• ঢাকা সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১
logo
মেট্রোরেলের টিকিটের নকশা বদলের ব্যাখ্যা দিলো ডিএমটিসিএল
তারা গণহত্যা করে পালিয়ে গিয়ে নিরীহ নেতাকর্মীদের উসকে দিচ্ছে: সোহেল তাজ
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেছেন, একটি পরিবার দেশ ধ্বংস করে পালিয়ে গিয়ে এখন নিরীহ নেতাকর্মীদের উসকে দিচ্ছে।  রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন। রাজধানীর জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগের দুই কর্মীকে মারধরের একটি প্রতিবেদনের ছবির স্ক্রিনশট দিয়ে এ পোস্ট করেন সোহেল তাজ। পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘একটি পরিবার ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে জুলাই-অগাস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে, শত শত মানুষেকে অন্ধ করে, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করে, দুর্নীতি করে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে আওয়ামীলীগ সংগঠনকে ধ্বংস করে পালিয়ে গিয়ে এখন নিরীহ নেতা কর্মীদেরকের উস্কিয়ে দিচ্ছে যাতে তারা আবার বাংলাদেশকে শোষণ করতে পারে- তারা বিদেশে বসে পাচার করা টাকার পাহাড়ে বসে খেলা দেখছেন।' প্রসঙ্গত, শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও এক জায়গায় গণজমায়েত কর্মসূচির ডাক দেয়। এ নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। আওয়ামী লীগের এ কর্মসূচি ঘোষণার পর শনিবার রাতেই সেখানে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মোতায়েন করা হয় ১৯১ প্লাটুর বিজিবি।  এদিকে, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ মঞ্চের আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েত শরু করে। শহীদ নূর হোসেন চত্বর থেকে কিছুটা দুরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের মূল সড়কে এই কর্মসূচি শুরু হয়। মঞ্চে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ অন্য সমন্বয়করা উপস্থিত রয়েছেন।  (ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/এফএ/ডিএম)
ফেসবুক লাইভে এসে যে ঘোষণা দিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ
আপা দমনের উপলক্ষ তোদের ছাড়া জমবে না: হাসনাত
আ.লীগের মিছিলের ডাক, কড়া হুঁশিয়ারি আসিফ মাহমুদের
‘পিএমআই সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেল মিশন গ্রিন বাংলাদেশ
সুইজারল্যান্ডে আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, যা বললেন জামায়াতের আমির
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনায় মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি। সেখানে ডা. শফিকুর রহমান লেখেন, ‘সুইজারল্যান্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এবং আরেকজন উপদেষ্টার সাথে প্যারিসে অনুরূপ যে আচরণ হয়েছে তাতে প্রমাণ হয়, আওয়ামী লীগ তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্র ত্যাগ করতে পারেনি। ’ সবশেষে তিনি লেখেন, ‘স্বতঃসিদ্ধ কথা- কয়লা ধুইলেও ময়লা যায় না।’ এদিকে এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে নিজ দেশের সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুধু অনভিপ্রেতই নয়, বরং দেশ ও জনগণের মর্যাদার ওপর প্রচণ্ড আঘাত।’ তিনি বলেন, ‘৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ফ্রান্সে যাওয়ার পথে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা এয়ারপোর্টের সামনে আসিফ নজরুলের সঙ্গে কতিপয় দুষ্কৃতকারী উদ্ধত ও অশোভন আচরণ করেন এবং দলীয় স্লোাগান দিতে থাকেন। আমরা এ অনভিপ্রেত ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।’ প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির মিটিং যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশে ফিরছিলেন তিনি। উপদেষ্টা গাড়ি থেকে বিমানবন্দরে নামার পর কয়েকজন লোক এসে তাকে ঘিরে ধরেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সুইজারল্যান্ড শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান ছিলেন। জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত উপদেষ্টাকে বিরক্ত ও হেনস্তা করেন তারা। তখন তারা জয়বাংলা, জয়বন্ধু শ্লোগানও দেন। আরটিভি/এসএপি  
উপদেষ্টাদের ব্যাকগ্রাউন্ড জানালেন প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তী সরকারে মাত্র চারজন উপদেষ্টার এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে ‘এনজিওশাসিত’ নয়’ তা প্রমাণে কিছু তথ্য নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে জানান প্রেস সচিব। ফেসবুক পোস্টে শফিকুল আলম লেখেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এনজিওশাসিত আখ্যায়িত করে অবিরাম প্রচারণা চলছে। কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির মন্তব্যও রয়েছে। তারা এই ধারণাটি প্রচার করছেন যে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যক্তির আধিক্য রয়েছে।’ তাদের ধারণা ভুল প্রমাণে তিনি লেখেন, ২১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের আনুষ্ঠানিক রেকর্ড অনুযায়ী মাত্র চারজন উপদেষ্টার এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন শীর্ষ আইনজীবী। প্রেস সচিব জানান, উপদেষ্টা পরিষদে পাঁচজন সাবেক আমলা, দুজন কূটনীতিক ও দুজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাসহ অন্তত ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে একজন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুজন ছাত্রনেতা, চারজন শিক্ষাবিদ ও লেখক এবং দুজন ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার পথিকৃৎ। প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বর্তমানে এ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ২১ সদস্যবিশিষ্ট। তবে শুরু থেকেই একটি পক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘এনজিওশাসিত’ সরকার বলে প্রচার করতে শুরু করে। আরটিভি/এসএপি
আসিফ নজরুলের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পরিণতি ভোগ করতেই হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক 
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।  আওয়ামী লীগের সমর্থকদের উদ্দেশে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দেওয়া সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, আসিফ নজরুল ভাইয়ের ওপর হামলে পড়া এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পরিণতি মাফিয়া দলের এই জঙ্গি উত্তরাধিকারদের ভোগ করতেই হবে। সেইসঙ্গে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনের অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, খতিয়ে দেখতে হবে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ মিশনের যেকোনো গাফিলতি, মাননীয় উপদেষ্টার যথাযথ নিরাপত্তা কিংবা প্রটোকলের ঘাটতি আছে কিনা। এর আগে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির মিটিং যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তিনি দেশে ফিরছিলেন।  উপদেষ্টা গাড়ি থেকে বিমানবন্দরে নামার পর কয়েকজন লোক এসে তাকে ঘিরে ধরেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সুইজারল্যান্ড শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান ছিলেন। জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত উপদেষ্টাকে বিরক্ত ও হেনস্তা করেন তারা। তখন তারা জয়বাংলা, জয়বন্ধু শ্লোগানও দেন। আরটিভি/আরএ/এআর
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে যে বার্তা দিলেন আহমাদুল্লাহ
কোনো অবস্থাতেই কারও উসকানির ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আলোচক ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ আহ্বান জানান তিনি। শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল ঐতিহ্যে কালিমা লেপনের নানামুখী চক্রান্ত চলমান আছে। সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও ধৈর্য ধারণের আহ্বান করছি। কোনো অবস্থাতেই কারও উসকানির ফাঁদে কেউ যেন পা না দেয়। ফেসবুক পোস্টে কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার দিকে ইঙ্গিত না করলেও ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও চট্টগ্রামে এক ব্যক্তির ইসকনবিরোধী ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন। সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে প্রায় সব সময় নিজের মতামত ব্যক্ত করেন জনপ্রিয় এই ইসলামী আলোচক। সবশেষ দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির পেছনে সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।  তিনি বলেন, একশ্রেণির অতিলোভী মুনাফাখোর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দেশের কোটি কোটি মানুষ সব সময়ই কষ্টের শিকার হন। মজুতদারি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মানুষকে কষ্ট দেওয়া ব্যবসায়ী যতই নামাজ, রোজা, হজ, ওমরা পালন কিংবা দান-সদকা করুক না কেন, দুনিয়াতে সে প্রকৃত মুসলিম এবং আখেরাতে মুক্তি লাভ করতে পারবেন না।   তিনি আরও বলেন, যে সম্পদের জন্য এত আয়োজন, সে সম্পদই একদিন তাদের জাহান্নামের আগুনে পোড়ার কারণ হবে। কেননা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পাপাচারী লোক ছাড়া কেউ মজুতদারি ও সিন্ডিকেট করতে পারে না। (মুসলিম ১৬০৫) আরটিভি/এসএপি-টি
শেখ হাসিনাকে নিয়ে সারজিস ও হাসনাতের ভিডিও ভাইরাল
সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ জয়ে নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। ভিডিওতে তারা কৌশলে শেখ হাসিনার ‘চট করে দেশে ঢুকে পড়ার’ দলীয় কর্মীর সঙ্গে ফাঁস হওয়া ভাইরাল সেই কথাটিকেই নাটকীয়ভাবে তুলে ধরেছেন। এতে সমন্বয়কদের দেখে শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে বলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পালানোর প্রতীকী গল্প তুলে ধরা হয়। ভিডিওটিতে সারজিস আলমের পাশে দেখা যায় আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকেও। ভিডিওতে দেখা যায় একজনকে কথা বলতে। তাকে বলতে শোনা যায়, আপা আমি সাদ্দাম বলতেছি, আপা। আমরা পঞ্চগড়ে, বর্ডারে আপা। আমাদের কাছে চার-পাঁচ লাখ ছাত্রলীগের ছেলেপেলে আছে, দুই চার লাখ আওয়ামী লীগের আছে। আপা আপনি চট করে ঢুকে পড়েন, কোনো সমস্যা নাই। একদম চট করে আসবেন, আমরা সব রেডি করে রাখছি। একদম গাড়িটাড়ি, চট করে আসবেন ঢুকে পড়বেন...। এরপর দেখা যায়, সারজিস ও হাসনাতসহ কয়েকজন একদিক থেকে হেঁটে আসছে এবং তাদেরকে দেখে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ভূমিকায় অভিনয় করা তরুণরা পালা পালা চিৎকার করে এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করছে। এসময় একজনকে বলতে শোনা যায়, আপা আপনি আইসেননা আপা, যেখানে আছেন সেখানেই থাকেন আপা। সমন্বয়করা আসতেছে আপা, আপনি আইসেননা আপা, সবাই পালাইতেছে আপা, আপা…। আরটিভি/এসএপি-টি
ছাত্রলীগ সভাপতিকে নিয়ে টকশো স্থগিত করলেন খালেদ মুহিউদ্দীন
খালেদ মুহিউদ্দীনের টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতিকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে, যা আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইতোমধ্যে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির সেই অনুষ্ঠানটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন খালেদ মুহিউদ্দীন।  ওই পোস্টে তিনি লেখেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শ মতে, বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারও বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হলো। ছাত্রলীগের সভাপতিকে নিয়ে এ প্রোগ্রামের সময়সূচি ঘোষণার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। ফুঁসে ওঠেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কসহ নেটিজেনরা। এ নিয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারদের সঙ্গে টকশো করেছেন? এটা আমাদের দুই হাজারের অধিক শহীদের সঙ্গে বেঈমানি, অর্ধলাখ ভাই-বোনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক পোস্টে লিখেছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শহীদ, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সঙ্গে প্রতারণা করা হলো। ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ এর ফেসবুক পেজ থেকে বলা হয়েছিল, ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়, মুখোমুখি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতি। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন- টকশোতে অতিথি সম্প্রতি সরকারি নিষেধাজ্ঞায় পড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।  ওই পোস্টের নিচে খান আশরাফ নামের একজন কমেন্ট করেছেন, নিষিদ্ধঘোষিত একটা দলের প্রধানকে মিডিয়ায় আনা মানে তাকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া। খালেদ মুহিউদ্দীন সেই কাজটাই করতে চলেছেন। এরকম হলে হিজবুত তাহরিরের সভাপতিকেও দাওয়াত দেন। আল মামুন রাসেল লিখেছেন, আমাদের আইন অনুযায়ী এটি আপনি করতে পারেন না। এটি করলে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৯ ধারায় আপনিও অপরাধী হবেন। আশা করি এহেন কাজ থেকে বিরত থাকবেন। এদিকে আজ (বুধবার) এক বিফ্রিংয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, উনি রিপোর্টগুলো করছেন দেশের বাইরে থেকে। উনি যদি এটা করেন, তাহলে আমরা এটুকু বলতে পারি যে, উনি রেসপন্সিবল জার্নালিজম করলেন কি না? আরটিভি/একে/এসএ
সোহেল তাজকে প্রধান উপদেষ্টার ফোন
জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণাসহ তিন দাবি জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে রোববার (৩ নভেম্বর) স্মারকলিপি দিয়েছেন জাতীয় নেতা তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। সোমবার (৪ নভেম্বর) সোহেল তাজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ৩ দাবি আপডেট: আপনারা সবাই শুনে আনন্দিত হবেন যে আজ সকালে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস আমাকে ফোন করেছিলেন এবং ওনার সঙ্গে আমার বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদ এবং জাতীয় চার নেতার অবদানের কথা তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন যে পদক্ষেপ নেবেন যাতে নতুন প্রজন্ম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জানতে পারে। এর আগে, রোববার বিকেল ৪টায় তিন দাবিতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-সংলগ্ন সাকুরা রেস্টুরেন্টের সামনে উপস্থিত হন সোহেল তাজ এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগেই বিকেল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রতিনিধি এসে দাবিসংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে গেলে, পরে আর পদযাত্রা করার প্রয়োজন হয়নি। তবে এ সময় সাকুরা রেস্টুরেন্টের উল্টো পাশে শতাধিক পুলিশকে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা ৩  দাবিগুলো হলো- যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এ দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে। ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে। জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আরটিভি/এমএ/এসএ