• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কীভাবে থামাবেন?
ভিসা কার্ড নিয়ে এলো বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক
ভিসা নেটওয়ার্কের আওতায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন মাল্টিকারেন্সি ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ড নিয়ে এলো বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক। ইএমভি চিপযুক্ত এবং থ্রিডি সিকিউরড কন্ট্যাক্টলেস সুবিধাসহ বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিং আউটলেট এবং বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য বেঙ্গল কার্ডে রয়েছে আকর্ষণীয় অফার।  রোববার (১০ মার্চ) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বেঙ্গল কার্ডের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।  এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম, এমপি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও এস এম ফারুকী হাসান, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী তারিক মোর্শেদ, ভিসার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক আশিষ চক্রবর্তী, আইটিসি পিএলসি এর বিজনেস ডিরেক্টর ওসমান হায়দার, ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকদ্বয় এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
২৯ পণ্যের মূল্য বেঁধে দেওয়া অযৌক্তিক : দোকান মালিক সমিতি
রমজানে জাল টাকা প্রতিরোধে নতুন নির্দেশনা
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৯ মার্চ)
ক্ষুদ্র ঋণের অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ
মার্চের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স আসেনি যেসব ব্যাংকে
চলতি মার্চের প্রথম ১৫ দিনে ১০২ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ২০৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে দেশে কার্যরত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকসেহ ১০টি ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। সোমবার (১৮ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, মার্চের ১ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত ১০১ কোটি ৮৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর মধ্যে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩২ লাখ ৫০ হাজার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩২ লাখ ৫০ হাজার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৫৫ লাখ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২ কোটি ৮২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে ১টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, ১টি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৪টি বিদেশি ব্যাংকে কোন রেমিট্যান্স আসেনি। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল। বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক ও সীমান্ত ব্যাংক। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে দেশে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে।
রমজানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে
এবারও রমজানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেড়েছে। রমজানের শুরু থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। চলতি মার্চের প্রথম ১৫ দিনে ১০২ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ২০৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে) রেমিট্যান্স এসেছে। সোমবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, মার্চের ১ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত ১০১ কোটি ৮৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর মধ্যে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩২ লাখ ৫০ হাজার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩২ লাখ ৫০ হাজার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৫৫ লাখ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২ কোটি ৮২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে ১টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, ১টি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৪টি বিদেশি ব্যাংকে কোন রেমিট্যান্স আসেনি। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল। বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক ও সীমান্ত ব্যাংক। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে দেশে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে।
এক্সিম ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন পদ্মার আমানতকারীরা
শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হয়েছে পদ্মা ব্যাংক। এর ফলে দুর্দশাগ্রস্থ ব্যাংকটির সব দায় এখন থেকে এক্সিম ব্যাংকের। এতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগের পর দুটি ব্যাংকের একীভূত হওয়ার এটিই প্রথম ঘটনা। আর এর মধ্য দিয়ে এখন থেকে এক্সিম ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন পদ্মা ব্যাংকের আমানতকারীরা।  সোমবার (১৮ মার্চ) বেসরকারি খাতের ব্যাংক দুটির মধ্যে একীভূত হওয়ার চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে এ সময় কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দুই ব্যাংকের উদ্যোক্তারাও উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, পদ্মা ব্যাংকের সব দায় নেওয়া হবে। ব্যাংকটি একীভূত হলেও এর কোনো কর্মী চাকরি হারাবে না। কোনো সমস্যা হবে না আমানতকারীদের, সবাই নিরাপদে থাকবেন। পদ্মা ব্যাংকের আমানতকারীরা এক্সিম ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, পদ্মায় জাল ফেলেছে এক্সিম ব্যাংক। এখন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরার পালা। এক বছরের মধ্যে পদ্মা ব্যাংক ভালো হয়ে যাবে। চাইলে পদ্মা ব্যাংকের যে কোনো ব্যক্তিগত আমানতকারী তার টাকা এক্সিম ব্যাংক থেকেই তুলে নিতে পারবেন। পদ্মা ব্যাংকের সকল দায়ভার এখন থেকে গ্রহণ করল এক্সিম ব্যাংক। এর আগে ব্যাংক দুটির পরিচালনা পর্ষদ একীভূতকরণের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়। তবে, কীভাবে এই একীভূত হওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা ও পরামর্শক্রমে দুই ব্যাংকের আইনজীবীরা মিলে ঠিক করবেন। সমঝোতা চুক্তি হলে একীভূত হওয়ার কার্যক্রমের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ভালো ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের একীভূত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে শিগগিরই একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই নীতিমালার আওতায় একীভূত হওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এর আগে গত ৪ মার্চ ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে গভর্নর জানান, চলতি বছরের মধ্যে ৭ থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে সবল বা ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলো নিজেদের ইচ্ছায় একীভূত না হলে আগামী বছর থেকে তাদের চাপ দিয়ে একীভূত করা হবে। জানা গেছে, পদ্মা ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে, যা কিনে নেবে একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি। ফলে যে কারণে ব্যাংকটির সম্পদের (ঋণ ও বিনিয়োগ) মান খারাপ হয়ে পড়েছে, তা আর থাকবে না। এরপর ভালো সম্পদগুলো নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবে এক্সিম ব্যাংক। এর ফলে এক্সিম ব্যাংকের সূচক খারাপ হয়ে পড়ার কোনো শঙ্কা নেই।  
রাজধানীতে ক্রমেই জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা
রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। রমজানের ৭ম দিনে রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চাঁদনি চক, মৌচাক মার্কেট, ইষ্টার্ন প্লাজা, ফরচুন মার্কেট, বেইলিরোডসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। অনেকেই পরিবার নিয়ে এসেছেন। অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে আগে ভাগেই সেরে নিচ্ছেন ঈদের কেনাকাটা। পছন্দের পণ্যটি নিয়ে খুশি মনে ফিরছেন তারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি। অপরদিকে রোজার শুরুতে ক্রেতাদের এমন সমাগম দেখে ঈদে ভালো বিক্রির আশা দেখছেন বিক্রেতারা। প্রায় আট বছর ধরে মৌচাক মার্কেটে ব্যবসা করেন জুনায়েত হোসেন। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন,করোনাসহ নানা কারণে গত কয়েক বছর ব্যবসা ভাল হয়নি। এবার রমজানের প্রথম থেকেই মোটামুটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। এবার আশা করছি ভাল ব্যবসা হবে। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী সোহরাব বলেন, এবার ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক উঠিয়েছি। রোজার শুরুতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এবার বিক্রি ভাল হবে। রাজধানীর মালিবাগের ফরচুন মার্কেটে মেয়ের জন্য জুতা কিনতে এসেছেন আবেদা রহমান। আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, এখানে বাচ্চাদের ভাল কলেকশন আছে। দাম একটু বেশি। কোয়ালিটি ভাল। বাচ্চাদের জিনিসের দাম আরেকটু কম হলে ভাল হতো। বেইলি রোডে আরটিভি নিউজের সঙ্গে কথা হয় কানিজ হুমায়রার সঙ্গে। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, আমার হাজব্যান্ড ব্যবসায়ী। খুব বিজি থাকেন। তাই তার জন্য একটা পাঞ্জাবী নিলাম। তবে গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশি। কিন্তু পছন্দমত কিনতে পেরে খুশি তিনি। তিনি বলেন, এবার স্বাচ্ছন্দে কেনা কাটা করা যাবে। করোনার ঝামেলা নেই। আশা করি এবারের ঈদ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালভাবে কাটাবো। রাজধানীর রামপুরা থেকে পরিবারসহ কেনাকাটা করতে এসেছেন আবু বকর। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, রোজার শেষ সময় মার্কেটে অনেকে ভিড় থাকে। ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটা করা খুব কষ্টের।অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি যাব। তাই আগেই কেনাকাটা সেরে ফেলছি। শুধু মার্কেটেই নয়, ফুটপাতেও বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। মগবাজার মোড়ে ফুটপাত থেকে গেঞ্জি কিনছিলেন আল আমিন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। থাকেন ইস্কাটন এলাকায়। আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, আমরা ছোট চাকরি করি। তাই কম খরচে ফুটপাত থেকে পছন্দের কাপড় কিনছি। কি আর করবো। এছাড়া ইষ্টার্ন প্লাস, গ্লোব শপিং কমপ্লেক্স, নুরজাহান মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। এসব এলাকায় ঈদের পোশাকের পাশাপাশি নিত্যপণ্য কিনতেও দেখা গেছে অনেককে।
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৭ মার্চ)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে  ১৭ মার্চ ২০২৪ তারিখে  বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম    বাংলাদেশি টাকা ইউএস ডলার ১১৩ টাকা ৫০ পয়সা ইউরোপীয় ইউরো ১২৭ টাকা  ব্রিটেনের পাউন্ড ১৪৬ টাকা ৫০ পয়সা ভারতীয় রুপি ১ টাকা ২৯ পয়সা  মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ২৪ টাকা ৫০ পয়সা সিঙ্গাপুরের ডলার ৮৫ টাকা ২১ পয়সা সৌদি রিয়াল ২৯ টাকা ২৭ পয়সা  কানাডিয়ান ডলার ৮৪ টাকা ৫৫ পয়সা অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৭৫ টাকা ৮০ পয়সা   কুয়েতি দিনার ৩৭২ টাকা ০২ পয়সা  ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।  
জাহাজ জিম্মির ঘটনায় এফবিসিসিআইয়ের উদ্বেগ
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ২৩ নাবিক- ঘটনায় এরই মধ্যে কয়েক দিন পার হয়ে গেছে। এ ঘটনার কোনো কুল কিনারা হয়নি। এতে একদিকে যেমন নাবিকদের পরিবারের উদ্বেগ বাড়ছে ঠিক তেমনি এর প্রভাব শিপিং বাণিজ্যে পড়ছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। এ ধরনের ঘটনা খুবই অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার (১৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আন্তর্জাতিক নৌ রুটে জাহাজ জিম্মির মতো ঘটনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্তরায়। এসময় ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চান তিনি। জাহাজটি উদ্ধারে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করায় সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি উদ্ধারে সরকার সচেষ্ট হবে। এ ঘটনায় সহমর্মিতা জানাতে এফবিসিসিআই সভাপতি ফোন করেন কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহানকে। তাদেরকে তিনি সান্তনা দেন। নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারে মালিকপক্ষের তৎপরতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।  
সরকারের বেধে দেওয়া দামে মিলছে না কোনো পণ্য
রমজান এলেই যেন দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন ব্যবসায়ীরা। এবারও ব্যতিক্রম ঘটছে না তার। রমজানের বেশ আগ থেকে মজুতদার ও অসাধু ব্যবসায়ীদের দমনে সরকার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে এলেও রমজানে বাজার পরিস্থিতি তথৈবচ। রোজার প্রথম সপ্তাহেই ভোক্তা সাধারণের পকেটে পড়েছে টান। সরবরাহ কম, ভ্যাট বেশি, ডলার সংকট- বিভিন্ন অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়েই চলেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। শেষ পর্যন্ত গতকাল শুক্রবার গরুর মাংস, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেধে দেয় সরকার। এরপরও শনিবার (১৬ মার্চ) বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই বাজার চড়া। সরকারের বেধে দেওয়া দামে মিলছে কিছুই।  বাজারের এমন অব্যবস্থাপনায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ ক্রেতা সাধারণ। তাদের অভিযোগ, শুধু দাম নির্ধারণ করে দিয়েই দায় সারছে সরকার। সিন্ডিকেটের লাগাম টানতে সরকার যে কঠোর হুঁশিয়ারির কথা বলে আসছে তার প্রয়োগ নেই বাজারে। নিয়মিত তদারকি ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের অভাবে বাজারের নিয়ন্ত্রণ এখনও লাগামহীন সিন্ডিকেটের হাতেই।   শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজার, শ্যামবাজার, রায়সাহেব ও নয়াবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা মেলে অব্যবস্থাপনার এই চিত্রের।  বাজারে এখনও গরুর মাংস ৭৮০ টাকা, মুরগির মাংস ৩৫০ টাকা, মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, মুগডাল ১৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া সবজি ও মাছসহ সবকিছুই আগের মতো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে।   কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারিত দাম না মানার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের অজুহাত, অতিরিক্ত গাড়িভাড়া ও ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে দাম কমানো সম্ভব নয় তাদের পক্ষে।   রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি আলু মানভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা ১০০, পটল ১০০, ঝিঙা ৮০, টমেটো ৬০-৭০ টাকা, শিম ৪০-৬০, শসা ৬০ টাকা, ক্ষিরা ৫০ টাকা, মরিচ ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ধনে পাতা ৮০-১০০ টাকা, পেঁয়াজ কলি ৪০ টাকা, আদা ২০০ টাকা ও রসুন ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৬০ টাকায়।   মাংসের বাজারেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৫০টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।   মাছের বাজারেও একই অবস্থা। প্রতি কেজি রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০ টাকা, পাঙাস মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা,  পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, টেংরা মাছ ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পুঁটি মাছ ৫০০ টাকা, মেনি মাছ ৬০০ টাকা, বেলে মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, চিতল মাছ ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে শনিবার। এ ছাড়া প্রকারভেদে প্রতি কেজি মুগডাল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, মুসুর ডাল ১১০ থেকে ১৩৫ টাকা, মটরডাল ১৬০ টাকা, খেসারি ডাল ১৪০ টাকা এবং ছোলা ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল, প্রতি কেজি চিনি টাকা। চড়ামূল্যে বিক্রি হচ্ছে ডিমও। প্রতি ডজন মুরগির ডিম ১৩৫-১৮০ টাকা ও হাঁসের ডিম ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে বাজারভেদে।  সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন সে ব্যাপারে জানেন কি না, এই প্রশ্নের জবাবে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকার দাম বেধে দিলেও আগের দামেই পণ্য কিনতে হচ্ছে তাদের। তার সঙ্গে আছে শ্রমিক খরচ, গাড়িভাড়া, খাবার খরচ। সব মিলিয়ে বেশি দামেই পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।  কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, আড়তদার যে দাম রাখে তার ওপর নির্ভর করে তারা বিক্রি করেন। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ভালো কথা। কিন্তু তারাও যেন সঠিক দামে পণ্য কিনতে পারেন সেদিকে সরকারের খেয়াল রাখা দরকার।  এদিকে শনিবার কারওয়ান বাজারে সদাই কিনতে আসা মফিজুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, শুধু দাম নির্ধারণ করে দিলেই তো ব্যবসায়ীরা মানছে না। বেধে দেওয়া দামে যেন তারা পণ্য বিক্রি করেন, সেজন্য কঠোর নজরদারি দরকার। সিন্ডিকেট নিয়ে শুধু হুঁশিয়ারিই শুনি। কিন্তু আজ পর্যন্ত সিন্ডিকেট করে কারা, তাই জানতে পারলাম না।   লাগামহীন সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরবরাহ ও চাহিদা বাজারে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে। মুক্তবাজারের সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি না হলে নির্ধারণ করে দিয়ে মূল্য কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়। সবচেয়ে বড় কথা ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি হচ্ছে। সেটা বন্ধে সরকারকে আগে নজর দিতে হবে৷ প্রসঙ্গত, শুক্রবার সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিমের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।  প্রজ্ঞাপনে গরুর মাংস, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেধে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।   এদিকে রমজানের বাজারে বাড়তি মুনাফা কামিয়ে নিতে চালবাজিতে মেতে উঠেছে চালকল মালিকরাও। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হুট করে গরিবের সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০-২০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। যার প্রভাব গিয়ে পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারেও। পেটে এক মুঠো ভাত জুটাতে গিয়ে চোখে সরষে ফুল দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অটোরাইস মিল মালিক সমিতি সূত্র বলছে, ধান থেকে চাল তৈরিতে ব্যাঘাত হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে একটু। এ ছাড়া সরকার চাল কিনে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করছে ও সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সাধারণ মানুষকে দিচ্ছে। এ কারণে দাম তুলনামূলক বাড়ছে। মিল মালিক সমিতির এই খোঁড়া যুক্তির ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না খোদ পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের চাল ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, রোজার মাসকে টার্গেট করে যৌক্তিক কোনও কারণ ছাড়াই মিল পর্যায়ে সব ধরনের চালের দাম বাড়ানো হয়েছে।  রাজধানীর কাওরান বাজারের আল্লাহ দান রাইস এজেন্সির মালিক ও পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে মিল পর্যায় থেকে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে না। যে পরিমাণ চাল অর্ডার করা হচ্ছে, দিচ্ছে তার কম। এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে মিল মালিকরা। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চালের দাম কেন বেড়েছে, তা তদারকি করে বের করা হবে। মিল থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে তদারকি করা হবে। অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।