• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
শিশু শিকার করা হেনরি এখন পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ! 
১৫০০ বছরের মৃতদের নগরী! যেখানে রয়েছে ৬০ লাখ কবর 
ওপর থেকে দেখলে মনে হতে পারে এটা কোনো জনবহুল নগরী। অসংখ্য ইটের স্থাপনা যেন জড়িয়ে আছে পরস্পরের সঙ্গে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এটা নগরী, এখানে আছে অগণিত ঘর তবে তা মৃতদের। এখানে দৃষ্টি যতদূর যায়, ততদূর পর্যন্ত দেখা যায় শুধু মৃতের সমুদ্র। ধারণা করা হয়, এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ কবরস্থান ওয়াদি আস সালাম।  ইরাকের নাজাফ শহরে অবস্থিত এ গোরস্তান প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো। এখানে শুয়ে আছেন লক্ষাধিক মানুষ, যার মধ্যে রয়েছেন রাজা, ইমাম, বিজ্ঞানী, বণিকসহ বহু প্রভাবশালী মানুষ। ইরাকের নাজাফ নামক শহরটি হচ্ছে দেশটির বৃহত্তম শহরগুলোর মধ্যে একটি। এর আয়তন প্রায় ২৯,০০০ বর্গ কিলোমিটার। আর জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। কিন্তু এটি শুধুমাত্র জীবিত মানুষের সংখ্যা। শহরটির উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত কবরস্থানে শায়িত আছে অর্ধ কোটিরও অধিক মানুষ! কিন্তু কেন এত মানুষ এখানে কবরস্থ হতে চেয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ফিরে যেতে হবে বহু বছর আগে।  ওয়াদি আস সালামে শুয়ে আছেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা, আলি (রা.)।  শিয়া মুসলিমদের কাছে আলির (রা.) কবর বিশেষ পবিত্র স্থান। তারা বিশ্বাস করেন, হযরত আলি (রা) এর মাজারের পাশেই এই কবরস্থানটি একটি বেহেশতের খন্ড, যেখানে মুমিনদের রূহ জান্নাত লাভ করে। এ কারণে বহু মানুষ জীবনের শেষ ঠিকানা হিসেবে নাজাফকে বেছে নেন। এছাড়া হযরত হুদ (আ) এবং হযরত সালেহ (আ) এর কবরও এখারে রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। ইতিহাস বলে, সাসানীয় এবং পার্থিয়ান যুগ থেকেই নাজাফ কবরের জন্য জনপ্রিয় স্থান। শিয়াদের বিশ্বাস, সে সময় এই অঞ্চলে নিয়মিত ভূমিকম্প হতো। কিন্তু হযরত ইবরাহীম (আ) যতদিন এখানে অবস্থান করেছিলেন, ততদিন পর্যন্ত কোনো ভূমিকম্প হয়নি। পরবর্তীতে এক রাতে ইবরাহীম (আ) পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে গেলে সেদিনই নাজাফে ভূমিকম্প হয়। তখন এলাকাবাসী তাকে অনুরোধ করলে তিনি তা রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেখানে নিজের নামে এক টুকরো জমি ক্রয় করেন। সেই জমির টুকরোটিই বর্তমানে ওয়াদি আস্-সালাম কবরস্থান। শিয়াদের মধ্যে প্রচলিত ধারণা, হযরত ইবরাহীম (আ বলেছিলেন, এই স্থানটি পুনরুত্থানের জায়গা হবে, যেখানে ৭০ হাজার মানুষ বিনা হিসেবে বেহেশত লাভ করবে। ওয়াদি আস-সালাম কবরস্থানের কবরগুলো পোড়ামাটির ইটের তৈরি, বিভিন্ন আকার এবং আকৃতির। অনেক কবরের ওপর পবিত্র কুরআনের আয়াত খোদাই করা থাকে। এখানে কিছু পারিবারিক সমাধি কক্ষও আছে, যেগুলোতে অনেক মৃতদেহ শায়িত করা যায়। সমাধি কক্ষগুলোতে প্রবেশের জন্য মই ব্যবহার করতে হয়। ২০০৩ সালে ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী ইরাক আক্রমণের সময়, ইরাকি গেরিলারা এই কবরস্থানটি যুদ্ধের কৌশলগত কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতো। সরু গলির কারণে মার্কিন বাহিনী সহজে প্রবেশ করতে পারত না, ফলে গেরিলারা আক্রমণ চালিয়ে আত্মগোপন করত। পরবর্তীতে, মার্কিন সমর্থিত ইরাকি বাহিনীর হামলায় কবরস্থানের কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশেষ করে আইএস বিরোধী যুদ্ধে নিহত শিয়া মিলিশিয়াদের কবর দেওয়ার কারণে কবরস্থানের আয়তন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। নাজাফের এ গোরস্তানে বছরে প্রায় এক লাখ মরদেহ দাফন করা হয়। প্রতিদিন গড়ে ১৫০-২০০ জনকে এখানে সমাহিত করা হয়।  মূলত ইরাক, ইরান, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং অন্যান্য দেশ থেকে মানুষ এখানে কবর দিতে আসে। তবে মরদেহ নাজাফে নিয়ে যাওয়ার এ প্রথা ১৩ শতক থেকেই শুরু হয়েছে। তখন মরদেহ পরিবহনের সঙ্গে একটি বিশাল ব্যবসাও গড়ে উঠেছিল। এ নিয়ে ফতোয়া পর্যন্ত জারি করতে হয়েছিল, যাতে মরদেহ পরিবহনে শৃঙ্খলা বজায় থাকে। এখানে কিছু কবরের আকার বেশ বড়। শিয়া সম্প্রদায়ের একটি বিশেষ রীতি হলো কবরের গভীরতা নির্দিষ্ট রাখা এবং মরদেহকে মক্কার দিকে মুখ করে রাখা।  ওয়াদি আস সালামের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো, এটি শুধু মৃতদের জন্য নয়, জীবিতদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ স্থান। শিয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষ এখানে আসে মর্সিয়া পাঠ এবং ধর্মীয় আচার পালনের জন্য। প্রতি শুক্রবার এবং রমজানের শেষ দশ দিনে এখানে ভিড় জমে যায়। বিশেষ করে লাইলাতুল কদর-এর রাতে গোরস্তানে মানুষের ঢল নামে, যারা তাদের প্রিয়জনদের কবরে জিয়ারত করতে আসে। তাই বলা হয়, এই গোরস্থান শুধু একটি স্থানই নয়; এটি মধ্যপ্রাচ্যের নানা সংঘাত, যুদ্ধ এবং ইতিহাসের সাক্ষী। আরটিভি/এফআই
ভাইরাল হতেই হাঁস নিয়ে খাবার ডেলিভারি
৪ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকার এক বিরল গোলাপ
৫২ বছর পরও বন্ধুত্বের বন্ধনে ৭০ ছুঁই ছুঁই চার নারী
চলন্ত ট্রেনের ওপর সাইকেল চালিয়ে তরুণের বিশ্ব রেকর্ড
যে দেশে যার যত বড় ভুঁড়ি, তার তত সম্মান!
আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, সুন্দর বলতে আপনি কী বোঝেন? উত্তর হয়তো ভিন্ন ভিন্ন আসবে। কেউ বলবে, সৌজন্যতা আর আন্তরিকতা। আবার কেউ বলবে, বাহ্যিক চেহারার মাধুর্যই প্রকৃত সুন্দর। তবে এমন এক জাতি আছে যাদের কাছে সুন্দর মানে একটাই। আর তা হলো বিশাল এক ভুঁড়ি! যার যতবড় ভুঁড়ি, তিনি ততবেশি সুন্দর, তত বেশি সম্মানের। আর যার ভুঁড়ি নেই, তিনি সুন্দরের ধারে-কাছেও নেই।  মোটা মানুষরা যেখানে দম আটকে, বালিশচাপা কিংবা বেল্ট দিয়ে ভুঁড়ি লুকানোর চেষ্টা করেন, সেখানে দক্ষিণ ইথিওপিয়ার বোদি উপজাতির কাছে এই বিশাল সাইজের ভুঁড়িই সৌন্দর্যের মাপকাঠি। জানলে আরও অবাক হবেন, এই বিশাল বিশাল ভুঁড়ির সৌন্দর্যের এক বিশেষ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেখানে ভুঁড়ি দেখিয়ে জয় করা যায় নায়কের তকমা। আর জিতলে পুরস্কার কী? কোনো কাজ করা ছাড়া আজীবন পায়ের ওপর পা তুলে খাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ।  তবে এমন ভুঁড়ি বানানোর জন্য তারা কী খান? গামলা ভর্তি ভাত! একেবারেই না। এরা এমন ভুঁড়ি বানাতে যা খান শুনলে হয়তো গা গুলিয়ে আসবে। ইথিওপিয়ার বোদি উপজাতির জীবনে গরু শুধু জীবিকা নয়, বরং তাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। আর এই প্রতিযোগিতায় বড় ভুঁড়ি বানানোর জন্য তারা গরুর রক্ত এবং দুধের মিশ্রণ পান করেন। তবে রক্তের জন্য তারা গরুকে জবাই করেন না। বরং বর্শা দিয়ে শিরা থেকে রক্ত সংগ্রহ করেন এবং পরে সেই ক্ষতস্থান কাদামাটি দিয়ে বন্ধ করে দেন। কী ভয়ানক! তাদের নববর্ষের সময় কায়েল নামে এক উৎসবের আয়োজন করা হয়। ছয় মাস আগে থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য কিছু তরুণকে বাছাই করা হয়। বাছাই করা তরুণরা তখন একটি আলাদা জীবানাচার পালন করেন। প্রতিদিন নিয়মিত তাদের বিশেষ খাবার ও পানীয় সরবরাহ করা হয়, যাতে দ্রুত ভুঁড়ি বাড়তে পারে। উৎসবের দিন প্রতিযোগীরা তাদের নাদুসনুদুস শরীর নিয়ে প্যারেড করেন। গ্রামের মানুষজন তাদের দেখে সবচেয়ে বড় ভুঁড়িওয়ালাকে ভোট দেন। বিজয়ী শুধু পুরস্কার পান না, নায়কের মতো সম্মান পান ও বিনাশ্রমে আহার। আরটিভি/এফআই/এআর
নিঃসন্তান মায়েরা পদদলিত হলেই মিলবে নাকি সন্তান! 
কোথাও যাচ্ছেন, হঠাৎ সামনে দেখলেন অনেকগুলো নারী রাস্তায় শুয়ে আছেন এবং তাদের পিঠ পাড়িয়ে পদদলিত করছেন একজন পুরুষ। এমন চিত্র দেখে যে কারও মনে আসবে প্রশ্ন! যে এমনটা কেন? উত্তর শুনলে আপনি হতভম্ব হতে বাধ্য। মূলত সন্তান লাভের আশায় পদদলিত হচ্ছেন এই নারীরা।  সন্তান সৃষ্টিকর্তার এক অনন্য নেয়ামত। যা অনেকেই দুর্ভাগ্যক্রমে পায় না। তখন মানুষ দ্বারস্থ হয় ডাক্তার, কবিরাজ, মানত, মাজার, পূজা আরও কত কি। তবে এই গ্রামে সন্তান লাভ হয় যেন এক অন্য উপায়ে। পুরোহিতের পায়ের নিচে পড়লেই বুঝি মিলবে সন্তান। এমনটাই বিশ্বাস ভারতের ছত্তিশগড়ের ধামতারি অঞ্চলের মানুষের। ৫০০ বছরের পুরোনো এই রীতি শুরু হয়েছিল দেবী অঙ্গারমতীর মন্দিরে, যা রায়পুর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রতি বছর দিওয়ালির পরের প্রথম শুক্রবারে হাজার হাজার মানুষ এখানে সমবেত হন এই মেলায় অংশগ্রহণ করতে।  এখানে ঘটে এমন এক অদ্ভুত ঘটনা যা শুনলে আপনার মনে হতে পারে যেন কোনো প্রাচীন কাল্পনিক গল্পের অংশ। মন্দিরে সন্তান লাভের আশায় সন্তানহীন নারীরা পেটের ওপর শুয়ে পড়েন। আর তাদের পিঠের ওপর দিয়ে হেঁটে যান পুরোহিত এবং ওঝারা, যারা মন্ত্র পড়তে পড়তে পতাকা হাতে ধরে এগিয়ে যান। এতে তাদের বিশ্বাস, পুরোহিতের আশীর্বাদ তাদের সন্তান লাভের সুযোগ এনে দেবে। প্রতিবছর এ অঞ্চলের মেলা উপলক্ষে প্রায় ৫০০ এর বেশি সন্তানহীন নারী এই রীতিতে অংশ নেন। তারা বিশ্বাস করেন, পুরোহিতের পায়ে স্পর্শ তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এই প্রথাকে ঘিরে আশপাশের হাজার হাজার দর্শক ভিড় করে, যারা মন্ত্র উচ্চারণ এবং অন্যান্য আচার অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। যদিও আধুনিক কালের বেশিরভাগ মানুষ এমন আচার অনুষ্ঠানের ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, সেখানে অংশগ্রহণকারী এবং স্থানীয়দের মধ্যে কেউই কোনো ধরনের আপত্তি জানায় না। বরং, স্থানীয় সমাজের কাছে এটি এক বড়ো উৎসব হিসেবে পালিত হয়। তবে এর স্বাস্থ্যগত দিক নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে। শারীরিকভাবে এ ধরনের আচরণ নারীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিশ্বাস এবং সমাজের চাপের কারণে এই প্রথা আজও চালু আছে। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে এই আচার অনুষ্ঠান বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। আরটিভি/এফআই/এআর
সোনায় মোড়ানো বিশ্বের সবচেয়ে দামি বার্গার!
এক টুকরো বার্গার, যার দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা! শুধু স্বাদে নয়, সীমা ছাড়িয়ে গেছে বিলাসিতারও। যেখানে বার্গারের প্রতিটি কামড়ে মিশে আছে সোনার ছোঁয়া। ভাবছেন সেটা আবার কিভাবে? এই বার্গারের রুটি তৈরি করা হয়েছে ডম পেরিনিয়ন শ্যাম্পেইন দিয়ে, এবং এটি মোড়ানো হয়েছে ২৪ ক্যারাট খাঁটি ভোজ্য সোনায়। বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল এবং দামি খাবারের উপাদান ট্রাফলসের সবুবাসহ এতে রয়েছে ১৭০টি ভিন্ন ভিন্ন উপাদান। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি বার্গার হওয়ার দৌড়ে রয়েছে এটি। আর এর কারিগর ডাচ শেফ রববেট জ্যান ডি ভিন, যিনি বিশ্বরেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে রয়েছেন। তিনি এমনই এক বার্গার তৈরি করেছেন যাতে রয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে দুর্লভ উপাদানগুলোর অনন্য স্বাদ।  কিন্তু কিভাবে শুরু হলো তার এমন বিলাসবহুল বার্গার বানানোর চিন্তা? ডি ভিনের রেস্তোরাঁ "ডে ডালটন" আমস্টারডামের কাছে ভর্থুইজেন শহরে অবস্থিত। কোভিড-১৯ মহামারির সময়, যখন নেদারল্যান্ডসের রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ ছিল, তখন তিনি গিনেস বুক অফ রেকর্ডসের পুরানো তথ্য ঘেঁটে সিদ্ধান্ত নেন নতুন একটি রেকর্ড গড়ার। এর আগের রেকর্ডটি ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন ভিত্তিক একটি রেস্তোরাঁর, যাদের বার্গারের দাম ছিল ৪,২১০ ইউরো। ডি ভিনের বার্গার সেই রেকর্ড ভেঙে ৫,০০০ ইউরোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাই বলে একটি বার্গারের দাম ৫ লাখ টাকা ? কি রয়েছে এতে? কারিগর বলছেন এই বার্গারে রয়েছে ১৭০টি ভিন্ন ভিন্ন উপাদান। প্রধান বিলাসবহুল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে সাদা ট্রাফলস, ইবেরিয়ান সেরানো হ্যাম, বেলুগা ক্যাভিয়ার, কিং ক্র্যাবের মাংস, স্মোকড ডাক এগ মেয়ো, ডম পেরিনিয়ন শ্যাম্পেইনে ভেজানো পেঁয়াজের রিং, ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ ও ট্রাফলস দিয়ে তৈরি ইংলিশ চেডার চিজ। বার্গারের প্যাটির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে জাপানি ওয়াগ্যু এ৫ মাংস, যা স্বাদ ও নরম হওয়ার জন্য বিখ্যাত। প্যাটি তৈরি হয়েছে চাক, শর্ট রিব এবং ব্রিসকেট মাংস দিয়ে, যা এটিকে আরও বিশেষ করে।  বার্গারের বারবিকিউ সসে রয়েছে ম্যাকালান হুইস্কি, বালসামিক সিডার ভিনেগার, আর কোপি লুওয়াক কফি—যা বিশেষভাবে এক ধরনের বিড়ালের মল থেকে সংগ্রহ করা হয়।  এই অত্যন্ত বিলাসবহুল বার্গার পরিবেশন করা হয় কালো প্লেটে, যা একটি চেম্বারে রাখা হয়, যাতে এর ওপর সিঙ্গেল মাল্ট হুইস্কির ধোঁয়া থাকে। ফলে পরিবেশনার মুহূর্তটি আরও আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে। তবে এত বিলাসিতার মধ্যে শেফ ডি ভিনের একটি মহৎ উদ্দেশ্যও রয়েছে। এই বার্গার বিক্রি থেকে অর্জিত অর্থ তিনি স্থানীয় ফুডব্যাংকের মতো দাতব্য সংস্থায় দান করবেন, যা মানুষকে সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আরটিভি/এফআই
৯ ডিসেম্বর: ইতিহাসে আজকের এই দিনে
ঘটে যাওয়া আজকের এই দিনের ঘটনা, অনেক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু আমরা জানতে চাই। পাঠকের এ চাওয়া মাথায় রেখে নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪। ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা। ঘটনাবলি : ১৭৫৮ - ভারতের মাদ্রাজকে নিয়ে উপনিবেশবাদী বৃটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে ১৮ মাসের যুদ্ধ শুরু হয়। ১৭৯৩ - নিউ ইয়র্ক শহড়ের প্রথম সংবাদপত্র ‘আমেরিকান মিনার্ভা’ নোয়াহ ওয়েবস্টার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮৩ - ভবতারিণী (মৃণালিনী) দেবীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিয়ে হয়। ১৯০৫ - ফ্রান্সে রাষ্ট্র থেকে গীর্জা পৃথকীকরণ আইন পাশ হয়। ১৯১৭ - ফিনল্যান্ড স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯১৭ - প্রথম মহাযুদ্ধে তুরস্কের ওসমানীয় সরকারের সেনারা ফিলিস্তিনে ইংরেজ সেনাদের কাছে পরাজিত হয়। ১৯১৭ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফিল্ড মার্শাল এডমুন্ড অ্যালেনবি জেরুজালেম দখল করেন। ১৯২৪ - কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। ১৯৪১ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চীন প্রজাতন্ত্র, ফিলিপাইন কমনওয়েলথ, কিউবা, গুয়াতেমালা, ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্র জার্মানী ও ইতালীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ষোষণা করে। ১৯৬১ - ট্যাঙ্গানিকা বৃটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬৪ সালে ট্যাঙ্গানিকার সাথে যোগ দেয় জাঞ্জিবার দ্বীপ, তখন এটি নাম নেয় ইউনাইটেড রিপাবলিক অব ট্যাঙ্গানিকা ও জাঞ্জিবার। একই বছর নাম পাল্টে রাখে ইউনাইটেড রিপাবলিক অব তান্জানিয়া। ১৯৭১ - সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতিসংঘে যোগ দেয়। ১৯৮৭ - অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিলিস্তিনী জনগণের ইন্তিফাদা গণ-জাগরণ শুরু হয়। ১৯৯১ - ইউরোপীয় কমিউনিটি ১৯৯৯ সালের মধ্যে অভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অভিন্ন মুদ্রা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯৬ - ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন ব্যাপী বিশ্ব সংস্থার প্রথম মন্ত্রী সম্মেলন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭ - ১১ তারিখ পর্যন্ত ইসলামী সম্মেলন সংস্থার অষ্টম শীর্ষ সম্মেলন ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭ - চীনের গণ মুক্তি ফৌজের উপ-প্রধান ( ডেপুটি চিফ অব দি জেনারেল স্টাফ) লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল সিয়োং কুয়াং খাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে চীন-মার্কিন দুদেশের প্রতিরক্ষা দফতরের পরামর্শ করেন। জন্ম : ১৪৮৪ - দৃষ্টিহীন হিন্দি কবি সরুদাস। ১৬০৮ - বিশ্বখ্যাত ইংরেজ কবি জন মিল্টন। ১৭৪২ - সুইডেনের বিখ্যাত রসায়নবিদ কার্ল উইলহেম শিল। ১৮৬৫ - ফরাসি গণিতবিদ জাক হাদামার্দ। ১৮৮০ - উনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। ১৯২০ - ইতালীয় রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী কার্লো আজেলিও চিয়াম্পি। ১৯৩৮ - বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার মীর শওকত আলী। ১৯৪১ - খ্যাতনামা ইংরেজ ফুটবলার জিওফ্রে চার্লস হার্স্ট। ১৭৪৮ - ফরাসী রসায়নবিদ ক্লাউড লুই বার্থোলে। ১৯৭৮ - আর্জেন্টিনার পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় গাস্তন গাউদিও। ১৯৮১ - ভারতীয় মডেল এবং অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। মৃত্যু : ১৯১৬ - জাপানি ঔপন্যাসিক সোসেকি নাৎসুম। ১৯৩২ - উনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। ১৯৪১ - রাশিয়ান লেখক ও দার্শনিক দিমিত্রি মেরজোকোভস্কি। ১৯৪২ - উত্তর চীনের জাপানী আক্রমন বিরোধী ঘাঁটিতে আন্তর্জাতিক যোদ্ধা কোটনিস। ১৯৫৫ - জার্মান গণিতবিদ হেরমান ভাইল। দিবস : আজ রোকয়া দিবস আরটিভি/একে
মৃত মানুষকে জীবিত করতে যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা!
তাহলে কি সত্যিই দাজ্জালের আবির্ভাব হয়ে গেছে ! সত্যিই কি সেই সময় চলে এসেছে যখন মৃত মানুষকে জীবিত করে দেখাবে দাজ্জাল! সহিহ মুসলিমের বলা আছে, দাজ্জাল মৃত ব্যক্তিদের জীবিত করতে পারবে এবং তাকে অলৌকিক ক্ষমতা দেওয়া হবে। যা হবে কেয়ামতের সবচেয়ে বড় আলামতগুলোর একটি। কয়েক বছর আগেও এমন কিছু শোনা ছিল অসম্ভব! মৃতদেহ জীবিত করার কথা ভাবলেই মনে হয় গল্পের বইয়ের কল্পনা। কিন্তু আজকের বাস্তবতা ভিন্ন। বিজ্ঞানীরা এমন এক অগ্রগতির দিকে এগোচ্ছে, যা আমাদের চিন্তা-ভাবনাকে পাল্টে দিতে পারে। আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী এমন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন, যা দিয়ে তারা দাবি করছেন মৃত দেহকে পুনরায় জীবিত করা সম্ভব হতে পারে! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, বাস্তবেই এমন কিছু গবেষণা চলছে। ক্রায়োনিক্স (Cryonics) নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য। এই প্রক্রিয়ায় মৃতদেহ বা মস্তিষ্ককে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে প্রযুক্তির উন্নতি হলে সেই দেহকে জীবিত করা সম্ভব হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় অবস্থিত Alcor Life Extension Foundation ও মিশিগানের Cryonics Institute এরা এই পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল। এরমধ্যে Alcor Foundation প্রতিষ্ঠিত ১৯৭২ সালে, আর Cryonics Institute গড়ে ওঠে ১৯৭৬ সালে। এরা শতাধিক মৃতদেহ এবং মস্তিষ্ককে সংরক্ষণ করছে, সেসব দেহের ভবিষ্যতের পুনরুজ্জীবনের আশায়। এই গবেষণা প্রচেষ্টা যতই এগিয়ে চলেছে, ততই প্রশ্ন উঠছে—এটা কি আদৌ সম্ভব? এই গবেষণা প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য হচ্ছে একদিন এমন প্রযুক্তি তৈরি করা, যা দেহের সমস্ত কোষকে পুনরায় কার্যক্ষম করতে পারবে। কিন্তু এখানে এক বড় প্রশ্ন থেকেই যায় এই গবেষণা কতটা সফল হবে? বিজ্ঞানীরা যতই দাবি করুন না কেন, অনেকেই মনে করেন, এটি দাজ্জালের প্রতারণার ফাঁদ হতে পারে। সহিহ মুসলিমের হাদিসে উল্লেখ রয়েছে যে, দাজ্জাল মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করবে এবং বিভ্রান্তিকর কৌশল ব্যবহার করে তাদের আকৃষ্ট করবে। তার মধ্যে একটি বড় পরীক্ষা হবে মৃত মানুষকে জীবিত করার মতো অলৌকিক ক্ষমতা দেখানো। এমন ক্ষমতা যে শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে, ইসলামি বিশ্বাসে তা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। তাই কোনও ধরনের অস্বাভাবিক ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করাই শ্রেয়। ইসলামের দৃষ্টিতে কেবলমাত্র মহান আল্লাহই জীবনের স্রষ্টা এবং মৃত্যুর পর পুনর্জীবন দানের ক্ষমতাধারী। আল্লাহ তার রাসূলদের মধ্যে কিছু বিশেষ মুজিজা প্রদর্শনের ক্ষমতা দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ঈসা (আঃ) আল্লাহর আদেশে মৃত মানুষকে জীবিত করতে পারতেন। কিন্তু তা ছিল আল্লাহরই এক বিশেষ অনুগ্রহ। কোরআনে সূরা আলে ইমরান আয়াত ৪৯ এবং সূরা মায়িদা  আয়াত নং ১১০এ এই মুজিজার বর্ণনা পাওয়া যায়।
যে কাঁকড়ার রক্ত বাঁচিয়েছে লাখো মানুষের প্রাণ!
একটি কাঁকড়া!  যার এক লিটার রক্তের দাম প্রায় ১৫ লাখ টাকা। একটি দুটি নয়, এর শরীরে রয়েছে ১০টি চোখ। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। এর  রক্ত লালের বিপরীতে নীল হয়। শুধু তাই নয়, করোনা মহামারির বিশ্বজুড়ে যেখানে সবার নজর ছিল কীভাবে দ্রুত একটি নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করা যায়। সেখানে সমুদ্রের এই ছোট্ট প্রাণি মানুষের জীবন বাঁচানোর লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু ভাবছেন তা আবার কিভাবে? আর এই কাঁকড়ার রক্তে এমন কী আছে, যা এত মূল্যবান?  সাধারণ মানুষের কাছে এটি পরিচিত না হলেও চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর জনপ্রিয়তা ব্যপক।  বিশেষ এই কাঁকড়ার নাম হর্সশু ক্র্যাব। মানুষের রক্তে অক্সিজেন পরিবহনের জন্য লোহা-ভিত্তিক প্রোটিন হিমোগ্লোবিন ব্যবহৃত হয়, যা রক্তকে লাল রঙ দেয়। অন্যদিকে, হর্সশু ক্র্যাবের রক্তে অক্সিজেন পরিবহনে তামা-ভিত্তিক প্রোটিন হেমোসায়ানিন ব্যবহৃত হয়, যা রক্তকে নীল রঙ প্রদান করে।  যার এক লিটারের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে গুনতে হবে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার।  হর্সশু ক্র্যাবের রক্তে আছে লিমুলাস অ্যামেবোসাইট লাইসেট নামক এক বিশেষ উপাদান যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করতে পারে। করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হলেও, সেটি মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার আগে নিশ্চিত হতে হয় যে এতে কোনো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নেই। আর তখন ভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়েছে এর রক্ত। এছাড়া অন্যান্য অনেক ওষুধের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষায় এই রক্তের ব্যবহার হচ্ছে।  যার ফলে এই কাঁকড়ার রক্ত অত্যন্ত  দামি।  হর্সশু ক্র্যাবকে "জীবন্ত জীবাশ্ম" বলা হয় কারণ এটি পৃথিবীতে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন বছর ধরে টিকে আছে, অর্থাৎ ডাইনোসরদেরও আগে থেকে!  এদের মাথায় দুটি বড় চোখ ছাড়াও, শরীরের বিভিন্ন অংশে ছোট ছোট চোখ রয়েছে  যা বিভিন্ন দিক থেকে আলোর উপস্থিতি শনাক্ত করতে সাহায্য করে। হর্সশু ক্র্যাবের স্ত্রী প্রজাতি পুরুষ প্রজাতির তুলনায় বড় আকারের হয়। প্রজনন মৌসুমে এরা তীরে এসে প্রায় এক লক্ষ ডিম পাড়ে। মূলত আমেরিকা ও এশিয়ার কিছু উপকূলবর্তী অঞ্চলে পাওয়া এই কাঁকড়ার রক্তের চাহিদা ব্যাপক।  তবে বাণিজ্যিকভাবে রক্ত সংগ্রহ ও পরিবেশগত কারণে এদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই  এর নির্ভরতা কমাতে বিকল্প রাসায়নিক প্রস্তুতের চেষ্টা চলছে। 
বরফের পর এবার চুলের বারবিকিউ খেতে ভিড়
দেখতে অনেকটা মানুষের একগুচ্ছ চুলের মতো ঘন কালো এই চুলকে তেল-মশলা মাখিয়ে আগুনে পুড়িয়ে বানানো হচ্ছে বারবিকিউ। শুধু তাই নয় এটি স্যুপে মিশিয়ে খাওয়া হয় নুডলসের মতো। এছাড়া ফ্রাই করে বা সবজির সাথেও খাওয়া হয়। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও যা দেখছেন তা কল্পনা নয়, সত্যি। চীনের স্ট্রিট ফুডের তালিকায় বরফের বারবি কিউর পর এবার দেখা মিললো অদ্ভুত চুলের বারবিকিউ, যার নাম দেওয়া হয়েছে গ্রিল্ড হেয়ার। চীনের চেংডু শহরে নতুন এই খাবারের ট্রেন্ডে যোগ দিয়েছেন ভোজনপ্রেমিরা। এর মজাদার গন্ধ আর অদ্ভুত চেহারার কারণে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কালো, সুতার মতো লম্বা এই খাবার চুলের মতো দেখায় ঠিকই, কিন্তু তা আসলে মানুষের চুল নয়, মূলত এটি এক ধরণের বিশেষ শৈবাল। যা দেখতে একেবারেই মানুষের চুলের পিন্ডের মতো দেখায়। এই খাবার তৈরি হয় বেশ কয়েকটি ধাপে। প্রথমে সাগরের কাছ থেকে আনা কালো শৈবাল, যা ব্ল্যাক মস নামে পরিচিত। এরপর তাতে তেল, মরিচগুঁড়ো, সয়া সস, পেঁয়াজ কুচি আর folded ear root নামে বিশেষ একটি মশলা মাখিয়ে গ্রিল করা হয়। এই খাবারের স্বাদ ভিন্ন, তবে এর চেহারা আর গন্ধই বেশি মজার ও আকর্ষণীয়, যা কৌতূহলী মানুষকে টানে। এই রেস্তোঁরা মালিক জানান, এই খাবার প্রথমে একদল বন্ধু মিলে মজার ছলে তৈরি করেছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই অদ্ভুত জিনিস নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের এই খাবারের পোস্ট দিতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। চেংডুর মানুষজন সাধারণত মজাদার নতুন নতুন খাবার চেখে দেখার জন্য খুবই আগ্রহী, আর এই খাবারও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন স্থানীয় ভ্রমণকারী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় খাবারটি দেখে আমি নিজেই খুঁজে বের করলাম। এটা একটু ভিন্ন ধরনের মনে হয়েছে, তাই চেখে দেখতে চাইলাম। এই কালো মস দেখতে চুলের মতো হওয়ায় অনেকেই একে হেয়ার ভেজিটেবলও বলা হয়। এটি বেশিরভাগ চীনের শুষ্ক ও অনুর্বর মরুভূমি অঞ্চলে জন্মায়। ফসল তোলার পরপরই বাতাসে শুকানোর মাধ্যমে এটি প্রক্রিয়াজাত করা হয়। চেংডুর স্ট্রিট ফুড বিক্রেতারা এই নতুন রান্নার কৌশলটি শিখে খাবারটিকে মজার ভঙ্গিতে পরিবেশন করতে শুরু করেছেন, এবং তা থেকেই এই খাবারটি এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আরটিভি/এফআই