• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জাবিতে নতুন প্রক্টর আলমগীর কবীর
জাবিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।   আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিল করতে হবে, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করতে হবে, অটোমেশন চালু করতে হবে, অপ্রয়োজনীয় ২৭০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত পাঠাতে হবে। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তামীম স্রোতের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহসভাপতি আশফার রহমান নবীন বলেন, শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি অবৈধ। এই বিশ্ববিদ্যালয় আসা মেহনতি কর্মজীবী কৃষিজীবীদের সন্তানরা যেন পড়তে না পারে তারই একটা পাঁয়তারা করছে প্রশাসন। এ ছাড়া ২৭০ কোটি টাকা ব্যয় করে এই যে,  বিল্ডিংগুলো করছে এগুলো অপ্রয়োজনীয়। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে  রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে এই টাকাগুলো যেন ফেরত নেওয়া হয়। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ফারিয়া জামান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইসফার সাদী এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সজীব আহমেদ জেনিচ।
বশেমুরবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে হিরা-মনিরুল
অবন্তিকার আত্মহনন : অভিযুক্ত দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার তথ্য চায় তদন্ত কমিটি
জানা গেল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ 
যৌন হয়রানি : আরও দুই জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ভর্তির ফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কলেজগুলোতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে (www.nu.ac.bd/admissions) ঢুকে ফলাফল দেখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৪টায়  প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তির প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। জানা গেছে, মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমে ফল দেখেতে nuathnroll no টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। তাছাড়া রাত ৯টা থেকে ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া এ তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এ শিক্ষাবর্ষে ভিন্ন কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি হয়ে থাকলে তাকে অবশ্যই ২৭ মার্চের মধ্যে পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বাতিল করে অনলাইনে চূড়ান্ত ভর্তি ফরম পূরণ করতে হবে। অন্যথায় দ্বৈত ভর্তির কারণে শিক্ষার্থীর ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল বলে গণ্য হবে। মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী তার বিষয় পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক হলে তাকে চূড়ান্ত ভর্তি ফরমে বিষয় পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ঘরে Yes অপশন সিলেক্ট করতে শিক্ষার্থীদের বিষয় পছন্দক্রম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজে বিষয়ভিত্তিক শূন্য আসনে মেধার ভিত্তিতে বিষয় পরিবর্তিত হবে। উল্লেখ্য, এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জাবি প্রক্টরের পদত্যাগ
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান। সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রক্টরের সাময়িক দায়িত্ব পেয়েছেন পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর কবীর। অফিস আদেশ বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাকে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন। উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে হল-সংলগ্ন জঙ্গলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত ও সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে, নিপীড়কদের সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমের অপরাধ তদন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রশাসনিক পদ থেকে তাদের অব্যাহতিসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’।
অবন্তিকার মৃত্যু : তথ্য চেয়ে তদন্ত কমিটির বিজ্ঞপ্তি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তদন্ত কমিটি। সোমবার (১৮ মার্চ) কমিটির সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন পেশ করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রকৃত ঘটনা বিষয়ে তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণাদি প্রয়োজন। কারও কাছে কোনো তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণ থাকলে তা আগামী ২০ মার্চের মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনের নিকট জমা করে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা। এ ঘটনায় গত ১৬ মার্চ রাতে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। পরে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
অবন্তিকার আত্মহত্যা / দ্বীন ইসলাম ও আম্মান রিমান্ডে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম এবং সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৮ মার্চ) ১১ টার দিকে অভিযুক্ত এ দুজনকে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলার পর রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের প্রেক্ষিতে রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক। সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের একদিনের এবং শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীর দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।  রোববার রাতে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল ডিএমপির কাছ থেকে এই দুই ছাত্র-শিক্ষককে কুমিল্লায় নিয়ে আসে। এর আগে গত শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে মেয়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে মামলা করেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। গত শুক্রবার রাতে কুমিল্লায় নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে নিজের মৃত্যুর জন্য সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি। এরপর দায়ীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনার পর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর শনিবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের খণ্ডিত অংশের সত্যতা হয়তো আছে। যা প্রকাশিত হয়েছে সব মিলেছে, তা নয়। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা আছে বলে মনে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নানা ঘটনায় অবন্তিকা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। যাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।  
ইফতারে মানহীন খাবার, ত্রিশালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ 
ইফতারে মানহীন খাবার দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে।   রোববার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় গেট সংলগ্ন সারেং নামের খাবার হোটেল থেকে কেনা ইফতারে মানহীন বেগুনি পাওয়ায় অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। এরপর সেই হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি। এরপর রাতে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত হয়।  এ দিকে রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসী একত্রিত হয়, সেসময় পাল্টা আক্রমণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে ওই হোটেলের গ্লাস ও আসবাবপত্রে ভাঙচুর চালায় শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দফায় দফায় চলেছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, রাস্তায় লাঠি হাতে শোডাউন ও ইট ছোড়াছুড়ি চলে দীর্ঘক্ষণ। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা হলের রাস্তার পাশের কক্ষগুলোতে পাথর ছুঁড়ে মারে এলাকাবাসী। এতে কয়েকটি কক্ষের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এ ছাড়াও ২ নং গেট ও বটতলা সংলগ্ন শিক্ষার্থীদের মেসগুলোতে হামলা চালায় এলাকাবাসী। এরপর আরও উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীরাও হামলা চালায় ও কয়েক দফা সারেং হোটেল ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছিলেন ত্রিশাল থানা পুলিশসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও অন্যান্য শিক্ষকরা।  এ বিষয়ে প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি জানান, যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তা এখন স্বাভাবিক আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ সবাই উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে।  সার্কেল এএসপি (ত্রিশাল) অরিত সরকার আরটিভি নিউজকে বলেন, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। খাবারের মান নিয়ে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছিল। 
অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যা বললেন জবি উপাচার্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম জানিয়েছেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনাটি বড় পরিসরে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোববার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আশ্বাস দেন তিনি। ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনাটি বড় পরিধিতে তদন্ত করতে হবে। এরপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। তাই এ ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগবে।’ এদিকে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। কুমিল্লার কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হওয়ার পর তাদের আটক করা হয়। তাদেরকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের রোববার হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ মার্চ রাতে জবির সহকারী ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এরপর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। পরে উপাচার্য এসে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
সহপাঠী ও প্রক্টরের বিরুদ্ধে লোমহর্ষক বর্ণনা অবন্তিকার মায়ের
সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানের যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন এবং সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের গালিগালাজ থেকে রক্ষা পেতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হোস্টেল ছেড়ে মেসে ওঠেন অবন্তিকা। এরপর তার সঙ্গে আম্মান আরও বেশি কুরুচিমূলক আচরণ শুরু করলে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাসায় ফেরত যান। তবুও আম্মান-দ্বীন ইসলামের অমানুষিকতায় শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন জবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা ফাইরুজ। শনিবার (১৬ মার্চ) কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় করা মামলার এজাহারে এমনটিই দাবি করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম। এতে জবির সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে অবন্তিকার মা উল্লেখ করেছেন, ‘ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল। আমার মেয়ে মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে সিট পায়। অবন্তিকা আমাকে জানায় যে, তাঁর ক্লাসমেট রায়হান সিদ্দিক আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন দেয় ও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এজন্য আমার মেয়ে হোস্টেলে থাকাটা নিরাপদ মনে না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করে।’ ‘কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত দুজন ক্ষান্ত হননি। তারা অবন্তিকার কয়েকজন ক্লাসমেটের মাধ্যমে তাঁর চলা ফেরার প্রতি নজর রাখতে শুরু করে। তাদের মাধ্যমেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লার বাসায় চলে আসে। অন্যমনস্ক অবন্তিকা আমাকে জানায়, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে উঠেছিল সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। অর্থাৎ বিবাদী রায়হান সিদ্দিক আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে আমার মেয়ের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে।’ তাহমিনা বেগম দাবি করেন, ‘সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে ৬ থেকে ৭ বার অফিসে ডেকে অপদস্থ করেন। মেয়ে কুমিল্লা চলে আসলেও তাকে খারাপ মেয়ে হিসেবে প্রচার করবে, যেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে আমার মেয়ে কুমিল্লা নগরীর বাঁগিচাগাও বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।’ কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেছেন।মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।