বাংলাদেশি রিশাদ হোসেনের পরিবর্তে আফগানিস্তানের লেগস্পিনার ওয়াকার সালামখেইলকে দলে ভিড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগের দল হোবার্ট হ্যারিকেন্স। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করে সবার নজরে আসেন রিশাদ হোসেন।
টাইগার অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে দল পেয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। তাকে কিনে নিয়েছিল হোবার্ট হ্যারিকেন্স। বিগ ব্যাশে সুযোগ পেলেও খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিলে রিশাদের। এর কারণ, বিগ ব্যাশ চলাকালে দেশের মাটিতে আয়োজিত হবে একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিপিএল।
সাংঘর্ষিক শিডিউলের কারণে দল পেলেও ডানহাতি এই লেগস্পিনারের বিগ ব্যাশে খেলা নিয়ে দোটানায় ছিলেন রিশাদ। শিডিউল সংঘর্ষের কারণে শেষ পর্যন্ত সেরা অপশন হিসেবে বিপিএলকেই বেছে নিয়েছেন রিশাদ। শুরুতে দল না পেলেও ফরচুন বরিশালের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর ফলে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাবান ফ্র্যাঞ্জাইজি বিগ ব্যাশ লিগে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় বর্তমানে গ্লোবাল সুপার লিগে খেলছেন রিশাদ। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধি রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছেন তিনি।
এই টাইগার স্পিনারের জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন দলটির হাই-পারফরম্যান্স জেনারেল ম্যানেজার স্যালিয়্যান বিমস।
এ বিষয়ে স্যালিয়্যান বিমস বলেন, ‘ওয়াকার এক অসাধারণ তরুণ প্রতিভা। তিনি আমাদের বোলিং লাইন-আপে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবেন। একইসাথে তিনি রিশাদের মতোই একজন রিস্ট স্পিনার। যদিও রিশাদকে না পাওয়া হতাশাজনক। তবে আমরা জানি, ওয়াকার প্রথম অংশে আমাদের জয় এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।’
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিগ ব্যাশ লিগে খেলা সাকিব দুটি মৌসুম খেলেন। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ান ঘরোয়া টুর্নামেন্টটিতে খেলেন বাঁহাতি টাইগার অলরাউন্ডার।
এরপর বিগ ব্যাশ ও জিম্বাবুয়ের আফ্রো-জিম টি-টেন লিগসহ বেশ কিছু বিদেশি টুর্নামেন্টে দল পান তিনি। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে খুব ভালো ফর্মে নেই রিশাদ।
আরটিভি/এমএম/এসআর-টি