• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হওয়ায় যুবকের আত্মহত্যা
সোমেশ্বরী নদীতে নিখোঁজ তরুণের মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বেড়াতে এসে সোমেশ্বরী নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ আবির হাসানের (২০) মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।  রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই তরুণ নিখোঁজ হন। দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম শফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  নিখোঁজ আবির গাজীপুরের কেওড়াবাজার এলাকার ফেরদৌস মিয়ার ছেলে।  স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর থেকে শনিবার দুর্গাপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন আবির। পরে রোববার দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বরইকান্দি নামক স্থানের সোমেশ্বরী নদীতে গোসলে নেমে তিনি নিখোঁজ হন।  পরে স্থানীয়রা দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম শফিকের তত্ত্বাবধানে ময়মনসিংহ থেকে আসা ডুবুরি দল উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ ফুট দূরে বালুর নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।  এ বিষয়ে দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাদের একটি টিম। তারপর ময়মনসিংহের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। তারা আসলে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধারে সক্ষম হয়েছি।’
ঈদে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ জনের মৃত্যু
নেত্রকোণার কলমাকান্দায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রধান শিক্ষক কারাগারে
প্রেমিককে না পেয়ে প্রেমিকার আত্মহত্যা 
জিম্মি রুকনের ঘরে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, মা-বাবার আহাজারি
ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে জিম্মি হওয়া ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকদের মধ্যে একজন নেত্রকোণার রুকন উদ্দিন। ছেলের জিম্মির খবর পেয়ে বিলাপ করছেন তার মা-বাবা। অন্যদিকে এ খবরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। বুধবার (১৩ মার্চ) সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের বাঘরোয়া গ্রামে রুকন উদ্দিন বাড়িতে যেয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। জানা গেছে, বাঘরোয়া গ্রামের কৃষক মিরাজ আলী ও লুৎফুর নাহারের ছেলে। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তৃতীয় রুকন। বাবা-মা ও বড় ভাই কাজ করে রুকনকে পড়াশোনা করিয়েছিলেন। ভালো শিক্ষার্থী হওয়ায় তিনি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পাশ করেন ২০১৩ সালে। পরে ২০১৫ সালে চাকুরিতে যোগদান করেন। গত বছরের নভেম্বর মাসে বর্তমান শিপ কোম্পানিতে যোগদান করেন ছেলের জিম্মির খবর পেয়ে বিলাপ করছেন তার মা-বাবা। তাদের আহাজারিতে আশপাশের এলাকার মানুষের ভিড় জমেছে বাড়িতে। রুকনকে সুস্থভাবে ফিরে পেতে অপেক্ষায় রয়েছে স্বজনরা। প্রথম রোজার দিন মায়ের সাথে কথা বলেন। কিন্তু এরপর থেকে মা-বাবা ভাই-বোনেরা জানতে পারেন তার জাহাজ দস্যুদের কবলে। এই খবরে বাড়িতে কান্নার রোল পড়েছে। এ খবরে অন্তঃসত্ত্বা আট মাসের স্ত্রীও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গ্রামের মানুষ দেখতে এসে তারাও কান্নায় ভেঙে পরেছেন। সকলের একটাই দাবী সুস্থভাবে সন্তান ও স্বজনকে ফিরে পাওয়ার। ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি আছেন জাহাজটির ২৩ জন নাবিক। এরই মধ্যে ভয়ানক হুমকির খবর ভেসে এসেছে জিম্মি জাহাজটি থেকে।
নেত্রকোণায় ইউপি চেয়ারম্যান আউয়াল গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়ালকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের একটি এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে।  জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) লুৎফর রহমান আরটিভিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল আউয়াল জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব।  তার নামে আওয়ামী লীগ নেতা মজিবর রহমান, কুল্লাগড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নেতা সুব্রত সাংমা হত্যা, খুন, মাদক, অস্ত্র, নাশকতা, সীমান্তে চোরাচালানসহ একাধিক মামলা রয়েছে।  এ বিষয়ে নেত্রকোণা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফুর রহমান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়ালকে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের আগেও তিনি নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বর্তমানে তাকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা রয়েছে।
পূর্বধলায় ট্রাকচাপায় নারীর মৃত্যু
নেত্রকোণার পূর্বধলায় ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে হালিমা খাতুন (৮৫) নামের এক ভারসাম্যহীন নারী মারা গেছেন।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পূর্বধলা বাজারের জামে মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত হালিমা খাতুন উপজেলার তারাকান্দা গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে ওই নারী রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকের নিচে পড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। পূর্বধলা থানা পুলিশ ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে পূর্বধলা থানায় নিয়ে আসে। পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে।
বাড়ির সামনে বেপরোয়া লরির চাপায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে মাটিভর্তি বেপরোয়া গতির লরির চাপায় বাইসাইকেলে থাকা এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। নিহত ওই স্কুলছাত্রের নাম রাব্বি মিয়া (১২)। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন এনামুল (১৫) নামে আরেক কিশোর। ঘটনার পর লরিচালক আল আমিনকে (৩০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। নিহত রাব্বি তেতুলিয়া গ্রামের রাসেল মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। আহত এনামুল একই গ্রামের এখলাছ মিয়ার ছেলে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকেলে বাড়ির সামনে পাকা রাস্তায় সাইকেল চালাচ্ছিল এনামুল। আর তার পেছনে বসা ছিল রাব্বি। এসময় হাওর থেকে মাটিভর্তি একটি লরি বেপরোয়া গতিতে এসে তাদের সাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে পেছনে বসা রাব্বি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর এনামুলের পা ভেঙে যায়। ঘটনার পর এলাকাবাসী লরিচালককে আটক করে। আহত এনামুলকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লরি জব্দ করে ও এর চালক আল আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত রাব্বির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এনামুলের চাচা জুলহাশ মিয়া জানান, হাওরের খাস জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করছে এলাকার একটি চক্র। দিনে ১৫-২০টি লরি বেপরোয়া চলাফেরা করছে। সন্ধ্যার দিকে একটি লরি রাব্বি ও এনামুলকে চাপা দেয়। এতে রাব্বি ঘটনাস্থলে নিহত হন। আর এনামুলের পা ভেঙে যায়। মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিত্যক্ত টিউবওয়েল থেকে পানির সঙ্গে বেরুচ্ছে গ্যাস
নেত্রকোণার দুর্গাপুর সীমান্তের কালিকাপুর গ্রামে সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে পরিত্যক্ত একটি টিউবওয়েল থেকে অনবরত পানির সঙ্গে বেরুচ্ছে গ্যাস। বৃহস্পতিবার বিকেলে এমন খবরে ওই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক মানুষ। এরইমধ্যে খবর পেয়ে ওই স্থানটিকে নিরাপদ রাখতে ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস।  বিষয়টি দেখে হতবাক বাড়ির মালিকসহ স্থানীয়রা। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এলাকার আশপাশের লোকজন ঘটনাটি দেখতে ভিড় করছেন। সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী রমিজা খাতুন জানান, তাদের বসতঘরের পেছনের একটি টিউবওয়েল প্রায় ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রতিদিনের মতো সকালে তিনি নিজ বসতঘরে অবস্থান করছিলেন। এরই মধ্যে সকাল সাড়ে দশটার দিকে হঠাৎ পানির বিকট শব্দ শুনে দেখেন চাপ ছাড়াই নষ্ট টিউবওয়েল থেকে অনবরত পানি বেরুচ্ছে। দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার মুহাম্মদ আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেখানে লাল নিশান লাগানোর পাশাপাশি বাড়ির লোকজনদের সতর্ক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসান বলেন, আমাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তারা বাড়ির লোকজনকে সতর্ক করে এসেছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তথ্য পাঠানো হয়েছে। তথ্য মোতাবেক পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলেজে যাওয়ার পথে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
নেত্রকোণার মদন উপজেলায় কলেজে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সাজন মিয়া (২২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে পৌরসদরের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, অভিযুক্ত সাজন মিয়া মদন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাসুদ মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাসা পৌরসদরে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়েন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মঙ্গলবার সকালে পৌরসদরের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার সময় বখাটে সাজন তার পথরোধ করে কুপ্রস্তার দেন। একপর্যায়ে জোর করে দেওয়ান বাজার রোডের একটি চালের দোকানে তুলে নিয়ে যান। পরে সাজনের একজন সহযোগী বাইরে থেকে দোকানের তালা লাগিয়ে দেন। দোকানে কলেজছাত্রীকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে সাজন। পরে ঘটনাটি পরিবারকে জানান ওই ছাত্রী।  ভুক্তভোগী মেয়েটি বলেন, আমি চিৎকার শুরু করলে হত্যার হুমকি দিয়ে সাজন আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে আমি ঘটনাটি আমার পরিবারকে জানাই। আমি সাজনের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।    মেয়েটির মা বলেন, কলেজে যাওয়ার পথে দিনদুপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। বাসায় গিয়ে মেয়েটি কান্নাকাটি করে আমাকে সব জানিয়েছে। বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি। এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনার আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।