• ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ফ্রান্সে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, নিহত ২
জার্মানিতে অভিবাসী কর্মীর চাহিদা বছরে ৩ লাখ
জার্মানির বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশনের গবেষণা অনুযায়ী, যথাযথ অভিবাসন নিশ্চিত করা না গেলে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ হ্রাস পাবে। গবেষণায় বলা হয়েছে, বছরে প্রায় ২ লাখ ৮৮ হাজার দক্ষ বিদেশি কর্মী না এলে জার্মানির কর্মক্ষম জনসংখ্যা ৪৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন থেকে ২০৪০ সাল নাগাদ ৪১ দশমিক ৯ মিলিয়নে নেমে আসবে। ২০৬০ সালে এই সংখ্যা আরো কমে ৩৫ দশমিক ১ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্টেলসম্যানের অভিবাসন বিশেষজ্ঞ সুজানে শুলজ বলেন, বেবি বুমার প্রজন্মের শ্রমবাজার থেকে বিদায় নেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। তিনি আরো বলেন, জার্মানির অভ্যন্তরীণ দক্ষতার উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণের প্রয়োজন রয়েছে, তবে এই জনমিতি পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিবাসন অপরিহার্য। আইন সংস্কারের প্রভাব ২০২৩ সালে জার্মানিতে কর্মসংস্থান আইন সংস্কার করে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্যাজার ২০২৩ সালে এই আইন সংস্কারের সময় একে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক অভিবাসন আইন বলে অভিহিত করেছিলেন। তবে বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশনের গবেষণা বলছে, স্থানীয় প্রশাসন এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আরো স্বাগতপূর্ণ সংস্কৃতি তৈরি না হলে এবং দীর্ঘমেয়াদি থাকার দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান না করলে বিদেশি কর্মীরা সহজে আসবে না। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ সুজানে শুলজ বলেন, আইন সংস্কার একটি ভালো পদক্ষেপ, তবে এটি যথেষ্ট নয়। অভিবাসীদের জন্য প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা, কাজের পরিবেশ উন্নত করা, এবং অভ্যন্তরীণ সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা জরুরি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান অভিবাসনের গতি বাড়াতে অভিবাসন প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও স্বচ্ছ করতে হবে। চাকরির বাজারে প্রবেশ সহজ করতে এবং বিদেশিদের যোগ্যতা সঠিকভাবে মূল্যায়নের পদক্ষেপ নিতে হবে। অভিবাসীদের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে বৈষম্যের চ্যালেঞ্জ জার্মানিতে কাজ করতে আসা অভিবাসীদের অনেকেই সামাজিক বৈষম্য এবং প্রত্যাখ্যানের শিকার হচ্ছেন। ২০১৬ সালে জার্মানিতে আসা এক সিরীয় শরণার্থী বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ সিরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি এখন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন৷ তিনি বলেন, সমান অধিকার চাই, কিন্তু সেটা ভিক্ষা করে নয়। বৈষম্য অনেক কর্মীর জার্মানি থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার একটি বড় কারণ বলে মনে করেন সুজানে শুলজ৷ তার মতে, এমন পরিস্থিতি জার্মানির মতো দেশের জন্য সহ্য করার মতো নয়। বিদেশি কর্মীদের আকর্ষণ করার জন্য জার্মানিকে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে। আরটিভি/এএইচ
৫৩ শতাংশ ফরাসি মিচেল সরকারের পতন চায়
কার্বন নির্গমন কমাতে ই-ট্রাক
৩৬ ঘণ্টার মধ্যে লেবাননে যুদ্ধবিরতি, ঘোষণা দেবেন বাইডেন ও ম্যাক্রোঁ 
কপ ২৯ / উন্নয়নশীল দেশের জন্য ৩০ হাজার কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি
নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিলো ইউরোপের ৭ দেশ
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকেই বেশ বিপাকে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ঘনিষ্ঠতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আইসিসির এ রায়ের তীব্র নিন্দা জানালেও নেতানিয়াহুর ওপর থেকে তাদের হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন অন্য পশ্চিমা মিত্ররা। মাত্রই দিন তিনেক আগে জারি করা আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আমলে নিয়ে এরই মধ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, সুইডেন, বেলজিয়াম ও নরওয়ের সরকার।  স্পষ্টভাবে প্রতিশ্রুতি না দিলেও ইউরোপের এ সাতটি দেশের বাইরে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরায়েলের আরেক ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্যও।  এর আগে, নেদারল্যান্ডসের হেগে চলতি বছরের মে মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ, হামাসের তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। করিম খানের আবেদনে সাড়া দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। হানিয়া ও সিনওয়ার এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ায় তালিকা থেকে তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রসেত্তো এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমি মনে করি, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্তের সঙ্গে হামাসের সামরিক শাখার প্রধানকে এক কাতারে বিচার করা আইসিসির একটি ভুল। তবে এই পরোয়ানা প্রত্যাহার কিংবা অকার্যকর হওয়ার আগে নেতানিয়াহু কিংবা গ্যালান্ত যদি ইতালি সফরে আসেন, তাহলে বাধ্য হয়েই তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে আমাদের। তিনি বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়। ইতালি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। তাই আইসিসির যেকোনো পদক্ষেপ, যে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে বাধ্য। নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাসপার ভেল্ডক্যাম্প শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, সরকার আইসিসির নির্দেশ মেনে চলা ও যাদের ওপর পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ নয়- এমন যাবতীয় যোগাযোগ বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্তোফি লেমোনি আইসিসির এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘জটিল আইনি ইস্যু’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে, নেতানিয়াহু ফ্রান্স সফরে এলে তাকে গ্রেফতার করা হবে কি না, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। অস্ট্রিয়াও আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছে। তবে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সজান্ডার শ্যালেনবার্গ বলেন, পরোয়ানাটি তার কাছে পুরোপুরি বোধগম্য নয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টেরমারের মুখপাত্র এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার জন্য যুক্তরাজ্যের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা সবসময় মেনে চলা হবে। নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত অকপটে জানিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস। তিনি বলেছেন, নেতানিয়াহু যদি আয়ারল্যান্ডে পা দেন, তাহলে তাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতকে সমর্থন করি এবং তাদের পরোয়ানা প্রয়োগ করি। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির ব্যাপারে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আইসিসির এ রায়কে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। এর প্রতিক্রিয়ায় আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখায়েল মার্টিন বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বক্তব্যের বিরোধিতা করছি। কারণ, গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এটি গাজাবাসীর ওপর সমষ্টিগত শাস্তি, এটি গণহত্যা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নেতানিয়াহুর পক্ষে নিজেদের সমর্থন প্রকাশ করেছে হাঙ্গেরি। আইসিসির এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেছেন, আমি শিগগিরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে হাঙ্গেরি সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানাবো। আরটিভি/এসএইচএম-টি
এবার যুক্তরাজ্যের স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের হামলা
যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের একদিন পরেই এবার যুক্তরাজ্যের তৈরি স্টর্ম শ্যাডো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।   বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রুশ যুদ্ধ প্রতিবেদকদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর একাধিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়। তবে এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কার্যালয় কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।  কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে বুধবার (২০ নভেম্বর) এই হামলা হয় বলে টেলিগ্রামে রুশ যুদ্ধ প্রতিবেদকেরা জানিয়েছেন। তাদের শেয়ার করা ভিডিওতে অন্তত ১৪টি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, যা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। একটি আবাসিক এলাকার কাছ থেকে ধারণ করা ওই ভিডিওতে দূরে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা কুরস্ক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে যুক্তরাজ্যের স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের হামলা বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কার্যালয় জানিয়েছে, তারা স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের হামলা বিষয়ে করা প্রতিবেদনগুলো নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না। এর আগে, যুক্তরাজ্য জানিয়েছিল, স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র কেবল ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে রাশিয়ার ভেতরেও এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য অনুমতির জন্য যুক্তরাজ্য দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিয়ে আসছিল। এরও আগে গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনে মানববিধ্বংসী স্থলমাইন ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্যাকেজে হিমার্স রকেট সিস্টেম, জাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য গোলাবারুদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে কুরস্ক অঞ্চলে হামলা চালায় ইউক্রেন।   যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জামানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, এক হাজার দিনেরও বেশি সময় ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বর্তমানে এক উত্তেজনাপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তার আগেই ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। আরটিভি/কেএইচ-টি
ভূগর্ভস্থ পানির সংকটের আশঙ্কায় টেসলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
বার্লিনের গ্রুনহাইডের টেসলার নতুন গিগাফ্যাক্টরির পার্শ্ববর্তী বন থেকে পরিবেশ কর্মীদের অপসারণের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। অঞ্চলটি থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবিস্ফোরিত বোমা খুঁজে বের করা ও এলাকাটি নিরাপদ বলে বিবেচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের আবার ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করেছে। গাড়ি তৈরির মার্কিন প্রতিষ্ঠান টেসলার সম্প্রসারণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কয়েক মাস ধরেই বিক্ষোভ করছেন পরিবেশবাদীরা। তারা বারবার টেসলা কর্তৃপক্ষকে অসৎ বলে সম্বোধন করেছেন। জার্মানির রাজধানী বার্লিনের উপকণ্ঠে গ্রুনহাইডে শহরে টেসলার কারখানাটির সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়। একটি বড় বনাঞ্চল উজাড় করে কারখানাটির সম্প্রসারণ ও এর সম্ভাব্য পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে সংশ্লিষ্টরা উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন৷ বিক্ষোভের আরেকটি বিষয় ছিল, কারখানাটির অতিরিক্ত উৎপাদনের উদ্দেশে জনসাধারণের জন্য সংরক্ষিত সুপেয় পানির ব্যবহার করা৷ টেসলার কারখানাটিতে আনুমানিক ১২ হাজার কর্মী কাজ করার কথা রয়েছে, যার ফলে সেখানকার ভূগর্ভস্থ পানির সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন তারা। পটসডাম পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, এই অভিযান বিক্ষোভকারীদের উচ্ছেদের উদ্দেশে ছিল না। শুধুমাত্র কোনো বোমা যেন সেখানে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে এলাকাটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুটি অবিস্ফোরিত বোমা পাওয়া গিয়েছিল। এই গ্রীষ্মে একই ধরনের দুটি বিস্ফোরক ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে, যা পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি চালানোর সময় বিক্ষোভস্থলটি ভেঙে ফেলা হবে কিনা সে বিষয়ে পুলিশ এখনো কিছু বলেনি। যদিও বিক্ষোভকারীরা বলছেন অবিস্ফোরিত বোমা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বিপজ্জনক নয়। বরং টেসলা কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে তাদের কারখানা সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিপদ ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন- কর্তৃপক্ষ স্থানীয় নাগরিকদের ইচ্ছাকে অসম্মান করেছেন। কারণ, তারা কারখানাটি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের মালিকানাধীন টেসলা জানিয়েছে, বছরে ১০ লাখ গাড়ি তৈরির জন্য কারখানাটির উৎপাদনক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ১৫ অক্টোবর, ব্রান্ডেনবুর্গের পরিবেশ মন্ত্রণালয় কারখানাটির আংশিক সম্প্রসারণের অনুমোদন দিয়েছে। আরটিভি/এএইচ
জি-টোয়েন্টির বিবৃতিকে স্বাগত জানালো কপ২৯
বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী মোট কার্বন নির্গমনের তিন-চতুর্থাংশ করে জি-টোয়েন্টি দেশগুলো। তাই জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ে তাদের মতের দিকে তাকিয়ে ছিল আজারবাইজানের বাকুতে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়া কর্তৃপক্ষগুলো। এই অবস্থায় সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে একটি বিবৃতি ইস্যু করেন জি-টোয়েন্টি দেশগুলোর নেতারা। একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে তারা এখন ব্রাজিলে রয়েছেন। ওই সম্মেলনের প্রথম দিন ছিল সোমবার। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানান বিষয় নিয়ে তারা কথা বলেন। এরপর রাতে প্রকাশ করা বিবৃতিতে জি-টোয়েন্টি নেতারা বলেন, তারা বাকুর সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছার বিষয়টি সমর্থন করছেন। এবারের জলবায়ু সম্মেলনের অন্যতম মূল লক্ষ্য, জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছা। বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী, ধনী দেশগুলো বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো চায়, এই অর্থের পরিমাণ অনেক বেশি বাড়ানো হোক। তবে সপ্তাহ খানেক ধরে চলা জলবায়ু সম্মেলনে এই বিষয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। শুক্রবার সম্মেলনটি শেষ হবার কথা। জি-টোয়েন্টি নেতাদের বিবৃতিতে অর্থায়ন বিষয়ে ইতিবাচক সংকেত পাওয়া গেছে বলে মনে করছেন গ্রিনপিস-এর কর্মী জেস্পার ইনভেনটর। তবে সম্মেলনের বাকি দিনগুলোতে এই ইতিবাচক সংকেতকে একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তিতে পরিণত করতে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। এদিকে, জি-টোয়েন্টির বিবৃতিতে জলবায়ু অর্থায়ন সব সূত্র থেকে আসতে হবে বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে তাতে খুশি নন জি৭৭ চীন গ্রুপের চেয়ারম্যান আডোনিয়া আয়েবারে। তিনি বলেন, গরিব দেশগুলো অনুদান চায়, ঋণ নয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর গোষ্ঠী হচ্ছে জি৭৭ চীন। জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে আর যা নিয়ে আলোচনা হলো জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও ইউক্রেন, গাজা ও লেবাননের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে সহায়তা করতে জি-টোয়েন্টির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন ও ব্রাজিল। এই দেশ দুটি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে ইউক্রেনকে চাপ দিচ্ছে। এদিকে গাজা ও লেবাননে সর্বাঙ্গীণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জি-টোয়েন্টি নেতারা। গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুসরণ করা উচিত বলে মনে করেন তারা। ওই প্রস্তাবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসকে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য একটি বৈশ্বিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের আয়োজক দেশ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভা। তার এই উদ্যোগে ৮২টি দেশ যুক্ত হয়েছে। জি-টোয়েন্টির দেশগুলো হলো আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, ভারত, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। আরটিভি/এএইচ/এস
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালাল ইউক্রেন
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে চালানো এই হামলায় পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে এবং আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরে যায়। রাশিয়া জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ২৫ মিনিটে এই হামলা চালানো হয়। আগুন দ্রুত নেভানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় একটি গোলাবারুদের গুদামে হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলায় আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করা হয়েছে কি না সেটা তারা নিশ্চিত করেনি। সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারের মতো দূরে কারাচেভ শহরের কাছে একটি ডিপোতে হামলা হয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এ ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দেওয়ার পরপরই এই ঘটনা ঘটলো। এর আগে, গত সোমবার রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, ইউক্রেন এমন কোনো আক্রমণ চালালে তারা উপযুক্ত এবং কঠোর জবাব দেবে। এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন পারমাণবিক নীতিমালা অনুমোদন করেছেন। এতে বলা হয়েছে, কোনো অ-পরমাণবিক রাষ্ট্র যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় এবং তাতে কোনো পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সমর্থন পায়, তবে সেটি যৌথ আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে ওই দেশটিতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া। আরটিভি/একে/এস
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিলেন পুতিন
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে প্রথম এমন অনুমতি দিলেন তিনি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। যাতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র এবং রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য কিয়েভকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার পরই পদক্ষেপ নিলো রাশিয়া। নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, যে দেশ পারমাণবিক শক্তিধর নয়, কিন্তু সেই রাষ্ট্র যদি পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশের সমর্থন পায় তাহলে রাশিয়াও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া সবসময় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার পক্ষে। আমরা শুধু আমাদের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। তিনি আর বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘সামরিক অভিযান’ অব্যাহত থাকবে।   
দক্ষ কর্মীদের ভিসা দেওয়া বাড়িয়েছে জার্মানি
জার্মানি চলতি বছর দক্ষ চাকরি প্রার্থীদের প্রায় দুই লাখ ভিসা দেওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। রোববার (১৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব জানানো হয়। অভিবাসন আইন সহজ করায় এই বৃদ্ধি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। দক্ষ জনবলের সংকট কাটাতে জার্মানি কানাডার মতো পয়েন্টের ভিত্তিতে দক্ষ কর্মীদের জার্মানিতে আসার সুযোগ তৈরি করেছে। এজন্য অপরচুনিটি কার্ড চালু করেছে জার্মানি। এই কার্ডের কারণে পেশাজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা শিক্ষার্থীদের জার্মানিতে পড়ালেখা ও চাকরি খোঁজার সুযোগ বেড়েছে। বর্তমানে জার্মানিতে প্রায় ১৩ লাখ ৪০ হাজার পদ খালি আছে। গত পাঁচ বছরে জার্মানিতে ১৬ লাখ চাকরি সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ৮৯ শতাংশ চাকরি পেয়েছেন বিদেশিরা। সরকার বিবৃতিতে জানানো হয়, অভিবাসন আইন সহজ করার পর নন-ইইউ দেশের শিক্ষার্থীদের ভিসা ইস্যুর হার ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে, শিক্ষানবিশ ভিসা দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া বিদেশি পেশাদার সার্টিফিকেটের স্বীকৃতি ৫০ শতাংশ বেড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্যাজা বলেন, মেধাবী তরুণেরা জার্মানিতে তাদের প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনা আরও সহজে সম্পন্ন করতে পারছেন। তিনি আরও জানান, অপরচুনিটি কার্ডের জন্য অভিজ্ঞ ও সম্ভাব্য কর্মীরা এখন আরও দ্রুত ও সহজে উপযুক্ত চাকরি খুঁজতে পারছেন।  এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানান, জার্মানির দক্ষ অভিবাসন আইন এখন ইউরোপের সবচেয়ে আধুনিক অভিবাসন আইন। অপরচুনিটি কার্ড যোগ্যতা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একজন কর্মী অপরচুনিটি কার্ড পাবেন কিনা তা ঠিক করা হয়। এই লিংকে গিয়ে একজন ব্যক্তি এই কার্ড পাওয়ার যোগ্য কি না, তা যাচাই করতে পারেন। যারা এই কার্ডের আবেদন করবেন তাদের জার্মানিতে থাকাকালীন সময়ে প্রতিমাসে অন্তত এক হাজার ইউরো খরচ করার সামর্থ্য আছে কিনা, তার প্রমাণ দিতে হবে। এই কার্ডধারীরা প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ এক বছরের জন্য জার্মানিতে কাজ খোঁজার অনুমতি পান। এক বছর পর জার্মানিতে থাকা অবস্থায় কার্ডের মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আবেদন করা যায়। এ কার্ডে সপ্তাহে মোট ২০ ঘণ্টা এক বা একাধিক খণ্ডকালীন চাকরি করা যায়। চাকরি খোঁজার অংশ হিসেবে কার্ডধারীরা প্রতি কোম্পানিতে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহের জন্য জব ট্রায়াল করতে পারেন। আরটিভি/এএইচ