• ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
logo
জানা গেল রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির চার ধরনের বাইকের দাম
আসছে ১২৫ সিসির নতুন পালসার, থাকবে এবিএস
বাজারে নতুন মডেলের বাইক এনেছে মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাজাজ। তাদের পালসার লাইন আপে যুক্ত হচ্ছে নতুন ১২৫ সিসির এই বাইক। বাইকটিতে এবিএস পাবেন পালসার ভক্তরা। এটি বাজারে আসার কথা রয়েছে শিগগিরই। বর্তমানে বাজারে জনপ্রিয় দুটি বাইক হিরো এক্সট্রিম ১২৫ আর এবং টিভিএস রেইডার ১২৫ সঙ্গে টক্কর নিতেই নতুন মডেলটি আনছে বাজাজ। দুই ভ্যারিয়েন্ট এবং ছয়টি কালার অপশনে আসবে এই বাইক।  কমিউটার সেগমেন্টের বাইক ক্রেতাদের খুশি করতেই বাজাজের এই উদ্যোগ। জেনে নেওয়া যাক মোটরসাইকেলটি সম্পর্কে খুঁটিনাটি। যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি শহুরে রাস্তায় চলতে পারদর্শী এই প্রিমিয়াম কমিউটার বাইক পালসার এন-১২৫। স্পোর্টি এবং তারুণ্যে ভরা স্টাইলসহ হাজির হবে মডেলটি। এতে রয়েছে পেশীবহুল ফুয়েল ট্যাঙ্ক এক্সটেনশন, স্প্লিট সিট এবং দুটি গ্র্যাব রেইল ও একটি এলইডি হেড ল্যাম্প। বাইকটিতে সিঙ্গেল সিলিন্ডার মোটরকে সঙ্গ দিতে রয়েছে ৫-ধাপ গিয়ারবক্স। ইঞ্জিন অনেক রিফাইন করা থাকবে। বাইকটির সামনে ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হলেও পেছনে রয়েছে ড্রাম ব্রেক। আবার রিয়ার ডিস্ক ব্রেক অপশনেও বেছে নেওয়া যাবে বাইকটি। এর সঙ্গে থাকছে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস। পালসার এন-১২৫ বাইকটিতে স্মার্টফোন কানেক্টিভিটিসহ একটি ডিজিটাল কনসোল দেওয়া হয়েছে। এই বাইকের দাম হতে পারে ১ লাখ ৪২ হাজারের কাছাকাছি। আরটিভি/টিআই
২১ অক্টোবর: ইতিহাসের আজকের এই দিনে
রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির বাইকে যেসব ফিচার পাবেন
মোটরসাইকেলে গাড়ির গিয়ার, ক্লাচ ছাড়াই বদলাবে গিয়ার
নতুন বন্ধু পাতানোর দিন আজ
ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ ১৯ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি: ১৩৮৬ -  জার্মানির সবচেয়ে প্রাচীন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৩৮৬ -  ওসমানীয় বাহিনী বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়া দখল করে। ১৭৮১ -  যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ সেনা প্রধান লর্ড কর্ণওয়ালিস মার্কিন সেনা প্রধান জর্জ ওয়াশিংটনের কাছে আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসান ঘটে। ১৮১২ -  প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার কারণে নেপোলিয়ন মস্কো ত্যাগে বাধ্য হন। ১৮৮৮ -  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ -  কামাল পাশার নেতৃত্বে আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তুর্কি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪২ -  চলচ্চিত্রবিষয়ক প্রথম মাসিক পত্রিকা ‘চিত্রপঞ্জি’ প্রকাশিত হয়। ১৯৪৪ -  ফিলিপাইনে মার্কিন সেনাদের সাথে জাপানী সৈন্যদের সংঘর্ষ শুরু হয়। ১৯৫০ -  জাতিসংঘ বাহিনী উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং দখল করে। ১৯৫১ -  ব্রিটেন সুয়েজ খান অঞ্চল অধিকার করে। ১৯৫৪ -  একদল অস্ট্রেলীয় অভিযাত্রী কর্তৃক পৃথিবীর ষষ্ঠ উচ্চতম পর্বত চো ওইয়ু বিজয়। ১৯৬২ -  ভারত-চীন সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়। ১৯৬৫ -  চীন-নেপাল আনুষ্ঠানিক প্রত্যক্ষডাক-ব্যবস্থা চালু হয় । ১৯৭২ -  বাংলাদেশ ইউনেস্কোর সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৭৩ -  স্পেনে বন্যায় ২শ’ লোকের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৭৬ -  ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আলী হাসান সালামাহ্ ইহুদীবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মুসাদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে লেবাননে শাহাদাত বরণ করেন। ১৯৭৭ -  দক্ষিণ আফ্রিকার ১৮ টি বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা। ১৯৮৩ -  বামপন্থী সামরিক অভ্যুত্থানে গ্রেনেডার প্রধানমন্ত্রী মবিশ নিহত। ১৯৮৬ -  দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্তে বিমান দুর্ঘটনায় মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট সামোর মাশেল ৩০ জন সহযাত্রীসহ নিহত হন। ১৯৮৮ -  ভারতে পৃথক বিমান দুর্ঘটনায় ১৬৪ জন নিহত। ১৯৯১ -  বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের অবসান হয়। ১৯৯৩ -  পিপলস পার্টির নেত্রী বেনজীর ভুট্টো দ্বিতীয় বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়। ১৯৯৬ -  প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সোনারগাঁয়ে শিল্পচার্য জয়নুল জাদুঘর উদ্বোধন। ১৯৯৬ -  পেইচিংয়ে চীনের প্রথম হট এয়ারশীপ ‘চীন ১ নম্বর’ সাফল্যের সঙ্গে আকাশে উড়ে । জন্ম: ১৬০৫ -  ইংরেজ সাহিত্যিক স্যার টমাস ব্রাউন । ১৮৯৭ -  পাকিস্তানি শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী অধ্যাপক সেলিমুজ্জামান সিদ্দিকী । ১৮৯৯ -  গুয়াতেমালার নোবেলজয়ী (১৯৬৭) কথাশিল্পী মিগুয়েল আনজেল আন্তুরিয়াস । ১৯০৩ -  কথাসাহিত্যিক অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্ত । ১৯১০ -  ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর । ১৯২৪ -  রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্র জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৮ -  বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী । মৃত্যু: ১৭৪৫ -  ইংরেজ সাহিত্যিক জোনাথন সুইফট । ১৯৩৬ -  মহান চীনা সাহিত্যিক লু স্যুন । ১৯৩৭ -  নিউজিল্যান্ডীয় নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড । ১৯৭৪ -  কবি ফররুখ আহমদ । ১৯৮৭ -  লোকগীতি সংগ্রাহক ও সম্পাদক মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন ইন্তেকাল করেন। ১৯৯৫ -  শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম । ২০০৩ -  বসনিয়ার বিশিষ্ট লেখক ও রাজনীতিবিদ আলী ইজ্জাত বেগুভিচ পরলোকগমন করেন। ২০০৪ -  কানাডীয় টুরিং পুরস্কার বিজয়ী কম্পিউটার বিজ্ঞানী কেনেথ আইভার্সন । ২০১৪ -  বাংলাদেশের ইতিহাসবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক সালাহ্উদ্দীন আহমদ । আরটিভি/এফএ
রহস্যেঘেরা ফেরাউন কুফুর সৌরনৌকা
বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য মিশরের দ্য গ্রেট পিরামিডে রয়েছে ছোট বড় ছয়টি পিড়ামিড। তার মাঝে সবচেয়ে বড় পিড়ামিডের নাম কুফুর পিড়ামিড। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিক কামাল আল-মালাখ খুফুর পিরামিডের দক্ষিণ পাসে খননকার্য পরিচালনা করে আবিষ্কার করেন ৪২ মিটার লম্বা একটি নৌকা।  খুফুর পিরামিডে প্রাপ্ত এই নৌকাটি বিশ্বের প্রাচীনতম ‘সৌরনৌকা’ বা ‘সোলার বোট’ (Solar Boat)। আর এই নৌকার সংগে জরিয়ে রয়েছে আশ্চর্য এক রহস্য। প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করতেন, মানুষের মৃত্যুর পরেও একটি পৃথক জীবন রয়েছে। মৃত্যু পরবর্তী বিচারের পর সেই পরলৌকিক জগতে মানুষ আশ্রয় পায় সূর্যদেবতা ‘রা’-এর কাছে। সূর্যদেবতার কাছে খুফুকে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই, এই বিশেষ নৌকাটিও সমাধিস্থ করা হয়েছিল তাঁর দেহের সঙ্গে। সেই কারণেই ‘সৌরনৌকা’ হিসাবে পরিচিত এই জাহাজ। শুধু খুফুই নয়, একাধিক মিশরীয় ফ্যারাও-এর সমাধিতেই এই একই ধরনের নৌকার হদিশ পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তাহলে এই নৌকার বিশেষত্ব কী? আর তা নিয়ে রহস্যই বা কেন? আসলে, গিজার গ্রেট পিরামিডের নিচে যে গোপন কক্ষে সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল এই নৌকার, সেটি সম্পূর্ণভাবে এই পিরামিডের নিচে অবস্থিত নয়। বরং, তা পিরামিডের একপাশে অবস্থিত। খুফুর পিরামিডের মধ্যে দিয়ে সরু সুড়ঙ্গের মাধ্যমে সংযুক্ত এই কক্ষটি। একদল গবেষকের অনুমান, আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে এই কক্ষটির উপরেও দাঁড়িয়ে ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি পিরামিড। যা সময়ের সঙ্গে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গেছে কিংবা তা ধ্বংস করেছিলেন খোদ খুফুই। এখানেই শেষ নয়। সাধারণত, ফ্যারাওদের সমাধিতে যে-সকল ‘সৌরনৌকা’ সমাধিস্থ করা হত, সেগুলি বিশেষভাবে তৈরি করা হত ফ্যারাও-এর মৃত্যুর পর। অর্থাৎ, প্রায় নতুন অবস্থাতেই পিরামিডের মধ্যে বন্দি করা হত সেগুলিকে। অথচ, খুফুর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। সমাধিস্থ করার আগে এই নৌকা রীতিমতো ব্যবহৃত হয়েছে, তার স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা। লেবানিজ সিডার উডে তৈরি এই নৌকায় ছাপ রয়েছে গেছে জলের। এবং সেই ছাপও একাধিক স্তরের। পাশাপাশি এই নৌকার গঠনও বেশ আশ্চর্যকর। নৌকাটির ভার একদিকে বেশি। ডেকের ওপরেও রয়েছে একাধিক আচড়ের দাগ। প্রশ্ন ওঠে, কেন এমন অসম ভারের নৌকা তৈরি করা হয়েছিল খুফুর জন্য? এই অসম নৌকা ব্যবহৃত হত কীভাবে? আর ডেকের দাগ গুলিই বা কীসের? গবেষকদের একাংশের মতে, এই নৌকা করেই খুফুর মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছিল পিরামিডে। আবার অনেকের বিশ্বাস, এই পিরামিড তৈরির পাথর নিয়ে আসার জন্যই ব্যবহৃত হত এই নৌকা। সেই কারণেই জলের দাগ। এমনকি পাথরের ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখতেই একদিকে নৌকার ভার বেশি রেখেছিলেন কারিগররা। অবশ্য কোনো তত্ত্বের পিছনেই যুক্তিযুক্ত কোনো প্রমাণই দিতে পারেননি গবেষকরা। আজও অনুসন্ধান চলছে এই রহস্যের।  সারে চার হাজার  বছরের প্রাচীন এই সৌর নৌকাটি গত বছর  পিরামিডের পাশ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মিশরের নতুন যাদুঘর ' দ্য গ্র্যান্ড মিউজিয়ামে'।
দেশের বাজারে আসছে ৩৫০ সিসির রয়্যাল এনফিল্ড, দাম জেনে নিন
অনুমোদনের দীর্ঘ এক বছর পর দেশের বাজারে আসছে ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেল। আগামী ২১ অক্টোবর বাংলাদেশে লঞ্চ হবে ৩৫০ সিসির ‘রয়্যাল এনফিল্ড’ বাইক। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলের স্থানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইফাদ মোটরস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ইফাদ মোটরস জানিয়েছে, রয়্যাল এনফিল্ড উৎপাদনের জন্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় একটি সর্বাধুনিক উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যা বিশ্বমানের মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে সক্ষম। আগামী ২১ অক্টোবর বাংলাদেশে লঞ্চ হবে রয়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির বাইক। তবে বাইকটির দাম গ্রাহকদের জন্য সারপ্রাইজ রেখেছে তারা। তবে সূত্রে জানা গেছে, রয়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির বাইকটি দাম হতে পারে সাড়ে ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকার মধ্যে।   এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সড়কে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালানোর অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফলে দেশের বাজারে উচ্চ সিসির বাইক প্রবেশের সুযোগ পায়। আরটিভি/এসএপি/এআর
১৭ অক্টোবর: ইতিহাসের আজকের এই দিনে
ঘটে যাওয়া আজকের এই দিনের ঘটনা, অনেক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু আমরা জানতে চাই। পাঠকের এ চাওয়া মাথায় রেখে নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা। ঘটনাবলি: ১৮৪৬ - সাপ্তাহিক ‘দর্পণ’ প্রকাশিত হয়। ১৮৪৮ - সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ‘সাপ্তাহিক অরুণোদয়’ প্রকাশিত হয়। ১৯০৩ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান। ১৯০৫ - বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি। ১৯১৪ - গ্রিস ও এশিয়া মাইনরে প্রচন্ড ভূমিকম্পে ৩ হাজারেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৩৬ - ইরান-তুরস্ক শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়। ১৯৪০ - মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়। ১৯৬২ - গণবিরোধী হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলায় ছাত্র আন্দোলন ও হরতাল পালিত হয়। ১৯৬৩ - জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে জেনিভা নিরস্ত্রিকরণ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্র আর সোভিয়েত ইউনিয়নসহ ১৭টি দেশের উত্থাপিত একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এই প্রস্তাবে সকল দেশের উদ্দেশ্যে পরমাণু অস্ত্র অথবা অন্য যে কোনো গণ বিধ্বংসী অস্ত্র পৃথিবীর কক্ষপথে মোতায়েন না করার আহ্বান জানানো হয়। ১৯৮০ - ইরানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শহীদ মোহাম্মাদ আলী রাজাই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে দেয়া ভাষণে তার দেশের ওপর ইরাকের ব্যর্থ সরকারের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা দেন। ১৯৮৮ - সিউলে ১৬০টি দেশের অংশগ্রহণে ২৪তম অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধন হয়। ১৯৮৯ - যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোনির্য়া উত্তরাঞ্চলে প্রচন্ড ভূমিকম্প হয়। অনেক সড়ক আর সেতু এই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় । এই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২৭১ জনের মৃত্যু হয়। তা ছাড়া, দুর্গত এলাকায় কমপক্ষে ৫০০ জন আহত। ১৯৯৪ - চীনের শিনচিয়াংএর চিওহো প্রাচীন নগরে চীনের হ্যান রাজবংশের সমাধি সংগ্রহশালা আবিষ্কার করা হয়।১৯২০ - প্রবাসে [তাসখন্দে] ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়। জন্ম: ১৫৭৭ - ক্রিস্টফানো আলরি, তিনি ছিলেন ইতালীয় চিত্রশিল্পী। ১৮১৭ - স্যার সৈয়দ আহমদ খান বাহাদুর, তিনি ছিলেন ভারতের একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ যিনি ভারতের মুসলিমদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেন। ১৯০০ - জাঁ আর্থার, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা। ১৯১৫ - আর্থার মিলার, তিনি ছিলেন মার্কিন নাট্যকার, প্রবন্ধকার ও লেখক। ১৯২০ - মিগুয়েল ডেলিবেস, তিনি ছিলেন স্প্যানিশ সাংবাদিক ও লেখক। ১৯৩৩ - উইলিয়াম অ্যান্ডার্স, তিনি হংকং বংশোদ্ভূত আমেরিকান জেনারেল ও মহাকাশচারী। ১৯৩৭ - পাক্সটন হোয়াইটহেড, তিনি ইংরেজ অভিনেতা। ১৯৫৫ - জর্জ আলগস্কউফিস, তিনি গ্রিক অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ। ১৯৬৫ - অরবিন্দ ডি সিলভা, তিনি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার। ১৯৭০ - অনিল কুম্বলে, তিনি ভারতীয় ক্রিকেটার। ১৯৮০ - মোহাম্মদ হাফিজ, তিনি পাকিস্তানি ক্রিকেটার। মৃত্যু: ১৫৮৬ - ফিলিপ সিডনি, তিনি ছিলেন ইংরেজ সভাসদ ও কবি। ১৮৩৭ - জহান নেপমুক হুমেল, তিনি ছিলেন অস্ট্রিয়ান পিয়ানোবাদক ও সুরকার। ১৮৪৯ - ফ্রেদেরিক ফ্রান্সিস শোপাঁ, তিনি ছিলেন পোলিশ পিয়ানোবাদক ও সুরকার। ১৮৮৯ - রুশ সাহিত্যিক নিকোলাই চেরনিশেভস্কি মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৯০ - লালন, বাউল সম্রাট। তিনি একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক, দার্শনিক, অসংখ্য অসাধারণ গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। ১৯৩৪ - নোবেলজয়ী [১৯০৬] স্পেনীয় জীববিজ্ঞানী শান্তিয়াগো রামন হাই কাজাল মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৩৮ - কার্ল কাউটস্কয়, চেক বংশোদ্ভূত জার্মান সাংবাদিক, দার্শনিক ও তাত্ত্বিক। ১৯৬৩ - জাক আদামার, তিনি ছিলেন ফরাসি গণিতবিদ। ১৯৬৯ - চীনের ছিং রাজবংশের শেষ রাজা ফুই চিকিৎসার ব্যর্থতায় মারা যান। ১৯৮৩ - ফ্রান্সের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী রেমন্ড এ্যারন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৮৭ - আবদুল মালেক উকিল, তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশ আইনজীবি ও রাজনীতিবিদ। ১৯৯১ - টেনেসি এরনিএ ফোর্ড, তিনি ছিলেন আমেরিকান গায়ক ও অভিনেতা। ১৯৯৩ - সাংবাদিক এস এম আলী মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৮ - হাকিম সাইদ, তিনি ছিলেন পাকিস্তানি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ। ২০১২ - হেনরি ফ্রিডলাডের, তিনি ছিলেন জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান ইতিহাসবিদ ও লেখক। ২০১২ - আলেক্সান্দ্র কশক্যন, তিনি ছিলেন রাশিয়ান মুষ্টিযোদ্ধা। আরটিভি/এএএ   
১৪ অক্টোবর: ইতিহাসের আজকের এই দিনে
ঘটে যাওয়া আজকের এই দিনের ঘটনা, অনেক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু আমরা জানতে চাই। পাঠকের এ চাওয়া মাথায় রেখে নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪। ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা। ঘটনাবলি: ১৮০৬ - ফ্রান্স ও রাশিয়ার মধ্যে ইয়েনার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৮৮২ - পাকিস্তানের লাহোরে ভারতীয় উপমহাদেশের চতুর্থ পুরনো সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (পাকিস্তানে প্রথম) পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৬ - অ্যালেন আলেকজান্ডার মিলনি রচিত জনপ্রিয় শিশুতোষ বই উইননি-দি-পু প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৩৩ - জার্মানি লিগ অব ন্যাশনস ত্যাগ করে। ১৯৪৪ - জার্মানীর নাৎসি বাহিনীর বিখ্যাত সেনাকমান্ডার এরউইন রোমেল হিটলারের আদেশে আত্মহত্যা করে। ১৯৪৬ - লন্ডনে বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রতিনিধিরা বিশ্বব্যাপী পণ্যসেবার মান বজায় রাখতে মান নির্ধারক সংস্থা গঠনের বিষয়ে একমত হন। সংস্থাটি পরের বছর কার্যক্রম শুরু করে এবং সে হিসাবে ১৪ অক্টোবর বিশ্ব মান দিবস পালিত হয়। ১৯৫৩ - জর্দান নদীর পশ্চিম উপকূলীয় কাবিহ গ্রামে সশস্ত্র ইহুদিবাদীরা নির্যাতনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এই গ্রামে ইহুদিবাদীরা টানা দুই দিন আগ্রাসী হামলার মাধ্যমে নিরীহ ফিলিস্তিনীদের ওপর নির্বিচার গণহত্যা চালায় এবং তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে। ১৯৫৫ - পূর্ববাংলার নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান রাখা হয়। ১৯৫৬ - ড. ভিমরাও আম্বেদকর বিপুলসংখ্যক অনুসারীসহ সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৯৬৪ - তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব নিকিতা ক্রুশচেভ বহিস্কৃত হন। ১৯৭১ - মার্কিন নভোযান মেরিনার-৯ প্রথম খুব কাছে থেকে নেওয়া মঙ্গলের ছবি পৃথিবীতে পাঠায়। ১৯৮৬ - আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয়। ১৯৯৩ - হাইতির বিরুদ্ধে পুনর্বার যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ১৯৯৭ - বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স স্মিথ কো-জেনারেল (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মধ্যে বেসরকারি খাতে বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপনের চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত। জন্ম : ১৫৪২ - মুঘল সম্রাট জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর। ১৬৪৪ - পেনসিলভানিয়ার প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম পেন। ১৭৭২ - বাউল কবি লালন শাহ। ১৮৪০ - বস্তুবাদী রুশ দার্শনিক ও সাহিত্য সমালোচক দমিত্রি পিসারিয়েভ। ১৮৮২ - আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতা ডি ভ্যালেরা। ১৮৮৮ - ইংরেজ লেখক ক্যাথারিন ম্যাসফিল্ড। ১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪তম প্রেসিডেন্ট আইজেন হাওয়ার। ১৮৯৪ - মার্কিন কবি ই ই কামিংস। ১৯২৭ - জেমসবন্ডখ্যাত অভিনেতা রজার মুর। ১৯৭১ - ইংরেজ ফুটবলার অ্যান্ডি কোল। ১৯৯১ - বাংলাদেশী মডেল এবং অভিনেত্রী, মিস বাংলাদেশ শিরোপাধারী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। মৃত্যু : ১৫১৪ - পণ্ডিত কবি এবং সম্রাট আকবরের সভাশিক্ষক ফয়েজি। ১৯৮৪ - রবীন্দ্রবিশারদ পুলিনবিহারী সেন। ১৯৮৩ - বাঙালি নাট্যকার ও অভিনেতা অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৮৯ - বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী শৈল চক্রবর্তী। ১৯৯৯ - তাঞ্জানিয়ার জাতির জনক জুলিয়াস নায়ার। দিবস : আজ বিশ্ব মান দিবস। আরটিভি/একে
হেমন্ত ঋতু: প্রকৃতির শীতল আলিঙ্গন
আজ পহেলা কার্তিক, হেমন্তের শুরু। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ—এই দুই মাস নিয়ে চিরায়ত হেমন্তকাল। কৃত্তিকা ও আর্দ্রা এ দুটি তারার নাম অনুসারে নাম রাখা হয়েছে কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসের। কার্তিকের পর আসে সর্বজনীন লৌকিক উৎসব নবান্ন। ‘অগ্র’ ও ‘হায়ণ’ এ দুটি অংশের অর্থ যথাক্রমে ‘ধান’ ও ‘কাটার মৌসুম’। সম্রাট আকবর অগ্রহায়ণ মাসকেই বছরের প্রথম মাস বা খাজনা তোলার মাস ঘোষণা করেছিলেন। এ সময় ধান কাটা হয়। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে ধীর পায়ে প্রকৃতিতে আসে হেমন্ত। বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে হেমন্ত একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। শরৎ ঋতুর কাশফুলের শুভ্রতা আর বর্ষার পরিপূর্ণতা পেরিয়ে যখন প্রকৃতি শীতের আলিঙ্গনে ধীরে ধীরে শীতল হতে থাকে, তখনই আসে হেমন্ত। হেমন্ত ঋতু বাংলার গ্রাম্যজীবন এবং কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। প্রকৃতি, ফসল, সংস্কৃতি—সবকিছুতেই হেমন্ত তার নিজস্ব প্রভাব ছড়িয়ে দেয়। হেমন্তে দিনের বেলা রোদের মিষ্টি আভা আর রাতের শীতল হাওয়া প্রকৃতির এক বিশেষ সৌন্দর্য এনে দেয়। চারপাশে সাদা মেঘের ভেলা, খোলা আকাশ আর শিশির ভেজা ঘাসের ওপর ভোরের আলো—সব মিলিয়ে হেমন্তের একটি নির্মল, স্বচ্ছ রূপ ধরা পড়ে। এই ঋতুতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার রূপ দেখা যায়। শীতের পূর্বাভাস নিয়ে আসা এই ঋতুর হাওয়ায় এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব হয়। বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে হেমন্তের একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই সময়ে কৃষকেরা আমন ধান কাটার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ধানের শীষগুলো সোনালি রং ধারণ করে, যা মাঠে এক অপূর্ব দৃশ্য তৈরি করে। হেমন্তের ফসল কাটা মানে বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল। এই সময়েই নবান্ন উৎসব পালিত হয়, যেখানে নতুন ধানের চাল দিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন খাবার। নবান্ন বাঙালি জীবনের এক ঐতিহ্যবাহী উৎসব, যা হেমন্ত ঋতুর সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। হেমন্ত ঋতুতে আবহাওয়া ধীরে ধীরে শীতল হতে শুরু করে। সকালে ঘাসে শিশিরের বিন্দু দেখা যায়, যা শীতের আগমনের সূচনা করে। গাছের পাতা ঝরে যেতে শুরু করে এবং প্রকৃতির মাঝে একধরনের নীরবতা নেমে আসে। পাখিদের কাকলিও কিছুটা কমে আসে। নদীর জল আরও শান্ত হয়ে ওঠে, আর গ্রাম্যজীবনে শুরু হয় শীতের প্রস্তুতি। বাংলা সাহিত্যে হেমন্ত ঋতু অত্যন্ত প্রিয় একটি বিষয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামসহ অনেক বিখ্যাত কবি তাদের লেখায় হেমন্তের রূপ, ফসলের সোনালি আভা এবং শীতলতার কথা তুলে ধরেছেন। হেমন্তের সৌন্দর্য, ধানের শীষের দোলা, এবং শীতের আগমনের অনুভূতি সাহিত্যিকদের মনের গভীরে দাগ কেটেছে। বাঙালি সংস্কৃতিতে হেমন্ত ঋতু তাই শুধু প্রকৃতির পরিবর্তন নয়, এটি আবেগ, আনন্দ এবং শৈল্পিকতারও এক প্রতীক। বাংলার বর্ষা ঋতু যদি হয় রবীন্দ্রনাথের, হেমন্ত তবে জীবনানন্দ দাশের। তাই তো তার কাছেই ফেরা যাক, ‘শুয়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে/ অলস গেঁয়োর মতো এইখানে কার্তিকের ক্ষেতে;/ মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার—চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ,/তাহার আস্বাদ পেয়ে অবসাদে পেকে ওঠে ধান।’ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হেমন্তে বিভিন্ন ধরনের উৎসব পালিত হয়। নবান্ন তো আছেই, এর সঙ্গে নতুন ধান ঘরে তোলার পর ধান মাড়াই এবং মিষ্টান্ন তৈরি করে পাড়া-প্রতিবেশীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলি খাওয়ার সময়ও এটি। গ্রামীণ এলাকায় হেমন্তের এই উৎসবগুলো মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন ও সাম্প্রদায়িক মিলনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। হেমন্ত ঋতু প্রকৃতির সঙ্গে বাঙালির এক অটুট সম্পর্কের প্রতীক। শীতের আগমনের আগে হেমন্ত একদিকে নিয়ে আসে ফসলের স্বর্ণালী সমৃদ্ধি, অন্যদিকে প্রকৃতির রূপান্তরের এক মৃদু আভাস দেয়। শান্ত, সুন্দর এবং প্রেরণাদায়ক এই ঋতু বাংলার প্রকৃতি ও সংস্কৃতিতে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে রয়ে গেছে।
আজ মোটরসাইকেল চালানোর দিন
দুই চাকার যান মোটরসাইকেল যা এই সময়ের জনপ্রিয় যানবাহন। যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে বাহনটি কমবেশি সবার কাছেই প্রিয়। বিশেষ করে ঢাকায় যারা থাকেন, নিত্যদিনের যানজটে মোটরসাইকেল কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়। মোটরসাইকেল কেউ শখে ব্যবহার করেন, কেউবা জীবনযাপনের প্রয়োজনে। আপনি কি জানেন, শখের এই বাহনটিরও একটি দিবস রয়েছে। কি শুনতে অবাক লাগছে। তাহলে জেনে নিন অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শনিবার, সে হিসাবে আজ ১২ অক্টোবর, মোটরসাইকেল চালানোর দিবস। দিবসটি ২০১৫ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়ে আসছে। ডানলপ মোটরসাইকেল কোম্পানির পণ্য ব্যবস্থাপক চ্যাড গিয়ার এই দিবসের উদ্যোক্তা। এখানে বলে রাখা ভালো, ১৮৮৭ সালের অক্টোবরে জন বয়েড ডানলপ উদ্ভাবন করেন বায়ু ভরা টায়ার, যা মোটরসাইকেল জগতে নিয়ে আসে যুগান্তকারী পরিবর্তন। আজকের এই দিনে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো রাস্তায় বের হওয়া, তারপর স্বাধীনভাবে মোটরসাইকেল চালানো। মাথায় অবশ্যই হেলমেট পরে নিবেন। আর পকেটে রাখবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরসাইকেলের নিবন্ধন সনদসহ যাবতীয় কাগজ। সারা বিশ্বে মোটরসাইকেল দিবস উদযাপন করা হয় নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে। বিশেষ করে আমাদের দেশে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালন করা উচিত। আরটিভি/এফআই