• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
নিয়মিত যে ব্যায়াম করলে সুস্থ থাকবেন হার্টের রোগীরা
কনট্যাক্ট লেন্স পরে যে ভুলে দৃষ্টি হারালেন অভিনেত্রী
সাধারণত চোখের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য অনেকেই কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কনট্যাক্ট লেন্সের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। কেউ প্রয়োজনে, কেউ ফ্যাশন-অ্যাকসেসরিজ হিসেবে নিয়ম করে কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন। আধুনিক নারীদের সাজসজ্জায় এখন কনট্যাক্ট লেন্স বেশি ট্রেন্ডিং। বিশেষ করে মেয়েরা, চশমার পরিবর্তে কনট্যাক্ট লেন্সকেই বেশি বেছে নেন। অনেকে আবার চোখের মণির রং নিয়েও পরীক্ষা করতে কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন। কালার কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে চোখের সৌন্দর্য আলাদা হয়ে যায়। তবে কালার বা রেগুলার লেন্স ব্যবহার করলেও এর রয়েছে কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। প্রায়ই কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারে চোখের নানা রকম সমস্যার কথা জানা যায়। তেমনি অতি সম্প্রতি হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জাসমিন ভাসিনের দৃষ্টি চলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ঘুম কেড়ে নিয়েছে অনেকেরই। একটি ইভেন্টে যাওয়ার আগে মানানসই কনট্যাক্ট লেন্স পরে ছিলেন অভিনেত্রী। তারপর থেকেই দৃষ্টি গিয়েছে তার, সঙ্গে অসম্ভব যন্ত্রণা। ছটফট করছেন অভিনেত্রী। নেটদুনিয়ার ছড়িয়েছে টেলি-অভিনেত্রীর ব্যান্ডেজ করা চোখের ছবি।  গত ১৭ জুলাই এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন। তার আগে মেকআপ করার পরই কনট্যাক্ট লেন্সটি পরেন তিনি। তারপর থেকেই  জাসমিনের চোখে অসহ্য জ্বালা শুরু হয়। সেই সঙ্গে প্রবল যন্ত্রণা। কিন্তু ইভেন্ট আছে বলে যেতে পারেনি চিকিৎসকের কাছেও। চলে যান ইভেন্টে। সানগ্লাস পরে সামাল দেন অনুষ্ঠান। আস্তে আস্তে দৃষ্টি হারাচ্ছেন বুঝতেও পারছিলেন তিনি।  কেন ঘটল ভয়ঙ্কর এই ঘটনা, চিকিৎসকরা বলছেন, কর্নিয়ার আঘাত বা ক্ষতি হতে পারে অনেক কারণেই। কর্নিয়ার ওপর আঘাত বিভিন্ন উৎস থেকে হতে পারে। হঠাৎ কিছুর সঙ্গে ঘর্ষণ, রাসায়নিক কিছুর সংস্পর্শে আসা, কন্ট্যাক্ট লেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া, কন্ট্যাক্ট লেন্সে সংক্রমণ, অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে কর্নিয়ার ক্ষতি হতে পারে।  কীভাবে বুঝবেন কর্নিয়ার ক্ষতি শুরু হয়ে গিয়েছে ? ঝাপসা দৃষ্টি একটি সাধারণ লক্ষণ চোখে প্রচণ্ড ব্যথা চোখে জ্বালা ভাব আলোর সংস্পর্শে প্রচণ্ড কষ্ট হওয়া চোখের পাতা ফুল যাওয়া চোখ থেকে অনবরত পানি পড়া কর্নিয়ার আঘাত পেলে চিকিৎসা তো করাতেই হবে। তবে তার আগে কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখুন। চোখের মধ্যে কিছু আটকে থাকলে, তা বের করতে ডাক্তারের সাহায্য নিন। যদি কোনও রাসায়নিকের ছিটে লেগে থাকে, তা অবিলম্বে ধুয়ে ফেলতে হবে। উপসর্গ দেখা দিলে, সব কাজ ফেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার। সময় নষ্ট করা মানে অন্ধত্বকে ডেকে আনা। এবার কী কারণে কর্নিয়া আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে, তা বুঝে ডাক্তাররা চিকিৎসা করেন। আই ড্রপ দেন। প্রয়োজনে চোখে ড্রপ বা মলম ব্যবহার করতে হয়। আঘাত সম্পূর্ণরূপে নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা যাবে না।  কর্নিয়ার আঘাতের চিকিৎসায় বেশ কয়েকটি ধাপ জড়িত। চোখ থেকে বিদেশী উপাদান অপসারণ প্রায়ই প্রয়োজন। চোখের প্যাচ বা ব্যান্ডেজ লেন্স পরা আহত কর্নিয়াকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। নিরাময় প্রচারের জন্য নির্ধারিত চোখের ড্রপ বা মলম ব্যবহার করা যেতে পারে। আঘাত সম্পূর্ণরূপে নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত কন্টাক্ট লেন্স এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অস্বস্তি পরিচালনা করার জন্য ব্যথার ওষুধ নির্ধারিত হতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে সবসময় পরিষ্কার হাতেই লেন্স পরতে হবে। অসুবিধে হলেই চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সূত্র: এবিপি
এই ৫ ধরনের ফলেই মিটবে চুলের সমস্যা
যেভাবে ট্রমা থেকে মুক্তি পেতে পারেন
সন্তানের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করবে যেসব খাবার 
ভালো থাকতে প্রতিদিন এই সহজ ব্যায়ামগুলো করুন
বিকেলের নাস্তায় সুস্বাদু চকো চিপস কুকিজ
বিকেলের নাস্তায় পরিবারের সামনে কি উপস্থাপন করা যায়, তা নিয়ে গৃহিণীদের চিন্তার অন্ত নেই। সুস্বাদু এবং ঝটপট এই দুয়ের মিশেলেই তৈরি করতে হয় যা তৈরি করার। তবে আজকের লাইফস্টাইলে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাবারের। আর এ দুশ্চিন্তার অবসান ঘটাতে তৈরি করতে পারেন চকো চিপস কুকিজ। বাড়িতেই ঘরোয়া কিছু উপাদান ও কম সময়ে নিজের হাতেই বানিয়ে ফেলুন চকো চিপস কুকিজ। স্বাস্থ্য ও পছন্দ- দুটোই বজায় রাখুন সমান তালে। চায়ের সঙ্গে হোক বা মিড নাইট ক্রেভিংস, প্রায় যেকোনো সময়েই দু-তিনটা চকো চিপস দেওয়া কুকিজ খেয়ে ফেলাই যায়। চলুন, জেনে নেওয়া যাক তৈরির পদ্ধতি। জেনে নিন রেসিপি— উপাদান: আধা কাপ ঘি, আধা কাপ গুড় বা কোকোনাট সুগার, ১ টেবল চামচ ভ্যানিলা এসেন্স, ১ কাপ ওটসের আটা, আধা টেবল চামচ বেকিং সোডা, ১ চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার, আধা কাপ দুধ, আধা কাপ কোকো পাউডার, ১ কাপ চকোলেট কুকিজ ও এক চিমটে লবণ লাগবে বানাতে। প্রথম ধাপ: প্রথমেই ভালো করে ঘি ও গুড় বা কোকোনাট সুগারটি মিশিয়ে ফেটাতে থাকুন। আপনার কুকিজ খেতে কতটা ভালো হবে তা কিন্তু সম্পূর্ণ নির্ভর করে এই ধাপেই। তাই মিশ্রণটি মসৃন ও ফ্লাপি না হয়ে ওঠা পর্যন্ত মিক্স করতে থাকুন। দ্বিতীয় ধাপ: এবারে মিশ্রণটিতে ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে ফের একবার মিশিয়ে নিন। এবারে ধীরে ধীরে বাকি উপাদান যেমন আটা, কর্ন ফ্লাওয়ার, বেকিং সোডা ও কোকো পাউডার মিশিয়ে কুকিজের ময়ামটি তৈরি করুন। এবারে মিশ্রণটি ভালো করে মেখে নিন। তৃতীয় ধাপ: এবারে ধীরে ধীরে দুধ মিশিয়ে ফের একবার মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট ফ্রিজে সেট হতে দিন। এই ফাঁকে আপনার ওভেন ১৮০ ড্রিগ্রি সেন্টিগ্রেডে প্রি-হিট করে রাখুন। চতুর্থ ধাপ: এবারে একটি বেকিং ট্রে-তে বেকিং শিটের ওপরে ওই ময়ামটি ফ্রিজ থেকে বের করে ছোট ছোট চ্যাপটা বলের আকারে সাজিয়ে উপর থেকে ইচ্ছেমতো চকো চিপস ছড়িয়ে দিন। পরিবেশন: এবারে বেকিং ট্রে ওভেনে ঢুকিয়ে ১২ থেকে ১৫ মিনিট কুকিজগুলো বেক হতে দিন। তারপরে বের করে ওপর থেকে সামান্য সি সল্ট ছড়িয়ে পরিবেশন করুন বাড়িতে বানানো হেলদি চকো চিপস কুকিজ।
দুধ বা দুধের তৈরি খাবার কোনটি বেশি ভালো
দুগ্ধজাতীয় খাবার কারও প্রিয়, কেউ আবার একেবারেই পছন্দ করেন না।  দুগ্ধজাত খাবার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। এদিকে ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস এগুলোই। খারাপ বলতে, কিছু খাবারে ফ্যাটও বেশি। কোন খাবার কীভাবে খাবেন, কতটা খাবেন—জানালেন ডায়েটিশিয়ান সোমালি বন্দ্যোপাধ্যায়। ভালো কোনটি— দুধ: এই সুষম খাদ্যে নয় রকম এসেন্সিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। এছাড়া প্রোটিন, স্যাচুরেটেড এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভালো কার্বোহাইড্রেট যেমন-ল্যাকটোজ, গ্যালাকটোজ, ভিটামিন-এ, ডি, বি-১২ সমৃদ্ধ দুধ। দই/ইয়োগার্ট: দই ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ডি, বি-১২ সমৃদ্ধ। কোষ্ঠকাঠিন্য, টাইপ টু ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলাস রোগের ক্ষেত্রেও খাওয়া যেতে পারে। ক্ষতিকারক টক্সিনের হাত থেকে বাঁচায়। এর মধ্যে উপস্থিত প্রোটিন উপাদানগুলো পেশির বৃদ্ধিতে এবং টিস্যু ঠিক রাখতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কমায় ক্যানসারের ঝুঁকিও। ছানা/পনির: ক্যালসিয়াম এবং বায়ো অ্যাকটিভ পেপটাইড-এনজাইম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম কমিয়ে দেয় ক্যানসারের প্রবণতা, গর্ভবতীদের জন্যও খুব উপকারী। এর পাশাপাশি ছানার পানিও বিশেষ পুষ্টিগুণে ভরা। রাইবোফ্ল্যাবিন নামক ভিটামিনটি শারীরিক বৃদ্ধিতে এবং শক্তির জোগানে গুরুত্বপূর্ণ। হার্টের সমস্যা, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, কিডনির সমস্যা, লো ব্লাডপ্রেশারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই আটা মাখার সময় কিংবা কোনও ডাল রান্না করার সময় এই পানি ব্যবহার করতে পারেন। ঘি: অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন-এ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর এই খাবার। এটি অ্যান্টি-আর্থ্রাইটিস, গিরায় ব্যথার সমস্যা দূর করে, চুলের স্বাস্থ্য ও ত্বক ভালো রাখে। বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে খান। নইলে বিপদ। মাখন: এতে থাকে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং ক্যালসিয়াম, যা শরীর সুস্থ রাখে। ক্যালোরি শরীরে এনার্জির ঘাটতি পূরণ করে। চোখ, হাড় ও ত্বকের জন্য উপকারী। তবে বেশি পরিমাণে খাওয়া মোটেই ভালো না। অত্যাধিক স্যাচুরেটেড ফ্যাট ডেকে আনে হার্টের সমস্যা, ওজন বাড়ায়। কম পরিমাণে খান সুস্থ থাকবেন। মার্জারিনও খাবারের মধ্যে বুঝেশুনে রাখুন। এতে থাকে ট্রান্স ফ্যাট যা ভালো কোলেস্টেরল কমিয়ে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। মিষ্টি, আইসক্রিম: এতে অত্যধিক পরিমাণে শর্করা ও ক্যালোরির উপস্থিতি শরীরের জন্য বেশি পরিমাণে মোটেই ভালো নয়। মাঝেমধ্যে কিছুদিন পর পর খেতে পারেন। চিজ/মায়োনিজ: স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকে। প্রতিদিন খাওয়ার জন্য এগুলো একেবারেই উপযুক্ত নয়, তাই এড়িয়ে চলুন। পায়েস: পায়েস বেশি পরিমাণে খেলে হতে পারে হজমের সমস্যা। মাংস খাওয়ার পর খেলে হজমের সমস্যা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। তাই বুঝেশুনে খান। ক্ষীর-দুধের সর: বেশি পরিমাণে খেলে দেখা যায় হজমের সমস্যা, ডায়েরিয়া, বমি বমি ভাব। শিশুদের ক্ষেত্রে দুধের সর হজম করা একটু কঠিন। তাই দুধ খাওয়ানোর আগে সর তুলে নিন। অন্যদিকে, ক্ষীরে শর্করার ভাগ বেশি থাকায় দেখা ওজন বাড়তে পারে, ডায়াবেটিস থাকলে এড়িয়ে চলুন। গুঁড়ো দুধ বা মিল্ক ক্রিম: মন চাইলেই গুঁড়ো দুধ খেয়ে নেন। স্বাদে অনবদ্য, ছোটবেলার এ নস্টালজিয়া বড় বয়সে মাঝেমধ্যেই ফিরে আসে। কিন্তু বুঝে শুনে খেতে হবে, এই দুধে অত্যধিক পরিমাণে চিনির উপস্থিতি হার্ট, ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ায়। নেই ক্যালসিয়ামও। মিল্ক ক্রিম আজকাল ডেজার্ট তৈরিতে বহুল ব্যবহৃত। এতেও কিন্তু ফ্যাটের পরিমাণ খুব বেশি। কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ায়। কোনটা কতটা খাবেন— শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা সঠিক পরিমাণে জোগান দিতে দুধের বিকল্প আর কিছু নেই। তবে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স, হজমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে সোয়ামিল্ক  কিংবা দই খেতে পারেন। একই রকম উপকার পাবেন। ১ গ্লাস অর্থাৎ ২৫০ এমএল দুধে ৩২৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। শরীর গঠনের সময় ক্যালসিয়ামের চাহিদা বাড়ে। ৬ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত চাহিদা থাকে ১৩০০ মিলিগ্রাম। ১৮-৫০ বছর বয়স পর্যন্ত চাহিদা কমে দাঁড়ায় ১০০০ মিলিগ্রামে। আবার, ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে বিশেষ করে মেয়েদের মেনোপজের পর শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০০ মিলিগ্রামে। তাই যে কোনও বয়সেই সব সময় ডায়েটে উপযুক্ত ক্যালসিয়াম রাখুন। ১ গ্লাস দুধ, ১ বাটি টকদই (বাড়িতে পাতলে খুব উপকারী), ছানা/পনির (১০০-১৫০ গ্রাম) মিলিয়ে মিশিয়ে রাখুন। অল্প ঘি খেতে পারেন। বয়সকালে অস্ট্রিওস্পোরোসিস, অস্ট্রিওপেনিয়ার মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন। তবে মিষ্টি বা আইসক্রিম খেয়ে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মিটবে এমনটা নয়।
আঙুরের মতো দেখতে পুষ্টিকর এই ফলটি খেয়েছেন কি 
পায়েলা দেখতে অনেকটা লাল আঙুরের মতো। তবে এর খোসা আঙুর থেকে মোটা। এক ধরনের মিষ্টি ফল পায়েলা। এই ফলটির ভেতর যত উপাদান রয়েছে তার মধ্যে ৬০ ভাগই আয়রন। পাকলে এর রং লালচে বেগুনী হয়ে যায়। ফলের অভ্যন্তরভাগে শাঁসের রং গোলাপী সাদা বা হালকা বাদামি। পায়েলার ইংরেজি নাম কফি প্লান্ট‍। আমাদের দেশে উৎপাদিত পায়েলার তিনটি জাত হলো- জ্যাংগমাস‍, ক্যাটাফ্রক্টা ও দেশি। পায়লা দিয়ে ভালো জুস তৈরি করা যায়।  পায়লা দেশের বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন, লুকলুকি, পেলাগোটা, প্যালা, ঝিটকি, পলাগোটা, টরফই, পানিয়ালা, পানি আমলা, পাইন্না, পাইন্যাগুলা, বেহুই ইত্যাদি। এই ফলটির গাছ নিচুভূমি এবং পাহাড়ি এলাকার বৃষ্টিবহুল অঞ্চলের 'উইলো' পরিবারভুক্ত। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়াতে ব্যাপকভাবে চাষ হয় পায়েলার। আমাদের দেশে এর তেমনভাবে কোনো চাষ হয় না। বনে জঙ্গলে পায়েলার গাছ জন্মে থাকে। এর গাছ কাঁটাযুক্ত। এই গাছে মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল আসে। ফল পাকে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে।  পায়েলা ফল পাকলে লালচে বেগুনী রঙের হয়। পাকা ফলের ভেতরটা বাদামি বা কালচে গোলাপী রঙের। খোসাসহ পুরো ফল খাওয়া যায়। ফলটির পূর্ণ স্বাদ পেতে খাওয়ার আগে এটি আলতো করে চেপে চেপে তুলতুলে করে খেতে হয়।  আমাদের শরীরের জন্য এই ফলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পায়েলায় রয়েছে শতকরা ৬০ ভাগ আয়রন। সালফার, ফসফেট ছাড়াও ১০ ভাগ রয়েছে ভিটামিন সি। অন্যান্য উপাদানও রয়েছে সমানভাবে। এবার জেনে নেওয়া যাক পায়েলা ফলের গুণগুলো:  ওষুধি ফল হিসেবে পায়েলার কদর রয়েছে। এ ফল খেলে হজমশক্তি ও লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। হৃদরোগীদের জন্য এটি উপকারী, ভেষজ ওষুধের কাজ করে।  এই ফলের ভিটামিন সি খাবারে রুচি বাড়ায় এবং মুখের ক্ষত সারাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। পায়েলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট। যা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এসিডিটির সমস্যা থাকলে পায়েলা খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। শরীরে শক্তি যোগাতে পায়েলার গুরুত্ব অপরিসীম। নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরের বিষক্রিয়া পদার্থ বের করে দেয়। এই গাছের পাতা ও ফল ডায়রিয়া রোগের প্রতিরোধক। শুকনো পাতা ব্রংকাইটিস রোগের জন্য বিশেষ উপকারী। পায়েলা গাছের শিকড় দাঁতের ব্যাথা নিরাময়ে কাজ করে। গর্ভবতী মহিলারা এই ফল খেলে আয়রনের ঘাটতি সহজেই মেটাতে পারবেন।
ত্বকের পরিচর্যায় ক্ষতিকর যেসব উপকরণ
ঘরে ত্বকের রূপচর্চা করতে অনেকেই নানা ধরনের উপাদান সরাসরি ত্বকে লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে ঝটপট মনে হতে পারে যে আপনার উপকার হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে এই উপাদানের ব্যবহারেই আপনার ত্বকের বারোটা বাজবে। ত্বকের পরিচর্যায় আমরা অনেকসময় অজান্তেই এমন কিছু উপকরণ ব্যবহার করে ফেলি যা আসলে আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে। তাই কোন কোন জিনিস ভুল করেও মুখের ত্বকে লাগানো উচিত নয়, চলুন জেনে নিই। জেনে নিন— ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর রস ট্যান তুলতে খুব ভালোভাবে কাজে লাগে। কিন্তু সরাসরি কখনও ত্বকে লেবুর রস ব্যবহার করবেন না। সাইট্রিক অ্যাসিডের জেরে ত্বক পুড়ে কালো দাগ হয়ে যেতে পারে। তবে বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে ফেসপ্যাক কিংবা স্ক্রাব তৈরি করলে সেখানে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। গোসল করার সময় তাড়াহুড়োয় অনেকেই মুখেও শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নেন। অথবা সাবান শেষ হয়ে গেলে ভাবেন একদিন শ্যাম্পু দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে কীই বা আর ক্ষতি হবে। এই কাজ একেবারেই করবেন না। ত্বক মারাত্মক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া কোনও বিউটি প্রোডাক্টই ব্যবহার করা উচিত নয়। এই ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক থাকা উচিত ক্রিম, ময়শ্চারাইজার, সানস্ক্রিন এইসবের ব্যাপারে। এক্সপায়ার হওয়া প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে র‍্যাশ, অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। নারকেল তেল চুলের পাশাপাশি ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রেও জরুরি একটি উপকরণ। কিন্তু তাই বলে সরাসরি মুখে নারকেল তেল একেবারেই ব্যবহার করবেন না। এর জেরে ত্বকের পোরসের মুখগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ত্বকে নোংরা জমে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে ব্রণের সমস্যা। ত্বকের পরিচর্যার ক্ষেত্রে একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মুখের ত্বকের যত্ন নেওয়া। আর এই ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকা জরুরি। অজান্তে করা ভুল ডেকে আনতে পারে বিপদ। সামান্য ভুলে হতে পারে জটিল সমস্যা। আপনার ত্বক যদি অয়েলি হয়, ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হয়, ত্বক সেনসিটিভ হয়, ত্বকে র‍্যাশ, লালচেভাব এইসব সমস্যা থাকে তাহলে নিজে থেকে কোনও উপকরণ ব্যবহার না করাই মঙ্গল। অতি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কখনই মুখে ফেসপ্যাক কিংবা স্ক্রাব লাগানোর সময় জোরে জোর ঘষবেন না। এর জেরে ত্বকের গঠন নষ্ট হতে পারে। আলতো হাতে ত্বকে যেকোনও উপকরণ ম্যাসাজ করা প্রয়োজন। মুখ পরিষ্কারের পর কখনই খুব জোরে ঘষে মুখে লেগে থাকা পানি মুছতে যাবেন না। ব্যবহার করুন নরম তোয়ালে বা সুতির গামছা। আলতো হাতে মুছে নিন পানি। অনেকের ক্ষেত্রে মুখের ত্বকে চুলের আধিক্য দেখা যায়। এক্ষেত্রে কোনও ভাবেই ওয়াক্সিং করতে যাবেন না নিজে নিজে। বিউটি পার্লারে গিয়ে অভিজ্ঞ লোকের সাহায্যে সমস্যার সমাধান করা জরুরি। নাহলে বিপদ হতে পারে। ত্বকের পরিচর্যার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ত্বক পরিষ্কার রাখা। মুখের ত্বকের ক্ষেত্রে এটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাই সতর্ক থাকুন। সাবধানে থাকুন।
ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা
পেয়ারা খেতে খুবই সুস্বাদু ও সুমিষ্ট। পেয়ারাকে ভিটামিন সি-এর ব্যাংক বলা যায়। সাধারণত বর্ষা ও শীত ঋতুতে গাছে পেয়ারা হয়। সব জাতের পেয়ারার গুণাগুণ শীতকালে বেড়ে যায়, রোগ ও পোকার আক্রমণও কম থাকে। ফলের আকৃতি এবং রং সবদিক থেকেই সুন্দর হওয়ায় এ সময়ে পেয়ারার দামও থাকে বেশি। এসব দিক বিবেচনায় রেখেই বর্ষাকাল বাদে কীভাবে অন্যান্য ঋতুতে অত্যধিক হারে উৎপাদন বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে গবেষণা শুরু হয়। পেয়ারা একটি দ্বিবীজপত্রী বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Psidiun guajava। পেয়ারা একরকমের সবুজ রঙের বেরী জাতীয় ফল। পেয়ারার প্রায় ১০০টিরও বেশি প্রজাতি আছে। তবে অন্যান্য বর্ণের পেয়ারাও দেখতে পাওয়া যায়। লাল পেয়ারাকে (Marroonguava) রেড আপেলও বলা হয়। পেয়ারার উপকারিতা: পেয়ারা নিয়মিত খেলে ক্যানসার এবং মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। পেয়ারা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। পেয়ারা নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। অনেকেরই মুখের ভেতর সাদা দাগের মতো একটি আলসার দেখা যায়। এমন হলে পেয়ারা খেলে উপকার পাওয়া যায়। পেয়ারা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সাথে লড়াই করে। তাই পেয়ারা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পেয়ারার পাতা চিবিয়ে বা রস করে খেলে মাসিককালিন ব্যথা কমে যায়। কাঁচা পেয়ারা খেলে ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর হয়। নিয়মিত কাঁচা পেয়ারা খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
যে ৬ কারণে নারীদের অতিরিক্ত চুল পড়ে
প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২৫টি চুল পড়া স্বাভাবিক। এ সংখ্যা যখন বেড়ে যায়, তখন তা সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষাকালে একটু বেশি চুল পড়ে। নারী-পুরুষ উভয়ই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু কিছু নারীরা সারা বছর চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। তাদের চুল ঝরে পাতলা হয়ে গিয়েছে, টাক পড়ে গিয়েছে। সাধারণত বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাণ বেশি থাকে, যার কারণে হেয়ার ফলিকলগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে একটু টান পড়লেই চুল ছিঁড়ে যায়। বর্ষাকাল গেলেই আবার চুল পড়া বন্ধ।  নারীদের চুল পড়ার সমস্যাকে বলে অ্যানড্রোজেনেটিক অ্যালোপিসিয়া। এ সমস্যায় মাথার উপরিভাগে ও দুই পাশের চুল পড়ে যায় কিংবা পাতলা হয়ে যায়। নানা কারণে চুল পড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।  আসুন, কারণগুলো জেনে নিই— নারীদের মধ্যে রক্তাল্পতা খুব কমন সমস্যা। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে এবং দেহে আয়রনের ঘাটতি তৈরি হলে এই রোগ দেখা দেয়। আর এ কারণেই চুল উঠতে থাকে। চুলের যত্নে শ্যাম্পু, তেলই যথেষ্ট নয়। সঠিক খাবার খাওয়ার দরকার। অনেক সময় দেখা যায় যে, দেহে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। এই কারণে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছায় না আর চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে থাইরয়েডের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। থাইরয়েড হরমোন দেহে একাধিক মেটাবলিজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে তার প্রভাব চুলেও পড়ে। চুল পড়ার অন্যতম কারণ কিন্তু থাইরয়েড। আজকাল বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই মেয়েরা পিসিওডি বা পিসিওএস-এর সমস্যায় ভুগছে। তবে, ওভারিতে সিস্ট থাকার কারণে চুল পড়ে না। এই অবস্থায় দেহে পুরুষ হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন চুল ওঠে, ত্বকের রোমের আধিক্য বাড়ে, ব্রণ হয়। গর্ভাবস্থায় দেহে নানা রকম পরিবর্তন হয়। আবার প্রসবের পরও শরীরে কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। এই সময় অনেক নারীই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। এমনকি মেনোপজের সময়ও অনেক নারীদের চুল পড়ার অভিযোগ করেন। নারীদের মধ্যে ঘুমের পরিমাণ কম। অথচ, নারীদেরই পুরুষদের তুলনায় বেশি ঘুমানো উচিত। ঘুম কম হওয়ার কারণে, জীবনে অত্যধিক পরিমাণে মানসিক চাপ বাড়লে দেহে হরমোনের তারতম্য ঘটে। তখনও চুল ঝরে।
রুপার গয়না ঝকঝকে করার টিপস
অনেকেই রুপার গয়না নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন। বর্তমানে রুপার গয়নার কদরও বেশ বেড়েছে। শাড়ি বা যে কোনও ট্র্যাডিশনাল পোশাকের সঙ্গে হালকা কিংবা জাঙ্ক রুপার গয়না কিন্তু এখন ট্রেন্ডিং। কিন্তু রুপার গয়না নিয়মিত পড়লে রুপা হারাতে আরম্ভ করে তার নিজস্ব জেল্লা। অনেকেই ভেবে থাকেন, বোধ হয় তার ব্যবহৃত গয়নার রুপা ভালো নয় বা নকল, বিষয়টি কিন্তু ঠিক নয়। আর এ নিয়ে দুশ্চিন্তারও কিছু নেই। হাতের কাছে থাকা কিছু সাধারণ উপাদান ব্যবহার করেই আপনার সাধের রুপার জিনিসের চকচকে ভাব ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব। জেনে নিন এই সমস্যা সমাধানের টিপস— ১) সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত ধাতুর গয়নাই ঔজ্জ্বল্য হারায়। রুপার গয়নাও ব্যতিক্রম নয়। সেই দীপ্তি ফেরানোর একটি সহজ উপায় রয়েছে। আর তা আপনার রান্নাঘরেই রয়েছে। ভিনিগার। দু’টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও আধ কাপ সাদা ভিনিগার একটি পাত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তাতে ২-৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রুপার গয়না বা বাসন ভিজিয়ে রাখুন। এরপর মিশ্রণ থেকে তা তুলে ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিলেই উঠে যাবে দাগছোপ। ফিরবে ঔজ্জ্বল্য। ২) দেড় কাপ পানির মধ্যে আধ কাপ গুঁড়ো দুধ ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সারারাত ডুবিয়ে রাখুন রুপার গয়না। পরের দিন নতুনের মতো চকচকে হবে। ৩) একটি ব্রাশে টুথপেস্ট লাগিয়ে তা রুপার গয়নায় লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। তারপর নরম কোনো কাপড়ে ঘষে ঘষে মুছে নিন। ৪) এছাড়াও হ্যান্ড স্যানিটাইজারে রুপার গয়না বা বাসন ভিজিয়ে রাখলেও ফিরবে ঔজ্জ্বল্য।  ৫) লেবুর রস বের করে তাতে লবণ দিয়ে গয়নায় মাখিয়ে রাখুন, কিছুক্ষণ বাদে ঘষে পরিষ্কার করে নিন।  ৬) গেরস্থালির আরও একটি জিনিস রুপার গয়না বা বাসন পরিষ্কার করতে কাজে লাগে। সাদা টুথপেস্টও এক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে। গয়না বা বাসনে টুথপেস্ট দিয়ে ঘষলে আবার নতুনের মতো ঝকঝকে হয়ে উঠে। ৭) সার্ফের পানিতেও চুবিয়ে রাখতে পারেন। হালকা গরম পানিতে সার্ফ দেবেন। তাতে দশ মিনিট গয়না বা বাসনগুলো চুবিয়ে রাখবেন। তারপর বের করে হালকাভাবে ব্রাশ (পুরনো বাতিল করে দেওয়া টুথব্রাশ) দিয়ে ঘষে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। এবার মাইক্রোফাইবার তোয়ালে দিয়ে ভালো করে মুছে নিলেই হবে। ৮) পর্যাপ্ত পরিমাণ টমেটো কেচআপ ঢেলে এবার পুরনো ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। কালচে দাগ ভ্যানিশ হয়ে যাবে। তারপর গয়নাটা ভালো করে ধুয়ে নেবেন।