• ঢাকা সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১
logo
রাবি উপাচার্য বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস স্বর্ণপদকে ভূষিত
হামলার ১৪ দিন পরেও নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ভবনে তালা  
পূর্বঘটনার জের ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মারামারির ঘটনার ১৪ দিন পার হয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনোরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।  জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারীঘটিত এক অপ্রীতিকর ঘটনায় এক জুনিয়র শিক্ষার্থীকে সতর্ক করে ভেটেরিনারী অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদের ১৭ ব্যাচের শামীম রেজা নামে আরেক সিনিয়র শিক্ষার্থী। এ ঘটনার জের ধরে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। জুনিয়রকে নারীঘটিত কারণে সতর্ক করার জন্য সেদিন রাতে সদলবলে সেই জুনিয়র হলে গিয়ে হামলা করে তাকে আহত করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সিনিয়র শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সুপারসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষক পরিস্থিতি সামাল দেন এবং তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত অভিযুক্ত হামলাকারীদের বিপক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। হামলার এতদিন পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় হামলাকারীদের পক্ষে প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতার অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা। ঘটনার ১৪ দিন পার হয়ে গেলেও কোনোরকম শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় ৪০ মিনিটের মতো অবরুদ্ধ হয়ে থাকেন ওই ভবনে অবস্থানরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরে প্রশাসনের কাছ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত এবং শাস্তির মৌখিক আশ্বাস পেয়ে ভবনের তালা খুলে দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিগত ২৬ অক্টোবর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সায়েন্সের ১৭ ব্যাচের শামীম রেজার রুমে ঢুকে তার ওপর একই হলের ২০ থেকে ৩০ জন অর্তকিত হামলা চালায়। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনকে অবহিত করেছি। শুধু তাই নয় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ জানালেও প্রায় ১৬ দিন পেরিয়ে গেছে। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো সুস্পষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছি। আন্দোলনের খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল হাসান। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রক্টর ড. মো. শামসুজ্জোহা বলেন, ‘এই ঘটনা যেদিন হয় সেদিন আমরা প্রক্টরিয়াল বডি এবং হল প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমরা ঘটনা শুনেছি এবং অভিযুক্তদের নামও পেয়েছি। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি খুব দ্রুতই তদন্ত করবে এবং তাদের সুপারিশ অনুযায়ী আমরা হামলাকারীদের বিপক্ষে ব্যবস্থা নেবো।’ এ সময় অভিযুক্ত হামলাকারী এবং তাদের সহযোগিতা করা সকলের বিচার দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোন অগ্রগতি না হলে আরও কঠোর আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়ে প্রশাসনিক ভবন চত্ত্বর ত্যাগ করেন তারা। আরটিভি/এমকে-টি
জাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়কের
এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত 
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
আবাসন ও সম্পদ সংকট দেখিয়ে ১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের বিশেষ ভিসা কর্মসূচি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এই স্কিম বন্ধ করার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। খবর এনডিটিভির। ভারত, পাকিস্তান, এন্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, ব্রাজিল, চীন, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, মরক্কো, পেরু, ফিলিপাইন, সেনেগাল, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রানাডা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও ভিয়েতনামের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ভিসা কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে কানাডা। ২০১৮ সালে এসব দেশের শিক্ষার্থীদের সহজ এবং দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য স্টুডেন্ট ডিরেক্ট স্ট্রিম ভিসা প্রোগ্রাম চালু করা হয়। কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আবাসন ও সম্পদের সংকটের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সব দেশের শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগ দেওয়ায় বিশ্বাসী বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কানাডা। প্রায় সব মৌসুমে কানাডাতে শিক্ষা অর্জনে যাওয়ার হিড়িক থাকে দেশের বাইরে পড়ালেখা করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের। এসব শিক্ষার্থীদের বাড়তি সুবিধা দিতে নানা উদ্যোও গ্রহণ করে থাকে কানাডা। তবে এবার শিক্ষার্থীদের বিশেষ ভিসা কর্মসূচি বন্ধের ঘোষণা দিল ট্রুডো সরকার। আরটিভি/এসএপি
রাবিতে ছাত্র রাজনীতি সংস্কারে ছাত্রদল ও শিবির এক টেবিলে
  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘ছাত্র রাজনীতি সংস্কার প্রস্তাবে ছাত্র নেতৃবৃন্দের বোঝাপড়া’ শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে রাবি শাখা ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের সভাপতি অংশগ্রহণ করেন।  শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন। সভায় ছাত্র নেতারা বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতি দেখে বড় হওয়ায় বর্তমান প্রজন্মের অনেকের মধ্যে ছাত্র রাজনীতি বিষয়ে নেতিবাচক সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাত্র রাজনীতি ছিল না, সেটা ছিল সন্ত্রাসী কার্যক্রম। আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব নতুন ধারার রাজনীতির প্রচলন করতে চাই। এ সময় ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমরা বিগত সময় দেখেছি সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি বা কোন একটা পদ পেলে তিনি মনে করত আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক। হলের কোনো একটা পদ পেলে মনে করতে তিনি হলের মালিক। ছাত্র রাজনীতি মানে তারা মনে করেছিল হল থেকে ফ্রি খাওয়া, পেশী শক্তি দেখিয়ে  সাধারণ শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করা, আধিপত্য বিস্তার করা। কিন্তু প্রকৃত ছাত্র রাজনীতির ডেফিনেশন এটা না। আমরা বিগত ১৫ বছরে যে রাজনৈতিক প্র্যাকটিস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখেছি, সেটাকে আমরা ছাত্র রাজনীতির বলতে পারি না। আমরা এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনি। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নতুন রাজনীতির প্রচলন করব। রাজনৈতিক ধারাই আমরা চেঞ্জ করে দিব। ছাত্র শিবিরের সভাপতি আব্দুল মোহাইমেন বলেন, ছাত্র রাজনীতি সংস্কারের একটি নির্দিষ্ট রূপরেখা প্রয়োজন। এজন্য আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই। আমাদের নিজেদের দ্বারা এ সংস্কার সম্ভব না। সব সংগঠনই তাদের মত করে বিভিন্ন দাবি করবে। তাই এটা আমাদের ভিতরে না থেকে যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন্দ্রীক একটা নীতিমালা হয় এবং এই নীতিমালার ভিতরে যদি সবাই ছাত্র রাজনীতি চর্চা করে, যেই ছাত্র রাজনীতি হবে শিক্ষামূলক, গবেষণামূলক, যেখানে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কাজ হবে, শিক্ষার্থীদের জন্য নীতিমালা থাকবে, যে বিধিমালা একজন শিক্ষার্থী হিসেবে তারা পালন করবে এবং একটা দল দলীয়ভাবে পালন করবে- যদি আমরা এমন একটা রূপরেখা দিতে পারি, তাহলেই কেবল এই ছাত্র রাজনীতি সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। মতবিনিময় সভায় স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ রেজিমের ছাত্র রাজনীতির সংজ্ঞায়ন যেভাবে করা হয়েছিলো, ছাত্র রাজনীতি বলতে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, হল দখল করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রাখা, ছাত্রদল-শিবির কিংবা অনেক ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা। এজন্য সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের ভয় হয় বিগত দিনের মতো ছাত্ররাজনীতি চালু হলে আমরা আমাদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে পারবো কিনা। সভায় রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন। স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ফাহিম রেজার সঞ্চালনায় এই মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি'র অন্যতম সমন্বয়ক তাসিন খান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় পাঁচশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।  
রাবিতে শিক্ষকদের পাঠদান মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুর দাবি শিক্ষার্থীদের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকদের একাংশের বিরুদ্ধে রুটিন অনুযায়ী ক্লাস না নেওয়া, অপ্রাসঙ্গিক গল্প করা, কোর্স শেষ না করা, নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা ও রেজাল্ট না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। ফলে বিভাগগুলোতে তীব্র সেশনজটসহ বিভিন্ন একাডেমিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এসকল সমস্যার সমাধানে শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য পাঠদান মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করার দাবি জানাচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরাও। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কিছু শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে রুটিন অনুযায়ী ক্লাস নেন না, জ্ঞানভিত্তিক লেকচার দেন না, কোর্সের বিষয়বস্তু কেমন তা শিক্ষার্থীদের মাঝে স্পষ্ট করেন না, নির্দিষ্ট সময়ে কোর্স শেষ করেন না, ক্লাসের পরিবেশ আকর্ষণীয় এবং প্রাণবন্ত করতে পারেন না, শ্রেণিকক্ষে আরামদায়ক একাডেমিক পরিবেশ তৈরি করতে পারছেন না ও পরীক্ষা-অ্যাসাইনমেন্ট ঠিকমতো নেন না। এসকল সমস্যার সমাধানে শিক্ষকদের পাঠদান মূল্যায়ন পদ্ধতি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুর দাবি জানান তারা। জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, আইন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগের সমস্যা নিরসন ও সংস্কার দাবিতে শিক্ষক ও উপাচার্য বরাবর বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেছেন। উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে শিক্ষকদের পাঠদান মূল্যায়নের পদ্ধতি চালুকরণও ছিল। পাঠদান মূল্যায়ন বিষয়ে নাঈমা জান্নাত নামের রাবির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা দেখতে পাই অনেক শিক্ষক সময় মতো ক্লাসে আসেন না এবং সময় মতো ক্লাস শেষ করেন না। আবার, ক্লাসে পড়াশোনা বাদ দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ক্লাস শেষ করে দেয়। যার ফলশ্রুতিতে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এমন হওয়ার পিছনে কারণ হলো, শিক্ষকদের মূল্যায়ন করার মতো কেউ থাকে না। তাদের উপরে কোন তদারকির ব্যবস্থা নেই। যদি প্রমোশনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে তাকে প্রমোশন দেওয়া হতো, তাহলে শিক্ষকরা যত্নের সঙ্গে পাঠদান করাতেন। তাই আমরা মনে করি শিক্ষকদের পাঠদানে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ব্যবস্থা করা উচিত। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, অবশ্যই শিক্ষকদের পাঠদানের মূল্যায়ন করার সু্যোগ দেওয়া উচিত। কারণ শিক্ষকদের একটা বিশাল অংশ আছেন, যারা ক্লাসে কি পড়ান তা হয়তো নিজেই জানেন না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে পারি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমনও কিছু শিক্ষক আছেন যারা গ্রামের ইবতেদায়ি মাদ্রাসা বা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকের থেকেও পাঠদান যোগ্যতা কম।আবার অনেকে আছেন যে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে ক্লাসে আসেন না। অনেক বিভাগে দেখা যায়, একজন শিক্ষককে এমন কোর্স দেওয়া হয়েছে, যা সম্পর্কে তার কোনো আইডিয়াই নেই। এমনও বিভাগ আছে, যেখানে শিক্ষক বাটন ফোনের ফাংশনই ঠিক মতো বুঝেন না, কিন্তু তার কোর্সের টাইটেল - ‌‘কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’। শিক্ষকের পাঠদানের মূল্যায়ন করার সুযোগ থাকলে অবশ্যই এই অবস্থার ভুক্তভোগী কেউ হবে না। পাঠদান মূল্যায়নের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক বেলাল হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, এটা খুবই একটা জটিল বিষয়। কিছু শিক্ষক যেমন প্রাণবন্ত ক্লাস নিতে পারছে না, তেমনি কিছু শিক্ষার্থী আছে, যারা ক্লাস মনোযোগ দিয়ে করে না বরং কথা বলে অন্যদের ডিস্টার্ব করে। শিক্ষক মূল্যায়ন নিয়ে বিগত প্রশাসনও আলোচনা করেছিল। আশা করি বর্তমান প্রশাসন এটার কার্যকর ফলাফল তৈরি করবে। এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের মূল্যায়নের ব্যাপারটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এটা হওয়া দরকার। আমরা যারা লেকচার দেই, তারা যদি পড়ে এসে লেকচারটা দেই, তাহলে শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট হবে না। বরং তারা উপকৃত হবে। কিন্তু যদি শিক্ষার্থীদের আনন্দহীনভাবে পড়ানো হয়, তাহলে তারা বোরিং ফিল করবে। কোন শিক্ষক কিভাবে-কতক্ষণ ক্লাস নিচ্ছে, তা মূল্যায়ন করতে পারা অবশ্যই ভালো। আর শিক্ষকদের নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস শুরু এবং শেষ করা উচিত। শিক্ষকদের পাঠদান মূল্যায়নের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের সঙ্গে কথা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রথম যে মিটিং হয়েছিল, সেখানে প্রথম এজেন্ডাই আমি রেখেছিলাম ‘শিক্ষকদের পাঠদান মূল্যায়ন’। আমরা খুব তাড়াতাড়ি ছাত্র কর্তৃক শিক্ষক মূল্যায়নের ব্যাপারটা বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা করব। ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমরা এমন একটি পরিকল্পনা নিয়েছি যেখানে, কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাঠদান মূল্যায়নের ব্যাপারে কোনো অসামঞ্জস্য পেলে, একটি ম্যাকানিজমের মাধ্যমে তা সমাধান করার চেষ্টা করব। আরটিভি/এফএ
বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তিতে কিস্তির সুবিধা চালু
অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীরাও যেন বেসরকারি মেডিকেলে নির্বিঘ্নে অধ্যয়ন করতে পারে সেজন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী, ছেলেমেয়েকে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য এখন থেকে আর এককালীন টাকা পরিশোধ করতে হবে না অভিভাবকদের, বরং তিনটি কিস্তির মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন তারা। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্স ও ডেন্টাল কলেজ বা ডেন্টাল ইউনিটের বিডিএস কোর্সের ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি ফি, টিউশন ফি ও ইন্টার্ন ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী কোনো শিক্ষার্থী যদি এমবিবিএসে ভর্তি হতে চান, তাহলে তাকে ভর্তি ফি গুনতে হবে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, আর বিডিএসে (ডেন্টাল) ভর্তি হতে চাইলে গুনতে হবে ১১ লাখ টাকা। এতে বলা হয়, অন্যান্য বছরে অভিভাবকদের ভর্তির টাকা একবারে পরিশোধ করতে হতো। এতে করে অনেকের মেডিকেলে পড়ার ইচ্ছে থাকলেও এককালীন বড় অংকের টাকা জোগান দেওয়া সম্ভব হতো না। কিন্তু এবারই মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো এককালীন টাকা না দিয়ে তিনটি কিস্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থা করেছে। অভিভাবকরা শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ৬০ শতাংশ টাকা দেবেন এরপর প্রথম পেশাগত পরীক্ষার সময় ২০ শতাংশ ও তৃতীয় পেশাগত পরীক্ষার সময় বাকি ২০ শতাংশ টাকা দিতে পারবেন। মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও মধ্যবিত্তদের মেডিকেলে পড়ার পথ সুগম হবে। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেলের এমবিবিএস ও ডেন্টালের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে পারে। পবিত্র শবে বরাত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কারণ বিবেচনায় এই সময়ে পরীক্ষা আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর। জানা গেছে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের। তবে ওইদিন পবিত্র শবে বরাত হতে পারে। ফলে শবে বরাত ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কারণ বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা আয়োজনের তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন জানান, গত ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ সভায় মেডিকেলের এমবিবিএস ও ডেন্টালের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা এগিয়ে আনার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি জানান, আগামী ১৭ জানুয়ারি এ পরীক্ষা আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এটি চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে সেটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হবে। আরটিভি/এসএইচএম/এআর  
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়ল
লটারির মাধ্যমে স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তিতে শূন্য আসনের তথ্যসহ রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এর আগে রেজিস্ট্রেশনের শেষ সময় ছিল ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে। শুক্রবার চিঠিটি মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ১ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের শূন্য আসনসহ অন্যান্য তথ্য দাখিলের সময়সীমা ৮ নভেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে না পারায় টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সময়সীমা ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। আরটিভি/এসএপি/এআর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ ফুট লম্বা বার্মিজ পাইথন উদ্ধার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ৯ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সাপটিকে পাহাড়ের বনে অবমুক্ত করা হয়। সাপটি বার্মিজ পাইথন প্রজাতির বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের ড্রেন থেকে সোসাইটি ফর স্ন্যাকস অ্যান্ড স্ন্যাকবাইট অ্যাওয়ার্নেস (থ্রিএসএস) গ্রুপের সদস্যরা সাপটি উদ্ধার করেন। জানা যায়, সোহরাওয়ার্দী হলের পাশে ড্রেনের মধ্যে সাপটিকে দেখতে পান হলের শিক্ষার্থীরা। পরে সোসাইটি ফর স্ন্যাকস অ্যান্ড স্ন্যাকবাইট অ্যাওয়ার্নেস (থ্রিএসএস) গ্রুপের সদস্যদের খবর দিলে তারা এসে সাপটি উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে থ্রিএসএস গ্রুপের সদস্য রাতুল শাহরিয়ার প্রীতম বলেন, আমরা খবর পেয়ে সোহরাওয়ার্দী হলে এসে ড্রেনের মধ্যে সাপটি দেখতে পাই। পরে সাপটি উদ্ধার করে পাহাড়ে বনে অবমুক্ত করেছি। উল্লেখ, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রজাতির সাপগুলোর মধ্যে একটি এই বার্মিজ পাইথন। এই প্রজাতির অজগর লম্বায় ১৬ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে।   আরটিভি/এসএইচএম