জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বিশ্ব আজ এক ভয়াবহ সংকট অতিক্রম করছে। ক্ষুধা, দরিদ্রতা ও বৈষম্যে অগণিত মানুষ দিশেহারা। হিংসা, বিদ্বেষ, অসহযোগিতা ও অমানবিকতায় বিশ্ব পরিপূর্ণ। জরুরি ভিত্তিতে এসব সংকটের সমাধান প্রয়োজন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে শেরাটন হোটেলে কূটনীতিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, গাজায় মর্মস্পর্শী দুঃখজনক ঘটনা ঘটে চলেছে। অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ, নারী, শিশু হতাহতের শিকার হচ্ছেন। তাদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা ও অসহায়-অনিশ্চিত জীবনের হৃদয়বিদারক ঘটনার ছবি ও বর্ণনা প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, জেনেভা ঘোষণা অনুযায়ী, সশস্ত্র সংঘাত এবং সহিংসতার কারণে প্রতি বছর ৫ লাখ ২৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। এ ছাড়া লাখ লাখ মানুষ বছরের পর বছর নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে দেশান্তরিত হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার ফলে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। তাদের জীবন অসম্মানজনক ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
ইফতার মাহফিলে আমেরিকান দূতাবাসের চার্জ দে অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ, কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, সিঙ্গাপুরের কনস্যুল শিলা পিল্লাই, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ডেপুটি কাউন্সিলর (পলিটিক্স অ্যান্ড ইকোনমি) আরতুরো হাইন্স, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডেপুটি রাষ্ট্রদূত বার্নড স্পেনিয়ার, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ডানা এল. ওল্ডস, ডেপুটি চিফ অব পার্টি লেসলি রিচার্ডস, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটার, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সেলর ইরোজ রাব্বানী, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।