• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
মাস্কের নিউরালিঙ্ককে মানব মস্তিষ্কে চিপ বসানোর অনুমতি দিলো কানাডা
শিখ নেতা নিজ্জর হত্যার বিষয়ে সব জানতেন মোদি: দাবি কানাডার
কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে তিনি সেই ছকের কথা জানান এবং নিজ্জর হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় বলে কানাডার গোয়েন্দারা দাবি করেছেন।  তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই অভিযোগ ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেছেন, এমন ধরনের ভিত্তিহীন মন্তব্য অবহেলার সঙ্গে খারিজ করা উচিত।  কানাডার গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার ঘটনার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানতেন এমন প্রমাণ দিতে কানাডা সরকারকে বলেছে ভারত। তাদের দাবি, কানাডা এখনও কোনো তথ্যপ্রমাণ দেয়নি। তবে ঘটনাটি জানলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মোদির জড়িত থাকার প্রমাণ কানাডিয়ান গোয়েন্দাদের কাছে নেই বলে তারাও স্বীকার করেছে। যদিও কানাডার নাগরিক খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার পেছনে ভারত সরাসরি যুক্ত বলে কানাডা সরকার আগেই অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে বলেছিলেন, এমন মনে করার যথেষ্ট তথ্য তাদের কাছে আছে। ভারতের উচিত, তদন্তে নিযুক্ত গোয়েন্দাদের সঙ্গে সহযোগিতা করা। তবে ভারত শুরু থেকেই ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে আসছে।  কানাডার সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কানাডায় বসবাসরত খালিস্তানপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের আচরণ নিয়ে ভারত অনেক দিন ধরেই চিন্তিত। তাদের ভারতবিরোধিতার মোকাবিলা শক্ত হাতে দমন করার ঘোষণা দিয়ে আসছে মোদি সরকার। কিন্তু ট্রুডো সরকার তাতে কর্ণপাত করে না। ভারতের অভিযোগ, ভোটে কানাডার নাগরিক শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের সমর্থন পেতে ট্রুডো মরিয়া। আরটিভি/কেএইচ/এআর
কানাডায় মানবদেহে প্রথম বার্ড ফ্লু শনাক্ত
মেক্সিকোয় চব্বিশ ঘণ্টায় দুই সাংবাদিক নিহত
কানাডায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য দুঃসংবাদ
ভারত ভয়াবহ ভুল করেছে: ট্রুডো
ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিলেন কিউবার প্রেসিডেন্ট 
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবার উত্তর আমেরিকার দেশ কিউবাতে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন খোদ দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি ও ইসরাইলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল এবং কমিউনিস্ট-পরিচালিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির অন্যান্য নেতাদের নেতৃত্বে হাজার হাজার কিউবান নাগরিক রাজধানী হাভানায় মিছিল করেছেন। এই বিক্ষোভ-মিছিলে কিউবায় বসবাসরত প্রায় ৪৫০ জন ফিলিস্তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থীও অংশ নেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন দীর্ঘজীবী হোক’। এছাড়া মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ও তার সহযোগীরা ঐতিহ্যবাহী কেফিয়াহ স্কার্ফ পরেছিলেন।   বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়া মিশেল মারিনো নামে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এখানে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য দাবি, তাদের সার্বভৌমত্ব ও তাদের স্বাধীনতার প্রতি সংহতি জানাতে এসেছি। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনপন্থি এই বিক্ষোভ মিছিলটি গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হারিকেন ‘মিল্টন’ এর কারণে সেসময় এটি স্থগিত করা হয়। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাশাপাশি কিউবাতেও আঘাত হানে শক্তিশালী এই সামুদ্রিক ঝড়টি। আরটিভি/এসএইচএম  
শপথের সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই খুন হলেন মেক্সিকোর মেয়র
মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর চিলপানচিনগোর মেয়র আলেহান্দ্রো আরকোসকে শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মাঝে হত্যা করা হয়েছে। খবর এএফপির। সোমবার (৭ অক্টোবর) এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন গেরেরো রাজ্যের গভর্নর এভেলিন সালগাদো।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘চিলপানচিনগোর মেয়র আলেহান্দ্রো আরকোসের হত্যাকাণ্ড 'আমাদেরকে ক্রোধান্বিত করেছে’। তবে কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তিনি জানাননি। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আরকোসের শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোন আনুষ্ঠানিক তথ্য জানা যায়নি। চলতি বছর জুনে বিরোধী দলগুলোর জোটের প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচিত হন আরকোস। গত ১ অক্টোবর তিনি শপথ গ্রহণ করেছিলেন। জোটের অন্যতম শরীক ইনস্টিটিউশনাল রেভোলুশনারি পার্টি (পিআরআই) এই হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘কাপুরুষোচিত অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছে।
শপথ নিলেন মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট 
মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শাইনবাউম শপথ নিয়েছেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি দেশে নারী অধিকার নিশ্চিত করা ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নিজের দেশকে নিরাপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। খবর: ডয়েচে ভেলের। ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শপথ নেওয়ার মাধ্যমে আগামী ছয় বছরের জন্য মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ক্লাউদিয়া। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, এখন পরিবর্তনের সময়। এবার নারীদের পালা।  ক্লাউদিয়া আরও বলেন, আমি একজন মা, দাদি, বিজ্ঞানী ও নারী এবং আজ থেকে মেক্সিকোর জনগণের ইচ্ছায় তাদের প্রেসিডেন্ট।  বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ বিনিয়োগের জায়গা হবে মেক্সিকো। মেক্সিকোতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে একবার ৬ বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা যায়।   ডয়চে ভেলে বলছে, শাইনবাউমকে ১৯৮০ সালের পর সবচেয়ে বড় বাজেট ঘাটতি মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ক্লাউদিয়া শাইনবাউমকে রাজস্ব আয় বাড়াতে অবশ্যই কর ব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে হবে। তবে শাইনবম বলেছেন, তিনি কর আদায়ের ওপর জোর দেবেন। তিনি বলেন, আমি সবার প্রেসিডেন্ট হবো এবং আমি নিশ্চিত করবো যেন আমি আমার অর্জিত জ্ঞান, শিক্ষা, শক্তি ও ইতিহাস এই দেশ ও দেশের জনগণের জন্য প্রয়োগ করতে পারি। আরটিভি/এআর
সুদানে বাঁধ ভেঙে প্রবল বন্যা, নিহত ৬০
উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে একটি বাঁধ ভেঙে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে এবং এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। এতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি মহাসংকটে পড়েছে। সূত্র: আল জাজিরা। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে চারজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছিলেন। তবে পরের দিন সোমবার স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৬০ জনে পৌঁছেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে বার্ষাকালীন ভারী মৌসুমি বৃষ্টির কারণে পোর্ট অব সুদান শহরের উত্তর দিকের ‘আরবাত’ নামের একটি বাঁধ ভেঙে এ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বহু হতাহতের পাশাপাশি অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, সুদানে বাঁধভাঙা প্রলয়ংকরী বন্যায় অন্তত ২০টি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামের অন্তত ৫০ হাজার বসতবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদান শহরের পানির মূল উৎস হিসেবে পরিচিত ‘আরবাত’ বাঁধটি লোহিত সাগর সংলগ্ন। এর তীরবর্তী পোর্ট অব সুদান শহরটি বর্তমানে সুদানের প্রশাসনিক রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কারণ মূল রাজধানী খার্তুমে যুদ্ধ চলছে। সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গত বছরের এপ্রিল থেকে যুদ্ধ করছে। এতে বহু মানুষ এরই মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সুদানে বেশ কয়েকটি বাঁধ রয়েছে, যার মধ্যে আরবাত অন্যতম। বন্যা মোকাবিলার প্রয়োজনেই বাঁধগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।  গত জুন থেকেই সুদানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যা হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ) বলছে, বন্যায় সুদানের ১৬টির রাজ্যে প্রায় ৩ লাখ ১৭ হাজার মানুষ (৫৬ হাজার ৪৫০ পরিবার) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর দারফুর, নীল নদ ও পশ্চিম দারফুর রাজ্যের বাসিন্দারা। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার বলেছে, জুন থেকে শুরু হওয়া বন্যায় সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদপত্র মেরদামীক জানিয়েছে, পাহাড়ে আশ্রয় নেওয়ার পর যারা আটকে পড়েছিল তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে বিমানবাহিনী। সুদানের পানি কর্তৃপক্ষের পরিচালক ওমর ইসা তাহির স্থানীয় সংবাদ সাইট আখবারকে বলেছেন, বন্যা ‘পুরো এলাকা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে’। যুদ্ধকবলিত সুদানের আগে থেকেই মানবিক বিপর্যয় চলছিল। এর মধ্যে বন্যা এসে বিপর্যয় আরও প্রকট করেছে। খাদ্য সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কলেরাসহ নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ–ব্যাধি।    
এবার ড. ইউনূসকে কানাডার সমর্থন
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছে কানাডা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃ‌তিতে এ সমর্থনের কথা জানায় দেশটি। শ‌নিবার (১০ আগস্ট) এ তথ্য জানায় ঢাকার কানা‌ডিয়ান হাইক‌মিশন। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বিবৃ‌তিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারকে স্বাগত জানা‌ন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে চলমান সংকটের সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এগিয়ে যেতে কানাডা সমর্থন করে। এটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক শাসনের পথ প্রশস্ত করার পাশাপা‌শি শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রথম পদক্ষেপ। মেলানি জোলি আরও বলেন, এই পরিবর্তনের সময়ে এমন একটি প্রক্রিয়ায় কানাডা যুক্ত হতে চায়, যা হবে সবার অংশগ্রহণমূলক। ব্যাপক অর্থে সমাজের সব খাতের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ। তাতে থাকবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, যুব সমাজ, নারী ও অন্য সংখ্যালঘুরা।  মানবাধিকারের প্রতি সম্মান, আইনের শাসন মেনে গণতান্ত্রিক রীতি ও অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের নীতিতে সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে কানাডা সবাইকে শান্ত থাকারও আহ্বান জানায়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চর্চার জন্য ইন্টারনেট ও অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার পুরোপুরি সুযোগ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিও আহ্বান জানায় দেশটি।
কানাডায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
কানাডার ভ্যানকুভার প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে উত্তরাঞ্চলের ভ্যানকুভার দ্বীপ ও আশপাশের এলাকা। এ ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।  বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৪ মিনিটে প্রদেশটির টফিনোতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের আট কিলোমিটার গভীরে। দেশটির ভূমিকম্প সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে গোটা প্রদেশ। এর আগে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই একই মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশটিতে। জানা যায়, দেশটির ভ্যানকুভারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভ্যানকুভারের পোর্ট হার্দি এলাকা থেকে ২২৫ কিলোমিটার দূরে ১০ কিলোমিটার ভূগর্ভে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়। 
হারিকেন ‘বেরিল’-এর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড ক্যারিবীয় দ্বীপ
পূর্বাভাস মতোই মহাশক্তি নিয়ে ক্যারিবীয় উপকূলে আঘাত হেনেছে হারিকেন বেরিল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার গতিবেগে সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনসের ইউনিয়ন দ্বীপে চার ক্যাটাগরির হারিকেন হিসেবে আঘাত হানে বেরিল। প্রবল ঝড়ে লন্ডভন্ড  হয়ে গেছে দ্বীপটি। খবর বিবিসির। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেরিলের তাণ্ডবে ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে ইউনিয়ন দ্বীপের সব বাড়িঘর। দ্বীপটিতে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ বর্তমানে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। অনেকে সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা এবং সেন্ট লুসিয়াতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। শক্তিশালী ঝড়টির তাণ্ডব দেখে হতবাক হয়ে গেছেন স্থানীয়রা। সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনসের কাছে অবস্থিত দ্বীপের প্রতিটি বাড়ি একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মহাশক্তিশালী বেরিল তার ভয়াবহ ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে পুরো ইউনিয়ন দ্বীপে। দ্বীপটির বাসিন্দারা সবাই এখন গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে এক ভিডিও বার্তায়। সেইসঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি রাস্তায় ভেঙে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। ভয়ার্ত কণ্ঠে স্থানীয় এক জেলে জানান, ১৯৮৫ সাল থেকে এই অঞ্চলের বাসিন্দা তিনি। ২০০৪ সালের হারিকেন ইভানও তাদের এমন ক্ষতি করে যায়নি। হারিকেন বেরিলের মতো ভয়াবহ ঝড় তিনি আগে দেখেননি। ঝড়ের তাণ্ডবে তার সব কিছু তছনছ হয়ে গেছে। এখন তার থাকার জায়গাটা পর্যন্ত নেই। তিনি আরও জানান, দ্বীপের ৯০ শতাংশই ধ্বংস করে গেছে ঘূর্ণিঝড়টি। বেরিলের তাণ্ডবে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দ্বীপটিতে বসবাসকারী জনগণের প্রয়োজনীয় খাবার, শিশুদের জন্য দুধ, স্যানিটারি পণ্য, প্রাথমিক চিকিৎসা ও আশ্রয় নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। ঝড় থামার পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনসের প্রধানমন্ত্রী রালফ গনসালভেস ক্যারিবীয় দ্বীপজুড়ে হারিকেন বেরিলের আঘাতের সারসংক্ষেপ জানিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, বিপজ্জনক ও বিধ্বংসী হারিকেন বেরিল অপরিমেয় ধ্বংসের মধ্যে রেখে গেছে আমাদের দেশকে। যত দ্রুত সম্ভব ঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা করা হবে।   তবে দ্বীপের সংস্কার কাজ এবং এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী রালফ। তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে প্রচুর আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রয়োজন হবে, বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থের দরকার হবে। এক বছর বা তারও বেশি সময় লাগবে সংস্কার কাজে। তাই আমাদের ধৈর্য্য সহকারে এ কাজে সরকারকে সহায়তা করতে হবে।