• ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১
logo
২৪ ঘণ্টা পার হলেও চালু হয়নি বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
একযোগে চট্টগ্রাম নগরীর ১৩ থানার ওসিকে বদলি
চট্টগ্রাম নগরীর ১৩ থানার ওসিকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম জেলার ১৭ জন পরিদর্শককেও বদলি করা হয়েছে। সোমবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জারি করা পৃথক আদেশে তাদের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান। জানা যায়, সিএমপির ১৩ ওসির মধ্যে কোতোয়ালি থানার এস এম ওবায়দুল হক, আকবরশাহ থানার গোলাম রব্বানী, চকবাজার থানার ওয়ালী উদ্দিন আকবর, হালিশহর থানার কায়সার হামিদকে নৌপুলিশে, খুলশী থানার ওসি কবিরুল ইসলাম ও কর্ণফুলী থানার জহির হোসেনকে পিবিআই, চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবীর ও পাহাড়তলী থানার কেপায়েত উল্লাহকে ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা, সদরঘাট থানার ফেরদৌস জাহান, ডবলমুরিং থানার ফজলুল কাদের পাটোয়ারী, বন্দর থানার মনজুর কাদের মজুমদার ও ইপিজেড থানার মোহাম্মদ হোছাইনকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলায় কর্মরত মোট ১৭ জন নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শকের মধ্যে মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম, মো. মনিরুজ্জামান, মো. কামরুজ্জামান, মীর মো. নুরুল হুদা ও চন্দন কুমার চক্রবর্তীকে পিবিআই, আবদুল্লাহ আল হারুন, কামাল উদ্দিন, কবির হোসেন ও ওবায়দুল ইসলামকে সিআইডি, জাহিদ হোসেন ও তোফায়েল আহমেদ ট্যুরিস্ট পুলিশ, মির্জা মোহাম্মদ হাসান, জসীম উদ্দিন, মো. আছহাব উদ্দিন, মিজানুর রহমান ও রাশেদুল ইসলাম সিআইডি এবং মোল্লা জাকির হোসেনকে রেলওয়ে রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন চট্টগ্রামের ১২ থানায় ওসির দায়িত্বে ছিলেন। গত ২ সেপ্টেম্বর তাদের ওসির দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্তির আদেশ দিয়েছিলেন জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান। আরটিভি/এমকে-টি
নবজাতকের মরদেহ মিলল ময়লার ভাগাড়ে
দেশে ১৪ হাজার নতুন রোহিঙ্গা, অপেক্ষায় আরও ৭০ হাজার
চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতা আশ্রাফ গ্রেপ্তার
ওরস চলাকালে শাহপরান (রা.)-এর মাজারে হামলা, আহত ৫
বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে।  সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের শল্লা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতের নাম আবদুল জলিল। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর গ্রামের শফিউল শেখের ছেলে ও পেশায় একজন পিকআপ ভ্যান চালক।  যমুনা সেতু পূর্ব থানার উপপুলিশ পরিদর্শক আবদুল হামিদ বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের একটি বাস ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার শল্লা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপ ভ্যান চালক জলিল নিহত হন। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন।  তিনি আরও বলেন, মরদেহ থানায় রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।   আরটিভি/আইএম-টি
আবু সাঈদ হত্যা: দুই পুলিশ সদস্য ৪ দিনের রিমান্ডে
কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত এএসআই আমির হোসেন ও সুজন চন্দ্র রায়কে রংপুর মেট্রোপলিটন আমলী আদালতে নেওয়া হয়। এ সময় পিবিআই তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।  বাদী পক্ষের আইনজীবী জানান, আসামিরা সরাসরি শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি করেন। এ ঘটনায় ওই দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের কাছে সোমবার রাতে তাদের হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার সকালে আদালতে হাজির করা হয় দুই পুলিশ সদস্যকে। সেখানে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে ১৯ আগস্ট মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন, পুলিশ সদস্য আমির হোসেন, সুজন চন্দ্র রায়সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। এ ছাড়া ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।    আরটিভি/এআর-টি
খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
খুলনায় একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে নগরীর বয়রা এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আশরাফুল, মামুন ও রাব্বি। তবে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, সকালে নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদে কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় অসাবধানতায় আশরাফুল, মামুন ও রাব্বি ছাদ থেকে পড়ে যান। সহকর্মীরা দ্রুত উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বয়রা মহিলা কলেজের বিপরীত পাশে কর ভবনে নির্মাণকাজ করছিলেন রড মিস্ত্রিরা। সেখানে অসাবধানতায় পাঁচ তলা থেকে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ঘটনাটি সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকার। আরটিভি/আইএম-টি
কৃষক হত্যা মামলায় ২৬ বছর পর ২৬ জনের যাবজ্জীবন
নওগাঁয় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জেলার মান্দা উপজেলার ভরট্ট শিবনগর গ্রামের কৃষক আজিমুদ্দিনকে (৫৫) হত্যা মামলায় ২৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মোখলেছুর রহমান এ রায় দেন। ২৬ বছর আগে ১৯৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভরট্ট শিবনগর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আজিমুদ্দিন নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আজিমুদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মান্দা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।  মামলা চলাকালে অভিযুক্ত ৮ জন আসামি বিভিন্ন সময়ে মারা যাওয়ায় তাদের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ২৬ জন আসামির মধ্যে ২২ জনকে আদালতে আনা হয়। চারজন পলাতক। পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে গ্রেপ্তার করে সাজা পরোয়ানা অনুযায়ী কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছন আদালত।    আদালতে উপস্থিত থাকা যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ২২ আসামি হলেন, মান্দা উপজেলার ভরট্ট শিবনগর গ্রামের মনছুর আলী, আলতাব হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ফজের আলী, ফজলুর রহমান, কাদের আলী, জবেদ আলী, কাজেমুদ্দিন, অহিদুল ইসলাম, আছিব উদ্দিন, মোখলেছার রহমান, কাশেম আলী, লিয়াকত আলী, জালাল, শাহজাহান আলী, ছাইদুর রহমান, পৈক্যা ওরফে বুলু, আজাদ আলী মৃধা, আশরাফুল মৃধা, কলিমুদ্দিন, পটল ওরফে পরশ উল্যা ও গুল মাসুদ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক চার আসামী হলেন, ভরট্ট শিবনগর গ্রামের এনামুল হক, আনিছুর রহমান, মোখলেছুর রহমান ও মোজাহার আলী।    আদালত ও মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ভরট্ট শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা আজিমুদ্দিন গ্রামের মসজিদের নামে থাকা জমি লিজ নিয়ে ভোগদখল করতেন। সেই জমি নিয়ে আজিমুদ্দিনের সঙ্গে একই গ্রামের বাসিন্দা মনসুর আলী, শাহজাহান আলী ও আলতাব হোসেনের বিরোধ চলছিল। ১৯৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর সকাল ৬টার দিকে মনসুর আলী, শাহজাহান আলী ও আলতাব হোসেন লোকজন নিয়ে আজিমুদ্দিনের ভোগদখল করা জমিতে ধানের চারা রোপন করতে হয়।  এ সময় আজিমুদ্দিন তাদেরকে বাধা দিতে গেলে মনসুর আলী, শাহজাহান আলী আলতাব হোসেন ও তাদের সহযোগীরা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার শরীর এবং মাথায় আঘাত করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় আজিমুদ্দিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পর দিন তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আজিমুদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মান্দা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৯৯৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আদালতে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় মামলার চার্জভুক্ত ৮ আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাদের নাম মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর ফলে পরবর্তীতে ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলমান থাকে।  ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে দীর্ঘ ২৬ বছর পর সোমবার দুপুরে মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সামসুর রহমান এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ আলী।  রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সামসুর রহমান বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কৃষক আজিমুদ্দিনকে নিমর্মভাবে পিটিয়ে ও অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে হত্যা করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় আদালত মামলায় অভিযুক্ত সকল আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।  রায়ে আদালত বলেছেন, রায় ঘোষণার আগে আসামিদের হাজতবাস ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৫ ধারা মোতাবেক সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে। আরটিভি/ এমএ
শেখ হাসিনাসহ সাবেক ৬ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ায় ১০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ এনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার ছয় মন্ত্রীসহ ১১৫ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয় সুনির্দিষ্ট ১৫ জন এবং অজ্ঞাত আরও ১০০ জনকে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনলাইন সফটওয়্যারভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. নুর মোহাম্মদ চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবির চৌধুরীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।  মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. আলী আরাফাত, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা জিয়াউল হক আহসান ও বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল মো. সোহায়েলকে। মামলার আরজিতে বলা হয়, বাদী ফেনী জেলার সাফিয়াবাদ এলাকার ভূঞা বাড়ির মো. নুর নবীর ছেলে নুর মোহাম্মদ ‘দুরন্ত সাপ্লাইয়ার’ এবং ‘দুরন্ত বাজার’ নামে অনলাইন সফটওয়্যারভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী। তিনি দাবি করেন, ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড বন্ধ থাকা অবস্থায় বাদীর ব্যবসা অনলাইন ও সফটওয়্যারভিত্তিক হওয়ায় কর্মচারীদের বেতন ভাতা, গাড়ি ভাড়া, শো-রুম ভাড়া, বাসা ভাড়াসহ অনলাইন ব্যবসায় পণ্য সরবরাহ ও আর্থিক লেনদেন ব্যাহত হয়। এতে বাদীর ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ও জনগণের জনমালের ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ আনা হয়।  সূত্র: বাসস আরটিভি/এফআই-টি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন / একটি বুলেট কেড়ে নিল তানভীরের পরিবারের স্বপ্ন
তানভীর সিদ্দিকি। তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল পরিবারের। কারণ তিনি ছিলেন দরিদ্র পরিবারের বড় ছেলে। মা-বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটা চাকরি করবে। সংসারের দুঃখ ঘুচবে। কিন্তু ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিয়েছে পরিবারের স্বপ্ন। একদিকে তাকে হারিয়ে শোকে পাগলপ্রায় তার মা-বাবা। অন্যদিকে মনে শঙ্কা, সংসারে সুদিন কি আর কখনো আসবে না?  নিহত তানভীর সিদ্দিকির বাবা বাদশাহ মিয়া। তিনি পান বিক্রি করে সংসার চালান। বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নে। পাঁচ জনের সংসারের খরচ জোগাড় করতে ‘নুন আনতে পান্তা ফুরানোর’ অবস্থা। তারপরও সন্তানদের পড়াশুনার ব্যাপারে অনড় খেটে খাওয়া মানুষটি। তানভীর নগরীর পাঁচলাইশ আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। চারটি পরীক্ষা দেয়ার পর কোটাবিরোধী আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে আর পরীক্ষা হয়নি। তানভীর যুক্ত হয়ে পড়েন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে। গত ১৮ জুলাই বিকেলে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের দ্বিমুখী আক্রমণে শহীদ হন কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের বাদশাহ মিয়ার বড় ছেলে তানভীর সিদ্দিকি। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আন্দোলনের সহযোদ্ধারা মেডিকেলে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। তানভীরের বাবা বাদশাহ মিয়া  বলেন, ‘তানভীর ১৮ জুলাই দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, বৈষম্যের জালে আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের মুক্তির জন্য আন্দোলনে আছেন তিনি। বাদশাহ মিয়া তাকে বাসা থেকে বের হতে বারণ করেন। কিন্তু ছেলে আমার কথা রাখলো না। সে বিবেকের তাড়নায় ওইদিন বিকেলে বহদ্দারহাটে শিক্ষার্থীদের সমাবেশে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে সরকারের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসী ও পুলিশ শিক্ষার্থীদের সমাবেশে হামলা করে। বেধড়ক মারধরের সঙ্গে বৃষ্টির মতো গুলি করা হয় ছাত্রজনতার ওপর। গুলি এসে লাগে তানভিরের বুকে। মুহূর্তেই তানভীর লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। আন্দোলনের সহযোদ্ধারা তানভীরকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে রওয়ানা হন। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় তার। বাদশাহ মিয়া বলেন, ‘আমি চন্দনাইশে শ্বশুর বাড়িতে একটি কুড়ে ঘরে থাকি। ২০১৩ সালে স্থানীয় প্রভাবশালীরা তার বসতভিটা দখলে নেওয়ার পর শ্বশুর বাড়িতে চলে আসি। পানের বরজে কাজ এবং পান বিক্রি করে কোন মতে চলে সংসার।’ অশ্রুসিক্ত নয়নে বাদশাহ মিয়া বলেন, আমার আশা ছিল, ‘তানভীর বড় হয়ে একটি ভালো চাকরি করবে। সেই স্বপ্নটি শেষ হয়ে গেল।’  আরটিভি/এআর-টি
মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবার সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে মাহিম (১৭) নামে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের হানিফ বেপারী কান্দি গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মাহিম ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ওসমান বেপারীর ছোট ছেলে এবং গরীবের চর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবার কাছে ছেলেটি মোটরসাইকেল কেনার আবদার করেছিল। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় মোটরসাইকেল কিনে দেননি তার বাবা। আর তাতেই বাবার ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মাহিম। গোসাইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ পুষ্পেন দেবনাথ বলেন, গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরটিভি/আইএম