• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
চমক রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা বিসিবির
রিশাদের পরিবর্তে বিগ ব্যাশের দল হোবার্টে আফগান তারকা
বাংলাদেশি রিশাদ হোসেনের পরিবর্তে আফগানিস্তানের লেগস্পিনার ওয়াকার সালামখেইলকে দলে ভিড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগের দল হোবার্ট হ্যারিকেন্স। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করে সবার নজরে আসেন রিশাদ হোসেন। টাইগার অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে দল পেয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। তাকে কিনে নিয়েছিল হোবার্ট হ্যারিকেন্স। বিগ ব্যাশে সুযোগ পেলেও খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিলে রিশাদের। এর কারণ, বিগ ব্যাশ চলাকালে দেশের মাটিতে আয়োজিত হবে একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিপিএল। সাংঘর্ষিক শিডিউলের কারণে দল পেলেও ডানহাতি এই লেগস্পিনারের বিগ ব্যাশে খেলা নিয়ে দোটানায় ছিলেন রিশাদ। শিডিউল সংঘর্ষের কারণে শেষ পর্যন্ত সেরা অপশন হিসেবে বিপিএলকেই বেছে নিয়েছেন রিশাদ। শুরুতে দল না পেলেও ফরচুন বরিশালের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর ফলে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাবান ফ্র্যাঞ্জাইজি বিগ ব্যাশ লিগে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় বর্তমানে গ্লোবাল সুপার লিগে খেলছেন রিশাদ। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধি রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছেন তিনি। এই টাইগার স্পিনারের জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন দলটির হাই-পারফরম্যান্স জেনারেল ম্যানেজার স্যালিয়্যান বিমস। এ বিষয়ে স্যালিয়্যান বিমস বলেন, ‘ওয়াকার এক অসাধারণ তরুণ প্রতিভা। তিনি আমাদের বোলিং লাইন-আপে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবেন। একইসাথে তিনি রিশাদের মতোই একজন রিস্ট স্পিনার। যদিও রিশাদকে না পাওয়া হতাশাজনক। তবে আমরা জানি, ওয়াকার প্রথম অংশে আমাদের জয় এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।’ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিগ ব্যাশ লিগে খেলা সাকিব দুটি মৌসুম খেলেন। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ান ঘরোয়া টুর্নামেন্টটিতে খেলেন বাঁহাতি টাইগার অলরাউন্ডার। এরপর বিগ ব্যাশ ও জিম্বাবুয়ের আফ্রো-জিম টি-টেন লিগসহ বেশ কিছু বিদেশি টুর্নামেন্টে দল পান তিনি। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে খুব ভালো ফর্মে নেই রিশাদ। আরটিভি/এমএম/এসআর-টি
আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জয় বাংলাদেশের
মিরাজকে অধিনায়ক করে ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা বিসিবির
ওয়ানডে খেলতে সন্ধ্যায় দেশ ছাড়ছেন চার ক্রিকেটার
হোয়াইটওয়াশের মিশনে সহজ লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
শতাব্দীর সবচেয়ে কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়লেন সেইলস
বৃষ্টির কারণে জ্যামাইকা টেস্টের প্রথম দিনের প্রায় পুরোটায় কাটা পড়েছিল। দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৬৪ রানে অলআউট হয়েছে টাইগাররা। আর ৭০ রান তুলে দিন শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সব মিলিয়ে পুরো দিনেই রান হয়েছে মাত্র ১৬৫।  এই ম্যাচে ১৬ ওভার বল করে ৪ উইকেট শিকার  ও ১০টি মেইডেন দিয়েছেন জেইডেন সেইলস। আর খরচ করেছেন মাত্র ৫ রান। যার ফলে শতাব্দীর সবচেয়ে কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান পেসার।  প্রথম দিনে সেইলস বল করেছিলেন মোট সাত ওভার। তার মাঝে মেইডেন দিয়েছেন ৬টি। দ্বিতীয় দিনে এসে করেছেন ৮.৫ ওভার। তাতে ৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করে বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলেছিলেন সেইলস। আর শেষে এসে তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানাকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন তিনি। সবমিলিয়ে টাইগারদের বিপক্ষে সেইলসের বোলিং ইকোনমি ছিল শূন্য দশমিক তিন এক ছয়। একবিংশ শতাব্দীর টেস্টে এক ইনিংসে এটাই সবচেয়ে কিপ্টে বোলিং। এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন উমেশ ইয়াদাভ। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ ওভারের স্পেলে তার ইকোনমি ছিল শূন্য দশমিক চার দুই নয়। তবে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে অবশ্য সেইলসের এই বোলিং ফিগার বেশ পিছিয়েই আছে। এই তালিকায় স্থানটা দখল করে আছেন ভারতের স্পিনার রমেশচন্দ্র নাদকার্নি।  ১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভার প্রতি মাত্র শূন্য দশমিক এক পাঁচ রান দিয়েছিলেন এই ভারতীয়। ৩২ ওভার বল করে মেইডেন নিয়েছিলেন ২৭ টিতে। রান দিয়েছিলেন মাত্র পাঁচ।  দুইয়ে রয়েছেন সেইলসেরই দেশের কিংবদন্তি স্যার গ্যারি সোবার্স। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার ১৯৫৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ১৪ ওভার বল করে ১১ ওভারেই রেখেছিলেন মেইডেন। আর তালিকার তিনেও আছেন নাদকার্নি।  আরটিভি/এসআর/এস  
হাইব্রিড মডেল নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন শোয়েব আখতার
আগামী বছরের শুরুতে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। কিন্তু পাকিস্তানে গিয়ে এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চায় না ভারতীয় দল। যার ফলে পিসিবিকে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দিয়েছে বিসিসিআই। কিন্তু এই টুর্নামেন্ট এককভাবে আয়োজন করতে চায় পিসিবি। দুই পক্ষের দর-কষাকষিতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভবিষ্যৎ। এর মধ্যেই পাকিস্তান ও ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইস্যুতে সুর কিছুটা নরম করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শর্ত সাপেক্ষে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে রাজি হয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। গত ৩০ নভেম্বর পাকিস্তান অবজার্ভারের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দুটি শর্ত পূরণ হলেই হাইব্রিড মডেলে খেলা আয়োজন করবে পিসিবি। প্রথমটি হলো- পিসিবিতে আইসিসির প্রদেয় রাজস্বের হার বাড়াতে হবে।  আর দ্বিতীয়টি হলো ভারত যদি এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না আসে, তাহলে ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টগুলোতে অংশ নিতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান। কিন্তু দুই দেশের শর্তের লড়াইয়ের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার শোয়েব আখতার।  হাইব্রিড মডেল চুক্তিতে আগেই সই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এই কিংবদন্তি পেসার। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এমন মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে শোয়েব আখতারকে। তবে এককভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনে পিসিবির দাবিকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।  শোয়েব বলেন, আপনি আয়োজকস্বত্ব ও রাজস্বের জন্য অর্থ পাচ্ছেন। এটি ঠিক আছে, আমরা সবাই এটি বুঝতে পারি। পাকিস্তানের অবস্থানও যুক্তিসঙ্গত। তাদের একটি শক্তিশালী অবস্থান বজায় রাখা উচিত ছিল, কেন উচিত হবে না? একবার যদি আমরা আমাদের দেশে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে সক্ষম হই এবং তারা (ভারত) আসতে ইচ্ছুক না হয়, তাদের উচিত আমাদেরকে উচ্চ হারে রাজস্বের ভাগ দেওয়া। এটাই ভালো সিদ্ধান্ত। আইসিসির বর্তমান রাজস্ব কাঠামো অনুসারে ৩৭ শতাংশেরও বেশি রাজস্ব পায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। অন্যদিকে পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৫ শতাংশের কিছু বেশি। মূলত, এ ব্যবধান কমানোর দাবিই করেছে পিসিবি। তবে পিসিবির দ্বিতীয় শর্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন শোয়েব। তিনি মনে করেন, বন্ধুত্ব বাড়াতে অবশ্যই পাকিস্তানের উচিত হবে ভারতে খেলতে যাওয়া। তবে জবাব হতে অন্য কৌশলে। ভারতকে তাদের মাটিতে গিয়ে হারিয়ে আসতে হবে পাকিস্তানের। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎতে ভারতে খেলার ক্ষেত্রে আমাদের বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে সেখানে যাওয়া উচিত। বরাবরই আমার বিশ্বাস, ভারতে গিয়ে তাদের পরাজিত কর। ভারতে খেলুন ও তাদের ঘরের মাটিতে পরাজিত করুন। আরটিভি/এসআর/এস  
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তৃতীয় ম্যাচেও আইরিশদের পরাস্ত করে হোয়াইটওয়াশ করতে চায় টাইগ্রেসরা। সোমবার (২ ডিসেম্বর) মিরপুরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। আগের দুই ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। আর সম্মান বাঁচানোর ম্যাচে দুটি পরিবর্তন এনেছে আইরিশরা। বাংলাদেশ একাদশ: ফারজানা হক, মুর্শিদা খাতুন, নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, শারমিন আক্তার, ফাহিমা খাতুন, সোবহানা মোস্তারি, স্বর্ণা আক্তার, রাবেয়া খান, সুলতানা খাতুন ও মারুফা আক্তার। আয়ারল্যান্ড একাদশ: সারাহ ফোর্বস, গ্যাবি লুইস (অধিনায়ক), অ্যামি হান্টার, ওরালা প্রেন্ডারগাস্ট, আলানা ডালজেল, লেয়া পল, উনা রেমন্ড-হোই, আর্লেন কেলি, কারা মুরি, ফ্রেয়া সার্জেন্ট ও অ্যামি ম্যাগুয়ার। আরটিভি/এসআর/এস
নিয়মিত উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ
জ্যামাইকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে নিয়মত উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে টাইগাররা। শতক রান না পেরোতেই ৬ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। রোববার (১ ডিসেম্বর) লিটন দাসের পর বিদায় নিয়েছেন নিয়েছেন জাকের আলীও।  প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, ৪৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯৮ রান। ফিফটি হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে ফিরেছেন সাদমান ইসলাম। ব্যক্তিগত ২ রানে মেহেদী হাসান মিরাজ সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসেছেন তাজুল ইসলাম। কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার সাদমান ইসলাম এবং শাহাদাত দীপু এদিনও ছিলেন সাবধানী। শুরু থেকে খুব একটা রান বাড়ানোর দিকে মন দিতে দেখা যায়নি তাদের। ক্রিজে সেট হয়েও অতি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতেই পেরিয়েছে সময়। ৮ ওভারে উঠেছিল ১৪ রান। এরপরেই আসে প্রথম আঘাত। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতেই খেলতে চেয়েছিলেন ৮৮ বল খেলে ২২ রান করা দীপু। কিন্তু শামার জোসেফের ডেলিভারি ভেঙেছে তার স্ট্যাম্প।  এরপরেই ক্রিজে আসা যাওয়ার মিছিলে নাম লেখালেন লিটন কুমার দাস এবং জাকের আলী অনিক। একজন টিকলেন ৬ বল আর অন্যজন টিকেছেন ১০ বল। দীপু ফেরার পরের ওভারেই লিটনকে প্যাভিলিয়নের পথে ফেরত পাঠান জেইডন সেইলস। শুরু থেকেই অস্বস্তিতে থাকা লিটন ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে। দুই ওভার পর ফের সেইলসের আঘাত।  বাড়তি বাউন্সের বলটা জাকের চেয়েছিলেন পুল করতে। ব্যাটে-বলে হয়নি। কানায় লেগে বল আঘাত করে জাকেরের কাঁধে। সেটাই পরে চলে যায় উইকেটরক্ষক জশুয়া ডি সিলভার গ্লাভসে। ১০ বলে তার রান মোটে ১।  দ্বিতীয় দিনের এই উইকেট হারানোর মিছিলে বাংলাদেশের একমাত্র স্বস্তি ছিল সাদমান ইসলামের ফিফটি। অন্যদের এই মিছিলে অবশ্য শামিল হয়েছেন তিনি নিজেও। শামার জোসেফের বলেই ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। বাইরের দিকে বেরিয়ে যাওয়া বলে সলিড ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ক্যাচ চলে যায় জশুয়া ডি সিলভার হাতে। আরটিভি/এসএপি  
এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের
আফগানিস্তানকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে শুভসূচনা করেছিল বাংলাদেশ দল। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে জুনিয়র টাইগাররা। রোববার (১ ডিসেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ১৪২ রানের সহজ লক্ষ্য দিয়েছিল নেপাল। জবাব দিতে নেমে ১২৮ বল এবং ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেলেন ওপেনার কালাম সিদ্দিকী। তবে তৃতীয় উইকেটে আজিজুল হাকিম তামিমকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন এই টাইগার ওপেনার। এরপর আর পিচে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ৬৫ বলে ৫৯ রান করে আউট হন আবরার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শিহাব জেমসও। পরের বলেই ডাক আউট হন তিনি। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। ১৩ রান করে ফরিদ আউট হলেও ৭০ বলে ফিফটি তুলে নেন টাইগার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত দেবাশীষ দেবার ২ বলে ৫ রান এবং আজিজুল হাকিম তামিমের অপরাজিত ৫২ রানে ভর করে ১২৮ বল এবং ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নেপালের। ১০০ রানের আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। মায়ান যাদব (৪), অর্জুন কুমাল (০). নারেন ভাট্ট (৪), সান্তোষ যাদব ৭ রানে আউট হন। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন আকাশ থ্রিপাঠী। কিন্তু ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার ব্যাটার। এরপর উত্তম মাগারকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অভিষেক তিওয়ারি। দুজনেই সমান ২৯ রান করে আউট হন। এতে ৪৫ ওভার ৪ বলে ১৪১ রানে অলআউট হয় নেপাল। বাংলাদেশের হয়ে আল ফাহাদ, ইকবাল হোসেন এবং রিজান হোসেন দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও সাদ ইসলাম, রাফি এবং আজিজুল হাকিম নেন একটি করে উইকেট। আরটিভি/এসআর-টি  
ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলবেন তামিম
ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ বিসিএল এ নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ১৫ হাজার ডলারে বিগ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) এ নাম লিখিয়েছেন তিনি। তাকে ড্রাফট থেকে দলে নিয়েছে এমপি টাইগার্স।  শনিবার (৩০ নভেম্বর) এই টুর্নামেন্টের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মার্কি ক্রিকেটার হিসেবে দল পেয়েছেন ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার ইরফান পাঠান, সুরেশ রায়না ও শেখর ধাওয়ান এবং শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার তিলেকারত্নে দিলশান।  এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা ব্যাটার হার্শেল গিবস, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটার লেন্ডল সিমন্স, ভারতের কেদার জাদব ও নামান ওঝারাও খেলার কথা রয়েছে। বিগ ক্রিকেট লিগ তাদের সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তামিমের দল পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এমপি টাইগার্স দলে তামিমের সতীর্থ হিসেবে আছেন– দিলশান মুনাবিরা, নামান ওঝা, স্টুয়ার্ট বিন্নি, পবন নেগি, অমিত মিশ্র ও জতিন সাক্সেনা। এর মধ্যে জতিন পাঁচ লাখ রুপিতে দল পেয়েছেন। সাধারণত অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের নিয়ে লিজেন্ডস ক্রিকেট লিগের মতোই আয়োজন করা হয় এই বিগ ক্রিকেট লিগ। ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক দিলিপ ভেঙ্গসরকার লিগটির কমিশনার এবং উইন্ডিজ কিংবদন্তি ও বাংলাদেশের সাবেক পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ আছেন সহসভাপতি হিসেবে। ছয় দলের অংশগ্রহণে হবে বিগ ক্রিকেট লিগ। যেখানে প্রতিটি দল ১৮ সদস্য নিয়ে স্কোয়াড গঠন করতে হবে। লিগ পর্বে ১৫টি ম্যাচ, দুটি প্লে-অফ এবং ফাইনাল দিয়ে এর ফরম্যাট সাজানো হয়েছে। তবে টুর্নামেন্টটির সময়সীমা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে আছেন তামিম ইকবাল। গত বিপিএলের পর তাকে আর ২২ গজে দেখা যায়নি। মাঝে অবশ্য ইনজুরিতেও ছিলেন দেশসেরা এই ওপেনার। এরপর জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন থাকলেও, নাটকীয়তার আড়ালে পড়ে গেছে সেটি।  এবার প্রথমবার দেশে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বিসিবি। ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই লিগ দিয়ে তামিমের মাঠে ফেরার কথা রয়েছে। আরটিভি/এসআর-টি
শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে মাসকাট তৈরি, মুগ্ধকে নিয়েও বিশেষ পরিকল্পনা বিসিবির
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন অসংখ্য শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে আলোচিত দুটি নাম আবু সাঈদ ও মুগ্ধ। তাই আসন্ন বিপিএলকে কেন্দ্র করে এই দুই শহীদকে বিশেষভাবে স্মরণ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশে যে ছয়জন নিহত হয়েছেন, তাদেরই অন্যতম হচ্ছেন আবু সাঈদ। যার মূল কারণ ঘটনার সময় ধারণ করা কিছু ভিডিও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওইসব ভিডিওতে দেখা যায় যে, পুলিশের তাক করা অস্ত্রের বিপরীতে সাঈদ পাখির ডানার মতো হাত দুটি উঁচিয়ে বুক পেতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আর পুলিশের অবস্থান ছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে। সাঈদ দাঁড়িয়ে ছিলেন ফটক থেকে সামান্য দূরে রাস্তার মাঝখানে। এমন সময় পুলিশের সদস্যরা হঠাৎ রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করেন। তখন সাঈদের হাতে একটি লাঠি ছিল, যা দিয়ে তিনি গুলি ঠেকানোর চেষ্টা করেন। এ ঘটনার পর বেশ কয়েক পা পিছিয়ে তিনি সড়কের বিভাজক পার হন এবং হঠাৎ মাটিতে বসে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে সাঈদের মৃত্যু হয় এবং তার শরীরে রাবার বুলেটের একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদের এই সাহস দেখানোর পরই আন্দোলনের মোড় ঘুরে যায়। তাই বিপিএলের মাসকাট তৈরি করা হয়েছে আবু সাঈদকে স্মরণ করে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ডানা ৩৬। পাখির ডানার মতো হাত দুটি উচিয়ে বুক পেতে দাঁড়িয়ে থাকার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই মাসকাটে। এ ছাড়াও স্টেডিয়ামে লঞ্চ করা হবে ‘শহীদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ড।’ রোববার ( ১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিপিএলের এবারের আসরকে কেন্দ্র করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উন্মোচন করা হয় বিপিএল ২০২৫-এর মাসকাট। সেখানেই এই ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার দুই দিন পর গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মুগ্ধ। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই বিক্ষোভকারীদের হাতে সেদিন পানির বোতল তুলে দিচ্ছিলেন মীর মাহফুজুর রহমান (মুগ্ধ)।  টিয়ার গ্যাসে জ্বলতে থাকা চোখ মুছতে মুছতেই পানি নিয়ে ছুটে যাচ্ছিলেন সবার কাছে। কিন্তু এর মাত্র ১৫ মিনিটের মাথায়, ঢাকায় দুপুরের উত্তাপে বিশ্রাম নেওয়ার সময় একটি বুলেট তার কপালে এসে বিঁধে; শহীদ হন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মুগ্ধ। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মুগ্ধর বলা শেষ বাক্যটি ‘পানি লাগবে পানি’। আর মুগ্ধর এই আত্মত্যাগকে স্মরণ করে রাখতে চায় বিসিবিও। তাই বিপিএলে দর্শকদের জন্য ফ্রি পানির ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে বিসিবি। এর আগে দর্শক বাড়তি টাকা দিয়ে পানি কিনতে হতো। এ ছাড়াও দর্শকদের মাঠমুখি করার জন্য রাখা হয়েছে নানা আয়োজন। যেমন, ফ্যান এনগেজমেন্ট-সোশ্যাল কনটেস্ট, স্পেশাল ফ্যান জোন অ্যাকটিভিশন, ইন ভেন্যু ফ্যান এনগেজমেন্ট-গেমস অ্যান্ড গিভ-অ্যাওয়ে (গিফট), ম্যাচ চলাকালীন ফ্যান এনগেজমেন্ট, গেমস অ্যান্ড গিভওয়ে (গিফট), ডিজিটাল ওয়াচপার্টিস এবং কমেন্ট্রি।  উল্লেখ্য, বিপিএলের ১১তম আসরে তিনটি নতুনসহ ৭টি দল অংশগ্রহণ করবে। প্রায় দেড় মাসব্যাপী এই টুর্নামেন্ট শেষ হবে আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। আরটিভি/এসআর/এআর