• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসররা চক্রান্ত করছে: ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব কার্যক্রম মনঃপূত না হলেও তাদের ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ‌‘বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে’ বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। তারেক রহমান বলেন, মনে রাখতে হবে এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তবে নিজেরা যাতে নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হন সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।  তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী এই মাফিয়া চক্র দেশকে সম্পূর্ণ ভঙ্গুর করে দিয়েছিল। দেশকে আমদানিনির্ভর ও পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। মাফিয়া চক্র দেশের ব্যাংকগুলো পর্যন্ত দেউলিয়া করে দিয়েছে।  বিগত ১৫ বছর ছিল মাফিয়া চক্রের দখলে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত দেড় দশকে দেশ থেকে ১৭ লাখ কোটি টাকারও বেশি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। মাফিয়া চক্র শুধু অর্থনীতিকে ধ্বংস করেনি, তারা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। একটা দেশ কতটুকু সভ্য, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আচরণে ফুটে ওঠে। ‘মাফিয়া চক্রের প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের চক্রটি প্রশাসনে এখনও সক্রিয়’ মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুতরাং, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। জনগণকে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারকে জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণ-অভ্যুত্থান ছিল ব্যতিক্রম। মানুষের প্রথম কাজই হবে ভোটার আড়াই কোটি বেড়েছে। কিন্তু তারা কেউ ভোট দিতে পারেননি। বিএনপি বিশ্বাস করে, দেশের অর্ধেক নারী ও তরুণ প্রজন্মকে রেখে দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। আওয়ামী লীগ দেশকে দেউলিয়া করে দিয়ে পরনির্ভরশীল করে দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশ ১০০ বিলিয়ন ঋণে জর্জরিত। যে সন্তান আজকে দেশে জন্ম নিচ্ছে তার মাথায় দেড়লাখ টাকার ঋণ নিয়ে জন্ম নিতে হচ্ছে।স্বৈরাচারের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তারেক রহমান। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে যাত্রার জন্য আরও কিছু সময় পাড়ি দিতে হবে। এজন্য সন্ত্রাস নয় বরং ধৈর্য ধরতে হবে। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে, রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। জনগণের সরকার না হওয়া পর্যন্ত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জবাবদিহিতা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। তবে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া সংস্কার টেকসই হয় না। তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ কিংবা যেকোনো দেশেই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। তাই জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন, রাখবেন। তবে কোনো এক পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জবাবদিহিতাও কিন্তু নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদ এবং সরকার প্রতিষ্ঠাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল সংস্কার কার্যক্রমের প্রথম এবং প্রধান টার্গেটও হওয়া জরুরি। তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধুই রাষ্ট্র ক্ষমতার হাত বদল নয়। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। তাই প্রতিটি রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মনে রাখা প্রয়োজন রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচার-আচরণেও গুণগত পরিবর্তন জরুরি।  সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশ সমন্বয় করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল। সঞ্চালনা করেছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সদস্য সচিব আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন। আরটিভি/এমএ/এসএ/ডিসিএনই
খালেদা জিয়া তার কর্মীদের ছেড়ে দেশ থেকে পালাননি: মির্জা আব্বাস
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিএনপির সমাবেশ শুরু
নিবন্ধন পেল জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলন
দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ হবে। এতে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা ছাড়াও আশপাশের সকল জেলা ও মহানগর থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন। সমাবেশের প্রধান অতিথি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। এছাড়াও বিভাগীয় শহরগুলোর শোভাযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। সেসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। গত ১৫ সেপ্টেম্বর সমাবেশটি হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করেছিল বিএনপি। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুই দিন পিছিয়ে সমাবেশের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর পুনর্নির্ধারণ করা হয়। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।   আরটিভি/এআর
ভুল করে থাকলে জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী জাপা: জি এম কাদের
সংসদে থাকা অবস্থায় জাতীয় পার্টিকে (জাপা) অনেক কিছুই আওয়ামী লীগের চাপে বাধ্য হয়ে করতে হয়েছে বলে দাবি করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।  সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। জি এম কাদের বলেন, অন্যায়ভাবে আমাদের দিয়ে অনেক কিছু করানো হয়েছে। আমাদের ওপর অন্যায়-নিপীড়ন করা হয়েছে। আমরা জনগণের পাশে ছিলাম এবং আছি। আমরা কোনো ভুল করে থাকলে জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও নির্বাচন বর্জন করেছিলেন; কিন্তু জাতীয় পার্টিকে জোর করে আনা হয়েছিল। ২০১৪ সালের পর থেকে জাতীয় পার্টিকে দুই ভাগ করে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, বিগত ৩টি নির্বাচন বিতর্কিত ছিল। তাতে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো না। জাতীয় পার্টি তিন নির্বাচনই বর্জন করার চেষ্টা করেছিল। আমরা সব আমলেই নির্যাতিত হয়েছি। জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু বৈষম্য থেকে স্বাধীন হতে পারেনি, নিজেদের স্বাধীনতা ধরে রাখতে পারেনি। স্বাধীনতা আনতে ‘৭১-এর মতো এবারও (২০২৪) ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে। আর এ সাফল্যে জাপা খুশি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকে জাতীয় পার্টির সমর্থন ছিল। দলের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে সক্রিয় ছিল, এজন্য অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
আজ সমাবেশ থেকে ‘নতুন বার্তা’ দেবেন তারেক রহমান
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ঢাকায় মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গণসমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এতে দেশ পুনর্গঠনে ‘নতুন বার্তা’ দেবেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই সঙ্গে নেতাকর্মীদের জন্য নির্দেশনাও দেবেন তিনি। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি থাকবেন তারেক রহমান। সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশ পুনর্গঠনের বার্তা দেবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এছাড়া দলের নেতাকর্মীদের জন্যও নির্দেশনা থাকবে সমাবেশ থেকে। জানা গেছে, বিএনপির ঢাকা মহানগর ছাড়াও ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এ গণসমাবেশে যোগ দেবেন। দলটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের যৌথ সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য রাখবেন। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার দেশব্যাপী সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে বিএনপির উদ্যোগে র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। খুলনায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিলেটে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এছাড়া ময়মনসিংহে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চট্টগ্রামে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, বরিশালে স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, রংপুরে স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ফরিদপুরে ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কুমিল্লায় ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও রাজশাহীতে ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রধান অতিথি থাকবেন। এর আগে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে এ সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা পিছিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে বিএনপি। আরটিভি/এসএপি
৮৫০ বছর আগে লক্ষ্মণ সেন পালিয়েছিল, আপনিও পালালেন: জামায়াত আমির
শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতিকে, বাংলায় সেনবংশীয় রাজত্বের অবসানের সঙ্গে তুলনা করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, এমন রাজনীতি করলেন, আপনাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হলো। ৮৫০ বছর আগে লক্ষ্মণ সেন পালিয়ে গিয়েছিল। অবশেষে পালিয়ে গেলেন আপনিও। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনার পর আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ উক্তি করেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৭ বছরে দেশের ১৫ কোটি মানুষ মজলুম ছিল উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এ জাতি বন্দিত্বের নিকট বাধা ছিল। মুখে ছিল তালা, হাতে হ্যান্ডকাপ, পায়ে ছিল বেড়ি। প্রত্যেকটি মানুষই ছিলো জুলুমের শিকার। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেটা কালিমা হিসেবে জাতির কপালে লিখে দিতে চেয়েছিলেন, জাতি এটা তার দিকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এমন রাজনীতি করলেন, বললেন উন্নয়নের রাজপথে দেশকে উঠিয়ে দিয়েছেন। বললেন, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এমন রোল মডেল বানালেন আর এমন রাজপথ তৈরি করলেন, গাড়িটা রাজপথ দিয়ে চালিয়ে আপনি যেতে পারলেন না। জামায়াত আমির আরও বলেন, সাড়ে ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকার জাতির ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আঘাত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে। আমাদের মতো মজলুম সংগঠন আর কেউ না। আর কারও এতগুলো নেতাকে হত্যা করা হয়নি। আর কারও বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হয়নি। আর কারও বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাট করা হয়নি। আমাদের পর্দানশীল মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের নির্যাতন নিয়ে তিনি বলেন, ‘যে সাংবাদিক ভাই বিদেশে বসে অন্যায়-জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, দেশে থাকা তার বোনকে টেনে নিয়ে টানাহেঁচড়া করা হয়েছে। কোন ভাই ফেসবুকে কিছু লিখলে আজরাইল রূপে ডিবি তার ঘরে গেছে। তাদের হেনস্তা করা হয়েছে।’  জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আহসান হাবিব মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ ও ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ধনবাড়ীর নিহত একরামুল হক সাজিদের বাবা জিয়াউল হক, নিহত আশরাফুলের বোন সৈয়দা আক্তার, জেলা বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মতিউল্লাহ, শহর শিবির সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ প্রমুখ। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কিছু চাপিয়ে দেবে না: ডা. তাহের
জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে জোর করে কোনো কিছু জনগণের ওপর চাপিয়ে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে জোর করে কোনো কিছু জনগণের ওপর চাপিয়ে দেবে না। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেবে, বোরকা পড়তে বাধ্য করবে, ঘরের বাহিরে যেতে দেবে না বলে একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে।  জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর প্রদত্ত কুরআন ও মনোনীত ইসলামকে লালন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইসলামে কারও ওপর কোনো কিছু জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার বিধান নেই। ইসলামের চেয়ে বেশি ও প্রকৃত স্বাধীনতা অন্য কোথাও দেওয়া হয়নি। যারা সত্যের জন্য লড়াই করে, স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে, সম্পদের মোহ ছেড়ে আল্লাহর দ্বীনের জন্য লড়াই করে তারা কখনও কারও ওপর জোরপূর্বক কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না, দেয় না।  তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লব আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয়। এই বিজয়ের মাধ্যমে মানবতার বিজয়ের সূচনা হয়েছে। এই বিজয় পূর্ণাঙ্গ হবে যখন বাংলার জমিনের আল্লাহর বিধান কায়েম হবে। যখন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে তখন মানুষ ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকার পাবে। অধিকার পেতে মানুষকে তখন আর রক্ত দিতে হবে না, জীবন দিতে হবে না।  আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য যে সংগঠন আন্দোলন করে আসছে, সেই সংগঠনের দিকে এখন মানুষ দলে-দলে ধাবিত হচ্ছে। এতে করে কারও কারও জ্বালা বেড়ে গেছে, কেউ কেউ নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। এ দেশের জনগণই তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে। আরটিভি/ এফএ
মহানবির (সা.) শিক্ষা ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে উঠুক সবাই: নুর
সমগ্র আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতা ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, সেই আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে মহান আল্লাহ সত্য, ন্যায়, কল্যাণ ও একত্ববাদের প্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রিয় হাবিবকে অপার রহমত হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। সাড়ে ১৪০০ বছর আগে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মলাভ করেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল (সা.)। ইসলামের সুমহান দ্বীন ও জীবনবিধান প্রচার শেষে ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ১১ হিজরির এ দিনে ইন্তেকাল করেন তিনি। এ জন্য দিনটি বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন এক বিবৃতিতে বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তাআ’লা হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আদর্শ, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা বর্তমান বিশ্বে জাতিতে জাতিতে সংঘাত-সংঘর্ষ নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। মহানবী (সা.)–এর জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা পুরো পৃথিবী জুড়ে যেন প্রতিফলন ঘটাতে পারে। সেজন্য পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মানুষদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ সকল প্রাণীর মধ্যে সেরা, যাকে বলা হয় ‘আশরাফুল মাখলুকাত’, সেই সকল মানুষের জন্যে সবচেয়ে অনুসরণীয় হচ্ছেন মহানবী মুহাম্মদ (সা.)। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ন্যায়পরায়ণতা ও সত্যবাদিতার জন্য শৈশবেই তিনি ‘আল আমিন’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। সব নবী ও রাসুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহানবী (সা.)–এর ৪০ বছর বয়সে নবুওয়াত প্রকাশিত হয়। এরপর ২৩ বছর তিনি তৌহিদের বাণী প্রচার করেছেন। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে এবং সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। আরটিভি/এএইচ
অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নেবে না জনগণ: ফখরুল
অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।   মির্জা ফখরুল বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নেবে না জনগণ। নির্বাচিত সরকারই ঠিক করবে কী সংস্কার হবে, পার্লামেন্টেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সংবিধান পরিবর্তন হবে কি না।   তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং শহীদদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ সময় প্রশাসন থেকে ফ্যাসিস্টদের সমর্থক, দোসর ও মদতদাতাদের সরাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানান মির্জা ফখরুল। আরটিভি/এফএ/এসএ