• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পাথরঘাটায় নিখোঁজ হওয়া জেলের মরদেহ উদ্ধার 
বিষখালী নদীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান, জেলে নিখোঁজ
বরগুনার পাথরঘাটা সংলগ্ন বিষখালি নদীতে বরগুনা সদর মৎস্য বিভাগের অভিযানের সময় তিন জেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মো. রিপন (৪১) নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানান আহতরা।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে আহত রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে বিষখালীর নদীর দক্ষিণ কূপধোন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিখোঁজ জেলে রিপন উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ কূপধোন গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।  আহত জেলে রাসেল একই এলাকার নুরু মোল্লার ছেলে এবং সুলতান হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন।  আহত জেলে রাসেল মুঠোফোনে জানান, প্রতিদিনের মতো বিষখালী নদীতে কালমেঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ কূপধোন এলাকার দুটি ইঞ্জিনচালিত নামবিহীন ট্রলার নিয়ে মাছ শিকার করতে যান তারা। জালের কাছে পৌছালে স্পিডবোট নিয়ে বরগুনা সদর উপজেলার মৎস্য বিভাগের লোকজন অবৈধ খুঁটি অপসারণের জন্য আসেন। তখন দুটি ট্রলারকে ধরে ফেলে তারা। পরে তাদেরকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে সকাল ৯টার দিকে  জেলে রিপনকে না দেখে রাসেলসহ বাকিরা তার বিষয়ে মৎস্য বিভাগের লোকজনের কাছে জানতে চান।  পরে তারা জানান, রিপন নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। তাকে খোঁজার কথা জানালে তা না করে মৎস্য বিভাগের লোকজন চলে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  জেলে রাসেল আরও জানান, নিখোঁজ রিপনের কথা জানতে চাইলে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে তাকে এবং দেলোয়ারকে মারধর করা হয়।  তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ‘বরগুনা সদর থেকে গতরাতে বিষখালি নদীতে অবৈধ খুঁটিগুলো অপসারণের জন্য একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় কিছু জেলেরা সহযোগিতা করেছেন। তখন কোনো জেলেকে আটক করা হয়নি। ওই সময় তাদের লেবার ছিল সঙ্গে। এ সময় কোনো জেলে নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি। তাদেরকে যে মারধর করা হয়েছে, এটা সত্য না। পাথরঘাটা থেকে কিছু ছবি পাঠানো হয়েছে সেই ছবিতে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। ইতিমধ্যে আমি বরগুনা জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করেছি।’ 
কুয়াকাটায় ১ কোরাল বিক্রি হলো ৩৩ হাজারে
মাদক সেবনে বাধা, বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যা
ঝালকাঠিতে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
‘এখন আমার কি হবে, মনুরে লইয়া কোন পথে যামু’
ছাত্রলীগ নেতার অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল, কমিটি বিলুপ্ত
সম্প্রতি বরগুনার তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।    মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে মিঠুকে ওই নারীর সঙ্গে বেশ অন্তরঙ্গ অবস্থায় সময় কাটাতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় তৃণমূল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আরও জানা যায়, এ ঘটনায় উপজেলায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া তালতলী থানায় গত ১২ এপ্রিল পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বর্তমানে ওই নারী জেলহাজতে রয়েছেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয় তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর সঙ্গে। কিন্তু বারবার কল দেওয়ার পরেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে কথা হয় বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল কবির রেজার সঙ্গে। তিনি ভিডিও ভাইরালের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ১২
ঝালকাঠির গাবখান সেতু টোলপ্লাজায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও প্রায় ১৫ যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল ইজিবাইক, মাইক্রোবাসসহ একাধিক গাড়ি। সিমেন্টবাহী ট্রাকটি সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে প্রতিবন্ধক ভেঙে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়।  সিমেন্টবাহী ওই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মাইক্রোবাসে থাকা শিশু নারীসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। ট্রাক-মাইক্রোবাস উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী কর্মীরা।  এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১২ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১৬ থেকে ২০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে আহত অবস্থায় রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। উদ্ধারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।’ 
পাথরঘাটায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
বরগুনার পাথরঘাটায় ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় কারিমা ওরফে ইভা (২৪) নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের পশ্চিম ঘুটাবাছা গ্রামের ওই গৃহবধূর বাবা জামাল মাঝির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কারিমা ওরফে ইভা একই ইউনিয়নের পশ্চিম ঘুটাবাছা গ্রামের জামাল মাঝির মেয়ে এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের হোগলাপাশা গ্রামের মোস্তফা সরদারের ছেলে সোহেল রানার স্ত্রী। জানা যায়, রোববার রাত ১১টার দিকে খাবার খেয়ে ঘরের সবাই নিজ নিজ কক্ষে ঘুমাতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর কারিমা স্বামীর বিছানা থেকে মোবাইল নিয়ে তার মা খাদিজা বেগমের কক্ষে যায়। এ সময় সোহেল ঘুমিয়ে পড়েন। পরে সোমবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে স্বামী সোহেল রানা স্ত্রী কারিমাকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে শাশুড়ি খাদিজার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে খোঁজাখুঁজি করে ঘরের সামনের বারান্দার আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। স্বামী সোহেল রানা বলেন, ‘আমি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসছি। আজ সকালে ঢাকায় যাওয়ার কথা। ভোর রাতে বাসের সুপারভাইজার ফোন দিয়ে ঘুম থেকে উঠানোর পরে আমার স্ত্রী ইভাকে পাশে না দেখে শাশুড়িকে ডাক দিলে তিনিও জানেননা বলে জানান। পরে খোঁজাখুজির পরে ঘরের সামনের বারান্দায় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই তাকে।’  সোহেল রানা আরও বলেন, ‘এক সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় যাই। শাশুড়ির ব্যবহৃত স্মার্টফোনের লক খুলতে কিছুক্ষণ পর আমার পাশ থেকে উঠে কারিমা তার মায়ের কক্ষে গিয়ে আর আসেনি। আমার সন্দেহ হয় মা-মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাশুড়ি আমার স্ত্রীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে। যেভাবে পা চেয়ারের সঙ্গে ছিলো তাতে আত্মহত্যা নয় এটি হত্যা।’ কারিমার মা খাদিজার বেগম বলেন, ‘জামাই আমার মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি এর বিচার চাই।’ এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, ‘প্রাথমিক তথ্য পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছেন। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
বরিশাল মেডিকেলে প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুন
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার এক আসামির হাতে আরেক আসামি খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালের নিচতলার প্রিজন সেলে দু’আসামিকে বেধড়ক পেটান ওই আসামি। পরে আহতদের চতুর্থ তলার সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।  সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুর ১টায় এক আসামির মৃত্যু হয়। নিহত আসামির নাম মো. মোতাহার (৬০)। নিহত মো. মোতাহার বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে।  তিনি বরগুনার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। জানা যায়, আহত অপর আসামি অজিত মন্ডল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে। হামলাকারী তরিকুল ইসলাম (২৫) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। তিনি পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নগরের কোতয়ালি মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক। তিনি বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী আসামি তরিকুল অপর ২ আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছেন। এতে দুজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারবো না। এ দিকে হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই রোগীকে নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে রাখার কথা। আর সেখানে রাখলে এমনটা হতো না। কিন্তু সেখানে না রেখে সুস্থ মানুষের মধ্যে এভাবে রাখাটা আদৌ উচিত হয়নি কারা কর্তৃপক্ষের। রাখলেও সেভাবে ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। এ ব্যাপারে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারবো।  দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
দাদির সঙ্গে নদীতে নেমে স্রোতে ভেসে গেল স্কুলছাত্র
ঝালকাঠির নলছিটিতে দাদির সঙ্গে গঙ্গাস্নানে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় পৌর এলাকার কলবাড়ী সংলগ্ন সুগন্দা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।  স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নলছিটি পৌর এলাকার ব্যবসায়ী শিমুল চক্রবর্তীর একমাত্র ছেলে আদর চক্রবর্তী (১০) তার দাদির সঙ্গে গঙ্গাস্নানের জন্য নদীর তীরে আসে। এ সময় তার দাদি স্নানে ব্যস্ত থাকায় পা পিছলে আদর নদীতে পড়ে যায়। দাদি তাকে ধরার চেষ্টা করলেও রাখতে পারেননি নদীর স্রোত তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।  পুলিশ আরও জানায়, নদীর এই অংশের গভীরতা বেশি। তবে তীর থেকে সেটা বোঝার উপায় নেই দেখলে মনে হবে ঢালু চর। তাই এখানে স্রোতের তীব্রতা অনেক বেশি; যার কারণেই ছেলেটি স্রোতের টানে পানির নিচে চলে গেছে।  খবর পেয়ে বরিশাল সদর থেকে একটি ডুবুরি দল সকাল সাড়ে এগারোটায় নলছিটি এসে পৌছেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা তল্লাশি চালাচ্ছেন। নিখোঁজ আদর চক্রবর্তী স্থানীয় বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে বলে জানা গেছে।  নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী জানান, আমাদের পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে। এ ছাড়া নলছিটি ফায়ার সার্ভিস ও বরিশাল সদর থেকে আগত ডুবুরি দল উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
ঈদের দিন তরুণ-তরুণীর মারধর, মিম ফিরলেন শ্বশুরবাড়ি
ঈদের দিন কালো পোশাক পরা তরুণ-তরুণীর মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে জানা যায়, পটুয়াখালীর বাউফলের ওই তরুণ-তরুণী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। অভিমান থেকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এবার পুলিশ ও চেয়ারম্যানের সমঝোতায় শ্বশুরবাড়ি ফিরে গেছেন মিম। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাউফল উপজেলা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামূল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাউফল থানা থেকে ফোন পেয়ে আমি গিয়ে দেখি কামরুল ও মিমকে থানায় এনেছে পুলিশ। পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়ে  সমঝোতার জন্য আমার জিম্মায় দিয়ে দেন। আমি তাদের অবিভাবকদের নিয়ে ইউপিতে বসি। দুই পক্ষ মিলেমিশে থাকতে চায়, তাই মিমকে তার শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেই।  এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি এবং তাদের থানায় ডেকে এনে বিষয়টি ফয়সালার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিন্মায় দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ওই তরুণী বাউফলের কালাইয়ার মিলন মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার। আর ওই তরুণ উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম। গত এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা ঢাকায় থাকতেন। কামরুল ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঈদের আগের দিন কামরুল ও মিম ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। ঈদের দিন কামরুল তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা বললে মিম রাজি হয়নি। সে বলে, আমি কেন তোমার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবে, দরকার হলে তোমার মা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবে। পরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলে তার স্ত্রী মিম তার পিছু নিলে রাস্তায় তাদের মাঝে মারামারি, ধস্তাধস্তি ও টানাটানির ঘটনা ঘটে।  ৪৬ সেকেন্ডে ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে রাস্তায় এক তরুণীকে দফায় দফায় মারধর করছেন। সাদা পায়জামা ও কালো পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ এক তরুণীর হাত ধরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। ওই তরুণের পেছনের দিকে পাঞ্জাবি অর্ধেক ছেড়া। হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে তরুণীকে কিলঘুষি মারছেন তরুণ। সেই সঙ্গে চুল ধরে টানাটানিসহ দফায় দফায় তরুণীকে বিভিন্নভাবে আঘাত করে ফেলে দিচ্ছেন। রাস্তায় বহু মানুষ চলাচল করলেও তরুণীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না কেউ।