• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
৩৯০ কোটিতে বিক্রি হলো জুডির সেই জুতা জোড়া!
অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড, সন্তানের বাবার পরিচয় নিয়ে রহস্য!
নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। ৩৮ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী পাইরেটস অব ক্যারিবিয়ান খ্যাত হলিউড অভিনেতা জনি ডেপের সাবেক স্ত্রী। অন্তঃসত্ত্বার খবর জানালেও সন্তানের বাবার পরিচয় জানাননি এই অভিনেত্রী।  অভিনেত্রী অ্যাম্বারের ঘরে আরও একটি সন্তান রয়েছে। এবার অভিনেত্রীর ঘরে দ্বিতীয় সন্তান আসার সুখবর দেন অ্যাম্বারের এক মুখপাত্র। সম্প্রতি পিপলস ম্যাগাজিনকে সেই মুখপাত্র বলেছেন, গর্ভাবস্থার বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। তাই খুব বেশি বিস্তারিত এখনই জানাতে চাচ্ছি না। তবে অ্যাম্বার তার দ্বিতীয় সন্তানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। ২০২১ সালে সারোগেসির মাধ্যমে প্রথম সন্তান আসে অ্যাম্বারের ঘরে। এখন সেই সন্তানের বয়স ৩ বছর, নাম ওনাঘ পাইজ। একই পরিকল্পনা করে অ্যাম্বার তার দ্বিতীয় সন্তানও আনতে যাচ্ছেন কি না, তা নিয়েও জোর জল্পনা। সেক্ষেত্রে তার দ্বিতীয় সন্তানের বাবা আছেন কি নেই না সে ব্যাপারে কিছুই স্পষ্ট নয়। ইতোমধ্যে অ্যাম্বারের ভক্ত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিকমাধ্যমে অভিনেত্রীকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছেন। তাকে এবং ওনাঘের মঙ্গল কামনাও করেন অনুরাগীরা। প্রসঙ্গত, অ্যাকোয়াম্যান খ্যাত অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডের সঙ্গে ভালোবেসে সংসার পেতেছিলেন জনি ডেপ। তবে সেই সংসারের শেষটা মোটেও ভালো ছিল না। তাদের দাম্পত্যকলহ পৌঁছেছিল আদালত পর্যন্ত। বহু আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত সবকিছু ছেড়ে স্পেনে চলে আসেন অ্যাম্বার। আরটিভি/এএ/এস
পর্দায় নগ্ন দেখে অভিনেত্রীকে যা বলেছিলেন তার মা
যে কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন গায়ক এলটন
মারা গেছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সিলভিয়া পিনাল
২ কোটি টাকারও বেশি মাদক নিয়ে আটক অভিনেত্রী
রেকর্ড সৃষ্টি করে পর্দায় আসছে ‘মোয়ানা ২’
সময়টা ২০১৬ সাল, ওই বছর আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল ওয়ার্ল্ড ডিজনির অ্যানিমেশন সিনেমা ‘মোয়ানা’। রন ক্লেমেন্টস ও জন মুস্কারের যৌথ পরিচালনায় নির্মিত ছবিটি দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেয় দারুণ মুগ্ধতায়। পলিনেশিয়ান দ্বীপের রাজকন্যা মোয়ানা একদিন মহাসমুদ্র পাড়ি দেয় ‘তে ফিতির’ নামক একটি পাথরের সঙ্গে এক রহস্যময় ধ্বংসাবশেষ ফের একত্র করার জন্য। পথে তার সঙ্গী হয় কিংবদন্তি মাউয়ি ও তার পোষা মুরগি। এই নিয়েই এগিয়ে যায় সিনেমাটির গল্প। মুক্তির পরপরই বিশ্বজুড়ে ঝড় তোলে মোয়ানা। বক্স অফিসে ছবিটি আয় করে নেয় ৬৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরপর থেকেই সিনেমাটির পরবর্তী কিস্তি দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন দর্শকরা। অপেক্ষাটা বেশ দীর্ঘ হলেও এবার তার পালা শেষ হতে চলেছে। পর্দায় আসছে ‘মোয়ানা ২’। গতকাল ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন ডেভিড জি ডেরিক জুনিয়র। এটি প্রথমে টেলিভিশন সিরিজ হিসেবে নির্মাণ করা হলেও পরে আরো কিছু কাজ করে এটাকে থিয়েট্রিক্যাল সিক্যুয়াল হিসেবে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ‘মোয়ানা ২’-তে এবারও মোয়ানা চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন আউলি ক্রাভালিও এবং মাউয়ি চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন ডোয়াইন জনসন। গত ২৯ মে প্রকাশ করা হয় সিনেমাটির ট্রেলার। এরপর প্রকাশ হয় একটি গান। যার শিরোনাম ‘উই আর ব্যাক’। গানটি ওয়াল্ট ডিজনি অ্যানিমেশন স্টুডিও এবং ডিজনি মিউজিকভেবোর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে ‘মোয়ানা’ চরিত্রে আউলি ক্রাভালহো ও ‘মাউই’ চরিত্রে ডোয়াইন জনসনকে দেখা যায়। গানটি বেশ সাড়া ফেলেছে দর্শদের মাঝে। এর আগে টিজারে আভাস পাওয়া যায়, এবারও পর্দা কাঁপাবে মোয়ানা।  ছবিটি নিয়ে দর্শকদের উৎসাহ কতখানি তা বোঝা যায় অগ্রিম টিকেটের চাহিদা দেখে। অনলাইন টিকিট বিক্রেতা ফ্যান্ডাঙ্গোর তথ্য মতে, ‘মোয়ানা ২’ অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে অবিশ্বাস্য সাফল্য অর্জন করেছে। এটি শুধু বছরের সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হওয়া অ্যানিমেটেড সিনেমা নয় বরং এটি ২০২৪ সালের চতুর্থ সেরা প্রি-সেল শো হতে যাচ্ছে। ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’, ‘উইকেড পার্ট ওয়ান’ এবং ‘ডিউন: পার্ট টু’ এর পরেই আছে মোয়ানা ২- এর অবস্থান। তাই আগের ছবির মতো এ ছবিও যে আলোড়ন তুলতে যাচ্ছে তা বলার অবকাশ রাখে না।  এর আগে ডিজনির পক্ষ থেকে ঘোষণা হয়েছিল যে অ্যানিমেটেড ফিল্ম মোয়ানার সিক্যুয়াল ছাড়াও এটি পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র আকারে রিমেক করা হচ্ছে। সেটি নির্মাণ করবেন থমাস কেইল। এতে ডোয়াইন জনসন অভিনয় করবেন, যা মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১০ জুলাই। আরটিভি/এএ 
ট্রাম্পকে নিয়ে ভয়ে হলিউড তারকারা, বিপদে অভিনেতা
রোমানীয়-মার্কিন অভিনেতা সেবাস্টিয়ান স্ট্যান, মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সে বাকি বার্নস চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’ নামক একটি বায়োপিক ছবিতে কাজ করছেন তিনি। এ ছবিতে অভিনেতাকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুবক অবস্থার চরিত্রে দেখা যাবে। ১৯৭০-এর দশকে আইনজীবী রয় কোহনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের গল্প নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। এই চলচ্চিত্রে কাজের জন্য স্ট্যান অনেক বেশি নজর কেড়েছেন। তবে বায়োপিকটি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন স্ট্যান। তিনি দাবি করেছেন, হলিউডের অনেক তারকারা ট্রাম্পকে নিয়ে ভীত। ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’ সিনেমাটি নিয়েও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ইন্ডাস্ট্রির মানুষ। তারা কেউ এটি নিয়ে কথা বলতে চান না। স্ট্যান আরও দাবি করেন, ভ্যারাইটি ম্যাগাজিনের ‘অ্যাক্টরস অন অ্যাক্টরস’ সিরিজে বড় পুরস্কারের জন্য মনোনীত প্রতিদ্বন্দ্বী শিল্পীরা একে অন্যকে প্রশ্ন করেন। সেখানে এই ছবিটি নিয়ে স্ট্যানকে প্রশ্ন করবেন বা তার সাথে অংশ নেবেন এমন কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, আমি একজন অভিনেতাকে খুঁজে পাইনি যিনি আমার সঙ্গে এতে অংশ নেবেন। কারণ, সবাই এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে ভীত। তিনি আরও যোগ করেন, আপনি জানেন, আমাকে অনেক বড় বড় কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু এই ছবি প্রচারে যে অভিজ্ঞতা দেখছি এমনটা কখনো দেখিনি। সবাই ছবিটি নিয়ে নীরব হয়ে আছে। কেউ কথা বলতে চায় না। পিপল ম্যাগাজিনকে ভ্যারাইটি ম্যাগাজিনের সহসম্পাদক রামিন সেতুদেহও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সেবাস্টিয়ান স্ট্যান যা বলেছেন তা সঠিক। আমরা তাকে ‘অ্যাক্টরস অন অ্যাক্টরস’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কিন্তু অন্যান্য অভিনেতারা তার সঙ্গে জুটি হতে চাননি। কারণ তারা ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কিত সিনেমা বা কোনোকিছু নিয়ে কথা বলতে চাননি। স্ট্যান বলেন, আমার মনে হচ্ছে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর চলচ্চিত্রশিল্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। একটা অশুভ লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি। তিনি হতাশার সুরে আরও বলেন, মনে হচ্ছে শিল্পীরা স্বাভাবিক পরিস্থিতি হারিয়ে ফেলব। কারণ, কোনোরকম ভীতি বা এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে অসুবিধা হবে, ভাবলে তো কাজ করার পরিবেশ থাকবে না। আমরা সত্যিই একটি বড় সমস্যায় পড়ব। তিনি ট্রাম্পকে রাজনৈতিক ময়দানে একজন প্রেসিডেন্ট এবং সিনেমার পর্দায় একটি চরিত্র হিসেবে গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন। শিল্পচর্চাকে যেন ভয়ের সংকটে পড়তে না হয় সেটাও প্রত্যাশা তার। আরটিভি/এএ-টি   
টেইলর সুইফটের গানে নাচলেন জাস্টিন ট্রুডো
টেইলর সুইফট। যার গানে মেতে ওঠে পুরো বিশ্ব। একের পর এক গানে শ্রোতা-দর্শকদের মাতিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার কনসার্ট মানেই যেন বিখ্যাত ব্যক্তিদের নজরকাড়া উপস্থিতি। গায়িকার কানাডার এরাস ট্যুরেও এর ব্যতিক্রম হলো না। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো! শুধু তাই নয়, নেচে-গেয়ে কনসার্ট উপভোগ করেছেন তিনি। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতের টেইলর সুইফটের কনসার্টটি ছিল নানাভাবে তাৎপর্যময়। কারণ গায়িকার এরাস ট্যুরের শেষ ধাপের কনসার্টের একটি এটি। আর এ দিনই হাজির হয়েছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। কনসার্টে টেইলর সুইফটের গানে নেচেছেন তিনি।  আমেরিকার গণমাধ্যম টিএমজেডের সূত্র অনুযায়ী, সামজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে গান গাইছেন টেইলর সুইফট। আর দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে তার গানের ছন্দে নাচছেন জাস্টিন ট্রুডো। কনসার্টের উন্মাদনা পেয়েছিল তাকেও। ভিডিওটি দেখে বোঝাই যাচ্ছে, এই পপ তারকার গানে মুগ্ধ হয়েছিলেন কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী।   প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মার্চে শুরু হয়েছিল টেইলর সুইফটের এরাস ট্যুর। পাঁচটি মহাদেশজুড়ে ১৪৯টি শো দিয়ে সাজানো হয়েছে তার এই গানের ট্যুরটি। এবার এই কনসার্ট ট্যুর প্রায় শেষের পথে। বাকি রয়েছে মাত্র ৪টি শো। শেষ কনসার্টটি আগামী ৪ ডিসেম্বর কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অনুষ্ঠিত হবে। আরটিভি/এইচএসকে/এআর
নিখোঁজের দুই সপ্তাহ পর খোঁজ মিলল অভিনেত্রীর, অতঃপর...
গসিপ গার্ল’ খ্যাত অভিনেত্রী চ্যানেল মায়া ব্যাঙ্কসকে দুই সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেছে। ব্যাঙ্কসকে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে  লস এঞ্জেলেস পুলিশ। পরে ব্যাঙ্কসও তার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়ে জানান তিনি এখন মুক্ত। এদিকে, চ্যানেল মায়া ব্যাঙ্কস জানান, তিনি একটি ট্রিপে গিয়েছিলেন এবং তার পরিবার থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। পরিবারের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করেন অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে ন্যায়বিচারও দাবি করেন।  অভিনেত্রীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনার জন্ম হয়। সর্বশেষ ৩০ অক্টোবর ড্যানিয়েল-টরি সিং নামের এক কাজিনকে টেক্সট করেছিলেন চ্যানেল ব্যাঙ্কস। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।  বলে রাখা ভালো, লস অ্যাঞ্জেলেসের প্লেয়া ভিস্তা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে এক বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছিলেন চ্যানেল। গায়েব হওয়ার পর তার ফোন ও ল্যাপটপও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।  প্রসঙ্গত, ‘গসিপ গার্ল’ ও ‘ব্লু ব্লাডস’ টিভি সিরিজ দিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন চ্যানেল ব্যাঙ্কস। এ ছাড়া ‘টুয়েলভ’ নামের একটি চলচ্চিত্রেও তাকে দেখা গেছে। আরটিভি/এএ
‘ক্যান্ডিম্যান’খ্যাত অভিনেতা টনি টড আর নেই
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন হলিউড অভিনেতা টনি টড। গত ৬ নভেম্বর লস অ্যাঞ্জেলসে নিজের বাড়িতেই মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। অভিনেতার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। টনির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন তার স্ত্রী ফাতিমা।   ইনসমনিয়াক গেমস স্টুডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করে লিখেছে, ‘আমাদের বন্ধু টনি টডের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ইনসমনিয়াক গেমস। মার্ভেলের ‘স্পাইডার ম্যান টু’প্রযোজনার সময় তিনি আনন্দ ও উচ্ছ্বাস নিয়ে এসেছিলেন আমাদের স্টুডিয়োতে।’ টনি টড ১৯৫৪ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য কানেক্টিকাটে বেড়ে ওঠেন তিনি। মূলত সেখানেই অভিনয়ের প্রতি প্রেম জন্মায় তার। মঞ্চ থেকে শুরু হলেও পর্দায় নিজের আলাদা জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন টনি। ‘ক্যান্ডিম্যান’সিনেমায় খুনির চরিত্রে নজর কাড়েন তিনি। ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন’ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তার অভিনয় এখনও গেঁথে আছে অনুরাগীদের মনে। এর পাশাপাশি ‘স্পাইডার ম্যান টু’সিনমোয় ভেনমের চরিত্রেও সাড়া ফেলেন অভিনেতা। হরর ঘরানার সিনেমায় অবদান রয়েছে টোনির। বিশেষ করে ‘ক্যান্ডিম্যান’ সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ‘নিউ ইয়র্ক সিটি হরর ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’পান তিনি।  ক্যারিয়ারে ২৪০টিরও বেশি সিনেমা ও টেলিভিশন প্রোডাকশনে কাজ করেছেন টনি। সর্বশেষ তাকে ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন-ব্লাডলাইনস’সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। ২০২৫ সালে মুক্তির কথা রয়েছে সিনেমাটির। আরটিভি/এইচএসকে
ট্রাম্পের জয়ে দেশ ছাড়তে পারেন যেসব হলিউড সেলিব্রিটি
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে গত ৫ নভেম্বর শেষ হয়েছে মার্কিন নির্বাচন। এতে ২৯৫ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (দ্বিতীয় বার)। তবে তার জয়ে খুশি নন অনেক হলিউড তারকা। ফলে নির্বাচনে ট্রাম্প জিতে যাওয়ায় মার্কিন মুলুক ছাড়তে চাচ্ছেন অনেকে। ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখে নেওয়া যাক তালিকায় রয়েছেন কোন কোন হলিউড সেলিব্রিটি—  রাভেন-সাইমন ২০১৬ সালে যখন প্রথমবার ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেছিলেন, সেসময় অভিনেত্রী রাভেন-সাইমন জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে দেবেন তিনি। মার্কিন মুলুকে তার ভবিষ্যৎ নাকি অন্ধকার। মূলত এ কারণে দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন রাভেন-সাইমন। শ্যারন স্টোন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে ইতালি চলে যেতে চাচ্ছেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন। চলতি বছর জুলাইয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, মার্কিন মুলুক ছেড়ে ইতালি চলে যাবেন। সেখানে একটি বাড়ি আছে অভিনেত্রীর।  এর আগে, ‘নিউইয়র্ক পোস্ট’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্যারন বলেছিলেন, এই প্রথম এমন কাউকে দেখলাম, যিনি এত ঘৃণা ও অত্যাচারের পরিবেশের মধ্যে থেকেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে নামতে পেরেছেন। সোফি টার্নার ট্রাম্পের জয়ের পর ব্রিটিশ অভিনেত্রী সোফি টার্নারও জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন মুলুক থেকে নিজের জন্মস্থান ইউকে’তে চলে যাবেন তিনি। চের বরাবরই ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন মার্কিন অভিনেত্রী-গায়িকা চের। ২০২৩ সালে ‘দ্য টাইমস’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চের জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেনশিয়াল রুলের সময় স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এবারও যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে ফিরে আসেন, তাহলে দেশে ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে আমাকে। মিনি ড্রাইভার ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেছেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী মিনি ড্রাইভার। চলতি বছরের জুলাইয়ে ‘দ্য টাইমস’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিনি জানিয়েছিলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে তিন দশক থাকার পর ইউকে’তে ফিরে গেছেন তিনি। মূলত ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনার বিষয়টি আঁচ করে আগেই জলে গেছেন তিনি। আরটিভি/এইচএসকে/এসএ
ট্রাম্প-কমলার ভোটের লড়াই, কার পক্ষে হলিউডের কোন তারকা?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু হতে আর মাত্র কয়েক প্রহরের অপেক্ষা। ইতোমধ্যে প্রচারণাভিযান শেষ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস। জনমত জরিপগুলো বলছে, মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবার। এদিকে দুই নেতার মধ্যে চলছে ব্যাপক প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার মাঝে অনেক তারকা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। হলিউডের সুপরিচিত গায়িকা টেলর সুইফট কমলা হ্যারিসের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। টেলর হ্যারিসকে জানিয়েছেন যে, যদি তিনি সেপ্টেম্বরে নির্বাচনে দাঁড়ান, তবে তিনি তাকে ভোট দেবেন। টেলরের মতোই, বিখ্যাত গায়িকা এবং গীতিকার বিয়ন্সেও কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করছেন। সম্প্রতি, বিয়ন্সে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করে তার সমর্থন জানান। গায়িকা বিলি এইলিশও হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়েছেন। এ ছাড়া ব্রুস স্প্রিংস্টিন, যিনি ‘দ্য বস’ নামে পরিচিত, ২৮ অক্টোবর ফিলাডেলফিয়ায় কমলা হ্যারিসের সমাবেশে পারফর্ম করে হ্যারিসের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন। তিনি তার ১৯৭৮ সালের জনপ্রিয় গান ‘দ্য প্রমিজড ল্যান্ড’ গেয়েছেন, যা হ্যারিসের প্রচারণার মূল বার্তাকে নির্দেশ করে। এ ছাড়াও জুলিয়া রবার্টস, অপেরা ওইনফ্রে, জেনিফার অ্যানিস্টন ও লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর মতো বৈশ্বিক তারকা হ্যারিসের প্রতি নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। রাজনীতির এই মাঠে প্রবীণ অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজও কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করছেন। তিন দিন আগে লোপেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি হ্যারিসের সমাবেশে যোগদান করেছেন। অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করার জন্য উঠে এসেছে জেসন অ্যাল্ডিয়ানের নাম। তিনি গত মাসে জর্জিয়ায় একটি সমাবেশে ট্রাম্পের প্রতি তার সমর্থন প্রদর্শন করেন। এ ছাড়া সাবেক রিয়েলিটি টিভি তারকা অ্যাম্বার রোজও ট্রাম্পের পক্ষাবলম্বন করেছেন এবং তিনি মিলওয়াকিতে ২০২৪ সালের রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন। র‌্যাপার ওয়াকা ফ্লোকা ফ্লেম, মিউজিশিয়ান কিড রক এবং অভিনেতা জাচারি লেভি ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন। সমর্থন করেছেন কিম কার্দাশিয়ান, কেনি ওয়েষ্ট, জন ভয়েটের মতো বিনোদন জগতের তারকারা। পাশাপাশি বিখ্যাত কুস্তিগীর হাল্ক হোগান এবং ব্যবসায়ী ইলন মাস্কও ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এই তারকাদের সমর্থন জনগণের কাছে কতটা প্রভাব বিস্তার করবে তা আজ নির্বাচনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যাবে। তারকাদের সমর্থন তাদের লাখো কোটি ভক্ত অনরাগীদের মনে প্রভাব ফেলতে পারে এবং তাদের সমর্থন একটি প্রার্থীর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রতিটি প্রার্থীই নিজের পাশে জনপ্রিয় তারকাদের সমর্থন চান।    আরটিভি /এএ/এসএ