• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
বিকেলের নাস্তায় সুস্বাদু চকো চিপস কুকিজ
বিকেলের নাস্তায় ঝটপট পটেটো ফিঙ্গার
বাইরের দোকানের যেকোনো খাবারের তুলনায় ঘরে তৈরি খাবার অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। আর তা যদি নিজের হাতে তৈরি করা যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই। ঘরেই অল্প উপকরণ দিয়ে পটেটো ফিঙ্গার পরিবেশন করে চমকে দিতে পারেন আপনার প্রিয়মুখগুলোকে। এই পটেটো ফিঙ্গার বাচ্চাদেরকেও নাস্তা হিসেবে দিতে পারেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক মজাদার পটেটো ফিঙ্গার তৈরির রেসিপি। যা যা লাগবে: আলু ৫-৬টি ( সিদ্ধ করে চটকে নেওয়া), কর্নফ্লাওয়ার বা চালের গুড়া ১/২ কাপ, লবণ স্বাদমত, চাট মসলা স্বাদমত, তেল ১/২ কেজি (ভাজার জন্য) তৈরি করবেন যেভাবে:  প্রথমে আলু সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার সেদ্ধ আলু ভালোভাবে চটকে এর মধ্যে লবণ, চাট মসলা, কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। এরপর মিশ্রণটি একটি জিপব্যাগে ভরে ব্যাগের মুখটি ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে। এবার মিশ্রণটি হাত দিয়ে চেপে সমান করে প্যাকেট থেকে বের করে নিন। এখন এই মিশ্রণের ওপর ছুরি দিয়ে লম্বা লম্বা করে আঙ্গুলের মত করে শেপ দিয়ে নিতে হবে। যখন সবগুলো তৈরি হয়ে যাবে তখন চুলায় একটি কড়াইতে পর্যাপ্ত তেল দিয়ে গরম করে নিতে হবে। গরম হয়ে গেলে সবগুলো ফিঙ্গার দিয়ে দিতে হবে। যখন সবগুলো ফিঙ্গার বাদামি কালার হয়ে আসবে তখন একটি ছাকনি দিয়ে টিস্যাুর ওপর নিয়ে বাড়তি তেল জড়িয়ে নিতে হবে। এখন পছন্দের সস বা মেয়োনিজ এর সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করা যাবে মচমচে পটেটো ফিঙ্গার।
বাড়িতেই বানিয়ে নিন ভিন্ন স্বাদের বানানা-ক্র্যাম্ব পুডিং
বাড়িতেই সুস্বাদু বিফ স্টেক তৈরির রেসিপি
সুস্বাদু লেমন স্নো পুডিংয়ের রেসিপি
অতিথি আপ্যায়নে সুস্বাদু মুড়ির রসগোল্লা
কাঁঠালের বিচি দিয়ে গরুর গোশত ভুনা
কাঁঠালের পাশাপাশি কাঁঠালের বিচিও বেশ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন জনপ্রিয় একটি খাবার। বাজারে এখন কাঁঠাল অত্যন্ত সহজলভ্য। কাঁচা কাঁঠাল সাধারণত সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। কাঁঠালের বিচি দিয়ে সাধারণত ভর্তা, ভাজি, সেদ্ধসহ নানা রকম তরকারি রান্না করা যায়। তবে কাঁঠালের বিচি দিয়ে গরুর মাংস খেতে খুবই সুস্বাদু এবং তৈরি করাও বেশ সহজ। জেনে নিই কাঁঠালের বিচি দিয়ে গরু ভুনার রেসিপি— যা যা লাগবে: গরুর মাংস ১ কেজি, কাঁঠালের বিচি ৩০০ গ্রাম, আদাবাটা ২ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজবাটা সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া দেড় চা চামচ, টালা জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা চামচ, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ ২-৩টি করে, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ, গরম পানি প্রয়োজনমতো। যেভাবে তৈরি করবেন: কাঁঠালের বিচির ওপরের খোসা ফেলে পানিতে ভিজিয়ে লাল আবরণ পাটায় ঘষে পরিষ্কার করে নিন। মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। হাঁড়িতে তেল দিয়ে গোটা গরম মসলা ফোড়ণ দিন। মসলার গন্ধ বের হলে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ নরম হলে গরম মসলা ও জিরার গুঁড়া ছাড়া সব মসলা ও আধা কাপ পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। এরপর মসলা কষানো হলে মাংস দিয়ে দিন। মাংস কষিয়ে ২ কাপ গরম পানি দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে কাঁঠালের বিচি দিয়ে কষিয়ে ঝোলের জন্য আন্দাজমতো পানি দিন। ঝোল মাখা মাখা হয়ে এলে গরম মসলার গুঁড়া আর জিরার গুঁড়া দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন।
আড্ডা জমবে মুচমুচে তোপসে ফ্রাইতে
মাছের চপ বা ফ্রাই পছন্দ করেন না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। সন্ধ্যার পর এক কাপ কফি বা চায়ের সঙ্গে গরমাগরম ফিশ ফ্রাই পেলে আর কী চাই। ভেটকি বা অন্য মাছের ফ্রাই তো অনেক খেয়েছেন। এবার তাহলে তোপসে মাছ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন মুচমুচে ফ্রাই। সামান্য উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন। তৈরি করার রেসিপি জেনে নিন। রেসিপি— উপকরণ​: তোপসে মাছ- ২৫০ গ্রাম, বেসন- ১/২ কাপ মতো, চালের গুঁড়ো- ১-২ টেবিল চামচ, বেকিং সোডা-এক চিমটি, ভিনিগার- ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা-১ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা- ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা বাটা- ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়ো- ২ টেবিল চামচ, হলুদ- ২ টেবিল চামচ, লবণ এবং চিনি স্বাদমতো, কালো জিরে, সাদা তেল-পরিমাণমতো। তৈরি করবেন যেভাবে:  প্রথমে মাছ খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এর পর তাতে লবণ, হলুদ, মরিচের গুঁড়ো, ভিনিগার, আদা রসুন বাটা দিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিতে হবে ঘণ্টা খানেক। এবার একটা বাটিতে বেসন, চালের গুঁড়ো, খাবার সোডা, কালো জিরে দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এবার মিশ্রণটির মধ্যে কিছুটা পানি দিয়ে একটা ব্যাটার বানিয়ে নিন। যোগ করুন আদা বাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, লবণ, হলুদ, মরিচের গুঁড়ো। অল্প অল্প করে পানি দিয়ে ভালো করে গুলে নিতে হবে। তবে ব্যাটারটা যেন বেশি ঘন বা বেশি পাতলা না হয়। ​ঝটপট ভেজে নিন​: কড়াইতে তেল গরম দিন। মাছগুলো ব্যাটারে চুবিয়ে তেলে ছেড়ে দিতে হবে। এইভাবে সব মাছগুলো ফ্রাই করে নিন। চুলার আঁচটা মিডিয়াম রাখতে হবে। ওপর থেকে চাট মশলা ছড়িয়ে সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
বাড়িতেই রেঁধে নিন বিয়ে বাড়ির মজাদার কড়াই মাটন
কোরবানির ঈদ শেষ হওয়ার পরেও কয়েকদিন পর্যন্ত চলতে থাকে মাংস খাওয়া-দাওয়া। তাই খাবারেও চাই ভিন্ন ভিন্ন মাংসের রেসিপি। আজকের আয়োজনে থাকছে সুস্বাদু কড়াই মাটন। বিয়ে বাড়ির মতো সুস্বাদু কড়াই মাটন এবার বাড়িতেই তৈরি করতে পারবেন। যা একবার কেউ খেলে বারবার খেতে চাইবে। খুব সহজে বাসায় বসে তৈরি করতে রেসিপিটি জেনে নিন। রান্নায় যা লাগবে:  খাসির মাংস ১ কেজি, টমেটো টুকরো আধা কাপ, টক দই আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ২-৩ টা, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ মতো, শুকনা মরিচ ১ টেবিল চামচ, টমেটো সস ৩ টেবিল চামচ, জায়ফল গুঁড়া ১ চা চামচ। রান্না করতে হবে যেভাবে:  প্রথমে পেঁয়াজ কুচি, তেল আর এলাচ বাদে সব উপকরণ মেখে দুই ঘণ্টা ফ্রিজের নরমাল অংশে রেখে দিতে হবে।  এরপর কড়াইতে তেল গরম করে তাতে এলাচ ও পেঁয়াজ লালচে করে ভাজতে হবে।  তারপর মাংস দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কষাতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে আবার গরম পানি দিয়ে মাখা মাখা হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে। রান্না হয়ে গেলে গরম গরম সাদা ভাত, পোলাও অথবা চালের রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।
মুরগি দিয়েই বানিয়ে নিন নবাবি পসিন্দা
মোগলাই খাওয়া-দাওয়ার নাম শুনলেই যে কারোরই জিভে জল চলে আসে। তবে মোগলাই খানা মানেই তো বিরিয়ানি আর চাঁপ নয়। নবাবদের পছন্দের হরেক খাবারের মধ্যে ছিল মুরগির পসন্দা। প্রতিদিন একই রকম মুরগি রাঁধতে বা খেতে মোটেই ভালো লাগে না, মাঝে মধ্যে তো স্বাদবদল করতে ইচ্ছে হয়। তাই মুরগির গায়ে নবাবি মশলার প্রলেপ দিয়ে রেঁধে ফেলতেই পারেন ভিন্ন স্বাদের মুরগির পসন্দা। ​উপকরণ হিসেবে যা লাগছে​— চিকেন, ভাজা পেঁয়াজ, টক দই, রসুন কুচি, আদা কুচি, আস্ত ধনিয়া-জিরা-গোলমরিচ, গুঁড়ো হলুদ, দারচিনি, ছোট এলাচ, শুকনো মরিচ, তেজপাতা, সর্ষের তেল, টমেটো কুচি, লবণ।  দেখে নিন প্রণালী​— চিকেন খুব ভালো করে ধুয়ে, পানি ঝরিয়ে রেখে দিন। অন্যদিকে ভাজা মশলা বানিয়ে নিন। এই মশলা বানাতে হলে শুকনো খোলায় সব আস্ত মশলা দিয়ে হালকা করে রোস্ট করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিন। খুব মিহি করে গুঁড়ো করতে হবে। এর মাঝে ম্যারিনেশনের পর্বটা সেরে নিতে হবে। তাই বড় একটি বাটিতে মুরগির মাংস, টক দই, ভাজা গুঁড়ো মশলা, ভাজা পেঁয়াজ, আদা এবং রসুন কুচি দিয়ে খুব ভালো করে ম্যারিনেট করে রেখে দিন। এবার ম্যারিনেট করা চিকেন ঘণ্টা দু'য়েক রেখে দিতে হবে। হাতে অতটা সময় না থাকলে অন্তত এক ঘণ্টা রেখে দিন। এবার শুরু করুন মূল রান্নাটা। চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে তেল গরম গরম দিন। তেল গরম হয়ে গেলে ম্যারিনেট করা চিকেন দিয়ে দিন। খুব ভালো করে নেড়েচেড়ে কষাতে থাকুন। মাংস থেকে পানি ছাড়তে শুরু করলে লবণ-হলুদ আর টমেটো কুচি দিয়ে আবারও কষিয়ে নিন। চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে রান্না করতে হবে। চিকেন সিদ্ধ হয়ে ঝোল ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। একদম শুকনো হবে এই রেসিপিটা। গরম গরম পরিবেশন করুন রুটি বা পরোটার সঙ্গে।
গরুর মাংসের আচারের রেসিপি
গরুর মাংসের বাহারি পদ কমবেশি সবাই খেয়ে থাকেন। কোরবানির মাংস ভাগাভাগি পর যা থাকে তা একটু একটু খেলে অনেকদিন চলে যায়। গরুর মাংস দীর্ঘদিন রেখে খেতে চাইলে জিভে জল আনা আচার তৈরি করতে পারেন। একবার তৈরি করে এই আচার অন্তত ৬ মাস সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। জেনে নিন গরুর মাংসের আচার তৈরির রেসিপি। উপকরণ: ১ কেজি গরু ১/৪ কাপ আদা বাটা/কুচি ১/৪ কাপ রসুন বাটা/কুচি ১০ টি কারি পাতা ৫-৬ টেবিল চামচ লাল মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ সরিষার দানা ১ টেবিল চামচ কালিজিরা ১ টেবিল চামচ জিরা ১/২ কাপ ভিনেগার লবণ (স্বাদ অনুসারে ) সরিষার তেল/ তিলের তেল যেভাবে রান্না করবেন: গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে চৌকা বা কিউব করে কেটে নিন। প্রেসার কুকারে মাংসের সঙ্গে হলুদ ও লবণ মাখিয়ে ১০টি সিটি বাজা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মাংস নরম হয়ে এলে মাংসে থাকা পানি ভালোমতো ফেলে তার মধ্যে লবণ, লাল মরিচের গুঁড়া ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিন। একটি প্যানে তেল ঢেলে মাঝারি আঁচে মাংসগুলো সোনালি রং আর মুচমুচে না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। খেয়াল রাখবেন যেন পুড়ে না যায়। ভাজার পর বেঁচে যাওয়া তেল দিয়ে বাকি রান্না করতে পারবেন। আগে থেকে হামাম দিস্তা দিয়ে গুঁড়া করা কালিজিরা, সরিষা ও জিরা তেলের মধ্যে ছেড়ে দিন। এরমধ্যে আদা, রসুন ও কারিপাতা কুচি দিয়ে হালকা আঁচে ভাজতে থাকুন। মসলা থেকে ঘ্রাণ বেরিয়ে এলে তার মধ্যে ভিনেগার দিয়ে নাড়তে থাকুন। আচারের মধ্যে বেশি ঝোল বা মসলা চাইলে অল্প পরিমাণে গরম পানি ঢেলে দিন। মিশ্রণটি একটু ঘন হয়ে এলে চুলার আঁচ বন্ধ করে মাংসগুলো ছেড়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিন। ভালো স্বাদ ও ঘ্রাণের জন্য ২ দিন রোদে শুকাতে দিন।
বেশি খাওয়া হয়ে গেলে, হজম হবে এই শরবতেই
নিমন্ত্রণে নানা রকমের খাবার খেতে তো ভালোই লাগে। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে খাবার খেলেও ঠিকমতো হজম হচ্ছে না। বেশি ভারী ও তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেলে শুরু হতে পারে সমস্যা। ডিহাইড্রেশনেরও সমস্যা হতে পারে। তাই এবার খাবার খাওয়ার পর খেয়ে নিন এই শরবত। হজমও হবে, শরীরও থাকবে সতেজ। হজমের জন্য খুব উপকারী শসার কথা সকলেরই জানা। খাবারের সঙ্গে সালাদ হিসাবে বা খাবার খাওয়ার পর অনেকেই শসা খান। এবার শসা দিয়েই বানিয়ে ফেলুন শরীর ঠান্ডা করা শরবত। শসার মতো শসার শরবতও খাবার দারুণ হজম করায়। শসার শরবত বানাতে লাগবে: শসা কুচি, লেবু, পানি, স্বাদমতো চিনি এবং সামান্য আদা ও বিট লবণ যেভাবে বানাবেন: শরবতের পরিমাণ অনুযায়ী উপকরণ নেবেন। তবে শসার পরিমাণ একটু বেশি থাকলে ভালো। যেমন, ২৫০ মিলিলিটার পানির সঙ্গে অন্তত মাঝারি মাপের ২টি শসা এবং ১টি লেবু লাগবে। প্রথমে শসা ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে কুচি-কুচি করে কেটে নিন। শসায় খোসা যেন না থাকে। তাহলে শরবত খেতে ভাল লাগবে না লেবুরও খোসা কেটে নিন। এবার ব্লেন্ডারে পানি, শসা, লেবু, একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এর মধ্যে আদা কুচি, বিট লবণ ও চিনিও দিয়ে দিতে পারেন ব্লেন্ড করা পুরো মিশ্রণ ছেঁকে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে গ্লাসে ঢেলে ওপরে আইস কিউব দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। এটা খেতেও যেমন দারুণ তেমনি হজমে উপকারী, তেমনই শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে।
জামের সুস্বাদু জুস তৈরির রেসিপি
গ্রীষ্মকাল মানেই বাজার জুড়ে আম-জাম-কাঁঠালের মেলা। এ সময়ের ফল যেমন উপাদেয়, তেমনি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। মাত্র এই কয়েকটা দিনই বাজারে ওঠে এই সব ফল। আর তাই অপেক্ষাও থাকে বছরভর। জাম এ সময়েরই একটি ফল। বাজারে এখন খুব সহজে পাওয়া যাচ্ছে পুষ্টিকর এ ফল। রসালো ফলটি শুধু পুষ্টিকরই নয়, সুস্বাদুও। জাম ভর্তা খেতে নিশ্চয়ই পছন্দ করেন? এই জাম দিয়ে ভর্তা ছাড়াও তৈরি করা যায় সুস্বাদু শরবত বা জুস। জামের জুস তৈরি করে সংরক্ষণ করতে পারেন। ঠান্ডা এক গ্লাস জামের জুস গরমে প্রাণ জুড়াতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক জামের জুস তৈরির রেসিপি। রেসিপি— উপকরণ পাকা জাম আধা কেজি, পানি ১ কাপ, চিনি স্বাদমতো, মলবণ স্বাদমতো, বিট লবণ আধা চা চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ ও লেবুর রস ১ টেবিল চামচ। প্রণালি পানি ও জাম একসঙ্গে ১৫ মিনিট জ্বাল দিন। এরপর ঠান্ডা হলে জামের বীজগুলো আলাদা করে ফেলে দিন। এবার জামের রস ব্লেন্ড করে আবার পাত্রে ঢালুন। এবার তাতে লবণ, চিনি, বিট লবণ দিয়ে মিনিট দশেক জ্বাল দিন। এবার নামিয়ে ঠান্ডা করে কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করুন। জামের এই জুস এক মাসের মতো সময় ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে। এই জুস পরিবেশনের সময় গ্লাসে বরফ, লেবুর রস, সামান্য গোল মরিচের গুঁড়া ও আধা কাপ পানি দিয়ে মিশিয়ে পরিবেশন করতে হবে।