• ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১
logo
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন / বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন কমলা-ট্রাম্প
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪০, আহত অর্ধশতাধিক
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার মানুষ নিহত এবং আরও ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) আবারও বড় ধরনের হামলা হলো গাজা ভূখণ্ডে বাস্তুচ্যুতদের ক্যাম্পে। এতে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ। সূত্র: আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি তাবু ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং আরও ৬০ জন আহত হয়েছেন বলে ভূখণ্ডটির জরুরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মঙ্গলবার ভোরের আগে হওয়া এই হামলায় খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় অন্তত ২০টি তাঁবুকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। আল জাজিরা বলছে,  ইসরায়েলি সেনাবাহিনী খান ইউনিস এবং নিকটবর্তী রাফাতে স্থল আক্রমণের সময় উপকূলীয় এই অঞ্চলটিকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা করার পর থেকে আল-মাওয়াসির এই তাঁবু ক্যাম্পেই থাকতে বাধ্য হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। জীবিতদের সন্ধানকারী উদ্ধারকারীরা বলেছেন, হামলার পর তারা তাঁবুর শিবিরে ৯ মিটারপর্যন্ত গভীর গর্ত খুঁজে পেয়েছেন।  গাজার সিভিল ডিফেন্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ঘটনাস্থলের প্রাথমিক মূল্যায়নে যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে তা হচ্ছে, এটি এই উন্মত্ত যুদ্ধের সবচেয়ে জঘন্য গণহত্যাগুলোর একটি।’ ইসরায়েলের দাবি, হামলার আগে, সুনির্দিষ্ট যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে ওপর থেকে নজরদারির পাশাপাশি অতিরিক্ত অন্যান্য উপায় অবলম্বনসহ বেসামরিকদের ক্ষতির ঝুঁকি কমানোর জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।   আরটিভি/এআর-টি
শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ানের নিবন্ধ / শেখ হাসিনার পতনে কর্তৃত্ব হারাচ্ছে ভারত
বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে মৌমাছি মোতায়েন করলো ভারত
নাইজেরিয়ায় জ্বালানির ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত ৪৮ জন
সেভেন সিস্টার্সের ৬০ কিমি ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনারা, যা জানাল ভারত
সপ্তাহে ৩ দিন ছুটি চালু হলো যে দেশে
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সপ্তাহে তিন দিন ছুটির যুগে প্রবেশ করেছে সৌদি আরব। দেশটির রাজধানী রিয়াদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এআই কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স ম্যানেজম্যান্ট প্লাটফর্ম লুসিডিয়া প্রথম কোনো কোম্পানি হিসেবে কর্মীদের সপ্তাহে তিন দিন ছুটি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) এ প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুসিডিয়াতে কর্মরতরা এখন থেকে সপ্তাহে চার দিন অফিস করবেন। আর তিনদিন ছুটি কাটাবেন। এদিকে লুসিডিয়ার এ ঘোষণা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে। সপ্তাহের প্রায় অর্ধেক সময় ছুটি দেওয়ার বিষয়টি কর্মীদের ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে এ বিষয়টি দেখার জন্য অনেকেই আগ্রহী। এদিকে সংবাদমাধ্যম আল এখবারিয়া জানিয়েছে, লুসিডিয়ার সিদ্ধান্ত সৌদিতে এটি অভূতপূর্ব নজির। তাদের এ উদ্যোগ অনেক মানুষকে রোমাঞ্চিত করেছে। অনেকেই এটির ফলাফল জানতে মুখিয়ে আছেন। যারমধ্যে আছে কর্মীদের ওপর এটির প্রভাব এবং তাদের উৎপাদনশীলতা। অন্যদিকে সৌদির সাপ্তাহিক ছুটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য করার আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের মানব সম্পদ বিশেষজ্ঞ ড. খালিল আল থিয়াবি।  তিনি বলেছেন, যেহেতু জি-২০ জোটের দেশগুলোতে শনিবার ও রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ দেওয়া হয়। যদি তাদের সঙ্গে মিলিয়ে সৌদিতেও এটি করা যায় তাহলে এটি দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে।
চাকরি হারালেন কোটার সুবিধা নেওয়া তরুণী
কোটা ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে সরকারি চাকরি বাগিয়ে নেওয়া আলোচিত তরুণী পূজা খেড়করকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের বিতর্কিত এই আইএএস কর্মকর্তাকে তার প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) পরীক্ষায় নিজের নাম, বাবা-মায়ের নাম, ছবি, স্বাক্ষর, প্রতিবন্ধী প্রশংসাপত্র সবই বারবার বদলেছেন পূজা। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গেল ৩১ জুলাই পূজার নিয়োগ বাতিল করে ইউপিএসসি। আদালতে পরিচয় জাল করে আমলা হওয়ার প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার অল ইন্ডিয়া সার্ভিস অ্যাক্ট, ১৯৫৪ এবং সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ২০২২ ধারার শিক্ষানবিশ আইন প্রয়োগ করে পূজার নিয়োগ বাতিল করেছে। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে পূজা আর কোনো সরকারি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং জালিয়াতির মামলাও করা হয়েছে।  ইউপিএসসির সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পূজা। তার যুক্তি ছিল, একবার আমলা হিসেবে নিযুক্ত হলে আর ইউপিএসসির কিছু করার থাকে না। ফলে পূজাকে বরখাস্ত করার ক্ষমতাও তাদের হাতের বাইরে। এরপরই তার নিয়োগ বাতিল করল কেন্দ্র।
পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে গ্রেপ্তার চার বাংলাদেশি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে সেখানকার পুলিশ।   রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) কলকাতার উত্তর দিনাজপুরে রায়গঞ্জের মোহিনীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।  এ সময় তাদের সঙ্গে তাদের আশ্রয়দাতাকেও ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। তার নাম অচিন্ত্য বর্মণ বলে জানা গেছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার চার বাংলাদেশির নাম হৃদয় বর্মণ (১৭), তুলা বর্মণ (২০), অন্তর বর্মণ (১৯) এবং লিপু রায় (২৯)।  পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, ওই বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা। তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর সীমান্ত লাগোয়া মোহিনীগঞ্জ গ্রামে আশ্রয় নেন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রোববার তাদের গ্রেপ্তার করে রায়গঞ্জ পুলিশ। গ্রেপ্তারের পরপরই রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হয় ওই বাংলাদেশিদের। জিজ্ঞাসাবাদে ওই বাংলাদেশিরা পুলিশকে জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থানের সমস্যায় পড়েছেন তারা। এ কারণে সীমান্ত পেরিয়ে কাজের সন্ধানে কলকাতায় পাড়ি জমিয়েছেন তারা।  তবে, তাদের পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে রায়গঞ্জ পুলিশ।  
গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা চলছেই, নিহত প্রায় ৪১ হাজার
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি নৃশংসতা চলছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদাররা। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় ৪১ হাজারে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় শনিবার গাজায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন নারী এবং দুই শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৬১ জন নিহত এবং আরও ১৬২ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামলায় এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ৯৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ। দখলদারদের এমন বর্বর হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের বলছে, গাজায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সবাই খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
সীমান্ত থেকে ৪৩ বাংলাদেশি পাসপোর্ট জব্দ
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে ৪৩টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং ৬টি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জব্দ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় বিএসএফ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় দায়িত্বরত বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে তারালি-১ সীমান্ত চৌকি এলাকার ১৪৩ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানের একটি চেষ্টা ব্যর্থ করেন। পাশাপাশি ৪৩টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও ৬টি ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটসহ বেশ কিছু নথি জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় সন্দেহভাজন চোরাকারবারিকেও। বিএসএফের, এই সব নথিপত্র ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিলো। শনিবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের নিয়মিত টহলের সময় স্থানীয় সোনাই নদীতে একটি সন্দেহজনক সাদা বস্তা ভাসতে দেখেন বিএসএফ জওয়ানরা। কাছে গেলে দেখা যায়, বস্তাটি বাংলাদেশের দিক থেকে দড়ির সাহায্যে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সন্দেহজনক বস্তাটি উদ্ধার করতে নোঙর ও হুক ব্যবহার করেন। উদ্ধার করে সেটি তরালি-১ চেকপোস্টে নিয়ে আসা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ওই বস্তার ভেতর থেকে ক্রোয়েশিয়ার জন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ইস্যুকৃত ৪৩টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও ৬টি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জব্দকৃত বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটগুলো স্থানীয় তেতুলিয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান চক্রের জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছে বিএসএফ। তাদের ধারণা, পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটগুলো অবৈধ অভিবাসন বা মানব পাচারের জন্য ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল।
‘বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস’ ৬ জুলাই, জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রস্তাব গৃহীত
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের প্লেনারিতে সর্বসম্মতিক্রমে প্রতিবছর ৬ জুলাইকে ‘বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে একটি রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত রেজ্যুলেশনটি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পেরু, ফিলিপাইন এবং থাইল্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত একটি কোর গ্রুপের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়।  জাতিসংঘের ৪৩টি সদস্য রাষ্ট্র এই রেজ্যুলেশনটি স্পন্সর করেছে, এবং কোন ভোট ছাড়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে এটি গৃহীত হয়।  অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের পেশ করা প্রথম রেজ্যুলেশন যা সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি ও অভাব দূরীকরণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতিরই সমার্থক।  নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে খসড়া রেজ্যুলেশনের ওপর জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মাঝে আলোচনা পরিচালনা করে এবং রেজ্যুলেশনের খসড়া চূড়ান্ত করে।   এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (CIRDAP)’ কর্তৃক এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে টেকসই পল্লী উন্নয়নে সহায়তার স্বীকৃতি স্বরূপ, সংস্থাটির প্রতিষ্ঠার দিন ০৬ জুলাই ১৯৭৯ বিবেচনায়, প্রতিবছর ০৬ জুলাই ‘বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত রেজ্যুলেশনটি উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য উৎপাদন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং উন্নত জীবিকা নিশ্চিতকরণের মত ক্ষেত্রসমূহসহ বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই পল্লী উন্নয়নের উপর গুরত্বারোপ করেন।  এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মুহিত আশাবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস’ ঘোষণা ও পালনের মাধ্যমে সমন্বিত, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পল্লী উন্নয়নে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপের গুরুত্ব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টি করবে, এবং এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নের নিমিত্ত গ্রামীন জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিতকরণে বিশ্বব্যাপী গৃহীত নানাবিধ উদ্যোগ ও কর্মসূচীকে অনুপ্রাণিত করবে। রেজ্যুলেশনটি জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, একাডেমিয়া, গ্রামীণ উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ, কৃষক সংগঠন, আদিবাসী ও স্থানীয় জনগণকে গ্রামীণ টেকসই উন্নয়নের নিমিত্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ ও প্রচারের মাধ্যমে বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস পালন করার আহবান জানায়।  এছাড়াও যথাযথভাবে এই দিবস পালনে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় রেজ্যুলেশনটিতে।
গাজায় পোলিও টিকা কর্মসূচির মধ্যেই ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২৭
ফিলিস্তিনের গাজায় চলছে পোলিও টিকা কর্মসূচি। এর মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় গাজা উপত্যকাজুড়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন ফিলিস্তিনি। সূত্র : রয়টার্স স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গাজার সব এলাকায় সংঘাত হয়েছে। উপত্যকার বৃহত্তম এবং ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবির নুসেইরাতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন দুই নারী এবং দু’জন শিশু। গাজার বৃহত্তম শহর গাজা সিটিতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ৮ জন এবং বাকি নিহতদের কেউ খান ইউনিস, কেউ রাফা, কেউ বা জেইতুনের বাসিন্দা। ১১ মাস ধরে চলা যুদ্ধ থামানোর জন্য মাসের পর মাস ধরে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী ৩ দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধাবসান ও শান্তি স্থাপনে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার প্রায় সবই ব্যর্থ। হা ১ সেপ্টেম্বর গাজা উপত্যকার শিশুদের জন্য পোলিও টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতি বছর উপত্যকায় এই সময় শিশুদের পোলিও টিকা খাওয়ানো হয় হয় এবং পুরো কর্মসূচি তত্ত্ববধানের দায়িত্বে থাকে জাতিসংঘের তিন অঙ্গসংগঠন— বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), ইউনিসেফ এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা আনরোয়া। টিকাদান কর্মসূচি শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ৯ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী এবং হামাস। প্রাথমিক ভাবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ সেপ্টেম্বর ছিল টিকাদান কর্মসূচির মেয়াদ। তবে ৩ সেপ্টেম্বর গাজার সীমান্তবর্তী শহর রাফায় আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিরা জানান, সেখানকার অনেক শিশু টিকা পায়নি। তাই কর্মসূচির মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় জাতিসংঘের সংস্থা আনরোয়া’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “গত ১ সেপ্টেম্বর টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৫৫ হাজার শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য গাজার ১ থেকে ১০ বছর বয়সী সব শিশুকে টিকার আওতায় আনা।