• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
কোটা আন্দোলন / আজ মসজিদে আজান দিতে গিয়ে মুয়াজ্জিন কাঁদছে: ইভানা
শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে সমর্থন দিয়ে সবাই একত্রে কাজ করি: টনি ডায়েস
গত কয়েক দিন ধরেই কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশজুড়ে বিরাজ করছে অস্থিরতা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরবেন না শিক্ষার্থীরা। সাধারণ জনগণের পাশাপাশি শোবিজের তারকারাও চলমান ইস্যুতে সরব রয়েছেন। নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদও জানাচ্ছেন তারা। জনপ্রিয় অভিনেতা টনি ডায়েস আছেন এ তালিকায়। সামাজিকমাধ্যমে এ নিয়ে দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ( ১৮ জুলাই) ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন টনি ডায়েস। তিনি সেই পোস্টে লেখেন, নিরীহ মানুষ হত্যা কোনো সমাধান হতে পারে না। এমন সহিংসতা শুধু আমাদের মানবতাকে কলুষিত করে না, বরং আমাদের আগামী প্রজন্মকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলে। বর্তমানের শিশুরা এসব সহিংসতা, মানুষ পেটানো পোস্ট, মেয়েদের অপমান করা পোস্ট দেখে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে উঠছে। আমরা কি এমন একটি সমাজ চাই যেখানে আমাদের সন্তানেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে? তিনি আরও লেখেন, আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি শান্তিপূর্ণ এবং সংলাপমুখী সমাধানের পথে এগিয়ে যাই। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে সমর্থন দিয়ে, তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার জন্য, আমরা সবাই একত্রে কাজ করি। নিরপেক্ষ আলোচনা এবং সঠিক সমঝোতাই হতে পারে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান। আমাদের দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য হোক। প্রসঙ্গত, চলমান আন্দোলন নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে ঢাকার উত্তরা, বাড্ডা ও সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও র‍্যাবের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে কয়েক শ’ আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন।
যে মায়ের বুক খালি হলো সেই শুন্যতা কি পূরণ করতে পারব: মেহজাবীন
‘ওদের মায়েদের হাহাকার তোমাদের কখনই ভালো থাকতে দিবে না’
কোটা আন্দোলন / কোটা আন্দোলনের পক্ষে যা বললেন হুমায়ূন আহমেদের চার সন্তান
রিল বানাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর মৃত্যু নারী ইনফ্লুয়েন্সারের
কোটা আন্দোলনে অভিনয়শিল্পীদের নীরব ভূমিকা নিয়ে সালমান মুক্তাদিরের বিস্ফোরক মন্তব্য
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে উত্তাল সারাদেশ। এক দফা এক দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের রেশ ধরে ছাত্রলীগের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ ঘটনায় শতাধিক ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন ৬ জন। আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশের মানুষ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে যখন সারাদেশ উত্তাল, তখন তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শোবিজ তারকারাও। ছাত্র-ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলায় প্রতিবাদে সরব হন। শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন ইউটিউবার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর সালমান মুক্তাদির। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এরমধ্যেই বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এই অভিনেতা। তিনি স্ট্যাটাসে লেখেন, এত বড় আর্টিস্ট আপনারা টিভি ইন্টারনেটে লাউড অ্যাক্টিং করেন ভালো কথা। কিন্তু এই যে একটা ঐতিহাসিক একটা মোমেন্টে যেটা সারাজীবনে একবার আসে, এরকম নিরপেক্ষ এবং অস্পষ্ট পোস্ট করে অ্যাক্টিং করবেন না। খুব বাজে হচ্ছে।
‘ঢাবিতে আর যেতে চাই না, ছাত্র-ছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে রাজাকার’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে। হামলাকারীদের শাস্তিসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ স্লোগান নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ‘সাদাসিধে কথা’ নামে নিজের একটি ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিয়ে দুই প্যারায় ছোট্ট মতামত লিখেছেন তিনি। তার নিজ হাতে লেখা চিরকুটও সেখানে আপলোড করা হয়েছে।  সেই মতামতে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমি মনে হয় আর কোনদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইবো না। ছাত্র-ছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে, এরাই হয়তো সেই রাজাকার। তিনি আরও লেখেন, আর যে কদিন বেঁচে আছি, আমি কোনো রাজাকারের মুখ দেখতে চাই না। একটাই তো জীবন। সেই জীবনে আবার কেন নতুন করে রাজাকারদের দেখতে হবে? প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে টানা দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য ঘিরে রোববার (১৪ জুলাই) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, ‘তুমি কে, আমি কে; রাজাকার, রাজাকার’, ‘কে বলেছে, কে বলেছে; স্বৈরাচার, স্বৈরাচার।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের খবর ছড়িয়ে পড়লে বুয়েট, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও রাতে একই স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতরা। পরে তারা প্রধানমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারে আলটিমেটামও দেন। এরপর সরকারের মন্ত্রী-এমপি এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এ ইস্যুতে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। এ অবস্থায় সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দিনভর উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের অনেককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বেশ কয়েকজনকে ভর্তিও করা হয়। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।  
কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সালমান মুক্তাদিরের বার্তা
কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজপথে নেমেছে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে যার অবস্থান থেকে নিজের মতামত শেয়ার করছেন। বাদ যাননি জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও অভিনেতা সালমান মুক্তাদিরও। তিনি আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, এমন কোনো ছাত্র আছেন যিনি হামলার শিকার হয়েছেন বা হলে ঢুকতে পারছেন না? আমি আপনাদের দায়িত্ব নেব। যদিও লাখ লাখ মেসেজ বা পোস্টের মাঝে আপনাদের ফিল্টার করা আমার পক্ষে অসম্ভব। তাই যদি আপনাদের কোনো বন্ধু থাকে আমার বন্ধু তালিকায়, তাদের মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।  সালমান মুক্তাদির আরও লিখেছেন, এই মুহূর্তে আমি সর্বোচ্চ এটাই করতে পারি। যদি আপনাদের কোনো থাকার জায়গা প্রয়োজন হয় বা চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন হয়, আমি আছি। মাত্রই কিছু ভিডিও দেখলাম, যেখানে কিছু ছাত্র তাদের হলে প্রবেশ করতে পারছেন না।  সবশেষে এই অভিনেতা লিখেছেন, আমি আবারও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, যদি এতটুকু যথেষ্ট না হয়। আমি সত্যিই ভেঙে পড়েছি, বিব্রত বোধ করছি। জনপ্রিয় হয়েও কোনো কাজে না আসায় লজ্জাবোধ করছি। এর আগে সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ২টার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের হটিয়ে ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দেশের প্রত্যেক ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রতিটা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ছাত্রলীগ। 
তরুণীদের দেহ ব্যবসায় যেভাবে বাধ্য করেন অভিনেতার বান্ধবী
হলিউড তারকাদের থেকে শুরু করে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গেও ছিল সুসম্পর্ক। বিলাসিতায় পরিপূর্ণ ছিল তার জীবন। দুঃস্থ তরুণীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে সামাজিক মাধ্যমে সচেতনতা মূলক ভিডিও পোস্ট করতেন নিয়মিত। এসব কিছুই ছিল তার ফাঁদ। যেই ফাঁদে পা দেওয়া তরুণীদের ‘ক্রীতদাসে’ পরিণত করতেন তিনি। এরপর দেহব্যবসায় বাধ্য করতেন। ক্যাট টরেস নামের এই নারীকে ৮ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। যার সঙ্গে জনপ্রিয় অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিয়োর সুসম্পর্ক ছিল। বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ ব্রাজিলে শৈশব কাটিয়েছিলেন ক্যাট। ছোটবেলা থেকেই নানা রকম হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তিনি। তাই খুব কম বয়সে ব্রাজিল থেকে আমেরিকায় চলে যান। অর্থের কোনও সমস্যা কোনও দিনই ছিল না। আমেরিকায় গিয়ে নিউইয়র্কে একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়া থাকতে শুরু করেন তরুণী। নিউইয়র্কের অ্যাপার্টমেন্টে ক্যাটের সঙ্গে থাকতেন তার রুমমেট লুজার টোয়ারস্কাই। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লুজার বলেন, ‘ক্যাটের বহু খ্যাতনামী ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ ছিল। তাদের সঙ্গে কিছুদিন সময় কাটানোর জন্য টাকা পেতেন। বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকার খরচও ওই খ্যাতনামীরাই দিতেন। লুজারের দাবি, হলি তারকাদের সংস্পর্শে থাকার পর আয়াহুয়াস্কা নামে এক নেশাজাত দ্রব্য গ্রহণ করতে শুরু করেন ক্যাট। ওই মাদকের নেশায় ধীরে ধীরে তার আচার-আচরণেও পরিবর্তন হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ক্যাট। আত্মজীবনীও লিখে ফেলেন তিনি। শৈশবে তিনি কতটা ভয়াবহতার মধ্যে দিয়ে দিন কাটিয়েছেন সে কথা বইয়ে উল্লেখ করেন। বিভিন্ন পত্রিকা থেকে শুরু করে টেলিভিশন চ্যানেলের শোয়েও তার মুখ নিয়মিত দেখা যেত। কানাঘুষো শোনা যায়, জনপ্রিয় হলি অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিয়োর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ক্যাট। সামাজিক মাধ্যমে ক্যাট তার অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। জীবনদর্শন নিয়ে নানা ধরনের উপদেশ দিতেন। সবই করতেন অর্থের বিনিময়ে। শৈশবে কঠিন পরিস্থিতি পার করার পর ক্যাট যে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছেন, সেই কাহিনি থেকেই অনুপ্রাণিত হতে শুরু করেন অন‌্য নারীরা। আর এই অবস্থারই সুযোগ নিতে শুরু করেন তিনি। ক্যালিফোর্নিয়ায় জ্যাক নামে এক তরুণের সঙ্গে আলাপ হয় ক্যাটের। তাকে বিয়ে করে টেক্সাসে পাঁচ বেডরুমবিশিষ্ট একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে শুরু করেন। সেখানে সচেতনতামূলক ভিডিও বানানোর নামে অন্য তরুণীদের সঙ্গে আলাপ করতেন। এরপর তাদের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। ব্রাজিলের বাসিন্দা অ্যানা ছিলেন ক্যাটের অনুগামী। বস্টনের একটি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতেন তিনি। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ধীরে ধীরে আমি পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলাম। ক্যাটের সব কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতাম। ক্যাটের কথায় ২০১৯ সালে ওর সহকারী হিসাবে কাজ করার জন্য পড়াশোনা ছেড়ে নিউ ইয়র্ক চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর আমার স্বপ্নের দুনিয়া ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।’ অ্যানা বলেন, ‘জামাকাপড় কাচা থেকে শুরু করে রান্না করা, ঘর পরিষ্কার করা, ক্যাটের পোষ্যদের যত্ন নেওয়া আমার কাজ ছিল। তার পরিবর্তে আমায় পারিশ্রমিক দেওয়া কথা ছিল ক্যাটের। কিন্তু সে আমায় কোনও টাকা দেয়নি। যা ভেবেছিলাম, বাস্তব তার বিপরীত ছিল। সহ্য করতে না পেরে তিন মাস পর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাই।’ একের পর এক দুর্নীতিবাজ ধরা পড়ছে, যা বললেন আফজালএকের পর এক দুর্নীতিবাজ ধরা পড়ছে, যা বললেন আফজাল অ্যানা একাই ক্যাটের অত্যাচারের শিকার হননি। ২০২২ সালে ব্রাজিলের দুই তরুণীর নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তাদের পরিবারের সদস্যেরা তদন্তকারী সংস্থা এফবিআইকে জানান, ক্যাট ওই দুই তরুণীকে বন্দি করে রেখেছেন।  খবর পাওয়ামাত্র ওই দুই তরুণীকে নিয়ে টেক্সাস ছেড়ে মেইনে চলে যান ক্যাট। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে সামাজিক মাধ্যমে দুই তরুণীকে দিয়ে জোর করে একটি ভিডিও পোস্ট করান তিনি। ক্যাটের সঙ্গে তারা যে ভালো রয়েছেন, ভিডিওতে সেই দাবি করেন দু’জন। পার্লনামে এক তরুণীকে বন্দি করে রেখেছিলেন ক্যাট। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ক্যাটের নির্দেশ না মানলে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখাতেন তিনি। পার্ল বলেন, ঘর থেকে বেরনোর জন্য, এমনকি শৌচালয় যাওয়ার জন্যও ক্যাটের অনুমতি নিতে হত। পার্লের অভিযোগ, ‘আমায় জোর করে দেহব্যবসায় নামিয়েছিল ক্যাট। প্রতিদিন দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা উপার্জন না করলে আমায় বাড়ি ঢুকতে দিত না। ভয়ঙ্কর তন্ত্রের চর্চা করত ক্যাট। আমি প্রতিবাদ জানালেই ভয় দেখাতে শুরু করত। এমন বহু রাত গিয়েছে, যখন আমি রাস্তায় ঘুমিয়েছি।’ তদন্তে নেমে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দুই তরুণীকে উদ্ধার করে ব্রাজিলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্যাটকেও আট বছর বছর জেলের নির্দেশ দেয় আদালত। ব্রাজিলের এক কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দেন ক্যাট। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘লোকে বলেন আমি নাকি ভুয়া গুরু। কথার জালে ফাঁসিয়ে কাউকে দিয়ে আমার যা খুশি করানোর ক্ষমতা রয়েছে। এসব মিথ্যা কথা শুনলে হাসি পায় আমার। তোমার যা ইচ্ছা, তুমি তাই বিশ্বাস করবে। আমি যদি বলি আমার মধ্যে যিশুর বাস, তুমি তাই মানবে। আমার ভিতর শয়তানকে দেখার ইচ্ছা থাকলে তুমি তাই দেখবে। সবই মানুষের ইচ্ছার উপর নির্ভর 
কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, যা বললেন আর এস ফাহিম 
কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজপথে নেমেছে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। এবার সেই কাতারে নাম লেখালেন জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আর এস ফাহিম চৌধুরী।  মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ধর্ম, গোত্র, দল এগুলোর আগে নিজেকে মানুষ ভাবো। যাদের নিরীহ পেয়ে আঘাত করছো, তারাও কারও না কারও বোন, ভাই। আর এস ফাহিম আরও লিখেছেন, ছাত্ররা সম্পূর্ণ যৌক্তিকভাবে তাদের মেধার মূল্যায়ন চায়। এই ন্যূনতম চাওয়াটুকু যদি না দেওয়া হয়, তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের কিছু আর হতে পারে না। সবশেষে এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর লিখেছেন, আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক। তারুণ্যের জয় হোক। এর আগে সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ২টার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের হটিয়ে ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দেশের প্রত্যেক ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রতিটা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ছাত্রলীগ। 
উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন মেহজাবীন
শোবিজের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। পর্দায় নিজের চরিত্রকে বাস্তবতার রূপে ফুটিয়ে তুলতে যেন চেষ্টার শেষ নেই তার।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব মেহজাবীন। প্রায় সময়ই সুন্দর মুহূর্তের ছবি কিংবা ভিডিও শেয়ার করে উষ্ণতা ছড়ান ভক্তদের মাঝে। এবার তার ব্যতিক্রম হলো না। বর্তমানে নিউইয়র্কের বাফেলোতে রয়েছেন মেহজাবীন। রোববার (১৪ জুলাই) সেখান থেকেই শাড়িতে নেটিজেনদের নজর কাড়লেন তিনি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন মেহজাবীন। ওই ছবিতে দেখা যায়, অভিনেত্রীর পরনে রয়েছে অরেঞ্জ রংয়ের একটি শাড়ি। সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজ, কানে ঝুল কানের দুল এবং খোপায় সাদা ফুল। হালকা মেকাপে যেন লাস্যময়ী রূপে ধরা দিয়েছেন মেহজাবীন। বেশ হাস্যোজ্জ্বল মুখেই ক্যামেরায় পোজও দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।  মেহজাবীন পোস্টটি দেওয়া মাত্রই নেটিজেনদের মন্তব্যের ঝড় ওঠে তার কমেন্টসবক্সে। সেখানে মন্তব্য করতে দেখা যায় সাবিলা নূরকে। অভিনেত্রী বলেন, মেহজাবীনের ছবিটি তিনিই ক্যামেরায় ধারণ করেছেন।    
শিক্ষার্থীদের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি
কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজপথে নেমেছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর মোহাম্মদ কাফি। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের কাছে নিরাপত্তা চান কাফি। এ সময় কাফি বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করে হুমকি পেয়েছি। মানুষ মারা গেলে ইন্নালিল্লাহ বলে। কারা যেন মারা গেলে আলহামদুলিল্লাহ বলে। এরা আমার পেছনে লেগেছে। কুকুর পেছনেই লাগে। আমরা কোটা সংস্কার চাই। আমি আমার নিরাপত্তা চাইতে এখানে এসেছি। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারার জন্য ওরা টোকাই ভাড়া করেছে। টোকাই দিয়ে আমার বোনদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এর থেকে আর লজ্জাজনক কি হতে পারে।