• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ফুলকপির ৩ স্ন্যাকস, রইল রেসিপি
সর-মালাই পোলাও তৈরির রেসিপি
বাসন্তী বা কাশ্মীরি নয়, ছুটিতে বানিয়ে ফেলুন সর-মালাই পোলাও। শীতের ছুটি জমিয়ে দেবে দারুণ সুস্বাদু এই পদ। জেনে নিন রেসিপি।  সর-মালাই পোলাও— ইয়াখনির উপকরণ: নারকেলের দুধ- আড়াই কাপ, তেজপাতা- ১টি, দারচিনি- ১টি, ছোটো এলাচ- ১টি, লবঙ্গ- ৪টি, পেঁয়াজ- ২টি, কেশর- ১ চিমটি চাল ভাজার জন্য লাগবে: পোলায়ের চাল অথবা গোবিন্দভোগ চাল- আধ কিলোগ্রাম, ঘি- ৩ টেবিল চামচ, তেজপাতা- ২টি, কাজু কুচি- ২-৩ মুঠো, ছোটো এলাচ- ২টি, দারচিনি- ২টি, লবঙ্গ- ৫-৬টি, শাহী জিরে- আধ চা চামচ, চাল- ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, নারকেলের দুধ- আধ কাপ এ ছাড়াও লাগবে: পেঁয়াজ কুচি- দেড় কাপ, ছানা- দেড় কাপ, ময়দা- ১ চামচ, ফ্রেশ ক্রিম- দেড় কাপ, নারকেল কুচি- ১ চামচ, কিশমিশ- ১ মুঠো, ঘি- দেড় থেকে দুই কাপ, কাগজি লেবু- ১টি, আমন্ড কুচি- ১ মুঠো, পেস্তা কুচি- ১ মুঠো প্রণালি- প্রথমে ইয়াখনি বানিয়ে নিন। একটি পাত্রে নারকেলের দুধ, তেজপাতা, গোটা গরম মশলা, ডুমো করে কাটা পেঁয়াজ এবং এক চিমটি কেশর দিয়ে ফুটিয়ে নিলেই ইয়াখনি তৈরি। ময়দা এবং ছানা একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিকুতির আকারে গড়ে নিন। পাত্রে ঘি গরম করে প্রথমে পেঁয়াজ কুচি ভেজে বেরেস্তা করে তুলে নিন। তারপর একে একে ছানার গোল্লা, নারকেল কুচি, কিশমিশ এবং বাদাম কুচি ঘিয়ে ভেজে নিন। ছানার গোল্লাগুলো বাদামি করে ভাজতে হবে। এবার হাঁড়িতে পরিমাণমতো ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, শাহী জিরে এবং গোটা গরম মশলা ফোঁড়ন দিন। এর মধ্যেই বাদাম কুচি দিয়ে দেবেন। মশলার সুগন্ধ উঠলে তাতে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরানো পোলাওয়ের চাল অথবা গোবিন্দভোগ চাল এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন। চাল নাড়তে নাড়তে তাতে একটু একটু করে নারকেলের দুধ দিতে থাকুন এবং মেশাতে থাকুন। ভালো করে মশলা মিশলে তাতে নারকেলের দুধের ইয়াখনিটা দিয়ে দিতে হবে। তবে ইয়াখনি দেওয়ার আগে তা থেকে পেঁয়াজগুলো তুলে ফেলবেন। কাগজি লেবুর রস দিয়ে ভাত ভালো করে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। মনে রাখবেন পোলাও রান্নার জল্য যতটা চাল নেবেন তার দ্বিগুণ পরিমাণ নিতে হবে। ইয়াখনি, নারকেলের দুধ মিলিয়ে যেন চালের দ্বিগুণ হয়। প্রয়োজনে একটু পানি দিয়ে দিন। ভাত সিদ্ধ হয়ে গেলে হাঁড়ি নামিয়ে নিন। এবার একটি বড় কড়াই বা হাঁড়িতে বিরিয়ানির মতো একস্তর ভাত ছড়িয়ে দিন। তার ওপরে ছড়িয়ে দিন পেঁয়াজের বেরেস্তা, ভাজা কিশমিশ, ছানার গোল্লা ভাজা, নারকেল কুচি এবং ফ্রেশক্রিম। তৃতীয় স্তরে ফের ওপরে ভাত ছড়িয়ে দিন। তার ওপর পেঁয়াজ ভাজা ইত্যাদির চতুর্থ স্তর তৈরি করুন। এর ওপর অবশিষ্ট ভাত এবং আমন্ড, পেস্তা কুচি ভাজা এবং অবশিষ্ট বেরেস্তা ছড়িয়ে দিন। পাত্রটি কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে রাখুন। তৈরি স্পেশাল সর-মালাই পোলাও। আরটিভি/এফআই-টি
ফুলকপির পরোটার সহজ রেসিপি
ভাইরাল জ্বরে এক বাটি স্যুপেই চাঙা থাকার টনিক
যেভাবে বানাবেন কমলার হালুয়া
নতুন স্বাদের আইসক্রিম হবে ডাবের পানিতে
ঘরোয়াভাবে সহজেই রসমালাই তৈরির রেসিপি
উৎসব কিংবা বিশেষ দিনে মিষ্টিমুখ করা চাই। বাড়িতে অতিথি এলে নানারকম মিষ্টির ব্যবস্থা করা হয়। আর রসমালাইয়ের নাম শুনলে জিভে জল চলে আসে অনেকেরই। চমৎকার স্বাদের এই মিষ্টি আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই বানাতে পারেন। তবে আর দেরি কেন! চলুন ঝটপট জেনে নেই রসমালাই তৈরির রেসিপি। উপকরণ— ছানার জন্য: ঘন দুধ- ২ লিটার চিনি – ২ কাপ, লেবুর রস বা ভিনেগার- ১/৪ কাপ, সিরার জন্য, চিনি-২ কাপ, পানি-৪ কাপ, লেবুর রস বা ভিনেগার ১/৪ কাপ মালাই/রস-এর জন্য: দুধ/ ঘন দুধ- ১ লিটার, চিনি- ১/২ কাপ, এলাচ গুঁড়া মিষ্টির জন্য: ময়দা ১/২ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার- ১/৪ চা চামচ, সুজি – ১ চা চামচ মিষ্টির তৈরির পদ্ধতি: প্রথমে ছানা তৈরির জন্য দুধ একবার জ্বাল দেওয়া হয়ে গেলে লেবুর রস বা ভিনেগার দিয়ে ১ মিনিটের মত রেখে একটা পাতলা কাপড়ে পানি ঝরাতে দিতে হবে, সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি দিতে হবে। ভালো করে চেপে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি বড় থালায় ছানাটা ভালো করে হাত দিয়ে মেখে নিতে হবে, যেন জমাট বেঁধে না থাকে। তারপর ময়দা, সুজি, বেকিং পাউডার ও চিনি দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। এবার দু’হাতের তালু দিয়ে গোল করে ছোট ছোট আকারের মিষ্টি বানান। পাশাপাশি একটি হাড়িতে সিরার জন্য পানি ও চিনি ফোটাতে দিন। পানি ফুটে উঠলে লেবুর রস বা ভিনেগার দিয়ে ছোট ছোট মিষ্টিগুলো হাড়িতে দিয়ে ঢেকে দিন। এলাচ দিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট এর মত ফুটিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন বেশি সিদ্ধ হয়ে ভেঙে না যায়। মালাই তৈরির পদ্ধতি:  অন্য একটি ননস্টিক পাত্রে দুধ জ্বাল দিতে থাকুন, মাঝারি আঁচে নেড়ে নেড়ে দুধ আরও ঘন করুন, দুধ অর্ধেক হয়ে আসা পর্যন্ত এমনভাবে নাড়ুন যেন নিচে লেগে না যায় এবং সর হয়ে না যায়। এরপর চিনি ও এলাচ গুঁড়ো দিয়ে দিন। রস ঠান্ডা করুন, তারপর মিষ্টিগুলো সিরা থেকে তুলে রসে মেশান। পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে আরো ঠান্ডা করুন। পরিবেশনের আগে পেস্তা ও বাদাম কুচি করে দিন। আরটিভি/এফআই
উৎসবে আনন্দ হোক সুগার ফ্রি মিষ্টিতে
উৎসব মানেই খুশি উৎসব মানেই আনন্দ। আর আনন্দের দিন থাকে নানা রকম মিষ্টির বাহার। আর এই রকমারি মিষ্টি নিয়ে সমস্যায় পড়েন ডায়াবেটিক রোগীরা। উৎসবের মিষ্টি অনেকে ডায়াবেটিক রোগীরাই খাওয়ার সুযোগ হারিয়ে ফেলেন। তবে এবার থেকে মিষ্টি প্রেমীরা উৎসবে রাখতে পারেন সুগার ফ্রি মিষ্টি। জেনে নিন সুগার ফ্রি তিনটি মিষ্টির রেসিপি। মিষ্টি আলুর পান্তুয়া উপকরণ: ১ কিলো মিষ্টি আলু, ৪০০ গ্রাম ময়দা, ৪০০ গ্রাম চিনি, ৪০০ মিলিমিটার পানি, ৬টি ছোট এলাচ, ১ টেবিল চামচ ঘি, সাদা তেল, ১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার প্রণালী: মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়ানোর পর ভালো করে মেখে নিতে হবে। এরপর তাতে ময়দা, বেকিং পাউডার আর আধা টেবিল চামচ ঘি দিয়ে খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে। হাতের তালুতে অল্প করে ঘি মাখিয়ে নিন। ছোট ছোট লেচি কেটে গোল করে নিন। একটি পাত্রে পানি, ছোট এলাচ দিয়ে তার মধ্যে চিনি দিয়ে রস তৈরি করে নিতে হবে। এবার সাদা তেলে হাল্কা থেকে মাঝারি আঁচে বলগুলো দিয়ে ভেজে নিয়ে রসে ডুবিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে তুলে নিয়ে পরিবেশন করুন। রস বানানোর সময় চিনির পরিমাণ যেন অল্প থাকে। কারণ, মিষ্টি আলুর নিজস্ব একটা স্বাদ থাকে চিনি বেশি দিলে তা নষ্ট হয়ে যাবে। বাদাম বরফি উপকরণ: ৫০০ গ্রাম বাদাম, ২০০ গ্রাম চিনি, ১ কাপ ঘি, ৪ টি এলাচ প্রণালী: একটি পাত্রে প্রয়োজন মত কনডেন্সড মিল্ক এবং ড্রাই ফ্রুট নিন। ২ ঘন্টা মতো প্রথমে বাদামগুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভিজিয়ে রাখা বাদামগুলো ব্লেন্ডারে বেটে নিতে হবে। তারপর একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে বেটে রাখা বাদাম দিয়ে দিতে হবে ও ভালোভাবে ভাজতে হবে ঘিয়ে। ভাজা হয়ে গেলে তাতে পরিমাণ মতো চিনি ও এলাচ দিয়ে আবার ভালো করে নাড়াতে হবে যতক্ষণ না চিনির পানি শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে মন্ড মতো হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। একটা থালার মধ্যে একটু ঘি গ্রিজ করে তাতে মিশ্রণটি ঢেলে ওপর দিয়ে ড্রাই ফ্রুট দিয়ে গারনিশ করতে হবে। এরপর ঠান্ডা করে বরফি আকার কেটে নিলেই তৈরি বাদাম বরফি।     বেসনের লাড্ডু প্রণালী: ১ কাপ বেসন, ১ কাপ চিনি, ১ কাপ ঘি, বড় এলাচের গুঁড়ো, ছোট ছোট টুকরো করে কাটা বাদাম উপকরণ: প্রথমে চিনি আর ১ কাপ পানি নিয়ে ওভেনে বসান। ফুটে গাঢ় হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে নামিয়ে নিন। বাড়িতে জাফরান থাকলেও দিতে পারেন সামান্য, রসে সুন্দর গন্ধ হবে। এবার একটি নন স্টিক ফ্রাই প্যানে বেসন নিয়ে কম আঁচে নাড়াচাড়া করুন কিছুক্ষণ। আঁচ কিন্তু বাড়াবেন না। না হলে বেসন পুড়ে যাবে। বাদামের কুচি আর এলাচের গুঁড়ো দিয়ে দিন। সুগন্ধ বেরোলে ঘি মিশিয়ে দিন। পুরোটা মিশে গেলে রসটাও একইভাবে মিশিয়ে দিন। এবার স্প্যাচুলা দিয়ে নেড়ে ভালো করে মেশাতে হবে। ধারে ঘি ভেসে উঠলেই বুঝবেন মিশ্রণ রেডি। নামিয়ে অল্প ঠান্ডা করেই হাতে অল্প ঘি মাখিয়ে লাড্ডু বানিয়ে নিন। ফ্রিজে দিয়ে ঠান্ডা করে নিন। বাইরেও বেশ কিছুদিন ভালো থাকে। আরটিভি/এফআই
মুচমুচে সুস্বাদু স্ন্যাকসের রকমারি রেসিপি
আবহাওয়া যেরকমই হোক না কেন বাঙালির বিকেলে চা এবং তার সাথে টা না হলে যেনো চলেই না। চায়ের সাথে পাকোড়া, সমুসা, আলুর শিঙাড়া কিংবা রকমারি মুখরোচক স্ন্যাকসের নাম শুনলেই  জিভে জল চলে আসে। দোকান থেকে কিনে খেতে না চাইলে ঘরেই তৈরি করতে পারেন এরকম মুখরোচক স্ন্যাকস।  চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিন্নস্বাদের রকমারি মুখরোচক স্ন্যাকসের সব রেসিপি। চিকেন চিজ পাকোড়া উপকরণ: চিকেন (বোনলেস, ২০০ গ্রাম), গোলমরিচগুঁড়ো (আধ-চা চামচ), নুন (স্বাদ মতো), শুকনা মরিচ গুঁড়ো ( ১ চা-চামচ), কাচামরিচ (২ টি), আদা রসুন বাটা (২ চামচ), হলুদ গুঁড়ো (১/৪ চা-চামচ), পিৎজা চিজ (গ্রেটেড, ৫০ গ্রাম), সাদা তেল (ভাজার জন্য)। প্রণালী: একটা ব্লেন্ডারে চিকেন, লবণ, কাঁচামরিচ, শুকনা মরিচ গুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা ও গোলমরিচ দিন। ভালো করে ব্লেন্ড করুন যাতে মিহি হয়। আধঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন। একটা বাটিতে বেসন, লবণ, পানি, বেকিং সোডা মেশান। ভালো করে ফেটিয়ে নিন যাতে দলা না থাকে। চিকেনের মিশ্রণ ফ্রিজ থেকে বের করে নিন। একটা বড়ো পাত্রে তেল ব্রাশ করে মিশ্রণটা ছড়িয়ে রাখুন। তার ওপর গ্রেটেড চিজ বিছিয়ে দিন। সেখান থেকে অল্প মণ্ড তুলে মুড়ে ছোট বল তৈরি করুন। প্যানে তেল গরম করুন। চিকেন বলগুলো বেসনের গোলায় ডুবিয়ে লালচে করে ভেজে তুলুন। চাটনির সাথে পরিবেশন করুন। ছানার কাটলেট উপকরণ: ছানা (২৫০ গ্রাম), ভেজানো ছোলার ডাল বাটা (ছোট ৪ চামচ), আদা বাটা (২ চামচ), জিরে বাটা (আন্দাজমতো) বা জিরে গুঁড়ো (২ চামচ), কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, লবণ, চিনি, ভাজা গরম মশলার গুঁড়ো (জায়ফল, জয়ত্রি, সা-জিরে, সা-মরিচ, এলাচ, দারচিনি, জিরে ইত্যাদি ভেজে গুঁড়ো করা), সাদা তেল (ভাজার জন্য), অ্যারারুট, বিস্কুটের গুঁড়ো। সালাদের উপকরণ: টমেটো, শসা, গাজর। প্রণালী: ছানাকে ভালোভাবে ম্যাশ (চটকে নিন মিহি করে) করে নিয়ে তাতে ছোট চায়ের চামচের ৪ চামচ ছোলার ডাল বাটা মিশিয়ে নিন। ২ চামচ আদা বাটা , জিরে গুঁড়ো, কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, (ধনেপাতা না থাকলে পার্সলে পাতা কুচি), স্বাদমতো লবণ, চিনি, কাজুবাদাম বাটা দিয়ে ছানাটাকে ভালো করে মেখে নিন। এবার সমস্ত ভাজা মশলার গুঁড়ো মিশিয়ে কাটলেটের আকারে গড়ে অ্যারারুটে ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে সাদা তেলে ভেজে নিন। এবার প্লেটে সালাদ দিয়ে সাজিয়ে কাটলেট পরিবেশন করুন।
মুরগির দুই পদেই জমে উঠুক ভুঁড়িভোজ
মুরগির মাংস হচ্ছে এমন একটি উপকরণ যা রোজকার পাত থেকে বিশেষ অনুষ্ঠানের পদে জায়গা করে নিতে পারে। আর পরিবারের ছোট-বড় সবারই প্রিয় মুরগির মাংস। এখন প্রায় সবার বাসায় ফ্রিজে মুরগির মাংস থাকে। মুরগির মাংস দিয়ে নানান পদ তৈরি করা যায়। খাবারের মাঝে মাঝে বৈচিত্র আনার জন্য মুরগির মাংসের একটি ভিন্ন স্বাদের রেসিপি জেনে নিতে পারেন। ঝট করে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারবেন মুরগির এই বিশেষ পদ। জেনে নিন রেসিপি— মুরগির স্টু তৈরির উপকরণ: মুরগি ৫০০ গ্রাম, গোটা ছোট পেঁয়াজ ১০টি, তেজপাতা ২টি, আদাবাটা ১ চা-চামচ, গোটা গোলমরিচ ৮-১০টি, মাখন ৩ টেবিল চামচ, পেঁপের টুকরা ৪টি, আলুর টুকরা ৪টি, গাজর ৪ টুকরা, গোলমরিচের গুঁড়ো আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণমতো। প্রণালি: কড়াইতে মাখন দিন। তেজপাতা দিন। গোটা পেঁয়াজ দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। সবজি, আদাবাটা, লবণ, গোটা গোলমরিচ দিয়ে নেড়ে মুরগি দিন। ভালো করে মিশিয়ে পানি দিয়ে ঢাকা দিন। সবকিছু সেদ্ধ হলে গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নিন। লেবু মরিচ মুরগি তৈরির উপকরণ: মুরগির মাংস ৭৫০ গ্রাম, লেবুর রস ৪-৫ চা চামচ, গোলমরিচ ১ চা চামচ, পেঁয়াজ ৩টা কুঁচি করা, রসুন, কাঁচা মরিচ বাটা ৩ চা চামচ, কাজু ১৫টি, গন্ধরাজ লেবুর পাতা। প্রণালী: কেটে ধুয়ে রাখা মুরগির মাংসে লেবুর রস, গোলমরিচ মাখিয়ে ম্যারিনেট করে এক ঘণ্টা রেখে দিন। কড়াইয়ে সাদা তেল দিয়ে গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন আর কাঁচা মরিচ বাটা দিয়ে হালকা ভাজতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন যেন সাদা থাকে, বেশি ভাজা না হয়। এবার ভাজা তুলে নিন। ঠান্ডা হলে কয়েকটি কাজু মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রেখে দিন। এবার ওই তেলের সঙ্গে আরও খনিকটা তেল মিশিয়ে মাংসের টুকরোগুলো প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে ভাজতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে মুরগির মাংস তুলে নিয়ে, ওই তেলে পেস্টটি দিয়ে দিন। এবার সেটিকে ভালো করে কষাতে হবে। এবার পরিমাণ মতো লবণ এবং গোলমরিচ মিশিয়ে নিন। মুরগির মাংস ঢেলে দিন। তাতে এক চা চামচ মতো লেবুর খোসা গ্রেট করে দিয়ে দিন। মশলা মজে এলে, এক চা চামচ লেবুর রস দিয়ে দিন। সঙ্গে আরেকটু গোলমরিচ আর চেরা মরিচ দিয়ে পরিবেশন করুন। গন্ধরাজ লেবু ও লেবুর পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম লেবু মরিচ মুরগি। আরটিভি/এফআই
ঝাল ছাড়া ‘রেলওয়ে মাটন কারির’ রেসিপি
কষা মাংস-লুচি, গরম ভাত-শুনলে জিভে জল আসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না। মোগল-ইংরেজদের সঙ্গে মিশে খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন ঘটলেও একই থেকে গিয়েছে বাঙালির মাংস-ভাতের অভ্যাস। আর মাংস দিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক নানা খাবার। খাসির মাংস দিয়ে কোন পদ রাঁধবেন, এই নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা থাকে। একটু অন্য রকম স্বাদে খাসির মাংস রাঁধতে চাইলে ঝাল ছাড়া মাটন কারি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। রান্নার প্রণালীটিও বেশ সহজ। তাহলে ঝটপট রান্নার পদ্ধতিটি শিখে নিন। উপকরণ: মাটন - ১ কেজি আদা রসুনের পেস্ট - ১ চা চামচ কালো গোলমরিচ গুঁড়ো করা - আধ চা চামচ বড় আলু ৪টি (খোসা ছাড়িয়ে কাটা)  হলুদ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ কালো এলাচ - ২ টি সবুজ এলাচ - ৩ টি তেজপাতা - ১ টি পেঁয়াজ ( ঝিরিঝিরি কাটা ) - ৫ টি মাঝারি সাইজের ধনে গুঁড়ো - ২ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো - ১ চা চামচ টমেটো পিউরি - ১ কাপ পানি - ২-৩ কাপ লবণ - স্বাদমতো তেঁতুল বাটা - ১ চা চামচ স্পেশাল মশলা - ১ টেবিল চামচ প্রণালী: হাড়যুক্ত মাটন খুব ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে স্বাদ অনুযায়ী লবণ, আদা-রসুন বাটা, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং এক চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে খুব ভালো করে মটনে মাখিয়ে নিন। আধ ঘণ্টার মতো মাংসটা ম্যারিনেটে বসিয়ে দিন। আলুর খোসা ছাড়িয়ে লবণ হলুদ মাখিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে রাখুন। এবার বানিয়ে ফেলুন রেলওয়ে মাটনকারির স্পেশাল মশলা। বড় এবং ছোট এলাচ, কালো গোলমরিচ, মৌরি, ধনে, দারচিনি, পাথরের ফুল (অপশনাল) এবং সামান্য লবণ শুকনো কড়াইয়ে ভেজে তুলে নিন। ভাজা মসলা ব্লেন্ডারে নিয়ে মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। পুরো মসলাটা রান্নায় লাগবে না। তাই এটি তুলে রাখতে পারেন। পরের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রেশার কুকারে সরিষার তেল গরম করে তাতে বড় এবং ছোট এলাচ, তেজপাতা ফোঁড়ন দিন। সুগন্ধ উঠলে তাতে ঝিরঝিরি করে কাটা পেঁয়াজ এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন। লবণ দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যে, মাংস, আলু এবং স্পেশাল মশলাতেও আগে লবণ দেওয়া হয়েছে। তাই লবণের পরিমাণটা বুঝে দিন। পেঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে আসলে তাতে ম্যারিনেট করা মাটন দিয়ে ভাজতে থাকুন। মাংস যতক্ষণ না পরিমাণে প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ভাজুন। এবার এতে ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, টমেটো পিউরি দিয়ে মাঝারি থেকে বেশি আঁচে মিনিট দশেক কষান। মশলা থেকে তেল আলাদা হলে তাতে পানি এবং তেঁতুলের পেস্ট দিয়ে দ্রুত ফুটিয়ে নিন। তারপর প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে মাঝারি থেকে উচ্চ আঁচে ৬ থেকে ৭ সিটি দিয়ে নিন। প্রেশার কুকারের ভাপ বেরিয়ে গেলে ঢাকনা খুলে মাংসের ওপরে ধনেপাতা, ভাজা আলু এবং স্পেশাল মশলা ছড়িয়ে দিয়ে আরেকবার একটা সিটি দিন। তাহলেই তৈরি আপনার রেলওয়ে মাটন কারি। সাদা ভাত, পোলাও, রুটি, নান, পরোটা, কিংবা পাউরুটির সঙ্গে অসাধারণ খেতে লাগে এই রেলওয়ে মাটন কারি। আরটিভি/এফআই
রাজস্থানের শাহী রাজ কচুরি 
ইতিহাস বলছে, ১৬১৩ খ্রিস্টাব্দে রাজস্থানের বিকানিরে শাহী রাজ কচুরি তৈরির চল ছিলো। তবে শাহী রাজ কচুরির সঙ্গে আর পাঁচটা কচুরির অবশ্য খানিকটা হলেও পার্থক্য রয়েছে। শাহী রাজ কচুরি কিন্তু লুচির মতো ছিঁড়ে আলুর তরকারি দিয়ে খাওয়ার নিয়ম নেই। এটি আসলে একটি চাট। ফুচকা যেমন আঙুলের চাপে মাঝখানে গর্ত করে তাতে আলু মাখা ও টক জল সহকারে খাওয়া হয়, শাহী রাজ কচুরিও খাওয়া হয় খানিকটা সেই নিয়মে, শুধু এটি একটু বড় থাকে। তাতে থাকে পরিমাণমতো আলুর স্টাফিং, তেঁতুল ও ধনেপাতার চাটনি, দই, চাট মশলা। ওপরে ছড়ানো থাকে ঝুরি ভাজা, ধনে পাতা আর বেদানার দানা। এছাডা়ও থাকে কচুরির মতো পুর। আর এই জিভে জল আনা চাট একবার মুখে দিলেই হারিয়ে যাবেন এর স্বাদে। ঘরে বানিয়ে খেতে চাইলে জেনে নিন রেসিপি।  ডো-এর উপকরণ: সুজি- ১/২ বা ২/৩ কাপ, ময়দা- ১/২ কাপ, বেকিং সোডা- ১/৪ চা চামচ, স্বাদমতো লবণ স্টাফিংয়ের জন্য লাগবে: বেসন- ১/২ কাপ, মরিচের গুঁড়ো- ১ চা চামচ, ঘি- আধ চা চামচ, বেকিং সোডা- ১/৪ চা চামচ, স্বাদমতো লবণ, পানি- সামান্য চাট মশলার জন্য দরকার: আস্ত জিরা- ১ টেবিল চামচ, মৌরি- ১ টেবিল চামচ, আস্ত ধনে- ১/২ টেবিল চামচ, গোল মরিচ- ১ টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়ো- ১ চা চামচ, লবণ- ১/২ চা চামচ, আমচুর পাউডার- ১/৪ চা চামচ পুরের জন্য প্রয়োজন: ১টি বড় আলু, সিদ্ধ করে ডুমো করে কাটা ১টি ছোটো পেঁয়াজ (কুচোনো) ২টি কাঁচা মরিচ (কুচোনো) ঘুগনির মটন সেদ্ধ- আধ কাপ ধনেপাতা কুচি বিট লবণ ১/২ খানা পাতিলেবুর রস ১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো এছাড়াও লাগবে: ভাজার জন্য সাদা তেল, ধনেপাতার চাটনি, তেঁতুলের চাটনি, ভালো করে ফেটিয়ে রাখা দই, ধনে পাতা কুচি, ঝুরিভাজা, বেদানার দানা প্রণালী: প্রথমে চাট মশলা তৈরি করে আলাদা করে রেখে দিন। শুকনো কড়াইয়ে জিরা, মৌরি, ধনে, গোলমরিচ হালকা ভাবে ভেজে তুলে নিন। একটি পাত্রে এটি তুলে নিয়ে তাতে লবণ, মরিচের গুঁড়ো এবং আমচুর পাউডার মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ব্লেন্ডারে মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। চাট মশলার পর বানিয়ে ফেলুন কচুরির ডো। এর জন্য একটি পাত্রে সুজি, ময়দা, বেকিং সোডা, লবণ এবং সামান্য পানি যোগ করে একটি ডো তৈরি করুন। এটি অন্তত আধ ঘণ্টা একটি পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে দিন। এরপর বানিয়ে ফেলুন কচুরির পুর। একটি পাত্রে সেদ্ধ আলু, কাঁচামরিচ কুচি, সেদ্ধ মটর, ধনে পাতা কুচি, বিট লবণ, লেবুর রস এবং গোলমরিচের গুঁড়ো নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে আলাদা করে রাখুন। বানিয়ে ফেলুন কচুরির পুর। একটি পাত্রে বেসন, মরিচের গুঁড়ো, লবণ, বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার, ঘি এবং সামান্য পানি যোগ করে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। চাইলে তেঁতুলের চাটনি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন। পাত্রে দুই কাপ পানি বসিয়ে তাতে আধ কাপ তেঁতুল এবং ২ অথবা ৩ কাপ গুড় দিয়ে কম করে ১০ মিনিট ফোটাতে থাকুন। এবার মিশ্রণটি ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে ফের সসপ্যানে ঢেলে দিয়ে গরম করতে থাকুন। অন্য একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে আধ চামচ করে আস্ত জিরা এবং মৌরি ফোঁড়ন দিন। সঙ্গে দিন ২-৩টি শুকনো মরিচ। মশলার সুগন্ধ উঠলে সেটি ছেঁকে নেওয়া ফুটন্ত চাটনিতে ঢেলে দিন। চাটনি ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এ বার কচুরি ভাজার পালা। ময়দার ডো-এর লেচি কেটে সামান্য বেলে তাতে বেসনের পুর ভরে বেলে নিন। বেলার সময় তেলের বদলে ময়দা ব্যবহার করবেন। কড়াইয়ে সাদা তেল গরম করে মাঝারি আঁচে কচুরি ভাজুন। ধীরে ধীরে দেখবেন কচুরি ফুলে উঠছে। তবে সেগুলো যতক্ষণ না সোনালি হয়ে মুচমুচে হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ভাজতে হবে। ভাজা কচুরি টিস্যু পেপারে তুলে রাখুন। এবার একেবারে পেশাদার চাট বিক্রেতার মতো কচুরিগুলো সাজিয়ে ফেলুন। কচুরির গায়ে ফুচকার থেকে একটু বড় গর্ত করে চামচে করে এক চামচ আলুর পুর ভরে নিন। তারপর যথাক্রমে ধনে পাতার চাটনি, তেঁতুলের চাটনি, দই এবং চাট মশলা যোগ করুন। স্বাদ অনুযায়ী চাটনি, দই, মশলা পুনরায় ভরে ফেলুন। স্টাফ করা কচুরির ওপর ছড়িয়ে দিন ঝুরি ভাজা, ধনেপাতা এবং বেদানার দানা। সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন করুন। আরটিভি/এফআই
পূজায় ভিন্ন স্বাদের মুচমুচে ‘চিকেন পোটলি’
পূজার সময়টা যেমন ভালো ভালো খাবার খাওয়ার, তেমনই চুটিয়ে আড্ডা দেওয়ার। আর আড্ডার সময় যদি মজাদার কোনো খাবার সামনে থাকে, তাহলে আড্ডার আনন্দ হবে দ্বিগুণ। আর বন্ধুরা যদি আপনার বাড়িতেই আড্ডা জমাতে আসেন, তখন বাড়িতে একটু ভিন্ন স্বাদের আয়োজন করতে চাইলে অল্প কিছু উপাদান দিয়েই তৈরি করে ফেলুন মজাদার ‘চিকেন পোটলি’। তাহলে এই সহজ রেসিপিটা করে সবাইকে চমকে দিতে পারেন। ভিন্ন স্বাদে শারদীয়া আড্ডা বেশ ভালোই জমে উঠবে। যা যা প্রয়োজন—  পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, রসুন, আদা, সুগন্ধী গুঁড়ো, সয়া সস, অয়স্টার সস, স্প্রিং অনিয়ন, ফিলো শিট (এর বদলে বাড়িতে পাতলা ময়দার লেচি বেলে নিতে পারেন), স্বাদ মতো লবণ রান্নার পদ্ধতি: প্রথমে কড়াইতে দুই টেবিল চামচ তেল দিন। একটু গরম হলে তাতে কুচো করে কাটা পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচামরিচ একসঙ্গে দিয়ে নাড়তে থাকুন। তাতে ছোট ছোট করে কাটা মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে দিন। বাকি মশলা আর লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর সসগুলো দিন। সেটা কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন। একটি বাটিতে মিশ্রণটি নামিয়ে রেখে ঠান্ডা হতে দিন। এবার ফিলো শিটগুলো নিন। হাতের পাতায় রেখে আঙুল দিয়ে গোলাকার করে নিন। তার মাঝখানে পরিমাণ মতো মাংস আর মশলার পুর দিন। এবার স্প্রিং অনিয়নকে সূতোর মতো ব্যবহার করে থলের আকারে ভালভাবে বেঁধে নিন। আবার কড়াইয়ে তেল দিন। তা গরম হলে মাঝারি আঁচে ৫ থেকে ৬ মিনিট এই পোটলিগুলো ভেজে নিন। একটু প্লেটে পছন্দের সসের সঙ্গে ছুটির বিকেলে পরিবেশন করুন। আপনার হাতের জাদুতে মুগ্ধ হবেন প্রিয় জনেরা। আরটিভি/এফআই