• ঢাকা শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
জার্মান তরুণদের বেশিরভাগই রাজনীতিতে আগ্রহী নয়
ভারতের জন্য বরাদ্দ ‘বিশেষ সুবিধা’ বাতিল করল সুইজারল্যান্ড
ভারতের জন্য বরাদ্দ বিশেষ সুবিধা ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ বা (এমএফএন) তকমা বাতিল করেছে সুইজারল্যান্ড। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপের ফলে ভারতের রপ্তানি খাতসহ নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক।  সুইস সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সুইজারল্যান্ডে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য কর হার আবারও ১০ শতাংশ হবে। এর আগে ২০২১ সালে এই হার ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল। খবর ইন্ডিয়া টুডের। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, একটি দেশ যদি অন্য কোনো দেশকে এমএফএন মর্যাদা দেয়, তাহলে সেই দেশের প্রতি শুল্ক ও বাণিজ্য নীতি সম্পর্কিত বিশেষ সুবিধা প্রদান করতে হয়।  এমএফএন ধারা অনুসারে, ভারত ও কোনো তৃতীয় ওইসিডি (অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) দেশের মধ্যে লভ্যাংশ, সুদ, রয়্যালটি বা প্রযুক্তি সেবার ফি-র ওপর কম করের হার প্রযোজ্য হলে তা সুইজারল্যান্ড ও ভারতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। তবে এক্ষেত্রে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ওই মামলায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি নেসলে একটি পক্ষ ছিল। ভারতীয় শীর্ষ আদালত জানান, ভারতীয় আয়কর আইনের ৯০(১) ধারা অনুযায়ী একটি প্রজ্ঞাপন ছাড়া এমন ‘দ্বৈত কর নিরসন চুক্তি’ কার্যকর হবে না। এরপর সুইস ফাইন্যান্স বিভাগ বুধবার জানায়, এই রায়ের ফলে ভারতকে দেওয়া এমএফএন তকমা কোনো প্রজ্ঞাপন ছাড়া সরাসরি প্রযোজ্য হবে না। তাই আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে একতরফা প্রয়োগ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে সুইস সরকারের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আমার ধারণা, ইফটা (ইউরোপীয় মুক্ত বাণিজ্য সমিতি)-র কারণে আমাদের দ্বৈত কর নিরসন চুক্তি পুনরায় আলোচনা করা হবে। এটি একটি দিক। অন্যটি হলো ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’। এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো আপডেট নেই। আমরা পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাব। আরটিভি/এসএইচএম/এস
গ্রিসে পোল্যান্ডের তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে বাংলাদেশির যাবজ্জীবন
গ্রিসে পোল্যান্ডের তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যায় বাংলাদেশি যুবকের যাবজ্জীবন
নেদারল্যান্ডসে ভবন ধস, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
রোমানিয়ায় তদন্তের আওতায় টিকটক
মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকার ঘোষণা ম্যাক্রোঁর 
পদত্যাগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।  বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে টেলিভিশেনে দেয়া ১০ মিনিটের ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার ফরাসি প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ের পদত্যাগ করার পর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। ভাষণ শেষে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ের সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করেন ম্যাক্রোঁ। সেখানে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করার জন্য বার্নিয়ের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ম্যাক্রোঁ তার নিজের পদত্যাগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে জানান, তাকে ৫ বছরের জন্য যে ম্যান্ডেট দেয়া হয়েছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্ট থাকবেন। ২০২৭ সালের মে মাস পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ আছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভাষণে কয়েক দিনের মধ্যে ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণার অঙ্গীকার করে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানান, কারণ তার জন্য ফ্রান্স রাজনৈতিকভাবে অচল হয়ে থাকতে পারে না। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তিন মাস পার হতেই গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর মিশেল বার্নিয়ে। তাই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। দেশটির সামাজিক নিরাপত্তা বাজেট নিয়ে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিলেন বার্নিয়ে। এর জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলছিল ফ্রান্সে। দেশের পরবর্তী জাতীয় বাজেট পাস করানো নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়। একপর্যায়ে বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা বার্নিয়ের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তোলেন।   আরটিভি/কেএইচ
তিন মাস না যেতেই পদত্যাগ করলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী
পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় পদত্যাগ করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে ইতোমধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস না যেতেই সরে যেতে হলো তাকে। খবর এএফপির। ১৯৬২ সালের পর কোনো ফরাসি সরকারের এভাবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।  আইনপ্রণেতাদের অনাস্থা ভোটে হারের পর পার্লমেন্টের স্পিকার ইয়ায়েল ব্রাউন-পিভেট বলেন, বার্নিয়েরকে এখন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে এবং পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে। এর আগে, বিশেষ ক্ষমতাবলে বিতর্কিত বাজেট বিল পাস করে তোপের মুখে পড়েন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে। এমপিদের ভোট ছাড়াই বিল পাস করায় প্রধান বিরোধী দল ও বামপন্থি দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।   এদিকে প্রধানমন্ত্রীর হঠাৎ পদচ্যুতিতে সৃষ্ট গভীর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুযেল ম্যাক্রোঁ।   উল্লেখ্য, গত জুন-জুলাইয়ে ফ্রান্সে আগাম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে রাজনৈতিকভাবে বড় তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে পড়ে দেশটির পার্লামেন্ট। আগাম নির্বাচনের প্রায় দুই মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর মিশেল বার্নিয়েকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ডানপন্থি রিপাবলিকান (এলআর) দলের প্রবীণ সদস্য বার্নিয়ের রাজনৈতিক জীবন বেশ দীর্ঘ। ফ্রান্স ও ইইউ উভয় ক্ষেত্রেই বিভিন্ন সিনিয়র পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ৭৩ বছর বয়সী বার্নিয়ে ইইউর ব্রেক্সিটবিষয়ক প্রধান আলোচক ছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন তিনি। আরটিভি/এসএইচএম/এস
ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে হেরে মিশেল বার্নিয়ে সরকারের পতন
ফ্রান্সের ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে। দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে গেছেন তিনি। শিগগিরই প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে বার্নিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ফ্রান্সের পার্লামেন্টের ৫৭৭ সদস্যের মধ্যে ৩৩১ জন বার্নিয়েরের সরকারের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, ১৯৬২ সাল থেকে কোন ফরাসি সরকারকে এ ধরনের ভোটের মাধ্যমে জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত করা হয়নি।     বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশেষ ক্ষমতাবলে বিতর্কিত বাজেট বিল পাস করে তোপের মুখে পড়েন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে। এমপিদের ভোট ছাড়াই বিল পাস করায় প্রধান বিরোধী দল ও বামপন্থি দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্য, ৬ হাজার কোটি ইউরো কর বাড়িয়ে এবং ব্যয় কমিয়ে ফ্রান্সের বাড়তে থাকা সরকারি ঘাটতি কমানো।  বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত নভেম্বরে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৬৭ শতাংশ মানুষ এই বাজেটের বিরোধিতা করেন। তবে মিশেল বার্নিয়ে বিশেষ ক্ষমতাবলে পার্লামেন্টে এমপিদের ভোট ছাড়াই পাস করিয়ে নিয়েছেন বাজেট বিল। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। দেশটির প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল র‌্যালি, এনআর ও বামপন্থি দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।   আইনপ্রণেতাদের অনাস্থা ভোটে হারার পর পার্লমেন্টের স্পিকার ইয়ায়েল ব্রাউন-পিভেট বলেন, বার্নিয়েরকে এখন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে এবং পার্লামেন্ট বিলোপ্ত ঘোষণা করতে হবে।   প্রসঙ্গত, গত জুন ও জুলাইয়ে ফ্রান্সে আগাম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে রাজনৈতিকভাবে বড় তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে পড়ে দেশটির পার্লামেন্ট। আগাম নির্বাচনের প্রায় দুই মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর মিশেল বার্নিয়েকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।  ডানপন্থি রিপাবলিকান (এলআর) দলের প্রবীণ সদস্য বার্নিয়ের রাজনৈতিক জীবন বেশ দীর্ঘ। ফ্রান্স ও ইইউ উভয় ক্ষেত্রেই বিভিন্ন সিনিয়র পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ৭৩ বছর বয়সি বার্নিয়ে ইইউর ব্রেক্সিট বিষয়ক প্রধান আলোচক ছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন তিনি। আরটিভি/কেএইচ
ফ্রান্সে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, নিহত ২
একটি স্কি রিসোর্টে গিয়ে ধাক্কা মারে বাসটি। ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত অনেক। বাসটি ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে ফ্রান্সের দক্ষিণে যাচ্ছিল। পোর্তে পিউওমাসের কাছে একটি স্কি রিসোর্টে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মেরেছেন। এ ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়। আহত বহু। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে চারটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বাসে যারা ছিলেন, তারা সকলেই স্কি রিসোর্টে যাচ্ছিলেন। আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেখানে অন্য গাড়ি পৌঁছাতে পারছে না। সে কারণে উদ্ধারকাজে সময় লাগছে। প্রায় ১২০ জন উদ্ধারকারী ঘটনাস্থলে আছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে টানা বরফপাত হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ক্লিফে ঢুকে যায়। তার ফলেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আরটিভি/এএইচ
জার্মানিতে অভিবাসী কর্মীর চাহিদা বছরে ৩ লাখ
জার্মানির বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশনের গবেষণা অনুযায়ী, যথাযথ অভিবাসন নিশ্চিত করা না গেলে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ হ্রাস পাবে। গবেষণায় বলা হয়েছে, বছরে প্রায় ২ লাখ ৮৮ হাজার দক্ষ বিদেশি কর্মী না এলে জার্মানির কর্মক্ষম জনসংখ্যা ৪৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন থেকে ২০৪০ সাল নাগাদ ৪১ দশমিক ৯ মিলিয়নে নেমে আসবে। ২০৬০ সালে এই সংখ্যা আরো কমে ৩৫ দশমিক ১ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্টেলসম্যানের অভিবাসন বিশেষজ্ঞ সুজানে শুলজ বলেন, বেবি বুমার প্রজন্মের শ্রমবাজার থেকে বিদায় নেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। তিনি আরো বলেন, জার্মানির অভ্যন্তরীণ দক্ষতার উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণের প্রয়োজন রয়েছে, তবে এই জনমিতি পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিবাসন অপরিহার্য। আইন সংস্কারের প্রভাব ২০২৩ সালে জার্মানিতে কর্মসংস্থান আইন সংস্কার করে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্যাজার ২০২৩ সালে এই আইন সংস্কারের সময় একে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক অভিবাসন আইন বলে অভিহিত করেছিলেন। তবে বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশনের গবেষণা বলছে, স্থানীয় প্রশাসন এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আরো স্বাগতপূর্ণ সংস্কৃতি তৈরি না হলে এবং দীর্ঘমেয়াদি থাকার দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান না করলে বিদেশি কর্মীরা সহজে আসবে না। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ সুজানে শুলজ বলেন, আইন সংস্কার একটি ভালো পদক্ষেপ, তবে এটি যথেষ্ট নয়। অভিবাসীদের জন্য প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা, কাজের পরিবেশ উন্নত করা, এবং অভ্যন্তরীণ সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা জরুরি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান অভিবাসনের গতি বাড়াতে অভিবাসন প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও স্বচ্ছ করতে হবে। চাকরির বাজারে প্রবেশ সহজ করতে এবং বিদেশিদের যোগ্যতা সঠিকভাবে মূল্যায়নের পদক্ষেপ নিতে হবে। অভিবাসীদের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে বৈষম্যের চ্যালেঞ্জ জার্মানিতে কাজ করতে আসা অভিবাসীদের অনেকেই সামাজিক বৈষম্য এবং প্রত্যাখ্যানের শিকার হচ্ছেন। ২০১৬ সালে জার্মানিতে আসা এক সিরীয় শরণার্থী বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ সিরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি এখন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন৷ তিনি বলেন, সমান অধিকার চাই, কিন্তু সেটা ভিক্ষা করে নয়। বৈষম্য অনেক কর্মীর জার্মানি থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার একটি বড় কারণ বলে মনে করেন সুজানে শুলজ৷ তার মতে, এমন পরিস্থিতি জার্মানির মতো দেশের জন্য সহ্য করার মতো নয়। বিদেশি কর্মীদের আকর্ষণ করার জন্য জার্মানিকে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে। আরটিভি/এএইচ
৫৩ শতাংশ ফরাসি মিচেল সরকারের পতন চায়
ফরাসি নাগরিকদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিচেল বার্নিয়ার সরকারের পতন চায়। মূলত প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে এক সমীক্ষায়। এতে দেখা গেছে ৬৭ শতাংশ মানুষ বার্নিয়ার প্রস্তাবিত বাজেটের বিরোধিতা করেছেন। বাজেট ঘাটতি কমাতে কর বাড়িয়ে দেয়া এবং সরকারি খরচে কাটছাঁটের প্রস্তাব করেছেন তিনি। ৩৩ শতাংশ মানুষ অবশ্য এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। উগ্রডানপন্থি এবং বামপন্থিরা যদি বার্নিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তাহলে বড়দিনের আগে বা আগামী সপ্তাহেই তার সরকারের পতন ঘটতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক অঙ্গনের নানা সূত্র৷ গত ২৬ ও ২৭ নভেম্বর স্যুদ রেডিওর জন্য একহাজার ছয়জন মানুষের উপর সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছে ইফঅপ-ফিড্যুসিয়ালে৷ এদিকে, বিএফএম টিভির আরেক সমীক্ষায় দেখা গেছে বার্নিয়ার সরকারের পতন হলে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করছেন ৬৩ শতাংশ মানুষ৷ আরটিভি/এএইচ
কার্বন নির্গমন কমাতে ই-ট্রাক
পরিবহণের জন্য ট্রাক প্রয়োজন। কিন্তু সেগুলো ব্যাপক কার্বন নির্গমনও ঘটায়। ব্যাটারিচালিত ইলেকট্রিক ট্রাক এই সমস্যা কিছুটা দূর করতে পারে। কিন্তু ই-ট্রাক কি দীর্ঘ পথের ধকল সামলাতে পারবে? ডেলিভারির কাজে বেরিয়েছে ই-একট্রোস ৬০০ ডাইমলার ট্রাক। এটি প্রথম ট্রাক, যেটি একবার চার্জ নিয়ে ৫০০ কিলোমিটার চলতে পারে। স্টেভ এঙ্গেলমান ইউরোপের অন্যতম বড় রিসাইক্লিং এন্টারপ্রাইজ রিমন্ডিসের জন্য ট্রাকটি পরীক্ষা করছেন। ডিপোতে রাতের বেলা ব্যাটারিটি পুরোপুরি চার্জ দেয়া হবে। এজন্য ছয় থেকে আধঘণ্টা লাগবে। রিমন্ডিস গ্রুপের আড়াইশোর মতো ই-ট্রাক রয়েছে। কিন্তু এটি সবচেয়ে বেশি দূরে যেতে পারে। রিমন্ডিসের ফ্লিট ম্যানেজার স্টেভ এঙ্গেলমান বলেন, মার্সেডিস - ডাইমলার - মজা করেনি। কোনো সমস্যা ছাড়াই ৫০০ কিলোমিটার গিয়েছি আমরা। সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে রিচার্জ করায় ট্রাকগুলোকে প্রায় কার্বন নিরপেক্ষ বলা যেতে পারে। কিন্তু চালকদের কাছে রাস্তায় এগুলোকে রিচার্জ করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কারণ তারও ঘরে যেতে হবে। দ্রুত রিচার্জ করতে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ এবং হেভি ডিউটি চার্জারের দরকার। সেক্ষেত্রে বিশ মিনিটেই বিশ থেকে আশি শতাংশ চার্জ দেয়া সম্ভব। কিন্তু এরকম মেগাওয়াট চার্জিং সিস্টেম যথেষ্ট নেই এখনো। রিমন্ডিসের জাসা হিংকে বলেন, আমাদের বড় পরিসরে গণ চার্জিং কাঠামো দরকার। নির্মাতারা প্রস্তুত। তারা অনেক গাড়ি তৈরি করছেন। ধারাবাহিকভাবে কাজ চলছে। কিন্তু এজন্য কাঠামো তৈরিতে অনেক কিছু করতে হবে। ডাইমলার ট্রাকের উৎপাদনকেন্দ্র হচ্ছে দক্ষিণপশ্চিম জার্মানি। তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক গাড়ি নির্মাতা। এখানে টেস্ট ট্র্যাকে ই-ট্রাকটিকে নানা গতিতে যাচাই করা হচ্ছে। কয়েকশত বিশেষজ্ঞ আট বছর খরচ করে তৈরি করেছেন। প্রকল্পটির পরিচালক মিশায়েল ভল্ফ। ই-ট্রাকটির খুচরা মূল্য আড়াই লাখ ইউরো, যা ডিজেলচালিত মডেলের তুলনায় এক লাখ ইউরো বেশি। ডাইমলার মনে করছে উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়লে দাম কমবে। ঘণ্টায় এটির সর্বোচ্চ গতি আশি কিলোমিটার। জার্মানির মহাসড়কে ট্রাকের স্পিডলিমিটও এটা। এটির রাডার ডিস্টেন্স সেন্সর এবং অভিনব মিরর ক্যামেরা রয়েছে। তিনটি ব্যাটারি প্যাকসহ ওজন সাড়ে চার মেট্রিক টন এবং আউটপুট ৬০০ কিলোওয়াট। একইধরনের ডিজেল মডেলের তুলনায় ই-ট্রাকগুলোর গতি বেশি। অন্যান্য উৎপাদনকারীরাও তাই আগ্রহী হচ্ছে। ডাচ নির্মাতা ডিএএফ-এর ই-ট্রাক প্রায় পাঁচশ কিলোমিটার যেতে পারে। সুইডেনের স্ক্যানিয়া ই-ট্রাক যেতে পারে সাড়ে তিনশো কিলোমিটার, এবং ম্যানের ২০২৫ সালের মডেলের ব্যাপ্তি হবে ৪০০ কিলোমিটার। রিমন্ডিস বেশ কিছুদিন আগে ই-ট্রাক বাজারে ছাড়ে। প্রতিষ্ঠানটির জন্য এটা ভালো উদ্যোগ ছিল। জাসা হিংকে বলেন, আমার ডিপোতে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ এবং শুল্ক অব্যাহতি ডিজেলের বিপরীতে দুটি সুবিধা। এবং আমি লম্বা দূরত্বে চালালে এগুলোর সুফল মেলে। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে জার্মানি ই-ট্রাক কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি বাতিল করে। তার অনেক আগেই অবশ্য ডিজেল ট্রাকের মহাসড়ক ব্যবহারের শুল্ক দ্বিগুণ করা হয়েছে যাতে ই-ট্রাকের কদর বাড়ে। এতে অবশ্য বিরক্ত জার্মানির ট্রাক শিল্প। ট্রাক শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করেন ই-ট্রাকের বিক্রি বাড়াতে জার্মানিকে আবারো ভর্তুকি চালু করতে হবে। তবে একইসঙ্গে এসব ট্রাকের দূরত্ব অতিক্রমের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে এখনো পিছিয়ে আছে নির্মাতারা। আরটিভি/এএইচ