• ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১
logo
শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ারের অবস্থা আশঙ্কাজনক
সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দেওয়ার পরিবর্তে যে প্রস্তাব পান নয়নতারা
আর জি কর-কাণ্ডে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তাল অবস্থায় রয়েছে ভারতীয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। অভিনেতা, নির্মাতা-প্রযোজকদের বিরুদ্ধে নায়িকাদের একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। এবার জানা গেল, সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দেওয়ার পরিবর্তে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল অভিনেত্রী নয়নতারাকেও।  মূলত ভারতীয় সংস্থা হেমা কমিশনের রিপোর্টে উঠে এসেছে মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্তার একের পর এক কালো অধ্যায়। পাশাপাশি মুখ খুলতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগী অভিনেত্রীরাও।  জানা গেছে, নয়নতারাকেও বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে অকপটে স্বীকার করেন এই অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে নয়নতারা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের পরিবর্তে বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় আমাকে। কিন্তু সাহস করে মুখের ওপর সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিই আমি। কারণ, আমি জানি, নিজের যোগ্যতায় আমি দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রথমসারির অভিনেত্রী হয়ে উঠেছি। মালায়ালাম সিনেমা ‘মানসিনাক্কারে’ সিনেমা দিয়ে রুপালি জগতে পা রাখেন নয়নতারা। বর্তমানে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির প্রথমসারির অভিনেত্রী তিনি।  প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নির্মাতা বিগনেশ শিবানের সঙ্গে ঘর বাঁধেন নয়নতারা। ক্যারিয়ারের পাশাপাশি দাম্পত্য জীবনে যমজ সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই অভিনেত্রী। আরটিভি/এইচএসকে
যে কারণে সন্তান নিতে ভয় পান তামান্না
শিল্পীদের কাজ শিল্পচর্চা, রাজনীতি নয়: মম
জাতীয় নাগরিক কমিটিতে সালমান মুক্তাদির
জন্মদিনের পরিকল্পনা জানালেন আবুল হায়াত
মৃত্যুর আগের দিন যে কারণে তুষারকে খুঁজেছিলেন সালমান শাহ
মৃত্যুর ২৮ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহর। আজও এই নায়কের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তার ভক্ত-অনুরাগীরা। সালমান শাহর খুব কাছের একজন মানুষ ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা তুষার খান। মৃত্যুর আগের দিন ব্যাকুল হয়ে তাকে খুঁজেছিলেন সালমান। তবে শেষ দেখা হয়নি তাদের। এখনও সেই আক্ষেপ মনের গভীরে রয়ে গেছে তুষারের। অভিনেতার ভাষ্য, সেদিন আমার সঙ্গে দেখা হলে এমন দুর্ঘটনা হয়তো ঘটতো না।   সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে এমনটাই জানালেন তুষার। অভিনেতা বলেন, সালমানের যখন মন খারাপ থাকতো তখন প্রায়ই আমার সঙ্গে কথা বলতো। আমাকে টেলিফোনে বলতো, আমার ভালো লাগছে না। আমি তোমার বাসায় আসব। ওর ফোন পেয়ে আমি কোথাও আর বের হতাম না। আমরা একসঙ্গে নানান বিষয়ে কথা বলতাম। আড্ডা দিতাম। এতে অনেকেটাই ফ্রেশ অনুভব করতো সালমান। পরদিন আবারও ফুরফুরে মেজাজে শুটিং সেটে দেখতাম ওকে। তিনি আরও বলেন, সালমান যেদিন মারা যায় তার আগের দিন আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরি। বিকেলে আমাদের ‘প্রেমপিয়াসী’ সিনেমার ডাবিংয়ের কাজ ছিল। ডাবিংয়ে যাওয়ার আগে একটি পার্সেল আমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে দিতে যাই আমি। আসলে সেদিন এত ক্লান্ত ছিলাম যে, ঘুমিয়ে পড়ি সেই আত্মীয়ের বাড়িতেই। ঘুমিয়ে পড়ায় তারাও আমাকে আর ডাকেনি। তুষার বলেন, রাত পৌনে ১১টায় ঘুম ভাঙার পর সেদিন আর ডাবিংয়ে যাইনি। পরদিন সকাল বেলা নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের মেয়ে আন্নি আমাকে ফোনে জানায়, সালমান সুইসাইড করেছে। আমি তখন বিষয়টা মেনে নিতেই পারিনি। আমি পুনরায় জানতে চাই, ওকি মারা গেছে। উত্তরে বলে, হ্যাঁ, এখন মেডিকেলে আছে। আমি দ্রুত সেখানে চলে যাই। আফসোস করে অভিনেতা বলেন, হাসপাতালে পরিচালক রেজা হাসমত আমাকে দেখে বলেন, কালকে আপনি কই ছিলেন? আমি বললাম কেন? তখন রেজা জানান, গতকাল ডাবিংয়ের সময় সালমান খুব আপসেট ছিল। আপনাকে অনেক খুঁজেছে। ফোন করেছে। ফোনে না পেয়ে আপনার বাসায় লোক পাঠিয়েছে। এমন কথা শোনার পর এখন প্রায়ই আমার মনে হয়, ও হয়তো সেদিনও আমার কাছে কিছু কথা শেয়ার করতে চেয়েছিল। আমার সঙ্গে কথা বলার পর ওর মনটা আবার ফ্রেশ হয়ে যেত। এমন দুর্ঘটনা হয়তো ঘটতো না।  আমি ওইদিন কেন আত্মীয়ের বাসায় ঘুমিয়ে পড়লাম! এই কষ্টটা আমার সারাজীবন থাকবে। হয়তো আমি সেদিন ঘুমিয়ে না পড়লে আজও সালমান শাহ থাকতো আমাদের মাঝে। এত দর্শকের মন ভেঙে যেত না!
এরশাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সালমান শাহ’র মা
বাংলা চলচ্চিত্র ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম সালমান শাহ। অল্প সময়েই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছিলেন এই তারকা। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। সিনেমা জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আজও বেঁচে আছেন দর্শকদের মণিকোঠায়। সালমান শাহর মৃত্যুর পর তৈরি হয় নানান বিতর্ক। তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছেন সেই রহস্য আজও উদঘাটন হয়নি। শুধুমাত্র সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে নয়, বিতর্ক ছিল চিত্রনায়কের মা নীলা চৌধুরীকে নিয়েও।  সালমান শাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে মামলা করেন তিনি। যদিও এখনও সেই মামলার কোনো সুরাহা হয়নি। মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে ফের ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেছেন নীলা চৌধুরী। পাশাপাশি বিভিন্নভাবে তাকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি একটি চলচ্চিত্রে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, এমনও দেখানো হয়েছে।  সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশের একটি গণমাধ্যমে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন নীলা চৌধুরী। তিনি বলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে এনে এই হত্যার বিচার করা প্রয়োজন। ছেলের হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে নানান ভাবে অপমান করা হয়েছে আমাকে। এমনকি একটি চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে এরশাদ সাহেবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। এরশাদ সাহেবের সঙ্গে মিলে আমিই নাকি খুন করেছি সালমান শাহকে।  এরশাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট করে নীলা চৌধুরী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আমলে অনেক বদনাম রটানো হয়েছিল আমার নামে। এরশাদ সাহেব জেল থেকে বের হওয়ার পরে আমার বাসায় আসেন। কিন্তু আমি শুরুতে উনাকে আমার বাসায় আসতে দিইনি। পরে উনি টেলিফোনে আমাকে বলেন তোমার ছেলে যদি দরজায় এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতো তাহলে কি ফিরিয়ে দিতে? আমি তো জেল থেকে সালমান শাহর মৃত্যুর খবর পেলাম। এরপর আমার স্বামী গিয়ে দরজা খুলে দিলো। এভাবে আমাদের বাসায় উনার আসা-যাওয়া শুরু হয়। এরশাদ সাহেব আমাকে তার মায়ের সঙ্গে তুলনা করতেন। আমার আচরণের সঙ্গে নাকি তিনি তার মায়ের মিল খুঁজে পান।   তিনি আরও বলেন, প্রায় সব জায়গাতেই সালমান শাহর ভক্ত আছে। ডিজিএফআই, এনএসআইতেও আছে। ডিজিএফআই থেকে আমাদের একটা সময় বলা হলো যদি এরশাদ সাহেব আপনাদের বাসায় যাতায়াত করে তাহলে এনএসআই এবং ডিজিএফআইয়ের আলাদা একটা নজর থাকতো আপনাদের ওপরে। এতে করে আপনাদের জীবনের ঝুঁকি কমে যাবে।  ঠিক এই কারণেই এরশাদ সাহেব প্রায় আমাদের বাসায় আসতেন। আমার সঙ্গে তার কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু বিষয়টা ভিন্নভাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। উনি ভীষণ ভালো একজন মানুষ ছিলেন, আমাকে সবসময় তার মায়ের সঙ্গেই তুলনা করতেন তিনি।
‘ভারত থেকে খুনি এনে হত্যা করা হয়েছে সালমান শাহকে’
অভিনয়ের স্বতন্ত্র ধারা আর ফ্যাশন সচেতনতা তাকে নিয়ে যায় ভিন্ন এক উচ্চতায়। হয়ে উঠেছিলেন নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহ। পুরো নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। দেখতে দেখতে তার মৃত্যুর দুই যুগ পেরিয়েছে। আজ তার ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন, এটি মানতে নারাজ তার মা নীলা চৌধুরী। মামলা পুনরুজ্জীবিত করে নতুন করে ছেলে ‘হত্যা’র বিচার চেয়েছেন তিনি। তার দাবি, তার ছেলে আত্মহত্যা করেনি, আত্মহত্যার কোনো আলামত নেই। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সম্প্রতি লন্ডন থেকে এক গণমাধ্যকে এমনটাই জানালেন নীলা। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন সালমান শাহ হত্যার বিচার হবে, আমি এটার বিচার করব। কিন্তু তিনি করলেন কোথায়? আমি জানতাম শেখ হাসিনার আমলে বিচার হবে না। আমরা শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন চেয়েছিলাম। নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে ওই সরকারের বিদায় দরকার ছিল। অবশেষে তাদের বিদায় হয়েছে। আমরা নতুন সরকারের কাছে শুধু সালমান শাহ হত্যার বিচার না, সাগর-রুনি হত্যার বিচার চাই।’ নীলা চৌধুরী বলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি। এ হত্যার বিচার প্রয়োজন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। আগে একটা মাফিয়ার আন্ডারে ছিলাম। এখন আমরা মুক্ত। আমরা বলতে চাই, আমি কথা বলব। তিনি বলেন, আমাকে একজন জানান, আমাকে পৃথিবী থেকে উঠিয়ে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে অথবা গুম করা হবে আমাকে। তখন বলি মানুষকে আবার গুম করে কীভাবে? ওই সময় তো গুম সম্পর্কে জানতাম না। এখন বুঝছি যে গুম হচ্ছে আয়নাঘর। অনেক সময় দলের অনেক বড় বড় নেতাদের দেখতাম তারা হঠাৎ করেই আমার বাসায় চলে আসতো। একদিন বিষয়টি খটকা লাগে আমার কাছে। তারা কেন আমার বাসায় এত আসে? অভিনেতার মা বলেন, তখন একদিন হাসান মাহমুদকে আমি বলি, যখন-তখন কেন চলে আসো? তো তিনি বলে যে আপা একটু চা খেতে আসি। তাকে বলি যে, আমি এসব পছন্দ করি না। এ ছাড়া সালমান শাহর হত্যার ব্যাপারে তার স্ত্রী সামিরা সম্পর্কে নীলা চৌধুরী বলেন, সামিরা তিনটি বিয়ে করল। সে যে খারাপ তা প্রমাণ হয়ে গেছে। একটি ঘরে থাকতে পারেনি সে। তার বাবাও অনেক কিছু করেছে। ইদানীং তাদের দেখা যাচ্ছে না। তার মা, সে সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি। অথচ একটা আসামিকেও কখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো না। তাদের আটক করা হলো না। হত্যা মামলার আসামি হলে তো সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয়। এরপর আইন যা বলবে তাই হবে। কিন্তু তা হয়নি। পিবিআই প্রধান বনজ কুমার সম্পর্কে নীলা চৌধুরী বলেন, তাদের সঙ্গে বনজ কুমারের সম্পৃক্ততা ছিল। এই বনজ কুমারকে তারা অনেক টাকা দিয়েছে। সুকুমার রঞ্জন একজন সংসদ সদস্য ছিলেন, তিনি একজন ভারতীয় এজেন্ট, ‘র’। তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন। সালমান শাহ মৃত্যুর পর আমরা জেনেছিলাম যে, ভারতীয় কাউকে ভাড়া করে এনে সালমান শাহকে হত্যা করিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। তার প্রকৃত নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। ক্যারিয়ারের শুরুতে ছোটপর্দায় কাজ করেছেন সালমান শাহ। ‘আকাশ ছোঁয়া’, ‘দোয়েল’, ‘সব পাখি ঘরে ফেরে’, ‘সৈকতে সারস’, ‘নয়ন’ ও ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পাশাপাশি অনেক বিজ্ঞাপনও করেছেন।
গণ-অভ্যুত্থানের প্রেরণায় ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক মৈত্রী’র আত্মপ্রকাশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের প্রেরণা ধারণ করে গঠন করা হলো নতুন সংগঠন ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক মৈত্রী’। দেশাত্মবোধ, সাহিত্য-সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং ফ্যাসিবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নবজাগরণের বোধ ছড়িয়ে দিতে কাজ করবে সংগঠনটি।  প্রখ্যাত চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহারকে আহ্বায়ক করে সংগঠনটির সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়েছেন খ্যাতিমান গীতিকবি ও ঔপন্যাসিক লতিফুল ইসলাম শিবলী। জাতীয় সংস্কৃতির রূপরেখা প্রণয়নে অঙ্গীকার ব্যক্ত করা এই সংগঠনের পক্ষ থেকে সদস্য সচিব লতিফুল ইসলাম শিবলী জানান, অচিরেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হবে।  আহ্বায়ক কমিটিতে দেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে অবদান রাখা ফ্যাসিবাদবিরোধী ২৫ জন সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন কাজী জেসিন, আমিরুল মোমেনীন মানিক, সাম্য শাহ্, জুননু রাইন, সামসুদ্দিন হিরা, বিমল চন্দ্র দাশ, মামুন সারওয়ার, সাইয়েদ জামিল, জব্বার আল নাঈম, রাসেল রায়হান, প্রাচ্য মোহাম্মদ, সৈয়দ আহসান কবীর, রুদ্রাক্ষ রায়হান, পলিয়ার ওয়াহিদ, এহসান মাহমুদ, ইমরান মাহফুজ, সরোজ মেহেদী, শিমুল পারভীন, মঈন মুনতাসীর, দিদার মোহাম্মদ, ফরিদুল ইসলাম নির্জন, ফারুক হোসেন খান, ফারহানা নিমগ্ন দুপুর, সাইনা ইসলাম ও আবিদ আজম।  এর বাইরে সংগঠনটির উপদেষ্টা ও পরামর্শক পর্ষদে আরও কয়েকজন সদস্য রয়েছেন। পর্যায়ক্রমে সংগঠনটি রাজধানীসহ সারাদেশে সাংগঠনিক রূপ নেবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
লন্ডনে বন্যার্তদের সহায়তায় ‘গানে গানে বাংলাদেশ’
পানি কমতে শুরু করলেও এখনও পুরোপুরিভাবে স্বাভাবিক হয়ে উঠেনি দেশের বন্যা পরিস্থিতি। প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বন্যার্তদের। দেশের এমন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে শোবিজের অনেক তারকাই বন্যার্তদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।  কেউ সরজমিনে গিয়ে সহায়তা করছেন, কেউ বা বিশ্বস্ত জায়গায় ত্রাণ দিয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন। অনেকে আবার কনসার্ট কিংবা চ্যারিটি অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েও সহায়তা করছেন বন্যার্তদের।  এবার বন্যার্তদের সহায়তা করতে একটি চ্যারিটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে লন্ডনের টি এন্ড টি কনসালটেন্সি ফার্ম।  বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) লন্ডনের রোমফোর্ডের মে ফেয়ার ভেন্যুতে ‘গানে গানে বাংলাদেশ’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত হবে এই চ্যারিটি প্রোগ্রামটি।  এতে অংশ নেবেন ব্যান্ডদল সোলস, নকিব খান, পলাশ, আতিক হাসান, অবন্তি সাথী, অভিনেত্রী নুপুর, অভিনেতা জামিল হোসেনসহ বাংলাদেশের এক ঝাঁক তারকা। বিষয়টি নিশ্চিত করে আরটিভি নিউজকে জামিল হোসেন বলেন, বন্যার্তদের সহায়তায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ নোয়াখালীর বন্যার্তদের জন্য পাঠানো হবে। নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে এবং এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি ভীষণ গর্বিত।  প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৫০ লাখ ২৪ হাজার ২০২ জন। এদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা মোট ৭১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৫, মহিলা সাত ও শিশু ১৯ জন। জেলাভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যা কুমিল্লায় ১৯, ফেনীতে ২৮, চট্টগ্রামে ছয়, খাগড়াছড়িতে এক, নোয়াখালীতে ১১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক, লক্ষ্মীপুরে এক, মৌলভীবাজারে এক ও কক্সবাজারে তিন জন। এছাড়া, মৌলভীবাজারে এক জন নিখোঁজ রয়েছে। বর্তমানে মোট ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৫৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
এমন সুগার ড্যাডিই খুঁজছিলাম আমি: প্রসূন
বর্তমানে পর্দা থেকে দূরেই আছেন একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ। বিয়ের পর স্বামী-সন্তান, সংসারেই মনোনিবেশ করেছেন তিনি। তবে পর্দায় না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব প্রসূন। মাঝে মধ্যেই নানান বিষয়ে নিয়মিত মতামত প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে।   বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুকে স্বামী ফারহান গাফফারের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। সেখানে ব্যক্তিগত কথার পাশাপাশি অভিনয় থেকে সরে যাওয়ার কারণও উল্লেখ করেছেন এই অভিনেত্রী।  পাঠকদের জন্য প্রসূনের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো— ‘সবার সবকিছু ফাঁস হয়ে যাচ্ছে তাই আমি নিজেই আমার গোপন তথ্য ফাঁস করতে চলি এসেছি। এটা আমার সুগার ড্যাডি। যে আমার জীবনে আসার পর আমি কাজকর্ম বন্ধ করে দিছি। যারা মনে করতেছেন ডিরেক্টর গিল্ডের চক্রান্ত আর শিল্পীসংঘের নষ্টামির কারণে আমার অভিনয় জীবন শেষ, তাদের জানাতে চাই, কথাটা পুরোটা বেঠিক না। একটু একটু সঠিক। উত্তেজনায় আমি কিছু ভুল কথা বলে ফেলছি যেমন ‘আমার জীবনটা শেষ করে ফেলছে সরকার দলের কালাবেটিরা’ এরকম নোংরা কথার জন্য আমি খুবই লজ্জিত। আমি নিজেও কালা। তাই রেসিস্ট কথা বলা সমর্থন করি না। আমি সারা জীবন এমন একজন সুগার ড্যাডি খুঁজছিলাম যে মাঝ পথে গায়েব হয়ে যাবে না আর আমার টাকা পয়সা মেরে চলে যাবে না। অবশেষে আমি এমন একজনকে পাই এবং তীব্র লাইট গরম রোদে সুটিং করার মতোন আর্মি জব থেকে আমি সরে আসতে পেরেছি। নিয়মিত শুটিং করা হয় নাই। কিন্তু চরিত্র তো বদলানো কঠিন তাই আনন্দে খুশিতে বছর খানেক পর পর কিছু কাজ করব এমনটাই ইচ্ছা ছিল। তবে ইদানিং খুব মন চায় ১/২ বছরের মধ্যে আবার নিয়মিত হব। স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি কি। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তৃতীয় অবস্থান পেয়ে আলোচনায় আসেন প্রসূন। প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী মুহাইমিন সানের সঙ্গে সংসার পেতেছিলেন তিনি। তবে দেড় বছরের মাথায় দাম্পত্য জীবনে ইতি টানেন তারা। পরে ২০২১ সালে ফারহানকে বিয়ে করেন প্রসূন। 
অভিনয়ের পাশাপাশি চিকিৎসা পেশায় রয়েছেন যে অভিনেত্রীরা
অভিনয় দিয়ে খ্যাতি অর্জন করলেও দক্ষিণের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রীই পেশায় চিকিৎসক। রয়েছেন বলিউডের নায়িকারাও। অভিনয়ের পাশাপাশি সেখানেও নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তারা।   ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন হতে জানা যায়, ‘সোচ’, ‘পেহেলি’র মতো বহু হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করে নজর কেড়েছেন অদিতি গোবিত্রিকর। মরাঠি ও তেলেগু সিনেমাতেও অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। মুম্বাইয়ের একটি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন অদিতি। পড়াশোনা শেষ করে মডেলিং-অভিনয় শুরু করেন অদিতি। তবে বর্তমানে অভিনয় ছেড়ে চিকিৎসাবিদ্যায় মন দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে আলোচনায় আসেন মানুষি ছিল্লার। এরপর অভিনয়ে পা রাখেন তিনি। বলিপাড়া সূত্রে জানা যায়, হরিয়ানার একটি কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন মানুষি। অন্যদিকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রীর তালিকায় প্রথম সারিতে নাম রয়েছে সাই পল্লবীর। তিনিও চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর রুপালি পর্দায় নাম লেখান এই অভিনেত্রী।  ২০১৬ সালে জর্জিয়ার একটি কলেজ থেকে চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশোনা করেন সাই । পরে ২০২০ সালে ত্রিচিতে ‘ফরেন মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট এক্সামিনেশন’ (এফএমজিই) দেন তিনি।