• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রমজানে একাধিকবার ওমরাহ নিষিদ্ধ করল সৌদি  
গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশু নিহত : ইউনিসেফ
টানা পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজার উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। চলমান এই হামলায় এখন ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৩ হাজারের বেশি শিশু। জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের বরাতে সোমবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় আল জাজিরা। ইউনিসেফ বলছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ১৩ হাজারেরও বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বর্তমানে গাজায় যেসব শিশু বেঁচে রয়েছে, তারাও গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে। এমনকি তাদের কান্না করার শক্তিও নেই। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল সিবিএস নিউজকে বলেন, আমরা বিশ্বের অন্য কোনো সংঘাতে এতো শিশু মৃত্যুর হার দেখিনি। সেখানে আরও হাজার হাজার শিশু আহত হয়েছে। তারা কোথায় আছে তাও আমরা জানি না। তবে তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারে।  ‘আমি শিশুদের ওয়ার্ডে ছিলাম যারা মারাত্মক রক্তস্বল্পতা ও অপুষ্টিতে ভুগছে। পুরো ওয়ার্ড ছিল একেবারেই শান্ত। কারণ শিশুদের কান্না করার শক্তিও নেই,’ বলেন ক্যাথরিন রাসেল। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজায় অব্যাহতভাবে বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানকার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফা
রমজানের আলো নেই জেরুজালেমের রাস্তায়
ত্রাণের জন্য অপেক্ষারতদের ওপর হামলা, হতাহত দেড় শতাধিক
গাজায় দুই সপ্তাহে ৪০০ এর বেশি ত্রাণপ্রার্থীকে হত্যা করল ইসরায়েল
রমজানেও ত্রাণের জন্য অপেক্ষমান ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা, নিহত ৭
শুরু হয়েছে রমজান মাস। পবিত্র এ মাসেও বন্ধ হয়নি অবরুদ্ধ গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নিপীড়ন। গত অক্টোবরে গাজায় হামাস ধ্বংসের নামে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে পেরিয়ে গেছে ৫ মাস। দীর্ঘ এ সময়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হামলা ও অভিযানের পাশাপাশি ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্যের সরবরাহেও বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে খাদ্য ও চিকিৎসা পণ্যের অভাবে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে গাজায়। সর্বশেষ রমজানের দ্বিতীয় দিন অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) গাজার দক্ষিণে অবস্থিত কুয়েত গোলচত্বরে ত্রাণবাহী ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কিছু ফিলিস্তিনি। এ সময় ওই জটলার মধ্যে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। এছাড়া আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন লোককে আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। এদিকে রোববার (১০ মার্চ) চাঁদ রাতেও গাজার মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে স্থল ও আকাশপথে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে গাজা সিটিতে ১৩ জন ও খান ইউনিসে ১৭ জন নিহত হন। এরপরই বিবৃতি দেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। যেখানে তিনি বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির যেসব শর্ত দিয়েছিল, হামাস সেসবের বিপক্ষে। তাই বর্তমানে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যে সর্বাত্মক অভিযান চলছে, তা রমজানেও অব্যাহত থাকবে।’ এর আগের দিনই মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, হামাসকে নির্মূল করার অধিকার ইসরায়েলের আছে, তবে গাজায় যে হারে বেসমারিক লোকজন হতাহত হচ্ছেন, তাতে দিন দিন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর অধৈর্য হয়ে উঠছেন তিনি। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৩১ হাজার ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই ইসরায়েলি আগ্রাসনে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে আহত হয়েছেন ৭২ হাজার ৬৫৪ জন বাসিন্দা।  
গাজায় প্রাণহানি ৩১ হাজার ছাড়াল
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েরি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। রোববার (১০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৩০ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩১ হাজার ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সময়ে আহত হয়েছেন ৭২ হাজার ৬৫৪ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতেও পারছেন না। এ ছাড়া গাজায় অপুষ্টি এবং ডিহাইড্রেশনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে পৌঁছেছে বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের ঘর-বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
প্রথম তারাবিহতে আল-আকসায় হাজারো মুসুল্লির ঢল
আল-আকসায় তারাবিহ পড়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল ফিলিস্তিনবাসীর মনে। কারণ, রমজান মাস শুরু হলেই আল-আকসায় মুসুল্লিদের ওপর ইসরায়েলি নির্যাতন-নীপিড়ন বেড়ে যায়। এবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে শঙ্কাটা আরও বেশি ছিল। প্রথম তারাবিহতে পরিস্থিতি কী হয়, সেদিকে নজর ছিল সবার। সব বাধাবিপত্তি, শঙ্কা আর ভয়-ডর পরোয়া না করে  হাজারো মুসুল্লি তারাবিহর নামাজ আদায় করেন ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান মসজিদুল আকসায়। উপস্থিত ছিল নারী-শিশুরাও। যথাসময়ে জামায়াতের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শুধু মসজিদের ভেতরেই নয় বাইরেও মসজিদ চত্বর এলাকায় নামাজ পড়েন অনেকে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, আগ থেকেই নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লিদের বেশকিছু শর্ত দিয়ে দেওয়া হয়। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় যে বিপত্তিটা বাধে তা হলো ৪০ বছরের নিচে কাউকে আল-আকসায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে বিবেচনা করা হয় ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে। মক্কা ও মদিনার মসজিদের মতো প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলমান এই মসজিদ প্রাঙ্গণে আসেন। উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েরি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতেও পারছেন না। এ ছাড়া গাজায় অপুষ্টি এবং ডিহাইড্রেশনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে পৌঁছেছে বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের ঘর-বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
যেদিন থেকে সৌদি আরবে রোজা
পবিত্র মাহে রমজানের শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। দেশটিতে সোমবার (১১ মার্চ) থেকে শুরু হবে পবিত্র রমজান। সেই হিসেবে রোববার (১০ মার্চ) রাতেই তারাবি নামাজ পড়া হবে। এর আগে, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাই রমজানের তারিখ ঘোষণা করেছে। দেশগুলো জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পবিত্র রমজান মাসের প্রথম তারিখ। রোববার (১০ মার্চ) এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এ খবর জানিয়েছে। এতে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ার ফতোয়া কাউন্সিল এবং দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি ড. ইব্রাহিম আবু মোহাম্মদের সঙ্গে আলোচনার পর রমজানের প্রথম দিন ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে প্রথম রোজা শুরু হবে আগামী ১২ মার্চ (মঙ্গলবার)। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে অস্ট্রেলিয়াতে প্রায় সময়েই চাঁদ আগে দেখা যায় এবং রমজান শুরুর তারিখ দেশটি সবার আগে ঘোষণা করা হয়। ব্রুনেইতে চাঁদ দেখা না যাওয়ার কারণে মঙ্গলবার রমজান মাস শুরু হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ায়ও চাঁদের দেখা না পাওয়ার কারণে মঙ্গলবার প্রথম রোজা পালন করা হবে। ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, সোমবার হবে শাবান মাসের ৩০ তারিখ, মঙ্গলবার রমজান মাসের প্রথম তারিখ।
গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ মাথায় পড়ে নিহত ৫
ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ মাথায় পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) গাজার আল শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে এসব ত্রাণ ফেলা হয়।  ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সংবাদিক সিএনএনকে জানান, বিমান থেকে এসব ত্রাণ ফেলা হয়েছে। তবে কোন দেশের বিমান ছিল, সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। মাথায় ত্রাণ পড়ে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল-শেখ। আহত কয়েকজনকে ওই হাসপাতালেই প্রেরণ করা হয়েছে। গত ৫ মাস ধরে গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে গাজাবাসী। অনাহারে থাকা এসব মানুষকে সহযোগিতায় গত কয়েকদিন ধরে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ। তবে গাজার দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, যে পরিমাণ মানুষ অনাহারে রয়েছে সেটির তুলনায় এই ত্রাণ কিছুই না। এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮৩ জন নিহত এবং ১৪২ জন আহত হয়েছেন। অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। সব মিলিয়ে টানা ৫ মাসের ইসরায়েলি হামলা ও অভিযানে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
রমজানের আগে ৯০০ পণ্যের দাম কমাল কাতার
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আসন্ন রমজানের আগেই ৯০০ পণ্যের দাম কমাল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। গত ৪ মার্চ থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন মূল্য তালিকা, যা রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে। রোববার (১০ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ বছর রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ১১ মার্চ থেকে। তার আগেই কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে নয় শতাধিক পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। কাতারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পবিত্র রমজান মাসে সেগুলো কম দামে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশটির বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। কাতারে এবারে রমজান মাস উপলক্ষে মূল্যছাড় দেওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে দুধ, দই এবং দুগ্ধজাত পণ্য, টিস্যু পেপার, পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, রান্নার তেল ও ঘি, পনির, হিমায়িত সবজি, বাদাম, বোতলজাত পানি, জুস, মধু, মুরগি, রুটি, টিনজাত খাবার, পাস্তা, ভার্মিসেলি, গোলাপ জলসহ আরও অনেক কিছু। ২০২১ সালে দেশটি প্রায় ৬৫০ পণ্যের দাম কমিয়েছিল। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০তে, ২০২৩ সালে সেটি আরও বাড়িয়ে ৯০০র বেশি পণ্যের দাম কমায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এ বছরও প্রায় একই সংখ্যক পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতারি কর্তৃপক্ষ।
ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আরব আমিরাত, সতর্কতা জারি
ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, এতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে বাসিন্দাদের সতর্ক করছে দেশটির পুলিশ।  শনিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকেই আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, রাস আল খাইমাহ, ফুজাইরাহসহ সব জায়গায় অঝোরে ঝরেছে বৃষ্টি। এ খবর জানিয়েছে আল আরাবিয়া। দেশটির জাতীয় জরুরি বিভাগের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন সকালে দেশটির আকাশ পুরো মেঘে আচ্ছন্ন হওয়ার পরপরই নামে অতিবৃষ্টি। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বজ্রপাত হয়েছে আল আইন ও আজমানে। রোববার (১০ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া খারাপ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টি, বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে  বাসিন্দাদের আবহাওয়া সতর্কবার্তা পাঠিয়ে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হয়েছিলো।   এতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকতে যাওয়া থেকে বিরত থাকা, নৌযানে চলাচল না করা, বন্যা প্রবণ এলাকায় ঘুরতে না যাওয়া এবং গাড়ি চালাতে সতর্কতা আরোপের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  গত সপ্তাহে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর বৃষ্টির ব্যাপারে সতর্কতা দিয়েছিল। গত মাসেও আরব আমিরাতে ভয়াবহ বৃষ্টি এবং বজ্রপাত হয়।