• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
বরিশালে আইডায়াস্পোরা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
পিরোজপুরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
পিরোজপুরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে করা মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পিরোজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এ রায় দেন। মামলার সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর দণ্ড বিধি ১২৩ (ক) ধারায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, নিন্দাবাদ ও উসকানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে পিরোজপুর সদর থানায় মামলাটি করেন। আজ অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। তবে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো উপাদান না থাকায় বিচারক তাকে অব্যাহতি এবং মামলা খারিজ করে দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মামনুন আহসান। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ নেতা তারেক রহমানকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। দেশে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিধায় আজ দেশনায়ক তারেক রহমান পিরোজপুরে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় সম্পূর্ণ খালাশ পেলেন ও মামলাটি খারিজ হলো। আরটিভি/এএএ/এস
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আহমেদ খানের ইন্তেকাল
কুয়াকাটা পৌর যুবদলের ৩ নেতা বহিষ্কার
কুয়াকাটায় ন্যাশনাল লাইফের বীমা দাবির চেক বিতরণ
মহিপুরে ইয়াবাসহ ৩ মাদককারবারী গ্রেপ্তার 
মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চালক ও পথচারী দুইজন নিহত
ঝালকাঠির নলছিটিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ষাইটপাকিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম। নিহত বীরমুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান (৮৫) ঝালকাঠি সদর উপজেলার বারুইয়ারা এলাকার মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে ও আল আমিন তাহেনী (৩৮) মাদারীপুর উপজেলার সিরাজুল হক তাহেনীর ছেলে। তিনি ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাস্তা পারাপারের সময় আল আমিন তাহেনীর মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী মফিজুর রহমানকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িসহ রাস্তার পাশে পড়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে দুইজনের মরদেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আছে। নলছিটি থানার ওসি আব্দুস সালাম  বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে সুরতহাল করেছে। ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আরটিভি/এফআই/এস
ইসকন নিষিদ্ধ ও ভারতীয় অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
ভারতে বাংলাদেশি দূতাবাসে হামলা, মুসলিম হত্যা ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা ইমাম পরিষদ। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ জুমা পৌর শহরে এ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শহরের শাহি মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন, উপজেলা মসজিদের ইমাম অধ্যক্ষ মাওলানা মো. হাবিবুল্লাহ, শাহী মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ইমাম নজরুল ইসলাম, বাউফল সরকারি কলেজ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা শাহজাহান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ইসকনের সদস্যরা চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমানকে হত্যা করেছে। তারা চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ করতে চায়। তাদের আগ্রাসন এখানেই শেষ নয়। তারা বাংলাদেশে কথিত হিন্দু নির্যাতনের ধুয়ো তুলে ভারতে বাংলাদেশি দূতাবাসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে, জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছে। ওই সময় মোদি সরকারের পুলিশবাহিনী নীরব ছিল। সম্প্রতি ভারতের হিন্দুরা তিনজন মুসলিমকে হত্যা করেছে। তারা বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির নির্মাণ করেছে। শুধু তাই নয়, তারা এখন সুফি সাদক খাজা মাইনউদ্দিন চিশতির দরগায় পর্যন্ত হাত উত্তোলনের সাহস দেখিয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, ইসকন নেতা চিন্ময় একজন দেশদ্রোহী। বাংলাদেশের পতাকার অবমাননা করেছেন। এ অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এটা নিয়ে মিডিয়া অপপ্রচার চালিয়ে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টের চেষ্টা করছে। আমরা মুসলিমরা বীরের জাতি। তাই যেকোনো হামলা প্রতিহত করতে প্রয়োজনে আমরা শহীদ হবো।  আরটিভি/এফআই/এস
শীতের শুরুতেই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পর্যটকে মুখরিত
সাগরকন্যা খ্যাত সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় দীর্ঘদিন পরে পর্যটকে চাঞ্চল্যতা ফিরতে শুরু করছে। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ছুটির দিন উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে চোখে পড়ার মতো পর্যটক দেখা গেছে। তাই এবারের পর্যটন মৌসুমে ব্যবসা-বাণিজ্য গতি পাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ হোটেল মোটেল কক্ষ বুকিং হয়েছে বলে হোটেল-মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পৌর কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটার শুটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। আগত পর্যটকরা সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ সমুদ্রের জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠছেন। আবার কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছেন, আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দীর্ঘদিন পরে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় স্থানীয় ১৬টি পেশার মানুষের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় ও সুবিধা দিচ্ছেন। খুশির ছোঁয়া দেখা গেছে, স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের, ইতিমধ্যেই পর্যটকদের বরণ করতে সাজিয়ে নিচ্ছে আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, কেনাবেচা জন্য তৈরি রয়েছে রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, বার্মিজ আচার, কাঁকড়া ফ্রাই, পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ক্যামেরাম্যানসহ, চটপটি ফুচকার দোকানে দেখা গেছে মানুষের আনাগোনা। কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ পিপাসা মেটানোর জন্য কাজ করতে প্রস্তুত মোটরসাইকেল ড্রাইভার, অটোরিকশা চালকরা। কুয়াকাটা থেকে সমুদ্রপথে বিভিন্ন দ্বীপ ও বনাঞ্চল ভ্রমণ করানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ট্যুরিস্ট বোট, স্পিড বোট এবং ওয়াটার বাইক । কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে মনোমুগ্ধকর ৩০ কিলোমিটার বেলাভূমি রয়েছে। পর্যটকরা এখানকার ট্যুরিজম পার্ক, জাতীয় উদ্যান (ইকোপার্ক), শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার ঘুরে দেখেন। এছাড়া কুয়াকাটার পশ্চিমে সমুদ্র পথে ফাতরার বন, গঙ্গামতি, লাল কাঁকড়ার চর, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর, শুটকি পল্লী এবং সমুদ্রের মাঝখানে জেগে ওঠা অতিথি পাখি ও লাল কাঁকড়া সমহর বিশিষ্ট চরবিজয় ভ্রমণ পিপাসুদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে। ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা মাহাবুবা ও রহমান বাবু দম্পতি বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসলাম। অনেক দিন আগে থেকে আসার ইচ্ছে। কিন্তু মেয়ের পরীক্ষার কারণে আসতে পারিনি। ছুটি পেয়ে বেড়াতে এসেছি। মৌসুমের শুরুতে সূর্যোদয় উপভোগ করলাম। এখানকার পরিবেশে অনেক সুন্দর কিছু সমস্যা থাকলেও অনেক ভালো লেগেছে।’ কুয়াকাটা ট্যুরিজম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ট্যুরিস্ট বোট মালিক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমরা আশাবাদী এ বছর কুয়াকাটায় অনেক ট্যুরিস্টের আগমন হবে। আবার আগের মতো প্রাণ খুঁজে পাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। হাসি ফুটবে সকল ব্যবসায়ীদের মুখে।’ ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছরের মৌসুমে কুয়াকাটাতে টুরিস্ট বেশি আসবে বলে আমরা মনে করি। ছুটির দিন উপলক্ষে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটকদের ভিড়। পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত এখন কুয়াকাটা সৈকত।’  কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা সকল পর্যটকদের সেবা দেওয়া ও আইনি সহায়তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে। তাদের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। সার্বক্ষণিক মাইকিং করে পর্যটকদের সকল বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।’ কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কুয়াকাটায় এ বছর পর্যটকদের ভিড় বাড়বে এমন ধারণা মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। কুয়াকাটার বিভিন্ন স্পটগুলোতে ইতিমধ্যে আমরা টয়লেট এবং বসার জন্য ব্যবস্থা করেছি। বাকি কাজ আমরা অল্পতেই শেষ করব যাতে টুরিস্ট স্বাচ্ছন্দ্যভাবে সাইট ট্যুরগুলো করতে পারে। কোনো রকম ভোগান্তিতে না পড়ে। ইতোমধ্যে আমরা সকল অংশীজনের সঙ্গে বসেছি। তাদেরকে সচেতন করেছি যাতে টুরিস্টদের সঙ্গে তারা কোন রকম খারাপ ব্যবহার না করে এবং ট্যুরিস্ট বান্ধব সেবা প্রদান করেন তারা।’ আরটিভি/এমকে/এআর
মাহফিলে যাওয়ার পথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিহত
বরিশালের মুলাদীতে মাহফিলে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. ফরহাদ হোসেন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বরিশাল-মুলাদী সড়কের কাজীরচর হাওলাদার সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বরিশালের মুলাদী উপজেলায় ড. ফরহাদ চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের মাওলানা আব্দুল কাদেরের ছেলে। এদিন একটি মাহফিলে অংশ নিতে মাহিন্দ্রা টেম্পুতে উপজেলার চরলক্ষ্মীপুর নন্দীরবাজারের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। টেম্পুটি হাওলাদার সেতু এলাকায় মোড় অতিক্রম করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে টেম্পুতে থাকা ৪ যাত্রী আহত হন। তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান স্থানীয়রা। মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চরলক্ষ্মীপুর নন্দীরবাজার মাহফিল আয়োজন কমিটির সদস্য জয়নুল আবেদীন জানান, বাজারে শুক্রবার অনুষ্ঠিত মাহফিলে ড. ফরহাদ প্রধান অতিথি ছিলেন। এতে অংশ নিতে তিনি ঢাকা থেকে চরলক্ষ্মীপুর যাচ্ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। মুলাদী থানার ওসি জহিরুল আলম উপসচিব ড. ফরহাদের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমানের বরাত দিয়ে তিনি জানান, হাসপাতালে পৌঁছার আগে ড. ফরহাদের মৃত্যু হয়েছে। অরটিভি/এসএপি/এআর
কীর্তনখোলায় স্পিডবোটডুবি, নিখোঁজ ৩ জনের সন্ধান এখনও মেলেনি
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এখনো তিনজন নিখোঁজ।  শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এ তিনজনের খোঁজে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযান চালালেও তাদের সন্ধান মেলেনি। তিনজনের মধ্যে দুজন যাত্রী এবং অন্যজন স্পিডবোটটির চালক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা অভিযান চালিয়েও ওই ৩ জনের সন্ধান পাইনি। এ জন্য অনেকটা আশা ছেড়ে দিয়েছি।’ জানা যায়, নিখোঁজ তিন ব্যক্তি হলেন- বরিশাল নগরের বিমান বন্দর থানা এলাকার রহমতপুর এলাকার দুলাল দাসের ছেলে সজল দাস (৩০), পটুয়াখালীর কলাপড়া উপজেলার বাছুমখালী গ্রামের রাসেল আমিন (২৫) ও স্পিডবোটচালক আল আমিন (২২)। তাদের মধ্যে সজল দাস ভোলায় ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে চাকরি করতেন বলে তাঁর বন্ধু তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তবে রাসেল আমিনের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে জনতার হাট খেয়াঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে স্পিডবোটের এক যাত্রী মারা যান এবং এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় স্পিডবোটের চালক ও কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছিল নৌ পুলিশ। তবে নিখোঁজদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম জালিস মাহমুদ (৫০)। তিনি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানিতে ভোলার বিক্রয় প্রতিনিধি (এসআর) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার সহকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  জনতার হাট এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে নদীর মধ্যে বিকট শব্দ শুনে তাকিয়ে একটি বাল্কহেডকে যেতে দেখেন। কিছু সময় পর দেখেন, কয়েকজন লাইফ জ্যাকেট পরা অবস্থায় সাঁতরে কিনারে আসার চেষ্টা করছেন। পরে স্থানীয় লোকজন ট্রলার নিয়ে ছয়জনকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন। এ ছাড়া লাহারহাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাওয়া একটি স্পিডবোটে আরও ২ যাত্রীকে উদ্ধার করে বরিশালে নেওয়া হয়।’ ফায়ার সার্ভিসের বরিশাল কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘নদীর উপরি অংশে অনুসন্ধানের পর আমাদের ডুবুরিরা তলদেশে অনুসন্ধান চালিয়েছেন। কিন্তু নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান মেলেনি। তবে আমরা এখনও অভিযান শেষ করিনি।’ আরটিভি/এমকে/এআর
এক কোরালের দাম ২০ হাজার টাকা
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জালাল মাঝি (৩৬) নামে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ১৮ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। কুয়াকাটা মাছ বাজার থেকে নিলামে মাধ্যমে মাছটি কিনে নেন খলিল খান নামের ব্যবসায়ী।  শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে কুয়াকাটা মৎস্য মার্কেটে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়। এ সময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছটি ধরা পড়ে। এ বিষয়ে জালাল মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মত গত বৃহস্পতিবার ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যাই। পরে বলেশ্বর নদীর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ কোড়াল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি সুস্বাদু হওয়ায় এসব মাছের চাহিদা অনেক। খুব ভালো দামে বিক্রি করেছি। ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, এত বড় মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। এসব মাছ অনেক সুস্বাদু। তবে দাম বেশি হওয়ায় এসব মাছ আমাদের মত মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে। তবে এসব মাছ যদি কেটে বিক্রি করে তাহলে আমরা আমাদের সাধ্যমত কিনে খেতে পারি। ক্রেতা খলিল খান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করি, এসব বড় কোরাল আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। মাছটি দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি ধরে মাছটি কিনে নেই।  কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। শিশুদের মানসিক বিকাশে কোরাল মাছ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বর ও সুন্দরবনের মোহনাগুলোতে জেলেদের জালে ইলিশের পাশাপাশি এসব মাছ আরও ধরা পড়বে বলে আাশা রাখি। আরটিভি/এমকে