• ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
টিম বাস মিস করেও ম্যাচসেরা লিন্ডা
বাংলাদেশ ম্যাচে ‘আপত্তিকর ভাষা’ ব্যবহারে কঠিন শাস্তি পেলেন জোসেফ
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে আম্পায়ারের সঙ্গে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেছিলেন ক্যারিবিয়ান পেসার আলজারি জোসেফ। যা ফলে তাকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।  মূলত, প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ শুরুর আগে স্পাইকযুক্ত জুতা পড়ে উইকেটে হাঁটছিলেন জোসেফ। তাকে হাঁটতে মানা করলে চতুর্থ আম্পায়ার গ্রেগরি ব্র্যাথওয়েটকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেন জোসেফ।  এ বিষয়টি দুই অনফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধার্মাসেনা ও লেজলি রিফার এবং তাদের সহযোগী আসিফ ইয়াকুবকে নিয়ে ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোকে জানান গ্রেগরি ব্র্যাথওয়েট। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জোসেফকে শাস্তি দেন ক্রো।  আইসিসির আচরণবিধির লেভেল-১ এবং ২.৩ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করায় ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে জোসেফকে। ২৪ মাসের মধ্যে এই প্রথম কোন অপরাধ করলেন তিনি। এই ধারার অপরাধে সর্বনিম্ন শাস্তি সতর্ক করা। সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা ও ১ বা ২ ডিমেরিট পয়েন্ট। জোসেফ নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। আরটিভি/ এসআর
সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার মাঠে নামবে টাইগাররা
রাতে মাঠে নামছেন সাকিব, মোবাইলে খেলা দেখবেন যেভাবে
এমবাপ্পের ইনজুরি নিয়ে যা জানালেন কোচ আনচেলত্তি
এনসিএল টি-টোয়েন্টি / শেষ বলের নাটকীয়তায় সিলেটকে হারাল ঢাকা
কক্সবাজার সাগরপাড়ের সাম্পানে ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’
তিন দিনের সফরে বাংলাদেশের এসেছে ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’। আর এই ট্রফির ফটোসেশনের জন্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টকে নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে সৈকতের সাগরপাড়ের সাম্পানে ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’ ফটোসেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সৈকতের লাবনী পয়েন্টের একটি তারকামানের রেস্টুরেন্টের সাম্পানে এ ফটোসেশন করা হয়। এসময় জোরদার করা হয় নিরাপত্তা। সাম্পানের ওপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটি রাখা হয়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ছবি ও ভিডিও কাজ করে আইসিসির প্রতিনিধি দলের টিমের সদস্যরা। এসময় চারপাশে দূর থেকে পর্যটকরা দেখেন ট্রফিটি। কিন্তু নিরাপত্তা স্বার্থে তাদেরকে সরিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আবার অনেকেই দূর থেকে ট্রফির ছবিও তুলেন। এরপর ১১টার দিকে সর্বসাধারণের জন্য প্রদর্শনী শুরু হয়। এ সময় ট্রফিটির স্বচক্ষে দেখতে পেরে এক ব্যক্তি বলেন, এটা দেখে গর্ববোধ করছি। বিসিবিতে ম্যানেজমেন্টে দায়িত্বে থাকা নাজমুল বলেন, মূলত কক্সবাজারের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ হচ্ছে সাম্পান। তাই আইসিসির প্রতিনিধিদের পছন্দ অনুযায়ী প্রথমে ট্রফির ফটোসেশনে সাম্পানে রাখা হয়। সেখানে ছবি তোলা হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির।  বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পাবে ক্রিকেটভক্তরা। আর তার জন্য রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমলে রাখা হবে ট্রফিটি। পর দিন মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে রাখা হবে ট্রফিটি। যেখানে ক্রিকেটার, পরিচালক এবং গণমাধ্যমকর্মীরা ছবি তোলার সুযোগ পাবেন। আরটিভি/এসআর
সিরিজ হারের জন্য ব্যাটারদের কাঠগড়ায় তুললেন মিরাজ
বাংলাদেশকে টানা দুই ম্যাচে পরাজিত করে এক ম্যাচ আগেই ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় পড়েছে টাইগাররা। আর এই পরিস্থিতির জন্য ব্যাটারদের দায়ী করেছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ বলেন, মাঝের ওভারগুলোয় ভালো ব্যাটিং হয়নি। কোনো জুটি গড়ে উঠেনি। একের পর এক উইকেট পড়েছে। মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব (তানজিম) ভালো খেলেছে, তবে আমরা নিজেরাই ভুল করেছি। সেন্ট কিটসে আগে ব্যাট করে ২২৭ রান তুলে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ৩৩ বলে ৪৬ রান করলেও টপ ও মিডল অর্ডার ব্যর্থ হলে ১১৫ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।   এরপর অষ্টম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম হাসান সাকিবের ৯২ রানে সম্মানজনক পুঁজি পায় বাংলাদেশ। যা পরে অনায়াসেই পেরিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই মিরাজ মনে করেন শুরুতে উইকেট হারালেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল। তার ভাষ্য, সিলস ও বাকিরা খুব ভালো বল করেছে, আমরা শুরুতে রান পাইনি। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারালেও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল। তবে স্কোর যথেষ্ট ছিল না। এই উইকেটে ৩০০ বা তার বেশি রান করা দরকার ছিল।  উল্লেখ্য, একই মাঠে আগামীকাল বৃহস্পতিবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে নামবে বাংলাদেশ। আরটিভি/ এসআর
এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম সেঞ্চুরিয়ান জিসান
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাঠে গড়িয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী আসর। প্রথম ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে সিলেট। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে টুর্নামেন্টর প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তরুণ জিসান আলম। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা ডিভিশনের বিপক্ষে ৫২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন সিলেট ডিভিশনের এই ব্যাটার। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় দ্রুততম বাংলাদেশি সেঞ্চুরিয়ান এখন জিসান।  এই তালিকায় শীর্ষে আছেন পারভেজ হোসেন ইমন। বিপিএলে ২০২০ সালে ফরচুন বরিশালের হয়ে ৪২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন এই বাঁহাতি। এর আগে ২০১৯ সালে ঢাকা ডাইনাইটসের বিপক্ষে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম ইকবাল। যা দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকায় দ্বিতীয়। ইনিংসের ১৪তম ওভারে স্পিনার আরাফাত সানিকে একটানা ৫টি ছক্কা হাঁকান জিসান। ওভারের প্রথম বলে দৌড়ে ২ রান নেন তিনি। এরপর স্ট্রাইকে গিয়ে পরবর্তী ৫ বলে ৫ ছক্কা হাঁকান এই তরুণ ব্যাটার। জিসানের ১০০ রানের ইনিংস ছাড়া ১৭ বলে ৩০ রান করেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১৭ বলে ৩০ রান করেন তৌফিক খান তুষার। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৫ রান তুলেছে সিলেট।  আরটিভি/ এসআর
জুভেন্টাস-ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা
জিম্বাবুয়ে সফরে প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মাঠে নামবে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। এ ছাড়াও রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মাঠে নামছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ-স্লোভান, জুভেন্টাস-ম্যানচেস্টার সিটি, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড-বার্সেলোনার মতো দলগুলো। ফুটবল চ্যাম্পিয়নস লিগ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ-স্লোভান ব্রাতিস্লাভা সরাসরি, রাত ১১-৪৫ মিনিট, টেন ২ জুভেন্টাস-ম্যানচেস্টার সিটি সরাসরি, রাত ২টা, টেন ২ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড-বার্সেলোনা সরাসরি, রাত ২টা, টেন ১ ক্রিকেট আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফর প্রথম টি টোয়েন্টি, বিকেল সাড়ে ৫টা সরাসরি: স্পোর্টস ১৮-১ আরটিভি/কেএইচ
১০ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হারল বাংলাদেশ
এক দশক পর চরম ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে বাংলাদেশকে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে শাই হোপের দল। এর ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ক্যারিবীয়রা। এর আগে ২০১৪ সালে সর্বশেষ নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।  মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজ জয়ের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপের নেতৃত্বে মাত্র ৩৬.৫ ওভারেই বাংলাদেশের লক্ষ্য তাড়ায় সফল হয়েছে। ম্যাচের শুরুতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ ওভার ৫ বলে ২২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩ ওভার ১ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।       ক্যারিবীয়দের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। আরেক ওপেনার এভিন লুইস ৪৯ ও কেসি কার্টি ৪৫ রান করেন। বিপরীতে বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন রিশাদ হোসেন, নাহিদ রানা ও আফিফ হোসেন। সেন্ট কিটসের একই ভেন্যুতে প্রথম ওয়ানডেতে ২৯৪ রান করেছিল বাংলাদেশ, কিন্তু আজ টাইগাররা ২৩০–ও পেরোতে পারেনি। তবে অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব রেকর্ডগড়া জুটি না বাধলে ততদূরও যাওয়া হতো না সফরকারীদের। দ্বিতীয় ইনিংসে লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই সঠিক কক্ষপথে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতে কিং ও লুইস মিলে ১০৯ রান তোলেন। মূলত এই জুটিতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।   তবে দুজনই ফিরেছেন ব্যক্তিগত দুটি মাইলফলক অপূর্ণ রেখে। এর মাঝে অবশ্য সৌম্য সরকার ক্যাচ ছেড়ে লুইসের ইনিংস বড় করার সুযোগ করে দেন। ব্যক্তিগত ২৮ রানে ব্যাট করা অবস্থায় মিরাজের বলে লং অনে ক্যাচ তুলেছিলেন লুইস। কিন্তু সহজ ক্যাচ হাত থেকে ফেলেছেন সৌম্য। ফলে ৭৯ রানে উইকেট নেওয়ার সুযোগও হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের।  পরে ক্যারিবীয়দের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ২১তম ওভারে। আগের ওভারেই রানার বলে আঘাত পেয়ে বেশ ভুগছিলেন লুইস। তখনই তিনি কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিলেন। ঠিকঠাক দাঁড়াতেও কষ্ট হচ্ছিল তার। খানিক বাদেই টাইগার লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন আক্রমণে আসতে তার হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন লুইস। ৬২ বলে তিনি ফিরলেন ৪৯ রান করে। কোনো চাপই আসতে দেননি কিং। তিনে নামা কেসি কার্টিকে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। নাহিদ রানার বলে আউট হওয়ার আগে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেরেন কিং। ৭৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৮ চারে ৮২ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।  দলীয় ১৭৫ রানে তিনি টাইগার পেসার নাহিদ রানার দুর্দান্ত এক ইয়র্কার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন। তখন অবশ্য উইন্ডিজদের জয় পেতে কেবল কিছু সময়েরই অপেক্ষা। কেসি কার্টিকে ফেরান আফিফ হোসেন।  ফিফটি থেকে পাঁচ রান দূরে থাকতে আউট হন কার্টি। অনিয়মিত বোলার আফিফের বলে ব্যাক-কভারে থাকা রানার হাতে তালুবন্দী হন কার্টি। এর আগে ৪৭ বলে তিনি ৪৫ রান করেন। তবে চতুর্থ উইকেটে শেরফান রাদারফোর্ড এবং শাই হোপ মিলে ৩৩ রানের জুটি গড়ে দ্রুতই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। হোপ অপরাজিত ছিলেন ১৭ রানে। রাদারফোর্ডের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।  এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিতভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সামনে খেই হারায় বাংলাদেশ। ৫ বলে মাত্র ২ রান করে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। পরের দুই ব্যাটার লিটন দাস এবং  মেহেদী মিরাজও অনুসরণ করেছেন সৌম্যকে। লিটন করেছেন ১৯ বলে ৪ রান আর ৫ বলে ১ রান করেছেন অধিনায়ক মিরাজ। শুরুটা ভালো করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তানজিদ তামিম। ৩৩ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে জেইডন সিলসের বলে আউট হন তিনি।   এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে দলের খাতায় ১০০ রান যোগ হওয়ার পর ভুল শট খেলে দলকে আবার চাপে ফেলেন আফিফ। ২৯ বলে ২৪ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর ৮ বল খেললেও রানের খাতা না খুলেই বিদায় নেন রিশাদ। ১১৫ রান তুলতেই তারা ৭ উইকেট খরচ করে ফেলে। ক্রিজে তখন একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শঙ্কা জেগেছিল, ১২৫ কিংবা ১৩০ রানের মধ্যে ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার। সেখান থেকে রিয়াদ-তানজিমের ৯২ রানের জুটি সফরকারীদের মান বাঁচানো ২২৭ রানের পুঁজি এনে দিয়েছে।  ওয়ানডেতে অষ্টম উইকেটে এতদিন বাংলাদেশের রেকর্ড রানের জুটি ছিল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোহাম্মদ মিঠুনের। ২০১৯ সালে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৪ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। তবে আজ ওয়েস্ট ইন্ডজের বিপক্ষে রিয়াদ-তানজিমের দারুণ ইনিংস খেললেও তানজিমের আক্ষেপ থেকে যাবে ফিফটি না পাওয়ার। ৬২ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রান করে রস্টন চেজকে স্ট্রেইট তুলে মারতে গিয়ে তারই হাতে ধরা পড়েন। ক্রিজে স্থায়ী হননি মাহমুদউল্লাহও। অবশ্য ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। ৯২ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৬২ রান করে আউট হন তিনি। শেষদিকে শরিফুল ইসলামের ৮ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ২২৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচে রিয়াদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬২, তানজিদ তামিমের ৪৬ এবং তানজিম সাকিবের ৪৫ রানের ইনিংস ছাড়া বাকি ব্যাটাররা পুরোদমে ব্যর্থ। ফলে ৪৫.৫ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। উইন্ডিজদের হয়ে মাত্র ২২ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন পেসার জেইডেন সিলস। গুদাকেশ মোতি নেন ২ উইকেট। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দুই দল আগামী ১২ ডিসেম্বর একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। আরটিভি/কেএইচ
উড়ন্ত ক্যারিবিয়ানদের সামনে বাংলাদেশের ২২৮ রানের সহজ লক্ষ্য
সেন্ট কিটসে নিজেদের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ব্যাট হাতে ২২৭ রানের মামুলি পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা। আগের ম্যাচে জয় নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকা স্বাগতিকরা এদিন টস ভাগ্যে আবারও জয়ী হয়। এই জয় পেয়েই টাইগারদের কম রানে বেঁধে ফেলতে শুরুতেই ফিল্ডিং নেয় ক্যারিবিয়ানরা। পেস আক্রমণে টাইগার বধে সেই পরিকল্পনাতে পাসও হয় উইন্ডিজ বাহিনী। বল হাতে আগ্রাসী ছিলেন জেইডেন সিলস। এদিন সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিংয়ে মাঠে নামেন তানজিদ। প্রথমেই জেইডেন সিলসের উইকেট শিকারে লণ্ডভণ্ড হয় টাইগারদের ব্যাটিং স্তম্ভ। সিলসের শিকারে আজ ২ রান যোগ করতে পারেন সৌম্য সরকার।  তিনে নামা লিটন সৌম্যর চেয়ে দুই বেশি করেন। সিলসের বলে ৪ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।   দলের কঠিন মুহূর্তে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও খেই হারান। বোল্ড হওয়ার আগে এক রান যোগ করতে পারেন তিনি। তার উইকেটও নেন ক্যারিবিয়ান পেসার জেইডেন সিলস। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ৩ উইকেটের পতনে ম্যাচে ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। এরপর ক্রিজ আগলে রাখা তানজিদ ফেরেন জাস্টিন গ্রিভসের বলে। ৩৩ বলে ৪৬ রান করেন এই ওপেনার। এরপর আফিফ-মাহমুদুল্লাহ জুটিটি বেশিদূর এগোয়নি। আফিফ কিছুটা ঝড় তুললেও ২৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৪ রান তুলতে পারেন। মোতির জোড়া আঘাতে আফিফ ও জাকের আলীকে খোয়ায় বাংলাদেশ। আর শূন্য রানে রিশাদকে হারানোর পরে একপ্রান্ত আগলে রাখা মাহমুদুল্লাহকে কেবল সঙ্গ দিয়েছেন তানজিম সাকিব। এই দুইজনের জুটিতেই ২০০ পার করতে পারে টাইগাররা। ৬২ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। সিলসের শিকারে টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ করা মাহমুদুল্লাহ ফিরে যান ৬২ রানে। ব্যাটাররা দাঁড়াতে না পারায় ৪৫ ওভার ৫ বলে ২২৭ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।   আরটিভি/এমএম
লিটন দাসকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণা 
ইনজুরির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার টি-টোয়েন্টিতেও থাকছেন না শান্ত। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে টাইগাররা তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এই সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। যেখানে নেতৃত্বে থাকছেন লিটন দাস। টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তরুণ পেসার রিপন মন্ডল। এনসিএল টি-টোয়েন্টি খেলতে সিলেটে ছিলেন তিনি। এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে বিমান ধরবেন এই পেসার। এ ছাড়া ফেরানো হয়েছে আফিফ হোসেনকেও।  তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। একইসঙ্গে উইন্ডিজ সিরিজ থেকে ছুটি নেওয়া মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় তানজিম হাসান সাকিবকে নেওয়া হয়েছে।  আগামী ১৬ ডিসেম্বর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর হবে পরের দুই ম্যাচ। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে সবগুলো ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ছয়টায়। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলি, শামীম পাটোয়ারী, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, রিপন মন্ডল। আরটিভি/এমএম/এস