• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
মেলবোর্নে প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে প্রতিবাদ ও সংঘর্ষ
৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পাপুয়া নিউগিনিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের কাছে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতি বা সুনামির কোনো হুমকি সৃষ্টি হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।  বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার পাপুয়া নিউ গিনির উত্তর উপকূলের কাছে ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার (৬.২১ মাইল) গভীরতায় আঘাত হনে ভূমিকম্পটি। এর আগে গত মার্চ মাসে পাপুয়া নিউ গিনিতে রিখটার স্কেলে শক্তিশালী ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভয়াবহ সেই ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত পাঁচজন নিহত ও সহস্রাধিক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। এ ছাড়া চলতি বছরের এপ্রিলেও ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পাপুয়া নিউগিনি। উল্লেখ্য, পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিকম্পের ঘটনা বেশ সাধারণ। এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত। এছাড়া টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে ঘর্ষণের কারণে ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের জন্য এই অঞ্চলটি একটি হটস্পট। এর আগে, গত মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পে কাঁপে পাপুয়া নিউগিনি। সেসময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির কিম্বে শহরের দক্ষিণ-পূর্বে গভীর রাতে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
কমলাকে নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছাদে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ
চাকা ছাড়াই অবতরণ করল বিমান!
সংসদে ধর্ষণের অভিযোগ  / মান বাঁচাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন রাজনৈতিক কর্মী
সংসদ ভবনে নিজের সহকর্মীর হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অস্ট্রেলিয়ার একটি টিভি চ্যানেলে অভিযোগ তুলেছিলেন ব্রিটানি হিগিন্স নামে এক রাজনৈতিক কর্মী। তিন বছর আগে ঘটনাটি যখন সামনে আসে, হতবাক হয়ে গিয়েছিল পুরো বিশ্ব। এবার চাঞ্চল্যকর এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে সিডনির একটি দেওয়ানি আদালত।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) রয়টার্স, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ানসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তথ্যটি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন করেছে।  গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার নেটওয়ার্ক টেন টেলিভিশনে ২০২১ সালে ব্রিটানি হিগিন্স নামে পার্লামেন্ট হাউসের ওই রাজনৈতিক কর্মী ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন নিজের সহকর্মী ব্রুস লেহরম্যানের বিরুদ্ধে। তবে ওই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছিলেন  ব্রুস। শুধু তা-ই নয়, ব্রিটানির ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগটি প্রচারের কারণে সেদিনের উপস্থাপিকা লিসা উইলকিনসনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছিলেন তিনি। এবার ওই মানহানির মামলার লড়াইয়েই হেরে গেলেন ব্রুস লেহরম্যান। সহকর্মী ব্রিটানিকে ধর্ষণের যে অভিযোগ, তার সত্যতা পেয়েছেন আদালত।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) ধর্ষণের বিষয়টি সত্যিই ঘটেছিল বলে রায় দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল আদালতের বিচারক মাইকেল লি। রায়ে হিগিন্সকে ধর্ষণের পর ব্রুস লেহরম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। নেটওয়ার্ক টেন টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশ্রুসিক্ত হিগিন্স বলেছিলেন—২০১৯ সালে কীভাবে এক মন্ত্রীর অফিসের সোফায় তার চেতনা ফিরেছিল এবং চেতনা ফেরার পর শরীরের ওপর তিনি ব্রুসকে দেখেছিলেন। তবে ব্রুস লেহরম্যান দাবি করেন, সেদিন রাতে তারা দুজন ক্যানবেরায় মদ্যপানের পর নিজ নিজ পথে যাওয়ার আগে একটি উবার শেয়ার করে প্রথমে অফিসে এসেছিলেন। সোমবার ব্রুস লেহরম্যানের মানহানির মামলাটি বাতিল করে দিয়ে নিজের রায়ে বিচারপতি মাইকেল লি বলেন, ব্রুস লেহরম্যান ২৮ বছর বয়সী হিগিন্সের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের জন্য নারকীয় উপায় গ্রহণ করেছিলেন এবং এ বিষয়ে হিগিন্সের সম্মতি আছে কি না সেই বিষয়ে উদাসীন ছিলেন। তবে অফিসে ফেরার সময় হিগিন্স মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপ ছিলেন বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারক। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, অস্ট্রেলিয়ার আদালতে সোমবার এমন একটি মামলার আইনি রায় হলো, যা বছরের পর বছর ধরে জাতিকে আতঙ্কিত করে রেখেছে। এ ঘটনার সুবিচারের জন্য হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলা হচ্ছে, নিজের করা মানহানির মামলার জের ধরেই অতীত অপরাধে ফেঁসে যাচ্ছেন ব্রুস লেহরম্যান। মানহানির বিচার শুরু করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিচারপতি লি বলেছেন, সিংহের ডেরা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর মিস্টার লেহরম্যান তার টুপির জন্য ফিরে এসে ভুল করেছেন। পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা এই বিচারে এক ডজনেরও বেশি সাক্ষীর কাছ থেকে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এদের মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে ভাড়া করা একজন ‘ঠোঁট পাঠকের’ বিশ্লেষণ, হিগিন্সের মা-বাবা এবং পার্লামেন্টে ব্রুস ও হিগিন্সের সহকর্মীদের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেন আদালত। রায়ের পর আদালতের বাইরে কথা বলার সময় নেটওয়ার্ক টেন আউটলেটের উপস্থাপিকা মিসেস উইলকিনসন বলেছেন, ‘আমি আজ অস্ট্রেলিয়ার নারীদের জন্য আনন্দিত বোধ করছি।’ এ বিষয়ে নেটওয়ার্ক টেনও একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, সত্যের বিজয় হয়েছে।
সিডনিতে শপিং মলে হামলা : প্রত্যক্ষদর্শীদের ভয়াবহ বর্ণনা
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির পূর্বাঞ্চলের একটি শপিং মলে ছুরিকাঘাতে ৬ জন নিহত হয়েছেন। আর পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ওয়েস্টফিল্ড শহরের শপিং মলের ছয় তলার বন্ডি জংশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। বেলা তিনটার কিছুক্ষণ পর ওই শপিং মল থেকে ছুটে বেরিয়ে আসছিলেন কাতারে কাতারে মানুষ। এ ঘটনা নিজের চোখে দেখা অনেকেই তুলে ধরেছেন হামলার ভয়াবহ সব চিত্র। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামলার সময় মলে থাকা দুই সন্তানের এক মা বলেন, আমার সামনেই লোকজনকে নির্বিচার ছুরিকাঘাত করছিলেন এক হামলাকারী। এটা ছিল স্রেফ হত্যাকাণ্ড ছিল। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, লোকজন চিৎকার করতে করতে ছোটাছুটি করছিলেন। সবাই আত্মরক্ষার জন্য এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার পেছনে অবস্থান নেন।  তখন হামলাকারী বড় একটি ছুরি নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকেন। এরপরই গুলি চালান ওই কর্মকর্তা। বন্ডি জংশন সেন্টারে কেনাকাটা করতে গিয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যুবক জনি জানান, আমি তীব্র হট্টগোল শুনতে পান। পেছনে ফিরে দেখেন যে এক নারী ও তার শিশুসন্তানের ওপর হামলা হয়েছে। ছুরির আঘাতে ওই নারী আহত হয়েছিলেন। এতে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কেউ বুঝতে পারছিলেন না যে কী করবেন। ওই নারী কোনোমতে কাছের একটি দোকানের ভেতর ঢুকে পড়েন। এর পরপরই দোকানের কর্মচারীরা দরজা বন্ধ করে দেন। সেখানে থাকা কয়েকজন ক্রেতা ওই নারীর শরীর থেকে রক্তপাত বন্ধের চেষ্টা করেন। তার অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। তবে তার সন্তানের শরীরে আঘাত ততটা বেশি নয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, দেখতে পেলাম যে সবাই আমাদের দিকে ছুটে আসছেন। এরপর একটি গুলির শব্দ শুনলাম। আমার স্বামী আমাদের নিয়ে একটি দোকানে ঢুকে পড়েছিলেন। সেখানে থাকা এক নারী দোকানের দরজাগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করছিলেন। তবে সামনের দরজাটি বন্ধ করতে পারেননি। তাই আমরা দোকানের ভেতর অফিসকক্ষে ঢুকে পড়লাম। সেটি চারদিক দিয়ে বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ এসে আমাদের সেখান থেকে বের করে। এদিকে এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, দুঃখজনকভাবে একাধিক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। যারা এ হামলার শিকার হয়েছেন, তাদের এবং তাদের প্রিয়জনদের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সব নাগরিকের সহমর্মিতা রয়েছে।
সিডনিতে শপিংমলে হামলা, নিহত ৭
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির পূর্বাঞ্চলের একটি শপিং মলে ছুরিকাঘাতে ৬ জন নিহত হয়েছেন। আর পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৮ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ওয়েস্টফিল্ড শহরের শপিং মলের ছয় তলার বন্ডি জংশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার কিছু আগে হামলাকারী শপিংমলে হুডি ও শর্টস পরে প্রবেশ করে। এরপর দৌড়ে গিয়ে শিশুসহ এক নারীকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে। পরে হামলাকারী উদভ্রান্তের মতো শপিংমলে ছুটে বেড়িয়ে কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করে। পুলিশ এসে শত শত মানুষকে দোকান এবং স্টোররুমের ভিতরে লুকিয়ে থাকতে দেখে।পুলিশ হামলাকারীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু হামলাকারী সেই নির্দেশ না মানায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ। হামলার পর পুলিশ মলটির আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত রেখেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, ঘটনার সময় শপিং সেন্টারের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন দৌড়ে এদিক সেদিক লুকাচ্ছেন। একই সময় ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি হেলিকপ্টারও ঘটনাস্থলের ওপরে উড়তে দেখা যায়। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের সহকারী কমিশনার অ্যান্থনি কুক জানিয়েছেন, হামলাকারী তাকে লক্ষ্য করে ছুরি তোলায় তিনি নিজের হাতে থাকা বন্দুকটি ফেলে দেন। তবে হামলাকারী ব্যক্তি এখন নিহত।  
অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম রোজার দিন ঘোষণা
প্রথম রমজান কবে শুরু হচ্ছে সেই ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির ফতোয়া কাউন্সিল এক ঘোষণায় জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম রোজা শুরু হবে আগামী ১২ মার্চ (মঙ্গলবার)। অস্ট্রেলিয়ায় ন্যাশনাল ইমামস কাউন্সিল সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ফতোয়া কাউন্সিল এবং দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি ড. ইব্রাহিম আবু মোহাম্মদের সঙ্গে আলোচনার পর রমজানের প্রথম দিন ঘোষণা করা হয়েছে। খবর খালিজ টাইমসের। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে দেশটির সিডনি শহরে রোববার (১০ মার্চ) সূর্য অস্ত যাবে সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিটে। ঠিক একই দিনে চাঁদ দেখা যাবে সন্ধ্যা ৭টা ২৩ মিনিটে। অপরদিকে পার্থে রোববার (১০ মার্চ) সূর্য অস্ত যাবে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে এবং একই দিনের সন্ধ্যা ৬টা ৪৬ মিনিটে চাঁদ দেখা যাবে। সূর্যাস্ত এবং চাঁদ ওঠার ক্ষেত্রে এত কম সময়ের ব্যবধান রমজানের নতুন চাঁদ দেখার জন্য যথেষ্ট নয়। তবে সোমবার (১১ মার্চ) সিডনিতে সূর্য অস্ত যাবে সন্ধ্যা ৭টা ১৮ মিনিটে এবং একই দিনে সূর্যাস্তের ৩৬ মিনিট পর চাঁদ দেখা যাবে। অপরদিকে পার্থে সোমবার (১১ মার্চ) সূর্য অস্ত যাবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে এবং একই দিনের ৪১ মিনিট পর সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিটে চাঁদ দেখা যাবে। অর্থাৎ ১৪৪৫ হিজরি সনের রমজান মাসের নতুন চাঁদ দেখার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন তা ১১ তারিখে পরিস্থিতিতে যথেষ্ট বলা যায়। এসব বিষয় বিবেচনা করেই দেশটিতে ফতোয়া কাউন্সিল এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে রমজানের প্রথম দিন ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রোজা কবে তা জানা যাবে আজ। সৌদির চাঁদ দেখা কমিটি রোববার (১০ মার্চ) এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে বলে জানা গেছে। যদি আজ রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায় তবে আগামীকাল (১১ মার্চ) থেকেই দেশটিতে রমজান শুরু হবে। আর যদি আজ চাঁদ দেখা না যায় তবে সৌদিতে আগামী মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রথম রোজা। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদ দেখার জন্য দেশের সব মুসলিমকে আহ্বান জানিয়েছে সৌদির সুপ্রিম কোর্ট। কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গেই তা চাঁদ দেখা কমিটিকে জানাতে হবে। সৌদির উম্ম আল কুরা ক্যালেন্ডার অনুসারে, রোববার (১০ মার্চ) শাবানের ২৯ তারিখ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সৌদির বাসিন্দাদের অনুরোধ করেছেন যে, তারা খালি চোখে বা দূরবীনের সাহায্যে যদি চাঁদ দেখতে পান তবে সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাছে সে খবর পৌঁছে দিতে। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতেও আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল থেকে রমজান শুরু। দেশটির চাঁদ দেখা কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। আমিরাতের কোথাও চাঁদ দেখা গেলে তা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ
অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসীর সংখ্যা রেকর্ড অবস্থায় পৌঁছেছে, ফলে চলতি সপ্তাহে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসানীতি আরও কঠোর করতে যাচ্ছে দেশটি। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ওনিলের বিবৃতির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসনের মাত্রা কমিয়ে আনতে আগামী ২৩ মার্চ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ও গ্রাজুয়েট ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার স্কোর আরও বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে বারবার নিয়ম ভঙ্গ করলে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত হবে। অন্যদিকে, ভ্রমণের জন্য দেশটিতে আশা বিদেশিদের জন্য আরও বেশি সংখ্যায় ‘নো ফারদার স্টে’ (আর থাকা যাবে না) শর্ত আরোপ করা হবে।  উল্লেখ্য, করোনার পর ২০২২ সালে বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মী গ্রহণ বাড়িয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এতে দেশটির শ্রমবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়লেও আবাসনে দেখা দিয়েছে নেতিবাচক প্রভাব। সামগ্রিকভাবে দেশটির জনসংখ্যা ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বেড়ে রেকর্ড হয়েছে। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির লোকসংখ্যা বেড়েছে ২ কোটি ৬৮ লাখেরও বেশি।
অবশেষে বিয়ে করলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা
বাগদানের পাঁচ বছর পর অবশেষে বিয়ে করলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডকেই বিয়ে করলেন তিনি। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) পারিবারিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিয়েটি সম্পন্ন হয়। নেভ নামে তাদের পাচ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। জেসিন্ডার মুখপাত্র জানান, শনিবার নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডের একটি উপকূলীয় এলাকায় জেসিন্ডা ও গেফোর্ডের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। তাদের বিয়েতে ৭৫ জনের মতো অতিথি ছিলেন। ২০১৯ সালের মে মাসে তাদের বাগদান হয়। আর ২০২২ সালের প্রথম দিকে বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারি তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। জেসিন্ডা নিজেই করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটিতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেন। বাধ্য হয়ে বাতিল করেছিলেন নিজের বিয়ের আয়োজনও। জেসিন্ডার বয়স এখন ৪৩ আর ক্লার্কের বসয় ৪৭ বছর। ২০১৭ সাল থেকে গত বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যান জেসিন্ডা। এমনকি পরিবারকে সময় দিতে সক্রিয় রাজনীতিকেও বিদায় জানিয়েছেন। ২০১৮ সালের জুনে জেসিন্ডা সন্তানের জন্ম দেন। বিশ্বের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর মতো পদে থেকে মা হওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। পরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সম্মেলনে তিনি শিশুসহ যোগ দেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিক ছবিতে দেখা যায়, জেসিন্ডা সাদা পোশাকে আর ক্লার্কের পরনে সাদা শার্টের ওপর কালো স্যুট।  প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার পর গত ছয় মাসে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি ফেলোশিপ করছেন জেসিন্ডা। জেসিন্ডা প্রিন্স উইলিয়ামস আর্থশট প্রাইজের ট্রাস্টি এবং ক্রাইস্টচার্চ কলের একজন বিশেষ দূত। ক্রাইস্টচার্চ কল একটি নেটওয়ার্ক, যেটি ‘অনলাইনে সন্ত্রাসী এবং সহিংস চরমপন্থী বিষয়বস্তু নির্মূলে’ কাজ করে। দেশটিতে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে জুমার নামাজের সময় সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে ৫১ জন নিহত হন। এর পরপরই ক্রাইস্টচার্চ কল নামে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর জেসিন্ডা যে সহানুভূতি দেখিয়েছেন, তাতে তিনি সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন। পার্লামেন্টে দেওয়া শেষ ভাষণে জেসিন্ডা টেলিভিশন উপস্থাপক ক্লার্ককে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘চলো, শেষমেশ বিয়েটা করেই ফেলি।’