• ঢাকা সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১
logo
বন্যা পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যা করবেন
ছাদ বাগান সাজিয়ে তুলবেন যেসব গাছে
বাড়ির ছাদ সুন্দর করতে অনেকেই ছাদ বাগান করতে চান। কিন্তু কী গাছ লাগাবেন, তা বুঝতে না পাড়লেই হয় বিপত্তি। বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরের অধিকাংশ বাড়ির ছাদের দিকে তাকালেই বিভিন্ন ধরনের বাগান দেখা যায়। অবশ্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরের ছাদে যেসব বাগান দেখা যায় তার অধিকাংশই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। পরিকল্পিতভাবে উদ্যোগ নেওয়া হলে বাড়ির ছাদে যেকোনো গাছ, এমনকি শাকসবজিও ফলানো সম্ভব।  নান ধরনের মৌসুমি ফল ছাড়াও কলমি শাক, কলা, ডাঁটা, লাউ ইত্যাদি অনায়াসে উৎপাদন করা যায়। কোন গাছের জন্য কী ধরনের মাটি উপযোগী তা নিশ্চিত হয়ে ছাদে বাগান করলে ভালো হয়। এ ছাড়া বেশি রোদ বা গরম সহ্য করতে পারে এমন গাছই ছাদে রোপণ করা উত্তম। ছাদে বাগান করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে নিয়মিত পানি সেচ দেওয়া। কারণ, বাগানের গাছগুলো যেহেতু সাধারণ মাটির সংস্পর্শ হতে দূরে থাকে তাই নিয়মিত পানি সেচ না দিলে গাছগুলো যেকোন সময় মারা যেতে পারে। সাধারণত দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে গাছ ভালো জন্মে। ছাদে বাগান করতে হলে এ ধরনের মাটি ব্যবহার করলে ভালো হয়।  ছাদে যে ধরনের গাছ রোপণ করা যায়: বাড়ির ছাদে খুব নরম প্রকৃতির গাছ লাগাবেন না। ছাদের প্রখর রোদ নরম প্রকৃতির গাছ সহ্য করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে বড় গাছের বনসাই লাগানো ভালো। যেকোনো রকম ফুল যেমন গোলাপ, বেলী, টগর, জুঁই, গন্ধরাজ, জবা, জারবেরা গাছ লাগাতে পারেন। এছাড়াও লাগাতে পারেন ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, কারিপাতার গাছ‌। পেয়ারা, বারোমাসে লেবু (কাগজি, সিডলেস, এলাচি), মালটা, কমলা, বরই (টক ও মিষ্টি), ডালিম, ড্রাগন ফলের গাছ লাগাতে পারেন ছাদে। ক্যাপসিকাম, শিম, শসা, উচ্ছে, পটল, লাউ, ব্রকলি গাছ ছাদে লাগানো যায়। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, গোলমরিচ গাছও লাগাতে পারেন। সব থেকে ভালো হলো ছাদে ঔষধিগুণ বিশিষ্টগাছ লাগানো। অ্যালোভেরা, তুলসি, থানকুনি, চিরতার মত গাছ ছাদে ভালো হয়।
শিশুর জ্বর-সর্দিতে যেভাবে খেয়াল রাখতে হবে
দুর্ঘটনা কমাতে ফ্রান্সে প্রচারণা- ‘নারীর মতো গাড়ি চালান’
যে কারণে হয় হিটস্ট্রোক, প্রতিরোধে যা করবেন
গরমে হিট অফিসারের পরামর্শ
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়
দেশের অনেক জায়গায় বইছে তাপপ্রবাহ। হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। হঠাৎ তাপমাত্রার উর্ধ্বগতির এমন পরিস্থিতিতে হিট স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এটি প্রতিরোধে কী কী করা উচিত, তা ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য, হিট স্ট্রোকের সর্বোচ্চ ঝুঁকি আছে শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, শ্রমজীবী ব্যক্তি (যেমন- রিকশাচালক, কৃষক, নির্মাণশ্রমিক), অতিরিক্ত ওজন থাকা ব্যক্তি, শারীরিকভাবে অসুস্থ, বিশেষত হৃদরোগ বা উচ্চরক্তচাপ থাকা ব্যক্তির। চিকিৎসকেরা বলেন, হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে শরীর হাইড্রেট রাখার কোনো বিকল্প নেই। তাপমাত্রা বেশি হলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক পরে ঘরের বাইরে যেতে হবে। সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করার। রোদে থাকতে হলে প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।  করণীয়: হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে কিছু করণীয় ‍জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি, জেনে নিন করণীয়গুলো। দিনের বেলায় যথাসম্ভব বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন, রোদ এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি বা ক্যাপ বা কাপড় দিয়ে মাথা যথাসম্ভব ঢেকে রাখুন। হালকা রঙের, ঢিলেঢালা এবং সম্ভব হলে সুতির জামা পরুন। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। দিনের বেলায় একটানা শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে একাধিকবার পানির ঝাপটা নিন বা গোসল করুন। প্রস্রাবের রঙের দিকে নজর রাখুন। তা হলুদ বা গাঢ় হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বাড়ান। ঘরের পরিবেশ যেন অতিরিক্ত গরম বা ভ্যাপসা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। বেশি অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে যা যা করবেন
সারা মাস রোজার পর ঈদুল ফিতর পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেন সবাই। জীবনের শৈশব, কৈশোর যেখানে কেটেছে, সেই আপনজনদের সঙ্গেই ঈদ উদযাপনের জন্য ছুটে যায়। তখন ফাঁকা পড়ে থাকে বাসা। তাই বাড়ি যাওয়ার আগে কিছু কাজ গুছিয়ে নিলেই ঈদের ছুটি কাটাতে পারবেন নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে। কারণ, আপনি যে বাসায় থাকেন সে বাসার নিরাপত্তার দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। এই নিরাপত্তা ঈদযাত্রার প্রস্তুতিপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।  জেনে নিন, ঈদযাত্রায় যাওয়ার আগে বাসার নিরাপত্তায় আপনার কী কী করে যেতে হবে- কাজের একটি তালিকা করুন: সবার আগে একটি তালিকা তৈরি করুন। কার জন্য কী নিতে চান, ব্যাগে কী নিতে হবে, কোন কাজগুলো আগে সারতে হবে, ঈদে কোথায় কোথায় যেতে চান, সবকিছু একটি নোটে লিখে নিন। এখন সব স্মার্টফোনেই নোট করার সুবিধা থাকে। সেটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার কাজগুলো করা সহজ হবে। কোনোকিছু ভুলে গেলেও তালিকা দেখে মনে করে নেওয়া যাবে। ব্যাগ গুছিয়ে নিন : বাড়িতে যাওয়ার আগে সময় করে ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। নয়তো শেষ মুহূর্তে এসে গোছাতে গেলে তাড়াহুড়োয় অনেক কিছুই ভুলে ফেলে যেতে পারেন। অতিরিক্ত জিনিসপত্র টানবেন না। যতটুকু দরকার, ততটুকুই নিন। ফোনের চার্জার, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও কাগজপত্র ইত্যাদি গুছিয়ে সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনের সময় যেন হাতের কাছেই পাওয়া যায়। গ্যাসের চুলা বন্ধ করুন : অনেক সময় রান্না শেষে চুলা বন্ধ করার কথা আমরা ভুলে যাই। অথবা বন্ধ করলেও সেটি ভালোভাবে বন্ধ হয় না। তাই বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে আরেকবার ভালোভাবে দেখে নিন। কারণ কোনো কারণে গ্যাস লিক হলে বদ্ধ করে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে। তাই সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে সতর্ক থাকুন। পানির কল বন্ধ করুন : অনেক সময় কল চালু রাখা অবস্থায় পানি চলে গেলে পরে আর বন্ধ করতে মনে থাকে না। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে পানি চলে এলে তা অপচয়ের ভয় থাকে, যদি বাড়িতে কেউ না থাকে। তাই সবগুলো পানির কল ভালোভাবে বন্ধ করুন। এতে আপনি বাসায় না থাকলেও পানির অপচয় হবে না। সুইচ বন্ধ রাখুন : বাড়ির ইলেকট্রিক বাতি, ফ্যান, কম্পিউটার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদির সুইচ বন্ধ করে বের হবেন। সবগুলো প্লাগ খুলে রাখার চেষ্টা করবেন। যদি ফ্রিজ খালি থাকে তবে সেটিও পরিষ্কার করে বন্ধ করে রেখে যান। আর যদি খালি না থাকে তবে চালু অবস্থায়ই রাখতে হবে, নয়তো ভেতরে থাকা খাবার নষ্ট হবে। ঘরের একটি ছবি তুলে নিন : সবকিছু শেষে বাড়ির সবগুলো কক্ষের একটি করে ছবি তুলে নিন। এতে কোনো ধরনের অসঙ্গতি থাকলে তা চোখে পড়বে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তাই সতর্কতার অংশ হিসেবে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ছবি তুলে রাখুন। ঘর ভালোভাবে তালাবদ্ধ করুন : শুধু বাড়ির প্রধান দরজায়ই নয়, সবগুলো দরজা ও জানালায় ভালোভাবে লক করুন। লক করা হলে আরেকটার টেনে দেখবেন ভালোভাবে লক হয়েছে কি না। সবগুলো তালার চাবি সঙ্গে রাখুন। খেয়াল রাখবেন যেন বেড়াতে গিয়ে চাবি হারিয়ে না যায়। নয়তো ফিরে এসে বিপদে পড়তে হতে পারেন। পথের খাবার : একেবারে খালি পেটে ভ্রমণ করবেন না। আবার খুব ভরা পেটেও নয়। খেয়ে ভ্রমণের সময় তেল-মসলাযুক্ত না খেয়ে হালকা খাবার খান। পথে খাওয়ার জন্য (ইফতার বা সেহরি) রাস্তার খোলা খাবার কিনে না খেয়ে সঙ্গে রাখুন পানি, ফল ও হালকা বিস্কুট বা ক্র্যাকার্স।
যে ৬ খাবারেই কমবে কোলেস্টেরল থেকে ডায়াবেটিস
মানুষের খাদ্যাভ্যাসের কারণে এবং অলস জীবনযাপনে শরীরে কোলেস্টেরল ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। কিছু রোগ রয়েছে কোলেস্টেরলের জন্য দায়ী, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ফাইবারযুক্ত খাবার বেছে নিতে হবে। ফাইবার পানির সঙ্গে দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং জেল আকারে গঠিত হয়। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। পাশাপাশি ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে। জেনে নিন ফাইবারযুক্ত খাবারের নাম-  এক কাপ ওটসের মধ্যে ১.৯ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। ওটস হলো বিটা-গ্লুটেনের সমৃদ্ধ উৎস, যা এক প্রকার দ্রবনীয় ফাইবার। এটি উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। মুগ, ছোলা, মুসুর থেকে শুরু করে কাবুলি ছোলা, রাজমার মতো ডালেও ফাইবার রয়েছে। এক রাজমা ডালের মধ্যে ১৩৩ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ডাল। তার সঙ্গে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হলো ডাল। ফাইবারের ঘাটতি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়। ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। পাশাপাশি শারীরিক প্রদাহ কমায় এবং পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখে। ১ চামচ ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে ০.৬ থেকে ১.২ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। ফ্ল্যাক্স সিডের মতো চিয়া সিডেও সলিউবল ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই বীজ শারীরিক প্রদাহ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১ চামচ চিয়া সিডের মধ্যে ২৪ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। আপেল ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। আপেলে থাকা ফাইবারকে পেকটিন বলা হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একটি মাঝারি সাইজের আপেলে ১ গ্রাম ফাইবার রয়েছে।  গাজর, ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি, পালংশাকের মতো শাকসবজিতে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার পেয়ে যাবেন। হজম স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে এবং কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে শাকসবজি খান বেশি করে। 
ঠান্ডায় বাচ্চাকে ঘুমানোর সময় ভারী কিছু চাপা দিচ্ছেন, যা বলছেন চিকিৎসকরা
শীতের এবার কোনও ঠিকঠিকানা নেই। তাপমাত্রা কখন কি অবস্থায় থাকবে তা বোঝার যেনো কোন সুযোগই নেই। কখনও এক ধাক্কায় চারদিকে জমে যাওয়ার মতো ঠান্ডা, কখনও আবার এমন আবহাওয়া, গরম কালকেও হার মানায়। এ আবহাওয়ায় শিশুদের অবস্থা বেশ কাহিল। সর্দি-জ্বর লেগেই আছে। এমন সময় একেবারে সদ্যোজাত শিশুদের যত্নের সময় নানা রকম চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। গোসল করানো থেকে গরম-জামা পরানো, নানা বিষয় নিয়েই বাড়ির বড়দের মনে থাকে বিভিন্ন চিন্তা। অনেক অভিভাবক জানেন না শিশুকে ঘুম পাড়ানোর নিরাপদ উপায় কী হতে পারে। অনেকেই আবার নানা রকম ভুলও করেন যা সদ্যোজাত শিশুদের জন্য অনেক বিপদেরও কারণ হতে পারে।  জেনে নিন বিষয়গুলো-  >> অনেকেই সর্দি-কাশিতে ওষুধ না দিয়ে গরম তেল মালিশ করেন। অভিভাবকদের অনেকেরই ধারণা, বুকে-পিঠে তেল মালিশ করে দিলে বুঝি সর্দি উঠে যাবে। না, তা একেবারেই নয়। এতে সর্দি কাশি ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও উপকার হয় না। >> যারা সরিষের তেল মাখাতে চান বাচ্চাকে, তাদের মনে রাখতে হবে, সব তেল শিশু শরীরের উপযুক্ত নয়। একবার বাচ্চার র‍্যাশ হয়ে গেলে কষ্ট কিন্তু কমার বদলে বেড়ে যাবে। >> প্রতিদিন গোসল করাতে না চাইলেও অল্টারনেটিভ দিনে শরীর স্পঞ্জ করা প্রয়োজন। একদম সদ্য জন্মানো শিশুকে প্রতিদিন গোসল করান অনেকেই। তবে নতুন মায়েরা সবসময় দক্ষভাবে সদ্যোজাতকে গোসল করাতে পারেন না। হালকা গরম পানি দিয়ে শিশুর গা স্পঞ্জ করা যেতে পারে।  >> লেপ-কম্বল চাপা দেওয়া যায় সদ্যোজাতকে? উত্তর হবে না। এতে খেয়াল না রাখলে যে কোন বিপদ ঘটতে পারে। কম্বল চাপা দিলে যদি বাচ্চার কষ্ট হয়, তাহলে সে তো মুখ ফুটে বলতে পারবে না। বরং লেপ, কম্বলের ভারে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। যাকে বলে সিট (SID : Sudden Infant Deaths)।  >> শিশুকে লেয়ারে পোশাক পরাতে হবে। অর্থাৎ বিশাল একটা মোটা কিছু না পরিয়ে একাধিক পোশাক স্তরে স্তরে পরানো যেতে পারে তাপমাত্রা অনুসারে। তাহলে কতটা ঠান্ডা পড়ল, তা ভেবেই বাচ্চাকে ভীষণ ভারী কিছু পোশাক বা জামার ওপর জামা পরিয়ে দেবেন না। >> যিনি শিশুর যত্ন করছেন তিনিই বুঝে নেবেন শিশুর কি শীত লাগছে নাকি মোটা মোটা জামাকাপড়ের নিচে সে ঘেমে গিয়েছে। তা বুঝে জামা পরাতে হবে বা খুলে দিতে হবে। 
ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে ক্ষতিগ্রস্ত লিভার-কিডনি
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অথবা নিজে ফার্মেসি থেকে কিনে অনেকেই শরীরের রোগ ভালো করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া শুরু করে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া, অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স পূরণ না করা বা ছোটখাটো শারীরিক সমস্যার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা মানুষের মধ্যেও প্রবল। তবে সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো এসব অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পুরো কোর্স সম্পন্ন না করেই রোগীরা ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই শরীর থেকে রোগ মুক্তি ঘটে। অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধের ভুল এবং অসচেতন ব্যবহারের কারণে বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়া, যক্ষ্মার মতো রোগের চিকিৎসা প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল এবং অসচেতন ব্যবহারের কারণে এ জাতীয় ওষুধ কার্যকারিতা হারাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীর রোগ মুক্তি হয়ে যাওয়ার পরও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পুরো কোর্স পর্যন্ত ওষুধ খেয়ে যাওয়া উচিত। নয়তো শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে জন্ম নেয় ব্যাকটেরিয়া। যেভাবে বাড়ে জীবাণুর ক্ষমতা-  জীবাণু মেরে ফেলার জন্যই আমরা অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করি। কিন্তু এতে কোনো অনিয়ম হলে কিছু জীবাণু বেঁচে যায়। ওই অ্যান্টিবায়োটিকটিকে তারা চিনে রাখে, অ্যান্টিবায়োটিককে প্রতিহত করতে নিজেদের জিনগত পরিবর্তন করে, এতে করে জীবাণুটির পরবর্তী প্রজন্ম হয়ে ওঠে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী। অথচ নিয়ম মেনে ওষুধটি খেলে বাকি জীবাণুগুলোও মরে যেত, ক্ষমতাসম্পন্ন প্রজন্মেরও আর জন্ম হতো না। অন্যদিকে অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে দেহের উপকারি জীবাণুগুলোও হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক ক্ষতিকর। হয়ে যেতে পারে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স (অনেক অ্যান্টিবায়োটিক–প্রতিরোধী), এক্সট্রিম ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স (অল্প কিছু মূল্যবান অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া অন্য অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না) কিংবা প্যান ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স (কোনো একটি অ্যান্টিবায়োটিক এককভাবে আর কার্যকর হয় না)। যিনি এ ধরনের মারাত্মক জীবাণুর দ্বারা সংক্রমিত, তার কাছ থেকে এ জীবাণু এমন কারও মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, যিনি হয়তো অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে কখনোই অনিয়ম করেননি। এ কোন বিপদ- সব অ্যান্টিবায়োটিক সব জীবাণুর জন্য নয়। শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকগুলোকে ‘সংরক্ষিত’ রাখা হয় মারাত্মক সংক্রমণের জন্য। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী জীবাণুর নতুন নতুন প্রজন্ম এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা রোগীর জন্যও কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ছে। অন্য অনেক রোগীর জন্যও শক্তিশালী একাধিক অ্যান্টিবায়োটিকের সমন্বয় ব্যবহার করতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তাতেও সংক্রমণ পুরোপুরি সারছে না। এসব বাড়তি অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লিভার বা কিডনি। আবার সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করার কারণেও জীবনসংশয়ে পড়ছেন রোগী। এসব মারাত্মক জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর হবে, এমন অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবনও হচ্ছে না। এমনটা চলতে থাকলে সামনের দিনগুলো হয়ে উঠতে পারে আরও ভয়াবহ। ব্যাকটেরিয়া তো বটেই, ছত্রাক সংক্রমণের ক্ষেত্রেও ভুলভাবে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রয়োগের ফলে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ছত্রাকের প্রজন্ম। এখনি সচেতন হোন- ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক–জাতীয় ওষুধ খাবেন না। নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না। ওষুধ বিক্রেতারাও অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দেন। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক–জাতীয় ওষুধ ক্রয়বিক্রয় করা যাবে না। প্রয়োজন মনে করলে চিকিৎসক আপনার রোগের জন্য দায়ী জীবাণুটিকে চিহ্নিত করতে কালচার পরীক্ষা দেবেন। কালচার পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে সময় লাগে। ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সরকারিভাবে সারা দেশে কালচার পরীক্ষার সুবিধা চালু করাও প্রয়োজন। অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শমাফিক নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধান মেনে চলুন। উপসর্গ প্রশমিত হলেও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক চালিয়ে যেতে হবে।  করণীয়- >>> শুধু রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। >>> চিকিৎসককে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। >>> ওষুধের মাত্রা ও সেবনকাল মেনে চলতে হবে। >>> একজনের বেঁচে যাওয়া বা অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্যজন সেবন করবে না (রোগের লক্ষণ এক হলেও)। >>> সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। >>> যেসব প্রতিষ্ঠানে অ্যান্টিবায়োটিকসমৃদ্ধ মাছের খাবার, পোল্ট্রি ফিড ব্যবহার করা হয়, তাদের বর্জন করা। >>> শুধু সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ের পরই সঠিক মাত্রায় প্রয়োজনীয় জীবাণুরোধক ওষুধ প্রদান করতে হবে।
শীত থেকে মুক্তি পেতে খাবেন যে খাবারগুলো
কবজি ডুবিয়ে খানাপিনার জন্য একেবারে উপযুক্ত বলা যায় শীতের সময়কে। আর ঠান্ডায় এমন খাবার নির্বাচন করা উচিত, যা আমাদের শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। আর এ খাবারগুলো বাড়ির রান্নাঘরেই কমবেশি সবসময় পাওয়া যায়। জেনে নিন নামগুলো- গুড়: এ খাবারটি একাধিক কৌশলে ব্যবহার করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গুড়ের চা, গুড়ের ক্ষীর ইত্যাদি। গুড় হলো এমন খাদ্যসামগ্রী, যা শীতের দিনে বেশ গরম প্রকৃতির হয়। আবার গরমের দিনে গুড় ঠান্ডা প্রকৃতির হয়। ফলে দুই মৌসুমেই তা খাওয়া যেতে পারে।  স্যুপ: বিভিন্ন অসুস্থতায় মুরগির স্যুপ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ঠাণ্ডার সময় প্রদাহরোধী হিসেবে কাজ করে। স্যুপের প্রদাহরোধী এবং নিরাময়কারী গুণ আধুনিক আবিষ্কার নয়। বহু আগে থেকেই বিষয়টি মানুষের জানা রয়েছে। গোলমরিচ: শীতের দিনে গোলমরিচ খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি হতে পারে। এটা সর্দি আর কাশির মতো সমস্যাও দূর করে। এর পাশাপাশি গোলমরিচের কাড়া সেবন করলে ওজন কমে। লবঙ্গ: শীতের জন্য উপযোগী আরেকটি খাবার হলো লবঙ্গ। লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াস এবং অ্যান্টিসেপটিক-ধর্মী উপাদান। এই উপাদানগুলো বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। ফলে সর্দি-কাশি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও শুকনো কাশি দূর করতে লবঙ্গ চা অতুলনীয়। কারণ লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। আর এই দুই উপাদান শুকনো কাশি নিরাময় করতে অত্যন্ত কার্যকর।
শীতে গরম পানিতে গোসলে ভয়ঙ্কর বিপদ
শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও ঠান্ডা কমেনি। গত কয়েক দিন কুয়াশার দাপটও ছিল দেখার মতো। দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ টানা পাঁচ থেকে সাতদিন ধরে পাননি সূর্যের দেখা। রাজধানীতে কিছুটা সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও দিনের অধিকাংশ সময়ই ছিল মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। মূলত, দমকা হাওয়া বা বৃষ্টি না হলে ঘন কুয়াশা সরবে না। আর কুয়াশা না সরলে রোদ এসে শীতের দাপটও কমাতে পারবে না। এমনতাবস্থায় শীতকাতুড়ে আর ঠান্ডাজনিত রোগ যাদের পিছু ছাড়ে না তাদের জন্য গোসল একটি বাড়তি বিড়ম্বনা। শীতে গোসল কষ্ট থেকে বাঁচতে গরম পানিতে আস্থা প্রায় সবার। তবে এটি যে শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, তা হয়তো জানেন না অনেকেই। চর্মবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গরম পানি দিয়ে গোসল শরীরের জন্য কখনই ভালো কিছু বয়ে আনে না। নিয়মিত কেউ গরম পানিতে গোসল করতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তারা জানান, গরম পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল ত্বকের ফলিকলগুলোকে নষ্ট করে দেয়। পানি কুসুম গরম না হয়ে একটু বেশি গরম হয়ে গেলে তা আরও বিপজ্জনক। মাথায় অতিরিক্ত গরম পানির ব্যবহারে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া মস্তিস্কের ওপরে চাপ সৃষ্টি হয়।  রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।   তারা জানান, অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করলে মুখে ব্রন হয়। অ্যাসিডিটির সমস্যা যাদেরও তাদেরকে গরম পানি পরিহার করতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। হৃদরোগবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যারা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তাদের গরম পানি দিয়ে গোসল করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ গরম পানি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসল করলে মানসিক বিষণ্নতায় ভোগা ব্যক্তিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এসব কারণেই মাথায় ঠান্ডা পানির ব্যবহার করতে ও গরম পানি দিয়ে গোসলে অভ্যাস না করতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ৪-৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা কঠিন। এ ক্ষেত্রে টনসিল, সর্দি, কাশি প্রভৃতি বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়।   সেজন্য অতিরিক্ত গরমও নয় আবার ঠান্ডাও নয় প্রত্যেককে কুসুম গরম পানিতে গোসল করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে শরীরের রক্ত চলাচলের বৃদ্ধি ঘটে এবং অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়। শীতকালীন সর্দি-কাশি উপসর্গ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।