• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
মুন্সীগঞ্জে ট্রাকচাপায় মা-মেয়ে নিহত
২৪ ঘণ্টায় মুন্সীগঞ্জে দেখা মিলল ৩ রাসেলস ভাইপার, আতঙ্কে এলাকাবাসী
মুন্সীগঞ্জের পদ্মা তীরের সদর ও লৌহজং উপজেলায় তিনটি রাসেলস ভাইপারের দেখা মিলেছে। এতে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে দুটি রাসেলস ভাইপার পাওয়া যায় জেলের জালে। পরে আরও একটি সাপ পেলে সেটিকে কুপিয়ে মারেন এক কৃষক।  জানা যায়, সোমবার রাতে লৌহজং উপজেলার চরে মজিবর মাদবর নামে এক জেলে মাছ ধরার জন্য নদীতে চাই পাতেন। তার চাইয়ে আটকা পড়ে একটি রাসেলস ভাইপার। পুরস্কারের আশায় তিনি জীবিত রাসেলস ভাইপার নিয়ে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে যান। জীবিত সাপটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জমা রাখেন তারু নামে এক সাপুড়ের কাছে। জেলে মজিবুর মাদবর বলেন, আমি মাছ ধরার জন্য চাই পাতলে চাই এর মধ্যে এই রাসেল ভাইপার সাপটি পাই। পরে  আমি সকালে সাপটি পুরস্কার পাওয়ার আশায় ইউএনও স্যারের কাছে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, একই দিন সকাল ১০টার দিকে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে উপজেলার নওপাড়া গ্রামের কৃষক নূরে আলম আকন তার বাড়ির পাশের ঝোপের ভেতরে রাসেলস ভাইপার সাপ দেখতে পান। সাপটি শব্দ করলে তিনি সাপটিকে কুপিয়ে মেরে ফেলেন। পরে সাপটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে যান। এ সময় রাসেলস ভাইপার দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী।  নূরে আলম আকন বলেন, ‘আমি গরুর ঘাস কাটতে গেলে রাসেলস ভাইপারটি ঝোপের মধ্যে দেখতে পাই। সাপটি আমাকে দেখে শব্দ করলে আমি এটাকে কুপিয়ে মেরে ফেলি। পরে আমার এলাকার লোকজন বলল, রাসেলস ভাইপার সাপ মারলে নাকি পুরস্কার পাওয়া যায় তাই আমি এটাকে ইউএনও অফিসে নিয়ে আসি। এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার বলেন, ‘বিগত কয়েকদিনে লৌহজং উপজেলায় বেশ কয়েকটি রাসেলস ভাইপার সাপ পাওয়া গেছে। তবে এ বছর এ উপজেলায় রাসেলস ভাইপার সাপ কাউকে কামড়ায়নি। গতবছর একজনকে কামড়ে ছিল।  আমরা উপজেলা প্রশাসন সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি। আমি আমার কৃষকদের লাঠি নিয়ে এবং বুট জুতা পায়ে দিয়ে কৃষি কাজে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। রাসেলস ভাইপার সাপ মারা হলে কোনো প্রণোদনা দেওয়া হবে এরকম কোনো ঘোষণা আমরা উপজেলা প্রশাসন দেইনি।’ এ দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার সর্দারকান্দি এলাকায় জেলের জালে মঙ্গলবার সকালে ধরা পড়ে অপর একটি রাসেলস ভাইপার সাপ। ওই এলাকার লোকজন মিলে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
দীর্ঘদিনের ভরাট হয়ে থাকা রজতরেখা নদী উদ্ধারে তৎপর জেলা প্রশাসন
শতবর্ষী কোলা অগ্রদূত সমিতির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
পদ্মা সেতুতে একদিনে টোল আদায়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড
মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ৪৮ ভরি স্বর্ণ
খাবার চাওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে হত্যা
মুন্সীগঞ্জে খাবার চেয়ে না পেয়ে বাসায় ঢিল ছোড়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে নদীতে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ধলেশ্বরী নদী থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। রোববার দুপুর ১টার দিকে পঞ্চসার ইউনিয়নের নয়াগাঁও-সংলগ্ন নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় ওই যুবককে। সোমবার (১০ জুন) সকালে প্রত্যক্ষদর্শী জজমিয়া নামের এক ব্যক্তি গণমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিহত যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন ও ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। নয়াগাঁও এলাকার স্থানীয় জুলহাস নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে খাবার চাইতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। এ সময় খাবার না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে ঢিল ছুড়লে জুলহাস নির্মমভাবে ওই ভারসাম্যহীনকে পাশের ধলেশ্বরী নদীতে ফেলে দেন। এতে ডুবে যান ওই যুবক। অমানবিক কাজ করেছেন জুলহাস। এ ঘটনায় তার বিচার হওয়া উচিত। খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পরে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর দুপুর একটার দিকে নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান। তিনি বলেন, আমরা সিসিটিভির ফুটেজ পেয়েছি, স্থানীয়দের অভিযোগও পেয়েছি। হত্যা না মৃত্যু তার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।
ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি, প্রাণে বাঁচলেন সাড়ে তিনশ যাত্রী
মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় মাটি ভর্তি বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন সাড়ে তিনশর বেশি যাত্রী।  মঙ্গলবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাটের অদূরে শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দুর্ঘটনার সময় মাটিভর্তি বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপাগামী এম ভি পূবালী-৯ লঞ্চের তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করলে চালক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে লঞ্চটি তীরে নোঙর করান। ফলে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান যাত্রীরা। ঘটনার সময় যাত্রীদের চিৎকারের শব্দ পেয়ে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে একাধিক ট্রলার ছুটে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধারে এগিয়ে যায়।  পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে যাত্রীরা লঞ্চ ও নদীর তীরে অবস্থান করছেন। ঢাকা থেকে এম ভি পূবালী নামের অপর একটি লঞ্চ রওনা হয়েছে। সেটি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটকে পড়া যাত্রীদের নিয়ে রাতেই পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হবে।  অন্যদিকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও রাত ১১টা পর্যন্ত দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের পশ্চিম মুক্তারপুরস্থ শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর তীরে নোঙর করা ছিল। সেখানে অবস্থানরত যাত্রীরা এখনও নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে না পেরে উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।  মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ডুবে যাওয়া বাল্কহেডে থাকা ৫ শ্রমিক সাঁতার কেটে তীরে উঠেছেন। আর লঞ্চের তলা ফেটে যাওয়ায় তা তীরে নোঙর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর কাজ করছে।  পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাত্রীবাহী লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে পটুয়াখালীর চরমুলতান এলাকায় যাচ্ছিল। পথে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের অদূরে ধলেশ্বরী নদীতে নোঙর করা মাটি বোঝাই এম ভি রাজিন বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায় এবং লঞ্চের সামনের অংশের তলা ফেটে গিয়ে পানি উঠতে শুরু করে।  মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাজ্জাদ করিম গণমাধ্যমকে জানান, যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি পূবালী-৯ কে নিরাপদে তীরে নোঙর করা হয়েছে। ঢাকা সদরঘাট থেকে অপর আরেকটি লঞ্চ পূবালী-৫ ইতোমধ্যে রওনা হয়েছে। ওই লঞ্চটি এসে দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের যাত্রীদের নিয়ে পটুয়াখালী রওনা হবে।
ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে হামলা, যুবক নিহত
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তার ও ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার নাম মো. হাশেম (৩৫)। সোমবার (৩ জুন) উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাশেম বাসাইল ইউনিয়নের উত্তর পাথরঘাটা গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে। তিনি বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম যুবরাজের গাড়িচালক ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদী গ্রামের মনু বেপারীর ছেলে জাবেদ ওমরের সঙ্গে একই গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে ও বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজের জামাতা মো. জহিরুলের বিরোধ চলে আসছিল। গত ৩১ মে রামকৃষ্ণদী বাজার মাঠে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এ বিষয়ে সোমবার সকালে স্থানীয়রা দু’পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করে দেন। কিন্তু সোমবার বিকেলে জাবেদ ওমরের লোকজন জহিুরুলের লোকজনের ওপর হামলা করেন। এ সময় জহিরুলের সমর্থক মো. হাশেমকে চাপাতি দিয়ে কোপালে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিরাজদিখান থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোক্তার হোসেন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট খেলা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
সহপাঠীর উত্ত্যক্তে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
মুন্সীগঞ্জে সহপাঠীর উত্ত্যক্তে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ইন্তেজা আক্তার অন্তু (১৫) নামের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। গত মঙ্গলবার সিরাজদিখান তেলীপারায় মধ্যপাড়া ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অন্তু ওই গ্রামের দেলোয়ার শেখের দ্বিতীয় মেয়ে। জানা গেছে, মালপদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল অন্তু। তাকে স্কুলের সহপাঠী একই ক্লাসের সিয়াম প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে। এর কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। মঙ্গলবার বিকালে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজ ঘরে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে অন্তু। এমতাবস্থায় তার (অন্তু) মা বর্ণা বেগম দেখে ফেললে প্রথমে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্তু মারা যায়। অন্তুর বাবা দেলোয়ার সেখ বলেন, লৌহজং উপজেলার ঘাসভোগ গ্রামের তিলাল হাওলাদারের ছেলে সিয়াম আমার মেয়ের প্রায়ই অন্তুকে উত্ত্যক্ত করত। কিন্তু বাড়িতে এসে আমাদের কিছুই জানাত না অন্তু। সিয়ামের কারণেই আমার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।   সিরাজদিখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরী আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।  
বসতঘরে পড়ে ছিল গৃহবধূর মরদেহ, স্বামী পলাতক
মুন্সীগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে।  বুধবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের খাসকান্দি এলাকার বসতঘর থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাম জিয়াসমিন আক্তার (২৫)। তিনি ওই এলাকার মোহাম্মদ শাহজালালের স্ত্রী। নিহত জিয়াসমিনের পৈতৃক বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বলে জানা গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল হাসান। তিনি বলেন, ‘স্থানীয়রা খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ নিহত গৃহবধূর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ ঘর থেকে উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী শাহজালাল মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার স্বামী পলাতক।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত শাহজালাল এলাকার চিহ্নিত চোর এবং ফৌজদারি মামলার আসামি। কিছুদিন আগে একটি ফৌজদারি মামলায় ছয় মাস সাজাভোগ করেছে সে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের টিম কাজ করছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
বজ্রপাতে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় ত্রুটি, তীব্র যানজট
পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্লাজায় বজ্রপাতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় টোল আদায় বিঘ্নিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে টোলস্কেলে বিদ্যুৎ না থাকায় সেতুর মাওয়া প্রান্তে টোলপ্লাজার অভিমুখে এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় ৩ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়।  কারিগরি ত্রুটির বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী। তিনি বলেন, রাত ৩ থেকে ৪টার দিকে বজ্রপাত হয়। এতে টোলস্কেলে মাদারবোর্ডে সমস্যা হয়। তবে সকালে সেটি ঠিক করা হয়। ট্রাক লেনে কিছুটা চাপ ছিল। এটি বড় ধরনের কোনো বিষয় নয়। এ বিষয়ে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জিয়াউল হায়দার বলেন, সকালের দিকে টোলস্কেলে সাময়িক সমস্যা দেখা দিলেন অনেক গাড়ি এসে জমতে থাকে টোলপ্লাজার সামনে। কারিগরি ত্রুটি ঠিক করার সময় তখন এক থেকে দেড় ঘণ্টার মতো যানজট ছিল।  তবে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে টোল আদায় শুরু হওয়ায় এখন সড়কের চিত্র স্বাভাবিক বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।