• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
চা খাওয়ার কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে ফের মানববন্ধন 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আবারও মানববন্ধন করা হয়েছে।  বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এই মানববন্ধন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগানে প্রতিবাদ জানান তারা।  মানববন্ধনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গেলাম কিবরিয়া চৌধুরী মিশু বলেন, গত জুলাই আন্দোলনে ২০ হাজারেরও বেশি ভাই আহত হয়েছেন। তাদের এই ত্যাগের কারণে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম যেখানে শিক্ষার্থীরা মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সুযোগ-সুবিধা পাবে। কিন্তু আপনারা আজ একটু খোঁজখবর নিলে দেখবেন, কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া বাকি সবাই কোনো না কোনো ভাবে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। এই আত্মীয়তার বন্ধন এখনই সময় ভেঙে ফেলার। তিনি আরও বলেন, আমাদের বুকে যতক্ষণ পর্যন্ত রক্ত ও শক্তি আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথে দাঁড়িয়ে থাকবো। ইনশাল্লাহ! আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হওয়ার পরেও এখন আমাদের রাস্তায় দাঁড়ানো দুঃখজনক।  এ সময় উম্মে সালমা নামের তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মকর্তা বলেন, আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে যাই তখন দেখি এই বাচ্চারা পোষ্য কোটা নিয়ে কথা-বার্তা বলছে। তখন আমি রিকশা থেকে নেমে দাঁড়িয়ে যাই। তাদের কষ্ট দেখে আমার বুকে আবু সাইদ, আবু রায়হানের মায়ের কান্না সহ সারা বাংলাদেশের সকল মায়ের কান্নার কথা মনে পড়ে। তাই আমি তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। আমি পোষ্য কোটার অন্তর্ভুক্ত হলেও আমি পোষ্য কোটা চাই না।  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, কোটা সংস্কার করতে গিয়ে শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়ে গেল, রাষ্ট্র সংস্কার হয়ে গেল। কিন্তু পোষ্য কোটার মতো একটি অযৌক্তিক কোটা এখনো রয়ে গেল। এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাল-বাহানা শুরু করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, আমরা আমাদের জায়গা থেকে বিন্দু পরিমাণ সরে যাই নাই। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়ব না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন বিভিন্ন ধরনের যুক্তি দেখাচ্ছে। আপনাদের যুক্তি এই জুলাই বিপ্লবের কাছে কিছুই না।  এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনেও বসেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দীনকে সভাপতি করে ২০ সদস্যের এ কোটা পর্যালোচনা কমিটি গঠিত হয়। তবে এ কমিটি এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও কার্যকরী সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বলে জানা গেছে। পরে প্রশাসনকে লাল কার্ড দেখানো সহ একাধিক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আরটিভি/এএএ 
ভর্তি ফি কমানোসহ ৩ দাবিতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন 
জাবিতে ‘মুসলিম উম্মাহ গঠন: নতুন ইসলামি সভ্যতা বিনির্মাণের পূর্বশর্ত’ সেমিনার অনুষ্ঠিত
ভারতীয়দের বড় দুঃসংবাদ দিলো যুক্তরাষ্ট্র
১১ ডিসেম্বর : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
গণ-অভ্যুত্থান মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের সুযোগ দিয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের সুযোগ দিয়েছে। আমরা যখন দেশের বিভিন্ন স্থানে গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতিগুলো দেখি, তখন সেগুলো আমাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাদের সবার দায়িত্ব নিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করতে হবে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের আয়োজনে গণ-অভ্যুত্থান- উত্তর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দার্শনিক ভিত্তি শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার বিদ্যমান সমস্যার সমাধান এবং কাঙ্ক্ষিত মান উন্নয়ন করাই এই সরকারের লক্ষ্য। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ভাষাজ্ঞান ও গাণিতিক দক্ষতার কাঙ্ক্ষিত উত্তরণ করতে পারলেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মূল লক্ষ্য অর্জিত হবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সামাজিক আচরণের বিকাশে ও শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা এতদিন শাব্দিক স্বাধীনতা পেলেও অধিকার পাইনি বলে ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান দেখতে হয়েছে। আমরা যে না বলা কথা বলতে পারিনি, সেটাই দর্শন হ‌ওয়ার কথা। ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের পরিবর্তনে সবার এগিয়ে আসা উচিত। আমাদের অধিকার হরণ করা হয়েছিল বলে রক্তক্ষয়ী-২৪ দেখতে হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার যাতে আর কখনো লঙ্ঘন না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে স্থায়ী সমাধানে সবার এগিয়ে আসতে হবে। দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, গণ-অভ্যুত্থান উত্তর বাংলাদেশে অনেক বিষয়ের সংস্কার হচ্ছে। এখন গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের দার্শনিক ভিত্তি কি হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন। আমরা সবাই একসাথে ফ্যাসিস্ট রেজিমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এখন দেশের সংস্কারে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। মূল প্রবন্ধ পাঠে দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ ম‌ঈনুল আলম নিজার বলেন, আড়াই হাজার বছর আগের গণতন্ত্র দিয়ে আমাদের দেশ চলছে। ফলে প্রত্যেক বছর নির্বাচনের সময় আমাদের দেশে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এখন সংবিধানকে জনগণের জন্য উপযোগী করে তুলতে হবে। রাষ্ট্রকে জাতির প্রশ্নে নিরপেক্ষ থাকা উচিত। এছাড়া আমাদের উচিত শ্রেণী এবং গোষ্ঠীর ধারণা থেকে বের হয়ে আসা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মানুষের ভাগ্য ন্যায্যতা ও সাম্যতার ভিত্তিতে হতে হবে। অনুষ্ঠানে দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদা আকন্দের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক এ এস এম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া ও অধ্যাপক মো. মুনির হোসেন তালুকদার প্রমুখ। আরটিভি/এএএ 
মেডিকেলে ভর্তির আবেদন শুরু, চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিজিএমই) ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ডিজিএমইর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবিনা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এইচএসসির সিলেবাসের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্ন থাকবে, প্রতিটি প্রশ্নে এক নম্বর থাকবে, মোট ১০০ নম্বর। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন হবে- জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থ বিজ্ঞান ২০, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ১০। ভর্তি পরীক্ষার সময় হবে এক ঘণ্টা। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য এক করে নম্বর দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আরটিভি/একে/এস
ভারতের সঙ্গে এখন থেকে কথা হবে চোখে চোখ রেখে: হাসনাত
ভারতের সঙ্গে আর কোনো নতজানু সম্পর্ক নয়, এখন থেকে চোখে চোখ রেখে কথা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত গণজমায়েতে তিনি এ মন্তব্য করেন। গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ গণজমায়েতের আয়োজন করে। গণজমায়েতে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ভারত চেয়েছে সংখ্যালঘুদের উসকে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে। কিন্তু আমরা ভারতের ফাঁদে পা দিইনি। তাদের সঙ্গে আর কোনো সমঝোতার রাজনীতি চলবে না। আর কোনো গুম নয়, আর কোনো খুন নয়। হয় মাতৃভূমি, না হয় মৃত্যু। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের যারা ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) সুযোগ দিয়েছেন তাদের খুঁজে বের করতে হবে। একই সঙ্গে যারা আমাদের পুলিশকে বিরোধীমত দমনে গুম-খুনের কাজে ব্যবহার করেছে, তাদেরকেও সামনে আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে নির্বিচারে গুম, খুন ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তিকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কারা এই সুযোগ দিয়েছেন তাদের খুঁজে বের করতে হবে। যারা আমাদের পুলিশকে গুম-খুনের কাজে ব্যবহার করেছে এবং ফ্যাসিবাদীকে নিয়ে ছবি বানিয়েছে, তাদের পক্ষে লিখেছে, তাদেরকেও খুঁজে বের করতে হবে। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালকে পুঁজি করে যাদের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে, তাদের সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে। বিচার নিশ্চিত না করে আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। ক্ষমতায় যাবার আশায় যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করার কথা বলেছে, তাদের উদ্দেশ্য কখনও সফল হবে না। যারা বিচারের আগেই আওয়ামী লীগকে আবার রাজনীতির মাঠে আনতে চান, তাদের শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে যেতে হবে। গণজমায়েতে ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি, গুম কমিশনের প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল। আরটিভি/এফএ/এস
পুলিশকে ‘টিস্যুর’ মতো ব্যবহার করেছে আওয়ামী সরকার: সারজিস
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে ‌‘টিস্যুর’ মতো ব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিপীড়তদের গণজমায়েতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। সারজিস বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলে পুলিশ দিয়ে জনগণের ওপর নিপীড়ন চালানো হয়েছে, নির্বিচারে গুম-খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, দল-মত নির্বিশেষে সবাই যখন ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে, তখনই শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এখনও জুলাই আন্দোলন ঘিরে মামলা বাণিজ্য হচ্ছে। তবে আমরা সেসব সফল হতে দেব না। তিনি আরও বলেন, জনগণের সঙ্গে না থাকলে হাসিনার মতো অবস্থা হবে। এখন আগের মতো আর অসমতার সম্পর্ক ভারতের সঙ্গে নয়। কোনো ধর্ম বা জাতির নামে কেউ উগ্রবাদী কিছু করার চেষ্টা করলে সেটা আমরা সফল হতে দেব না। সবাই মিলে রুখে দেব। আমরা কাউকে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে সুযোগ দেব না।   মায়ের ডাক সংগঠনের আয়োজনে এই গণজমায়েতে ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি, গুম কমিশনের প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল।   আরটিভি/এফএ/এস
এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল
২০২৫ সালের অনুষ্ঠেয় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে পারবেন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণের সময় আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর। এর আগে, গত ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়। জরিমানা ছাড়া যা চলে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে শেষদিনে এসে সময়সীমা আরও পাঁচদিন বাড়ানো হলো। আরটিভি/আইএম/এআর
রাবিতে পোষ্য কোটার কবর দিলেন শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটাকে কবর দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা৷ তবে তারা জানাজার নামাজ পড়েননি।  সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে কবর দেওয়া হয়। তারা জানান, অবৈধ কোনো কিছুর জানাজা তারা পড়াবেন না। এর আগে শহীদ মিনার চত্বর থেকে পোষ্য কোটার প্রতীকী মরদেহ নিয়ে জোহা চত্বর অভিমুখে জানাজার উদ্দেশে রওনা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানাজার নামাজ না পড়ার সিদ্ধান্ত নেন।  শিক্ষার্থীরা কোটা না মেধা, মেধা মেধা; পোষ্য কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা সুযোগ পাক; জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে; আপস না মৃত্যু, মৃত্যু মৃত্যু, লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে মুক্তি চাই; পোষ্য কোটার গদিতে, আগুন জ্বালো একসঙ্গে ইত্যাদি স্লোগান দেন। জানাজার নামাজ না পড়ার প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা বলেন, অবৈধ কোনো কিছুর জানাজা তারা পড়াবেন না। যেটার কোনো অস্তিত্ব নেই সেটার জানাজা কি পড়বো?  সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে কবর শেষে মোনাজাত করেন শিক্ষার্থীরা। পোষ্য কোটাকে ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে পাঠানোর জন্য দোয়া করা হয়। আরটিভি/এমকে/এআর
বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার, দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ‘শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প–এর আওতায় দেশের ৮টি বিভাগের ১৬টি জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ চলমান। এসব জেলায় ফ্রিল্যান্সিং কোর্সে বিনা মূল্যে ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দিনে ২০০ টাকা করে ভাতা পাওয়া যাবে। যেসব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন: ঢাকা, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, রাজশাহী, নড়াইল, ঠাকুরগাঁও, ভোলা, শেরপুর, সিলেট ও সুনামগঞ্জ। আবেদনের যোগ্যতা: কমপক্ষে এইচএসসি বা সমমান পাস শিক্ষার্থীরা ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হতে আবেদন করতে পারবেন। প্রশিক্ষণার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর। প্রশিক্ষণের জন্য কোনো ভর্তি ফির প্রয়োজন হবে না। যোগ্য আবেদনকারীদের লিখিত পরীক্ষা ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে। প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হলে প্রশিক্ষণার্থীরা দৈনিক ২০০ টাকা হারে ভাতা পাবেন। ক্লাসের সময়: ৩ মাসব্যাপী এ কোর্সে সপ্তাহে ৬ দিনেই প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে ক্লাস করতে হবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণে। মোট ৭৫ টি ক্লাস হবে ৬০০ ঘন্টায়। কোর্সটি সম্পূর্ণ অফলাইন বা ক্লাসের উপস্থিত হয়ে ক্লাস সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনের নিয়ম: আবেদনের বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের সময়সীমা: নতুন ব্যাচে ভর্তির জন্য ইতিমধ্যে আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত। আরটিভি/এফআই/এআর