• ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
logo
অফিসে ইমোশনাল হয়ে গেলে যে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
একসঙ্গে টমেটো ও শসার সালাদ খেলেই হবে যে বিপদ
বর্তমানে, সকলেই কমবেশি সালাদ খায়। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে ও পাচনতন্ত্র স্বাভাবিক রাখতে সালাদ খুবই কার্যকরী। তাছাড়া, ডায়েট ঠিক রাখতেও সালাদ খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে সব পরিবারেই। শরীরকে আদ্র রাখতে, রক্তের ঘাটতি কমাতে এবং এনার্জি বাড়ানোর জন্য, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও সালাদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন সবসময়। সাধারণত স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে বিভিন্ন পুষ্টিকর সবজি ও প্রোটিনের সংমিশ্রনেই সালাদ বানানো হয়। যার মধ্যে থাকে টমেটো আর শসা। কিন্তু, অনেকেই জানেন না যে শসা ও টমেটো একসঙ্গে খাওয়া কখনও উচিত নয়। কারণ, এটি বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। পুষ্টিবিদরা জানান, শসা আর টমেটো একসঙ্গে খেলে হজমশক্তি নষ্ট হতে পারে। অ্যাসিডিক পিএইচ ভারসাম্যকেও ব্যাহত করতে পারে। যে কারণে গ্যাস, পেটের ফোলাভাব, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, বদহজমের মতো সমস্যা শুরু হয়। পুষ্টিবিদরা আরও জানান, শসাতে খনিজ পদার্থ রয়েছে যা আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, কিন্তু তাদের একটি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা ভিটামিন সি শোষণে কাজ করে। পুষ্টিবিদদের মতে শসা এবং টমেটোর সংমিশ্রণ এড়ানোই কাম্য। যেহেতু উভয়েরই হজমের সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায় রয়েছে, তাই এই দুইয়ের কম্বিনেশন একসঙ্গে খাওয়ার অভ্যাস এড়ানোই উচিত কারণ এর ফলে পেট খারাপও হতে পারে। শরীরের ভিতরে ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়াও শুরু করে দেয় শসা ও টমেটো। এই কারণে শুধু পাকস্থলী নয়, পুরো শরীরের জন্যই ক্ষতিকর এই দুটি একসঙ্গে খাওয়া। এ কারণে পেটে নানা ধরনের সমস্যাও হয়।  এ ছাড়াও শসার মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা টমেটোর ভিটামিন সি’র সঙ্গে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এতে পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে দইয়ের সঙ্গে টমেটো, শসা, পেঁয়াজ মিশিয়ে রায়তা করে খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু তাও পেটের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাহলে কী এই ফল আর সবজি খাবেন না? খাবার আগে বা পরে সালাদ খাবেন না। খাবার খাওয়ার মধ্যেই খাবেন। আর যদি অন্য সময় খেতে চান তবে হয় শসার আর নয় টমেটোর সালাদ আলাদাভাবে খেতে হবে। আরটিভি/এফআই
গোলাপ জল নাকি শসার রস, কোন ত্বকে কোনটি কার্যকর
মেনিকিউর ও পেডিকিউর করুন সহজ এই ধাপে
কাঠবাদামের সঙ্গে যেসব খাবারে মিলবে দ্বিগুণ শক্তি
যেসব ঘরোয়া উপায়ে গজাবে নতুন চুল
সকালের ডায়েটে থাক একমুঠো ভেজানো মুগ
মুগের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। এ ছাড়াও থাকে প্রয়োজনীয় খনিজ, ফাইবার। প্রতিদিন সকালে এক বাটি অঙ্কুরিত মুগ খেতে পারলে ওজন কমবে তাড়াতাড়ি। আর সুগার রোগীদের জন্য খুব ভালো ব্রেকফাস্ট হলো মুড়ি আর অঙ্কুরিত মুগ। সবুজ মুগ ডাল প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। ২০০ গ্রাম মুগ ডাল সেদ্ধর মধ্যে ক্যালোরি- ২১২, ফ্যাট- ০.৮ গ্রাম, প্রোটিন- ১৪.২ গ্রাম, কার্বস- ৩৮.৭ গ্রাম, ফাইবার- ১৫.৪ গ্রাম, এছাড়াও থাকে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস, ভিটামিন বি ১ ইত্যাদি।  পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালের খাবার মোটেই বাদ দেওয়া উচিত নয়। বরং সেখানে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উপযুক্ত সমন্বয় থাকা দরকার। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ‌একমুঠো ভেজানো মুগে কী উপকার পাওয়া যাবে জেনে নিন— ডায়াবেটিসের সুরক্ষায়: পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবেটিস রয়েছে? তাহলে প্রতিদিন ভেজানো মুগ খান। কারণ এতে সুগার একদম নেই। আর আপনার গ্লুকোমিক ইনডেক্সও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও মুগডালে প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।  ওজন কমে: ওজন কমাতে চাইলে আপনার ডায়েটে অবশ্যই রাখুন একবাটি সবুজ মুগ। থাকে ফাইবার, প্রোটিন। যা আমাদের কোশ গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও মুগ ডালের মধ্যে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড। তাই মুগ ডাল দিয়ে খিচুড়ি কিংবা চিল্লা বানিয়ে নিন, কিংবা বানিয়ে নিন মুগ পোলাও। এতে যেমন পেট ভরবে তেমনই ওজনও কমবে। হিট স্ট্রোক: যেভাবে গরম বাড়ছে তাতে বাড়বে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। গরমের দিনে আজকাল হিট স্ট্রোক খুবই কমন। সবিজ মুগের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটারি বৈশিষ্ট্য। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গরমের দিনে শরীরকে আর্দ্র রাখে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রার হাত থেকেও শরীরকে বাঁচায়।  হজমের সমস্যায়: অল্পতেই অনেকের গ্যাস হয়ে যায়। তারা যদি প্রতিদিন এই ফাইবার সমৃদ্ধ সবুজ মুগ খেতে পারেন তাহলে খুবই ভালো। এতে পেট পরিষ্কার হয়। সেই সঙ্গে শারীরিক সমস্যাও থাকে দূরে। আর হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ এসবও থাকে নিয়ন্ত্রণে। ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, পটাশিয়াম থাকায় রক্তচাপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। আরটিভি/এফআই/এআর
 মুখের লোম তুলুন এবার ঘরোয়া প্যাক দিয়ে 
অবাঞ্চিত লোম কারও পছন্দ নয়। কিন্তু পার্লারে গিয়ে থ্রেডিং করা বেশ কষ্টকর। এদিকে অফিস-বাড়ি সব একা হাতে সামলে অনেকেরই সপ্তাহ অন্তর অন্তর পার্লারে গিয়ে মুখের লোম তোলার সুযোগ হয়ে ওঠে না। আবার পার্লারে মুখের লোম তোলার পদ্ধতিও যথেষ্ট বেদনাদায়ক। সেখানে ওয়াক্সিং, থ্রেডিং ছাড়া তো উপায় নেই। এসব করতে গিয়ে চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসে।  তাই এত ঝামেলার মধ্যে যেতে না চাইলে বরং বাড়িতেই সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের লোম ভ্যানিশ হোক এবার। থ্রেডিং, ওয়াক্সিং ও রেজারের ব্যবহার ছেড়ে একদম প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের অবাঞ্চিত লোম তুলুন। ঠোঁটের ওপর, দু'গাল ও আইব্রোর অবাঞ্চিত লোম তুলতে ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এতে লোমও পরিষ্কার হবে এবং ত্বকও ভালো থাকবে। জেনে নিন ঘরোয়া ফেসপ্যাক তৈরির পদ্ধতি— >> মুখের লোম তুলতে দুর্দান্ত কার্যকরী চিনির পেস্ট। এর জন্য লাগবে চিনি, গ্লিসারিন এবং লেবুর রস। এসব সামান্য কিছু উপকরণ দিয়েই মুখের লোম তুলতে পারবেন ঘরে বসেই। প্রথমে একটি পাত্রে চিনি ও লেবুর রস নিয়ে তা গরম করুন। চিনি সম্পূর্ণ গলে গেলে তা নামিয়ে নিন। ইষদুষ্ণ অবস্থাতেই সেই পেস্টে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মেশান। এই মিশ্রণ ঠোঁটের উপর ও থুতনিতে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক দিন এই উপায়ে মুখের লোম তুলে নিতে পারেন। >> দুধ বা পানির সঙ্গে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই পেস্ট অবাঞ্চিত লোমের ওপর লাগান। পেস্ট শুকনো হয়ে গেলে হাত দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। লোমের অভিমুখে ঘষবেন। নিয়মিত এই টোটকা ব্যবহার করলে লোমের আধিক্য কমে যাবে। >> বেসনের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বেসন ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে এবং গোলাপ জল ত্বকে সতেজতা আনে।  >> ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে পিল-অফ মাস্কের মতো করে এই ফেসপ্যাক তুলে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকে এই ফেসপ্যাক দুর্দান্ত কাজ করে। এতে ফেসিয়াল হেয়ার দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক টানটান হয়ে ওঠে। >> পাকা পেঁপে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এতে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে মুখে মালিশ করুন। এবার ১৫-২০ মিনিট বসে অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেললেই অবাঞ্চিত লোম দূর হয়ে যাবে। তার সঙ্গে ত্বকের সমস্যা কমবে। >> যুগ যুগ ধরে রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার হয়ে আসছে। আগেকার দিনে ব্রণ, ফুসকুড়ি বেরলেই মা-দাদিরা চন্দন বেটে লাগিয়ে দিতেন। তাদের এই টোটকাতেই দু' দিনে গায়েব হত ব্রণ। তাহলে মুখের লোম তুলতে সেই চন্দনেই ভরসা রাখুন। তাতে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। এই ফেসপ্যাক বানানোর জন্য লাগবে চন্দনের গুঁড়ো, বেসন, কমলা লেবুর খোসার গুঁড়ো, লেবুর রস এবং গোলাপ জল। এসব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগান। ফেসপ্যাক শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর অল্প পানি নিয়ে মুখে স্ক্রাব করুন। এইভাবে সার্কুলার মোশনে মাসাজ করতে থাকুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন মুখ। সপ্তাহে ২ দিন এই ফেসপ্যাক লাগালে দূর হবে মুখের লোম। >> এক চামচ চিনির সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ফেস স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এই ফেস স্ক্রাব সার্কুলার মোশনে মুখের ওপর ঘষুন। লেবুর রস ত্বকে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এবং চিনি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে।  আরটিভি/এফআই
খাবারের স্বাদে তেতো লাগা কি কোনও রোগের লক্ষণ
দেহঘড়ির নিয়ম অনুযায়ী ঘুম ভাঙার পর থেকেই পাকস্থলী তার সহজাত প্রবৃত্তিতে পিত্তরস ক্ষরণ করতে থাকে। যা খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। সময়মতো খাবার পেটের মধ্যে না গেলে সেই পিত্তরসই খাদ্যনালির ওপরের দিকে উঠে আসে। তখন মুখের ভিতরের অংশ তেতো লাগে। আবার অনেকেরই মুখে খাবারের স্বাদ মিষ্টি, টক, নোনতায় বদলে যায়। আবার কারও মুখে খাবারের স্বাদ ধাতব বস্তুর মতো লাগে।  চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখের স্বাদের সঙ্গে শারীরবৃত্তীয় নানা জটিলতার সম্পর্ক রয়েছে। কী কী কারণে মুখের স্বাদ পাল্টে যেতে পারে— তেতো স্বাদ: মুখের স্বাদ তেতো হওয়ার পিছনে সাধারণত অনেকক্ষণ কিছু না খেয়ে থাকাকেই দায়ী করা হয়। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বলা হয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখের স্বাদ তেতো হওয়ার পিছনে হরমোনের সমস্যা, মানসিক চাপ, স্নায়ু কিংবা লিভারের সমস্যাও থাকতে পারে। টক স্বাদ: যা খাচ্ছেন তাতেই মুখের ভিতরটা কেমন টক হয়ে যাচ্ছে। সেই অম্লত্বের পরিমাণ এতটাই যে, দাঁত সুড়সুড় করছে। অনেকক্ষণ কিছু না খেয়ে অ্যাসিডিটি বা গলা-বুক-জ্বালার মতো সমস্যা হলে মুখের স্বাদ টক হয়ে যেতে পারে। খাবার হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলো খাদ্যনালির ওপরের দিকে উঠে আসে। ওই উৎসেচকের মধ্যে থাকা ব্যাক্টেরিয়াগুলো জিভের স্বাদ পাল্টে দেয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও অনেকেরই মুখের স্বাদ পাল্টে যায়। নোনতা স্বাদ: শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে মুখের স্বাদ নোনতা লাগে। চিকিৎসকেরা বলছেন, পানি কম খাওয়া হলে মুখের লালা শুকিয়ে গেলে, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে মুখের স্বাদ নোনতা হয়ে যায়। অনেক সময় হাইপার টেনশনের রোগীদের ক্ষেত্রেও মুখের স্বাদ নোনতা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে দেখা গিয়েছে। ধাতব স্বাদ: সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক মহিলারই মুখের স্বাদ পাল্টে যায়। রক্তে বিভিন্ন খনিজের অভাবে অনেক সময় খাবারের স্বাদ বদলে ধাতব স্বাদের হয়ে যেতে পারে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন লক্ষণ কিন্তু মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বা জিঞ্জিভাইটিসের কারণেও হতে পারে। মিষ্টি স্বাদ: দুই এক ঘণ্টা আগে যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবার খেয়েছেন, এমনটা নয়। অথচ মুখের ভিতরটা কেমন যেন মিষ্টি লাগছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তে শর্করার মাত্রার সঙ্গে যুক্ত এই লক্ষণ। সাধারণত ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এমন সমস্যার কথা শোনা যায়। আরটিভি/এফআই
ফেসিয়াল করার পর ভুলেও এই ৫ কাজ করবেন না
সুন্দর টানটান ত্বক কে না চায়, কিন্তু ওমন সুন্দর ত্বক তো আর এমনি পাওয়া যায় না। তার জন্য় প্রয়োজন যত্নের। নিয়মিত রূপটানের দ্বারাই পাওয়া যেতে পারে সুন্দর, দাগছোপহীন ত্বক। ত্বকের যত্ন নিতে ফেসিয়ালের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই ফেসিয়ালের পর এমন কিছু কাজ করে থাকেন যার জন্য ত্বকের মোটেই ভালো নয়, বরং এই কাজগুলো করলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে আপনার। সেই সঙ্গে লাবণ্য হারিয়ে ফেকাসে হয়ে যায় মুখের ত্বক। আর সেই কারণেই তো ফেসিয়ালে পর কিছু কাজ একেবারেই করা উচিত নয় বলে জানান ত্বক বিশেষজ্ঞরা। আসলে ফেসিয়ালের পরে ত্বক খুব নরম ও সেনসিটিভ হয়ে যায়। সেই কারণেই তো এই সময় আরও বেশি করে ত্বকের যত্নের প্রয়োজন হয়। আর এই কাজটি যদি ঠিক মতো না করেন, তাহলে উলটো ঘটনাটাই ঘটে। সদ্য ফেসিয়ালের পর কী কী করা উচিত নয় দেখে নিন। কী কী কাজ করতে নেই জেনে নিন— ​স্ক্রাবিং করবেন না: ফেসিয়ালের সময় এমনিতেই ত্বকের উপরের অংশে জমে থাকা ময়লা, মৃত কোষ ধুয়ে য়ায়। তাই এই ধরনের ত্বকের পরিচর্যার পর আরও একবার স্ক্রাবিং করার প্রয়োজন হয় না। আর যদি আপনি এমনটা করেন, তাহলে স্কিন সেলে মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়ে যায়। তাই ফেসিয়ালের করার কিছুদিন পরই বরং স্ক্রাবিং করুন। এতে আপনি ভালো ফল পাবেন। ​রোদ লাগাবেন না ত্বকে: ফেসিয়ালের পর ত্বক যেহেতু সস্পর্শকাতর হয়ে যায়, তাই এই সময় চড়া রোদে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। আপনি যদি এমনটা করলেন তাহলে ত্বকের অনেকটাই অবনতি ঘটবে। সেই সঙ্গে অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে স্কিনের উপও মারাত্বকভাবে পুড়ে যায়। এর ফলে ত্বকে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। ​থ্রেডিং করবেন না: স্ক্রাবিং-এর মতই ফেসিয়ালের পর ভুরু প্লাক বা থ্রেডিং করবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে এই সময় ত্বকের উপরিভাগ নরম থাকে যার ফলে এই সময় থ্রেডিং করলে ত্বকের প্রদাহ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক কথায় বলতে গেলে ত্বক যখন খুব স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে থাকে তখনই প্রদাহ বা জ্বালা সৃষ্টি হয়। তাই এমন কাজ করা একেবারেই উচিত নয়। এত ভালোর থেকে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ​নতুন কোনও বিউটি প্রডাক্ট নয়: আসলে ফেসিয়াল পর ত্বক খুব সেনসিটিভ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় নতুন কোনও ক্রিম বা বিউটি প্রডাক্ট ব্যবহার ট্রাই না করারই শ্রেয়। একান্ত যদি চান তাহলে ফেসিয়াল করার অন্তত ৩-৪ দিন পর বিউটি প্রডাক্ট ব্য়বহার করবেন ফেস মাস্ক: এই সময় কোনও ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, অনেকে মনে করেন ফেসিয়ালের পর প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসিয়াল পেস্ট ব্যবহার করা যেতেই পারে, তাতে কোনও ক্ষতি হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরণা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ ফেসিয়ালের পর ত্বক যেহেতু খুব স্পর্শকাতর হয়ে যায়। তাই এই সময় যে কোনও কিছু থেকে ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসিয়ালের কম করে ৩৬ ঘন্টা পর থেকে ফেস মাস্ক বা কেমিকেল পিলং ব্যবহার করবেন, তার আগে নয়। আরটিভি/এফআই
টোনার যেভাবে ব্যবহারে সুফল পাওয়া যাবে
রূপরুটিনে টোনারের ভূমিকা সত‍্যিই অনবদ‍্য। ত্বক উজ্জ্বলে টোনারের জুড়ি মেলা ভার। টোনার ত্বক ভিতর থেকে কোমল এবং আর্দ্র রাখে। তবে টোনার সম্পর্ক কিছু ভুল ধারণা রয়েছে অনেকেরই। যেগুলো মন থেকে ঝেড়ে না ফেললে টোনারের প্রকৃত উপকার পাওয়া যাবে না। আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রেখে আর্দ্রতার ঘাটতি পূরণ করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে ফেসিয়াল টোনার। বাজারচলতি টোনার ব্যবহার করার বদলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন এটি। বাড়িতে টোনার বানানোর নিয়ম শিখে নিন এবং এর উপকারিতা সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকুন। ১) অনেকেই ক্লিনজারের বিকল্প হিসাবে টোনার ব্যবহার করেন। তবে এমনটা কখনওই করা উচিত নয়। মুখ ভালো করে পরিষ্কার করার পরেও ত্বকে থাকা ব্যাক্টেরিয়া, বাড়তি তেল, মৃত কোষ পরিষ্কার করতে টোনার ব্যবহার করা হয়। তাই টোনার কখনওই ক্লিনজারের বিকল্প হতে পারে না। ২) অনেকেরই মনে হয় টোনার ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। বিভিন্ন ধরনের টোনারে ভিন্ন উপাদান থাকে। প্রতিটির কাজ এক নয়। তাই আপনি কী রকম টোনার কিনছেন, তার উপরেই তৈলাক্ত কিংবা শুষ্কতা নির্ভর করে। ৩) স্ক্রাবারের পরিবর্তে শুধুমাত্র টোনার ব্যবহারেই ত্বকের মৃত কোষের বিড়ম্বনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়- এমনটাই ভাবেন অনেকে। এই ধারণা একদম ভুল। আপনার ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে সাহায্য করতে পারে টোনার। তবে তা কখনও সম্পূর্ণভাবে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে পারে না।  অ্যালোভেরার টোনার: হেলথলাইন জানাচ্ছে, অ্যালোভেরায় নানা উপকারী উপাদান রয়েছে, যা আপনার ত্বককে জেল্লাদার করে। অ্যাকনে কমাতেও সাহায্য করে। ত্বকের আর্দ্রতাও ধরে রাখে। শুষ্ক এবং সাধারণ ত্বকে এই টোনার ব্যবহার করতে পারেন আপনি। যেভাবে বানাবেন: এই টোনার বানাতে আপনার প্রয়োজন, আধ কাপ রোজ ওয়াটার এবং আধ কাপ অ্যালোভেরা। এই দুই উপাদান ভালো করে মিশিয়ে বানিয়ে নিন টোনার। তারপর স্প্রে বোতলে ঢেলে রাখুন। এসেনশিয়াল অয়েল টোনার: এই ধরনের ফেসিয়াল টোনারও ব্যবহার করতে পারেন আপনি। ত্বকের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে এটি বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। টি-ট্রি অয়েল দিয়ে এই টোনার তৈরি করুন। তবে টি-ট্রি অয়েলের পরিবর্তে আপনি ল্যাভেন্ডার, ক্যামোমাইল, রোজ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। বানানোর নিয়ম: একটি পাত্রে পরিমাণ মতো গোলাপ জল নিন। তার মধ্যে আধ চামচ ভিটামিন ই অয়েল মেশান। এর সঙ্গে ৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দিন। প্রতিটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ঢেলে রাখুন। রোজ ওয়াটার টোনার: হেলথলাইন জানাচ্ছে, গোলাপ জল ত্বকের জন্যে উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান। এটি আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও এর ভূমিকা রয়েছে। যেভাবে বানাবেন: একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল নিন। এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অ্যালকোহল মুক্ত উইচ হ্যাজেল মিশিয়ে নিন। এই দুই উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করুন আপনার টোনার। টোনার ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম— আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখে টোনার। আর্দ্রতার ঘাটতিও পূরণ করে। ফলে, ত্বকের একাধিক সমস্যাও ধারেকাছে ঘেষতে পারে না। এই ৩ টোনারই গ্রীষ্ণে ব্যবহারের উপযুক্ত। এসব উপকার পেতে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তারপর একটি কটন প্যাডে টোনার নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ২ মিনিট পরে ময়শ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন লাগান। দিনে ২ বার এই টোনার ব্যবহার করতে পারেন। আরটিভি/এফআই
উৎসবে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মিষ্টি, রইল সহজ ৩ রেসিপি
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব লক্ষ্মীপূজা আজ। শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মীপূজা হয়। এই পূর্ণিমাকে বলা হয় কোজাগরী। সে জন্য এই পূজা কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নামেও পরিচিত। লক্ষ্মীপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে উপবাসব্রত পালন করেন। পূজা অর্চনার পাশাপাশি ঘরবাড়ির আঙিনায় লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আলপনা আঁকা হবে। সাধারণত ঘরোয়া পরিবেশে লক্ষ্মীপূজায় বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। আর এই পূজায় তৈরি করা বেশিরভাগ খাবারের প্রধান উপকরণই হলো নারকেল। আর নারকেল দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন নাড়ু, মোয়া, কদমা, নানাধরনের মিষ্টিও।  রইল তিন নতুন রকমের মিষ্টির রেসিপি— রসগোল্লা যা যা লাগবে: দুধ-১ লিটার, খোয়া ক্ষীর-৫০০ গ্রাম, চিনি-২ কাপ, গুঁড়ো চিনি-৩ টেবিল চামচ, গুঁড়ো দুধ-আন্দাজ মতো, ভিনিগার-২ টেবিল চামচ, লাল রঙ আন্দাজমতো। তৈরি করুন এভাবে: প্রথমে রসগোল্লা বানিয়ে নিতে হবে। তার জন্য বড় একটি পাত্রে দুধ কম আঁচে ঘন করে নিন। ফুটে উঠলে ভিনিগার দিয়ে ছানা তৈরি করে নিন। সেই ছানা একটা পাতলা কাপড়ে ঢেলে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ছেঁকে পানি ঝরিয়ে নিন যেন ভিনিগারের গন্ধ না থাকে। পানি ঝরে গেলে ছানার সঙ্গে অল্প লাল রঙ মিশিয়ে মিহি করে হাত দিয়ে মেখে নিন। মসৃণ হয়ে গেলে ছোট ছোট ছানার বল বানিয়ে নিন। এবার বড় পাত্রে ৩ কাপ পানিতে ১ কাপ চিনি দিয়ে ফুটিয়ে পাতলা রস তৈরি করুন। ফুটন্ত রসের মধ্যে ছানার বল দিয়ে চাপা দিয়ে মাঝারি আঁচে ২০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তৈরি রসগোল্লা। এবার বানাতে হবে ক্ষীরকদম। তার জন্য রসগোল্লা ২০ মিনিট পর রস থেকে তুলে নিয়ে তার মধ্যে আরও ১ কাপ চিনি দিয়ে রস ঘন করে নিন। ঘন রসে রসগোল্লা দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে, তারপর ঢাকা দিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে রসগোল্লা রস থেকে তুলে নিন। খোয়া ক্ষীর গ্রেট করে নিন। গ্রেট করা ক্ষীরে গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখুন যাতে ক্ষিরে কোনও দলা না থাকে। তৈরি আপনার ক্ষীর কদম। পান নারকেল লাড্ডু যা যা লাগবে: ৩ টি মিঠা পাতা পান, ৩ টেবল চামচ গুলকন্দ, ২ টেবল চামচ ড্রাই ফ্রুটস, ১ কাপ কনডেন্সড মিল্ক, ২ কাপ নারকেল কোরা প্রয়োজন মত ঘি। তৈরি করুন এভাবে: প্রথমে পান পাতাগুলি কেটে ১ টি বাটিতে রাখুন। অন্য একটি পাত্রে গুলকন্দ আর মিক্সড ফ্রুট মিশিয়ে রাখুন। গরম প্যানে কনডেন্সড মিল্ক, পান পাতা, নারকেল কোরা দিয়ে কম আঁচে রান্না করুন। ভালো করে ৩ মিনিট রান্না করে মন্ড তৈরি করুন। হাতে ভালো করে ঘি মাখিয়ে নিন। হাতে একটু করে পান মিক্সচার নিয়ে চ্যাপ্টা বা সমতল করে নিন। গুলকন্দ আর মিক্সড ফ্রুট একটু করে পুরে গোল লাড্ডুর মতো বানান। লাড্ডুগুলো নারকেল কোরা ভালো করে রোল করে নিন। যাতে লাড্ডুর গায়ে নারকেল ভালো করে লেগে থাকে। ব্যস তৈরি আপনার পান নারকেল লাড্ডু। বিস্কুট বরফি যা যা লাগবে: আপনার পছন্দ মতো দু’প্যাকেট বিস্কুট বেছে নিন। এই রেসিপির ক্ষেত্রে বেছে নিন মিষ্টি বিস্কুটই। ১ কাপ ঘি, ২ কাপ বেসন, ১ কাপ চিনি গুঁড়ো ও বাদাম। তৈরি করুন এভাবে: একটি পাত্রে ঘি গরম করে তার মধ্যে বেসন দিয়ে দিন। ভালো করে নাড়িয় নিন। বেসন বাদামি রং ধরলে, তারমধ্যে চিনি গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিন। হালকা আঁচ দিয়ে এরপর বাদাম কুঁচি দিয়ে দিন। ঠান্ডা হলে বরফির মতো আকারে কেটে নিয়ে পরিবেশন করুন। ইচ্ছে করলে এর মধ্যে কোকো পাউডারও দিতে পারেন। আরটিভি/এফআই
‘স্ট্রেস ইটিং’ ভুলেও নয়, আটকাবেন যেভাবে
খাবারের সঙ্গে মানসিক যোগ রয়েছে। কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা খেলেই আপনার মন নিমেষে ভালো হয়ে যায়। আবার অনেক সময় কোনও নির্দিষ্ট খাবারের জন্য ক্রেভিং তৈরি হয়। অন্যদিকে, আবার যখন আপনি বেশি মানসিক চাপে থাকেন, তখন নোনতা, মিষ্টি ইত্যাদি খাবারের ক্রেভিং বেড়ে যায়। এটা খুব সাধারণ একটা বিষয়। একে আমরা বলি স্ট্রেস ইটিং। মানসিক চাপের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য আমরা খাদ্যের সাহায্য নিই। যদিও এর একটা নিউট্রিশনাল ব্যাখ্যাও রয়েছে যে, এই মানসিক চাপের রকম পরিস্থিতিতে কেন আমাদের নোনতা বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া প্রবণতা বেড়ে যায়। আমরা দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক মানুষকেই দেখেছে যে, কাজের মাঝে ব্যাগ থেকে চিপসের প্যাকেট বার করে খাচ্ছে কিংবা সময়ে অসময়ে চকলেট খাচ্ছে। এটা তখন হয়, যখন তার মধ্যে স্ট্রেস বেড়ে যায়। পুষ্টিবিদের ভাষ্যমতে, যখন আপনার স্ট্রেস হয়, তখন আপনার মধ্যে খাবার খাওয়ার তীব্র চাহিদা তৈরি হয়। তখন হয় আপনি নোনতা জাতীয় খাবার খাবেন কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার।  এর পাশাপাশি আরও জানা যায়, যে আমরা যখন মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাই, তখন আমরা শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ক্ষয় হয়। অতএব, মিনারেলের ঘাটতিগুলো সম্পর্কে আমাদের জানানোর জন্য শরীর উপায় হিসাবে খাবারের চাহিদা তৈরি করে। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন যে, চাপের পরিস্থিতিতে আমাদের বেশি করে সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত। যাতে আমরা এই প্রক্রিয়াতে হারিয়ে যাওয়া সমস্ত মিনারেলের চাহিদাকে পূরণ করতে পারি। তিনি আরও বলেছেন যে, যদি শরীরে মিনারেলের ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে আমরা যে ভিটামিনগুলো গ্রহণ করেছি তাও শোষিত হবে না। আর এভাবে অতিরিক্ত খাওয়া শরীরে জন্য মোটেই ভালো নয়। ঘন ঘন বাইরের খাবার খাওয়ার কারণে অন্য সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই অভ্যাসে রাশ টানা জরুরি। ‘স্ট্রেস ইটিং’ আটকানোর উপায়গুলো জেনে নিন— অন্য কাজে মন দিন: নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখুন। এমন কিছু করতে পারেন, যা আনন্দ দেয়। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া হোক কিংবা সিনেমা দেখা— তা হলেও মানসিক চাপ অনেকটা কাটবে। ধ্যান কিংবা শরীরচর্চা করলেও উপকার পাওয়া যাবে। পানি বেশি পান করুণ: শরীর তৃষ্ণার্ত থাকলে খাবার খেতে বেশি ইচ্ছা করে। তাই শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হতে দেওয়া যাবে না। বেশি করে পানি পানে ঘনঘন খাবার মুখে তুলতেও ইচ্ছা করবে না। তা ছাড়া পানি বেশি খেলে মানসিক চাপ কমে। ক্যাফেইন একেবারেও নয়: রাগ হলে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবার একেবারেই খাবেন না। কফি, এনার্জি ড্রিঙ্ক, ব্ল্যাক টি ও সোডা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এগুলো আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করতে পারে। এতে আপনার বিরক্তি, অস্থিরতা ও উদ্বেগ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। মিষ্টি খাবার-দাবার: বেশি চিনিযুক্ত কোনও খাবার মোটেও খাবেন না। রেগে থাকলে ক্যান্ডি, চকলেট, মিষ্টি ড্রিঙ্কস ভুলেও নয়। এ সব খাবারের জেরে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করতে পারে। যা থেকে অস্বস্তি আরও বাড়বে। ফাস্ট ফুড এড়িয়ে যাবেন: প্রসেসড বা ফাস্ট ফুডে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট মজুত থাকে। তাই এ সব খেলে শরীরে জ্বালাপোড়া ভাব হতে পারে এবং নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হতে পারে। তাই স্ট্রেসের সময় মুখ ফেরান ফাস্ট ফুড থেকেও। শরীরচর্চা করতে পারেন: মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রেস্তরাঁয় না গিয়ে, বরং শরীরচর্চায় মনোনিবেশ করতে পারেন। হাঁটাচলা, যোগাসন, ঘরোয়া ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ হাতের মুঠোয় রাখলে খাওয়া-দাওয়ার প্রতিও ঝোঁক কমবে। আরটিভি/এফআই