• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১
logo
তিন পদ্ধতিতে বহুদিন সংরক্ষণ করে রাখা যাবে কাঁচা মাংস
ডেঙ্গু রোগীর জন্য উপকারী যেসব খাবার 
ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে অনেক মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা মৃত্যুর সংখ্যা একেবারে কম নয়। কোন শরীরে কোন লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝবেন যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় কী হতে পারে, জেনে নিন। ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো কী? সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেবার পর আবারো জ্বর আসতে পারে। এর সাথে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চেখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র‍্যাশ) হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে। ডেঙ্গু রোগীর জন্য উপকারী খাবার: ১. ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় খাবার হলো প্রোটিন ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার। মাছ, মুরগির মাংস, চর্বিহীন লাল মাংস (গরু, ছাগল), ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যে প্রোটিন বেশি থাকে। এই খাবারগুলো রোগীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ২. রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে আয়রনসমৃদ্ধ খাবারের জুড়ি নেই। পালংশাক, সামুদ্রিক মাছ, কলিজা, মিষ্টিকুমড়া, ডালিম, মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডাল, কচুশাক ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ আয়রণ রয়েছে, যা রোগীর শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করে। ৩. রক্তক্ষরণ ঝুঁকি কমাতে ডেঙ্গু রোগীকে ভিটামিন কে জাতীয় খাবার, যেমন সবুজ শাকসবজি, বাঁধাকপি, ব্রকলি ইত্যাদি খাওয়াতে হবে। এসব খাবারে দরকারি খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণও বেশি থাকে। তাই প্রতিদিন রোগীকে এই খাবারগুলো পরিমাণমতো খাওয়াতে হবে। ৪. ভিটামিন বি-১২–এর অন্যতম উৎস ডিম, দুধ, মাখন, পনির, কম চর্বিযুক্ত দই। ভিটামিন সি একটি কার্যকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা স্বাভাবিক রাখতেও কার্যকর। কমলা, মাল্টা, আপেল, পেয়ারা, আমড়া, পেঁপে, আম, আনারস, আঙুর, জাম ইত্যাদি ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। ডেঙ্গু রোগীকে প্রতিদিন এই ফলগুলো পরিমিত পরিমাণে খাওয়াতে হবে। ৫. ডেঙ্গু রোগীদের পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে রোগীকে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে ডাবের পানি ও বিভিন্ন ধরনের ফলের রস উপকারী। এ ছাড়া নরম সেদ্ধ জাউ ভাত, খিচুড়ি, বিভিন্ন ধরনের স্যুপ খেতে দিতে হবে। প্রয়োজন বুঝে ডেঙ্গু রোগীকে ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশনও (ওআরসি) দেওয়া যেতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের রোগীদের যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে: তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার, মসলাযুক্ত খাবার, আচার, চিনিযুক্ত খাবার, কাঁচা সবজি ইত্যাদি। এ ছাড়া উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার, চা-কফি, কোকো, অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় ইত্যাদিও এড়াতে হবে। তথ্যসূত্র: অনলাইন আরটিভি/এফআই
শীতের পোশাকের যত্ন নেওয়ার টিপস
শীতে শরীর উষ্ণ রাখতে খেতে পারেন যেসব খাবার
দরিদ্র দেশগুলোতে বিক্রয় হচ্ছে নিম্নমানের পণ্য
শীতে সুস্থ থাকতে এখন থেকেই শুরু করবেন যেসব কাজ
যেভাবে বানাবেন কমলার হালুয়া
কমলা একটি সুস্বাদু ফল। এতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে মিষ্টি এবং রসালো ফলটি দিয়ে ভিন্নধর্মী হালুয়া বানিয়ে খেতে পারেন। উপকরণ: কমলার রস ১ কাপ, পানি আধা কাপ, কর্নফ্লাওয়ার আধা কাপ, চিনি এক কাপ, গ্রেট করা কমলার খোসা আধা চা–চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, কমলা ফুড কালার এক চিমটি, ঘি সিকি কাপ, এলাচির গুঁড়া সামান্য, কাঠবাদামকুচি সাজানোর জন্য। প্রণালি: প্রথমেই কমলার রস ছেঁকে কর্নফ্লাওয়ারের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন, যেন কোনো দলা না বেঁধে থাকে। চুলায় মাঝারি আঁচে হাঁড়ি বসিয়ে চিনি ও আধা কাপ পানি ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ পর লেবুর রস দিন। চিনি গলে এলে কমলার রস ও কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণ ঢেলে দিন। চুলার আঁচ কমিয়ে দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। সামান্য ফুড কালার দিন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে নেড়ে একটু করে করে ঘি দিন। এবার ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। হালুয়ার রং স্বচ্ছ হয়ে গেলে এলাচির গুঁড়া দিয়ে নাড়ুন। যে বাটিতে হালুয়া রাখবেন, সেখানে অল্প ঘি মিশিয়ে হালুয়া রেখে চেপে চেপে সমান করুন। এবার হালুয়ার ওপরে কাঠবাদামকুচি ছিটিয়ে এক ঘণ্টা রুম টেম্পারেচারে রেখে দিন। হালুয়া জমে গেলে নিজের পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আরটিভি/এসএ
নতুন স্বাদের আইসক্রিম হবে ডাবের পানিতে
শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ডাবের পানি। তাছাড়া প্রখর রোদে বের হলে একটা ডাব খেলে পিপাসাও মেটে। ডাবের পানি হলো প্রাকৃতিক স্যালাইন। ডাবের পানিতে উপকারী উৎসেচক (এনজাইম) থাকায় তা হজমে অত্যন্ত সাহায্য করে। অনেকের জন্যই ভারি কিছু খাওয়ার পর ডাবের পানি বেশ উপকারী। এর পাশাপাশি এই গরমে অনেকেই মুখিয়ে থাকেন আইসক্রিমের জন্য। সারা বছর আইসক্রিম খাওয়া গেলেও ঝলসানো গরমে আইসক্রিমের স্বাদ আস্বাদনে একটু বেশিই সুখ।  নতুন স্বাদের আইসক্রিমের খোঁজে যদি থাকেন, তবে ডাবের পানি আপনার কাজকে সহজ করে দিতে পারে। গরমে যদি আইসক্রিম খেতেই হয়, সেটা হোক একটু অন্যরকম। ডাবের পানি দিয়ে তৈরি করতে পারেন আইসক্রিম। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে ডাবের পানি দিয়ে আইসক্রিম তৈরি করবেন। প্রয়োজনীয় উপকরণ: ১ কাপ হুইপ ক্রিম, ২ কাপ ডাবের পানি, ৪টি ডাবের শাঁস, আধ কাপ গুঁড়ো চিনি আর মিল্ক মেড ১/২ কাপ তৈরি করার পদ্ধতি: একটি বড় পাত্রে হুইপ ক্রিমটা নিয়ে ভালো করে ফেটান। এর জন্য হ্যান্ড ব্লেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা ব্লেন্ডারে দিয়েও হুইপ ক্রিমটা ফেটিয়ে নিতে পারেন। এবার এতে ডাবের পানিতে আর ডাবের শাঁসটা দিয়ে দিন। এরপর আবার ব্লেন্ড করুন সম্পূর্ণ মিশ্রণটা। শেষে এতে চিনি গুঁড়ো এবং মিল্ক মেড দিয়ে দিন। ব্লেন্ডারের সাহায্যে সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা মসৃণ না হওয়া অবধি ব্লেন্ড করুন। এবার একটি এয়ারটাইট কন্টেনার নিয়ে তাতে এই মিশ্রণটি ঢেলে ফেলুন। আইসক্রিম তৈরির জন্য কন্টেনারটি ফ্রিজের মধ্যে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা রেখে দিন। ঠান্ডায় জমে গেলে ছোট ছোট কাপের মধ্যে স্কুপের আকার পরিবেশন করতে পারেন এই ডাবের পানির আইসক্রিম। গার্নিশের জন্য ডাবের শাঁস ছোট ছোট স্লাইস আকারে সাজিয়ে দিতে পারেন।  আরটিভি/এফআই
খোসাসহ শসা খেলে যে উপকার পাবেন 
প্রতিদিনের খাবারে সালাদ হিসেবেই শসার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। তবে খাবারের সাথে অনুষঙ্গ হিসেবে শসার কদর বেশি হলেও পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে শসা মোটেও পিছিয়ে নেই। শসা সবচেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য উপাদান। সবজি হিসেবে ভাবা হলেও শসা আসলে একটি ফল। এটি উপকারী পুষ্টিতে উচ্চ গুণমান থাকায় এটিকে ফলের আসনে গুরুত্ব দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট উদ্ভিদ যৌগ থাকায় ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের কারণে চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ বিষয়ে শসাকে আদর্শ হিসেবে গণ্য করা হয়। শসাতে ক্যালরি কম থাকে এবং এতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও দ্রবণীয় ফাইবার থাকে; যা দেহকে হাইড্রেডেট রাখে, ফলে পানিশূন্যতা থেকে মুক্তি দেয়। পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে শসা হতে পারে উপকারী খাদ্য। এটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এছাড়াও  যারা ওজন কমাতে চান, তারা শসা খেতে পারেন। শরীরের ওজন হ্রাস করতে এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া শসায় পানির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ফলে নিয়মিত শসা খেলে শরীরে পানির ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হবে। তাই সুস্থ থাকতে হলে শসা খাওয়া ছাড়া যাবে না।  শসার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবার ধারণা থাকলেও, অনেকেই জানেন না শসার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে। ভ্রান্ত ধারণার ফলে অনেকেই ভাবেন শসার খোসা ক্ষতিকর। যে কারণে সালাদ কিংবা রান্নায় ব্যবহারের আগে শসার খোসা ফেলে দেন। অথচ বাস্তবচিত্র একেবারেই উল্টো। শসার মতোই দারুণ স্বাস্থ্যকর ও উপকারী শসার খোসাও। তাই শসা খেতে হবে খোসাসহ। জেনে নিন শসার খোসার চমৎকার কিছু উপকারিতা—   শরীরে পানিশূন্যতা কমায়: পানি আপনার শরীরকে কার্যকর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বর্জ্য ও পুষ্টি পরিবহনের মতো প্রক্রিয়াগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকে। শরীরে পানির সঠিক মাত্রা শারীরিক কর্মক্ষমতা থেকে বিপাক পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনি পানি বা অন্যান্য তরল যেমন জুস বা চা দ্বারা আপনার তরল চাহিদার পূরণ করেন তখন আপনি পানি বহনের জন্য কতটুকু পানি পান করবেন, তার একটি মাত্রা থাকে। কিছু মানুষ তাদের মোট পানি গ্রহণের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিভিন্ন খাবার থেকে পেতে পারে। যেহেতু শসা প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি দ্বারা গঠিত, তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর এবং প্রাত্যহিক চাহিদা অনুযায়ী পানি পান না করেও দিনে একটি বা দুটি শসা খেয়ে প্রতিদিনের তরল চাহিদা মেটানো সম্ভব। চোখের সমস্যা দূর করে: দারুণ এ বিষয়টি সম্পর্কে খুব কম মানুষই অবগত। শসার খোসা হলো ভিটামিন-এ-এর (বেটা-ক্যারটিন) বড় উৎস। চোখের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন-এ ভীষণ জরুরি। তবে শসার খোসা ফেলে দিলে ভিটামিন-এ আর অবশিষ্ট থাকে না। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা কমায়: বিব্রতকর এ সমস্যার ক্ষেত্রে ত্রাতা হিসেবে কাজ করবে খোসাসহ শসা। শসার খোসাতে রয়েছে অদ্রবণীয় আঁশ। অন্যদিকে শসার ভেতরের নরম অংশে থাকে দ্রবণীয় আঁশ। উভয় প্রকৃতির আঁশ মলকে নরম করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে চমৎকার কার্যকরি। মেদ ও চর্বি কমাবে: হুটহাট ক্ষুধাভাব খুব জ্বালায়। এ সময় অস্বাস্থ্যকর কোন খাবার খাওয়ার পরিবর্তে কয়েক টুকরা খোসাসহ শসা খেয়ে ফেলতে হবে। খোসাসহ শসায় কোনো ক্যালরি নেই বললেই চলে। ক্যালরি কম হলেও ক্ষুধার প্রকোপ কমাতে শসা বেশ কার্যকর। তাই ক্ষুধা পেলেই নিশ্চিন্তে খেয়ে নিতে হবে ছোট একটি খোসাসহ শসা। ভিটামিন ‘কে’-এর অন্যতম উৎস: রক্ত জমাট বাঁধতে ভিটামিন ‘কে’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যা পাওয়া যাবে শসার খোসাতে। এছাড়াও ভিটামিন ‘কে’ হাড়ের পুষ্টিতে, মগজের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও নির্দিষ্ট ধরণের কিছু ক্যানসারর প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে: ত্বকের জন্য ভিটামিন-সি অনন্য। ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কোলাজেন উৎপাদনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। শসাতে নয়, শসার খোসায় প্রচুর পরিমাণে উপকারী এ উপাদান বিদ্যমান থাকে। তাই খোসাসহ শসা খেলে ত্বকের বয়সের ছাপকে দূরে রাখা সম্ভব হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, খাওয়ার পূর্বে শসাকে অবশ্যই এক ঘণ্টা লবণ-পানির মিশ্রনে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এতে শসার খোসায় লেগে থাকা জীবাণু, রাসায়নিক ও ফরমালিন দূর হয়ে যাবে। আরটিভি/এফআই
ঘরোয়াভাবে সহজেই রসমালাই তৈরির রেসিপি
উৎসব কিংবা বিশেষ দিনে মিষ্টিমুখ করা চাই। বাড়িতে অতিথি এলে নানারকম মিষ্টির ব্যবস্থা করা হয়। আর রসমালাইয়ের নাম শুনলে জিভে জল চলে আসে অনেকেরই। চমৎকার স্বাদের এই মিষ্টি আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই বানাতে পারেন। তবে আর দেরি কেন! চলুন ঝটপট জেনে নেই রসমালাই তৈরির রেসিপি। উপকরণ— ছানার জন্য: ঘন দুধ- ২ লিটার চিনি – ২ কাপ, লেবুর রস বা ভিনেগার- ১/৪ কাপ, সিরার জন্য, চিনি-২ কাপ, পানি-৪ কাপ, লেবুর রস বা ভিনেগার ১/৪ কাপ মালাই/রস-এর জন্য: দুধ/ ঘন দুধ- ১ লিটার, চিনি- ১/২ কাপ, এলাচ গুঁড়া মিষ্টির জন্য: ময়দা ১/২ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার- ১/৪ চা চামচ, সুজি – ১ চা চামচ মিষ্টির তৈরির পদ্ধতি: প্রথমে ছানা তৈরির জন্য দুধ একবার জ্বাল দেওয়া হয়ে গেলে লেবুর রস বা ভিনেগার দিয়ে ১ মিনিটের মত রেখে একটা পাতলা কাপড়ে পানি ঝরাতে দিতে হবে, সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি দিতে হবে। ভালো করে চেপে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি বড় থালায় ছানাটা ভালো করে হাত দিয়ে মেখে নিতে হবে, যেন জমাট বেঁধে না থাকে। তারপর ময়দা, সুজি, বেকিং পাউডার ও চিনি দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। এবার দু’হাতের তালু দিয়ে গোল করে ছোট ছোট আকারের মিষ্টি বানান। পাশাপাশি একটি হাড়িতে সিরার জন্য পানি ও চিনি ফোটাতে দিন। পানি ফুটে উঠলে লেবুর রস বা ভিনেগার দিয়ে ছোট ছোট মিষ্টিগুলো হাড়িতে দিয়ে ঢেকে দিন। এলাচ দিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট এর মত ফুটিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন বেশি সিদ্ধ হয়ে ভেঙে না যায়। মালাই তৈরির পদ্ধতি:  অন্য একটি ননস্টিক পাত্রে দুধ জ্বাল দিতে থাকুন, মাঝারি আঁচে নেড়ে নেড়ে দুধ আরও ঘন করুন, দুধ অর্ধেক হয়ে আসা পর্যন্ত এমনভাবে নাড়ুন যেন নিচে লেগে না যায় এবং সর হয়ে না যায়। এরপর চিনি ও এলাচ গুঁড়ো দিয়ে দিন। রস ঠান্ডা করুন, তারপর মিষ্টিগুলো সিরা থেকে তুলে রসে মেশান। পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে আরো ঠান্ডা করুন। পরিবেশনের আগে পেস্তা ও বাদাম কুচি করে দিন। আরটিভি/এফআই
ঘরের ৭ কাজে দারুণ উপকারী এই জিনিস
দাঁত পরিষ্কারের পাশাপাশি আরও নানা কাজে ব্যবহার করা যায় টুথপেস্ট। তবে আপনি কি জানেন, দাঁত পরিষ্কার ছাড়াও ঘরের আরও নানা কাজে ব্যবহার হয় এই টুথপেস্ট। কাপড়ের দাগ দূর করতে কিংবা হাতের দুর্গন্ধ দূর করতেও এর জুড়ি নেই। জেনে নিন টুথপেস্টের বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে— জুতো পরিষ্কার করতে কিন্তু বেশ উপকারী টুথপেস্ট। স্নিকার্স বা চামড়ার জুতোয় লাগিয়ে নিন। তারপর শুকনো নরম কাপড় দিয়ে ঘষে মুছে নিলেই নতুনের মতো চকচক করবে আপনার কাদা লাগা জুতোও। বাড়িতে শিশু থাকলে দেয়ালে আঁকিবুঁকি থাকবেই। আঁকিবুকি তুলতে নরম কাপড় বা ব্রাশে টুথপেস্ট লাগিয়ে দেওয়ালে মাখিয়ে নিন। তার পর শুকনো কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। তবে জেল টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন না কিন্তু। বাথরুমের আয়নায় বাষ্প জমে যায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন টুথপেস্ট ব্যবহার করে। নন-জেল টুথপেস্ট আয়নায় লাগিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। আয়না ঝাপসা হবে না।  চা বা কফি মগের হলুদ দাগ তুলতে প্রথমে কিছুক্ষণ টুথপেস্ট লাগিয়ে রেখে দিন। এবার সেটিকে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। নিমেষে ঝকঝকে হয় উঠবে কাপ।  রান্না করার পরে কিছুতেই হাত থেকে পেঁয়াজ-রসুনের গন্ধ দূর করতে কয়েক ফোঁটা টুথপেস্ট লাগিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। তার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুহূর্তে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে। হঠাৎ কাপড়ে কলমের দাগ লেগে গেছে? দুশ্চিন্তার কিছু নেই। টুথপেস্টের সাহায্যে তুলে ফেলুন চট করে। দাগের উপরে সাদা টুথপেস্ট লাগিয়ে জোরে জোরে ঘষুন। বার কয়েক করলে উঠে যাবে কালির দাগ। দাগ উঠে গেলে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন কাপড়। লিপস্টিকের দাগও দূর করতে পারবেন একইভাবে।  স্পঞ্জে টুথপেস্ট নিয়ে সিঙ্ক ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঝকঝকে হওয়ার পাশাপাশি দুর্গন্ধও দূর হবে। কাঠের আসবাবে পানির সাদাটে দাগ পড়েছে? দাগ ওঠাতে সাহায্য নিন টুথপেস্টের। কার্পেটে চা অথবা কফির দাগ পড়লে খানিকটা টুথপেস্ট ঘষে পরিষ্কার করে নিন।  ইস্ত্রির সামনের অংশে দাগ লেগে থাকলে কাপড়ও নোংরা হয়ে যায়। একটি নরম কাপড়ে টুথপেস্ট লাগিয়ে পরিষ্কার করে আরেকটি কাপড়ের সাহায্যে মুছে ফেলুন ইস্ত্রি। পুরনো নরম ব্রাশে সামান্য টুথপেস্ট লাগান। তার পর তা দিয়ে ধীরে ধীরে ঘষুন রুপোর গয়না। এর পর পাতলা কাপড় দিয়ে আলতো করে মুছে পরিষ্কার করে নিন। কালচে দাগ উঠে একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। আরটিভি/এফআই
সুস্বাদু স্ন্যাক্সে জমে উঠুক আড্ডা
বিকেল হলেই স্ন্যাক্স খাওয়ার জন্য আমাদের মধ্যে সবসময় একটা চনমনে ভাব বিরাজ করে। কিছু একটা মনোরম খাবার খাওয়ার প্রচণ্ড ইচ্ছে হয় আমাদের।  স্ন্যাকস বলতে সবচেয়ে বেশি স্যান্ডউইচ-ই খাওয়া হয়। তবে বন্ধুদের নিয়ে একটা হাউজ পার্টির প্ল্যান করেছেন। তখন কি আর এক খাবার খেতে মন চায়, তাই আড্ডা জমাতে চটজলদি কিছু স্ন্য়াক্সের রেসিপি জেনে নিন। ট্রাই করুন ক্রিস্পি মাশরুম— এটি বানানোর জন্য যা লাগবে: যে কোনও ধরনের মাশরুম, কর্নফ্লাওয়ার, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, সেলারি, তেল, চিলি পেস্ট, টম্যাটো সস্, ভিনিগার, স্প্রিং অনিওন, লবণ, হইসিন সস। যেভাবে রান্না করবেন: প্রথমে মাশরুমগুলোকে ভালো করে ধুয়ে গায়ে লেগে থাকা পাতলা আস্তরণ ছাড়িয়ে নিয়ে একটা পাত্রে রাখুন। এ বার অন্য একটা পাত্রে কর্নফ্লাওয়ার, অল্প লবণ আর পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঘন ব্যাটার তৈরি করে নিন। মাশরুমগুলোকে ওই কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণের মধ্যে ডুবিয়ে কড়াইতে তেল গরম করে এক এক করে ভেজে তুলে নিন। বাদামি রঙের হয়ে গেলে, মাশরুমগুলো অন্য একটি পাত্রে নামিয়ে রাখুন। এ বার পেঁয়াজ, রসুন, আদা একদম মিহি করে কুচিয়ে নিন। কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে গরম করে, তাতে কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে ভালো করে নাড়িয়ে নিন। এর পরে সেই কড়াইতেই একে একে চিলি পেস্ট, সস, ১ টেবিল চামচ হইসিন সস দিয়ে ভালোভাবে টস করে নিন। সবজি তৈরি হয়ে এলে, ভেজে রাখা মাশরুমগুলোকে সসের মিশ্রণে দিয়ে দিন। এক সঙ্গে সবটা ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে তাতে ভিনিগার যোগ করে ২ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। তৈরি আপনার ক্রিস্পি মাশরুম। গরম গরম পরিবেশন করুন। গোল্ডেন ফ্রায়েড ফিশ তৈরি করতে যা লাগবে: এর জন্য লাগবে, ভেটকি মাছ, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, তেল, ব্রথ পাউডার, সুইট চিলি সস, মরিচের গুঁড়ো, কর্নফ্লাওয়ার, ডিম, ময়দা, বিস্কুটের গুঁড়ো। তৈরি করবেন যেভাবে— ভেটকি মাছগুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিজের মনের মতো সাইজ করে কেটে নিন। চেষ্টা করবেন যাতে মাছের টুকরোগুলো বেশি মোটা বা একদম পাতলা না হয়ে যায়। এ বার একটি পাত্রে ভেটকি মাছের টুকরোগুলো নিয়ে তাতে পরিমাণমতো লবণ আর গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে রেখে দিন। এ বার ব্যাটার তৈরির পালা। তার জন্য একটি বাটিতে অর্ধেক কাপ ময়দা, অর্ধেক কাপ কর্নফ্লাওয়ার, লবণ, মরিচের গুঁড়ো, ব্রথ পাউডার, সুইট চিলি সস নিয়ে নিন। দু’টি ডিম ফাটিয়ে ওই মিশ্রণে মিশিয়ে দিন। এ বার সব কিছু এক সঙ্গে মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট বানান। একটি থালায় বিস্কুটের গুঁড়ো ঢেলে নিন। এ বার কড়াইতে তেল গরম করে নিন। তেল ভালোমতো গরম হয়ে গেলে এক একটি মাছের টুকরো নিয়ে সেটিকে কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণে চুবিয়ে কোট করে নিন। এ বার মাছের টুকরোগুলোর দু’দিকে বিস্কুটের গুঁড়ো ভালো করে লাগিয়ে সেটাকে গরম তেলে লাল করে ভেজে তুলে নিন। ভালো করে ডুবো তেলে ভাজার পর একটি পাত্রে তুলে রাখুন। নিজের ইচ্ছেমত সস দিয়ে পরিবেশন করুন গোল্ডেন ফ্রায়েড ফিশ। আরটিভি/এফআই
বাজিতে হাত-পা পুড়লে যা করবেন
রান্নাঘরের কাজে ছ্যাঁকা লাগা বা মাছ ভাজার তেল ছিটকে এসে হাতে, গলা বা মুখে ফোসকা পড়া খুব অস্বাভাবিক নয়। তবে এর বাইরেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাজি ফোটানো হয়। আর সে সময়  একটু অসাবধান হলেই হাত-পা পুড়ে যেতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে পড়লে অনেকেই বুঝতে পারেন না ঠিক কী করা উচিত। সবার প্রথমে চেষ্টা করতে হবে বাজি থেকে দূরে থাকার। আর একান্তই যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে হালকা সুতির জামাকাপড় পরুন। সিন্থেটিক কিছু পরবেন না। আর চেষ্টা করুন হাত শরীর থেকে দূরে রেখে বাজি ফোটানোর। তাতে বিপদের আশঙ্কা কমবে। তবে এরপরও যদি ত্বক পুড়ে যায়, সেক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম। জেনে নিন নিয়মগুলো— প্রথমেই ধুয়ে ফেলুন: বাজিতে হাত ও পায়ের কিছু অংশ পুড়ে গেলে বাড়িতেই তার চিকিৎসা করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে সবার প্রথমে জায়গাটা ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। চেষ্টা করুন পানির ট্যাপের তলায় হাত রেখে পানি দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে নেওয়ার। তাতেই প্রাথমিক কাজ শেষ। এরপর সেই জায়গায় সিলভার নাইট্রেট জাতীয় অয়েন্টমেন্ট লাগান।  টুথপেস্ট লাগাবেন না: অনেকেই ক্ষত স্থানে টুথপেস্ট লাগান। আর এই ভুলটা করেন বলেই বিপদ বাড়ে। জায়গাটায় ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই চেষ্টা করুন সেখানে টুথপেস্ট না লাগানোর। এমনকি সেখানে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক মলমও লাগাবেন না। তাতেও সমস্যা হতে পারে। সেখান থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই পুড়ে গেলে অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রাখার চেষ্টা করুন। মুখ পুড়ে গেলে চিকিৎসকের কাছে যান: চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, যদি মুখের কোনো অংশ পুড়ে যায়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে সোজা হিসাব হলো- একটা কাগজের নোটের থেকে বড় অংশ পুড়ে গেলেই ডাক্তার দেখাতে হবে। তখন আর সমস্যা ফেলে রাখবেন না। এর পাশাপাশি বাচ্চাদের শরীরের কোনো অংশ পুড়ে গেলেও চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে। তা হলেই সমস্যাকে কাবু করে ফেলতে পারবেন। চোখের সমস্যা ফেলে রাখবেন না: অনেক সময় বাজির ফুলকি চোখে ঢুকে যায়। তখন চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে। জয়াগাটা লাল হয়ে যায়। এমনকি দৃষ্টিশক্তিও কমে যেতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে সবার প্রথমে চোখে ঠাণ্ডা পানি দিন। তারপর দ্রুত চলে যান হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে নিজের সমস্যার কথা বলুন।  চিকিৎসা কী— শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে ফ্লুইড বের হয়ে যায়। এ কারণে সবার প্রথমে রোগীকে ভালো পরিমাণে স্যালাইন দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি তাকে পেইনকিলার এবং অ্যান্টিবায়োটিকও দেওয়া হয়ে থাকে। তাতেই ধীরে ধীরে রোগী ঠিক হয়ে ওঠেন। তবে অনেকেই ভুল করে পোড়ার সমস্যা ফেলে রেখে দেন। তাতে বিপদ বাড়তে পারে। সংক্রমণ শরীরের একাধিক অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সাবধান হয়ে যান। আরটিভি/এফআই