• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে চুপ করে থাকব না: কমলা হ্যারিস
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২১ সেপ্টেম্বর
শ্রীলঙ্কায় আগামী ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকটে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটি। গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন দেশটির সংস্কারের ভাগ্য নির্ধারণ করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।  শুক্রবার (২৬ জুলাই) সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে নির্বাচনে প্রার্থিতার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। শ্রীলঙ্কার জনসংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখ। এর মধ্য ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ। বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের অধীনে নির্বাচন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কাজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। পরে তিনি পদত্যাগ করেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে নতুন প্রেসিডেন্ট হন ৭৫ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহে। ২০১৯ সালে পাঁচ বছরের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রাজাপক্ষে। তিনি ক্ষমতা হারানোর পর মেয়াদের বাকি সময় দায়িত্ব পালনের জন্য দেশটির পার্লামেন্ট বিক্রমাসিংহেকে নির্বাচিত করে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ২৯০ কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে অর্থনীতিতে বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন বিক্রমাসিংহে। ২০২২ সালে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭০ শতাংশ। সেটি কমিয়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়েছে বিক্রমাসিংহের সরকার। স্থানীয় মুদ্রা শক্তিশালী করার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও পুনর্গঠন করা হয়েছে। ২০২৪ সালে দেশটির অর্থনীতিতে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে।
কুখ্যাত মাদক সম্রাট এল মায়ো গ্রেপ্তার
বিশ্ববাজারে কমেই চলেছে জ্বালানি তেলের দাম, নেপথ্যে কী
তাইওয়ানে আছড়ে পড়লো ঘূর্ণিঝড়
বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
তাপপ্রবাহ মহামারির চেহারা নিতে চলেছে: জাতিসংঘ
বন্যা অথবা ঝড়ের চেয়েও ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে দাবি। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ কার্যত মহামারির চেহারা নিয়েছে। তার বক্তব্য, গত সোমবার ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম দিন। তার আগের দিনও ছিল ভয়াবহ গরম। সোমবার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের প্রধান। গুতেরেসের বক্তব্য, বন্যা কিংবা ঝড় দেখতে পাওয়া যায়। তাপপ্রবাহ দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এই তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বিপজ্জনক। মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে তাপপ্রবাহ। ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ এর মধ্যে প্রতি বছর শুধুমাত্র তাপপ্রবাহের জন্য মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৮৯ হাজার মানুষের। সেখানে প্রতি বছর সাইক্লোনের জন্য মৃত্যু হয়েছে গড়ে ১৬ হাজার মানুষের। গুতেরেস এদিন বলেছেন, এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ এড়িয়ে চলার জন্য সকলের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে নজর দেওয়া দরকার ছোটদের দিকে, বৃদ্ধদের দিকে এবং অসুস্থ মানুষদের দিকে। এই তাপপ্রবাহের জন্য খাদ্যসুরক্ষাব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খরা হচ্ছে। খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা বার্তা আরও ভালোভাবে যাতে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হলে কৃত্রিমভাবে ঠান্ডার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সর্বোপরি, তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য শহরের পরিকাঠামোগত বদল করতে হবে। বিশ্বের তাপমাত্রাবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে হবে। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনশূন্য পরিবেশের কথা বলেছে জাতিসংঘ। গুতেরেস জানিয়েছেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়তো সম্ভব হবে। পৃথিবীর ৫৭টি দেশে যদি তাপপ্রবাহের সতর্কতা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো যায়, তাহলে বছরে অন্তত ৯৮ হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন গুতেরেস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য নিয়েই এই হিসেবে পৌঁছানো গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।  
ফ্র্যাংকফুর্টে পরিবেশকর্মীদের বিক্ষোভ, বিমান চলাচল স্থগিত
পরিবেশকর্মীদের আন্দোলনের জেরে জার্মানির সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর ফ্র্যাংকফুর্টে বিমান চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে লাস্ট জেনারেশন ক্লাইমেট গ্রুপের সদস্যরা বিমানে ফসিল ফুয়েল বা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের প্রতিবাদে ফ্র্যাংকফুর্ট বিমানবন্দরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করে জানিয়েছেন, বিমানবন্দরে বিক্ষোভ চলতে থাকায় বর্তমানে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যাত্রীদের এখন বিমানবন্দরে যেতে মানা করা হয়েছে। তারা যেন তাদের বিমান কখন ছাড়বে তা আগে থেকে চেক করে নিয়ে তারপর বিমানবন্দরে যান। তাদের যাত্রার জন্য অতিরিক্ত সময়ও দেয়া হবে। একদিন আগেই পরিবেশকর্মীরা জার্মানির কোলন এবং বন বিমানবন্দরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তারা বিমানের রানওয়েতে গিয়ে বসে পড়েছিলেন। এই পরিবেশবাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, সপ্তাহজুড়েই তারা বিক্ষোভ দেখাবে। বুধবার তারা নরওয়ের অসলো বিমানবন্দরেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তারা প্যারিসের অলিম্পিককেও টার্গেট করবে কিনা তা জানায়নি। ২০২১ সালে এই লাস্ট জেনারেশন পরিবেশবাদী সংগঠন তৈরি হয়। নাম থেকেই স্পষ্ট, এই সংগঠনের সদস্যরা মনে করেন, চরম পরিবেশগত বিপর্যয়ের আগে তারাই শেষ প্রজন্ম। জার্মানিতে সংগঠনের সদস্যরা রাস্তা ও বিমানবন্দরের রানওয়ে অবরোধ করে তাদের প্রতিবাদ জানান।
সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গলের সেঞ্চুরি
ভারতের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০০ পার করেছে। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা এখন ১০১। সুন্দরবনের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বিপন্ন প্রজাতির এই প্রাণীর সংখ্যা এক সময় কমে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছিলেন পরিবেশ কর্মীরা। পরিস্থিতি এখন ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বাঘের সংখ্যা সম্পর্কে তথ্য দেন। তিনি বলেন, ২০২২ সালের বাঘ শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০১। প্রতি চার বছর অন্তর বাঘ গণনার কাজ করা হয়। সাম্প্রতিক অতীতে প্রতিবার শুমারিতে দেখা গিয়েছে, বাঘের সংখ্যা বাড়ছে। ২০১০ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ৭৪। ২০১৪ সালে তা বেড়ে হয় ৭৬। ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ৮৮। ২০২২ সালের হিসেবে এই সংখ্যা ১০০ পার করে গিয়েছে। বাঘ শুমারির পদ্ধতি আগের থেকে বদলে গিয়েছে। এখন ট্র্যাপ ক্যামেরার মাধ্যমে বাঘের ছবি তোলা হয়। এর ফলে বাঘের সঠিক সংখ্যা প্রায় নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হচ্ছে। অতীতে বাঘের পায়ের দাগ দেখে সংখ্যা নির্ধারণ করা হত। সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় ৭২০টি জায়গায় ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। মোট ক্যামেরার সংখ্যা দেড় হাজার। ৪০ জন বনকর্মী বাঘ গণনার কাজে নিযুক্ত ছিলেন। সুন্দরবনের মোট ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে ভারতীয় অংশে রয়েছে চার হাজার বর্গকিলোমিটার। বাকি অংশ বাংলাদেশে। পশ্চিমবঙ্গের সাবেক বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অতীতে বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে বাঘ ভারতে চলে আসছে খাবারের খোঁজে। তাতেই কি বাঘের সংখ্যা বাড়ল? বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় অংশে থাকা বাঘের প্রজনন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সংখ্যা বৃদ্ধি করা গিয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, যথেষ্ট সংখ্যায় বাঘ সুন্দরবনে রয়েছে। এখানে তাদের ভালো সুরক্ষা দেয়া হয়েছে বলে সংখ্যা বেড়েছে। আমরা প্রকল্প এলাকায় বেড়া দিয়েছি, যাতে বাঘ লোকালয়ে চলে না যায়। বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ রয়েছে সুন্দরবনে, ফলে এই সংখ্যা বিশ্বাসযোগ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুন্দরবনের মোট এলাকায় একশ বাঘের বসবাস অসম্ভব কিছু নয়। ফলে ঠিকঠাক প্রজনন হলে, যদি শাবকরা বেঁচে যায়, তাহলে বাঘের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। ভারতের অন্যান্য জায়গার বাঘের তুলনায় সুন্দরবনের বাঘকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকতে হয়। জোয়ারের সময় বাদাবন জলে প্লাবিত হয়ে গেলে স্থলভাগের এলাকা কমে আসে। জল সরে গেলে আবার বসবাসের ডাঙা ফিরে পায় বাঘ। তাই ক্রমবর্ধমান সংখ্যাকে টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জও আছে। ডবব্লিওডবব্লিওএফ-এর সুন্দরবন প্রোগ্রাম অধিকর্তা অনামিত্র অনুরাগ দণ্ড বলেন, বাস্তুতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি অবশ্যই একটা ইতিবাচক অগ্রগতি। তবে এর একটা নেতিবাচক দিক রয়েছে। সুন্দরবনের পরিসর সীমিত একদিকে সমুদ্র অন্যদিকে ঘন জনবসতির জন্য বাঘের সংখ্যা বাড়লে তাদের ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই। এর ফলে জনবসতি এলাকায় মানুষের সঙ্গে বাঘের সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হবে। শুধুই গবাদি পশু শিকার করার লক্ষ্যে বাঘ গ্রামে প্রবেশ করে, এমনটা নয়। এক একটা বাঘ গড়ে ১০ বর্গ কিলোমিটার জায়গায় বিচরণ করে। বাঘের সংখ্যা বেড়ে গেলে এই জায়গা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। কোনো একটি এলাকায় অপেক্ষাকৃত বড় বাঘ ঢুকে পড়লে অন্য বাঘ নিরাপত্তার জন্য বনাঞ্চল ছাড়িয়ে জনপদে ঢুকে পড়তে পারে।  পশ্চিমবঙ্গের প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্তা শিবাজী ভট্টাচার্য বলেন, আমরা যে হিসেব দেখছি তা ২০১৮ সালের পর থেকে। সেই সময় বাঘের সংখ্যা ছিল ৮৮। পাঁচ-ছয় বছরে ১৩টি বাঘ বেড়েছে, যা খুব বেশি নয়। তবে আগে বাঘের সংখ্যা যতটা কমেছিল, তার তুলনায় এই ছবি সন্তোষজনক। এই বাঘের টিকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সুন্দরবনের বাঘ লড়াই করে টিকে থাকতে পারে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে নাক না গলাতে মমতাকে বার্তা নয়াদিল্লির
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জেরে ক্ষোভ জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। এর প্রেক্ষিতে মমতাকে এবার কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে তাকে নাক না গলাতে বলে দেওয়া হয়েছে দেশটির পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।   বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল। কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে গত রোববার (২১ জুলাই) এক দলীয় সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্য বলেন, ‘বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত ঝরছে।’ পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের লিখিত প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ সরকার। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওয়া সেই আপত্তিবার্তার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, মমতাকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনো রাজ্যের ‘নাক গলানোর’ প্রয়োজন নেই।  ব্রিফিংকালে তিনি আরও জানান, ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিলের (শিডিউল) প্রথম তালিকার ১০ নম্বর বিষয়টিতে বলা আছে, পররাষ্ট্র সংক্রান্ত সবকিছুই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন, কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত। এ ক্ষেত্রটি রাজ্য তালিকা কিংবা যুগ্ম তালিকায় নেই, রয়েছে কেন্দ্রীয় তালিকায়। কাজেই পররাষ্ট্রসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কোনো রাজ্য সরকারেরই বিন্দুমাত্র এখতিয়ার নেই। যা রাজ্যের বিষয় নয়, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের মাথা ঘামানোর কিছু নেই। প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই কলকাতার ওই সমাবেশ থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অশান্তি প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। এ বিষয়ে জাতিসংঘের একটি সনদের কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তবে একইসঙ্গে এও বলেছিলেন, ‘এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ।’
বিশ্বজুড়ে মহামারির রূপ নিচ্ছে তাপপ্রবাহ: জাতিসংঘ
বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ কার্যত মহামারির রূপ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।  বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এক বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর ডয়েচে ভেলের। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গত সোমবার ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম দিন। তার আগের দিনও ছিল ভয়াবহ গরম। কিন্তু সোমবার তাপমাত্রার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন গুতেরেস। তিনি বলেন, বন্যা কিংবা ঝড় দেখতে পাওয়া যায়। তাপপ্রবাহ দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এই তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বিপজ্জনক; প্রতি বছর কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ। ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ এর মধ্যে প্রতি বছর শুধু তাপপ্রবাহের জন্য মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৮৯ হাজার মানুষের। সেখানে প্রতি বছর সাইক্লোনের জন্য মৃত্যু হয়েছে গড়ে ১৬ হাজার মানুষের।  গুতেরেস বলেন, এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ এড়িয়ে চলার জন্য সবার সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ মানুষদের দিকে নজর দেওয়া দরকার। এই তাপপ্রবাহের জন্য খাদ্য সুরক্ষাব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খরা হচ্ছে, খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অব্যাহত তাপপ্রবাহের প্রভাব মোকাবিলায় জাতিসংঘের পরামর্শ, বিভিন্ন দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা বার্তা আরও ভালোভাবে যাতে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হলে কৃত্রিমভাবে ঠান্ডার ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোপরি, তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য শহরগুলোতে পরিকাঠামোগত বদল আনতে হবে। বৃহস্পতিবারের বক্তব্যে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, পৃথিবীর ৫৭টি দেশে যদি তাপপ্রবাহের সতর্কতা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো যায়, তাহলে বছরে অন্তত ৯৮ হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। 
ইথিওপিয়ায় ভূমিধসে ২২৯ জনের মৃত্যু
দক্ষিণ ইথিওপিয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি চলছে দক্ষিণ ইথিওপিয়ায়। তারই জেরে মঙ্গলবার আচমকাই জমির একটি বড় অংশ ধসে পড়ে। কয়েকশ মানুষ সেই ধসে আক্রান্ত হয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২২৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে। আরো মানুষ ধসে আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, মাটি কেটে তার ভিতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে হচ্ছে। ধসের ফলে দেহগুলি মাটির গভীরে চলে গেছে। আরো কত মানুষ মাটির তলায় আছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বহু মানুষ নিখোঁজ। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদ বলেছেন, গোটা ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত। কেন্দ্রীয় অফিসারদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ১৪৮ জন পুরুষ এবং ৮১ জন নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার করতে এসেও অনেকে ধসের ভিতর আটকে পড়েছেন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ। দেহগুলি উপরে নিয়ে আসার পর দেখা যাচ্ছে, ছোট ছোট শিশুরা মৃতদেহ জড়িয়ে বসে আছে। কারণ, তারা তাদের গোটা পরিবারকে হারিয়েছে।
হোয়াইট হাউজে বাইডেন ও নেতানিয়াহুর বৈঠক
গাজা যুদ্ধের মধ্যে নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিরোধিতা করে হাজার হাজার মানুষের প্রতিবাদ করার একদিন পর বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) হোয়াইট হাউজে বৈঠকে বসেন এ দুই নেতা। খবর আল জাজিরার। জানা যায়, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নভেম্বরের নির্বাচনে সম্ভাব্য ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কামালা হ্যারিসের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে  বৈঠক করার কথা রয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর।  এর আগে বুধবার (২৪ জুলাই) মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। বেশ কয়েকজন মার্কিন আইনপ্রণেতা নেতানিয়াহুর এই বক্তৃতা বর্জন করার ঘোষণা দেন। এ ছাড়া হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মার্কিন ক্যাপিটলে জড়ো হয়ে ওয়াশিংটনকে ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা বন্ধের আহ্বান জানান।   বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের সামনেও জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন অনেক প্রতিবাদকারী।   গাজা সংঘাত শুরুর সময় থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের প্রতি বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তাসহ কূটনৈতিক সমর্থনও অব্যাহত রেখেছে ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউজে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন হামাসের সঙ্গে তিন দফার যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে নেতানিয়াহুকে চাপ দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা বাইডেন গত মে মাসে প্রথম উপস্থাপন করেছিলেন।