• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
দোয়া চেয়ে আইপিএল মাতাতে গেলেন মোস্তাফিজ
অবসর ভেঙে বাংলাদেশের বিপক্ষে লঙ্কান স্কোয়াডে হাসারাঙ্গা 
অনেক নাটকীয়তা করে সিরিজ শুরুর শেষ মুহূর্তে ওয়ানডে দল ঘোষণা করলেও, এবার বেশ আগেভাগেই বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের টেস্ট দল ঘোষণা করল লঙ্কানরা। আগের রাতে ওয়ানডে সিরিজ হারের তাজা ক্ষত নিয়েই সিলেট ও চট্টগ্রাম টেস্টের জন্য ১৭ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে সফরকারীরা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। ১৭ সদস্যের এই দলের নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে। দলের শক্তি বাড়াতে চমক দেখিয়ে দলে ফেরানো হয়েছে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে। গত বছরের আগস্টে টেস্ট থেকে আচমকা অবসর ঘোষণা দিয়ে চার ম্যাচের মিনি ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছিলেন এই লেগ স্পিন অলরাউন্ডার।সবশেষ টেস্টটি খেলেছিলেন ২০২১ সালের এপ্রিলে পাল্লেকেলেতে, বাংলাদেশের বিপক্ষে। এবার একই দলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই সাদা পোশাকের ক্যারিয়ার পুনর্জীবিত করতে যাচ্ছেন ২৬ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের বিপক্ষে লঙ্কান দলে ফিরেছেন আরেক পেসার লাহিরু কুমারা। গত বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে সবশেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন এই পেসার। বাংলাদেশের বিপক্ষে অবশ্য তিনটি ওয়ানডেতে খেলেন তিনি। দলে নতুন ডাক পেয়েছেন নিশান পেইরিস। অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা এই অফ স্পিনার এখন পর্যন্ত ৩৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন; নামের পাশে রয়েছে ১৫৩ উইকেট। ইনিংসে ১০ বার নিয়েছেন পাঁচটি করে উইকেটে। চারটি করে নিয়েছেন ৭ বার। ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছেন একবার। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে বড় এক চমক হিসেবেই আবির্ভূত হতে পারেন এই লঙ্কান তরুণ।  শক্তিশালী লঙ্কান স্কোয়াডে আরও আছেন দিমুথ করুনারত্নে, নিশান মাদুশকা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দিনেশ চান্দিমালের মতো অভিজ্ঞরা।  বাংলাদেশ সফরে সিলেটে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। আবার চট্টগ্রামে একই ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এবার টেস্ট সিরিজ শুরুর জন্য আবার সিলেট ফিরছে লঙ্কানরা। আগামী শুক্রবার (২২ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের আবার চট্টগ্রামে পাচ্ছে টাইগাররা। ম্যাচটি শুরু হবে ৩০ মার্চ থেকে। শ্রীলঙ্কা টেস্ট দল: ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), কুসাল মেন্ডিস (সহ-অধিনায়ক), দিমুথ কারুনারাত্নে, নিশান মাদুশকা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দিনেশ চান্দিমাল, সাদিরা সামারাউইক্রামা, কামিন্দু মেন্ডিস, লাহিরু উদারা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, প্রাবাথ জায়াসুরিয়া, রমেশ মেন্ডিস, নিশান পেইরিস, কাসুন রাজিথা, ভিশ্ব ফার্নান্দো, লাহিরু কুমারা, চামিকা গুনাসেকারা।
মুলতানকে কাঁদিয়ে ইসলামাবাদের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়
লঙ্কানদের ‘টাইমড আউট’ উদযাপনের দাঁতভাঙা জবাব মুশফিকের
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের কিট স্পনসর ‘কোকা কোলা’
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ফখরুলের অভিনন্দন
হাসপাতালে ভর্তি জাকের, সবশেষ অবস্থা জানালো চিকিৎসকরা
লঙ্কানদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডের আগের লিটনের পরিবর্তে দলে ডাক পেয়েছিলেন জাকের আলী অনিক। একাদশে সুযোগ না পেলেও সৌম্যর বদলি হিসেবে ফিল্ডিং করতে নেমেছিলেন তিনি। তবে বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ওভারে ফিল্ডিংয়ের সময় এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ক্যাচ নিতে গিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে তার। পরে তাকে স্ট্রেচারে করে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয় জাকেরকে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া হয় হাসপাতালে। চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে তার চিকিৎসা শেষে জাকেরের সবশেষ অবস্থা জানিয়েছেন ডাক্তাররা। নিউরো সার্জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মঈনউদ্দিন এম ইলিয়াস গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ভিশনটা দেখেছি। ইমার্জেন্সি রেসপন্স দল দেখেছে। আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি এটা ঘাড়ের চোট। যে কন্ডিশন আছে রোগী স্থিতিশীল আছে এখন। আমরা উনাকে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ রাখতে চাই যেহেতু প্রচুর ব্যথা আছে। এরপর ২৪ ঘণ্টা পর আপডেট জানাব। এখানেই ভর্তি রাখব। এ ছাড়াও অর্থপেডিক সার্জন আবু মোহাম্মদ সায়েম বলেন, উনার চোট মূলত ঘাড়ে। ব্রেনে কোনো চোট পাওয়া যায়নি। নেক মোবিলাইজ করে দিয়েছি। আশা করি ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যথা কমে যাবে। ইতোমধ্যে ব্যথা কমেছে। উনি কথা বলেছেন, ওষুধও খেয়েছেন। ভয় করার কোনো কারণ নাই। জাকের ছাড়াও এদিন ইনজুরির কবলে পড়েছেন সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজুর রহমানও। সৌম্য আঘাত পেয়েছেন ফিল্ডিং করতে গিয়ে। সৌম্যর বদলি হিসেবে ফিল্ডিং করতে নেমেছিলেন জাকের আলী।  ইনিংসের শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদের করা শেষ ওভারে বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন প্রমোদ মাদুশান। ক্যাচ উঠেছিল শর্ট বলে ক্যাচ তুলেছিলেন প্রমোদ। সেটি নেওয়ার পথে সংঘর্ষ হয় এনামুল ও বদলি ফিল্ডার জাকেরের। এনামুল অবশ্য ক্যাচ হাতছাড়া করেননি।
চমক রেখে সিলেট টেস্টের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ওয়ানডে সিরিজ ঘরে তুলেছে বাংলাদেশ। এবার লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মাঠে নামবে টাইগাররা। সিরিজের প্রথম টেস্টকে কেন্দ্র করে চমক রেখে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন নতুন নির্বাচক প্যানেল। সোমবার (১৮ মার্চ) নাজমুল হোসেন শান্তকে অধিনায়ক করে সিলেট টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্কোয়াডে দুই নতুন মুখ পেসার মুশফিক হাসান ও নাহিদ রানা। এ ছাড়া ওয়ানডে সিরিজের মাঝ পথে দল থেকে বাদ পড়া লিটন দাস রয়েছেন এই টেস্ট। ২২ মার্চ সিলেটে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্ট মাঠে গড়াবে ৩০ মার্চ থেকে। এই দুই ম্যাচ আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেল ২০২৩-২৫ এর অংশ। প্রথম টেস্টের স্কোয়াড নিয়ে নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের মনে হয়েছে প্রথম টেস্টের স্কোয়াড বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। আমাদের টেস্ট দলটা অনেকটাই গোছালো, নাহিদ রানা এর সঙ্গে যোগ হয়েছে। লিটন ফিরেছে, শেষ সিরিজে সে ছুটিতে ছিল। প্রতিটি বিভাগেই যথেষ্ট ব্যাক আপ আছে। আমার মনে হয় দলটা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে। দলে নতুন অন্তর্ভুক্ত রানাকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘রানা খুবই রোমাঞ্চকর একজন। সে সম্ভবত এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার, বাউন্সও করাতে পারে ভালো। যদিও এখনও তার জন্য কেবল শুরু, তার প্রথম শ্রেণির রেকর্ড মুগ্ধ করার মতো। আরেকজন পেসার আছে মুশফিক হাসান, এবাদত-তাসকিনদের অনুপস্থিতিতে তাদের পরখ করার এটাই সঠিক সময়।  বাংলাদেশের ১ম টেস্ট স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক) লিটন দাস, জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন দিপু, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুশফিক হাসান ও নাহিদ রানা।
সিরিজ জয়ের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন 
ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে টাইগাররা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে শান্ত-মিরাজরা। এই জয়ের পর বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৮ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দেয় শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে চার উইকেট এবং ৫৮ বল হাতে থাকতে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে শান্ত-মিরাজরা। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। টাইগারদের হারিয়ে ১-১ সিরিজে সমতা আনে লঙ্কানরা। তাই শেষ ম্যাচটি হয়ে যায় অঘোষিত ফাইনাল। অন্যদিকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছে শ্রীলঙ্কা। এবার ওয়ানডে সিরিজ জিতে সেই হারের প্রতিশোধ নিলো শান্ত বাহিনী।
রিশাদ ঝড়ে সিরিজ বাংলাদেশের
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খুইয়েছিল বাংলাদেশ। তবে নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে সিরিজ ঘরে তুলেছে টাইগাররা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে চার উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাক টু ব্যাক ওয়ানডে সিরিজ জিতল টাইগাররা। সোমবার (১৮ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দেয় শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে চার উইকেট এবং ৫৮ বল হাতে থাকতে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে শান্ত-মিরাজরা। জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু করেন এনামুল হক বিজয় এবং সৌম্যর বদলি হিসেবে খেলতে নামা তানজিদ হাসান তামিম। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। তবে ২২ বলে ১২ রান করে এনামুল আউট হলে, ৫ বলে ১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন নাজমুল হাসান শান্ত। তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওপেনার তানজিদ তামিম। ৩৬ বলে ২২ রান করে হৃদয় আউট হলেও ৫১ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম। হৃদয়ের আউটের পর ৫ বলে ১ রান করে নসাজঘরে ফেরেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অপর প্রান্তে ব্যাট চালাতে থাকেন তামিম। ৮১ বলে ৮৪ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ওপেনার। এরপর মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ৪০ বলে ২৫ রান করে আউট হন মিরাজ। মিরাজের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে এসে তাণ্ডব শুরু করেন রিশাদ হোসেন। হারসাঙ্গার দুই ওভারে ৩৮ রান তোলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ৩৬ বলে ৩৭ রান এবং রিশাদের ১৮ বলে ৪৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে চার উইকেট এবং ৫৮ বল হাতে থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন লাহিরু কুমারা। এ ছাড়াও দুই উইকেট শিকার করেন ওয়েনিন্দু হারসারাঙ্গা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও অভিষ্কা ফার্নান্দো। ৮ বলে ১ রান করে নিশাঙ্কা আউট হলে, ৬ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ফার্নান্দো। তৃতীয় উইকেটে সামারাবিক্রমাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন কুশল মেন্ডিস।
লিয়ানাগের সেঞ্চুরিতে লঙ্কানদের লড়াকু পুঁজি
পেসারদের কল্যাণে শুরুতেই শক্ত ভিত পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর স্পিনারদের ভেলকিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। টপ-অর্ডারের পর মিডল-অর্ডারের ব্যর্থতায় অলআউটের শঙ্কায় পড়েছিল সফরকারীরা। তবে সেখানে থেকে দলকে টেনে তুলেছেন লিয়ানাগে। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে লঙ্কানরা। সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লিয়ানাগের অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে লঙ্কানরা। ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয়বার ওয়ানডে সিরিজ জয়ের জন্য ২৩৬ রানের লক্ষ্য পেয়েছে টাইগাররা। ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ভয়ংকর পাথুম নিসাঙ্কাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তাসকিন আহমেদ। টাইগার স্পিডস্টারের ফুললেংথের ডেলিভারি ডিফেন্ড করতে গিয়ে মিস করেন নিশাঙ্কা। এতে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তিনি। চতুর্থ ওভারে অভিষাকা ফার্নান্দোকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাসকিন। শুরুর দিকে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে লঙ্কানরা। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাউইকরামা। তবে কেউই ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। ১৪ রানে সাদিরা ও ২৯ রানে কুশল ফিরলে ৭৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। পঞ্চম উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন চারিথ আসালঙ্কা ও জানিত লিয়ানাগে। তবে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে থাকা আসালঙ্কাকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ফিজ। এতেই ভেঙে পড়ে লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইন-আপ। তবে সাতে ব্যাট হাতে নেমে টেস্টের নাইটওয়াচম্যানদের কথা আরও একবার স্মরণ করান দুনিথ ওয়েল্লালাগে। মেহেদীর টস-আপ ডেলিভারিতে কাউ কর্নারের ওপর দিয়ে স্লগ-সুইপ করতে চেয়েছিলেন ভাল্লালাগে। তবে তা ঠিকঠাক টাইমিং হয়নি। মিড-উইকেটের সহজ ক্যাচ নেন সৌম্য। এতে ১৮ বলে মাত্র ১ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার। এরপর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে স্পিন ঘূর্ণিতে ফেরান মিরাজই। তবে লিয়ানাগের দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে পুঁজি দুইশ ছাড়ায় ১৫৪ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার। অষ্টম উইকেটে তিকশানার সঙ্গে লিয়ানাগের ৫০ রানের জুটিতে ৪৬তম ওভারে এসে ২০০ ছুঁয়ে ফেলে সফরকারীরা। ১৫ রানে থিকশানা বিদায় নিলেও ঠিকই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেন লিয়ানাগে। তার অপরাজিত ১০১ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান জড়ো করে সফরকারীরা।
লিটনের বাদ পড়া নিয়ে রহস্যময় তথ্য দিলেন হাথুরু
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটির ঘোষিত স্কোয়াডে ছিলেন লিটন দাস। তবে নির্ধারণী ম্যাচের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে জায়গা হয়নি ক্ল্যাসিক এই ওপেনারের। তার বদলে জাকের আলী অনিককে স্কোয়াডে ভেড়ানো হয়। এবার লিটনের বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুলেছেন টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সোমবার (১৮ মার্চ) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ শুরুর আগে হাথুরুসিংহে জানান, সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও বর্তমানে ফর্মে না থাকায় বাদ পড়েছেন লিটন।  লঙ্কান এই মাইন্ডমাস্টারের ভাষ্যমতে, লিটনের অভিজ্ঞতা সবসময়ই মূল্যবান। সে এমন একজন খেলোয়াড় যেকোনো সময় নেমে ম্যাচ জেতানোর মতো ইনিংস খেলতে পারে। তবে সেটা বললেও, কিছু সময় সে ফর্মে নেই। ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সামনে তাকাতে হচ্ছে। এর আগে, জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানান, নতুন বলে খুবই অধারাবাহিক হওয়ার কারণে লিটনকে বাদ দেওয়া হয়েছে।  লিপুর ভাষ্যমতে, সিরিজ চলমান থাকায় পরিবর্তনের খুব বেশি সুযোগ ছিল না। নতুন বলে খুবই অধারাবাহিক হওয়ার কারণে আমরা লিটন দাসকে এই স্কোয়াডের সঙ্গে আর রাখছি না। দলে আগে থেকে এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ হাসান তামিম রয়েছে, যারা ওপেন করতে পারে। আরেকজন ওপেনার আছে সৌম্য সরকার। লিটনকে যখন স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করলাম না, তাই এই জায়গায় আবারও কোনো ওপেনারের প্রয়োজন দেখিনি। তিনি যোগ করেন, এই সিলেকশন প্রক্রিয়ায় আমরা কোচ-অধিনায়কের মতামত নিয়েছি। আমরা দেখেছি লিটনের পরিবর্তে দলে যদি মিডল-অর্ডারে কাউকে সংযোজন করা যায়। সেখানে অনিককে মনে করেছি যথার্থ হবে। সাদা বলে সে টি-২০ খেলেছে, রান করেছে, ডিপিএলেও রান পেয়েছে সে। মিডল-অর্ডারে ওপরের দিকে খেলতে পারে আবার ফিনিশারের ভূমিকাও পালন করতে পারে।
রশিদের ভেলকিতে সমতা ফেরাল আফগানিস্তান
দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে স্বরূপে ফিরতে খুব একটা সময় নিলেন না রশিদ খান। আফগান এই অলরাউন্ডারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ রানে হারিয়ে সমতায় ফিরেছে আফগানিস্তান।  রোববার (১৭ মার্চ) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আইরিশদের বোলিং তোপে ৯ উইকেটে ১৫২ রান জড়ো করে রশিদ খানের দল। জবাবে খেলতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪২ রান সংগ্রহ করে আইরিশরা। এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে আফগানরা। অ্যাডায়ার ও লিটলের দারুণ বোলিংয়ে ১৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রশিদ খানের দল। তবে দলকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন নবি। ওপেনার সেদিকউল্লাহ আটালকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৫৬ বলে ৭৮ রান তুলেন এই অলরাউন্ডার। তবে রান আউটে ৩২ বলে ৩৫ রানে সেদিকউল্লাহর বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। দলীয় ১০০ রানের পর থামেন নবিও। ফেরার আগে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৫৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। শেষ দিকে রশিদ খানের ৩ চার ও ১ ছক্কার ক্যামিওতে ১৫২ রানের পুঁজি দাঁড় করায় আফগানিস্তান। আইরিশদের হয়ে অ্যাডায়ার তিনটি, লিটল ও ব্যারি ম্যাককার্থি দুটি করে উইকেট নেন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় আইরিশদের। ৪ ওভারেই ৪৩ রান জড়ো করে ফেলেন দুই ওপেনার অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও পল স্টার্লিং। তবে এর পরই পথ হারায় দলটি। ১৫ বলে ২৪ রানে থাকা স্টার্লিংকে ফিরিয়ে ৪৯ রানের জুটি ভাঙেন খারোটে।  এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আইরিশরা। টানা দুই বলে লর্কান টাকার ও হ্যারি টেক্টরকে ফেরান রশিদ। বিপজ্জনক কার্টিস ক্যাম্পারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান নবি। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করছিলেন বালবার্নি। তবে শেষ পর্যন্ত হাফ-সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে তিনিও ফিরেছেন। খারোটের বাঁহাতি স্পিনের ফাঁদে পড়ার আগে খেলেন ৪৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। ৯৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই গিয়েছিল আইরিশরা। তবে হাল ছাড়েননি গ্যারেথ ডেল্যানি। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ৫১ রান প্রয়োজন ছিল আয়ারল্যান্ডের। ফজলহক ফারুকির এক ওভারে ৩ ছক্কা ও এক চারে ২২ রান তুলেন ডেল্যানি।  চেষ্টা চালান পরের দুই ওভারেও। তবে একার লড়াইয়ে পেরে উঠেননি তিনি। শেষ ওভারে ১৮ বলে ৩৯ রানে থামে তার ইনিংস। ফলে ১০ রানে পরাজয় দেখে আইরিশরা।