• ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
logo
নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা
হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ অভিহিত করায় বাগদাদে টিভি স্টেশনে হামলা
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করায় ইরাকের রাজধানী বাগদাদে একটি টিভি চ্যানেলের অফিসে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ছাড়া অফিসটিতে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছেন তারা। শনিবার (১৯ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য।  প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাস ছাড়াও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইরাকি মোবিলাইজেশন ফোর্সের যোদ্ধাদেরও সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করে প্রতিবেদন প্রচার করেছে সৌদির মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল মিডেল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার (এমবিসি)। এরপরই টিভি চ্যানেলটির বাগদাদ অফিসে হামলা চালায় স্থানীয় চার থেকে পাঁচশো লোক। ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, শনিবার সকালে এমবিসির বাগদাদ স্টুডিওতে হামলা চালানো হয়। সংস্থাটি বলেছে, ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ, কম্পিউটার ভাঙচুরের পাশাপাশি ভবনের একটি অংশে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং যেসব মানুষ টিভি অফিসে হামলা চালাতে এসেছিলেন পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে।  ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস কয়েক দশক ধরে লড়াই করছে দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি লেবানের অখণ্ডতা রক্ষায় কাজ করছে হিজবুল্লাহ। মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ তাদের যোদ্ধা হিসেবেই অভিহিত করে থাকে। তবে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করে যাওয়া এসব যোদ্ধাকে পশ্চিমা দেশগুলো সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হিসেবে অভিহিত করে থাকে। আরটিভি/এসএইচএম
যুদ্ধ বন্ধে নেতানিয়াহুর আর্জি, কালই থামাতে চায় যুদ্ধ
গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৩ 
ইসরায়েলি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ‘নিষেধাজ্ঞা আরোপের’ চিন্তা
ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, গাজায় আরও ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত
ইতিহাসের সব রেকর্ড ভাঙল স্বর্ণের দাম
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে স্বর্ণের দাম সর্বকালে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। দুবাই জুয়েলারি গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বাজার খোলার সময় ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম গ্রামপ্রতি ৩২৪ দশমিক ২৫ দিরহামে উঠে গেছে, যা বুধবার বাজার বন্ধের সময় ছিল ৩২৩ দশমিক ৭৫ দিরহাম। ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম গ্রামপ্রতি ৩০০ দশমিক ২৫ দিরহামে খোলার সময় শূন্য দশমিক ৫০ দিরহাম বেড়ে যায়।  একইভাবে, ২২ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম গ্রামপ্রতি বেড়ে যথাক্রমে ২৯০ দশমিক ৭৫ ও ২৪৯ দশমিক ২৫ দিরহাম হয়ে যায়। খবর খালিজ টাইমসের। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ছিল প্রতি আউন্স ২ হাজার ৬৭৮ দশমিক ৫৮ ডলার, যা সকাল ৯টা ১০ মিনিটে (সংযুক্ত আরব আমিরাতের সময়) শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পেপারস্টোনের গবেষণা কৌশলবিদ ডিলিন উ বলেছেন, স্বর্ণে বিনিয়োগকারীরা শক্তি অর্জন করছে। অধিকাংশ জি-১০ মুদ্রায় স্বর্ণের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে ঐতিহাসিক উত্থানের ঠিক নিচের ধাপে রয়েছে। এই বৃদ্ধিটি শুধুমাত্র মুদ্রার গতিশীলতার পরিবর্তে প্রকৃত সোনার চাহিদাকে প্রতিফলিত করে। আমি মনে করি ২ হাজার ৭০০ ডলার স্তর অক্টোবরের শেষের আগে অর্জন করা সম্ভব।  মার্কিন অর্থনীতির অনিশ্চিত পরিস্থিতি স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে তুলছে। প্রাথমিক বেকারত্বের দাবিগুলো প্রত্যাশার চেয়ে বেশি এবং ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার সতর্ক করেছেন যে হারিকেন ও ধর্মঘটগুলো অক্টোবরের কৃষি-বহির্ভূত বেতন প্রায় এক লাখ কমাতে পারে, ভবিষ্যতে ফেডের সুদের হার বৃদ্ধিতে ভুল হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। আরটিভি/একে-টি
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় মেয়রসহ নিহত ১৫
দক্ষিণ লেবাননের অন্যতম প্রধান শহর নাবাতিহের পৌর ভবনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে শহরটির মেয়রসহ ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি। শহরের গভর্নর জানান, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির সদস্য। টানা হামলায় বেশির ভাগ বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে গেলেও বাকিদের সহায়তায় রয়ে যান মেয়রসহ পৌরসভার কর্মীরা। গত কয়েক দিনের হামলায় ধ্বংস হয়েছে শহরটির একাধিক ঐতিহাসিক ভবন। এর মধ্যে, অটোমান আমলের একটি বাজারও রয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা হিজবুল্লাহর একটি ভূগর্ভস্থ অবস্থান ধ্বংসের লক্ষ্যে বিমান হামলা চালিয়েছে, যেটি হিজবুল্লাহর রাদওয়ান ফোর্সেস ব্যবহার করত। গত মাসের শেষের দিকে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির রাষ্ট্রীয় কোনো ভবনে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। আরটিভি/একে-টি
‘আত্মসমর্পণ বা অনাহার’ নীতি নিয়েছে ইসরায়েল!
উত্তর গাজা থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে ইসরায়েল কি ‘আত্মসমর্পণ বা অনাহার’ এই নীতি নিয়েছে? তাদের সাম্প্রতিক আচরণ দেখে এই প্রশ্ন উঠেছে। উত্তর গাজার জাবালিয়াতে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসন সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে বিপর্যয়কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এর আগেও তারা ইসরায়েলের বিমান হামলার পর প্রবল কষ্টের মুখে পড়েছেন। এখন দ্বিতীয় বছরেও তাদের একই অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। ফোনে মোহাম্মদ জানিয়েছেন, এখানকার পরিস্থিতি ভয়ংকর। কেউ বেরোতে পারছে না। ওরা আমাদের চলে যেতে বলেছে। কিন্তু হাতে সময় নেই। হঠাৎ তারা পুরো জায়গাটা ঘিরে ধরেছে এবং গুলি চালাতে শুরু করেছে। মোহাম্মদ তার পুরো নাম জানাতে চাননি। দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েলের সেনা জাবালিয়ায় বাস্তুহীনদের শিবিরে আক্রমণ শুরু করে এবং বেসামরিক মানুষকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, তাদের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, হামাস এই এলাকায় আবার নিজেদের সংগঠিত করার কাজ শুরু করেছে।  জাতিসংঘ ও ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কা, এই আক্রমণের মাধ্যমে ইসরায়েল তাদের নতুন নীতি রূপায়ণের কাজ শুরু করেছে। এই নীতি হলো, হয় আত্মসমর্পণ, অথবা অনাহার। তারা উত্তর গাজা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দিয়ে পুরো জায়গাটা সিল করে দিতে চায়। ইসরায়েল এই পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনা উত্তর গাজাকে পুরো বিচ্ছিন্ন করে দিতে চাইছে বলে মনে হচ্ছে। ৪১ বছর বয়সি মোহাম্মদ বলেছেন, তার স্ত্রী ও তিন সন্তান কাছের শহরে আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়েছিল। এরপর ইসরায়েলের কামান ও বিমান আক্রমণ শুরু হয়। তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের আসতে মানা করে দিয়েছেন। জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অফ হিউম্যানেটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্সের হিসাব হলো, গত দুই সপ্তাহে জাবালিয়া থেকে ৫০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। অন্যরা বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, এখন সেখানে প্রবল লড়াই শুরু হয়েছে। জাবালিয়ার ৮৪ শতাংশ এলাকা থেকে মানুষকে চলে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর গাজার অবস্থা ভয়াবহ। এই মাসের গোড়ায় ইসরায়েলের সেনা একটি ম্যাপ দেখিয়ে বলেছিল, গাজা ভূখণ্ডের কোন এলাকা থেকে বেসামরিক মানুষকে সরে যেতে হবে। সেখানে জাবালিয়াসহ উত্তর গাজার একাধিক জায়গা ছিল। বাসিন্দাদের বলা হয়েছিল, তারা যেন অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে চলে যান এবং সালাহ আল-দিনের রাস্তা ধরেন। এটাই উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজায় যাওয়ার প্রধান রাস্তা। কিন্তু এই রাস্তায় ছিল ভয়ংকর ভিড়। দক্ষিণ গাজাতে ন্যূনতম কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ইসরায়েল কিছুদিন আগে ওই এলাকা আক্রমণ করেছিল। তাওফিক মেসেজ করে জানিয়েছেন, তিনি দক্ষিণ গাজায় যেতে চান না। তিনি সেখানে টেন্টে থকতে চান না। তারপর সেখানেও বোমা ফেলা হবে এবং মৃত্যু হবে। তিনি জানিয়েছেন, জাবালিয়ার অবস্থাও ভয়ংকর। তার পরিবার যে জায়গায় আছে, লড়াই তার খুব কাছে হচ্ছে। তিনি বলেছেন, আমরা বিস্ফোরণের শব্দ পাচ্ছি। কামানের আওয়াজ পাচ্ছি। আমাদের মাথার উপর দিয়ে ড্রোন যাচ্ছে। মানুষ সমানে নিরাপদ জায়গার খোঁজে ছোটাছুটি করছে। আর কোনোদিন বাড়ি ফিরতে না পারার আতঙ্ক। গাজার জরুরি পরিষেবা বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে সব জায়গায় প্রবল সংঘর্ষ চলছে, সেখানে তারা যেতে পারছেন না। প্রচুর মানুষ আহত হচ্ছেন। অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। রাস্তায় মৃতদেহ ছড়িয়ে থাকছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার হিসাব, উত্তর গাজায় চার লাখ মানুষ আছেন। বিভিন্ন কারণে তারা উত্তর গাজা ছেড়ে যাননি। কেউ বয়স্কদের দেখভাল করছেন। কেউ অসুস্থ আত্মীয়দের সেবার জন্য থেকে গেছেন। অন্যরা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে যেতে চাননি। কিন্তু সেখানে যেভাবে বিমান হামলা হচ্ছে, তাতে তারা নিরাপদ বোধ করছেন না। কিন্তু তাওকিফ ও মোহাম্মদের আশঙ্কা, তারা একবার চলে গেলে আর উত্তর গাজায় নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারবেন না। কারণ, উত্তর গাজায় আসার সব রাস্তা এখন ইসরায়েলের সেনা নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা আর তাদের ফিরতে দেবে না। বিভিন্ন মিডিয়া, সংস্থা ও ফিলিস্তিনিদের মতে, ইসরায়েলের সরকার ক্রমশ আত্মসমর্পণ বা অনাহার নীতি রূপায়ন করছে। এটাই হতে চলেছে উত্তর গাজার জন্য তাদের পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনার জনক হলেন সাবেক এক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং কয়েকজন আমলা। ইসরায়েলের মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে সেদেশের মন্ত্রিসভা সম্প্রতি এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে। বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে কথা হয়েছে। তবে তারা এই নীতি নিয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। এই কৌশলের উদ্দেশ্য হলো হামাস ও তাদের নেতা সিনওয়ারকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা। সেজন্যই উত্তর গাজার মানুষের উপর এই চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। পরিকল্পনাটা হলো, উত্তর গাজার বেসামরিক মানুষকে দক্ষিণে যেতে বলা হবে। তারপর উত্তর গাজা সিল করে দেয়া হবে। যারা উত্তর গাজায় থাকবে, বুঝতে হবে তারা হয় হামাস সদস্য বা তাদের সাহায্যকারী। সেখানে সব সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হবে। তওফিক জানিয়েছেন, তারা আগের থেকেও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছেন। তারা সমানে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সব শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। আরটিভি/এএইচ
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক রকেট ছুড়লো হিজবুল্লাহ
ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি। ফিলিস্তিনের গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে এবার লেবাননে মানবিক বিপর্যয় নামিয়ে আনছে দখলদার ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাদের লাগাতার হামলার জবাব দিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহও। সবশেষ ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ৩০০টির বেশি রকেট ছুড়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।    রোববার (১৩ অক্টোবর) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে ৩০০টির বেশি রকেট উত্তর ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। নিজেদের জ্যেষ্ঠ এক কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। এক বিবৃতিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, মেরন ঘাঁটি এবং অধিকৃত গোলান মালভূমির চারটি স্থানসহ ইসরায়েলের ১১টি সামরিক ঘাঁটি ও ব্যারাকে ৩২০টিরও বেশি কাতিউশা রকেট দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এর জবাবেই হিজবুল্লাহও দফায় দফায় রকেট ছুড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের শঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তেল-আবিব বিমানবন্দর। গত ২৪ আগস্ট ইসরায়েলে প্রায় সাড়ে ৩০০ রকেট ছোড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।  আরটিভি/এসএইচএম  
ইসরায়েলের হামলায় একদিনে ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জন নিহত হয়েছেন। এনিয়ে এক বছরে এ অঞ্চলে নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার ১২৬ জনে পৌঁছেছে। গতকালের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৩১ জন। এতে বছর জুড়ে আহত হওয়ার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৮ হাজার ১১৭ জনে। এসব হতাহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী এবং বেসামরিক লোকজন। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে গার্ডিয়ান। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত গাজা উপত্যকার অন্তত চারটি এলাকায় আঘাত হেনেছে ইসরায়েলি বাহিনীর ছোঁড়া গোলা ও রকেট। নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি দাবি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অনেক মৃতদেহ এবং আহত ব্যক্তি এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। পথ-ঘাট ধ্বংস হয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় লোকবল ও সরঞ্জামের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। আরটিভি/এএইচ
বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলা, মৃত ২২
বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত। মধ্য বৈরুতে ইসরায়েলি আক্রমণে ২২ জন নিহত, আহত শতাধিক। বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, লেবাননের রাজধানীতে এপর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। তারা দুইটি আলাদা আবাসিক এলাকায় দুইটি অ্যাপার্টমেন্টকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। অন্যটির নিচের তলাগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে। হিজবুল্লার আল মানার টিভির দাবি, ইসরায়েল ওয়াফিক সাফাকে টার্গেট করে আক্রমণ চালিয়েছিল। সাফা হিজবুল্লার সমন্বয়কারী ইউনিটের দেখভাল করেন। তারা জানিয়েছে, সাফা কোনো বাড়িতেই ছিলেন না। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত দক্ষিণ বৈরুতে একের পর এক বিমান হামলা করছে। একটি ঘটনায় দক্ষিণ বৈরুত থেকে নিয়ে আসা তিন শিশুসহ আটজনের পরিবার হাসপাতালে মারা গেছেন। সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এবার খুবই ঘিঞ্জি মধ্য বৈরুত আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতিসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলা সত্ত্বেও তাদের শান্তিরক্ষাকারী মিশন সরানো হবে না। লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাকারী মিশনের নাম ইউএনআইএফআইএল। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নাকাউরাতে তাদের সদরদপ্তরে ইসরায়েলি কামান থেকে আক্রমণ করা হয়েছে। জাতিসংঘের এই সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, গত ১২ মাসে এই ধরনের ভয়ংকর ঘটনা আগে হয়নি। আমরা ওখানে আছি, কারণ, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ওখানে থেকেই কাজ করতে বলেছে। এই আক্রমণের ফলে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা দুই শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। কিছু গাড়ি ধ্বংস হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের সেনা ইচ্ছে করে তাদের উপর আক্রমণ করেছে। আক্রমণের আগে তারা এলাকার ক্যামেরাগুলি বন্ধ করে দেয়। জাতিসংঘের এই মিশনে ৫০টি দেশের ১০ হাজার শান্তিরক্ষী আছেন। তাদের লেবানন ও ইসরায়েলের সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের মূল কাজ হলো, লেবাননের সেনার সাহায্যে দেশের দক্ষিণ অংশে অস্ত্র উদ্ধার ও সশস্ত্র মানুষকে নিরস্ত্র করা। এই দক্ষিণ অংশই হিজবুল্লার নিয়ন্ত্রণে। এ অংশের হাজার হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে বেশ কিছু বেসামরিক সাধারণ মানুষ লড়াইয়ের মাঝখানে আটকে পড়েছেন। জাতিসংঘ ও কিছু এনজিও তাদের কাছে খাবার ও পানীয় জল পৌঁছে দিচ্ছে। আরটিভি/এএইচ/এআর
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়াল
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। নতুন করে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও কমপক্ষে ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।  বুধবার (৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩০ জন। এ নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ হাজার ১০ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯৭ হাজার ৭২০ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৪৫ জন নিহত এবং আরও ১৩০ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। আরটিভি/একে