• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
সংবিধান সংস্কারে নাগরিক কমিটির প্রস্তাবে যা যা থাকছে
হাইকমিশনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ
ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে ফের নয়াপল্টনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ কর্মসূচি। মিছিলে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, অঙ্গ সংগঠন যুবদল, মহিলা দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, ওলামা দল, তাঁতী দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। তারা মিছিল থেকে ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘জিয়ার সৈনিক এক হও’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘দালালি আর কসি না, পিটের চামড়া থাকবে না’ স্লোগানে মুখোরিত করে তোলে রাজপথ। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারা আগরতলায় আমাদের পতাকা অবমাননা করেছেন, কলকাতায় আমাদের পতাকা পুড়িয়েছেন। একটা কথা মনে রাখবেন, এ দেশে যারা লড়াই করে স্বৈরাচার তাড়িয়েছে, তারা তিতুমীরের সন্তান, হাজি শরিয়াতুল্লাহ’র সন্তান, দুদু মিয়ার সন্তান, মোহনলালের সন্তান, সূর্যসেনের সন্তান, মীর মদনের সন্তান। জীবন দিয়ে হলেও এরা বাংলাদেশের পতাকার মান রক্ষা করবে। আরটিভি/একে/এস
হাইকমিশন আক্রমণ জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ: ফখরুল
আঞ্চলিক উত্তেজনায় সংযমের আহ্বান জানালেন তারেক রহমান
ভারত শেখ হাসিনার পতন মেনে নিতে পারছে না: রিজভী
আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদলের
ভারতে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, যুব অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ
ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, ‘ভারতবর্ষের হিন্দু মুসলিমের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে ইতিহাস রয়েছে তা পরিকল্পিতভাবে বিনষ্ট করছে মোদি সরকার। সম্প্রতি আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে উগ্রবাদী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে থেকে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা এ দেশের জনগণ রুখে দেবে।’ বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন বলেন, ‘ভারতের মোদি সরকার যদি বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ না করে, ভারতের নিরাপত্তাও হুমকিতে পরবে। কাজেই তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা নিরাপদ থাকতে চায় কি না।’ সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান বলেন, ‘আগরতলা হামলার ঘটনায় যদি ভারতের মোদি সরকার হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় না আনে, তবে ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও করবে যুব অধিকার পরিষদ।’ সমাবেশে উচ্চতর পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুব অধিকার পরিষদের সহসভাপতি রাহুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল মুন, অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক সবুজ সেরনিয়াবাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হিরন, পেশাজীবী সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হোসেন এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আরটিভি/এফএ-টি
আগরতলায় বাংলাদেশি হাইকমিশনে হামলায় নাগরিক কমিটির নিন্দা
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা মানে দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী।   সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংগঠনটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তিনি এ দাবি করেন। এ ছাড়া ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা করেন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি উগ্র সংগঠন। এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের আগরতলার যে সহকারী হাইকমিশন রয়েছে, সেটি আমাদের অংশ। সেখানে হামলা করা এবং কর্মকর্তাদের ওপর নিপীড়ন করা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত।   তিনি বলেন, এ জন্য আমরা প্রতিবেশী দেশ, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ও রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানাব, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আপনারা অনধিকার চর্চা করবেন না। যদি চর্চা করেন, হয়তোবা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।   তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ একটি বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল, সেরকম একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। আমরা তাদের শান্তি বজায় রাখার আহ্বান করব। যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর হুমকি দিচ্ছেন, আমরা তাদের নিবৃত্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।   সীমান্ত হত্যার বিষয় উল্লেখ করে নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা সীমান্তে আর একটি হত্যাকাণ্ডও দেখতে চাই না। সেকারণে সরকারি প্রতিষ্ঠান দ্রুত উদ্যোগ নেবেন এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে ন্যায্য সমাধানে আসবেন বলে আহ্বান করছি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখপাত্র সামান্তা শারমিনসহ নাগরিক কমিটির নেতারা। আরটিভি/একে-টি
মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্য দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: ফখরুল
বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য রেখেছেন তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবিলম্বে মমতার এই ধরনের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।  সোমবার (২ ডিসেম্বর) লন্ডন থেকে মুঠোফোনে গণমাধ্যমের কাছে দলের পক্ষ থেকে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সকালে কয়েকটি পত্রিকায় একটা সংবাদ দেখলাম যে ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যে উক্তি করেছেন বাংলাদেশ সম্পর্কে- সে বিষয়ে আমি বক্তব্য না রেখে পারছি না। তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যে উক্তি করেছেন বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের… এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি একটা হুমকিস্বরূপ। আমরা মনে করি, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নেতাদের (ভারতের) যে দৃষ্টিভঙ্গি- তা কিছুটা হলেও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। এ ধরনের কোনও চিন্তাও তাদের মধ্যে থাকা উচিত হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে এবং সম্প্রতি একটা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ফিরে পেয়েছে… এ দেশের মানুষ যেকোনও মূল্যে এই ধরনের চক্রান্তকে রুখে দেবে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপও চেয়েছেন। এনডিটিভি লিখেছে, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ-ইসকনের তিন জন পুরোহিত গ্রেপ্তার হওয়ার খবরের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এমন দাবি তুললেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুন্ণ হওয়া বা বিপন্ন হওয়ার যে অলীক কাহিনি ভারতীয় মিডিয়ায় প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে- তা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, এখানে ভারতের সাংবাদিকরা এসেছিলেন, তারাও দেখেছেন… পশ্চিম বাংলা ও ভারতের অনেক নামকরা সাংবাদিক এসেছিলেন, তারা দেখেছেন- বাংলাদেশে এ ধরনের কোনও পরিস্থিতি নেই। অথচ ভারতবর্ষের মিডিয়া ও তাদের নেতারা যেভাবে সম্পূর্ণ একটা মিথ্যাকে প্রচার করছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দিচ্ছেন, তা কোনোমতেই বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে যে কথাগুলো বলা হচ্ছে এটা খুব পরিষ্কার যে, ইসকনের সাম্প্রতিক ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহজনক, রহস্যজনক এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকিস্বরূপ। আরটিভি/একে
মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত: রিজভী
মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং বাংলাদেশবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এখানে জাতিসংঘের শান্তিবাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভার শীতকালীন অধিবেশনে। ভিনদেশের একজন রাজনীতিবিদের এই প্রস্তাব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা ও অপমান করার সামিল। এটি একটি স্বাধীন দেশের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপের হুমকি।  তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়েছে। এ দেশের মানুষ পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একজন সেক্যুলার ও উদার দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ হিসেবেই জানত। আজকের বক্তব্যে আবারও প্রমাণিত হলো, কট্টর হিন্দুত্ববাদী ও মমতা ব্যানার্জির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি আরও বলেন, ভারতের প্রায় অধিকাংশ রাজনীতিবিদই বাংলাদেশের মানুষের স্বাজাত্যবোধ ও নাগরিক স্বাধীনতাকে মান্য করে না। সেই কাতারে মমতা ব্যানার্জিও তার অবস্থান পরিষ্কার করলেন। তারা নিজ দেশের অন্যায় দেখেও না দেখার ভান করে। গুজরাটের হাজার হাজার মুসলিম হত্যার ঘটনা, কাঁটাতারের বেড়ার ওপর ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ তারা কি ভুলে গেছেন? ভারতের কেন্দ্রীয় সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে একই কোরাসে অংশগ্রহণ করে মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের স্বাধীন মর্যাদাকে অগ্রাহ্য করেছেন। বিএনপির এ নেতা বলেন, পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে মনে হচ্ছে শেখ হাসিনার লুটেরা, খুনি, গুম ও নির্যাতনকারীদের পতন হওয়াতে তারা বিষণ বেদনায় মুষড়ে পড়েছেন। হত্যা, গুম, খুন, গণহত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস করে দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশটাকে ধ্বংসের শেষপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দুরাচারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। এখন শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের জন্য ভারতের প্রচেষ্টার অন্ত নেই।  তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে দেশ থেকে পাচার হওয়া লাখ লাখ কোটি টাকার একটি বিরাট অংশ বিদ্বেষ পোষণকারী ভারতের রাজনীতিবিদদের পেছনে খরচ করা হচ্ছে। তা না হলে এখন এভাবে একযোগে বাংলাদেশবিরোধী জিকির তুলছে কেন ভারতের নীতি নির্ধারকরা। আমরা এর আগেও দেখেছি, সে দেশের রাজনীতিবিদরা মুখে যাই বলুক, তারা যে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেন তার প্রমাণ হচ্ছে, শুধু মমতা ব্যানার্জির কারণেই তিস্তা নদীর পানির চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। সুতরাং তিনি কী উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ বাহিনীকে বাংলাদেশে প্রেরণ করার প্রস্তাব করছেন এটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে খোলাসা করা উচিত। তিনি আরও বলেন, একটি অনির্বাচিত অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লুটেরা রেজিমকে মদদ দিয়ে বিনিময়ে ভারত একতরফাভাবে অনৈতিক স্বার্থ ও ফায়দা হাসিল করছিল। ছাত্র-জনতা কর্তৃক জনস্বার্থবিরোধী ভারতের সেই তাবেদার রেজিম উৎখাতের ফলে ভারতের অনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ছেদ পড়ায় সেখানকার রাজনীতিবিদ ও নীতি নির্ধারকেরা এখন বেসামাল হয়ে পড়েছেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ। এই দেশ কিভাবে চলবে সেটি এদেশের জনগণ নির্ধারণ করবে। কোনো দেশের গভীর চক্রান্তের নীল নকশা কখনোই বাস্তবায়িত হবে না। আরটিভি/এফএ
জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন: তারেক রহমান
জনগণের মন জয় করার জন্য নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, বিএনপির সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। আমরা ক্ষমতায় যাইনি, যাব কিনা জানি না। তখনই ক্ষমতায় যেতে পারব, যখন জনগণের সমর্থন পাব। নেতাকর্মীদের সকল কর্মকাণ্ড হচ্ছে বিএনপির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামী দিনে এমন হতে হবে যাতে জনগণ আপনার সঙ্গে থাকে, বিএনপির সঙ্গে থাকে। দলকে রক্ষা করা, সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব সকলের। আপনাকে আপনার দায়িত্ব পালন করতে হবে। জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। বাংলাদেশের জনগণের আস্থা বিএনপির ওপর আছে। এটি ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার এবং আমাদের সকলের। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপি প্রদত্ত ৩১ দফা বিষয়ক খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় এবং খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তিনি বলেন, সামনের যে নির্বাচন হবে, এটি এতো সহজ না। এই নির্বাচন বাংলাদেশের যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে। মানুষের ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। কেউ যদি কোনো ভুল করে থাকে তাহলে একজন নেতা হিসেবে তাকে সঠিক পথে নিয়ে আসা আপনার দায়িত্ব। দেশ সকল মানুষের জন্য। গত কিছুদিন সমাজের কিছু ব্যক্তি সংস্কারের কথা বলছে। গত ৫ মাস আগেও তারা বলেনি। কিন্তু বিএনপি দুই বছর আগে থেকে বলছে।  তারেক রহমান বলেন, বিএনপি দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে। ৩১ দফা তারই প্রমাণ। গত ৩ থেকে ৪ মাস সংস্কারের যে কথা বলছে তা আমরা আগেই বলেছি। তার সবকিছুই ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে। এই ৩১ দফা শুধু বিএনপির তা নয়, বাংলাদেশের পক্ষে গণতান্ত্রিক সকল দলের। ৩১ দফা সফল করতে যে কোনো মূল্যে জনগণের সমর্থন রাখতে হবে। দলের পক্ষে পরিকল্পনা নিতে হবে। কীভাবে জনগণকে পাশে রাখবেন। সব কিছুর লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের সমর্থন আমাদের পক্ষে রাখা। একইসঙ্গে আমাদের পরিকল্পনা যাতে আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি। ৩১ দফার সকল কিছু জনগণের মাঝে নিয়ে যেতে হবে। জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের প্রতি জনগণের আস্থা যে কোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপনারা সংগ্রাম করে যেভাবে টিকে ছিলেন, তার থেকে সহজ হবে এই কাজটা জনগণের ঘরে পৌঁছে দেওয়া। এতো কঠিন পথ যদি আপনারা পাড়ি দিয়ে আসতে সক্ষম হয়ে থাকেন। তাহলে একটু কষ্ট করলেও ৩১ দফা আমরা জনগণের মাঝে নিয়ে যেতে পারি। এই কাজ আপনারা খুব সহজে সকলকে সাথে নিয়ে করতে সক্ষম হবেন। এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে ফ্যামিলি কার্ড এবং কৃষকদের জন্য ফার্মার্স কার্ড তৈরি করব। ফ্যামিলি কার্ডটি হবে পরিবারের মা বা স্ত্রীর নামে। এতে তার পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা বাড়বে। একই সঙ্গে কৃষকদের জন্য ফার্মার্স কার্ড করা হবে। যা প্রতি মৌসুমে কৃষকের সার-বীজ বা আর্থিক সহযোগিতা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করবে। নারীর যোগ্যতা ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করা উচিৎ। এটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করা উচিত। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে নারীদের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা ফ্রি করে দিয়েছিলেন।  তারেক রহমান বলেন, প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ড তৈরি করব। প্রান্তিক মানুষকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মিনিমাম সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। এটি সব শ্রেণিপেশার মানুষ পাবে। ফ্যামিলি কার্ডটি পরিবারের মা বা স্ত্রীর নামে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে তার মর্যাদা বাড়বে। আর যে অর্থ সাশ্রয় করবে সেই অর্থ সন্তানের স্বাস্থ্য ও লেখাপড়ায় ব্যয় করবে। এতে ভবিষ্যৎ সুন্দর একটি প্রজন্ম তৈরি হবে। সঞ্চিত অর্থ ৫ থেকে ১০ বছর পর তার অর্থনৈতিক শক্তি হবে। এতে পরিবারে তার আত্মমর্যাদা বাড়বে। বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আনিদ্য ইসলাম অমিতের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়ার সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ আলমগীর পাভেল, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, বিএনপির সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী প্রমুখ। কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১১টি ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।  আরটিভি/এমকে 
সামনের নির্বাচন সহজ হবে না: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামীর নির্বাচন সহজ হবে না। হতে পারে সামনের নির্বাচনে আমাদের প্রতিপক্ষ অনেক দুর্বল। কিন্তু এরপরও এ নির্বাচন অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে। তাই নেতাকর্মীদের এমন আচরণ করতে হবে যেন, জনগণই বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে যায়।   সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হলে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা ও জন সম্প্রীতি’ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।   তারেক রহমান বলেন, এবারের নির্বাচন বাংলাদেশের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে আলাদা এবং কঠিন। এমন নির্বাচন দেশের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি বলে জানান তিনি। প্রেক্ষাপট বদলেছে দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ এখন অনেক সচেতন। বিএনপি যে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছে সেগুলো সফল করতে হলে যেকোনো মূল্যে জনগণের সমর্থনকে আমাদের পক্ষে রাখতে হবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ভুল কিছু করলে আপনার এলাকার কেউ জানবে না, এটা ভুল ধারণা। মানুষ জেনে যায়। আমাদের যদি কেউ বিগত ৩-৪ মাসে কোনো ভুল করেও থাকি, আশপাশের নেতাকর্মীরা যদি কোনো ভুল করে থাকে, তাহলে একজন নেতা হিসেবে তাদের সঠিক পথে নিয়ে আসা আপনার দায়িত্ব। তাদের সচেতন করার পাশাপাশি সতর্ক করতে হবে। এ সময় রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ারও আহ্বান জানান তারেক রহমান।  আরটিভি/এএইচ-টি
দেশের এই কঠিন সময়ে জাতির ঐক্য প্রয়োজন: দুদু
দেশের এই কঠিন সময়ে জাতির ঐক্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। সোমবার (২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশের এই কঠিন সময় জাতির ঐক্য প্রয়োজন। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হলে ঐক্য দরকার। যেকোনোভাবে আমাদের জাতির ঐক্য রক্ষা করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে হবে। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষা করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কখনও ফ্যাসিবাদ মেনে নেয় না। এরইমধ্যে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী একটি দেশ যারা গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দিয়েছে। কোনো হত্যাকারীকে বাংলাদেশের রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এই দেশ (ভারত) বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রকে কোনোদিনও মানতে চায় না। তারা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ছাড়া অন্য কোনো দলকে মেনে নিতে চায় না। আমি ওই দেশকে স্পষ্টভাবে বলব বাঙালি জাতি কারও কাছে মাথা নত করার জাতি না। বাঙালি জাতি বিশ্বের অন্যতম বীরের জাতি। কেউ যদি মনে করে চাপ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে তাহলে তারা ভুল ভাবছে। তিনি আরও বলেন, এই জাতির আগামীর ভবিষ্যৎ তারেক রহমান। এই কথাটি যদি পার্শ্ববর্তী দেশ মাথায় রাখে তাহলে মীমাংসা হবে তাড়াতাড়ি। তা না হলে যত খোঁচাখুঁচি করবে তত শত্রুতা বাড়বে। এটা ভারতের জন্যও ভালো না আমাদের দেশের জন্য ভালো না। বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে ছোটখাটো ঘটনা ঘটতে পারে। সেই ছোটখাটো ঘটনা দিয়ে ফ্যাসিবাদের দোসররা যদি মনে করে শেখ হাসিনাকে আবার এ দেশে প্রতিষ্ঠিত করবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। এ দেশের জনগণ কখনও ফ্যাসিবাদের সমর্থন করে না। এ দেশের জনগণ যাকে প্রত্যাখ্যান করে তাকে আর কখনও গ্রহণ করে না। এটা শেখ হাসিনা বুঝতে পারেনি। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কষ্টে আছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আগের মতই আছে তেমনটা কমেনি। আমরা এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা করি যত দ্রুত সম্ভব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা হোক। তিনি আরও বলেন, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ নাজুক। দেশে ফ্যাসিবাদের দোসররা বিভিন্ন কর্মসূচির নামে নানা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে ভূমিকা রাখার কথা ছিল সেটা অনেকটাই দুর্বল। পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অনেকটা নিষ্ক্রিয়ভাবে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষেত্রে সরকারকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। আরটিভি/এফএ-টি