• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গাজা ইস্যুতে পদত্যাগ করলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উচিত অংশীদার হওয়া, শত্রু নয়: শি জিনপিং
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে উদ্দেশ করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক শত্রুতা নয় বরং দুই দেশের অংশীদার হওয়া উচিত। যদিও তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হলে অনেক বিষয় ঠিকঠাক করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।   শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বেইজিং সফরের দ্বিতীয় দিনে শি ও ব্লিঙ্কেনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ মন্তব্য করেন শি জিনপিং। বেইজিংয়ের গ্রেট হলে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তারা চীনের সঙ্গে রাশিয়া, তাইওয়ান ও বাণিজ্য নিয়ে নানা পার্থক্যের বিষয়টি তুলে ধরেন।  বৈঠকে শি বলেন, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দুই দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, প্রচেষ্টা আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি এ কথা জানায়।  চীনের উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আরও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখাবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, যখন মৌলিক সমস্যার সমাধান হবে, তখন সম্পর্ক আরও টেকসই, উন্নত ও অগ্রগামী হবে।’ ব্লিঙ্কেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকের আলোচনা নিবিড় ও গঠনমূলক ছিল।  
ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ / যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ইউক্রেনে নতুন অস্ত্র-সরঞ্জাম পাঠানোর ঘোষণা বাইডেনের
টিকটক নিষিদ্ধে বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলি সেনা ইউনিটের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা!
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, গণগ্রেপ্তার
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ইসরায়েলের হামলা ও যুদ্ধের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে কলম্বিয়া ও ইয়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এই বিক্ষোভ, যা থামাতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চলমান বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিয়েছে। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, বার্কলে, এমআইটি, টাফটস ইউনিভার্সিটি, ইমারসনসহ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।  যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থি ও ইসরায়েলপন্থি শিক্ষার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষ ও ইসলামভীতি বাড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে আসছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রধান আলোচনা ও বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ ও বাকস্বাধীনতা। এরপর ইসরায়েল গাজায় হামলা চালানো শুরু করলে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠে। গত সপ্তাহে  নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে একশোর বেশি বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করার পর ক্যাম্পাসগুলোতে চলমান আন্দোলন বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করে। গ্রেপ্তারকৃত এসব শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে, নিজেদের ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষক সোমবার গণ ওয়াকআউট করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্লাস ভার্চুয়ালি পরিচালিত হবে বলে সোমবার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, অনেক মার্কিন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যাম্পাসের ইহুদিভিত্তিক সংগঠনসহ বিভিন্ন মাধ্যম চলমান এই বিক্ষোভকে ইহুদি-বিরোধী আন্দোলন হিসেবে দাবি করছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিস শহরে একটি ব্লক পার্টিতে বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ছয়জন। প্রায় ২০০-৩০০ মানুষ সেখানে যোগ দিয়েছিলেন। পুলিশ বলেছে, অনুমতি ছাড়াই এ ব্লক পার্টি আয়োজন করা হয়েছিল।    শনিবার (২০ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর রয়টার্সের।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে মেমফিস পুলিশ বলেছে, তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, হামলায় আটজন হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। মেমফিস পুলিশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান সেরেলিন ডাভিসের বরাতে সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে খোঁজা হচ্ছে।   সিবিএস নিউজকে ডাভিস বলেন, ‘আমাদের ধারণা, এ ঘটনার সময় অন্তত দুজন গুলি চালিয়েছেন।’ এর আগে পুলিশ বলেছিল, ওই ঘটনায় ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ব্লক পার্টি হলো কোনো একটি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়াতে তাদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান। এ ধরনের অনুষ্ঠান সড়ক, খোলা স্থান কিংবা জনসমাগমের জায়গায় আয়োজন করা হয়ে থাকে। এর আগে গত মাসের শুরুর দিকে ক্যালিফোর্নিয়ার কিং সিটি এলাকার একটি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়।
ইসরায়েল–ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে বিল পাস
ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস হয়েছে।  স্থানীয় সময় শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোটাভুটির পর এসব বিলে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। ভোটাভুটিতে বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৩১১টি। বিপক্ষে ১১২ ভোট পড়েছে। ইউক্রেনের জন্য পাস হওয়া বিলটিতে দেশটিকে ৬১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের জন্য পাস হওয়া বিলটিতে দেশটিকে ২৬ দশমিক ৪ ডলারের সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আওতায় ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করবে জো বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সহায়তা প্রস্তাব নিয়ে চাপের মধ্য ছিলেন। এখন প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাসের ঘটনায় বাইডেনের বড় বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। বিল দুটি বাস্তবায়নে এখন মার্কিন সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। শিগগিরই তা সিনেটে তোলা হবে। সেখানে বিল দুটি পাস করার জন্য সিনেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। এর পরই বাইডেন বিলে সই করবেন। এর ফলে তা আইনে পরিণত হবে। তখন ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দিতে বাইডেন প্রশাসনের সামনে আর কোনো বাধা থাকবে না। এদিকে শনিবার (২০ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে পাস হওয়া বিদেশী সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে আরও রয়েছে-তাইওয়ানসহ এশিয়া-প্যাসিফিকের মিত্রদের জন্য "কমিউনিস্ট চীনের বিরুদ্ধে" অর্থায়নে ৮  দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। সূত্র : বিবিসি
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিলে ভোট আজ
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিল নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোট হতে যাচ্ছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এই ভোট হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।  এদিন ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য কয়েক কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে। দেশটি কিয়েভের সবচেয়ে বড় দাতা। তবে বর্তমানে সহায়তা কমে গেছে। হাউসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্ররা নতুন সহায়তা থামিয়ে দিচ্ছে। কংগ্রেসে বিলটি পাস হওয়া নিয়ে এখনও আশঙ্কা রয়ে গেছে। এ বিষয়ে হাউসের স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, বিষয়টিকে ভোটে আনতে বদ্ধপরিকর তিনি। এমনকি এতে যদি তার ক্ষমতা হুমকির মুখে পড়ে তবুও। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহায়তা প্যাকেজটিতে ভোট দিতে প্রস্তুত কংগ্রেস। একইসঙ্গে প্যাকেজটি অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে সিনেটও। বিলটি সিনেটে পাস হলে এটিকে আইনে স্বাক্ষর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনের এই সহায়তা প্রস্তাবের ভোট কিয়েভে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। কেননা, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে লড়তে মিত্রদের কাছ থেকে নতুন এই সহায়তা ইউক্রেনের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। এর আগে, গত অক্টোবরে প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান সদস্যরা ইউক্রেনকে বাড়তি সামরিক সহযোগিতা দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। ওই প্রস্তাবে ৬,১০০ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।  
ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও কয়েকটি সংস্থার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায়। আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে। আমরা এই আক্রমণকে পরাজিত করতে সাহায্য করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছি। বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলে হামলা করতে সহায়তা করা ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইরান সরকারের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উদপাদন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নেতা এবং সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হামলার পর আমি আমার সহকর্মী জি-৭ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা ইরানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা ইরানের অস্থিতিশীল সামরিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছে বা নেবে। জো বাইডেন বলেন, যারা ইরানের হামলাকে সক্ষম বা সমর্থন করে তাদের সবার কাছে এটি পরিষ্কার হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এই অঞ্চলে আমাদের কর্মীদের এবং অংশীদারদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পের বিচার শুরু
পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে হাজির হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) ফৌজদারি মামলায় তার বিচার শুরু হলো।  প্রসঙ্গত, ট্রাম্পই হচ্ছেন প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। এ মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অবশ্য সবগুলো অভিযোগই অস্বীকার করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আইনের দিক থেকে ভুল কিছু করেননি বলে দাবি তার। এমনকি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেছেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। ওই অর্থ লেনদেনের বিষয়টি গোপন রাখতে নিজের ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। এদিকে মুখ বন্ধ রাখতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। উল্লেখ্য, সোমবার জুরি নির্বাচনের মাধ্যমে শুরু হওয়া বিচার প্রক্রিয়ায় ছয় সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে জরিমানা দিয়ে তিনি কারাবাস থেকে রেহাই পেতে পারবেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তবে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষের এই মামলাতেই আদালতকক্ষে হাজির হতে হল রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য এই প্রার্থীকে।
যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর হচ্ছে গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় কার্যকর হতে যাচ্ছে ১৯ শতকের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা৷ ১৮৬৪ সালের এক আইনে গর্ভপাতে সহায়তা করা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে৷ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) অ্যারিজোনা রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, রাজ্যটি গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার জন্য ১৮৬৪ সালের এই আইন পুনরায় কার্যকর করতে পারে৷ আইনটি কার্যকর হলে গর্ভপাতে সহায়তাকারী চিকিৎসকদের বিচারের মুখোমুখি করার আশঙ্কা বেড়ে যাবে৷ অ্যারিজোনার ১৮৬৪ সালের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা অ্যারিজোনা রাজ্যের বিদ্যমান আইন অনুসারে ধর্ষণ অথবা অনিচ্ছাকৃত ঘটনায়ও গর্ভপাত করা নিষেধ৷ শুধুমাত্র মায়ের জীবনের আশঙ্কা থাকলে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়া হবে৷ আইনটিতে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে৷ গর্ভাবস্থার প্রথম ১৫ সপ্তাহে গর্ভপাত করার জন্য চিকিৎসকদের অভিযুক্ত করা যাবে না বলে ২০২২ সালের একটি আবেদন পর্যালোচনা করেছে রাজ্যটির সুপ্রিম কোর্ট৷ ২০২২ সালের জুনে কেন্দ্রীয় সুপ্রিম কোর্টের ১৯৭৩ সালে দেয়া রো ভি ওয়েডের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের নিশ্চয়তার সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেয়ার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্য পুরানো গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা আইন কার্যকর করতে শুরু করেছে৷ বর্তমানে ১৪টি রাজ্য কিছু ব্যতিক্রম পরিস্থিতি ছাড়া, গর্ভাবস্থার সকল পর্যায়ে গর্ভপাতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে৷ নিষেধাজ্ঞার প্রতি বাইডেন ও ডেমোক্রেটদের নিন্দা প্রকাশ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছেন৷ তিনি বলেন, লাখ লাখ অ্যারিজোনাবাসী শীঘ্রই আরও কট্টর ও বিপজ্জনক গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে৷ যে আইন নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অথবা ধর্ষণ এর মতো মর্মান্তিক পরিস্থিতিতেও তাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হবে৷ তিনি আরও বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস ও আমি সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকানদের পাশে আছি৷ যারা একজন নারীর পছন্দের অধিকারকে সমর্থন করে৷ আমরা প্রজনন অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো ও রো ভি ওয়েডের সিদ্ধান্ত পুনরুদ্ধার করার জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানাবো৷ নভেম্বরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগে বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে গর্ভপাত ইস্যুকে গুরুত্ব দিচ্ছেন৷  অ্যারিজোনার অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা করে বলেন, অ্যারিজোনা যখন একটি রাজ্য ছিল না, যখন এখানে গৃহযুদ্ধ চলছিল ও নারীরা ভোটও দিতে পারতো না, সে সময়কার একটি আইনকে নতুন করে আরোপ করার আজকের এই সিদ্ধান্ত আমাদের রাজ্যের ইতিহাসে একটি কলঙ্ক হিসেবে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে৷