• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ভালুকায় ঝুট ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষ, ২০ মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ
আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ধূলিসাৎ করেছে: প্রিন্স
আওয়ামী লীগ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিল উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষা ও চেতনাকে ধূলিসাৎ করেছিল। জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার পরিবর্তে তারা তাদের প্রভু দেশের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করেছে। লুটপাট ও দুর্নীতি মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণ করেছিল। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে হালুয়াঘাট পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী সরকারের বিভাজন, দমন নিপীড়ন ও একদলীয় শাসনের কারণে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয়েছিল। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রত্যাশিত রাষ্ট্র গঠন করা যায় না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র গঠনে নতুন ভাবে কাজ শুরু কারলেও দেশি বিদেশি চক্রান্তে তাকে নির্মমভাবে হত্যার মাধ্যমে পরবর্তীতে তা বাধাগ্রস্ত করা হয়। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর আবার সেই সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এবার সেই সম্ভাবনাকে কোনোভাবেই বানচাল করতে দেওয়া যাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ ও বহি দেশীয় বিভিন্ন ষড়যন্ত্র অনুধাবন করে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানালেও কেউ কেউ জাতীয় ঐক্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে, যা হবে আত্মহত্যার শামিল। আলোচনাসভা শেষে চার শতাধিক শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। হালুয়াঘাট পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও আল আমিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, হালুয়াঘট পেশাজীবী পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি  মাসুদ করিম, সহসভাপতি কামাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক প্রমুখ।  এর আগে, হালুয়াঘাট উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গাঙ্গিনাপাড় বধ্যভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও মোনাজাত করেন তিনি। আরটিভি/এমএ-টি
বিটিএস ভক্ত দুই মাদরাসাছাত্রী নিখোঁজ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নির্যাতিতরা জাতীয় বীর: এমরান সালেহ প্রিন্স 
ময়মনসিংহে বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
৮ দিন পর ময়মনসিংহে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু
শেরপুরে মাদক বিক্রির অভিযোগে ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি
হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হওয়ায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী শহর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরিদ আলমকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নিয়ামুল হাসান আনন্দ। জানা যায়, শনিবার রাতে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।  গত ৫ ডিসেম্বর রাতে পৌরশহরের কালিনগর এলাকায় পরিত্যক্ত একটি ছাপরা ঘরে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ মাদক বেচাকেনা করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশের একটি দল। এ সময় যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে নালিতাবাড়ী শহর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরিদ আলমসহ চারজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের তল্লাশি করে সিগারেটের প্যাকেটে সাদা পলিথিনে মোড়ানো পাঁচ পুড়িয়া হেরোইন উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরদিন শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের নির্দেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অব্যাহতির সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এ বিষয়ে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নিয়ামুল হাসান আনন্দ বলেন, ‘ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা নালিতাবাড়ি শহর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরিদ আলমকে নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করার অপরাধে নালিতাবাড়ী শহর ছাত্রদলের আহ্বায়ক থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আমরা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছি। কোনো নেশাখোরদের জায়গা ছাত্রদলে হবে না।’ আরটিভি/এমকে-টি
জিআই স্বীকৃতি পেল শেরপুরের ছানার পায়েস
ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মিষ্টান্ন ছানার পায়েস।  বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনির হোসেন সই করা এক নিবন্ধন সনদে ছানার পায়েসকে ৪৩তম জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর আগে গেল বছর জেলা ব্র্যান্ডিং বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকে ছানার পায়েসকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের সুপারিশ করা হয়। এ নিয়ে শেরপুর জেলার স্থানীয় সুগন্ধি চাল তুলশী মালাসহ দুটি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেল। স্থানীয়দের তথ্যমতে, ব্রিটিশ আমলে জেলার ঘোষপট্টিতে প্রথম ছানার পায়েস তৈরি হয়। সে সময়ে জমিদাররা ঘোষপট্টিতে বানানো ছানার পায়েস বিশেষ পদ্ধতিতে কলকাতায় নিয়ে যেতেন। এছাড়া আত্মীয়-স্বজন কিংবা অন্য জমিদারের কাছে উপঢৌকন হিসেবেও এ পায়েস পাঠাতেন তারা। বিয়ে, জন্মদিন, ঈদ, পূজা, অতিথি আপ্যায়নসহ সবখানেই ছানার পায়েসের সুখ্যাতি রয়েছে। এক সময় হাতে গোনা দু-একটি দোকানে এই মিষ্টি তৈরি হলেও এখন জেলার অন্তত ৫০টি দোকানে ছানার পায়েস তৈরি হয়।  শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, শেরপুরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে ছানার পায়েসের বেশ সুনাম রয়েছে। দেশে-বিদেশে এ মিষ্টির বেশ কদর রয়েছে। ছানার পায়েস তৈরি ও বিপণনের সঙ্গে অনেকেই জড়িত। এটিকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের ফলে এর কদর আরও বাড়বে। আরটিভি/এএএ 
সীমান্তে পৌনে ১ কোটি টাকার ভারতীয় শাড়িসহ যুবক আটক
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পৌনে এক কোটি টাকার অবৈধ ভারতীয় শাড়ি ও একটি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। এ সময় লিমন সিমসাং (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে বিজিবি। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ছোট গজনী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।  লিমন ছোট গজনী গ্রামের মৃত অনীল মারাকের ছেলে। সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ ৩৯ বিজিবির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, উদ্ধার শাড়ি ও পিকআপসহ আটক যুবককে ঝিনাইগাতী থানায় সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে। আরটিভি/এএএ 
ভারতীয় মিডিয়ায় তথ্য সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ময়মনসিংহে নাগরিক সমাবেশ
ভারতীয় মিডিয়ায় হিন্দু নির্যাতনসহ নানা ধরনের মিথ্যা অভিযোগে তথ্য সন্ত্রাস চালানোর প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশ করেছে ময়মনসিংহ ফোরাম নামক একটি সংগঠন। এ সময় এসব তথ্য সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে ভারতীয় মিডিয়ায় তথ্য সন্ত্রাস এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার দাবিতে এই নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ময়মনসিংহের কবি, সাহিত্যিক, লেখক, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। নাগরিক সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সর্ম্পক চায় না। তারা চায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সর্ম্পক। এ কারণেই বিগত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর তারা তথ্য সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমরা এই তথ্য সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ সময় বক্তারা আরও বলেন, সম্প্রতি প্রকাশ্যে ইসকনের সন্ত্রাসী হামলায় আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এ ঘটনার পর বাংলাদেশের মানুষ যে নিরবতা দেখিয়েছে, তা নজির বিহীন। আমরা মনে করি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় এই নজির বাংলাদেশের শক্তি। সমাবেশে বক্তব্য দেন কবি সরকার আজিজ, এহসান হাবীব, মোস্তফা তারেক, ব্যবসায়ী নেতা তৌহিদুজ্জামান ছোটন, প্রিন্সিপাল এখলাছ উদ্দিন খান, প্রিন্সিপাল আশফাক, ডা. মাজহার খান, সাঈদ ইসলাম, কাজী নাসির মাসুম প্রমুখ। আরটিভি/এএএ 
ময়মনসিংহে ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুজন গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে চার হাজার পিস ইয়াবাসহ দুজন মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।  বুধবার (৪ ডিসেম্বর) নগরের মাসকান্দা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তার দুজন হলেন- আবদুল কাইয়ুম (৩০) ও আমিরুল ইসলাম (৩৫)। আবদুল কাইয়ুম তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের তিলাটিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে ও আমিরুল ইসলাম গৌরীপুরের শাহাবাজপুর গ্রামের মৃত আদবদুল কাদিরের ছেলে। এ সময় তাদের কাছ থেকে চার হাজার পিস ইয়াবা, ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও দুটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে চক্রটির প্রধান পালিয়ে গেছে। চক্রটির প্রধানের নাম প্রকাশ না করলেও ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে জানান তিনি। টেকনাফ থেকে এ চক্রটি ইয়াবার চালান নিয়ে আসতো। এ নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।   আরটিভি/এএএ/এস 
ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর হানাদারমুক্ত দিবস আজ
আজ ৪ ডিসেম্বর, ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে আজকের দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি কামালপুর দুর্গের পতন হয়। তাই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছরই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারমুক্ত দিবস পালন করে আসছে।  বুধবার (৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচি পালিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জামালপুর জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম।  স্থানীয় সূত্র ও ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার মহেন্দ্রগঞ্জ ও জামালপুর জেলার পাহাড় ঘেঁষা বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে হানাদার বাহিনী যুদ্ধের শুরু থেকেই শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। এখান থেকেই হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালায়। উত্তর রণাঙ্গনের ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল যেকোনো মূল্যে এই ঘাঁটি দখল করা। এই যুদ্ধে কামালপুর রণাঙ্গনে হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ৮ দফা সম্মুখ যুদ্ধ হয়। ৩১ জুলাইয়ের আগে ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন জেড ফোর্স। জেড ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান পাক বাহিনীর সঙ্গে মোকাবিলা করেন। তৎকালীন ৩১ জুলাই সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনীর গুলিতে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ বীর উত্তম শাহাদাত বরণ করেন। ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ শহীদ হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহেরের (পরে কর্নেল) পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর ধানুয়া কামালপুর ঘাঁটি অবরোধ করেন। অবরোধের প্রথম দিনই কামালপুর মৃধাপাড়া মোড়ে সম্মুখযুদ্ধে মর্টার শেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহের (পরে কর্নেল) একটি পা হারান। যুদ্ধে পা হারানোর পরও কর্নেল তাহেরের নির্দেশে প্রাণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যান মুক্তিযোদ্ধারা। পরে ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নেন উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান বীরপ্রতীক। ১০ দিন প্রচন্ড যুদ্ধের পর ৪ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় সেক্টর কমান্ডারের নিদের্শক্রমে সাহসী বীরমুক্তিযোদ্ধা বশির আহমেদ (বীরপ্রতীক) নিজের জীবন বাজি রেখে পাক বাহিনীর ক্যাম্পে সারেন্ডার পত্র নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টায় ৩১ ব্যালুচ রেজিমেন্টের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ জন হানাদার বাহিনীর সদস্য মিত্র বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে। এর মাধ্যমে শত্রু মুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয় এই ধানুয়া কামালপুরে।  ধানুয়া কামালপুর যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ (বীর উত্তম), মুক্তিযোদ্ধা গাজী আহাদুজ্জামান, তসলিম উদ্দিন সহ শহীদ হন ১৯৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। গুলিবিদ্ধ হয়ে ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীর বিক্রম (সাবেকমন্ত্রী মেজর হাফিজ) সহ অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেন। অন্যদিকে একজন ক্যাপ্টেনসহ হানাদার বাহিনীর ২২০ জন সৈন্য মারা যায় এ যুদ্ধে। ধানুয়া কামালপুর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ২৯ জনকে তাদের বীরত্বের জন্য বীর বিক্রম, বীরউত্তম ও বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হয়। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) নিজস্ব অর্থায়নে ধানুয়া কামালপুর স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে নির্মাণ করা হয়েছে ধানুয়া কামালপুর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ও প্রামাণ্যচিত্র দেখতে আসেন। ডিসেম্বর মাস এলেই মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলায় পরিণত হয় মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর ধানুয়া কামালপুর ।