• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
এটা অন্য জায়গায় হলে চুলের মুঠি ধরে বের করে দিত: ইমন
দেবকে ‘আনফলো’ করলেন রুক্মিণী, তবে কি সম্পর্কে চিড়
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় তারকা জুটি দেব ও রুক্মিণী মৈত্র। তাদের প্রেম-ভালোবাসার কথা সবারই জানা। সম্পর্কের শুরু থেকেই কোনো রাখ-ঢাক করতে দেখা যায়নি এই জুটিকে। এমনকি হ্যাপি প্রেমিকযুগলের তকমাও পেয়েছেন তারা। তবে হঠাৎ কি হলো দেব-রুক্মিণীর। আর কেনই বা ভালোবাসার মানুষকে ‘আনফলো’করলেন রুক্মিণী।    জানা গেছে, দেবকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসরণ করা বন্ধ করে দিয়েছেন রুক্মিণী। এরপর থেকেই মন খারাপ তাদের ভক্তদের‌। তবে টালিউডের অনেকেই দাবি করছেন, দেব-রুক্মিণীর এই বিচ্ছেদও নাকি সুপরিকল্পিত। ঘটনার সূত্রপাত একটি ভিডিও থেকে। ‘খাদান’র প্রচারে বেরিয়েছিলেন দেব, ইধিকা পাল, যিশু সেনগুপ্তসহ সিনেমার পুরো টিম। আর সেখানেই নাকি দেব রসিকতা করে ক্যামেরার সামনে জানান, তিনি ‘সিঙ্গেল”। এই ভিডিও থেকেই শুরু দেব-রুক্মিণীর মনোমালিন্য।  মূলত এরপরেই আচমকা দেবকে ‘আনফলো’করেন রুক্মিণী। অথচ ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দুজনেই। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সৌজন্যে রুক্মিণীর দেওয়া উত্তরীয় দেবের গলায় পৌঁছেছে।  সত্যিকারের মান-অভিমান থাকলে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ার কথা দেব-রুক্মিণীর। কিন্তু সে দিন কোনো অস্বস্তি বা বিস্ময় তো ছিলই না বরং হাসিমুখেই উপভোগ করেন অনুষ্ঠানটি।  সত্যিই যদি কিছু সমস্যা থেকে থাকে, তা হলে রুক্মিণীকে অন্তত সে দিনের অনুষ্ঠানে এতটা হাস্যোজ্জ্বল দেখা যেত না। যদিও পরে অভিনেত্রীর সহকারী বলেন, দেবকে ‘আনফলো’করার ঘটনাটি নাকি ভুলবশত ঘটে গিয়েছে।   আরটিভি/এইচএসকে 
যে কারণে ক্ষমা চাইলেন দেব
মেয়েকে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী
‘কাকুর বয়সী লোক কোমরে হাত দেয়’
আইসিইউতে নির্মাতা সুভাষ ঘাই
কলকাতার রাস্তায় হেনস্তার শিকার গায়ক, অতঃপর…
নিজের শহরেই হেনস্তার শিকার হলেন পশ্চিমবঙ্গের ভূমি ব্যান্ড খ্যাত গায়ক সৌমিত্র রায়। মূলত কলকাতার ঐতিহ্যবাহী হলুদ ট্যাক্সি চালকের হাতে হেনস্তার শিকার হন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন সৌমিত্র।  সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তিনি।  পাঠকদের জন্য সৌমিত্রের পোস্টটি তুলে ধরা হলো— ‘গত ৩ ডিসেম্বর এক অবাঙালি ট্যাক্সিচালক আমাকে হুমকি দিয়ে হলুদ ট্যাক্সি থেকে নামিয়ে দেয় বড়বাজারের ত্রিপল পট্টির ব্রাবোন রোডে। সঙ্গে অকথ্য গালিগালাজ। যদিও অন-ডিউটি ট্র্যাফিক পুলিশ অফিসার ওই ড্রাইভারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমাকে যাদবপুর পৌঁছে দেওয়ার জন্য। পুলিশের সাহায্য নিয়েই ট্যাক্সিতে উঠেছিলাম। কিন্তু চালক কিছুদূর গিয়ে আমাকে নেমে যেতে বলেন। অবাঙালি চালকের ব্যবহার খুবই খারাপ ছিল। এর আগেও একাধিকবার ট্যাক্সিতে যাতায়াত করেছি, কিন্তু এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়নি।’ এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমকে সৌমিত্র বলেন, আমি চালকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কেন কী সমস্যা? তুমি আমাকে গাড়িতে তুলে এভাবে নামিয়ে দিচ্ছ কেন? জবাবে ট্যাক্সিচালক বলেন, ‘না আমি যাব না।’ আবার কখনও বলছে যা করার করে নিন। আমি অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। বললাম, আমি তো তোমাকে টাকা দেব। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ভীষণ অ্যাগ্রেসিভ আচরণ ছিল ওই চালকের।  আরটিভি/এইচএসকে/এআর
সোহমের ছবি শেয়ার দিয়ে সুখবর দিলেন পরীমণি
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের সেনসেশন পরীমণি। স্বামী রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়েই এখন পরীমণির সংসার। কাজের পাশাপাশি বেশ সরব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। প্রায় সময়ই নানান ভিডিও, ছবি কিংবা পোস্ট দিয়ে নেটিজেনদের মাতিয়ে রাখেন পরীমণি। এবার জানালেন তার নতুন কাজের খবর। নতুন বছর মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত প্রথম কলকাতার ছবি ‘ফেলুবক্সী’। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে পরীমণি সোহমের ছবি দিয়ে তৈরি ‘ফেলুবক্সী’ সিনেমার একটি পোস্টার শেয়ার করেন। তাতে তিনি লিখেছেন, আগামী ১৭ জানুয়ারি ‘ফেলুবক্সী’ মুক্তি পাবে।  সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন দেবরাজ সিনহা। ‘ফেলুবক্সী’ লাবণ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ সিনেমায় পরীমণির বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। আরও আছেন কলকাতার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। ছবিতে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, মনে হয়েছে এই সিনেমার লাবণ্য চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পারব। সে কারণে চরিত্রটি করেছি। কতটা ভালো পেরেছি, সেটা মুক্তির পর দর্শকেরাই বলতে পারবেন। থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন শতাফ ফিগার, সৃজিত আয়ুষ্মান সরকার। সংগীত পরিচালনা করেছেন অদিতি বসু ও অম্লান চক্রবর্তী।  আরটিভি/এএ-টি 
বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করতে বাধ্য হলেন কলকাতার গায়িকা
মাঝে মধ্যেই নিজের গান নিয়ে খবরের শিরোনাম হন টালিউড গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী। কলকাতার আরজি কর কাণ্ডের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ ট্রেন্ডিং ছিলেন তিনি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ভিন্ন কারণে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের শিকার হলেন লগ্নজিতা।  সম্প্রতি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুকে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন তিনি। আর এতেই বাধে বিপত্তি। রীতিমতো নেটেজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন লগ্নজিতা। তবে সেই সমালোচনার কড়া জবাবও দিয়েছেন গায়িকা। শনিবার (৩০ নভেম্বর) ফেসবুক পেজে লগ্নজিতা লেখেন, ভেবেছিলাম এই হিন্দু মুসলিমের ব্যাপারটা আমরা পেরিয়ে এসেছি অনেক দিন, বছর, কাল আগেই। কোনোদিন ভাবিনি ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে, এই বিষয়টা নিয়ে একটা পোস্ট করতে হবে। এটা অতীত হয়ে গেছে, এমনটাই আমার ভাবনা ও চিন্তা ছিল। ফেসবুকে এমন পোস্ট করতেই গায়িকাকে নিয়ে নেটিজেনদের চর্চা তুঙ্গে। অনেকেই লেখেন লগ্নজিতা কিছুই জানেন না এই সম্পর্কে। আবার অনেকে লেখেন, গায়িকাকে তো বাংলাদেশের শ্রোতা ধরে রাখতে হবে।  এদিকে চুপ থাকেননি লগ্নজিতাও। পাল্টা জবাব দিয়ে তিনিও লেখেন, অনেকে বলছেন, এই যে আমার হিন্দু মুসলিম নিয়ে ভাগ করতে ইচ্ছে করে না, করছে না। এটার কারণ নাকি সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসন, আমি নাকি কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতে কী হয় কিছুই জানি না, আমি নাকি খুবই অশিক্ষিত, আমার আরও শিক্ষিত হওয়া উচিত ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি।  গায়িকা আরও লেখেন, সে তো বুঝলাম। কিন্তু আমি তো হিন্দু-মুসলিম যে ভাই-ভাই, এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, তাদের থেকে শিখেছিলাম। তো রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলও কি সিপিএম ছিলেন? জাস্ট জানতে চাইছি।  ট্রোল প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, শুনুন, থ্রেট শুনে আজকাল বিরক্ত লাগে। যেকোনো জিনিস একঘেয়ে হয়ে গেলে যা হয় আরকি। আমি তো আপনার অফিস যাওয়া নিয়ে কিছু বলছি না। আমার গান গাওয়া নিয়ে আপনার এত সমস্যা কোথায়?  এখানেই থেমে থাকেননি লগ্নজিতা। মহাত্মা গান্ধীর মন্তব্যও শেয়ার করে লগ্নজিতা লেখেন, তাহলে এখন থেকে আমি কংগ্রেস হয়ে গেলাম (যেভাবে আপনারা ট্রেন্ড ঠিক করে দিচ্ছেন আরকি)। রোববার (১ ডিসেম্বর) এই পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই গায়িকা তার পুরোনো সব পোস্ট ডিলিট করে দিয়ে আরও একটি পোস্ট করেন।  যেখানে গায়িকা লেখেন, আমার পরিবার (আমার ব্যক্তিগত জীবন) এবং আমার ব্যান্ড (আমার পেশাদার জীবন)-এর কাতর অনুরোধ, তাদের যেন আর অসম্মান না হয়, আমি আমার সমস্ত পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হলাম। সমালোচনাকারীরা, আপনার জিতে গেলেন। আনন্দ করুন। আরটিভি/এইচএসকে/এস 
পূজার্চনার মধ্য দিয়ে জন্মদিন উদযাপন শুভশ্রীকন্যার
টালিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি দম্পতি রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। তাদের সংসারে ইউভান ও ইয়ালিনি নামে দুই সন্তান রয়েছে। গেল বছরের ৩০ নভেম্বর রাজ-শুভশ্রীর কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে কন্যাসন্তান। দেখতে দেখতে এক বছর পার করল ইয়ালিনি।   শনিবার (৩০ নভেম্বর) পূজার্চনার মধ্য দিয়ে জন্মদিন উদযাপন করলেন রাজ-শুভশ্রী। এ দিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মেয়ের জন্মদিনের নানান মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন অভিনেত্রী।   ইয়ালিনির জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয় রাজ-শুভশ্রীর বাড়িতে। আর সেখানেই হরে কৃষ্ণ গানে মন খুলে নাচতে দেখা গেল মা শুভশ্রীকে। মূলত, জগন্নাথ দেবের পরম ভক্ত রাজ। যেকোনো শুভ কাজ পুরীতে জগন্নাথ দেবের আশীর্বাদ নিয়ে শুরু করেন তিনি।  নির্মাতার বাড়িতেও প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। রথের দিনে নিষ্ঠাভরে পূজা করা হয় তাদের। ইয়ালিনির ১ বছরের জন্মদিন কোনো শুভ অনুষ্ঠানের চেয়ে কম কিছু নয়।  যে কারণে দিনটিকে ঘিরে ইসকন থেকে সাধুরা এসে কুলদেবতার পুষ্প অভিষেক করেন। ফল ও মিষ্টিসহ ২১ রকমের ব্যঞ্জনে সাজানো হয় ভোগের থালা। ইসকনের সাধুরাই যজ্ঞ করেন সেখানে। এদিন পূজার আয়োজনে বাড়ির সবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন মেয়ের মা শুভশ্রী। মেয়েকে কোলে নিয়ে আরতিও করেন এই অভিনেত্রী।  এরপর সন্ধ্যায় পরিবারের সবার সঙ্গে কেক কাটে ছোট্ট ইয়ালিনি। বোনের এক বছরের জন্মদিনে বেশ খোশ মেজাজে ছিল বড় ভাই ইউভানও। পরিবারের খুশির এই মুহূর্তগুলোকে অভিনেত্রীর পাশাপাশি রাজও তুলে ধরেন নেটমাধ্যমে। আরটিভি/এইচএসকে-টি   
সরকারের বিরোধিতা করায় আমাকে কাজ না দেওয়ার নির্দেশ: শ্রীলেখা
কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় রাজপথে নেমেছিলেন টালিউডের অনেক তারকাই। তাদের মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। যারা সে সময় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন মমতা সরকারের সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটা স্পষ্ট। এ কারণে কাজের জায়গায় বিপত্তিতে পড়েছেন অনেক তারকাই। সে তালিকায় রয়েছেন শ্রীলেখাও।   এবার বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মুখ খলেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন,  প্রায়ই সিনেমা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এমনকি রিয়েলিটি শো থেকেও বাদ পড়ে যাচ্ছি। বিজ্ঞাপনী সিনেমার জন্য নির্বাচিত হয়েও শেষে আর কাজ হলো না। অভিযোগের তালিকা অনেক লম্বা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু জানিয়েছি। অনেক কিছুই আবার জানাইনি। কারণ জানিয়ে লাভ নেই, তাই। তবুও সরব আমি।  শ্রীলেখা বলেন, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে অনেকের অনেক বক্তব্য। প্রায়ই কেউ কিছু না কিছু বলছেন। আমি একটু বেশিই জোরালো প্রতিবাদ করেছি। অবশেষে তার ফলাফল পেলাম। দুইটা বিজ্ঞাপনের কাজ হাতছাড়া হয়ে গেল। ক্লায়েন্ট যোগাযোগ করেছিলেন এজেন্সির সঙ্গে। এজেন্সির প্রতিনিধি আমাকে পছন্দ করেন। চেয়েছিলেন, কাজটা আমিই করি। কিন্তু তারও তো কোথাও বাধা রয়েছে।  আমাকে বললেন, দিদি, আরজি কর-কাণ্ডে তোমার বক্তব্য সরকারের বিরুদ্ধে গেছে। তুমি তাদের বিরোধিতা করায় তোমাকে দিয়ে কাজ না করানোর নির্দেশ এসেছে। দুটো কাজ থেকেই ভালো অঙ্কের পারিশ্রমিক পেতাম আমি। আক্ষেপের সুরে অভিনেত্রী বলেন, আমি আর এ ধরনের ঘটনায় বিচলিত হই না। কখনোই মধু মাখিয়ে কথা বলতে পারি না। বাকিরা যতটা না মনের গভীর থেকে মৃত চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন, আমার চাওয়া আরও গভীরে ছিল।  তিনি আরও বলেন, আমার বক্তব্য ছিল পুলিশ, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বাংলায় এই দুই পদেই মুখ্যমন্ত্রী আসীন। তাহলে কাকে বলব? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে হবে। সেটাই করেছি আমি। ভয় না পাওয়ার আরও একটা কারণ, আমার মাথার উপরে কোনো দায় নেই। ঋণের বোঝা নেই। প্রচুর চাহিদা নেই। দামি গাড়ি-বাড়ি, দামি পোশাকের বিলাসিতা নেই। ফলে, প্রচুর অর্থের প্রয়োজনও নেই। শ্রীলেখার ভাষ্য, যতটা সম্ভব সৎ থেকে কাজ করা যায় ততটাই সৎ আমি। একমাত্র দেওয়ালে পিঠ ঠেকে না গেলে মিথ্যা কথা বলি না। বললেও এমন মিথ্যে বলি না যা অপরের ক্ষতি করবে। বরাবর নিজের কাজ নিজেই জোগাড় করেছি। কোনো দিন তথাকথিত ‘সুগার ড্যাডি’ছিল না। জীবনে ভালোবাসার মানুষজনেরও বড়ই অভাব। সব মিলিয়ে নিজেই নিজের হর্তা-কর্তা-বিধাতা। ফলে, যাই ঘটুক ঠিক চালিয়ে নেব। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৯ আগস্ট গভীর রাতে আরজি কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসক দায়িত্বরত অবস্থায় ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন। এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে রাজ্যব্যাপী শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়, যা এখনও চলছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাস্তায় নেমে জোরালো প্রতিবাদ করেন শ্রীলেখা। মূলত সে কারণেই সরকারের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন এই অভিনেত্রী।  আরটিভি/এইচএসকে 
না জানিয়ে ছবি ব্যবহার, আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা
কাজের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন। মাঝে মধ্যেই নানান সাজপোশাকে নিজের ছবি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন তিনি। গেল অক্টোবরে কালো রঙের কাঞ্চিপুরম শাড়ি পরা কয়েকটি ছবি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছিলেন তিনি। আর এতেই ঘটে বিপত্তি।  গত ২৫ নভেম্বর তিনি জানতে পারেন, তার ছবি ব্যবহার করছেন কলকাতার জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স সংস্থার ওয়েবসাইটে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ঐন্দ্রিলার পরা ওই কাঞ্চিপুরম শাড়িটি তাদের সংস্থার। এরপরই বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন অভিনেত্রী।   এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারে ঐন্দ্রিলা বলেন, আমার এক পরিচিত শাড়ি কিনবেন বলে অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। তখনই ওই জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থার ওয়েবসাইটে আমার ছবি দেখেন। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানতে চান, আমি যে শাড়িটি পরে সেটি ভালো কি না?  অভিনেত্রীর ভাষ্য, প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেননি তিনি। পরিচিত ব্যক্তি ওই ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট পাঠালে বুঝতে পারেন, অনুমতি না নিয়ে ছবি ব্যবহার করেছে তার। এমনকি শাড়িটি নিজেদের বলেও দাবি করেছেন তারা। তিনি আরও বলেন, আমি পরেছিলাম কাঞ্চিপুরম। অথচ ওই সংস্থা শাড়িটিকে বেনারসি বলে চালাচ্ছে। তাদের দাবি, খুব কম দামে তারা এত ভালো শাড়ি বিক্রি করছে! নামী ই-কমার্স সংস্থা বলে ক্রেতারাও চোখ বুজে বিশ্বাস করছেন। এটা কী করে মেনে নেব? ঐন্দ্রিলা বলেন, প্রায়ই নানান ফোন পান তিনি। কথা বলে বুঝতে পারেন, প্রত্যেকটি ফোন প্রতারণার। শাড়ি বিক্রেতা সংস্থার সাইটে গিয়ে দেখেছেন, বলিউডের একাধিক তারকা অভিনেত্রীর ছবি একইভাবে ব্যবহার করেছেন তারা। যা প্রতারণার শামিল। তিনিও একইভাবে ব্যবহৃত হচ্ছেন, জানার পর এটা হতে দিতে পারেন না তিনি। মূলত এ কারণেই আইনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি। আরটিভি/এইচএসকে/এস  
সংসার চালাতে ফুটপাতে খাবারের দোকান দিলেন নির্মাতা
কাজের অভাবে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় নির্মাতা অয়ন সেনগুপ্ত এখন ফুটপাতের খাবার ব্যবসায়ী। ‘কে আপন কে পর’, ‘কী করে বলব তোমায়’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নির্মাণ করেছেন তিনি। অথচ গেল দুই বছর ধরে তার হাতে নাকি কোনো কাজ নেই। অনেক চেষ্টা করেও কাজ না পেয়ে সংসার চালাতে স্ত্রী-পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে ফুটপাতে খাবারের দোকান দিয়েছেন। তবে খাবারের দোকান খুললেও পরিচালনা, অভিনয়, নাট্যদল কিছুই ছাড়ছেন না তিনি। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে এমনটাই জানালেন এই নির্মাতা। ফেসবুক লাইভে অয়ন বলেন, ক্রাইসিসের মধ্যে ছিলাম। সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্যই নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে বারবার একটা কথাই বলব, আমি ইন্ডাস্ট্রি ছাড়িনি। পরিচালনা বা অভিনয়ের কাজ ছাড়তে চাই না। ছাড়ব না, আমার স্ত্রীও এই নতুন উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সিরিয়ালের কাজ অবশ্যই করব। এটা আমার আয়ের আরেকটি উৎস। আমি যে ক্রাইসিসটা ফেস করেছি। সেটা আর ফেস করতে চাইছি না। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমকে অয়ন বলেন, আমার কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, কিন্তু গত দুই বছর ধরে দুটো বিষয় দেখেছি। যারা নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন, তারাই করছেন। আমার ভুলত্রুটি ঠিক কোথায়? কেউ বলতে পারছেন না। কিন্তু কাজও দিচ্ছেন না। আরটিভি/এইচএসকে/এস