• ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
logo
‘ইলিশ’ ভেবে উচ্চমূল্যে ‘সার্ডিন’ খাচ্ছেন না তো! 
বর্জ্য থেকে শিল্প গড়েন যে শিল্পী
পুনর্ব্যবহৃত উপকরণ দিয়ে তৈরি শিল্পের প্রদর্শনী হচ্ছে নাইজেরিয়ার এক মিউজিয়ামে৷ পরিবেশ বাঁচাতে পণ্যের পুনর্ব্যবহার নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চায় জাদুঘরটি৷ কখনো মিউজিয়ামে গিয়ে ভেবেছেন এটা কেমন আবর্জনা? কিংবা এমনটা আমিও করতে পারি? এজন্য ময়লার পাত্রে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে এবং কিছু টুকরা একত্র করতে হবে৷ হ্যাঁ, নাইজেরিয়ার এক মিউজিয়ামে সেসবই হচ্ছে৷ ওয়েস্ট মিউজিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা জুমোকে ওলোউকেরে বলেন, এটা এক নতুন ধারণা৷ আগে কেউ আবর্জনার মিউজিয়াম তৈরি করতে চায়নি৷ নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইবাদনের কেন্দ্রে মিউজিয়ামটির অবস্থান৷ আফ্রিকায় এমন উদ্যোগ আর নেই৷ মিউজিয়ামটিতে সবকিছুই আবর্জনা দিয়ে তৈরি৷ জুমোকে কেন এমন মিউজিয়াম তৈরিতে আগ্রহী হলেন জেনে নেয়া যাক৷ জুমোকে ওলোউকেরে বলেন, আমি রান্নাঘরের ময়লায় হোঁচট খেয়েছিলাম... তখন আমি ভাবতে শুরু করি যে, প্রতিদিন আমরা যে আবর্জনা তৈরি করি, সেগুলো ফেলে না দিয়ে আর কী করা যায়? কেউই আমাকে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি, কারণ, এটা অর্থহীন শোনাচ্ছিলো৷ কিন্তু আমি সেই ধারণা বাদ না দিয়ে আবর্জনা দিয়ে আর কী কী করা যায়, সেটা ভেবেছি৷ আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদিত হয় নাইজেরিয়ায়৷ সেখানে নিত্যদিনের কর্মকাণ্ডে প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ প্লাস্টিক স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর৷ কিন্তু জুমোকে কেন এমন আবর্জনা ভিন্নভাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলেন? জুমোকে ওলোউকেরে বলেন, আমি আবর্জনার প্রেমে পড়ে গেছি এবং আমি সেগুলো ফেলে দিতে চাই না৷ প্রতিটি আবর্জনা আমি রক্ষার চেষ্টা করছি, মনে হচ্ছে উদ্ধার অভিযানে রয়েছি৷ যে আবর্জনাটি আমি রক্ষা করতে পারছি, সেটা আর ভাগাড় বা সাগরে গিয়ে পড়ছে না৷ এটাই আমার অনুপ্রেরণা৷ তাই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি৷ সাবেক ভিজ্যুয়াল আর্ট শিক্ষক জুমোকো ২০২২ সালে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক চুক্তিসংক্রান্ত জাতিসংঘের এক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, নাইজেরিয়ায় অধিকাংশ বর্জ্যই পানিতে গিয়ে পড়ে৷ আর এটা সাগরের জলে প্লাস্টিকের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে৷ আবর্জনা পুনর্ব্যবহারের জুমোকোর ধরন একটু অন্যরকম মনে হতে পারে কিন্তু অর্থবহ৷ মিউজিয়ামের অতিথি ওপে ওসিসান্যা বলেন, মুক্তবিশ্বের যে ধারণাটি তিনি অর্জন করতে চাচ্ছেন, তা হচ্ছে, জিরো ওয়েস্ট৷ এটা এক তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার যা আমাদের সবার বাড়িতে এবং আমাদের চারপাশে প্রয়োগ করা উচিত৷ এটা আমাদের দেশকে বসবাসের জন্য আরো ভালো করে তুলবে৷ তার উদ্যোগ রোগবালাই এবং দরকার নেই এমন অসুস্থতারোধে সহায়ক হবে৷ পাশাপাশি এক টেকসই, সবুজ পরিবেশ তৈরি করবে যা আমরা সবাই উপভোগ করতে পারি৷ জুমোকে এবং তার মতো একই আদর্শে অনুপ্রাণিত শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করছে মিউজিয়ামটি৷ তিনি তরুণদেরকে কিভাবে বর্জ্য থেকে দরকারি, টেকসই এবং সাশ্রয়ী পণ্য তৈরি করা যায় তাও শেখাচ্ছেন৷ এগুলো বিদ্যালয়ের খেলার মাঠেও ব্যবহার করা যায়৷ জুমোকে ওলোউকেরে বলেন, আমরা সূত্র থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করি৷ গত কয়েকবছর ধরে বিভিন্ন পরিবার, বন্ধুবান্ধব, স্কুল এবং সংগঠন থেকে আমরা আবর্জনা সংগ্রহ করে আমরা আপসাইক্লিং করছি, রিসাইক্লিং নয়৷ সুতরাং আমরা দূষিত বর্জ্য ব্যবহার করছি না৷ আমরা এমন উৎস থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করি যা দূষিত নয়৷ জুমোকের এই সংগ্রাম সহজ নয়৷ কিন্তু তিনি তার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে চান৷ জুমোকে ওলোউকেরে বলেন, আমি যদি আজকে দশ কেজি প্লাস্টিক বোতল বাঁচাতে পারি, তাহলে সন্তুষ্ট হবো এবং কালকে আরো করতে উৎসাহিত হবো৷ তাছাড়া কে-ইবা ভেবেছিল বর্জ্যও দেখতে এমন সুন্দর হতে পারে?
যে মুরগির একটি ডিম কিনতে গুনতে হবে ১৬শ' টাকা!
হিমালয়ের ১৮ হাজার ফুট উঁচু থেকে লাফ দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড
দেশে যে ৭ সাপ সবচেয়ে বিষধর
বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ চিত্রশিল্পী ১ বছরের লিয়াম
মানুষের নাকের যত জানা-অজানা
সর্দিকাশি, গন্ধ গ্রহণ থেকে শুরু করে প্রবাদ-প্রবচনে নাকের ভূমিকা গুরুত্ব পায়৷ নাক সম্পর্কে সার্বিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পেলে সেই ধারণা আরো বদ্ধমূল হয়ে উঠতে পারে৷জগত থেকে সব গন্ধ লোপ পেলে, সব বস্তু নিজস্ব সুগন্ধ হারালে এবং কোনো কিছুরই স্বাদ না পেলে বুঝতে হবে সম্ভবত সর্দিকাশির কারণেই সেটা ঘটছে৷ নাকের কাজই হলো গন্ধ শোঁকা৷ কিন্তু সর্দিকাশি ও অ্যালার্জি নাককে মনে করিয়ে দেয়, যে সেটি ইমিউন সিস্টেমের অংশও বটে৷ নাকের কাজ শ্বাসপ্রশ্বাসের সময়ে বাতাস ফিল্টার করা, তাতে আর্দ্রতা ও উষ্ণতা যোগ করা৷ বাতাসের স্রোতের সঙ্গে আসা বড় কণা নাকের লোমে আটকে পড়ে৷ নাকের ভেতরের অংশের মিউকাস ঝিল্লি আঠালো এক পদার্থ সৃষ্টি করে, যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মতো আগন্তুকদের বন্দি করে৷ তার মধ্যে এমনকি অ্যান্টিবডিও রয়েছে, যা প্যাথোজেনকে সরাসরি নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে৷ সে কারণেই সংক্রমণ বা অ্যালার্জি হলে সবার আগে নাকেরই ভোগান্তি হয়৷ শ্বেত রক্ত কণিকা সেখানে সমবেত হয় এবং নাকের মিউকাস মেমব্রেন ফুলে ওঠে৷ এছাড়া সেগুলি আরো বেশি তরল সৃষ্টি করে৷ কোনো এক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায়৷ কিছু সময়ের পর সেই অবরোধ উঠে গেলে নাক অবশেষে আবার তার পূর্ণ ক্ষমতা ফিরে পায়৷ অন্য সব সেন্সরি অরগ্যানের তুলনায় নাকের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ সবচেয়ে নিবিড়৷ ওলফ্যাক্টরি বা ঘ্রাণের স্নায়ু মিউকাস মেমব্রেনের দশ লাখেরও বেশি রিসেপ্টর থেকে পাওয়া সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায়৷ বায়ু থেকে একটি অণু কোনো উপযুক্ত রিসেপ্টরে পৌঁছলেই সংকেত সৃষ্টি হয়৷ একাধিক ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ রিসেপ্টরের কল্যাণে আমরা গন্ধ জগতের বিশাল বৈচিত্র্যের স্বাদ নিতে পারি৷ একই ধরনের রিসেপ্টর একই সঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠলে গন্ধ বেশ কড়া হয়ে ওঠে৷ সব সময় সেটা মোটেই সুখকর হয় না৷ তবে শুধু দুর্গন্ধ পেলেই নাক সাড়া দেয় না৷ কখনো সুন্দর রান্নার সুগন্ধ বাতাসে ভেসে এলেও নাক আমাদের খিদে জাগিয়ে তোলে৷ নাক যেহেতু আমাদের জিবের তুলনায় অনেক বেশি গন্ধের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে, সে কারণেই খাবারের স্বাদ অনেক বেশি ভালো লাগে৷ অন্যের কাজে নাক গলানো কথাটার পেছনে কারণ আছে৷ নাক সত্যি অনেক সিদ্ধান্তে নাক গলায়৷ যেমন কোনো বাসা পছন্দ করা বা কাউকে আকর্ষণীয় মনে করার সময়ে গন্ধ আমাদের অনুভূতির উপর অনেক বেশি প্রভাব রাখে, যা আমরা সচেতনভাবে বুঝতে পারি না৷ আমাদের অন্য একটি ক্ষমতার চাবিকাঠিও নাকের কাছে রয়েছে৷ আর সেটা হলো আমাদের স্মৃতিভাণ্ডার৷ সুগন্ধের অভিজ্ঞতা স্মৃতিভাণ্ডারের গভীরে অটুট থেকে যায়৷ সেই স্পষ্ট স্মৃতির সঙ্গে বিশেষ আবেগ জড়িয়ে থাকে৷ এভাবে আমাদের নাক অতীতকে জীবন্ত করে তুলতে পারে৷ তবে স্মৃতিভাণ্ডারে সেই অভিজ্ঞতা প্রবেশের পথে সর্দিকাশি থাকলে চলবে না৷ স্বাস্থ্যকর মিউকাস ঝিল্লি ভাইরাস মোকাবিলা করার প্রথম ঢাল৷ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে নাকের মিউকাস ঝিল্লির দায়িত্ব পালনের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়৷
বিয়ের জন্য মৃত পাত্রের আত্মা চেয়ে বিজ্ঞাপন!
তিরিশ বছর আগে মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল৷ মৃত সেই মেয়ের বিয়ে দিতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে পরিবার৷ মেয়ের আত্মার জন্য উপযুক্ত জামাই আত্মার খোঁজ করা হয়েছে বিজ্ঞাপনে৷ এই ঘটনা বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকেই, আবার অনেকেই হেসে কুল পাচ্ছেন না। আর ভীতদের শিড়দ্বারা দিয়ে বইছে ঠান্ডা স্রোত। ব্যাপারটা আসলে কী? চলুন জেনে নেই আসল রহস্য। পাত্র চাইয়ের চমকে দেওয়া বিজ্ঞাপনের ঘটনা ভারতের কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুত্তুড়ের৷ আত্মার বিয়ে দেওয়া ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের একটি ধর্মীয় রীতি। এই প্রথাকে স্থানীয়রা বলে থাকেন ‘কুলে মাদিমে’ অথবা ‘প্রেত মাদুভে’৷ সপ্তাহ খানেক আগে সংবাদপত্রে ব্যতিক্রমী বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়। যেখানে বর্ণ, গোত্রের উল্লেখ করে মৃত মেয়ের জন্য পাত্রের আত্মার খোঁজ করা হয়েছে। এমন পাত্রের দাবি করা হয়, যিনিও তিরিশ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। তিরিশ বছর আগে মৃত পাত্রীর বাড়ির লোক জানান, বিজ্ঞাপন দেখে কমপক্ষে পঞ্চাশ জন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আগ্রহীদের মধ্যে থেকে কোনও পাত্রকে পছন্দ হলেই রীতি পালনের জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে৷ পাত্রীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, আমরা ভেবেছিলাম হয়তো বিষয়টি নিয়ে অনেকে ঠাট্টা করবেন৷ যদিও তেমনটা ঘটেনি। এমনকী অনেকেই এই বিশেষ রীতিটি সম্পর্ক জানতে চেয়ে ফোন করেছেন। ‘কুলে মাদিমে’ অথবা ‘প্রেত মাদুভে’ রীতির উদ্দেশ্য হলো অবিবাহিত অবস্থায় মৃত পরিবারের সদস্যদের অপূর্ণ ইচ্ছেপূরণ। পছন্দের পাত্র পেয়ে গেলে জীবিতদের মতো সব নিয়ম মেনেই নাকি বিয়ে দেওয়া হয়।  স্থানীয়রা মনে করেন, মৃতের বিয়ে দিলে জীবিতদের বিয়ের বাঁধাও দূর হয়। এই ধর্মীয় রীতি বাস্তবেই গল্প-উপন্যাস, এমনকী সিনেমার স্ক্রিপ্টকে হার মানায়।
আজ বিশ্ব গাধা দিবস
আজ ৮ মে বিশ্ব গাধা দিবস। ‘গাধা’ শব্দটি হরহামেশাই ব্যবহার হয় মানুষের ক্ষেত্রে। একটু ভুল করলে বা না বুঝলে মানুষ সাধারণত তাকে গাধার সঙ্গে তুলনা করে। আবার কেউ বেশি পরিশ্রম করলে তাদের কাজকে অনেকেই গাধার খাটুনির সঙ্গে তুলনা করে। এক কথায়, বোঝা টানা এ প্রাণীটিকে বোকাসোকা হিসেবেই মনে করে মানুষ। এ থেকেই বোঝা যায় গাধা কতটা পরিশ্রম করে। এ ছাড়া গাধা ওষুধশিল্পের গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল উৎপাদকও। মূলত প্রাণীটির প্রতি সচেতনতা ও ভালোবাসা তৈরির উদ্দেশ্যেই দিবসটির সূচনা করা হয়। গাধা দিবস উপলক্ষে ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন বিং ডট কম বিশেষ ডুডল প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রাণিবিজ্ঞানী আর্ক রাজিক ২০১৮ সালে বিশ্ব গাধা দিবসের প্রচলন করেছিলেন। তিনি মূলত মরুভূমির প্রাণী নিয়ে কাজ করেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন গাধারা মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ করে, সেই পরিমাণ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এ জন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন। তারপর সেখানে গাধাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য প্রচার করতে শুরু করেন। গাধার দুটি প্রজাতি। উভয়ই আফ্রিকান বন্য গাধার উপপ্রজাতি এবং এগুলো হলো- সোমালি বন্য গাধা ও নুবিয়ান বন্য গাধা। ইতিহাস বলছে, ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে মানব সেবার কাজ করছে গাধা। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গাধা রয়েছে চীনে। দেশটিতে গাধার চামড়ার নিচে থাকা এক ধরনের বিশেষ আঠা থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়। এ ওষুধ অ্যাজমা থেকে ইনসোমনিয়ার মতো নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ওষুধশিল্পে গাঁধার ব্যবহারের ফলে দেশটিতে ক্রমেই কমছে প্রাণীটির সংখ্যা।
১৪০ মিটার দীর্ঘ রুটি বানিয়ে ফরাসিদের রেকর্ড
১৪০ মিটার দীর্ঘ ব্যাগেট (বিশেষ ধরনের রুটি) তৈরি করে একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড করেছে ফরাসি বেকারদের একটি দল। এর আগে এই রেকর্ডটি ইতালির দখলে ছিল। প্যারিসের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সুখছোতে ১৮ সদস্যের একটি বেকারের দল রোববার (৫ মে) একটি ১৪৩.৫৩ মিটার বা ৪৬১ ফুট লম্বা ব্যাগেট তৈরি করে নতুন করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছে। গত পাঁচ বছর ধরে ইটালির কোমো শহরের বেকারদের দখলে থাকার পর ফ্রান্স তাদের রেকর্ডটি পুনরুদ্ধার করেছে৷ ফরাসি কনফেডারেশন অফ বেকার্স অ্যান্ড প্যাস্ট্রি শেফসের একটি অনুষ্ঠানে এটি তৈরি করা হয়। কনফেডারেশনের সভাপতি ডমিনিক আন্রাক্ট বলেন, হাতে বানানো দীর্ঘতম ব্যাগেট এর রেকর্ডের জন্য অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। রুটি তৈরি এই শিল্পের চালিকাশক্তি, ব্যাগেট আমাদের খাবারের ঐতিহ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। বিশ্বজুড়ে ফরাসিত্বের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত ব্যাগেট৷ গিনেসের নিয়মানুসারে ব্যাগেট সাধারণত কমপক্ষে পাঁচ সেন্টিমিটার পুরু ও লম্বায় প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।প্রতিটি ব্যাগেটের ওজন প্রায় ২৫০ গ্রাম৷ শুধুমাত্র গমের ময়দা, পানি, লবণ এবং ইস্ট দিয়ে এই রুটি বানানো হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বেকাররা জানিয়েছেন, তারা আনুমানিক রাত তিনটা থেকে ৯০ কেজি আটা, ৬০ লিটার পানি, ১.২ কেজি লবণ ও ১.২ কেজি ইস্ট দিয়ে ১৫২ কেজি ওজনের মিশ্রণ তৈরি করেন। তারপর বিশেষভাবে নির্মিত ধীর গতির একটি চাকাযুক্ত ওভেনে বিশাল এই ব্যাগেটকে সেঁকা হয়। শহরটির মেয়র গুইলাউম বাউডি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম ব্যাগেট তৈরির রেকর্ডের অংশ হতে পেরে সুখছো গর্বিত। ব্যাগেট আমাদের খাবারের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় প্রতীক। আমি সুখছো এর বেকারদের অভিনন্দন জানাই যারা এতে অংশ নিয়েছিলেন এবং আমাদের শহরের ঐতিহ্য বজায় রেখেছেন। গিনেস কর্তৃপক্ষ সার্টিফিকেট দেওয়ার পর ব্যাগেটের কিছু অংশ কেটে আগ্রহী দর্শকদের মাঝে পরিবেশন করা হয়। তবে ব্যাগেটের বেশিরভাগ অংশ গৃহহীনদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়।
৩৪ হাজার ম্যাক ডোনাল্ড বার্গার খেয়ে রেকর্ড
বার্গার ফাস্টফুডপ্রেমীদের কাছে ভীষণ প্রিয় একটি খাবার, তাই বলে এক জীবনে আপনি কতটি বার্গার খেতে পারবেন? এক-দুই হাজার অথবা তিন হাজার? কিন্তু জানেন কি যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের সাবেক জেল কর্মকর্তা ডোনাল্ড গর্সকে নামে এই ব্যক্তি সারা জীবনে মোট ৩৪ হাজার বার্গার খেয়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন! ৭০ বছর বয়সী এই মার্কিনি রেকর্ড গড়তে ৫০ বছর ধরে প্রতিদিন অন্তত দুটি করে বার্গার খেয়েছেন। তবে এক সময় তিনি দিনে ৯টি করেও বার্গার খেয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা দ্যা গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এক প্রতিবেদনে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিখ্যাত ম্যাকডোনাল্ডস বার্গার গোর্স্ক তেলে না ভেজে খেতেন এবং প্রতিদিন ছয় মাইল হাঁটতেন। এতে তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নিজের আগের ৩২ হাজার বিগ ম্যাক খাওয়ার রেকর্ড ভেঙে এবার ৩৪ হাজার বার্গার খাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গিনেস ওয়ার্ল্ড বুককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গোর্স্ক বলেন, অনেকে ভেবেছিলেন আমি এবার মারা যাব। কিন্তু পরিবর্তে আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দীর্ঘকাল ধরে চলা রেকর্ডধারীদের একজন হয়েছি। গর্সকে প্রথম দিকে বার্গার কিনতে নিয়মিত ম্যাকডোনাল্ডে যেতেন। পরে চাকরি থেকে অবসরের পর সপ্তাহে দুবার যেতেন। এ ছাড়া তিনি বিগ ম্যাকস, বার্গার কিং হুপারের বার্গারও খেয়েছেন এক সময়। তবে তিনি এ কারণে কখনো স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েননি বলেও দাবি করেছেন।
খোঁজ মিলল ৩৭০০ বছরের পুরোনো লিপস্টিকের
প্রাচীন সংস্কৃতি এবং নারীদের সাজসজ্জার উদাহরণ মিলেছে আবারও। আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগেও মহিলারা লিপস্টিক ব্যবহার করতেন। আর সম্প্রতি তারই প্রমাণ মিলেছে। ইরানের প্রত্নতাত্ত্বিকদের হাতে এসেছে তেমনই বহু পুরোনো লিপস্টিক। বিগত দু’দশক আগে মাটি খুঁড়ে এক ধরনের বোতলের সন্ধান পান প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ইরানের দক্ষিণাংশে জিরোফত এলাকায় এই প্রসাধনীর সন্ধান মিলেছে। ২০০১ সালেই জিরোফত এলাকা থেকে একটি বোতলের ভিতরে লিপস্টিকের সন্ধান পান প্রত্নতত্ত্ববিদরা। উজ্জ্বল ক্রিমসন বর্ণের লিপস্টিক সেটি। প্রসাধনীর সন্ধান পেলেও তার বয়স নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না প্রত্নতত্ত্ববিদরা। প্রায় দু’দশক ধরে গবেষণা করে তারা এই প্রসাধনীর সঠিক বয়স নির্ধারণ করে ফেলেন।  গবেষণায় জানা যায়, বোতলের ভিতর রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো লিপস্টিক। রেডিও কার্বন পদ্ধতিতে বয়স নির্ধারণ করে তারা জানতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো লিপস্টিক এটি। যার বয়স ৩৭০০ বছর। তবে এই লিপস্টিকটি ১৬৮৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরি করা হয়েছিল বলে ‘জার্নাল সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’-এ প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গেছে। এই লিপস্টিক মূলত হেমাটাইট নামের খনিজ দিয়ে তৈরি। লিপস্টিকের লাল রঙের নেপথ্যে রয়েছে হেমাটাইট নামের অক্সাইড খনিজের উপস্থিতি। এই খনিজ থেকেই উজ্জ্বল লাল বর্ণের উৎপত্তি। এই লিপস্টিকটি একটি সুন্দর খোদাই করা বোতলের মধ্যে রাখা। কী থেকে তৈরি করা হয়েছিল এই লিপস্টিকটি? লিপস্টিকটি তৈরি করা হয়েছিল হেমাটাইটের মতো খনিজ থেকে। এই লিপস্টিকটি হেমাটাইটের মতো খনিজ থেকে তৈরি একটি লাল পদার্থ, যা ম্যাঙ্গানিজ এবং ব্রাউনাইট দিয়ে গাঢ় করা হয়েছে। এতে অল্প পরিমাণে গ্যালেনা এবং অ্যাঙ্গলেসাইট রয়েছে। ৩৭০০ বছরের পুরোনো লিপস্টিকের রং এবং মোমের টেক্সচার সমসাময়িক লিপস্টিকের মতো। সায়েন্টিফিক রিপোর্টে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই লিপস্টিকের মালিক খুব সম্ভবত এটি একইভাবে ব্যবহার করেছেন, ঠিক যেভাবে আধুনিক যুগের মানুষ আজ এই লিপস্টিক ব্যবহার করে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অনুসারে, অতীতেও আজকের মতোই লিপস্টিক ব্যবহার করা হত। শিশিটির সরু আকৃতি এবং পুরুত্ব ইঙ্গিত দেয় যে এটি অন্য হাতে আরামে ধরে রেখে তামা/ব্রোঞ্জের ডিক্যানটার দিয়ে সহজেই ব্যবহার করা যেতে পারে। লুটপাটের কারণে, কখন লিপস্টিকটি তৈরি হয়েছিল বা কোথা থেকে তৈরি হয়েছিল তা বলা খুব কঠিন। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে এটি প্রাচীন মার্সাসি, ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা থেকে এসেছে। তবে লিপস্টিকের মালিক ও উদ্ভাবন সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। লিপস্টিকের উৎপত্তি-  এই আবিষ্কার প্রাচীন ইরানের ব্রোঞ্জ যুগের মানুষের কথা বলে। সে কালের মানুষ কীভাবে সৌন্দর্য পণ্য ব্যবহার করতেন, তার একটি আভাস দেয়। যাইহোক, মহিলাদের ঠোঁটের রং ব্যবহার করার প্রথম প্রমাণ খ্রিস্টপূর্ব ১২ শতকের দিকে পাওয়া গিয়েছিল। মিশর এবং এখন ইরানে পাওয়া তুরিন প্যাপিরাস দেখিয়েছে যে ব্রোঞ্জ যুগেও মেকআপের চল ছিল।
বুলগেরিয়ার পোমাকদের ঐতিহ্যবাহী বিয়ের অনুষ্ঠান
বুলগেরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের রডপি পর্বতমালায় অবস্থিত রিবনভো গ্রামের মানুষেরা মনে করেন, তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ঐতিহ্যটা অনন্য৷ তাই তারা একে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন করেছেন৷ প্রায় আড়াই দিন ধরে বিয়ের অনুষ্ঠান চলে৷ এই সময়ে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রীতি, অভ্যর্থনা ও নাচে অংশ নেন হবু বর ও কনে৷ অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনেরা কনের যৌতুক কাঠের ফ্রেমে ঝুলিয়ে দেন৷ বিশেষ করে কম্বল, বিছানার চাদর, লাল হারেম প্যান্ট ইত্যাদি৷ গ্রামবাসীর দেখার জন্য এটি করা হয়৷ দ্বিতীয় দিন বিয়ের মিছিল গ্রাম প্রদক্ষিণ করে৷ এদিন অনুষ্ঠানে আরো অনেককিছু হয়৷ নবদম্পতিকে উপহারের টাকা দিয়ে সাজানো হয়৷ পুরো গ্রাম অনু্ষ্ঠানে অংশ নেয়৷ রিভনভোর মানুষেরা তাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত৷ কারণ, তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য অনন্য৷ তাই তারা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হতে আবেদন করেছে৷ ইউনেস্কো অ্যাপ্লিকেশন ইনিশিয়েটিভের মুস্তফা আমিন বলেন, ‘‘এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে, রিভনভোর বিয়ের অনুষ্ঠানের ঐতিহ্যকে বুলগেরিয়া ও ইউনেস্কো, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিক৷ তাহলে বুলগেরিয়ার অন্য সম্প্রদায়ের মতো আমরাও পরিচিত হয়ে উঠতে পারবো৷'' কনের বাড়িতে গেলিনা নামে একটি অনুষ্ঠান হয়, যা বিশুদ্ধতা আর নতুন শুরুর প্রতীক৷ সেই সময় কনেকে খুব নিখুঁতভাবে, দক্ষতার সঙ্গে সাজানো হয়৷ প্রাচীনকাল থেকে এটা চলে আসছে বলে জানা যায়৷  এরপর বাড়ির সামনে জড়ো হওয়া মানুষদের সামনে কনেকে হাজির করানো হয়৷ ঐতিহ্য মেনে এই সময় তাকে চোখ বন্ধ রাখতে হয়।