• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আইপিএলের এক ম্যাচে যত রেকর্ড
বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ দেখা যাবে যেভাবে
ঘরের মাঠে ভারত জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ২৮ এপ্রিল সিলেটে এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে। এদিকে প্রতিবারই মেয়েদের সিরিজের সম্প্রচার নিয়ে তৈরি হয় নানান জটিলতা। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সিরিজও ইউটিউবে দেখানো হয়েছে। তবে এবার আর তেমনটি হচ্ছে না। দুই দলের মধ্যকার এই সিরিজটি টি-স্পোর্টসে সরাসরি দেখা যাবে।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ৩০ এপ্রিল। অন্যদিকে ২ মে ও ৬ মে হবে তৃতীয় ও চতুর্থ টি-টোয়েন্টি। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ মাঠে গড়াবে আগামী ৯ মে। সিরিজের প্রথম দুটি ও শেষ ম্যাচটি দিবারাত্রির হলেও তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচ দুটি বেলা ২টায় শুরু হবে। উল্লেখ্য, গত বছর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল ভারত নারী দল। সেবার নানান বিতর্কিত কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। আম্পায়ারিং নিয়েও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এমন কাণ্ডে আইসিসি থেকে শাস্তিও পেয়েছিলেন হারমনপ্রীত। বাংলাদেশ স্কোয়াড : নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, মারুফা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, সোবহানা মুস্তারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, সুলতানা আক্তার, রাবেয়া খান, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, শরিফা খাতুন, দিলারা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, রুবায়া হায়দার ঝিলিক, হাবিবা ইসলাম পিংকি।
ক্রিকেটে ইতিহাস লিখল গণ-অর্থায়নে খেলতে আসা ভানুয়াতু
শুভর সেঞ্চুরিতে রূপগঞ্জ টাইগার্সের সহজ জয়
ইডেনে রান উৎসব, রেকর্ডে ঠাসা ম্যাচে পাঞ্জাবের বিশ্বরেকর্ড
পাঞ্জাবকে রান বন্যায় ভাসালো কলকাতা
আইপিএল-২০২৪ / টস হেরে ব্যাটিংয়ে কলকাতা
চলতি আসরে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সাত ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই জয় পেয়েছে শাহরুখ খানের দল। এতে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা। নিজেদের অষ্টম ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাঠে নামছে রাসেল-নারিনরা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) কলকাতার ঘরের মাঠে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঞ্জাব। কলকাতা একাদশ: ফিল সল্ট, সুনীল নারিন, অঙ্গকৃশ রঘুবংশী, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রেয়াস আইয়ার, আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিং, রামনদীপ সিং, দাশুমানথা চামিরা, হর্ষিত রানা, ও বরুণ চক্রবর্তী পাঞ্জাব একাদশ: জনি বেয়ারস্টো, রাইলি রুসো, স্যাম কুরান, জিতেশ শর্মা, শশাঙ্ক সিং, আশুতোষ শর্মা, হরপ্রীত ব্রার, হর্শল প্যাটেল, কাগিসো রাবাদা, অর্শদীপ সিং ও রাহুল চাহার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছা দূত হলেন যুবরাজ সিং
আর মাত্র ৩৬ দিন পর মাঠে গড়বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। প্রথমবার ২০ দল নিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্ট। কয়েকদিন আগে বিশ্বকাপের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ক্রিস গেইল ও উসাইন বোল্টের নাম ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।  এবার তাদের তৃতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের নাম ঘোষণা করেছে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আইসিসি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে (২০০৭ সাল) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ওভারে ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন যুবরাজ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম কোনো ক্রিকেটার হিসেবে এমন কীর্তি গড়েন তিনি। যুবরাজের সেই দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কথা স্মরণ করেই তাকে দূত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে আইসিসি। ফলে বিশ্বকাপ চলাকালীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে অংশ নেবেন যুবরাজ। ৯ জুন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচেও তাকে দেখা যেতে যেকোনো ভূমিকায়। আইসিসির শুভেচ্ছা দূত হয়ে যুবরাজ বলেন, এক ওভারে ছয়টি ছক্কা মারাসহ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা থেকে আমার কিছু প্রিয় ক্রিকেটীয় স্মৃতি রয়েছে। তাই এই সংস্করণের অংশ হওয়া খুবই উত্তেজনাকর, যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আসর হতে চলেছে। এ বিষয়ে আইসিসির মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ক্লেয়ার ফারলং বলেন, আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে যুবরাজকে পাওয়া গর্বের বিষয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম কোনো ক্রিকেটার হিসেবে ছয়টি ছক্কা (এক ওভারে) হাঁকিয়ে আসরের ইতিহাসে দারুণ একটি মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন।  ‘প্রথম শুভেচ্ছা দূত হিসাবে ক্রিস গেইল এবং উসাইন বোল্টের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। যারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসের সবচেয়ে আসরটির উন্মাদনা আরও বাড়িয়ে তুলবেন।
‘পাকিস্তানকে এখনই জয়ের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে’ 
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও পরের তিন ম্যাচের দুটিতেই জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। এতে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে বাবররা। সিরিজ রক্ষা করতে হলে শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তানের সামনে।  বিশ্বকাপের আগে বাবর আজমদের এমন নাজুক অবস্থার জন্য তথাকথিত পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে দুষছেন সাবেক ক্রিকেটার ও পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা। বাবর-রিজওয়ানদের কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি। নিজের ইউটিউব চ্যালেনে রমিজ রাজা বলেন, এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তথাকথিত পরীক্ষা। একই খেলোয়াড়দের দলে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাদের পজিশন পরিবর্তন করা হয়েছে। কাউকে বেঞ্চে রাখা হয়েছে, আবার অন্যদের খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ম্যাচ জয়ের প্রতি মনোযোগ দিতে বাবরেদের পরামর্শ দিয়েছেন রমিজ। তিনি বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, পাকিস্তান দলকে এখনই জয়ের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। তারা বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করছে, এমন অজুহাত দেওয়া যাবে না।  ‘তারা কিছু খেলোয়াড়ের দক্ষতা মূল্যায়ন করার চেষ্টা করছে। যে কারণে তারা তাদের নিম্নমানের পারফরম্যান্সকে ন্যায্যতা দিচ্ছে। যদি আমরা ম্যাচ হেরে যাই, দয়া করে আমাদের সহ্য করুন।’ গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতের ম্যাচে মাত্র ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৮ রান। সেখান থেকে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি অবসর ভেঙে দলে ফেরা ইমাদ ওয়াসিম। নিউজিল্যান্ডের ১৭৮ রানের জবাবে পাকিস্তান থেমেছে ১৭৪ রানে।
মোস্তাফিজের নতুন নাম দিলো চেন্নাই
চলমান আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে শুরুটা ভালো হলেও সবশেষ কয়েক ম্যাচে ভালো করতে পারেনি মোস্তাফিজুর রহমান। তবে ৭ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে এখনও পার্পল ক্যাপ জয়ের দৌড়ে আছেন এই টাইগার পেসার।  তাই ফিজের উপর ভরসা রাখছে চেন্নাই। যার প্রমাণ মিলেছে মোস্তাফিজকে নিয়ে চেন্নাইয়ের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে। সেখানে ক্যাপশনে কাটার মাস্টারের নতুন নাম দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। সেখানে মোস্তাফিজকে ‘বাংলা লায়ন’ বা বাংলার সিংহ বলে আখ্যায়িত করেছে চেন্নাই। এবারের আইপিএলে চেন্নাইয়ে মোস্তাফিজের সুযোগ পাওয়াটাই ছিল এক চমকপ্রদ ঘটনা। কয়েক বছর ধরে অফ ফর্মে থাকা এই পেস বোলার আইপিএল নিলামে জায়গা করে নিলেও তাকে কেউ কিনবে কি না এই নিয়ে সন্দিহান ছিল সবাই। তবে সবাইকে অবাক করে ঠিকই চেন্নাই দলে জায়গা করে নেন তিনি। চেন্নাই দলে জায়গা পাওয়ার পরেও কয় ম্যাচ খেলতে পারবেন তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দেয়। তবে চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্ট ফিজের ওপর ভরসা রেখে ঠিকই তাকে প্রথম ম্যাচ থেকেই তাকে খেলিয়ে যাচ্ছে। টিম ম্যানেজমেন্টের সেই ভরসার প্রতিদানও ঠিকই দিয়েছেন টাইগারদের এই কাটার মাস্টার। প্রথম ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে পান ম্যাচ সেরার পুরস্কারও। এরপর থেকে খেলা প্রতিটি ম্যাচেই উইকেট পেয়েছেন তিনি। তার এই দুর্দান্ত ফর্ম মোস্তাফিজকে করে তোলে চেন্নাই সমর্থকদের কাছে জনপ্রিয়ও। চেন্নাই সমর্থকদের বাংলাদেশের এই কাটার মাস্টার সম্পর্কে আরও জানাতে এবার চেন্নাই তাদের স্যোশাল মিডিয়া পেজে তাকে নিয়ে এই আলাদা আয়োজন করে। ফেসবুকে মোস্তাফিজ সম্পর্কিত এই ভিডিওতে মোস্তাফিজ নিজের মুখেই অনেক কথা বলেছেন, জানিয়েছেন অনেক অজানা তথ্যও। ভিডিওটি প্রকাশের এক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রায় দুই লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে প্রথম আইপিএল খেলা শুরু করে মোস্তাফিজ। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলে ১৬ উইকেট নিয়ে হায়দ্রাবাদের সমর্থকদের মনও জয় করে নিয়েছিল এই টাইগার পেসার। বর্তমানে মোস্তাফিজের যে ডাক নাম ‘দ্য ফিজ’ সেটিও আসে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কাছ থেকে। আইপিএলের গত দুই আসরে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছিলেন ফিজ। ২০২২ সালের আসরে ৮ ম্যাচে ৮ উইকেট এবং ২০২৩ সালের আসরে মাত্র দুই ম্যাচ খেলে একটি উইকেট পান তিনি। ২০২৪ সালের নিলামের জন্য ফিজকে ছেড়ে দিয়েছিল দিল্লি।
বোল্টকে নিমেষেই পরাজিত করবেন গেইল!
মাত্র ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার শেষ করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন জ্যামাইকার লাইটিং বোল্ট। আর বলা হয় বল ছাড়া ১০.১ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাই তো নিজের সেরা সময়ে এমবাপ্পের বিরুদ্ধে দৌড়াতে না পারার আক্ষেপ প্রকাশ করেন অলিম্পিকে আটটি সোনাজয়ী এ অ্যাথলিটের। এদিকে ঘোষণা দিয়ে বিশ্বের ইতিহাসের দ্রুততম মানবের সঙ্গে দৌড়ানোর প্রতিযোগিতায় নামতে চান ক্রিস গেইল। এমনকি তিনি এটাও দাবি করেছেন, তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে নাকি ভয় পাচ্ছেন বোল্ট। আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত গেইল এবং বোল্ট। গত বুধবার বোল্টকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সেখানে বোল্টের সঙ্গে দৌড়ানোর কথা জানিয়েছেন গেইল। গেইল বলেন, উসাইন বোল্ট আমাকে একটা দাতব্য ম্যাচে আউট করেছিল। আমিই তাকে ম্যাচে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সে ভালো একটা বাউন্সার করেছিল। বেশ ভালো একটা বাউন্সার, মিথ্যা বলব না—আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম। এরপর মনে হলো, এটা তো সিরিয়াস ম্যাচ নয়, আমি কী করছি! ফলে তাকে মারতে শুরু করলাম। একটা বা দুটা ছয়ও মেরেছিলাম, সঙ্গে কয়েকটি চার। শেষ পর্যন্ত ইনসাইড-এজে বোল্ড।’ গেইলের জবাবে বোল্ট বলেন, ইউটিউবে আছে এটা। অস্বীকার তো করতে পারবে না সে। এরপর গেইল বলেন, আমি তো তা-ই বললাম, তুমি আউট করেছ আমাকে। আমি এবার ট্র্যাকে (তোমার সঙ্গে) দৌড়াতে চাই। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাকে ১০০ মিটারের ট্র্যাকে সে দেখতে চায় না। এখনো আমাকে ভয় পায়। সহজেই তাকে (হারাতে পারব)। শুনুন, উসাইন শুধু অনেকটুকু ধুলা দেখবে। ইউনিভার্স বস একনিমেষে উড়ে যাবে! এমন দাবি শুনে অট্টহাসিতে বোল্ট বলেন, আমরা সবাই জানি, গেইল দৌড়াতে পারে না। সে দ্রুত সিঙ্গেল বা এমন রান নেয় না। আমরা তাকে নিয়ে চিন্তিত নই।’ এ সময় দৌড়ে রান না নেওয়ার বিষয়টিকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করে গেইল বলেন, এটা অনেক বড় মিথ্যা। আমি এক রান নিয়েছি, দুই, তিন-যেটিই বলুন না কেন। এমনকি মাঝে মাঝে দৌড়ে চার রানও নিয়েছি। এ সুযোগে বোল্টকে আবারও চ্যালেঞ্জ জানা গেইল, ‘উসাইন (বোল্ট), স্পাইক (দৌড়ানোর বিশেষ জুতা) প্রস্তুত করো। অন্য কোনো অ্যাথলেটকেও ডাকতে পারো। ইয়োহান (ব্লেক), আসাফা (পাওয়েল), যে কাউকে তো এগিয়ে আসতে হবে। আমি তো (যাব) না।’
বিতর্কিত ক্যাচ নিয়ে মুশফিকের নীরব প্রতিবাদ
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রাইম ব্যাংকের উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের আউট নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গতদিনের সেই ঘটনায় আজ (২৬ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচে বিতর্কিত এই ঘটনা ঘটে। ৩১৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের ৩৪তম ওভারে অফস্পিনার নাঈমের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তোলেন উইকেটকিপার এই ব্যাট। বাঁ-দিকে দুর্দান্ত ডাইভে বল তালুবন্দি করেন আবু হায়দার রনি। তবে ক্যাচ নেওয়ার সময়ে রনির পা বাউন্ডারি লাইন (দড়ি) ছুঁয়েছে কি না, তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। এ নিয়ে বিসিবির সম্প্রচারিত ইউটিউব চ্যানেলের ফুটেজেও যথেষ্ট সংশয় ছিল। এ ঘটনায় ১০ মিনিটের মতো ম্যাচও বন্ধ ছিল। এ সময়ে ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেন প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে নানান নাটকীয়তা শেষে মুশফিককে আউট দেওয়া হয়। ছক্কা নাকি আউট—এ বিতর্কের রেশ ছিল ম্যাচের পরও। ৩৩ রানে হারের পর রীতি অনুযায়ী হাত মেলাননি প্রাইম ব্যাংকের কোনো খেলোয়াড়। দুই আম্পায়ার মনিরুজ্জামান ও সাথিরা জাকিরের সঙ্গে কথা বলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন দলপতি তামিম। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ম্যাচসেরা রনি তালুকদারের ভাষ্য, ‘আমরা তো মাঠেই ছিলাম। বাকিটা প্রাইম ব্যাংকের ব্যাপার।’  ক্যাচ নিয়ে এই ওপেনারের মন্তব্য, ‘সেটা তো রনিই (আবু হায়দার) ভালো জানে। কারণ, রনিই ক্যাচটা ধরেছে। রনির ওপরেই পুরোটা নির্ভর করবে। ও যেই সিদ্ধান্তটা দেবে সেটার ওপরই। কারণ, এখানে তো ওভাবে ক্যামেরা ছিল না। থার্ড আম্পায়ার যদি থাকত, তাহলে সেটা ভালোভাবে দেখতে পারত। এখন এটা খেলোয়াড়দের ওপরই যায়।’ এবার শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ফেসবুকে নিজের অফিশিয়াল পেজ থেকে ওই ক্যাচের একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন মুশফিক। লাল বৃত্তে রনির পায়ের কাছে চিহ্নিত করে লেখেন, ‘মাশা আল্লাহ।’ এর সঙ্গে ‘স্যালুট’ দেওয়ার তিনটি ইমোজিও জুড়ে দেন মুশি।  মুশফিকের ওই পোস্টে মন্তব্য করেন প্রাইম ব্যাংকের পেসার রুবেল হোসেন। তিনি লেখেন, ‘খুবই দুঃখজনক (ভাই)।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তার অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। মাত্র ১৫ বছর বয়সে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন বিসমাহ। ২৭৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন তিনি। ২০১৬ সালে দলটির টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দায়িত্ব নেন তিনি। পরের বছরই তাকে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬২৬ রানের পাশাপাশি ৮০টি উইকেট শিকার করেছেন ৩২ বছর বয়সী সাবেক এই অধিনায়ক। ক্যারিয়ারে কোনো শতক না পেলেও ৩৩টি ফিফটি করেছেন তিনি।  অবসর নিয়ে বিসমাহর ভাষ্য, ‘যে খেলাটা আমি সবচেয়ে ভালোবাসি, সেখান থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চ্যালেঞ্জ, জয় ও ভুলে যাওয়ার মতো নয়—এমন সব স্মৃতি মিলিয়ে অসাধারণ এক অভিযাত্রা ছিল। আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে পরিবারের সমর্থন ছিল, সে জন্য পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’ ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিজের অবসর বার্তায় পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের মন্তব্য, ‘ক্যারিয়ারজুড়ে যেকোনো জায়গায়, যেকোনোভাবে আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাওয়ার ভক্তদের কাছে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আর সবার শেষে আমি ধন্যবাদ জানাই সতীর্থদের। তারা আমার কাছে পরিবারের মতো। মাঠ ও মাঠের বাইরে যে সম্পর্ক আমরা তৈরি করেছি, সেটা সবসময়ই মনে থাকবে।’