• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিগগিরই খুলবে কি না, জানালেন উপাচার্য
২৭ জুলাই: ইতিহাসে আজকের এই দিনে
ঘটে যাওয়া আজকের এই দিনের ঘটনা, অনেক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু আমরা জানতে চাই। পাঠকের এ চাওয়া মাথায় রেখে নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা। ঘটনাবলি: ১৬৫৬ -  ওয়ারশ যুদ্ধ শুরু এবং সুইডেনের পোল্যান্ড দখল। ১৬৯৪ -  ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে। ১৭৬১ -  পানি পথের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৭৭২ -  পোল্যান্ডকে বিভক্ত করার জন্য ইউরোপের তিনটি বৃহৎ শক্তির মধ্যে প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । ১৭৯৪ -  ফ্রান্সে ম্যাক্সিমিলিয়োন রোবিস পিয়ের ও তার সমর্থকদের ফাঁসি দেয়ার পর দেশটির উত্তেজনাকর পরিস্থিতির অবসান ঘটে । ১৮৬৮ -  আটলান্টিক টেলিগ্রাফ কেবল স্থাপনের কাজ শেষ করে। ১৮৮৯ -  ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ব্রিটিশ ইন্ডিয়া শাখা গঠিত হয়। ১৯০৮ -  লন্ডনে চতুর্থ অলিম্পিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ১৯২০ -  বিমান চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু। ১৯২১ -  টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদলের প্রধান বায়োকেমিস্ট ফ্রেডরিখ বেন্টিং হরমোন ইনসুলিন আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। ১৯৪১ -  জার্মান বাহিনী ইউক্রেনে প্রবেশ করে। ১৯৫৩ -  কোরিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটেছিল এই দিন। আমেরিকা, চীন, উত্তর কোরিয়ার সন্ধি চুক্তির মাধ্যমে। ১৯৫৫ -  অস্ট্রিয়া পুনরায় স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭১ -  প্রশাসনের সুবিধার্থে মুজিবনগর সরকার সমগ্র দেশকে ৯টি অঞ্চলে ভাগ করে। ১৯৮৭ -  ভারত-শ্রীলংকা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর। ২০০৫ -  আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তলন মঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যায়। ২০০৭ -  ঢাকা-মিয়ানমার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চুক্তি স্বাক্ষর। জন্ম: ১৬৬৭ -  সুইজারল্যান্ডীয় গণিতবিদ ইয়োহান বার্নুয়ি। ১৮৩৫ -  ইতালিয়ান লেখক (নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত) জিউস্যু কার্ডুক্কি। ১৮৫৭ -  প্রাচ্যবিদ ও জাদুঘর বিশেষজ্ঞ আর্নেস্ট টমসন ওয়ালিস। ১৮৮১ -  নোবেলজয়ী জার্মান জৈবরসায়নবিদ হানস ফিশর। ১৯০৯ -  বিশ্ববিখ্যাত অনুজীব বিজ্ঞানী ও গবেষক মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম। ১৯১৩ -  ব্রিটিশবিরোধী ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেত্রী কল্পনা দত্ত (যোশী)। ১৯৩১ -  বাংলা লোক সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী আব্দুল আলীম। মৃত্যু: ১৮৪১ -  রুশ কবি ও ঔপন্যাসিক মিখাইল লেরমন্তফ। ১৮৪৪ -  আধুনিক ভৌতবিজ্ঞানের জনক জন ডাল্টন। ১৯৮০ -  ইরানের শাহ মুহম্মদ রেজা পাহলভী। ১৯৯৪ - কেভিন কার্টার, দক্ষিণ আফ্রিকান পুরস্কারবিজয়ী ফটোসাংবাদিক। ২০১৫ - বিজ্ঞানী ও ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম।
ভিপিএন ব্যবহারের রয়েছে যেসব ঝুঁকি 
আহতদের চিকিৎসায় ছাত্রদের ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ গঠন
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৪৮
ভিপিএন ব্যবহারে শাস্তি হয় যেসব দেশে
জানা গেল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের কম গতির কারণ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় গত ১৬ জুলাই থেকে মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি শুরু হয়। এরপর ১৮ জুলাই রাতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু খাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। পরের দিন রাত থেকে আবাসিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা মিললে তা অত্যন্ত ধীর গতির। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা পড়ছেন। শুক্রবার (২৬ জুলাই) এ বিষয়ে কথা বলেছেন ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি মো. এমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘মোবাইল ডেটা ও স্থানীয় ক্যাশ সার্ভার বন্ধ থাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের স্পিড স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ভাগের এক ভাগে রয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট এবং সংযোগবিচ্ছিন্ন ক্যাশ সার্ভার চালু না করলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি বাড়বে না। বর্তমানে দেশের সব সংযোগ চালু করার পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের পুরো ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে।’ মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘ক্যাশ সার্ভার হলো তথ্য সংরক্ষণ বা ধারণ করার নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক সার্ভার বা সেবা। এতে স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত ওয়েবপেজ ও অন্যান্য ইন্টারনেট কনটেন্ট সেভ করা থাকে। অস্থায়ী স্টোরেজ বা ক্যাশ থেকে আগের ব্যবহৃত তথ্য প্রদানের নির্দেশ দিয়ে ক্যাশ সার্ভার ইন্টারনেট ডেটার গতি বাড়াতে এবং একই সঙ্গে ব্যান্ডউইথের চাহিদা কমাতে ভূমিকা রাখে।’ আইএসপিএবি সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা যে পরিমাণ ইন্টারনেট ট্রাফিক তৈরি করেন, তার ৮০ শতাংশের বেশি পূরণ করে স্থানীয় ক্যাশ সার্ভারগুলো। কিন্তু এখন ক্যাশ সার্ভার কাজ না করায় সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ট্রাফিক আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জন্য ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ ৬ হাজার ৩০০ জিবিপিএসের বেশি। ক্যাবল বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাধ্যমে এর ৫৫ শতাংশ ব্যবহার হয়। বাকি ৩ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয় মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে। কিন্তু এখন কেউই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। তারাও ঝুঁকেছেন ব্রডব্যান্ডে। এতে ব্রডব্যান্ডের ব্যান্ডউইথে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। এর মধ্যে লোকাল ক্যাশ সার্ভার বন্ধ থাকায় আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বহুগুণ বেড়েছে।’
ফেসবুক, টিকটক চালু নিয়ে যা জানালেন আইএসপিএবি সভাপতি
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে দেশজুড়ে চলছে কারফিউ। সময়টা আরও বেশি একঘেয়ে, বিরক্তিকর আর উৎকণ্ঠার হয়ে উঠেছে যখন সারাদেশে সব ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে সারাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে। তবে এখনও বন্ধ রয়েছে ফেসবুক ও টিকটকের মতো জনপ্রিয় দুটি অ্যাপ। কবে এ দুটি অ্যাপের সেবা পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নই এখন ঘুরছে সবার। এ বিষয়ে আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন,  মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই)  বিকেল ৩টা থেকে চালু করা শুরু হয় গুগলের সব সার্ভিস। ইমদাদুল হক আরও বলেন, গুগলের সব সেবা চালু হওয়ায় ধীরে ধীরে নেটের গতি বাড়বে আশা করছি। তবে ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট এখনও চালু না হওয়ায় ফেসবুক, টিকটক, আকামাই, বাইসান এই চারটি সার্ভার বন্ধ রয়েছে। এ সার্ভারগুলো আপ হতে আরও সময় লাগবে।   প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ডাটা সেন্টারে আগুন লাগায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাতে ইন্টারনেটশূন্য হয়ে যায় পুরো দেশ। এর পাঁচদিন পর মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়। প্রথমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে আবাসিক এলাকায়ও মেলে ইন্টারনেট সেবা। তবে ইউটিউব, ক্লাউড ফেয়ার, মেইলের মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলো ব্যবহার করা গেলেও ব্যবহার করা যাচ্ছে না ফেসবুক, টিকটকের মতো জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো।  
যে দোয়া পড়লে নিরাপদে থাকবেন রাস্তাঘাটে
রাস্তাঘাট ও যানবাহনে অপ্রত্যাশিত বিপদ-মসিবত থেকে নিরাপদ থাকতে চায় সবাই। কিন্তু আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা ও সাহায্য ছাড়া কারও পক্ষেই নিরাপদ থাকা ও নিরাপত্তা বিধান করা সম্ভব নয়। এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করার বিকল্প নেই। রাসুলুল্লাহ (স.) এ সংক্রান্ত কিছু দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। বাইরের নানারকম বিপদাপদ ও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ঘর থেকে বের হওয়ার সময়ই যে দোয়া পড়তে বলা হয়েছে হাদিসে সেটি হলো— بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ وَ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللَّهِ উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে, আল্লাহ তায়ালার ওপরই নির্ভর করলাম, আল্লাহ তায়ালার সাহায্য ছাড়া বিরত থাকা ও মঙ্গল লাভ করার শক্তি কারো নেই।’ (তিরমিজি: ৩৪২৬) এরপর পড়বেন— اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাওয়ালি নি‘মাতিকা, ওয়া তাহাওউলি আফিয়াতিকা, ওয়া ফুজাআতি নিকমাতিকা, ওয়া জামিয়ি সাখাতিকা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আপনার নিয়ামতে   বিলুপ্তি, আপনার অনুকম্পার পরিবর্তন, আকস্মিক শাস্তি এবং আপনার সব ক্রোধ থেকে।’ হাদিসে এসেছে, এই দোয়াটি রাসুলুল্লাহ (স.)-এর বিভিন্ন দোয়ার মধ্যে অন্যতম। (আবু দাউদ: ১৫৪৫) এ সংক্রান্ত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া হলো— بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মায়াছমিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়াহুয়াস সামিউল আলিম।’ অর্থ: ‘সেই আল্লাহর নামে শুরু করছি। যে নামের সঙ্গে কোনো কিছুই অনিষ্ট করতে পারে না। না ভূমণ্ডলে এবং না নভোমণ্ডলে। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্ব জান্তা।’ উসমান (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যদি কোনো বান্দা সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার করে এই দোয়াটি পাঠ করে তাহলে ওই দিনে ও ওই রাতে কোনোকিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না। (আবু দাউদ: ৫০৮৮) যদি যানবাহনে চড়েন তাহলে পড়বেন— بسم الله الرحمن الرحيم سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সুবহানাল্লাজি সাখখারালানা হা-যা ওয়া-মা-কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুন কালিবুন।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি অত্যন্ত দয়ালু ও অশেষ করুণাময়। তিনি পূতপবিত্র ওই সত্তা যিনি বাহনকে আমার অধীন করে দিয়েছেন। আমাদের কাছে তাকে আয়ত্তে আনার ক্ষমতা ছিল না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।’ রাসুলুল্লাহ (স.) বাহনে চড়ার পর দোয়াটি পড়তেন। (আবু দাউদ: ২৬০২) নৌকা, জাহাজ ইত্যাদিতে চড়লে এই দোয়া পড়বেন— بِسْمِ اللَّهِ مَجْرَاهَا وَمُرْسَاهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَحِيمٌ উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহি মাজরিহা ওয়া মুরসা-হা, ইন্না রাব্বি লা গাফুরুর রহিম।’ অর্থ: ‘তোমরা এতে আরোহন কর। আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। আমার পালনকর্তা অতি ক্ষমাপরায়ণ, মেহেরবান।’ (সুরা হুদ: ৪১)
সাগরে লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ব্যবহার না করেই কোটি গ্রাহকের ডাটার মেয়াদ শেষ, যা জানাল বিটিআরসি
কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে গত ১৬ জুলাই থেকে মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি শুরু হয়। এরপর ১৮ জুলাই রাতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে কোটি গ্রাহকের কেনা ডাটার মেয়াদ ব্যবহার না করেই শেষ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সচল হলে অব্যবহৃত এ ডাটা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন কি না, তা জানতে উদগ্রীব গ্রাহকরা। জানা গেছে, বর্তমানে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক ১৩ কোটি। তাদের অধিকাংশেরই কম-বেশি ডাটা প্যাকেজ কেনা ছিল। ফলে সবাই ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তবে এ নিয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে।  বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যে কারণেই হোক, গত এক সপ্তাহের বেশি মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে অব্যবহৃত ডাটা ইন্টারনেট চালুর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করতে দিতে হবে। পরবর্তী ডাটা প্যাকেজ কিনলে যুক্ত হবে অথবা এক-দুদিন সময় বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে গ্রাহকরা ক্ষতির মুখে পড়বে।’ এ বিষয়ে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘গত কয়েকদিন ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। বিশেষ একটা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারনেটে শাটডাউনটা হয়েছে। তার মধ্যেও সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমাদের যতটুকু সাধ্য সব করেছি। এখন আমরা যেটা ভাবছি, তা হলো গ্রাহকের যে ক্ষতিটা হয়েছে, তা কতটা; কীভাবে পূরণ করা যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের গার্ডিয়ান (অভিভাবক) টেলিকম রেগুলেটরের (বিটিআরসি) সঙ্গে কথা চলছে। এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সেখান থেকে কোনো নির্দেশনা এলে, তখন আমরা হয়তো স্পষ্ট করে গ্রাহককে এ নিয়ে জানাতে পারবো। ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’ সাহেদ আলম বলেন, ‘কবে নাগাদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে এবং গ্রাহকরা জানতে পারবেন সেটা নেটওয়ার্ক (মোবাইল ইন্টারনেট) না খোলা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। আগে ইন্টারনেট চালু হোক, তারপর জানানো হবে।’ গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটারনাল কমিউনিকেশন্স অঙ্কিত সুরেকা বলেন, ‘অব্যবহৃত ডাটা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন গাজী তৌহিদ আহমেদও এ নিয়ে ‘সিদ্ধান্ত না হওয়ার’ তথ্য জানিয়েছেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘অব্যবহৃত ডাটা নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থের বিষয়টি সবার আগে গুরুত্ব পাবে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। অপারেটরগুলোকে একসঙ্গে ডেকে বৈঠকও করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিটিআরসি সব সময় গ্রাহকদের স্বার্থে কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রেও (অব্যবহৃত ডাটা) আমরা গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। মোবাইল অপারেটরগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এ নিয়ে খুব শিগগিরই নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে যা জানাল বিটিআরসি
মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)।  শুক্রবার (২৬ জুলাই) সংস্থাটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখনো মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। যেসব সঞ্চালন লাইন এবং ডেটা সেন্টার রিপেয়ার করা হয়েছে, ইমপ্যাক্টটা কেমন পড়ছে এবং মোবাইল ইন্টারনেটে প্রেশার যেহেতু আরেকটু বেশি পড়বে, সেজন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী রবি-সোমবারে চালু করার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান মহিউদ্দিন আহমেদ। প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৭ জুলাই সারাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। পরদিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর গত মঙ্গলবার রাত থেকে গুরুত্বের ভিত্তিতে সীমিত আকারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হলেও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে।