• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
যুক্তরাজ্যের ‘সিটি মিনিস্টার’ টিউলিপ সিদ্দিককে পালন করতে হবে যেসব দায়িত্ব 
বিবিসির সাংবাদিকের স্ত্রী-কন্যা খুন, আটক ১
যুক্তরাজ্যে জন হান্ট নামে বিবিসির এক সাংবাদিকের স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে কাইল ক্লিফোর্ড (২৬) এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।  পূর্ব ইংল্যান্ডের হার্ডফোর্ডশায়ারের বুশে শহরে সাংবাদিক জন হান্টের নিজবাড়িতে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে বলে জানানো হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।  প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিবিসি ফাইভ লাইভের রেসিং বিভাগের ধারাভাষ্যকার জন হান্টের স্ত্রী ক্যারল হান্ট (৬১), এবং দুই মেয়ে হান্না হান্ট (২৮) এবং লুইস হান্ট (২৫) নিজবাড়িতে অবস্থানকালেই তাদের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় ক্রসবো (ধনুক জাতীয় অস্ত্র) ব্যবহার করা হয়। ব্যতিক্রমী এ হামলার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। পুলিশ জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন যে ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, তিনি দুই বছর আগে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়েছেন। উত্তর লন্ডনের একটি কবরস্থানের কাছ থেকে আহত অবস্থায় আটক করা হয় তাকে। কাইল ক্লিফোর্ড নামে ওই ব্যক্তিকে ধরতে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।  তবে ঠিক কী কারণে সাংবাদিক পরিবারের ওপর এ হামলা, সে রহস্য এখনও উদঘাটন করতে পারেনি তদন্তকারীরা। খুন হওয়া নারী কিংবা ভুক্তভোগী সাংবাদিকের সঙ্গে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পূর্বপরিচয় ছিল কি না তা যাচাই করাও সম্ভব হয়নি এখন পর্যন্ত। এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে আসতেই বিবিসিসহ যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিবিসিতে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন হান্ট। সংবাদমাধ্যম এবং রেসিং সমর্থকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় তিনি।
যুক্তরাজ্যে টিউলিপের পর মন্ত্রী হলেন রুশনারাও
টিউলিপ সিদ্দিক এবার যুক্তরাজ্যের নগরমন্ত্রী
অবৈধ অভিবাসীদের বড় সুখবর দিলো যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী
রাজনীতিতে প্রবেশের ১০ বছরেই প্রধানমন্ত্রী স্টারমার
ব্রিটেনের নতুন মন্ত্রিসভায় কে কোন দায়িত্ব পেলেন
যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের দল লেবার পার্টি।  শুক্রবার (৫ জুলাই) নির্বাচনে জয়ের পর বাকিংহাম প্রাসাদে রাজার সঙ্গে দেখা করতে যান কিয়ার স্টারমার। সেখানেই তিনি তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন। এ সময় তাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণও জানান রাজা। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাকিংহাম প্যালেস থেকে ফিরেই মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেছেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। লেবার এমপি অ্যাঞ্জেলা রেনারকে উপ-প্রধানমন্ত্রী, ডেভিড ল্যামিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, র‍্যাচেল রিভস্কে অর্থমন্ত্রী, এড মিলিব্যান্ডকে জ্বালানিমন্ত্রী, ব্রিজিত ফিলিপসনকে শিক্ষামন্ত্রী, ওয়েস স্টিটিংকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং শাবানা মাহমুদকে বিচারমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  অন্যদিকে, জন হিলিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ইয়েভেট কুপারকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জোনাথন রেনল্ডসকে বাণিজ্যমন্ত্রী, পিটার কাইলকে বিজ্ঞান-উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিমন্ত্রী, লুইস হাইকে পরিবহনমন্ত্রী ও লিজ কেন্ডালকে কর্ম-পেনশন বিষয়কমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া দিয়েছেন স্টারমার।   প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লেবার পার্টি ৬৫০ আসনের মধ্যে ৪১২টি আসনে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন। দেশটির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কোনো দলের প্রয়োজন হয় ৩২৬ আসন। 
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন কিয়ার স্টারমার
যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে নিরাঙ্কুশ জয় পেয়েছে কিয়ার স্টারমারের দল লেবার পার্টি। তাই তাকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাজা দ্বিতীয় চার্লস। শুক্রবার (৫ জুলাই) নির্বাচনে জয়ের পর বাকিংহাম প্রাসাদে রাজার সঙ্গে দেখা করতে যান কিয়ার স্টারমার। সেখানেই তিনি তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন। খবর বিবিসির। জানা গেছে, গত ৪ জুলাই যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লেবার পার্টি ৬৫০ আসনের মধ্যে ৪১২টি আসনে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন। দেশটির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কোনো দলের প্রয়োজন হয় ৩২৬ আসন। এদিকে নির্বাচনে ভারডুবিতে টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাক।  নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর কিয়ার স্টারমার তার ভাষণে বলেন, জনগণ সুচিন্তিতভাবে পরিবর্তন এবং জনগণের সেবামূলক রাজনীতির জন্য ভোট দিয়েছে। তবে কোনো দেশকে পরিবর্তন করা সুইচ টেপার মতো বিষয় নয়। এর জন্য সময় প্রয়োজন হবে। তবে পরিবর্তনের জন্য কাজ শুরু করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমার মতো খেটে খাওয়া পরিবারগুলো যাতে জীবন চালাতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’ কে এই কিয়ার স্টারমার? রাজধানী লন্ডনের বাইরে সারেতে ১৯৬২ সালের ২ সেপ্টেম্বর একটি বামপন্থী শ্রমিক পরিবারে জন্ম কিয়ার স্টারমারের । জন্মের পরপরই লেবার পার্টির সঙ্গে যেন তার একটি যোগসূত্র তৈরি হয়ে যায়। কারণ তার নামকরণটি হয়েছিল স্কটিশ ট্রেড ইউনিয়নিস্ট কিয়ার হার্ডির নামানুসারে, যিনি লেবার পার্টির প্রথম নেতা ছিলেন। স্টারমার তার পরিবারের প্রথম স্নাতক। প্রথমে তিনি লিডস ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন করেন এবং পরবর্তীতে অক্সফোর্ড থেকে আইন বিষয়ে পড়ালেখা সম্পন্ন করেন। স্টারমার একজন মানবাধিকার আইনজীবী। যুক্তরাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউশন দপ্তরের পরিচালক পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়ায় অবদান রাখায় ‘নাইট’ উপাধি পেয়েছেন স্টারমার। খুব অল্প বয়স থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিয়ার স্টারমার। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি যোগ দেন লেবার পার্টি ইয়ং স্যোশালিস্ট দলে। ২০২০ সালের এপ্রিলে লেবার পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন স্টারমার। জেরেমি করবিনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। দায়িত্ব নিয়েই যুক্তরাজ্যের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন স্টারমার। কয়েক বছরের মাথায় ভোটের লড়াইয়ে এর সুফল পেলেন তিনি। সমর্থকদের চোখে স্টারমার একজন বাস্তববাদী মানুষ। ভরসা করার মতো রাজনীতিবিদ। আর সমালোচকদের অনেকের মতে, স্টারমার চৌকস নন। বরং তিনি অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়া একজন রাজনীতিক। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম দ্য সান আয়োজিত এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে স্টারমার বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে যেসব মানুষ আসছে, তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না।’ কনজারভেটিভ সরকারের রুয়ান্ডা অভিবাসী প্রত্যাবাসন প্রকল্পের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। স্টারমারের এমন মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়ে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি সম্প্রদায়। প্রতিবাদ জানানো হয়। এমন মন্তব্যে বিপাকে পড়েন এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীরা। এবার লেবার পার্টির আটজনসহ সব মিলিয়ে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক ভোটে লড়ছেন। তুমুল সমালোচনার মুখে সুর নরম করেন স্টারমার। তিনি বলেন, ‘আমি আসলে বাংলাদেশকে আলাদাভাবে বোঝাতে চাইনি। আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও আমাদের দেশের প্রতি বাংলাদেশি কমিউনিটির অবদানকে আমি ব্যাপকভাবে মূল্যায়ন করি।’ এদিকে রয়টার্সের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, নির্বাচনে জয়ী হতে জনগণের জন্য সরকারি সেবার মান কমে যাওয়া ও জীবনযাত্রার মান নিয়ে মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়েছেন স্টারমার। নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, লেবার পার্টি পরিবর্তন আনবে। যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন, তা থেকে শিগগিরই উত্তোলনের কোনো জাদুমন্ত্র তার কাছে নেই। সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে ৬১ বছর বয়সী এ আইনজীবীর জন্য।
পদত্যাগের ঘোষণা ঋষি সুনাকের
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে ভরাডুবির পর নিজের দল ‘কনজারভেটিভ পার্টি’র নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন ঋষি সুনাক। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাচ্ছেন তিনি। শুক্রবার (৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ঋষি সুনাক। ইতোমধ্যে বাকিংহাম রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করে রাজা চার্লসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। এদিকে, নির্বাচনে লেবার পার্টির কাছে ভরাডুবির মধ্য দিয়ে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টির পতন হলো। সুনাকের দল জয় পেয়েছে মাত্র ৭১টি আসনে। নির্বাচনে হার স্বীকার করে ঋষি সুনাক বলেন, দলের এই হারের দায় আমার। আমি দুঃখিত। কেয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন। অন্যদিকে, ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের ভোটে ভালো ফলাফল করেছে লেবার পার্টি। দলটি ৪১২টি আসনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। যুক্তরাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে কোনো দলের ৩২৬ আসনের প্রয়োজন। যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া কেয়ার স্টারমার বলেন, আপনারা ভোট দিয়ে আমাদের জিতিয়েছেন। এবার আমাদের দায়িত্ব হলো আপনাদের জন্য কাজ করা। ব্রিটেনের এবারের নির্বাচনে চার বাঙালিকন্যা জয় পেয়েছেন। তারা হলেন টিউলিপ সিদ্দিক, রুশনারা আলী, রুপা হক ও আফসানা বেগম। এই চারজনই সদ্য বিজয়ী দল লেবার পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী, ৯ জুলাই নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে নতুন সরকার।
যুক্তরাজ্যে লেবারদের বিজয় কেতন ওড়ালেন রূপা-রুশনারাও
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে দীর্ঘ ১৪ বছর পর জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে একযোগে অনুষ্ঠিত ভোটে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে উজ্জীবিত দলটি। বিপরীতে সবশেষ মেয়াদে নেতাদের লাগাতার ব্যর্থতায় ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টিকে। লেবারদের বিশাল জয়ে তাদের হয়ে বিজয় কেতন উড়িয়েছেন চার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীও। যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেট থেকে চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। এবারের নির্বাচনে ২৩,৪৩২ ভোট (৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ) পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন ৮,৪৬২ ভোট। যুক্তরাজ্য সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব পালন করেন শিশু ও প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক শ্যাডো মন্ত্রী এবং শ্যাডো অর্থনৈতিক সচিব হিসেবে। নির্বাচনে ১৮৫৩৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো হাউজ অব কমন্সে বসতে যাচ্ছেন আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আপসানা বেগম। যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে পপলার এন্ড লাইম হাউজ আসন থেকে লড়েছিলেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রীন পার্টির নাটালি পেয়েছেন ৫৯৭৫ ভোট। আপসানার সাবেক স্বামী অপর ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রার্থী এহতেশামুল হক পেয়েছেন ৪৫৫৪ ভোট। লেবার পার্টির হয়ে দাপুটে জয় পেয়েছেন আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রূপা হকও। ২৮১৩২ ভোট পেয়ে ইলিং সেন্ট্রাল এবং অ্যাক্টনে তার আসনটি ধরে রেখেছেন তিনি। রূপার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী জুলিয়ান গ্যালান্ট পেয়েছেন ১৪৮৩২ ভোট। যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিনিধি রুশনারা আলী জিতেছেন বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন থেকে। লেবার পার্টির হয়ে ৪৪ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে রুশনারা এক রকম উড়িয়ে দিয়েছেন কনজারভেটিভদের প্রতিনিধি নিকোলাস স্টোভল্ডকে। রুশনারার বিপরীতে দাঁড়িয়ে মাত্র ৬ হাজার ৫২৮ ভোট পড়েছে তার ঝুলিতে।   যুক্তরাজ্যের এবারের নির্বাচনে রেকর্ড ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একেকটি আসনে গড়ে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন করে। ৩১৭টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েন ৪৫৯ জন। যুক্তরাজ্যে এবারের সাধারণ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মনোনয়নে প্রার্থী হন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেউ কেউ। সব মিলিয়ে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবারের নির্বাচনে। নিয়ম অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলকে সরকার গঠন ও দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানাবেন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস। আগামী ৯ জুলাই নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে নতুন সরকারের।
হার স্বীকার করে যা বললেন ঋষি সুনাক
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেয়ার স্টারমার। রেকর্ড ভোট নিয়ে বিরাট জয় পায় তার দল লেবার পার্টি। এর পরপরই যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে হার স্বীকার করে নেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সুনাক বলেছেন, দলের এই হারের দায় আমার। আমি দুঃখিত। কেয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন। বস্তুত, ম্যাজিক ফিগার পার করে বিপুল জয় পায় লেবার পার্টি। কেয়ার স্টারমার লেবার পার্টির বর্তমান প্রধান। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনস। ৬৫০ সিটের হাউস অব কমনসে সর্বোচ্চ আসন পায় লেবার পার্টি। জয়ী ঘোষণা হওয়ার পর স্টারমার বলেছেন, আপনারা ভোট দিয়ে আমাদের জিতিয়েছেন। এবার আমাদের দায়িত্ব হলো আপনাদের জন্য কাজ করা। ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের ভোটে এত ভালো ফলাফল করেছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে, ভয়াবহ ফলাফল হয় ঋষি সুনকের কনজারভেটিভ পার্টির। রেকর্ড না হলেও ৩৩৩টি আসন নিয়ে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেল লেবার পার্টি। বিপরীতে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি জয় পেল মাত্র ৭১টি আসনে। ভালো ফল করেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। ৪৬টি আসনে জয় নিয়ে তৃতীয় হয়েছে তারা। টানা ৬ মাসের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার পর যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে ব্যালটের মাধ্যমে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয় ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৪০ হাজার কেন্দ্রে। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩৫টি রাজনৈতিক দল মাত্র একজন করে প্রার্থী দেয়। যুক্তরাজ্যের এবারের নির্বাচনে রেকর্ড ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একেকটি আসনে গড়ে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন করে। ৩১৭টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েন ৪৫৯ জন। যুক্তরাজ্যে এবারের সাধারণ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মনোনয়নে প্রার্থী হন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেউ কেউ। সব মিলিয়ে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবারের নির্বাচনে। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় গণনা। নিয়ম অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলকে সরকার গঠন ও দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানাবেন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস। দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দল পার্লামেন্টে থাকবে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে। আর দলটির নেতা হবেন প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা। আগামী ৯ জুলাই নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে নতুন সরকারের।
যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত আপসানা বেগম
টানা ৬ মাসের প্রচার-প্রচারণা শেষে যুক্তরাজ্যে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়ে গেল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই)। ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে এসে গেছে নির্বাচনের ফলও। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৩৩৩টি আসন নিয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি। দীর্ঘ ১৪ বছর পর ক্ষমতা হারালো কনজারভেটিভরা।   লেবার পার্টির বিশাল এ জয়ে পূর্ব লন্ডনে পপলার এন্ড লাইম হাউজ আসন থেকে অবদান রেখেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম। নির্বাচনে ১৮৫৩৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জয়লাভ করেছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রীন পার্টির নাটালি পেয়েছেন ৫৯৭৫ ভোট। আপসানার সাবেক স্বামী অপর ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রার্থী এহতেশামুল হক পেয়েছেন ৪৫৫৪ ভোট। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে ব্যালটের মাধ্যমে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয় ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৪০ হাজার কেন্দ্রে। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩৫টি রাজনৈতিক দল মাত্র একজন করে প্রার্থী দেয়। যুক্তরাজ্যের এবারের নির্বাচনে রেকর্ড ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একেকটি আসনে গড়ে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন করে। ৩১৭টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েন ৪৫৯ জন। যুক্তরাজ্যে এবারের সাধারণ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মনোনয়নে প্রার্থী হন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেউ কেউ। সব মিলিয়ে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবারের নির্বাচনে। নিয়ম অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলকে সরকার গঠন ও দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানাবেন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস। আগামী ৯ জুলাই নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে নতুন সরকারের।
সত্য হলো এক্সিট পোল, যুক্তরাজ্যে নিরঙ্কুশ জয় পেল লেবার পার্টি
অবশেষে এক্সিট পোলের ভবিষ্যদ্বাণীই সত্য হলো। ৩৩৩টি আসনে জিতে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ইতোমধ্যে নিরঙ্কুশ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে লেবার পার্টি। বিপরীতে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি জয় পেয়েছে মাত্র ৭১টি আসনে। ভালো ফল করেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। ৪৬টি আসনে জয় নিয়ে তৃতীয় হয়েছে তারা।  লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ এ জয়ে নিশ্চিত হয়ে গেল, কিয়ার স্টারমারই হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। জয়ের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘পরিবর্তন এখন থেকেই শুরু হলো। আমি আনন্দিত।’ এদিকে নির্বাচনের ফল মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। পরাজয় মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে বিদায় নিচ্ছেন তিনি।  টানা ৬ মাসের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার পর যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে ব্যালটের মাধ্যমে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয় ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৪০ হাজার কেন্দ্রে। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩৫টি রাজনৈতিক দল মাত্র একজন করে প্রার্থী দেয়। যুক্তরাজ্যের এবারের নির্বাচনে রেকর্ড ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একেকটি আসনে গড়ে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন করে। ৩১৭টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েন ৪৫৯ জন। যুক্তরাজ্যে এবারের সাধারণ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মনোনয়নে প্রার্থী হন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেউ কেউ। সব মিলিয়ে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবারের নির্বাচনে। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় গণনা। নিয়ম অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলকে সরকার গঠন ও দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানাবেন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস। দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দল পার্লামেন্টে থাকবে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে। আর দলটির নেতা হবেন প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা। আগামী ৯ জুলাই নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে নতুন সরকারের।