• ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
logo
ভিডিও ভাইরাল, অতঃপর ফেসবুকে ‘গায়েব’ সাদিয়া আয়মান
সালসাবিলের অভিযোগে মুখ খুললেন গায়ক নোবেল
ওপার বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি ‘সা রে গা মা পা’য় একের পর এক ধামাকা পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে ২০১৮ সালে আলোচনায় আসেন মাইনুল আহসান নোবেল। অল্প সময়েই বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকেও পেতে থাকেন অসম্ভব ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। মুহূর্তেই হারিয়ে যান অন্ধকারের গর্ভে। তাকে নিয়ে ছিল ব্যাপক সমালোচনা। সামাজিকমাধ্যমে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করে ‘মাদকাসক্ত’ তকমা পেয়ে যান একসময়ের সবার চোখের মণি। তার অনুরাগীদের প্রার্থনা ছিল শুধু তার সুস্থতা কামনায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নোবেল বলেন, ফিরছি সেই আগের মতো করে! তিনি আরও বলেন, ভুলত্রুটিগুলো বুঝতে পেরেছি। শুধরে নিয়েছি নিজেকে। স্বীকার করলেন, আসক্তি নামের একটি বিষয়ের সঙ্গে খারাপ সময় কেটেছে তার। নিজেকে শোধরাতে কাটাতে হয়েছে রিহ্যাবেও। এদিকে নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদও তার প্রতি শুভকামনা রেখেছিলেন। তবে তার রোববারের ফেসবুক স্ট্যাটাস বলছে ভিন্ন কথা। নিজের ফেসবুকে সালসাবিল লেখেন, ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। খুব দ্রুত বিচার না করে একটু সময় দিন, সত্যটা সবার সামনে চলে আসবে। যে যেটাতে অভ্যস্ত, সেটাই করতে থাকবে। ক্যামেরার সামনের নাটকটি ক্ষণস্থায়ী। সত্য বের হয়ে আসা শুধু ক্ষণিকের অপেক্ষা।’ কাকে নিয়ে এমন স্ট্যাটাস— মন্তব্যের ঘরে জানতে চান নেটিজেনরা। এক মন্তব্যের জবাবে সালসাবিল লেখেন, নেশাখোর। নেটাগরিকদের কেউ কেউ নোবেলের নাম লেখেন। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হয় সালসাবিলের সঙ্গে। তিনি জানান স্ট্যাটাসটি নোবেলকে নিয়ে। সেইসঙ্গে দাবি করেন ফের নেশায় ডুবছেন নোবেল। সালসাবিল বলেন, সে (নোবেল) রিহ্যাবে ছিল অনেকদিন। ফেরার পর ২-৩ মাসের মতো ভালো ছিল। এখন আবার মাদক নেওয়া শুরু করেছে। নোবেলের ফের মাদক নেওয়ার বিষয়টি কীভাবে জানলেন জানতে চাইলে সালসাবিল বলেন, রিহ্যাব থেকে ফেরার পর থেকেই ওর সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। নিয়মিত কথা হতো। দু-তিন মাসের মতো ভালো ছিল। মাদক থেকে দূরে ছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে আবার শুরু করেছে। সে নিজেই আমাকে বলেছে। তার আচরণ কিছুটা ওলটপালট হচ্ছিল। বিষয়টি খেয়াল করে জানতে চাইলে সে বলে, হ্যাঁ নিচ্ছি তাতে তোমার কী।   নোবেলের সাবেক স্ত্রীর এমন মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মাধ্যমে যখন চর্চা হচ্ছে, তখন বিষয়টি নিয়ে একটি বেসরকারি টিভির অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন গায়ক নোবেল। জানালেন, সালসাবিলের এমন মন্তব্য নিয়ে বেশি কিছু বলতে চান না তিনি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে নোবেলের হাতে কিছু গান ও সিনেমা রয়েছে, যা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্মাণ হবে। এরমধ্যে একটিতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাকে। পর্দায় খলনায়ক চরিত্র নিয়েই ফিরতে চান এই গায়ক। আরটিভি/এএ/এসএ
এবার কিশোর কুমারের বায়োপিকে আমির খান
ভণ্ডামির চূড়ান্ত সীমায় মামুন, বয়কট দরদ!
দাফন নিয়ে জটিলতা, মনি কিশোরের মরদেহ এখনও মর্গে
সালমানের হুমকিদাতা লরেন্সকে হত্যা করলে বিশাল পুরস্কার!
তোপের মুখে ক্ষমা চাইলেন সাদিয়া আয়মান
সাধারণত নাটক-সিনেমায় দর্শকদের দেখার আগ্রহ বাড়ার জন্য নানান কৌশল ব্যবহার করে থাকেন অভিনয়শিল্পী কিংবা নির্মাতারা। মূলত দর্শকদের মাঝে ওই নাটক বা সিনেমা দেখার কৌতূহল তৈরি করতেই বিভিন্নভাবে নানা প্রচারণা চালান তারা। এবার তেমনই এক প্রচারণার পথ অবলম্বন করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি লাইভ নিয়ে হাজির হন সাদিয়া। যেখানে নাটকের প্রমোশনের জন্য এমন এক কৌশল অবলম্বন করেছেন তিনি যা দেখে এখন অনেকেই ভয়ের মধ্যে রয়েছেন।  সেখানে অভিনেত্রী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে একটা বাজে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে কেনো এটা হচ্ছে, সেটা জানেন না সাদিয়া। বিষয়টা কয়েকবার তার সঙ্গে ঘটেছে দেখেই ফেসবুক লাইভে এসেছেন তিনি। ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে অভিনেত্রী বলেন, গত কয়েক দিন আগে আমি একটা শুট শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম, তখন রাস্তায় যাওয়ার পথে দেখি পা থেকে মাথা পর্যন্ত একজন কালো কেউ আমার গাড়ির সামনে চলে আসে। এরপর গাড়ি থামিয়ে নেমে দেখি সেখানে কেউ নেই। তখন আমরা নিরাপদে সেখান থেকে বাসায় চলে আসি। তবে বাসার বিপরীত দিকে আবারও সেই ব্যক্তিকে দেখতে পাই। এ সময় একটু থেমে সাদিয়া বলেন, আমি কথা বলতে কাঁপছি। কিছুক্ষণ আগেও বারান্দা থেকে দেখেছি সেই ব্যক্তি আমার বাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে আছে। এরপর মোবাইলটা হাতে নিয়ে বারান্দায় চলে যান এই অভিনেত্রী। সেখানে গিয়ে লাইভে কালো পোশাকে দাঁড়িয়ে থাকা সেই ব্যক্তিকে দেখিয়ে কাঁদতে থাকেন ও হুট করে লাইভটি কেটে দেন।   অভিনেত্রীর সেই ফেসবুক লাইভে ভক্তরাও ঘাবড়ে যান। সকলেই তার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেন। অনেকেই ধারণা করেন, সাদিয়ার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটেছে। তবে এর কিছুক্ষণ পরই ফেসবুক থেকে লাইভটি সরিয়ে নেন  অভিনেত্রী। ঘণ্টাখানেক বাদে একটি ওয়েব ফিল্মের পোস্টার শেয়ার করেন তিনি। স্পষ্ট হয়, ফেসবুক লাইভটি ছিল সেই ওয়েব ফিল্মের প্রচারণার অংশ।  এরপরই সাদিয়া আয়মানের ওপর ক্ষুব্ধ হন ভক্তরা। অভিনেত্রীর কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করতে থাকেন। পুরও বিষয়টি বুঝতে পেরে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করে ফেলেন সাদিয়া। তার প্রচারণার কৌশলটি ভক্তদের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে, সেটাও উপলব্ধি করেন তিনি। এদিকে নেটিজেনদের তোপের মুখে ‘ফেসবুক লাইভ’ কাণ্ডে অবশেষে ক্ষমা চান অভিনেত্রী। গণমাধ্যমকে সাদিয়া আয়মান বলেন, আমি তো একজন শিল্পী, যেই ওয়েব ফিল্মে কাজ করেছি তারা আমাকে অনুরোধ করে এরকম একটি প্রচারণা চালানোর জন্য। প্রথমে আমি তাদেরকে না বলি। পরে কাজটি করলেও আমার ধারণা ছিল সাধারণ মানুষ হয়তো বুঝবে, এটা কোনো সিনেমা বা নাটকের প্রচারণার অংশ।  অভিনেত্রী বলেন, দেখুন, এরকম কোনো কাজ আমার আদর্শের সঙ্গে যায় না। তবুও প্রডাকশন হাউজের অনুরোধেই কাজটা করতে হয়েছে। ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবেন না উল্লেখ করে সাদিয়া আয়মান বলেন, আমি জানি, এই ঘটনার পরে অনেক মানুষের ভালোবাসা হারিয়ে ফেলেছি। জীবনেও এই ভুল আর কখনো করবো না। আরটিভি /এএ/এসএ
মুম্বাইয়ে কী করছেন শাকিব খান
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। নিজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গেও। ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকদের মনে। একের পর এক ভিন্ন মাত্রার চরিত্রে বার বার সবার নজর কাড়ছেন তিনি।    বিশেষ করে ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’ ও ‘তুফান’ এই তিন সিনেমার পর থেকেই তুমুল আলোচনায় রয়েছেন শাকিব। এবার মুম্বাইতে পাড়ি জমালেন এই অভিনেতা।  মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার একটি ফ্লাইটে মুম্বাই গেছেন শাকিব। মূলত সেখানে টানা এক মাস ‘বরবাদ’ সিনেমার শুটিং করবেন তিনি। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সিনেমাটির শুটিং।  সিনেমায় শাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন কলকাতার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় শাকিব-ইধিকার রসায়ন দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছিল দর্শকের। সেই জুটি আবারও পর্দা আসছেন দর্শক মাতাতে।   শাকিব-ইধিকার ‘বরবাদ’ নির্মাণ করছেন মেহেদী হাসান হৃদয়। ইন্ডাস্ট্রিতে নাটক নির্মাণ করে সাফল্য পেয়েছেন তিনি। এখন দেখার পালা বিগ বাজেটের এই সিনেমাটি দিয়ে দর্শকমহলে কেমন সাড়া ফেলেন হৃদয়। আরটিভি/এইচএসকে /এআর  
কারও জীবন নষ্ট করে অপরাধী হবেন না: মেহজাবীন
শোবিজের দর্শকনন্দিত অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন লুক আর চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে সাধনার কোনো কমতি রাখেন না তিনি। ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট নাটক। শুধু তাই নয়, ওয়েব ফিল্মেও নিজের অভিনয় গুণে দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি।  কাজের পাশাপাশি নেটদুনিয়াতেও বেশ সরব মেহজাবীন। প্রায় সময়ই সমাজের নানান ইস্যুতে নিজের মতামত প্রকাশ করতে কিংবা প্রতিবাদ করতে দেখা যায় তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারও জীবন নষ্ট না করার অনুরোধ জানালেন অভিনেত্রী।        গত ২১ অক্টোবর মধ্য রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ছবি শেয়ার করে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। মূলত সেখানে অমানবিক একটি ঘটনা তুলে ধরেছেন তিনি।  পাঠকদের জন্য মেহজাবীনের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো— ‘বামে যেই ছবিটা দেখা যাচ্ছে, সেটা একজনের পোস্ট, যিনি একজন গৃহকর্মীকে নির্যাতন করেছেন (এখনও প্রমাণিত হয়নি মনে হয়, ইনভেস্টিগেশন চলছে)। আর ডান পাশের মানুষটি হলেন সেই নির্যাতিত গৃহকর্মী। দয়া করে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা কিছু দেখছেন, সবকিছু বিশ্বাস করবেন না। অনেকেই শুধু ভান করছে। কেউ ভালো সাজে, কেউ নিজেকে ভুক্তভোগী হিসেবে দেখায়, কেউ ক্ষমতাশীল বলে দাবি করে, আবার কেউ নিরপরাধের অভিনয় করে।  বাস্তবে, প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে অভিনয় করছে, আর কেউ কেউ তো বুঝতেও পারে না যে তারা কী করছে। তবে মনে রাখবেন, সবকিছুই সত্য নয় যা আপনি অনলাইনে দেখেন। মানুষজন নিজেদের নিয়ে বড় বড় কথা লিখে, কিন্তু আমি সবসময় বিশ্বাস করি, কাজ কথার চেয়ে বেশি শক্তিশালী। সোশ্যাল মিডিয়া বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করুন। আগে মানুষ হোন, তারপর ভালো মানুষ সাজুন। অনলাইনে কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন সেটা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার বাস্তবের কাজ। এই ছবিটি গত কয়েকদিন ধরে এতবার দেখেছি যে এটা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। যারা গৃহকর্মীর সাহায্য নেন, তাদের হয় সাহায্য করুন, বুঝিয়ে বলুন আর যদি তারা আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারে, তাহলে তাদের ছেড়ে দিন। কিন্তু তাদের ক্ষতি করবেন না। কারও জীবন নষ্ট করবেন না। শারীরিক বা মানসিকভাবে ভেঙে ফেলবেন না। এটা শুধু ভুল নয়, এটা অপরাধ। অপরাধী হবেন না।’ আরটিভি/এইচএসকে/এআর  
মারা গেছেন আয়রন মেডেন গায়ক পল ডি’আনো
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন আয়রন মেডেন গায়ক পল ডি’আনো। গত ২১ অক্টোবর ইংল্যান্ডে নিজের বাড়িতে মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।  আমেরিকান গণমাধ্যম ফক্স নিউজকে গায়কের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন পল ডি’আনোর প্রতিনিধিরা। গায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবারে। পাশাপাশি পল ডি’আনোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তার বন্ধু-বান্ধবসহ সহকর্মীরাও।  এক বিবৃতিতে গায়কের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে হুইলচেয়ারে বসে গান গাইতেন পল ডি’আনো। এভাবেই বিশ্বজুড়ে তার ভক্তদের বিনোদন দিয়েছেন তিনি। ২০২৩ সাল থেকে ১০০ টিরও বেশি শো করেছেন। পল ডি’আনো মারা যাবার পর শোকস্তব্ধ তার পরিবার। গায়কের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ব্যান্ডের বর্তমান সদস্যরা বলেন, পল ডি’আনোর মৃত্যুতে ‘গভীরভাবে শোকাহত’ আমরা। তাকে ভীষণ মিস করবো আমরা। আয়রন মেডেনে তার অবদান ছিল অপরিসীম এবং আমরা প্রায় পাঁচ দশক ধরে ব্যান্ড হিসেবে যে পথে ধরে চলছি সে যাত্রায় আমাদের সেট করতে সাহায্য করেছিলেন তিনি।  প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালের ১৯ মে পল ডি’আনো পূর্ব লন্ডনের চিংফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সালের মধ্যে প্রথম ইংলিশ হেভি মেটাল ব্যান্ড ‘আয়রন মেডেন’র প্রধান গায়ক হিসেবে খ্যাতি কুড়িয়েছিলেন তিনি।  আরটিভি/এইচএসকে   
যাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন চিত্রনায়িকা কেয়া
ঢালিউড নায়িকা সাবরিনা সুলতানা কেয়া। এক সময় মান্না, আমিন খান, শাকিব খানসহ জনপ্রিয় প্রায় সব নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধেও কাজ করেছেন তিনি। তবে এখন বেছে বেছেই কাজ করছেন এই নায়িকা।  এদিকে কেয়ার নামে বেশকিছু ফেসবুক পেজ, ইউটিউব এবং অনলাইন পোর্টালে ভিত্তিহীন খবর প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন কেয়া।  পাঠকদের জন্য চিত্রনায়িকার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো— ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অঙ্গনে আমার দীর্ঘ ২৪ বছরের অভিনয় জীবন। এই সুদীর্ঘ পথ চলায় আমি কখনো কাউকে অশ্রদ্ধা করিনি, অহঙ্কার করিনি, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করিনি। সবাইকে যথোপযুক্ত সম্মান দিয়ে পথ চলেছি এবং অভিনয় ও পরিবার নিয়েই জীবনের ব্যস্ত সময় পার করেছি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা গুজব ও রটনার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় নানা ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন্নসহ আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। আমার অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী আমার এই খারাপ সময়ে পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন, যার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।  আমি ভেঙে পড়িনি, সিদ্ধান্ত নেই প্রতিবাদ করার। যার ফলশ্রুতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষ বরাবর আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করি। কিছু কিছু মিডিয়াও এই সব অপপ্রচার বুঝতে পেরে তাদের অনলাইন পোর্টাল ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর অপসংবাদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং সত্য সাংবাদিকতাকে সাধুবাদ জানাই।’  বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কেয়া বলেন, যেটা আমি করিনি সেটা আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। পত্রিকা কিংবা চ্যানেলের কাটতির জন্য তো আমার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানো অপরাধ। তাই আমি আইনি প্রক্রিয়ায় নিচ্ছি। মিথ্যার বিরুদ্ধে অব্যাহত থাকবে আমার প্রতিবাদ। এমনকি প্রয়োজনে মামলাও করবো। কারণ আমার ওপর কোনো ধরনের মিথ্যা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে ‘কঠিন বাস্তব’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় কেয়ার। এরপরে বেশকিছু চলচ্চিত্রে কাজ করেন তিনি। তবে ক্যারিয়ার যখন সাফল্যের চূড়ায় ঠিক তখনই সিনেমা থেকে আন্তরালে চলে যান অভিনেত্রী। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে ‘ব্লাক মানি’ দিয়ে আবারও পর্দায় ফেরেন তিনি। বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে কেয়ার বেশ কয়েকটি সিনেমা। আরটিভি/এইচএসকে /এআর  
যে কারণে অস্কার নিয়ে আক্ষেপ এ আর রহমানের
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমান। ২০০৯ সালে ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়র’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনার জন্য অস্কার পান তিনি। সম্প্রতি তার এই অর্জন নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করতে দেখা গেছে রহমানকে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের চর্চা তুঙ্গে।   আক্ষেপের সুরে রহমান বলেন, তার অস্কার জয়ে এখন আর কারও কিছু আসে-যায় কি? হঠাৎ গায়কের এমন মন্তব্য নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে তার ভক্তদের মনে।    সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে রহমান বলেন, নিজেকে নিয়ে নতুন করে প্রমাণ করার কোনো তাগিদ নেই তার। তাই ক্যারিয়ারের এই বাঁকে দাঁড়িয়ে বেছে বেছে কাজ করতে আগ্রহী তিনি। তিনি আরও বলেন, অনেক বছর আগে আমি অস্কার জিতেছিলাম। কিন্তু, এখন তা নিয়ে কারও কিছু আসে-যায় কি? আমি সেই কাজগুলোই করছি, যেগুলো আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। রহমান বলেন, কাজের ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়া এবং পরিচালকদের তরফে আমাকে ভুল পথে নেওয়ার প্রবণতা। অদ্ভুত বা বিদঘুটে গানের লিরিক দেওয়া হলে নিজেকেই প্রশ্ন করি, পরবর্তীতে কি আমি মঞ্চে এই গানটা গাইতে পারব? তাই পছন্দ না হলে সেই প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দেন বলে জানান রহমান। প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে মণিরত্নম পরিচালিত একটি কফির বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন   রহমান। এরপরই মণিরত্নমের তামিল সিনেমা ‘রোজা’ সিনেমায় প্রথম সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজের সুযোগ পান তিনি। এরপর একের পর এক  গান দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন এই গায়ক। ২০১৪ সালে তিনি ৪টি জাতীয় পুরস্কার, ১৫টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন রহমান। সে বছর ১৩৮টি নমিনেশনের মধ্যে ১১৭টিতেই পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন এই সংগীতশিল্পী। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে তিনিই প্রথম একই বছর দুটি অস্কার জিতেছিলেন। আরটিভি/এইচএসকে/এআর   
নতুন রূপে পর্দায় ফিরলেন ফারজানা ছবি
প্রায় তিন দশক ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী ফারজানা ছবি। ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যে ভিন্ন মাত্রার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। নাটক দিয়ে অভিনয়ে পা রাখলেও পরবর্তী সময়ে নাম লেখান চলচ্চিত্রেও। এবার নতুন রূপে পর্দায় ফিরলেন ছবি।  মাঝে এক বছর বিরতির দিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ বেতারের সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তিনি। গত ১৯ অক্টোবর প্রথমবারের মতো বেতারে সংবাদ পাঠ করলেন ছবি।  বেতারের সংবাদ পাঠের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত তিনি। গণমাধ্যমে অভিনেত্রী বলেন, অনেক দিন ধরেই বেতারের সঙ্গে আছি। নাটকে অভিনয় করি, আবৃত্তি করি, মাঝে মাঝে অনুষ্ঠান ঘোষক হিসেবেও কাজ করি। এবার সংবাদ পাঠ শুরু করলাম। বিষয়টি আমার কাছে ভীষণ আনন্দের। কণ্ঠের পারফরম্যান্স আমি খুব উপভোগ করি। ছোটবেলা থেকেই উচ্চারণে ভালো ছিলাম। এটা বেতারে এখন কাজে লাগছে।  ছবি আরও বলেন, এখন আমাদের নাটক-সিনেমায় প্রমিত ভাষার ব্যবহার একেবারে কমে গেছে। কিন্তু বেতারে শুদ্ধ বাংলাকে জোর দেওয়া হয়। আমি মনে করছি বেতার আমার যোগ্যতাকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে। অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুরুর দিকের জার্নিটা কঠিন ছিল। প্রায় দেড় মাস রিহার্সেল করেছি একটি নাটকের জন্য। প্যাকেজ শুরু হলে প্র্যাকটিসও বেড়ে যেত। এক লাফে সিঁড়ির ওপর উঠিনি। ধাপে ধাপে উঠেছি। সবার কাছে যে সম্মান পাই এবং অভিনয় দিয়ে নিজের পরিচিতি তৈরি করতে পেরেছি, এটা আমার শিল্পী জীবনের প্রাপ্তি। ১৯৯৮ সালে নির্মাতা আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘চিঠি’ নাটকে অভিনয়ে পা রাখেন ছবি। ২০১৩ সালে ‘সীমানা পেরিয়ে’ নাটকে অভিনয়ের জন্য সেরা টিভি অভিনেত্রী হিসেবে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। ছবির উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো, ‘কানামাছি’, ‘লাল গোলাপ’, ‘মহুয়া সুন্দরী’, ‘অপরাজিতা’, ‘জয়নগরের জমিদার’, ‘নিঃশ্বাস’ ইত্যাদি।  আরটিভি/এইচএসকে/এআর