• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
সুখবর দিলেন কোয়েল মল্লিক
হৃতিক রোশনের চাচার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ লগ্নজিতার
শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে নারীদের শ্লীলতাহানির বিষয় নতুন কিছু না। ইতোমধ্যে বলিউডে নারীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যে কারণে টালিউডেও ‘নারী সুরক্ষা কমিটি’ তৈরির দাবি উঠেছে একাধিকবার। এর আগে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বেশ কয়েকজন তারকা-নির্মতাকে বহিষ্কার করেছে ভারতীয় ডিরেক্টরস গিল্ড। বিভিন্ন সময়ে নায়িকারা শোবিজাঙ্গনে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। এবার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন কলকাতার জনপ্রিয় গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী। সম্প্রতি এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে হৃতিক রোশনের চাচার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। গায়িকা বলেন, রাজেশ রোশনের বাড়িতে গিয়েছিলাম কথা বলতে। আমি একটা স্কার্ট পরেছিলাম। উনি বললেন আমার একটা গান শোনাতে। ইউটিউবে গান খুঁজছি আমি। আর তখনই উনি আমার পাশে এসে বসেন। কিছু বোঝার আগেই স্কার্টের ভেতরে হাতটা ঢুকিয়ে দেন। সেদিন খুব খারাপ লেগেছিল। প্রসঙ্গত, ‘বসন্ত এসে গেছে’ গান দিয়ে শ্রোতা-দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন তিনি লগ্নজিতা। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। আধুনিক বাংলা গান থেকে, সিনেমার গান, রবীন্দ্র সঙ্গীত সব জায়গাতেই বরাবরই দারুণভাবে পারফর্ম করেন তিনি।   আরটিভি/এইচএসকে  
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি নিয়ে যা বললেন অভিনেতা অনির্বাণ
এটা অন্য জায়গায় হলে চুলের মুঠি ধরে বের করে দিত: ইমন
দেবকে ‘আনফলো’ করলেন রুক্মিণী, তবে কি সম্পর্কে চিড়
যে কারণে ক্ষমা চাইলেন দেব
মেয়েকে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে তার মেয়ের সঙ্গে রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। তবুও যেন মেয়েই তার সব। মেয়ে দিশানী চক্রবর্তীকে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন তিনি।  জানা গেছে, রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। হঠাৎ কলকাতার এক ডাস্টবিনের পাশে একটি কন্যাশিশু পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তিনি। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন তারা। পরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দায়িত্বে  রাখা হয় শিশুটিকে। সেখান থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন মিঠুন ও তার স্ত্রী যোগিতা। নাম দেন দিশানী। পরবর্তীকে আইনি কাগজপত্রে সই করে দিশানীকে দত্তক নেন তারা। সে থেকে চক্রবর্তী পরিবারের চোখের মণি দিশানী। সকলেই প্রচণ্ড ভালোবাসেন এবং আগলে রাখেন তাকে। বিশেষ করে মিঠুন। এবার ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ রিয়ালিটি শো-তে মেয়েকে নিয়ে কথা বলতে গিয়েই অঝোরে কেঁদে ফেললেন অভিনেতা।  অনুষ্ঠানে কনকাঞ্জলি প্রসঙ্গ নিয়ে নাচ প্রদর্শন করেন এক প্রতিযোগী। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, বিয়ের পর হাতে চাল নিয়ে তা মায়ের কাছে দিয়ে মেয়েরা বাবা-মায়ের ‘ঋণ শোধ’করে থাকেন হিন্দু নারীরা। বহুদিন ধরে চলে আসছে এ প্রথা। মূলত ওই নাচের মধ্যে দিয়ে বিয়ের সময় মেয়ের কষ্ট, বাবা মায়ের অসহায়ত্বই ফুটে ওঠে। এরপরেই শোর অন্যতম বিচারক শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় অভিনেতাকে প্রশ্ন করেন, এমজি তোমার সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক কেমন?’ আর সে কথা বলতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন মিঠুন।  মেয়েকে বিয়ে দেওয়া ও বিদায়ের কথা মনে করে অভিনেতা বলেন, যেদিন হবে সেদিন আমি আর আমার স্ত্রী দুজনেই মারা যাব। এরপরেই চোখ দিয়ে জল গড়াতে থাকে মিঠুনের।  এদিকে ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই নানান মন্তব্য করেছেন অভিনেতার ভক্তরা। একজন লিখেছেন, যত বড়ই সুপারস্টার হন না কেন? দিনশেষে তিনিও তো একজন বাবাই।  প্রসঙ্গত, মিঠুনকন্যা দিশানী ভীষণ সুন্দরী। ইনস্টাগ্রামে প্রায় এক লাখ অনুরাগী রয়েছে তার। বর্তমানে মার্কিন মুলুকে পড়াশোনা করছেন এই স্টারকিড। ঘনিষ্ঠ সূত্রমতে, বাবা-ভাইদের মতো শোবিজ দুনিয়াতেই নাম লেখাতে চান দিশানী। আরটিভি/এইচএসকে/এআর     
‘কাকুর বয়সী লোক কোমরে হাত দেয়’
ওপার বাংলার ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় মুখ সৌমিতৃষা কুণ্ডু। জি বাংলার মিঠাই ধারাবাহিকের সুবাদে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন এই অভিনেত্রী। তাকে নিয়ে আলোচনায় মেতে থাকেন নেটিজেনরা। ক্যারিয়ারে একের পর এক মাইলফলক ছুঁয়ে চলেছেন তিনি। দেবের হাত ধরে গত বছরের শেষে বড় পর্দায় পা দিয়েছিলেন। এবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছেন। হইচই-তেও শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে সৌমিতৃষার অভিষেক সিরিজ কালরাত্রি।  বড় পর্দায় নাম লিখাতে না লিখাতেই এই অভিনেত্রী এখন নাকি বডিগার্ড সাথে নিয়ে ঘোরেন। তা নিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়েছেন। পুরোটাই ‘লোক দেখনো’এমন বিদ্রুপ করছেন নেটিজেনরা।  বিষয়টি নিয়ে এবার  পাল্টা জবাব দিলেন সৌমিতৃষা। জানালেন, নিজের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখতে বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ বহুবার অপ্রীতিকর ঘটনার মুখে পড়েছেন তিনি।  এ প্রসঙ্গে গনমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌমিতৃষা বলেন, পর্দায় একে অপরকে ছুঁই, তাই যে খুশি এসে যেন ছুঁতে পারে। আমি যখনই মেয়েদের সঙ্গে ছবি তুলি তাদের জড়িয়ে ধরি তখন এমন হয়েছে, কিছু ছেলে বা কাকুর বয়সি লোক এসে কোমরে হাত দেয়। সৌমিতৃষা স্পষ্ট বলেন, আমি তো একটা মেয়ে, আমাকে যদি অন্যরকমভাবে কেউ ছুঁতে চায় আমি বাধা দিতে পারব না। আমার সঙ্গে যে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন তারা পারবেন। আর তারা সেটাই করেন। সে কারণেই বডিগার্ড রেখেছি। আরটিভি /এএ 
আইসিইউতে নির্মাতা সুভাষ ঘাই
‘পরদেশ’, ‘তাল’  খ্যাত নির্মাতা সুভাষ ঘাই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মুম্বাইয়ের লীলাবতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৭৯ বছর বয়সী এ নির্মাতাকে। পরিচালকের শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা রয়েছে। তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল। এরপর দ্রুতই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি আইসিউতে রয়েছেন।   হাসপাতালে প্রবীণ পরিচালকের খেয়াল রাখছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টিম। এই টিমের মধ্যে নিউরোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট ও পালমোনোলজিস্ট রয়েছে বলেই খবর।  জানা গেছে,  কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সুভাষ ঘাই। গত বুধবার থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর)  রাতে খবরটি প্রকাশ্যে আসে। এখন প্রবীণ পরিচালকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে আরও কিছুটা সময় চিকিৎসকরা দেখতে চান। হয়তো এক বা দুই দিনের মধ্যে পরিচালকে জেনারেল বেডে দেওয়া হতে পারে। নাগপুরে জন্ম সুভাষ ঘাইয়ের। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘কালীচরণ’। তার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘কর্জ’, ‘বিধাতা’, ‘হিরো’, ‘মেরি জং’, ‘রাম লক্ষ্মণ’, ‘সওদাগর’, ‘খলনায়ক’ থেকে ‘ত্রিমূর্তি’, ‘পরদেশ’, ‘তাল’, ‘ইয়াদেঁ’র মতো সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। পরিচালক হিসেবে তার শেষ সিনেমা ‘কাঁচি’। সিনেমাটি বক্স অফিসে সাফল্য পায়নি।  আরটিভি /এএ 
কলকাতার রাস্তায় হেনস্তার শিকার গায়ক, অতঃপর…
নিজের শহরেই হেনস্তার শিকার হলেন পশ্চিমবঙ্গের ভূমি ব্যান্ড খ্যাত গায়ক সৌমিত্র রায়। মূলত কলকাতার ঐতিহ্যবাহী হলুদ ট্যাক্সি চালকের হাতে হেনস্তার শিকার হন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন সৌমিত্র।  সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তিনি।  পাঠকদের জন্য সৌমিত্রের পোস্টটি তুলে ধরা হলো— ‘গত ৩ ডিসেম্বর এক অবাঙালি ট্যাক্সিচালক আমাকে হুমকি দিয়ে হলুদ ট্যাক্সি থেকে নামিয়ে দেয় বড়বাজারের ত্রিপল পট্টির ব্রাবোন রোডে। সঙ্গে অকথ্য গালিগালাজ। যদিও অন-ডিউটি ট্র্যাফিক পুলিশ অফিসার ওই ড্রাইভারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমাকে যাদবপুর পৌঁছে দেওয়ার জন্য। পুলিশের সাহায্য নিয়েই ট্যাক্সিতে উঠেছিলাম। কিন্তু চালক কিছুদূর গিয়ে আমাকে নেমে যেতে বলেন। অবাঙালি চালকের ব্যবহার খুবই খারাপ ছিল। এর আগেও একাধিকবার ট্যাক্সিতে যাতায়াত করেছি, কিন্তু এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়নি।’ এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমকে সৌমিত্র বলেন, আমি চালকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কেন কী সমস্যা? তুমি আমাকে গাড়িতে তুলে এভাবে নামিয়ে দিচ্ছ কেন? জবাবে ট্যাক্সিচালক বলেন, ‘না আমি যাব না।’ আবার কখনও বলছে যা করার করে নিন। আমি অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। বললাম, আমি তো তোমাকে টাকা দেব। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ভীষণ অ্যাগ্রেসিভ আচরণ ছিল ওই চালকের।  আরটিভি/এইচএসকে/এআর
সোহমের ছবি শেয়ার দিয়ে সুখবর দিলেন পরীমণি
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের সেনসেশন পরীমণি। স্বামী রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়েই এখন পরীমণির সংসার। কাজের পাশাপাশি বেশ সরব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। প্রায় সময়ই নানান ভিডিও, ছবি কিংবা পোস্ট দিয়ে নেটিজেনদের মাতিয়ে রাখেন পরীমণি। এবার জানালেন তার নতুন কাজের খবর। নতুন বছর মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত প্রথম কলকাতার ছবি ‘ফেলুবক্সী’। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে পরীমণি সোহমের ছবি দিয়ে তৈরি ‘ফেলুবক্সী’ সিনেমার একটি পোস্টার শেয়ার করেন। তাতে তিনি লিখেছেন, আগামী ১৭ জানুয়ারি ‘ফেলুবক্সী’ মুক্তি পাবে।  সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন দেবরাজ সিনহা। ‘ফেলুবক্সী’ লাবণ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ সিনেমায় পরীমণির বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। আরও আছেন কলকাতার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। ছবিতে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, মনে হয়েছে এই সিনেমার লাবণ্য চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পারব। সে কারণে চরিত্রটি করেছি। কতটা ভালো পেরেছি, সেটা মুক্তির পর দর্শকেরাই বলতে পারবেন। থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন শতাফ ফিগার, সৃজিত আয়ুষ্মান সরকার। সংগীত পরিচালনা করেছেন অদিতি বসু ও অম্লান চক্রবর্তী।  আরটিভি/এএ-টি 
বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করতে বাধ্য হলেন কলকাতার গায়িকা
মাঝে মধ্যেই নিজের গান নিয়ে খবরের শিরোনাম হন টালিউড গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী। কলকাতার আরজি কর কাণ্ডের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ ট্রেন্ডিং ছিলেন তিনি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ভিন্ন কারণে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের শিকার হলেন লগ্নজিতা।  সম্প্রতি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুকে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন তিনি। আর এতেই বাধে বিপত্তি। রীতিমতো নেটেজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন লগ্নজিতা। তবে সেই সমালোচনার কড়া জবাবও দিয়েছেন গায়িকা। শনিবার (৩০ নভেম্বর) ফেসবুক পেজে লগ্নজিতা লেখেন, ভেবেছিলাম এই হিন্দু মুসলিমের ব্যাপারটা আমরা পেরিয়ে এসেছি অনেক দিন, বছর, কাল আগেই। কোনোদিন ভাবিনি ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে, এই বিষয়টা নিয়ে একটা পোস্ট করতে হবে। এটা অতীত হয়ে গেছে, এমনটাই আমার ভাবনা ও চিন্তা ছিল। ফেসবুকে এমন পোস্ট করতেই গায়িকাকে নিয়ে নেটিজেনদের চর্চা তুঙ্গে। অনেকেই লেখেন লগ্নজিতা কিছুই জানেন না এই সম্পর্কে। আবার অনেকে লেখেন, গায়িকাকে তো বাংলাদেশের শ্রোতা ধরে রাখতে হবে।  এদিকে চুপ থাকেননি লগ্নজিতাও। পাল্টা জবাব দিয়ে তিনিও লেখেন, অনেকে বলছেন, এই যে আমার হিন্দু মুসলিম নিয়ে ভাগ করতে ইচ্ছে করে না, করছে না। এটার কারণ নাকি সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসন, আমি নাকি কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতে কী হয় কিছুই জানি না, আমি নাকি খুবই অশিক্ষিত, আমার আরও শিক্ষিত হওয়া উচিত ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি।  গায়িকা আরও লেখেন, সে তো বুঝলাম। কিন্তু আমি তো হিন্দু-মুসলিম যে ভাই-ভাই, এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, তাদের থেকে শিখেছিলাম। তো রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলও কি সিপিএম ছিলেন? জাস্ট জানতে চাইছি।  ট্রোল প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, শুনুন, থ্রেট শুনে আজকাল বিরক্ত লাগে। যেকোনো জিনিস একঘেয়ে হয়ে গেলে যা হয় আরকি। আমি তো আপনার অফিস যাওয়া নিয়ে কিছু বলছি না। আমার গান গাওয়া নিয়ে আপনার এত সমস্যা কোথায়?  এখানেই থেমে থাকেননি লগ্নজিতা। মহাত্মা গান্ধীর মন্তব্যও শেয়ার করে লগ্নজিতা লেখেন, তাহলে এখন থেকে আমি কংগ্রেস হয়ে গেলাম (যেভাবে আপনারা ট্রেন্ড ঠিক করে দিচ্ছেন আরকি)। রোববার (১ ডিসেম্বর) এই পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই গায়িকা তার পুরোনো সব পোস্ট ডিলিট করে দিয়ে আরও একটি পোস্ট করেন।  যেখানে গায়িকা লেখেন, আমার পরিবার (আমার ব্যক্তিগত জীবন) এবং আমার ব্যান্ড (আমার পেশাদার জীবন)-এর কাতর অনুরোধ, তাদের যেন আর অসম্মান না হয়, আমি আমার সমস্ত পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হলাম। সমালোচনাকারীরা, আপনার জিতে গেলেন। আনন্দ করুন। আরটিভি/এইচএসকে/এস 
পূজার্চনার মধ্য দিয়ে জন্মদিন উদযাপন শুভশ্রীকন্যার
টালিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি দম্পতি রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। তাদের সংসারে ইউভান ও ইয়ালিনি নামে দুই সন্তান রয়েছে। গেল বছরের ৩০ নভেম্বর রাজ-শুভশ্রীর কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে কন্যাসন্তান। দেখতে দেখতে এক বছর পার করল ইয়ালিনি।   শনিবার (৩০ নভেম্বর) পূজার্চনার মধ্য দিয়ে জন্মদিন উদযাপন করলেন রাজ-শুভশ্রী। এ দিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মেয়ের জন্মদিনের নানান মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন অভিনেত্রী।   ইয়ালিনির জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয় রাজ-শুভশ্রীর বাড়িতে। আর সেখানেই হরে কৃষ্ণ গানে মন খুলে নাচতে দেখা গেল মা শুভশ্রীকে। মূলত, জগন্নাথ দেবের পরম ভক্ত রাজ। যেকোনো শুভ কাজ পুরীতে জগন্নাথ দেবের আশীর্বাদ নিয়ে শুরু করেন তিনি।  নির্মাতার বাড়িতেও প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। রথের দিনে নিষ্ঠাভরে পূজা করা হয় তাদের। ইয়ালিনির ১ বছরের জন্মদিন কোনো শুভ অনুষ্ঠানের চেয়ে কম কিছু নয়।  যে কারণে দিনটিকে ঘিরে ইসকন থেকে সাধুরা এসে কুলদেবতার পুষ্প অভিষেক করেন। ফল ও মিষ্টিসহ ২১ রকমের ব্যঞ্জনে সাজানো হয় ভোগের থালা। ইসকনের সাধুরাই যজ্ঞ করেন সেখানে। এদিন পূজার আয়োজনে বাড়ির সবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন মেয়ের মা শুভশ্রী। মেয়েকে কোলে নিয়ে আরতিও করেন এই অভিনেত্রী।  এরপর সন্ধ্যায় পরিবারের সবার সঙ্গে কেক কাটে ছোট্ট ইয়ালিনি। বোনের এক বছরের জন্মদিনে বেশ খোশ মেজাজে ছিল বড় ভাই ইউভানও। পরিবারের খুশির এই মুহূর্তগুলোকে অভিনেত্রীর পাশাপাশি রাজও তুলে ধরেন নেটমাধ্যমে। আরটিভি/এইচএসকে-টি