• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গোসলে নেমেছিলো বাক প্রতিবন্ধী যুবক, ২ ঘণ্টা পর মিলল মরদেহ
চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিলেই পুরস্কার
গত ১৮ এপ্রিল ফরিদপুরে মন্দিরে আগুনের ঘটনায় নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ৭ শ্রমিককে সন্দেহ করে মারধর করে এলাকাবাসী। এতে আশরাফুল ও এরশাদুল নামে দুই ভাই নিহত হন। তাদেরকে হত্যায় জড়িত ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আসাদুজ্জামান তপন এবং সদস্য অজিত বিশ্বাসকে ধরিয়ে দিলে কিংবা গ্রেপ্তারে সহায়তা করলে উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মধুখালীর পঞ্চপল্লীর ঘটনাপরবর্তী সামগ্রিক বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হলরুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার এ ঘোষণা দেন। জেলা প্রশাসক বলেন, চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন একজন হেভিচ্যুয়াল অফেন্ডার স্বভাবগত অপরাধী। কোথায় কখন কীভাবে লুকিয়ে থাকতে হয় সেটি তিনি ভালো জানেন। তিনি আত্মগোপনে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোন রেখে গেছেন। এর আগে মাগুরায় তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। সেখানে অভিযান পরিচালনার বিষয়টি জানতে পেরে তিনি পালিয়ে যান। চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের দ্বৈত ভূমিকার কারণে তাকে প্রথমদিকে সেভাবে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়নি। তবে যখন ভিডিও ফুটেজে তার সম্পৃক্ততা দেখা যায় তারপর থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক। জড়িতদের অবস্থান বা ধরিয়ে দিতে বা গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করলে তাদের উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। কামরুল আহসান বলেন, চেয়ারম্যান তপন এবং দুই মেম্বারকে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য এয়ারপোর্ট-বন্দর এবং বর্ডারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ইতিপূর্বে একাধিক অন্যায় করেছে। ইউএনও’র ওপর হামলা ও টিসিবি কার্ড আত্মসাতের দায়ে তাকে দুই বার বরখাস্তও করা হয়। পরে উচ্চ আদালতের আদেশে পদে ফেরেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক বলেন, এঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সিদ্দিকীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইয়াসিন কবির, রামানন্দ পাল প্রমুখ।  প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে স্কুলকক্ষের মেঝেতে ফেলে পেটাচ্ছেন ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ মো. আসাদুজ্জামান তপন ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাস। ভিডিও প্রকাশের পর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ও মেম্বার অজিত বিশ্বাস গা ঢাকা দিয়েছেন।
গরমে ট্রেনের হাইড্রোলিক ব্রেকে আগুন, আহত ১০
বাসাভাড়া নিয়ে গরু ডাকাতির পরিকল্পনা করে ওরা! 
জাতির পিতার সমাধিতে বিএসএমএমইউ’র নতুন উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা
নরসিংদীতে ইসতিসকার নামাজ আদায়
দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের হামলায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকার হিয়াভুসা এলাকায় ডাকাত দলের হামলায় কামাল হোসেন (৩৫) ওরফে আসিফ ইকবাল নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় তাকে হত্যা করে আফ্রিকান ডাকাত সদস্যরা। নিহত ব্যবসায়ী কামাল হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া গোহাট্টা এলাকার মৃত খলিল মিয়ার ছেলে। সোনারগাঁয়ে তার নিজ বাড়িতে স্ত্রীসহ ৯ বছর বয়সী একমাত্র কন্যা আলিনা রয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নিহতের ভাগনে আরাফাত হোসেন সিফাত বলেন, মামা দক্ষিণ আফ্রিকার হিয়াভুসা এলাকায় একটি দোকান নিয়ে ব্যবসা করছিলেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দোকানটিতে ডাকাতদল হানা দেয়। এ সময় ডাকাতরা তার মাথা পলিথিন দিয়ে আটকিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলে।  পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করা হবে।  
রাত ৮টার পর মার্কেট-দোকান বন্ধে মাইকিং, না মানলে ব্যবস্থা
তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যা আগামী তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জে রাত ৮টা থেকে সকল মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ডিপিডিসির এনওসিএস অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শের আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মোহাম্মদ শের আলী বলেন, সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে, এ ছাড়াও গরমের দিনে বিদ্যুৎ সংকট বেশি হয়। সংকট মোকাবিলা করতে ও লোডশেডিং কমাতে রাত ৮টার পর থেকে মার্কেট ও দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন মাইকিং করছি।  যারা নির্দেশনা না মানবে তাদেরকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হবে, এরপরও নির্দেশনা না মানলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নও করা হতে পারে। তিনি বলেন, এই নির্দেশনা বছরজুড়েই থাকবে। এ ছাড়া অটোরিকশা স্ট্যান্ডসহ যে যে স্থাপনায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযানের মাধ্যমে তাদের জরিমানা করছি। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছি।
ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, শঙ্কায় কৃষক
চলতি বছরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজার দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, ফলন ভালো হয়েছে। তবে বাজারে দাম কম থাকায় পড়তে হবে লোকসানের মুখে।  স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভৈরব উপজেলার জোয়ানশাহী হাওরসহ বিস্তৃর্ণ ফসলি জমি রয়েছে। এর মধ্যে সাদেকপুর ও শ্রীনগর ইউনিয়নের জোয়ানশাহী হাওর এবং আগানগরের ডিগচর অন্যতম। চলতি বছরে ভৈরবে ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।  আবাদকৃত জমির মধ্যে আগাম জাতের বিআর ২৮, ৮৮ ও বঙ্গবন্ধু ধান অন্যতম। তবে, ২৯ ধানের চাষাবাদ বেশি। স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে হাওরের আগাম জাতের ১০ ভাগ ফসলি জমির ধান কাটা হয়েছে।  কৃষকদের দাবি, ধান উৎপাদনে সেচ, শ্রমিকের মজুরি, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে ধানের দাম কম। ফলে লোকসান দিয়েই তাদেরকে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। ধানের মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, মোটা বোরো ধান ৭৪০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে, এখনও বাজারে চিকন ধানের আমদানি শুরু হয়নি। সবমিলিয়ে মুখে হাসি নেই কৃষকের। অথচ, সরকার এ বছর প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে। সে হিসেবে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ২৮০ টাকা দাম পড়ে। ফলে ধানের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। উপজেলার জোয়ানশাহী হাওরের কৃষক ছানু মিয়া বলেন, জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আশা করি ফসল ঘরে তুলতে পারব।  আবুল মিয়া নামে আরেক কৃষক বলেন, জমি চাষাবাদ, সেচ, শ্রমিকের মজুরি, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে যে হারে উৎপাদন খরচ পড়ে, সে হিসেবে আমরা ন্যায্য দর পাই না। তাই, কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার দাবি করছি।  এদিকে হাওরের কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্লুইচ গেটসহ কাচা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ ভূঁইয়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ফলে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের মাঠকর্মীরা কৃষকদের সব সময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে।  তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে কৃষকরা সহজে ধান ঘরে তুলতে পারবেন। এ ছাড়াও সরকার এ বছর প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে।
দিনমজুর ও পথচারীদের মাঝে ছাতা বিতরণ
গরমে অতিষ্ঠ জনসাধারণের সুরক্ষা-সচেতনতায় এবার ব্যতিক্রমী উদ্যোগে মাঠে নেমেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন। জেলার জনবহুল স্থানগুলোতে খোলা হয়েছে সুপেয় পানির বুথ, যেখানে পথচারীরা পান করছে বিনামূল্যে পানি ও স্যালাইন। একই সঙ্গে বুথ থেকে পথঘাটে থাকা নিম্ন আয়ের শ্রমিক-কর্মজীবীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে ছাতা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন। জেলা প্রশাসকের ব্যতিক্রমী এমন উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে স্থানীয়দের মাঝে। পথচারী ও সুফল পাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা জানিয়েছে স্বস্তির কথা।     জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন জানান, জেলার ৬৮টি ইউনিয়ন ২টি পৌরসভাসহ মোট শতাধিক স্থানে জনসচেতনতার অংশ হিসাবে বসানো হচ্ছে জনসচেতনতার এমন বুথ। এসব বুথ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান ও নিম্ন আয়ের মানুষ ছাতা নিতে পারছেন। এতে পথচারীদের পানিশূন্যতা ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতা তৈরি করবে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য সচেতনতায় জেলার সর্বত্র করা হচ্ছে মাইকিং।   কর্মসূচির উদ্বোধনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মো. আতাউর রাব্বী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিফা খানসহ জেলা প্রশাসন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সুশীল সমাজের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
রাজবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে হিটস্ট্রোকে মো. নুর ইসলাম (৭৫) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  শিক্ষক নুর ইসলামের বাড়ি গোয়ালন্দ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধ নুর ইসলাম স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। বুধবার বেলা ১০টার দিকে প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে নিজ বাড়ির আঙিনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান তিনি। পরিবারের লোকজন দ্রুত এগিয়ে গিয়ে প্রথমে তার মাথায় পানি ঢালেন।  পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যে বেলা ১১টায় শিক্ষক নূর ইসলাম মারা যান। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. রোকনুজ্জামান। তিনি বলেন, হিটস্ট্রোকের কারণে অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
কালিয়াকৈরে তাপদাহে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা হাসপাতাল ১০০ শয্যা হলেও জনবল কম থাকায় অতিরিক্ত তাপদাহে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এতে বেড কম থাকায় অনেকে রোগী মেঝেতেই পড়ে আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়াজনিত রোগে ভর্তি হয়েছেন ২০ জন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন। চিকিৎসাধীন আরও ১০ জন।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাক্তার লুৎফর রহমান জানান, তাপদাহ না কমলে হয়তো এর সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।  অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। দিনরাত প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে গ্রামগঞ্জে লোডশেডিংয়ের প্রভাব বেশি পড়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত তাপদাহের কারণেই এই লোডশেডিং হচ্ছে। এদিকে অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে কালিয়াকৈর টু ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের পিচঢালাই গলে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন চালক ও পথচারীরা। কালিয়াকৈরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগের দিন মঙ্গলবার উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিকে তীব্র তাপদাহের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জনজীবন। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটেখাওয়া মানুষ। রোদের তাপে গলে যেতে শুরু করেছে সড়কের পিচ।  গত কয়েক দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন। শহরে বা গ্রামগঞ্জের লোকজনের উপস্থিতি কম হলেও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে জিরিয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ। আবার কেউ কিছু সময় পর পর হাতে মুখে পানি দিয়ে নিজেকে শীতল রাখার চেষ্টা করছেন।