• ঢাকা শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪, ১ চৈত্র ১৪৩০
logo
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় বসছেন সাড়ে ১৮ লাখ প্রার্থী
যৌন হয়রানির অভিযোগে এক শিক্ষক স্থায়ী, আরেকজন সাময়িক বরখাস্ত
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনায় দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িত মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে স্থায়ী বরখাস্ত এবং প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম সিন্ডিকেট সভা শেষে রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সম্প্রতি মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগে যৌন হয়রানির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গতকাল ১৩ মার্চ এই দুই শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের এই আদেশে নাখোশ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের গতি বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসসিক ভবনসহ সকল বিভাগে এবং ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে আন্দোলনকারিরা এই দুই শিক্ষককে স্থায়ী বহিস্কার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল আটকে দেয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (উপাচার্য) প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ থেকে সরে যায় শিক্ষার্থীরা।         এই অবস্থায় মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসনে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৪ মার্চ সকালে ৮৪তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে যৌন হয়রানির ঘটনায় এই সিদ্ধাস্ত নেওয়া হয়। এ সময় আন্দোলনকারিরা ঘোষিত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেয়। এ সময় ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া, ভিসি প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীরসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।   এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই তদন্ত কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারিরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেটসহ ভাঙচুর করে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।    
জাবিতে প্রতিবাদী গণ-ইফতারের আয়োজন
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটি
ভুল চিকিৎসায় সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু, জাবিতে মানববন্ধন
চিকিৎসার জন্য টাকা পাবেন শিক্ষার্থীরা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ভর্তির ফল প্রকাশ আগামী ১৮ মার্চ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কলেজগুলোতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদনের ফল প্রকাশিত হবে আগামী ১৮ মার্চ। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ঢুকে ফলাফল দেখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে।  বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, ভর্তি আবেদনের ফল প্রকাশের জন্য সকল প্রস্তুতি চলছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে ফল প্রকাশ করতে পারব। সবকিছু প্রস্তুত হয়ে গেলে আগামী ১৮ মার্চ ফলাফল প্রকাশিত হবে।  এর আগে, গত ২১ জানুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত স্নাতক (সম্মান) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ২২ জানুয়ারি থেকে ভর্তির আবেদন শুরু হয়ে চলে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কলেজগুলোতে এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ভিত্তিতে স্নাতকে ভর্তি নেওয়া হবে। তাই এবারও কোনো ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না।   জানা গেছে, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়।  তবে এর আগ পর্যন্ত অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।    
উপাচার্যের আশ্বাসে জাবিতে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম তিন কার্য দিবসের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়ায় পাঁচ দফা দাবিতে চলমান অনির্দিষ্টকালের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আন্দোলনকারীরা। এর আগে বুধবার সকাল ৯টায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে আন্দোলনকারীরা। পূর্বের দিনের মতো এদিনও প্রশাসনিক ভবনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এছাড়া আসেননি উপাচার্যও। ফলে প্রশাসনিক ভবন গত তিন দিন ধরে কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের সামনেই সমস্যা সমাধানে আলোচনায় বসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ডিনদের মধ্যস্থতায় বিকেল তিনটায় আলোচনায় বসে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। সংবাদ সম্মেলনে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের পক্ষে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সাথে আলোচনায় বসেছিল। সেখানে আগামী ১৮ তারিখ দুপুর পর্যন্ত প্রক্টর ও প্রভোস্টের অব্যাহতির বিষয়ে সময় চেয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে মধ্যে প্রক্টর ও প্রভোস্ট স্বেছায় পদত্যাগ করবে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট অনুসারে উপাচার্য তাদের অপসারণ করবেন। এছাড়া অছাত্রদের তালিকা তৈরি ও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে কি আলোচনা হয়েছে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পারভীন জলী বলেন, উপাচার্য বলেছেন অছাত্রদের তালিকা ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। ১৮ তারিখের পরে তিনি আমাদের হাতে তালিকা হস্তান্তর করবেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবেন বলে জানিয়েছেন। যদি ১৮ তারিখের মধ্যে আমাদের দেয়া আশ্বাস বাস্তবায়ন না করেন তাহলে আমরা আমাদের কর্মসূচি পরবর্তীতে পুনরায় অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখবো। ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, তিনদিনের অবরোধের পর ভিসি আমাদের সঙ্গে মিটিং করেন আজ। তিনি আমাদেরকে কথা দিয়েছেন ১৮ তারিখ দুপুরের আগেই আমাদের দাবির ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিবেন। প্রভোস্ট এবং প্রক্টরকে সড়িয়ে দিবেন। যদি তা না করেন তাহলে আমাদেরকে আবার অবরোধ করতে বলেছেন। তাই আমরা তার প্রতি আস্থা ও সম্মান রেখে আন্দোলন আপাতত মুলতবি রাখছি। যদি তিনি তার কথা না রাখেন তাহলে আন্দোলন আরো কঠোর হবে এবং এর সকল দায়ভার প্রশাসনকে বহন করতে হবে।  এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রববানী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম, নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য-সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ প্রমুখ।  
জবির ক্যাফেটেরিয়ায় ৫০ টাকায় ইফতার প্যাকেজ
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়ায় থাকছে ইফতারের ব্যবস্থা। মাত্র ৫০ টাকার ইফতার প্যাকেজে পাওয়া যাচ্ছে ৮টি আইটেমের বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রথম রোজা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে ৫০ টাকা মূল্যের এই ইফতার প্যাকেজ পাওয়া যাচ্ছে। ইফতার প্যাকেজে রয়েছে আটটি ভিন্ন ভিন্ন আইটেম।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো. মাসুদ জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও আমরা শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে স্বল্পমূল্যে মানসম্মত ইফতারের আয়োজন করতে যাচ্ছি। ৫০ টাকা মূল্যের আমাদের ইফতার আয়োজনে রয়েছে মোট ৮টি ভিন্ন ভিন্ন আইটেম। তার মধ্যে ১টি আলুর চপ, ১টি বেগুনি, ১টি পিয়াজু, ২টি খেজুর, ১ প্যাকেট মুড়ি, ১ বাটি ছোলা, ১ গ্লাস শরবত ও প্রতিদিন ভিন্ন ধরণের ফল থাকবে একটি। প্যাকেজটি সম্পর্কে জানার পর জাহিদ হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, রমজান মাসে রাস্তা ঘাটে অনেক ইফতার আইটেম পাওয়া যায়। কিন্তু আইটেম গুলো আলাদা আলাদা কিনতে হয়, তাতে বেশি খরচ পড়ে, একসঙ্গে সব আইটেম থাকায় বেশ ভালই হয়েছে। তানজিমুল হক নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমানে সব কিছুর দাম বেশি। ৫০ টাকায় আইটেম মোটামুটি ঠিক আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে-পাশে আমরা মেসে থাকি, তারা একসঙ্গে ক্যান্টিনে বসে ইফতার করতে পারছি। ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. জি এম আল-আমীন বলেন, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি হওয়া সত্বেও আমরা এ বছরও কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় ইফতারের ৫০ টাকা প্যাকেজটি চালু রেখেছি। ট্রেজারারের মৌখিক অনুমতিতে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা এ দাম নির্ধারণ করেছি। উল্লেখ্য, ইফতারের সব ধরনের আয়োজন অন্তর্ভুক্ত থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা। দামে সাশ্রয়ী ও সব শিক্ষার্থী একসঙ্গে ইফতারের সুযোগ পাচ্ছে বিধায় তারা খুশি। ক্যাফেটেরিয়ায় সাহরির আয়োজনেরও দাবি করেছেন তারা।  
রাবির ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক শ্রেণিতে প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।  বুধবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টার অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ফল প্রকাশ করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। প্রকাশিত ফল থেকে জানা যায়, ‘বি’ ইউনিটে বাণিজ্য, মানবিক ও বিজ্ঞান; এই তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরাই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে বাণিজ্য বিভাগের ১৫ হাজার ৬২৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৭ হাজার ৭৭ জন। কৃতকার্যের হার ৪৫.৩ শতাংশ এবং সর্বোচ নম্বর ৮৬.৫। বিভিন্ন ভুলের কারণে খাতা বাতিল হয়েছে ১৮ জনের। বিজ্ঞান বিভাগের ১১ হাজার ৩৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩০০ জন। কৃতকার্যের হার ১১.৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ নম্বও ৭২। খাতা বাতিল হয়েছে ২৮ জনের। এ ছাড়া মানবিক বিভাগের ৭ হাজার ৫২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ২৫৭ জন। কৃতকার্যের হার ১৬.৭ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ নম্বর ৭৬.৫। খাতা বাতিল হয়েছে ১৭ জনের। ফল প্রকাশের সময় অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে, আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যাসহ সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভাইরাল ছবি প্রসঙ্গে যা জানালেন ববি উপাচার্য বদরুজ্জামান
ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার ছবি ভাইরাল হয়। কেউ এটিকে নেতিবাচক হিসেবে, আবার ইতিবাচক হিসেবে মন্তব্য করছেন।  উপাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি সবার মন জয় করে কাজ করতে চাই। এটা মানুষের ভালোবাসা। আর এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই। এর আগে, গত ৪ মার্চে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় পর রেওয়াজ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী ও রাজনৈতিক সংগঠন গুলো ফুল দিয়ে বরণ করে নেন উপাচার্যকে। মানুষের দেওয়া শুভেচ্ছা সম্বলিত ফুলের তোড়া চারপাশে সাজিয়ে ছবি তুলেছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট দিয়েছিলেন তার এক শিক্ষার্থী। সেই পোস্টটি শেয়ার করেছিলেন উপাচার্য। তবে ছবিটি ভাইরাল হওয়ায় পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে নতুন করে আলোচনায় নিয়ে এসেছে উপাচার্য ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়াকে। কেউ মন্তব্য করেছেন ফুলের রাজ্যে এক টুকরা মৌমাছি। আবার অনেকে বলেছেন এটা তার কাজের ভালোবাসার ফলস্বরূপ। ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা গেছে। কটূক্তি করে অনেকে করেছেন মন্তব্য।  ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, উপাচার্য মাঝখানে বসে আছেন। তার চারপাশে রয়েছে শুভেচ্ছা সম্বলিত ফুলের তোড়া। ছবিটি নিয়ে নেটিজেনরা ফেসবুকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অংশ নিয়েছেন সমালোচনায়। তাদের মধ্যে রয়েছে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরাও। আবার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক আবু জাফর মিয়া লিখেছেন, উপাচার্য স্যারের মত একজন ডাইনামিক, এনার্জেটিক এবং ইয়াং ভিসি পেয়ে সত্যিই ধন্য। তার মত শিক্ষার্থীবান্ধব ভিসি পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। তিনি এত এত ফুল পেয়েছেন, সেটা নিয়েই তো সমালোচনা, তাই না? কিন্তু বুঝতে হবে ফুল কেউ তেল দেওয়ার জন্য দেয় নাই। বরং তিনি তার কর্মকান্ডের জন্য ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মন জয় করে নিয়েছেন। তাই তিনি ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় সবাই আনন্দিত হয়ে ফুল দিয়েছেন। এখানে বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখার সুযোগ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক লিখেছেন, কেউ নতুন পদে আসীন হলে আমাদের দেশে ফুল দেওয়ার রেওয়াজ আপনাদের সবারই জানা আছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ার পর বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ পুরো বরিশালবাসী স্যারকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। সুতরাং বিষয়টিকে ভিন্নভাবে উপস্থান না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা ১৪ মার্চ শুরু হচ্ছে, যা আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন। তিনি জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় পর্বে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে তিন বিভাগের ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি এ লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জনের মধ্যে ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হন।
নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়ে নোবিপ্রবি ও শাবিপ্রবিতে গণইফতার
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টির আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় দুটিতে।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নোবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গণইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এর আগে দুপুরে জোহরের নামাজের পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।  এর আগে, গত সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল আয়োজনের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদস্বরূপ সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণ-ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করে।  সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বানী ইয়ামিন বলেন, শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাঙালি মুসলমানদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার পার্টিকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করে নোটিশ দিয়েছে। ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে এ ধরনের নোটিশ বড় ধরনের ধৃষ্টতা এবং হাজার বছরের ধর্মীয় ঐতিহ্যকে অবমাননার শামিল। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ এখানে শত বছর ধরে হিন্দু মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা মিলেমিশে স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। আমরা একে অপরকে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু ট্যাগ দিয়ে আসি নাই। কিন্তু আজ ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে সংখ্যালঘুদের মতো আচরণ করা হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি ইফতার পার্টি নিষেধাজ্ঞার নোটিশটি সংশোধন করা হয়েছে। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই পাশাপাশি ভবিষ্যতে এরকম নোটিশ জারি করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য প্রশাসনের নিকট আমাদের উদাত্ত আহ্বান রইলো।  এদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে গত ১০ মার্চ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ জানালো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরেজমিন দেখা যায়, ইফতারের এক ঘণ্টা আগে থেকেই হল ও ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের আগমন শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইফতার সম্পন্ন হয়। গণ ইফতারে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, ইফতার মাহফিল করা এটা আমাদের মুসলমানদের ঐতিহ্য। ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্য। অথচ ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল না করার জন্য অনুরোধ করে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা এর প্রতিবাদে গণ-ইফতার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছি। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। আরেক শিক্ষার্থী দেলওয়ার হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার বিজ্ঞপ্তিতে গণ-ইফতার আমাদের মৌন প্রতিবাদ। আমরা চাই, ক্যাম্পাসে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে ইফতার পার্টি অব্যাহত থাকুক। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে কখনো না নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জানা যায়, রমজান মাসে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার অনুরোধ জানিয়ে রোববার (১০ মার্চ) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রশাসন। সোমবার (১১ মার্চ) বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। সমালোচনার মুখে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিতে বাধ্য হয় শাবিপ্রবি প্রশাসন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। তবে ইফতার পার্টিতে প্রশাসন থেকে কোনো অর্থ সহায়তা করা হবে না বলে জানায় প্রশাসন।