• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৪৮
ডেঙ্গুতে আরও ২৬৩ জন আক্রান্ত, চলতি বছরে মৃত্যু ৫০
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও ২৬৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ১৬৪ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের।  একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬০ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পাঁচ হাজার ২৫০ জন।  এরমেধ্য সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৭১৬ জন। মারা গেছেন ৫০ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানান উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।  
পুড়ে ছাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৩ গাড়ি, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৫
বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, একদিনেই ১০৩ জন শনাক্ত
সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের নির্বাচনে ফের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ হোসেন
আমরা সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, গর্ভবতী মায়ের সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা যত কমিয়ে আনা যায় ততই মঙ্গল। আমরা সেই সংখ্যা কমিয়ে আনতে চাই।  বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত উদ্বোধনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আপনারা যারা গ্রামপর্যায়ে কাজ করেন, তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আপনারা গর্ভবতী মায়েদের বোঝান, তারা যাতে ঠিকমতো চেক-আপ করেন, নিয়মিত কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সবার আগে আমি যেটা দেখি সেটা হচ্ছে এএনসি কর্নার। আমি খোঁজ নিয়ে দেখি গর্ভবতী মায়েরা কয়টা করে চেকআপ করছেন, কোথায় ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি হচ্ছে, কোথায় সিজারিয়ান বেশি হচ্ছে। অনেক জায়গায় বলেন আগে সিজার হয়েছে তাই সিজার করতে হবে। সেটা কোনো উত্তর হতে পারে না। আগে সিজার কেন হলো, এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে।   তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তরিক হলে সিজারের সংখ্যা অবশ্যই কমিয়ে নিয়ে আসতে পারব।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিভাবেন্দ্র সিং রঘুবংশী, পরিবারকল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনম আল ফিরোজ প্রমুখ।
ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ক্যানসারে হয় না: গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোল্ড স্প্রিং হার্বার ল্যাবরেটরির (সিএসএইচএল) প্রফেসর ও গবেষক বো লির নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় ক্যানসার নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে—ক্যানসার নয়, বেশির ভাগ ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয় ‘ক্যাচেক্সিয়া’ রোগে। প্রফেসর বো লি আরও বলেছেন, ‌‌এটি খুবই মারাত্মক একটি সিনড্রোম। গবেষকরা দেখেছেন যখন ক্যানসারের টিউমার— ইন্টারলিউকিন-৬ (আইএল-৬) নামের একটি রোগ প্রতিরোধ অণুর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তখন এটির কারণে মারাত্মকভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এ কারণে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্যানসার রোগীর ‘ক্যাচেক্সিয়া’ রোগ হয়। সূত্র: ইন্দো এশিয়া নিউজ সার্ভিস ন্যাচার কমিউনিকেশন নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এই গবেষক আরও বলেছেন, ‌বেশিরভাগ ক্যানসার রোগীর মৃত্যু ক্যানসারের বদলে ক্যাচেক্সিয়ায় হয়। এখান থেকে ফেরার কোনো উপায় নেই। মূলত এই রোগের কোনো চিকিৎসাও নেই। একটি ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই প্রফেসর ও তার দল দেখেছেন, মস্তিষ্কের ‘এরিয়া পোসট্রেমা’ নামের একটি নিউরনে আইএল-৬ নামের রোগ প্রতিরোধী অণু প্রবেশে বাধা প্রধান করলে ইঁদুরের মধ্যে ক্যাচেক্সিয়া হয় না। প্রফেসর বো লি জানান, ভবিষ্যতে এসব নিউরন লক্ষ্য করে ওষুধ প্রয়োগ করে ক্যানসার ক্যাচেক্সিয়াকে একটি চিকিৎসাযোগ্য রোগে পরিণত করা যাবে। গবেষকরা বলছেন, প্রচুর পরিমাণে আইএল-৬ উৎপাদিত হওয়ায় ক্যানসার এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। যেটি শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যার মধ্যে অন্যতম হলো মানুষ ও প্রাণী খাবার খাওয়া ছেড়ে দেবে। অপরটি হলো ক্যাচেক্সিয়া হওয়া।  তার আরও জানান, সুস্থ রোগীদের মধ্যে আইএল-৬ একটি প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। এই অণু পুরো শরীরে প্রবাহিত হয়। যখন কোনো হুমকির সঙ্গে এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ করে— তখন এটির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে মস্তিষ্ককে সতর্ক করে দেয়।
দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে মোকাবিলা করা হবে ডেঙ্গু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বর্ষা মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর শঙ্কা। গত দুই বছরে দেশব্যাপী বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে এডিস মশাবাহিত রোগটি। রেকর্ড ছাড়িয়েছিল ডেঙ্গু আক্রান্ত ও এতে মৃত্যুসংখ্যা। তাই এবার এডিস মশা দমন ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে সরকার। ডেঙ্গু মোকাবিলায় এবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ও সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে এ কথা জানান তিনি। এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমও উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কেউ চাই না, ডেঙ্গুতে আরেকটা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হোক। যদি হয়, উপরওয়ালার ইচ্ছায় আমরা সামলাতে পারবো বলে আশা করি।’ ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘সব চিকিৎসক কিন্তু জানেন, ডেঙ্গুর চিকিৎসায় কী করতে হবে। আমাদের একটা গাইডলাইন আছে, সেটি সম্পর্কেও তারা অবগত। পর্যাপ্ত স্যালাইন মজুত আছে। আমি ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, আমাদের ইডিসিএলকে নিয়ে আমরা মিটিং করেছি, যাতে কোনোভাবেই স্যালাইনের ঘাটতি না হয়।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কয়েকটা মিটিং করেছি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং দুই মেয়রের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ভবিষ্যতেও আমরা মিটিং করবো। দুটি মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করে কাজটি করতে হবে। স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে হবে।’  
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ২২
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময় নতুন করে কারও মৃত্যুর তথ্য মেলেনি। ফলে চলতি বছরে মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৬ জনে স্থির রয়েছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ১৩ জন রয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ৭ জন, চট্টগ্রামে একজন এবং খুলনা বিভাগে একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট তিন হাজার ৮৬৬ জন। যাদের মধ্যে দুই হাজার ৩৩৭ জন পুরুষ (৬০ দশমিক ৫০ শতাংশ) এবং এক হাজার ৫২৯ জন নারী (৩৯ দশমিক ৫০ শতাংশ)। এ সময় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিন হাজার ৫৯৫ জন। গত ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত মৃত ৪৬ জনের মধ্যে পুরুষ ২০ জন (৪৩ দশমিক ৫০ শতাংশ) এবং নারী ২৬ জন (৫৬ দশমিক ৫০ শতাংশ)। প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার আটজন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মানুষ মশাবাহিত এ রোগে মারা যান। দেশের ইতিহাসে এক বছরে ডেঙ্গু রোগে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জন মারা যান।
গ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত হলে ঢাকায় রোগীর ভিড় হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যদি গ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত করা যায়, তাহলে ঢাকা শহরে রোগীর ভিড় হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মহাখালীতে আইসিডিডিআর’বি সাসাকাওয়া অডিটোরিয়ামে এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‌আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, শুধু সোমবার আর মঙ্গলবার ঢাকা থাকব। আর বাকি কয়দিন সারাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করব। আমি যদি উপজেলা, জেলা কমিউনিটি ক্লিনিক, হাসপাতাল এগুলোকে উন্নত করতে পারি এবং আমার রোগীর ওখানে যথাযথ চিকিৎসা হয় তাহলে ঢাকা শহরে রোগীদের ভিড় হবে না। সাধারণ মানুষের যাতে উপকার হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আইসিডিডিআর’বি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তারা প্রশংসনীয়ভাবে গ্রামে-গঞ্জে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আইসিডিডিআর’বি আন্তর্জাতিক চিকিৎসাসংক্রান্ত এমন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা দেশের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, গবেষণা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে আইসিডিডিআর’বি গবেষণা, প্রশিক্ষণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার, আইসিডিডিআর’বির চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ইউনিট এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে একত্রিত হয়ে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ একটি প্রতিশ্রুতি, যা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করার পরিকল্পনা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের গড়ে তুলতে হবে স্মার্ট শিশু। যাদের জ্ঞান, বুদ্ধি এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে ‘ভিশন ২০৪১’ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুদের বিকাশ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও সুন্দর করে আমরা যদি তাদেরকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারি তাহলে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা এগিয়ে যাব। আইসিডিডিআর’বির প্রধান নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
হলি ফ্যামিলিতে ফের বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালু 
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালু করেছে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বনামধন্য হাসপাতালটির পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী।  মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকাল ৩টায় হাসপাতালের শায়লা-হাফিজ মিলনায়তনে বহির্বিভাগ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। দায়িত্বরত চিকিৎসকদের উৎসাহিত করতে তিনি নিজেই বহির্বিভাগে প্রায় অর্ধশতাধিক রোগী দেখেন। অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী বলেন, ‌‘স্বাধীনতার পর থেকেই স্বাস্থ্যসেবায় গৌরবময় ভূমিকা রাখছে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। তবে বিগত দিনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় হাসপাতালটির স্বাস্থ্যসেবায় কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছিল।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক হাসপাতালের পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালুর সিদ্ধান্ত।’ ভবিষ্যতে হাসপাতালে বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য আলাদা বহির্বিভাগ চালু করা হবে বলে জানান তিনি। এ ছাড়াও হাসপাতালে একটি ডায়বেটিক সেন্টার চালু করার কথাও জানান তিনি। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এস এম খোরশেদ আলম জানান, সপ্তাহে ৬দিন (শনি-বৃহস্পতি) বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বর্হিবিভাগে চলবে বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসাল্টেশন সার্ভিস হিসেবে। এসময় হাসপাতালের ১৬টি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগী দেখবেন। মেডিসিন, গাইনি, নাক-কান-গলা, চক্ষু, কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিক্স, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, চর্মরোগ, শিশু বিভাগ, সার্জারি ইত্যাদি বিভাগগুলো অন্তর্ভূক্ত থাকবে বৈকালিক বর্হিবিভাগ সেবা কার্যক্রমে। টিকেট কেটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিকট থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবেন রোগীরা। অনুষ্ঠানে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্য, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কানিজ মওলা, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ দৌলতুজ্জামান সহ হাসপাতালের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 
জুনে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৮ জনের
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে (জুন) ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি মাসে মোট ভর্তি হয়েছেন ৭৯৮ জন।   চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৬৫১ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মারা গেছেন ৪৪ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানান উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।