• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় সিএনজির ২ যাত্রী নিহত 
ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, শিক্ষক কারাগারে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট শেয়ার করার অভিযোগে করা মামলায় ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ জিকেপি ডিগ্রি কলেজের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষকে (৪৮) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) শম্ভুগঞ্জ বাইতুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মো. কাইয়ূম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেপ্তার করে।    পুলিশ জানায়, শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষ মুক্তাগাছা উপজেলার মহিষদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সতেন্দ্র ঘোষের ছেলে। তবে বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ নগরীর বাঘমারা এলাকায় বসবাস করতেন।  মামলার বাদী জানান, সম্প্রতি সুনীল চন্দ্র ঘোষ তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি লেখা শেয়ার করেন। পরবর্তীতে এই পোস্টের কমেন্টসে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটূক্তিমূলক কমেন্টস করেন। এরপর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় শম্ভুগঞ্জ এলাকার মুসলিমদের মধ্যে মুহূর্তেই চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।     জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহম্মেদ ভূঞার নির্দেশে সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ফেসবুকে আপলোডকৃত পোস্টের স্ক্রিনশট জব্দ করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট মামলায় সুনীল চন্দ্র ঘোষকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।  
বিয়ের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির
ময়মনসিংহে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জনের মৃত্যু
বৈশাখের সকালে ময়মনসিংহে ঘন কুয়াশা
নান্দাইলে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
ময়মনসিংহে ৩ উপজেলায় বিএনপির ৮ প্রার্থী  
আগামী ৮ মে সারাদেশে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে দেড় শ’ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার তিনটি (হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর) উপজেলা পরিষদ রয়েছে। চলমান এই তিনটি উপজেলার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৮ জন নেতা প্রার্থী হয়েছেন। এ নিয়ে দলটির ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।   স্থানীয় বিএনপি সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের অধীনে চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়ে বিএনপি দলীয়ভাবে কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেও ময়মনসিংহের তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী হয়েছে হালুয়াঘাট উপজেলায়। এতে অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পাঁচজন নেতা মনোনয়ন দাখিল করে প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচনের মাঠে সরব রয়েছেন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ ও ঢাকা আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত তারেক, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উত্তর জেলা মহিলাদলের সহসভাপতি মনোয়ারা বেগম ময়না, সহকুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক সুমী বেগম এবং সাবেক ছাত্রদলনেতা এ বি এম কাজল সরকার। একই সঙ্গে ধোবাউড়া উপজেলায় মনোনয়ন দাখিল করেছেন দুজন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শামছুর রশীদ মজনু এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খান প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়াও ফুলপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান হোসেন পল্লব।   তবে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে দলের সাংগঠনিক কাঠামো না থাকায় ভেঙে পড়েছে দলীয় শৃঙ্খলা। এতে দল এবং তৃণমূল চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রার্থিতার বিষয়ে জানতে চাইলে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, আমার দল বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না কিন্তু আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের মাঠে আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকব। এতে দলের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এর আগেও আমি বিগত পৌর নির্বাচনে দলের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছিলাম। এ প্রসঙ্গে ধোবাউড়া উপজেলার প্রার্থী শামছুর রশীদ মজনু বলেন, কেউ বলছে বিএনপি নির্বাচনে যাবে, কেউ বলছে যাবে না আবার কেউ বলছে এটা দলের কৌশল। কিন্তু আমি দলের ধারধারি না। দল করে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, জেল খেটেছি, মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু বর্তমানে দলের মধ্যে আমার মতো অনেকের কোনো মূল্যায়ন নেই। এখন দল বিক্রি করে খাচ্ছে অনেকেই। তাই আমি নির্বাচন করছি, এ কারণে দল থেকে বহিষ্কার হলেও আমার কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ দলের বহিষ্কার আদেশটিকেও আমি একটি ‘পদ বা পদবী’ মনে করি। আমি দু’বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে টানা ১৪ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। এখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। জনগণ আমার পাশে আছে। আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমি শতভাগ বিজয়ী হবো।           তবে বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে কৌশল হিসাবে দেখছেন ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বিএনপি নেতা এমরান হোসেন পল্লব। তিনি বলেন, নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত সঠিক কিন্তু আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। কারণ, আমরা প্রার্থী না হলে উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো আওয়ামী লীগের হাতে চলে যাবে। আশা করি, দল আমাকে বহিষ্কার করবে না। আর যদি করে তখন দেখা যাবে।  এই বিষয়ে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন তালুকদার বলেন, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ডাক দেওয়ায় ইতোমধ্যে বিএনপির অনেক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। তারপরও এখনও অনেকে নির্বাচনে আছেন। আগামী ২২ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। এরপরও তারা যদি নির্বাচন থেকে সরে না আসে তাহলে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।   জানা যায়, ময়মনসিংহের তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৩৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করছেন। এর মধ্যে দুজনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় বর্তমানে ৩৫ জন প্রার্থী বহাল আছেন। এর মধ্যে ধোবাউড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৫ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে ৩ জন। হালুয়াঘাটে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৫ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে ৪ জন এবং ফুলপুরে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৩ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম। প্রসঙ্গত, তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে গত ১৭ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তির সময় ছিল ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। সেই সঙ্গে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ ২২ এপ্রিল।
গৌরীপুরে ১৫ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ৩টি পদে ১৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। এ সময় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুসারী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে প্রার্থীরা এই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।       ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী রোববার (২১ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে সর্বমোট ১৫ প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ।     এতে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে চারজন ও ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে সাতজন প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন জাতীয় পার্টির এবং বাকি সবাই আওয়ামী লীগের নেতা বলে জানা গেছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোফাজ্জল হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু সোমনাথ সাহা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সালাউল হক এবং সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য এইচএম খায়রুল বাশার। সেই সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) আসনে প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, গৌরীপুর সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি মাহবুবুর রহমান শাহীন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হারুন উর রশিদ পবিত্র, জাতীয় পার্টির নেতা জহিরুল হুদা লিটন।   এ ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) আসনে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) সালমা আক্তার রুবি, পৌর প্যানেল মেয়র দিলুয়ারা দিলু, ছাত্রলীগ নেত্রী পরশমনি, নিলুফার ইয়াসমিন, তাসলিমা আক্তার কলি, মহিলা লীগ নেত্রী নুরজাহান আক্তার ও ফেরদৌসী নাসরিন।   সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন সূত্র জানা যায়, এই নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল ২৪ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল এবং মনোনয়ন প্রত্যাহার ৩০ এপ্রিল। এরপর ২ মে প্রতীক বরাদ্দ শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণার পর আগামী ২১ মে (মঙ্গলবার) এই উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা
ময়মনসিংহের নান্দাইলে নাজমা আক্তার (৪০) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে নান্দাইল বাইপাস রোডের পশ্চিম পাশে বড়বড়িয়া নামক স্থানে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নাজমা আক্তার চারিআনিপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, ৪ সন্তানের জননী ওই নারী ও স্বামী আব্দুল মন্নান শ্রমিকের কাজ করতেন। অভাব অনটনের সংসার ছিলো তাদের। বুধবার রাতে স্বামী-স্ত্রী বিলেরপাড় দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে একদল দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যার পর ধানক্ষেতে ফেলে যায়। পরে  খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. মজিদ। তিনি জানান, কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বিষয়টি অনুসন্ধান চলছে। খুব দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে শ্রমিক খুন
ময়মনসিংহ নগরীতে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে মো. সামিউল সামি নামে এক শ্রমিক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ‍্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১টার দিকে নগরীর কলেজ রোড মীরবাড়ী রেললাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর সামি কমিউনিটি সেন্টারের অনিয়মত খাবার পরিবেশক শ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পারিবারিক পরিচয় জানা যায়নি।  ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন।  তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জের ধরে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন‍্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘লাশ ঘরে’ নেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে এই খুনের মূল কারণ অনুসন্ধানে পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়াও ঘটনার নেপথ্যে মাদক সম্পৃক্ততা বা অন‍্য কোন বিষয় আছে কিনা- তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।     এ দিকে খুনের ঘটনায় কলেজ রোড মীরবাড়ী রেললাইন এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 
ময়মনসিংহে ২ বাসের সংঘর্ষ : নিহতদের পরিচয় মিলেছে  
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বেপরোয়া গতির কারণে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক বাস হেলপার ও এক নারী যাত্রী নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২৫ যাত্রী।   মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ তারাকান্দা সড়কের কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন দুর্ঘটনাকবলিত রাজ সুপার বাসের হেলপার শেরপুর জেলার সদর উপজেলার রাজভল্লবপুর গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে মো. শহিদ মিয়া (২৬) এবং নকলা উপজেলার মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে সুইটি আক্তার (২০)।  এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী।  প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি বলেন, শেরপুর থেকে ঢাকাগামী ইভা পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের ঘটনাস্থল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির রাজ সুপার বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রাজ সুপার বাসের হেলপার শহিদ মিয়া ও ইভা পরিবহনের যাত্রী সুইটি আক্তার ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ২৫ জন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুই বাসের সংঘর্ষের ঘটনায় মমেক হাসপাতালে অন্তত ১২ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ‍্যে ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও এ ঘটনায় আহত আরও ১৩ থেকে ১৪ জনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান ওসি ওয়াজেদ আলী।  তিনি আরও বলেন, নিহতদের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন‍্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।  এ দিকে দুর্ঘটনা কবলিত সড়কে বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।
ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
ময়মনসিংহে তারাকান্দায় যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন ।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে তারাকান্দা উপজেলার কোদালধর এলাকায় ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কে হিমালয় পেট্রোল পাম্পের পাশে দু’বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।   বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী।  তিনি বলেন, তারাকান্দার কোদলধর এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় হতাহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।