• ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
কানাডাতে আশ্রয়ের বিষয়ে সতর্কতামূলক বিজ্ঞাপন
অভিষেকের আগেই ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, নয়তো ভয়াবহ পরিণতি: ট্রাম্প
আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সেই অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেই হামাসের কাছে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তি চান তিনি। হামাস যদি তাদের মুক্তি না দেয়, তবে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সোমবার (২ ডিসেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। ওই বার্তায় তিনি লিখেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের চলমান যুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও অমানবিকভাবে এবং পুরো বিশ্বের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাদেরকে জিম্মি রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তির জন্য সবাই সরব; কিন্তু সবাই শুধু কথাই বলছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ট্রাম্প তার সতর্কবার্তায় আরও লিখেন, ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি আমার অভিষেক অনুষ্ঠান। যদি তার আগে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ পরিণতি ঘটবে। যুক্তরাষ্ট্র এমন আঘাত হানবে, যা এর আগে তার দীর্ঘ ইতিহাসে কখনও ঘটেনি। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সহিংসতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের সবাইকে নরকে পাঠানো হবে। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর মার্কিন সিনেটের সদস্য এবং ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান পার্টির রাজনীতিবিদ লিন্ডসে গ্রাহাম এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, নিজের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চান ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং সেখানে যুদ্ধবিরতির জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি তিনি চাইছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেই যেন এ ব্যাপারে সুরাহা হয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা। এর প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ওইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। ভয়াবহ এ অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৪৪ হাজার ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও এক লক্ষাধিক। এই জিম্মিদের মধ্যে ১০৭ জনকে গত বছর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঘোষিত এক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। তারপর গত এক বছরে কয়েকজন জিম্মিকে উদ্ধার করতে পেরেছে ইসরায়েলি বাহিনী, কয়েকজন নিহতও হয়েছেন। বর্তমানে হামাসের কাছে ১০১ জন ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরটিভি/এসএইচএম  
ছেলেকে ক্ষমা করলেন বাইডেন
নতুন মুদ্রায় ট্রাম্পের নারাজি, ব্রিকসকে ১০০ শতাংশ শুল্কের হুমকি
ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেলকে এফবিআইপ্রধান করলেন ট্রাম্প
মার্কিন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতার বাড়িতে হামলার হুমকি
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতিতে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য
ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যকার যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদিত হওয়ার পর পরই পৃথক বিবৃতিতে একে স্বাগত জানায় ইসরায়েলের ঘনিষ্ট দুই মিত্র দেশ। খবর আল জাজিরার। বুধবার (২৮ নভেম্বর) থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যকার এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এর মধ্যদিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এক রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে।  এই যুদ্ধবিরতিকে ‘সুসংবাদ’ বলে অভিহিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই চুক্তির উদ্দেশ্য ‘শত্রুতা স্থায়ীভাবে বন্ধ’ করা। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানিজ সেনাবাহিনী ‘তাদের নিজস্ব অঞ্চলের’ নিয়ন্ত্রণ নেবে। সেইসঙ্গে একটা প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, চুক্তিটি ভঙ্গ হলে ইসরায়েল তার ‘আত্মরক্ষার’ অধিকার চর্চা করবে। এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি বেসামরিক জনগণকে কিছুটা স্বস্তি দেবে।  এরপর তিনি ‘দীর্ঘ সময় ধরে’ চলা এ শত্রুতা বন্ধের প্রশংসা করেন এবং যুদ্ধবিরতিকে ‘লেবাননে একটি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানে পরিণত’ করার আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে একইরকমভাবে গাজায়ও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সামাজিক যগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির দিকে এগোতে হবে। সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার ওপর থেকে বিধিনিষেধ অপসারণ করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের এক হামলার প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনের গাজায় বড় ধরনের সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। একই সময়ে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গেও সংঘাত শুরু হয় তাদের। প্রথমদিকে সংঘর্ষের মাত্রা তীব্র না হলেও চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে লেবাননে বিমান হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। এরপর অক্টোবরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী এবং হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করে। হিজবুল্লাহও পাল্টা জবাব দেয়। এর মধ্যদিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দেয়। যুদ্ধের ভয়াবহতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে হতাহতের সংখ্যা।  সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যুদ্ধবিরতি কার্যকরে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেন। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে হিজবুল্লাহ ও লেবানন সরকার। রোববার (২৪ নভেম্বর) এ প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মতি জানায় ইসরায়েল। এদিন রাতে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকের পর সম্মতি জানান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপর মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন নেতানিয়াহু। বৈঠকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা চুক্তি কার্যকর করব। তবে চুক্তির কোনো লঙ্ঘন হলে জোর প্রতিক্রিয়া জানাব।’  ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয় সাপেক্ষে আমরা সামরিক তৎপরতা বন্ধ রাখব। তবে যদি হিজবুল্লাহ চুক্তি লঙ্ঘন করে বা ফের সশস্ত্র হওয়ার চেষ্টা করে, আমরা আঘাত করব।’  আরটিভি/এসএইচএম  
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গুরুতর মামলা খারিজ
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনী ফলাফল বদলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলা খারিজ করেছেন ফেডারেল বিচারক।  স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ নভেম্বর) মামলাটি খারিজ করেন বিচারপতি তানিয়া চুটকান। খবর বিবিসির। এর আগে সোমবারই মামলাটি খারিজ করতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদ শেষে নিজের কাছে সরকারি গোপন নথি রাখার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছিল, সেটিও খারিজের আবেদন করেন তিনি। অবশ্য মামলা দুটি নিয়ে মার্কিন আদালতের এত দিন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন জ্যাক স্মিথ। দুই মামলাতেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন ট্রাম্প। সোমবার আদালতে করা আবেদনে স্মিথ জানান, নির্বাচনে জয়ের পর ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে বসলে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করতে হবে। এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পান ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। বসবেন হোয়াইট হাউসের গদিতে। পরবর্তী চার বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এরপর তার বিরুদ্ধে করা নির্বাচনের ফল বদলানোর চেষ্টার মামলার বিচার আবার শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি তানিয়া চুটকান। আরটিভি/এআর-টি
দায়িত্ব নিয়েই তিন দেশের ওপর বড় ট্যাক্স আরোপ করবেন ট্রাম্প 
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দিনই তিনটি দেশের ওপর বড় ধরনের ট্যাক্স আরোপ করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।  নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের রোষানলে পড়তে যাওয়া দেশ তিনটি হলো মেক্সিকো, কানাডা ও চীন। এদের মধ্যে মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ট্যাক্স (শুল্ক) আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ সীমান্ত পারাপার ও মাদক চোরাচালানের জবাবে এই ট্যাক্স আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। খবর আলজাজিরার। সোমবার (২৫ নভেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্যাক্স আরোপের এ ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ঘোষণা অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসী ও মাদকের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তার এই পদক্ষেপগুলো বলবৎ থাকবে।  ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্প লিখেছেন, মেক্সিকো ও কানাডা—দুই দেশেরই অবৈধ অভিবাসী সংক্রান্ত এই দীর্ঘদিনের সমস্যা সহজেই সমাধান করার পূর্ণ অধিকার ও ক্ষমতা রয়েছে। আমরা তাদের কাছে এই ক্ষমতা ব্যবহারের দাবি করছি এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা তা করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বড় মূল্য দিতে হবে। পরবর্তীতে আরেক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লিখেমন, যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল চোরাচালান বন্ধে পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের শুল্ক ছাড়াও চীনের ওপর আরও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শিগগিরই হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন হওতে যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। নিজের মন্ত্রিসভা গোছানোর কাজটাও সেরে ফেলেছেন এরই মধ্যে। আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। এদিনই হোয়াইট হাউসের গদিতে বসবেন তিনি।  এবারের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই সব চীনা পণ্য আমদানির ওপর ৬০ শতাংশ বা তার বেশি শুল্ক আরোপ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত যানবাহনের ওপর এক হাজার শতাংশ বা তারও বেশি শুল্ক আরোপের কথা বলেছিলেন তিনি। আরটিভি/এসএইচএম-টি
৩৬ ঘণ্টার মধ্যে লেবাননে যুদ্ধবিরতি, ঘোষণা দেবেন বাইডেন ও ম্যাক্রোঁ 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ পরিকল্পনায় আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবেন বলে লেবানিজ সূত্রের বরাতে দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।  এদিকে, ইসরায়েল এবং লেবানন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি বলে মনে করছেন ইসরায়েলি ও মার্কিন কর্মকর্তারা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসবেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীসভা।  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে লড়াই শেষ করতে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং ওই এলাকায় হিজবুল্লাহর উপস্থিতির অবসান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবিও বলেছেন, ইসরায়েল এবং লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তি ‘ঘনিষ্ঠ’ এবং আলোচনা সঠিক পথে চলছে। তবে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটিকে  একটি গুরুতর ভুল বলে অভিহিত করে বলেছেন, এখন হিজবুল্লাহকে সামরিকভাবে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া এবং ধ্বংস করার একটি ঐতিহাসিক সুযোগ।   এর আগে মার্কিন বিশেষ দূত আমোস হোচস্টেইন গত সপ্তাহ বৈরুত জেরুজালেম ও লেবানন সফর করে সবপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেছেন সম্ভাব্য চুক্তিটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এটাই তাদের শেষ সুযোগ। প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলার মাঝেই ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ দুপক্ষের মধ্যে বৈরিতা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহান্তে ইসরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা জোর দার করেছে। শনিবার বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলের তুমুল বিমান হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়। এর পাল্টা জবাবে রোববার হিজবুল্লাহও ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে মুহুর্মূহু শত শত রকেট হামলা চালায়। ইসরায়েল ফের এর জবাবে সোমবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে আরও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। আরটিভি/কেএইচ/এআর
প্রশাসন গোছানোর কাজ সেরে ফেললেন ট্রাম্প, মনোনয়ন পেলেন যারা
১৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিশ্বস্তদের নিয়ে নিজের পরবর্তী প্রশাসন গোছানোর কাজও ইতোমধ্যে সেরে ফেলেছেন তিনি। সবশেষ দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ব্রুক রলিন্সকে কৃষিমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার মধ্য দিয়ে পূর্ণ হয়ে গেল তার ১৫ সদস্যের মন্ত্রিসভা।   ট্রাম্পের ১৫ সদস্যের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন ৫ জন নারী। অবশ্য মনোনয়নপ্রাপ্ত সবার নিয়োগ চূড়ান্ত হতে অনুমোদন লাগবে মার্কিন সিনেটের। তবে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য স্বস্তির বিষয়, সিনেটের নিয়ন্ত্রণও এবার তার দল রিপাবলিকান পার্টির দখলে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, তার মনোনীত মন্ত্রীসভা কেমন হলো-  মার্কো রুবিও, পররাষ্ট্রমন্ত্রী  যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কো রুবিওকে বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কো ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর। তিনি বিগত বছরগুলোয় চীন, ইরান, কিউবাসহ যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতি সম্মান রেখেই শক্তিশালী মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে কথা বলেছেন। কিউবান অভিবাসী মা–বাবার সন্তান রুবিও। তিনি ইসরায়েলের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দীর্ঘদিনের সমালোচক হিসেবে পরিচিত তিনি। স্কট ব্যাসেন্ট, অর্থমন্ত্রী পরবর্তী প্রশাসনে অর্থমন্ত্রী পদে স্কট ব্যাসেন্টকে মনোনয়ন দিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের করনীতি, সরকারি ঋণ, আন্তর্জাতিক অর্থায়ন, নিষেধাজ্ঞার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলিতে তিনি নেতৃত্ব দেবেন। ব্যাসেন্ট ওয়াল স্ট্রিটের স্বনামধন্য বিনিয়োগকারী। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে শুরু থেকেই ট্রাম্পকে সমর্থন জুগিয়েছেন তিনি।  লোরি শাভেজ-ডিরেমার, শ্রমমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রশাসনে শ্রমমন্ত্রী পদে ৫৬ বছর বয়সী লোরি শাভেজ-ডিরেমারের নাম ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান এই রাজনীতিক অরেগন থেকে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। তাঁর প্রতি ট্রেড ইউনিয়নগুলোর সমর্থন রয়েছে। হওয়ার্ড লাটনিক, বাণিজ্যমন্ত্রী  ট্রাম্প তার পরবর্তী প্রশাসনে বাণিজ্যমন্ত্রী পদে ধনকুবের হওয়ার্ড লাটনিককে মনোনয়ন দিয়েছেন। লাটনিক মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ক্যানটর ফিৎসজেরাল্ডের প্রধান। তিনি রিপাবলিকান পার্টির ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতিসংক্রান্ত দলের কো-চেয়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ট্রাম্পের ভাষ্য, লাটনিকের ওয়াল স্ট্রিটে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। ব্রুক রলিন্স, কৃষিমন্ত্রী দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ব্রুক রলিন্সকে পরবর্তী প্রশাসনে কৃষিমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দিয়েছেন ট্রাম্প। রলিন্স চিন্তকপ্রতিষ্ঠান আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে অফিস অব আমেরিকান ইনোভেশনের পরিচালক ছিলেন তিনি। এ ছাড়া রলিন্স হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ নীতি কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাম বন্ডি, অ্যাটর্নি জেনারেল ট্রাম্প তার পরবর্তী প্রশাসনে অ্যাটর্নি জেনারেল পদে পাম বন্ডিকে মনোনয়ন দিয়েছেন। ফ্লোরিডার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন বন্ডি। তিনি এ পদে ছিলেন ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত। তিনি ট্রাম্পের আগের মেয়াদে মাদক ও ওষুধের অপব্যবহার-সংক্রান্ত কমিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। চিন্তক প্রতিষ্ঠান আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের আইনি শাখার নেতৃত্ব পর্যায়েও দায়িত্ব পালন করেছেন বন্ডি। এই থিঙ্কট্যাংকের কর্মীরা ট্রাম্পকে নীতিনির্ধারণে সহায়তা করেছেন। আর এফ কে জুনিয়র, স্বাস্থ্যমন্ত্রী   ৭০ বছর বয়সী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ট্রাম্পের হবু প্রশাসনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদে মনোনয়ন পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন তিনি। খ্যাতিমান এ মার্কিন রাজনীতিককে নিয়ে রয়েছে বিতর্কও। করোনার টিকার বিরোধিতা করে এ নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্বও প্রচার করেছেন তিনি। তিনি অপ্রমাণিত এই ধারণা ছড়িয়েছেন যে শৈশবে টিকা দিলে প্রতিবন্ধিত্ব ডেকে আনতে পারে। করোনার টিকাকে প্রাণঘাতী বলেও দাবি করেছেন তিনি।  পিট হেগসেথ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রাম্পের হবু প্রশাসনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে মনোনয়ন পেয়েছেন পিট হেগসেথ। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের উপস্থাপক ও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ডের সাবেক এই সদস্য বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দেবেন। ট্রাম্পের প্রিয় সংবাদ নেটওয়ার্ক ফক্স নিউজে ২০১৪ সালে যোগ দেন হেগসেথ। সপ্তাহান্তের একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে থাকেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের কর্মীদের সামলাতে হবে তাঁকে। ডগ বারগাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  ৬৮ বছর বয়সী ডগ বারগামকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি নর্থ ডাকোটার গভর্নর। সম্পদশালী বারগাম সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের একজন সাবেক নির্বাহী। বারগাম নিজেকে একজন প্রথাগত ব্যবসায়িক মনমানসিকতার রক্ষণশীল ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেন। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে একসময় রিপাবলিকান পার্টি থেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তিনি। পরে অবশ্য মনোনয়নের দৌড় থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নেন, ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করেন। ক্রিস রাইট, জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস রাইটকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রী করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। রাইট জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পক্ষে। লিবার্টি এনার্জি নামের ডেনভারভিত্তিক একটি তেলক্ষেত্র পরিষেবা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তিনি। তেল-গ্যাসের সর্বোচ্চ উৎপাদনের পক্ষে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় তিনি সমর্থন দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর উপায় খুঁজতে ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে এগিয়ে নেবেন। সোন ডাফি, পরিবহনমন্ত্রী ট্রাম্প তার পরবর্তী প্রশাসনে পরিবহনমন্ত্রী পদে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য সোন ডাফিকে মনোনয়ন দিয়েছেন। উইসকনসিন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। সোন ডাফি একসময় মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজের নিয়মিত প্রদায়ক ছিলেন। তিনি ‘ফক্স বিজনেস’ নামের একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন। ফক্স নিউজ ছাড়াও তিনি অন্যান্য টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। লিন্ডা ম্যাকমোহন, শিক্ষামন্ত্রী  ট্রাম্প তার ট্রানজিশন টিমের (ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া তদারক দল) কো-চেয়ার লিন্ডা ম্যাকমোহনকে দেশটির পরবর্তী শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন। লিন্ডা ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের (ডব্লিউডব্লিউই) সাবেক নির্বাহী। স্বামী ভিন্স ম্যাকমোহনের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট গড়ে তোলেন। লিন্ডা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে তাঁর প্রশাসনে কাজ করেছেন। তিনি ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্মল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২১ সাল থেকে ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের বোর্ড চেয়ারপারসন হিসেবে কাজ করেছেন লিন্ডা। ডগ কলিন্স, ভেটেরানস অ্যাফেয়ার্সমন্ত্রী  ইরাক যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ডগ কলিন্সকে হবু প্রশাসনে ভেটেরানস অ্যাফেয়ার্সমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি একজন আইনজীবী ও অবসরপ্রাপ্ত রাজনীতিক। ক্রিস্টি নোয়েম, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক মন্ত্রী    ট্রাম্পের হবু প্রশাসনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন সাউথ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ক্রিস্টি নোয়েম। তিনি ট্রাম্পের রানিংমেট (ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী) হতে পারেন বলে এবারের নির্বাচনের আগে আলোচনা ছিল। ২০২২ সালের নির্বাচনে বড় জয় নিয়ে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে সাউথ ডাকোটার গভর্নর নির্বাচিত হন। করোনা মহামারির সময় নিজের অঙ্গরাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার বিরোধিতা করে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনায় আসেন। স্কট টার্নার, আবাসন ও নগর উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে আবাসন ও নগর উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী পদে মনোনয়ন পেয়েছেন স্কট টার্নার। তিনি ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও সাবেক ফুটবলার। টার্নার এর আগে হোয়াইট হাউসের সুযোগ ও পুনরুজ্জীবন কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আরটিভি/এসএইচএম
ট্রাম্পের ‘পর্ন তারকাকে ঘুষ প্রদান’ মামলার রায় স্থগিত
চলতি মাসের ৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ প্রদান মামলার রায় স্থগিত ঘোষণা করেছেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের উচ্চ আদালত। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এ ঘোষণা দিয়েছেন নিউইয়র্ক উচ্চ আদালতের বিচারপতি জুয়ান মার্চান। আগামী সপ্তাহে মামলার রায় ঘোষণার সূচি ছিল। তার আগেই এ স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি মার্চান। এর আগেও দুইবার এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয়।  ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর গত সপ্তাহে এ মামলা খারিজ করে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। শুক্রবার রায় ঘোষণা স্থগিতের পাশাপাশি মামলাটি খারিজের আবেদনের জন্য ট্রাম্পের আইনজীবদের সময়ও বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যে এ আবেদন করতে পারবেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালে নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লেক তাহোয়’তে একটি অভিজাত গলফ টুর্নামেন্টের শো-গার্ল হিসেবে গিয়েছিলেন স্টর্মি। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে এবং প্রাথমিক আলাপ পরিচয়ের এক পর্যায়ে ট্রাম্প তাকে ‘সুন্দর ভবিষ্যতের’ প্রলোভন দেখান। সেই সঙ্গে যে হোটেলে তিনি উঠেছিলেন, সেখানে ডিনারের আমন্ত্রণও জানান ট্রাম্প। ওই সময় ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’ নামে একটি জনপ্রিয় টিভি শো সঞ্চালনা ও উপস্থাপনা করতেন ট্রাম্প। স্টর্মি ভেবেছিলেন, ওই শোতে তাকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ে স্টর্মি হোটেল স্যুটে পৌঁছালে খানিকক্ষণ কথাবার্তার পর তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন ট্রাম্প। এ সময় প্রথম দিকে মৃদু আপত্তি জানালেও পরে আর বাধা দেননি বলে আদালতে জানিয়েছেন স্টর্মি। আদালতকে দেওয়া সাক্ষ্যে স্টর্মি বলেন, ঘটনার পর দ্রুত তিনি স্যুট ত্যাগ করেছিলেন, কিন্তু হোটেলের পার্কিং লটে যখন আসেন তিনি, সে সময় ট্রাম্পের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী তাকে এই ঘটনা গোপন রাখার জন্য হুমকি দেন। আদালতকে স্টর্মি জানান, এ ঘটনার পর তার সঙ্গে দীর্ঘদিন আর যোগাযোগ করেননি ট্রাম্প। নিজের পরিচিত মহলে তিনি  এ ঘটনা জানিয়েছিলেন এবং তাদের প্রতিক্রিয়া ছিল খুবই নেতিবাচক।  আরটিভি/এআর
ট্রাম্পের অর্থমন্ত্রী পদে স্কট বেসেন্টের মনোনয়ন
সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জয়ের পর তিনি তার প্রশাসনে বিভিন্ন পদে মনোনয়ন দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে ধনকুবের স্কট বেসেন্টকে মনোনয়ন দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর এএফপির। বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, স্কট বেসেন্ট মার্কিন কি স্কয়ার গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। তিনি ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।    সংশ্লিষ্টরা জানান, স্কট আমেরিকার জ্বালানি আধিপত্যকে পুনরায় নিশ্চিত করতে চান এবং বিশ্বাস করেন যে, মার্কিন বাজেটের ঘাটতি মোকাবিলা করা প্রয়োজন। এদিকে অর্থমন্ত্রী পদে স্কট ব্যাসেন্টের নাম ঘোষণা করে নিজের সোশ্যাল ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী এবং ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশলবিদ হিসেবে স্কটকে ব্যাপক সম্মান করা হয়। তিনি আরও বলেন, স্কট ‘আমেরিকা ফার্স্ট এজেন্ডার’ দীর্ঘদিনের একজন সমর্থক। আমার নীতিগুলো সমর্থন করার মধ্য দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবকে এগিয়ে নেবেন এবং অন্যায্য বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা বন্ধ করবেন। প্রসঙ্গত, ওয়াল স্ট্রিটের স্বনামধন্য বিনিয়োগকারী স্কট ব্যাসেন্ট একসময় হাঙ্গেরিয়ান-মার্কিন ব্যবসায়ী ও ধনকুবের জর্জ সরোসের জন্য কাজ করেছেন। এ ছাড়া ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশকয়েক বছর শিক্ষকতাও করেন তিনি।  এর বাইরে স্কট ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার কাজের শুরু থেকেই ট্রাম্পকে সমর্থন জুগিয়েছেন। এমনকি প্রচারের সময় ট্রাম্পের প্রশংসা করে তিনি ভোটারদের বলেছিলেন, নতুন একটি স্বর্ণযুগের সূচনা করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। তা হবে নিয়ন্ত্রণমুক্ত, কম দামের জ্বালানির এবং নিম্ন করের। আরটিভি/আইএম/এস