• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে চুপ করে থাকব না: কমলা হ্যারিস
বিয়ের তিন মিনিটের মাথায় বিচ্ছেদ নবদম্পতির!
বিয়ের মাত্র তিন মিনিটের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয় নবদম্পতির, এটাও কি সম্ভব? শুনতে অবাক লাগলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে এমন ঘটনাই ঘটেছে। নববধূর অভিযোগ, বিয়ের ঠিক পর মুহূর্তেই তাকে অপমান করেন বর।   ঘটনাটি কী? বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে আদালত কক্ষ থেকে বের হচ্ছিলেন নবদম্পতি। এ সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে যান কনে। পড়ে যাওয়ায় কনেকে ‘নির্বোধ’ বলে বসেন বর।  বর এভাবে অপমান করায় ক্ষুব্ধ হন কনে। সেখান থেকেই আবার ছুটে যান বিচারকের কাছে। ঘটনা তুলে ধরে তাৎক্ষণিক বিচ্ছেদের আবেদন করেন ওই নারী। বিচারক তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। বিয়ের মাত্র তিন মিনিটের মাথায় ঘটে ওই বিচ্ছেদ। বলা হচ্ছে, কুয়েতের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে স্বল্পস্থায়ী বিয়ে। কুয়েতের ঘটনাটি ২০১৯ সালের। বিষয়টি আবারও নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে নানা মত দিয়েছেন নেটিজেনরা। ঘটনাটি নতুন করে সামনে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে এক ব্যক্তির দেওয়া পোস্ট ঘিরে। এতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি একটি বিয়েতে গিয়েছিলাম। সেখানে কনেকে তিরস্কার করে কথা বলতে দেখলাম বরকে। এমন তিরস্কার মেয়েকে বাবাই করে থাকেন। (কুয়েতের) ওই নারী যে কাজটি করেছেন, এই কনেরও তেমনটা করা উচিত ছিল।’ এই পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, কোনো বিয়েতে যদি পরস্পরের প্রতি সম্মান না থাকে, তাহলে একেবারে শুরু থেকেই এটি ব্যর্থ সম্পর্কগুলোর একটি। আরেকজন লিখেছেন, কেউ যদি শুরু থেকেই এ ধরনের আচরণ করে থাকেন, তাকে ছেড়ে যাওয়াই উচিত। তবে খুব অল্প সময়ে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। ২০০৪ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে স্কট ম্যাককি ও ভিক্টোরিয়া অ্যান্ডারসনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষের দেড় ঘণ্টার মাথায় ভেঙে যায়। কনের মেয়েসঙ্গীদের সঙ্গে বরের ঘনিষ্ঠতায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই বিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন কনে।
হাসপাতালে ভর্তি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী
হামাসের হামলায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মেজর নিহত
কুয়েতে প্রবাসী গৃহকর্মীদের জন্য সুখবর
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট কে এই মাসুদ পেজেশকিয়ান
মোসাদপ্রধানের কাতার সফর, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশার আলো
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আশার আলো দেখা দিয়েছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানির সঙ্গে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদেরপ্রধান ডেভিড বার্নিয়ার আলোচনাকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য চুক্তির ক্ষেত্রে ‘বড় অগ্রগতি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ জুলাই) ডেভিড বার্নিয়ার কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানির সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য দোহায় সফর করেছেন। গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেটি নিয়ে হামাস প্রতিক্রিয়া জানানোর পর চুক্তির জন্য সবশেষ আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে মোসাদপ্রধানের সফরকে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির বিষয়ে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যে মতপার্থক্য আছে তা নিরসনে একে জটিল আলোচনার প্রাথমিক পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। বিবিসি জানিয়েছে, বাইডেনের প্রস্তাবের মূল কথা হামাস মেনে নিয়েছে বলে ইঙ্গিত মিলছে। তার মানে স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে প্রথম পর্বে ছয় সপ্তাহের জন্য যে যুদ্ধবিরতির কথা বলা হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনায় যাবে গোষ্ঠীটি। হামাস চুক্তির প্রশ্নে বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে অসম্মতির কথা জানিয়েছে। এখন যদি তারা ছাড় দিয়েছে বলে স্পষ্ট হয়, তাহলে ধরেই নিতে হবে বল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে চলে আসবে। যুদ্ধবিরতির পরও হামাস নির্মূল এবং গাজা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে ছাড় দেবেন, এমন কোনো কথা নেতানিয়াহু এখনো প্রকাশ্যে বলেননি। এই অবস্থান পরিবর্তনের জন্য ইসরাইলের ভেতর ও বাইরে থেকে চাপ এলেও তাতে গা করেননি তিনি। কিন্তু সব পক্ষ থেকেই তার ওপর চাপ বাড়ছেই। সর্বশেষ চাপটি তার সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্তমান ও সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস যদি ক্ষমতায় থাকেও, তার পরও গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু করতে চান ইসরাইলের শীর্ষ জেনারেলরা। এই খবরকে ইসরাইলের পরাজয় বর্ণনা করে উড়িয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। কিন্তু তিনি হয়তো এমন চাপ সবসময় সামাল দিতে পারবেন না; ইতোমধ্যেই জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে ইসরাইলের সড়কে বিক্ষোভের ঘটনা বেড়েছে। অন্যদিকে হামাসের ওপরও গাজার বেসামরিক মানুষের চাপ বাড়ছে; যাদের মধ্যে অব্যাহত যুদ্ধ নিয়ে হতাশা বাড়ছে। আর আন্তর্জাতিকভাবে যারা মধ্যস্থতা করছে, সেই মিশর, কাতারের ধৈর্য হয়তো ফুরিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। গত ৭ আগস্ট সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। অতর্কিত সেই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই ফিলিস্তিনিদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন সংস্কারপন্থি মাসুদ পেজেশকিয়ান। কট্টর রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ জালিলিকে হারিয়ে ৩ কোটিরও বেশি ভোটের মধ্যে ৫৩.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। আর জালিলি পেয়েছেন ৪৪.৩ শতাংশ ভোট। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির। ২৮ জুনের নির্বাচনের প্রথম দফায় কোনও প্রার্থীই নির্ধারিত ৫০ শতাংশের বেশি ভোট অর্জন না করায় ভোট গড়িয়েছিল দ্বিতীয় দফায়। প্রথম দফার ভোটে দেশটির মাত্র ৪০ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহের প্রথম দফার তুলনায় শুক্রবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ভোটে ভোটারের উপস্থিতি বেশি ছিল। কিছু ভোটার যারা প্রথম দফায় ভোট দেননি তারা এবার পেজেশকিয়ানের পক্ষে ভোট দিতে রাজি হন। কেননা, ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তারা কট্টরপন্থি জালিলিকে দেখতে চাননি। তারা আশঙ্কা করেছিলেন, জালিলি বিজয়ী হলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে আরও সংঘর্ষের পথে এগোবে ইরান। দেশটিকে তিনি আরও নিষেধাজ্ঞা এবং আরও বিচ্ছিন্নতা ছাড়া কিছুই দিতে পারবেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে তেহরানসহ সারাদেশের অন্যান্য শহরে রাস্তায় পেজেশকিয়ানের সমর্থকদের তার বিজয় উদযাপন করতে দেখা যায়। অধিকাংশ তরুণকে নাচতে এবং তার প্রচারণার সবুজ পতাকা নাড়তে দেখা যায়। এসময় গাড়িগুলো হর্ন বাজাচ্ছিলো। পেজেশকিয়ান একজন সাবেক হার্ট সার্জন। ‘ঐক্য ও সংহতির’ প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব থেকে ইরানের ‘বিচ্ছিন্নতা’ রোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির পুনর্নবীকরণ নিয়ে পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ করার আহ্বান জানিয়েছেন পেজেশকিয়ান। এই চুক্তির আওতায় ইরানের ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার বিনিময়ে পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে সম্মত হয়েছিল তেহরান। ইরানের পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
যেসব বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেবে সৌদি আরব
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব বিদেশিদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়ে একটি ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) খবরে বলা হয়েছে, বিদেশি বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক, উদ্ভাবক, উদ্যোক্ত এবং অনন্য দক্ষতা ও বিশেষত্বের অধিকারী প্রতিভাবানদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে সৌদি আরব। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) একটি রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এটা সৌদি আরবের বৈশ্বিক প্রতিভা অনুসন্ধানের প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে। দেশটি তার ভিশন ২০৩০ লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম প্রতিভাবান ও দক্ষ লোকদের সন্ধান করছে। ভিশন ২০৩০ উদ্যোগটি ব্যতিক্রমী সৃজনশীল মনন আকর্ষণ এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের গভীর আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সৌদি আরব তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ‘ভিশন-২০৩০’ প্রনয়ণ করেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দক্ষ ও চৌকস পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করতে চায় দেশটি। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলো 'নিওম', যেখানে ‘দ্য লাইন’ নামে অত্যাধুনিক মেগাসিটি নির্মাণ করা হবে। মরুভূমিতে কাচের কাঠামোর এই শহরের প্রস্থ হবে ৬৫০ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ১০০ মাইল। এখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা হবে এবং ৯০ লাখ মানুষ বসবাস করবে। সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ হলেও, তেল বহির্ভূত আয় বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে। ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য তেল বহির্ভূত রপ্তানি জিডিপির ১৬ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা।  ভিশন ২০৩০-এর আওতায় ২০টির বেশি প্রকল্প রয়েছে, যার মধ্যে লোহিত সাগরের তীরে অবকাশযাপন কেন্দ্র এবং কিদিয়া নামে একটি বিনোদন ও শিল্পকলার শহর অন্তর্ভুক্ত। এই কর্মযজ্ঞের অর্থায়ন করা হচ্ছে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড থেকে, যার মূল্যমান ৭০ হাজার কোটি ডলার। এই তহবিল থেকে সারা বিশ্বে বিনিয়োগ করা হচ্ছে, যেমন সফটব্যাংক, নিউ ক্যাসল ফুটবল ক্লাব, এবং টেসলার প্রতিদ্বন্দ্বী লুসিড। সূত্র : জিও
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু
ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রান-অফ বা দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে বিদেশে অবস্থানকারী ইরানিরাও ভোট দিতে পারবেন নিজ নিজ অবস্থান থেকে। শুক্রবার (৫ জুলাই) ইরানের স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং সাঈদ জালিলি। ভোট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। নিয়ম অনুযায়ী, ১০ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ চলবে। তবে প্রয়োজনে ভোট গ্রহণের সময় বাড়তেও পারে। একই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে বিদেশে অবস্থানরত ইরানিদের জন্যও।  মূলত গত শুক্রবারের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই প্রদত্ত ভোটের শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পাননি। তাই  ইরানের আইন অনুযায়ী রান-অফ বা দ্বিতীয় রাউন্ডে গড়িয়েছে নির্বাচন। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত প্রথম রাউন্ডে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছিল। ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেসব প্রার্থী অংশ নেবেন তাদের মধ্যে কেউ যদি সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চান, তাহলে তাকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পেতে হবে। কোনো প্রার্থীই এই ভোট না পেলে নির্বাচন গড়াবে রান-অফে। প্রথম রাউন্ডে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এ রাউন্ডে। রানঅফে যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
দুবাইতে ভ্রমণকারীদের বিনামূল্যে পাঁচতারকা হোটেলে রাখার ঘোষণা
দুবাই শহরে ভ্রমণকারী বা যাত্রাবিরতিতে যাওয়া যাত্রীদের বিনামূল্যে পাঁচতারকা হোটেলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে এমিরেটস এয়ারলাইনস। এই বিশেষ সুযোগটি পাবেন চলতি মাসের ১ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে কেনা টিকিটধারীরা। খালিজ টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, যে সকল ভ্রমণকারীরা এমিরেটস রিটার্ন টিকিট ক্রয় করে প্রথম শ্রেণীতে বা বিজনেস ক্লাসে দুবাইয়ে যাত্রা করেন তারা দুবাইয়ের জেডব্লিউ ম্যারিয়ট মারকুইস হোটেল দুই রাত থাকার সুযোগ পাবেন। যারা প্রিমিয়াম ইকোনমি বা ইকোনমিতে বুকিং করেছেন তারা বিনামূল্যে এক রাত থাকার সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এমিরেটস এয়ারলাইনের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট এবং চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আদনান কাজিম জানিয়েছেন, এই বিশেষ অফারটি ৪ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভ্রমণকারী গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা দুবাইতে ট্রানজিট হিসেবে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় অবস্থান করেছেন। টিকিট ইস্যু হলে, ওই যাত্রীদের তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে  বিস্তারিত তথ্যসহ [email protected] ইমেল করতে হবে। ওই পাঁচতারকা হোটেলে না রুম না পাওয়া গেলে, এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ সমমানের পাঁচতারকা হোটেলে যাত্রীদের রাখার ব্যবস্থা করে দেবেন। 
ইসরায়েলের শপিং সেন্টারে সেনাদের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা, নিহত ১
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কারমিয়েলে একটি শপিং সেন্টারে দুই সেনাসদস্যের ওপর হঠাৎ হামলা করে বসেন দেশটির এক নাগরিক। এ সময় তার ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান এক সেনা। অপরজন গুরুতর আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন।   বুধবার (৩ জুলাই) রাতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও পুলিশের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। আইডিএফ জানিয়েছে, নিহত সৈনিকের নাম সার্জেন্ট আলেকজান্ডার ইয়াকিমিনস্কি। ১৯ বছর বয়সী এই সেনা ইসরায়েলের নাহারিয়ার বাসিন্দা। হামলাস্থল শপিং সেন্টার থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (২০ মাইল) দূরে অবস্থিত ওই এলাকাটি।  ইসরায়েলের ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বলেছে, তাদের প্যারামেডিকরা শপিং সেন্টারের ভেতরে শরীরে ক্ষত নিয়ে আহত দুই ব্যক্তির চিকিৎসা করেছে। পরে তাদের দুজনকেই নাহারিয়ার গ্যালিলি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান সার্জেন্ট আলেকজান্ডার ইয়াকিমিনস্কি। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, হামলায় বেঁচে যাওয়া সেনা সদস্যকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।  সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ইউনিফর্ম পরা এবং রাইফেল নিয়ে সজ্জিত দুই ব্যক্তিকে বারবার ছুরিকাঘাত করেন একজন ব্যক্তি। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সেনাদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যান ওই হামলাকারী। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।  পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাটিকে ‘সন্দেহজনক সন্ত্রাসী হামলা’ হিসাবে বিবেচনা করছে এবং হামলাকারীর বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো দায় স্বীকার করা হয়নি কোনো গ্রুপের পক্ষ থেকে। এদিকে ঘটনাটিকে একটি  ‘বীরোচিত অভিযান’ বলে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মতে, হামলাটি ছিল গাজা এবং দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের ‘অপরাধের’ একটি ‘স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া’।   উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েলে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতিসংঘ বুধবার জানিয়েছে, গত ১ জুলাই পর্যন্ত ইসরায়েল এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের হামলায় ৯ জন নিরাপত্তা কর্মীসহ ২২ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন ৫৩৯ জন ফিলিস্তিনি, যাদের বেশিরভাগই প্রাণ হারিয়েছেন ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে।  
ইসরায়েলে ফের মুহুর্মুহু রকেট হামলা
ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ করে ফের মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘ইসলামিক জিহাদ’। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (১ জুলাই) স্থানীয় সময় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে দফায় দফায় ওই রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, গাজা থেকে ইসরায়েলি বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ২০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই রকেট হামলায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে হামলার মাধ্যমে গোষ্ঠীটি ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পরও ইসরায়েলে হামলা চালাতে সক্ষম, সেটি ফুটে উঠেছে। ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শত্রুর অপরাধের প্রতিক্রিয়ায় গাজা সীমান্ত লাগোয়া ইসরায়েলি কয়েকটি সম্প্রদায়ের দিকে রকেট নিক্ষেপ করেছে তাদের যোদ্ধারা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি বসতির বাসিন্দারা বলেছেন, তারা ইসরায়েলি ফোন নম্বরগুলো থেকে বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ সংক্রান্ত কিছু ক্ষুদেবার্তা পেয়েছেন।  কেউ কেউ বলেছেন, এর অর্থ হতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকায় ফিরে আসবে। কারণ কয়েক সপ্তাহ আগে এলাকাটি ছেড়ে চলে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যদিও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। এদিকে, সোমবার ইসরায়েলি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সোমবার তুলকারম শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এক নারী ও এক শিশু নিহত হয়েছে। একই এলাকায় একদিন আগে ইসরায়েলি হামলায় ইসলামিক জিহাদের এক সদস্য নিহত হন। গাজার কিছু এলাকা থেকে উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সদস্যরা ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কয়েক মাস আগে এসব এলাকা ত্যাগ করেছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৮৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৮৭ হাজার ছুঁই ছুঁই। ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ‘অসহনীয়’ দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন গাজার বাসিন্দারা।