• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সুলতান সুলেমানের রাজপ্রাসাদে কী করছেন ফারিণ
হঠাৎ বিয়ের পোশাক কেন ছিঁড়ে ফেললেন সামান্তা (ভিডিও) 
বলিউডের জনপ্রিয় দুই তারকা নাগা চৈতন্য ও সামান্তা রুথ প্রভু। ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন এই জুটি। পর্দার সেই প্রেম যেন ধরা দেয় তাদের রিয়েল লাইফেও।  দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে অক্টোবরে ঘর বাঁধেন নাগা চৈতন্য -সামান্তা। তবে খুব বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি তাদের সংসার। ২০২১ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। এবার জানা গেল, তার বিয়ের পোশাকই ছিঁড়ে ফেলেছেন সামান্থা।  হিন্দু আর খ্রিস্টান ধর্ম মেনেই নাগা  চৈতন্যকে বিয়ে করেছিলেন সামান্তা। বিয়েতে সাদা রঙয়ের একটি গাউন পরেছিলেন অভিনেত্রী। ছোট্ট ছোট্ট ফুলের কাজ করা ছিল সেই গাউনে। আর এত সুন্দর গাউন ছিঁড়ে ফেললেন অভিনেত্রী।  জানা গেছে, নিজের পুরনো বিয়ের গাউন কেটে নতুন পোশাক তৈরি করেছেন সামান্থা। অভিনেত্রীর বিয়ের পোশাক ছিঁড়ে একটি ব্ল্যাক ড্রেস বানিয়েছেন ডিজাইনার ক্রেশা বাজাজ।    তবে সামান্থার বিয়ের গাউন কেটে তৈরি অভিনেত্রী কালো পোশাকটিও বেশ নজর কেড়েছে ভক্তদের। পুরোনোকে পোশাককে নতুন রূপ দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ডিজাইনার ক্রেশা বাজাজও।   প্রসঙ্গত, দক্ষিণি ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয় করছেন সামান্তা। ক্যারিয়ারে অভিনয়ে প্রশংসা কুড়ানোর পাশাপাশি একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমায় সামান্তার আইটেম নাচও তুমুল জনপ্রিয় হয়। ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন 
আল-কাহতানির দাবি সত্যি হলো, বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে সৌদি
কেন্দ্রে ভোট দিতেন না উত্তম কুমার, মহানায়কের জন্য ছিল যে ব্যবস্থা
২৩ এপ্রিলকে চলচ্চিত্রের কালো দিবস ঘোষণা
জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা
ইতিহাস গড়লেন বাঁধন
নতুন এক ইতিহাস গড়লেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এখন থেকে দেশে তিনিই একমাত্র মা, যিনি পেয়েছেন সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব। এর আগে কোনো নারী এককভাবে সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি। সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের এক আদেশে সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পান আজমেরী হক বাঁধন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।  এদিন নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতেও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।  অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারও পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই। আইনের এই ধারাটি সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা এক রুলে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।  আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তার সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এটা  অনেক বড় একটা অর্জন। এই একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। উচ্চ আদালতের এই রুল জারির খবরে দারুণ খুশি বাঁধন। তিনি বলেন, এই অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না। চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তার সন্তানের ওপর। ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।  সে সময় বাঁধন এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি।  সময়ের সঙ্গে বদলেছে তার অনুধাবন শক্তি। বুঝতে পেরেছেন এ রায়ের গুরুত্ব।  বাঁধন বলেন, আদালত যখন রায়টি দিয়েছিলেন, সে সময় এর গুরুত্ব ততটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চার সব দেখভাল আমিই করতাম, তাহলে আমি কেন তার অভিভাবক হতে পারব না। সন্তানের দায়িত্ব তার বাবা কখনো পালন করেনি। এমনকি আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেনি। আর তাই আদালত অভিভাবকত্বের ভার আমার ওপরেই দিয়েছিলেন। অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে বাবা বেঁচে থাকতে কখনো মাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। বাঁধন বলেন, আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব সম্পূর্ণ আলাদা একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়। পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া সায়রা এখন বুঝতে শিখেছে। সারাক্ষণ থাকে মায়ের আশেপাশেই। সময় পেলে মা-মেয়ে একসঙ্গে ঘুরে বেড়ায় দেশ-বিদেশও। মায়ের এই অর্জন নিয়ে মেয়ের কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, সায়রার অত ধারণা নেই। সে শুধু জানে তার মা তাকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। সঙ্গে এটাও জানে, তার মা একজন ফাইটার। 
পেপার রাইম ব্যান্ডের সাদ আর নেই
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড পেপার রাইমের গায়ক আহমেদ সাদ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫২।  জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন সাদ। তিনদিন আগে হার্ট অ্যাটাক হয় তার। দ্রুত সাদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার সকালে ফের হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। পরে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।   গায়কের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন তার স্কুলজীবনের বন্ধু ও পেপার রাইম ব্যান্ডের সদস্য অনিন্দ্য কবির অভিক। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন সাদ। মাঝে কিছুটা সুস্থও হয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে তার শরীরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্যানসার। আগামী ২৫ এপ্রিল গায়ক আহমেদ সাদের দাফন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তার বন্ধু অভিক। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে তার পরিবার থেকে। নব্বই দশকে মাত্র একটি অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে শ্রোতাহৃদয়ে জায়গা করে নেন ব্যান্ড পেপার রাইম ও এর শিল্পী আহমেদ সাদ। ব্যান্ডটির হার্ডরক, মেলোরক, সফট রক ঘরণার গানগুলোর কথা ও সংগীত ভীষণ গ্রহণ করে নেয় দর্শকেরা-শ্রোতারা। এর মধ্যে ‘অন্ধকার ঘরে’, ‘আকাশের কী রং’, ‘এলোমেলো’ গানগুলো পছন্দের তালিকায় শীর্ষে শ্রোতাদের।      প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ২৪ জানুয়ারি স্কুল বন্ধুরা মিলে প্রতিষ্ঠা করেন পেপার রাইম ব্যান্ড। এর লাইনআপে ভোকালে ছিলেন সাদ, গিটারে রাশেদ, কিবোর্ডে নাসের, বেইজ গিটারে সুমন ও ড্রামসে অভিক।   
খেপে গিয়ে নিজের শরীর নিয়ে যে মন্তব্য করলেন নোরা ফাতেহি
ছবি শিকারিদের জন্য মাঝে মধ্যেই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন অভিনেত্রীরা। পাপারাজ্জিদের ছবি তোলার ধরন যেন একেবারেই পছন্দ নয় অভিনেত্রীদের। এবার শরীরের নির্দিষ্ট অঙ্গের ছবি তোলার প্রবণতা নিয়ে মুখ খুললেন নোরা ফতেহি। শুধু তাই নয়, পাপারাজ্জিদের ওপরে খেপে গিয়ে নিজের শরীর নিয়েো মন্তব্য করেন তিনি।   সম্প্রতি ভারতীয় এক গণমাধ্যমে পাপারাজ্জিদের অভিনেত্রীদের নির্দিষ্ট অঙ্গের ছবি তোলার প্রবণতা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নোরা। এ সময় তিনি জানান, অভিনেত্রীর মনে হয় তার মতো নিতম্ব কখনও দেখেনি পাপারাজ্জিরা।  নোরা বলেন, এটা শুধু আমার বেলায় নয়, অন্য অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। অনেক সময় তাদের নিতম্ব নির্দিষ্ট করে ক্যামেরায় দেখানো হয় না, কারণ তাদের নিতম্ব খুব একটা উত্তেজনামূলক নয়।  তবে অপ্রয়োজনীয়ভাবে তাদের অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্যামেরার নজরে আসে। আমার মনে হয়, এটা ক্যামেরায় নির্দিষ্ট করে দেখানোর মতো কিছু নয়। কোন দিকে নজর তাদের?  অভিনেত্রী জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রেন্ড ধরে রাখার জন্য এই সব করা হয়। শরীরের কারণে বার বার খবরের শিরোনামে এসেছেন তিনি। তবে নিজের শরীর নিয়ে কোনো ছুতমার্গ নেই নোরার।   নোরার ভাষ্য, আমার শরীর সুন্দর এবং আমার সম্পদ নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। আমি কখনওই আমার শরীর নিয়ে লজ্জিত নই।   এসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না নোরা। বরাবরই নিজের মতো করে চলাফেরা  করেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ছবি শিকারিদের এই প্রবণতা হয়তো ভুল কিন্তু সেটা আলাদাভাবে আলোচনার বিষয়। আমি তো আর একেক জনকে ধরে ধরে ঠিক-ভুলের শিক্ষা দিতে পারব না।      নোরার মতো ম্রুণাল ঠাকুর, পলক তিওয়ারিও এই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। অভিনেত্রীদের অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও পিছন থেকে তাদের ছবি তুলেছিলেন পাপারাজ্জিরা। সেসময় ঘটনার বিরোধিতা করেছিলেন তারা।   সূত্র : আনন্দবাজার   
শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সাংবাদিকদের
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শিল্পীরা। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয় এফডিসিতে।   এদিকে সহকর্মীদের মারধরের ঘটনায় শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের ভেতরে কোনো সমাধান না এলে শিল্পী সমিতির সব ধরনের সংবাদ প্রচার থেকে সাংবাদিকরা বিরত থাকবেন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।  এর আগে মঙ্গলবার রাতে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর জানান, সংবাদকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন, সেটা মেনে নিয়েছেন তারা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে এই আল্টিমেটামটি কার্যকর হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি।      পাশাপাশি হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছে শিল্পী সমিতি। হামলার ঘটনায় যে কর্মীদের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান মিশা।   জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছে সংগঠনটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরেরাও হামলায় অংশ নেন। এ ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন ও তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  
রেস্তোরাঁয় গিয়ে যে বিপদে পড়েন শহিদ-মীরা
বলিউডের জনপ্রিয় তারকা শহিদ কাপুর। কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যেই স্ত্রী মীরাকে নিয়ে ডেটে যান তিনি। কিন্তু এবার এক রেস্তোরাঁয় ডিনার ডেটে গিয়ে বিপদে পড়েন এই দম্পতি। শুধু তাই নয়, বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে রীতিমতো মেজাজ হারান শহিদ।    জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল স্ত্রীকে নিয়ে ডিনার ডেটে যান শহিদ। রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার পরেই ছবি শিকারিরা ছবি তুলতে শুরু করেন শহিদ-মীরার। শুরুতে হাসিমুখেই ক্যামেরায় পোজ দিচ্ছিলেন তারা। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছিল, পরিস্থিতি যেন আরও খারাপ হচ্ছিল। পাপারাজ্জিরা কিছুতেই যখন থামছিল না মূলত তখনই মেজাজ হারান শহিদ।   ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, সোমবার রাতে মায়ানগরীর এক বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয় ডিনার ডেটে গিয়েছিলেন শহিদ-মীরা। ওই রাতে ম্যাচিং করে কালো রঙের পোশাকও পরেছিলেন দুজনেই। কিন্তু ডিনার শেষে রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে আসার পরই তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন পাপারাজ্জিরা।   ক্যামেরায় হাসিমুখে ছবি পোজ দিয়ে যখন শহিদ-মীরা গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই বাধে বিপত্তি। তাদেরকে ঘিরে ছবি তুলতেই থাকেন পাপারাজ্জিরা। আর এতেই খেপে যান এই অভিনেতা।   রেগে গিয়ে শহিদ কাপুর বলেন, ‘আপনারা একটু থামবেন!’ মেজাজ হারান শাহিদ কাপুর। এই অভিনেতা উত্তেজিত হয়ে আরও বলেন, ‘আপনারা ঠিকঠাক আচরণ করুন।’ ২০১৫ সালে মীরা রাজপুতের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন শাহিদ। এর পরের বছর কন্যা মিশার জন্ম হয়। ২০১৮ সালে তাদের কোল জুড়ে জন্ম নেয় ছেলে জৈন। বর্তমানে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন তারা।   প্রসঙ্গত, শাহিদ কাপুরের বর্তমান ব্যস্ততা ‘দেবা’ সিনেমার শুটিং নিয়ে। সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করবেন পূজা হেগড়ে।  সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া   
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা / ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান রিয়াজ 
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায় শিল্পীরা।  সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে সাংবাদিক-শিল্পীদের মধ্যে।  এদিকে খবরটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিষয়টি চরম ন্যক্কারজনক বলে মনে করছেন শোবিজের তারকারাও। সাংবাদিকদের ওপর এই বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সবাই। ন্যক্কারজনক এমন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়েছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।    সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, এফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও এই ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম সূত্রে এ ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের  কাজের সঙ্গে দর্শকদের সেতুবন্ধন বা মেলবন্ধন তৈরি করে দেন। সেই সাংবাদিক ভাইদের এমন নির্মমভাবে এফডিসির অভ্যন্তরে পেটানো হয়েছে, এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা।  রিয়াজ আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার যেসব ছবি ও ভিডিও দেখেছি তাতে আমার খুবই খারাপ লেগেছে। এমনটা আসলে হতে পারে না। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না।  অপ্রীতিকর এ ঘটনার বিচার চেয়ে অভিনেতা বলেন, আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বেনাদের প্রতি ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। সবার সঙ্গে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। এর আগে মঙ্গলবার রাতেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে রিয়াজ লিখেছেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে।  ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছে সংগঠনটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরেরাও হামলায় অংশ নেন। এ ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন ও তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, যা বললেন মিশা-ডিপজল
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায় শিল্পীরা। রীতিমতো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে সাংবাদিক-শিল্পীদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে।  এ প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা দেখছি। এটা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি যেভাবে দেখা দরকার তা আমরা দেখছি।   মিশা-ডিপজলের পাঠানো এই চিঠিতে জানানো হয়, ‘অনাহূত এক পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কতিপয় নির্বাচিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বেশ কজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, যা আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা এ ঘটনার জন্য সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।  এরই মধ্যে শিল্পী সমিতির নেতা ও সাংবাদিক নেতাদের যৌথ আলোচনায় প্রযোজক আরশাদ আদনানকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’    জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একটা পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।   মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান জয় চৌধুরী। তিনি বলেন, শপথ শেষে ছিল আমরা সবাই তখন কার্যকরী পরিষদের মিটিং করছি। এ মুহূর্তে ময়ূরী আপু তার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তিনি ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না বাইরে লোকজনের জন্য। এমন সময় দুই-তিনজন ইউটিউবার, তারা ময়ূরী আপুর মেয়ের হাত ধরে টান দিয়ে বলছেন— ‘তুমি একটা ইন্টারভিউ দিয়ে যাও’। বারবার তারা এই আবদার করছিলেন। এতে ময়ূরী আপু রেগে গিয়ে বলেন— ‘ও তো সেলিব্রিটি না, ও ইন্টারভিউ দিয়ে কী করবেন?’ এরপরেই আসলে শুরু হয় মারামারির ঘটনা।   প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এর পর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরেরাও হামলায় অংশ নেন। এ ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন ও তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।