• ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
logo
ঝালকাঠিতে অভিযানের ট্রলারচালকের নেতৃত্বে ধরা হয় ইলিশ!
জোয়ারের স্রোতে ভাঙন, সমুদ্রে ভেসে যাচ্ছে কোটি টাকার গাছ
বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, বালুক্ষয়, সমুদ্রভাঙন ও ঢেউয়ের ঝাপটায় ধুয়ে যাচ্ছে কুয়াকাটা সৈকতের বালু। এতে সৈকত লাগোয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কয়েক হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পড়ে আছে সৈকতে। জোয়ারের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে সমুদ্রে। এগুলো সংরক্ষণে বনবিভাগের নেই কোনো তৎপরতা। ‌ সরজমিনে দেখা যায়, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের ঝাপটায় কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টের পূর্ব দিকে কাউয়ারচর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার  সৈকতজুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ পড়ে আছে। জোয়ার স্রোতে গাছগুলো গভীর সমুদ্রে ভেসে যাচ্ছে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সংরক্ষিত বনের শত শত গাছ। ফলে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের গঙ্গামতি সূর্যোদয়ের পয়েন্ট যেতে বেগ পেতে হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারীরা যে যার প্রয়োজনে কেটেও নিচ্ছেন। এতে কোটি কোটি টাকার সরকারি গাছ দিন দিন বেহাত হচ্ছে। গাছগুলো সংরক্ষণ কিংবা সংরক্ষিত বন রক্ষায় বনবিভাগের তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সৈকতের গঙ্গামতি এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর বলেন, সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে বড় বড় গাছ এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। কিছু গাছ ইতিমধ্যে বালুর নিচে চাপা পড়ে গেছে। অনেক গাছ ভেসে যাচ্ছে। গাছগুলো নিলামে দিলে সরকারের যেমন কোটি টাকা আয় হবে অন্যদিকে সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় বাসিন্দা বৃদ্ধ আব্দুস সোবাহান মাঝি বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কিছু অংশ ইতোমধ্যে সমুদ্রে বিলীন হয়ে গেছে। আকাশমণি, রেনটি, ঝাউ, জাম, কেওড়া, সইলা, নারিকেল, তালগাছসহ কোটি কোটি টাকার গাছ বালুর নিচে চাপা পড়ে নষ্ট হয়েছে। এগুলোর দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত। জানা গেছে, গত কয়েক দিনের সাগরের বিক্ষুব্ধ ঢেউয়ের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটকদের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। হুমকির মুখে রয়েছে সৈকত লাগোয়া ট্যুরিজম পার্ক, মসজিদ, মন্দির, টুরিস্ট পুলিশ বক্স ও বিশাল বনাঞ্চল। বর্তমানে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত একেবারেই সৌন্দর্যহানি হয়ে পড়েছে। ফরিদপুরের সালথা থেকে আসা জাকারিয়া ও রুমানা দম্পতি বলেন, সৈকতে যে সারি সারি পড়ে থাকা গাছগুলোর কারণে সূর্যোদয় পয়েন্ট, লাল কাঁকড়ারচরে যাওয়াটা অনেক কষ্টসাধ্য। গাছগুলোর প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে বন বিভাগের নজর দেওয়া উচিত। এতে সরকারের যেমন আয় হবে অন্যদিকে পর্যটকদের ভোগান্তি কমবে। পরিবেশবিদদের মতে, জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা করার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা জরুরি। প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় হুমকির মুখে পড়ে উপকূলের বনাঞ্চল।  এ বিষয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, সবুজ গাছ প্রতিনিয়ত এভাবে ধ্বংস হতে থাকলে এটি উপকূলর জন্য হুমকি। পর্যটন এলাকার লোকাল কমিউনিটির জন্য বিচ নরেসমেন্ট করা জরুরী। নরেসমেন্ট প্রসেসটা হলো রিকারিং এর সঙ্গেসঙ্গে যে ধরনের প্লান্টেসন আছে এগুলা রক্ষায় দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা দরকার।  এ প্রসঙ্গে উপকূলীয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সৈকতের ভাঙ্গন রক্ষায় গাছগুলো ন্যাচারাল বেরি হিসেবে কাজ করবে।  সাগর প্রতিনিয়ত ভাঙছে এবং সাগরের ঢেউ প্রতিরোধ করে পাশাপাশি মাটির ক্ষয় রোধ করে। এই গাছগুলো অপসারণ বা নিলামে বিক্রি করা হবে না।  আরটিভি/এএএ
পুকুরে কোরাল চাষে সফল পটুয়াখালীর আনোয়ার
বরিশাল বিভাগের ডাকাত বাহিনীর প্রধান জুয়েল গ্রেপ্তার 
ঝালকাঠিতে ২ জেলেকে এক বছরের কারাদণ্ড
কুয়াকাটায় জোয়ারের স্রোতে ভেসে এসেছে ২ মহিষ
ডাবল সেঞ্চুরিতে গরিবের পাঙাশ, মেজাজ হারাচ্ছেন ক্রেতারা
১৩ অক্টোবর থেকে মা ইলিশের প্রজননের জন্য মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। সামুদ্রিক মাছ না থাকায় উপকূলের বিভিন্ন বাজারে দেশি মাছের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। সবচেয়ে কম দামি মাছ পাঙাশের দাম ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছে। ফলে উপকূলের মানুষের নাগালে বাইরে চলে গেছে মাছের বাজার। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পাঙাশ ২০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, কোরাল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, রুই (ছোট) ২০০ টাকা, কাতল সাইজভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, টেংরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। এ ছাড়াও সোনালী মুরগী বিক্রি হয় ৩৭০ টাকা ও গরুর মাংস বিক্রি হয় ৭০০ টাকা কেজি দরে। এ বিষয়ে কথা হয় মাছ বিক্রেতা আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এর আগেও অনেক সময় প্রকারভেদে বিভিন্ন মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চলছে অবরোধ। তাই মাছের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছ ব্যবসায়ী হাফিজুর বলেন, ঊর্ধ্বমুখী বাজার মোটেই পড়তির দিকে নেই। সকল জিনিসপত্রের মূল্যই বৃদ্ধি পেয়েছে একযোগে। ফলে অধিকাংশ ক্রেতারা দাম শুনেই মনঃক্ষুণ্ন হচ্ছেন। কেউ কেউ রাগান্বিত হয়ে চলেও যান মাছ না কিনে। অপর এক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, শুক্রবার সকালে নিলামের মাধ্যমে আমি চিংড়ি ক্রয় করেছি ৭৫০ টাকা দরে।  সারাদিন আমার মজুরি ও আনুষাঙ্গিক খরচ আছে সে হিসেবে আমাকে কখনও ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়। বাজারে মাছ না থাকায় দামটা একটু বেশি বাড়তির দিকে। মাছ কিনতে আসা খলিল সিকদার বলেন, ‘আমরা যারা গরিব তাদের চাহিদা থাকে পাঙাশ মাছের দিকে। সেই পাঙাশ মাছ ২০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করা লাগছে। আমরা যাবো কোথায়? তার অভিযোগ, সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষজন কোন জিনিসে হাত লাগাতে পারছেন না।’ এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সারাদেশেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের  মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেউ যাতে অতিরিক্ত মূল্য নিতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের নজর থাকবে।’ আরটিভি/এমকে
উত্তাল বঙ্গোপসাগর, কুয়াকাটায় পর্যটকদের উচ্ছ্বাস
পূর্ণিমার প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ধেয়ে আসছে বড় বড় ঢেউ। এই ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালিতে মেতে উঠেছেন পর্যটকরা।  শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতে থাকা পর্যটকদের বার বার মাইকিং করে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। সব বাধা উপেক্ষা করে আগত পর্যটকরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন।  স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকাল থেকেই উত্তাল সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ উপভোগ করছেন ঘুরতে আসা পর্যটকরা। হৈ-হুল্লোড় করছেন সৈকতের বালিয়াড়িতে। তবে অনেকে প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে তীরে রাখা বেঞ্চিতে বসে উল্লাস করছেন। সকাল থেকে উপকূলের আকাশে মেঘ থাকলেও প্রচণ্ড রোদ ছিল।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একদিকে বঙ্গোপসাগরে পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরে এসে আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। এতে সৈকতে থাকা দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে। গত তিনদিন ধরে সমুদ্র এমন রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় জোয়ারের সময় ঢেউয়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সৈকত এলাকা। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সৈকত সুরক্ষা জিও ব্যাগ ও জিও টিউব। জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে খাল বিলসহ তলিয়ে গেছে উপকূলের নিম্নাঞ্চল।  যদিও উত্তাল সমুদ্রে নামতে পর্যটকদের ট্যুরিস্ট পুলিশ বারবার মাইকিং করে নিষেধ করলেও কোনো নিষেধ মানছেন না পর্যটকরা। জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বৃহস্পতিবার নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। নিম্নচাপটি বিদায় নিয়েছে। পূর্ণিমার জোর প্রভাবে নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্ণিমা শেষ হলে নদনদীর পানি স্বাভাবিক হবে। তবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা থেকে আসা হাসান মাহমুদ বলেন, সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা ঘুরতে এসেছি। তবে যে ঢেউ আশা করিনি, তার চেয়েও বড় বড় ঢেউ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। পর্যটক ইশরাত জাহান বলেন, সমুদ্রের সৌন্দর্য তখনই ভালো লাগে যখন বড় বড় ঢেউ কিনারায় আছড়ে পড়ে। আমি ঢেউ দেখে লোভ সামলাতে না পেরে গোসল করতে নেমে গেছি। বড় বড় ঢেউয়ের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছি। কলাপাড়া পৌর শহরের বাসিন্দা বিউটি বেগম বলেন, আমাদের ঘর আন্ধারমানিক নদী-সংলগ্ন। গত দুদিন ধরে জোয়ারের সময় ঘরের মধ্যেও পানি ঢুকছে। ঘরের সামনে পানিতে থই থই করছে। যার কারণে ভাটা হওয়ার আগ পর্যন্ত ঘরেই থাকতে হচ্ছে। বাইরে নামতে পারছি না। এ ছাড়া পানি যখন বাড়ে তখন আমাদের রান্না-বান্নাও বন্ধ থাকে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ছাতা বেঞ্চ ব্যবসায়ী নুর হোসেন বলেন, গত দুদিন ধরে অনেক পানি বেড়েছে। যার কারণে জোয়ারের সময় আমাদের ছাতা বেঞ্চ সৈকত থেকে সরিয়ে রাখতে হয়েছে। এ সময় আমাদের বেঞ্চ ভাড়া দেওয়া বন্ধ থাকে। এ ছাড়া ডাব বিক্রেতা, আইসক্রিম বিক্রেতা, আচার বিক্রেতাসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জোয়ারের সময় বিক্রি বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক শাকিল আনোয়ার বলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে গোসল করেছি সমুদ্রে। বড় বড় টেউ যা আগে দেখিনি। বেশ আনন্দ করছি। তবে পুলিশ বার বার মাইকিং করায় এবং পানির স্রোত বেশি থাকায় সৈকতের খুব কাছে থেকেই গোসল করছি। পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান বলেন, সাগরে যে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিলো, সেটি বিদায় নিয়েছে। তবে পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে নদনদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পূর্ণিমা শেষ হলে নদনদীর পানির উচ্চতা কমে যাবে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. আনসার উদ্দিন বলেন, পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সমুদ্র কিছুটা উত্তাল রয়েছে। তাই পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছি। উত্তাল ঢেউ পেয়ে অনেক পর্যটক গোসলে মেতেছেন, সেজন্য আমরা মাইকিং করছি বারবার। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আমাদের টিম টহলে রয়েছে। আরটিভি/এমকে
দেশে ৫৩ বছর ধরে দুঃশাসন চলছে: জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বৈষম্যহীন দেশ গড়তে হলে জনসাধারণের মধ্যে বিরাজ করা ধন-বৈষম্য দূর করতে হবে। গত ১৫ বছর লুটপাট ও ফ্যাসিস্ট আচরণ করেছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, কেবল এই ১৫ বছরই নয়, দেশে ৫৩ বছর ধরে দুঃশাসন চলছে। গরিবরা ন্যায্যতা বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ, দেশের সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যিনিই ক্ষমতায় তিনিই সমস্ত ক্ষমতার মালিক বনে যান। দেশে ক্ষমতার এমন ভারসাম্য তৈরি করতে হবে যাতে জনসাধারণের কাছে প্রধানমন্ত্রী জবাবদিহিতা করতে বাধ্য হয়। সেজন্য সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাদ দিতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণসংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণে ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য এ সংলাপ হয়। জোনায়েদ সাকি বলেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য লাগবে। সংসদকে দুইকক্ষ বিশিষ্ট হতে হবে। দুই কক্ষের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকতে হবে। বিচার বিভাগকে স্বাধীন হতে হবে। নির্বাহী বিভাগ থেকে পুরোপুরি আলাদা করে দিতে হবে। গণমাধ্যমকে স্বাধীন করতে হবে, কোন সরকার যাতে গণমাধ্যমের ওপর খবরদারি করতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যদি এই ধরনের ক্ষমতার ভারসাম্য হয়; তাহলে দেশের সব ধর্ম, মতের নাগরিক তাদের অধিকার পাবে। তিনি বলেন, দেশের রাস্তায়-ফুটপাতে মানুষ ঘুমায় আর অতীতের ফ্যাস্টিস্ট সরকার আমাদের উন্নতির কথা শোনায়। কিন্তু দেশে অট্টালিকা বেড়েছে অন্যদিকে ফুটপাতে মানুষ বেড়েছে। তার মানে একদলের হাতে লাখো কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। ১৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। দেশের মানুষ ফসল ফলায়, শিল্পে সম্পদ তৈরি করে অন্যদিকে কতিপয় লোক রাষ্ট্রের সমস্ত টাকা পকেটে ঢুকিয়ে বিদেশে পাচার করে। এই পাচার দেশের মাটিতে আর হতে দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে লুটপাট পাচার বন্ধ হবে তবে যা পাচার হয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে হবে। সাকি বলেন, বাজারে আগুন, একশ টাকার নিচে সবজি নেই, দ্রব্যমূল্য আকাশ ছুঁয়েছে। অতীতের সিন্ডিকেটের কারণে দাম কমাতে পারছে না অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা বলতে চাই উচ্চমূল্য রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেন। গ্রাম থেকে পণ্য আসতে যে চাঁদাবাজি হয়, চাতাল ও মিল মালিকরা যে কারসাজি করে ভয়ংকরভাবে দাম বৃদ্ধি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। মানুষ এই গণ-অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেছে বলে আশা করে আছে। মানুষ কিছু বলছে না। কারণ জনসাধারণ আপনাদের সঙ্গে আছে। তাই কাজ দেখান। কোন লুটেরাদের কাছে মাথানত করবেন না। এ ছাড়াও তিনি শিক্ষা-স্বাস্থ্যে অধিক বাজেট প্রণয়ন, সব নাগরিকের বাসস্থান নিশ্চিত ও প্রাথমিক শিক্ষকসহ সব শিক্ষকদের পূর্ণ মর্যাদা দেওয়ার আহ্বান জানান। গণসংলাপে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল ও কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম আমজাদ হোসেন। দলের বরিশাল জেলার সমন্বয়কারী দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেছেন জেলা কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান মিরাজ। আরটিভি/এএএ
উপকূলের আকাশে উড়ছে রঙিন ফানুস
কুয়াকাটায় রাখাইন সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুভ প্রবারণা উৎসব আজ থেকে শুরু হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) শুভ প্রবারণা উৎসব উপলক্ষে সন্ধ্যা থেকে তিন দিনব্যাপী রাখাইন পাড়ার আকাশে রঙিন ফানুস উড়িয়ে উৎসবে মেতেছে। এ উৎসবকে ঘিরে রাখাইন পাড়ায় চলছে নানা রকম পিঠা-পায়েস তৈরির উৎসব। উৎসবকে সামনে রেখে রাখাইনদের বিভিন্ন পাড়াসহ বৌদ্ধ বিহারগুলো সাজানো হয়েছে নানা সাঁজে। শুভ প্রবারণা উপলক্ষে বরগুনা ও পটুয়াখালী উপকূলীয় এলাকার রাখাইন পল্লীতে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। বৌদ্ধ ভিক্ষু সূত্রে জানা গেছে, বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী আষাঢ়ি পূর্ণিমাতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বর্ষাব্রত শুরু হয়ে এ পূর্ণিমাতে শেষ হয়। কার্তিকের এ পূর্ণিমার তিথিতে কুয়াকাটার রাখাইন সম্প্রদায় প্রবারণা উৎসব পালন করেন। এ সময় বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ৩ দিনব্যাপী গৌতম বুদ্ধের স্মরণে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদন করা হয়। রাতে আকাশে উড়ানো হয় নানা রঙের ফানুস। এ দিনে রাখাইনরা আপ্যায়ন, অভিলাস পূরণ, ধ্যান শিক্ষা ও কর্মসম্পাদনের লক্ষ্যে প্রতিদিন সকালে পরিষ্কার পোশাকে বিভিন্ন বিহারে গমন করেন। রাখাইনদের ধর্মজাযক গৌতম বুদ্ধ মূলত একজন শাসক ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি বুঝতে পারেন তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে ধর্ম প্রচারের কাজে। তাই সংসার জীবনের মায়া বিসর্জন দিয়ে ধর্ম প্রচারের জন্য আত্মনিয়োগ করেন নিজেকে। তিনি নিজ গৃহ ত্যাগ করে ভারতের কপিলা বস্তু নামক স্থানে পূণ্যকর্ম সম্পাদন করেন। পরে গৃহে প্রত্যাবর্তন করলে অনেকে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেনি। তখন এক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন তিনি। নিজের চুল তলোয়ার দিয়ে কেটে আকাশে ছুঁড়ে মেরেছিলেন। সে চুল আর পৃথিবীতে ফিরে আসেনি। আকাশেই অদৃশ্য হয়ে যায়। গৌতম বুদ্ধ সেই পরীক্ষায় সফল হয়েছিলেন। গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করতে বৌদ্ব ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর এ সময় ফানুস উড়িয়ে এবং ধর্মীয় নানা আয়োজনের মাধ্যমে গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করে আসছে। মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ বিহারের পুরোহিত উত্তম ভিক্ষু বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এ প্রবারণা পূর্ণিমা। এই দিন গৌতম বুদ্ধ ধর্ম প্রচার শুরু করেন। এ কারণে এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এটি রাখাইনদের উৎসব হলেও বর্তমানে সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শুভ প্রবারণা পূর্নিমা উপলক্ষে প্রতিটি পাড়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সেনা সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে। আরটিভি/এএএ
গভীর সমুদ্রে ভারতীয় জেলেদের দাদাগিরি
ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমা থেকে ৩১ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী। এ সময় ভারতীয় পতাকাবাহী দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়। গত মঙ্গলবার এসব ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশি জেলেরা উভয় দেশে একই সময়ে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দাবি করেছেন।  জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় বাংলাদেশ সরকার ১২ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। এ কারণে নদীতে ও সাগরে বাংলাদেশি জেলেরা ইলিশ ধরা থেকে বিরত রয়েছেন। কিন্তু এই সময়ে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে ইলিশ শিকার করে যাচ্ছেন।  ভারতীয় ৩১ জেলেকে আটকের বিষয়  নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ অঞ্চল-ভোলার মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় যে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ও অবৈধ কর্মকাণ্ড ঠেকাতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড অভিযান পরিচালনা করছে। এর অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার দুটি ট্রলারসহ ভারতীয় ৩১ জেলেকে আটক করা হয়েছে।’  বাংলাদেশি জেলেদের অভিযোগ, সাগরে তাদের সঙ্গে দস্যুর মতো আচরণ করেছে ভারতীয় জেলেরা। হ্যান্ডমাইকে বাংলাদেশি জেলেদের সরে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। সরতে না চাইলে ইট-পাথর নিক্ষেপ করছে; জাল কেটে দিচ্ছে। ভারতীয় জেলেদের ট্রলারে ছয় সিলিন্ডারের শক্তিশালী ইঞ্জিন। ধাক্কা দিয়ে তারা বাংলাদেশি ছোট ছোট ট্রলারকে ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।  বরগুনার পাথরঘাটার জেলে মোহাম্মদ আলম মাঝি বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে আমাদের অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিত। ভারতীয় জেলেদের দ্বারা আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পেতাম না। উল্টো আমাদের ধমকিয়ে রাখত। এবার যদি ভারতীয় জেলেদের ফিরানো যায় তাহলে আগামী বছর দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।’  মোহাম্মদ নুহু নামের এক জেলে বলেন, ‘ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় চালনার বয়া, মাইজদার বয়া, বড়ইয়ার চর, ফেয়ারওয়ের বয়া, বড় আমবাড়িয়া, ডিমের চর, সোনার চর, কবরখালীসহ ইলিশ বিচরণের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এসে মাছ শিকার করে।’  বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সহসভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী বলেন ‘আগের সরকার ভারতের পাতানো নিষেধাজ্ঞা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতীয়দের ইলিশ ধরার সুযোগ করে দিয়েছে। এ সুযোগে ভারতীয়রা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এসে ইলিশ শিকার করছে। এই পাতানো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ভারত ও বাংলাদেশে একত্রে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর চাই।’  গত মঙ্গলবার দেওয়া নৌবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিএনএস আখতার উদ্দিনের টহল চলাকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে বিদেশি পতাকাবাহী দুটি ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা হয়। এ সময় ট্রলার দুটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু নৌবাহিনীর জাহাজ ট্রলার দুটিকে বাংলাদেশের জলসীমার ভেতরেই আটক করতে সক্ষম হয়।  আটক ট্রলার দুটিতে মোট ৩১ জন সদস্য ছিলেন। তাঁদের বাড়ি ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন গ্রামে। ট্রলার দুটি পটুয়াখালীতে এনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আটকদের কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে নৌবাহিনী।  দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড ভোলা জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ জানান, ‘দেশীয় জলসীমায় ভারতীয় জেলেদের অনুপ্রবেশ ঘটনা রয়েছে। তবে সামনের দিনগুলোতে কঠোর হয়ে টহল জোরদার করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় জেলে অনুপ্রবেশের অভিযোগ আমরা আর নিতে চাই না। এ জন্য গভীর সমুদ্রে জাহাজের পাশাপাশি স্পেশাল টহলের জন্য ইতিমধ্যে অতিরিক্ত শক্তিশালী ট্রলার ও স্পিডবোট প্রস্তুত করা হয়েছে।’  কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুয়েল ইসলাম জানান, ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা পটুয়াখালী জেলা কারাগারে রয়েছেন। আরটিভি/এসএপি
স্বামীর লাথিতে স্ত্রীর মৃত্যু
পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে স্বামীর লাথির আঘাতে স্ত্রী আমেনা বিবির (৫৮) মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা গুরিন্দা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।  পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানায়, ঘটনার দিন গলাচিপা উপজেলার রতনদীতালতলী ইউনিয়নের গুরিন্দা বাজারে নসু ঘরামীর প্রথম পক্ষের মেয়ে আসমার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বিবাদমান ৬ শতক জমিতে ঘর তুলতে যায় আসামিসহ তার দুই ভাই রিপন ও হাসান। এতে নসু ঘরামীর দ্বিতীয় স্ত্রী আমেনা বিবির আগের স্বামীর ঘরের সন্তান শামিম ও শাহিন বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় নসু ঘরামীর লাথির আঘাতে স্ত্রী আমেনা বেগম গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত আমেনাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ওসি মো. আশাদুর রহমান জানান, একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে এবং প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। আরটিভি/এসএপি-টি