‘পুষ্পা ২’ সিনেমার প্রিমিয়ার দেখতে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় নিহতের পরিবার অভিযোগ দায়েরের পর শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) হায়দারাবাদের বানজারা হিলসের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আল্লু অর্জুনকে। গ্রেপ্তাররের পর তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে জেল থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমে আল্লু বলেন, নিহতের পরিবারের প্রতি আমি ব্যথিত। পুরো ঘটনায় শোকাহত। দেশের আইনকে সম্মান করি। কথা দিচ্ছি, এই দুর্ঘটনার তদন্তে সব সাহায্য করব।
এদিকে আল্লুর সঙ্গে এত বড় একটা ঘটনা ঘটল, অথচ আল্লুর ‘পুষ্পা’ ছবির নায়িকা রাশমিকা মান্দানার নীরব অবস্থান চিন্তিত করেছিল অনুরাগীদের। এ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলেছেন নায়িকা।
এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রাশমিকা লেখেন, এসব কী দেখছি আমি! যেন বিশ্বাস করতে পারছি না। যে ঘটনা সে দিন ঘটেছিল তা সত্যিই বেদনাদায়ক। যদিও এটা দেখে খারাপ লাগছে কীভাবে সব দোষ একটা মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হল। দুটি ঘটনায় আমি মর্মাহত।
প্রসঙ্গত, ৪ ডিসেম্বর রাতে হায়দ্রাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ছিল ‘পুষ্পা-২’ প্রিমিয়ার শো। প্রিমিয়ার ঘিরে থিয়েটারের বাইরে ভিড় জমাতে থাকেন দর্শক। পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। সেই সময় উপস্থিত হন অভিনেতা আল্লু অর্জুন। তাকে সামনে থেকে দেখতে দর্শকের উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পদদলিত হয়ে আহত হন রেবতী ও তার ছেলে শ্রী তেজ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রেবতীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ১১ ডিসেম্বর নিহতের স্বামী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই ঘটনার ৮ দিন পর গ্রেপ্তার হন অভিনেতা।
এদিকে আল্লুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মৃতার স্বামী ভাস্কর। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মামলা তুলে নিতে প্রস্তুত আমি। আমি আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জানতাম না। আর সেদিন পদপিষ্ট হয়ে আমার স্ত্রীর মৃত্যুর নেপথ্যে তার তো কোনো হাত নেই।
আরটিভি/এএ-টি