• ঢাকা শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪, ১ চৈত্র ১৪৩০
logo
ভূমধ্যসাগরে ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু
রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ
রাশিয়ায় শুক্রবার (১৫ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশনের ভোটগ্রহণ। ১৭ মার্চ পর্যন্ত তিনদিন ধরে চলবে এ ভোটগ্রহণ। এতে সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত অঞ্চলসহ রাশিয়ার সব ভোটারকে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অংশ নিতে বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এক ভিডিওবার্তায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ৭১ বছর বয়সী পুতিন বলেন, আমাদের এখন ঐক্যবদ্ধ ও সংঘবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আপনাদের দেওয়া প্রতিটি ভোটই মূল্যবান। আগামী তিন দিন আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। ২০০০ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন পুতিন। এবারের নির্বাচনেও তিনিই জয়ী হবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। নির্বাচনে তিনি ছাড়াও আর তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যদিও তাদের কেউই পুতিনের সমালোচনা করেননি। একাধিক মতামত জরিপে পুতিনকে অধিকাংশ রাশিয়ান নাগরিকের সমর্থন পেতে দেখা যায়। গত মাসের এক জরিপে পুতিন ৭৫ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে যে দুই প্রার্থী ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লড়তে চেয়েছিলেন, তাদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ইউক্রেনের এ যুদ্ধকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে অভিহিত করেছিল রাশিয়া। ভিডিওবার্তায় পুতিন বলছিলেন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য সব ভোটার একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ এবং স্বাধীন রাশিয়াকে দেখতে চায়। আর তা ভোট প্রয়োগের মাধ্যমেই সম্ভব।
বন্যা-ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ায় ২৬ প্রাণহানি
রমজান শুরুর তারিখ ঘোষণা করল ব্রুনাই
যুদ্ধের জন্য সেনাবাহিনীকে জোর প্রস্তুতির নির্দেশ কিমের
রাশিয়ার সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্কের ঘোষণা চীনের
জেলেনস্কিকে হত্যার চেষ্টা হয়নি: রাশিয়া
সম্প্রতি জেলেনস্কি থাকাকালীন ইউক্রেনের ওডেসায় হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। ইউক্রেনের অভিযোগ, প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনের ওডেসায় গেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধে ওই অঞ্চলের অবস্থা দেখাতেই তিনি সেখানে গ্রিসের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে গেছিলেন। তাদের গাড়ির কনভয়ের মাত্র ৫০০ মিটার দূরে মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনের অভিযোগ, জেলেনস্কি এবং গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতেই এই আক্রমণ চালানো হয়। কিন্তু রাশিয়া তা অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেডভেডেভ জানিয়েছেন, রাশিয়া চাইলে জেলেনস্কির গাড়ির উপরেই হামলা চালাতো, গাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে নয়। জেলেনস্কিকে হত্যার জন্য ওই আক্রমণ চালানো হয়নি। ইউক্রেন অবশ্য রাশিয়ার এই বক্তব্য মানতে নারাজ। এদিকে মলডোভার প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সে গিয়ে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। জানিয়েছেন, শুধু ইউক্রেন নয়, প্রতিটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই একইরকম ব্যবহার করছে পুটিনের রাশিয়া। যে কোনো সময় তাদের উপরেও আক্রমণ নেমে আসতে পারে। ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে জার্মানিতে ভোট জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডি সম্প্রতি একটি জনমত সমীক্ষা করেছিল। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল, জার্মানির তৈরি দূরপাল্লার মিসাইল টরাস ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত কি না। জার্মান চ্যান্সেলর দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তবে সম্প্রতি জার্মান সেনার একটি কথপোকথন প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে বলা হচ্ছে, ইউক্রেনকে এই মিসাইল পাঠানো হবে। এআরডি-র সমীক্ষা অনুযায়ী ৬১ শতাংশ জার্মান মনে করেন ওই অস্ত্র ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত নয়। কারণ, এরপর রাশিয়া জার্মানিতে হামলা চালালে তা প্রতিহত করার যথেষ্ট ক্ষমতা জার্মানির নেই। বস্তুত, ৭৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন জার্মানির প্রতিরক্ষা খরচ বাড়ানো উচিত। ওই খাতে বাজেট অনেকটাই বৃদ্ধি করা উচিত। যদিও মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এই খরচ মানুষের উপর কর চাপিয়ে করা উচিত। অধিকাংশের বক্তব্য, অন্যখাতে খরচ কমিয়ে অথবা ধার নিয়ে একাজ করা দরকার। মানুষের উপর আরো করের বোঝা চাপিয়ে নয়। ২৯ শতাংশ মানুষ অবশ্য মনে করেন, টরাস মিসাইল ইউক্রেনকে দেয়া উচিত। এরমধ্যে অধিকাংশই গ্রিন এবং এফডিপি দলের সমর্থক। বস্তুত, এই দুই দলও তা-ই মনে করে।
এগারো বছর পর জন্ম নেওয়া যমজ সন্তানকে হত্যা করল ইসরায়েল
দীর্ঘ ১১ বছর পর মা হয়েছিলেন ফিলিস্তিনি নারী রানিয়া আবু আনজা। তিন দফা ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সন্তান ধারণের চেষ্টার পর জমজ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তবে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মুহূর্তের মধ্যেই তার দুই সন্তান নিহত হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে ওই পরিবারের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, শনিবার ওই নারীর শিশু ছেলে, মেয়ে ও স্বামীসহ পরিবারের ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। এখনো বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে ওই পরিবারের আরও ৯ জন। গাজা-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর জন্ম নেওয়া উইসাম ও নাঈমকে রোববার দাফন করা হয়।  সন্তানের ব্যবহৃত একটি কম্বল বুকে জড়িয়ে রোববার রানিয়া জানান, তিনি তার বাচ্চা এবং স্বামীর জন্য চিৎকার করে ওঠেন। তারা সবাই মৃত। সন্তানদের নিয়ে তাদের বাবা চলে গেছে। মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য বন্ধ্যত্ব সমস্যা ঘুচানোর জন্য আমি দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নিয়েছিলাম। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল গাজার আবাসিক ভবনগুলোতেও নিয়মিত বিমান হামলা চালিয়েছে, এমনকি রাফাতেও। যদিও গত অক্টোবর মাসে ইসরায়েল রাফাকে নিরাপদ জোন ঘোষণা করেছিল। এখন রাফাই হচ্ছে ইসরাইলের পরবর্তী স্থল অভিযানের টার্গেট।
নেপাল থেকে কমে বিদ্যুৎ চায় বাংলাদেশ, চলছে দর কষাকষি
নেপালের সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে দর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশের প্রস্তাবিত দর অনেক কম বলে তাতে সায় দিতে এখন পর্যন্ত সম্মত হয়নি দেশটি। ফলে, দর কষাকষি চলছে দুদেশের।  নেপালের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (এনইএ) কর্মকর্তারা সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেপালের জাতীয় দৈনিক দ্য কাঠমন্ডু পোস্টকে।  এনইএ’র এক কর্মকর্তা কাঠমন্ডু পোস্টকে বলেন, ‘আমরা যে দাম চেয়েছি, তা আমরা যৌক্তিক মনে করেই চেয়েছি। বাংলাদেশ যে দাম প্রস্তাব করেছে, এখনও আমরা তাতে সায় দিইনি। বাংলাদেশ কর্মকর্তারা বলেছে, এ ব্যাপারে তাদের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে আমাদের।’ প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি এবং ভারতের তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংস্থা এনটিপিসি ও এনভিভিএন এর সঙ্গে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তি করে বাংলাদেশের সরকার। সেই চুক্তির শর্ত অনুসারে, ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাবে নেপাল। ভারত-নেপাল সীমান্তের ধালকেবার-মুজাফফরপুর থেকে লাইন বা তারের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে এ বিদ্যুৎ। চুক্তিতে প্রতি ইউনিটের দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৩০ নেপালি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ দশমিক ৬৮ টাকা। আগামী জুন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হওয়ার কথা। এর মধ্যেই বাংলাদেশ সরকার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫ নেপালি রুপি ধার্য করার প্রস্তাব করেছে বলে জানিয়েছেন এনইএ’র একজন কর্মকর্তা। এতেই খানিকটা বেঁকে বসেছে নেপালের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এনইএ’র একজন কর্মকর্তা বলছেন, ‘চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বিদ্যুৎ পাঠানো সংক্রান্ত সার্ভিস চার্জ, হুইল চার্জ আমাদের বহন করতে হবে না। এনভিভিএন এই খরচ বহন করবে। বিদ্যুতের দাম যদি ইউনিট প্রতি ৯ দশমিক ৩০ নেপালি রুপি ধরা হয়, তাহলে সেখান থেকে নেপাল পাবে ৫ দশমিক ২৫ রুপি। বাকিটা পাবে ভারতীয় সংস্থা। কিন্তু, বাংলাদেশ যে দাম প্রস্তাব করেছে, তা কার্যকর হলে আমাদের ভাগে প্রায় কিছুই থাকে না।’ এনইএ’র নির্বাহী পরিচালক কুল মান ঘিসিংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গত সপ্তাহে ঢাকা এসেছিল। সে সময় বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বিদ্যুতের দাম নিয়ে দর কষাকষি হয় বলে জানা গেছে। তবে, এ বিষয়ে চুড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ নিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই চুড়ান্ত মত জানাবেন তারা। এনইএ’র নির্বাহী পরিচালক প্রদীপ কুমার ঠিকে অবশ্য ত্রিদেশীয় বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে এখনও আশাবাদী। কাঠমন্ডু পোস্টকে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ক্রয় করার জন্য প্রস্তুত, আর আমরা বিক্রির জন্য প্রস্তুত। আমাদের সর্বশেষ বৈঠক ইতিবাচক ছিল এবং আমরা আশাবাদী যে পরবর্তী বৈঠকে আমরা এ ব্যাপারে মীমাংসায় পৌঁছাতে পারব।’
পদত্যাগ করলেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন এবং পশ্চিম তীর-জেরুজালেমে সহিংসতা বৃদ্ধি ও অনাহারে মানুষ মারা যাওয়ায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পদত্যাগ করেছেন তিনি। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। খবর আল জাজিরা। মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেন, ইসরায়েলি গণহত্যার পরবর্তী পর্যায় এবং এর চ্যালেঞ্জগুলির জন্য নতুন সরকারি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রয়োজন ফিলিস্তিনে। এ জন্য ফিলিস্তিনে ঐক্য প্রয়োজন। এছাড়া ফিলিস্তিনের ভূমিতে কর্তৃত্বের ঐক্যের সম্প্রসারণ প্রয়োজন। ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মধ্যে দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু মোহাম্মদ শাতায়েহ। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের নির্বাচন কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের সরকারের কর্মসংস্থান ও আবাসন বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হন শাতায়েহ।
সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেবে মিয়ানমার সরকার
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের কথা বলে সেনাবাহিনীতে নিচ্ছে জান্তা সরকার। এ জন্য অনেক গ্রাম এবং ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা পুরুষদের ধরে আনা হচ্ছে।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থাইল্যান্ড থেকে পরিচালিত দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। রাখাইনের অধিকারকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যেসব রোহিঙ্গা পুরুষ সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন তাদের এক বস্তা চাল, নাগরিকত্বের একটি পরিচয়পত্র এবং মাসিক ১ লাখ ১৫ হাজার কিয়াট বেতন দেওয়া হবে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরাকান আর্মির কাছে হারানো শহরগুলো পুনরায় নিজেদের দখলে নিতে রোহিঙ্গা পুরুষদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হচ্ছে। জান্তার পক্ষে যুদ্ধে যোগদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাম্প এবং গ্রাম থেকে ৪০০ রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জান্তা বাহিনী ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সকলের তালিকা তৈরির জন্য বুচিডং, মংডু এবং সিত্তের গ্রাম প্রশাসক ও নেতাদের চাপ দিয়েছে।এরমধ্যে ছোট গ্রাম থেকে অন্তত ৫০ জন, বড় গ্রাম ও প্রতিটি শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অন্তত ১০০ জনের তালিকা দেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান বলেছেন, প্রশিক্ষণের সময় মাত্র দুই সপ্তাহ। যাদের দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের জান্তা বাহিনী শুধুমাত্র মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি বুধবার পর্যন্ত সিত্তের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ৩০০ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তারা এখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এর আগে বুচিডং থেকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি শতাধিক মুসলিম রোহিঙ্গা পুরুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সব নারী-পুরুষের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। 
জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে গেল সেতু, বাসসহ বহু মানুষ নদীতে
চীনের গুয়াংজুতে পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় মাঝ বরাবর ভেঙে গেছে একটি সেতু। এতে ওই মূহুর্তে সেতু পারাপাররত বাসসহ পাঁচটি যানবাহন নদীতে পড়ে তলিয়ে গেছে।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে গুয়াংজু প্রদেশের নানশা জেলায় পার্ল নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সঙ্গে আহত হয়েছেন জাহাজের একজন ক্রু। এছাড়া এ ঘটনায় এখনও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।  চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভির এক ফুটেজে দেখা গেছে, সেতুর একটি অংশ ভেঙে নদীতে তলিয়ে গেছে। সেতুর নিচে আটকে আছে দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি। তবে, জাহাজে কোনও মালামাল ছিলো না বলেই মনে হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই সেতুর আশেপাশের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আটক করা হয়েছে জাহাজের ক্যাপ্টেনকে। আশেপাশের এলাকায় পানি সরবরাহ ও ইন্টারনেটের মতো পরিষেবাও আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পার্ল নদীর মোহনায় অবস্থিত গুয়াংজু হলো চীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম বাণিজ্যিক বন্দর নগরী। আর ঘটনাস্থল নানশা জেলা দক্ষিণ চীনের অন্যতম দ্রুততম বর্ধনশীল বন্দর। ২০০৪ সালে চালু হওয়ার পর থেকে প্রতি বছরই এ বন্দরে কার্গো জাহাজ চলাচল বেড়ে চলেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেতুটিতে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বেশ কিছুদিন আগেই এটা সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তিনবার স্থগিত হয়ে যায় সংস্কারের উদ্যোগ। এছাড়া, ২০২১ সালে নৌযানের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়িয়ে সেতুর কাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল।   
রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে চায় জান্তা
রাখাইনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) কাছে পরাস্ত হয়ে ভিন্ন পথে এগুতে চাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সেই ছকেই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল মিয়ানমারের মংডু অঞ্চলের মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জান্তা বাহিনীর কমান্ডাররা। বৈঠকের এক পর্যায়ে তাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, যদি তারা জান্তা বাহিনীর হয়ে কাজ করেন; তাহলে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। তবে বেশিরভাগ নেতা এতে দ্বিমত পোষণ করেছেন।  বৈঠকে উপস্থিত এক মুসলিম নেতার বরাত দিয়ে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ নিয়ে এক প্রতিবেদন করে রাখাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ।  এতে বলা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মংডুর ময়ো থু গি গ্রামের ৫নং বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নে বৈঠকটি হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জান্তার ডিভিশন কমান্ডার থুরেন তুন এবং বিভাগীয় প্রশাসক নায়ো ও। তাদের আয়োজিত এ বৈঠকে স্থানীয় মুসলিমদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।  মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের তিন বছরের মাথায় সম্প্রতি দেশটির জান্তা সরকার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের যোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে বর্তমানে দিশেহারা জান্তারা। এর পরেই এ বৈঠক করলো তারা। নারিনজারা নিউজকে এক মুসলিম নেতা বলেছেন, বৈঠকে কমান্ডার থারুন তুন আমাদের বলেছেন, রাখাইনের মানুষের (বৌদ্ধ আরাকান আর্মি) কারণে আমরা মুসলিমরা ভুগছি। ফলে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অস্ত্র তুলে নেওয়া উচিত। এমনকি এই কমান্ডার আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন, যদি আমাদের গ্রামের কাছে যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে সেনারা আমাদের গ্রামে হামলা চালাবে না। তারা শুধুমাত্র রাখাইনের গ্রামে হামলা চালাবে। এজন্য আমরা যেন জান্তার হয়ে কাজ করি। তবে বৈঠকে উপস্থিত মুসলিম নেতাদের একটি অংশ বলেছেন, যদি তাদের সত্যিকার অর্থে মিয়ানমারের নাগরিকের মর্যাদা দেওয়া হয়; তাহলে তারা এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখবেন। তবে বেশিরভাগ নেতা এতে রাজি হননি। ওই নেতা নারিনজারাকে আরও বলেছেন, কিছু নেতা আমাদের সত্যিকার নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে রাখাইনের মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বেশিরভাগ নেতা। তা সত্ত্বেও সেনা কমান্ডার তাদের আহ্বান জানিয়েছেন, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে। এদিকে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতীর প্রতিবেদনে জানা যায়, মিয়ানমারের পুরানো রাজধানী শহর ইয়াঙ্গুন ও অন্যতম বড় শহর মান্দালয়সহ জাতিগত বামার সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরগুলোতে জাতিগত রোহিঙ্গাবিরোধী পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।  এসব পোস্টার ও লিফলেটের মাধ্যমে জাতিগত রোহিঙ্গাদের বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। রোহিঙ্গা মালিকানাধীন দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোঁরায় না যেতে বলা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এইসব শহরে যেসব জাতিগত রোহিঙ্গা বসবাস করেন তাদেরকে তাদের নিজ রাজ্য রাখাইনে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে।