• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে দই খাবেন নাকি তরমুজ
এই গরমে ফলের রস নাকি স্যালাইন, কোনটি খাবেন
দেশজুড়ে গত কয়েক দিন থেকেই তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে। এতে বিপর্যস্ত জনজীবন। এদিকে গরমের কারণে সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। ফলে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়। শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করে ক্লান্তি দূর করতে পানি এবং পানীয়জাতীয় খাবারের কোনো বিকল্প নেই। তবে অনেকেই মনে করেন দ্রুত পানিশূন্যতা পূরণে স্যালাইন খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আবার অনেকে ভরসা রাখেন ফলের রসের ওপর। যে কারণে গরমের শুরু থেকেই ওআরএস এবং ফলের রস খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই দুই ধরনের পানীয়ের মধ্যে কোনটা পান করলে শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে পারবেন। জেনে নিন: স্যালাইনের উপকারিতা: আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে এসেছে ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন বা খাবার স্যালাইন। কোনো কারণে ডিহাইড্রেশন হলে শরীর থেকে পানির পাশাপাশি সোডিয়াম-পটাশিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান দ্রুত গতিতে বাইরে বেরিয়ে যায়। আর সেই সুবাদে আক্রান্তের স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে দেহে পানি এবং অন্যান্য খনিজের ভারসাম্য ফেরানোর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ওআরএস। তাই সারা পৃথিবীজুড়েই ওআরএস-এর এতটা চাহিদা। ফলের রসই মহৌষধ : পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে তাজা ফলের রস নিয়মিত খাওয়া যেতেই পারে। তাতে যেমন পানির ঘাটতি মিটে যায়, ঠিক তেমনই শরীরে প্রবেশ করবে অত্যন্ত উপকারী সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শুধু তাই নয়, যে কোনও ফলের রস থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ মেলে। তাই এই গরমে শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত যেকোন ফলের রস পান করা ভালো। তাতেই শরীরে উপকার পাবেন হাতেনাতে। ফলের রস নাকি স্যালাইন: পুষ্টিবিদরা বলছেন, গরমের এই সময়ে এই দুই পানীয়ই শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে ফলের রস এবং স্যালাইন, এই দুই পানীয়ই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেতে হবে। তবে ডিহাইড্রেশন হলে বা ডায়রিয়ার কবলে পড়লে তখন আর ফলের রসে কাজ হবে না। তখন অবশ্যই নিয়ম মেনে স্যালাইন খেতে হবে। বাড়িতেই বানান ফলের রস: তবে ফলের রস খেতে চাইলে ঘরেই তাজা ফল থেকে রস করে খাওয়া উচিত। বাজারজাত যেকোনো বোতলবন্দি ফলের রস খেলে কিন্তু কোনো লাভ পাবেন না। কারণ এইসব ফলের রসে চিনি এবং ফ্লেভার মিশ্রিত থাকে যা কিনা শরীরের উপকারের বদলে ক্ষতি করে বেশি। তার চেয়ে বরং গরমে সুস্থ থাকতে টাটকা ফল কিনে এনে বাড়িতে রস করে খান। তবে ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ বা অন্য কোনও ক্রনিক রোগ থাকলে নিয়মিত ফলের রস খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে ফলের রস আর স্যালাইন যেটাই খান না কেনো, নিয়মমাফিক অবশ্যই প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার করে পানি পান করতে ভুলবেন না।
কলায় সারবে একাধিক রোগ, কিন্তু এড়িয়ে চলবেন যারা
গরমে প্রশান্তি দেবে তেঁতুল গুড়ের শরবত
রোদে ত্বক ভালো রাখবেন যেভাবে
কত টনের এসিতে কত বিদ্যুৎ বিল
ওজন কমাবে ফাইবার সমৃদ্ধ এই ৫ খাবার
ওজন কমানোর জন্য যারা নিয়ম করে খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিয়েছেন, তারা অবশ্যই মেনুতে যুক্ত করুন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। কারণ এ জাতীয় খাবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে; যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। জেনে নিন ফাইবার সমৃদ্ধ ৫ খাবারের নাম- আমন্ড:  আমন্ড খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে সবসময়েই ভালো। এটি একটি হেলদি স্ন্যাকস। অনেকেই সকালবেলা খালি পেটে ভেজানো আমন্ড খান। আগের দিন রাতে আমন্ড পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে সেই আমন্ড খেয়ে নিন। দিনে দুই থেকে চারটি আমন্ড খেতে পারেন আপনি। আমন্ডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে হেলদি ফ্যাট। ওজন কমানোর পাশাপাশি আমন্ড আমাদের শরীরে এনার্জির জোগান দেয় এবং মস্তিষ্ক প্রখর ও সক্রিয় করে। ব্রকলি: সবুজ রঙের ফুলকপির মতো দেখতে এই সবজির রয়েছে অনেক গুণ। ভেজিটেবল স্যালাড হোক বা অন্যান্য অনেক সুস্বাদু পদ তৈরি করা যায় ব্রকলি দিয়ে। কাঁচা খেতে যাবেন না এই সবজি। অন্তত হাল্কা সেদ্ধ করে নেওয়া প্রয়োজন। কম ক্যালোরি যুক্ত ব্রকলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই সবজি খেলে অনেকক্ষণ আপনার পেট ভর্তি থাকবে। এর পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই সবজি। আপেল:  আপেল একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে এই ফলের মধ্যে। মিষ্টি স্বাদের এই ফল খেলে অনেকক্ষণ আপনার পেট ভর্তি থাকবে। সহজে খিদে পাবে না। আপেল খেলে অনেক উপকার পাবেন আপনি। ডায়েট করার সময় যদি সুইট ক্রেভিংস হয় তাহলে খেতে পারেন মিষ্টি স্বাদের এই ফল। এছাড়াও একাধিক পুষ্টি উপকরণ রয়েছে আপেলের মধ্যে। তার ফলে আপনার শরীরে সঠিক মাত্রায় পুষ্টির জোগান দেবে এই ফল। কাবলি ছোলা: কাবলি ছোলা দিয়ে অনেক ধরনের সুস্বাদু পদ তৈরি করা যায়। এটি একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ওজন কমাতে তাই পাতে রাখুন কাবলি ছোলা দিয়ে তৈরি রকমারি পদ। কাবলি ছোলা সেদ্ধ করে খেতে পারেন। কিংবা তৈরি করে নিতে পারেন কাবলি ছোলার ঘুগনি। এগুলি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। শুধুমাত্র ফাইবার নয়, কাবলি ছোলার মধ্যে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নিউট্রিয়েন্টস বা পুষ্টি উপকরণ। তাই কাবলি ছোলা দিয়ে তৈরি খাবার খেলে যেমন আপনার পেট ভরবে, ওজন কমবে, তেমনই আপনি ভরপুর পুষ্টিও পাবেন। ওটস: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো ওটস। আজকাল অনেকেই সকালের খাবারে ওটস খেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ফল কিংবা ড্রাই ফ্রুটস। ওটস দিয়ে তৈরি স্মুদিও একটি পুষ্টিকর খাবার যা দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে। অনেকে টকদই কিংবা ইয়োগার্ট মিশিয়েও ওটস খেয়ে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় মশলা ওটস। ফাইবার সমৃদ্ধ ওটসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। ওটস খেলে আপনার ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে কোলেস্টেরল। ফলে ভালো থাকবে আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য।
লাউয়ের খোসায় ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর টিপস
বৈশাখের এই গরমে বেশিরভাগ বাড়িতেই অল্প তেল, মসলা যুক্ত খাবার রান্না করা হয়। আর এ তালিকায় লাউ অথবা লাউয়ের খোসা বাটাও রান্না হয়। গরমের দিনে দুপুরের ভাতপাতে সেই লাউ রান্না হাপুশ-হুপুশ করে খেয়ে ফেলেন অনেকেই। তবে, জানেন কি এই লাউয়ের খোসা দিয়ে ত্বকেও উজ্জ্বলতা আনা যায়। গরমের দিনে রোদে পুড়ে ত্বকে খুব সহজেই ট্যান পড়ে যায়। আবার গরমের মধ্যে খুব সহজেই আসে ক্লান্তি। এই পরিস্থিতিতে ত্বকে ক্লান্তির ছাপ কাটিয়ে উজ্জ্বলতা আনতে আর ট্যানের সমস্যা কাটাতে লাউয়ের খোসা কীভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন। দেখে নিন লাউয়ের খোসা দিয়ে রূপ চর্চার কিছু টিপস- উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে- গরমের দিনে মুখে চোখে সহজেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে। সেক্ষেত্রে ত্বককে সজীব রাখতে সাহায্য করে লাউয়ের খোসা। এছাড়াও উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে লাউয়ের খোসা দিয়ে বানাতে পারেন একটি মিক্স। যা আপনাকে সহায়তা করবে। লাল চন্দনের সঙ্গে লাউয়ের খোসা বেটে নিয়ে তার মিশ্রণ বানান। মুখে লাগিয়ে তা ১০ মিনিট পর ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এইটি করলে মিলবে সুফল। ট্যানিং থেকে বাঁচতে- গরমের রোদে ট্যানিং থেকে বাঁচতে লাউয়ের খোসা দিতে পারে অনেক উপকার। লাউয়ের খোসা শুধু মুখে ঘষে নিতে পারেন। এছাড়াও তা ব্লেন্ডারে দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। তা মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর তা ধুয়ে ফেলুন। দাগ ছোপ দূর করতে- ত্বকের দাগ ছোপ দূর করতে লাউয়ের খোসা দারুন উপকারী। খোসা বেটে নিয়ে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। সেই পেস্ট গোসলের আগে মেখে নিন। তবে মুখ এক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতেই মুখ থেকে সরে যাবে দাগ ছোপ।
এসি ছাড়াই যে কাজে ঘরের তাপমাত্রা কমবে ৫ ডিগ্রি
এই গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সারারাত ঘুম হচ্ছে না। তার মধ্যে লোডশেডিংও বাড়ছে। এ অবস্থায় ঘরের মধ্যেও টেকা যাচ্ছে না। তার ওপর দিনের বেলায় ক্লান্তি মারাত্মক বাড়ছে। এ রকম অবস্থা সামাল দিতে অনেকেই সারাদিন এসি চালিয়ে রাখছেন। কিন্তু তাতে বিদ্যুতের খরচ অনেক বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু জানেন কি, কয়েকটি সহজ রাস্তা অবলম্বন করলে, ঘরের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে যেতে পারে।  মনে রাখবেন, কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই ঘরের তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমানো যেতে পারে। জেনে নিন, এমনই সহজ কয়েকটি রাস্তা। এগুলো মেনে চললে হয়তো আপনার রাতের ঘুম আর একটু ভালো হতে পারে। জেনে নিন ঘর ঠান্ডা রাখার কয়েকটি টিপস-  শোওয়ার ঘরে কেমন আলো: মনে রাখবেন, আলো ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দেয়। তা যদি এলইডি হয়, সেটিও তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই শোওয়ার ঘরে যতটা কম পাওয়ারের আলো লাগান। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। সম্ভব হলে একদম কম পাওয়ারের আলো জ্বালান এই ঘরে। ভারী পর্দা ব্যবহার করুন: শোওয়ার ঘরের দরজা এবং জানলায় ভারী পর্দা লাগান। দরজা-জানলা খোলা রাখা অবস্থায় এই পর্দা টেনে দিন। এতে বাতাস চলাচল করবে ঠিকই, কিন্তু তাপ কম আসবে। এতে ঘর কিছুটা হলেও ঠান্ডা থাকবে। বরফের ব্যবহার: একটি পাত্রে কিছুটা বরফ নিন। সেটি ফ্যানের নিচে বা টেবিল ফ্যানের সামনে রেখে দিন। এতে গরমে ঘরের বাতাস কিছুটা ঠান্ডা হতে পারে। তবে এর সামনে বসবেন না। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। সকালে দরজা খোলা, জানলা বন্ধ: দিনের বেলা ঘরের দরজা খুলে রাখুন। কারণ, দরজা বন্ধ রাখলে ঘর গুমোট হয়ে যাবে। আর জানলা রাখুন বন্ধ। রাতের বেলা জানলা খুলে দিন, এতে বাতাস আসবে। রাতে সম্ভব হলে দরজাও খুলে রাখুন। তাতে ঘর আরও কিছুটা ঠান্ডা থাকবে। অ্যাডজাস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন: ছোট ফ্ল্যাট হলে বাথরুম আর রান্নাঘরে দরকার মতো এগজস্ট পাখা চালিয়ে রাখুন। এতে বাড়ির ভিতরে হাওয়া চলাচল ভালো হবে। তাতে গরমের অনুভূতি কিছুটা কমবে। সুতির চাদর: ঘরে সুতির চাদর ব্যবহার করুন। এই ধরনের চাদরই বিছানায় পাতুন বা সোফার কভার হিসাবে ব্যবহার করুন। এই নরম চাদর তাপ এখটু কমায়। এতে ঘর ঠান্ডা থাকতে পারে সামান্য হলেও।
গরমে মেঝেতে ঘুমালে স্বাস্থ্যের ওপর যে প্রভাব পড়ে
এই তীব্র গরমে অনেকেই মাটিতে শুয়ে পড়েন, এতে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু শরীরের জন্য এটি কেমন, এতে শরীরে কেমন প্রভাব পড়ে, সেটি জেনে রাখা দরকার। একটা সময় ছিল যখন অনেকেই মাটিতে বা মেঝেতে ঘুমাতেন। তবে এখন খাট আর ম্যাট্রেসেই বেশির ভাগ মানুষ ঘুমান। কিন্তু মেঝেতে ঘুমালে শরীরে বেশ কিছু প্রভাব পড়ে। জেনে নিন মেঝেতে ঘুমালে শরীরে যে প্রভাব পড়ে- পিঠের ব্যথা কমতে পারে: অনেকেই বলেন, মাটিতে ঘুমালে মেরুদণ্ড ভালোভাবে সোজা হয়ে থাকে। এতে যাদের পিঠে ব্যথার সমস্যা আছে, তারা কিছুটা উপকার পেতে পারে। এমনকি কোমরের ব্যথাও এতে কমতে পারে। তাই এঠি মোটেই খারাপ অভ্যাস নয়।  ঘুমের সমস্যা কমতে পারে: গরমে অনেকেরই ভালো করে ঘুম হয় না। মাটিতে ঘুমালে ইনসোমনিয়া বা ঘুম না হওয়ার সমস্যা কিছুটা প্রতিরোধ করা যায়। তাই গরমকালে এটি মোটেই খারাপ অভ্যাস নয়।  ঘাড়ে ব্যথাও কমতে পারে: ঘাড় সোজা করে না ঘুমালে ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হতে পারে। বিশেষ করে আকাবাঁকা হয়ে ঘুমালে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। তবে মেঝেতে ঘুমালে এই ব্যথা এড়ানো যায়। কারণ, এক্ষেত্রে ঘাড় সোজা থাকে। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়: মেঝেতে ঘুমালে রক্ত সঞ্চালন অনেক ভালো হয়। শরীর ভালো রাখতে ভালো রক্ত সঞ্চালন জরুরি। তাই মেঝেতে শুলে সেই হিসাবেও শরীর ভালো থাকে।  তবে এর পাশাপাশি শরীরে কিছু সমস্যাও হতে পারে। সেই বিষয়েও ভালো করে জেনে রাখা দরকার। বিশেষ করে যাদের কিছু শারীরিক সমস্যা আছে, তাদের মেঝেতে ঘুমানো উচিত নয়। জেনে নিন কারণগুলো- অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে: মেঝেতে প্রায়শই বেশি ধুলোবালি ও ময়লা জমে। বিশেষ করে কার্পেটের ওপর ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে এর থেকে হাঁচি, সর্দি, চুলকানি, চোখ লাল হওয়া, শ্বাসকষ্ট ও কাশির মতো অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। ঠান্ডা লেগে যেতে পারে: গরমে ঠান্ডা মেঝেতে ঘুমালে আরাম পেতে পারেন, তবে ঠান্ডায় ঘুমোনোর কারণে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে শরীরের তাপ দ্রুত কমাতে পারে ও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হয়। ফলে জ্বর হতে পারে।  তাই মেঝেয় ঘুমানো আপনার জন্য ঠিক কি না, তা নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেবেন না। আর আরাম পেতে গিয়ে কোনো ভুল কাজ করবেন না। প্রয়োজনে অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। তার থেকে ভালো করে জেনে নিয়ে তবেই মেঝেতে ঘুমাবেন। 
গরমে হিট অফিসারের পরামর্শ
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে জনজীবন হাঁসফাঁস। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। প্রখর রোদে পথঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। কোথাও কোথাও সড়কের পিচ গলতে শুরু করেছে। গরমের কারণে বাড়ছে হিটস্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি।  ডায়রিয়াতেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এরইমধ্যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, কী করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন? তিনি জানিয়েছেন, দায়িত্ব পেয়ে বসে নেই তিনি। চেষ্টা করে যাচ্ছেন কেন ঢাকায় তাপমাত্রা বাড়ছে তা খুঁজে বের করার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটার চেষ্টা করছেন। তীব্র দাবদাহ মোকাবিলায় বুশরা জানান, এই অবস্থা থেকে সবাইকে বাঁচানোর জন্য তারা নিয়মিত ‘হিট অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন’ চালাচ্ছেন। তার মতে, ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কমাতে আরও বেশি গাছ লাগানো জরুরি। তিনি বলেন, আমাদের এখানে রাস্তার ধারে ২ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, সেগুলোর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। নগরে বনায়ন করা খুব জরুরি। এখানে যে ফাঁকা এবং পরিত্যক্ত জায়গাগুলো আছে সেখানে সবুজায়ন করার দিকেও আমরা নজর দিয়েছি। আমাদের এখানে আরও অনেক পার্ক এবং সবুজে ঘেরা জায়গা দরকার। তাতে তাপমাত্রা যেমন কমবে, তেমনই পাখিসহ নানা প্রাণীও ফিরে আসবে। ব্যক্তি উদ্যোগেও নগরবাসীকে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন চিফ হিট অফিসার। বুশরা বলেন, তীব্র দাবদাহে আমরা নিজেরা যদি সচেতন থাকি। আমরা যদি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আমাদের ব্যাগে পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র সঙ্গে রাখি, তাহলে অনেকটাই নিরাপত্তা পেতে পারি।
গরমে প্রশান্তি দেবে আম-পাবদার ঝোল
কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন নাজেহাল হয়ে পড়েছে। গরমের অস্বস্তিতে কোনকিছুই ভালো লাগে না। খাওয়া, ঘুম কোনকিছুতেই নেই শান্তি। এ দুর্বিসহ গরমে চুলার কাছেও বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। তাই ঝটপট রান্না করা যায় এরকম রেসিপির খোঁজ করছেন। তাহলে তৈরি করতে পারেন আম পাবদা। এখন বাজারে গেলেই দেখা মিলবে কাঁচা আমের। পাবদা আর আমের মেলবন্ধনে জমে যাবে দুপুরের ভোজ। খুব সামান্য উপকরণ দিয়েই তৈরি করে নিন জিভে জল আনা এই পদ। রইল রেসিপি। উপকরণ: পাবদা মাছ ৫টি পোস্ত বাটা ২ টেবিল চামচ কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ রসুন বাটা আধ চা চামচ কাঁচা আম ১টি সরিষার তেল ১ কাপ লবণ স্বাদমতো কালোজিরা ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ প্রণালী: লবণ, হলুদ মাখিয়ে সরিষার তেলে পাবদা মাছগুলো হালকা করে ভেজে নিন। সেই তেলেই কালো জিরা দিন। ফোড়নের মধ্যে রসুন বাটা দিয়ে ভেজে নিন। এ বার সরিষা বাটা, পোস্ত ও কাঁচা মরিচ বাটা আর সামন্য হলুদ দিয়ে কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল বেরোতে শুরু করলে কাঁচা আম বাটা ও লবণ দিতে হবে। গ্রেভি ফুটে উঠলে মাছ দেওয়ার পালা। মিনিট পাঁচেক কম আঁচে ঢাকনা দিয়ে রান্না করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আম পাবদা। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ভিন্ন স্বাদের মাছের এই পদটি।
প্রেমিকের কাছে মেয়েরা যে ৭ জিনিস প্রত্যাশা করেন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা অভিমানী প্রকৃতির হয়। তারা চায় না বলতেই যেন প্রিয় মানুষটি তার মনের কথা বুঝে যায়। মনে মনে অনেকে কল্পনার রাজ্যও গড়ে তোলে। এরপর যখন প্রিয় মানুষটি তার মনের কথা বুঝতে পারে না তখনি অভিমান হয় প্রেমিকার। আর এ কারনেই মেয়েদের তার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে একটা কমন অভিযোগ হলো- কেউ তাদের বুঝতে পারে না। অবশ্য এই দায় ছেলেরাও স্বীকার করে নিয়েছে যে, মেয়েদের মন বোঝার সাধ্য তাদের নেই। আসলেই কি নেই? মেয়েরা আসলে এমন কী চায় যে তাদের বুঝতে পারা সহজ হয় না? না-কি এই বুঝতে না পারার পেছনে ছেলেদের আগ্রহেরও অভাব রয়েছে? একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার পর পরস্পরের প্রতি অভিযোগের তীর ছুঁড়তে থাকা সহজ। কিন্তু একে অন্যকে বুঝে সামনে এগিয়ে যাওয়া সহজ নয়। সেজন্য দু’জনের আগ্রহ কিংবা টান থাকা চাই। প্রেমিকের কাছে মেয়েদের চাওয়া খুব বেশি থাকে না, যদি তা সত্যিই প্রেম হয়। ছোট ছোট বিষয়ে খেয়াল রাখলেই তাদের মন জয় করা সম্ভব। জেনে নিন মেয়েরা প্রেমিকের কাছে  প্রত্যাশা করে এমন ৭টি জিনিস-  ​১. সবকিছুতেই থাকবেন পাশে​ মেয়েরা সাধারণত তার প্রেমিকের কাছে সব বিষয়ে সাহায্য চান না। কিন্তু তারা আশা করেন যে, মনের মানুষ সবসময় তাদের মাথায় ছাতার মতো ছায়া দেবেন। তাই এবার থেকে প্রেমিকাকে সমস্যায় দেখলে কোনও দিকে না তাকিয়ে দ্রুত  তা সমাধানের কাজে লেগে পড়ুন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই প্রেমিকার মনে হৃদয়ে চিরস্থান পেতে সুবিধা হবে।  ২. দেবেন সম্মান​ ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েও অনেক ছেলে মেয়েদের কোনও রকম সম্মান দেন না। আর এই বিষয়টাই তাদের প্রেমের পথে অন্তরায়। তাই নিজের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে প্রেমিকাকে যথাযোগ্য সাম্মান দিন। আর এই কাজটা গোপনে নয়, সবার সামনেই করুন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই আপনাদের প্রেমের রাস্তায় কোনও বাধা বিপত্তি মুখ তুলতে পারবে না। বরং আপনারা হেসেখেলে আগামীদিনগুলো কাটাতে পারবেন। ​​৩. নিজের থেকেও আপন​ মেয়েরা প্রেমিকের অকৃত্রিম ভালোবাসা চান। এমনকী প্রেমিক যাতে নিজের থেকেও তাকে বেশি ভালোবাসেন, এই বিষয়টাও মনে মনে আশা করেন তারা। তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই প্রেমিকাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন। তাকে সবসময় প্রেমের কথা বলুন। ব্যস, তাহলেই খেলা ঘুরে যাবে। তারপর তিনি আপনার সঙ্গে সারাজীবন হাতে হাত রেখে চলার জন্য অঙ্গিকারবদ্ধ হয়ে পড়বেন। ​৪. সততার নেই বিকল্প​ প্রেমের গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে সবসময় সত্যি কথা বলতে হবে। এমনকী প্রেমিকার থেকে কোনো কিছু লুকানো চলবে না। কারণ প্রেমিকা যে গোপনে আপনার থেকে সততাই আশা করেন। তাই এতদিনের ভুল শুধরে নিতে চাইলে প্রেমিকাকে সবসময় সত্যি কথা বলুন। এমনকী কোথাও কোনও ভুল হলে, সেই কথাও সময় করে জানিয়ে দিন।  ​৫. সবসময় রাখবেন ভালো​ আমাদের সকলের জীবনের লক্ষ্যই হলো ভালো থাকা। আর মেয়েরাও ঠিক একই পথের পথিক। তাই তারা আশা করেন যে তার মনের রাজকুমার তাকে সবসময় হাসিখুশি রাখবে। সুতরাং প্রেমিকার মনে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে চাইলে তাকে সবসময় ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে। আর এই কাজটা করলেই কিন্তু তিনি আপনাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসবেন। ৬. মনোযোগ মেয়েরা প্রেমিকের কাছ থেকে মনোযোগ প্রত্যাশা করে। প্রেমিক যদি তার কথা মন দিয়ে শোনে, কোনো সমস্যায় সমাধান খুঁজে দেয়, মানসিকভাবে সমর্থন দেয় তাহলে মেয়েরা খুশি হয়। আর যদি প্রেমিক নিজের মতো ব্যস্ত থাকে, প্রেমিকার কথার দিকে মনোযোগ না দিয়ে ফোন কিংবা সোস্যাল মিডিয়ায় সময় কাটায় তখন বিরক্তি চলে আসে।  ৭. সারপ্রাইজ মুখে না বললেও একথা সত্যি যে মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে ভালোবাসে। অবশ্য সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। তবে তুলনামূক ছেলেদের থেকে বেশি মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে। খুব দামি কিছু হতে হবে তা কিন্তু নয়। চাইলে একটি চকোলেট কিংবা ফুল দিয়েও তাকে চমকে দেওয়া যায়। প্রেমিকাকে খুশি রাখতে এটুকু তো সামান্যই, নয় কি!