• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
একজন উপদেষ্টার বক্তব্য ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিনের মতো: রিজভী
জনপ্রশাসন সংস্কারে বিএনপির প্রস্তাবনা জমা
‘জনপ্রশাসনের যুগোপযোগী ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে’ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমানের কাছে প্রস্তাবনাপত্র দিয়েছে বিএনপি। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও বিএনপি গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটির সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহর নেতৃত্বে একটি দল এই প্রস্তাবনাপত্র জমা দেয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, ‘প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। প্রতিটি নির্বাচনের তিন মাস আগে প্রশাসনের সর্বস্তরে পরিবর্তন আনতে হবে। ডিসি ফিট লিস্ট করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।’   দীর্ঘদিন ধরে একই পদে, একই স্থানে থেকে সিন্ডিকেট করা কর্মচারীদের বদলির কথা বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।   তিনি আরও জানান, আগের সরকারের সুবিধা নেওয়া যেসব কর্মকর্তা ঘাপটি মেরে বসে রয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আরটিভি/এফএ/এআর
বিজয় দিবসে ছাত্রদলের কর্মসূচি ঘোষণা
ভারতের নির্দেশেই সাঈদীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল: মাসুদ সাঈদী
শনিবার মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যোগ দেবেন খালেদা জিয়া
সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী নিশিতা নদী গ্রেপ্তার
দক্ষিণ কোরিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তারেক রহমানের সংহতি
দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্রপন্থী সংগ্রাম অব্যাহত রাখায় দেশটির জনগণের প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্রপন্থী মানুষের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান তিনি।  এ সময় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের লড়াই এবং ‌‘দমনমূলক শাসনব্যবস্থার’ বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের দশকব্যাপী লড়াইয়ে সামঞ্জস্য রয়েছে বলে জানান তারেক রহমান। রাজনৈতিক নিপীড়ন মোকাবেলার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন,  ‘বাংলাদেশে, আমরা  এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি দমনমূলক শাসন সহ্য করেছি, নিপীড়ন মোকাবেলার জন্য ব্যথা সইতে হয়েছে। যে পরিমাণ ধৈর্য্য ও দৃঢ়সংকল্প দরকার হয়, তা আমরা গভীরভাবে অনুভব করতে পারি।’ তারেক রহমান নির্বাচিত সরকারগুলোর দ্বারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অপব্যবহারের সমালোচনা করে এটিকে উভয় দেশের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের উভয় জাতিই নির্বাচিত সরকারের নিজেদের উদ্দেশ্যে গণতান্ত্রিক ফাঁকফোকরকে কাজে লাগানোর বিপদ সম্পর্কে জানি।’ তবে তিনি উভয় দেশে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সাফল্যে জনগণের অদম্য শক্তির ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘উভয় দেশের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সাফল্য একটি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জনগণের অদম্য শক্তিকে তুলে ধরে। তাই ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি রোধে রাজনৈতিক নেতা ও নাগরিকদের সতর্ক থাকতে হবে। শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা আমাদের জনগণের অধিকার রক্ষা করতে পারি এবং একটি ন্যায়বিচার ও মুক্ত সমাজ নিশ্চিত করতে পারি।’ এ দিকে বিএনপির এই শীর্ষ নেতার মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন বাংলাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা চলছে। যেখানে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ভিন্নমত দমন এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে অবজ্ঞা করার অভিযোগ করেছে। ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটানো তারেক রহমান বাংলাদেশের বিরোধী রাজনীতির একজন শীর্ষ নেতা। তারেক রহমানের বার্তা গণতান্ত্রিক নীতি রক্ষায় সচেষ্ট দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক সংহতির বৃহত্তর আহ্বানেরও ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।  আরটিভি/এমকে
রাজধানী থেকে আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন—পল্লবী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন (৩৫), ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. সাজু (৩৪), ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মো. সৈকত ইসলাম (১৯), আওয়ামী লীগ কর্মী মো. বাচ্চু বেপারী (৬০) ও রাজু (৫২)। জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ আবুল তালেব স্কুলের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলি করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আকরাম খান রাব্বী নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হোন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফারুক খানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে মিরপুর ১১ এলাকা থেকে আসামি মো. মামুন ও সাজুকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া গত ৪ আগস্ট বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন মো. আবিদ। আন্দোলনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গুলিতে গুরুতর আহত হোন আবিদ। এ ঘটনায় আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় অন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে পল্লবীর আদর্শ নগর এলাকা থেকে এ ঘটনায় জড়িত সৈকত, বাচ্চু ও রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পল্লবী থানার পৃথক পৃথক মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। আরটিভি/আরএ-টি
বাসযোগ্য-উপভোগ্য গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা সবাই মিলে এমন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, যেটি সবার জন্য ফেয়ার, ইনক্লুসিভ, বাসযোগ্য এবং উপভোগ্য হবে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগারগাঁও এলজিআরডি মিলনায়তনে প্রতিবন্ধী নাগরিক শ্রেণির সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিবন্ধীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনাদের প্রতিবন্ধকতা আমাদের সবার প্রতিবন্ধকতা। আপনাদের পেছনে রেখে আমরা কখনও এগিয়ে যেতে পারি না, আর এগোতে চাইও না। তিনি বলেন, আমরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ, সক্ষম এবং সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশে কিছু প্রাইভেট অর্গানাইজেশন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নানা ধরনের ট্রেনিং প্রদান করে। এই ট্রেনিং শেষে চাকরির ব্যবস্থা করতে গিয়ে তারা হিমশিম খায়। এই সমস্যার সমাধানে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব। তিনি বলেন, বিএনপি সরকার গঠন করলে জেলা পর্যায়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত স্কুল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা থাকবে, যেখানে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ, ব্রেইলসহ ইনক্লুসিভ এডুকেশনের আধুনিক পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষার মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ তৈরি এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের ব্যবস্থা বিবেচনা করা হবে। তারেক রহমান বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জীবনের মানোন্নয়নে ধীর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যার ভিত্তি হবে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা, সামাজিক সক্ষমতা এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা।  তিনি আরও বলেন, আমাদের চিন্তার মধ্যে আছে, একটি স্বতন্ত্র অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা। যা প্রতিবন্ধি ভাই-বোনদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করবে। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট স্থাপন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জনগণের জন্য মোবাইল হেলথ ক্লিনিক চালু, সহায়ক উপকরণ তৈরির জন্য কারখানা স্থাপন এবং আমদানির ক্ষেত্রে কর মওকুফের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা থাকবে। আরটিভি/আরএ
বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে (১৬ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর (ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি) ছাড়া দেশব্যাপী সব জেলা ও মহানগরে আলোচনা সভা ও র‌্যালি সফল করতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে অনুরোধ করা হলো। এ ছাড়া ঢাকায় কর্মসূচির মধ্যে ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনাসভা, ১৬ ডিসেম্বর ভোরে দলীয় সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ এবং সেখান থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে ‘সর্বজনীন কনসার্ট’। বিজয় দিবস উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ এবং নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আলোকসজ্জাও করা হবে। আরটিভি/আরএ-টি
ভারতকে রক্ষাকর্তার খেলা খেলতে দেবেন না, সংখ্যালঘুদেরকে রুমিন ফারহানা
ভারত যেন রক্ষাকর্তার খেলা খেলতে না পারে, সেজন্য দেশের হিন্দু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।  দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, কিছু কিছু দেশ মনে করে ভারত সারা পৃথিবীর হিন্দুদের রক্ষাকর্তা। এই রক্ষাকর্তার খেলা আপনারা খেলতে দেবেন না। সংবিধান আমাদের সমান অধিকার দেয়। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের আয়োজনে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। রুমিন ফারহানা বলেন, সংখ্যালঘুদের নিজস্ব কিছু সমস্যা রয়েছে। সেজন্য সমস্যা সমাধানে সংখ্যালঘু কমিশন এবং সংসদে আলাদা আসনের ব্যবস্থা থাকা উচিত।  তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় ছিল, সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চালিয়েছে। গত ১৫ বছর দেশে কেউ নিরাপদ ছিল না। নীরবে এই অত্যাচার সহ্য করেছে সংখ্যালঘুরা। এই মাটিতে সংখ্যালঘুদের ওপরে অত্যাচার আমরা মেনে নেবো না।  ভারতের সঙ্গে মিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও এসময় দাবি করেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।  বৈঠকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, তরুণরা দেখিয়ে দিয়েছে, সংকটের সময় কীভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। চার-ছয়মাসে কিছুই পরিবর্তন করা যাবে না। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে পুরনো বাংলাদেশ ফিরে আসবে। তিনি বলেন, ধর্মের কারণে নয় বরং রাজনৈতিক কারণে অনেকের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে চরম বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মানুষ কখনো উগ্র হন না। মেজরিটি আর মাইনরিটি; এই তুলনা আমরা ভুলে যেতে চাই। আরটিভি/এসএইচএম
আ.লীগ জাতীয় পার্টির বেশে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানিয়েছে: রাশেদ খান 
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির বেশে ফিরে এসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।  শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।  রাশেদ খান বলেন, আমরা দেখলাম আজ জাতীয় পার্টির লোকজন শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করলো। কিন্তু এরা জাতীয় পার্টি না, এরা আওয়ামী লীগ।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি বেশে ফিরে এসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। জিএম কাদের মূলত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন। আর আজকে শ্রদ্ধা নিবেদনের নামে তারা ফিরে আসার মিশন শুরু করেছে। গণঅধিকার পরিষদের এই সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমাদের সাফ কথা, আগামী ১৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি স্মৃতিসৌধে যেতে পারবে না। কারণ, তাদের সুযোগ দিলে তারা ধীরে ধীরে ফিরে আসবে। তাই এখনই তাদের টুটি চেপে ধরতে হবে।  গণহত্যার বিচারের আগে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি চালাতে পারবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে এখনও কেন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না? সরকারকে বলবো, দ্রুত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনুন। গণহত্যার বিচার করুন। শেখ হাসিনাকে ভারতে রেখে, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডকে গ্রেপ্তার না করে কিসের বিচার করবেন? বিচারের নামে চুনোপুঁটির বিচার মানা হবে না। আগে রাঘববোয়াল ধরুন। এমপিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করুন। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করুন। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি জাফর মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্য সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা,  সম্পাদক নাজমুল হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাহিদ উদ্দিন তারেক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি, যুব অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি রাহুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সকাল আহমেদ, সদস্য স্বপন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মামুন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিঠু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/আইএম/এআর
বাণিজ্য ও সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণের জন্যই মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিল ভারত: গোলাম পরওয়ার
ব্যবসা-বাণিজ্য ও সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণের জন্যই মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতেই স্বাধীনতার যুদ্ধে এ দেশকে সাহায্য করেছিল ভারত। আওয়ামী লীগের আমলেও তা অব্যহত ছিল। ভারত শুধু শোষণই করে গেছে আমাদের। তিনি বলেন, তারা বৃষ্টির সময় বাঁধ খুলে দিয়ে এদেশকে বন্যা ও শুকনা মৌসুমে বাঁধ আটকে পানির সংকটে রাখছে। মন থেকে তারা আমাদের দেশ এবং দেশের মানুষের ভালো চায়নি। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, আমরা কখনো ভারতকে শত্রু মনে করিনি। অথচ, ভারত আমাদের দেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেয়নি।  যারা এদেশের চৌকশ সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে, তারাই বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশকে মেধাহীন করে অঙ্গরাজ্য করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এখনও মেধাবীদের বঞ্চিত করে পদলেহনকারী বিভিন্ন কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের সরিয়ে মেধাবীদের পদায়ন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সিরাজ শিকদারকে হত্যার মধ্য দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার সংস্কৃতি চালু করেছিল। বুদ্ধিজীবীদের কারা হত্যা করেছে, তার প্রকৃত তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আরটিভি/এসএইচএম/এস