• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
‘এই নাবিলা কিন্তু পুরোই ডিফরেন্ট!’
‘শাস্তি হলে এইসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না’
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। চলচ্চিত্রে ১৪ বছর কেটে গেছে তার। ২০১৫ সালে শাহনেওয়াজ কাকলী পরিচালিত ‘নদীজন’ সিনেমায় অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তমা। কিন্তু গতানুগতিক নায়িকাসুলভ চরিত্র থেকে বের হতে পারছিলেন না তিনি। তারপর নির্মাতা রায়হান রাফী পরিচালিত ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’তে নিজেকে ভেঙে নতুন করে জন্ম দেন তমা। পরে ‘সাত নম্বর ফ্লোর’ দিয়ে আবারও জ্বলে ওঠেন। সময় যত যাচ্ছে, ক্রমেই যেন জ্বলে উঠছেন তমা। কারও কারও মতে, তমাকে নতুন করে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করেছেন রায়হান রাফী। সেই রাফীরই ‘ফ্রাইডে’, ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘সুড়ঙ্গ’তে বাজিমাত করেন তমা।  সর্বশেষ ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় আফরান নিশোর বিপরীতে নজর কেড়েছিলেন তমা। বাণিজ্যিকভাবে সফলতার পাশাপাশি দর্শকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছিল সিনেমাটি। এই সিনেমায় অভিনয়ের পর খুব একটা পর্দায় দেখা যায়নি তাকে। নতুন কাজ ও  সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আরটিভির সঙ্গে কথা হয় তমা মির্জার।  আরটিভি: কেমন আছেন?  তমা মির্জা: আলহামদুলিল্লাহ্‌ নানা ঝামেলা চুকিয়ে পরিবার নিয়ে ভালোই আছি। আরটিভি: ‘সুড়ঙ্গ’র পর নতুন কোনো কাজে আপনাকে দেখা যায়নি। নতুন কাজ নিয়ে জানতে চাই...  তমা মির্জা: খুব তাড়াতাড়ি জানাবো নতুন কাজের কথা। বেশ কয়েকটি কাজ ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা আছে। দেশে একটি পরিবর্তন এসেছে। যার কারণে সেভাবে কাজ করা হয়নি। সুতরাং দর্শকরা যেহেতু আমাকে এ বছর তেমনভাবে পর্দায় দেখেনি, তাই নতুন বছর ওটিটি ও বড় পর্দায় নতুন কাজ নিয়েই তাদের সামনে আসবো।  আরটিভি: সম্প্রতি নির্মাতা রাফীর সঙ্গে তমা মির্জার প্রেমের ইতি হয়েছে শোনা যাচ্ছে। আপনার মন্তব্য কী?   তমা মির্জা: আসলে আমি বিষয়টি নিয়ে কোথাও মন্তব্য করিনি। অনেকেই নিজেদের মতো করে লিখে দিচ্ছে। যেটি কাম্য নয়। আমি এখনও রাফীর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।  আরটিভি: ‘সুড়ঙ্গ’র পর নাকি সম্মানী বাড়িয়েছে তমা মির্জা?  তমা মির্জা: সম্মানী নিয়ে দর–কষাকষি করা আমার মোটেও পছন্দ না। এটা নিয়ে কথা বলার চেয়ে গল্প নিয়ে কথা বলাটা আমার জন্য ভীষণ আরামের ও আনন্দের। চরিত্র ও গল্প পছন্দ হলে সম্মানী আমার কাছে ম্যাটার করে না। আমার কাছে মনে হয়, একটা ভালো কাজ কোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান করতে চাইছে যেহেতু, সেখানে সম্মানীর জন্য বাড়তি চাপ দেওয়ার কোনো অর্থ হয় না। আরটিভি: বিভিন্ন সময় ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়,  আসলে সেগুলো কাকে উদ্দেশ্য করে? তমা মির্জা: আমি কাউকে কখনও ইঙ্গিত করে স্ট্যাটাস দিই না। তবে আমি প্রচুর রিলস দেখি। অনেকগুলো থাকে মটিভেশনাল, মজার কিংবা অনেক সময় দুঃখের স্টোরি। যখন যেটা আমার ভালো লাগে সেটিই স্ট্যাটাস দিই। আমি যদি কখনও কিছু বলতে চাই,  তা সরাসরি স্পষ্টভাবে বলি। সম্প্রতি একটি স্ট্যাটাস নিয়ে নিউজ হয়েছে, আসলে অনেকেই না বুঝে নিউজ করে ফেলেছে। আমার স্ট্যাটাসটি অনেকের জীবনের সঙ্গেই মিলে যায়, সেটা হোক ব্যক্তিজীবন কিংবা প্রফেশনাল জীবন। স্ট্যাটাস দিলেই যে সেটা ভালোবাসা নিয়ে হবে তা-ও কিন্তু ঠিক নয়। আমাদের ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনে বিভিন্ন ধরনের ক্রাইসিস থাকে। আমার লেখাগুলো সেই ক্রাইসিসগুলো নিয়েই। আরটিভি: শোবিজে আগের থেকে অনেক কাজ কমে গেছে গত দু’মাসে। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন? তমা মির্জা: আসলে আবহাওয়া পরিবর্তনের পর আমাদের একটু সময় লাগে নতুন আবহাওয়ার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে। সেখানে একটি দেশের সব ক্ষেত্রেই পরিবর্তন এসেছে। আমাদের একটু ধৈর্য ধরা উচিত। আমাদের এই পরিবর্তনটা দরকার ছিল। শুধু কাজে কবে ফিরবো কিংবা নিজে ভালো আছি কি না সেটা নিয়ে ভাবলে চলবে না। আমরা অনেক স্বার্থপর। এই স্বার্থপর জায়গা থেকে আমাদের বের হয়ে আসা উচিত। দেশে যেহেতু একটা পরিবর্তন এসেছে সেক্ষেত্রে আমাদের সুন্দর করে দেশটাকে গড়া উচিত। তাই আমি বলব শোবিজে আগের থেকে কাজ কমে যাওয়ার বিষয়টি একদমই নেগেটিভলি দেখছি না।  আরটিভি: সম্প্রতি দেশে বেশ কিছু গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। দেশের সুনাগরিক হিসেবে আপনার মন্তব্য কী?  তমা মির্জা: আসলে আগেও বলছি আমি সবসময় স্পষ্ট কথা বলি। গণপিটুনির বিষয়টি নিয়েও আমি ফেসবুকে প্রতিবাদ করেছি। যারা ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করেছি। অবশ্যই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। কারণ, আমরা কিছুদিন পরপর নতুন একটি ঘটনা ঘটলে আগেরটা ভুলে যাই। আসলে কোনো ক্ষেত্রেই এমনটা হওয়া উচিত না। আমরা যখন যে বিষয়টা নিয়ে আওয়াজ তুলি সেটি যেন শেষপর্যন্ত থাকে। আমি আবার হয়তো বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন পর কথা বলব। কারণ, যেই ছেলেটিকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে তা হয়তো আমরা অনেকেই ভুলে গেছি। যখন নিজেদের সঙ্গে কিছু হয় তখন আমরা ভুলি না, কিন্তু অন্যের সঙ্গে হলে আমরা ভুলে যাই। যেটি আসলে কাম্য নয়। ছেলেটিকে কেন বা কী পরিস্থিতিতে হত্যা করা হয়েছে সেটি আমি জানতে চাই না। আমি শুধু চাই যারা জড়িত তাদের শাস্তি। শাস্তি হলে এইসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।  আরটিভি /এএ/এসএ
‘চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে মাদকাসক্তদের আচরণ বোঝার চেষ্টা করেছি’
‘জাল’-এর কনসার্টে সেনা হস্তক্ষেপ, অতঃপর...