• ঢাকা শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
আরাকান আর্মির দখলে মংডু, জান্তা জেনারেলসহ আটক শতাধিক সেনা 
নিজ কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমায় আফগানমন্ত্রী নিহত
নিজ কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন আফগানিস্তানের শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানি।  বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী কাবুলের শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, নিজ কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলায় তালেবান শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রী নিহত হয়েছেন। দেশটির সরকারি এক কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, কাবুলে শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানিসহ তার কয়েকজন সহকর্মী নিহত হয়েছেন। আফগানিস্তানে তালেবানের দুই দশকের বিদ্রোহের সময় সবচেয়ে সহিংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যাপক পরিচিত দেশটির সশস্ত্র সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্ক। মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানির ভাই জালালউদ্দিন হাক্কানি এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিস্ফোরণে নিহত খলিল উর-রহমান হাক্কানি দেশটির তালেবান নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানির চাচা। আরটিভি/একে
গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, নিহত আরও ৫০
সামরিক আইন জারির জন্য ক্ষমা চাইলেন দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
দ্রুত চীনা নাগরিকদের সিরিয়া ছাড়ার পরামর্শ
দিল্লিকে ডিঙিয়ে বিআরআই প্রকল্প নিয়ে চীনের সঙ্গে নেপালের চুক্তি
ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে চায় ইউক্রেন, ট্রাম্প কি রাজি?
ইউক্রেনের দাবি, যে এলাকাগুলি রাশিয়ার দখলে নয়, কেবল সেই এলাকাগুলিকে ধরে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া হোক। বাস্তবে তা সম্ভব। ন্যাটোর সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একটি সদস্য দেশ আক্রান্ত হলে অন্য সদস্য দেশগুলির কাছ থেকে সাহায্য আশা করতে পারে। একইভাবে অন্য দেশগুলির কাছ থেকে অস্ত্র সাহায্যও প্রত্যাশা করতে পারে দেশটি। তবে কীভাবে এবং কতটা সাহায্য করা হবে, তা নির্ণয় করার ক্ষমতা থাকবে সাহায্যকারী দেশটির হাতে। আর ঠিক এই সুবিধাটিই খাতায় কলমে পেতে চাইছে ইউক্রেন। রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর আমেরিকাসহ একাধিক পশ্চিমা দেশের কাছ থেকে সাহায্য পাচ্ছে ইউক্রেন। কিন্তু ন্যাটোর সদস্য হলে সাহায্যের গ্যারান্টি পাওয়া সম্ভব। এবার সেই রাস্তায় হাঁটতে চায় ইউক্রেন। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে তাদের দাবি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভেলাদিমির জেলেনস্কি। প্রশ্ন হলো, ইউক্রেনের এই দাবি কি ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি মেনে নেবে? ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে হলে ৩২ টি দেশেরই সম্মতি প্রয়োজন। ইউক্রেনের দাবি জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের যে অংশগুলি দখল করে রেখেছে, বিশেষ করে ক্রাইমিয়া- সেই এলাকাগুলিকে ন্যাটো থেকে বাদ দেওয়া হবে। কেবলমাত্র স্বাধীন ইউক্রেনের অংশকেই ন্যাটোর অংশ করা হোক। বাস্তবে কি তা সম্ভব? বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সম্ভব। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন ন্যাটো তৈরি হয়, তখন জার্মানি দুই ভাগে বিভক্ত। কেবলমাত্র পশ্চিম জার্মানিকেই ন্যাটোর অংশ করা হয়েছিল। পূর্ব জার্মানি ছিল সোভিয়েত অ্যালায়েন্সের অংশ। এখানেই শেষ নয়, দক্ষিণ প্রশান্ত সাগরে যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু দ্বীপ আছে, ক্যারিবিয়ান আইসল্যান্ডে বেশ কিছু অঞ্চল ফ্রান্সের দখলে, কিন্তু ওই এলাকাগুলি ন্যাটোর আওতাভুক্ত নয়। কেবলমাত্র ফ্রান্সের এবং যুক্তরাজ্যের মূল ভূখণ্ড ন্যাটোর অংশ। ফলে জেলেনস্কি যে ২৭ শতাংশ জমি ছেড়ে ইউক্রেনকে ন্যাটোর অংশ করার দাবি তুলেছেন, তা বাস্তবে অসম্ভব নয়। যারা মানতে নারাজ প্রশ্ন হলো পশ্চিমা দেশগুলি এবং আমেরিকা কি ইউক্রেনকে এখনই সদস্য করতে আগ্রহী। ইউক্রেন সফরে গেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস। তিনি সরাসরি এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। জার্মানির বক্তব্য, এই সময়ে দাঁড়িয়ে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দিলে বাকি ৩২টি দেশও সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়বে। এই মুহূর্তে তা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। তবে ন্যাটোর সাবেক প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ মনে করেন, ইউক্রেনকে সদস্য হিসেবে গ্রহণ করা যেতেই পারে। তিনি মনে করেন, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হলে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাওয়া সম্ভব। ট্রাম্প কী চান আমেরিকার আগামী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী চান, তা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এবিষয়ে ট্রাম্প এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি। তবে নির্বাচনি জনসভায় তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। কোন প্রক্রিয়ায় তা সম্ভব হবে, সে কথা তিনি বলেননি। ইউক্রেনযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জো বাইডেন প্রশাসন লাগাতার ইউক্রেনকে সাহায্য করে গেছে। ট্রাম্পও কি একইভাবে সাহায্য চালিয়ে যাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ন্যাটোর বর্তমান প্রধান অবশ্য বলেছেন, শান্তি আলোচনার সময় এটা নয়। রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি স্থাপন কীভাবে সম্ভব, সে কথা না ভেবে এখন উচিত ইউক্রেন। আরটিভি/এএইচ
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি
দক্ষিণ কোরিয়ার জরুরি সামরিক শাসন জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি। এক টেলিভিশন বার্তায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বলেন, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনী থেকে দেশকে রক্ষা ও রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান নির্মূলের জন্য এই পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলেন, জনগণের জীবন-জীবিকার তোয়াক্কা না করে বিরোধী দল কেবল অভিশংসন, বিশেষ তদন্ত এবং তাদের নেতাকে বিচার থেকে রক্ষা করার জন্য শাসন ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। ইউন বলেন, আমাদের পার্লামেন্ট এখন অপরাধীদের জন্য আশ্রয়স্থল হয়ে গেছে। এটি একটি আইন প্রণয়নের স্বৈরতান্ত্রিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, যা আমাদের উদার গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করছে। মাদক অপরাধ মোকাবিলা এবং জননিরাপত্তা বজায় রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর বাজেট কাটছাঁট করে দেশকে মাদকের অভয়ারণ্য এবং জননিরাপত্তাহীনতার অবস্থায় পরিণত করা হয়েছে। ইউন বিরোধী দলকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং তাদের উদ্দেশ্যকে ‘শাসনব্যবস্থা পাল্টে দেওয়া’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি যত দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি নির্মূল করে দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনব। ইউনের এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন তার পিপল পাওয়ার পার্টি এবং প্রধান বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পরবর্তী বছরের বাজেট বিল নিয়ে তীব্র বিরোধে লিপ্ত।  সামরিক আইন কতদিন স্থায়ী হতে পারে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সামরিক আইন প্রত্যাহার করা যেতে পারে। তবে সেখানে বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ। টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তারা পার্লামেন্ট ভবনের প্রবেশপথ ঘিরে রেখেছে। আরটিভি/একে
দিল্লির বদলে বেইজিংয়ে ঝুঁকছে নেপাল
সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বিদেশনীতি প্রণেতারা বেশ বিব্রত বোধ করছেন। এতদিন এই অঞ্চলে ভারত নিজেকে একপেশে শক্তিশালী মনে করলেও বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু ছোট দেশ নিজেদের আরও স্বাবলম্বী করে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে এবং তারা ভারতের ছায়া থেকে বেরিয়ে চীনের সঙ্গে সখ্যের মাধ্যমে এগোতে চাইছে। এরই ধারাবাহিকতায় চীনের সঙ্গে পূর্বপরিকল্পিত অবকাঠামো প্রকল্পে নতুন অগ্রগতি দেখতে আগ্রহী নেপালের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।  মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) আয়োজিত দিনব্যাপী বেইনিজং সফরে এই বিষয়ে সফল হতে আশাবাদী তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।  চলতি বছর জুলাই মাসে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসেন ওলি। প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য প্রথা ভেঙে শত বছরের মিত্র দিল্লির বদলে বেইজিংকে বেছে নেন তিনি।  বেইজিং জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ওলির। এর আগে, স্থলবেষ্টিত (ল্যান্ড লকড) দেশ নেপালকে ‘স্থল সম্পর্কযুক্ত’ (ল্যান্ড লিংকড) দেশের রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার করেছিলেন শি।  ২০১৭ সালে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনফ্রাস্টাকচার ইনিশিয়েটিভে স্বাক্ষর করে কাঠমাণ্ডু। তবে প্রকল্প কাঠামো দাঁড় করানো হলেও এখনও কোনো কিছু বাস্তবায়িত হয়নি বলে জানিয়েছে তারা। উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রথাগত ভারত নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ওলি।  অবশ্য নেপালের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চীনের চেয়ে ভারতের প্রভাবই বেশি। যেখানে কাঠমাণ্ডুর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দিল্লির হিস্যা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সেখানে বেইজিংয়ের আছে মাত্র ১৪ শতাংশ। তবে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী অন্যদিক দিয়ে এগিয়ে গেছে চীন। নেপালে তাদের অর্থায়নের পরিমাণ ৩১ কোটি মার্কিন ডলার যা ভারতের চেয়ে অন্তত তিন কোটি বেশি। ২০১৬ সালে ওলি ক্ষমতায় থাকাকালীন নেপালে তেল রপ্তানি ছ’মাসের জন্য স্থগিত করেছিল ভারত। তিনি চীনের সঙ্গে জ্বালানি তেলসংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ওই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে নেপালের একমাত্র জ্বালানি সরবরাহকারীর তকমা হারায় ভারত। আর চীনের সঙ্গে সহযোগিতার নতুন পথ উন্মোচিত হয়।  এরপর থেকে নেপালে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। রাজধানীর দুশ কিলোমিটার পশ্চিমে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পোখারাতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণে ২১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে তারা। বিমানবন্দরটি গত বছর থেকে কার্যক্রম শুরু করলেও ভারতের নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারে আপত্তির কারণে পর্যাপ্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পাচ্ছে না তারা।  আরটিভি/একে
সাগরপথে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টাকালে ২৪ বাংলাদেশি আটক
অবৈধভাবে সাগরপথে ইন্দোনেশিয়া থেকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টাকালে ২৪ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির রিও প্রদেশের দুমাই নৌ সদর দপ্তর বিভাগ।একই সঙ্গে স্থানীয় ১৭ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিককেও আটক করা হয়েছে। গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে দেশটির পেলিন্টুং সমুদ্র সৈকত থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন দুমাই নৌ সদর দপ্তরের কমান্ডার কর্নেল লৌত (পি) বয় ইয়োপি হামেল। তিনি বলেন, ‘পেলিন্টুং সমুদ্র সৈকতে অবৈধভাবে মানুষকে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টা চলছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে মানবপাচারের অভিযোগে আমরা প্রথমে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তার দুজনের দেওয়া তথ্যমতে পরে স্পিডবোট নিয়ে দুটি দলকে সমুদ্রে পাঠানো হয়। এরপর মেদাং কাম্পাই দুমাই জেলার পেলিনতুং সৈকতের উপকূল থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের মামলা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে তদন্তও চলমান রয়েছে। এদিকে মানবপাচারের অভিযোগে দুই সন্দেহভাজনকে নৌ সদর দপ্তর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। অন্যদিকে ১৭ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক এবং ২৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দুমাইয়ের শ্রমিক সুরক্ষা কর্মকর্তা এবং ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানায় নৌ সদর দপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় ফিনজালের তাণ্ডব, নিহত ১৮
ঘূর্ণিঝড় ফিনজালের তাণ্ডবে শ্রীলঙ্কায় ১৫ জন, ভারতে তিনজন নিহত হয়েছে । শনিবার (৩০ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। পরে রোববার (০১ ডিসেম্বর) সকালে শক্তি হারিয়ে এটি লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। ভারতে সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,শনিবার রাত ১১টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ফিনজাল স্থলভাগে আঘাত হানে। এর প্রভাবে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরীতে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। ব্যাপক বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে চেন্নাইয়ে ট্রেন চলাচল ও ফ্লাইট ওঠানামা ব্যাহত হয়। বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিমানবন্দর। চেন্নাইয়ে বৃষ্টি সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনায় বিদ্যুতায়িত হয়ে কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফিনজালের প্রভাবে শ্রীলঙ্কায় ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য মিলেছে।এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলেই মারা গেছে ১০ জন। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। ফিনজাল দুর্বল হলেও এখনই বৃষ্টি থামছে না চেন্নাইতে।আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে,তামিলনাড়ু,পুদুচেরি, দক্ষিণ কর্নাটক এবং কেরালায় আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলতে পারে।অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রোববার। আরটিভি/ ডিসিএনই
এইচআইভি আক্রান্ত শতাধিক প্রবাসীকে দেশে ফেরত পাঠাল কুয়েত
এইচআইভিতে আক্রান্ত শতাধিক প্রবাসীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কথা জানিয়েছে কুয়েত। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত দেশটির বার্ষিক এইডস ও যৌন রোগবিষয়ক সম্মেলনে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। সূত্র: গাল্ফ নিউজ কুয়েতের জনস্বাস্থ্যের পরিচালক ডা. ফাহদ আল গামলাস বলেন, ‘আমরা কুয়েতের নাগরিকদের মধ্যে ১৬৫ ও প্রবাসীদের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের পরীক্ষা করেছি। প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে।’ কুয়েতের জাতীয় এইডস প্রতিবেদন ২০২৩ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। ইউএনএআইডিএস-এর ৯০-৯০-৯০ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে কুয়েত। যার মানে, এইচআইভিতে আক্রান্ত ৯০ শতাংশ মানুষকে শনাক্ত করা, তাদের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং ৯০ শতাংশকে কার্যকর চিকিৎসা প্রদান করা। অনুষ্ঠানে এইডস মহামারি মোকাবিলায় আঞ্চলিক নেতা হিসেবে কুয়েতের অবস্থানের ওপর জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আহমেদ আল আওয়াধি। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় এইডস কৌশল ২০২৩-২০২৭-এর অংশ হিসেবে পরবর্তী মাইলফলক ২০২৫ সালের মধ্যে ৯৫-৯৫-৯৫ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোই এখন আমাদের লক্ষ্য।’ এ সময় তিন আরও বলেন, স্বেচ্ছামূলক পরীক্ষা ও কাউন্সেলিং পরিষেবা প্রসারিত করছে কুয়েত। এইডস-এ আক্রান্তদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবাও প্রদান করছে দেশটি। আরটিভি/এআর
বিশ্বের ‘সর্ব বৃহৎ’ স্বর্ণের খনির সন্ধান পেল চীন
চীনের হুনান প্রদেশে একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে গবেষকদের ধারণা, খনিটিতে এক হাজার টন স্বর্ণ মজুত রয়েছে। বলা হচ্ছে, এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণের খনি এটি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। হুনার প্রদেশের জিওলজিক্যাল ব্যুরোর বরাত দিয়ে সিএনএন বলেছে, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পিংজিয়াং কাউন্টিতে এই বৃহৎ সোর খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। খনিটিতে যে পরিমাণ স্বর্ণ মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তার আনুমানিক মূল্য ৬০০ বিলিয়ন ইউয়ান। থ্রি-ডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা গেছে, খনির তিন হাজার মিটার গভীরে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের মজুত রয়েছে। স্বর্ণের খনির এই আবিষ্কার চীনের অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। দেশটির খনিশিল্প ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়বে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সাউথ ডিপ খনিতে ৯৩০ টন স্বর্ণের মজুত সমৃদ্ধ খনি পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হওয়ার স্বর্ণের খনি। তবে চীনের এই খনিতে যদি ১ হাজার টন স্বর্ণের মজুত পাওয়া যায়, তাহলে এটিই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আবিষ্কৃত স্বর্ণের খনি। স্বর্ণের খনিটির খনন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ২ হাজার মিটার গভীরে ৪০টি গোল্ড ভেইনস বা স্বর্ণের আকরিক স্তরের সন্ধার পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৩০ টন স্বর্ণের মজুত রয়েছে এই স্তরে। আরটিভি/এআর/এস