• ঢাকা শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
প্রতিটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ ঝুলছে টাকার অঙ্কে: হাসনাত আবদুল্লাহ
ছবিটি সিরিয়ার কারাগারের নয়, যা জানা গেল
বিদ্রোহীদের হামলায় গত ৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় পালিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। এরপরই দেশটির সায়দনায়া কারাগারে থাকা হাজার হাজার মানুষকে মুক্ত করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ভিয়েতনামের জাদুঘরের একটি ছবিকে সিরিয়ার কারাগারের দৃশ্য বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এটি সিরিয়ার কারাগারের ছবি নয় বরং ভিয়েতনামের জাদুঘরের ছবিকে সিরিয়ার কারাগারের ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। ছবির স্টোরেজ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট অ্যালামিতে ২০০৮ সালে প্রকাশিত একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির সাদৃশ্য পাওয়া যায়। এটি ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটির যুদ্ধের অবশিষ্টাংশ বিষয়ক যাদুঘরের ছবি। এই ছবিটি একটি রেপ্লিকার। এছাড়া Faheyjamestravel নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও থেকেও একই তথ্য জানা যায়। সুতরাং, সিরিয়ার কারাগারের ছবি দাবিতে ভিয়েতনামের জাদুঘরের ছবি প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। আরটিভি/এসএপি
ফেসবুকে দুঃসংবাদ দিয়ে যে অনুরোধ করলেন নির্মাতা ফারুকী
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ‘সুখবর’ দিয়ে যা লিখলেন হাসনাত আবদুল্লাহ
যাকে সবচেয়ে বেশি পাশে পেয়েছি, তাকেই ‘র’ এজেন্ট বলছেন: উপদেষ্টা আসিফ
পূজা চেরির নাম ‘কমিটিতে’, যা বললেন শিবিরের সভাপতি
দেশের রাস্তায় বৃদ্ধের উচ্ছিষ্ট খাওয়ার ছবি ভাইরাল, যা জানা গেল
ফুটপাতে ময়লার ভাগাড় থেকে একজন বৃদ্ধ উচ্ছিষ্ট কুড়িয়ে খাচ্ছেন, সম্প্রতি এমন একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিটি পোস্ট করে একেকজন একেক রকম ক্যাপশন দিচ্ছেন। কেউ লিখেছেন, বাংলাদেশের অবস্থা। আবার কেউবা বলছেন এটি দুর্ভিক্ষের বাংলাদেশ। তবে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, ছবিটি মোটেই সাম্প্রতিক সময়ের নয়। এটি ২০২৩ সালে তোলা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছবিটি ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর আলোকচিত্রী জিএমবি আকাশের ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছিল। পরে ছবিটি নিয়ে অপপ্রচার শুরু হলে রোববার (৮ ডিসেম্বর) আলোকচিত্রী নিজেই তার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তা শেয়ার করে সত্যতা তুলে ধরেন। এদিকে ছবিটির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কেউ কেউ দাবি করেন, এটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি। এ অবস্থায় আলোকচিত্রী জিএমবি আকাশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মূল ছবিটি সংগ্রহ করে রিউমর স্ক্যানার।  পরে মূল ছবির মেটাডাটা বিশ্লেষণে প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত হয় যে, ছবিটি আসল এবং এটি ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর তোলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ফেসবুকে এই ছবি শেয়ারকারীদের একজন আওয়ামী লীগ সমর্থক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নিঝুম মজুমদার। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি ভারতে অবস্থান করে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি ভারতীয় মিডিয়ার টকশোতেও তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে। এর আগে, একটি লাইভ টকশোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইয়েদ আব্দুল্লাহ তাকে হারপিক দেখিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। এরপর থেকেই তিনি নেটিজেনদের কাছে ‘হারপিক মজুমদার’ নামে পরিচিত। আরটিভি/আইএম/এআর
কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে জুতাপেটা, ২ নারী গ্রেপ্তার
‘দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে জুতাপেটা করেছেন দুই নারী’ এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়ার কোর্ট স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী জুতা হাতে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যকে মারধর করছেন। মারধরে তার সঙ্গে যোগ দেন আরেক নারী। মারধর করে ওই দুই নারী ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। জানা গেছে, সোমবার সকালে মসজিদের মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল। তখন স্টেশনে ট্রেনের সিগন্যাল পড়ে। স্থানীয়রা বলেন, ওই দুই নারী একটি বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। এ সময় সড়কে অতিরিক্ত যানজট থাকায় রিকশায় থাকা দুই নারীর রিকশা আটকে দেন ট্রাফিক পুলিশের ওই কনস্টেবল। তবে তারা ট্রেনের সিগন্যাল উপেক্ষা করে জোরপূর্বক যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ কনস্টেবল। সেখান থেকেই শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। স্থানীয় একটি ফার্মেসির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই দুই নারীর সাথে থাকা শিশুকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে ট্রাফিক পুলিশের দিকে তেড়ে এসে প্রথমে একজন ধাক্কা দেয়। এরপর আরেকজন ট্রাফিক পুলিশের মুখে জুতা দিয়ে আঘাত করে। তারপর তাদের সাথে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা ঠেকালে ওই দুই নারী চলে যায়। এদিন বিকেলে ওই পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। এজাহারে ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে পরিচয় শনাক্ত করার পর শহরের থানাপাড়ার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সোহানা ইসলাম (৪৪) ও হাউসিং বি ব্লকের বাসিন্দা রিপন হোসেনের স্ত্রী সানজিদা আক্তার শান্তা (৩৯) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শান্তার স্বামী রিপন জানান, সন্ধ্যায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা প্রথমে তাকে দোকান থেকে তুলে নেন। পরে বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেন। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘একজন মুরব্বি (বয়োজ্যেষ্ঠ) ট্রাফিক সদস্য ডিউটি করছিলেন। ট্রেন চলে আসায় লেভেল ক্রসিংয়ের বার নামিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় একজন নারী রেলপথ পার হওয়ার চেষ্টা করলে ওই পুলিশ সদস্য বাধা দেন। প্রথমে ওই নারী অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরে আরেক নারীকে সঙ্গে নিয়ে এসে পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন।’ আরটিভি/এসএপি
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের পতন, যা বললেন কাবা শরিফের ইমাম
বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) অপ্রতিরোধ্য হামলায় মাত্র ১২ দিনে পতন ঘটেছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ২৪ বছরের রাজত্ব। এবার এ বিষয়ে কথা বলেছেন মুসলিম বিশ্বের তীর্থস্থান কাবা শরিফের ইমাম শায়খ ইয়াসির আদ-দাওসারি। রোববার (৮ ডিসেম্বর) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সিরিয়ার জনগণকে মোবারকবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিশ্বের সব দেশের নিপীড়িত জনগণের জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন।   ফেসবুকে শায়খ ইয়াসির আদ-দাওসারি লেখেন, ‘হে আমাদের সিরিয়ান বন্ধুরা, আপনাদের অভিনন্দন। অভিনন্দন পৃথিবীর প্রত্যেক নিপীড়িত জনতার প্রতি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, যিনি প্রত্যেক মজলুমের অন্তর প্রশান্ত করেছেন।’ অপর একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সুপ্রভাত! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সিরীয় ভাইদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন। অভিনন্দন, প্রিয় সিরীয় ভাইয়েরা!’   সবশেষ পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘نَصۡرٌ مِّنَ اللّٰهِ وَ فَتۡحٌ قَرِیۡبٌ অর্থ: (আর তিনি তোমাদেরকে দান করবেন বাঞ্ছিত আরো একটি অনুগ্রহ) আল্লাহর সাহায্য ও আসন্ন বিজয়। তারপর বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা সিরীয় ভাইদেরকে এই জয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’ প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন। এর আগে তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ ২৯ বছর দেশটি শাসন করেছিলেন। তবে ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময় বিক্ষোভকারীদের দমনে কঠোর পন্থা অবলম্বন করেন তিনি। এরপর বিক্ষোভকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেন। এতে করে দেশটিতে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। যদিও ২০১৫ সালে বাশার আল আসাদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে রাশিয়া। সে বছর সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় তারা। এরপর বিদ্রোহীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এবং ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার ব্যস্ত থাকার সুযোগে বিদ্রোহীরা আবারও তৎপর হয়ে উঠে। এরই একপর্যায়ে সম্প্রতি বিদ্রোহীরা হামলা শুরু করে এবং এই হামলার মুখে নাটকীয়ভাবে দামেস্ক ছেড়ে পালালেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। রোববার দামেস্ক ‘মুক্ত’ করার ঘোষণা দিল বিদ্রোহীরা। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে কার্যত সিরিয়ায় দীর্ঘ ৫৪ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটল। আরটিভি/এসএপি
যুবাদের এশিয়া কাপ জয়ে তারেক রহমানের অভিনন্দন
ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেতে বাংলাদেশ। এই ঐতিহাসিক জয়ে জুনিয়র টাইগারদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।   রোববার (৮ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।  তারেক রহমান লেখেন, ভারতের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে যোগ্য বিজয়ের জন্য বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে আন্তরিক অভিনন্দন! আপনাদের কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ়তা এবং দলগত কাজ জাতিকে গর্বিত করেছে। এ জয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নিদর্শন।   রোববার (৮ ডিসেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে ১৯৯ রানের সহজ লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে ৩৫.১ ওভারে ১৩৯ রান তুলতে পারে ভারত। এতে ৫৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ১ রান করেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার কালাম সিদ্দিকী। ৬৫ বলে ২০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন জাওয়াদ আবরার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আজিজুল হক তামিমও। মাত্র ১৬ রান করে ফেরেন এই টাইগার অধিনায়ক। রিজানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শিহাব জেমস। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি দুজনের কেউই। ৬৭ বলে ৪০ রান করে ফেরেন শিহাব, ৩ বলে ১ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন দেবাশীষ দেবাও। এরপর ৬৫ বলে ৪৭ রান করে রিজান আউট হলে দলীয় ১৫৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। সামিউন বসির ৪ এবং ১ রান করে উইকেট মিছিলে যোগ দেন আল ফাহাদ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন ফরিদ হাসান। তাকে সঙ্গ দেন মারুফ মৃধা। ৪৯তম ওভারে চতুর্থ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ফরিদ। ৪৯ বলে ৩৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। শেষ ওভারের প্রথম বলে ইকবাল (১) আউট হলে মারুফ মৃধার অপরাজিত ১১ রানে ভর করে ১৯৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে হার্দিক রাজ, যুধাজিৎ গুহ ও চেতন শর্মা দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও কিরণ চোরমলে, কেপি কার্তিকেয়া ও আয়ুশ মাত্রে একটি করে উইকেট শিকার করেন। জবাবে ব্যাটিংয়ের শুরুটা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ভারত। ওপেনার আয়ুশ এক রানে ফাহাদের বলে আউট হলে, বৈভব সূর্যবংশী ৯ রান তুলে মারুফের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। দলীয় ৪৪ রানে ফেরেন সিদ্ধার্থ। এরপর ইমনের পরপর তিন শিকারে ভারতের স্কোর বোর্ডে ৬ উইকেটে ৮১ রান জমা হয়। তবে ক্রিজ আগলে খেলতে থাকেন অধিনায়ক মোহাম্মদ আম্মান। স্কোর বোর্ডে ৯২ রান যোগ করতে এবার ফাহাদের শিকারে আরও এক উইকেট হারায় ভারত। এরপর অধিনায়কের সঙ্গী হন হার্দিক। রান বাড়তে থাকলে ভারতের ড্রেসিংরুমের আলোচনায়ও জয়ের বাতাস বইতে থাকে। তখন অধিনায়ককে ২৬ রানে থামিয়ে দেন টাইগার জুনিয়র লিডার তামিম। নিজের প্রথম ওভারেই থিতু হতে থাকা আম্মনকে আউট করেন। এরপর আর কেউ জুটি গড়তে না পারলে ১৩৯ রানে থেমে যায় ভারতের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেনে ইকবাল হোসেন ইমন ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। ফাহাদ নেন ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট পান রিজান হোসেন ও মারুফ মৃধা। ২৪ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার খেতাব ও পুরো সিরিজে ১৩ উইকেট শিকার করে সিরিজ সেরার খেতাব বাংলাদেশের ইকবাল হোসেন ইমনের ঝুলিতে। সংক্ষিপ্ত স্কোর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ (রিজান ৪৭, জেমস ৪০, ফরিদ ৩৯, জাওয়াদ ২০, আজিজুল ১৬, মারুফ ১১; যুধজিৎ ২/২৯, হার্দিক ২/৪১, চেতন ২/৪৮)। ভারত অনূর্ধ্ব-১৯: ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ (আমান ২৬, হার্দিক ২৪, কার্তিকেয়া ২১, সিদ্ধার্থ ২০, চেতন ১০; আজিজুল ৩/৮, ইকবাল ৩/২৪, আল ফাহাদ ২/৩৪, রিজান ১/১৪, মারুফ ১/৩৬)। ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৫৬ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইকবাল হোসেন ইমন। আরটিভি নিউজ/টিআই  
সিরিয়ায় আসাদের পতন, যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ
বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এর মাধ্যমে তার দীর্ঘ ২৪ বছরের শাসনের অবসান হয়েছে। এ অবস্থায় তাকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার (৮ ডিসেম্বর) তিনি লিখেছেন, রাজনৈতিক পরিসরে যখন আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে, তখন আমি ইউটিউবে জুলাই-আগস্ট মাসের খবরগুলো দেখি। সেসব দেখার পর জলপাই রঙের উর্দি পরা দেশপ্রেমিক অফিসার ও সৈনিকদের জন্য এক গভীর অনুতাপ অনুভব করি। জেনারেলদের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের নেওয়া এই বোল্ড ডিসিশনের কী নিদারুণ অপচয়! হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লিখেছেন, আওয়ামী লীগের পরিণতি সিরিয়ার আসাদের চাচাতো ভাইয়ের মতো না করার এই আক্ষেপ বোধ হয় আমাদের সারাজীবন পুড়িয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন। এর আগে তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ ২৯ বছর দেশটি শাসন করেছিলেন।  তবে ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময় বিক্ষোভকারীদের দমনে কঠোর পন্থা অবলম্বন করেন তিনি। এরপর বিক্ষোভকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেন। এতে করে দেশটিতে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। যদিও ২০১৫ সালে বাশার আল-আসাদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে রাশিয়া। সে বছর সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় তারা। এরপর বিদ্রোহীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। কিন্তু সম্প্রতি লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এবং ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার ব্যস্ত থাকার সুযোগে বিদ্রোহীরা আবারও তৎপর হয়ে ওঠে। এরই একপর্যায়ে সম্প্রতি বিদ্রোহীরা হামলা শুরু করে এবং এই হামলার মুখে নাটকীয়ভাবে দামেস্ক ছেড়ে পালালেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। আরটিভি/আইএম/এআর
হাসিনার দুর্নীতি তুলে ধরে ব্যাপক সংস্কারের আহ্বান তারেক রহমানের
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতের ওপর শ্বেতপত্র প্রস্তুতি কমিটির একটি প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা সরকারের নজিরবিহীন দুর্নীতির বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে এবং দেশের আর্থিক খাতের গুরুতর অবস্থা উঠে এসেছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সামাজিকমাধ্যম এক্সে একটি স্ট্যাটাস এসব কথা লেখেন। তারেক রহমান লেখেন, এই প্রতিবেদনটি একটি অন্ধকারের ছবি এঁকেছে, যা শেখ হাসিনার প্রশাসনকে একটি কিপটোক্রেসি হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যেখানে জনগণের সম্পদ সিস্টেম্যাটিকভাবে লুট করা হয়েছে। তারেক রহমান আরও লেখেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে আনুমানিক ২৪০ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। এই লুণ্ঠনের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে ২৯টি বড় আকারের উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে ৮ বিলিয়ন ডলার বাজেট বাড়ানোর নামে অপব্যয় হয়েছে। ‘কুইক রেন্টাল’ বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর কথা বলা হয়েছিল অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সমাধান হিসেবে, কিন্তু সেগুলো প্রমাণিত হয়েছে দ্রুত মুনাফা অর্জনের কৌশল হিসেবে, যা জনগণের টাকায় করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে ব্যাংকিং খাতে গভীর তদন্ত করলে আরও ভয়াবহ বাস্তবতা সামনে আসবে। এই প্রতিবেদন নিশ্চিত করেছে যে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য ব্যাপক সংস্কার জরুরি মন্তব্য করে তারেক রহমান লেখেন, আমাদের দল, বিএনপি, এবং আমাদের সহযোগী দলগুলো একটি ৩১-দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে, যা এই সিস্টেমিক ব্যর্থতা মোকাবেলা করবে। এই প্রস্তাবনার ১৩তম পয়েন্টে কার্যকর দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি জনগণের অর্থের অপব্যয় বন্ধ করতে এবং সকল খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া আমাদের প্রস্তাবনার ১৫তম পয়েন্টে একটি অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই উদ্যোগটি অর্থনৈতিক শাসনে স্বচ্ছতা আনবে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করবে এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে সাহায্য করবে; যা যোগ্য এবং দায়বদ্ধ নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হবে। সরকারকে অবিলম্বে stolen wealth (চুরিকৃত সম্পদ) পুনরুদ্ধার এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে দাবি জানিয়ে বিএনপির এই কর্ণধার লেখেন, ন্যায়বিচার দ্রুত এবং কঠোরভাবে হওয়া উচিত, যাতে জনগণের সরকারে আস্থা ফিরে আসে এবং এমন কোনো অপব্যবহারের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। বিএনপি একটি স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ, এবং ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থা গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিবর্তনের সময় এখনই—আমাদের দেশ আর কোনোভাবেই আরও অদক্ষতার ভার নিতে পারে না।   আরটিভি নিউজ/টিআই
এক দশকে সীমান্তে ঝরেছে ৩শ’র বেশি প্রাণ, এটি স্থায়ী শত্রুতার প্রমাণ: নাহিদ
গত এক দশকে বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে তিনশোরও বেশি প্রাণ ঝরেছে উল্লেখ করে বিষয়টিকে স্থায়ী শত্রুতার একটি মারাত্মক প্রমাণ বলে আখ্যায়িত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। সীমান্তে প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যার মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী আন্তর্জাতিক কনভেনশন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার নীতিগুলো লঙ্ঘন করে চলেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।  পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক আনোয়ার হোসেন নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাতে গিয়ে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। পোস্টে মো. নাহিদ ইসলাম লিখেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে, বিএসএফ বারবার নিরস্ত্র বাংলাদেশি বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে। এটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার নীতিগুলোর স্পষ্ট  লঙ্ঘন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি লিখেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সালের পর্যন্ত ৫২২ জন বাংলাদেশি বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৩২৪ জনকে গুলি করে এবং অন্যদের নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আশ্চর্যজনকভাবে এই হত্যাকাণ্ডগুলো অবিচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালে ৩৪টি, ২০২২ সালে ২৩টি এবং ২০২১ সালে ১৮টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড করা হয়েছে। এই মৃত্যুগুলো প্রায়শই চোরাচালান বা আত্মরক্ষার জন্য গুলি করা হয়েছে এমন দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু এটি ২০১৮ সালের চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এই চুক্তিতে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত ক্রসিং পরিচালনায় প্রাণঘাতী শক্তি এড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এই চরম বাস্তবতা দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের দাবিকে ক্ষুণ্ন করে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, শুধুমাত্র গত এক দশকে সীমান্তে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এটি স্থায়ী শত্রুতার একটি মারাত্মক প্রমাণ। ভারত সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে যেন তার সীমান্ত বাহিনী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলে। আরটিভি/এসএইচএম