• ঢাকা রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
বিদ্রোহী কবির নাতি কাজী অনির্বাণ মারা গেছেন
‘আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ প্রদান
শিক্ষাবিদ, লেখক ও গ্রগতিশীল চিন্তক আবু খালেদ পাঠানের স্মরণে প্রবর্তিত ‘আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ পেয়েছেন কবি কফিল আহমেদ ও আফরোজা সোমা।  শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন’ প্রবর্তিত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে নগদ ২৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও প্রশংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।   অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও চিন্তক আবুল কাসেম ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ফারুক মাহমুদ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) ও কবি এম সানাউল হক, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক কাজল রশীদ শাহীন, শিক্ষক বীরেন্দ্র কিশোর রায় (বিকে রায়)। আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন নায়লা ইয়াসমিন।   অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুরস্কার প্রদান কমিটির আহ্বায়ক ও লেখক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ। বক্তব্য রাখেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক আহমেদ উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কাশেম, কবি আবুল এহসান অপু, কবি সৈয়দ এনাম উল আজিম ও কবি সদরুল উলা। অনুষ্ঠানে সঙ্গিত পরিবেশন করেন আব্দুর রশীদ ও  কফিল আহমেদ। উল্লেখ্য, কবি ও সংগীতশিল্পী কফিল আহমেদের জন্ম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায়। তিনি মূলত লিটল ম্যাগাজিনকেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চায় মনোযোগী ছিলেন। আর আফরোজা সোমার জন্ম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। সোমা সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি পেশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।   আরটিভি/টি
কবি জিয়া হকের ছড়া ‘বৃষ্টি’
শৈল্পিক হুমায়ুনের গল্প ‘বিষ গোলাপ’
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের নতুন পরিচালক আফসানা বেগম
‘রক্তাক্ত জুলাই’ নিয়ে কবি পলিয়ার ওয়াহিদের একগুচ্ছ কবিতা
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হলেন সৈয়দ জামিল আহমেদ
  বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাচ্ছেন নন্দিত নাট্যজন সৈয়দ জামিল আহমেদ।  সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব এ টি এম শফিকুল আলম সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সৈয়দ জামিল আহমেদ একাধারে পণ্ডিত, নাট্য পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড মিউজিক বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তার উল্লেখযোগ্য থিয়েটার প্রযোজনার মধ্যে রয়েছে কমলা রানীর সাগর দীঘি (১৯৯৭), এক হাজার আর এক থি রাত (১৯৯৮), বেহুলার ভাসান (২০০৪), পাহিয়ে (২০০৬) এবং সং ভং চং (২০০৬)। তিনি কলকাতার নান্দীকার ন্যাশনাল থিয়েটার অ্যাওয়ার্ড, ভারতের ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা (এনএসডি)-এর বিভি কারান্থ পুরস্কার এবং বাংলাদেশে শিল্পকলা পদক জিতেছেন।
বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম
বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. মোহাম্মদ আজম। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপ্রতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ ইব্রাহীম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে। নিয়োগ বিষয়ে ড. মোহাম্মদ আজমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। মোহাম্মদ আজমের জন্ম ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট নোয়াখালীর হাতিয়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বাংলা ভাষার উপনিবেশায়ন ও বিউপনিবেশায়ন নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। আগ্রহের বিষয় সাহিত্য, নন্দনতত্ত্ব, ইতিহাস, রাজনীতি ও সংস্কৃতি অধ্যয়ন। ড. মোহাম্মদ আজমের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘বাংলা ও প্রমিত বাংলা সমাচার’, সম্পাদিত গ্রন্থ ‘নির্বাচিত কবিতা: সৈয়দ আলী আহসান’, ‘কবি ও কবিতার সন্ধানে’।
মারা গেছেন শিশুসাহিত্যিক আশরাফুল আলম পিনটু
সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক ও ছড়াকার আশরাফুল আলম পিনটু মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ভোরে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর বিষয়ট নিশ্চিত করেছেন ঢাকা সাব-এডিটর কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি মামুন ফরাজী। আশরাফুল আলম পিনটুর জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৫ মার্চ বরেন্দ্রভূমির নানাবাড়ি কাদিপুরে। তার দাদাবাড়ি তালপুকুর ও বাবার বাড়ি রাজশাহী শহরের শালবাগান। ১৯৭৬ সাল থেকে লেখালেখি শুরু করেন পিনটু। দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। ছোটো-বড় সবার জন্যই লিখেছেন। লিখেছেন গল্প, উপন্যাস, ছড়া, কবিতা ও কলাম। বড়দের জন্য প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৫টি। ছোটোদের জন্য ছড়ার বই ‘তালপাতার বাঁশি’, গল্পের বই ‘শশানতলির সার্কাস’, উপন্যাস ‘টুপিন ভাই জিন্দাবাদ’, ‘দাদুর বেড়াল’। শৈশববিষয়ক বই ‘রূপকথা নয় চুপকথা’। লেখালেখির পাশাপাশি চাকরি করতে দৈনিক যুগান্তরে।
আজ কবি শহীদ কাদরীর প্রয়াণ দিবস
  ‘রাষ্ট্রপ্রধান কি মেনে নেবেন আমার প্রস্তাবগুলো?/পররাষ্ট্রনীতির বদলে প্রেম, মন্ত্রীর বদলে কবি/মাইক্রোফোনের বদলে বিহ্বল বকুলের ঘ্রাণ?’ কবি শহীদ কাদরীর ‘রাষ্ট্রপ্রধান কি মেনে নেবেন’ কবিতার কয়েকটি লাইন। কী সাংঘাতিক প্রস্তাব! কোনো নাগরিক কবির রাষ্ট্রের কাছে এই প্রস্তাব কেন? হয়তো কবির কাছে পররাষ্ট্রনীতির চেয়ে মানবিকতা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। একজন তথাকথিত মন্ত্রীর চেয়ে কবির গুরুত্ব বেশি। কবির কাছে মাইক্রোফোনের মিথ্যা কথামালার চেয়ে বকুলের ঘ্রাণ বেশি প্রতিশ্রুতিময়। পাঠককে ভাবনা ও বোধের গভীরে নিয়ে যাওয়া বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি শহীদ কাদরীর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা কবি ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট নিউইয়র্কের নর্থ শোর বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।   ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট কলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন কবি শহীদ কাদরী। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার কবিতা প্রথম ছাপা হয় কবি বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত একটি সংকলনে। কলকাতায় জন্ম হলেও দেশভাগের পরপরই ঢাকায় চলে আসেন শহীদ কাদরী। প্রায় তিন দশক এ শহরে অবস্থানের পর নাগরিক এই কবি পাড়ি জমান বিদেশে। বার্লিন, লন্ডন, বোস্টন ঘুরে থিতু হন নিউইয়র্কে। শহীদ কাদরীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘উত্তরাধিকার’ প্রকাশ পায় ১৯৬৭ সালে। এটি প্রকাশের মধ্যদিয়েই তিনি আধুনিক কবিতায় নিজস্ব অবস্থান সৃষ্টি করেন। এরপর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘তামাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’ দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে প্রকাশ পায় ‘ প্রেম বিরহ ভালোবাসার কবিতা ’, ‘কোথাও কোন ক্রন্দন নেই’ এবং প্রবাসে লেখা কবিতা নিয়ে প্রকাশ পায় ‘আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দিও।’ শহীদ কাদরীর প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা চারটি এবং এই গ্রন্থে সন্নিবেশিত কবিতার সংখ্যা ১২২টি। পরবর্তীতে তিনি আরও চারটি কবিতা লিখেন যার তিনটি ছাপা হয় কালি ও কলম সাহত্যি পত্রিকায় আর একটি প্রথম আলো ঈদ সংখ্যায়। সব মিলিয়ে তার কবিতা সংখ্যা ১২৬টি।কাব্যসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য শহীদ কাদরী ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ২০১১ সালে তাকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক প্রদান করা হয়।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ ৪ সেপ্টেম্বর, স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য গীতিকার, প্রযোজক, পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২২ সালের এই দিনে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।  গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বেতার, টেলিভিশন, সিনেমাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার গান রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তার লেখা কালজয়ী গানও অসংখ্য। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ বাংলা গানের মধ্যে তিনটি গানের রচয়িতা গুণী এই গীতিকবি। গানগুলো হচ্ছে  ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল’ ও ‘একবার যেতে দে না’।  তিনি ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। ১৯৬৫ সাল থেকে যুক্ত হন চলচ্চিত্রে। লিখতে শুরু করেন কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। তার লেখা কিছু কালজয়ী গান হলো- ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’, ‘ইশারায় শীষ দিয়ে’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে’ প্রভৃতি। গাজী মাজহারুল আনোয়ার ২০০২ সালে একুশে পদক এবং ২০২১ সালে সংস্কৃতিতে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি স্বাধীন দেশের সর্বপ্রথম পুরস্কার বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একাধিকবার বাচসাস পুরস্কার, বিজেএমই অ্যাওয়ার্ড, ডেইলি স্টার কর্তৃক লাইফ টাইম অ্যাওয়ার্ডসহ তার অর্জিত পুরস্কারের সংখ্যা ১১০।  
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস আজ
আজ ১২ ভাদ্র। প্রেম, সাম্য ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম প্রয়াণদিবস। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পিজি) হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।  জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীতজগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল এবং আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে। ১৮৯৯ সালের ২৪ মে, (বাংলা ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬) ব্রিটিশ ভারতবর্ষের বাংলা প্রেসিডেন্সির চুরুলিয়া গ্রামে (বর্তমান ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া ব্লকের চুরুলিয়া গ্রাম) জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাল্যকালে তিনি ‘দুখু মিয়া’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। তার পিতা ফকির আহমদ ও মা জাহেদা খাতুন।  কবি কাজী নজরুল ইসলাম মাত্র ২৩ বছর সাহিত্যকর্মে মনোনিবেশ করতে পেরেছিলেন। এই অল্প সময়েই তিনি বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন। তার কবিতা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে মানুষকে যুগ যুগ ধরে উজ্জীবিত করেছে। অপরদিকে তার কবিতায় ফুটে উঠেছে প্রেম ও সাম্য। তাকে বলা হয় ‘চিরপ্রেমের কবি।’ নজরুল নিজেই বলেছেন, ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতূর্য।’  ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭২ সালের ২৪ মে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এ ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কবির বাকি জীবন বাংলাদেশেই কাটে। ১৯৭৬ সালে নজরুলকে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদানের সরকারি আদেশ জারি করা হয়।
আজ বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জন্মদিন
বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের আজ ১০০তম জন্মদিন। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট বাংলাদেশের নড়াইলের মাসিমদিয়া গ্রামে মেছের আলী ও মাজু বিবি দম্পতির ঘরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নড়াইলবাসীর কাছে ‘লাল মিয়া’ হিসেবেও বেশ পরিচিত তিনি। চিত্রকর্মের স্বকীয়তা দিয়ে ‘লাল মিয়া’ থেকে হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তিনি ‘মাটি ও মানুষের শিল্পী’ হিসেবেও পরিচিতি। এ বছর (২০২৪) বর্ণাঢ্য আয়োজনে সুলতানের জন্মশতবর্ষ পালনে সুলতানপ্রেমীরা নড়াইলে প্রস্তুতি নিলেও দেশে চলমান পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। শুধুমাত্র কোরআন খতম এবং সুলতানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে পালিত হবে সুলতানের জন্মদিন। উল্লেখ্য, বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান তার কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৮২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন।  অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রিয় জন্মভূমি নড়াইলের কুড়িগ্রাম এলাকায় সংগ্রহশালা চত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন এসএম সুলতান।