ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুমানা ইসলাম মুক্তি। গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ সিনেমায় চম্পার মেয়ে গোপী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছিল মুক্তির। এরপর হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় জমিদারের নাতনির চরিত্রে অভিনয় করে মন জয় করে নেন দর্শকদের।
চাষী নজরুল ইসলামের ‘হাসন রাজা’ সিনেমাতেও অভিনয় করেন মুক্তি। এরপর কয়েকটি সিনেমা করার পর বাবা-মায়ের অসুস্থতার জন্য আর বড় পর্দায় দেখা মেলেনি অভিনেত্রীর। বর্তমানে অসুস্থ মায়ের দেখভাল করছেন তিনি।
অভিনয়ে না থাকলেও চলচ্চিত্রে সংশ্লিষ্ট আয়োজনে পাওয়া যায় তাকে। পাশাপাশি নিয়মিত সামাজিক কাজে দেখা মেলে। সেই ধাবাহিকতায় এবার ক্যানসারে আক্রান্ত ইউনুস মিয়ার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন এ অভিনেত্রী।
গত ২৮ নভেম্বর অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না ক্যানসারে আক্রান্ত ইউনুস মিয়ার শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে আরটিভি। সংবাদ প্রকাশের পর তা অভিনেত্রী মুক্তির নজড়ে পড়েন। এরপর তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্যানসারে আক্রান্ত ইউনুস মিয়ার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেন।
অভিনেত্রী মুক্তি আরটিভিকে বলেন, আমরা মানুষ একে অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়াবো এইটাই স্বাভাবিক। সংবাদটি যখন আমি দেখি তখনই আমি মনস্থির করি আমার সাধ্যমত তাকে সহযোগিতা করবো। সবার প্রতি আহ্বান থাকবে বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার। হয়তো আপনার আমার একটু সহযোগিতাই বলদে দিতে পারেন তাদের জীবন।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার টামটা গ্রামের মো. ইউনুস মিয়া, বয়স ৬৫। পরিবারের তিন সদস্যের মধ্যে একমাত্র উপার্জনকারী তিনি। গ্রামে একটি ভাতের হোটেলে কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালাতেন। বসতভিটা ছাড়া তেমন কোনো জমিও নেই তার। এমন বাস্তবতায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ইউনুস। বাড়ির লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন তার লিভার ক্যানসার।
হাসপাতালে ভর্তি ও পরবর্তী চিকিৎসার খরচ না থাকায় বাড়িতেই ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ইউনুস মিয়া। কিন্তু দিনদিন তার অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে দেখে তাকে ফের চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। ডাক্তার তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন।
(২৬ নভেম্বর) রাতে ইউনুস মিয়াকে রাজধানীর দারুসসালামের মানবিক চিকিৎসকদের সংগঠন হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব এবং হাসপাতালে বিনা টাকায় একটি বেডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
ইউনুস মিয়া বর্তমানে হাসপাতালটিতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসারবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহফুজুল আহমেদ রিয়াদের অধিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ চিকিৎসায় ৫ লাখ টাকার বেশি খরচ হতে পারে। এ অবস্থায় অসহায় এই মানুষটির পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবার।
সহায়তা করতে যোগাযোগ করুন-
রাজধানীর দারুসসালামের মানবিক চিকিৎসকদের সংগঠন হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব এবং হাসপাতাল। ফোন নম্বার- 01774773648/ 01719413206।
আরটিভি /এএ