ময়মনসিংহের সদ্য নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সামনে কাউন্সিলর শামসুল হক লিটনের সমর্থক এলাকাবাসী এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
এতে কয়েক শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন।
এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. আনিসুর রহমান, মামুন আলীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
বক্তারা বলেন, থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, হামলাকারী প্রকাশ্য ঘোরাফেরা করছে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করলে কঠোর কর্মসূচিসহ থানা ঘেরাও করা হবে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কাউকে ছাড় নয়, তদন্ত চলছে আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে শুক্রবার রাতে নগরীর আকুয়া এলাকায় এ পাল্টাপাল্টি হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সূত্র জানায়, বিগত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এলাকায় দুটি পক্ষের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে কাউন্সিলর শামছুল হক লিটনের ভাতিজা ও কোতোয়ালি থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম স্বপনের বাগবিতন্ডা ও সংঘর্ষ হয় স্থানীয় যুবলীগ নেতা শরীফের। এতে যুবলীগ নেতা শরীফ আহত হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ঘটনাটি জানতে পেরে কাউন্সিলর শামছুল হক লিটন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমানের সঙ্গে শরীফকে দেখতে হাসপাতালে যান। এ সময় শরীফের ভাই ইয়াসিন হাসপাতালে কাউন্সিলর লিটনের ওপর হামলা চালান। এতে নাক ফেটে লিটন রক্তাক্ত হলে তাকেও হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
এ দিকে ঘটনায় বিচার দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত। তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটন ভাইয়ের ওপর হামলাকারী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।