• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘ঘুমের সমস্যায় বাড়ছে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও ক্যানসার’
বিএসএমএমইউ উপাচার্য নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উত্তেজনা বিরাজ করছে। কর্মচারী নীতিমালার দাবিতে এরই মধ্যে উপাচার্যের অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন কর্মচারীরা। আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে তারা অবস্থান নেন। সেখানে এখন চলছে হট্টগোল।  এর আগে ১৪ মার্চ বিএসএমএমইউতে দুই দফা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন দুজন। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করেছে। তবে বিএসএমএমইউ’র মিডিয়া সেল বিষয়টিকে সাধারণ ঝামেলা বলছে। এদিকে নাম প্রকাশ করা শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা আলাদা সিন্ডিকেট আছে। তাদের অন্তকোন্দলে বাড়ছে সমস্যা। এ বিষয়ে কর্মচারী নেতা দিপু বলেন, আমরা উপাচার্যকে তার রুমে অবরুদ্ধ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি কর্মচারী নীতিমালা চাই। বর্তমান প্রশাসন গত তিন বছর ধরে টালবাহানা করে সময় কাটাচ্ছে। বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ ২৮ মার্চ শেষ হবে। অথচ তিনি এখনো বলছেন- ‘তোমরা কাজে যাও আমি দেখবো’। উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা না রাখার অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই উপাচার্যের সময়কালে সবশেষ সিন্ডিকেটের সভা ২০ তারিখ। সেটা সব অবৈধ কাজের মধ্যে করে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে টালবাহানা। অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ অবরুদ্ধ নয় দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনসংযোগ বিভাগে কর্মরত সুব্রত বিশ্বাস বলেন, একটা জটলা রয়েছে। কর্মচারীরা কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে এসেছেন। তবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। জনসংযোগ বিভাগের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরতরা। তারা জানান, উপাচার্য ভেতরে আছেন। আমরা এখানে ৪০০-৫০০ জন কর্মচারী অবস্থান নিয়েছি। জনসংযোগ বিভাগ টাকা খেয়ে ভিসির অনৈতিক কাজে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম না মেনে গত তিন বছরে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন পদে প্রায় দুই হাজার এডহকে নিয়োগ দেওয়া হয়। অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পাওয়া এসব ব্যক্তিদের চাকরি স্থায়ী করতে আবার নিয়ম ভাঙছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতাদের একাংশ। এ ঘটনায় বর্তমান উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের একটি মিটিং করছিলাম। সেখানে কিছু পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের কথা ছিল। এরমধ্যে কিছু চিকিৎসক এসে বললেন এই মিটিং করার দরকার নেই। এর মধ্যেই বাইরে শুনি কিছু মানুষ হই হুল্লোড় করছে। তারা চাচ্ছে যেহেতু আমার শেষ সময়, আমি যেন কোনো কিছু না করি। আমিও আমার শেষ সময়ে কোনো ধরনের ঝামেলায় জড়াতে চাই না, তাই আমি মিটিং স্থগিত করেছি।
‘ঘুমের ভেতর নারীর চেয়ে পুরুষ নাক ডাকে বেশি’
ট্রেইনি চিকিৎসকদের বকেয়া ভাতার দাবি, ২ দিনের আল্টিমেটাম
আরও ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত
এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে মৃত্যু / তদন্ত প্রতিবেদন ৩ মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ 
গরমিল পাওয়া গেলেই হাসপাতাল বন্ধ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সারা বছর সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালগুলোতে পরিদর্শন অব্যাহত রাখা হবে। কোন রকম গরমিল পাওয়া গেলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।  রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও কৃষিজীবীদের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। ডা. সামন্ত লাল বলেন, সরকারী হাসপাতালে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে সেগুলো সমাধান করতে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এছাড়াও সারা দেশে এমন পরিদর্শন অব্যাহত থাকবে। সবগুলো চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধের পক্ষেও নয় সরকার। এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও ৩৫ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।  শনিবার (৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।   এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৯২ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ৮৬৫ জন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম একজনের করোনায় মৃত্যু হয়।
‘বাংলাদেশের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়’
‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান বিশ্বের কোনো দেশের চিকিৎসকদের তুলনায় কম নয়। ভুটান থেকে রোগী এসে বাংলাদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভারত থেকেও অসংখ্য রোগী বাংলাদেশে আসছেন।আমরা হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে জোড়া শিশুর অপারেশন করেছি। বাচ্চাদের যখন অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়, তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা কিন্তু পারেননি, পেরেছেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরাই। কাজেই আমি বিশ্বাস করি আমাদের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়।’ তিনি বলেন, ‘ডাক্তার ও রোগীদের ভালো সম্পর্ক অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। শুধু ডাক্তাদের ওপর নির্ভর করে না। একটি হাসপাতালে ভালো কাজ একজন পরিচালক থেকে শুরু করে একজন অধ্যাপক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ওপর নির্ভর করে। সবার সমন্বিত প্রয়াসেই চিকিৎসাসেবার সুনাম বৃদ্ধি করে।’   নবীন চিকিৎসকদের উদ্দেশে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আজ যারা এখানে বসে আছেন, আমি সবিনয়ে তাদের কাছে একটা কথা বলব। আসুন আমরা চিকিৎসকদের মান-সম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যাই, যেন এ দেশের মানুষ একদিন চিকিৎসকদের দেখলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়। এটি করতে হলে আমাদের একটু ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শুনে চিকিৎসা দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাব আসব। সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেব। আমাদের সাধারণ মানুষ কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না, শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই তারা কিন্তু খুশি হয়।’   তিনি আরও বলেন, ‘রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো রোগীরা চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে পিতার স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীদের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারে। এতে রোগীর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় ও ভালো চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব।’
করোনায় প্রাণ গেলো আরও ১ জনের, শনাক্ত ৪৯
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৪৯ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৮৪৭ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৯২ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ৮২০ জন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর দেশে প্রথম একজনের করোনায় মৃত্যু হয়।
আগামী সংসদেই সুরক্ষা আইন পাস করতে চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী 
আগামী সংসদেই (স্বাস্থ্য) সুরক্ষা আইন পাসের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ ডেন্টাল সার্জন্স (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। আইনটি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি ঢাকার বাইরে দৌড়াদৌড়ি করছি এটা নিয়ে। রমজান মাসজুড়ে আমি মিটিং করবো। এ সময় অবৈধ ক্লিনিক বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি সেগুলো যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে অবশ্যই সেগুলো যেন মনিটরিং করে তারপর বন্ধ করা হয়। বাংলাদেশ বিশাল জায়গা, শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করলে হবে না। সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা ইউনিয়নের নেতারাও হাসপাতালগুলো দেখবেন। যদি কোনো অসঙ্গতি পান তবে আমাদের জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নেবো। পরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় আসন বাড়ানো নিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মানসম্মত শিক্ষক বা ট্রেনিং দেওয়ার মতো কেউ না থাকলে সে আসন বাড়ানোর পক্ষে আমি না। যখন দেখবো মানসম্মত চিকিৎসক আছেন, পড়াশোনার ভালো পরিবেশ আছে, ভালো মানের ডাক্তার আছে, তখনই আমি আসন বাড়াবো।
সরকারি হাসপাতালে চালু হচ্ছে ই-অ্যাপয়েন্টমেন্ট
সরকারি হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তি কমাতে স্মার্ট হেলথ আইডির উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মাধ্যমে রোগীরা ঘরে বসেই অনলাইনে ই-অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবে। এর ফলে রোগীকে সকালে হাসপাতালে গিয়ে একবার টিকিটের জন্য, আরেকবার ডাক্তার দেখানোর জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ১০টি হাসপাতালে এই কার্যক্রম চালু করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতাল, কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সব সরকারি হাসপাতালকে এর আওতায় আনা হবে। নাগরিকরা ঘরে বসে মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে স্মার্ট হেলথ আইডি নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধন সম্পন্ন হলে তিনি হেলথ কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। এরপর তারা এই ব্যবস্থার আওতাভুক্ত হাসপাতালগুলোতে ই-অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন। টিকিটের ফি মোবাইল ব্যাংকিং অথবা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আপাতত ১০টি হাসপাতালে এই কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এটা একটি অপারেশনাল প্ল্যানে সংযুক্ত করে সারাদেশে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, এটি সম্পন্ন হলে রোগীকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হবে না। তিনি তার নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালে আসবেন, এতে সময় সাশ্রয় হবে। এ ছাড়া হাসপাতালেও রোগীর চাপ কমবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এখন একটাই স্বপ্ন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়াই এখন আমার স্বপ্ন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা উন্নত করতে পারলে দেশের চিকিৎসাসেবা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তরুণ চিকিৎসকদের গ্রামে ও ঢাকার বাইরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা ঢাকার বাইরে কাজ করেন তাদের পদন্নোতি, বিদেশ যাওয়ার সুযোগসহ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। সেজন্য নীতিমালা তৈরি করা হবে।  তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়াই প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য। এটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, প্রধানমন্ত্রীরও স্বপ্ন। আমাদের সবার স্বপ্ন। ডা. সামন্ত লাল বলেন, চিকিৎসকদের তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে রোগীদের সেবা দিতে হবে। চিকিৎসকরা মানুষকে সেবা দিতে কাজ করবে, আমরাও তাদের সবকিছু দেব। এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক ও নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. বদরুল আলমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।