকটা সময় চলে যায়। আর একটি সমস্যা হল ব্যাটারি চালিত স্কুটির বা মোটরবাইকের তুলনায় সিএনজি চালিত এই বাইকের মাইলেজ অনেক বেশি। তবে জ্বালানির খরচের হিসেবের দিক দিয়ে ব্যাটারি চালিত বাইক বা স্কুটিই সস্তা। তাছাড়া, এখনও সিএনজি পাম্পের সংখ্যা কম।
রসগোল্লার চা বানিয়ে মাসে আয় ২ লাখ
জিভে জল আনা ভিন্ন স্বাদের রসগোল্লার চা। খাঁটি গরুর দুধ,  দুধের সর ও ছানার রসগোল্লা দিয়ে বানানো হয় ব্যতিক্রমী এই চা। এতে দেওয়া হয় না বাড়তি কোনো চিনি। ভিন্ন স্বাদের রসগোল্লার চা বানিয়ে রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন চুয়াডাঙ্গার তরিকুল ইসলাম। প্রতিদিন বিক্রি হয় ২০০ কাপ চা। প্রতি কাপ রসগোল্লার চায়ের দাম ৩০ টাকা। এতে প্রতিদিন আয় হয় ৬ হাজার টাকা, যা ১ মাসে দাঁড়ায় প্রায় ২ লাখ টাকায়। চা বিক্রির টাকা দিয়েই চলে তার সংসার। রং চা, দুধ চা, আদা চা, লেবু চা কিংবা মসলা চাসহ হরেক রকমের চায়ের স্বাদ নিয়েছেন অনেকেই। তবে চায়ের স্বাদে একটু ভিন্নতা আনতেই এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।  দুধ ও রসগোল্লায় তৈরি এ চা দেখে যে কারও জিভে জল আসবে। কেন না এর উপকরণ আর বানানোর পদ্ধতি এর স্বাদে দিয়েছে ভিন্নতা।  চা আর রসগোল্লা— বাঙালির পছন্দের দুটি খাবার। আর দুটো স্বাদই এক সঙ্গে পাওয়া যায় এ চায়ে। এরইমধ্যে রসগোল্লা চায়ের খ্যাতি ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। ভিন্ন স্বাদের এ চায়ের স্বাদ নিতে ভিড় করছেন অনেকেই।  তাইতো বিকেল হলেই শুরু হয় চা তৈরির কর্মযজ্ঞ। একটি পাত্রে খাটি গরুর দুধ জাল দেওয়া হয় ঘন ও হলুদ বর্ণ ধারণ করা পর্যন্ত। ঘন দুধের ওপর জমতে থাকে সর। তারপর কাপে দেওয়া হয় আগে থেকে তৈরি ছানার রসগোল্লা। এর সাথে দুধ, সর ও চায়ের লিকার মিশিয়ে তৈরি হয় ভিন্ন স্বাদের রসগোল্লা চা।  ভিন্ন স্বাদের এই রসগোল্লার চা খেতে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় করছেন অনেকেই। শুধু চুয়াডাঙ্গা নয়, কুষ্টিয়া, মেহেরপুরসহ আশপাশের জেলার মানুষ চা খেতে আসছেন এখানে। দীর্ঘ ২ বছর ধরে চা তৈরি করে আসছেন তারিকুল ইসলাম। প্রথমে ভিন্ন স্বাদের রসগোল্লার চা তৈরি করে আশপাশের দোকানিদের খাওয়ান তারিকুল। পরে সেই চা আকৃষ্ট করে ক্রেতাদের। প্রথমদিকে ছোট্ট পরিসরে শুরু করলেও সময়ের ব্যবধানে বেড়েছে তার কাজের পরিধি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে এ চায়ের খ্যাতি। আর তা দেখে চায়ের স্বাদ নিতে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে আসছেন অন্যরা। বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই, যেখানকার মানুষ চা পছন্দ করেন না। তবে স্বাদের ভিন্নতার কারণে ক্রেতাদের মুখে নিজের তৈরি চায়ের সুনাম শুনে প্রশান্তি পান তারিকুল ইসলাম।  
শশী বলতেই দৌড়ে আসে হরিণ, খায় চা-বিস্কুট ভাত নুডুলস 
মানুষের মতোই খায় ভাত, নুডুলস, সেমাই, মুড়ি-চানাচুর, চা-বিস্কুটসহ নানা খাবার। প্রায় সাড়ে ৫ মাস বয়সী হরিণ শাবকের নাম শশী।  নাম ধরে ডাকলেই শশী ছুটে যাচ্ছে সবার কাছে।  মানুষের ভালোবাসায় বড় হয়ে উঠছে সাবকটি।  শাবকটির মা-বাবা এখন বন বিভাগের বোটম্যান নূরউল্ল্যাহ।  গত ৩০ জানুয়ারি সকালের দিকে তজুমদ্দিন উপজেলার হানু দালাল বাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় খাবারের সন্ধানে ছুটে আসে একটি মা হরিণ সঙ্গে জন্ম দে এ শাবক।  ওইদিনই দুপুরের দিকে স্থানীয়দের আনাগোনার শব্দ শুনে শাবকটিকে রেখে পালিয়ে যায় মা হরিণ। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি জানান বন বিভাগকে।  এরপর হরিণটিকে লালনপালন করার দায়িত্ব দেওয়া হয় বন বিভাগের বোটম্যান নূরউল্ল্যাহকে।  পরম যত্নে হরিণটিকে লালনপালনের সাথে তার নাম দেন শশী। প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত হরিণ শাবকটিকে দৈনিক দেড় লিটার করে গরুর দুধ খাওয়ানো হয়।  পরে আস্তে আস্তে  ভাতের মাড় ও ঘাস খাওয়ানো হয়।  বর্তমানে হরিণটি ঘাসের পাশাপাশি ভাত, নুডুলস, সেমাই, মুড়ি-চানাচুর, চাসহ বিভিন্ন ধরনের মানুষের খাবার খায়। চাকরি জীবনের মাত্র ৬ মাসের মধ্যে শশীকে পেয়ে নূরউল্ল্যাহ যেন তার পরিবার থেকে দূরে থাকার কষ্টটা ভুলে গেছেন।  তবে মায়ায় কষ্ট হলেও নিয়ম অনুযায়ী হরিণ শাবকটিকে বনে অবমুক্ত করতে হবে বলে মনে করেন নুরউল্লাহ ।  
ভূতের গলি-পরীবাগসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানের নামকরণের রহস্য
ভূতের গলির মানে কি গলি ভরা ভূতের সমারোহ, পরীবাগ মানে কি বাগান ভরা পরী? স্বামীবাগে কি শুধু স্বামীরাই থাকেন? আরামবাগের মানুষ কি সারাদিনই আরাম করেন? এলিফেন্ট রোড কি শুধু হাতিদের জন্য?  রাজধানী ঢাকা কারো কাছে ভালোবাসার শহর, কারো কাছে মায়ার শহর আবার কারো কারো কাছে জাদুর শহর। এ শহরের বিভিন্ন জায়গার রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নাম। শুনতে মজার হলেও এসব নামের পেছনে রয়েছে এক একটি ইতিহাস। আসুন জেনে নেই রাজধানীর অতি পরিচিত বেশ কয়েকটি স্থানের নামকরণের নেপথ্য— ভূতের গলি এ এলাকায় Mr. boot নামে একজন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন, তার নাম থেকে বুটের গলি, পরবর্তীতে বুট থেকে প্রচলিত হয়ে যায় ভুতের গলি নামে।   গেন্ডারিয়া  ইংরেজি শব্দ Grand Area থেকে এসেছে।  এ এলাকায় অভিজাত ধনী ব্যক্তিরা থাকতেন বলে এর নাম ছিল Grand Area।  কিন্তু লোকমুখে ইংরেজি শব্দ গ্র্যান্ড এরিয়া হয়ে যায় গেন্ডারিয়া। মহাখালী এ এলাকায় মহাকালী নামের একটি মন্দির ছিল।  সেই মহাকালি থেকে জায়গার নাম হয়ে যায় মহাখালী। গোপীবাগ এ এলাকায় গোপীনাগ নামক এক ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন।  নিজ খরচে তৈরি করেন ‘গোপীনাথ জিউর মন্দির’। এর পাশেই ছিল হাজারো ফুলের বাগান।  আর সর্বোপরি বাগান আর গোপীনাগ থেকে জায়গার নাম হয়ে যায় ‘গোপীবাগ’   পুরানা পল্টন, নয়া পল্টন: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ঢাকাস্থ সেনানিবাসে এক প্ল্যাটুন সেনাবাহিনী ছিল, তবে বাঙালীর বাংলা বলতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই প্ল্যাটুন থেকে নাম হয়ে যায় পল্টন। পরবর্তীতে আগাখানিরা এই পল্টনকে দুইভাগে ভাগ করেন, নয়া পল্টন ছিল আবাসিক এলাকা আর পুরানো পল্টন ছিল বাণিজ্যিক এলাকা। পিলখানা, হাতিরঝিল, এলিফ্যান্ট রোড ও হাতিরপুল  ইংরেজ শাসনামলে প্রচুর হাতি পালা হতো বলে জায়গার নাম হয় পিলখানা।  হাতিগুলো যেখানে গোসল করানো হত তার নাম হয় হাতিরঝিল।  আর পিলখানা হতে ঝিলে যাওয়ার জন্য হাতিরা যে রাস্তা দিয়ে ব্যবহার করত তার নামকরণ করা হয় এলিফ্যান্ট রোড।  আর এর মাঝে ছোট্ট একটি কাঠের পুল ছিল, যার নামকরণ হলো হাতিরপুল।  স্বামীবাগ এ এলাকায় ত্রিপুরালিঙ্গ স্বামী নামে এক ধনী ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী এক ব্যক্তি ছিলেন।  এলাকায় স্বামীজি নামেও পরিচিত ছিলেন তিনি।  তার নামানুসারে এলাকার নাম হয় স্বামীবাগ। পরীবাগ পরীবানু নামে নবাব আহসানউল্লাহর এক মেয়ে ছিল।  ধারণা করা হয় পরীবানুর নামে একটি বড় বাগান করা হয়।  পরবর্তীতে তার নাম ও বাগানুসারে এর নামকরণ হয় পরীবাগ।  ধানমন্ডি এককালে এ এলাকায় বড় একটি হাট বসতো।  হাটটি ধান ও অন্যান্য শস্য বিক্রির জন্য বিখ্যাত ছিল।  আর তা থেকে এর নাম হয়ে যায় ধানমন্ডি।  কাকরাইল ঊনিশ শতকের শেষ দশকে ঢাকার কমিশনার ছিলেন মি. ককরেল।  নতুন শহর তৈরি করে নামকরণ হলো "কাকরাইল"। আরামবাগ এখানে প্রচুর ফল ও অন্যান্য গাছের বাগান ছিল।  মানুষ সেসব গাছের ছায়ায় আরাম করার পাশাপাশি ফল পেড়ে খেতো।  আর সর্বোপরি বাগান সমৃদ্ধ এলাকার নাম হয়ে যায় আরামবাগ।       
বাজারে বাজাজের নতুন পালসার এন১৬০, অজানা ফিচার জানুন
সম্প্রতি পালসারের সেরা বাইকগুলোর অন্যতম এন১৬০ মডেলের একটি আপডেটেড ভার্সন লঞ্চ করেছে বাজাজ। স্পোর্টি লুকের এই ভার্সনে কোম্পানিটি বেশ কিছু নতুন ফিচার্স যোগ করেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মোটরসাইকেলটির খুঁটিনাটি। এন১৬০ বাইকটির স্টাইলিশ ট্রেন্ডি লুক এবং দুরন্ত ফিচার্স এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। ২০২৪ বাজাজ পালসার এন১৬০ মডেলের দাম ভারতে ১ লাখ ৪০ হাজার রুপি নির্ধারণ করেছে বাজাজ অটো।  এতে পাবেন এলইডি প্রোজেক্টর হেডল্যাম্প, শার্প ট্যাংক এক্সটেনশন ইত্যাদি। সেই সঙ্গে রয়েছে আপসাইড ডাউন ফর্ক সাসপেনশন, বাইকে পিছনে রয়েছে মনোশক সাসপেনশন। ফিচারের ক্ষেত্রে রয়েছে ডিজিটাল কনসোল এবং ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি। এন১৬০ বাইকটিতে পাবেন কল ও এসএমএস অ্যালার্ট, টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন এবং রাইডিং মোড। এতে রয়েছে অফ-রোড ফিচারও। অ্যাডভান্স ব্রেকিংয়ের জন্য পাবেন ডুয়াল চ্যানেল এবিএস (অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম)। দুই চাকাতেই রয়েছে ডিস্ক ব্রেক (সামনে ২৮০ মিলিমিটার ও পেছনে ২৩০ মিলিমিটার)।  বাইকটি ১৬৪.৮২ সিসি অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির, রয়েছে ৫ স্পিড গিয়ারবক্স, যা সর্বোচ্চ ১৫.৬৮ হর্সপাওয়ার এবং ১৪.৬৫ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। মোট ১৪ লিটার ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটির বাইকটির কার্ব ওয়েট ১৫২ কেজি। প্রতি লিটারে ৫১ কিলোমিটার মাইলেজ দেবে এন১৬০ মডেলের একটি আপডেটেড ভার্সনটি।   পালসার ১২৫, পালসার এনএস১২৫, পালসার এন১৫০, পালসার এন১৬০, পালসার এনএস২০০ ইত্যাদি পালসার সিরিজের মোটরসাইকেল রয়েছে বাজাজের। সম্প্রতি এনএস৪০০ জেড লঞ্চ করেছে বাজাজ, যা এই সিরিজের সবচেয়ে বড় বাইক।  
যে কারণে বছরের সবচেয়ে ছোট রাত আজ
আজ শুক্রবার (২১ জুন) পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে বছরের সবচেয়ে বড় দিন এবং ছোট রাত। তবে দক্ষিণ গোলার্ধে কিন্তু আজ সবচেয়ে ছোট দিন ও বড় রাত। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, আজ দিন থাকবে ১৩ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট।। আজ সূর্যোদয় হয়েছে ৫টা ১২ মিনিটে আর সূর্যাস্ত যাবে ৬টা ৪৮ মিনিটে। অর্থাৎ দিন হবে ১০ ঘণ্টা। তবে নিশ্চয়ই অনেকের মনে প্রশ্ন আসছে দিন বা রাত ছোট বড় হয় কীভাবে। আর কিভাবেই বা আজকের দিনটি উত্তর গোলার্ধে বড় এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ছোট হয়। ঋতু পরিবর্তনের পাশাপাশি দিন ও রাতের সময়কালও বদলে যায়। বছরের ৩৬৫ দিন কখনো সমান থাকে না। কখনো দিন ছোট হয় এবং রাত বড় হয়, আবার কখনো দিন বড় হয় এবং রাত ছোট হয়। ঠিক এমনভাবেই, বছরে এমন একটি দিন আসে, যাকে সবচেয়ে বড় দিন এবং রাত সবচেয়ে ছোট হিসেবে ধরা হয়। আজ ২১ জুন বছরের সবচেয়ে বড় দিন। সৌরজগতের নিয়ম অনুযায়ী, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরার সময় একদিকে একটু হেলে থাকে। ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছে আসে, কখনো দক্ষিণ গোলার্ধ। এই দিনে সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে। তাই ২১ জুন বছরের দীর্ঘতম দিন। এই ঘটনাটিকে ‘সামার সলসটিস’ বলা হয়। সলসটিস একটি ল্যাটিন শব্দ। মানে সূর্য এবং সিস্টেরার মানে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা। ২১ জুন উত্তর গোলার্ধ সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি আসে। সূর্যকে ২১ জুন মধ্যগগনে, প্রায় মাথার উপরে দেখা যায়। ২০ থেকে ২৩ জুনের মধ্যে ‘সামার সলসটিস’ হয়ে থাকে। আজকের দিনটি কর্কট ক্রান্তি দিবস হিসেবে পরিচিত। এটি উত্তর গোলার্ধের সবচেয়ে বড় দিন। এদিনে সূর্য সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কিরণ দেবে পৃথিবীর এ অংশে। কর্কট ক্রান্তি রেখা আর মকর ক্রান্তি রেখা দুটির মধ্যে কর্কট ক্রান্তি রেখা দিন কতটা বড় হবে তা নির্ধারণ করে থাকে। আজকে দিনে সূর্য কিরণ থাকবে ১৩ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট ৮ সেকেন্ড। ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্য আবার অবস্থান নেয় বিষুব বৃত্তের বিন্দুতে, যেখানে ক্রান্তি বৃত্ত ও বিষুব বৃত্ত পরস্পরকে ছেদ করেছে। একে বলা হয় জলবিষুব বিন্দুতে। এই দিন পুনরায় পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত সমান হয়ে থাকে। এর পর থেকেই আবার উত্তর গোলার্ধে ক্রমশ রাত বড় হতে হতে সূর্য পৌঁছে যায় ক্রান্তি বৃত্তের দক্ষিণ অয়নায়ন বিন্দুতে। এভাবে ২১ ডিসেম্বর তারিখে উত্তর গোলার্ধে হয় দীর্ঘতম রজনী আর ক্ষুদ্রতম দিবস। এ সময় সূর্য মকর বৃত্তে অবস্থান করে থাকে। উত্তর গোলার্ধে সূর্য সোমবার বেশি সময় ধরে কিরণ দেওয়ার কারণে দক্ষিণ গোলার্ধে কিন্তু স্বভাবতই দিন হবে সবচেয়ে ছোট। উত্তর গোলার্ধে সোমবার দুপুর ১২টায় সূর্য থাকবে ঠিক কর্কট ক্রান্তি রেখার উপরে।