• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
এতিম হয়ে গেল গুলিতে নিহত কামালের ৩ সন্তান
পায়রা বন্দর থেকে জুলাই মাসে রাজস্ব আয় অর্ধশত কোটি টাকা
পায়রা বন্দর থেকে ৩০ দিনে অর্ধশত কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পায়রা সমুদ্র বন্দরে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী। বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, পায়রা সমুদ্র বন্দরের ইনার এ্যাঙ্করে নিরাপদে কয়লা খালাস করছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হওয়া সেই জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এই কয়লা দিয়েই সচল রয়েছে পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিকল্প ব্যবস্থাপনায় বন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে প্রশাসন। বন্দরের প্রথম জেটি, ছয় লেনের সড়ক, সেতুসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজও চলছে স্বাভাবিক গতিতে। সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা আর দেশজুড়ে কারফিউয়ের কারণে দেশের আমদানি রপ্তানি যখন তলানিতে, ঠিক সে সময় তিনটি জাহাজ এই বন্দর ব্যবহার করে পণ্য খালাস করেছে। আর চলতি বছরের জুলাই মাসে বন্দরে ভিড়েছে আটটি বিদেশি জাহাজ।   এ বিষয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, পায়রা বন্দরের পণ্য লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে বন্দরে সি স্পিরিট এবং এমভি আব্দুল্লাহ নামে দুটি মাদার ব্যাসেল পায়রা বন্দরে আগমন করে। এ ছাড়া ১৯ জুলাই এমভি ব্রাইট নামে একটি জাহাজ কয়লা খালাস করে বন্দর ত্যাগ করেছে। জুলাই মাসে এ পর্যন্ত বন্দরে মোট আটটি মাদার ভ্যাসেল পায়রা বন্দরে আগমন করে যা থেকে সরকারের প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এ দিকে রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী বলেন, সরকারের জারি করা কারফিউয়ের মধ্যেও বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তাসহ বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় বন্দরের ৩১ জন নিরাপত্তাকর্মী, ৪৮ জন আনসার সদস্য এবং নৌবাহিনীর ৪২ জন সদস্য কাজ করছেন। বন্দর সচল রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আর এ কারণে এখন পর্যন্ত পায়রা সমুদ্র বন্দরকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি বলেও জানান বন্দর চেয়ারম্যান।
স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, কুয়াকাটা থেকে চলছে ঢাকাগামী গণপরিবহন
ঘরে পড়েছিল স্বামী-স্ত্রীর অর্ধগলিত মরদেহ
পটুয়াখালীতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ৭
স্ত্রীর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস নিলেন যুবক
মারা গেছেন ছারছীনা দরবার শরীফের পীর
উপমহাদেশের অন্যতম ইসলাম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পিরোজপুরের ছারছীনা দরবার শরীফের পীর বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর আমির, হজরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেবুল্লাহ আর নেই (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত ২টা ১১ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।  মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৭০ বছর। স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ তিনি অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। প্রয়াত পীর শাহ মোহাম্মদ মোহেবুল্লাহ ছারছীনা দরবার শরীফ ও উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছারছীনা দারুসুন্নাত আলিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওলানা শাহ নেছারউদ্দিন (রহ.)-এর দৌহিত্র।  তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। দেশ ও দেশের বাইরে চিকিৎসা নিয়ে সর্বশেষ ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে পিরোজপুরের ছারছীনাসহ সারা দেশের ইসলাম প্রিয় মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 
কোটা আন্দোলন প্রতিহত করতে কুয়াকাটা ছাত্রলীগ কর্মীর ছবি ভাইরাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আন্দোলনরত ছাত্রীদেরকে লাঠি হাতে আক্রমণ করছেন এক ছাত্রলীগ কর্মী। এমন একটি ছবি ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে ওই ছাত্রলীগ নেতার নিজ এলাকা পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়। জানা যায়, ওই ছাত্রলীগ নেতা কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তার নাম মো. রুবেল খান। তিনি কুয়াকাটা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. নুরু খানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন কুয়াকাটা পৌরসভার ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা সংঘর্ষের পরেই এমন ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তার ছবি ভাইরালের পরপরই নিজ এলাকার সাধারণ মানুষ ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীরাও তার এই কাজের নিন্দা জানিয়েছেন। কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. মজিবুর রহমান বলেন, রুবেল কুয়াকাটা ছাত্রলীগ কর্মী তবে পৌর ছাত্রলীগের সদস্য নন। আমরা আন্দোলনকে আন্দোলন দিয়ে মোকাবেলা করবো কিন্তু তার এরকম কাজ ছাত্রলীগ প্রশ্রয় দেয় না। আমি তার এই কাজের নিন্দা জানাই। এ বিষয়ে কথা বলতে ওই ছাত্রলীগকর্মী রুবেলকে ফোন করলে রিসিভ করেননি তিনি।
কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল বরিশাল
কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বরিশাল। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন।  এরই মধ্যে বেলা ১১টায় বরিশাল ব্রজমোহন বি এম কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।  ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, ক্যাম্পাসে যেকোনো অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় গিয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশালের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। অপরদিকে বেলা ১১টায় থেকে আজ প্রথমবারের মতো বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা বরিশাল নগরীর আমতলার মোড় অবস্থা নিয়েছেন। সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল।  পরে বেলা ১২টার দিকে তারা পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে গিয়ে সেখানে কোটা সংস্কারের দাবিতে স্লোগান তোলেন। অপরদিকে বরিশালের নথুল্লাবাদ সড়কে অবস্থা নিয়েছেন সরকারি বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে। আর বিএম কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে যান। তারা ক্যাম্পাস ও সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় নথুল্লাবাদে গিয়ে মিছিল শেষ করেন। এ ছাড়াও নগরীর বি়ভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা।   আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা যৌতিক দাবি তুলে আন্দোলন করছেন। সেখানে তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন।
ড্রাইভার আবেদ আলী ও ‌হোটেল সান মেরিনার কী সম্পর্ক
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অবস্থিত ‘হোটেল সান মেরিনা’। এ হোটেলটির নির্মাণকাজ এখনো শুরু হয়নি, তবে এ হোটেলটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন বিসিএস পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে অভিযুক্ত এবং পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর থেকে এ হোটেলটি নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। পরে কুয়াকাটায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি নিয়ে নানা রকমের পোস্ট দেখা গেছে।   খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবেদ আলীর বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায় অবস্থিত। তার বাবার নাম আবদুর রহমান মীর। ডাসার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য তিনি ইতোমধ্যে এলাকায় পোস্টার-ব্যানার টানিয়েছেন। গত ১৮ মে আবেদ আলী তার ফেসবুক পেজে এ হোটেল নিয়ে স্ট্যাটাস দেন। তবে গত দুদিন ধরে এ বিষয়টি কলাপাড়া-কুয়াকাটাসহ উপকূলের মানুষের চোখে পড়ে।  সান মেরিনা হোটেল নিয়ে আবেদ আলী তার ফেসবুকে লিখেছেন, আমাদের নতুন হোটেল এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। সমুদ্রকণ্যার পাড়ে আজীবন নিজের জন্য একটা থাকার ব্যবস্থা ও একই সঙ্গে একটা হোটেলের মালিকানা অর্জন করতে আপনিও শেয়ার কিনতে পারেন। শেয়ার কিনতে যোগাযোগ করুন। সান মেরিনা হোটেলটি এখনও নির্মিত হয়নি। এখানের জায়গা খালি পড়ে আছে। সামনের অংশে ৭-৮ টি টিনশেড দিয়ে তৈরি রুম আছে। এ ছাড়া হোটেলটি কোন ডিজাইনে হবে তার ছবি দিয়ে একটি সাইনবোর্ড ঝোলানো রয়েছে হোটেলের নির্ধারিত জায়গার সামনের অংশে।  ২০১০ সালে এ হোটেলের মূল মালিক দাবিদার মো. মোশারফ হোসেন আবাসিক হোটেল নির্মাণ করার জন্য কুয়াকাটা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পাঞ্জুপাড়ায় ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।  সান মেরিনা হোটেলটির বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য অনুসন্ধান করলে জানা যায়, এই হোটেলটির মালিক লিবার্টি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন। গ্রুপটি পিডিবি (পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), রুরাল ইলেট্রিফিকেশন বোর্ড (আরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ঠিকাদার হিসেবে সাব স্টেশন ও ট্রান্সমিশন লাইনের নিয়মিত কাজ করে থাকেন। সান মেরিনা হোটেলে কর্মরত মো. ফারুক হোসেন বলেন,  আমি মোশারফ স্যারের অধীনে অদ্যাবধি ৮ বছর যাবত চাকরি করছি। সৈয়দ আবেদ আলী নামে কাউকে আমি দেখিনি। তবে তিনি কয়েকমাস আগে এখানে এসে হোটেলের শেয়ার নেওয়ার জন্য আলোচনা করছেন। তখন আমি তাকে মোশাররফ স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলছি। তখন একটা ছবি তুলতে দেখছি আমাদের হোটেলের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে। সান মেরিনা হোটেলের মালিক মোশারফ হোসেন বলেন, গত দুই-তিন মাস আগে সৈয়দ আবেদ আলী আমার হোটেলটির সামনে অপর একটি হোটেলে এসে ওঠেন। পরদিন সকালবেলা আমার হোটেলের জায়গায় গিয়ে শেয়ার ক্রয় করবেন বলে জানায়। তখন সে আমার লোকের কাছ থেকে শেয়ার ক্রয়ের বিস্তারিত জেনে যায়। এ পর্যন্তই। আসলে আমি কখনও তাঁকে দেখিনি এবং চিনিও না। তিনি আরও বলেন, আবেদ আলীকে একজন টাউট প্রকৃতির লোক বলে মনে হয়েছে। আমি এ জন্য ঢাকার গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করব।  
প্রশ্নফাঁস: পিএসসির উপপরিচালক আবু জাফর সম্পর্কে যা জানা গেল
বর্তমানে ‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে গত ১২ বছরে পিএসসির অধীনে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনা। এ অভিযোগে গ্রেপ্তার ও পিএসসি থেকে সাময়িক বরখাস্ত সংস্থাটির উপপরিচালক আবু জাফরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সরেজমিনে গলাচিপা উপজেলায় জাফরের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পাওয়া গেছে বেশ কিছু তথ্য। এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গলাচিপার কলাগাছিয়া গ্রামে বাড়ি হলেও আবু জাফর খুব একটা যেতেন না সেখানে। আর গেলেও থাকতেন পাশের কল্যাণকলস গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে। ছোটবেলায় এলাকা ছেড়ে খুলনায় বোন-ভগ্নিপতির কাছে থাকতেন আবু জাফর। তিনি গ্রামের বাড়িতে খুবই কম আসার কারণে গ্রামের অনেকেই তাকে চেনেন না। বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান ছাড়া জাফর গ্রামে আসতেন না।  জাফরের ছোটভাই জালাল মিয়ার খোঁজে বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলছেন, ভাইয়ের দুর্নীতির খবরে বিব্রত হয়ে লোকজনকে এড়িয়ে চলছেন।  আবু জাফরের আত্মীয় আউয়াল মিয়া বলেন, ছোটবেলায় এলাকা ছেড়ে খুলনায় বোন-ভগ্নিপতির কাছে থাকতেন জাফর। এলাকার লোকজন তাকে তেমন চেনেন না। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট ভাই জালাল মিয়া সামান্য লেখাপড়া করে এলাকায় টিউশনি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ভাইদের তেমন খোঁজখবর নিতেন না আবু জাফর। স্থানীয় ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, জাফরের বৃদ্ধ মা কোথায় থাকেন তা-ও জানেন না এলাকার লোকজন। এলাকায় এলে তার সঙ্গে দেখা হতো। ভদ্র গোছের লোক। তার দুর্নীতির খবরে আমরা হতবাক। তবে এলাকায় তিনি কিছুই করেননি। আমাদের ধারণা অবৈধ আয় দিয়ে কিছু করলে ঢাকায় করতে পারেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, আবু জাফরের পৈত্রিক ভিটাবাড়ি কিছুই নেই। কয়েক বছর আগে লোহালিয়া নদীতে তাদের বাড়ি বিলীন হয়ে যায়। পরে বাড়ির জমির কাছেই ৬০ শতাংশ জমি কিনে পাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেন জাফর। তবে একতলা ছাদ দেওয়ার পর আর আগায়নি নির্মাণকাজ। অসম্পূর্ণ পড়ে আছে বাড়িটি। আবু জাফর বছরে দুয়েকবার গ্রামে এলেও থাকতেন পাশের কল্যাণকলস গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে। এদিকে আবু জাফরের খোঁজে কল্যাণকলস গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িতে কেউ নেই। পুরোনো ছোট টিনের ঘর, সামনে একটি নলকূপ।
ঝাড়ু মিছিল নিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও, পালালেন কর্মকর্তারা
পটুয়াখালীর বাউফলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আদায় ও বন্ধ মিটারের বিদ্যুৎ বিল বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।  সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় শতাধিক গ্রাহক বাউফল পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অফিসের সামনে এ ঝাড়ু মিছিলে অংশ নেন।  এ সময় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের কর্মকর্তা অফিস ত্যাগ করেন।  ভুক্তভোগী গ্রাহকদের দাবি, সম্প্রতি তাদের মিটারে রিডিং এর চাইতে অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে৷ এ ছাড়াও আরও কয়েকটি বন্ধ মিটারেও বিল করে পল্লীবিদ্যুৎ। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে গ্রাহকদের নামে মামলা দেওয়ার ভয় দেখায় পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ৷  পল্লীবিদ্যুতের এ ঘটনার প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এ ঝাড়ু মিছিল করেন।