• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আত্মপ্রকাশ ১৬ ডিসেম্বর
মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশিদের জীবনে এক শ্রেষ্ঠ অর্জন: জি এম কাদের
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশিদের জীবনে এক শ্রেষ্ঠ অর্জন। মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় অধ্যায়।    রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এক বার্তায় এ শুভেচ্ছা জানান তিনি। বিজয় দিবস আমাদের সামনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের যে বীজ বপন হয়েছিল, তা একাত্তরে শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে মহান স্বাধীনতার লক্ষ্যে সশস্ত্র লড়াই-সংগ্রামে রূপ নেয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত মহান বিজয় দিবস আমাদের অহংকার। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরোচিত লড়াই আজীবন বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষদের পথ দেখাবে। মহান বিজয় দিবস সত্যের পথে লড়াই সংগ্রামে আমাদের অফুরান অনুপ্রেরণা। শোষণ, জুলুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়ায়ের শিক্ষা দেয় আমাদের বিজয় দিবস। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও উল্লেখ করেন, এমন মাহেন্দ্রক্ষণে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি, বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার, সফল রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান যিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান বলে অভিহিত করেছেন সেই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। এ ছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহিদের আত্মার মাগফিরাত ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বিদেশি বন্ধু, শহিদ পরিবার এবং যারা জাতির মহান বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন সবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করছি। একইসঙ্গে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে সব মত-পথ ও ভেদাভেদ ভুলে মহান বিজয় দিবসের চেতনায় বৈষম্যহীন সুখি, সমৃদ্ধশালী পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার প্রচেষ্টায় সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। আরটিভি/কেএইচ-টি
একজন উপদেষ্টার বক্তব্য ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিনের মতো: রিজভী
জনপ্রশাসন সংস্কারে বিএনপির প্রস্তাবনা জমা
বিজয় দিবসে ছাত্রদলের কর্মসূচি ঘোষণা
ভারতের নির্দেশেই সাঈদীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল: মাসুদ সাঈদী
শনিবার মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যোগ দেবেন খালেদা জিয়া
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামী শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ’  করবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আল্লাহ ম্যাডামকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখলে আগামী শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে তিনি যোগ দেবেন। এদিকে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও মুক্তিযোদ্ধা দল সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। এ সময় তারা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে অনুরোধ জানালে তিনি সম্মতি জানান।  পরে রাতে ইশতিয়াক আজিজ উলফাত গণমাধ্যমকে জানান, ম্যাডাম বলেছেন, তিনি সুস্থ থাকলে ২১ ডিসেম্বর সমাবেশে অংশ নেবেন। জানা গেছে, এই সমাবেশের মাধ্যমে দীর্ঘ ৭ বছর পর কোনো সমাবেশে যোগ দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এর আগে, ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। প্রসঙ্গত, গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ অর্ধযুগ পর সশরীরে কোনো কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি।  আরটিভি/আইএম/এআর
সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী নিশিতা নদী গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিশিতা ইকবাল নদীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিশিতা ইকবাল নদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে এই ছাত্র সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। আরটিভি/আইএম
দক্ষিণ কোরিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তারেক রহমানের সংহতি
দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্রপন্থী সংগ্রাম অব্যাহত রাখায় দেশটির জনগণের প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্রপন্থী মানুষের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান তিনি।  এ সময় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের লড়াই এবং ‌‘দমনমূলক শাসনব্যবস্থার’ বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের দশকব্যাপী লড়াইয়ে সামঞ্জস্য রয়েছে বলে জানান তারেক রহমান। রাজনৈতিক নিপীড়ন মোকাবেলার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন,  ‘বাংলাদেশে, আমরা  এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি দমনমূলক শাসন সহ্য করেছি, নিপীড়ন মোকাবেলার জন্য ব্যথা সইতে হয়েছে। যে পরিমাণ ধৈর্য্য ও দৃঢ়সংকল্প দরকার হয়, তা আমরা গভীরভাবে অনুভব করতে পারি।’ তারেক রহমান নির্বাচিত সরকারগুলোর দ্বারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অপব্যবহারের সমালোচনা করে এটিকে উভয় দেশের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের উভয় জাতিই নির্বাচিত সরকারের নিজেদের উদ্দেশ্যে গণতান্ত্রিক ফাঁকফোকরকে কাজে লাগানোর বিপদ সম্পর্কে জানি।’ তবে তিনি উভয় দেশে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সাফল্যে জনগণের অদম্য শক্তির ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘উভয় দেশের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সাফল্য একটি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জনগণের অদম্য শক্তিকে তুলে ধরে। তাই ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি রোধে রাজনৈতিক নেতা ও নাগরিকদের সতর্ক থাকতে হবে। শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা আমাদের জনগণের অধিকার রক্ষা করতে পারি এবং একটি ন্যায়বিচার ও মুক্ত সমাজ নিশ্চিত করতে পারি।’ এ দিকে বিএনপির এই শীর্ষ নেতার মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন বাংলাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা চলছে। যেখানে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ভিন্নমত দমন এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে অবজ্ঞা করার অভিযোগ করেছে। ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটানো তারেক রহমান বাংলাদেশের বিরোধী রাজনীতির একজন শীর্ষ নেতা। তারেক রহমানের বার্তা গণতান্ত্রিক নীতি রক্ষায় সচেষ্ট দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক সংহতির বৃহত্তর আহ্বানেরও ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।  আরটিভি/এমকে
রাজধানী থেকে আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন—পল্লবী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন (৩৫), ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. সাজু (৩৪), ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মো. সৈকত ইসলাম (১৯), আওয়ামী লীগ কর্মী মো. বাচ্চু বেপারী (৬০) ও রাজু (৫২)। জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ আবুল তালেব স্কুলের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলি করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আকরাম খান রাব্বী নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হোন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফারুক খানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে মিরপুর ১১ এলাকা থেকে আসামি মো. মামুন ও সাজুকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া গত ৪ আগস্ট বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন মো. আবিদ। আন্দোলনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গুলিতে গুরুতর আহত হোন আবিদ। এ ঘটনায় আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় অন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে পল্লবীর আদর্শ নগর এলাকা থেকে এ ঘটনায় জড়িত সৈকত, বাচ্চু ও রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পল্লবী থানার পৃথক পৃথক মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। আরটিভি/আরএ-টি
বাসযোগ্য-উপভোগ্য গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা সবাই মিলে এমন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, যেটি সবার জন্য ফেয়ার, ইনক্লুসিভ, বাসযোগ্য এবং উপভোগ্য হবে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগারগাঁও এলজিআরডি মিলনায়তনে প্রতিবন্ধী নাগরিক শ্রেণির সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিবন্ধীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনাদের প্রতিবন্ধকতা আমাদের সবার প্রতিবন্ধকতা। আপনাদের পেছনে রেখে আমরা কখনও এগিয়ে যেতে পারি না, আর এগোতে চাইও না। তিনি বলেন, আমরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ, সক্ষম এবং সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশে কিছু প্রাইভেট অর্গানাইজেশন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নানা ধরনের ট্রেনিং প্রদান করে। এই ট্রেনিং শেষে চাকরির ব্যবস্থা করতে গিয়ে তারা হিমশিম খায়। এই সমস্যার সমাধানে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব। তিনি বলেন, বিএনপি সরকার গঠন করলে জেলা পর্যায়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত স্কুল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা থাকবে, যেখানে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ, ব্রেইলসহ ইনক্লুসিভ এডুকেশনের আধুনিক পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষার মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ তৈরি এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের ব্যবস্থা বিবেচনা করা হবে। তারেক রহমান বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জীবনের মানোন্নয়নে ধীর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যার ভিত্তি হবে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা, সামাজিক সক্ষমতা এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা।  তিনি আরও বলেন, আমাদের চিন্তার মধ্যে আছে, একটি স্বতন্ত্র অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা। যা প্রতিবন্ধি ভাই-বোনদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করবে। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট স্থাপন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জনগণের জন্য মোবাইল হেলথ ক্লিনিক চালু, সহায়ক উপকরণ তৈরির জন্য কারখানা স্থাপন এবং আমদানির ক্ষেত্রে কর মওকুফের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা থাকবে। আরটিভি/আরএ
বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে (১৬ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর (ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি) ছাড়া দেশব্যাপী সব জেলা ও মহানগরে আলোচনা সভা ও র‌্যালি সফল করতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে অনুরোধ করা হলো। এ ছাড়া ঢাকায় কর্মসূচির মধ্যে ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনাসভা, ১৬ ডিসেম্বর ভোরে দলীয় সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ এবং সেখান থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে ‘সর্বজনীন কনসার্ট’। বিজয় দিবস উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ এবং নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আলোকসজ্জাও করা হবে। আরটিভি/আরএ-টি
ভারতকে রক্ষাকর্তার খেলা খেলতে দেবেন না, সংখ্যালঘুদেরকে রুমিন ফারহানা
ভারত যেন রক্ষাকর্তার খেলা খেলতে না পারে, সেজন্য দেশের হিন্দু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।  দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, কিছু কিছু দেশ মনে করে ভারত সারা পৃথিবীর হিন্দুদের রক্ষাকর্তা। এই রক্ষাকর্তার খেলা আপনারা খেলতে দেবেন না। সংবিধান আমাদের সমান অধিকার দেয়। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের আয়োজনে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। রুমিন ফারহানা বলেন, সংখ্যালঘুদের নিজস্ব কিছু সমস্যা রয়েছে। সেজন্য সমস্যা সমাধানে সংখ্যালঘু কমিশন এবং সংসদে আলাদা আসনের ব্যবস্থা থাকা উচিত।  তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় ছিল, সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চালিয়েছে। গত ১৫ বছর দেশে কেউ নিরাপদ ছিল না। নীরবে এই অত্যাচার সহ্য করেছে সংখ্যালঘুরা। এই মাটিতে সংখ্যালঘুদের ওপরে অত্যাচার আমরা মেনে নেবো না।  ভারতের সঙ্গে মিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও এসময় দাবি করেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।  বৈঠকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, তরুণরা দেখিয়ে দিয়েছে, সংকটের সময় কীভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। চার-ছয়মাসে কিছুই পরিবর্তন করা যাবে না। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে পুরনো বাংলাদেশ ফিরে আসবে। তিনি বলেন, ধর্মের কারণে নয় বরং রাজনৈতিক কারণে অনেকের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে চরম বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মানুষ কখনো উগ্র হন না। মেজরিটি আর মাইনরিটি; এই তুলনা আমরা ভুলে যেতে চাই। আরটিভি/এসএইচএম