পায়রা বন্দর থেকে ৩০ দিনে অর্ধশত কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পায়রা সমুদ্র বন্দরে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, পায়রা সমুদ্র বন্দরের ইনার এ্যাঙ্করে নিরাপদে কয়লা খালাস করছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হওয়া সেই জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এই কয়লা দিয়েই সচল রয়েছে পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিকল্প ব্যবস্থাপনায় বন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে প্রশাসন। বন্দরের প্রথম জেটি, ছয় লেনের সড়ক, সেতুসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজও চলছে স্বাভাবিক গতিতে। সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা আর দেশজুড়ে কারফিউয়ের কারণে দেশের আমদানি রপ্তানি যখন তলানিতে, ঠিক সে সময় তিনটি জাহাজ এই বন্দর ব্যবহার করে পণ্য খালাস করেছে। আর চলতি বছরের জুলাই মাসে বন্দরে ভিড়েছে আটটি বিদেশি জাহাজ।
এ বিষয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, পায়রা বন্দরের পণ্য লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে বন্দরে সি স্পিরিট এবং এমভি আব্দুল্লাহ নামে দুটি মাদার ব্যাসেল পায়রা বন্দরে আগমন করে। এ ছাড়া ১৯ জুলাই এমভি ব্রাইট নামে একটি জাহাজ কয়লা খালাস করে বন্দর ত্যাগ করেছে। জুলাই মাসে এ পর্যন্ত বন্দরে মোট আটটি মাদার ভ্যাসেল পায়রা বন্দরে আগমন করে যা থেকে সরকারের প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে।
এ দিকে রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী বলেন, সরকারের জারি করা কারফিউয়ের মধ্যেও বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তাসহ বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় বন্দরের ৩১ জন নিরাপত্তাকর্মী, ৪৮ জন আনসার সদস্য এবং নৌবাহিনীর ৪২ জন সদস্য কাজ করছেন।
বন্দর সচল রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আর এ কারণে এখন পর্যন্ত পায়রা সমুদ্র বন্দরকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি বলেও জানান বন্দর চেয়ারম্যান।
![](https://www.rtvonline.com/templates/web-view/images/bangal29-3-23.png)