• ঢাকা শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১
logo
বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রে আজ মাহফুজামঙ্গল উৎসব 
‘বাংলা আমার’-এর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘প্রিয় পঙক্তিমালা’
সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাংলা আমার’-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘প্রিয় পঙ্ক্তিমালা’ অনুষ্ঠান।    শনিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে ‘প্রিয় পঙ্ক্তিমালা’ শিরোনামে অনুষ্ঠান আয়োজন করে সংগঠনটি।  অনুষ্ঠানে বাংলা আমার-এর আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন এবং আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পীরা আবৃত্তি পরিবেশন করেন।  আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন বাংলা আমার-এর উপদেষ্টা আবৃত্তিশিল্পী মজুমদার বিপ্লব, অতিথি হিসেবে ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী রফিকুল ইসলাম, মাসুম আজিজুল বাসার এবং জনাব আলি আকবর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠের সদস্য রঞ্জু নাহার মনি। বাংলা আমার-এর সভাপতি মেহেদী হাসান আকাশ বলেন, সুস্থ মানসিক বিকাশে সংস্কৃতি চর্চার কোনো বিপল্প নেই। নিয়মিত সংস্কৃতি চর্চার মানুষের মানবিক মূল্যবোধ তৈরি হয়। ‘বংলা আমার’ শিশু-কিশোর এবং বড়দের নিয়ে প্রায় ৭ বছর ধরে নিয়মিত সংস্কৃতি চর্চা করে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে আবৃত্তি অঙ্গনে একটা গুমট ভাব তৈরি হয়ে আছে। আজকের এই আয়োজন শুধু আবৃত্তি বা গান-নৃত্য পরিবেশনের জন্য না, এটি শিল্পীদের একটি মিলনমেলাও।    আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে আবৃত্তি করেন সাজেদুল করিম সুজন, গাজী তরিকুল ইসলাম, হুর-এ-জান্নাত, মাহিনুর মুমু, পলি পারভীন, ঋতুরাজ ফিরোজ, রশিদ কামাল, মাহমুদা সিদ্দিকা সুমি, নাজমুল আহসান তরুণ, নাসিমা খান বকুল ও কাজী রাজেশ প্রমুখ।  এ ছাড়া বাংলা আমার-এর সদস্য দুলাল মাহমুদ, আবিদুর রহমান ফাহিম, মৃন্ময় চৌধুরী, তাহমিনা আক্তার ছবি, জুবায়ের হোসেন, লুৎফুন্নাহার সোনিয়া, আরিফা বেগম, কান্তা আরিফিন, তমালিকা রায় চৌধুরী, স্বর্ণলতা ঘোষ, লিপি সরকার প্রমুখও আবৃত্তি পরিবেশন করেন।  ক্ষুদে সদস্য হিসেবে ছিল মো. আনাস কবির, আরুষি রাজশ্রী গাইন, ফারওয়াহ ইসলাম মুনাদ, তাহরিম তারেক ইহান, আয়েশা জাবীন, ফাইজা ফারাহ আরিশা, ফাইরুজ লুবাবা, রিদওয়ানা আয়াত, জুন নুরাইন খান জামিয়া, সিয়ারা নূর দাহমা, সাফওয়ানা জাহান, শেখ মানহা মাহমুদ, আরিবাহ্ সিদ্দিক, শানুম জারিন, সামাইরা হক, আওসাফ আনোয়ার, আবু বকর, মিশেল মাহবিন সৌর্হাদ্য, শাহীদ কাউসারুল আনোয়ার, ফাতেমা আক্তার, তরু, রুয়াব, মহিমা, অথিন, তাহিফা জাহান তুবা, ফাবিহা তাসফিয়া, আশফিয়া হাবীব, জাহবিয়া হাবিব, মৈত্রী সরকার, আরাধ্যা সেনগুপ্ত, আলিজা হাসান, আবেদা যারীন, আয়মান ফারজানা আরিশা, নাজিফা তাসনিম রহমান, ইব্রা বিনতে মাহমুদ, জ্যাসিনা আয়াত মালিক, তাসফিয়া রহমান মানহা, অপরাজিতা সরকার, তহুরা সাফরিন রিদা, লিয়ানা, আবৃত্তি কুন্ডু, রাইয়ান আহসান, আয়ান জামান রুবাই, তাসকিন বিন মুশফিক, সাদিয়া তাসনিম সাফা, রিশান আহসান, রওশান আসফিয়া, সুহাদা মাঈনুল মানহা, ফারিহা আমিন, জান্নাতুল ফেরদৌস মিনহা, সাদ বিন মোস্তাফা, সাবাউন, উমাইযা মাহরীন প্রমুখ।  
ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুর অন্যায়ের প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন
বাংলা একাডেমির সভাপতির পদত্যাগ
ছড়ার জাদুকর জগলুল হায়দারের জন্মদিন আজ
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বলের ‘ভ্রমণকাহিনি’ প্রকাশিত 
শাহ আলম সাজুর নতুন উপন্যাস ‘মাকে মনে পড়ে’
কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শাহ আলম সাজু লেখালিখি করছেন দীর্ঘদিন ধরে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্রকাশ পেয়েছে নতুন উপন্যাস ‘মাকে মনে পড়ে’। ১৯২ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনন্যা। প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। মূল্য রাখা হয়েছে ৪০০ টাকা। সাজু বলেন, ‘উপন্যাসটি মূলত মাকে নিয়ে। এটি মায়ের গল্প। সব মায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতেই এই বই।’ তিনি  আরও বলেন, ‘বইটি যে কোনো মানুষকে স্মৃতিকাতর করবে। চোখের জলে ভাসাবে। মায়ের কথা খুব করে মনে পড়বে। বইটি পাঠকদের পড়ার অনুরোধ করছি।’ ‘মাকে মনে পড়ে’ সাজুর ৫৫তম বই। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। বড়দের পাশাপাশি কিশোর উপন্যাস লিখেছেন ২৫টি। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় কিশোর গোয়েন্দা সিরিজ হচ্ছে ‘চার গোয়েন্দা’। লেখালিখির বাইরে সাজু পেশায় একজন সাংবাদিক। দুই দশক ধরে এই পেশায় যুক্ত আছেন। বর্তমানে দেশের একটি প্রথম সারির পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে নিযুক্ত আছেন তিনি।  আরটিভি / এএ 
বিদ্রোহী কবির নাতি কাজী অনির্বাণ মারা গেছেন
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি কাজী অনির্বাণ। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুইজারল্যান্ডে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। অনির্বাণ ছিলেন কবির কনিষ্ঠপুত্র কাজী অনিরুদ্ধর বড় ছেলে। তিনি পেশায় চিত্রশিল্পী ছিলেন। গণমাধ্যমে অনির্বাণের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন কবির বড় ছেলে কাজী সব্যসাচীর কন্যা খিলখিল কাজী। তিনি বলেন, কবির ছোট ছেলে কাজী অনিরুদ্ধর বড় ছেলে অনির্বাণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আপনারা দোয়া করবেন। তিনি আরও বলেন, কলকাতায় সমাহিত করা হবে কাজী অনির্বাণের মরদেহ। ভাইকে শেষবার দেখতে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছি। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছোট ছেলে কাজী অনিরুদ্ধ ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা সংগীতজ্ঞ ও ডাকসাইটে গিটারিস্ট। নজরুল জীবিত থাকা অবস্থায়ই মারা যান তিনি।  মৃত্যুর সময় তিনি রেখে যান বড় ছেলে কাজী অনির্বাণ, ছোট ছেলে কাজী অরিন্দম সুবর্ণ ও মেয়ে কাজী অনিন্দিতাকে। আরটিভি/এইচএসকে/এসএ  
‘আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ প্রদান
শিক্ষাবিদ, লেখক ও গ্রগতিশীল চিন্তক আবু খালেদ পাঠানের স্মরণে প্রবর্তিত ‘আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ পেয়েছেন কবি কফিল আহমেদ ও আফরোজা সোমা।  শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন’ প্রবর্তিত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে নগদ ২৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও প্রশংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।   অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও চিন্তক আবুল কাসেম ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ফারুক মাহমুদ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) ও কবি এম সানাউল হক, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক কাজল রশীদ শাহীন, শিক্ষক বীরেন্দ্র কিশোর রায় (বিকে রায়)। আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন নায়লা ইয়াসমিন।   অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুরস্কার প্রদান কমিটির আহ্বায়ক ও লেখক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ। বক্তব্য রাখেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক আহমেদ উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কাশেম, কবি আবুল এহসান অপু, কবি সৈয়দ এনাম উল আজিম ও কবি সদরুল উলা। অনুষ্ঠানে সঙ্গিত পরিবেশন করেন আব্দুর রশীদ ও  কফিল আহমেদ। উল্লেখ্য, কবি ও সংগীতশিল্পী কফিল আহমেদের জন্ম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায়। তিনি মূলত লিটল ম্যাগাজিনকেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চায় মনোযোগী ছিলেন। আর আফরোজা সোমার জন্ম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। সোমা সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি পেশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।   আরটিভি/টি
শৈল্পিক হুমায়ুনের গল্প ‘বিষ গোলাপ’
একটি মেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। হাতে একটি রজনীগন্ধা, তার সাথে টেপ দিয়ে প্যাঁচানো একটি লাল গোলাপ। মেয়েটির পেছন থেকে একটি ছেলে এসে ফুলের তোড়াটি নিয়ে দৌড় দেয়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে মেয়েটিও ছেলেটির পেছনে দেয় দৌড়। এই দৃশ্যটি দূরে দাঁড়িয়ে থাকা টং দোকানের পাশে বাইক দাঁড় করিয়ে চা হাতে একটি ছেলে দেখছিল। সেও বাইক নিয়ে তাদের ফলো করল। মেয়েটির নাম তাজনিয়া। ‘ও লেভেল’-এ পড়ে। ধনী লোকের মেয়ে। বাবা-মা’র গাইডলাইনস নেই। ফুল কেড়ে নেওয়া ছেলেটির নাম মতি। শীর্ণদেহী, দেখতে কালো। আর বাইকওয়ালা ছেলেটি একজন পুলিশ। ইন্সপেক্টর সোহেল। মতি ফুলটি ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দেয়। তাজনিয়া ফুলটি ফিরে পাওয়ার জন্য মতির পিছু নেয়। এদিকে ইন্সপেক্টর সোহেল কৌতূহলী হয়ে তাদের নীরবে অনুসরণ করে। তার মনে প্রশ্ন, কেন একটা সামান্য ফুলেন জন্য ছেলেটি মেয়েটির ফুল নিয়ে দৌড় দিলো? আবার মেয়েটিই বা কেন ওই ফুলের জন্য ছলেটির পিছু নেবে? এটিই জানার জন্য তাদের অনুসরণ করছে। তাজনিয়া মতিকে দৌড়ে ধরার চেষ্টা করছে। মতিও প্রাণপণ দৌড়াচ্ছে। মতি এলিফ্যান্ট রোডের দিকে দৌড়াচ্ছে। তাজনিয়াও নাছড়বান্দা, সেও মতির পিছু ছাড়ছে না। মতি দৌড়াতে দৌড়াতে কাটাবনের রাস্তায় ঢুকে পড়ে। ব্যস্ত একটি রাস্তা। তাজনিয়া দৌড়াচ্ছে। রাস্তার সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে। একটি মেয়ে হয়ে সে একটি ছেলের পিছু এইভাবে দৌড়াচ্ছে! আমাদের সমাজে এটা যায় না। সুন্দরী একটি মেয়ে এভাবে রাস্তায় দৌড়াবে! কেউ কল্পনাই করতে পারছে না। রাস্তায় রিকশার জ্যাম। মানুষজনের ভিড়। প্রচুর শব্দ। তাজনিয়া মতিকে হারিয়ে ফেলেছে। তাজনিয়া দু-এক জনকে জিজ্ঞাসা করল, ‘কাউকে এদিকে দৌড়ে আসতে দেখেছেন?’ কিন্তু কেউ বলতে পারল না। তাজনিয়া আর মতিকে খুঁজে পায় না। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করার পর হতাশ হয়ে সে একটা রিকশা নিয়ে চলে যায়। ৫-১০ মিনিট পর মতি বের হয়ে আসে। তাকে খুশি খুশি লাগছে। আজ দিনটা খুব ভালোই কাটবে। মতি রাস্তা পার হয়ে আসে। সামনের দিকে হাটতে থাকে। পিছন থেকে কে যেন তার কোমরের প্যান্ট শক্ত করে ধরে।  মতি: ‘কে রে?’ বলেই পেছনে ঘুরে দেখে পুলিশ। ইন্সপেক্টর সোহেল। মতিকে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করে। ইন্সপেক্টর: তোর নাম কী? মতি: স্যার, মতি। ইন্সপেক্টর: মতি হিরোইনচি। তা তুই মেয়েটার ফুল নিয়ে দৌড় দিলি ক্যান? মতি: স্যার, এমনি। ইন্সপেক্টর: যদি মাইর খেতে না চাস তাহলে সত্যি করে বল? তুই মেয়েটাকে চিনিস? মতি: না, স্যার। চিনি না। ইন্সপেক্টর: চিনিস না তাহলে ফুল নিয়ে দৌড় দিলি ক্যান? মতি চুপ করে আছে। কোনো কথা বলছে না। ইন্সপেক্টর সজোরে একটি চড় দিয়ে জিগ্যেস করছে, কী কথা বলছিস না ক্যান?   মতি: স্যার মেয়েটি প্রায় এখানে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। একদিন ঠিক করলাম ওর ফুল নিয়ে পালিয়ে যাব। কিন্তু মেয়েটি যে আমার পিছু দৌড় দেবে, তা আমি ভাবতেই পারিনি। স্যার কী যে ভয় পাইছিলাম! যদি ধরা পড়তাম তাহলে কী একটা কেলেঙ্কারি হয়ে যাইত। একটা মেয়ের সাথে দৌড়ে পারলাম না? তাছাড়া ধরা পড়লে একটা মেয়ের হাতে মাইর খাইতাম আর পাবলিক তো আছেই। একটা মেয়ের হাতে মাইর খাওয়ার চেয়ে বড় লজ্জা এ পৃথিবীতে আর কী আছে! তার চেয়ে পুলিশের হাতে ধরা খাইলে এত লজ্জা নেই। ইন্সপেক্টর: কী বললি তুই? (বেধম মাইর) সত্যি করে বল? ইন্সপেক্টর সোহেল ফুলটা হাতে নিয়ে গন্ধ শোকে। গোলাপ ফুলটায় সে একটা অসঙ্গতি খেয়াল করে। গোলাপের পাপড়িগুলো এলোমেলোভাবে আছে। মনে হচ্ছে কেউ হাত দিয়ে পাপড়ি গুলো সাজিয়েছে বা জোড়া লাগিয়েছে। জোড়া লাগিয়ে কলির মতো করে বানিয়েছে। এটা কোনোমতেই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি হতে পারে না। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিতে কোনো ভুল থাকে না। মানুষের ভুল থাকে। ইন্সপেক্টর সোহেল ফুলটার কয়েকটা পাপড়ি খুলে। আর লক্ষ্য করে পাপড়িগুলো আলগা। সামান্য আঁঠা দিয়ে পাপড়িগুলো লাগানো হয়েছে। এক এক করে সব গুলো পাপড়ি খুলে ফেলে সোহেল। শেষে ফুলের ভেতর থেকে ছোট্ট একটি প্যাকেট বের হয়ে আসে। প্যাকেটে সাদা পাউডার। প্যাকেটি খুলে ইন্সপেক্টর সোহেল সামান্য একটু পাউডার মুখে দিতেই সে বুঝে যায় এটা হেরোইনের পেকেট। এখানে ১৫ থেকে ২০ গ্রামের মতো হেরোইন রয়েছে। এবার ইন্সপেক্টর সোহেল মতির দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকায়। আবার চড়-থাপ্পর দেয়। ইনিস্পেক্টর: এটা কী? বল এটা কী? মতি প্যাকেট দেখে অবাক হয়, বুঝতে পারে এটা হেরোইন। কান্না গলায় উত্তর দেয়। মতি: স্যার, আমি জানি না। সত্যি বলছি, স্যার। ইন্সপেক্টর মতিকে মারতে থাকে। বল? একজন হেরোইনচিই জানে আর একজন হেরোইনখোরের খবর। বুঝছি এত অল্প মাইরে তুই বলবি না। সেন্ট্রি আঙুল কাটার যন্ত্রটা নিয়ে আসো তো? মতি এবার ভীষণ ভয় পেয়ে যাবে এবং সব স্বীকার করবে। মতি: বলছি স্যার, বলছি। স্যার মেয়েটি প্রায় দিনই ফুল হাতে কোথা থেকে যেন আসে। আর রিকশা নিয়ে চলে যায়। একদিন আমি তাকে প্রথম থেকে ফলো করলাম। দেখলাম সে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পেছন থেকে ৮০০ টাকা দিয়ে দুইটা ফুল কিনল। কিন্তু দুইটা ফুলের দাম কখনই ৮০০ টাকা হতে পারে না। তাই আমি প্ল্যান করলাম একদিন ওই ফুলটা নিয়ে পালিয়ে যাব এবং দেখব এর ভিতরে কী আছে। ইন্সপেক্টর: তুই নিশ্চিত ছিলি এর ভেতরে হেরোইন আছে। তাই না? মতি চুপ করে থাকে। ইন্সপেক্টর: মেয়েটা কোথায় থাকে, তুই জানিস? মতি হঠাৎ পুলিশের পা জড়িয়ে ধরে বলে, স্যার আমারে ছাইড়া দ্যান? ইন্সপেক্টর : না তোকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না, তোর চিকিৎসা দরকার। কিছুদিন জেলহাজতে থাক। সেটাই হবে তোর জন্য রিহ্যাব।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের নতুন পরিচালক আফসানা বেগম
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক আফসানা বেগম। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আইন, ১৯৯৫ এর ধারা-১০ (২) অনুযায়ী আফসানা বেগমকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে আগামী ২ বছরের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
‘রক্তাক্ত জুলাই’ নিয়ে কবি পলিয়ার ওয়াহিদের একগুচ্ছ কবিতা
গুলি ও গাদ্দার - ১ আপনি এখনও ঘুমাচ্ছেন কীভাবে খাচ্ছেন ভাত? অস্থির আতঙ্কে জাগে ভোর ঘুমাতে পারে না রাত। কে করেছে কাকে গুলি উড়ে গেছে কার খুলি? বেহায়া অসুরে গান গায় সময় মেটাবে তার দায়। ২৫ জুলাই ২০২৪ গুলি ও গাদ্দার - ২ দূরে-বহু দূরে জেগে থাকা তারার আসন জানে তারা জেগে থাকা আনন্দ-নির্জন ঘুমাতে পারি না আমি, হে শহিদ বীর নরম বালিশে গেঁথে যায় রক্তমাখা তীর। দূরে, খুব কাছে-দূরে রক্তের জীবিত বনাঞ্চল  খেয়ে যায় কুড়ে কুড়ে আমাদের ইতিহাস, অমূল্য চঞ্চল। ২৬ জুলাই ২০২৪ গুলি ও গাদ্দার - ৩ কতকাল ঘুমহীন যেন এই রাত আমাকে চিবিয়ে খায় রক্তমাখা ভাত পাশাপাশি শহীদেরা জাগ্রত ঘুমায় খুনির পাহারা চলে কেমন সময়! স্বজনের গল্পে যারা-শুনিয়েছে মায়াকান্না দিন পাড়া-মহল্লায় ছড়ানো-ছিটানো ক্ষমতার নুন তাদের ইন্দনে চলে নিরাপদ খুন মিছিল নামছে দিকে দিকে, ছাত্রদের বিজয়ী কফিন। ২৭ জুলাই ২০২৪