• ঢাকা সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১
logo
ঢাকা বোর্ড / এইচএসসিতে বৃত্তি পেলেন ৩১৮৬ শিক্ষার্থী
২ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।  এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।  এ অবস্থায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।  এ সময়ে পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, চলতি সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আরটিভি/আরএ-টি
অর্ধেকের বেশি কোটা ফাঁকা রেখে শেষ হলো হজ নিবন্ধন
সাদপন্থীদের জোড় ইজতেমা ঠেকাতে মাঠে অবস্থানের ঘোষণা জুবায়ের অনুসারীদের 
জুয়ার বিজ্ঞাপনে ডিপফেকের শিকার ড. ইউনূস ও শাকিব খান!
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন আরটিভির সুমন তানভীর
এসএসসির ফরম পূরণের সময় বাড়ল 
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণের সুযোগ পাবেন। আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে এবার নির্ধারিত ফির সঙ্গে বিলম্ব ফি (জরিমানা) গুনতে হবে শিক্ষার্থীদের।  রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডগুলোও তাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়। জরিমানা ছাড়া ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফরম পূরণের সুযোগ ছিল। সেদিন প্রথম দফায় সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়েছিল। এবার জরিমানাসহ তিনদিন সময়সীমা বাড়ানো হলো। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিলম্ব ফিসহ ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৮ ডিসেম্বর। শিক্ষা বোর্ডগুলোর নির্দেশনা অনুযায়ী—শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিলম্ব ফি নিতে পারবে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। তাছাড়া এসএসসি পরীক্ষা যখনই হোক না কেন, নবম ও দশম শ্রেণি মিলিয়ে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৪ মাসের বেশি সময়ের বেতন ও সেশন চার্জ নেওয়া যাবে না। আরটিভি/এমএ
ডেঙ্গুতে মৃত্যুশূন্য দিনে হাসপাতালে ৩৭৩ জন
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও ৩৭৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ১২৪ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের।  এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪৮৩ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৮ হাজার ৮৭৭ জন।  এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৬২ জন। মারা গেছেন ৫৪৮ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। আরটিভি/আরএ
পরিবার পরিকল্পনা ‘পরিদর্শিকা’ পদে ৭৬২১ জনের ফলাফল দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ‘পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা’ পদের ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায়চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ১ হাজার ৮০টি পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে রিটকারীরাসহ সারাদেশ থেকে আবেদনকারীরা আবেদন করেন। পরে সময়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ওই পরীক্ষায় ৭ হাজার ৬২১ জন উত্তীর্ণ হন এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভাইভা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না করে গত ১৪ জানুয়ারি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে। পরে সেই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে সর্বসম্মতিক্রমে আদালত সিদ্ধান্ত দেন যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পুনরায় মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে হবে। যারা চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাবে, তাদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। আরটিভি/কেএইচ-টি
হোয়াটসঅ্যাপে ডিলিট করা চ্যাট যেভাবে ফিরিয়ে আনবেন
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে মেটার হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে অনেকেই সময় বেঁধে দেন। মানে ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ’ ফিচার অন করে রাখেন। নির্দিষ্ট সময় পর মেসেজ নিজে থেকেই ডিলিট হয়ে যায়। কিন্তু ভুলে যদি কেউ মেসেজ ডিলিট করে ফেলেন কিংবা ফোন বদলানোর সময় সব চ্যাট ডিলিট হয়ে যায়, তাহলে? বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ অনেকেরই কাজের জায়গা। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। দরকারি নথি চালাচালি করেন। ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ছকা হয়। সে সব চ্যাট যদি ভুল করে ডিলিট হয়ে যায় তাহলেও হাত কামড়ানোর কিছু নেই। কারণ ডিলিটেড চ্যাট খুব সহজেই ফিরিয়ে আনা যায়। হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কিছু ইন বিল্ট টুল রয়েছে। যেমন গুগল ড্রাইভ বা আই ক্লাউডে ক্লাউড ব্যাকআপ কিংবা অ্যানড্রয়েড ইউজারদের জন্য স্টোরেজ অপশন। এছাড়া কিছু থার্ড পার্টি সফটওয়্যারও পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে ডিলিট হয়ে যাওয়া ডেটা ফেরত পেতে পারেন ইউজার। কিন্তু প্রশ্ন হল কীভাবে? এখানে ডিলিটেড হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট কীভাবে ফিরিয়ে আনতে হয়, তার ধাপে ধাপে জেনে নিন। ১. গুগল ড্রাইভ বা আইক্লাউড থেকে ডিলিট হয়ে যাওয়া চ্যাট পুনরুদ্ধারের পদ্ধতি গুগল ড্রাইভ বা আইক্লাউড থেকে ডিলিট হয়ে যাওয়া চ্যাট ফিরিয়ে আনার জন্য অ্যানড্রয়েড ইউজারদের প্রথমে সেটিংসে যেতে হবে। তারপর ক্লিক করতে হবে ‘চ্যাটস’ অপশনে। সেখানে চ্যাট ব্যাকআপ অপশনে গিয়ে গুগল ড্রাইভ চেক করতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ আনইনস্টল করে পুনরায় ইনস্টল করে ফোন নম্বর যাচাইয়ের পর প্রম্পট এলে রিস্টোর ট্যাপ করতে হবে। ডিলিট হওয়া সব চ্যাট ফের চলে আসবে। আইওএস ইউজারদের প্রথমে সেটিংসে যেতে হবে। তারপর ক্লিক করতে হবে ‘চ্যাটস’ অপশনে। এবার চ্যাট ব্যাকআপে গিয়ে আইক্লাউড ব্যাকআপ দেখতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ নতুন করে ইনস্টল করে চ্যাট হিস্ট্রি পুনরুদ্ধার করতে হবে। ২. লোকাল ব্যাকআপ থেকে চ্যাট পুনরুদ্ধার এই পদ্ধতিতে অ্যানড্রয়েড ইউজাররাই ডিলিটেড চ্যাট পুনরুদ্ধার করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে ‘ফাইল ম্যানেজার’-এ যেতে হবে। তারপর হোয়াটসঅ্যাপে ক্লিক করে ডেটাবেসে ঢুকতে হবে। এখানে পছন্দের ফাইল শনাক্ত করে নাম বদলে রাখতে হবে ইউজারকে। তারপর হোয়াটসঅ্যাপ পুনরায় ইনস্টল করে সেটআপের সময় রিস্টোর অপশনে ক্লিক করলেই ডিলিট হওয়া সব চ্যাট চলে আসবে। অ্যানড্রয়েড বা আইওএসে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস ইউজাররাও গুগল ড্রাইভ, আইক্লাউড বা লোকাল ব্যাকআপ থেকে একইভাবে ডিলিট হয়ে যাওয়া চ্যাট পুনরায় ফিরিয়ে আনা যায়। তবে বিজনেস চ্যাটের ব্যাকআপ অ্যাকটিভ রাখতে হবে। এই পদ্ধতিতে কাজ না হলে ডিলিট হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পুনরুদ্ধারের জন্য থার্ড পার্টি টুলসের সাহায্য নিতে হবে। এর জন্য স্ক্যান অপশন অন করে টুল যেমন বলবে সেভাবে এগোতে হবে। তবে গুগল প্লে স্টোর বা নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে বিশ্বস্ত থার্ড পার্টি টুল ডাউনলোডের পরামর্শ দেন টেক বিশেষজ্ঞরা। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ অজানা অচেনা টুলসে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। সংগৃহীত ছবি।  যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপে ডিলিটেড চ্যাট পুনরুদ্ধারের সময় কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখা জরুরি। অ্যানড্রয়েডের জন্য গুগল ড্রাইভ এবং আইওএসের জন্য আইক্লাউডের মতো প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত ব্যাকআপ রাখতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস থেকেই এই ব্যাকআপগুলো অ্যাক্সেস করা যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী অটোমেটিক ব্যকআপ চালু রাখতে হবে। সেটা প্রতিদিন হতে পারে কিংবা সাপ্তাহিক বা মাসিক। এতে ডেটা সুরক্ষিত থাকবে। ডিলিট করা চ্যাট পুনরুদ্ধারের সময় কাজে লাগবে। যদি ইউজার ভুলে কোনও চ্যাট ডিলিট করে ফেলেন তাহলে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, যত তাড়াতাড়ি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা হবে, সাফল্যের সম্ভাবনা তত বাড়বে। বেশি দেরি করলে নতুন তথ্য ডিলিটেড ডেটায় ওভাররাইট হয়ে যেতে পারে।  টেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চ্যাট ডিলিট করার বদলে আর্কাইভ করে রাখা উচিত। বিশেষ করে যে সব চ্যাট সবসময় অ্যাক্সেসের প্রয়োজন নেই, কিন্তু রেখে দেওয়া দরকার। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ চ্যাট বা আলোচনা টেক্সট ফাইলে রেখে দেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে চ্যাট ডিলিট হয়ে গেলেও কোনও ভয় নেই। কারণ সব তথ্য হাতেই থাকবে। নিয়মিত ব্যাকআপেই ডেটা সুরক্ষিত থাকে। হোয়াটসঅ্যাপকে সেভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে। তাই এই ফিচারগুলোকে ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ডিলিট হলেও ব্যাকআপ থেকে তুলে আনা যাবে। কোনও ঝামেলা পোহাতে হবে না।  আরটিভি / এএ
চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৪ গুণিজন
শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ওয়েবম্যাগ চিন্তাসূত্র দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্যের বিশুদ্ধ রূপ বজায় রাখার চর্চা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালে প্রবর্তন করা হয় ‘চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার’। পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে দেওয়া হয় ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সনদ।  এবার ‘চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪’ পেয়েছেন চার জন। তারা হলেন,  প্রবন্ধে রকিবুল হাসান, কথাসাহিত্যে আকিমুন রহমান, কবিতায় আকতার হোসাইন ও ছোটকাগজ সম্পাদনায় ‘জলধি’ সম্পাদক নাহিদা আশরাফী।  শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির অবসর ভবনে যুক্ত প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি কথাশিল্পী রফিকুর রশীদ, সভাপতি মাহমুদ কামাল। কথাশিল্পী মনি হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁ ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর ড. একরামুল ইসলাম, প্রাইম ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রধান ড. আব্দুল আউয়াল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কথাশিল্পী-গবেষক ও চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ কমিটির আহ্বায়ক কবীর আলমগীর। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কারের সঙ্গে দেশে প্রচলিত অন্যান্য পুরস্কারের পার্থক্য এখানে যে, অন্যরা পুরস্কার দেয় পরিচিত মুখ দেখে। চেনা-জানা সাহিত্যিককে। আর চিন্তাসূত্র পুরস্কার দেয় খুঁজে খুঁজে বের করে প্রকৃত সাহিত্যকর্মীকে। তারা চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কারের ক্ষেত্রে এর নিরপেক্ষতা, গোপনীয়তা, গুরুত্ব, মর্যাদা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরামর্শ দেন।  পুরস্কারের ক্রেস্ট, সনদ ও উত্তরীয় গ্রহণ শেষে প্রতিক্রিয়া জানান লেখক-সম্পাদকরা। তারা স্ব স্ব কাজের পেছনে প্রেরণাদাতাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার তাদের কাজের প্রতি চিন্তাসূত্রের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন। এ জন্য তারা চিন্তাসূত্র-সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। আরও উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক দিলারা মেসবাহ, তাহমিনা কোরায়শী, হোসেন শহীদ মজনু, শেখ ফিরোজ আহমেদ বাবু প্রমুখ। প্রাইম ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান জয়ের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করে কবি জামসেদ ওয়াজেদ, আজাদ কামাল, আহমেদ শিপলু, রজত সিকস্তি, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, খাদিজা খানম অন্তরা,  আরিফুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, শাহাদিয়া আক্তার রিয়া ও মোশাররফ হোসেন।  গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন প্রাইম ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুক্তি রাজবংশী, চৌধুরী ইমরাতুল জান্নাত স্বর্ণা, আলিমুন খান, মাহমুদা নুসাইবা, সেতু, মীম, রূপনা ও রিয়া। আরটিভি/ডিসিএনই
শিশু শিকার করা হেনরি এখন পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ! 
পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক কুমির হেনরি। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো তার রয়েছে ছয়টি স্ত্রী ও দশ হাজারেরও বেশি সন্তান। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। তার বয়স ১২৩ বছর! হেনরির নামকরণ করা হয়েছে বিখ্যাত শিকারি হেনরি নিউম্যানের নামে। তার দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট, যা প্রায় একটি মিনিবাসের সমান, আর ওজন ৭০০ কেজি।  হেনরির গল্প শুরু হয় বতসোয়ানার ওকাভাঙ্গো বদ্বীপে, যা এখন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। ১৯০০ সালের ১৬ ডিসেম্বর হেনরির জন্ম। সেই সময়ে এটি ছিল এক মূর্তিমান আতঙ্ক। বিশাল তীক্ষ্ণ দাঁত ও চোয়ালের কারণে হেনরি পরিচিত ছিল। বিশেষ করে বতসোয়ানার আদিবাসীদের মধ্যে হেনরি শিশুদের শিকার করে খেয়ে ফেলার জন্য কুখ্যাত ছিল। আদিবাসীরা বহুবার চেষ্টা করেছে হেনরিকে ধরার জন্য। তারা বিখ্যাত শিকারি হেনরি নিউম্যানের কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু হেনরি নিউম্যান তাকে হত্যা করেননি। বরং, তিনি তাকে জীবিত ধরে নিয়ে যান এবং খাঁচায় বন্দী করে রাখেন। এই ঘটনা ঘটে ১৯ শতকের গোড়ার দিকে। সেই থেকে তিন দশক ধরে হেনরি দক্ষিণ আফ্রিকার স্কটবার্গের ক্রোকওয়ার্ল্ড কনজারভেশন সেন্টারে অবস্থান করছে। তার বিশাল আকৃতি ও বয়সের কারণে হেনরি এখানে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। হেনরি নীল কুমির প্রজাতির, যা সাব-সাহারা আফ্রিকার ২৬টি দেশে পাওয়া যায়। নীল কুমির তাদের মারাত্মক হিংস্র স্বভাবের কারণে শীর্ষ শিকারি হিসেবে কুখ্যাত। প্রতিবছর সাব-সাহারা অঞ্চলে শত শত মানুষের মৃত্যুর জন্য এদের দায়ী করা হয়। এই অবাক করা কুমিরের জীবনযাত্রা শুধু এখানেই থেমে নেই। হেনরিকে বিশ্বাস করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত কুমির। এর চেয়ে বড় কুমিরও আছে– ক্যাসিয়াস নামে, যা বাস করে অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু হেনরি তার বয়সের জন্যই বিশেষভাবে পরিচিত। ছয় স্ত্রী ও দশ হাজার সন্তান আর এক অনন্ত জীবনের রহস্য নিয়ে আজও বেঁচে আছে হেনরি। প্রকৃতির রহস্যময় জগতে এমন গল্প হয়তো আরও অনেক আছে, যা এখনো উন্মোচন হয়নি। আরটিভি/এফআই
১৫০০ বছরের মৃতদের নগরী! যেখানে রয়েছে ৬০ লাখ কবর 
ওপর থেকে দেখলে মনে হতে পারে এটা কোনো জনবহুল নগরী। অসংখ্য ইটের স্থাপনা যেন জড়িয়ে আছে পরস্পরের সঙ্গে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এটা নগরী, এখানে আছে অগণিত ঘর তবে তা মৃতদের। এখানে দৃষ্টি যতদূর যায়, ততদূর পর্যন্ত দেখা যায় শুধু মৃতের সমুদ্র। ধারণা করা হয়, এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ কবরস্থান ওয়াদি আস সালাম।  ইরাকের নাজাফ শহরে অবস্থিত এ গোরস্তান প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো। এখানে শুয়ে আছেন লক্ষাধিক মানুষ, যার মধ্যে রয়েছেন রাজা, ইমাম, বিজ্ঞানী, বণিকসহ বহু প্রভাবশালী মানুষ। ইরাকের নাজাফ নামক শহরটি হচ্ছে দেশটির বৃহত্তম শহরগুলোর মধ্যে একটি। এর আয়তন প্রায় ২৯,০০০ বর্গ কিলোমিটার। আর জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। কিন্তু এটি শুধুমাত্র জীবিত মানুষের সংখ্যা। শহরটির উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত কবরস্থানে শায়িত আছে অর্ধ কোটিরও অধিক মানুষ! কিন্তু কেন এত মানুষ এখানে কবরস্থ হতে চেয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ফিরে যেতে হবে বহু বছর আগে।  ওয়াদি আস সালামে শুয়ে আছেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা, আলি (রা.)।  শিয়া মুসলিমদের কাছে আলির (রা.) কবর বিশেষ পবিত্র স্থান। তারা বিশ্বাস করেন, হযরত আলি (রা) এর মাজারের পাশেই এই কবরস্থানটি একটি বেহেশতের খন্ড, যেখানে মুমিনদের রূহ জান্নাত লাভ করে। এ কারণে বহু মানুষ জীবনের শেষ ঠিকানা হিসেবে নাজাফকে বেছে নেন। এছাড়া হযরত হুদ (আ) এবং হযরত সালেহ (আ) এর কবরও এখারে রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। ইতিহাস বলে, সাসানীয় এবং পার্থিয়ান যুগ থেকেই নাজাফ কবরের জন্য জনপ্রিয় স্থান। শিয়াদের বিশ্বাস, সে সময় এই অঞ্চলে নিয়মিত ভূমিকম্প হতো। কিন্তু হযরত ইবরাহীম (আ) যতদিন এখানে অবস্থান করেছিলেন, ততদিন পর্যন্ত কোনো ভূমিকম্প হয়নি। পরবর্তীতে এক রাতে ইবরাহীম (আ) পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে গেলে সেদিনই নাজাফে ভূমিকম্প হয়। তখন এলাকাবাসী তাকে অনুরোধ করলে তিনি তা রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেখানে নিজের নামে এক টুকরো জমি ক্রয় করেন। সেই জমির টুকরোটিই বর্তমানে ওয়াদি আস্-সালাম কবরস্থান। শিয়াদের মধ্যে প্রচলিত ধারণা, হযরত ইবরাহীম (আ বলেছিলেন, এই স্থানটি পুনরুত্থানের জায়গা হবে, যেখানে ৭০ হাজার মানুষ বিনা হিসেবে বেহেশত লাভ করবে। ওয়াদি আস-সালাম কবরস্থানের কবরগুলো পোড়ামাটির ইটের তৈরি, বিভিন্ন আকার এবং আকৃতির। অনেক কবরের ওপর পবিত্র কুরআনের আয়াত খোদাই করা থাকে। এখানে কিছু পারিবারিক সমাধি কক্ষও আছে, যেগুলোতে অনেক মৃতদেহ শায়িত করা যায়। সমাধি কক্ষগুলোতে প্রবেশের জন্য মই ব্যবহার করতে হয়। ২০০৩ সালে ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী ইরাক আক্রমণের সময়, ইরাকি গেরিলারা এই কবরস্থানটি যুদ্ধের কৌশলগত কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতো। সরু গলির কারণে মার্কিন বাহিনী সহজে প্রবেশ করতে পারত না, ফলে গেরিলারা আক্রমণ চালিয়ে আত্মগোপন করত। পরবর্তীতে, মার্কিন সমর্থিত ইরাকি বাহিনীর হামলায় কবরস্থানের কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশেষ করে আইএস বিরোধী যুদ্ধে নিহত শিয়া মিলিশিয়াদের কবর দেওয়ার কারণে কবরস্থানের আয়তন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। নাজাফের এ গোরস্তানে বছরে প্রায় এক লাখ মরদেহ দাফন করা হয়। প্রতিদিন গড়ে ১৫০-২০০ জনকে এখানে সমাহিত করা হয়।  মূলত ইরাক, ইরান, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং অন্যান্য দেশ থেকে মানুষ এখানে কবর দিতে আসে। তবে মরদেহ নাজাফে নিয়ে যাওয়ার এ প্রথা ১৩ শতক থেকেই শুরু হয়েছে। তখন মরদেহ পরিবহনের সঙ্গে একটি বিশাল ব্যবসাও গড়ে উঠেছিল। এ নিয়ে ফতোয়া পর্যন্ত জারি করতে হয়েছিল, যাতে মরদেহ পরিবহনে শৃঙ্খলা বজায় থাকে। এখানে কিছু কবরের আকার বেশ বড়। শিয়া সম্প্রদায়ের একটি বিশেষ রীতি হলো কবরের গভীরতা নির্দিষ্ট রাখা এবং মরদেহকে মক্কার দিকে মুখ করে রাখা।  ওয়াদি আস সালামের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো, এটি শুধু মৃতদের জন্য নয়, জীবিতদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ স্থান। শিয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষ এখানে আসে মর্সিয়া পাঠ এবং ধর্মীয় আচার পালনের জন্য। প্রতি শুক্রবার এবং রমজানের শেষ দশ দিনে এখানে ভিড় জমে যায়। বিশেষ করে লাইলাতুল কদর-এর রাতে গোরস্তানে মানুষের ঢল নামে, যারা তাদের প্রিয়জনদের কবরে জিয়ারত করতে আসে। তাই বলা হয়, এই গোরস্থান শুধু একটি স্থানই নয়; এটি মধ্যপ্রাচ্যের নানা সংঘাত, যুদ্ধ এবং ইতিহাসের সাক্ষী। আরটিভি/এফআই