• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গুচ্ছ পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে শাবিপ্রবিতে উপস্থিতি ৮৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ
বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক
দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলছে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শিখন ঘাটতি পূরণে প্রাথমিক বিদ্যালয় শনিবারও খোলা রাখার যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চলমান তাপদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ এপ্রিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক পালায় (শিফটে )পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই পালায় বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম পালা সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় পালা পৌনে ১০টা থেকে থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আর তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।  
সরকারি স্কুল খুলছে রোববার, যেভাবে চলবে ক্লাস
গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ, তাপপ্রবাহ ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা
চুয়েট বন্ধ ৯ মে পর্যন্ত, খোলা থাকবে হল
‘আমাকে মেরে ফেলেন ভাই’
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে প্রস্তুত হাবিপ্রবি 
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামীকাল ২৭ এপ্রিল শনিবার থেকে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান বিভাগ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং একইদিন আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) প্রশাসন। চলমান তাপপ্রবাহ বিবেচনায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে বেশ কিছু সেবামূলক উদ্যোগ। এর মধ্যে রয়েছে- ১। চলমান তাপপ্রবাহসহ যেকোন জরুরি স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টার ও অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং প্রতিটি কেন্দ্রে একজন ডাক্তারসহ ফাস্ট এইড মেডিসিনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালের ডাক্তারগণের সমন্বয়ে মেডিকেল টিম থাকবে। ২। আগত পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিশ্রাম নেয়ার জন্য প্রতিটি একাডেমিক ভবনের সামনে বসার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩। পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য শনিবার সরকারি কলেজ মোড় থেকে তিনটি বাস বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসবে। আগামী ৩ মে ‘বি’ ইউনিট ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা (সকাল ১১টা হতে দুপুর ১২টা) অনুষ্ঠিত হবে। এ দুদিন সকালে সরকারি কলেজ মোড় থেকে তিনটি বাস বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসবে।   ৪। মেয়ে পরীক্ষার্থী ও মহিলা অভিভাবকদের জন্য ছাত্রী হল ও টিএসসিতে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছেলে পরীক্ষার্থী ও পুরুষ অভিভাবকদের জন্য ছাত্র হল ও মসজিদে ওয়াসরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫। অসুস্থ, পঙ্গু, প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউট ও বিএনসিসি এর সমন্বয়ে টিম কাজ করবে।  ৬। প্রতিটি একাডেমিক ভবনের সামনে সিটপ্ল্যানসহ বিস্তারিত ম্যাপ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।  ৭। নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পাসের সকল গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সে¦চ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।  গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে সে ব্যাপারে আন্তরিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এ বছর হাবিপ্রবি কেন্দে্র পরীক্ষা দেবেন ১২ হাজার ৩৪১ জন ভর্তিচ্ছু। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৬ হাজার ৬১৬ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৪ হাজার ৭৩৯ জন ও ‘সি’ ইউনিটে ৯৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। সারাদেশে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬ জন পরীক্ষার্থী।
উত্তপ্ত চুয়েট / হল না ছাড়ার ঘোষণা চুয়েট শিক্ষার্থীদের, অবরুদ্ধ উপাচার্য
বিক্ষোভের মুখে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদেরকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশ আরও বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে শিক্ষার্থীদের। জবাবে প্রশাসনিক ভবনের মূল দরজায় তালা দিয়ে হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সেইসঙ্গে জানা গেছে, তালাবদ্ধ ভবনে আটকে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে নিচে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল পৌনে পাঁচটায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে তারা জানান, দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। কোনভাবেই হল ছাড়বেন না। এসময় আবারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব দাবির বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসবের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা একমত হননি। তাই আন্দোলন চলছে। কিন্তু প্রশাসন আলোচনায় না বসে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করবেন না। এর আগে আজ বেলা দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে ছাত্রদের এবং আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়তে হবে। এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বারবার আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আশানুরূপভাবে সাড়া দেননি। তাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হল না ছাড়লে কী হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ অবরুদ্ধ অবস্থাতেই মুঠোফোনে যোগাযোগ হয় সহ-উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হয়েছে। আমরা ভেতরে আছি। শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হবে। যেহেতু ক্যাম্পাস বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেহেতু আলোচনার আর পরিবেশ নেই।’ এদিকে হল ছাড়ার নির্দেশে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বরে থাকা ও মূল ফটকে রাখা শাহ আমানত পরিবহনের দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে পুরো ক্যাম্পাসে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় নিহত হন পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা (২২) ও দ্বিতীয় বর্ষের তৌফিক হোসাইন (২১)। আহত হন জাকারিয়া হিমু (২১)। চুয়েটের কাছাকাছি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়ানগর এলাকায় পৌঁছালে তাঁদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বেপরোয়া গতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি যাত্রীবাসী বাস। দুর্ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত নয়টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীর। পরে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর গত বুধবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। আজও সড়ক বন্ধ।  
চার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রজ্ঞাপন 
টানা তাপপ্রবাহের কারণে ঘোষিত দীর্ঘায়িত ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)। চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চারটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে।  প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন থেকে সপ্তাহের ছয় দিন খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই হিসেবে শনিবারও খোলা থাকবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্যান্য কর্মদিবসের মতোই পুরোদমে ক্লাসও চলবে এ দিনে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। শনিবার শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার যুক্তিস্বরূপ এতে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার এ নির্দেশনা ছাড়াও প্রজ্ঞাপনের অন্য তিন নির্দেশনা হলো- ১. আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ২. তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। ৩. শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। প্রসঙ্গত, পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় আরও এক সপ্তাহ বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি জানান অভিভাবকদের একটি অংশ। কেউ কেউ অনলাইনে ক্লাস চালুর দাবিও তোলেন।তবে সার্বিক দিক বিবেচনায় ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস চালুর নির্দেশনা দিলো সরকার।  
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি ভর্তি নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রমে এক শ্রেণিতে যেন ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা না হয় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার চাঁপা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাভারের ব্র্যাক সিডিএম-এ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ‘ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম’ স্কিম কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতও হয়তো কাঙ্ক্ষিত মানে নেই। এনটিআরসিএ শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তব্যেরও রূপান্তর জরুরি উল্লেখ করে এরপর তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার এখনই সময়। এই ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে সহযোগিতা করবে। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেট বা অর্থ-সংস্থান কোনো বড় বাধা নয়। শিক্ষায় আগের চেয়ে বরাদ্দ ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে, আগামীতে আরও বাড়ানো হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করব মূল্যায়ন নিয়ে জনমনে যে-প্রশ্ন রয়েছে, শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের মনে যে উদ্বেগ রয়েছে, আমাদের সবাইকে এই নতুন ভাবনা সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করা জরুরি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং স্কিম এর স্কিম পরিচালক অধ্যাপক মাহফুজ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব উন্নয়ন) এবং এসইডিপির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো- অর্ডিনেটর মোহাম্মদ খালেদ রহীম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম প্রমুখ।  
আন্দোলনের জেরে চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের চলা অবরোধ ও বিক্ষোভের চার দিনের মাথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।  জানা গেছে, বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের আর শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা এবং জব্দ থাকা ২টি বাসের একটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক রেজাউল বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি একাডেমিক সভায় চুয়েট বন্ধ ঘোষণা করেছেন উপাচার্য। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বাসে আগুন দেওয়ার পর ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। এর আগে, ২৩ এপ্রিল বাসের ধাক্কায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। 
তরুণদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন তিনি।  সদ্য গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তোমরা শুধু চাকরির পেছনে ছুটবে না, উদ্যোক্তা হবে। তোমরা স্বাস্থ্য বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন কর্মমুখী প্রোগ্রামে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছো, সেই হিসেবে তোমাদের কর্মক্ষেত্র তুলনামূলকভাবে সম্প্রসারিত এবং অবারিত। তোমরা তরুণদের জন্য চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে। মনে রাখবে এ ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে এক বন্ধুর ও অমসৃণ পথে তোমাদের নতুন যাত্রা শুরু হলো। বিষয়ভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে সক্ষমতা ও সম্ভাবনার শতভাগ কাজে লাগিয়ে তোমরা স্বনির্ভর জনসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে এবং উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হবে।  ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, একটি কঠিন পথ অতিক্রম করে নিয়মানুবর্তিতা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তোমরা সম্মানজনক সনদ অর্জন করেছো। তবে এর চেয়েও কঠিন পথ তোমাদের সামনে রয়েছে। তোমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অপরিসীম ধৈর্য ও মেধাশক্তি কাজে লাগিয়ে সেই কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে তোমাদের পৌঁছাতে হবে। নিজেদের দক্ষতা এবং যোগ্যতায় কর্মজীবনে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আরোহণ করতে হবে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদুল আলম বলেন, কর্মক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিতে হবে। তোমাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে। তোমরা শুধু কাজ করবে না, কর্মদক্ষ মানুষ তৈরিতেও সহায়তা করবে এবং নিজেদের মাধ্যমে বিশ্বে সুনাম অর্জন করবে।  
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাড়ছে না ছুটি, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
সারাদেশে আবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যা আগামী তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থার মধ্যেই রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের বর্তমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। এ ছাড়া দেশে সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রাও সমান নয়। এ জন্য ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ৪ মে থেকে শনিবারেও শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার পরিকল্পনা আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এর আগে, ২০ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। ওই দিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপপ্রবাহে শিশুশিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।