• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
গাজায় থামছেই না ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ৪৫ হাজার ছুঁই ছুঁই
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের
আসাদ সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট পরিস্থিতি সিরিয়ার পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আলোচনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলছে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করে নেওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জর্ডানে সিরিয়া ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক ও পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে সংলাপে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে তাদের কার্যক্রম এবং শাসন ব্যবস্থার বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, সিরিয়ার ক্ষমতায় বসা গোষ্ঠীটি একসময় আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাদেরকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে জর্ডানে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা। এতে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং নতুন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেন উপস্থিত আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তাদের লক্ষ্য, দেশটিতে একটি ঐক্যবদ্ধ এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করা। জর্ডানে অনুষ্ঠিত ওই সংলাপে সাংবাদিকদের ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা এইচটিএস এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা আমাদের নীতিগুলো জানিয়েছি, যা চলমান সহায়তার জন্য প্রযোজ্য। এই নীতিগুলো এখন অঞ্চলজুড়ে এবং এর বাইরেও গ্রহণ করা হয়েছে। সিরিয়ায় ক্ষমতা দখলকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা এমন সময়ে জানালেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যখন প্রায় ১২ বছর পর দামেস্কে কার্যক্রম শুরু করেছে তুরস্কের দূতাবাস। ২০১১ সালে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারের সহিংসতার জেরে দূতাবাসটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় তুরস্ক সরকার। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
এক বছরের পরিকল্পনায় বাশারের পতন ঘটাতে সক্ষম হন সিরিয়ার বিদ্রোহীরা
সিরিয়া নিয়ে এরদোয়ান-ব্লিংকেন বৈঠক
গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩০
অনির্দিষ্টকালের জন্য সিরিয়ায় রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করল আসাদের দল
গাজায় হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৮০০ ছাড়াল 
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ৮০০ ছাড়াল। এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।  বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ৮০৫ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৬ হাজার ২৫৭ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ১৯ জন নিহত এবং আরও ৬৯ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত  গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আরটিভি/একে
আসাদের বাবার সমাধিতে আগুন ধরিয়ে দিলো বিদ্রোহীরা
সিরিয়ার পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাবা হাফেজ আল আসাদের (সিরিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট) সমাধিতে আগুন দিয়েছেন বিদ্রোহীরা। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার উপকূলীয় লাতাকিয়ার কারদাহ এলাকাটি আসাদ পরিবারের পূর্বপুরুষের গ্রাম। সেখানেই ছিল হাফেজ আল আসাদের সমাধি। এই সমাধিস্থলে বিদ্রোহীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএফপির ফুটেজে দেখা গেছে, বিদ্রোহী যোদ্ধারা সামরিক পোশাক পরা অবস্থায় বিপ্লবের পতাকা হাতে নিয়ে সমাধিস্থলের পুড়ে যাওয়া অংশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। সেখানে একটি কফিনসহ সমাধির অংশগুলোকে জ্বলতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই কফিনটি হাফেজ আল আসাদের। যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বিদ্রোহীরা আসাদ পরিবারের এই সমাধি কমপ্লেক্সে আগুন ধরিয়েছে। এটি আলাউইত সম্প্রদায়ের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত লাতাকিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। দীর্ঘ স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মোহাম্মাদ আল-বশিরকে। তিনি আসাদ সরকারের পতনে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন। এক টেলিভিশন ভাষণে মোহাম্মাদ আল  বশির জানিয়েছেন, ১ মার্চ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আরটিভি/একে/এস
সিরিয়ায় আসাদের পতনে ইসরায়েল কীভাবে লাভবান হয়েছে?
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের পর থেকে ওই অঞ্চলে জোর সামরিক তৎপরতা শুরু করেছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যেই গোলান বাফার জোন ‘সাময়িকভাবে’ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পাশাপাশি সিরিয়াজুড়ে বিমান হামলাও চালিয়েছে তারা। সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি দল দামেস্কের ২৫ কিলোমিটার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তবে দামেস্ক অভিমুখে এগোনোর এ খবর নাকচ করে দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ঐতিহাসিক দিন বলে মন্তব্য করেন। অবশ্য তার বক্তব্যে সতর্কতার সুরও শোনা গেছে। তিনি বলেন, যারা ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিতে বাস করতে চায় সেই সিরীয়দের প্রতি শান্তির হাত বাড়িয়ে দেবে তার দেশ। নেতানিয়াহু বলেন, সিরিয়ার নতুন শক্তির সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ ও শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনই আমাদের ইচ্ছা। কিন্তু এটা না হলে ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষার স্বার্থে যা করার তাই করবো। আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের শাসনের অবসান আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতির জন্য কী বয়ে আনবে তা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দুজনই বাশার আল-আসাদের পতনের জন্য কৃতিত্ব দাবি করছেন। তারা ভূমিকা রেখেছেন ঠিকই, তবে তা যতটা না পরিকল্পনা অনুযায়ী তার চেয়ে বেশি ঘটনাচক্রে হয়েছে। তবে এর বিনিময়ে ইরানের সামরিক যোগাযোগ ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে ফেলার মতো অর্জন তাদের প্রাপ্তির খাতায় যোগ হতে পারে। সর্বশেষ পট পরিবর্তনের পর মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল আগের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাশার আল আসাদ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শক্তির জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হতো ইরান এবং হিজবুল্লাহকে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাস ইসরায়েলে হামলা করলে গাজা যুদ্ধের সূচনা হয়, যা লেবাননেও ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে আসাদের সহযোগী হিজবুল্লাহর ওপর। এই সংগঠনের নেতা হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হন। বছরব্যাপী লড়াইয়ের পর গত ২৭ নভেম্বর হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। সেদিনই বিস্ময়করভাবে হামলা করে দ্রুত আলেপ্পো দখল করে নেয় হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠী। এর ১২ দিনের মাথায় ক্ষমতা ও দেশ ছাড়তে হয় আসাদকে। ইরান এবং হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের জোরদার হামলার প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে আসাদের পতন ঘটেছে বলে দাবি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। তিনি বলেন, যারা এই শোষণ ও অত্যাচার থেকে নিজেদের মুক্ত করতে চেয়েছেন তাদের জন্য এটা একটা চেইন রিঅ্যাকশনের মতো কাজ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র ও নিরবচ্ছিন্ন সমর্থনের মাধ্যমে হিজবুল্লাহ এবং ইরানকে ব্যস্ত রেখেছিল ইসরায়েল। অন্যদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে আসাদকে রক্ষা করা তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু আসাদকে কেবলই ইরানবিরোধী কৌশলের অংশ হিসেবে মোকাবিলা করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল, যা থেকে স্পষ্ট, দিন কয়েক আগেও আসাদের পতন ঘটতে যাচ্ছে এমন বিশ্বাস ছিল না তাদের। সিরিয়া ইস্যুতে ইসরায়েলের লাভকে বিবেচনা করতে হবে তার আঞ্চলিক শত্রু ইরানের ক্ষতির মাপকাঠিতে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানই একমাত্র দেশ, যারা ইসরায়েলের অস্তিত্ব চ্যালেঞ্জ করতো। সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতি ইসরায়েলের জন্য অস্বস্তির বিষয় ছিল। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের একটি প্রক্সি নেটওয়ার্ক সক্রিয়। লেবাননে হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনে হুতি, ইরাকেও কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী ইরানের সহযোগী শক্তি হিসেবে তৎপর। সিরিয়ায় সেই নেটওয়ার্কের মিত্র হিসেবে ছিলেন বাশার আল আসাদ। আসাদের পতনে ইসরায়েল সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি। কারণ, এর মধ্য দিয়ে তারা ইরানকে নিষ্ক্রিয় করতে পারছে। সিরিয়ার এই পরিবর্তনে ইরানের আধিপত্য একটা বড় ধাক্কা খেল। সিরিয়ার এই অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ইসরায়েল কৌশলগতভাবে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক বায়েজিদ সরোয়ার। তার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বিমান হামলায় মূলত ইরানের সহায়তায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রাগারকে লক্ষ্যবস্তু করছে তেল আবিব। যেসব জায়গায় হামলা হয়েছে তার মধ্যে রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদনসংক্রান্ত একটি গবেষণা কেন্দ্র আছে বলে খবর দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। ইসরায়েল বলছে, আসাদ সরকারের পতনের পর অস্ত্র যাতে উগ্রপন্থিদের হাতে চলে না যায় সেজন্য তারা পদক্ষেপ নিয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদের অধীনে সিরিয়া ছিল ইরানিদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর যোগাযোগের অংশ। হিজবুল্লাহকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানোর জন্য এটা ছিল মূল পথ। আসাদের পতন ঘটায় হিজবুল্লাহর সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া ইসরায়েলের জন্য সহজ হয়ে গেলো বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক বায়েজিদ সরোয়ার। একই সঙ্গে গাজায় হামাসকে সহযোগিতা করাও কঠিন হবে ইরানের জন্য। ইরান সমর্থিত আরেকটি গোষ্ঠী ইয়েমেনের হুথিরাও বারবার বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের এক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স (প্রতিরোধের অক্ষ)। গোলান মালভূমি দামেস্কের ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। পাথুরে জায়গাটি আয়তনে বেশি বড় নয়, মাত্র এক হাজার বর্গকিলোমিটার। কিন্তু এর কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। উচ্চতার কারণে এখান থেকে রাজধানী দামেস্ক শহর এবং দক্ষিণ সিরিয়ার একটি বড় অংশ স্পষ্ট দেখা যায়। সামরিক গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য এটি আদর্শ স্থান। তাছাড়া পার্বত্য এলাকা বলে কোনো সম্ভাব্য আক্রমণের পথে একটি চমৎকার প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবেও কাজ করে গোলান। ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে সিরিয়ার সঙ্গে ছয়দিনের যুদ্ধের সময় গোলান দখল করে এবং ১৯৮১ সালে একতরফাভাবে এটি নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একে স্বীকৃতি না দিলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগের মেয়াদে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র এর স্বীকৃতি দিয়েছিল। দখলের পর থেকে গোলানে ৩০টির বেশি ইহুদি বসতি স্থাপিত হয়েছে যেখানে আনুমানিক ২০ হাজার মানুষের বসবাস। বিদ্রোহীরা আসাদকে উৎখাতের পর সোমবারই গোলানের বাফার জোন অর্থাৎ যেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা ছিল সেখানে নিজের সৈন্যদের প্রবেশের ছবি প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। গোলানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধিকেও দেশটির সুবিধার তালিকায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার মনে করেন এর ফলে আরব দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক শক্তিসমূহের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে গোলানে ইসরায়েলের দখলের স্বীকৃতি দানকারী ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই মধ্যপ্রাচ্যের কুশীলবরা তাদের তৎপরতা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কের অনুপাতেই সাজাবেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা আরটিভি/একে
সিরিয়ায় তুরস্কের বিমান হামলা
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের মানবিজে অবস্থিত তিশরিন বাঁধকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সিরিয়ার কুর্দি গণতান্ত্রিক বাহিনীর (এসডিএফ) সঙ্গে সম্পর্কিত জ্বালানি বিভাগের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মেহের নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের সীমান্ত থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তিশরিন বাঁধ মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছিল। বিমান হামলার পর সিরিয়ার উত্তর ও পূর্বের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসব এলাকায় মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে এবং উত্তর ও পূর্ব সিরিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষায় অবিলম্বে সেখানে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। প্রসঙ্গত, বিদ্রোহীদের মাত্র ১২ দিনের ‘ঝোড়ো’ অভিযানে গত রোববার সিরিয়ায় দীর্ঘ ৫৪ বছরের পারিবারিক শাসনের পতন ঘটেছে। বিদ্রোহীদের কাছে হেরে দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। আরটিভি/এসএপি/এআর
সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল গড়ার ঘোষণা ইসরায়েলের
আসাদ সরকার পতনের দুদিন না যেতেই সিরিয়ায় নিজেদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। এরই মধ্যে সিরিয়া দক্ষিণাঞ্চলের বড় অংশ দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। খবর আল জাজিরার। সবশেষ ৪৮ ঘণ্টায় ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে সিরিয়া। এ সময়ে দেশটির বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৪৮০টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ভয়াবহ এ হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে সিরীয় নৌবহরও। ইসরায়েলি বাহিনীর দখলকৃত অঞ্চলের মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ গোলান মালভূমি ও মাউন্ট হারমনের সিরীয় অংশও রয়েছে। সেখানে সিরিয়ার পরিত্যক্ত সামরিক ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। হামলা হয়েছে রাজধানী দামেস্কে এবং এর আশপাশেও। দামেস্ক ছাড়াও সিরিয়ার হোমস, তারতাস, পালমিরা শহরে ইসরায়েলি হামলার ঘটনা ঘটেছে।  ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে সিরিয়ার বিমানঘাঁটি, সামরিক যান, নৌবহর, বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র, অস্ত্রের উৎপাদনক্ষেত্র, গবেষণাকেন্দ্র, অস্ত্রাগারসহ বিভিন্ন অবকাঠামোকে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানান, তিনি সামরিক বাহিনীকে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থায়ী উপস্থিতি থাকবে না, তবে সেটি নিয়ন্ত্রিত হবে। এই নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্য হচ্ছে সিরিয়ার ভূখণ্ডে সন্ত্রাস প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসীদের সংগঠিত হওয়া প্রতিহত করা। প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথমবারের মতো সিরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করেছে ইসরায়েলি ট্যাংক। লন্ডনভিত্তিক যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানায়, ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ার অতি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে বিমানবন্দর, ওয়্যারহাউস, রাডার, সামরিক সিগন্যাল স্টেশন, বহু অস্ত্র-গোলাবারুদ রয়েছে। আরটিভি/এসএইচএম/এআর  
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কে এই মোহাম্মদ আল-বশির
তালেবান সংশ্লিষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) আক্রমণের মুখে সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। বিদ্রোহীদের সমর্থনে দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোহাম্মদ আল-বশির।  মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।  রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়ার বেশির ভাগ মানুষের কাছে স্বল্প পরিচিত এই বিদ্রোহী নেতার রাজনৈতিক পরিচিতি ইদলিব প্রদেশের বাইরে তেমন একটা পাওয়া যায়নি। স্বৈরশাসক আসাদের শাসনামলে দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত ওই রাজ্যের বেশির ভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে। সেখানকার বিদ্রোহীদের গঠিত সালভেশন গভর্নমেন্টের প্রশাসন পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে আল-বশিরের। এইচটিএস পরিচালিত প্রশাসনের একটি ফেসবুক পেইজে বলা হয়েছে, সিরিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি সিরিয়ায় আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নেতৃত্ব দেওয়া ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) সংশ্লিষ্ট সালভেশন গভর্নমেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর এই সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু অংশ ও ইদলিবে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করত। মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-বশির চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সিরিয়ান সালভেশন গভর্নমেন্টের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮৬ সালে ইদলিবের জাবাল যাওইয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সালভেশন গভর্নমেন্টের প্রকাশিত জীবনবৃত্তান্তে লেখা হয়েছে, দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। এছাড়াও ইদলিব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরিয়া ও আইন বিষয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন আল-বশির। ইংরেজি ভাষা, প্রশাসনিক পরিকল্পনা এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিষয়েও তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিরোধী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনে যোগদানের আগে তিনি সিরীয় একটি গ্যাস কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন তিনি। পরে ২০২১ সালে সেই চাকরি ছেড়ে ইদলিবে বিদ্রোহীদের দলে যোগ দেন তিনি। ২০২২ ও ২০২৩ সালে সালভেশন গভর্নমেন্টের উন্নয়ন এবং মানবিক কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইদলিব প্রশাসনের শুরা কাউন্সিল বশিরকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে। গত জানুয়ারিতে সিরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লেভান্ত টোয়েন্টি ফোরের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করা এবং ইদলিবের বাস্তুচ্যুত মানুষের মানবিক চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আধুনিক সরকার গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করেন তিনি।  ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দামেস্কের শাসনের বিরোধিতা করে ইদলিব প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নেয় বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। পরে সব গোষ্ঠীকে এক করে ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ নেয় হায়াত তাহরির আল-শাম। মঙ্গলবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া সংক্ষিপ্ত ভাষণে মোহাম্মাদ আল-বশির বলেছেন, তিনি আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষের নেতৃত্ব দেবেন। আরটিভি/এসএইচএম/এআর  
সিরিয়ায় ৪৮ ঘণ্টায় ৪৮০ হামলা, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংসপ্রাপ্ত নৌবহরও
আসাদ সরকারের পতন হতে না হতেই ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে সিরিয়া। গত ৪৮ ঘণ্টায় দেশটির বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৪৮০টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ভয়াবহ এ হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে সিরীয় নৌবহরও।  বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় সিরিয়ায় কৌশলগত সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে প্রায় ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে তারা। তাদের যুদ্ধজাহাজ আল-বাইদা লাতাকিয়া বন্দরে থাকা ১৫টি নৌযান ধ্বংস করেছে। এছাড়া দামেস্ক, হোমস, তারতুস এবং পালমিরার মতো শহরগুলোতে অস্ত্র উৎপাদন কারখানা, গোলাবারুদের গুদাম এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আইডিএফ সিরিয়ার বেশিরভাগ কৌশলগত অস্ত্রের মজুদগুলোতে আঘাত করেছে এবং সেগুলোকে সন্ত্রাসীদের হাতে পড়া ঠেকাতে বাধা দিয়েছে। আইডিএফের দাবি, আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির সামরিক সম্পদ নিষ্ক্রিয় করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সিরিয়ায় এই হামলা চালিয়েছে তারা। এদিকে কয়েকটি সূত্র বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ট্যাংক নিয়ে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তবে, এমন দাবি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে আইডিএফ। যদিও তাদের হামলার ফলে শহরটির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি লাতাকিয়া বন্দরের বিস্ফোরণের ভিডিও যাচাই করে জানিয়েছে, বন্দরের বিভিন্ন অংশ ও নৌযান ধ্বংস হয়ে গেছে। এসব হামলার বিষয়ে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, সিরিয়ার নৌবহর ধ্বংস করার অভিযানটি ইসরায়েলের জন্য একটি বড় সাফল্য। ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ দেশগুলোর কৌশলগত সক্ষমতা ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করছে আইডিএফ।   আরটিভি/এসএইচএম/এআর