• ঢাকা সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১
logo
এবিসি নিউজের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করে ট্রাম্প পাচ্ছেন দেড় কোটি ডলার
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের
আসাদ সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট পরিস্থিতি সিরিয়ার পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আলোচনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলছে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করে নেওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জর্ডানে সিরিয়া ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক ও পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে সংলাপে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে তাদের কার্যক্রম এবং শাসন ব্যবস্থার বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, সিরিয়ার ক্ষমতায় বসা গোষ্ঠীটি একসময় আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাদেরকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে জর্ডানে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা। এতে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং নতুন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেন উপস্থিত আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তাদের লক্ষ্য, দেশটিতে একটি ঐক্যবদ্ধ এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করা। জর্ডানে অনুষ্ঠিত ওই সংলাপে সাংবাদিকদের ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা এইচটিএস এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা আমাদের নীতিগুলো জানিয়েছি, যা চলমান সহায়তার জন্য প্রযোজ্য। এই নীতিগুলো এখন অঞ্চলজুড়ে এবং এর বাইরেও গ্রহণ করা হয়েছে। সিরিয়ায় ক্ষমতা দখলকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা এমন সময়ে জানালেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যখন প্রায় ১২ বছর পর দামেস্কে কার্যক্রম শুরু করেছে তুরস্কের দূতাবাস। ২০১১ সালে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারের সহিংসতার জেরে দূতাবাসটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় তুরস্ক সরকার। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
ওপেন এআই’র দুর্নীতি ফাঁস করা যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদন / রাজনৈতিক বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে প্রচার করেছে আওয়ামী লীগ 
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর / ২০২৩ সালে বাংলাদেশে কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলা হয়নি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র
প্রথম যোগাযোগে সিরিয়ার বিজয়ী বিদ্রোহীদের যে আহ্বান জানাল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ার বিদ্রোহী জোটের নেতৃত্ব দেওয়া গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বাইডেন প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা ও মার্কিন কংগ্রেসের এক সহযোগী। এ সময় অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া পরিচালনার মাধ্যমে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে এইচটিএসের যোগাযোগ হয়। এইচটিএস সরাসরি দেশটির নেতৃত্ব গ্রহণ না করে তার বদলে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া পরিচালনার মাধ্যমে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন জানান, এই যোগাযোগের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের টিমকেও সবকিছু জানাচ্ছে। তিনি জানান, গোষ্ঠীটিকে সিরিয়ার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক শাসন কাঠামো প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক প্রচেষ্টায় পথ দেখিয়ে সহায়তা করার বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এসব বার্তা সরাসরি দেওয়া হয়েছে না মধ্যবর্তী কারও মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে তা জানাতে রাজি হননি তিনি। এই কর্মকর্তা জানান, আন্তর্বর্তী সরকারকে সিরিয়ার জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করা উচিত বলে ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে এবং আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নতুন নেতা বেছে নেওয়া ছাড়াই এইচটিএসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়াকে সমর্থন করবে না। এর আগে গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ওয়াশিংটন সিরিয়ার সেই ভবিষ্যৎ সরকারকে স্বীকৃতি দেবে যারা বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অসাম্প্রদায়িক শাসক হবে। এইচটিএসের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীরা রোববার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক দখল করে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের দীর্ঘদিনের শাসনের অবসান ঘটায়।  ২০১৩ সালে এই এইচটিএস গোষ্ঠীটি আগে আল কায়েদার সঙ্গে জোটবদ্ধ ছিল আর একে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা দিয়ে রেখেছে। সেসময় এইচটিএসের নেতা আহমেদ আল-শারাকে (আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামেই বেশি পরিচিত) সন্ত্রাসীর তকমা দেয়।  তারা বলেছিল, ইরাকের আল কায়েদা আসাদকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের জন্য শারাকে দায়িত্ব দিয়ে সিরিয়ায় ইসলামিক শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে বলেছিল। এইচটিএসের পূর্বসূরী নুসরা ফ্রন্ট সিরিয়াজুড়ে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে বেসামরিকদের হত্যা করেছিল এবং সহিংস সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করতো। আরটিভি/এসএপি
ফের টাইমের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ ট্রাম্প
আবারও মার্কিন সাময়িকী টাইমের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি বছর তাকে ফের নির্বাচন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভোরে ম্যাগাজিনটি ট্রাম্পের নাম ঘোষণা করে। সোমবার এ বছর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে টাইম। খবর ডেইলি মেইলের। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্পকে এবার দ্বিতীয়বারের মতো ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ করা হল। এর আগে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো তাকে এই খেতাব দেয়া হয়। ওয়াল স্ট্রিটে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের উদ্বোধনী ঘণ্টা বাজানোর মাধ্যমে এই উপলক্ষ উদযাপন করবেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুবাদে ২০২৪ সালে বছরজুড়েই আলোচনায় ছিলেন ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিক ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণাকালে দুই দুইবার হত্যাচেষ্টার শিকার হন তিনি। বছরের শেষ দিকে অর্থাৎ গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ট্রাম্প। আরটিভি/এসএপি  
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান তিনি। সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক মিশনে সহিংস হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বিষয় ও বাংলাদেশ নিয়ে ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক বক্তব্য-বিবৃতি সম্পর্কে ওয়াশিংটানের কী কোনও মন্তব্য আছে? সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, সব পক্ষ তাদের মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করবে, সেটাই আমরা দেখতে চাই। প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই দুদেশের সম্পর্ক হিমশীতল অবস্থায় পৌঁছেছে। সবশেষ ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনাও ঘটে। আরটিভি/এসএপি/এআর
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়া বন্ধের ঘোষণা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার বিধান বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িতদের ক্ষমার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।  সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই ২০২১ সালে ক্যাপিটল দাঙ্গায় জড়িতদের ক্ষমার দিকে তিনি নজর দেবেন বলে জানিয়েছেন। এনবিসি-র মিট দ্য প্রেস-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, এই মানুষগুলো নরকযন্ত্রণা ভোগ করছে। গত নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভের পর এই প্রথম কোনো সম্প্রচার নেটওয়ার্কে ইন্টারভিউ দিলেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী যে কারও জন্য স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব পাওয়ার যে প্রক্রিয়া রয়েছে সেটিও বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে শিশু অবস্থায় নিয়ে আসা নথিপত্রবিহীন কিছু অভিবাসীকে সহায়তায় ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। গত শুক্রবার রেকর্ড করা এই ইন্টারভিউতে ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন শুরুর পর অভিবাসন, জ্বালানি এবং অর্থনীতিসহ ‘অনেকগুলো’ নির্বাহী আদেশ জারি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ছাড়া ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদান কমানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে হামলা চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। কংগ্রেসের যৌথ ওই অধিবেশনে সেদিন জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল। একপর্যায়ে ক্যাপিটল ভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ও মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। হামলাকারীদের অনেকেই ছিল সশস্ত্র। ভেতরে ঢুকে সিনেট হলে তাণ্ডব চালায় তারা। শুধু তাই নয়, তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার কার্যালয়ও তছনছ করে তারা। হামলা-সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন পাঁচজন। এনবিসি-র মিট দ্য প্রেস-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি সেই দাঙ্গায় জড়িত থাকার জন্য দোষী সাব্যস্ত কয়েক শ’ লোককে ক্ষমা করতে চাইবেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, আমরা মামলাগুলো দেখব। হ্যাঁ, কিন্তু আমি খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। (আর সেটা) প্রথম দিনেই। অভিবাসন প্রসঙ্গে ট্রাম্প এনবিসিকে বলেন, তিনি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তথাকথিত জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিধান বাতিল করার পরিকল্পনা করছেন। এই নীতির আওতায়, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া যে কেউ তার বাবা-মা অন্য দেশে জন্মগ্রহণ করলেও মার্কিন পাসপোর্ট তথা নাগরিকত্ব পেয়ে থাকেন। জন্মগত নাগরিকত্বের বিধানটির মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে নিশ্চিত করা হয়েছে। এ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী সব ব্যক্তিই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তবে ট্রাম্প বলছেন, এই নিয়ম বদলাতে হবে। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, নথিবিহীন অভিবাসী পরিবারের সদস্যরা মার্কিন নাগরিক হলেও তাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন তিনি। এ বিষয়ে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, আমি পরিবারগুলোকে আলাদা করতে চাই না। কাজেই পরিবার না ভাঙার একমাত্র উপায় হলো তাদের সবাইকে একসঙ্গে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া। উল্লেখ্য, মার্কিন নাগরিকত্ব-গ্রিনকার্ড অর্জনের একটি সহজ এবং জনপ্রিয় পথ হচ্ছে মার্কিন ভূখণ্ডে সন্তান জন্মদান। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, কোনো শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্র তাকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হয় এবং ওই শিশুর বয়স ১৮ পার হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে বড় করা এবং দেখাশোনা করার জন্য তার বাবা-মাকে বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়। আর একবার বৈধ বসবাসের অনুমতি পেলে নাগরিকত্ব ও গ্রিনকার্ড প্রাপ্তির পথও অনেক সহজ হয়। ফলে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বৈধ নথিবিহীন অভিবাসীদের জন্য বড় ধাক্কা। আরটিভি/একে/এস
যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে ‘চুক্তিতে’ আগ্রহী জেলেনস্কি: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে ‘চুক্তি’ করতে আগ্রহী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।  রোববার (৮ ডিসেম্বর) ফ্রান্সের প্যারিসে দুজনের বৈঠক শেষে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা বলেন। এদিকে, ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর নামের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য প্রায় ১০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।  যুদ্ধ বন্ধে ট্রুথ স্যোশালে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, ‘একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর এবং এই পাগলামি বন্ধের পথ বেছে নেবে জেলেনস্কি ও ইউক্রেন।’   তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং আলোচনা শুরু হওয়া উচিত। অপ্রয়োজনে অনেক বেশি প্রাণ ঝরে গেছে, অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। যদি এভাবে চলতে থাকে, এটি আরও বড় ও খারাপ কিছুতে রূপ নেবে।  প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে রাশিয়া। দুই বছরের বেশি সময়ের এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের বহু সেনা ও হতাহত হয়েছে। নিহত ও উদ্বাস্তু হয়েছে ইউক্রনের লাখ লাখ সাধারণ মানুষ। এই যুদ্ধে শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। আরটিভি/কেএইচ-টি
ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী মন্ত্রিসভা পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
আর মাত্র দেড় মাস বাদেই হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন হতে যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। অভিষেকের আগে এই মূহুর্তে নিজের মন্ত্রিসভা সাজাতে ব্যস্ত রিপাবলিকান এ নেতা, যেখানে জায়গা পেতে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন ধনকুবের। ট্রাম্পের এ অভিজাত মন্ত্রিসভায় আছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি ইলন মাস্ক ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামস্বামীর মতো ব্যক্তিরাও। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ট্রাম্প যাদেরকে মন্ত্রিসভায় নিয়েছেন, তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৪০ বিলিয়ন ডলার। এর মাধ্যমে এবার ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী মন্ত্রিসভা গঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নিজ মন্ত্রিসভায় আরও কয়েকজনকে যোগ করবেন ট্রাম্প। দ্য গার্ডিয়ান বলছে, ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় এমন অন্তত ১১ জন আছেন, যাদের নিজস্ব বা পরিবারের এক বিলিয়ন ডলার করে আছে। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে ট্রাম্প অসংখ্যবার বলেছেন, বাইডেন সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ ও দুর্নীতিবাজদের নিয়ে সরকার চালাচ্ছেন। অথচ তিনি এবার যাদের নিয়ে মন্ত্রিসভা তৈরি করেছেন, তাদের অধিকাংশই শত শত কোটি ডলারের মালিক। গত ২৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হন ট্রাম্প। ২০১৬ সালে তিনি যে মন্ত্রিসভা গঠন করেন সেটিও মার্কিন সরকারের ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী মন্ত্রিসভা ছিল। এবার তিনি সেটিকেও পেছনে ফেললেন। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে, চীন বলেছে, যদি এমন কিছু হয় তাহলে এটি দুই দেশের কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।  আরটিভি/এসএইচএম/এস
ট্রাম্পের অভিবাসীদের গণবিতাড়ন পরিকল্পনার সমালোচনায় কিউবা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশে অনিয়মিতভাবে অবস্থানরত কিউবাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের ঢালাওভাবে বিতাড়নের যে পরিকল্পনা নিয়েছেন সেটিকে বাস্তবসম্মত মনে করছে না কিউবা। দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এ কথা বলেছেন। অভিবাসনবিরোধী বড় অভিযানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। রানিং মেট জেডি ভেন্সকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বছরে দশ লাখের মতো অনিয়মিত অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে চান। কিউবার রাজধানী হাভানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে অভিবাসন বিষয়ক নিয়মিত বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেন কার্লোস ফার্নান্দেজ দ্যে কসিও। এধরনের বিতাড়ন প্রক্রিয়ার যাচাইবাছাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবার মধ্যে ইতোমধ্যে কার্যকর থাকা চুক্তির মধ্যে হতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দ্যে কসিও বলেন, এই প্রেক্ষাপটে এমনটা চিন্তা করা অবাস্তব যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিউবায় গণবিতাড়ন ঘটতে পারে। ইতোমধ্যে কার্যকর চুক্তির আওতায় বাইডেন প্রশাসনের আমলে অল্প সংখ্যক মানুষকে আকাশ এবং সাগর পথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত এনেছে কিউবা। ইতোমধ্যে টম হোমানকে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। অভিবাসন বিষয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই কর্মকর্তা অপরাধী এবং চূড়ান্ত বিতাড়নের নির্দেশনা পাওয়া ব্যক্তিদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠী বা জাতীয়তাকে বাদ দেয়ার কোনো পরিকল্পনা তিনি জানাননি। আরটিভি/এএইচ