• ঢাকা শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা বাংলা একাডেমিতে
দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজের বিখ্যাত ৫ কবিতা
নিষিদ্ধ সম্পাদকীয় এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় মিছিলের সব হাত কণ্ঠ পা এক নয় । সেখানে সংসারী থাকে, সংসার বিরাগী থাকে, কেউ আসে রাজপথে সাজাতে সংসার । কেউ আসে জ্বালিয়ে বা জ্বালাতে সংসার শাশ্বত শান্তির যারা তারাও যুদ্ধে আসে অবশ্য আসতে হয় মাঝে মধ্যে অস্তিত্বের প্রগাঢ় আহ্বানে, কেউ আবার যুদ্ধবাজ হয়ে যায় মোহরের প্রিয় প্রলোভনে কোনো কোনো প্রেম আছে প্রেমিককে খুনী হতে হয় । যদি কেউ ভালোবেসে খুনী হতে চান তাই হয়ে যান উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায় । এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় ।   ফেরীঅলা কষ্ট নেবে কষ্ট হরেক রকম কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট! লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট পাথর চাপা সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট, আলোর মাঝে কালোর কষ্ট ‘মালটি-কালার’ কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট। ঘরের কষ্ট পরেরর কষ্ট পাখি এবং পাতার কষ্ট দাড়ির কষ্ট চোখের বুকের নখের কষ্ট, একটি মানুষ খুব নীরবে নষ্ট হবার কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট। প্রেমের কষ্ট ঘৃণার কষ্ট নদী এবং নারীর কষ্ট অনাদর ও অবহেলার তুমুল কষ্ট, ভুল রমণী ভালোবাসার ভুল নেতাদের জনসভার হাইড্রোজনে দুইটি জোকার নষ্ট হবার কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট। দিনের কষ্ট রাতের কষ্ট পথের এবং পায়ের কষ্ট অসাধারণ করুণ চারু কষ্ট ফেরীঅলার কষ্ট কষ্ট নেবে কষ্ট। আর কে দেবে আমি ছাড়া আসল শোভন কষ্ট, কার পুড়েছে জন্ম থেকে কপাল এমন আমার মত ক’জনের আর সব হয়েছে নষ্ট, আর কে দেবে আমার মতো হৃষ্টপুষ্ট কষ্ট।   প্রস্থান এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো৷ এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো৷ ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো৷ কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে পত্র দিয়ো, পত্র দিয়ো৷ আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেয়ো, আপত্তি নেই৷ গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে? আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি, নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়? এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে, এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে!   অমিমাংসিত সন্ধি তোমাকে শুধু তোমাকে চাই, পাবো পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো। ইচ্ছে হলে দেখতে দিয়ো, দেখো হাত বাড়িয়ে হাত চেয়েছি রাখতে দিয়ো, রেখো। অপূর্ণতায় নষ্টে-কষ্টে গেলো এতোটা কাল, আজকে যদি মাতাল জোয়ার এলো এসো দু’জন প্লাবিত হই প্রেমে নিরাভরণ সখ্য হবে যুগল-স্নানে নেমে। থাকবো ব্যাকুল শর্তবিহীন নত পরস্পরের বুকের কাছে মুগ্ধ অভিভূত।   মানবানল আগুন আর কতোটুকু পোড়ে ? সীমাবদ্ধ ক্ষয় তার সীমিত বিনাশ, মানুষের মতো আর অতো নয় আগুনের সোনালি সন্ত্রাস। আগুন পোড়ালে তবু কিছু রাখে কিছু থাকে, হোক না তা শ্যামল রঙ ছাই, মানুষে পোড়ালে আর কিছুই রাখে না কিচ্ছু থাকে না, খাঁ খাঁ বিরান, আমার কিছু নাই। আরটিভি/এআর
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা শুরু মঙ্গলবার
গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশের নতুন কমিটি
মুহাম্মদ (সা.) স্মরণে সমধারার আয়োজন ‘নবিজি’ 
ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন আরটিভির রুবেলসহ ২৫ সাংবাদিক
সুন্দর কিছু দিয়ে প্রতিটা মিনিট এই পৃথিবীকে উপহার দাও: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, তোমরা সবাই বড় হও। নানান দিকে বিকশিত হও। চারিদিকে তোমাদের আলোর ঝরণাধারা ছড়িয়ে পড়ুক। জীবনকে মূল্যবান ভেবো। প্রতিটা মিনিট এই পৃথিবীকে উপহার দাও, বড় কিছু দিয়ে, সুন্দর কিছু দিয়ে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলোর ইশকুল কার্যক্রমের পাঁচ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে পাঠক সদস্যদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি। এ উপলক্ষে বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশিত হয়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। পাঠচক্র সদস্যদের স্মৃতিচারণ, কবিতা পাঠ, গান, নাচ, পুঁথি পাঠ, নাটিকাসহ নানা আয়োজনে বর্ণিল হয়ে ওঠে পাঁচ বছর পূর্তি উৎসব। এই উদযাপানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রকাশিত হয় স্মৃতি ও সৃজন নামের বিশেষ স্মরণিকা, সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন রুখসানা মিলি, প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করেন মুহিব নেসার। এ উৎসবের আহ্বায়ক ছিলেন মো. সাকিব চৌধুরী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন অদ্রিকা এষণা পূর্বাশা। ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর ফ্রানজ কাফকার বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস মেটামরফোসিস পাঠের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই বিশেষায়িত পাঠচক্র। পাঁচ বছরের পরিক্রমায় বাংলা সাহিত্য ও বিশ্বসাহিত্যের দেড়শোর বেশি বই দলগতভাবে পাঠ ও আলোচনা করা হয় এ পাঠচক্রে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লিও তলস্তয়, জ্যঁ পল সার্ত্র, জ্যাক লন্ডন, ম্যাক্সিম গোর্কি, হেনরিক ইবসেন, জ্যঁ জিরাদু, নিকোলাই গোগল, ক্লাইভ বেল, আন্তন শেখভ, ফিওদর দস্তয়ভস্কি, জর্জ বার্নাড শ, ইউজিন ও নীল, ভলতেয়ার, লর্ড মেকলে, জোনাথন সুইফট, ইউভাল নোয়াহ হারারি, আলবেয়ার কাম্যু ও মিগেল দে সেরভানতেসের মতো বিশ্বনন্দিত সাহিত্যিক ও চিন্তকদের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলো ছিল এই পাঠচক্রের পাঠ্য তালিকায়। চিরন্তর ও সমকালীন বাংলা সাহিত্য থেকে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রমথ চৌধুরী, জসীমউদ্‌দীন, বেগম রোকেয়া, নিরঞ্জন মজুমদার, অন্নদাশংকর রায়, মৈত্রেয়ী দেবী, জাহানারা ইমাম, সরদার ফজলুল করিম, আহমদ ছফা, শংকর, প্রবোধকুমার সান্যাল, সাগরময় ঘোষ রচিত নির্বাচিত বইও পড়েছেন পাঠচক্রের সদস্যরা। নিয়মিত বই পড়ার পাশাপাশি এই পাঠচক্রের সদস্যরা একসঙ্গে ভ্রমণ, মঞ্চ নাটক দেখা, গাছ-ফুল- নিসর্গ পরিচিতি, রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী, বিভিন্ন প্রতিবাদে অংশগ্রহণও করে। সমাজের যেখানে যার অবস্থান সেখান থেকেই নিজেদের আরও একটু উন্নততর মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে পাঠচক্রের সদস্যদের এ একত্রিত পথচলা। আরটিভি/এমএ-টি
বর্ণাঢ্য আয়োজনে কবি রেজাউদ্দিন স্টালিনের জন্মদিন উদযাপন
বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের বরেণ্য কবি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রেজাউদ্দিন স্টালিনের জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে।  শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পরীবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে তার জন্মদিন উদযাপন করা হয়। এ সময় বন্ধু, সুহৃদ ও ভক্তদের শুভেচ্ছায় তিনি সিক্ত হন। অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি, জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক মোহন রায়হান, প্রকাশনা সংস্থা বর্ণমালার কর্ণধার মামুন অর রশিদ, প্রকাশনা সংস্থা শেকড় এর স্বত্তাধিকারী মিজানুর রহমান সর্দার মিলন, কবি এবিএম সোহেল রশিদ, অর্থনীতিবিদ নুরুজ্জামান মাসুদ, বিপণন ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আলমগীর প্রমুখ তাকে শুভেচ্ছা জানান।  এ সময় স্টালিনকে সাংগঠনিকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় জাতীয় কবিতা পরিষদ, শব্দকুঠির পরিবার, প্রিয়জন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংস্থা ও জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ।  পরে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, রেজাউদ্দিন স্টালিনের কবিতা সবচেয়ে বেশি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। কালের গহ্বরে অনেকে হারিয়ে গেলেও রেজাউদ্দিন স্টালিন হারিয়ে যাননি। অর্থনীতির ছাত্র হয়েও তিনি অর্মত্য সেনের মতো কবিতা চর্চা করেছেন।  তারা আরও বলেন, গণমানুষের পক্ষে স্টালিন আরও বেশি লিখবেন এটাই প্রত্যাশা করছি। তিনি দীর্ঘদিন লিখছেন। কবিতার মধ্য দিয়েই স্টালিন বেঁচে থাকবেন আজীবন। কবি ছাড়াও ব্যক্তিজীবনে স্টালিন অসাধারণ একজন মানুষ। তিনি পরোপকারী।   এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতিমান আবৃত্তিকার ও সংগীতশিল্পীরা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করেন। প্রসঙ্গত, রেজাউদ্দিন স্টালিন ১৯৬২ সালের ২২ নভেম্বর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কবিতায় অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। আরটিভি/আইএম
চট্টগ্রামে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের দিনব্যাপী কবিতা উৎসব ২২ নভেম্বর
‘চট্টগ্রাম কবিতার শহর’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাচিক শিল্প চর্চা কেন্দ্র ‘তারুণ্যের উচ্ছ্বাস’-এর উদ্যোগে অষ্টমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘কবিতা উৎসব-২০২৪।’ চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ইস্পাহানী টি লিমিটেড নিবেদিত দিনব্যাপী এ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও ভাষাবিজ্ঞানী ড. মাহবুবুল হকের স্মৃতির প্রতি। সংগঠনটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে,  শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় কবিতা উৎসব উদ্বোধন করবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। উদ্বোধনী আয়োজনে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস সভাপতি ভাগ্যধন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অতিথি থাকবেন চিটাগাং জুট ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার সাহাবুদ্দীন আহমেদ, দেশের বরেণ্য আবৃত্তিকার অঞ্চল চৌধুরী, নাট্যজন ও সংগঠক স্বপন মজুমদার, সংস্কৃতিজন ডা. আলী আসগর চৌধুরী, সংস্কৃতিজন ও সংগঠক ডা. এস এম সারওয়ার আলম, সাংস্কৃতিক সংগঠক সজল চৌধুরী প্রমুখ।  সকালের আয়োজনে আবৃত্তি, কবিতা ও ছড়াপাঠ পরিবেশন করবেন দেশের বরণ্যে আবৃত্তিশিল্পী, কবি ও ছড়াকাররা। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় শতাধিক শিশুশিল্পীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে ‘শিশু প্রহর’। এতে শিশুদের কণ্ঠে থাকবে একক ও বৃন্দ পরিবেশনা। বৈকালিক আয়োজনের শুরুতে বিকেল ৩টায় রয়েছে কবিতার গান। বিকেল সাড়ে ৪টায় থাকবে ‘চট্টগ্রাম কবিতার শহর’ শিরোনামের কথামালা পর্ব। এ পর্বে অতিথি থাকবেন কবি ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবদুল মালেক (কবি মালেক মুস্তাকিম) এবং সম্মিলিত আবৃত্তি জোট চট্টগ্রাম-এর সভাপতি ফারুক তাহের। উৎসবে সন্ধ্যায় আবৃত্তি করবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমন্ত্রিত শিল্পীরা এবং কবিতা ও ছড়াপাঠে থাকবেন চট্টগ্রামে বসবাসরত দেশের নন্দিত কবি ও ছড়াকাররা।
কবি রেজাউদ্দিন স্টালিনের জন্মদিন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুক্রবার 
দেশের বরেণ্য কবি ও  মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রেজাউদ্দিন স্টালিনের জন্মদিন উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।  শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় পরীবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান শুরু হবে। পারফর্মিং আর্ট সেন্টার, অন্যধারা, মনন সাহিত্য আসর, কণ্ঠস্বর প্রকাশনী, প্রতিবিম্ব প্রকাশ, মহাকাল এবং শব্দকুঠি সাহিত্য অঙ্গনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বারডেম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নির্বাহী প্রধান প্রফেসর ডা. এম এ রশীদ, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট লেখক ও রাজনীতিবিদ রুহুল কবির রিজভী। এ ছাড়া আরও থাকবেন সাবেক সংসদ সদস্য কবি নূরুল ইসলাম মণি, প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান, বিপণন ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আলমগীর, শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর, কবি মতিন বৈরাগী, ড. মাহবুব হাসান, কবি মোহন রায়হান, কবি মনজুরুর রহমান, নজরুল গবেষক ও সচিব এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়াহিদা বানু, ডাইনামিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল হাসান, যশোর সমিতির মহাসচিব কথাশিল্পী মো. লুৎফর রহমান ও কবি আমিনুল ইসলাম। জন্মবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানে আবৃত্তি ও সঙ্গীতে অংশ নেবেন দেশের খ্যাতিমান আবৃত্তিকার ও শিল্পীরা।    আরটিভি/টিআই
গবেষণা-প্রবন্ধ রচনায় মাসে ৩০ হাজার টাকা বৃত্তি দেবে বাংলা একাডেমি
গবেষণা-প্রবন্ধ রচনায় মাসিক ২০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকা হারে এক বছর বৃত্তি দেবে বাংলা একাডেমি।  এক বছর এ বৃত্তি পাবেন ৫০ জন প্রাবন্ধিক ও ১০ জন গবেষকক। আগ্রহী প্রার্থীরা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সরাসরি অথবা ইমেইলে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে পারবেন। গবেষণা-প্রবন্ধ বৃত্তি গবেষণা-প্রবন্ধ রচনার জন্য ৫০ জন প্রাবন্ধিকের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করা হবে–  বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেক প্রাবন্ধিকের জন্য একজন প্রবন্ধ-তত্ত্বাবধায়ক ও একজন সম্পাদক (কপি এডিটর) নিযুক্ত থাকবেন;  বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিককে অনুমোদনের ৩ মাসের মধ্যে প্রবন্ধ চূড়ান্ত করতে হবে; এক বছর মেয়াদি গবেষণা-বৃত্তি বিষয়ভিত্তিক গবেষণা সম্পাদনার জন্য ১০ জন গবেষকের প্রত্যেককে মাসিক ৩০ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হবে–  বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেক গবেষকের জন্য গবেষণাকালীন একজন গবেষণা-তত্ত্বাবধায়ক থাকবেন;  গবেষণা-বৃত্তিপ্রাপ্ত গবেষককে গবেষণাকালীন ১টি গবেষণা-প্রবন্ধ প্রকাশ করতে হবে; শর্তাবলি আবেদনকারীর যোগ্যতা, বয়স, লিঙ্গ ও গবেষণার বিষয় উন্মুক্ত; প্রবন্ধ ও গবেষণা বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করতে হবে; সব ধরনের সম্মানি থেকে বিধি অনুযায়ী আয়কর কেটে নেয়া হবে; যেভাবে আবেদন করতে হবে ই-মেইল/ডাক/কুরিয়ার/সরাসরি আবেদনপত্রসহ প্রস্তাব জমা দেয়া যাবে; এক বছর মেয়াদি গবেষণা-বৃত্তির ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির প্রদত্ত ছক অনুযায়ী আবেদন করতে হবে; গবেষণা-প্রবন্ধের ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে সারসংক্ষেপ ও পদ্ধতির বিস্তারিত উল্লেখ থাকতে হবে; আবেদনের ঠিকানা আবেদনপত্র উপপরিচালক, গবেষণা উপবিভাগ, বাংলা একাডেমি, ঢাকা ১০০০ বরাবর জমা দিতে পারবেন। অথবা, [email protected] ঠিকানায় ই-মেইল করতে পারবেন; জমাদানের শেষ সময়: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪  
পুনর্গঠিত হলো কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ড
পুনর্গঠন করা হয়েছে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ড। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‌গণ-অভ্যুথানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৯ সেপ্টেম্বর ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছিল। দুজন সদস্যের পদত্যাগের কারণে এখন নতুন দুজন যুক্ত হয়েছেন। তারা হলেন, কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ ও নজরুল গবেষক মো. জেহাদ উদ্দিন। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন নজরুল সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক লীনা তাপসী খান।  পদাধিকার অনুযায়ী সদস্য হিসেবে আছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব-যুগ্মসচিব (সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগ প্রধান) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রতিনিধি। ট্রাস্টি বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী। পদাধিকার অনুযায়ী কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক সদস্য-সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। উল্লেখ্য, বোর্ডের সদস্য বেগম আকতার কামাল ও কবি আবদুল হাই শিকদার পদত্যাগ করায় নতুন করে দুজনকে যুক্ত করা হয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ডের মেয়াদ কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ এর ৬নং ধারা অনুযায়ী বলবৎ থাকবে। আরটিভি/এসএ
বিবিসি কালচারের জরিপে বছরের সেরা ১০ বই
সারা বিশ্বে বছরে প্রকাশনা সংস্থা ও ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় ৪০ লাখ বই প্রকাশিত হয়। গুগলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৪৪০ সালে সর্বপ্রথম মুদ্রণযন্ত্রে বই প্রকাশের পর ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি ৯৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮৮০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবছর প্রকাশিত লাখ লাখ বই থেকে বিবিসি কালচার বছরের সেরা ১২টি বইয়ের তালিকা করে। ওই প্রতিবেদন থেকে সেরা ১০টি বইয়ের কথা আলোচনা করা যাক। ১. সেলেডোনিয়ান রোড   স্কটিশ ঔপন্যাসিক অ্যান্ড্রু ও’হাগানের উপন্যাস ‘সেলেডোনিয়ান রোড’ বিবিসি কালচারের ২০২৪ সালের সেরা বইয়ের তালিকার শুরুতেই আছে। উপন্যাসটি এখন পর্যন্ত হাগানের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী উপন্যাস। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ৫২ বছর বয়সী লেখক ও শিক্ষাবিদ স্কট ক্যাম্পবেল ফ্লিন। উপন্যাসে লেখক ছোট একটি রাজপরিবার এবং রুশ অলিগারক (ক্ষমতাকাঠামোর একটি ধারণাগত রূপ, যেখানে ক্ষমতা অল্পসংখ্যক মানুষের হাতে থাকে) থেকে শুরু করে মানব পাচারকারী ও দুর্ধর্ষ শিল্পীর চরিত্রগুলো মুখোমুখি করিয়েছেন। ২. মাই হ্যাভেনলি ফেবারিট ডাচ লেখক লুকাস রিজনেভেল্ডের ‘মাই হ্যাভেনলি ফেবারিট’ বইটি তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। ‘মাই হ্যাভেনলি ফেবারিট’ উপন্যাসটি নেদারল্যান্ডসের একটি কৃষক সম্প্রদায় নিয়ে লেখা। উপন্যাসটির বর্ণনাকারী ৪৯ বছর বয়সী একজন পশুচিকিত্সক, যিনি ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। ৩. গ্রিন ডট এর পরের অবস্থনেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান লেখিকা মেডেলিন গ্রের প্রথম উপন্যাস ‘গ্রিন ডট’। উপন্যাসটি ২৪ বছর বয়সী হেরাকে নিয়ে লেখা। জীবনসংগ্রামে টিকে থাকতে হেরা একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে চাকরি নেন। চাকরির শুরুর দিকেই তিনি আর্থার নামের একজন বয়স্ক বিবাহিত সাংবাদিকের প্রেমে পড়ে যান। আর্থারের অসংখ্য মন্দ দিক থাকা সত্ত্বেও হেরা তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং নিজেকে সুখী ভাবতে শুরু করেন। ৪. দ্য স্লিপওয়াকারস সেরা বইয়ের তালিকার চার নম্বরে আছে যুক্তরাজ্যের লেখিকা স্কারলেট টমাসের উপন্যাস ‘দ্য স্লিপওয়াকারস’। এটি একটি অন্ধকার, প্রেম ও থ্রিলারধর্মী উপন্যাস। উপন্যাসটি একটি প্রত্যন্ত গ্রিক দ্বীপে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া এক দম্পতিকে নিয়ে লেখা। ওই দম্পতির নাটকীয় বিয়ে এবং একে অপরের কাছে নানা তথ্য গোপন রাখার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কারলেট টমাসের গল্প বলার ধরন বেশ সাহসী। ‘দ্য স্লিপওয়াকারস’ পাঠককে প্রতিমুহূর্তে বিস্মিত করবে।  ৫. ওয়াইল্ড হাউসেস আইরিশ–কানাডীয় লেখক কলিন ব্যারেট প্রথম উপন্যাস ‘ওয়াইল্ড হাউসেস’। আয়ারল্যান্ডের ছোট্ট একটি শহরের একটি মিষ্টি স্বভাবের কিশোর ডল। তার বড় ভাইয়ের অপরাধের প্রতিশোধ হিসেবে একটি স্থানীয় গ্যাং ডলকে অপহরণ করে। এসব নিয়েই উপন্যাসটি এগিয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ওয়াইল্ড হাউসেস’ একটি বৈদ্যুতিক থ্রিলার। এখানে আছে কৌতুকের নিপুণ ছোঁয়াও। ৬. চেঞ্জ তরুণ লেখক ও সমাজবিজ্ঞানী এডওয়ার্ড লুইয়ের আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ‘চেঞ্জ’। উপন্যাসটিতে সামাজিক শ্রেণি, রূপান্তর ও অতীতকে পেছনে ফেলে যাওয়ার বিপদ সম্পর্কে বিবরণ আছে। লুই শ্রমজীবী​শ্রেণির শহরে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও সহিংসতার বাইরে একটি জীবনকে তুলে ধরেছেন। বলা হচ্ছে যে, এ উপন্যাস লুইয়ের জীবনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট প্রতিকৃতি। ৭. প্যারাসল এগেইনস্ট দ্য অ্যাক্স নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখিকা হেলেন ওয়েমির নতুন উপন্যাস ‘প্যারাসল এগেইনস্ট দ্য অ্যাক্স’। উপন্যাসটি প্রাগ শহরের হিরো তোজোসোয়া নামের এক নারীকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে। উপন্যাসটি প্রচলিত আখ্যান ছেড়ে গল্পের মধ্যে বেশ কয়েকটি গল্পে পরিণত হয়েছে। এসব গল্পে প্রাগকে স্বপ্ন ও রহস্যের শহর হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। ৮. চয়েজ ভারতের নীল মুখার্জি থাকেন লন্ডনে। ইংরেজিতে লেখালেখি করেন। ‘চয়েজ’ তার বৈশ্বিক দারিদ্র্য থেকে জলবায়ু সংকটের সমসাময়িক উদ্বেগ নিয়ে লেখা উপন্যাস। এই উপন্যাসের মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য থেকে জলবায়ু সংকটে নীল মুখার্জি অর্থনীতি, জাতি, বরাদ্দ ও সমসাময়িক জীবনের জটিল নীতিশাস্ত্র সম্পর্কে আমাদের মৌলিক অনুমানের মুখোমুখি হয়েছেন। ৯. ভিকটিম মার্কিন মুলুকের লেখক অ্যান্ড্রু বোরগার উপন্যাস ‘ভিকটিম’। এতে উপন্যাসের নায়ক ও ব্রঙ্কস নেটিভ জাভি পেরেজের স্মৃতিকথা উপস্থাপিত হয়েছে, যিনি নিজের সুবিধার জন্য ট্র্যাজিক গল্প বলার খেলা খেলেন। একদিন গল্পের নায়ক জাভি জানতে পারেন, তার বাবা খুন হয়েছেন, মা একা সংগ্রাম করে যাচ্ছেন এবং সবচেয়ে কাছের বন্ধু একটি গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে বন্দী। এসব নিয়ে গল্পও তৈরি করছেন। ১০. ব্লেসিংস তালিকার ১০ নম্বরে আছে নাইজেরিয়ার লেখক চুকয়ুবুকা ইবেহর উপন্যাস ‘ব্লেসিংস’। এমন একটি সমাজ, যে সমাজে সমকামিতাকে অপরাধ, সমকামিতা প্রশ্নাতীত ও নিন্দা করা হয়। এ উপন্যাসে বর্তমান সমাজের লাজুক নায়ক ও বিফুনার জীবন সংগ্রামের গল্প বলা হয়েছে। বিফুনার বাবা রক্ষণশীল। সমকামিতা করতে গিয়ে বাবার হাতে ধরা পড়ে সে। পরে তাকে বাড়ি থেকে একটি কঠোর বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রথম প্রেমের কথা কিছুতেই ভুলতে পারে না ওবিফুনা। এসব নিয়ে এগিয়েছে এ উপন্যাস। সূত্র : বিবিসি