• ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১
logo
রানী-কাজলের ভিডিও ভাইরাল, খোঁজ পড়ল শাহরুখের
যে কারণে কলকাতার রাস্তায় পোশাক বদলাতে বাধ্য হন বিদ্যা বালান
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর অন্যতম সুপারহিট সিনেমা ‘কাহানি’। এই সিনেমার শুটিং হয়েছে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায়। কলকাতার অলিতে গলিতে শুটিং করতে অকেটাই বেগ পেতে হয়েছিল তাকে।   এমনকি কলকাতার রাস্তায় পোশাক বদলাতেও বাধ্য হন বিদ্যা। সম্প্রতি জানা গেল,  ‘কাহানি’র শুটিং চলাকালীন কিছু অজানা খবর। সিনেমাটি নির্মাণ করেন পরিচালক সুজয় ঘোষ। নির্মাণ ক্যারিয়ারের পরিচালক হিসেবে এটিই ছিল তার প্রথম হিট সিনেমা।  ভারতীয় গণমাধ্যমে সুজয় বলেন, সিনেমাটি নির্মাণের সময় ভ্যানিটি ভাড়া নেওয়ার মতো সামর্থও ছিল না আমাদের। তা ছাড়া শুটিং থামিয়ে পোশাক বদলাতে যাওয়া ছিল অনেকটাই বিলাসিতা। এত টাইট বাজেটে কাজ করেছিলাম আমরা। তাই বাধ্য কলকাতার রাস্তায় পোশাক বদলাতে হয় বিদ্যাকে।  তিনি আরও বলেন, যতবারই তিনি পোশাক বদলেছেন, আমরা কালো কাপড় দিয়ে তার ইনোভা ঢেকে দিতাম। এভাবেই ভিতরে পোশাক বদলাতেন তিনি। তবে বিদ্যার মতো প্রতিষ্ঠিত নায়িকার কাছে এভাবে পোশাক বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না। তবুও তিনি মানিয়ে নিয়ে কাজটা শেষ করেন।   জানা গেছে, ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘কাহানি’যেন সুজয়ের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ৮০ কোটি দিয়ে নির্মিত সিনেমাটি ১০০ কোটিরও বেশি ব্যবসা করে বক্সঅফিসে। আর সে সময় ১০০ কোটির ঘর ছাড়িয়ে যাওয়া যে কোনো সিনেমার কাছেই ছিল বিশাল ব্যাপার। প্রসঙ্গত, আগামীতে শাহরুখ খানের সিনেমা নিয়ে আসছেন সুজয়। যেখানে প্রথমবার মেয়ে সুহানার সঙ্গে কাজ করবেন বলিউডের এই বাদশাহ। অন্যদিকে, ‘ভুল ভুলাইয়া থ্রি’ দিয়ে ফিরছেন বিদ্যা। ইতোমধ্যেই সিনেমাটির প্রথম ঝলক নজর কেড়েছে সবার।   আরটিভি/এইচএসকে  
‘মধ্যরাতে এক নায়ক আমার বেডরুমে ঢুকতে চেয়েছিলেন’
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে হুইল চেয়ারে বসেই ‘উড়ন্ত চুমু’ দিলেন গোবিন্দ
দেশের কোনো পিতা নেই: কঙ্গনা
গুলিবিদ্ধ গোবিন্দর জবানবন্দিতে সন্তুষ্ট না পুলিশ, খুঁজছে রহস্য
বিরাট-আনুশকার বিয়ের গোপন তথ্য ফাঁস
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ইতালির ফ্লোরেন্সে গিয়ে রাজকীয় আয়োজনে বিয়ে করেছিলেন ভারতীয় তারকা দম্পতি বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা। তাদের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা বিটাউনে থাকলেও বিয়ে নিয়ে একেবারেই নীরব ছিলেন দুজন। এবার জানা গেল, বিরাট-আনুশকার বিয়ের গোপন তথ্য।   বিরাট-আনুশকার বিয়ের সংগীতশিল্পী গুরুদাস। সেখানে বেশ কিছু পাঞ্জাবি গান গেয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিরাট-আনুশকার বিয়ের গোপন তথ্য জানালেন এই গায়ক।  অনুষ্ঠানে পাঞ্জাবি গানের কথা নাকি বুঝতে পারছিলেন না আনুশকা। উল্টো দিকে পাঞ্জাবি সংস্কৃতিতেই বড় হয়েছেন বিরাট। এ প্রসঙ্গে গুরুদাস বলেন, গান গাওয়ার সময় দেখতে পাই আনুশকার কানে কানে কিছু বলছেন বিরাট। পরে তিনি বুঝতে পারেন, পাঞ্জাবি গানের কথা অনুবাদ করে তাকে বোঝাচ্ছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বিরাট আমাকে খুবই ভালোবাসেন। আমি ভাবছিলাম, তিনি সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমাকে এত ভালোবাসা সত্ত্বেও একবারও ডাকলেন না! কিন্তু সংগীতশিল্পীর জন্য এক চমকের ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন বিরাট। গুরুদাস জানতেনই না দিল্লিতে কার প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে তিনি গান গাইতে যাচ্ছেন। তারপর থেকে দিল্লিতে বহু দম্পতির বিয়েতে গান গেয়েছেন গুরুদাস। বিরাট-আনুশকার বিয়ের আনুষ্ঠানে যে গানগুলো গেয়েছিলেন, সেই গানগুলোই বারবার অনুরোধ আসে বলে জানান এই পাঞ্জাবি সংগীতশিল্পী। আরটিভি/এইচএসকে  
রণবীরের নগ্ন ফটোশুট নিয়ে মুখ খুললেন দীপিকা
এক সময়ে ছোট পর্দার আকর্ষণ ছিল ধারাবাহিক ‘শক্তিমান’। সেই ধারাবাহিক ছবির আকারে তৈরি হচ্ছে। ‘শক্তিমান’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন রণবীর সিংহ। কয়েক বছর আগে এই খবরই ছড়ায়। কিন্তু, কাল হল রণবীরের উন্মুক্ত ফটোশুট? সেই ফটোশুট দেখে চটে গিয়েছিলেন স্বয়ং ‘শক্তিমান’ তথা মুকেশ খন্না। তার আপত্তিতেই কি রণবীরের শেষ পর্যন্ত ‘শক্তিমান’ সাজা হল না? সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে মুকেশ সেই নগ্ন ফটোশুট নিয়ে বলেন, রণবীর আসলে নগ্ন হয়ে ফটোশুট করেনি। ও আমাকে বলেছিল, ফটোশুটের সময় ও অন্তর্বাস পরেছিল। কিন্তু আমার মনে আছে, সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে ও জানিয়েছিল, নগ্ন ফটোশুটে ও যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ বোধ করেছিল। রণবীর স্বচ্ছন্দ হতে পারে। কিন্তু এই ছবি দেখে আমরা স্বচ্ছন্দ নই। এমন উন্মুক্ত ফটোশুট করায় স্ত্রী হিসেবে দীপিকা পাড়ুকোন কেন কোনো আপত্তি জানাননি? প্রশ্ন তোলেন মুকেশ। তিনি বলেন, ‘রণবীরের স্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে বেশ স্বচ্ছন্দ ছিলেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনই মন্তব্যে করেছিলেন ওঁরা। দীপিকা কোনো আপত্তিই জানাননি। যে কোনো মহিলার স্ত্রী হিসাবে আপত্তি জানানোর কথা এমন পরিস্থিতিতে। এত আধুনিক হওয়ার তো দরকার নেই।’ রণবীর নাকি ‘শক্তিমান’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী ছিলেন। এই ইচ্ছে তিনি মুকেশ খন্নার কাছেও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু রাজি হননি মুকেশ। কারণ স্বরূপ বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, ‘এই চরিত্রের মুখে যে বিষয়টি প্রয়োজন সেটা রণবীরের মধ্যে নেই। রণবীর খুবই ছটফটে। দেখে মনে হয়, ও কথা দিয়ে অন্যদের ভোলাতে পারে।’  
গুলিবিদ্ধ হয়ে আইসিইউতে অভিনেতা গোবিন্দ
নিজের রিভলভারের গুলিতে-ই আহত হয়েছেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। এরপর গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এ অভিনেতা। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ এ দুর্ঘটনা ঘটে। গোবিন্দের ম্যানেজার শশী সিংহ আনন্দবাজারকে জানান, কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ব্যক্তিগত পিস্তলটি রাখতে গেলে সেটি হাত থেকে মাটিতে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত গুলি বের হয়ে যায়। এতে গোবিন্দের পায়ে গুলি লাগে। প্রসঙ্গত, পায়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় আপাতত আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন গোবিন্দ। চিকিৎসকদের এক বিশেষ দল তার চিকিৎসা করছেন। আরটিভি / এএ 
গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে গোবিন্দ
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলিউড অভিনেতা গোবিন্দকে। নিজের রিভলভারের গুলিতেই আহত হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ভোরে শুটিংয়ে বের হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই সূত্র অনুযায়ী, গোবিন্দর পায়ে গুলি লেগেছে। এদিন ভোর ৫টায় শিবসেনা নেতার বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। তখন নিজের রিভলভার পরিষ্কার করার সময়ে ভুলবশত গুলি বেরিয়ে তার হাঁটুতে লাগে ।  গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন গোবিন্দ। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। দ্রুত তাকে মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে নিয়ে ক্রিটিকাল কেয়ার বিভাগে ভর্তি করা হয়।  হাসপাতাল সূত্রের খবর, গোবিন্দর শরীর থেকে অনেকটা রক্তপাত হয়েছে। আপাতত অভিনেতাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা।   তবে ঠিক কীভাবে গোবিন্দর নিজের রিভলভার থেকে বেরিয়ে তার পায়ে লাগল, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। ইতোমধ্যে বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।    আরটিভি/এইচএসকে-টি
সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতে ছেলের গ্রেপ্তারের ঘটনা টানলেন শাহরুখ
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান সম্প্রতি আইফা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সেরা অভিনেতার খেতাব জিতেছেন। বক্স অফিস হিট করা সিনেমা ‘জওয়ান’ এর জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এত আনন্দের সময়েও দুঃসময়ের কথা মনে পড়ে গেল শাহরুখ খানের। পুরস্কার গ্রহণের পর মঞ্চে অভিনেতার বক্তব্যে উঠে আসে ছেলে আরিয়ান খানের প্রসঙ্গ। যেখানে স্ত্রী গৌরী খানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান শাহরুখ। বছরখানেক আগে মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আরিয়ান খানকে। কারাগারেও ছিলেন শাহরুখ পুত্র। ছেলের গ্রেপ্তারের পর কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন কিং খান ও তার পরিবার।  এদিন আইফা সেরা অভিনেতার খেতাব জেতার পর শাহরুখ জানান, ছেলেকে গ্রেপ্তারের সেই কঠিন সময়ে তার পাশে ছিলেন স্ত্রী গৌরী খান।  শাহরুখ বলেন, ছবি করতে গেলে টাকার দরকার পড়ে। এটা আমাকে কেউ মনে করিয়ে দিয়েছিল। তাই আমি গৌরীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। গৌরীই বোধ হয় একমাত্র স্ত্রী, যিনি স্বামীর জন্য বিপুল অর্থব্যয় করেন। আমাদের ক্ষেত্রে উল্টোটা সচরাচর হয় না। ‘জওয়ান’ ছবি তৈরির সময়ে আমরা খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। ‘জওয়ান’ সিনেমার প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন শাহরুখপত্নী। কয়েকশত কোটি টাকা খরচ করে সে সময় শাহরুখের এই ছবি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। শাহরুখ সেই প্রসঙ্গই টেনে আনেন।  ২০২১-এর অক্টোবরে আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। একটি ক্রুজ পার্টি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় এক মাস কারাবাসে ছিলেন শাহরুখ-পুত্র। এই অধ্যায়কেই কঠিন সময় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। কারণ তখন ‘জওয়ান’ ছবির শুটিংও চলছিল। প্রসঙ্গত, ‘জওয়ান’ ছবিতে শাহরুখ ছাড়াও অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন, বিজয় সেতুপতি, নয়নতারা। এই ছবি বক্স অফিসে আলোড়ন ফেলেছিল।  ২০২৩-এ ‘জওয়ান’ ছাড়াও মুক্তি পায় শাহরুখের ‘পাঠান’ ও ‘ডাঙ্কি’। ‘পাঠান’কে বলিউডে শাহরুখের কামব্যাক ছবি হিসেবে মনে করা হয়। আগামীতে শাহরুখকে দেখা যাবে ‘কিং’ ও ‘টাইগার ভার্সাস পাঠান’ ছবিতে। আরটিভি /এএ/এআর 
আইনি লড়াই নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
হলিউডের দুই জনপ্রিয় মুখ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিট। অভিনয় করতে গিয়েই পড়ে যান প্রেমে। দীর্ঘ ১০ বছর প্রেমের পর ২০১৪ সালে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের মাত্র দুই বছর পর বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। এরপর শুরু হয় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিটের আইনি লড়াই। অবশেষে এসব লড়াই থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোলি। পিপলের প্রতিবেদন বলছে, ঘটনার শুরু ২০২২ সালে, সে সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। জেন ডো ছদ্মনামে আদালতে তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ঘটনা নিয়ে পিটের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলার সঠিক তদন্ত হয়নি। অবশেষে এই অভিযোগ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোলি। অভিনেত্রী বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আদালতকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। এফবিআইয়ের কাছে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট জেটে করে সন্তানদের নিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছিলেন দুই তারকা। এই সময়ে জোলি এবং পিটের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জোলিকে ঘাড় ধাক্কা দেন পিট, সেই সঙ্গে তার মাথা ধরে ঝাঁকান। এমনকি এক পর্দায়ে সন্তানদের সঙ্গেও খারাব ব্যবহার করেন ব্র্যাড পিট। এক সন্তানের গলা চেপে ধরেন, অন্যজনের মুখ চেপে ধরেন। এ ছাড়া জোলি ও সন্তানদের গায়ে মদ ছুড়ে মারেন ব্র্যাড পিট। তবে শুরু থেকেই জোলির এ অভিযোগ অস্বীকার করছিলেন ব্র্যাড পিট। তবে জোলির অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে এফবিআই ও লস অ্যাঞ্জেলেস কান্ট্রি ডিপার্টমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি সার্ভিসেস। একই বছরের নভেম্বরে এফবিআইয়ের এক মুখপাত্র জানান, এ ঘটনায় ব্র্যাড পিটের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাননি তারা। এই রায়ের পর একেবারের সন্তুষ্ট ছিলেন না জোলি। তাই তিনি ২০২২ সালে এ তদন্তের নথি খতিয়ে দেখার দাবি তোলেন জোলি। তবে এবারই লড়াই শেষ করতে চাচ্ছেন অভিনেত্রী। তাই এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে করা অভিযোগটি তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।  আরটিভি/এএ-টি 
বাংলাদেশি পরিচয় দেওয়া নীল ছবির তরুণীকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মহারাষ্ট্রের উলহাসনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাংলাদেশি এক তরুণীকে। যার নাম রিয়া অরবিন্দা ভার্দে এবং যিনি নীল ছবির অভিনেত্রী বলে দাবি করা হচ্ছে। রিয়া নামের ওই নারীকে গ্রেপ্তারের পর তাকে ‘বাংলাদেশি নীল তারকা’ তকমা দেওয়ায় রীতিমতো সমালোচনা শুরু হয় নেটিজেনদের মাঝে। কেউ কেউ বলছেন, রিয়া নামের কোনো তারকাকে চেনেন না তারা। কেউ বলছেন, বাংলাদেশের কোনো নাটক, ওয়েবফিল্মেও কখনও দেখা যায়নি তাকে, তিনি কীভাবে বাংলাদেশি তারকা হন। আবার কেউ এটিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচার বলেও মনে করছেন। এমন সমালোচনার পর সংবাদটি নিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভারতীয় পুলিশ রিয়াকে বাংলাদেশি হিসেবে দাবি করলেও তার সঙ্গে আদতে বাংলাদেশের কোনো যোগসাজশ মেলেনি। ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে পুলিশের বিবৃতি অনুসারে রিয়াকে বাংলাদেশি হিসেবে দাবি করা হলেও রিয়া বা তার পরিবার বাংলাদেশের কোথায় থাকতেন তার কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ আনতে পারেনি পুলিশ। যদিও সেটি আরও তদন্তসাপেক্ষ। তবে পুলিশ সূত্রে ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে রিয়ার সম্পর্কে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়, সেখানে তাকে এক কথায় ‘বাংলাদেশি’ দাবি করা ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কোনো যথাযথ প্রমাণ দিতে পারেনি। তারা এও উল্লেখ করে, রিয়া ভার্দে ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে মুম্বাইয়ের অদূরে উল্লাসনগরে বসবাস শুরু করেছিলেন। তার মায়ের নাম অঞ্জলি ভার্দে, যার পূর্ব নাম রুবি শেখ, ভাইয়ের নাম রবীন্দ্র; যার পূর্ব নাম রিয়াজ শেখ এবং বোন রিতু যার পূর্ব নাম মনি শেখ বলে দাবি করা হয়। রিয়া ছাড়াও তার পরিবারের সঙ্গে আদতে বাংলাদেশের সম্পর্ক আছে কি না, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত তরুণী বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির রাজ কুন্দ্রা প্রোডাকশনের নীল সিনেমার প্রজেক্টে কাজ করছিলেন। যদিও রাজ কুন্দ্রা অভিযোগগুলোকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। এই অভিনেত্রীকে চেনেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার সম্পর্কে ছড়ানো এই ভুয়া খবরে গভীরভাবে মর্মাহত। রিপোর্টগুলোতে দাবি করা হয়েছে, একজন অবৈধ অভিবাসী আমার জন্য কাজ করেছিলেন বা আমার একটি অনুমিত প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই মহিলার সঙ্গে কখনও দেখা হয়নি। তাকে আমি চিনি না বা আমার মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করতেন না।’ রাজ আরও জানান, ‘এসব ভিত্তিহীন খবর কেবল আমার খ্যাতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, আমার নামকে ব্যবহার করা হচ্ছে লোকের নজর টানার জন্য। আমি এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ সহ্য করব না।’ প্রসঙ্গত, রিয়াকে গ্রেপ্তারের আগে গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে উল্লাসনগরে আম্বেরনাথে বসবাস করছে এক অভিবাসী পরিবার। তাদেরকে বাংলাদেশি বলে অভিযোগে বলা হয়। এতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে রিয়ার পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। সেটিকেও ভুয়া দাবি করা হয়। যদিও সেটি ভূয়া কি না, তাও স্পষ্ট নয়। তদন্তের পর পুলিশের দাবি, স্থানীয় কিছু লোকজন রিয়া ও তার তিন সঙ্গীকে ভুয়া পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়েছে। গ্রেপ্তার রিয়ার বাবা একজন ভারতীয়, নাম অরভিন্দ ভার্দে। পুলিশ জানিয়েছে, এই মুহূর্তে তিনি কাতারে অবস্থান করছেন। সঙ্গে রয়েছেন রিয়ার মা অঞ্জলি ভার্দে। এ ছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সকলের কোনো অবস্থানের মিল না থাকায় গ্রেপ্তার রিয়া ভার্দেকে সরাসরি বাংলাদেশি বলাটা সমীচীন নয় বলেই মনে করছেন নেটিজেনরা। আরটিভি /এএ