• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে চামড়া শিল্প
এক আইএমইআই নম্বরে দেড় লাখ ফোন!
একই আইএমইআই নম্বরের দেড় লাখের বেশি হ্যান্ডসেট পাওয়া গেছে। নামি-দামি ব্র্যান্ডের মোড়কে দেশের গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এসব মোবাইল সেট। এমনটাই অভিযোগ করেছেন মোবাইল উৎপাদকরা। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদফতরে এমন অভিযোগ তুলে মোবাইল উৎপাদকরা দাবি করছেন লাগেজে আনা করফাঁকির ফোনের বাজারজাত বন্ধ করতে। এ দাবি না মানলে কর্মী ছাঁটাইয়ের হুমকি দেন হ্যান্ডসেট উৎপাদকরা। হ্যান্ডসেট সংযোজনে দেশে বর্তমানে দুই হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে দাবি করে হ্যান্ডসেট উৎপাদকরা বলেন, হ্যান্ডসেটের বাজারের প্রায় ৪০ শতাংশ লাগেজে আনা মোবাইল ফোন। এতে বছরে এক হাজার কোটি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বর্তমানে স্মার্ট ও ফিচারফোন মিলিয়ে ৪০ লাখ উৎপাদন সক্ষমতার ৩০ শতাংশ সেট অব্যবহৃত থাকছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান জোরদারের কথা জানান ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বিড়িতে শুল্ক কমানো ও অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
চা উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ৫ দেশ, বাংলাদেশের অবস্থান কততম
সেরা মাঝারি শিল্পে প্রথম পুরস্কার পেলো বায়োফার্মা
‘বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের বাজারে দেশীয় কোম্পানির আধিপত্য’
চামড়াখাতে ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সিপিডির নতুন প্রস্তাব
ট্যানারি শিল্পের জন্য শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একইসঙ্গে মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম যথাযথ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় এ প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি। শনিবার (৪ মে) সিপিডির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব প্রস্তাবনায় উঠে আসে। সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেমের নেতৃত্ব গবেষণা পরিচালনা করা হয়। সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা ও ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদসহ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাবনায় সিপিডি বলছে, শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ২০ হাজার ৫৬৪ ও নন-ফুড মূল্য ১২ হাজার ৮৮১ টাকা হিসেবে মাসে মোট ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে সিপিডি মনে করছে ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা। একইসঙ্গে আমাদের প্রস্তাব থাকবে গ্রেডিং সিস্টেম ঠিক করে একটি গ্রেডে আনা। এই খাতে গ্রেড উন্নয়নের সুযোগ কম, কারণ একেকটি গ্রেডের কাজ একেক রকম। যেহেতু পদোন্নতির সুযোগ নেই, তাই গ্রেডের মধ্যে কয়েকটি ভাগ, যেমন: যেমন-গ্রেড-৫ এর এ, বি ও সি করে সাবগ্রেড করার প্রস্তাব রয়েছে। এর ফলে পদোন্নতির সুযোগ থাকবে ও শ্রমিকদের কাজে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে। গোলাম মোয়াজ্জেম তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৩ সালের চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার। যার ভিতরে ট্যানারি শিল্প থেকে এসেছে ১২৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খুঁজছে সে হিসাবে চামড়াজাত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের গবেষণায় এই খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব এসেছে, আমরা জানি শ্রমিকদের দাবি ২৫ হাজার টাকা আর মালিকদের প্রস্তাবনা ১৫-১৬ হাজার টাকা। আমি আশা করছি মজুরি বোর্ড সকল পক্ষে প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। সিডিপির গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালে সর্বপ্রথম ট্যানারি শিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছিল, যার পরিমাণ ৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০১৮ সালে সেটা বৃদ্ধি করে শহর অঞ্চলের জন্য ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ও গ্রাম অঞ্চলের জন্য ১২ হাজার ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা কতগুলো প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সিপিডি’র গবেষণায় দেখা গেছে ২০২৪ সালে এসেও দেখা গেছে ৬০ শতাংশ কারখানা ওই বেতন দিচ্ছে না। প্রতিবছর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটা বিবেচনায় বাস্তবায়ন হার অনেক কম পাওয়া গেছে। সিপিডি অ্যাংকর মেথডে ৩৫টি ট্যানারির ওপর গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।   
৯৫ শতাংশ কারখানা বোনাস দিয়েছে  
পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ৯৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ পোশাক কারখানা শ্রমিকদের বোনাস দিয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ৭৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ কারখানা মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে বলেও জানায় পুলিশ।  শিল্পাঞ্চল পুলিশের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া যায়। তারা বলছে, এই পরিসংখ্যান এই পরিসংখ্যান বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও বেপজার সদস্য, পাটকল ও অন্যান্য কারখানার। এসব সংগঠনের সদস্যভুক্ত দেশে মোট কারখানা আছে ৯ হাজার ৪৬৯টি। এর বাইরেও দেশে অনেক কারখানা আছে। তাদের হিসাব এই পরিসংখ্যানে নেই। শিল্প পুলিশের পাঠানো পরিসংখ্যানে কোন সংগঠনের সদস্য কতগুলো কারখানা বেতন ও বোনাস পরিশোধ করেছে, সেই হিসাবও আছে। এতে দেখা গেছে, বিজিএমইএ’র সদস্য কারখানাগুলোর মধ্যে মোট ৭৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ কারখানা বেতন পরিশোধ করেছে।  বিকেএমইএর সদস্য কারখানাগুলোর মধ্যে ৭৩ দশমিক ১৬ শতাংশ কারখানা, বিটিএমএ’র ৮২ দশমিক ৭১ শতাংশ, বেপজার ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ, পাটকলগুলোর মধ্যে ৬৫ শতাংশ ও অন্যান্য কারখানার মধ্যে ৭৪ দশমিক ১৪ শতাংশ কারখানা বেতন পরিশোধ করেছে। অন্যদিকে বোনাস পরিশোধের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিজিএমইএ’র সদস্য কারখানাগুলোর মধ্যে ৯৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ কারখানা, বিকেএমইএ’র ৯৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিটিএমএ’র ৯৭ দশমিক ১২ শতাংশ, বেপজা’র ৯৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ, পাটকলগুলোর মধ্যে ৯৫ শতাংশ আর অন্যান্য কারখানাগুলোর মধ্যে ৯৫ দশমিক ২০ শতাংশ কারখানা বোনাস পরিশোধ করেছে। শিল্প পুলিশের তথ্যানুসারে, গতকাল পর্যন্ত সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেটের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ২ হাজার ৫৩৪ কারখানার মধ্যে ১ হাজার ৯টি মার্চের বেতন দিয়েছে। উৎসব ভাতা দিয়েছে ২ হাজার ১৮৩টি কারখানা। কারখানামালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর শীর্ষ নেতাদের দাবি, বেতন ও উৎসব ভাতা নিয়ে বড় সমস্যা নেই; আজকের মধ্যে সব কারখানা বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে। রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান কচি জানান,  যেসব কারখানা বেতন-ভাতা দেয়নি, তারা মঙ্গলবার পরিশোধ করবে। যেসব কারখানায় বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল, সেগুলোর সমস্যা আমরা সমাধান করেছি। মিরপুরের একটি কারখানার মেশিন (যন্ত্রপাতি) বিক্রি করে আমরা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিয়েছি।   
এক চার্জে ৯০০ কিলোমিটার চলবে শাওমির গাড়ি
প্রথমবারের মতো নিজেদের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনছে চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি।  চীনের বেইজিংয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘স্ট্যান্ডার্ড এসইউ৭’, ‘এসইউ৭ প্রো’ ও ‘এসইউ৭ ম্যাক্স’ সংস্করণের বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রদর্শনের পাশাপাশি প্রিঅর্ডার নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রিঅর্ডার নেওয়া শুরুর মাত্র ২৭ মিনিটের মধ্যেই ৫০ হাজার বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করেছে শাওমি। শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে এগুলোতে ই-মোটর হাইপারইঞ্জিন ভিএস ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে সংস্করণভেদে গাড়িগুলো এক চার্জে ৭০০ থেকে ৯০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। এ ছাড়া মাত্র ২ দশমিক ৭৮ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিও তুলতে পারে। শাওমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেই জুন জানান, ‌‘স্ট্যান্ডার্ড এসইউ৭’ সংস্করণের বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ ইউয়ান। ফলে গাড়িটি টেসলার ‘মডেল ৩’ বৈদ্যুতিক গাড়ির তুলনায় ৩০ হাজার ইউয়ান কমে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ‘এসইউ৭ প্রো’ ও ‘এসইউ৭ ম্যাক্স’ সংস্করণের গাড়িগুলোর দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯০০ ইউয়ান ও ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ ইউয়ান। আগামী এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ শাওমির ‘স্ট্যান্ডার্ড এসইউ৭’ ও ‘এসইউ৭ ম্যাক্স’ সংস্করণের বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে পাওয়া যাবে। আর মে মাসের শেষ দিকে মিলবে ‘এসইউ৭ প্রো’ সংস্করণের গাড়ি। সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন
পানি বিশুদ্ধ করে ‘রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ অর্জন আতাউল করিমের
পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ‘রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ পেয়েছেন শিল্প উদ্যোক্তা এ কে এম আতাউল করিম। বৃহস্পতিবার (২৪ মে) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।  শিল্পমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।  রাষ্ট্রপতি শিল্প পুরস্কারের জন্য এবিএম ওয়াটার কোম্পানি ছাড়াও গাজীপুরের ইকো টেক্র লিমিটেড, নরসিংদীর প্রাণ ডেইরী লিমিটেড, ঢাকা পল্লবীর মীর আকতার হোসেন লিমিটেড, পাবনার স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড, ঢাকার স্নো আউটাওয়্যার লিমিটেড, পাবনার স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডসহ দেশের প্রথমসারির ২০টি কোম্পানিকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। আতাউল করিমের প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশের পানি বিশুদ্ধকরণ কার্যক্রমের সাথে জড়িত হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি পানি বিশুদ্ধকরণের সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি রিভার্স ওসমোসিস টেকনোলজি ব্যবহার করে পুকুর, লেক, নদী ও সাগরের পানি পরিশোধন করে আসছে। ভূগর্ভস্থ পানির সংকট কমানোর জন্য বৃষ্টির পানি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিশোধন পূর্বক ব্যবহার, নবায়নযোগ্য জ্বালানী হিসেবে সোলার এনার্জি ব্যবহার করে পানি উত্তোলন ও পরিশোধন কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বড় ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এই দক্ষ জনশক্তি মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মী হিসেবে নিয়োজিত হচ্ছে এবং বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সফল ভূমিকা পালন করছে।  তারা দেশে ছোট বড় প্রায় ২৫০ টিরও বেশী ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। যার মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২ কোটি ৯২ লাখ ১৬ হাজার লিটার পরিশোধিত খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।   এছাড়া রিভার্স সিমোসিস বা লবণাক্ত পানি পরিশোধন প্ল্যান্ট স্থাপনেও বাংলাদেশে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে এই কোম্পানি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে রয়েছে-চট্টগ্রাম পোর্ট, যা প্রতিঘণ্টায় ৪ লক্ষ লিটার, পায়রা পোর্ট প্রতিঘণ্টায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার লিটার, বাংলাদেশ নেভি চট্টগ্রাম প্রতিঘণ্টায় ২ লক্ষ ৮৪ হাজার লিটার, বাংলাদেশ নেভি মংলা প্রতিঘণ্টায় ৬০ হাজার লিটার এবং বাংলাদেশ নেভি পটুয়াখালী প্রতিঘণ্টায় ৫০ হাজার লিটার পানি পরিশোধন হচ্ছে। 
বাংলাদেশে ফের নকিয়া ফোন উৎপাদন শুরু
দেশে আবারও বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড নকিয়ার মোবাইল ফোন উৎপাদন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গিতে ৫৩ হাজার ৭১৫ বর্গফুট জায়গা নিয়ে মোবাইল কারখানা শুরু করে সেলেক্সট্রা লিমিটেড। সেখানেই তৈরি হচ্ছে নকিয়া ফোন। এ উপলক্ষে দেশে প্রথমবারের মতো নকিয়ার মূল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবালের চিফ অপারেটিং অফিসার আলা লুসানসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কারখানা পরিদর্শন করেছেন। আলা লুসান বলেন, এখন পর্যন্ত ৭টি মডেলের নকিয়া মোবাইল ফোন এই কারখানায় উৎপাদন করে বাজারজাত করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটি আমার দেখা সবচেয়ে সেরা কারখানা। অদূর ভবিষ্যতে সেলেক্সট্রার সঙ্গে এইচএমডি গ্লোবাল বাংলাদেশের জন্য আরও নতুন পণ্য ও সেবা নিয়ে আসবে। সেলেক্সট্রা লিমিটেডের বোর্ড চেয়ারম্যান আশরাফ বিন তাজ বলেন, এই কারখানায় উৎপাদিত প্রতিটি নকিয়া ফোনের মানের প্রতি আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোবাইল শিল্পের এই বিকশিত বিশ্ববাজারে, আমরা বাংলাদেশেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চাই। নকিয়া ফোন দিয়ে উৎপাদন শুরু হওয়া সেলেক্সট্রার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট মোবাইল ফোন উৎপাদনের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন আধুনিক গ্যাজেট তৈরির পরিকল্পনা করছে।
সেন্টার ফর এনআরবি’র সঙ্গে আলোচনায় বিমানমন্ত্রী
বিমানের ভাড়া কমানো, অধিক প্রবাসী অবস্থানকারী মধ্যপ্রাচ্য, আরব দেশ, মালয়েশিয়া এবং লন্ডনে বিমানের অধিক ফ্লাইট পরিচালনা ও উন্নত সেবা প্রদান এবং সেসব দেশে মৃত্যুবরনকারী প্রবাসী শ্রমিকদের লাশ বিনামূল্যে পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহন, নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু ইত্যাদি প্রস্তাবগুলো নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনআরবি’র একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী মোহাম্মদ ফারুক খান এমপির সঙ্গে তার সচিবালয় কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।  চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহাবুব আনাম, এবিএম মোস্তাক হোসেন, আওরঙ্গজেব চৌধুরী, মাশিউজ্জামান সেরনিয়াবাত ও শেখ মাসুমুল হাসান।  আলোচনাকালে মন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন, তাদেরকে উন্নত সেবা প্রদান করা আমাদের লক্ষ্য। মন্ত্রী বলেন, বিমান দেশের জাতীয় পরিবহন সংস্থা একই সঙ্গে বিমানকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে হয়। লাশ পরিবহনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মৃত শ্রমিকদের লাশ পরিবহনে প্রবাসী মন্ত্রণালয় ও বিমান সমন্বিতভাবে কাজ করলে প্রবাসীদের অধিক সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হবে, বিষয়টি তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবেন।  অধিক ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, এই মূহুর্তে তা সম্ভব না হলেও যথা শীঘ্রই আমরা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেব। তিনি বলেন, আরও বিমান সংগ্রহের চেষ্টা চলছে এ ব্যাপারে বিমান নির্মান সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে, আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আমার অফিসে এসে এ ব্যাপারে তাদের প্রতিষ্ঠানের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। নিউইয়র্কে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে চেষ্টা করছি। আমাদের সক্ষমতাও আছে তবে এ ব্যাপারে আমেরিকার সিদ্ধান্ত দরকার। তিনি বলেন, আমাদের প্রবাসী আমেরিকানরা সেখানকার কতৃর্পক্ষের সাথে এ ব্যাপারে কাজ পারেন।  পরিত্যাক্ত বিমানগুলোকে বিকল্পভাবে ব্যবহারের জন্য প্রবাসীদের কাছ থেকে কোন প্রস্তাব পেলে বিবেচনার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
আধুনিক যুগেও প্লাস্টিকের বিকল্প নেই : মোরশেদ আলম
বেঙ্গল গ্রুপ ও আরটিভির চেয়ারম্যান আলহাজ মোরশেদ আলম বলেছেন, আধুনিক যুগেও প্লাস্টিকের বিকল্প নেই। তবে মান ও দাম ঠিক রেখে এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যুগের সাথে তাল মেলাতে না পারলে পিছিয়ে পড়তে হবে।   শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ১৬তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এই মেলার আয়োজন করেছে। মোরশেদ আলম বলেন, প্লাস্টিক খাতকে সামনে আরও এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য আমাদের ভবিষ্যতে নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে। আমাদের আশপাশের দেশগুলোতে খোঁজ করতে হবে।  বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে প্লাস্টিক শিল্প ৪০ হাজার কোটি টাকার। অনেক মানুষের সংগ্রামের ফসল এটি। যা নতুন প্রজন্ম আরও উপরে নিয়ে যাবে। দেশের প্লাস্টিক পণ্যের প্রচার, প্রসার ও রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্বের ২০টি দেশের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে এই মেলা। যেখানে প্লাস্টিকের বিভিন্ন উপাদান, মেশিনারিজ, কেমিক্যাল প্রদর্শন ও ক্রয়ের আগাম কার্যাদেশ দেওয়া-নেওয়া হচ্ছে। চারদিনব্যাপী এই মেলা হয় আজ (২৭ জানুয়ারি)। মেলায় দেশী-বিদেশী প্রায় এক হাজার কোম্পানি অংশ নেয়।