• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
লেবানন থেকে দেশে ফিরছেন আরও ১০৫ বাংলাদেশি
চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে বিবৃতি
বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে বিবৃতি দিয়েছে সরকার।  স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সংখ্যালঘু ইস্যু সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফোরামে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম। বিবৃতিতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন, অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি, কিছু বক্তা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তাকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি একজন মুসলিম আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পরেও আমাদের সরকারের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ এবং সব ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন শান্তি বজায় রাখতে ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সহায়তা করেছে। আমাদের সরকার সতর্ক রয়েছে এবং যেকোনও মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার যেকোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে অবিলম্বে কাজ চালিয়ে যাবে।  তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় সহিংসতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংসতার মূলে ছিল রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারণ, সাম্প্রদায়িক নয়। ওই সহিংসতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট রাজনৈতিকভাবে অনুগত লোকদের প্রভাবিত করেছিল; তাদের প্রায় সবাই মুসলমান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ছিল মাত্র কয়েকজন। সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও উদ্দেশ্যমূলক আক্রমণ হয়নি। বরং জুলাই মাসে গণআন্দোলনের পর আমাদের দীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুসরণ করে কীভাবে সমগ্র বাংলাদেশ তার সংখ্যালঘুদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছিল, তা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে আমাদের সরকার সব ধর্মের মানুষের কাছ থেকে অপ্রতিরোধ্য এবং অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুনর্ব্যক্ত করে যে, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে প্রত্যেক বাংলাদেশির নিজ নিজ ধর্ম পালন বা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল ভিত্তি। এটি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নেতাদের বারবার আশ্বস্ত করেছেন এবং সরকারের প্রথম ১০০ দিনে সেটি বারবার প্রমাণিত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে দুজন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে।  স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর প্রসঙ্গে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের জনগণ যখন ধর্মীয় সম্প্রীতির গৌরবময় উদাহরণ স্থাপন করছিল, তখন আমরা সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়ে অতিরঞ্জিত, ভিত্তিহীন ও ভুয়া খবর এবং স্বার্থান্বেষী মহলের ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া লক্ষ্য করেছি। আমরা এই ফোরামেও এটি দেখেছি। এই ধরনের অনেক অপপ্রচারকে বৈশ্বিক গণমাধ্যম উড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের সরকার বাস্তব পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশ সফরে আসা বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।  আরটিভি/কেএইচ/এএইচ
ইএসকেএলের অনিয়ম-দুর্নীতিতে দুর্ভোগে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা
মিশরে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করলেন‌ মুন্সীগঞ্জের শিহাব উদ্দিন
ভিয়েতনামে বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা চালু
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ৫৩তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত
অনাগত সন্তানকে দেখার আগেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মিশর প্রবাসীর মৃত্যু
বাবা মানে আশ্রয়স্থল, বাবা মানেই পায়ের তলায় শক্ত মাটি। সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসা স্বপ্ন থাকে আকাশ সমান বিশাল। সেই স্বপ্ন পূরণ আর পরিবারে স্বচ্ছতা আনতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে মিশর এসেছিলেন চাঁদপুরের ফাইজুল ইসলাম (৩৫)। কিন্তু  অনাগত সন্তানের মুখ আর দেখা হলো না। মিশর পৌঁছে কাজে যোগ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই অগ্নিদগ্ধ হন তিনিসহ আরো দু'জন।  জানা যায়, মিশরের ইসমায়েলিয়া শহরে নিজ বাসায় রাতের খাবার রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন ফাইজুল ইসলাম তার সন্তান জন্মের কয়েক দিন আগে। এই অগ্নিদগ্ধে আহত হয়ে ইসমায়েলিয়ার আবু খালিফা‌ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন কিশোরগঞ্জের মোঃ হানিফ (৪২) ও  ফরিদপুরের লুৎফর রহমান (২৬) নামে আরও দুজন।  নিহত ফাইজুল ইসলামের ভাই, কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের শিক্ষার্থী সুজন সরদার জানান, গত ২৩শে অক্টোবর আল- আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এয়াহিয়া তানভির এর মাধ্যমে মিশর আসেন আমার ভাই। কায়রো পৌঁছার পর পোশাক শিল্পে কাজ দেওয়ার কথা বলে ইসমায়েলিয়া শহড়ের কানতারায় এলাকায় পাঠিয়ে দেন। তার পর থেকে আমার সাথে ভাইয়ের কোন যোগাযোগ ছিল না বা করতেও পারিনি।  জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে গত ৫ অক্টোবর জানতে পারি সে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। অনেক খুঁজাখুঁজির পর ইসমায়েলিয়ার আবু খালিফা নামক একটি হাসপাতালে তাকে পাই। রুগির  অবস্থার অবনতি দেখে হাসপাতাল কতৃপক্ষ পুলিশ পাহারায় তাকে পার্শ্ববর্তী শহর জাকজিক এর বার্ন স্পেশাল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। চার দিন হাসপাতালের লাইফ সাপোর্ট থাকার পর জীবন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আমার ভাই।   তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে এয়াহিয়া তানভিরের কোন সহযোগিতা পাইনি এমনকি তার সাথে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারিনি। বাংলাদেশ দূতাবাস কাউন্সিলর জনাব মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন স্যার আসছিলেন, ভাইকে দেখে কিছু আর্থিক সহায়তা করে গেছেন। পরে পরিবারের ইচ্ছায় দুতাবাসের সহযোগিতা ও আমাদের ব্যক্তিগত খরচে ভাইয়ের লাশ দেশে‌ পাঠিয়েছি। লাশ দেশে পৌঁছার ১ সপ্তাহ পর তার অনাগত সন্তানের জন্ম হয়।  সুজন আরো বলেন, আমি আর্থিক কোন সহযোগিতা চাই না, বাংলাদেশ সরকার ও মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে আমার অনুরোধ, ছাত্র নামধারী তানভিরের মত  দালালদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হউক, যাতে মিষ্টি কথার প্রলোভনে পরে অবৈধ ভাবে মিশর এসে আর কোন মায়ের বুক খালি না হয়। ইসমায়েলিয়ার আবু খালিফা হাসপাতাল থেকে আহত আবু হানিফ এই প্রতিনিধিকে জানান, ঐ দিন সন্ধ্যায় রান্না করার সময়  বিদ্যুৎতিক লাইনে আগুন লেগে মুহুর্তর মধ্যে পাক ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তাড়াহুড়ো করে বাহির হতে গিয়ে ও আমরা আগুনে দগ্ধ হই। পরে স্থানীয়রা আমাদের ইসমায়েলিয়ার আবু খালিফা নামক একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনজনের মধ্যে ফাইজুল ইসলাম জাগজিগ হাসপাতালে মারা গিয়েছেন বলে শুনেছি। আমি ও লুৎফর এই হাসপাতালেই ভর্তি আছি। আমাদের শরীরে অনেক অংশই ঝলসে গেছে।  আবু হানিফ আরো জানান, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এয়াহিয়া তানভির এর  মাধ্যমে প্রত্যেকের নিকট থেকে ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মিশর আনেন অন-এরাইভ্যাল ভিসা দিয়ে। আসার পর তাদের কাজ দিতে নিয়ে যান ইসমায়েলিয়ার এক পোশাক শিল্প কারখানায়। কিন্তু তাদের কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বলেন কাজ শিখে আসতে। তার কথা মত এহিয়া লুৎফর তাদেরকে শিক্ষা নবীস হিসেবে কাজ দেন ছোট্ট একটি কারখানায়। কাজ শেষে ঘরে এসে নিজেদের রান্না করার সময় ঘটে এই দুর্ঘটনা। এদিকে তানভির এয়াহিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই তিনজনকে আমি ভ্রমন ভিসায় মিশর এনে কাজ দিয়েছিলাম ইসমায়েলিয়ার কান্তা এলাকার একটি ছোট কারখানায়। পরে শুনতে পারলাম ওরা নিজেদের বাসায় রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ব্যস্ততার জন্য আমি তাদের দেখতে যেতে পারিনি। তবে, লোক পাঠিয়ে তাদের খুঁজ খবর নিচ্ছি। মিশরে বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট বন্ধ জেনেও আপনি কেন অবৈধ ভাবে দেশ থেকে লোক আনেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তানভির বলেন, মিশরের শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আছে ভিসিট ভিসায় এসেও এদেশে কাজ করতে পারবে ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া। সেই ওয়েবসাইটের লিংক চাইলে পাঠাবে বলেও তিনি জানান।
মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মারধরের ঘটনায় হাইকমিশনের দুঃখ প্রকাশ
মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট নবায়ন করতে আসা প্রবাসীদের লাঠিপেটা করার ঘটনায় মালেশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন দুঃখ প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, গত ১৮ নভেম্বর কুয়ালালামপুরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এক্সপার্ট সার্ভিসেস লিমিটেডে (ইএসকেএল) ১ হাজারেরও বেশি প্রবাসী ই-পাসপোর্টের সেবা নিতে আসেন। এ সময় ইএসকেএলের নিরাপত্তাকর্মীরা শুরু থেকেই তাদেরকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা প্রবাসীদেরকে লাঠিপেটা করে। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। মালেশিয়াস্থ প্রবাসীরা এ ঘটনার জোর প্রতিবাদ করেন এবং আন্দোলনেরও হুমকি দেন। এরপর গত ১৯ নভেম্বর কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ জানিয়েছিলেন, বিষয়টি তার নজরে নিয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। ওই সূত্র ধরে গত ২০ নভেম্বর মালেশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সম্মানিত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে অবস্থিত পাসপোর্ট এবং ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য নিয়োগকৃত আউট সোর্সিং কোম্পানি (ইএসকেএল)-এ পাসপোর্ট আবেদন জমা দিতে এসে নিরাপত্তা প্রহরীর দ্বারা সেবাপ্রার্থী প্রবাসীদের ওপর বল প্রয়োগের ঘটনা বাংলাদেশ হাইকমিশনের গোচরীভূত হয়েছে। হাইকমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। সেবা প্রদানের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে হাইকমিশন প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছে। প্রসঙ্গত, অনিবার্য কারণে এমআরপি প্রিন্টিং সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে ই-পাসপোর্ট সেবা নিতে প্রতিদিন হাজার হাজার সেবাপ্রত্যাশী অ্যাপয়েন্টমেন্ট ব্যতিরেকে ইএসকেএল অফিসে ভিড় করছেন। ধারণক্ষমতার বাইরে সেবা প্রত্যাশীদের উপস্থিতির কারণে কন্স্যুলার সেবাপ্রদানসহ অন্যান্য স্বাভাবিক কার্যক্রম  বিঘ্নিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, সেবা প্রত্যাশীদের অনুগ্রহ করে এপয়েন্টমেন্ট-এর ভিত্তিতে (http://www.expatserviceskl.com/, কলসেন্টার নম্বর (০৩৯২১২০২৬৭) পাসপোর্ট আবেদন ফরম জমা দিতে ইএসকেএল অফিসে আসার জন্য বিনীত অনুরোধ করা যাচ্ছে। তবে এই ঘটনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইএসকেএল এখনও কোনো দুঃখ প্রকাশ বা প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আরটিভি/এসএপি/এস  
ভিয়েতনামে বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা চালু
দেশের ৪৮তম মিশন হিসেবে ভিয়েতনামে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানী হ্যানয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, এ কর্মসূচির আওতায় আবেদনকারীরা ৫ বছর বা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দল দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেন। ই-পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে উপস্থিত বাংলাদেশিদের ধারণা দেন ঢাকা থেকে আসা অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপপরিচালক আল-আমিন মৃধা। তিনি সরকারের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র দেখান। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, এ কার্যক্রম চালু করার ফলে এখন থেকে ভিয়েতনাম ও লাওসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দূতাবাসে এসে ই-পাসপোর্ট সেবা নিতে পারবেন। এছাড়া দূতাবাস ভিয়েতনাম ও লাওসের বিভিন্ন শহরে কনস্যুলার পরিষেবা দেওয়ার সময় ই-পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করবে। উদ্বোধন শেষে রাষ্ট্রদূত কয়েকজন আবেদনকারীকে ই-পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট স্লিপ দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতালয় প্রধান নাসির উদদীন। আরটিভি/এফআই
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: সাখাওয়াত হোসেন
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে কাঙ্ক্ষিত ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  ‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন। সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।  লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।  সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।  আরটিভি/কেএইচ
কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মেহজাবীনের ‘প্রিয় মালতী’
এবার কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৪৫তম আসরে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত ও মেহজাবীন অভিনীত ছবি ‘প্রিয় মালতী’। কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হলো মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে পুরোনো বৈশ্বিক চলচ্চিত্র উৎসব। এ উৎসবে এবার প্রদর্শিত হচ্ছে ৭২টি দেশের মোট ১৯০টি সিনেমা। ১৩ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলা উৎসবে থাকবে ৩০টির ও বেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।  অভিনেত্রী মেহজাবিন জানান, কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘প্রিয় মালতী’ চলচ্চিত্রটি নির্বাচিত হয়েছে এবং প্রিমিয়ার শোতে মিশরীয়দের মাঝে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছে। দর্শকরা শো শেষ করে এসে অনেকেই সেভেন আউট অফ টেন দিচ্ছেন আবার কেউ ফাইভ আউট অফ টেন দিচ্ছেন। আবার উপস্থিত দর্শকদের মধ্য থেকে অনেকেই বলছেন, যে আপনাদের দেশের গল্প আর আমাদের দেশের গল্প প্রায় কাছাকাছি। এ ধরনের ঘটনা আপনাদের ওখানেও ঘটে তা ভেবে আমরা খুব দুঃখ অনুভব করছি। উপস্থিত দর্শকরা সরাসরি রিভিউ দেওয়ায় মুগ্ধ হয়েছেন এই অভিনেত্রী।  মেহজাবীন আরও জানান, ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছে ছিল বাবা মাকে নিয়ে মিশর ভ্রমণে আসার।‌ কিন্তু নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য মিশরে আসতে হবে তা কখনো কল্পনাও করিনি। এই অভিনেত্রী জানান, বাংলাদেশের রিয়েল একটা ঘটনার সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে এবং সেটার বাস্তব উপলব্ধিটা সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য একটা গর্বের বিষয়। হাসতে হাসতে অভিনেত্রী সাংবাদিকদের জানান, যে আপনাদের জন্য খুশির সংবাদ হচ্ছে এই, ‘প্রিয় মালতী’ ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টেবলে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে এবং শিগগিরই গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। তাই আপনাদের দোয়া ও শুভ কামনা প্রয়োজন। ‘প্রিয় মালতী’র পরিচালক শঙ্খ দাসগুপ্ত জানিয়েছেন, কায়রোতে ‘প্রিয় মালতী’র চারটি প্রদর্শনী রয়েছে। এর মধ্যে দুটিতে থাকবেন উৎসবে আসা দর্শকরা। এ ছাড়া সাংবাদিক ও বিচারকদের জন্য একটি করে প্রদর্শনী হবে। প্রতিটির শুরু ও শেষে থাকবে আমাদের আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব। কায়রো চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি লড়বে ‘গোল্ডেন পিরামিড’ পুরস্কারের জন্য। ‘প্রিয় মালতী’ ছাড়াও এ বিভাগে এখন পর্যন্ত ১৫টির মতো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম দেখা গেছে।  আরটিভি/এফআই-টি
মেলবোর্নের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে বাংলাদেশি ১০ প্রতিষ্ঠান
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনী মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। মেলবোর্ন কনভেনশন ও এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে ১০টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর অর্থায়নে তৈরি পোশাকসামগ্রী প্রদর্শন করছে ৮টি পোশাক উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া তৈরি পোশাক শিল্পের আরও ২টি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে। মেলবোর্নে গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোতে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যসামগ্রীর প্রদর্শনী কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রনি চাকমা ও আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী মেরি কিন্সেলা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মুরাদ ইউসুফ। এ প্রদর্শনীতে বিশ্বের ২০টি দেশের প্রায় ৪৫০ উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্নে এ ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনী বছরে দুবার অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ আয়োজন পণ্য প্রদর্শনী, নতুন বাজার অনুসন্ধান ও পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপনে আমদানি ও রপ্তানিকারক এবং উৎপাদক ও সরবরাহকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যসামগ্রীর প্রায় শতকরা ৯৩ ভাগই তৈরি পোশাক সামগ্রী। বর্তমানে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার ৩৮তম বাণিজ্যিক অংশীদার। আরটিভি/এএএ
মীর জাফরের সঙ্গে আ.লীগের মিল রয়েছে: পিনাকী ভট্টাচার্য
মীর জাফরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মিল রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন লেখক এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। রোববার (১৭ নভেম্বর) ইতালির বাণিজ্যিক শহর মিলানের একটি হলে ‘ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান: আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। ইতালির উত্তর অঞ্চল তথা মিলান অঞ্চলের প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মিলানের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং কমিউনিটি নেতা হোসাইন মোহাম্মদ মনির। প্রধান অতিথি ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম ব্যক্তিত্ব, লেখক এবং এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। সেমিনারটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন ইতালির উত্তর অঞ্চলের রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশি কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আবদুল্লাহ আল মামুন, আজমত উল্লাহ শিকদার রবিন এবং নূর হোসেন জমির। হোসাইন মোহাম্মদ মনির বলেন, বিগত সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নানা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। নতুন বাংলাদেশে আমাদের আশা থাকবে গণঅভ্যুথানের সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাহসী ভূমিকা মূল্যায়ন করে যেন অতি দ্রুত প্রবাসী বান্ধব কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সেমিনারে প্রবাসীদের চার দফা দাবি নিয়ে সাংবাদিক মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ এবং অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর লেখা একটি প্রবন্ধ পাঠ করা হয়।  পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, ইতিহাসে যেই মীর জাফর লড়াই করে বর্গীর আগমন ঠেকিয়েছিল এবং আমাদের বাঁচিয়েছিল সেই মীর জাফর আমাদের স্বাধীনতা পলাশীর আম্রকাননে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিয়েছিল। একই ভাবে যেই শেখ মুজিব আমাদেরকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, আমাদেরকে লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল সেই শেখ মুজিবের দল বাংলাদেশের ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের দাসত্ব সৃষ্টি করেছিল। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক জাতির কিছু বড় দুর্বলতা আছে। যেমন ফরাসিদের কাছে প্রেম, ইতালীয়দের কাছে ফুটবল ও ফ্যাশন। তেমনি আমাদের হচ্ছে কান্না ও বেদনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষায় আমরা সম্মিলিতভাবে প্রিয় মাতৃভূমিকে আর কাঁদতে দেব না এবং এর অতীত বঞ্চনার ইতিহাস মুছে দিব। তারপরও আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে আমরা সারা দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব। সেমিনারে ইতালির বিভিন্ন প্রদেশ ও শহর থেকে রাজনীতিবিদ, কমিউনিটি নেতা এবং বিশিষ্টজনেরা যোগ দেন। তাদের মধ্যে অন্যতম জাকির হোসেন, জুয়েল পাশা, শরিফুল ইসলাম মিলন। আরও উপস্থিত ছিলেন, ইতালির বিসেন্সা শহর থেকে ছিলেন রাজনীতিবিদ আজিজুর রহমান, মোফালকন শহর থেকে ছিলেন মোস্তাক আহমেদ, তুরিন শহর থেকে আরিফুর রহমান, পিসা শহর থেকে মোহাম্মদ জিন্নাহ, জেনোভা শহর থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ সবুজ ঢালী প্রমুখ। আরটিভি/এএএ