• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
আমি মারা যাইনি, সুস্থ আছি: রুবেল
জন্মদিনের গান হয়ে বেঁচে থাকুক তার চলে যাওয়া: পরীমণি
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ফিরে এলে না’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী ও ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের সংগীতাঙ্গনে। সবাই যে যার মতো করে স্মৃতি রোমন্থন করছেন, জানাচ্ছেন সমবেদনা। জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর মৃত্যুতে পরীমণিও হয়েছেন শোকস্তব্ধ। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) মাঝরাতে কিংবদন্তি এই ব্যান্ডতারকাকে সবুকে নিজের বিষণ্ন বদনের একটি ছবি প্রকাশ করেন। ক্যাপশনে লেখেন, আজ জন্মদিন তোমার হয়ে রয়ে যাবে চিরকাল। জন্মদিনের গান হয়ে বেঁচে থাকুক তার চলে যাওয়া। এরপর নায়িকা লিখেছেন, প্রিয় শাফিন আহমেদ আমরা আপনাকে মিস করব সারাজীবন। এর আগে, শাফিনকে নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন আরও অনেকে। নিজের ফেসবুকে তার গানের কয়েকটি লাইন তুলে দিয়ে জেমস লিখেছেন, চাঁদ তারা সূর্য নও তুমি, নও পাহাড়ি ঝরনা/ যদি বলি ফুল তবুও হবে ভুল/ তোমার তুলনা হয় না। এরপর নগরবাউল লিখেছেন, বিনম্র শ্রদ্ধা বাংলাদেশের মাইলস ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের প্রতি। শোকস্তব্ধ দর্শক-শ্রোতাদের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা। আসুন আমরা সকলে তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।’ এ ছাড়া কুমার বিশ্বজিৎ, নকীব খান, প্রিন্স মাহমুদসহ আরও অনেকে আহাজারি করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় শো করতে গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদ। শো’য়ের আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্তরা হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সেপ্টেম্বরে মুখোমুখি শাকিব-সিয়াম
আপাতত মামলাটা জিততে চাই: ববি
অবশেষে প্রকৃত স্বজন খুঁজে পেলেন পরীমণি
এই কোটা আসলে কাদের জন্য, প্রশ্ন সোহেল রানার
কোটা আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করে তোপের মুখে শিরিন শিলা
গত কয়েক দিন ধরেই কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশজুড়ে বিরাজ করছে অস্থিরতা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরবেন না শিক্ষার্থীরা। সাধারণ জনগণের পাশাপাশি শোবিজের তারকারাও চলমান ইস্যুতে সরব রয়েছেন। নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদও জানাচ্ছেন তারা। অনেকেই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকলেও এর ব্যতিক্রম চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। ছাত্র-ছাত্রীদের কটাক্ষ করেছেন তিনি। নিজের ফেসবুকে শিরিন শিলা লিখেছেন, কিসের এতো আন্দোলন ভাই? সুখে থাকতে ভূতে কিলায়।  তবে শিরিন শিলার এ কথা ভালোভাবে নেননি নেটাগরিকরা। একজন লিখেছেন, মাথা ঠিক আছে? শিরিন শিলা উত্তরে বলেছেন, আন্দোলন করে নিজের জীবন হারানোর কোনো মানে হয় না । সবার একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ আছে । নিজের পরিবারের কথা ভাবা উচিত। তবে শিরিন শিলার এ উপদেশ কানে নেননি কেউ। উল্টো তাকে করেছেন তুলোধুনো। একজন লিখেছেন, ওরে পাবনায় নেয়ার ব্যবস্থা কর। অন্য একজন লিখেছেন, আপনি কি স্বাভাবিক আছেন। আরেক নেটাগরিক লিখেছেন, আপনি কি স্বাভাবিক আছেন। দুই-একজন অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়েছেন এ নায়িকাকে।  এদিকে অনেক নির্মাতা এই নায়িকাকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি সাংবাদিকরাও বয়কটের কথা বলছেন। সাংবাদিক আহমেদ তেপান্তর ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেন, শিরিন শিলা নামের এক চিত্রনায়িকার এমন মন্তব্য কাটা ঘাঁয়ে নুনের ছিটার মতো। আজ থেকে তার সংবাদ কাভারেজ বন্ধ। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ‘হিটম্যান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন শিরিন শিলা। ক্যারিয়ারে জনপ্রিয় বা আলোচিত কোনো সিনেমা নেই তার। সিনেমার বাইরে ব্যক্তিজীবনের নানা কর্মকাণ্ড নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি।
তাজা প্রাণগুলো ঝরে গেল, দায় কে নেবে: চঞ্চল
কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রাজপথে শিক্ষার্থীরা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় উত্তাল নেটদুনিয়া। অন্যান্যদের মতো গত কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সরব রয়েছেন শোবিজ তারকারাও। পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন তারাও। পিছিয়ে নেই জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীও।   বুধবার (১৭ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।   পাঠকদের জন্য চঞ্চলের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো— ‘পেশাগত কাজে প্রায় বিশ দিন আমেরিকা থাকার পর গতকাল রাতে ঢাকায় ফিরেছি। সেখানে বসে এই কদিন নিউজগুলো দেখে হতবাক হয়েছি!  সমাধানের অন্য কোনো পথ কি খোলা ছিল না? গুলি কেন করতে হলো? বুকের রক্ত না ঝরিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেত না? যা ঘটে গেল এটা যেমন মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়, বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক এবং সভ্যতা বহির্ভূত। আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ এবং অভিভাবক হিসেবে রাজনীতির এত এত কঠিন কৌশল বুঝি না! শুধু একটা প্রশ্ন বুঝি, তরুণ তাজা যে প্রাণগুলো অকালে ঝরে গেল, তার দায় কে নেবে? যে মায়ের বুক খালি হলো, তার আর্তনাদ কি কোনো জনমে শেষ হবে? হায়রে দুর্ভাগা দেশ! নোংরা রাজনীতির নামে এই রক্তপাত বন্ধ হোক!’ পোস্টটি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মন্তব্যের ঝড় উঠেছে চঞ্চলের কমেন্টসবক্সে। অভিনেতার ভাবনাকে সমর্থন জানিয়েছেন নেটিজেনরাও। একজন লিখেছেন, ‘এই প্রথম আমি আপনার কোনো পোস্টে কমেন্ট করলাম। প্রতিবাদ হোক প্রতিটা জায়গা থেকে।’  আরেক নেটিজেন লেখেন, ‘ধন্যবাদ প্রিয় অভিনেতা। আপনার থেকে এমন একটি বিবৃতি আশা করছিলাম।’ এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে অভিনেতার কমেন্টবক্সে।  
কোটা আন্দোলন / লাল সবুজের পতাকায় আজ কেন এত লাল: আফরান নিশো
কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রাজপথে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন। যেকোনো মূল্যেই কোটা সংস্কার চান শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন তারা। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শোবিজ তারকারাও। অন্যান্যদের মতো শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সরব অভিনেতা আফরান নিশোও।  বুধবার (১৭ জুলাই) নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন এই অভিনেতা। সেখানে দেশের একটি কবিতা শেয়ার করেছেন তিনি। নিশোর পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো—    আমার সোনার বাংলা আমাদের প্রাণ.. লাল সবুজের পতাকা সবুজের মাঝে লাল... বাবা মুক্তিযোদ্ধা  চেতনা- লড়ব যদি যাক প্রাণ.. লাল সবুজের পতাকা.... তাদেরই প্রতিদান তাদের আত্মত্যাগের ঘ্রাণ.. তবে আজ... কেন এতো..... লাল??? সবুজে লাল খুজি.. লালে নয় সবুজ পতাকা হচ্ছে রক্তাক্ত... পুরো জাতি কি আজ অবুঝ? বলেন না?   মা বলেন ...আর চাইনা লাল.. ফিরিয়ে দাও.. আমার সবুজ।  লাল সবুজের পতকায় আজ কেন এত লাল? শান্তি চাই হোক সংস্কার অপমান চাইনা রক্তাক্ত রাজপথ চাইনা হোক সমাধান লাল সবুজের পতাকায় আর তো লাল চাই না।  প্রসঙ্গ, সর্বশেষ আফরান নিশোকে দেখা গেছে ‘সুরঙ্গ’ সিনেমায়। এটি নির্মাণ করেছিলেন রায়হান রাফী। নিশো ছাড়া সিনেমায় আরও অভিনয় করেছিলেন তমা মির্জা, শহীদুজ্জামান সেলিমসহ অনেকে। এছাড়া সিনেমার আইটেম গানে পারফর্ম করেন নুসরাত ফারিয়া।
কোটা আন্দোলন / সেই আবু সাঈদকে নিয়ে মুখ খুললেন সুবাহ
বর্তমানে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে উত্তাল সারাদেশ। যেকোনো মূল্যেই কোটা সংস্কার চান শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন তারা।  কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২২) নিহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এরপরই ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই।  আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে চিত্রনায়িকা শাহ হুমায়রা সুবাহ বুধবার (১৭ জুলাই) নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।    পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো— ‘আবু সাঈদ আমার ভাই সে আমার দাদার দেশের মানুষ। বাড়ি পীরগঞ্জ রংপুর। তাকে তো মেরে ফেলা হয়েছে দেখেছেন সবাই। শুধু আমার না আপনারও ভাই। আমি সুবাহ ১৯৭১ দেখিনি, কিন্তু আবু সাইদকে বীরের মতো শহীদ হতে দেখেছি। কথা হলো কে নেবে তার প্রতিশোধ, আপনি? আমি? আমরা!! হা হা হা কেউ না। আজ এত হইচই করছেন যারা তারাই কালকে নীরব হয়ে যাবেন।  সবাই ভুলে যাবে সবকিছু। বাংলাদেশে এক জিনিস বেশি দিন চলে না রে ভাই। অনেক কিছুই লিখতে চাই, কিন্তু আমরা তো গোলাম তাই চাইলেও লিখতে পারবেন না, মন খুলে উচিত কথা বলতে পারবে না। আগে বাক-স্বাধীনতার জন্য প্রতিবাদ করুন, তারপর না হয় অন্য কিছু।’ 
কোটা আন্দোলন / সব ধরনের সংঘাতের সমাপ্তি চাই: শাকিব
কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রাজপথে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় উত্তাল নেটদুনিয়া। আহত হয়েছেন প্রায় কয়েক শ’ ছাত্র-ছাত্রীও। এতে নিন্দার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শোবিজ তারকারাও। অন্যান্যদের মতো শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলায় প্রতিবাদে সরব হন চিত্রনায়ক শাকিব খানও। বুধবার (১৭ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। পোস্টের ক্যাপশনে শাকিব লিখেছেন, ‘আমার প্রাণের বাংলাদেশ এভাবে রক্তাত হতে পারে না। কারও মা-বাবার বুক এভাবে খালি হতে পারে না। আপনারা যারা অভিভাবক পর্যায়ে আছেন, তাদের কাছে অনুরোধ রইল। এখনই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এই সংকটের যৌক্তিক সমাধান বের করুন। সব ধরনের সংঘাতের সমাপ্তি চাই।’ প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ‘তুফান’ সিনেমায় দেখা যায় শাকিবকে। এটি নির্মাণ করেছেন রায়হান রাফী। সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেন পশ্চিমবঙ্গের নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। গেল ঈদুল আজহায় দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। অন্যদিকে গত ৫ জুলাই ভারতে মুক্তি পায় সিনেমাটি। 
গুলি করা পুলিশ ভাই কি কাল রাতে ঘুমাতে পেরেছেন: শাওন
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে উত্তাল সারাদেশ। রাজপথে নেমে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের রেশ ধরে ছাত্রলীগের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ ঘটনায় শতাধিক ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন ৬ জন। আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশের মানুষ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে যখন সারাদেশ উত্তাল, তখন তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শোবিজ তারকারাও। ছাত্র-ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলায় প্রতিবাদে সরব হন।  বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন লেখেন, বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো এই নিরস্ত্র মানুষটাকে সরাসরি গুলি করা পুলিশ ভাই কি কাল রাতে ঘুমাতে পেরেছেন? উনার কি কোনো সন্তান আছে? সেই সন্তানের চোখের দিকে তাকাতে উনার কি একটুও লজ্জা লাগবে না! সেইসঙ্গে তিনি হ্য্যাশট্যাগ যোগ করে জানান, তিনি কোটা সংস্কারের পক্ষে।
কোটা আন্দোলন / ফেসবুকে পোস্ট করে বিপত্তিতে নিপুণ
কোটা সংস্কারের এক দফা দাবির আন্দোলনে উত্তাল দেশ। আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এতে নিন্দার ঝড় বইছে নেটদুনিয়ায়।  এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শোবিজ তারকারাও। অন্যান্যদের মতো শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলায় প্রতিবাদে সরব হন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারও।  বুধবার (১৭ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার করে একটি বিবৃতি শেয়ার করেছেন নিপুণ। আর এতেই বিপত্তিতে পড়েন এই নায়িকা।  বিবৃতিতে নিপুণ বলেছেন, ‘বাঙালির সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় ১৯৭১ এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সর্বস্ব বাজি রেখে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে স্বাধীন সার্বভৌম এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের এই ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারবো না। কিন্তু বাঙালি তার শেষ বিন্দু রক্ত দিয়ে হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে যাবে।’ বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে আমাদের কিংবা রাষ্ট্র কারও কোনো বিভেদ নেই। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর যেকোনো যৌক্তিক রাজনৈতিক বা সামাজিক আন্দোলনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। কিন্তু এই কোটা আন্দোলনকে ইস্যু করে যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করছেন এবং রাজাকারদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মনে রাখতে হবে… তুমি কে?, আমি কে?, বাঙালি, বাঙালি… এই শ্লোগান বাঙালি জাতির সবচেয়ে গর্বের শ্লোগান। জয় বাংলা।’ এদিকে শিল্পী সমিতির অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার করে বিবৃতি দেওয়ায় নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছেন নিপুণ। বর্তমানে সংগঠনটির কোনো পদ ও পদবিতে নেই তিনি।   তাহলে কীভাবে সমিতির অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার করলেন নিপুণ? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। রীতিমতো চিত্রনায়িকার কমেন্ট বক্সে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যের ঝড় উঠেছে নেটিজেনদের। যদিও এসব মন্তব্যে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি এই নায়িকা।