• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
যেভাবে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
রাশমিকার সৌন্দর্যের সিক্রেট 
দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেও, বলিউডেও তার পরিচিতি কম নয়। অল্লু অর্জুনের বিপরীতে অভিনয় করে এর আগেই নজর কেড়েছিলেন। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘গুডবাই’ ছবির হাত ধরে সম্প্রতি বলিউডেও অভিষেক ঘটেছে নায়িকার। অভিনেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন রশ্মিকা মন্দানা। রাশমিকার ফিটনেসে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তার হাজারো নারী অনুরাগীদেরও। শুধু কি ফিটনেস! রশ্মিকার ত্বকও যথেষ্ট ঈর্ষণীয়। রূপটানহীন ত্বকেও উজ্জ্বলতার কমতি নেই তার। একটি সাক্ষাৎকারে রশ্মিকা জানিয়েছেন, ত্বক যত্নে রাখতে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বিশেষ নজর দেন। যে খাবারগুলো থেকে ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে, যথাসম্ভব সেগুলো এড়িয়ে চলেন। তেল-মশলাদার খাবার পাতে নেন না একেবারেই।  রাশমিকা মনে করেন রোগা থাকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভেতর থেকে সুস্থ থাকা। সপ্তাহে চারদিন নিয়ম করে কিকবক্সিং, লাফদড়ি, নাচ, সাঁতার, যোগাসন করে থাকেন অভিনেত্রী। বিভিন্ন ধরনের কার্ডিও করেন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলে মাঝেমাঝে ওজন তুলতেও দেখা যায়। সবল পেশী তৈরিতেও সমান ভাবে মনোযোগী এই দক্ষিণী নায়িকা। তবে প্রতিদিন একই পদ্ধতিতে শরীরচর্চা করার পরিবর্তে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করাতেই বেশি আগ্রহী তিনি। শরীরচর্চা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা করতে ভোলেন না রাশমিকা। নিয়মিত রূপচর্চার জন্য আলাদা করে সময় বের করে নেন। ত্বক ভালো রাখতে বারোমাস সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও নিয়ম করে ত্বকে ভিটামিন সি সিরাম লাগাতে ভোলেন না। ত্বক ভালো রাখতে ময়শ্চারাইজার যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিদিনের রূপরুটিনে নিজেও ময়েশ্চারাইজার রাখেন। শুটিংয়ের পর অনেকটা সময় নিয়ে মেকআপ তোলেন। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সঠিক নিয়মে ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং করেন নায়িকা। এ ছাড়াও ত্বকের যত্নে রাশমিকা ভরসা রাখেন ঘরোয়া টোটকার ওপর। ঠাকুমার বলে দেওয়া ফেস প্যাকেই ভরসা রাখেন নায়িকা। ভাত চটকে তার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নেন ফেস প্যাক। ত্বকের যত্ন নিতে তৈলাক্ত খাবার থেকে দূরে থাকেন। শাকসবজি, ফলের মতো খাবার বেশি করে খান তিনি।  রাশমিকা তার এই নির্মেদ চেহারা ধরে রাখতে শুধু যোগাসন বা নিয়ম করে ব্যায়ামই করেন না, পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে খাওয়াদাওয়াও করে থাকেন। দক্ষিণী এই অভিনেত্রী তার সকাল শুরু করেন এক গ্লাস গরম পানি দিয়ে। বেলা বাড়লে ফল, দু’টি সেদ্ধ ডিম এবং অ্যাপেল সিইডার ভিনিগার খান।  আরটিভি/এফআই
ঘরোয়া উপাদানেই রাখুন চুলের খেয়াল
যে ডায়েটে নিজের সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন এই অভিনেত্রী
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা, সুরক্ষায় যা করবেন
পৃথিবীতে যে কারণে ব্যতিক্রম এ তিন প্রাণী
এক জোড়া জুতার দাম ৩৩৫ কোটি টাকা!
বিখ্যাত ক্ল্যাসিক চলচ্চিত্র ‘দ্য উইজার্ড অব দ্য ওজে’র অভিনেত্রী জুডি গারল্যান্ড এর জাদুকরী জুতো বলে কথা। ১৯৩৯ সালে জুডির পায়ের সেই লাল জুতো জোড়ার দাম কোটি টাকা। শিরোনামটি পড়েই নিশ্চয় ভ্রু কুঁচকে গেছে। এক জোড়া জুতার দাম আবার ৩৩৫ কোটি টাকা হয় কীভাবে! কিন্তু ঘটনা সত্যি।  যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক নিলামে এক জোড়া জুতো বিক্রি হয়েছে দুই কোটি ৮০ লাখ ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৩৪ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার সমান। চলচ্চিত্রটিতে ব্যবহৃত জুতোগুলোর মধ্যে যে চার জোড়া এখনো টিকে আছে সেগুলোর একটি এটি। বিখ্যাত এই জুতোটি একবার মিনেসোটার একটি জাদুঘর থেকে চুরি হয়েছিল। প্রায় এক মাস আগে অনলাইনে নিলাম শুরু হয়, যেখানে জুতোর দাম ৩০ লাখ ডলার পর্যন্ত উঠবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায় ধারণার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিকিয়েছে এটি। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে। নিলামকারী প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ অকশন এই জুতোজোড়াকে হলিউড স্মৃতিচিহ্নের ‘হলি গ্রেইল’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা জানায়, এটি সিনেমার ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি হওয়া স্মারক। ডালাসের নিলাম কক্ষে বিজয়ী ঘোষণার পর করতালির মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন উপস্থিত সবাই। কাকতালীয়ভাবে ‘দ্য উইজার্ড অব ওজে’র প্রিক্যুয়েল ‘উইকেড’ সাম্প্রতিক সময়েই মুক্তি পায়। সব কিছু মিলিয়ে তাই পুরোনো দিনের সেই বিখ্যাত চলচ্চিত্রটির প্রতি মানুষের নতুন করে আগ্রহের জন্ম নেয়। ১৯৩৯ সালের ক্ল্যাসিক চলচ্চিত্র ‘দ্য উইজার্ড অব ওজে’ ডরোথি চরিত্রে অভিনয় করার সময় জুডি গারল্যান্ডের বয়স ছিল কেবল ১৬ বছর। প্রখ্যাত মিডিয়া আউটলেট ভ্যারাইটি এই ছবিকে তাদের প্রথম ‘১০০ সেরা সিনেমা’ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে। ১৯০০ সালে ছোটদের জন্য লেখা ফ্রাঙ্ক বমের বই ‘দ্য ওয়ান্ডারফুল উইজার্ড অব ওজ’ অবলম্বনে নির্মিত হয় চলচ্চিত্রটি। বইতে ডরোথির জাদুকরী জুতো রুপার ছিল, কিন্তু চলচ্চিত্র নির্মাতারা জুতোগুলোকে লাল রঙে বদলে নেন। রুবির জুতো বা রুবি স্লিপারজ বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলেও মূলত এটি চুমকি খচিত। চলচ্চিত্রে, বইয়ের মতোই, একটি বিশেষ মুহূর্ত আসে যখন ডরোথি তিনবার তার পায়ের গোড়ালি ঠুকিয়ে ‘বাড়ির মতো আর কিছু নেই’ বলতে বলতে জাদুর দেশ ওজ ছেড়ে ক্যানসাসে তার বাড়িতে ফিরে যায়। চলচ্চিত্রে জুডি গারল্যান্ড বেশ কয়েক জোড়া জুতো ব্যবহার করেছিলেন। সঠিক সংখ্যাটি জানা যায়নি। তবে এখন এগুলোর মধ্যে কেবল চার জোড়া জুতো টিকে আছে। এর মধ্যে একটি প্রদর্শিত রয়েছে স্মিথসোনিয়ানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব আমেরিকান হিস্টরিতে। কিন্তু নিলামে বিক্রি হওয়া জোড়াটির রয়েছে নিজস্ব বিশেষ গল্প। সংগ্রাহক মাইকেল শ এই জুতোজোড়া মিনেসোটার গ্র্যান্ড র‍্যাপিডসে অবস্থিত জুডি গারল্যান্ড মিউজিয়ামে ধার দিয়েছিলেন। সেখান থেকে ২০০৫ সালে এটি চুরি হয়ে যায়। পেশাদার চোর টেরি জন মার্টিন হাতুড়ি দিয়ে কাচের বাক্স ভেঙে জুতো চুরি করেন। তার ধারণা ছিল, ১০ লাখ ডলারের বিমা করা এই জুতোজোড়া আসল রত্ন দিয়ে বানানো। কিন্তু যখন তিনি চুরি করা জিনিসের গোপন বিক্রেতার কাছে এগুলো বিক্রি করতে যান, তখন জানতে পারেন জুতোয় রত্ন নয়, বরং কাচ ও চুমকি ব্যবহার করা হয়েছে। হতাশ হয়ে তিনি জুতো জোড়া অন্য একজনকে দিয়ে দেন। এরপর দীর্ঘ ১৩ বছর এর কোনো খবর ছিল না। অবশেষে ২০১৮ সালে এফবিআই একটি বিশেষ অভিযানে এই জুতোজোড়া উদ্ধার করে। ৭০-এর কোঠায় থাকা এবং হুইলচেয়ারে চলাচল করা টেরি জন মার্টিন ২০২৩ সালে এই চুরির দায় স্বীকার করেন।
হাঁটারও আছে নিয়ম, না জানলেই বিপদ
হাঁটা শরীরের পক্ষে ভালো, তবে বুঝে-শুনে। নাহলে সমস্যা হতে পারে। আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, জয়েন্টে ব্যথা আরও কত কী সঙ্গী হয়। কেমন হবে হাঁটার নিয়ম? অতিরিক্ত বেসামাল হাঁটাচলার খারাপ দিকগুলোয় বা কী কী, চলুন জেনে নিই।                         আসলে আমরা সবাই জানি, হাঁটা খুবই উপকারী। কিন্তু এটা কজন জানেন যে হাঁটা ভালো, কিন্তু সেটা যদি সঠিক সময় মেনে, সঠিক নিয়ম মেনে না করা হয় তা হলে কিন্তু ভালোর আড়ালে বিপদ আছে। কারণ হাঁটা মানে শুধু হাঁটা নয়, এর সঙ্গে আরও অনেক কিছুই যুক্ত রয়েছে। কীভাবে হাঁটা হচ্ছে, কতক্ষণ, কখন, কী রকমভাবে – সব কিছুর ওপর নির্ভর করবে হাঁটার উপকারিতা। আজকাল হাঁটুর সমস্যা যেভাবে সবার সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাতে করে এটা ঠিকই যে, নিত্য হাঁটাচলার মধ্যেই লুকিয়ে আছে হাঁটুর ভালো-মন্দ। আর্থ্রাইটিসের সমস্যা তাই এত বাড়ছে। ৩৫ বছর পরেই হাঁটু-কোমরে ব্যথা শুরু হচ্ছে। প্রতিদিন হাঁটা শরীরের জন্য ভালো কিন্তু বেশি হাঁটা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ। অস্টিওআর্থ্রাইটিস রিসার্চ সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল জার্নালের তথ্য, সঠিক নিয়মে না হাঁটা ও বেশি সিঁড়ি ভাঙা অস্টিওআর্থাইটিসের অন্যতম কারণ। অনেকের ধারণা সাধারণত ঘরের কাজ করা, বাইরে কাজ করা, প্রতিদিন অফিস যাওয়া এসব ক্ষেত্রে আমাদের যে পরিমাণ হাঁটাচলা হচ্ছে তাতেই হয়তো উপকার হয়ে যাচ্ছে। এটা কিন্তু সাধারণ হাঁটা। উপকার নগণ‌্য। আসলে উপকার পেতে ব্রিস্ক ওয়াকিং বা জোরে হাঁটা দরকার। অর্থাৎ ৩-৬ হাজার স্টেপ দ্রুতগতিতে হাঁটা। টানা একবারে হাঁটতে না পারলে সকালে কিছুক্ষণ ও বিকালে কিছুক্ষণ ব্রিস্ক ওয়াকিং করা যেতে পারে। তবে ব্রিক্স ওয়ার্কিং-এর সঠিক পদ্ধতি জানেন না বলেই হাঁটার পরও হাঁটুব্যথা কমার বদলে বাড়ছে। সাধারণত সুফল পাওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বা সকালবেলা একঘণ্টা হাঁটা দরকার। তার মধ্যে ভাগ করে নিতে হবে এইভাবে— প্রথম ১৫ মিনিট সাধারণ গতিতে হাঁটুন, তার পর ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। আমরা সাধারণত ঘাম হতে শুরু করলে মনে করি হেঁটে উপকার হচ্ছে, তারপর হাঁটা থামিয়ে দিই। এটা নয়, হাঁটার ক্ষেত্রে ঘাম হতে শুরু করার পর আরও ২০-৩০ মিনিট হাঁটলে তবেই উপকার মিলবে। তারপর ধীরে ধীরে গতি কম করে আরও কিছুক্ষণ বা ১০-১৫ মিনিট হেঁটে, হাঁটা থামাতে হবে। এই পদ্ধতি অনেকেই মানেন না। তখনই হিতে-বিপরীত হয়। শুরুতেই খুব জোরে হাঁটতে শুরু করেন, দ্রুত ওজন কমাবেন বলে অনেকক্ষণ ধরে হাঁটেন এবং ভুল গতিতে হাঁটেন। ভুল নিয়মে অতিরিক্ত হাঁটলে হাঁটুর মধ্যে একটা আঘাত তৈরি হয়। ফলে হাঁটুর চারিদিকে একটা রস জমতে থাকে। যা একটা ইনফ্লেমেটারি বা প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়া তৈরি করে ও শরীরের কিছু খারাপ পদার্থ হাঁটুতে জমা হতে থাকে। তা থেকে হাঁটুর কার্টিলেজ ড্যামেজ হতে শুরু করে। আর সঠিক নিয়মে হাঁটলে দেখা গিয়েছে হাঁটুর সমস্যা প্রায় ১৫ শতাংশ কমিয়ে রাখা সম্ভব। আর উলটো হলে ১২ শতাংশ হাঁটুর সমস্যা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। হাঁটা ও একজনের ওজন, উচ্চতা ও বিএমআই-এর ওপর নির্ভর করে হাঁটার ভালো-মন্দ। তবে সব ঠিক থাকলে হাঁটার উপকার তো আছেই। প্রত্যেকটি জয়েন্টে ফ্লুইড (সাইনোভিয়াল ফ্লুইড) ও কার্টিলেজ (আর্টিক্যুলার) থাকে। যখন একজন হাঁটেন তখন জয়েন্টের মুভমেন্ট হয়। ফলে ফ্লুইডের সার্কুলেশন বেড়ে যায়। কার্টিলেজগুলো এই ফ্লুয়িডের দ্বারা ধুয়ে যায় বা পরিষ্কার হয়ে যায়। ফলে কার্ডিলেজগুলো অনেক বেশি সক্রিয় ও ভালো অবস্থায় ফিরে যায়। জয়েন্টের নিউট্রিশন বেড়ে যায়। শুধু জয়েন্টেই নয়, এর পাশে থাকা সমগ্র পেশিই সচল ও শক্তিশালী হয়। এছাড়া হাঁটার সঙ্গে ক্যালোরিও বার্ন হয়। হাঁটা সব সময় যে শুধুমাত্র হাঁটুর ব্যায়াম তা কিন্তু নয়, এটা সমগ্র শরীরের এক্সারসাইজ। সমগ্র অঙ্গপ্রত্যঙ্গে এর সুপ্রভাব পড়ে। পায়ের গোড়ালি, ছোট ছোট জয়েন্ট, হাঁটু, কোমর, শিরদাঁড়া, ঘাড় ও কাঁধের মুভমেন্ট হাঁটার মাধ্যমে সচল থাকে। উপকার পেতে যেগুলো মানবেন: প্রতিদিন সকালে বা সন্ধ্যায় নিয়ম মেনে টানা হাঁটুন। সারাদিন ধরে অল্প অল্প করে হাঁটায় উপকার নেই। অতিরিক্ত সিঁড়ি ভাঙা বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা হাঁটুর ক্ষয় বাড়ায়। সস্তার জুতো না পরে ভালো জুতো সব সময় পরুন। একদম ফ্ল্যাট জুতো না পরে হালকা হিল থাকবে ও নরম জুতো পরাই শ্রেয়। মর্নিং ওয়াকের জন্য স্পোর্টস শু উপকারী। টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিচে বসে কাজ করে যাওয়া ঠিক নয়। এতে করে হাঁটু সোজা করতে না পারলে হাঁটুর ক্ষতি হতে শুরু করে। এমনকী, যারা টেবিলে কাজ করেন চেয়ারে বসে, তারা যদি পা-টাকে ভাঁজ করে বসেন তাতে ক্ষতি। যতটা সম্ভব সোজা করে বা পা ছড়িয়ে চেয়ারে বসে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ খুব অল্পমাত্রায় বা ১০-১৫ ডিগ্রিতে ভাঁজ করে হাঁটুটা রাখলে উপকার। টানা তিন ঘণ্টা বসে কাজ করছেন, এমন হলে মাঝেমধ্যেই পায়ের গোড়ালি ঘুরিয়ে বসে বসেই ব্যায়াম করে নিতে হবে। এটা জয়েন্টে ফ্লুয়িডের সার্কুলেশন বাড়ায়। ভালো থাকে।
মেয়াদোত্তীর্ণ মেকআপ ব্যবহারে যা হয়
মেকআপ সামগ্রী সকলের কাছেই খুব শখের। তাই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও অনেকে তা ফেলতে পারেন না। তবে স্কিন কেয়ারের সামগ্রী, মেয়াদ উত্তীর্ণের পর ব্যবহার করলেই বিপদ। মেয়াদোত্তীর্ণ বা নষ্ট হয়ে যাওয়া মেকআপ ব্যবহারে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। ত্বক, চোখ, চুলের ছোটো বড় নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।  বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শখের দামি জিনিস ফেলে দিতে কষ্ট হলে, ব্যবহারের আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেখে রাখা উচিত।  অনেক সময় দেখা যায় প্রসাধনের কৌটো বা টিউবে মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখের উল্লেখ নেই কিংবা তারিখটি উঠে গেছে। তখন সেটি আদৌ ব্যবহারযোগ্য কি না তা বোঝা যাবে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী রাখতেও যত্ন প্রয়োজন।  জেনে নিন মেকআপ সামগ্রীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে বোঝার উপায়— - লিপস্টিকের উপাদানে পানি থাকলে তা বছরখানেক পর্যন্ত ভালো থাকে। উপাদানে পানি না থাকলে লিপস্টিক তিন বছর অবধি ব্যবহার করা যায়। - লিপগ্লস বছরখানেক পর্যন্ত ভালো থাকে। উপাদানে পানি থাকলে আরও আগে নষ্ট হয়ে যায়। - নেলপলিশ তিন বছরেরও বেশি সময় পর্যন্ত ভালো থাকে। - ব্লাশঅন তরল, পাউডার বা ক্রিমজাতীয় যেমনই হোক না কেন, তিন বছর অবধি ব্যবহার করা সম্ভব। - আইশ্যাডোর উপাদানে পানি থাকলে এক বছরের মধ্যে তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পানিহীন আইশ্যাডো অবশ্য ২-৩ বছর পর্যন্ত নিরাপদ থাকে। - পেন্সিল আইলাইনার এবং মাসকারা ৩-৬ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। তরল আইলাইনার অবশ্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। - কনট্যুর বা ব্রোনজারে পানি না থাকলে তিন বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। - তরল, পাউডার বা ক্রিমজাতীয় ফাউন্ডেশন দুই বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। - কনসিলার তরল হলে ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। ক্রিমজাতীয় হলে এক থেকে দেড় বছর এবং পাউডারজাতীয় হলে দুই বছর ঠিক থাকে। - পারফিউম বা বডি স্প্রে সাধারণত ব্যবহার করা যায় ৩-৫ বছর। - মুখের ক্রিম তিন মাসের মধ্যে ব্যবহার করে ফেলা উচিত। - হাইলাইটারও কনসিলারের মতো ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত নিরাপদ। আরটিভি/এফআই
রান্নাঘরের মুশকিল আসান হবে কফি দিয়েই 
দেহের ক্লান্তি কাটিয়ে মন মেজাজ ফুরফুরে রাখতে কফি অনেকটাই সাহায্য করে। তাই অনেকেরই সারাদিনের সঙ্গী এক কাপ কফি। কফিশপগুলোয় মানুষের ভিড় দেখলেই বোঝা যায় দিন দিন বাড়ছে এই পানীয়ের জনপ্রিয়তা। যারা কফির সমঝদার, তাদের কাছে দিনদুনিয়া উদ্ধার করে হলেও এক পেয়ালা কফি কোনো না কোনোভাবে চাই–ই। কারণ নিমিষেই ক্লান্তি কাটিয়ে চাঙ্গা হতে এককাপ কফিই যেনো ভরসা। তবে জানেন কি, কফির কাজ এখানেই শেষ নয় কিন্তু। রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে কফি দুর্দান্ত সাহায্য করে। রান্নাঘর পরিষ্কার করতে বেশ সময় লাগে। তার ওপর ঝক্কিও পোহাতে হয়। কিন্তু হাতের কাছে কফি থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে নিমেষে। রান্নাঘরের দেওয়ালের তেলচিটে দাগ থেকে কড়াইয়ের পোড়া দাগ, কফি এক নিমেষে পরিষ্কার করে দেয়।  জেনে নিন সহজ উপায়— কড়াই পরিষ্কার: রান্না করতেই তরকারি পুড়ে গিয়েছে। সেই পোড়া দাগ তুলতে কালঘাম ছুটে যায়। এই কাজটা কফি করতে পারে। কড়াইয়ের গায়ে কফির গুঁড়ো মাখিয়ে রাখুন। তারপর বাসন মাজার জ্বালি দিয়ে চেপে ঘষুন। এতে সমস্ত দাগ উঠে যাবে। ওভেন: রান্না করলে ওভেনে তেল, মশলা পড়বেই। অনেক সময় সেই সব দাগ উঠতে চায় না। এ ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে কফির গুঁড়ো। বাসন মাজার তরল সাবানের সঙ্গে কফির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে গ্যাস-ওভেন, বার্নার পরিষ্কার করে নিন। ফ্রিজ: ফ্রিজের দুর্গন্ধ পরিষ্কার করতে এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করতে সাহায্য করে কফি। একটি কাপে কফি বিনস বা কফির গুঁড়ো রেখে দিন। কফির গন্ধ ফ্রিজের সমস্ত দুর্গন্ধ দূর করে দেবে। এ ছাড়া ফ্রিজ পরিষ্কার করার সময় সাবান পানির সঙ্গে কফির গুঁড়ো মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। সিঙ্ক: মাঝেমধ্যে রান্নাঘরের সিঙ্কে ময়লা জমে যায়। পানি বেরোতে চায় না। এই সমস্যার সমাধান করতে পারে কফি। ফুটন্ত গরম পানিতে কফির গুঁড়ো ও তরল সাবান মিশিয়ে সিঙ্কে ঢেলে দিন। এতে সমস্ত ময়লা পরিষ্কার হয়ে বেরিয়ে যায়। আর পানি জমার সমস্যা হবে না। আরটিভি/এফআই
টোনার ব্যবহারের আগে দূর করুন ভুল ধারণাগুলো
ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং—ত্বকের যত্নের প্রধান সূত্র। এ সূত্র মানলেই পাওয়া যায় স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সুন্দর ত্বক। আর ত্বকে টোনার ব্যবহারে আপনার হারানো ঔজ্জ্বল্য যেমন ফেরে তেমনই আবার ত্বককে করে তোলে আরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তবে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, টোনার সম্পর্কে ভুল ধারণা রয়েছে অনেকেরই। অথচ এ টোনিংই সুস্থ, মসৃণ, টান টান ত্বকের চাবিকাঠি। টোনিং সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে ত্বকচর্চার রুটিনে বন্ধু করে নিন টোনারকে: আপনি কী বিশ্বাস করেন ক্নিনজারের বিকল্প হিসাবে টোনার ব্যবহার করা যায়? এই ধারণা থাকলে তা আজই বদলের সময় এসেছে। কারণ বিশেষজ্ঞদের দাবি, মুখ ভালো করে পরিষ্কারের পরেও আপনার ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া, বাড়তি তেল, মৃত কোষকে পরিষ্কার করতে টোনার কাজে লাগে। তবে তা কখনই ক্লিনজারের বিকল্প হতে পারে না। অনেকেই ভাবেন স্পর্শকাতর ত্বকে টোনার ব্যবহার করা উচিত নয়। এই ভাবনা বদলের সময় এসেছে। কারণ, একাধিক সংস্থা বিভিন্ন রকমের ত্বকের চরিত্র অনুযায়ী টোনার বাজারে এনেছে। শুধু আপনাকে ত্বকের চরিত্র অনুযায়ী তা বেঝে নিতে হবে। স্ক্রাবারের পরিবর্তে শুধুমাত্র টোনার ব্যবহারেই ত্বকের মৃত কোষের বিড়ম্বনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলেই ধারণা রয়েছে অনেকের। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। হয়তো আপনার ত্বককে সামান্য ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে সাহায্য করতে পারে টোনার। তবে তা কখনই পুরো মাত্রায় আপনার ত্বককে মৃত কোষমুক্ত করতে পারে না। অনেকেই মনে হয় টোনার ব্যবহারের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আপনি কী জানেন এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ, সব ধরনের টোনারে থাকা উপাদান একইরকম হয় না। তার ফলে এক একটি টোনার আলাদা আলাদা কাজ করে। তাই আপনি কীরকম টোনার কিনছেন তার উপরেই তৈলাক্ত কিংবা শুষ্কতা নির্ভর করে। ত্বকে থাকা ব্রণ কিংবা কালো দাগ তুলতে পারে না টোনার। তবে আপনার অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক হলে তা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে টোনার। তার ফলে ব্রণর সমস্যা থেকে সামান্য মুক্তি মিলতে পারে। টোনার ব্যবহারের সময় কিছু দিকে নজর দেওয়া জরুরি: ত্বকে পানি লাগানোর পরপরই টোনার লাগাতে হবে। টোনার লাগানোর জন্য তুলার প্যাড বা মিস্ট বোতল ব্যবহার করুন। টোনার লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলবেন না। পাঁচ থেকে সাত মিনিট অপেক্ষা করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ফেলুন। তাহলে যে উদ্দেশ্যে টোনার লাগানো, সেটা পূরণ হবে। আরটিভি/এফআই
ফুলকপির ৩ স্ন্যাকস, রইল রেসিপি
শীত মানেই বাজারে ফুলকপি আর বাঁধাকপি। ভাত, রুটি, লুচি দিয়ে আলু-মটরশুঁটির সাদা ফুলকপির তরকারির কোনো তুলনা নেই। এ ছাড়া বিকেলের নাস্তাও জমে যায় ফুলকপির বিভিন্ন মুখরোচক স্ন্যাকসে। তবে অনেকেই আবার ফুলকপি দেখলে নাক সিঁটকান। তবে এই তিনটি স্ন্যাকস তৈরি করলে লোভ সামলানো দায়। ঝটপট রেসিপি দেখে নিন। ফুলকপির ঝাল পিঠে উপকরণ: হাফ সেদ্ধ ফুলকপি, ৫০ গ্রাম সুজি, ২০০ গ্রাম ময়দা, ধনেপাতা কুচি ১ মুঠো, স্বাদমতো লবণ, পরিমান মতো পানি, ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ লঙ্কার গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ জিরে গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ ধনে গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো, ৩ টেবিল চামচ তেল প্রণালী: প্রথমে সেদ্ধ ফুলকপি নিয়ে ভালো করে ম্যাশ করে নিন। তার মধ্যে সুজি ও ময়দা মিশিয়ে দিন। ওপরে উল্লেখ করা সমস্ত উপকরণ ও মশলা মিশিয়ে দিন। তারপর ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার একটি প্যানে তেল গরম করে তার মধ্যে হাতা করে ব্যাটার দিয়ে দিতে হবে ও উল্টে-পাল্টে ভালো করে ভেজে নিন। এবার গরম গরম ঝাল ফুলকপির পিঠা পরিবেশন করুন।  ফুলকপি পেঁয়াজের পকোড়া উপকরণ: আধা ফুলকপির কুচি, ৩টা পেঁয়াজ কুচি, ২টা কাঁচামরিচ কুচি, আধ চা চামচ লবণ, ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, ২ চা চামচ বেসন, ১ কাপ সাদা তেল, প্রয়োজন মতো পানি প্রণালী: একটা পাত্রে ফুলকপির কুচি, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি নিয়ে তাতে লবণ ও গোলমরিচ গুড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার তাতে বেসন, নুডলস মশলা আর অল্প পানি নিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার একটা ফ্রাইং প‍্যানে সাদা তেল গরম করে তাতে মিশ্রণটি ছোট ছোট করে পাকোড়ার মত করে দিয়ে বাদামি করে ভেজে তুলে নিতে হবে। খুব অল্প সময়ে তৈরি এই ফুলকপি পেঁয়াজের পাকোড়া গরম গরম চা কফির সাথে দারুন লাগে। ফুলকপির কাটলেট উপকরণ: ফুলকপি- ১ টি মাঝারি আকারের, আলু- ২টি (মাঝারি আকারের, সেদ্ধ করা), ধনে পাতা- ২ টেবিল চামচ (কাটা), কাঁচামরিচ- ১/২টি (কুচি কুচি করে কাটা), আদা বাটা- ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, গোলমরিচ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ, হলুদের গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ, চাট মশলা- ১/২ চা চামচ, ময়দা- ২ টেবিল চামচ (বা প্রয়োজন মত), পাউরুটির গুঁড়ো- প্রয়োজন মতো (কাটলেটের বাইরের অংশের জন্য), তেল- ভাজার জন্য প্রণালি: ফুলকপি ধুয়ে কেটে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন। একটি পাত্রে ফুলকপি সেদ্ধ, সেদ্ধ আলু, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ, আদা বাটা, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো এবং চাট মশলা মিশিয়ে ভালো করে মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি হাত দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে, ছোট ছোট বল তৈরি করুন এবং এগুলোকে চাপিয়ে কাটলেটের আকার দিন। একটি প্লেটে ময়দা ছড়িয়ে দিন এবং কাটলেটগুলো ময়দায় ভালোভাবে ঘুরিয়ে নিন। এরপর পাউরুটির গুঁড়োতে ঢেলে গড়িয়ে নিন। একটি প্যানে তেল গরম করে, কাটলেটগুলো সোনালি রং আসা পর্যন্ত ভাজুন। ভাজা কাটলেটটি কিচেন টাওয়েলে রাখুন যাতে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। এবার গরম গরম ফুলকপির কাটলেট পরিবেশন করুন। আরটিভি/এফআই
শীতে জুতো পরলে মোজায় গন্ধ, সমাধানে রইল টিপস
ঋতু পরিবর্তনের পালাবদলে দেশে নেমেছে শীত। আর এই সময় মোজা দিয়ে জুতা পরায় অনেকের পায়েই দুর্গন্ধ হয়। সাধারণত দীর্ঘক্ষণ মোজা পরে থাকার কারণে পায়ে দুর্গন্ধ হয়। শীতে পা ঘামার বড় কারণ পা ঢাকা জুতা পরা। তবে শুধু ঘামের জন্যই যে দুর্গন্ধ হয়, তা নয়। পায়ে দুর্গন্ধ হওয়াকে বলা হয় ব্রোমোডোসিস।  এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন জেনে নিন— ১) শীতকালেও অনেকের পা ঘেমে যায়। তাই পায়ের যত্ন নিন সবার আগে। প্রতিদিন রাতে বাড়ি ফিরে উষ্ণ পানিতে লবণ ফেলে পা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ২) প্রতিদিন মোজা ধুয়ে নিন। পারলে ডেটল পানি ব্যবহার করুন, কিংবা একাধিক মোজা কিনে মাঝে মধ্যে বদলে নিন। দেখবেন এতে সমস্যা মিটবে। ৩) ভুলেও গন্ধ মোজায় পারফিউম স্প্রে করবেন না। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। ৪) মোজা পরার আগে ভালো করে পা ধুয়ে নিন। একটু বেকিং সোডা হাতে নিয়ে ভালো করে পায়ে ঘষে নিন। দেখবেন এতে সমস্যা দূর হবে। ৫) বাড়িতে ফিরে জুতার মধ্যে কিছুটা পরিমাণ কাগজ ঢুকিয়ে রাখুন। এতে জুতার মধ্যে হওয়া দুর্গন্ধ দূর হবে। ৬) সপ্তাহে একবার জুতা রোদে দিন। এতে জুতাও ভালো থাকবে এবং দুর্গন্ধও হবে না। প্রয়োজনে জুতার মধ্যে ন্যাপথোলিন রাখতে পারেন। আরটিভি/এফআই