• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
তাইওয়ানে আছড়ে পড়লো ঘূর্ণিঝড়
মিয়ানমারে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান
মিয়ানমারে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন্ট শোয়ে চিকিৎসাসংক্রান্ত ছুটি নেওয়ায় তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।  দেশটির সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভির এক ঘোষণায় বলা হয়, সোমবার (২২ জুলাই) ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে নতুন দায়িত্বের ব্যাপারে একটি চিঠি পান মিন অং হ্লাইং। চিঠিতে বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন্ট শোয়ে অসুস্থ। তার চিকিৎসা প্রয়োজন। এজন্য তিনি ছুটিতে আছেন। তিনি সুস্থ হয়ে না ফেরা পর্যন্ত তার জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন মিন অং হ্লাইং। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থান রক্তপাতহীনভাবে হলেও কয়েক দিন পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে রক্তাক্ত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলেও এখন মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী দেশটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিজুড়ে গৃহযুদ্ধ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে বিপ্লবী বাহিনী রাখাইন রাজ্যের প্রধান সমুদ্রসৈকত ও এর পাশের বিমানবন্দর নিজেদের দখল নিয়ে নিয়েছে। এ রাজ্যে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জান্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এর পরই এসব দখলের ঘোষণা করে বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম জানিয়েছিল, ৭৩ বছর বয়সি মিন্ট শোয়ে একাধিক শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এই বছরের শুরু থেকেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। 
কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ১৮
নেপালে ১৯ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৫
ওমানে শিয়া মসজিদে বন্দুক হামলায় নিহত বেড়ে ৯, আইএসের দায় স্বীকার
ওমানে মসজিদের সামনে চারজনকে গুলি করে হত্যা
নেপালে পালাবদল, প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেপি শর্মা ওলি
নেপালে পালাবদল। সম্প্রতি নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডকে ভোটে হারিয়ে শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন নেপালি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেপি শর্মা ওলি। এর মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরছেন তিনি। জোটের অন্যতম অংশীদার কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (ইএমএল) সমর্থন প্রত্যাহারের পর শুক্রবার (১২ জুলাই) অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। যেখানে জয়ের জন্য পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ডের প্রয়োজন ছিল ১৩৮টি ভোট, সেখানে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৬৩টি ভোট। ফলে ক্ষমতা গ্রহণের দেড় বছরের মাথায় তাকে সরে যেতে হচ্ছে। এদিকে কেপি শর্মা ওলি পেয়েছে ১৯৪টি ভোট। শনিবার (১৩ জুলাই) কাঠমান্ডুতে আনুষ্ঠানিক জোট সরকার প্রধান হিসেবে সিপিএন নেতা কেপি শর্মা ওলির নাম ঘোষণা হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল প্রচণ্ডের মাওয়িস্ট সেন্টার। কিন্তু জোটে জেতার পরই দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রচণ্ড। ২০২৩-এর মধ্যপর্বে ওলির সঙ্গে মতবিরোধের সময় দেউবার সমর্থন নিয়ে কাঠমান্ডুর কুর্সি বাঁচিয়েছিলেন একসময়ের এই গেরিলা যোদ্ধা। কিন্তু এবার ‘চীনপন্থী’ ওলি ‘জাতীয়তাবাদী’ দেউবার সঙ্গে হাত মেলানোয় আইনসভার পাটিগণিতের হিসাবে প্রচণ্ড এখন ‘ব্যাকফুটে’। প্রচণ্ডের নেতৃত্বেই নব্বইয়ের দশকে নেপালে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে মাওবাদীরা। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির পর দেড় দশক আগে নেপাল থেকে রাজতন্ত্রের অবসান হয়। কিন্তু তারপর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতার শিকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি। নেপালে ২০০৮ থেকে সেখানে ১৩ বার প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছে। আরও একবার পরিবর্তন দেখতে চলেছে নেপালিরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ১৪তম প্রধানমন্ত্রীর নাম স্থির করতে বৈঠক করেন দেউবা ও ওলি। শুক্রবার হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসে অনুষ্ঠিত আস্থা ভোটের পরীক্ষায় হেরে যান প্রচণ্ড।
ক্ষমতাচ্যুত হলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী
সংসদে আস্থাভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। নেপালের সংসদে ২৭৫ সদস্যের মধ্যে মাত্র ৬৩টি আস্থাভোট পেয়েছেন পুষ্প কমল দাহাল। খবর দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের শুক্রবার (১২ জুলাই) দেশটির সংসদে এই আস্থা ভোট হয়। ভোটে হারায় এখন বাধ্যতামূলকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে পুষ্প দাহালকে। সব মিলিয়ে তিনি এক বছর ছয় মাসেরও বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন। গত ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী পুষ্প দাহালের জোট সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় জোটের সবচেয়ে বড় দল ইউএমএল। এরপর সংবিধান অনুযায়ী বাধ্য হয়ে পুষ্পকে সংসদে আস্থাভোটের আয়োজন করতে হয়। আজ সকালে সংসদে আস্থা প্রস্তাব উপস্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দল সংবিধানকে দুর্বল করবে না এবং অন্যদেরও করতে দেবে না। সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে আস্থার ভোট চাওয়ার জন্য এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার নেতৃত্বাধীন দল ধারাবাহিকভাবে সংবিধান রক্ষা করবে। নেপালের সংসদের নিম্নকক্ষে আসন রয়েছে ২৭৫টি। কোনো প্রধানমন্ত্রী যদি আস্থাভোটে জিততে চায় তাহলে কমপক্ষে ১৩৮টি ভোট পেতে হবে। কিন্তু শুক্রবারের এই ভোটে পুষ্প দাহাল পেয়েছেন মাত্র ৬৩টি ভোট। তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৯৪ আইনপ্রণেতা। একজন না ভোট দিয়েছেন। এদিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন ২৫৮ আইনপ্রণেতা। পুষ্প দাহালের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে ইউএমএল হাত মেলায় দেশটির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে। ইউএমএল এবং নেপালি কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে চুক্তি করেছে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খড়গ প্রসাদ অলিকে নির্বাচিত করবে তারা। গত বছরের ডিসেম্বরে নেপালে নির্বাচন হয়। এতে পুষ্প কমল দাহালের দল সংসদে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুষ্প জোট গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হতে সমর্থ হন। তবে ওই সময় থেকেই তার জোটটি নড়েবড়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত এ বছরের জুলাইয়ে এসে তাকে ক্ষমতা হারাতে হয়েছে। নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা ইতোমধ্যে ওলিকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন জানিয়েছেন। বর্তমান সংসদের বাকি মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কংগ্রেস সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা।
নেপালের সড়কে ভূমিধস, দুই বাস নদীতে পড়ে নিখোঁজ ৬৩ 
নেপালের মদন-আশ্রিত মহাসড়কে ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে। এ ভূমিধসের কবলে পড়ে যাত্রীবাহী দুটি বাস সড়ক থেকে ছিটকে ত্রিশূলি নদীতে ভেসে গেছে। বাস দুটিতে অন্তত ৬৩ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের সবাই এই মুহূর্তে নিখোঁজ আছেন।  স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ জুলাই) ভোর সাড়ে তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এএনআই’র।  চিতওয়ানের চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার ইন্দ্রদেব যাদব ভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ভোরের দিকে বাস দুটি মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ ভূমিধস হলে বাস দুটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে যায় উত্তাল নদীতে। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, বাস দুটিতে ৬৩ জন যাত্রী ছিলেন। উদ্ধার কাজ চলছে। তবে অবিরাম বৃষ্টির কারণে বাস দুটি খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটির একটি কাঠমান্ডুতে যাচ্ছিল। ২৪ জন যাত্রী ছিলেন বাসটিতে। অপর বাসটি যাচ্ছিল রাউতাহাটের গৌড়ের দিকে। এতে ছিলেন ৪১ জন যাত্রী।  দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও এখনও কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজ যাত্রীদের কেউই বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। এদিকে আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ থাকায় কাঠমান্ডু থেকে ভরতপুরগামী সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সড়কপথেও যাতায়াতে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। বিগত কয়েক সপ্তাহে টানা বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে নেপালে ইতোমধ্যে ৬২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯০ জন। এছাড়া ঘরছাড়া হয়েছেন এক হাজারের বেশি পরিবার।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ফিলিপাইন
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন। দেশটির মিন্দানাও দ্বীপে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। ফিলিপাইনের সিসমোলজি এজেন্সি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে না। তবে আফটারশক হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের মিন্দানাওতে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৬৩০ কিলোমিটার (৩৯১.৪৬ মাইল)। তবে এ ভূমিকম্পের ফলে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-এর তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ৬.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সারঙ্গানি প্রদেশ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২.১ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে আঘাত হানে।  
১৬ প্রজাতির কীটপতঙ্গ খাওয়ার অনুমতি সিঙ্গাপুরে
১৬ প্রজাতির কীটপতঙ্গ মানুষের খাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সিঙ্গাপুরের খাদ্য সংস্থা। এসব কীটপতঙ্গের মধ্যে রয়েছে ফড়িং, পঙ্গপাল, নানা রকম ঝিঁঝিপোকা, রেশম পোকা। এ ঘোষণায় খুশি হয়েছে দেশটির অনেক রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। এ ঘোষণার ফলে খাওয়ার জন্য বিভিন্ন কীটপতঙ্গ বা এ থেকে তৈরি পণ্য আমদানি করতে পারবে দেশটি। সূত্র জানায়, এ ঘোষণা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এ ঘোষণার ফলে আমদানি করা কীটপতঙ্গ বা এ থেকে তৈরি পণ্য মানুষের ব্যবহারের জন্য বা খাদ্য উত্পাদনকারী পশুদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। স্ট্রেইটস টাইমস-এর তথ্য অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের খাদ্য সরবরাহকারীরা চীন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের নিয়ন্ত্রিত খামার থেকে কীটপতঙ্গ আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নেপালে বন্যা-ভূমিধসে নিহত অন্তত ১১
নেপালে ভারী বৃষ্টিতে কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে গত ৩৬ ঘণ্টায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। বন্ধ হয়ে গেছে প্রধান প্রধান সড়ক। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রোববার (৭ জুলাই) নেপালি কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। কাঠমাণ্ডু পুলিশের মুখপাত্র দান বাহাদুর কারকি জানিয়েছেন, এখনো আটজন নিখোঁজ আছেন। হয় বন্যায় তারা ভেসে গেছেন বা ভূমিধসে চাপা পড়েছেন। ১২ জন আহত হয়েছেন তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কারকি বলেন, উদ্ধারকর্মীরা রাস্তা থেকে মাটি সরিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছেন। ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সড়ক পরিষ্কার করা হচ্ছে। সুনসারি জেলার সিনিয়র কর্মকর্তা বেদ রাজ ফুয়াল জানিয়েছেন, নেপালের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কোশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আমরা বাসিন্দাদের সম্ভাব্য বন্যা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলেছি। নদীটি প্রায় প্রতি বছরই পূর্ব ভারতের বিহার রাজ্যে ভয়াভয় বন্যা ঘটায়। তিনি বলেন, সকাল ৯টায় কোশি নদীর পানির প্রবাহ ছিল প্রতি সেকেন্ডে ৩ লাখ ৬৯ হাজার কিউসেক, যা তার স্বাভাবিক প্রবাহ ১ লাখ ৫০ হাজার কিউসেকের চেয়ে অনেক বেশি। পানির প্রবাহের পরিমাপ হল কিউসেক। প্রতি সেকেন্ডে প্রবাহিত হওয়া এক কিউসেক পরিমাণ পানি এক ঘনফুটের সমান। পানি নিষ্কাশনের জন্য কোশি ব্যারেজের ৫৬টি গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায় ব্রারেজটির মাত্র ১০ থেকে ১২টি গেট খুলে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পশ্চিমে নারায়ণী, রাপ্তি ও মহাকালী নদীর প্রবাহও বাড়ছে। পাহাড় ঘেরা কাঠমান্ডুতে, বেশ কয়েকটি নদী তাদের তীর উপচে পড়েছে, রাস্তা প্লাবিত হয়েছে এবং অনেক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়ার খবরে লোকজনদের কোমর পানিতে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য বালতি ব্যবহার করছেন। জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে নেপালে ভূমিধস, বন্যা এবং বজ্রপাতে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বেশিরভাগ পার্বত্য নেপালে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যায় প্রতি বছর শত শত লোক মারা যায় যা সাধারণত জুনের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে থাকে। এদিকে,ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে, গত কয়েক দিনে বন্যায় কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছে এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ইউক্রেনকে আরো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেবে ন্যাটো
ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে ন্যাটোর অধিবেশন। সেখানে বাইডেন ঘোষণা করেন যে ইউক্রেনকে আরো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেবে। এতে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি। ৭৫ বছরে পা দিয়েছে ন্যাটো। আর সে সময়েই ওয়াশিংটনে বসেছে ন্যাটোর সম্মেলন। প্রথম দিন উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বক্তৃতায় একটিই উল্লেখযোগ্য বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।ৎ তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়াকে রুখতে ইউক্রেনকে আরো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেওয়া হবে। অতীতে এই সিস্টেম ইউক্রেনকে রাশিয়ার আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেছে। বাইডেনের এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভেলাদিমির জেলেনস্কি। তবে একই সঙ্গে তার আবেদন, আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলিকে এই সিস্টেম দ্রুত দিতে হবে। রাশিয়াকে ঠেকাতে আরো সাহায্য প্রয়োজন ইউক্রেনের। একইসঙ্গে জেলেনস্কি বলেছেন, আমেরিকায় নির্বাচনের আগেই যেন এই ডিফেন্স সিস্টেম ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুধু আমেরিকা নয়, জার্মানি, রোমানিয়া, ইটালি, নেদারল্যান্ডসকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি এই প্রস্তাবে সহমত হওয়ার জন্য। জেলেনস্কি বলেছেন, এই ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে রাশিয়ার ক্রমাগত ড্রোন আক্রমণ প্রতিহত করা যাবে। মার্কিন নির্বাচনের আগে ওয়াশিংটনে এদিন জেলেনস্কি একটি বিষয়ে অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। তিনি বলেছেন, নভেম্বরে আমেরিকায় নির্বাচন। তার আগেই যেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কড়া পদক্ষেপ নেয় পশ্চিমা দেশগুলি। নির্বাচন পর্যন্ত যেন অপেক্ষা করা না হয়। এদিন জেলেনস্কি বলেন, ২০২২ সালের আগে ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তিনি ট্রাম্পকে খুব ভালোভাবে চেনেন না। তিনি ক্ষমতায় এলে কী হবে, তা তার কাছে স্পষ্ট নয়। বস্তুত, ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে জো বাইডেন। ডেমোক্রেটদের একটি অংশও তার সমালোচনায় মুখর। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিতর্কসভায় বাইডেন কার্যত ঘুমিয়ে পড়ছিলেন। তারপরেই তার শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। বাইডেন এবং হোয়াইট হাউস অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে যে, শারীরিকভাবে প্রেসিডেন্ট সম্পূর্ণ সুস্থ। দীর্ঘ সফরের কারণেই বিতর্কসভায় ঘুমিয়ে পড়ছিলেন তিনি। ট্রাম্পের শিবিরও বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বাইডেন আদৌ প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন রিপাবলিকানরা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এদিন ন্যাটোর সম্মেলন শুরু হয়েছে। এবং সেখানেও চলে এসেছে মার্কিন নির্বাচনের প্রসঙ্গ।