• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
শিশুর জ্বর-সর্দিতে যেভাবে খেয়াল রাখতে হবে
দুর্ঘটনা কমাতে ফ্রান্সে প্রচারণা- ‘নারীর মতো গাড়ি চালান’
ভিক্টিম অ্যান্ড সিটিজেন অ্যাসোসিয়েশন বলছে, সমাজে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী পুরুষেরা নারীদের চেয়ে নিরাপদ চালক৷ কিন্তু ফরাসি সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে ভিন্ন চিত্র৷ ফ্রান্সে গাড়ি চালানোর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে একটি প্রচারণা চালানো হচ্ছে৷  ভিকতিম এ সিতোয়ে অ্যাসোসিয়েশন পুরুষদের একজন নারীর মতো গাড়ি চালানোর অনুরোধ করেছে৷ ভিকতিম এ সিতোয়ে সড়ক দুর্ঘটনা কবলিতদের সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজও করে থাকে৷ ফ্রান্সে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী? ফরাসি সড়ক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সালে সংঘটিত ৮৪% ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় চালকের আসনে ছিলেন পুরুষ৷ বার্ষিক প্রতিবেদনটিতে ৯৩% দুর্ঘটনার জন্য পুরুষদের মদ্যপানকে দায়ী করা হয়৷ পুরুষদের নিরাপদ চালক ভাবার যে সেক্সিস্ট ধারণা, সেটিকেও ভিক্টিম অ্যান্ড সিটিজেন অ্যাসোসিয়েশন প্রত্যাখ্যান করছে৷ তাদের মতে, নারীদের গাড়ি চালানোর কৌশল অবলম্বন করলে তা মানুষকে অন্তত বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে৷ একজন নারীর মতো গাড়ি চালান! স্লোগানে প্রচারণাটি অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি শহরের পাতাল রেলস্টেশন ও ডিজিটাল বোর্ডেও দেখা যাচ্ছে৷
যে কারণে হয় হিটস্ট্রোক, প্রতিরোধে যা করবেন
গরমে হিট অফিসারের পরামর্শ
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে যা যা করবেন
যে ৬ খাবারেই কমবে কোলেস্টেরল থেকে ডায়াবেটিস
মানুষের খাদ্যাভ্যাসের কারণে এবং অলস জীবনযাপনে শরীরে কোলেস্টেরল ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। কিছু রোগ রয়েছে কোলেস্টেরলের জন্য দায়ী, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ফাইবারযুক্ত খাবার বেছে নিতে হবে। ফাইবার পানির সঙ্গে দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং জেল আকারে গঠিত হয়। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। পাশাপাশি ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে। জেনে নিন ফাইবারযুক্ত খাবারের নাম-  এক কাপ ওটসের মধ্যে ১.৯ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। ওটস হলো বিটা-গ্লুটেনের সমৃদ্ধ উৎস, যা এক প্রকার দ্রবনীয় ফাইবার। এটি উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। মুগ, ছোলা, মুসুর থেকে শুরু করে কাবুলি ছোলা, রাজমার মতো ডালেও ফাইবার রয়েছে। এক রাজমা ডালের মধ্যে ১৩৩ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ডাল। তার সঙ্গে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হলো ডাল। ফাইবারের ঘাটতি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়। ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। পাশাপাশি শারীরিক প্রদাহ কমায় এবং পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখে। ১ চামচ ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে ০.৬ থেকে ১.২ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। ফ্ল্যাক্স সিডের মতো চিয়া সিডেও সলিউবল ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই বীজ শারীরিক প্রদাহ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১ চামচ চিয়া সিডের মধ্যে ২৪ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। আপেল ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। আপেলে থাকা ফাইবারকে পেকটিন বলা হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একটি মাঝারি সাইজের আপেলে ১ গ্রাম ফাইবার রয়েছে।  গাজর, ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি, পালংশাকের মতো শাকসবজিতে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার পেয়ে যাবেন। হজম স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে এবং কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে শাকসবজি খান বেশি করে। 
ঠান্ডায় বাচ্চাকে ঘুমানোর সময় ভারী কিছু চাপা দিচ্ছেন, যা বলছেন চিকিৎসকরা
শীতের এবার কোনও ঠিকঠিকানা নেই। তাপমাত্রা কখন কি অবস্থায় থাকবে তা বোঝার যেনো কোন সুযোগই নেই। কখনও এক ধাক্কায় চারদিকে জমে যাওয়ার মতো ঠান্ডা, কখনও আবার এমন আবহাওয়া, গরম কালকেও হার মানায়। এ আবহাওয়ায় শিশুদের অবস্থা বেশ কাহিল। সর্দি-জ্বর লেগেই আছে। এমন সময় একেবারে সদ্যোজাত শিশুদের যত্নের সময় নানা রকম চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। গোসল করানো থেকে গরম-জামা পরানো, নানা বিষয় নিয়েই বাড়ির বড়দের মনে থাকে বিভিন্ন চিন্তা। অনেক অভিভাবক জানেন না শিশুকে ঘুম পাড়ানোর নিরাপদ উপায় কী হতে পারে। অনেকেই আবার নানা রকম ভুলও করেন যা সদ্যোজাত শিশুদের জন্য অনেক বিপদেরও কারণ হতে পারে।  জেনে নিন বিষয়গুলো-  >> অনেকেই সর্দি-কাশিতে ওষুধ না দিয়ে গরম তেল মালিশ করেন। অভিভাবকদের অনেকেরই ধারণা, বুকে-পিঠে তেল মালিশ করে দিলে বুঝি সর্দি উঠে যাবে। না, তা একেবারেই নয়। এতে সর্দি কাশি ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও উপকার হয় না। >> যারা সরিষের তেল মাখাতে চান বাচ্চাকে, তাদের মনে রাখতে হবে, সব তেল শিশু শরীরের উপযুক্ত নয়। একবার বাচ্চার র‍্যাশ হয়ে গেলে কষ্ট কিন্তু কমার বদলে বেড়ে যাবে। >> প্রতিদিন গোসল করাতে না চাইলেও অল্টারনেটিভ দিনে শরীর স্পঞ্জ করা প্রয়োজন। একদম সদ্য জন্মানো শিশুকে প্রতিদিন গোসল করান অনেকেই। তবে নতুন মায়েরা সবসময় দক্ষভাবে সদ্যোজাতকে গোসল করাতে পারেন না। হালকা গরম পানি দিয়ে শিশুর গা স্পঞ্জ করা যেতে পারে।  >> লেপ-কম্বল চাপা দেওয়া যায় সদ্যোজাতকে? উত্তর হবে না। এতে খেয়াল না রাখলে যে কোন বিপদ ঘটতে পারে। কম্বল চাপা দিলে যদি বাচ্চার কষ্ট হয়, তাহলে সে তো মুখ ফুটে বলতে পারবে না। বরং লেপ, কম্বলের ভারে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। যাকে বলে সিট (SID : Sudden Infant Deaths)।  >> শিশুকে লেয়ারে পোশাক পরাতে হবে। অর্থাৎ বিশাল একটা মোটা কিছু না পরিয়ে একাধিক পোশাক স্তরে স্তরে পরানো যেতে পারে তাপমাত্রা অনুসারে। তাহলে কতটা ঠান্ডা পড়ল, তা ভেবেই বাচ্চাকে ভীষণ ভারী কিছু পোশাক বা জামার ওপর জামা পরিয়ে দেবেন না। >> যিনি শিশুর যত্ন করছেন তিনিই বুঝে নেবেন শিশুর কি শীত লাগছে নাকি মোটা মোটা জামাকাপড়ের নিচে সে ঘেমে গিয়েছে। তা বুঝে জামা পরাতে হবে বা খুলে দিতে হবে। 
ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে ক্ষতিগ্রস্ত লিভার-কিডনি
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অথবা নিজে ফার্মেসি থেকে কিনে অনেকেই শরীরের রোগ ভালো করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া শুরু করে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া, অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স পূরণ না করা বা ছোটখাটো শারীরিক সমস্যার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা মানুষের মধ্যেও প্রবল। তবে সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো এসব অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পুরো কোর্স সম্পন্ন না করেই রোগীরা ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই শরীর থেকে রোগ মুক্তি ঘটে। অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধের ভুল এবং অসচেতন ব্যবহারের কারণে বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়া, যক্ষ্মার মতো রোগের চিকিৎসা প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল এবং অসচেতন ব্যবহারের কারণে এ জাতীয় ওষুধ কার্যকারিতা হারাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীর রোগ মুক্তি হয়ে যাওয়ার পরও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পুরো কোর্স পর্যন্ত ওষুধ খেয়ে যাওয়া উচিত। নয়তো শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে জন্ম নেয় ব্যাকটেরিয়া। যেভাবে বাড়ে জীবাণুর ক্ষমতা-  জীবাণু মেরে ফেলার জন্যই আমরা অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করি। কিন্তু এতে কোনো অনিয়ম হলে কিছু জীবাণু বেঁচে যায়। ওই অ্যান্টিবায়োটিকটিকে তারা চিনে রাখে, অ্যান্টিবায়োটিককে প্রতিহত করতে নিজেদের জিনগত পরিবর্তন করে, এতে করে জীবাণুটির পরবর্তী প্রজন্ম হয়ে ওঠে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী। অথচ নিয়ম মেনে ওষুধটি খেলে বাকি জীবাণুগুলোও মরে যেত, ক্ষমতাসম্পন্ন প্রজন্মেরও আর জন্ম হতো না। অন্যদিকে অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে দেহের উপকারি জীবাণুগুলোও হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক ক্ষতিকর। হয়ে যেতে পারে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স (অনেক অ্যান্টিবায়োটিক–প্রতিরোধী), এক্সট্রিম ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স (অল্প কিছু মূল্যবান অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া অন্য অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না) কিংবা প্যান ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স (কোনো একটি অ্যান্টিবায়োটিক এককভাবে আর কার্যকর হয় না)। যিনি এ ধরনের মারাত্মক জীবাণুর দ্বারা সংক্রমিত, তার কাছ থেকে এ জীবাণু এমন কারও মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, যিনি হয়তো অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে কখনোই অনিয়ম করেননি। এ কোন বিপদ- সব অ্যান্টিবায়োটিক সব জীবাণুর জন্য নয়। শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকগুলোকে ‘সংরক্ষিত’ রাখা হয় মারাত্মক সংক্রমণের জন্য। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী জীবাণুর নতুন নতুন প্রজন্ম এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা রোগীর জন্যও কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ছে। অন্য অনেক রোগীর জন্যও শক্তিশালী একাধিক অ্যান্টিবায়োটিকের সমন্বয় ব্যবহার করতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তাতেও সংক্রমণ পুরোপুরি সারছে না। এসব বাড়তি অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লিভার বা কিডনি। আবার সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করার কারণেও জীবনসংশয়ে পড়ছেন রোগী। এসব মারাত্মক জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর হবে, এমন অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবনও হচ্ছে না। এমনটা চলতে থাকলে সামনের দিনগুলো হয়ে উঠতে পারে আরও ভয়াবহ। ব্যাকটেরিয়া তো বটেই, ছত্রাক সংক্রমণের ক্ষেত্রেও ভুলভাবে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রয়োগের ফলে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ছত্রাকের প্রজন্ম। এখনি সচেতন হোন- ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক–জাতীয় ওষুধ খাবেন না। নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না। ওষুধ বিক্রেতারাও অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দেন। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক–জাতীয় ওষুধ ক্রয়বিক্রয় করা যাবে না। প্রয়োজন মনে করলে চিকিৎসক আপনার রোগের জন্য দায়ী জীবাণুটিকে চিহ্নিত করতে কালচার পরীক্ষা দেবেন। কালচার পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে সময় লাগে। ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সরকারিভাবে সারা দেশে কালচার পরীক্ষার সুবিধা চালু করাও প্রয়োজন। অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শমাফিক নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধান মেনে চলুন। উপসর্গ প্রশমিত হলেও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক চালিয়ে যেতে হবে।  করণীয়- >>> শুধু রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। >>> চিকিৎসককে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। >>> ওষুধের মাত্রা ও সেবনকাল মেনে চলতে হবে। >>> একজনের বেঁচে যাওয়া বা অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্যজন সেবন করবে না (রোগের লক্ষণ এক হলেও)। >>> সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। >>> যেসব প্রতিষ্ঠানে অ্যান্টিবায়োটিকসমৃদ্ধ মাছের খাবার, পোল্ট্রি ফিড ব্যবহার করা হয়, তাদের বর্জন করা। >>> শুধু সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ের পরই সঠিক মাত্রায় প্রয়োজনীয় জীবাণুরোধক ওষুধ প্রদান করতে হবে।
শীত থেকে মুক্তি পেতে খাবেন যে খাবারগুলো
কবজি ডুবিয়ে খানাপিনার জন্য একেবারে উপযুক্ত বলা যায় শীতের সময়কে। আর ঠান্ডায় এমন খাবার নির্বাচন করা উচিত, যা আমাদের শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। আর এ খাবারগুলো বাড়ির রান্নাঘরেই কমবেশি সবসময় পাওয়া যায়। জেনে নিন নামগুলো- গুড়: এ খাবারটি একাধিক কৌশলে ব্যবহার করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গুড়ের চা, গুড়ের ক্ষীর ইত্যাদি। গুড় হলো এমন খাদ্যসামগ্রী, যা শীতের দিনে বেশ গরম প্রকৃতির হয়। আবার গরমের দিনে গুড় ঠান্ডা প্রকৃতির হয়। ফলে দুই মৌসুমেই তা খাওয়া যেতে পারে।  স্যুপ: বিভিন্ন অসুস্থতায় মুরগির স্যুপ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ঠাণ্ডার সময় প্রদাহরোধী হিসেবে কাজ করে। স্যুপের প্রদাহরোধী এবং নিরাময়কারী গুণ আধুনিক আবিষ্কার নয়। বহু আগে থেকেই বিষয়টি মানুষের জানা রয়েছে। গোলমরিচ: শীতের দিনে গোলমরিচ খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি হতে পারে। এটা সর্দি আর কাশির মতো সমস্যাও দূর করে। এর পাশাপাশি গোলমরিচের কাড়া সেবন করলে ওজন কমে। লবঙ্গ: শীতের জন্য উপযোগী আরেকটি খাবার হলো লবঙ্গ। লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াস এবং অ্যান্টিসেপটিক-ধর্মী উপাদান। এই উপাদানগুলো বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। ফলে সর্দি-কাশি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও শুকনো কাশি দূর করতে লবঙ্গ চা অতুলনীয়। কারণ লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। আর এই দুই উপাদান শুকনো কাশি নিরাময় করতে অত্যন্ত কার্যকর।
শীতে গরম পানিতে গোসলে ভয়ঙ্কর বিপদ
শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও ঠান্ডা কমেনি। গত কয়েক দিন কুয়াশার দাপটও ছিল দেখার মতো। দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ টানা পাঁচ থেকে সাতদিন ধরে পাননি সূর্যের দেখা। রাজধানীতে কিছুটা সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও দিনের অধিকাংশ সময়ই ছিল মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। মূলত, দমকা হাওয়া বা বৃষ্টি না হলে ঘন কুয়াশা সরবে না। আর কুয়াশা না সরলে রোদ এসে শীতের দাপটও কমাতে পারবে না। এমনতাবস্থায় শীতকাতুড়ে আর ঠান্ডাজনিত রোগ যাদের পিছু ছাড়ে না তাদের জন্য গোসল একটি বাড়তি বিড়ম্বনা। শীতে গোসল কষ্ট থেকে বাঁচতে গরম পানিতে আস্থা প্রায় সবার। তবে এটি যে শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, তা হয়তো জানেন না অনেকেই। চর্মবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গরম পানি দিয়ে গোসল শরীরের জন্য কখনই ভালো কিছু বয়ে আনে না। নিয়মিত কেউ গরম পানিতে গোসল করতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তারা জানান, গরম পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল ত্বকের ফলিকলগুলোকে নষ্ট করে দেয়। পানি কুসুম গরম না হয়ে একটু বেশি গরম হয়ে গেলে তা আরও বিপজ্জনক। মাথায় অতিরিক্ত গরম পানির ব্যবহারে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া মস্তিস্কের ওপরে চাপ সৃষ্টি হয়।  রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।   তারা জানান, অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করলে মুখে ব্রন হয়। অ্যাসিডিটির সমস্যা যাদেরও তাদেরকে গরম পানি পরিহার করতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। হৃদরোগবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যারা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তাদের গরম পানি দিয়ে গোসল করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ গরম পানি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসল করলে মানসিক বিষণ্নতায় ভোগা ব্যক্তিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এসব কারণেই মাথায় ঠান্ডা পানির ব্যবহার করতে ও গরম পানি দিয়ে গোসলে অভ্যাস না করতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ৪-৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা কঠিন। এ ক্ষেত্রে টনসিল, সর্দি, কাশি প্রভৃতি বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়।   সেজন্য অতিরিক্ত গরমও নয় আবার ঠান্ডাও নয় প্রত্যেককে কুসুম গরম পানিতে গোসল করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে শরীরের রক্ত চলাচলের বৃদ্ধি ঘটে এবং অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়। শীতকালীন সর্দি-কাশি উপসর্গ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।  
শীতকালে মধু পানে মিলবে যেসব উপকারিতা
মধু এক বিচিত্র প্রাকৃতিক উপাদান। ফুলের মধ্যে থাকা মধু মূলত সংগ্রহ করে মৌমাছির দল। নিজেদের প্রয়োজনে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছির দল জড়ো করে মৌচাকে। তবে ফুল থেকে আনা একেবারে তরল টাটকা মধুর সঙ্গে মিশে যায় তাদের শরীর নির্গত কিছু যৌগ, উৎসেচক। তারপর সেই মৌচাক ভেঙে নিয়ে মধু সংগ্রহ করা হয়।সারাদেশে সুন্দরবনের মধুর অনেক চাহিদা রয়েছে। খাঁটি, প্রাকৃতিক মধুর অনেক গুণ। নিয়মিত মধু খেলে শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন হতে পারে।  দেখে নিন এক নজরে- চিনির বিকল্প হিসেবে দারুন কাজ করতে পারে মধু। ফলে স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস। যা কোষের ক্ষতি রোধ করতে সক্ষম, ফলে শরীরের উপকারি বন্ধু ব্লা যায় মধুকে। গলা ব্যথা, ছোটখাটো সংক্রমণ, ক্ষত সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রয়েছে মধুতে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। মধু খুব দ্রুত শক্তি জোগাতে পারে। বলবর্ধক হিসেবে মধু দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত।  হজমকারক হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে মধুর। শুধু তাই নয় বদহজম বা কোষ্ঠবদ্ধতার মতো সমস্যার সমাধানেও কার্যকর এই প্রাকৃতিক উপাদান। ভালো ঘুমের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে মধু। রাতে ঘুমোনোর আগে এক চামচ মধু খেলে ভালো ঘুম হয়। মধুতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন। এছাড়াও একাধিক খণিজ পদার্থও পাওয়া যায় এতে। প্রাণীজ এবং উদ্ভিজ্জ উপাদানের মিলনে এর মধ্যে নানা ধরনের উৎসেচকও মিশে থাকে। তাই সার্বিক ভাবেই স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে মধুর একটা গুরুত্ব থেকেই যায়। শুধু খেয়ে নয়, মধু ত্বকের জন্যও উপকারি। তাই ত্বক চর্চার ক্ষেত্রেও মধুর ব্যবহার ব্যাপক প্রচলিত।  হঠাৎ করে তাপমাত্রার অস্থিতিশীলতার কারণে শীতের শুরুতে অনেকেরই গলা বসে যায়, গলাব্যথা হয়। দিনে দুবার বিভিন্ন মসলা (আদা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ) পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খেলে গলাব্যথা সেরে যায়। শীতকালে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। নিয়মিত রং চায়ের সঙ্গে কিংবা কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। শীতে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ হয়ে যায়। এই শুষ্ক ত্বককে মসৃণ টান টান রাখতে চাইলে অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন।