• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশিদের জীবনে এক শ্রেষ্ঠ অর্জন: জি এম কাদের
জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারে আইনি নোটিশ
ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ ঘটনায় সম্পৃক্ত তার অনুসারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোবাবর (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) ও মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ নোটিশ পাঠান হয়। নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনজীবী সবুজ খান। আইনি নোটিশে বলা হয়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলেও জাতীয় পার্টি সদস্যদের ও শেখ হাসিনার নামে অসংখ্য হত্যা মামলা হয়। তবে জাতীয় পার্টি কৌশল অবলম্বন করে গ্রেপ্তার এড়িয়ে যায়। কিন্তু বিগত আমলগুলো দেখলে ও বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ্য করা যায়, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে স্বৈরাচারী সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করেছে। জাতীয় পাটির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে দিয়েছে এবং ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছে। শুধুমাত্র তথাকথিত বিরোধী দল থাকার জন্য স্বৈরাচারের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সব অপরাধের দায় তাদেরকেও নিতে হবে। এতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে। আইন সবার জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের তা এড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ১৪ দলের নেতারা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হলেও জি এম কাদেরসহ তার অনুসারীদের আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মর্মাহত। জি এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে শহিদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করার অনুরোধ জানান আইনজীবী সবুজ খান। আরটিভি/আরএ-টি
জাতীয় পার্টিকে অবাঞ্ছিত করার চেষ্টা চলছে: জি এম কাদের
এবার জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি গ্রেপ্তার
ট্রাম্পের বিজয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে: জিএম কাদের
মাইনাস টু’র মতো বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়াও ব্যর্থ হবে: চুন্নু 
কোন পথে জাতীয় পার্টি
বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছে জাতীয় পার্টি৷ দলটি শেষপর্যন্ত রাজনীতি করতে পারবে কি-না, তা নিয়ে দলের নেতারা চিন্তিত৷ প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, দেশে এখনও কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি৷ কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও শ্রমিক আন্দোলন ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের' সহযোগী হিসাবে দলটিকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে৷ আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা মনে করি নিষিদ্ধ হবে বিচারের মাধ্যমে৷ তবে তার আগে আমরা জাতীয় পার্টির কার্যক্রম স্থগিত করার দাবি জানিয়েছি সরকারের কাছে৷'' ঘোষণা দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা চালানো হয়৷ এসময় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়৷ প্রথম দফায় জাতীয় পার্টির লোকজন ওই হামলা প্রতিরোধ করতে পারলেও রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুই জন সমন্বয়ক ঘোষণা দিয়ে  ছাত্রদের নিয়ে সেখানে যান৷ দ্বিতীয় দফায় হামলা ও আগুনের সময় ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকেও সেখানে আগুন নেভাতে দেয়া হয়নি৷ আর পুলিশ ছিলো পুরোপুরি নিস্ক্রিয়৷ আর শনিবার জাতীয় পার্টি কাকরাইল এলাকায় সমাবেশ ডেকেও তা প্রত্যাহার করে পুলিশের নিষেধাজ্ঞার কারণে৷ পুলিশ শনিবার ওই এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে৷ কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও শ্রমিক আন্দোলন নগরীর অন্য এলাকায় জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশ করেছে৷ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘‘হামলাকে আমরা সমর্থন করি না৷ তবে ফেসবুক পোস্ট দিয়ে যে সমন্বয়কেরা গেছেন, সেটা আমাদের আন্দোলনেরই অংশ৷ তারা স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল৷ তাই ঘেরাও করা আন্দোলনেরই অংশ৷ আমরা আগুন বা হামলা সমর্থন করি না৷ তবে ওই হামলা ও আগুনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই৷ কারণ তারা গেছে রাত সাড়ে ৮টার পরে৷ তার আগেই হামলা ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে৷'' তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে কি-না, তা দেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে৷  তাদের বিচার হবে৷ তবে বিচার শেষ হওয়ার আগে আমরা তাদের দলের কার্যক্রম স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছি সরকারের কাছে৷'' আর প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার জানান, ‘‘কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেই৷ কোনো দলকে নিষিদ্ধও করা হয়নি৷ একটি ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷'' রাজনৈতিক দলগুলো কী বলছে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি)-এর সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টি একটি স্বৈরাচারি দল৷ তাদের জন্ম স্বৈরাচারি কায়দায়৷ আর তারা স্বৈরাচারকে টিকে থাকতে সহায়তা করেছে৷ এই দলটি সম্পর্কে দেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা রাজনীতি করতে পারবে কী পারবে না৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘আর আমাদের সংবিধানে সভা-সমাবেশ করার অধিকার দেয়া আছে৷ জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে৷ তার মানে এই নয় যে, কোনো একটি দলকে নিষিদ্ধ করা হবে বা তার রাজনীতি করার অধিকার নেই৷'' আর জাতীয় পার্টি অফিসে হামলা ও আগুন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এটা তো একটা ফ্যাসিবাদি আক্রমণ৷যে ঘোষণা করে, ঘটা করে একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে আক্রমণ এবং আগুন দেয়া হয়েছে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ আমরা মনে করি, আমরা যে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আছি এর মাধ্যমে সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷'' গণ অধিকার পরিষদের প্রধান নুরুল হক নুর বলেন, ‘‘আমরা কোনো ধরনের হামলা, সহিংসতা ও মব জাস্টিসকে সমর্থন করি না৷ আমরা মনে করি, এখন একটা সরকার আছে৷ সেই অবস্থায় যদি এরকম করা হয় তাহলে দেশে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা হবে৷ আর জাতীয় পার্টি অফিসে কারা হামলা করেছে, নিজেরাই করেছে কি-না তার তদন্ত হওয়া দরকার৷'' তিনি বলেন, ‘‘তবে যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর এবং সহযোগী ছিলো তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানাই আমরা৷'' এদিকে, ঢাকায় এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘দেশের কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বিএনপি৷ দেশে অযথা ইস্যু তৈরি করে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে৷ বাংলাদেশকে ঘিরে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷ এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের জনগণকে সজাগ থাকতে হবে৷'' আর কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ভাঙচুর থেকে বিরত থাকতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে সব দলকে আহবান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী৷ দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টিকে আমি কোনো বিধিবদ্ধ রাজনৈতিক দল মনে করি না৷ স্বৈরাচারী উপায়ে এর জন্ম হয়েছে৷ পরে স্বৈরাচারের সহযোগী হয়েছে৷ আর আসলে তাদের কার্যালয়ে হামলা না বলে আমি দুই পক্ষের সংঘর্ষ বলব৷ আর এতে জাতীয় পার্টির উসকানি ছিল৷ আমি মনে করি, পুলিশ প্রশাসন শনিবার তাদের সমাবেশ করতে না দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷'' কী ভাবছে জাতীয় পার্টি জাতীয় পার্টি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে দাওয়াত পেলেও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কোনো সংলাপেই তাদের ডাকা হয়নি৷ আওয়ামী লীগের সহযোগী ১৩ দলও ডাক পায়নি৷ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল৷ কয়েকদিন আগে রংপুরে দুই সমন্বয়কের সফরের সময় প্রতিরোধের ডাক দেয় জাতীয় পার্টি৷ এরপর তারা ঢাকায় শনিবারের সমাবেশের কর্মসূচি দিলে বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় পার্টি অফিসে হামলা ও আগুনের ঘটনা ঘটে৷ তারপরও তারা শনিবার সমাবেশের ব্যাপারে অনড় ছিল৷ কিন্তু পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পর তারা সমাবেশ বাতিল করে৷ এ প্রসঙ্গে আইনের প্রতি শ্রদ্ধার কথা বললেও আসলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানান জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতা৷ তারা বলেন, ‘‘হামলার প্রতিক্রিয়া, বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া দেখে তারা পরের অবস্থান নেবেন৷'' জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পটোয়ারী বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি, এই কারণে আমাদের নিষিদ্ধ করা হবে ছাত্রদের দাবীর মুখে তা হতে পারে না৷ সংবিধান এবং আইনে কারা সংগঠন করতে পারবে এবং দল করতে পারবে তা স্পষ্ট বলা আছে৷ সন্ত্রাসী কাজের জন্য, জঙ্গি তৎপরতার জন্য নিষিদ্ধ করা যায়৷ জাতীয় পার্টি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলার সময় পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিরোধে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল, তা রাখতে তারা ব্যর্থ হয়েছে৷ সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল৷ মামলা করার জন্য আমাদের লোক গেছে। কিন্তু এখনও পুলিশ মামলা নেয়নি৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘এখানে ঘোষণা দিয়ে হামলা করা হয়েছে৷ সুতরাং কারা হামলা করেছে তা স্পষ্ট৷ সরকার চাইলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে৷'' শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টি তার গণতান্ত্রিক রাজনীতি অব্যাহত রাখবে৷ঘোষণা দিয়ে হামলা, রাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে৷ কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না৷'' আরটিভি/এআর
জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে সেনাবাহিনীর টহল, মোতায়েন আছে পুলিশ 
সমাবেশ ও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণার জেরে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে। শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে কার্যালয়টির সামনে মোতায়েন রাখা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। একইসঙ্গে কার্যালয় ঘিরে রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে সেনাবাহিনীর একাধিক দলকে। তবে, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয়টিতে দেখা যায়নি জাপার কোনো নেতাকর্মীকে। কাকরাইলে দলের প্রধান কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (২ নভেম্বর) সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। সেই সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে পাল্টা কর্মসূচি দেওয়া হয় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতা’র ব্যানারে। এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতেই কাকরাইলসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির নিষেধাজ্ঞার পর জাতীয় পার্টি তাদের সমাবেশ স্থগিত করে। তবে, কোনো ঝুঁকি না নিয়ে ওই এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ রানা বলেন, কাকরাইলসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এলাকার মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন দল এই এলাকায় টহল দিচ্ছে। সেনাবাহিনীও টহলে রয়েছে। ফলে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টিকে ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক জনতার ব্যানারে একদল কর্মী মিছিল নিয়ে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গেলে জাপা কর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে জাপা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে সেখানে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আরটিভি/এসএইচএম-টি  
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে রাজধানীর কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর থেকে কাকরাইলের জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে কোনো নেতাকর্মীর দেখা নেই। তবে রয়েছে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ও উৎসুক মানুষের আনাগোনা।  শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ সময় আগুন দেওয়া ভবনটি খালি পড়ে থাকতে দেখা যায়। উৎসুক জনতা তার সামনে দিয়ে যাচ্ছেন আর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। কেউ কেউ আবার ছবিও তুলে রাখছেন। আর লোকজন ভিড় জমালেই তাদেরকে সরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।   এর আগে, এখানে জাতীয় পার্টি সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দেয়। বিপরীতে সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। এমন পরিস্থিতিতে কাকরাইলসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এর প্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জাতীয় পার্টি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আজ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। আরটিভি/আইএম/এসএ
জাতীয় পার্টির সমাবেশ স্থগিত
রাজধানীর কাকরাইলে ডাকা সমাবেশ স্থগিত করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ২টায় অনুষ্ঠেয় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।  ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স ২৯ ধারার ক্ষমতা বলে (সভাস্থল) পাইওনিয়ার রোডস্থ ৬৬ নং ভবন, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করায় জাতীয় পার্টি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।’ এদিকে, শুক্রবার জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফির পর এবার দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের উপদেষ্টা সাজ্জাদ রশিদ পদত্যাগ করেছেন। এর আগে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ দলের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ২ নভেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় দলটি। জাপার এমন কর্মসূচির কিছুক্ষণ পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল মানুষ। এরপর শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ওই কার্যালয়ের সামনেই শনিবার সমাবেশ হবে। কিন্তু ওই সমাবেশ ‘করতে দেওয়া হবে না বলে’ হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। দুই পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানসহ পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার তিনটি সংলাপে ডাক পায় জাতীয় পার্টি। এরপর গত ৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব। এরপর গত ১৯ অক্টোবরের চতুর্থ দফার সংলাপে ডাক পায়নি দলটি। অন্যদিকে, বিভিন্ন সময় জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। আরটিভি/আরএ/এআর
এবার জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টার পদত্যাগ
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফির পর এবার দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের উপদেষ্টা সাজ্জাদ রশিদ পদত্যাগ করেছেন।  শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  বিজ্ঞপ্তিতে সাজ্জাদ রশিদ উল্লেখ করেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এবং চাঁদপুর জেলার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পতিত সরকারের বৈষম্যমূলক নানা আচরণের বিরুদ্ধে সর্বদা অবস্থান গ্রহণ করেছি। কিন্তু জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর দলীয় পক্ষপাতমূলক ও বৈষম্যমূলক কার্যক্রম, পরস্পরবিরোধী ও অসঙ্গতিপূর্ণ রাজনৈতিক নীতিহীন সিদ্ধান্তের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এবং চাঁদপুর জেলা সহ-সভাপতিসহ সকল পদ-পদবী থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমার সঙ্গে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার জাতীয় যুব সংহতি এবং জাতীয় ছাত্র সমাজের চার শতাধিক নেতাকর্মী জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন থেকে পদত্যাগ করবে। এর আগে এদিন সন্ধ্যায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বিপ্লব বাস্তবায়ন করতে পদত্যাগ করেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফি। আরটিভি/এসএপি   
ছাত্র-জনতার বিপ্লব বাস্তবায়নে জাপার সাংগঠনিক সম্পাদকের পদত্যাগ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বিপ্লব বাস্তবায়নে পদত্যাগ করলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফি।  শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে দলটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সব পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।  সংবাদ সম্মেলনে শাফি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বিপ্লব বাস্তবায়ন করতে গেলে রাজনীতিতে থেকে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে জাতীয় পার্টির সব পদ ও পদবী থেকে পদত্যাগ করছি।’ তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে অনেক মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পূর্ববর্তী সময়েও ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালেও একটি মামলা হয়েছে আমার নামে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থা বেশি ভালো না। তাই সংবাদ সম্মেলনে রাজনৈতিক দল থেকে সরে এসে নিরপেক্ষভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার কথা চিন্তা করছি।’ জানা গেছে, শাফি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে ছাত্র অবস্থায় রংপুরে ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শাফি। শাফিউল ইসলাম শাফির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াছির বলেন, ‘শাফি পদত্যাগ করেছে এবিষয়ে আমাদের জানা নেই। তার পদত্যাগপত্র এখনো আমরা হাতে পাইনি। তিনি ছাত্র জীবনে ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার নামে একাধিক মামলাও ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এসব মামলা থেকে নিজেকে বাঁচতে দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের কাছে মিনতি করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।’ আরটিভি/এসএপি/এআর
শনিবার মহাসমাবেশ করবে জাতীয় পার্টি
আগামীকাল শনিবার কাকরাইলে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, জীবন দিয়ে হলেও জাতীয় পার্টি আগামীকাল শনিবার মহাসমাবেশ করবে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর বিজয়নগরে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনার পর আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন এ কথা জানান তিনি। জি এম কাদের বলেন, আমরা আগামীকাল (২ নভেম্বর) একটি সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম, সেই আয়োজনকে ঘিরে গতকাল রাতে ছাত্রজনতার ব্যানারে ছাত্র অধিকার পরিষদের একজন নেতা বেনিয়ামিন মোল্লার নেতৃত্বে একটি দল জাতীয় পার্টি অফিসে ভাঙচুর করেছে, আমরা এর তীব্র ও নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। আমরা জানতে পারি, পরে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মনির, ইসমাইল, আনোয়ারের নেতৃত্বে আরেকটি দল আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। আমরা মহাসমাবেশ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছ থেকে বৈধভাবে অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একটি কুচক্রী মহল আগামীকালের যে মহাসমাবেশ নির্ধারিত ছিল, সেটা নস্যাৎ করতে তারা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করেছে। জাতীয় পার্টি জীবন দিয়ে হলেও সেই সমাবেশ করবে। সব ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন চলছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, যারা জীবনে সংসদে যায়নি, তাদের আস্ফালনে আমরা ভিত নই। জনগণের মনে আমাদের যে জায়গা আছে তা কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। আন্দোলনের ফসল সত্যিকারভাবে পাচ্ছি না জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের মতো বিভাজনের প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। নিরপরাধ হাজার হাজার লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টাকে বলব, আপনি সবাইকে সমান চোখে দেখেন। যাদের নিয়ে বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে, তাদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। দলীয়করণ মুক্ত করতে গিয়ে কি পুনরায় দলীয়করণ হচ্ছে না- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, দেশের স্থিতিশীলতার প্রয়োজন আছে। আইনশৃঙ্খলা, চাকরি, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ নেই। আল্লাহ ছাড়া কারো নিরাপত্তা পাইনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম ভূঁইয়া, দলটির, অতিরিক্ত মহাসচিব (রংপুর বিভাগ) ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের। আরটিভি/একে