• ঢাকা শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
শীতে এশা ও ফজরের নামাজের ফজিলত
ঈমান মজবুত করার দোয়া
আল্লাহর অস্তিত্বের ওপর বিশ্বাস করা, তাকে একমাত্র ‍সৃষ্টিকর্তা, অধিপতি ও ইলাহ হিসেবে অন্তরে বিশ্বাস এবং মুখেও স্বীকার করার নামই হলো ঈমান। ঈমানের ৭০টিরও বেশি শাখা-প্রশাখা রয়েছে। তার মধ্যে সর্বোত্তম শাখা হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর স্বীকৃতি বা তাওহীদের ঘোষণা দেওয়া। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে দয়াময় তাদের জন্য সৃষ্টি করবেন ভালবাসা। (সুরা মারিয়াম: ৯৬)  আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, যে সৎ কাজ করবে মুমিন হয়ে, তার অবিচার বা ক্ষতির কোন আশংকা নেই। (সুরা ত্বহা: ১১২)  পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আর যারা তার নিকট আসবে মুমিন অবস্থায়, সৎকর্ম করে তাদের জন্যই রয়েছে সুউচ্চ মর্যাদা। (সুরা ত্বহা: ৭৫) উম্মে সালাম (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি অধিকাংশ সময় এই দোয়া কেন করেন? তিনি বললেন, এমন কোনো মানুষ নেই যার অন্তর আল্লহ তাআলার অঙ্গুলীসমূহের দুই অঙ্গুলের মাঝে নেই। যাকে তিনি ইচ্ছা তাকে তিনি দিনের ওপর কায়েম রাখেন, যাকে ইচ্ছা তিনি সরিয়ে দেন। (সুনানে তিরমিজি: ৩৫২২) ঈমান মজবুত করার দোয়া শাহর ইবন হাওশাব (রহ.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি উম্মে সালামাকে (রা.) বললাম, হে উম্মুল মুমিনীন! আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন আপনার কাছে অবস্থান করতেন তখন অধিকাংশ সময় তিনি কী দোয়া করতেন? তিনি বললেন, তিনি বেশিরভাগ সময় দোয়া করতেন, ‘ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুব ছাব্বিত কালবী আলা দীনিকা’। কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঈমান লাভ করার পর পথভ্রষ্টতা ও ভ্রান্তি থেকে বাঁচতে এভাবে দোয়া করতে শিখিয়েছেন, উচ্চারণ: রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইয হাদাইতানা ওয়া হাব লানা মিনলাদুনকা রাহমাহ ইন্নাকা আনতাল-ওয়াহহাব অর্থ: হে আমাদের রব, আপনি হেদায়াত দেওয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। (সুরা আলে ইমরান: ৮) উচ্চারণ: ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুব ছাব্বিত কালবী আলা দীনিকা অর্থ: হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তর আপনি আপনার দীনে সুদৃঢ় রাখুন। আরটিভি/এফএ
১৪ দেশের নাগরিকদের ভিসা দিতে বিশেষ সতর্কতা
ঘুমাতে যাওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল
ভুয়া হজ গ্রুপ খুলে প্রতারণা, ব্যবস্থা নিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠি 
মুসাফিরের জুমার নামাজ ছুটে গেলে করণীয়
নামাজ শেষে যেসব দোয়া করতেন মহানবি (সা.)
ইসলামের দ্বিতীয় ভিত্তি হচ্ছে নামাজ। নামাজকে ঈমানদারের জন্য মিরাজস্বরূপ বলা হয়েছে। কেননা এর মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথা বলা হয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) নামাজ শেষে বিভিন্ন জিকির ও দোয়া পড়তেন। নামাজ শেষে যেসব দোয়া করতেন মহানবি হজরত মুগিরা ইবনু শোবা (রা.) মুয়াবিয়ার (রা.) কাছে লিখেছেন যে, নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সালাতের সালাম ফিরাতেন তখন বলতেন, উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাহ ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর, আল্লাহুম্মা লা- মানেআ লিমা আতাইতা ওয়ালা মুতিয়া লিমা মানাতা ওয়ালা ইয়ান ফাউ জাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।  অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক তার কোনো শরিক নেই। রাজত্ব তারই এবং প্রশংসা তার। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ আপনি যা দান করেন তা বাধা দেয়ার কেউ নেই। আর আপনি যা বাধা দেবেন তা দেওয়ার মত কেউ নেই। আর আযাবের মুকাবেলায় ধনবানকে তার ধন কোনো উপকার করতে পারে না।) (বুখারি ও মুসলিম) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর তেত্রিশবার ছুবহানাল্লাহ বলবে, তেত্রিশ বার আলহামদুলিল্লাহ বলবে ও তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার বলবে এর পর লা-ইলাহা ইল্লাহ ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর। অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক তার কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তারই এবং প্রশংসা তার। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। বলে একশ বাক্য পূর্ণ করবে তার পাপগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়। (মুসলিম) হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন যখন নামাজ শেষ করতেন তখন তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং বলতেন, উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আনতাচ্ছালাম, ওয়ামিংকাস-সালাম, তাবারাকতা ইয়া-যাল-যালালি ওয়াল ইকরাম। অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময় এবং তোমার কাছ থেকে শান্তির আগমন, তুমি কল্যাণময়ত, হে মর্যাদাবান, মহানুভব! (মুসলিম) এ ছাড়াও নামাজ শেষে আরও অনেক জিকির ও দোয়া করা যেতে পারে। তা হলো সূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক, সূরা নাস পাঠ। আয়াতুল কুরসিও পাঠ করা যেতে পারে। কেননা এর অনেক ফজিলত রয়েছে। আরটিভি/এফএ
বিপদ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার দোয়া
মানুষের জীবনে সঙ্গে জড়িয়ে থাকে বিপদ-আপদ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি। কখনও কখনও আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বিপদ ফেলে পরীক্ষা করে থাকেন এবং তার দিকে ফেরানোর চেষ্টা করেন। এমন পরিস্থিতিতে আল্লাহর ওপর ভরসা করা মুমিনের কর্তব্য। বিপদ-আপদ আসলে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু দোয়া পড়া যেতে পারে, এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দার ওপর রহমত দান করে থাকেন।  বিপদ থেকে দ্রুত মুক্ত পাওয়ার দোয়া উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ্জালিমীন অর্থ:  তুমি ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই, তুমি পবিত্র, নিশ্চয় আমি সীমালংঘনকারী। (তিরমিজি, হাদিস : ১৬৮) উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা রাহমাতাকা আরজু ফালা আকিলনী ইলা নাফসী ত্বরফাতা আইন, অ আসলিহ লী শা’নী কুল্লাহ, লা ইলা-হা ইল্লা আন্ত। অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার রহমতেরই আশা রাখি। অতএব তুমি আমাকে পলকের জন্যও আমার নিজের উপর সোপর্দ করে দিও না এবং আমার সকল অবস্থাকে সংশোধিত করে দাও। তুমি ছাড়া কেউ সত্য মাবুদ নেই। উচ্চারণ : আল্লা-হু আল্লা-হু রাব্বী লা উশরিকু বিহী শাই। অর্থ : আল্লাহ আল্লাহ আমার প্রভু, তার সাথে কিছুকে শরীক করি না। (সহিহ ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৫) উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু রাব্দুল আরশিল আযীম, লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু রাব্দুস সামাওয়াতি অরাব্বুল আরয্বি অ রাব্বুল আরশিল কারীম। অর্থ :  আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ নেই; যিনি সুমহান, সহিষ্ণু। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই; যিনি সুবৃহৎ আরশের প্রতিপালক। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য আরাধ্য নেই; যিনি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও সম্মানিত আরশের অধিপতি। (বুখারি, হাদিস : ১৫৪) আরটিভি/এফএ
মানুষের ভাগ্য সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে যা বলা হয়েছে
ভাগ্যে বিশ্বাস করা ছাড়া কোনো ব্যক্তি মুমিন হতে পারে না। আর ভাগ্যে বিশ্বাস করার অর্থ হলো, এটা বিশ্বাস করা যে জীবনের ভালো ও মন্দ, আনন্দ ও দুঃখ, জীবিকা ও সম্পদ, জীবন ও মৃত্যু ইত্যাদি বিষয় আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। ভাগ্য আল্লাহর এক রহস্যময় জগৎ। এই জগৎ সম্পর্কে আল্লাহ কাউকে অবগত করেননি। তাফসিরবিদরা বলেন, ভাগ্য সেসব বিষয়ের একটি যেগুলোর ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন, অদৃশ্য সম্পর্কে তোমাদেরকে আল্লাহ অবহিত করার নয়; তবে আল্লাহ তাঁর রাসুলদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৭৯) কোরআনের বর্ণনায় ভাগ্য: ভাগ্য সম্পর্কে মানুষ ততটুকু জানে, যতটুকু আল্লাহ কোরআন ও তাঁর নবীর মাধ্যমে জানিয়েছেন। নিম্নে ভাগ্য বিষয়ে কোরআনের বর্ণনা তুলে ধরা হলো— ১. আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত : মানুষের ভাগ্যের ভালো ও মন্দ আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আল্লাহ বলেন, আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে, আমার আদেশ তো একটি কথায় নিষ্পন্ন, চোখের পলকের মতো। (সুরা : কামার, আয়াত : ৪৯-৫০) ২. ভাগ্য অনিবার্য : আল্লাহ মানুষের জন্য যা নির্ধারিত করে রেখেছেন তা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা পূরণ করবেনই; আল্লাহ সব কিছুর জন্য স্থির করেছেন নির্দিষ্ট মাত্রা।  (সুরা : তালাক, আয়াত : ৩) ৩. ভাগ্য পূর্বনির্ধারিত : মানুষের ভাগ্যে যা ঘটে তা পূর্ব থেকেই আল্লাহ নির্ধারণ করে রেখেছেন। ইরশাদ হয়েছে, পৃথিবীতে অথবা ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের ওপর যে বিপর্যয় আসে আমি তা সংঘটিত করার আগেই তা লিপিবদ্ধ থাকে। আল্লাহর পক্ষে এটা খুবই সহজ। (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২২) ৪. ভাগ্য জীবনে সংযম আনে : ভাগ্য মানুষের জীবনকে সংযত করে। আল্লাহ বলেন, এটা (ভাগ্য নির্ধারণ) এ জন্য যে, তোমরা যা হারিয়েছ তাতে যেন তোমরা বিমর্ষ না হও এবং যা তিনি তোমাদের দিয়েছেন তার জন্য হর্ষোত্ফুল্ল না হও। আল্লাহ পছন্দ করেন না উদ্ধত ও অহংকারীদের।  (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২৩) ৫. ভাগ্য অনুসারেই সব হয় : আল্লাহর ইচ্ছা ও পরিকল্পনা অনুযায়ীই সব কিছু সংঘটিত হয়। আর আল্লাহ তা পূর্ব থেকেই নির্ধারণ করে রেখেছেন। আল্লাহ বলেন, জলে ও স্থলে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত, তাঁর অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও পড়ে না। মাটির অন্ধকারে (ভূগর্ভের অন্ধকার স্তরে) এমন কোনো শস্যকণাও অংকুরিত হয় না অথবা রসযুক্ত কিংবা শুষ্ক এমন কোনো বস্তু নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে নাই।  (সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৯) মুমিনের ভাগ্যে বিশ্বাস যেমন হবে:  আবু আবদুল্লাহ ইবনে দায়লামি (রহ.) বলেন, আমি উবাই বিন কাব (রা.)-এর কাছে এসে তাকে বললাম, তাকদির সম্পর্কে আমার মনে একটা দ্বিধার উদ্রেক হয়েছে। তাই আপনি আমাকে এমন কিছু বলুন যাতে মহান আল্লাহ আমার মনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করবেন। তিনি বললেন, মহান আল্লাহ তার আসমান ও পৃথিবীবাসী সবাইকে শাস্তি দিতে পারেন। তার পরও তিনি তাদের প্রতি অন্যায়কারী হবেন না। পক্ষান্তরে তিনি যদি তাদের সবাইকে দয়া করেন তাহলে তার এই দয়া তাদের জন্য তাদের নেক আমল হতে উত্তম হবে। সুতরাং যদি তুমি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর পথে দান করো আর তাকদিরে বিশ্বাস না রাখো, তবে তা গ্রহণ করা হবে না যতক্ষণ না তুমি পুনরায় তাকদিরে বিশ্বাস করবে এবং উপলব্ধি করবে যে, যা তোমার ঘটেছে তা ভুলেও তোমাকে এড়িয়ে যাওয়ার ছিল না। আর যা এড়িয়ে গেছে তা কখনো ভুলেও তোমার বেলায় ঘটার ছিল না। আর এ বিশ্বাস ছাড়া তুমি মারা গেলে জাহান্নামে যাবে। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৬৯৯) মুমিন ভাগ্যে সন্তুষ্ট থাকে:  ভাগ্যের ভালো ও মন্দের ব্যাপারে মুমিন সন্তুষ্ট থাকে। কখনো তাকে অপছন্দের কোনো বিষয় স্পর্শ করলেও সে তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে না। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তিনি (আল্লাহ) যা করেন সে বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা যাবে না, বরং তাদেরকেই প্রশ্ন করা হবে।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ২৩) আরটিভি/একে  
যেসব নারীদের বিয়ে করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
নারী-পুরুষের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ স্বাভাবিক। বৈধ ভালোবাসায় এদের সিক্ত হওয়ার একমাত্র হালাল মাধ্যম হচ্ছে বিয়ে। মহান আল্লাহ মুসলমানদের জন্য বিয়েকে হালাল করেছেন। গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করার জন্য মহান আল্লাহ এ বিধান দিয়েছেন। বিয়ে নিয়ে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন, নিশ্চয় আপনার পূর্বে অনেক রসুলকে প্রেরণ করেছি। আমি তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করেছি। (সুরা রাদ ৩৮) এ ছাড়া ইসলামের দৃষ্টিতে, মানবজাতির এই সভ্যতা ও আদর্শ রক্ষায় একজন পুরুষ ১৪ জন নারীদের মধ্যে যে কারও সঙ্গে বিয়ে করতে পারবেন না। যদি তা করে, তাহলে সেই বিয়ে হারাম ও অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ২৩ থেকে ২৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ ১৪ জন নারীকে একজন পুরুষের জন্য বিবাহ করা হারাম ঘোষণা করেছেন। ইসলামে যে ১৪ নারীকে বিয়ে করা হারাম ১.  নিজের মা, ২. দাদি, নানি ও তাদের ওপরের সবাই, ৩. নিজের মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে ও তাদের গর্ভজাত কন্যাসন্তান, ৪. সহোদর, বৈমাত্রেয় (সৎ মায়ের মেয়ে) ও বৈপিত্রেয় (সৎ বাবার মেয়ে) বোন, ৫. বাবার সহোদর বোন এবং বাবার বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন (ফুপু), ৬. যে স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মিলন হয়েছে, তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী স্বামীর ঔরসজাত কন্যাসন্তান, স্ত্রীর আপন মা, নানি শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়ি, ৭. মায়ের সহোদর বোন এবং মায়ের বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন (খালা), ৮. ভাতিজি অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে ও তাদের পরের প্রজন্মের কন্যাসন্তানরা, ৯. ভাগ্নি অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে ও তাদের পরের প্রজন্মের কন্যাসন্তানেরা, ১০. দুধ মেয়ে (স্ত্রীর দুধ পান করেছে এমন), সেই মেয়ের মেয়ে, দুধ ছেলের মেয়ে ও তাদের পরের প্রজন্মের কোনো কন্যাসন্তান এবং দুধ ছেলের স্ত্রী, ১১. দুধ মা এবং তার দিকের খালা, ফুপু, নানি, দাদি ও তাদের ঊর্ধ্বতন নারীরা, ১২. দুধবোন, দুধবোনের মেয়ে, দুধভাইয়ের মেয়ে এবং তাদের গর্ভজাত যেকোনো কন্যাসন্তান। অর্থাৎ দুধ সম্পর্ককে রক্ত সম্পর্কের মতোই গণ্য করতে হবে, ১৩. ছেলের স্ত্রী, ১৪.  অন্যের বৈধ স্ত্রীকে বিবাহ করা হারাম। আরটিভি/একে
স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে করণীয়
মানুষ সাধারণত তিন ধরনের স্বপ্ন দেখে থাকে। কিছু স্বপ্ন আসে মানুষের কল্পনা থেকে। মানুষ যা ভাবে বা কল্পনা করে সেটাই ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন হয়ে আসে। কিছু স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ হিসেবে আসে। আর কিছু স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। যা দেখে মানুষ ভয় পায়, আতংকগ্রস্ত হয়। স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে করণীয় হযরত সামুরাহ ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অভ্যাস ছিল তিনি ফজরের সালাত শেষে প্রায়ই আমাদের দিকে মুখ করে বসতেন এবং জিজ্ঞাসা করতেন, তোমাদের কেউ কি আজ রাতে কোনো স্বপ্ন দেখেছ? আমাদের কেউ কোনো স্বপ্ন দেখে থাকলে তার কাছে বলত আর তিনি আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তার তাবির করতেন। (সুনানে তিরমিজি: ৭০৪৮) আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সা.) বলেছেন, যখন কেয়ামত নিকটবর্তী হবে, তখন বেশিরভাগ সময়ই মুসলমানদের স্বপ্ন মিথ্যা হবে না। আপনাদের মধ্যে সর্বাধিক সত্যভাষী ব্যক্তি সর্বাধিক সত্য স্বপ্ন দেখবে। আর মুসলমানের স্বপ্ন নবুয়তের পঁয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। স্বপ্ন তিন প্রকার, ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ হিসেবে আসে। কিছু স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে আসে যা দুশ্চিন্তা বা দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর কিছু স্বপ্ন মানুষের নিজের চিন্তা-ভাবনা থেকে তৈরি হয়। (সহিহ মুসলিম: ৫৭০৮) হজরত আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সা.) বলেছেন, ভালো ও সুন্দর স্বপ্ন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর খারাপ স্বপ্ন হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। যদি কেউ ভালো স্বপ্ন দেখে, তা হলে তা শুধু তাকেই বলবে, যে তাকে ভালোবাসে। অন্য কাউকে বলবে না। আর কেউ যদি স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখে, তা হলে শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে (আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম বলবে) এবং বাম দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করবে। আর কারও কাছে স্বপ্নের কথা বলবে না। (সহিহ বুখারি: ৬৯৯৫) আরটিভি/এফএ
হাইকমিশনে হামলা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবাদ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত, দুর্ভাগ্যজনক ও নিন্দনীয়। বিশ্বের প্রতিটি দেশের জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন যেকোনো দেশের নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব।  এর কোনো ধরনের অবমাননা সে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করার শামিল। কোনো দেশের পতাকা নিয়ে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা যেকোনো দেশের নাগরিকের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বার্থে অত্যাবশ্যক। আরটিভি/এফএ
হাইকমিশনে হামলা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নিন্দা
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা জানিয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সংগঠনটির চেয়ারম্যান বাবু বিজন কান্তি সরকার ও মহাসচিব এস এন তরুন দে এক বিবৃতি এ নিন্দা জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, ভারতের উত্তর আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে উগ্রবাদীদের আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যে আক্রমণ করেছে তা পূর্বপরিকল্পিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া এবং ভাঙচুর করা জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ। তারা আরও বলেন, ভারত সরকার ও ভারতীয় জনগণের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে যে, আপনাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কৌশল হিসেবে বাংলাদেশে-ঘৃণার ব্যবহার উভয় দেশের সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী টানাপোড়েন সৃষ্টি করবে। আমরা আশা করব যে, নতুন বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি ভারতীয়রা শ্রদ্ধাশীল হবেন ও বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনকালে যে সকল নেতা ভারতে অবস্থান করছেন তাদের ফিরিয়ে দিয়ে বিচারে সহায়তা করবেন। আরটিভি/এফএ/এস