• ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
logo
আগামী সপ্তাহে হজ প্যাকেজ ঘোষণা
মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ইসলামী বইমেলা
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে ইসলামী বইমেলা। এই মেলা চলবে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। সোমবার (২১ অক্টোবর) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।  এতে বলা হয়, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) ১৪৪৬ হিজরি উপলক্ষে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শুরু হচ্ছে ইসলামী বইমেলা। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এই বইমেলার উদ্বোধন করবেন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ও পূর্ব চত্বরে আয়োজিত এই মেলা চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ছুটির দিনে মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবারের মেলায় মোট ১৫১টি স্টল স্থান পেয়েছে। মেলায় পবিত্র কোরআনের অনুবাদ, তাফসীর, হাদিসগ্রন্থসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মৌলিক ও গবেষণামূলক বিভিন্ন বই পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টলে সব বইয়ে দেওয়া হবে ৩৫ শতাংশ কমিশন। আরটিভি/একে-টি
জান্নাতে হুরদের চেয়েও বহুগুণে সুন্দরী হবেন যারা
টাকা ফেরতের আশ্বাসে প্রতারণা, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা জারি
জান্নাতের মূল্যবান সম্পদ যে আমল
লক্ষ্মীপূজা আজ
যেসব পদ্ধতিতে পানি পান করা সুন্নত
প্রতিটি কাজের সঙ্গেই জড়িত রয়েছে ইসলামের রীতি-নীতি। ইসলামি পদ্ধতি অনুযায়ী যে কাজ করা হবে তা সবই ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। খাওয়া ও পান করাও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। আমরা বেঁচে থাকার জন্য খাবার ও পানীয় গ্রহণ করে থাকি। এই পানি পানে কিছু ইসলামি নিয়ম ও পদ্ধতি রয়েছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে কি তোমরা চিন্তা করেছ? তোমরাই কি তা মেঘ হতে নামিয়ে আন, না আমি তা বর্ষণ করি? আমি ইচ্ছে করলে- তা লবণাক্ত করে দিতে পারি। তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না? (সুরা ওয়াক্বিয়া, আয়াত : ৬৮-৭০)। যেসব পদ্ধতিতে পানি পান করা সুন্নত ১. শুরুতে (বিসমিল্লাহ) পড়া এবং শেষে (আলহামদুলিল্লাহ) পড়া। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২/১০) ২. ডান হাতে পান করা। কেননা, শয়তান বাম হাত দিয়ে পান করে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/১৭২) ৩. বসে পান করা, দাঁড়িয়ে পান করা নিষেধ। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/১৭৩)  ৪. তিন নিঃশ্বাসে পান করা, নিঃশ্বাস ফেলার সময় গ্লাস থেকে মুখ আলাদা করা। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/১৭৪) ৫. গ্লাসের ভাঙা অংশের দিক দিয়ে পান না করা। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২/১৬৭) ৬. জগ ইত্যাদি বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান না করা। কেননা এতে বেশি পানি চলে আসার বা সাপ-বিচ্ছু থাকার আশঙ্কা থাকে। (বুখারি, হাদিস : ২/৮৪১; মুসলিম, হাদিস : ২/১৭৩)  ৭. পান করার পর অন্যজনকে দিতে হলে প্রথমে ডান পাশের জনকে দেওয়া। সেও তার ডান পাশের জনকে দেবে, এভাবেই চলবে। পানীয়ের ক্ষেত্রে এটাই নিয়ম।  (বুখারি, হাদিস : ২/৮৪০; মুসলিম, হাদিস : ২/১৭৪) ৮. অজু করার পর যে পাত্রে হাত দিয়ে পানি নেওয়া হয়, সে পাত্রের অবশিষ্ট পানি কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে পান করা। এতে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি হতে আরোগ্য লাভ হয়। (বুখারি, হাদিস : ৫৬১৬) আরটিভি/এফএ
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায় ও বিষাদের ধ্বনি বাজছে। চারদিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রোববার (১৩ অক্টোবর) পঞ্চমদিনে মর্ত্যলোক থেকে বিদায় নেবেন দেবী দুর্গা। এদিন বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর বিনাস্মৃতি স্নানঘাটে শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন। এদিকে বিসর্জন ঘিরে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, নৌ-পুলিশ ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট দল সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে। এর আগে দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে শঙ্খ আর উলুধ্বনি, খোল-করতাল-ঢাকঢোলের সনাতনী বাজনার সঙ্গে দেবী বন্দনার গানের মধ্য দিয়ে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে বুড়িগঙ্গা তীরের বিনাস্মৃতি স্নানঘাটে আসেন পুণ্যার্থীরা। ঢাকার বিভিন্ন পূজা উদযাপন পরিষদ হাজারো মানুষের শোভাযাত্রা নিয়ে বুড়িগঙ্গা তীরে আসে। এরইমধ্যে রোববার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার সময় বেঁধে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বছর ঢাকার ১১টি স্থানে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া যাবে। সেই স্থানগুলো হলো, লালবাগের ওয়াইজ ঘাট, লালকুঠি ঘাট, ওয়ারীর পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট, আলমগঞ্জ ঘাট, শীতলক্ষ্যা নদীর ঘাট ও বালু নদের ঘাট, উত্তরার আশুলিয়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট, রায়েরবাজার, মিরপুর আমিনবাজার ব্রিজের উত্তর পাশ, মতিঝিলের শ্রীশ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরের পাশের পুকুর এবং মতিঝিলের মান্ডা আমিন মোহাম্মদ লেক। এবছর রাজধানীতে প্রতিমা বিসর্জন শোভাযাত্রার সম্ভাব্য রুট হলো: ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে বের হয়ে পলাশী মোড়-জগন্নাথ হল-কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-দোয়েল চত্বর-হাইকোর্ট বটতলা-সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল-পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স-নগর ভবন-গোলাপশাহ মাজার-বঙ্গবন্ধু স্কয়ার-গুলিস্তান-নবাবপুর লেভেল ক্রসিং-নবাবপুর রোড-মানসী হল ক্রসিং-রথখোলার মোড়-রায়সাহেব বাজার মোড়-শাঁখারিবাজার-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-সদরঘাট বাটা ক্রসিং-পাটুয়াটুলী মোড়-সদরঘাট টার্মিনাল মোড় হয়ে ওয়াইজঘাটে গিয়ে শেষ হবে। আরটিভি /এএ/এআর
আজ ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম
আজ ১১ রবিউস সানি, বড় পির আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর ওফাত দিবস বা ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। মূলত, তার মৃত্যুর দিনটিকেই ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ হিসেবে পালন করা হয়।  ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম মুসলিম ধর্মীয় সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান, যা বিশেষভাবে সুফি প্রথার সঙ্গে সম্পর্কিত। ইসলামের অন্যতম সম্মানিত ব্যক্তি এবং মহান আধ্যাত্মিক নেতাদের একজন হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর পবিত্র আত্মার মাগফিরাতের জন্য এবং তার জীবনের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক নির্দেশনা স্মরণ করে এই দিনটি উদযাপিত হয়। হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) ছিলেন একজন মহান ইসলামী পণ্ডিত, সুফিসাধক এবং আধ্যাত্মিক নেতা; যিনি ১১১৬ সালে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং বিশেষত সুফিবাদে তার অবদান ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার জন্য বিখ্যাত। তাকে ‘গাউসুল আজম’ বা ‘সর্বোচ্চ সাহায্যকারী’ হিসেবেও ডাকা হয়। তার শিক্ষা অনুসারে, আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস, বিনম্রতা এবং মানবতার সেবা ছিল জীবনের মূল লক্ষ্য। ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উদযাপন ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম হিজরি বর্ষপঞ্জির ১১তম মাস রবিউস সানির ১১ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। ‘ফাতেহা’ শব্দটির অর্থ হলো মৃত ব্যক্তির আত্মার জন্য বিশেষ প্রার্থনা বা দোয়া করা, এবং ‘ইয়াজদাহম’ অর্থ ১১। সুতরাং, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম হলো তার মৃত্যুবার্ষিকীর ১১তম দিন উপলক্ষে করা ফাতেহা বা দোয়া। এই দিনে মুসলিম সম্প্রদায় বিশেষ করে সুফি তরিকায় বিশ্বাসীরা, কুরআন তেলাওয়াত করে, হজরত জিলানি (রহ.)-এর প্রতি সম্মান জানিয়ে বিভিন্ন দোয়া ও মোনাজাত করে। তার আধ্যাত্মিক শিক্ষা এবং জীবনের দৃষ্টান্তকে স্মরণ করে, অনেক মসজিদ এবং খানকাহে বিশেষ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়া দান-খয়রাত, গরিবদের মাঝে খাদ্য বিতরণ এবং মানবতার সেবা করার বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়। ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহমের গুরুত্ব ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম শুধুমাত্র একটি স্মরণীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর আধ্যাত্মিক শিক্ষা ও নীতি অনুসরণ করা, বিশেষ করে তার বিনম্রতা, আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থা এবং মানবতার প্রতি তার ভালোবাসা, মুসলিমদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে। ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম ইসলামী সংস্কৃতির একটি অংশ যা মুসলিমদের আধ্যাত্মিক জীবন ও ইসলামী ঐতিহ্যকে জীবিত রাখে। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় প্রার্থনা নয়, বরং একত্রিত হয়ে আল্লাহর পথে জীবন পরিচালনা করার একটি শিক্ষা। হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর শিক্ষা এবং তার জীবনধারার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায় তার স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখে।   আরটিভি/টিআই  
হজের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধনের শেষ সময় জানাল ধর্ম মন্ত্রণালয়
পবিত্র হজ পালনের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধনের শেষ সময় নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।  রোববার (১৩ অক্টোবর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ থেকে বিশেষ এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যেই হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে মিনা ও আরাফায় তাঁবু নির্ধারণ ও সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন কার্যক্রম ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। তাঁবু বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘আগে এলে আগে পাবেন’ নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে। এ কারণে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজযাত্রী নিবন্ধন শেষ না হলে মিনা ও আরাফায় কাঙ্ক্ষিত জোনে তাঁবু বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। তাঁবু গ্রহণ ও সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে দেরি হলে হজযাত্রীদের জামারাহ থেকে অনেক দূরে পাহাড়ি এলাকা কিংবা নিউ মিনা এলাকায় অবস্থান করতে হবে। ফলে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে দীর্ঘপথ হাঁটতে হবে, যা হজযাত্রীদের জন্য কষ্টকর হবে। সে কারণে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে হজগমনেচ্ছু ব্যক্তিদেরকে আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে তিন লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আরটিভি/এসএইচএম  
প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব
মণ্ডপে মণ্ডপে বিষাদের সুর, ঘরে ঘরে উপলক্ষ মন খারাপের। কারণ, প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।  হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন দেবীদুর্গা। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা জানান, ঢাক-কাঁসরের বাদ্যি-বাজনা, রাত্রি উজ্জ্বল করা আরতি, পূজারি-ভক্তদের পূজা অর্চনা কেবলই আজ দেবী দুর্গার বিদায়ের কথা বলছে। অশ্রুসজল চোখে দেবীকে বিদায় দিয়ে এই উৎসবের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও একটি বছর।  তারা আরও জানান, শাস্ত্রীয়ভাবে দুর্গাপূজা শনিবারই শেষ। তবে প্রতিমা বিসর্জন, সিঁদুর খেলাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে আজ। জানা গেছে, বিজয়া দশমীতে সারাদেশে স্থানীয় আয়োজন ও সুবিধামতো সময়ে বিজয়ার শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। সর্বত্র বিসর্জন শেষে ভক্তরা শান্তিজল গ্রহণ করবেন। এদিকে, বিজয়া শোভাযাত্রা উৎসবমুখর ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রস্তুত রয়েছে ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইমসিন ও সোয়াত টিম। রাজধানীতে বিসর্জন শোভাযাত্রার সম্ভাব্য রুট ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে বের হয়ে পলাশী মোড়-জগন্নাথ হল-কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-দোয়েল চত্বর-হাইকোর্ট বটতলা-সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল-পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স-নগর ভবন-গোলাপশাহ মাজার-বঙ্গবন্ধু স্কয়ার-গুলিস্তান-নবাবপুর লেভেল ক্রসিং-নবাবপুর রোড-মানসী হল ক্রসিং-রথখোলার মোড়-রায়সাহেব বাজার মোড়-শাঁখারিবাজার-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-সদরঘাট বাটা ক্রসিং-পাটুয়াটুলি মোড়/সদরঘাট টার্মিনাল মোড় হয়ে ওয়াইজঘাট গিয়ে শেষ হবে। বিজয়া দশমী উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে। এ ছাড়া সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ সংখ্যা ও নিবন্ধ। পাশাপাশি শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।  আরটিভি/আইএম
আজ বিজয়া দশমী, মণ্ডপে মণ্ডপে বিষাদের ছায়া
আজ শুভ বিজয়া দশমী। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। তাইতো মণ্ডপে মণ্ডপে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয় ৫ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে।  হিন্দু সনাতন শাস্ত্রমতে, নবমী তিথিতে রাবণ বধের পর রাজা শ্রী রামচন্দ্র এই পূজা করেছিলেন। নীলকণ্ঠ ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় নবমী বিহিত পূজা। নবমী পূজার মাধ্যমে মানবকুলে সম্পদ লাভ হয়। তাই শাপলা, শালুক ও বলিদানের মাধ্যমে দশভুজা দেবীর পূজা হয়েছে। নীল অপরাজিতা ফুল মহানবমী পূজার বিশেষ অনুষঙ্গ। নবমী পূজায় যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হয়। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ ও ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়। এ বছর দেবী দুর্গার আগমন করেছেন দোলায়। পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে ফলাফল হয় মড়ক; যা শুভ ইঙ্গিত নয়। এ ছাড়াও দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্রমতে দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল ছত্রভঙ্গ হয়। এটি যুদ্ধ, বিগ্রহ, আশান্তি, বিপ্লবের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। দুর্গতি নাশিনী মহিষাসুর মর্দিনীর আরাধণা শেষ হলে কৈলাশে স্বামীগৃহে ফিরবেন দেবী দুর্গা।  বছরান্তে দেবী দুর্গার আগমনে মন্দিরে মন্দিরে বেজে ওঠা ঢাক-ঢোল, ঘণ্টা আর শঙ্খধ্বনিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে আবহমান বাংলা। মন্দিরে মন্দিরে মন্ত্র উচ্চারণ আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বিশ্বের অশুভ শক্তিকে তাড়িয়ে শুভকামনা করা হয়। মহানবমীতে রাজধানীর বিভিন্ন মন্দিরে ভক্তের ঢল নামে। হাজার হাজার হিন্দু ভক্ত ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন মন্দিরে মন্দিরে দেবী দর্শনে আসেন। বিশেষ করে এদিন পুরান ঢাকার বিভিন্ন গলিতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।  রাজধানীর বেশ কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মণ্ডপগুলোতে সকাল থেকে মানুষের আনাগোনা দেখা যায়, যা বিকেলের দিকে ভিড়ে পরিণত হয়। বিশেষ করে বাবা-মায়ের সঙ্গে শিশুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা নতুন পোশাকে পরিবারের সঙ্গে এসেছে। বাসায় ফেরার সময় মণ্ডপগুলোর বাইরে অস্থায়ীভাবে বসা দোকানপাট থেকে বাহারি সব খাবারসহ নানা ধরনের জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যাচ্ছে। শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়। মণ্ডপ প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয় বর্ণিল তোরণ। বিভিন্ন পূজামণ্ডপে এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।  বিজয়া দশমীর সরকারি ছুটির দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। এ ছাড়া জাতীয় দৈনিকগুলো এ উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছে।  সূত্র: বাসস আরটিভি/এমকে
সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানো গেলে ৪০ শতাংশ খরচ কম পড়বে: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সমুদ্রপথে জাহাজে হজযাত্রীদের পাঠানো গেলে বিমান থেকে ভাড়া ৪০ শতাংশ খরচ কম পড়বে। তিনি বলেন, জাহাজে হাজিদের পাঠানো হলে চার্টার শিপ ভাড়া করতে হবে। এটা করতে গেলে আমাদের দুই হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি আমাদের কর্জ দেয়, তাহলে আমরা এটা করতে পারব। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।   তিনি আরও বলেন, সৌদি সরকার থেকে অনুমোদন পেলে সরকারের অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করে দুই হাজার কোটি টাকা যদি তারা ঋণ দেন, তাহলে হাজিদের নেওয়া হবে। একটা শিপিং কোম্পানি জানিয়েছে, তারা লাভের আশায় নয়, সওয়াবের আশায় এটা করবে। এটা করা হলে বিমানের থেকে ৪০ শতাংশ ভাড়া কম লাগবে জাহাজে। আমাদের বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শিপিং কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। সরকার হজ প্যাকেজে খরচ কমানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে বৈঠক করেছি, তারা ভাড়া কমানোর ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। তবে কত কমাবে, তারা তা বলেনি। আমরা আশা করছি, হজ প্যাকেজ যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারব। ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম-মতের মানুষের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। ধর্মে অধিকার, ব্যবসা–বাণিজ্যের অধিকার, লেখাপড়া করার অধিকার, চাকরি পাওয়ার অধিকার। সব অধিকারের ক্ষেত্রে আমাদের দরজা সব সময় খোলা এবং আগামী দিনেও এই অধিকার সংরক্ষণ করার জন্য আমরা সচেষ্ট আছি এবং থাকব। দুর্গাপূজায় নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত দুদিন যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে পূজা হয়ে আসছে। আমাদের প্রত্যাশা, আশা, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন করা সম্পন্ন হবে। এ পর্যন্ত আমাদের কাছে বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর নেই। নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মাদরাসার প্রিন্সিপাল হেফাজতে ইসলামের জেলার সাবেক সহসভাপতি আবু তাহের জিহাদী। এতে বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এফআই