• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে চুপ করে থাকব না: কমলা হ্যারিস
কুখ্যাত মাদক সম্রাট এল মায়ো গ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হয়েছেন মেক্সিকোর মাদকসম্রাট ইসমায়েল এল মায়ো জাম্বাদা।  বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল পাসো এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবর বিবিসির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এল মায়োর সঙ্গে একসময়ের আলোচিত মাদকসম্রাট জোয়াকিন আর্চিভালদো গুজমান লোয়েরা তথা এল চ্যাপোর ছেলে জোয়াকিন গুজমান লোপেজকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বাবা-ছেলে মিলে অপরাধী সংগঠন সিনালোয়া কার্টেল প্রতিষ্ঠা করেন। সিনালোয়া কার্টেল যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় মাদক সরবরাহকারী চক্র। বর্তমানে এল চ্যাপো এখন যুক্তরাষ্ট্রে কারাগারে রয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার এল মায়োকে বিশ্বের শক্তিশালী মাদক মাফিয়াদের একজন হিসেবে ধরা হয়। এই ব্যক্তি হেরোইনের চেয়েও বিপজ্জজনক মাদক ফেন্টানাইল তৈরি ও বিক্রির জন্য অভিযুক্ত ছিলেন।  মার্কিন কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রে ১৮-৪৫ বছর বয়সী নাগরিকদের মৃত্যুর এক বড় কারণ ফেন্টানাইলের ব্যবহার। আগেও তার বিরুদ্ধে খুন, অপহরণসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ ছিল।   বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেন, ‘এ দুই ব্যক্তি বিশ্বের অন্যতম সহিংস এবং শক্তিশালী মাদক পাচারকারী সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন। আমাদের দেশ এ পর্যন্ত যত মাদক হুমকির সম্মুখীন হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ফেন্টানিল। মাদক সম্রাট, চক্রের সদস্য, সহযোগী যারা আমাদের সমাজকে দূষিত করছে, তাদের প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্ত না করা পর্যন্ত বিচার বিভাগ ক্ষান্ত হবে না।’
হোয়াইট হাউজে বাইডেন ও নেতানিয়াহুর বৈঠক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন / কে হবেন কমলা হ্যারিসের রানিং মেট
বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রতিক্রিয়া 
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বাইডেন
নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া
নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাফেরায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে এ পরামর্শ দিচ্ছে দেশ দুটি।  মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে এই সতর্কতা জারি করে। এর আগের দিন সোমবার বাংলাদেশে চলাফেরার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ওয়েবসাইটে একটি বার্তা দেওয়া হয়। মার্কিন দূতাবাস বলছে, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ঢাকা, আশপাশের এলাকা ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। ছাত্রদের এ আন্দোলন স্থানীয়ভাবে পরিবহনসেবায় প্রভাব ফেলতে পারে, যা ঢাকায় আসা-যাওয়া কঠিন করে তুলবে। সতর্কবার্তায় চলমান বিক্ষোভ সংঘর্ষ ও সহিংসতায় রূপ নিতে পারে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা পালন করা উচিত। বিক্ষোভ এ‌ড়ি‌য়ে চলার পাশাপাশি কোনো বড় সমাবেশের আশপাশে থাকলে সতর্কতা অবলম্বন করুন। এ ছড়া সতর্কবার্তায় অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের বিক্ষোভসহ সব ধরনের বড় মিছিল-সমাবেশ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।  প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেশ সহিংস রূপ নেয়। এ দিন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ছয়জন মারা যান। আহত হন কয়েকশ’ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’ প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকেই আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলন এখনও চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকাসহ ৬ জেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।  
কোটা সংস্কার আন্দোলন / দুজন নিহতের অভিযোগ, বিভ্রান্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার নিন্দা জানাই। এই ছাত্র সহিংসতায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের নিয়ে আমরা চিন্তিত।’  সোমবার (১৫ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এসব কথা বলেছেন। ম্যাথিউ মিলার বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ যেকোনো বিকাশমান গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ। আমরা ঢাকা এবং বাংলাদেশের আশেপাশে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করছি যাতে, হামলা, দুজন নিহত এবং শত শত আহত হওয়ার খবর রয়েছে। যদিও বর্তমান ছাত্র বিক্ষোভের সময় কোনো মৃত্যুর বিষয়ে বাংলাদেশের মিডিয়া বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটি সামাজিকমাধ্যমে ছড়ানো গুজব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এর আগে, সোমবার কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ  বলেছেন, তরুণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে সরকার কাউকে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেবে না।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার দেশে ‍বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না। এই সরকার খুবই শক্তিশালী। তরুণ শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে খেলা করে কোনো রাজনৈতিক অপশক্তিকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, রোববার রাতে কোটা আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। এখানে রাজাকারদের পক্ষে স্লোগান দেওয়া রাষ্ট্রবিরোধী। এটা পরিষ্কার যে বিএনপি ও জামায়াতসহ রাজনৈতিক অপশক্তি কোটা আন্দোলনে ঢুকে পড়েছে, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় এবং তাদের কিছু ভাড়া করা লোক এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
কানে ব্যান্ডেজ বেঁধে দলীয় সভায় ট্রাম্প
রিপাবলিকানদের কনভেনশনে কানে ব্যান্ডেজ বেঁধে মঞ্চে ওঠেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার সকাল নয়টায় আরএনসি-তে বেসবল গ্রাউন্ডে পৌঁছান ট্রাম্প। সেখানেই রিপাবলিকানদের কনভেনশন চলছিল। এ সময় কনভেনশনে নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যানসের নাম ঘোষণা করেন তিনি।  এর আগে, রোববারের সমাবেশে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি ট্রাম্পের কান ঘেঁসে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে সমাবেশ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত মুঠো করে জয়ের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয়, ট্রাম্প দেশের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং সম্ভাব্য ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। বাইডেনের আহ্বান এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিতর্কে অংশ নিতে চান তিনি। এনবিসি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন বাইডেন। সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে সিএনএন চ্যানেলে প্রথম বিতর্কসভায় যোগ দিয়েছিলেন বাইডেন। আর সেই সভা ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বাইডেন শারীরিকভাবে কতটা সুস্থ, তা নিয়ে খোদ ডেমোক্র্যাটদের মধ্য থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, বাইডেন ওই বিতর্কসভায় সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। কথা বলতে বলতে তিনি ঘুমিয়ে পড়ছিলেন। শুধু তা-ই নয়, তাকে দিশেহারা দেখাচ্ছিল। বাইডেন অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি লম্বা সফর থেকে ফিরে ওই সভায় যোগ দিয়েছিলেন। তা-ই তার ঘুম পাচ্ছিল। অনেকগুলি টাইম জোন পার করে তিনি সেখানে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু বিতর্ক তার পিছু ছাড়ছে না। ডনাল্ড ট্রাম্প নিজের সভায় অভিনয় করে দেখাচ্ছেন, বাইডেন সেদিন কতটা দিশেহারা ছিলেন। এই পরিস্থিতির মধ্যেবাইডেন এদিন জানিয়েছেন, এক কোটি ৪০ লাখ ডেমোক্র্যায়াট তাকে ভোট দিয়েছেন প্রাইমারিতে। সুতরাং এমন ভাবার কারণ নেই যে তার প্রতি মানুষের সমর্থন নেই। বাইডেনকে এদিনের সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের রেকর্ডিং দেখেছেন কি না। বাইডেন জানিয়েছেন, পুরোটা না দেখলেও কিছু কিছু অংশ তিনি দেখেছেন।
রানিংমেট হিসেবে জেডি ভ্যান্সকে বেছে নিলেন ট্রাম্প
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ওহাইও রাজ্যের সিনেটর জেডি ভ্যান্স তার রানিংমেট (ভাইস প্রেসিডেন্ট) মনোনীত হয়েছেন। একই সঙ্গে ট্রাম্প নিজেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন।  আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (১৫ জুলাই) উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প নিজেই নির্বাচনে তার রানিংমেট অর্থাৎ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ভ্যান্সকে বেছে নেওয়ার ঘোষণা দেন। সম্মেলন থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। যদিও রিপাবলিকান দলের দুই হাজারেরও বেশি প্রতিনিধির সমর্থন নিয়ে এ পদে আগে থেকেই নিরঙ্কুশভাবে এগিয়ে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এ প্রেসিডেন্ট। যে কারণে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তার মনোনয়ন পাওয়া ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা ও সময়ের ব্যাপার। এদিকে এক সময় ভ্যান্স ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলের ঘটনার পর ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হন তিনি। বর্তমানে আদর্শগতভাবে জেডি ভ্যান্সকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মিত্র মনে করা হয়। রিপাবলিকানরা মনে করেন, আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে তৃণমূলের ভোটার ও সমর্থকদের চাঙ্গা করতে পারবেন দুই বছরের কম সময় সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৯ বছর বয়সী জেডি ভ্যান্স। গত শনিবার সন্ত্রাসী হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন ট্রাম্প। এ নিয়ে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই শুরু হয়েছে রিপাবলিকান সম্মেলন। রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন চলবে ১৮ জুলাই পর্যন্ত। প্রতি চার বছর পরপর এই সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি। এবারের সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দেন দলটির বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা (ডেলিগেট)। রিপাবলিকান দলের ২ হাজার ৩৮৭ জন প্রতিনিধি তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম ব্যক্তি যিনি যুক্তরাষ্ট্রে তিনবার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী কেউ পরপর দুইবার প্রেসিডেন্ট হলে তিনি আর প্রার্থী হতে পারেন না। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে প্রথম প্রেসিডন্ট হন ট্রাম্প। পরের বার ২০২০ সালে বর্তমান ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে হেরে যান। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগান ট্রাম্প। ২০২৪ সালের জন্য রিপাবলিকান পার্টির হয়ে আবারও নির্বাচনে প্রার্থী হন। চলতি বছরের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা 
সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো দেশ। প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে রাজধানী ও বিভাগীয় শহরগুলোতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন সংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীরা। এতদিন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হয়ে এলেও গত দুইদিন ধরে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলার বিভিন্ন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।   গেল কয়েকদিন ধরেই কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে  বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনাও। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।   বাংলাদেশের এই আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখছে জানিয়ে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ঢাকা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভে শত শত আহতের রিপোর্ট সম্পর্কে আমরা সচেতন আছি। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র আরও বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ যেকোনো বিকাশমান গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান। আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার নিন্দা জানাই। যারা এই সহিংসতার শিকার হয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে সরকার। কিন্তু সরকারের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল’ অংশটি অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে ৪ জুলাই। রিট আবেদনকারীপক্ষ সময় চেয়ে আরজি জানালে সেদিন আপিল বিভাগ শুনানি পিছিয়ে দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়। এ অবস্থায় কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে গত ৯ জুলাই আবেদন করেন দুই শিক্ষার্থী।   দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানির জন্য ১০ জুলাই আপিল বিভাগে ওঠে। শুনানি শেষে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। কিছু পর্যবেক্ষণ, নির্দেশনাসহ এ আদেশ দেওয়া হয়। এই স্থিতাবস্থা চার সপ্তাহের জন্য উল্লেখ করে আপিল বিভাগ আগামী ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।   তবে আদালতের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে সরকারি চাকরিতে `বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা পাবে’ এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রতিক্রিয়ায় পর থেকেই ফেসবুকে ছড়াতে থাকে, ‘আন্দোলনকারীদের রাজাকারের নাতি-নাতনি’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে ‘রাজাকার’ বলে স্লোগান দিয়ে রাতভর বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরদিন সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। 
ট্রাম্পের ওপর হামলায় ব্যবহার হওয়া অস্ত্রটি বেশ জনপ্রিয়
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলায় ব্যবহার হওয়া অস্ত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়। এআর–১৫ মডেলের আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেলটি ব্যবহার করেছিলেন হামলাকারী টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। টমাসের আগেও দেশটিতে ভয়াবহ কিছু হামলায় এই অস্ত্রটি ব্যবহার হতে দেখা গেছে। সূত্র: এএফপি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের মালিকানায় এআর-১৫ রয়েছে। বন্দুকটি এত জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে বড় একটি কারণ, এই রাইফেলে সহজেই অন্যান্য সরঞ্জাম সংযোজন করা যায়। যেমন বন্দুকটির মালিক চাইলেই এতে টেলিস্কোপ ও বড় আকারের ম্যাগাজিনসহ বাড়তি নানান জিনিস যুক্ত করতে পারেন। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এই অস্ত্রের গুলিতে। বড় কিছু বন্দুক হামলার ঘটনায় এআর–১৫ রাইফেলের ব্যবহার দেখা গেছে। ২০২২ সালের মে মাসে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুলে বন্দুকটি দিয়ে হামলা চালিয়ে ১৯ শিশু ও দুই শিক্ষককে হত্যায় এর ব্যবহার করা হয়। একই অস্ত্র দিয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবরে লাস ভেগাসে হামলা চালিয়ে ৬০ জনকে হত্যা করা হয়। এআর–১৫ থেকে প্রতি মিনিটে ৮০০ রাউন্ড গুলি বের হয়। গুলির গতিও অনেক বেশি। ৫০০ মিটার দূরে থেকেও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই অস্ত্রটি। এর ওজন ৩৫ কেজি (৫.৫ পাউন্ড)। ব্যারেলের দৈর্ঘ্য ৫০৮ মিলিমিটার, অর্থাৎ ২০ ইঞ্চি। প্রতিটা ফিডে ২০ থেকে ১০০ রাউন্ড গুলি রাখা যায়। মারণাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারণ পিস্তলের গুলির চেয়ে তিন গুণ গতিতে ছুটতে পারে এআর–১৫ এর গুলি। এর গুলিতে আক্রান্ত ব্যক্তি ত্বক ও শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে মারাত্মক আঘাত পেতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলিটারি ফ্যাক্টরির গবেষণার তথ্যমতে, এআর–১৫ মডেল আধা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। এর অর্থ সেটি দিয়ে একটানা একাধিক গুলি ছোড়া যায়। একই ধরনের এম–১৬ রাইফেল ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় থেকে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের (এনআরএ) ভাষ্যমতে, এই রাইফেলগুলো নিশানা পরীক্ষা ও নিজেদের প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহার করেন ক্রেতারা। তবে এই বন্দুক এতটাই প্রাণঘাতী যে সেগুলো সাধারণ মানুষের হাতে পড়া উচিত নয় বলে মনে করেন অনেকেই। বিল ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ১৯৯৪ সালে বেসামরিক লোকজনের কাছে এআর–১৫–এর মতো বন্দুকগুলো (অ্যাসল্ট রাইফেল) বিক্রি নিষিদ্ধ ছিল। তবে প্রভাবশালী ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের চাপের মুখে ২০০৪ সালে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এদিকে ক্যালিফোর্নিয়া, ইলিনয়, মেরিল্যান্ড, নিউ জার্সি ও ওয়াশিংটনের মতো বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সাধারণ মানুষের কাছে এই অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ। ক্যালিফোর্নিয়া সরকারের দাবি, বন্দুক নিষিদ্ধ করে আইন জারির কারণে গত এক দশকে ১৯ হাজার মানুষের প্রাণ বেঁচেছে। প্রসঙ্গত, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় হামলার শিকার হন ট্রাম্প। তার কানে গুলি লাগে। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। আকস্মিক ওই হামলার বিষয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার কানে গুলি করা হয়েছে। তিনি জানান, তার মনে হচ্ছিল কান ঘেঁষে একটি বুলেট চলে গেল। হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এ সময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ট্রাম্পকে গুলি করা সেই যুবকের ছবি প্রকাশ
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করা সেই যুবকের ছবি প্রকাশ করেছে করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই)।  সংস্থাটি জানায়, ট্রাম্পকে গুলি করা যুবককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। ২০ বছর বয়সী ওই যুবক যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্ক এলাকার বাসিন্দা। ২০২২ সালে বেথেল পার্ক হাইস্কুল থেকে স্নাতক পাস করেছিলেন ক্রুকস। এর আগে, শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশ করতে গিয়ে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তার ওপর গুলি করা হয়। এতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশ ফুটো হয়ে যায়। জানা গেছে, সমাবেশস্থল থেকে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ ফুট দূরত্বে একটি ভবনের ছাদ থেকে এআর-১৫ রাইফেল দিয়ে গুলি চালায় ক্রুকস। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস স্নাইপাররা গুলি করে তাকে হত্যা করে। ভোটার তালিকা থেকে জানা গেছে, ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন ক্রুকস। আগামী ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হতেন ক্রুকস। হামলার পর ট্রাম্প সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জানান, গুলিতে আমার ডান কানের ওপরের অংশ ফুটো হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এটা অবিশ্বাস্য। ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন! ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ডোনাল্ডকে যখন গুলির আঘাতে পড়ে যেতে দেখছি তখন অনুভূতি হলো, আমার এবং ব্যারনের জীবনে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের মনে রাখা উচিত মতামতের ভিন্নতা, নীতি, রাজনৈতিক খেলা কোনোটিই ভালোবাসার ঊর্ধ্বে নয়। আমরা সকলেই এমন একটি পৃথিবী চাই যেখানে সম্মান সর্বাগ্রে, পরিবার সবার প্রথমে থাকবে এবং ভালোবাসায় ভরা। ভয়াবহ এই হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সহিংসতার কোনো জায়গা নেই। ফেডারেল এজেন্সিগুলো এই হামলার ঘটনার তদন্ত করছে। সূত্র : এনডিটিভি